Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Udayan Guha: তৃণমূলের এ কী অবস্থা! মন্ত্রী উদয়নের ডাকে সাড়া নেই নেতাদের

    Udayan Guha: তৃণমূলের এ কী অবস্থা! মন্ত্রী উদয়নের ডাকে সাড়া নেই নেতাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে উত্তরবঙ্গে আরও মাটি হারাচ্ছে তৃণমূল। বিশেষ করে কোচবিহার জেলায় শাসক দলের ছন্নছাড়া অবস্থা। গত কয়েকদিনে বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এরইমধ্যে মন্ত্রী উদয়ন গুহর  (Udayan Guha) নেতৃত্বের ডাকা কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীরা হাজির হন না বলে অভিযোগ। যা নিয়ে দলের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Udayan Guha)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে গ্রেফতারের দাবিতে তৃণমূলের কোচবিহার দিনহাটা থানা ঘেরাও অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। কিন্তু, মন্ত্রীর ডাকা কর্মসূচিতেই দেখা মেলেনি এলাকার অনেক বড় বড় তৃণমূল নেতাকেই। নেতাদের অনুপস্থিতির বিষয়টি যে তাঁর নজর এড়ায়নি তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী নিজেই। ৫ জানুয়ারি নিজের ফেসবুকে তিনি একটি পোস্ট করে জানিয়েছেন, কোন কোন অঞ্চলের নেতারা আসেননি দলের কর্মসূচিতে। প্রত্যেকের নাম তিনি লিখে দিয়েছেন ফেসবুকে। উদয়ন গুহর এই পোস্টকে ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। চাপানউতর শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরেও। তাহলে কি তৃণমূল দল সম্পর্কে মোহভঙ্গ হচ্ছে নেতা কর্মীদের? সোশ্যাল মিডিয়ায় এভাবে দলের অবস্থা তুলে ধরায় দলের অন্দরে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    দলীয় কর্মসূচিতে স্থানীয় একাধিক নেতা না আসায় সোশ্যায় মিডিয়া উদয়ন গুহ (Udayan Guha) উষ্মা প্রকাশ করলেও তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, এই বিষয়ে তৃণমূলের বর্ষীয়ান নেতা তথা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। সকলের সব সময় সময় হয় না। তাই হয়তো আসেননি। সেটা নিয়ে রাজনীতি করার কোনও মানে হয় না। এসব বিরোধীদের অভিযোগ। এখানে অন্য কোনও বিষয় নেই।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে বলেন, এবার নির্বাচনে দিনহাটায় ব্যাপকভাবে হারবে তৃণমূল। মানুষ বীতশ্রদ্ধ। দলীয় নেতার নির্দেশ কর্মীরা মানছেন না। দলটার শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। সামনে লোকসভা ভোটে তা প্রমাণ হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: পরিচয় জানতেই মেডিক্যাল পড়ুয়াকে মার, অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীর স্বামী

    North 24 Parganas: পরিচয় জানতেই মেডিক্যাল পড়ুয়াকে মার, অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীর স্বামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেদের ক্যান্টিনে আক্রান্ত হলেন মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসত মেডিক্যাল কলেজে। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা পারমিতা ঘোষের স্বামী। পঞ্চায়েত সদস্যা ক্যান্টিন চালানোর দায়িত্বে রয়েছেন। তাঁর স্বামী মেডিক্যাল পড়ুয়াদের গায়ে হাত তুলেছেন। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত মেডিক্যাল পড়ুয়ারা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে, এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। রবিবার হামলাকারীর গ্রেফতারের দাবিতে প়ড়ুয়ারা রাত থেকে অনশন-বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    স্থানীয় ও হস্টেল সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসত সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিন চালানোর দায়িত্ব পান তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা পারমিতা ঘোষ। তিনি ক্যান্টিন চালান। শনিবার রাতে ক্যান্টিনে বসে ল্যাপটপ চালাচ্ছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের এক মেডিক্যাল ছাত্র। তাঁর পিছনেই বসেছিলেন তৃণমূল নেত্রীর স্বামী। যদিও এর আগে ক্যান্টিনে ওই ব্যক্তিকে দেখেন না। ফলে, বহিরাগত ভেবে ক্যান্টিনে দেখে তাঁর পরিচয় জানতে চান মেডিক্যাল পড়ুয়া। আর সেটা জানতে গিয়ে বিপত্তি বাধে। ওই তৃণমূল নেত্রীর স্বামী নিজেকে বিএসএফ কর্মী পরিচয় দিয়ে ছাত্রদের ওপর চড়াও হন তিনি। পড়ুয়াদের মারধর করা হয়। হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও এই ঘটনা নিয়ে হামলাকারী বা তাঁর স্ত্রী তথা তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পরে, রবিবার দুপুরের পর সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার এসে দোষীদের শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিলে মেডিক্যাল পড়ুয়ারা অনশন বিক্ষোভ তুলে নেন। তৃণমূল নেত্রীকে ক্যান্টিন থেকে সরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন সাংসদ।

