Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Ram Mandir: কোচবিহারে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির, উদ্যোগী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক

    Ram Mandir: কোচবিহারে তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির, উদ্যোগী কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনে তোড়জোড় শুরু হয়েছে জোরকদমে। এই আবহের মধ্যে বাংলাতেই রাম মন্দির তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একটি বা দুটি নয়, তিনটি রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়েছে কোচবিহারে। আর এই মন্দির তৈরির মূল উদ্যোক্তা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। আর একটি মন্দির তো অযোধ্যার রাম মন্দিরের সঙ্গে ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হবে। সেই মতো প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।

    কোচবিহারের কোথায় তৈরি হচ্ছে রাম মন্দির? (Ram Mandir)

    কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের পাশাপাশি মাথাভাঙা এবং শীতলকুচি বিধানসভা কেন্দ্রে রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরি করতে উদ্যোগী বিজেপি নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের ছড়ারকুঠি গ্রামে দুই ট্রাক বেলেপাথর এসে পৌঁছেছে। খরচ প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা। ওই বেলেপাথর রাজস্থান থেকে নিয়ে আসার তদারকি করছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজেই। জানা গিয়েছে, কোচবিহার উত্তর বিধানসভার ছড়ারকুঠি এলাকায় প্রায় সাত দশক পুরানো কালীমন্দির রয়েছে। প্রত্যেক দীপাবলিতে সেখানে পুজো হয়। এবার দীপাবলিতে কালীপুজোর সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে তাঁরা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এসেছিলেন এবং পরবর্তীতে তিনি মন্দিরের ফাঁকা স্থানে রামমন্দির তৈরি করার প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাবে রাজি হওয়ায় রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মন্ত্রী নিজেই রাজস্থান থেকে প্রয়োজনীয় বেলেপাথর এবং কারিগরদের নিয়ে এসেছেন।

    অযোধ্যার রাম মন্দিরের সঙ্গে এই মন্দিরের উদ্বোধনের পরিকল্পনা

    কোচবিহার উত্তর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক সুকুমার রায় বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ছড়ারকুঠি এলাকায় রাম মন্দির (Ram Mandir) তৈরি হচ্ছে। সেই মন্দির তৈরি করার জন্য সহযোগিতা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিজেও। মন্দিরটি ৩০ ফুট উচ্চতা এবং ১৫ ফুট চওড়া। মন্দিরের জন্য রাম সহ ৯টি মূর্তি চলে এসেছে। সব ঠিক থাকলে এই মন্দিরটি আগামী ২২ জানুয়ারি সূচনা করা হবে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আগে প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখানে স্পোর্টস হাব তৈরি করার ঘোষণা করেছিলেন এখনও সেটা হয়নি। নারায়ণী সেনা তৈরি করার আশ্বাস দিয়েছিলেন সেটাও হয়নি। রাম সকলের হৃদয়ে রয়েছেন। কাজেই তাঁকে নিয়ে রাজনীতি কখনওই করা উচিৎ নয়। সেটা না করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপির উচিৎ কোচবিহারের হাজার-হাজার মানুষের ১০০ দিনের বকেয়া টাকা দ্রুত প্রদান করা এবং বাংলা আবাস যোজনার আটকে রাখা টাকা প্রদান করা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ragging: এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ! পড়ুয়াকে লাগাতার হেনস্থার অভিযোগে তোলপাড়

    Ragging: এবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ! পড়ুয়াকে লাগাতার হেনস্থার অভিযোগে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কলকাতা শহরে ছাত্র হেনস্থার অভিযোগ। লাগাতার ছাত্র হেনস্থার পরেও কর্তৃপক্ষ কোনও পদক্ষেপ করেনি, এমনই অভিযোগ উঠছে। আর এবার অভিযোগ উঠেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক স্তরের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য পড়ুয়া ও প্রাক্তন পড়ুয়াদের হেনস্থার জেরেই ওই প্রথম বর্ষের পড়ুয়া মারা যান।‌ কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র হেনস্থা নিয়ে বিতর্ক চরমে পৌঁছায়। কিন্তু ২০২৪ সালের প্রথমেই ফের কলকাতার আর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র হেনস্থার অভিযোগ উঠল।

    কী অভিযোগ উঠছে?

    কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাগাতার ছাত্র হেনস্থা হচ্ছে। অভিযোগ, কলেজ ক্যাম্পাসে এবং হস্টেলে ছাত্রদের হেনস্থা করা হয়। সম্প্রতি, মেডিক্যাল কলেজ কলকাতা রেসিডেন্স ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে অভিযোগ জানানো হয়েছে, অস্থি বিভাগের পোস্ট গ্রাজুয়েট ট্রেনি অর্থাৎ, স্নাতকোত্তর পাঠরত প্রথম বর্ষের পড়ুয়া হেনস্থার শিকার হয়েছেন। দীর্ঘ চার মাস ধরে লাগাতার হেনস্থা করা হচ্ছে। অভিযোগ, কখনও রোগী দেখার সময়ে, রোগীর পরিজনদের সামনে কর্তব্যরত ওই ট্রেনি চিকিৎসকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন ওই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের স্নাতকোত্তর পড়ুয়ারা।‌ আবার কখনও কাজ নিয়ে মানসিক চাপ তৈরি করা হচ্ছে। এমনকী রোগী ও পরিজনদের সামনেই গালাগালি করা হয়েছে‌। এছাড়াও অভিযোগ, হস্টেলেও হেনস্থা করা হয়েছে। এমনকী শারীরিক নিগ্রহ করা হয়েছে। তলপেটে লাথি মারা, মারধর করা সহ একাধিক অভিযোগ জানানো‌ হয়েছে। আরও অভিযোগ, এই ধরনের ঘটনা মাসের পর মাস ঘটলেও‌ সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষকেরা কোনও পদক্ষেপ করেননি। দুজন নির্দিষ্ট চিকিৎসক-পড়ুয়ার বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ জানানোর পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। এমনকী, হস্টেল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও প্রয়োজনীয় সমাধান পাওয়া যায়নি। অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। পাশপাশি অভিযোগকারীরা জানিয়েছেন, এরপরেও পরিস্থিতির পরিবর্তন না হলে আইনি সাহায্য তাঁরা নেবেন। 

    কী বলছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ? 

    মেডিক্যাল কলেজ কলকাতা রেসিডেন্স ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ প্রসঙ্গে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল‌ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।‌ অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে তারা কঠোর ব্যবস্থা নেবে।‌ কলেজ ক্যাম্পাস হোক কিংবা হস্টেল, কোথাও ছাত্র হেনস্থা বরদাস্ত করা হবে না বলেও তারা সাফ জানিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ঠেলার নাম বাবাজি, চাপে পড়ে আবাস যোজনায় প্রধানমন্ত্রীর নাম লেখার নির্দেশ রাজ্যে

    Uttar Dinajpur: ঠেলার নাম বাবাজি, চাপে পড়ে আবাস যোজনায় প্রধানমন্ত্রীর নাম লেখার নির্দেশ রাজ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১০০ দিনের কাজের বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। বহু আবেদন করেও মেলেনি টাকা। ‘হাউস ফর অল’ প্রকল্পে এবার ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ (শহর) লেখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। সামনের মাসে কেন্দ্রীয় টিম রাজ্যে আসছে। তাই, তড়িঘড়ি প্রকল্পের নতুন নামকরণ বাধ্যতামূলকভাবে লেখার নির্দেশ জারি করেছে রাজ্য। অন্যান্য জেলার মতো উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ইসলামপুর ও ডালখোলা পুরসভাতেও আবাস যোজনার ফলক বদল নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু। ১০০ দিনের মতো এই প্রকল্পের টাকা বন্ধের আশঙ্কায় রাজ্য সরকার এখন কেন্দ্রের দেওয়া নির্দেশ মানতে শুরু করেছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    নতুন নির্দেশিকায় কী রয়েছে? (Uttar Dinajpur)

