Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • North Bengal: উত্তরবঙ্গ জুড়ে রমরমিয়ে চলছে গরু-মহিষ পাচার! কোন পথে জানেন?

    North Bengal: উত্তরবঙ্গ জুড়ে রমরমিয়ে চলছে গরু-মহিষ পাচার! কোন পথে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল এখন জেলে রয়েছেন। দক্ষিণবঙ্গে এই পাচারচক্র ততটা এখন সক্রিয় না হলেও উত্তরবঙ্গ (North Bengal) জুড়ে রমরমিয়ে শুরু হয়েছে মহিষ এবং গরু পাচার। পুলিশের একটা অংশকে হাতিয়ার করে এই পাচারচক্র চলছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মানুষ।

    কোন পথে পাচার? (North Bengal)

    বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত উত্তরবঙ্গের (North Bengal) উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং জেলার বিধাননগর, ঘোষপুকুর পেরিয়ে ফুলবাড়ি হয়ে জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়ি, ধূপগুড়ি, বানারহাট, বীরপাডা হয়ে বারোবিষা সীমান্ত দিয়ে অসমে ঢুকে পড়ছে বেআইনি গরু ও মহিষ বোঝাই গাড়িগুলি। অসমের কয়েকটি জেলা পার হয়ে সোজা মেঘালয়ে চলে যায় গাড়িগুলি। উত্তরের ছয়টি জেলা পার হতে পারলে কেল্লাফতে এই পাচারকারীদের। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ থেকে মহিষ এবং গরু নিয়ে এসে পাঞ্জিপাড়ায় সেগুলোকে নামানো হয়। সেখান থেকে কন্টেনার গাড়ি করে (যে গাড়িগুলি চারদিক বন্ধ) অসম এবং মেঘালয়ের উদ্দেশে রওনা করা হয়। একেবারে অস্বাস্থ্যকর এবং দমবন্ধ পরিবেশে গাড়িগুলিতে ওই মহিষগুলিকে নিয়ে যাওয়া হয়। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই যে ওই গাড়ি গুলিতে গরু-মহিষ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রতি গাড়িতে ২৪-২৬ টি মহিষ নিয়ে যাওয়া হয়। যার অধিকাংশেরই বৈধ কাগজ নেই। গাড়িগুলিরও লাইভ স্টক পারমিট নেই বলেই জানা গেছে।

    কীভাবে সম্ভব এই পাচার?

    সম্প্রতি, বীরপাড়ায় একটি স্পেশাল চেকিংয়ে ৬ টি কন্টেনার গাড়ি থেকে ২৩৮ টি মহিষ উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় ২০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, পাঞ্জিপাড়া ও আসামের বাসিন্দা ছিলেন। কিন্তু, কীভাবে সম্ভব এই পাচার? পাঞ্জিপাড়া থেকে গাড়ি লোড হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই গাড়ির নম্বর পাঠিয়ে দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট থানাগুলিতে, যে থানার অধীনের রাস্তা ব্যবহার করে গাড়িগুলি পার হবে। এই এলাকাগুলি পেরিয়ে গেলে বারোবিষা বা বক্সিরহাট সীমান্তে সেই গাড়িগুলির নম্বর মিলিয়ে দেখা হয় এবং বিনা চেকিং করেই গাড়িগুলি ছেড়ে দেওয়া হয়। পাঞ্জিপাড়া থেকে অসম রাজ্য বিনা বাধায় গাড়ি প্রতি একটা পরিমাণ অর্থ নির্ধারণ হয়। সেই অর্থই সংশ্লিষ্ট থানা এবং কিছু আধিকারিকের কাছে পৌঁছে যায়। প্রতিদিন প্রায় ৩৫-৪০ টি গাড়ি করে এই ভাবেই গরু-মহিষ পাচার হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: পাখির চোখ লোকসভা ভোট! উত্তরবঙ্গ জুড়ে ম্যারাথন কর্মসূচি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: পাখির চোখ লোকসভা ভোট! উত্তরবঙ্গ জুড়ে ম্যারাথন কর্মসূচি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাখির চোখ লোকসভা নির্বাচন। তাই, এবার উত্তরবঙ্গ চষে বেড়াবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। লোকসভা নির্বাচনের আগে সংগঠনকে আরও চাঙা করাই লক্ষ্য বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। আগামীকাল ৩ তারিখ থেকে ৬ তারিখ পর্যন্ত উত্তরবঙ্গ জুড়ে ম্যারাথন কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতির।