    আক্রান্ত পড়ুয়াদের কী বক্তব্য?

    আক্রান্ত পড়ুয়াদের বক্তব্য, ক্যান্টিনে বহিরাগতরা কেউ ঢুকতে পারে না। কিন্তু, হামলাকারী ব্যক্তি ছিলেন। আমরা আপত্তি জানাতেই চড়া হয়। আমাদের যে মোবাইল ছিল সেই মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়। এমনিতেই এই ক্যান্টিনে নিম্নমনের খাবার দেওয়া হয়। বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে কোনও সুরাহা হয়নি। এবার বহিরাগতরা এসে হামলা চালাল। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে। নাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। কারণ, হামলাকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আরও বড় কোনও ঘটনা ঘটতেই পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতাকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন, আতঙ্ক

    Murshidabad: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতাকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়া, আমডাঙার পর এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabd)  দাপুটে তৃণমূল নেতাকে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বহরমপুর থানার চালতিয়া এলাকায়। দিনের বেলায় প্রকাশ্যে দুষ্কৃতীরা এসে তৃণমূল নেতাকে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সত্যেন চৌধুরী। তিনি তৃণমূলের জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabd)  

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সত্যেনবাবু তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ (Murshidabd) জেলার সাধারণ সম্পাদক হলেও সক্রিয় রাজনীতি ইদানিং করতেন না। নিজের ব্যবসার কাজে তিনি বেশি যুক্ত থাকতেন। চালতিয়া এলাকায় নিজের পাড়াতেই একটি আবাসন তৈরি করছিলেন। সেখানেই তিনি দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় বাইকে করে তিনজন তাঁর কাছে আসে। খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করে জনবহুল এলাকা দিয়ে জোরে বাইক চালিয়ে পালিয়ে যায়। হামলাকারীদের কেউ ধরতে পারেননি। সত্যেনবাবুর হাতে, ঘাড়ে গুলি লাগে। মাটিতে তিনি লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    স্থানীয় এক বাসিন্দা কী বললেন?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সত্যেনবাবু এক সময় কংগ্রেস করতেন। অধীর চৌধুরীর তিনি ছায়াসঙ্গী ছিলেন। বহরমপুর এলাকায় সত্যেনের এক সময় বিশাল বাহিনী ছিল। তাঁর দাপটে কারও কথা বলার সাহস ছিল না। পরবর্তীকালে অধীরের সঙ্গে দুরত্ব তৈরি হয়। তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তিনি নিজের এলাকায় বিশাল কালীপুজো করতেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে জেলার সাধারণ সম্পাদক পদে তাঁকে রাখা হলেও দলের মিটিং-মিছিলে তাঁকে আর খুব বেশি দেখা যেত না। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ঘটনার এক মিনিট আগে আমি সত্যেনদার সঙ্গেই ছিলাম। কিছুক্ষণ গল্প করে বাড়িতে সবে খেতে বসব। তারপরই এই ঘটনা শুনলাম। ছুটে গিয়ে দেখি দাদা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: গরিবের ত্রিপলও লুট করেছেন তৃণমূল নেতা শাহজাহান! প্রমাণ মিলল গ্যারাজে