    গ্রামীণ এলাকায় সরকারি আবাস যোজনার ফলকে ‘বাংলা আবাস যোজনা’র নাম মুছে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’ লেখার ঘটনা ঘটেছে। শহরের ‘সবার জন্য বাড়ি’-প্রকল্পের বাড়িতে তা ছিল না বলে অভিযোগ। নির্দেশ অনুযায়ী, ফলকে ইংরেজি ও বাংলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা লেখার পাশাপাশি, উপভোক্তার নাম, কোন অর্থবর্ষের টাকায় বাড়িটি তৈরি হয়েছে, কত টাকায় তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে কেন্দ্র রাজ্য এবং উপভোক্তাদের অংশ কতটা সবই লিখতে হবে। প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, শহর অঞ্চলে বসবাসকারী অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষদের জন্য বাড়ি দেওয়া হয়। এই প্রকল্পে মোট বরাদ্দ তিন লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা। কেন্দ্র দেয় দেড় লক্ষ, রাজ্য দেয় এক লক্ষ ৯৩ হাজার টাকা। বাকি ২৫ হাজার টাকা প্রকল্পের উপভোক্তাকে দিতে হয়। আর এতদিন ফলক দেওয়া বাধ্যতামূলক না থাকায় উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলায় একাধিক পুরসভায় এই প্রকল্পের বাড়ি শাসক দলের ঘনিষ্ঠরা পেয়ে গিয়েছেন। বিরোধীদের অভিযোগ, এমন বহু মানুষ আছেন, যাঁদের একাধিক পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। ফলক দেওয়া বাধ্যতামূলক হওয়ায়, অযোগ্য হয়েও যাঁরা বাড়ি নিয়েছেন তাঁরা ধরা পড়ার ভয় পাচ্ছেন।

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    ইসলামপুর পুরসভার পুরপ্রধান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, নির্দেশ কার্যকর করা হবে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ির পাশাপাশি বাংলার বাড়ি লেখা যেতে পারে। ডালখোলার পুরপ্রধান স্বদেশ সরকার বলেন, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসার কথা রয়েছে। তার আগে, নামের ফলক বদলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে পুর দফতর। নির্দেশ কার্যকর করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Raiganj University: ‘উন্নয়নের রাজ্যে’ বেতন-সুবিধা মিলছে না অতিথি অধ্যাপকদের, বসতে হচ্ছে ধর্নায়!

    Raiganj University: ‘উন্নয়নের রাজ্যে’ বেতন-সুবিধা মিলছে না অতিথি অধ্যাপকদের, বসতে হচ্ছে ধর্নায়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্নায় বসলেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Raiganj University) ২০ জন অতিথি অধ্যাপক। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে তাঁরা ধর্নায় বসেছেন। তাঁদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্দেশিকা জারি করার পরেও প্রায় তিন বছর হতে চলল SACT টিচারদের কোনও সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন না। সঙ্গে আরও পাঁচজন অতিথি শিক্ষক-শিক্ষিকা তাঁদের প্রাপ্য বেতন পর্যন্ত পাচ্ছেন না। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের অধ্যাপক এবং চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকরা সমস্ত সুবিধা পাচ্ছেন। এদিন রাতে ধর্না চলাকালীন কলা ও বাণিজ্য বিভাগের ডিন প্রশান্তকুমার মহলা, স্টেট অফিসার অমিত মণ্ডল এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তাতে সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি।

    কী অভিযোগ আন্দোলনকারীদের? (Raiganj University)

    অতিথি অধ্যাপক সংগঠনের ইউনিট সভাপতি ডঃ রাগিব আলি মিনহাজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্দেশিকা জারির পরেও তাঁদের কোনও সুবিধা প্রদান করছে না। তাই আজ আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। বিগত তিন বছর ধরে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে গেলেও কোনও রকম সুফল পাচ্ছেন না। যদিও তাঁরা ধর্নায় বসার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপককুমার রায়ের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনাও করেন। কিন্তু সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে তিনি (Raiganj University) কোনও সদুত্তর বা দিশা দেখাতে পারেননি। বাধ্য হয়ে আন্দোলনের পথে যেতে বাধ্য হয়েছেন এবং আগামী দিনে বৃহত্তম আন্দোলনের পথে যেতেও পিছপা হবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

