Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Birbhum: শুরু হল কেন্দুলির জয়দেবের মেলা, অজয়ে পুণ্যের ডুব দিলেন পূর্ণার্থীরা

    Birbhum: শুরু হল কেন্দুলির জয়দেবের মেলা, অজয়ে পুণ্যের ডুব দিলেন পূর্ণার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুরু হয়ে গেল কয়েকশো বছরের পুরানো কেন্দুলির জয়দেবের মেলা। প্রতি বছরই বীরভূমের (Birbhum) অজয় নদের ধারে জয়দেব-কেন্দুলি মেলাকে কেন্দ্র করে অসংখ্য পুণ্যার্থী ভিড় জমান। প্রথা অনুযায়ী মকর সংক্রান্তির দিন অজয় নদের তিরে পু্ণ্যস্নান সারেন পূর্ণার্থীরা। অন্যদিকে, সকাল থেকে ঐতিহ্যবাহী রাধাবিনোদের মন্দিরে পুজো দেওয়ার লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে জমে উঠেছে কবি জয়দেবের স্মৃতিবিজড়িত বাউল-ফকিরদের মেলাটি।

    কে তৈরি করেছিলেন রাধা বিনোদের মন্দির? (Birbhum)  

    ১৬৮৩ সালে বর্ধমানের মহারানি ব্রজকিশোরী বীরভূমের (Birbhum)  অজয় নদের রাধা-বিনোদের মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই স্থানটির সঙ্গে রাজা লক্ষ্মন সেনের সভাকবি জয়দেবের নাম জড়িয়ে রয়েছে। তিনি কেন্দুলি গ্রামের সন্তান। প্রাচীন এই মন্দিরের গায়ে টেরাকোটার কাজের মাধ্যমে বর্ণিত রয়েছে বহু পৌরাণিক কাহিনী সমূহ। রয়েছে নানান দেবদেবীর মূর্তি। এই জয়দেব মেলা মূলত বাউল-ফকিরের মেলা হিসাবে পরিচিত। মকর সংক্রান্তির ভোর থেকে শীত উপেক্ষা করে অজয় নদের জলে স্নান সারলেন পুণ্যার্থীরা। পুণ্যস্নান সেরে রাধা-বিনোদের মন্দিরে পুজো দেওয়ার রীতিও বজায় ছিল। ভিড় থাকায় এই বছর জয়দেব মেলায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    বুধবার পর্যন্ত চলবে এই মেলা

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্নানের ঘাট ও অন্যান্য জায়গায় নিরাপত্তার জন্য সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ প্রায় ২ হাজার ৬০০ পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন ডিআইজি, এসপি, এসডিপিও পদমর্যাদার অফিসাররা। ১০০ টির বেশি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।রয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। সেখান থেকে চলছে নজরদারি। ২৪ টি পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ, ইভটিজিং, কেপমারি রুখতে একাধিক অ্যান্টি ক্রাইম টিম ও মহিলা পুলিশ রয়েছে। এছাড়াও চলছে ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারি। এবার স্থায়ী আখড়া ছাড়াও ৩০০ টি মতো অস্থায়ী আখড়ার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। ৬৫০ টি স্টল রয়েছে মেলায়। উন্মুক্ত মল-মূত্র ত্যাগ রুখতে নদীর তিরে ১ হাজারেরও বেশি অস্থায়ী শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে জমজমাট প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী জয়দেব মেলা। বুধবার পর্যন্ত চলবে এই মেলা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Memari: দলীয় মিছিলে হামলা চালাল তৃণমূলের লোকজন, মেমারিতে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Memari: দলীয় মিছিলে হামলা চালাল তৃণমূলের লোকজন, মেমারিতে দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই পূর্ব বর্ধমানের মেমারি (Memari) ব্লকে তৃণমূলের কোন্দল মাথাচাড়া দিয়েছে। যতদিন যাচ্ছে এই এলাকায় তৃণমূলের কোন্দল তত প্রকট হচ্ছে। মেমারি ২ ব্লকের একটি বড় অংশ মন্তেশ্বর বিধানসভার মধ্যে পড়ে। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী মন্তেশ্বরের বিধায়ক হওয়ার পরে স্থানীয় তৃণমূলে আলাদা গোষ্ঠী তৈরি হয় বলে অভিযোগ। প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মহম্মদ ইসমাইল শেখ ও তাঁর অনুগামী বলে পরিচিতরা পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাননি। একতরফাভাবে সিদ্দিকুল্লার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দলের ব্লক সভাপতি হরিসাধন ঘোষের লোকজন টিকিট পেলেও, বার বার দ্বন্দ্বের ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন মুখ উঠছে জেলা তৃণমূলের মধ্যেও।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Memari)