    Sandeshkhali: গরিবের ত্রিপলও লুট করেছেন তৃণমূল নেতা শাহজাহান! প্রমাণ মিলল গ্যারাজে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেতাজ বাদশা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে বহুদিন ধরে তোলাবাজি, দখলদারি, বিজেপি কর্মীদের খুনের অভিযোগ ছিল। রেশন দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ায় বালু ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল নেতার। সেই দুর্নীতির তদন্তে ইডি তাঁর ডেরায় হানা দিতেই হামলার মুখে পড়ে। শাহজাহানের বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিকরা। ঘটনার পর থেকে উধাও শাহজাহান। গরিবের জন্য বরাদ্দ ত্রিপল লুট করার অভিযোগ সামনে এসেছে তৃণমূলের এই দাপুটে নেতার বিরুদ্ধে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Sandeshkhali)

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরবেড়িয়ার আকুঞ্জপাড়ায় শেখ শাহজাহানের বাড়ি। সবমিলিয়ে তাঁর পাঁচটি বাড়়ি। একটি বাড়িতে মা থাকেন। বাকি চারটি বাড়িতে শাহজাহান ও তাঁর তিন ভাই থাকেন। শাহজাহানের দুধ সাদা রংয়ের দোতলা বাড়ি। অট্টালিকা বললেই ভাল। গ্রামের মধ্যে এরকম বাড়ি আর দুটি নেই। এই বাড়িতে যাওয়ার রাস্তার ডানদিকে একটি গ্যারাজ রয়েছে। সেই গ্যারাজের চারিদিক ইটের দেওয়াল। উপরে অ্যাসবেসটার্সের ছাউনি রয়েছে। তার ঠিক নীচেই রয়েছে রাজ্য সরকারের দেওয়া ত্রিপল। বন্যার সময় গরিব মানুষদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যে ত্রিপল দেওয়া হয়, সেই ত্রিপল দিয়ে তৃণমূলের এই নেতা নিজের গ্যারাজের ছাউনি করেছেন। এর আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আমফানের সময় সরকারের বিলি করা ত্রিপল চুরির অভিযোগ উঠেছিল। বিরোধীরা বার বার সরব হয়েছিল সেই বিষয়ে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও আমফানের সময় ত্রিপল চুরির অভিযোগ উঠে এসেছিল।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বলছেন?

    শাহজাহানের প্রাসাদোপম বাড়ি রয়েছে, সেখানে গরিব, দুর্গত মানুষদের সাহায্যের জন্য বিলি করার ত্রিপল কী করছে? বিপর্যয়ে দুর্গতদের জন্য বরাদ্দ ত্রিপল দিয়ে নির্মীয়মান গ্যারেজের ছাউনি গড়তে হল? স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, তৃণমূলের শেষ কথা। সরকারি ত্রিপল নিয়ে ঘরে মজুত করে রাখলেও কারও তার বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই। পুলিশ প্রশাসন জেনেও কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siddiqullah Chowdhury: শাহজাহান দলের ক্যান্সার-জন্ডিস, শাস্তি হওয়া দরকার, তোপ সিদ্দিকুল্লার

    Siddiqullah Chowdhury: শাহজাহান দলের ক্যান্সার-জন্ডিস, শাস্তি হওয়া দরকার, তোপ সিদ্দিকুল্লার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার পর সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ফের রাতারাতি খবরের শিরোনামে চলে এসেছেন। ঘটনার পর থেকে তিনি বেপাত্তা। তাঁকে নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury)। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    শাহজাহানের মতো অপরাধীর শাস্তি হওয়া প্রয়োজন (Siddiqullah Chowdhury)