    কী জবাব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের? (Raiganj University)

    অতিথি অধ্যাপকদের অভিযোগ এবং দাবিদাওয়া প্রসঙ্গে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Raiganj University) স্টেট অফিসার ডঃ অমিতকুমার মণ্ডল প্রথমেই স্বীকার করে নিয়েছেন, যে দাবিতে শিক্ষকরা ধর্নায় বসেছেন, তা ন্যায্য। যে প্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল, তা রূপায়ণ করা হচ্ছে না। সেই হিসেবে এঁরা বঞ্চিত। তিনি জানান, নিজে একজন ওয়েবকুপার সদস্য। তাই সহকর্মী হিসেবে আন্দোলনকারীদের দাবি পূরণ হোক, এটা তিনিও চাইছেন। উল্লেখ্য, উপাচার্য বর্তমানে নেই। সে প্রসঙ্গে তিনি জানান, ভিসি’কে সমস্ত বিষয়টি তিনি জানিয়েছেন এবং তিনি নিজে এখানে থাকছেন।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • East Medinipur: ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতার সঙ্গে খুঁটিপুজোয় মন্ত্রী-পুত্র

    East Medinipur: ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতার সঙ্গে খুঁটিপুজোয় মন্ত্রী-পুত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) কাঁথি শহর জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন ধর্ষণে অভিযুক্ত তৃণমূলের এক ছাত্র নেতা। এমনকী মন্ত্রী অখিল গিরির ছেলে তথা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরির সঙ্গে সরস্বতী পুজো খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা গিয়েছে। আর এতেই আতঙ্কিত নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন।

    আদালতের কী নির্দেশ রয়েছে? (East Medinipur)  

    গত বছর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) কাঁথির শাসকদলের এক ছাত্র নেতা শুভদীপ গিরির বিরুদ্ধে। পকসো আইনে মামলা রুজু করেছিল কাঁথি মহিলা থানার পুলিশ। প্রথমে অভিযুক্ত অধরা থাকলেও হাই কোর্টের নির্দেশে কাঁথি মহকুমা আদালতে ওই ছাত্র নেতা আত্মসমর্পণ করেন। পরে জামিনে ছাড়া পান। তবে তাঁকে জেলার বাইরে থাকার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। আদালতের সেই নির্দেশকে অমান্য করে সোমবার কাঁথি শহরের সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড এলাকায় একটি ক্লাবের সরস্বতী পুজোর খুঁটিপুজোর অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন শুভদীপ। আর তাঁর সঙ্গে সেখানে ছিলেন কাঁথি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা যুব তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। অভিযুক্ত ছাত্র নেতার মোবাইল বন্ধ থাকায় তাঁর প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    আতঙ্কিত নির্যাতিতা পরিবারের লোকজন

    নির্যাতিতার বাবা বলেন, অভিযুক্ত যুবক বহাল তবিয়তে কাঁথিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শাসক দলের নেতাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে দেখা করছেন। বন্ধুদের নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়ে সিসি ক্যামেরা ভেঙে দিয়েছে। বিষয়টি জানানোর পরও পুলিশ কিছু করেনি। খুব আতঙ্কে রয়েছি।

    তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই ছাত্র নেতার সঙ্গে থাকা ছবি ফেসবুকেও পোস্ট করেন তৃণমূল নেতা সুপ্রকাশ। আদলতের নির্দেশকে তোয়াক্কা না করে যে এলাকায় বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁকে সমর্থন করছেন? প্রশ্ন করা হলে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন,আইনি বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। কোনও মন্তব্য করব না।

    অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি বিজেপি-র

    বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, তৃণমূল করে বলে সাত খুন মাফ। আদালতের নির্দেশকে মানছেন না। আসলে তৃণমূলের দৌলতে গোটা রাজ্য অপরাধীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ অমান্য করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: জীবিতকে মৃত দেখিয়ে চাকরি চুরি তৃণমূল নেতার! চাঞ্চল্য