    শুক্র ও শনিবার রাতে মেমারি (Memari)-২ ব্লকের বোহার ১ পঞ্চায়েতের বিটরা গ্রামে পরস্পরের বিরুদ্ধে গোলমাল পাকানোর অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলের দু’টি পক্ষ। গত দেড় মাসের মধ্যে এই ব্লকে শাসক দলের দ্বন্দ্বের ঘটনা বার তিনেক প্রকাশ্যে এসেছে। এ নিয়ে দলীয় নেতৃত্বও বিড়ম্বনায় পড়ছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ময়না হালদার টুডুর অনুগামী বলে পরিচিত অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অনাথবন্ধু রায়ের নেতৃত্বে বিটরা গ্রামে শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে একটি মিছিল হয়। অভিযোগ, সেই মিছিলে ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জিন্নাত আলির অনুগামীরা হামলা চালান। মারধরে তিন জন জখম হন। অভিযোগ, পাল্টা আক্রমণও করা হয়। শনিবার থানায় অভিযোগ করে দু’পক্ষ। এর পরে আবার জিন্নাতদের অভিযোগ, শনিবার রাতে অনাথবন্ধুর লোকজন গ্রামে ‘বোমাবাজি’ করে।

    তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর নেতারা কী সাফাই দিলেন?

    ময়নার অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ওই গ্রামে অনাথবন্ধুর নেতৃত্বে মোটরবাইক মিছিল হচ্ছিল। তখন আমাদের দলেরই কয়েক জন হামলা চালায়। তাতে অনাথবন্ধু-সহ তিন জন জখম হন। রাহুল শেখ নামে এক জনকে রাস্তায় মারধর করা হয়েছে। উপপ্রধান জিন্নাতের পাল্টা অভিযোগ, ওরা এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। তোলাবাজি করছে। মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। দলের কেউ জড়িত নয়।

    ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    মেমারি (Memari) -২ ব্লক সভাপতি হরিসাধন ঘোষ বলেন, সমন্বয়ের অভাব হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ঠিক কী কারণে এই গোলমাল, তা জানার জন্য বৈঠক করার কথা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে শাসক দলের নেতা সত্যেন খুনে ধৃত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে শাসক দলের নেতা সত্যেন খুনে ধৃত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিল্মি কায়দায় একদা অধীর চৌধুরী ঘনিষ্ঠ সত্যেন চৌধুরীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। সত্যেন মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। তাঁকে খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোস্তফা মণ্ডল নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ নদিয়ার তেহট্ট থেকে গ্রেফতার করে। মোস্তফা তেহট্ট-১ ব্লকের কানাইনগর অঞ্চলের সহ-সভাপতি। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে সামনে চলে এসেছে।

    অসামাজিক কাজে যুক্ত সত্যেন খুনে ধৃত তৃণমূল নেতা (Murshidabad)