    সভার পাশাপাশি সাংগঠনিক বৈঠক করবেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    দক্ষিণবঙ্গের তুলনায় উত্তরবঙ্গে বিজেপি অনেকটাই শক্তিশালী। সেক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের লোকসভা আসনগুলিকে পুনরায় ধরে রাখার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের আরও আসন বাড়াতে চাইছে বিজেপি। সেক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি জনসভার পাশাপাশি দলীয় সাংগঠনিক বৈঠক করবেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। আগামী ৩ তারিখ উত্তর দিনাজপুর, ৪ তারিখ আলিপুরদুয়ার, ৫ তারিখ কোচবিহার এবং ৬ তারিখ জলপাইগুড়ি জেলা সফর করবেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ৭ জানুয়ারি তিনি কলকাতা ফিরে যাবেন। মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্য সভাপতি তাঁর ম্যারাথন কর্মসূচির কথা জানিয়েছেন। বালুরঘাট ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন দল ছেড়ে বহু কর্মী এদিন বিজেপিতে যোগদান করেন।

    উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন,লোকসভা নির্বাচন সামনে চলে এসেছে। নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আগামীকাল থেকে আমার উত্তরবঙ্গ সফর শুরু হবে। প্রথমে রায়গঞ্জ তারপর আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি সব জায়গাতেই যাব।  রেশন ডিলারদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রেশন ডিলারদের নির্দিষ্ট কোনও দাবি আছে। ধর্মঘট কোনও সমস্যার সমাধান হয় না। এক জায়গায় বসে আলোচনার মধ্যে সমস্যা মেটানো ভালো। এক সময় রেশন ডিলারদের প্রচুর সুযোগ সুবিধা ছিল। কিন্তু, আসতে আসতে তাঁদের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা ক্ষীণ হয়ে উঠছে। আগামীদিনে রেশন ডিলারদের আয় যেন ঠিক থাকে আমরা এই বিষয়ে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্র সরকারকে জানাব।

    নির্বাচনে ভিভিপ্যাড ব্যবহার নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    লোকসভা নির্বাচনে ১০০ শতাংশ ভিভিপ্যাডের দাবি বিরোধী জোটের। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, আমাদের কোনও আপত্তি নেই ভিভিপ্যাড থাকলে। কিন্তু, অতগুলো ভিভিপ্যাড নির্বাচনের অল্প সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোথায় থেকে পাবে? তাহলে নির্বাচন পিছিয়ে দিতে হবে। তাহলে আমাদের নরেন্দ্র মোদী আরো কয়েকদিন প্রধানমন্ত্রী থাকবে তা কি আমাদের বিরোধীরা মেনে নেবে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করায় তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীকেই খুনের হুমকি

    Barrackpore: অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করায় তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীকেই খুনের হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকায় দিনের পর দিন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা। বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলের উত্তর বারাকপুর পুরসভার ইছাপুরের ২০ নম্বর রেলগেট এলাকার ঘটনা। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এমনকী অসামাজিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করায় তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী সঞ্জয় দাসকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল ছিল দুষ্কৃতীরা। বিষয়টি জানার পরই চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    কাউন্সিলরের স্বামীকে খুনের ছক! (Barrackpore)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে গোবিন্দ বাঁশফোঁড় সহ দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ইছাপুরে তৃণমূল কাউন্সিলর সুপ্রিয়া দাসের স্বামী সঞ্জয় দাসকে খুন করার ছক কষেছিল। টিটাগড়ের কয়েকজন যুবক জড়িত রয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ এই ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে। তারমধ্যে একজন ইছাপুরের বাসিন্দা। বাকি তিনজনের বাড়ি টিটাগড় এলাকায়। কাউন্সিলরের স্বামী স্থানীয় তৃণমূল নেতা। ফলে, এলাকায় দুষ্কৃতীদের দাপট দেখাতেই তাঁকে খুন করার ছক কষা হয়েছিল বলে দলের একাংশ মনে করছে।

    কী বললেন তৃণমূল কাউন্সিলর?