    Hooghly: জীবিতকে মৃত দেখিয়ে চাকরি চুরি তৃণমূল নেতার! চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার চাকরি চুরির অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আর তারজন্য চাকরির প্রকৃত প্রাপককে মৃত দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) আরামবাগ এলাকায়। এখনও চাকরির জন্য সরকারি দফতরগুলিতে ঘুরছেন ওই ব্যক্তি। বিষয়টি জানাজানি হতে এলাকায় চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Hooghly)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির (Hooghly) আরামবাগের প্রতাপনগর এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকে জায়গা দান করেন জীবনকৃষ্ণ নাথ নামে এক ব্যক্তি। জমি দেওয়ার বিনিময়ে তাঁর চাকরি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তা তিনি পাননি। এখন তাঁকে মৃত বলে দাবি করে সেই চাকরি করছেন তৃণমূল নেতা সোহরাব হোসেনের ভাই মহম্মদ সিদ্দিকী। জীবনকৃষ্ণবাবু বলেন, প্রতাপনগর জল প্রকল্পের জন্য জমি দিয়েছি। প্রকল্পের কাজ যখন শুরু হয় তখন আমাকে বা আমার ছেলেকে চাকরি দেওয়া হয়নি। বদলে চাকরি পান এলাকার তৃণমূল নেতা সোহরাব হোসেনের ভাই। এ নিয়ে কোর্টকাছারি করছিলাম বলে বাড়ি থেকে উৎখাতেরও চেষ্টা হয়। নানা হুমকি দেওয়া হয়। তাই, এলাকা ছেড়ে চলে যাই। আর এই সুযোগে তৃণমূল নেতা আমাকে মৃত দেখিয়ে তাঁর ভাইকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরে জানিয়েছি। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও তাঁর ভাই কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল নেতা সোহরাব হোসেন বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এসব অভিযোগ করে কোনও লাভ নেই। নিয়ম মেনে ভাই চাকরি পেয়েছে। কারও চাকরি চুরি করা হয়নি। তৃণমূল নেতার ভাই মহম্মদ সিদ্দিকী বলেন, অপারেটর পদে আমি দীর্ঘদিন ধরেই চাকরি করছি। আমার বেতনও আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আসে। সমস্ত কাগজপত্র আছে। সরকারি নিয়ম মেনেই সবটা হয়েছে। আর ওই ব্যক্তি তো আদালতে গিয়েছেন। আদালত নিশ্চয়ই একটা নির্দেশও দেবে। তখনই সব কিছু প্রমাণ হয়ে যাবে।

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান কী বললেন?

    স্থানীয় আরান্ডি-১ গ্রামপঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান তেগদিরা খাতুন বলেন, সদ্য পদে বসেছি। এ নিয়ে কিছু জানি না। আদালতে বিষয়টি গড়িয়েছে। সেখানে যা নির্দেশ দেবে, সেই নির্দেশ কার্যকরী করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Teesta River: সেনাবাহিনীর অস্ত্র খুঁজতে জল ছাড়া হল তিস্তায়! এলাকায় আতঙ্ক

    Teesta River: সেনাবাহিনীর অস্ত্র খুঁজতে জল ছাড়া হল তিস্তায়! এলাকায় আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক ধাক্কায় তিস্তা ব্যারেজ থেকে ছাড়া হল প্রায় ৪ হাজার কিউসেক জল। এর ফলে তিস্তায় (Teesta River) জলস্তর বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্নও হতে পারে। এমনই আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

    সেনাবাহিনীর অস্ত্র উদ্ধারে তিস্তায় ছাড়া হল জল! (Teesta River)