    শনিবার হুগলির জাঙ্গিপাড়া গ্রন্থমেলায় যোগ দিতে এসে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘ শেখ শাহজাহান দলের জন্ডিস- ক্যান্সার। তবে, ক্যান্সার(Siddiqullah Chowdhury)তো দুরারোগ্য, মরে যাবে, আর জন্ডিস সারবে না, জন্ডিস না সারলে সে মরবে আর দশজন মরবে, ওরা দলের জন্ডিস। পাশাপাশি মন্ত্রী বলেন, ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রায় লক্ষাধিক টাকার ত্রাণ নিয়ে যাচ্ছিলাম, সেই সময় এই শাহজাহান আমাকে পুলিশের সামনে হেনস্থা করেছিলেন। শাহজাহান সিপিএম-এর জমানায় হার্মাদ বাহিনী থেকে এই দলে এসেছে। সেই বদ রক্তের কারণে ক্ষতিটা আরও বেশি হচ্ছে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমি চাই এরকম অপরাধীদের শাস্তি হোক, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক, যাতে ভালো মানুষেরা দল করতে পারেন।’

    ইডি-র আধিকারিকদের ওপর হামলা করা ঠিক হয়নি

    ইডি-র হামলা প্রসঙ্গে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী (Siddiqullah Chowdhury) বলেন, আমি বিশ্বাস নিয়ে বলতে পারি, এই হামলার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ ছিল না। শাহজাহান নিজের শক্তির বড়াই দেখাতে গিয়ে ফেঁসেছে। দল দলের জায়গায় কাজ করুক, দল তাঁর সঙ্গে নেই। কেউ যদি মনে করে আমি আইনের ঊর্ধ্বে, তবে তাঁকে শাস্তি পেতেই হবে। মারধর করে অন্যায় করেছে। আর এসবের জন্য তৃণমূল দল দায়ী নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক দায়ী নন, যে করেছেন তিনি দায়ী। ইডি আধিকারিকদের ঘেরাও পর্যন্ত চলতে পারতো। অফিসারদের এইভাবে মারধর করা বৈধ কাজ নয়।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: তোলাবাজিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের চেয়ারম্যান! দাবি ভাইস চেয়ারম্যানের

    Uttar Dinajpur: তোলাবাজিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের চেয়ারম্যান! দাবি ভাইস চেয়ারম্যানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে চলে এল। সরাসরি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করলেন ভাইস চেয়ারম্যান। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার ডালখোলা পুরসভা এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ভাইস চেয়ারম্যান ঠিক কী অভিযোগ করেছেন? (Uttar Dinajpur)

    উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার ডালখোলা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ ফিরোজ আহমেদ বলেন, দীর্ঘ আট মাস থেকে চেয়ারম্যানের সঙ্গে আমার কথাবার্তা নেই। কোনও কথা বললে শোনেন না। কাজের ব্যাপারে বলতে গেলে উল্টে ঝেড়ে দেন। রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে আছে। অন্যান্য কাউন্সিলরদের কাছ থেকে সব কাজের জন্য ১৫ শতাংশ টাকা করে তিনি নেন। নিজের ইচ্ছেমতো পুরসভা চালাচ্ছেন। হিসাব চাইলে দেন না। সব টাকা নিজের কাছেই রেখে দেন। স্থানীয় ঠিকাদারদের কাজ দেন না। কাটমানি নিয়ে বাইরের ঠিকাদারদের কাজ দেন। আমি প্রতিবাদ করি বলে আমার ওয়ার্ডে কোনও কাজ হচ্ছে না। সমস্ত ঘটনা বিধায়ককে জানিয়েছি। আমাদেরকে নিয়ে বসার সময় নেই বিধায়কের কাছে। দলের শহর সভাপতিকেও জানিয়েছি। এভাবে চলতে থাকলে আগামী ভোটে এর প্রভাব পড়বে।

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী সাফাই দিলেন?