    জানা গিয়েছে, বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলের উত্তর বারাকপুর পুরসভার ইছাপুর ২০ নম্বর রেলগেটে কালী মন্দিরের আছে অসামাজিক কাজকর্ম হয়। ওই এলাকা দখল করে দাপিয়ে বেড়ায় দুষ্কৃতীরা। বহিরাগতরা সেখানে এসে জড়ো হয়। ফলে চরম আতঙ্কে থাকেন এলাকাবাসী। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুপ্রিয়া দাস বলেন, এলাকাবাসী অভিযোগ জানানোর পরেই আমি বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের কাছে বলেছিলাম। কিন্তু, দুষ্কৃতদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়নি। এলাকাটি ওরা দখল করে রয়েছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি বলে আমার পরিবারের দিকে টার্গেট করা হচ্ছে। আমার স্বামীকে খুন করার চক্রান্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা বেশ আতঙ্কে রয়েছি। আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, এইসব ঘটনার পিছনে কারা রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে কাউকে খুন করার চেষ্টা হয়, তা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তীব্র বিরোধিতা করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: মমতাকেও ‘ডোন্ট কেয়ার’! তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে দেড় মাসের ওপর বন্ধ চা বাগান

    Siliguri: মমতাকেও ‘ডোন্ট কেয়ার’! তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে দেড় মাসের ওপর বন্ধ চা বাগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের শ্রমিক নেতার দাদাগিরিতে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে ত্রিহানা চা-বাগান। খোদ চা বাগানের মালিক ঘনশ্যাম কাঙ্কানি বিস্ফোরক এই অভিযোগ করেছেন। শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার এটি তরাইয়ের অন্যতম পুরানো ও বড় চা বাগান। মালিকের এই অভিযোগে ধাক্কা খাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক বন্ধ চা-বাগান খোলার দাবি।

     ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Siliguri)

    চা বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, সর্বসম্মতিক্রমে ১৮ শতাংশ পুজোর বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু, আইএনটিটিইউসি দার্জিলিং জেলা সভাপতি নির্জল দে শিলিগুড়ির (Siliguri) ত্রিহানা চা-বাগানে ১৯ শতাংশ বোনাসের দাবিতে অনড় থেকে ফ্যাক্টরি থেকে চা পাতা বের করা বন্ধ করে দেন। কাঁচা পাতা, তৈরি চা পাতা চুরি করে বাইরে বিক্রি করেন। ১৯ শতাংশ বোনাসের দাবিকে অজুহাত করে আইএনটিটিইউসির দার্জিলিং জেলা সভাপতি নির্জল দে বাগানে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ম্যানেজারকে নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। গত ৯ নভেম্বর আন্দোলনের নামে ম্যানেজারকে নিগ্রহ করে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়ার পরের দিন বাগান লক আউট করা হয়। তাই সুবিচারের জন্য বাগান মালিক উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

     তৃণমূল নেতার দাদাগিরি নিয়ে কী বললেন বাগান মালিক?

    বাগান মালিক ঘনশ্যাম কাঙ্কানি বলেন, আমার বাগানের পাশে বালাসন নদী থেকে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি অবৈধভাবে বোল্ডার উত্তোলন করত। এতে বাগানের উপর প্রভাব পড়ায় জেলাশাসককে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তিনি সেখান থেকে বালি, পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেন। সেই আক্রোশে নির্জল দে বাগানে অশান্তি শুরু করেন। এখন আমার বাগানকে রুগ্ন দেখিয়ে বড় বড় শিল্পপতির হাতে বাগান তুলে দেওয়ার চক্রান্ত দেখতে পাচ্ছি।

    চা বাগানের শ্রমিকরা কী বললেন?

    এই বাগানে ১২০০ চা শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছেন। শ্রমিকরা তৃণমূলের দাদাগিরিতে তিতিবিরক্ত। তাঁরা বলেন, তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে আমরা চরম সঙ্কটে পড়েছি। এই মালিকের আরও দুটি ডিভিশন রয়েছে। সেখানে কোনও সমস্যা নেই। আমরা কাজ করতে চাই। কিন্তু, তৃণমূল নেতার হুমকিতে করতে পারছি না।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল শ্রমিক নেতা নির্জল দে বলেন, বাগান মালিক ২০০৬ সাল থেকে গ্র্যাচুইটি ও ২০১৪ সাল থেকেই প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দিচ্ছেন না। বোনাস দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করেছেন। তবু, এতদিন শ্রমিকরা মুখ বুজে কাজ করেছেন। আসলে এই মালিক দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক বিরোধী কার্যকলাপ করে চলেছেন। বিষয়টি শ্রমমন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে। প্রতিবাদ জানিয়েছি বলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মহকুমা হবে ধূপগুড়ি, কী হল অভিষেকের দেখানো স্বপ্নের?