    পুলিশ সূত্রের দাবি, মুর্শিদাবাদে তৃণমূল নেতা সত্যেনকে খুনের পরে তিন অভিযুক্ত তেহট্ট থানার (Murshidabad) বিনোদনগর পোস্ট অফিস লাগোয়া এলাকায় মোস্তফার আশ্রয়ে ছিল। খুনের আগে ও পরে অভিযুক্তদের সঙ্গে মোস্তফার যোগাযোগ ছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। এর আগে স্থানীয় শ্রীরামপুর বাজার থেকে রাতে বাড়ি ফেরার সময়ে কানাইনগর অঞ্চল তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি আজিজুল শেখকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। তা আজিজুলের ডান কান ছুঁয়ে বেরিয়ে যায়। কলার ব্যবসার আড়ালে অসামাজিক কাজের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অথচ এই মোস্তফাকে দলের পদ দিতে বাধেনি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের। কিছু দিন আগেই তেহট্ট ১ ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতির প্যাডে দেওয়া চিঠিতে তাকে কানাইনগর অঞ্চলের সহ-সভাপতি মনোনীত করা হয়।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতি সৌমিত্র সরকার বলেন, এলাকায় অনেকের আব্দার ছিল, মোস্তফাকে পদ দেওয়া হোক। তাই, দেওয়া হয়েছে পদ। গ্রেফতারের কথা শুনেছি। এ-ও জেনেছি যে, সে নির্দোষ। সন্দেহের বশে তাকে ধরা হয়েছে। তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বক্তব্য, ওই অঞ্চলে যুব সভাপতি বা সহ-সভাপতি কারও সঙ্গে আলোচনা করে করা হয়নি। দলেরই এক কর্মীর দিকে গুলি ছোড়ায় জড়িত ছিল মোস্তফা। এ সব কারণে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    সত্যেন খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবিও তুলল বিজেপি। শনিবার সন্ধ্যায় আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবিতে পথসভা করেছে কংগ্রেস। বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, তৃণমূল চোর-গুন্ডাদের পদ দিচ্ছে, যাতে মানুষকে ভয় দেখিয়ে বাগে রাখতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Saokat Molla: “জিনা হারাম করে দেব”, ভাঙড়ে তৃণমূল বিধায়কের মুখে এ কেমন কথা!

    Saokat Molla: “জিনা হারাম করে দেব”, ভাঙড়ে তৃণমূল বিধায়কের মুখে এ কেমন কথা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার (Saokat Molla) ফের বেফাঁস মন্তব্য “জিনা হারাম করে দেব”। একজন জনপ্রতিনিধি, তাও আবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল কংগ্রসের বিধায়ক! এমন মন্তব্য কীভাবে করতে পারেন? ভাঙড়ে এক প্রকাশ্য সভায় দলীয় পতাকা লাগানোকে ঘিরে গোলমাল হলে বিরোধী দলের কর্মীদের উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করেন তিনি। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশে গণতন্ত্র নেই বলে রোজ সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ করেন, আর সেখানে তাঁর দলেরই এক বিধায়ক বিরোধী দলের কর্মীদের এই রকম হুমকি দিচ্ছেন! এই ঘটনা ভাঙড় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এলাকার মানুষের বক্তব্য, রাজনৈতিক হিংসা ছড়াতে উস্কানি দিচ্ছেন তৃণমূলের এই বিধায়ক।

    কেন করেছেন এমন মন্তব্য(Saokat Molla)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানিং পূর্ব বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা (Saokat Molla) প্রতিবাদ সভার নামে এই মন্তব্য করেন। ভাঙড়ের বোদারা অঞ্চলের খড়গাছিতে একটি প্রকাশ্য সভায় এই রকম হুমকি দিয়ে বক্তব্য রাখেন। আরও জানা গিয়েছে, তৃণমূল এবং বিরোধীদের মধ্যে দলের পতাকা লাগানো ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এবং সেই সঙ্গে শাসক-বিরোধী দলের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছিলেন। এরপর বিরোধীদের উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেন। 

    ঠিক কী বলেছেন?

    এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শওকত (Saokat Molla) বলেন, “প্রশাসন যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করে তাহলে এই এলাকার মানুষ তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে। বোদরা এলাকায় তাদের জিনা হারাম করে দেব। এই কথা আমি দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি।” এই বক্তব্যে এলাকায় শাসক দলের আগ্রাসী মনোভাবের পরিচয় যে ফুটে উঠেছে সে কথা রাজ্যের বিরোধী দলের কর্মীরা মনে করছেন। উল্লেখ্য মাত্র কয়েকদিন আগে মালাদা জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বিধায়ক আব্দুল রহিম বক্সি বলেন, “বিরধিতা করলে সমাজ থেকে বহিষ্কার করে গ্রামছাড়া করা হবে।” আর এই মন্তব্যে রাজনীতির আঙিনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    বিরোধীদের বক্তব্য

    ঘটনায় বিরোধী দলের পক্ষ থেকে স্থানীয় বিজেপি নেতা বলেন, “মানুষ আর তৃণমূলের সঙ্গে নেই। পুলিশ এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে একযোগে অত্যাচার করা হচ্ছে।” ঘটনায় আইএসএফের এক তৃণমূল নেতা বলেন, “রক্তারক্তি না হলে ভাঙড়ের মাটিতে তৃণমূল থাকতে পারবে না। তাই আগে থেকে ভয় পেয়ে শওকত মোল্লারা (Saokat Molla) এই সব কথা বলেছেন। শান্তিপূর্ণ ভোট হলে ভাঙড়ে তৃণমূল একটাও ভোট পাবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “চোরেদের এনার্জি অভিষেক ব্যানার্জি”, বিশাল জনসভায় তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “চোরেদের এনার্জি অভিষেক ব্যানার্জি”, বিশাল জনসভায় তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ রবিবার মুর্শিদাবাদ সফরে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে আসার পর সেখান থেকে বহরমপুর খাগড়া এলাকার স্থানীয় একটি জগন্নাথ মন্দিরে সাফাই অভিযান করেন তিনি। মন্দিরে ঢুকে নিজেই ঝাড়ু হাতে নিয়ে মন্দির চত্বর পরিষ্কারের কাজ করেন।

    এরপর বহরমপুর সাংগঠনিক জেলার সাটুই বাজারে বিজেপির বিশাল জনসভায় উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, “ইন্ডি জোট ভারতবর্ষের পিন্ডি চটকাচ্ছে, এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন আমি প্রধানমন্ত্রী হব না।” আবার অভিষেককে আক্রমণ করে সুকান্ত বলেন, “চোরেদের এনার্জি হল অভিষেক ব্যানার্জি”। একই ভাবেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে আক্রমণ করে বলেন, “কংগ্রেসের মৃত কর্মীদের বাড়িতে নিয়ে যান রাহুল গান্ধীকে।”

    তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে আক্রমণ (Sukanta Majumdar)?

    মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে সভায় গিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূল নেতা সুজিত বসু এখন কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক। পুজোর সময় কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশি অতিথি নিয়ে আসেন। এত টাকার উৎস কোথায়? একটা সময় কম বয়সে এগরোল বিক্রি করতেন। এখন এত সম্পত্তির মালিক কীভাবে হলেন? টাকা নিয়ে চাকরি দিয়েছেন। তাই ইডি তদন্ত করছে।” পাশাপাশি মোদির চা বিক্রির প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “মোদি চা বিক্রি করে লোকের টাকা চুরি করেননি। তাঁর পরিবারের লোকজন এখনও পেট্রোল পাম্পে কাজ করেন। অন্যদিকে তৃণমূলের নেতারা শুধু চুরি করেন।” বালু প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বালুকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিরপাত্তায় রাখা দরকার। কারণ ওঁর কাছে অনেক তথ্য রয়েছে।”

    কংগ্রেসকে আক্রমণ

    বহরমপুরে প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরিকে আক্রমণ করে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “অধীরদাকে বলব যদি এখনও লড়াই করার ক্ষমতা থাকে, তাহলে রাহুল গান্ধীকে নিয়ে বাংলায় আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে যান। তৃণমূলের যে দুষ্কৃতীরা যে কংগ্রেস কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে, লুটপাট করেছে, খুন করেছে, সেই সব পরিবারে নিয়ে যান পাপ্পুকে। শুধু দিল্লিতে ইন্ডি জোটের নামে ফিস ফ্রাই খেয়ে মিটিংয়ের নামে চোরদের বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। আপনাদের অন্যায় যাত্রা বন্ধ করুন।”

    আক্রান্ত সাধুদের সমর্থনে  কী বললেন?