    পুরসভার চেয়ারম্যান স্বদেশ চন্দ্র সরকার বলেন, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। সবই ভাইস চেয়ারম্যানের মনগড়া কথা। তিনি পুরসভার কাজ সম্পর্কে কিছুই জানেন না। পুরসভা কাজ করছে, কি করছে না তা ডালখোলার মানুষ বলবে। তিনি বঞ্চিত আছেন, কি নেই তা তিনি বলতে পারবেন। ১৬ জন কাউন্সিলরদের নিয়ে চলতে হয়। বোর্ড মিটিং এ সই আছে সবার। এখন এ সমস্ত কথা বলে লাভ নেই। আইনে যেটা বলা আছে, বিওসি করে বোর্ড মিটিং-এ সব সিদ্ধান্ত নিয়েই কাজ করি। কারও ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়া থাকলে তা আমার জানার বিষয় নয়। এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপারই নেই।

    ভাইস চেয়ারম্যানকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব

    এ বিষয়ে ডালখোলা শহর তৃণমূল সভাপতি গোপাল রায় বলেন, এগুলো সব ভিত্তিহীন কথা। পুরসভা স্বচ্ছ ভাবেই চলছে। সবাইকে সমানভাবেই দেখা হয়। যেটা অভিযোগ হয়েছে তা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। একটি টেন্ডারের কাজের টাকা পাবেন ভাইস চেয়ারম্যানের পরিচিত একজন ঠিকাদার। কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে। আরও কিছু টাকা পাবে। এই কারণেই এই সমস্যা চলছে। জেলা সভাপতিকে সমস্তটা জানানো হয়েছে। বিধায়কের সঙ্গে আলোচনা চলছে। আমরা বিষয়টি বসে মিটিয়ে নেব।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির জেলা সহ সভাপতি সুভাষ গোস্বামী বলেন, এটা হওয়ারই ছিল। নতুন কিছু নয়। এরা কাজ করতে এসেছে নাকি, এরা চুরি করতে, লুঠ করতে এসেছে। উন্নয়ন পুরোপুরি বন্ধ। টেবিলে বসে টাকা গোনা হয়। সব ভাগাভাগি চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shahjahan Sheikh: গ্রেফতারির ভয়ে লুকিয়ে শাহজাহান, অথচ হুঙ্কার বার্তা ভেসে এল অডিও বার্তায়

    Shahjahan Sheikh: গ্রেফতারির ভয়ে লুকিয়ে শাহজাহান, অথচ হুঙ্কার বার্তা ভেসে এল অডিও বার্তায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রেফতারের ভয়ে সে নিজেই লুকিয়ে রয়েছে। সন্দেশখালি অভয়ারণ্যের বাঘ যেন বিড়াল! লুকিয়ে থেকে এবার হুঙ্কার বার্তা জারি করল সেখ শাহজাহান (Shahjahan Sheikh)। মাধ্যম অবশ্য এই অডিও বার্তার সত্যতা যাচাই করেনি। অডিও বার্তায় সে বলছে, ‘‘ইডি-সিবিআইকে নিয়ে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ বুঝতে পারছ পুরোটাই চক্রান্ত। আমি সেখ শাহজাহান বলছি। দোষ করলে মাথা কেটে ফেলুন।’’ এখানেই উঠছে প্রশ্ন। তৃণমূল নেতা যদি সত্যিই নিরপরাধ হয়, তবে ইডির তদন্ত মোকাবিলা করতে তার এত ভয় কিসের? কেনই বা বাড়িতে তল্লাশি করতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে?

    মমতাকে দরাজ সার্টিফিকেট দুর্নীতিগ্রস্ত নেতার

    সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দরাজ সার্টিফিকেটও দিচ্ছে। তার কথায়, ‘‘ওরা আমাকে দমাতে পারলে মনে করছে সন্দেশখালিতে তৃণমূলকে দুমড়ে দিতে পারবে। অতএব ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমার মতো হাজার হাজার সেখ শাহজাহান (Shahjahan Sheikh) আছে। আর তোমরা তৃণমূলের সৈনিক। যে ভাবে মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার, আপনার পরিবারের জন্য করেছেন, তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই।’’ তার আরও সংযোজন, ‘‘আপনারা আস্থা হারাবেন না। আপনারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের পাশে থাকবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য কাজ করছেন, সেই মানুষটার মুখের দিকে তাকিয়ে আমার কী হবে, আমার কোথায় যাব, সে চিন্তা আপনাদের করার দরকার নেই।’’ সেখ শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) রকেট গতিতে বেড়েছে সম্পত্তি। তা সন্দেশখালির কারও অজানা নয়। তার এই উত্থানের পুরো কৃতিত্ব যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সে কথাই অডিও বার্তা জারি করে দিচ্ছে সে। অর্থাৎ মমতার প্রশয়েই যে বিপুল দুর্নীতি এবং লাগামছাড়া সন্ত্রাস সংঘটিত হয়েছে সন্দেশখালিতে শাহজাহানের (Shahjahan Sheikh) এই অডিও বার্তাতেই তা স্পষ্ট।