    Dhupguri: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মহকুমা হবে ধূপগুড়ি, কী হল অভিষেকের দেখানো স্বপ্নের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর ২ সেপ্টেম্বর বিধানসভা উপ নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমা করার ডেডলাইন উল্লেখ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক  অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। বলা ভালো স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। যে স্বপ্ন ফেরি করেই উপ নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী জয়লাভ করেছিলেন, তা হল, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ধূপগুড়ি মহকুমা গঠন করা হবে। কিন্তু, কথা রাখেনি তৃণমূল। কারণ, নিয়ম মেনে ধূপগুড়িকে মহকুমা করতে সরকারি বিজ্ঞপ্তি এখনও জারি হয়নি। তাই, এবার মহকুমার দাবিতে বুধবার থেকে ধূপগুড়ির বিধায়কের বাড়ির সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে ধর্নায় বসতে চলেছে ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চ।

    নাগরিক মঞ্চের এক কর্মকর্তা কী বললেন? (Dhupguri)  

    ধূপগুড়ি (Dhupguri) মহকুমা নাগরিক মঞ্চের এক কর্তা অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত বলেন, মহকুমা গঠনের জন্য অনেক তৎপরতা দেখলাম। আমাদের এসব দেখে খুব ভালো লেগেছিল। কিন্তু, বাস্তবে এই ঘোষণা যদি শুধুমাত্র ভোটের জন্য হয়ে থাকে, তাহলে এটা ধূপগুড়ির মানুষকে অপমান করা। আমরা তো বিশ্বাস করেছিলাম। সেটা রাখা হল না। আমাদের স্বপ্নভঙ্গ হল। আমরা খুবই হতাশ। এভাবে তো মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হল। আমরা এর প্রতিবাদ করব। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

    মহকুমা গঠনের কথা মুখ্যমন্ত্রীও বলেছিলেন

    ১১ সেপ্টেম্বর নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ভোটের ফল প্রকাশের কয়েকদিনের মধ্যেই ধূপগুড়ি মহকুমা গঠনের প্রস্তাব পাশ হয়ে যায় মমতার মন্ত্রিসভায়। একাধিক ক্ষেত্রে সংস্কারের আশা দেখে অকাল হোলিতে মেতেছিলেন ধূপগুড়িবাসী। নতুন বছর শুরু হয়ে যাওয়ার পরও গঠন হল না মহকুমা। সেই দাবিতেই এবার খোদ বিধায়কের বাড়ির সামনে ধর্নার ডাক দিল নাগরিক মঞ্চ।

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    বিধায়ক নির্মল রায় বলেন, ‘মহকুমা যে হচ্ছে, এটা জোর দিয়ে বলাই যায়। আইনি প্রক্রিয়ায় জটিলতা রয়েছে, সেই কারণেই সময় লাগছে। তবে, চিন্তার কোনও কারণ নেই। ধূপগুড়ির (Dhupguri) মানুষকে আমি আশ্বস্ত করছি, খুব শীঘ্রই সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে।’ কিন্তু, তাঁর এই আশ্বাসে নাগরিক মঞ্চ খুশি নয়। তাই, তাঁরা মহকুমার দাবি আদায়ে আন্দোলনের পথকে বেছে নিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sound Pollution: বছরের শেষ থেকে শুরু, উৎসব উদযাপনে শব্দের দাপটে নাজেহাল আমজনতা

    Sound Pollution: বছরের শেষ থেকে শুরু, উৎসব উদযাপনে শব্দের দাপটে নাজেহাল আমজনতা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বছরের শেষ দিন হোক, কিংবা নতুন বছরের শুরুর দিন, উৎসব উদযাপনে শব্দের দাপটে (Sound Pollution) নাজেহাল সাধারণ মানুষ। অনেক জায়গায় অভিযোগ, সাধারণ মানুষ বারবার জানানোর পরেও স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে, ভোগান্তি বেড়েছে।

    কী সমস্যার অভিযোগ উঠছে? (Sound Pollution)