    এই রাজ্যে গৈরিক বসনধারী সাধুদের আক্রান্ত হতে হয়। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। এই কথা বলে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “রাজ্যে পালঘরের মতো আরও একটা সাধু হত্যার ঘটনা ঘটতে চলেছিল। কিন্তু আমাদের সজাগ দৃষ্টি তা হতে দেয়নি।” আবার শেখ শাহজাহানের গ্রেফতার প্রসঙ্গে বলেন, “দিদির শাহজাহান এখন তাজমহল বানাতে গিয়েছেন। সরকার এবং পুলিশ দোষীদের আড়াল করছে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “বাবর একদিনে ১ লক্ষ ৮০ হাজার হিন্দুকে খুন করেছিল” মন্দির ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “বাবর একদিনে ১ লক্ষ ৮০ হাজার হিন্দুকে খুন করেছিল” মন্দির ইস্যুতে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে দেশ জুড়ে মন্দিরে মন্দিরে স্বচ্ছতা অভিযানের ডাক দিয়েছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বামীজির জন্মদিনে মন্দিরের স্বচ্ছতা অভিযানে নামতে দেখা যায় তাঁকে নাসিকের কালারাম মন্দিরে। এবার রাজ্যে একই ভাবে মন্দিরে স্বচ্ছতা অভিযানে নামলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), তাঁর নিজের বিধানসভা ক্ষেত্র নন্দীগ্রামে। তিনি আজ রবিবার জাগ্রত রেয়াপাড়া শিব মন্দিরে স্বচ্ছতার কাজে হাত লাগিয়ে মন্দির চত্বর পরিষ্কার করলেন। সেই সঙ্গে বললেন, “এই রাম মন্দির হিন্দুদের কাছে বিরাট পাওনা।”

    কীভাবে স্বচ্ছতা অভিযান করলেন (Suvendu Adhikari)?

    এদিন সকালে নন্দীগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে রেয়াপাড়া শিব মন্দিরে উপস্থিত হন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মন্দিরে ঢুকে প্রথমে প্রণাম করেন। এরপর শুরু করেন মন্দিরের মেঝে পরিষ্কারের কাজ। মন্দির চত্বরে প্রচুর ফুল পড়েছিল, সেগুলি পরিষ্কার করেন। এরপর জল ঢেলে পরিষ্কার করে দেন তিনি। সেই সঙ্গে দলের আরও কর্মী তাঁর সঙ্গে মন্দিরের স্বচ্ছতা অভিযানে যোগদান করেন।

    কী বললেন শুভেন্দু?

    মন্দিরে স্বচ্ছতা অভিযানের পর সাংবাদিকদের শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমরা যাঁরা সনাতন, যাঁরা ভারতবাসী, তাঁরা সকলেই মন্দির সাফাই করছি। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন সকল মন্দির সাফাই করতে হবে। নন্দীগ্রামে এই মুহূর্তে মোট মন্দির রয়েছে মোট ১১১ টি। সবগুলিতে আমাদের কর্মীরা স্বচ্ছতা অভিযান চালাচ্ছেন।” এরপর অযোধ্যার রাম জন্মভূমি এবং মন্দির পুনর্নির্মাণ প্রসঙ্গে বিদেশি আক্রমণকারীদের উদ্দেশে তোপ দেগে বলেন, “মন্দির নিয়ে সারা দেশ উচ্ছ্বসিত। মন্দির উদ্ধারের জন্য ৫০০ বছরের মধ্যে মোট ৬৭ বার সংঘর্ষ হয়েছে। উদ্ধারের জন্য ৩ লক্ষ হিন্দু শহিদ হয়েছে, ৩ লক্ষ হিন্দুকে খুন করেছে মুঘলরা। যেদিন বাবর রাম জন্মভূমি দখল করেছিল, সেদিন ১ লক্ষ ৮০ হাজার হিন্দুকে খুন করেছিল। তারপর রাম মন্দির নির্মাণ হয়েছে। হিন্দুদের কাছে এই মন্দির বিরাট পাওনা।” অপর দিকে এদিন বহরমপুরে জগন্নাথ মন্দির সাফাই করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আবার কলকাতায় রাম মন্দিরের স্বচ্ছতা অভিযান করেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Ram Temple: রাম মন্দির সেজে উঠবে চন্দননগরের আলোয়, রাজপথে থাকবে ৩০০টি গেট