    গত বছরের ৪ অক্টোবর ভয়াবহ হড়পা বানের সম্মুখীন হয় সিকিমের একাধিক এলাকা। ভেসে যায় সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ও অস্ত্র। সেই সময় সেনাবাহিনীর অস্ত্র গ্রামবাসীদের অনেকে বাড়িতে মজুত রেখেছিলেন। এমনকী রকেট লঞ্চার ফেটে মৃত্যু হয়েছিল এক কিশোরের। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সেই সময় অভিযান চালিয়ে বহু অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। তবে, পরবর্তীতে হিসেব মিলিয়ে দেখা গিয়েছে, সেনাবাহিনীর যা অস্ত্র সিকিম বিপর্যয়ের কারণে হারিয়েছে তা উদ্ধার হয়নি। সূত্রের খবর, ওই অস্ত্র ও গোলা-বারুদের তল্লাশি চলছে এখনও। সূত্রের খবর, সোমবার তার খোঁজেই কালীঝোড়া বাঁধ থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে। পাশাপাশি যেসব গোলা-বারুদ এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা যায়নি, সেগুলি উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তিস্তার পারে তৎপরতা শুরু করা হয়েছে। খরার মরশুমে নদীতে হারিয়ে যাওয়া অস্ত্র খুঁজতে বিপুল পরিমাণ জলের ধাক্কায় কাজে দেবে বলে মনে করছেন সেনাবাহিনীর কর্তারা। জলের তোড়ে পাহাড়ি নদীর (Teesta River) গায়ে আটকে থাকা অস্ত্রগুলি নীচে নেমে আসবে বলে তাদের ধারণা। এদিকে, সোমবার সেবকের কালীঝোড়া থেকে আচমকাই এই জল ছাড়ার ঘটনায় আতঙ্কে বেড়েছে তিস্তাপারের বাসিন্দাদের।

    মহকুমা শাসক কী বললেন?

    জলপাইগুড়ি সদরের মহকুমা শাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী বলেন, তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। অবশ্য জল ছাড়ার আগে নদী সংলগ্ন বাসিন্দাদের সচেতন করতে তিস্তা (Teesta River) সংলগ্ন একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় চলেছে মাইকিং। এই শীতে নদী তীরবর্তী এলাকায় পিকনিকের মরশুম চলায় জল ছাড়ার আগে আলাদাভাবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “রাজ্যের হাতে ধরা দিলে পুলিশ শাহজাহানকে লাশ বানিয়ে দিতে পারে”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “রাজ্যের হাতে ধরা দিলে পুলিশ শাহজাহানকে লাশ বানিয়ে দিতে পারে”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দুপুর ২ টোর সময় উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা কার্তিকপুর খেলার মাঠে বিজেপির বারাসত জেলা বুথকর্মী সম্মলেনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক বিষয়ে শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। সন্দেশখালির পলাতক তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখকে ইডির কাছে আত্মসমর্পণ করার পরামর্শ দিলেন তিনি। তিনি বলেন, “শাহজাহান যদি রাজ্য পুলিশের কাছে ধরা দেয়, তবে তাঁকে লাশ করে দিতে পারে, কারণ মমতার সরকার এখন মুসলিম লাশ খুঁজছে।”

    গত শুক্রবার সন্দেশখালিতে ইডি অভিযান চালানোর সময় তাঁদের উপরে হামলার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। হামলায় ইডির বেশ কয়েকজন আধিকারিক আহত হন। আর তারপর থেকেই পলাতক শাহজাহান শেখ। ঘটনার চারদিন কেটে গেলেও পুলিশ এখনও তাঁর টিকি খুঁজে পায়নি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিনের সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “শাহজাহান কোথায় আমি জানি, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বেড়মজুর-১ থেকে ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে। অথচ পুলিশ জানে না। রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার শাহজাহানকে বলেছে সারেন্ডার করুন। কিন্তু আমি তাঁকে বলছি আপনি ইডি’র কাছে সারেন্ডার করুন। সব স্বীকার করুন। আপনি রাজ্য পুলিশের কাছে ধরা দিলে আপনাকে লাশ করে দিতে পারে, কারণ মমতার সরকার মুসলিম লাশ খুঁজছে।”

    মমতা জালি হিন্দু

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘আকাশ রানি’ হিসাবে কটাক্ষ করে তাঁর ধর্ম নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিজেপি বিধায়ক বলেন, “সকলেই জানে আপনি জালি হিন্দু। আপনি সংখ্যালঘুদের কিছু করেননি। আপনি পীর সাহেবের পরিবারের ছেলেকে ১৪ দিন লালবাজারে রেখেছেন, তাঁর টুপি ধরে টেনেছেন, আমডাঙায় বিস্ফোরণে মুসলিমদের উড়িয়ে দিয়েছিলেন।” এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু আরও অভিযোগ করে বলেন, “আপনি মুসলিমদের তেজপাতা হিসেবে গণ্য করেন। তেজপাতা যেমন রান্নার কাজে লাগে অথচ খাওয়া যায় না, মুসলিমদেরও আপনি ঠিক তেমনটি ভাবেন। কিন্তু আমরা এটা করি না।”