    ইংরেজি বর্ষবরণ উপলক্ষে কলকাতা থেকে জেলা, সর্বত্র উৎসবের আমেজ। আর উদযাপনের তীব্রতায় ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের।‌ অভিযোগ, একাধিক এলাকায় রাত বারোটার পরেও তীব্র জোরে চলেছে ডিজে বক্স। তার সঙ্গে বর্ষবরণ উপলক্ষে লাগাতার বাজির আওয়াজ। শব্দ আর আলোর বাজির দাপটে জেরবার শহর থেকে শহরতলি।‌ শিশু ও বয়স্কদের সমস্যা বেড়েছে। সল্টলেক, দমদম, এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে খোদ কলকাতার শোভাবাজার থেকে টালিগঞ্জ, যাদবপুর সর্বত্র রাতভর শব্দের দাপটের অভিযোগ। বাদ যায়নি জেলাও। একাধিক জেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাত বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আওয়াজের দাপট (Sound Pollution)। রাত বারোটার পরে লাগাতার শব্দবাজির দাপটে নাজেহাল। তার সঙ্গে জোরে মাইক বাজিয়ে অনুষ্ঠান চলেছে। ফলে, পরিস্থিতি অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে। অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও ফল‌ পাওয়া যায়নি। স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে বেশ কিছু জায়গায় সেটাও সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের।

    শব্দের এই দাপট কতখানি ক্ষতিকর? (Sound Pollution)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শব্দের এই দাপট স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। শিশুদের শ্রবণশক্তির জন্য বিপদ তৈরি করতে পারে এই শব্দের দাপট। নাক-কান-গলার (ইএনটি) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শব্দবাজির হঠাৎ তীব্র আওয়াজ কানের পর্দায় ক্ষত তৈরি করে। শিশুদের এই ক্ষত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। পাশপাশি লাগাতার ডিজের মতো তীব্র আওয়াজ কানে শুনলে শ্রবণ ক্ষমতা কমতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশপাশি শিশুদের মানসিক অস্থিরতা তৈরি করে এই শব্দের দাপট। রাতে লাগাতার এই তীব্র আওয়াজের শিশুদের মস্তিষ্কে একাধিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তার জেরেই তাদের মানসিক অস্থিরতা দেখা দেয়। 
    শিশুদের পাশপাশি প্রৌঢ়দের জন্য এই শব্দের দাপট সমস্যা তৈরি করে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যাদের হৃদরোগ আছে, শব্দের তীব্রতা তাদের জন্য বাড়তি বিপজ্জনক। হঠাৎ তীব্র আওয়াজ হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। আবার একটানা তীব্র আওয়াজ (Sound Pollution) রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। এই দুটোই হৃদরোগের জন্য বিপজ্জনক। তাই এই পরিস্থিতি সব বয়সীদের জন্য ক্ষতিকর।

    কী বলছে রাজ্য প্রশাসন?

    কলকাতা থেকে জেলা, একাধিক জায়গায় বর্ষবরণ উপলক্ষে শব্দের দাপট প্রসঙ্গে নবান্ন অবশ্য অভিযোগ (Sound Pollution) মানতে নারাজ। নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা জানান, প্রত্যেকটি রাস্তায় পুলিশ পাহারা দিয়েছে। কোথাও আইন ভাঙা হয়নি। এলাকায় এলাকায় পুলিশ টহল দিয়েছে। এরপরেও কোনও অভিযোগ থাকলে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বর্ষবরণের রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি বাড়িও ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের আশুতি-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চক চট্টা এলাকায়। বিজেপি কর্মীদের পাশাপাশি সিপিএম কর্মীদের উপরও হামলা চালানো হয়। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের এই এলাকা উত্তপ্ত হয়েছিল। এর আগেও বিরোধীদের মারধরের জেরে মৃত্যু হয়েছিল এক বিজেপি কর্মীর। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সভায় বারে বারে দাবি করেছেন, বিরোধীরা যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজনীতি করতে পারে তার জন্য তিনি সহযোগিতা করবেন। আর তাঁরই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে এমন ঘটনা আরও একবার প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। এটাই কি তাহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবার মডেল! বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয়। ইট দিয়ে জানলার কাচ ভেঙে দেয়। এছাড়াও একটি বাইক পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বিজেপি ও সিপিআইএমের দুজন কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই কালীতলা আশুতি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিজেপি নেতা দ্বিজেন নস্কর বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই ওরা আমাদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। সোমবার সামান্য একটি বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়। এরপরই তৃণমূলের লোকজন দল বেঁধে আমাদের কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। কর্মীদের মারধর করে। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান কী বললেন?