    Ayodhya Ram Temple: রাম মন্দির সেজে উঠবে চন্দননগরের আলোয়, রাজপথে থাকবে ৩০০টি গেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রাম মন্দির (Ayodhya Ram Temple) যাওয়ার পথ সেজে উঠবে চন্দননগরের আলোয়। সেজে উঠবে ফিরোজাবাদ থেকে অযোধ্যার রাম মন্দিরের গোটা রাজপথ। আলোয় ফুটে উঠবে রাম-লক্ষ্মণ, সীতা, হনুমান, অশোকবন, বানর সেনা ইত্যদি। আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে। মন্দিরের গর্ভগৃহে স্থাপনা করা হবে রামলালার মূর্তি। দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন এই অনুষ্ঠানে।

    মন্দির গেট পর্যন্ত থাকবে আলোকসজ্জা (Ayodhya Ram Temple)

    অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Temple) গেট পর্যন্ত যেতে মোট ৩০০টি আলোর গেট থাকবে বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে আলোকসজ্জা জ্বলবে টানা ১ বছর পর্যন্ত। লোহার কাঠামোর উপর নতুন ধরনের এলইডি স্ট্রিপ দিয়ে সাজানো হবে আলোকসজ্জা। আলো দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হবে রামায়ণের নানা চরিত্রকে।

    আলোকশিল্পীর বক্তব্য

    চন্দননগরের আলো নিয়ে শনিবার অযোধ্যার (Ayodhya Ram Temple) উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন বলে জানা গিয়েছে শিল্পীরা। বিশেষ কিছু আলোকচিত্র এখান থেকেই তৈরি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাকি কাজ অযোধ্যায় পৌঁছে করা হবে। শিল্পী মনোজ সাহা বলেন, “২০ তারিখের মধ্যে সমস্ত কাজ শেষ করতে পুরোদমে প্রস্তুতি চলছে। আলোর রোশনাইতে ভাসবে রাজনগরী। দেশ-বিদেশের অনেক রামভক্ত এই শ্রী রামের মন্দির দেখতে আসবেন। চন্দননগরের আলো দিয়ে রামনগরী সেজে উঠবে। তাই বাংলার জন্য এই প্রাপ্তি অত্যন্ত গৌরবের।”

    ১৫০ জন আলোকশিল্পী যাচ্ছেন অযোধ্যায়

    উল্লেখ্য দীপাবলির সময়েও চন্দননগরের আলোয় অযোধ্যা (Ayodhya Ram Temple) সেজে উঠেছিল। মন্দিরের বাইরের রাস্তায় সপ্তকাণ্ড রামায়ণের নানা চিত্র আলোর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। সেই আলোতে একই ভাবে মন্দির উদ্বোধনপর্বে সাজানো হবে। রামরাজ্যে এই মুহূর্তে সজো সাজো রব। সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ২ কোটি টাকার বরাত এসেছে আলোকশিল্পীদের কাছে। হুগলি থেকে ইতিমধ্যে ১৫০ জন আলোকশিল্পী অযোধ্যায় যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Ration Scam: হাসপাতালের ‘সরকারি আতিথেয়তা’ শেষ, ৭ সপ্তাহ পর বালু ফের জেলে

    Ration Scam: হাসপাতালের ‘সরকারি আতিথেয়তা’ শেষ, ৭ সপ্তাহ পর বালু ফের জেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হল রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। শনিবার ১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বালুকে ফের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, জেলে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বনমন্ত্রীর ওপরে। এর পাশাপাশি সেখানে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। জেলে বালুর উপর নজরদারি চালাতে আরও বেশি সংখ্যায় সিসি ক্যামেরাও বসেছে বলে জানা গিয়েছে।