    ৩ জন বিজেপি কর্মী খুনে অভিযুক্ত শাহজাহান

    সন্দেশখালির পঞ্চায়েত প্রধান থাকার সময় একসঙ্গে তিনজন বিজেপি কর্মীকে খুন। ২০১৯ সালে বিজেপির ঝড়ের মধ্যে বসিরহাটে তৃণমূল প্রার্থী নুসরত জাহানকে সন্দেশখালি থেকে প্রচুর ভোটে লিড দিয়েছিল এই শাহজাহান। ইনাম পেয়েছিলেন দলের থেকে। মাথায় হাত ছিল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। জুটেছিল জেলা পরিষদের টিকিট। ভোটে জিতে হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ কর্মাধ্যক্ষ। একইসঙ্গে সে আবার সন্দেশখালির ব্লক ১ এর সভাপতিও। ক্ষমতার দাপট বাড়তেই বাহিনীর দাপটও বাড়তে শুরু করে। পুলিশও তার বাহিনীকে স্পর্শ করার সাহস দেখায় না। আর রেশন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি (Enforcement Directorate) হানা দিতে শাহজাহানের বাহিনীর দাপট দেখলেন রাজ্যবাসী। ইডি অফিসারদের রক্তাক্ত করতে পিছপা হল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Sandeshkhali: বেপাত্তা শাহজাহান, লুক আউট নোটিশ জারি ইডির

    Sandeshkhali: বেপাত্তা শাহজাহান, লুক আউট নোটিশ জারি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূলের ডন সেখ শাহজাহান বিরুদ্ধে এবার লুক আউট নোটিশ যারি করল ইডি। শনিবারই ইডির তরফে এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। শুধুমাত্র সন্দেশখালির এই ডন নেতাই নয় তার পরিবারের অন্যান্য় সদস্যদের নামেও এই লুক আউট নোটিশ জারি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থা। লুক আউট নোটিশ দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে পাঠানো হয়েছে। নোটিশ গিয়েছে সীমান্তরক্ষীবাহিনীর হাতেও। যাতে সেখ শাহাজাহান দেশ ছাড়তে না পারে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, যে বিপুল সাম্রাজ্যের হদিস মিলেছে শাহজাহান , তা থেকেই ষ্পস্ট যে দুর্নীতি হয়েছে। তাই সন্দেশখালির এই দুষ্কৃতী তথা তৃণমূল নেতার গ্রেফতার হওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র। ঠিক এই কারণেই দেশ ছাড়তে পারেন সেখ শাহজাহান।

    সন্দেশখালির ঘটনা

    তল্লাশি অভিযানে গেলে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শুক্রবারই মারধর করা হয় ইডি অফিসারদের। এ নিয়ে শুক্রবার রাতেই আসে ইডির বিবৃতি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ওই বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৮০০ থেকে ১০০০ জনের দল ইডির তদন্তকারী অফিসারদের ঘিরে ধরে। ইডির আরও দাবি, অফিসারদের খুনের (Sandeshkhali) উদ্দেশেই সেখানে উপস্থিত হয় এই বিরাট সংখ্যার দল। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েই এমন ঘটনা ঘটে।

    মাথা ফাটে ইডি আধিকারিকদের

    ইডির বিবৃতি অনুযায়ী, ‘‘সশস্ত্র দলটি, লাঠি, ইট, পাথর নিয়ে হাজির হয়। সেখানে তারা ইডি অফিসারদের তাড়া করে পরে ইডি তাঁদের মারধর করা হয় বলে জানা গিয়েছে। তিনজন ইডি অফিসার গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’ এর পাশাপাশি ইডির আরও অভিযোগ, অফিসারদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে ল্যাপটপ, মোবাইল। এমনকি ওয়েলেট টাকাকড়িও ছিনতাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। এখানেই শেষ নয়। ইডি অফিসারদের (Sandeshkhali) গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে শুক্রবার।

    কে শাহজাহান?