    এই বিষয় নিয়ে আশুতি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান পার্থ কয়াল বলেন, হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি। পিকনিক করা নিয়ে দুটো পাড়ার মধ্যে ঝামেলার জেরে এই মারপিট বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবে যুক্ত নয়। বিরোধীরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Tiger: ফের বক্সায় দেখা মিলল বাঘমামার! নতুন বছরে ভিড় বাড়ল পর্যটকদের

    Bengal Tiger: ফের বক্সায় দেখা মিলল বাঘমামার! নতুন বছরে ভিড় বাড়ল পর্যটকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সপ্তাহের মধ্যে বক্সার জঙ্গলে বন দফতরের পাতা ক্যামেরায় দুবার ধরা পড়ল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের (Bengal Tiger) ছবি। গত ২৮ ডিসেম্বরের পর বন দফতরের পাতা ক্যামেরায় ফের ধরা পড়েছে ৪ বছর বয়সী একটি বাঘের ছবি। বার বার বাঘ দেখতে পাওয়ার কারণে বক্সায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের মধ্যেও একটা উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।

    বাঘ দেখতে বক্সায় ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের! (Bengal Tiger)

    নতুন বছরের শুরুতে এমনিতেই জয়ন্তী, বক্সা পাহাড় সর্বত্র পর্যটকদের ভিড় থাকে। দীর্ঘ বছর পর ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘের ছবি বন দফতরের পাতা ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল। এবছর বন দফতরের পাতা ক্যামেরায় বাঘের একাধিক ছবি ধরা পড়ায় এ নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে উৎসাহ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। অনেকেই বক্সার জঙ্গলে ভ্রমণে এসে বাঘের (Bengal Tiger) দর্শন মিলতে পারে বলে আশায় রয়েছেন। পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে পর্যটকদের জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাতে পর্যটকদের ভিড়ও বাড়ছে। যদিও বাঘের গতিবিধি নজরে আসতেই অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করেছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। যত্রতত্র জঙ্গলের ভেতরে পর্যটকদের না দাঁড়ানোর পরামর্শ দেওয়া, বাইক নিয়ে জঙ্গলে প্রবেশ না করা, স্থানীয় বনবস্তির বাসিন্দাদের গবাদি পশু নিয়ে জঙ্গলে না যাওয়ার পরামর্শও তাঁরা দিচ্ছেন।

    পর্যটকদের কী বক্তব্য?

    বাঘে-মানুষের সংঘাত এড়াতে বন দফতরের সতর্কতা তো থাকবেই, তাই বলে পর্যটকরা জঙ্গল ঘুরতে এসে বাঘ না দেখে ফিরে যাবেন, সেটাও তাঁরা মানতে পারছেন না। তাই, চার চাকা, নিজস্ব গাড়িতে চেপে হোক আর সাফারি করেই হোক, জঙ্গলের ভেতরে বাঘের (Bengal Tiger) বিচরণের উপরেই তীক্ষ্ণ নজর থাকছে পর্যটকদের। পর্যটকদের বক্তব্য, ‘জানালার কাচের ভেতর থেকে দূরের জঙ্গলে এক ঝলক বাঘের মুখ দর্শন করার জন্য চোখের পাতা নামাতে পারছি না।’ বাঘ দর্শনের আশায় পর্যটকরা ভিড় করলেও সেই আশা মঙ্গলবার পর্যন্ত অধরাই রয়েছে। বাঘমামার দেখা কবে মিলবে সেই আশায় রয়েছেন পর্যটকরা।

    বন দফতরের কর্তা কী বললেন?

    বক্সার জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Bengal Tiger) যে অবাধে বিচরণ করছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত বন দফতরের কর্তারাও। রাজ্য বন দফতরের পিসিসিএফ (বন্যপ্রাণ) দেবল রায় বলেন, দিনের আলোয় একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি বক্সার পাওয়া গিয়েছে। কদিন আগেও যে বাঘের ছবিটি ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল, দুটি ছবিই একই বাঘের হতে পারে। নতুন বছরের শুরুতে পর্যটকদের কাছে খুশির খবর। তাই, বাঘ দেখতে ভিড়ও বাড়ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Toy Train: নতুন বছরের প্রথম দিনেই লাইনচ্যুত টয় ট্রেন! আতঙ্কে পর্যটকরা