    জেলে তৃণমূলের সেল

    প্রেসিডেন্সির পহেলা বাইশ নম্বর সেল ব্লকে রয়েছেন বালু। তাঁর প্রতিবেশী হিসেবে সেখানেই রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া বঞড়ার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা সহ অন্যান্যরা। জেলের অন্দরে মন্ত্রীর গতিবিধির উপরে নজরদারি চালাতে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, তাই এত ব্যবস্থা বলে জানা গিয়েছে। সব মিলিয়ে জেলের এই সেল যেন তৃণমূলেরই সেল হয়ে উঠেছে। রেশন-দুর্নীতি ও নিয়োগ-দুর্নীতি এসে মিশে গিয়েছে প্রেসিডেন্সির এই সেলে।

    দুর্গাপুজোর পরেই গ্রেফতার হন বালু

    দুর্গাপুজোর আগে রেশন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বাকিবুর রহমানকে। তাঁর সূত্র ধরেই উঠে আসে মন্ত্রী বালুর নাম। পুজোর ঠিক পরেই জ্যোতিপ্রিয়র বাড়িতে হানা দেয় ইডি। তারপরেই গ্রেফতার হন মন্ত্রী। প্রথমে ইডি হেফাজত, পরে জেলে পাঠানো হয় তাঁকে। গত নভেম্বর মাসেই অসুস্থতার কারণে মন্ত্রী ভর্তি হন এসএসকেএম হাসপাতালে। সে নিয়েও ওঠে একাধিক প্রশ্ন! মন্ত্রী কি সত্যিই অসুস্থ এই প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। হার্টে কোনও রকম সমস্যা না থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মন্ত্রীকে কার্ডিওলজি বিভাগে রাখে। বালুর কী অসুস্থতা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে হাসতেও দেখা গিয়েছে ডাক্তারবাবুদের। এসএসকেএম-এর জানলা দিয়ে বালুকেও খিলখিলিয়ে হাসতে দেখাও যায়। এবার সরকারি আতিথেয়তা শেষ হল। অবশেষে প্রায় সাত সপ্তাহ পরে বালুকে জেলে ফিরতে হল। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cv Bose: ‘‘কে কালপ্রিট সকলেই জানে, অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক’’, সন্দেশখালি ইস্যুতে কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    Cv Bose: ‘‘কে কালপ্রিট সকলেই জানে, অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক’’, সন্দেশখালি ইস্যুতে কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ঘটনায় ৮ দিন পার। অথচ মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান এখনও গ্রেফতার হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারই তাকে বহাল তবিয়তে রেখেছে। এনিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল। সিভি আনন্দ বোস (Cv Bose) বলেন, ‘‘কে কালপ্রিট সকলেই জানে। যদি না ধরা যায়, কেন ধরা যাচ্ছে না, সর্বসমক্ষে বলা হোক। সত্যি বলা হোক। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” এর আগে শাহজাহান ইস্যুতে রাজ্যপাল জরুরিভাবে তলব করেছিলেন মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে।

    সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা

    রাজ্যপাল (Cv Bose) আরও বলেন ‘‘এখন রাজ্য সরকারের অ্যাকশন নেওয়া উচিত। কোনও অজুহাত দেখানো উচিত নয়। আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং খারাপ জিনিসকে বন্ধ করতে না চাওয়া কখনওই সহ্য করা হবে না। সংবিধান রয়েছে, আদালত রয়েছে এবং রাজ্যপাল রয়েছেন। আইন অনুযায়ী যা করার করা হবে।’’

    পুরুলিয়ার ঘটনা নিয়ে কী বললেন রাজ্যপাল?