    তৃণমূলের প্রধান দুষ্কৃতী হল শাহজাহান। সন্দেশখালির শাহজাহানকে নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবারই বলেন, “২০১৯ সালে বিজেপির কর্মী তপন মণ্ডল সহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতা। খুন করে সেই সময় বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ওই এলাকার মানুষের জমিকে জোর করে দখল করে নিয়েছেন। তাঁর দখল করা জমির পরিমাণ ১৩৯.১৭ বিঘা। এছাড়া তিনটে ট্রাস্টে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। ডক্টর স্বপ্নকুমার রায়চৌধুরির জমি অবৈধভাবে দখল করেছেন। আগে সিপিএম করতেন, তাঁর গুরু ছিলেন হার্মাদদের নেতা মুসলেম। এরপর তৃণমূলে যোগদান করে মাফিয়া হয়েছেন। এলাকার আম্ফানের ত্রাণ, আবাস যোজনার ঘর, শৌচালয়, একশো দিনের টাকা, মাছের চাষের ভেড়ি সব কিছু খেয়ছেন তিনি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Ration Scam: ‘এটা নাকি গরিব রাজ্য?’ ধৃত তৃণমূল নেতা শঙ্করের লেনদেন শুনে বিস্মিত বিচারকও

    Ration Scam: ‘এটা নাকি গরিব রাজ্য?’ ধৃত তৃণমূল নেতা শঙ্করের লেনদেন শুনে বিস্মিত বিচারকও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সন্দেশখালিতে ধুন্ধুমারকাণ্ড বাধে তৃণমূল নেতা শাহানওয়াজ সেখকে গ্রেফতার করতে যাওয়ার সময়। ইডি আধিকারিদের ওপর আক্রমণ করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। গতকালই রাতে বনগাঁর তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি, রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) অভিযোগে। সেখানেও বাধার মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শনিবার শঙ্করকে আদালতে পেশ করা হয়। বিদেশে তৃণমূল নেতার টাকার লেনদেন শুনে হাঁ হয়ে যান খোদ বিচারকও। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”এটা নাকি গরিব রাজ্য।” প্রসঙ্গত, শঙ্করের বিরুদ্ধে ইডির অভিযোগ, কুড়ি হাজার টাকা কোটি টাকা বিদেশে লেনদেন করা হয়েছে। এর মধ্যে আগেই গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন করেছে শঙ্কর। টাকা পাঠানো হয়েছে দুবাইতে।

    ৯০টি ফরেক্স সংস্থার মাধ্যমে করা হয়েছে লেনদেন

    ইডির দাবি, ৯০টি ফরেক্স সংস্থার (Ration Scam) মাধ্যমে এই টাকা বিদেশে লেনদেন করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সন্দেশখালি সমেত বনগাঁতে তদন্তে (Ration Scam) বাধা পাওয়ার পরেই আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। ইডির গাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয় বনগাঁতেও। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে যায় শঙ্কর আঢ্যর অনুগামীরা। এই ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এমনটাই জানা যাচ্ছে। স্থানীয় থানাতে দায়ের করা হতে পারে অভিযোগও। ইডি সূত্রের খবর, সেই  প্রক্রিয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে।

    বালুর মেয়ের মাধ্যমে চিঠি চালাচালি করত শঙ্কর

    জানা গিয়েছে, ধৃত মন্ত্রী বালুর সঙ্গে চিঠির মাধ্যমে হাসপাতালের যোগাযোগ রেখেছিলেন শঙ্কর। গত ১৬ ডিসেম্বর মেয়ের হাতে চিঠি তুলে দিতে যাচ্ছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, এমনই সময় সেই চিঠি ধরে ফেলে সিআরপিএফ-এর জওয়ানরা। চিঠি হাতে আসে ইডির। জানা যাচ্ছে সেখানে একাধিক নাম রয়েছে। বাংলা এবং ইংরেজিতে মিশিয়ে লেখা ছিল এই চিঠি। এমনটাই খবর ইডি সূত্রে। গত ১৯ ডিসেম্বর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে জেরা (Ration Scam) করার সময় তিনি চিঠির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা শাহজাহান! কী পদক্ষেপ নিল ইডি?