    রোহিঙ্গাদের বসিয়েছে শাহজাহান

    এদিনের সভা থেকে সিএএ, রেশন দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “মায়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের কোনও ইসলাম দেশ নেয়নি। ৫৫ টা মুসলমান রাষ্ট্র আছে, তারা বলেছে, নিজের দেশে যাও। কিন্তু এই শাহজাহানরাই জমি কেড়ে নিয়ে তাদের বসার জায়গা করে দিচ্ছে।” এদিনের সভা থেকে অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীকে নিশানা করে তিনি বলেন “বালু (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) জেলে গেছে। নারায়ণ গোস্বামী আপনি লাফালাফি করবেন না। আমার কাছে দুর্নীতির রিপোর্ট আছে। অভিজিৎ ব্যানার্জিকে সাথে নিয়ে গরু পাচার করে অনেক কামিয়েছেন আপনি। সব চোর জেলে যাবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Picnic: অনেকের চোখেই ‘ভিলেন’ টোটো চালকরা পিকনিক করলেন হোমের কচিকাঁচাদের নিয়ে

    Picnic: অনেকের চোখেই ‘ভিলেন’ টোটো চালকরা পিকনিক করলেন হোমের কচিকাঁচাদের নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল শীতে পিকনিকের (Picnic) মজাই আলাদা। কিন্তু অর্থনৈতিক চাপে অনেকেরই এই মজা বাস্তবে রূপায়িত হয় না। কেউ কেউ কিন্তু সেদিকেও খেয়াল রাখেন। যেমনটি ঘটল সোমবার রাতে। অনেকের কাছেই তাঁরা ‘ভিলেন’। চলার পথে বাধা সৃষ্টি করেন। রাস্তার জ্যাম নাকি তাঁদের জন্যই হয়। তাঁরা টোটো চালক নামে পরিচিত। সেই টোটো চালকরাই সোমবার নিজেদের উপার্জনের কিছুটা একত্রিত করে একটি হোমের কচিকাঁচাদের নিয়ে পিকনিক করলেন। চন্দননগর তেমাথা জোড়াঘাট টোটোস্টান্ডের ৩০ জন টোটো চালক হোমের ২৫০ জন শিশুর জন্য শুধু নৈশভোজই নয়, একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করেন।

    কব্জি ডুবিয়ে ফ্রায়েড রাইস, মুরগির মাংস (Picnic)

    এই শিশুরা খুবই অসহায়। ছোট ছোট শিশুরা কব্জি ডুবিয়ে চেয়ার টেবিলে বসে আহার করল ফ্রায়েড রাইস, আলু-ফুলকপির তরকারি, ডিমের ডেভিল, মুরগির মাংস, চাটনি, পাঁপড় ইত্যাদি।রান্না, পরিবেশন সবই করেছেন তেমাথা জোড়াঘাট টোটোস্ট্যান্ডের টোটো চালকরা। তাঁদের উদ্যোগে আপ্লুত হয়ে পড়েন হোমের কর্ণধার। তিনি বলেন, আমরা খুব খুশি। অন্যদিকে ওই টোটো চালকদের পক্ষ থেকে সন্তু মণ্ডল বলেন, আমাদের ভালো লাগছে এই অসহায় শিশুদের পাশে দাঁড়াতে পেরে। আগামী দিনে আরও বড় অনুষ্ঠান করব এদের নিয়ে। সব মিলিয়ে এক অভাবনীয় দৃষ্টান্ত (Picnic) তুলে ধরলেন চন্দননগরের তেমাথা জোড়াঘাট টোটোস্টান্ডের টোটো চালকরা।

    খুশি অনেকেই (Picnic)