    গঙ্গাসাগরে যাওয়ার পথে ৩ সন্ন্যাসী গণপিটুনির শিকার। এনিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। গতকালই পুরুলিয়ার ঘটনাকে পালঘরের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার এনিয়েও মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি বোস (Cv Bose)। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘পুরুলিয়ায় যা ঘটেছে, সেটা অত্যন্ত অসম্মানজনক। শোচনীয় ঘটনা। সাধুদের উপর আক্রমণ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ বলেই ধরা হবে। আমি সাধুদের উপরে আক্রমণের তীব্র নিন্দা করি। রাজ্যপালের কাজ শুধু রিপোর্ট চাওয়া নয়, অ্যাকশনও (ব্যবস্থা) নেওয়া। রিপোর্টের টাইম শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন অ্যাকশনের সময়। নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অ্যাকশন নিতে হবে।’’ প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা ওই সাধুরা পুরুলিয়ার কাশীপুরের গৌরাঙ্গডি গ্রামে পৌঁছে তিন নাবালিকাকে রাস্তা জিজ্ঞাসা করেন। এতেই তাঁদের অপহরণকারী সন্দেহে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। পরে স্থানীয় মানুষজন ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarhati: বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে! হামলা চালিয়ে হুমকি তৃণমূলের

    Kamarhati: বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে! হামলা চালিয়ে হুমকি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জন্মদিনে স্বামী বিবেকানন্দের গলায় মালা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বিজেপি কর্মীরা। হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে বলে হুমকি তৃণমূলের (Kamarhati)

    বৃহস্পতিবার ছিল স্বামী বিবেকানন্দের ১৬১ তম জন্মদিন। সেই উপলক্ষে সকালে বেলঘরিয়ার নন্দননগর বাজারের কাছে থাকা বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দিতে যান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ, সেখানে তাঁদের মালা দিতে বাধা দেওয়া হয় এবং তাঁদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বিজেপির যুবনেতা সুশান্ত রায়চৌধুরীর অভিযোগ, ‘বিবেকানন্দের মূর্তিতে মালা দিতে গেলে আমাদের হুমকি দেওয়া হয়। বলা হয় বিবেকানন্দ নাকি ওদের। আমরা প্রতিবাদ করাই আমাদের প্রকাশ্যে স্থানীয় কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কানু দাসের ছেলে সৈকত ওরফে জয় দাস দলবল নিয়ে আমাকে এবং আমার সঙ্গে থাকা বিজেপি কর্মীদের মারধর করে।  বাড়িতে গিয়েও শাসিয়ে আসে এবং ফোনে হুমকি দিয়ে বলে এলাকাছাড়া করে দেবে ‘। একই অভিযোগ আর এক বিজেপি কর্মী বিশ্বজিৎ মণ্ডলেরও। তাঁর অভিযোগ, কাউন্সিলরের ছেলে ফোনে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি এলাকায় বিজেপি করলে ভয়ঙ্কর খেলা হবে বলে হুমকি দেয়। বুথে এজেন্ট হয়ে বসা তো দূরের কথা বাড়ি ছাড়া করারও হুঁশিয়ারি দেয়। ঘটনায় তাঁরা যথেষ্ট আতঙ্কে রয়েছেন। আতঙ্কে রয়েছেন তাঁদের পরিবারও।

    প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশনে বাধা!

    প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশন করতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে কামারহাটির (Kamarhati) নন্দননগরেরই ওল্ড নিমতা রোডে। সেখানে একটি সাইবার ক্যাফে রয়েছে নরোত্তম সিংহ  নামে এক ব্যবসায়ীর। ব্যবসায়ীর বক্তব্য, সেখানে কয়েকজন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্পের জন্য রেজিস্ট্রেশন করছিলেন।  অভিযোগ আচমকা কয়েকজন এসে আমাকে হুমকি দেয় এবং বলে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কিত কোনও যোজনার ফর্মফিলাপ করা যাবে না।  দোকানে যারা ছিল তাঁদের হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং বেশি বাড়াবাড়ি করলে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। দুটি ঘটনাতেই স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে এবং তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে বিজেপি নেতৃত্ব।  দুটি ঘটনার প্রেক্ষিতেই বৃহস্পতিবারই বেলঘরিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির উত্তর শহরতলি জেলার সভাপতি অরিজিৎ বক্সি। তিনি ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন এবং অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।  না হলে আগামীদিনে বেলঘরিয়া জুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যদিও কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহা বলেন, ‘ যদি সত্যিই এরকম কিছু ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।  দলের কেউ জড়িত থাকলে সে বিষয়টিও দলীয় স্তরে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। বেলঘরিয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share