    ED: বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা শাহজাহান! কী পদক্ষেপ নিল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির অঘোষিত ‘নবাব’ শেখ শাহজাহান নিজেই অনুপ্রবেশকারী। বাংলাদেশে তাঁর স্থায়ী আস্তানা রয়েছে। এমনই গুঞ্জন রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি এলাকায়। তাই, সন্দেশখালিতে বড় কোনও অপরাধ করলেই সীমান্তে পেরিয়ে তাঁর গোপন ডেরায় আত্মগোপন করে থাকেন তিনি। ইডি-র (ED) উপর হামলার ঘটনার পর সেই চেনা ছকেই তিনি এলাকা ছাড়া। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তিনি বাংলাদেশ পালিয়ে গিয়েছেন। তবে, বাম জমানা থেকে উঠে আসা তোলাবাজ এই তৃণমূল নেতার বাংলাদেশে গিয়ে আত্মগোপন করার নাটক নতুন নয়। এমনই বক্তব্য বিরোধীদের।

    বিজেপি-র তিন কর্মীকে খুন করে বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছিলেন

    ২০১৯ সালে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি লোকসভা ভোটের পর পরই তিন বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। তার নেপথ্যের নায়ক ছিলেন তৃণমূলের এই ‘বেতাজ বাদশা’। পুলিশের একটা অংশের সঙ্গে যোগাযোগ আর মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মাথায় হাত থাকায় কেউ তাঁকে ‘টাচ’ সাহস দেখাত না। স্বাভাবিকভাবে তিন-তিনটে খুন করে এলাকায় বুক ফুলিয়ে শেখ শাহজাহান ও তাঁর বাহিনী ঘুরে বেড়াচ্ছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের চাপে পুলিশ শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর নিতে বাধ্য হয়েছিল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শাহজাহান সীমান্তে পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছিল। পুলিশ তার টিকি ছুঁতে পারেনি। পরে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে জামিন নিয়ে নেন।

    মুকুল রায়ও এর আগে শাহজাহান নিয়ে মুখ খুলেছিলেন

    তৃণমূলের এক সময়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায় দলীয় নেতা-কর্মীদের হাতের তালুর মতো চিনতেন। শাহজাহানের গতিবিধির সম্পর্কে তাঁর কাছে সমস্ত তথ্য ছিল। এখন তৃণমূলে নাম লেখালেও গত লোকসভা ভোটের সময় তিনি বিজেপিতে ছিলেন। সেই সময় সন্দেশখালিতে বিজেপির তিন কর্মী খুন হন। সেই ঘটনা প্রসঙ্গে মুকুল রায় বলেছিলেন, শাহজাহান সম্ভবত বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েছে। ফলে, মুকুল রায়ের মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ তথ্য না জেনে এই ধরনের মন্তব্য করবেন না তা বলাবাহুল্য। ইডি কাণ্ডের পর ফের সেই শাহজাহানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ যোগ সামনে এল।

     বাংলাদেশে ফের আশ্রয় নিয়েছে শাহজাহান, দাবি ইডি-র (ED)

    সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ হয়তো বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়েছেন। তৃণমূল নেতার খোঁজ করতে গিয়ে এমনটাই মনে করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। রেশন দুর্নীতি মামলায় শাহজাহানের খোঁজ করতে আইবি এবং বিএসএফের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলেও ইডির একটি সূত্রে খবর। এ-ও জানা যাচ্ছে যে, তৃণমূল নেতাকে ধরতে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত এলাকাগুলিতে বিএসএফকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share