    এই ঘটনা কানে গিয়েছে টোটো নির্মাতাদেরও। তাঁরাও খুব খুশি। এমনই একজন বললেন, আমি আপ্লুত। টোটো চালকরা খালি বদনামের ভাগিদার হয়। কিন্তু এইসব ঘটনা কারোর চোখে পড়ে না। আমি আশা করব, আরও বেশি বেশি টোটো চালক এই ধরনের সমাজসেবামূলক কাজে এগিয়ে আসুন। ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য। একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না?’ বিখ্যাত এই গানটির যথার্থতা বুঝেছেন টোটো চালকরাই। এটাই বলব, সমাজে থাকতে গেলে এই ধরনের কর্মকাণ্ডের (Picnic) সঙ্গে যত বেশি বেশি নিজেকে যুক্ত করতে পারবেন, তত অন্তরাত্মার শান্তি মিলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: একই রাস্তার দু’বার শিলান্যাস! অধীর-তৃণমূল বিধায়ক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Murshidabad: একই রাস্তার দু’বার শিলান্যাস! অধীর-তৃণমূল বিধায়ক দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক রাস্তার দু’বার শিলান্যাস! এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কংগ্রেসের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরির মধ্যে দ্বৈরথের চিত্র দেখা গেল মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। কিন্তু এমন কাণ্ড কেন ঘটল! সামনেই আসন্ন লোকসভার ভোট। তাই কি এলাকার কাজ দেখিয়ে মানুষের কাছে উন্নয়নের ঢাক পেটানোর চেষ্টা চলছে? এলাকার মানুষ ঠিক এই ভাবেই বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করলেন।

    কোন রাস্তার শিলান্যস করা হয়েছিল (Murshidabad)?

    কংগ্রেস সাংসদ এবং তৃণমূল কংগ্রস বিধায়কের মধ্যে রাস্তার শিলান্যাস করা নিয়ে ‘উন্নয়ন-যুদ্ধে’ ব্যাপক শোরগোল পড়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)। এই জেলার বেলডাঙা-২ ব্লকের দাদপুর পঞ্চায়েতে ৬৩৫ মিটার লম্বা একটি রাস্তার দাবি ছিল অনেক দিন ধরেই। মারদিঘি থেকে অমরপুর পর্যন্ত রাস্তার শিলন্যাস করলেন কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরি। আনুমানিক খরচ হবে চার লক্ষ টাকা। একই রাস্তাকে ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের অধীনে শিলান্যাস করেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরি।

    তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য

    তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরি বলেন, “মরাদিঘি (Murshidabad) ও অমরপুরের বাসিন্দাদের অনেক দিনের দাবি মেনে ‘পথশ্রী’ প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তার অনুমোদন করিয়েছি। দু-চারদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।” প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বিধায়ক আরও বলেন, “সাংসদকে বলতে চাই আপনি আপনার তহবিল থেকে আরও একটি রাস্তা তৈরি করে দিন। আর তা করতে পারলেই উন্নয়ন হবে।”

    কী বলেন অধীররঞ্জন?

    পাল্টা রাস্তার শিলান্যাসের ফিতে কেটে সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরি (Murshidabad) বলেন, “আমি সরকারি অনুমতি নিয়ে কাজ করছি। সরকারের পছন্দ না হলে কাজ বাতিল করে দিক।” রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে যুদ্ধ কেন? প্রশ্ন করলে উত্তরে কংগ্রেস সাংসদ আরও বলেন, “বিধায়কের সঙ্গে তো আমি যুদ্ধে যেতে পারি না, তাই একসঙ্গে বসলে হয়তো কাজের বিষয়ে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তবে ওই রাস্তা আমি করবই।”

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    রাস্তাকে ঘিরে দুই দলের জনপ্রতিনিধিদের কার্যকলাপ সম্পর্কে স্থানীয় (Murshidabad) আলম মণ্ডল বলেন, “সামনেই ভোট, তাই উন্নয়ন নিয়ে মারামারি চলছে। ভোটের সময় ছাড়া তো আর কাউকে দেখা যায় না। আপাতত রাস্তাটা হলে ভালো আমাদের জন্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share