    Toy Train: নতুন বছরের প্রথম দিনেই লাইনচ্যুত টয় ট্রেন! আতঙ্কে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের প্রথম দিনে ফের দার্জিলিংয়ে লাইনচ্যুত হল টয় ট্রেন (Toy Train)। সোমবার বিকেলে ম্যারি ভিলার কাছে লাইনচ্যুত হয়ে যায় টয় ট্রেনটি। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পর্যটকরা। এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে পর পর তিনবার টয় ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। নতুন বছরের প্রথম দিনে ফের টয় ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী করে দুর্ঘটনা ঘটল?  (Toy Train)

    এমনিতেই শীতের সময় দার্জিলিংয়ে পর্যটকদের ভিড় অনেক বাড়ে। বিশেষ করে বিদেশি পর্যটকরা এখন এখানে ভিড় করে। পর্যটকদের বড় অংশই শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেনের (Toy Train) দীর্ঘ সময়ের যাত্রা থেকে বিরত থাকেন। তবে, হেরিটেজ টয় ট্রেনে চড়ার আনন্দ উপভোগ করতে তাঁদের অনেকে জয় রাইডে যান। এখন প্রতি দিন এক ডজন করে জয় রাইড চলছে দার্জিলিংয়ে। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে আরও চারটি জয় রাইড বাড়িয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। সোমবার বিকেলে টয় ট্রেনটি দার্জিলিং স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন ট্রেনে। ঘুম স্টেশন হয়ে সোনাদা ঘুরে আবার দার্জিলিং স্টেশনের দিকে যেতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। ঘুম স্টেশন থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ম্যারি ভিলাতে লাইনচ্যুত হয় টয় ট্রেনটি। ফলে, পর্যটকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে ঘুম স্টেশন পর্যন্ত ঠিকঠাকভাবে চললেও স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়তেই ইঞ্জিনটি খুলে গিয়ে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। হুড়মুড় করে থেমে যায় টয় ট্রেনটি। যদিও দুর্ঘটনায় পর্যটকদের জখম হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

     রেল আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    উত্তর-পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ঘুম এবং দার্জিলিং স্টেশনের মাঝে একটি জয় রাইডের স্টিম ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় দুটি কামরায় পর্যটকেরা ছিলেন। তবে, দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ওই পর্যটকদের পরে সড়কপথে দার্জিলিং পাঠানো হয়েছে। টয় ট্রেনটি (Toy Train) উদ্ধার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatpara: ভাটপাড়ায় সোমনাথ অনুগামীদের বাড়িতে দুষ্কৃতী তাণ্ডব! নাম না করে ফের অর্জুনকে তুলোধনা

    Bhatpara: ভাটপাড়ায় সোমনাথ অনুগামীদের বাড়িতে দুষ্কৃতী তাণ্ডব! নাম না করে ফের অর্জুনকে তুলোধনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার দুপুরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে নাম না করে তৃণমূল সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। এরপর রবিবার রাতেই ভাটপাড়ার (Bhatpara) ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মানিকপীড় এলাকায় চলল দুষ্কৃতী তাণ্ডব। রাত দুটোর পরে বেশ কয়েকজন যুবক সাত-আটটি বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। আক্রান্তরা সোমনাথ শ্যাম অনুগামী হিসেবে দলে পরিচিত।  ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যান সোমনাথ শ্যাম। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটা বাড়িতে ঘুরে বেড়ান। পরে, তিনি বলেন, এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে কিছু দুষ্কৃতী এটা করেছে। পিছনে মদতদাতা অন্য কেউ আছে। পুলিশ প্রশাসন বিষয়টি দেখছে। তিনি নাম না বললেও এই হামলার পিছনে অর্জুন অনুগামীরা রয়েছে তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন।

    থানায় বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা! (Bhatpara)

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইট-পাটকেল, মদের বোতল ছোঁড়া হয়  বাড়িগুলিতে। ভাঙা হয়েছে দরজা, জানালা। ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতেই এই জিনিস করা হয়েছে। দল বেঁধে এসে এলাকায় তান্ডব চালানো হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে নতুন বছরের প্রথম দিন সকালে ভাটপাড়া (Bhatpara) থানায় বিক্ষোভ দেখান। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিযোগ জানালেন ভাটপাড়া থানায়। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

    নাম না করে ফের অর্জুনকে আক্রমণ করলেন সোমনাথ

    সোমবার নৈহাটির মামুদপুরে তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে অর্জুনের নাম না করে সোমনাথ শ্যাম বলেন, ছেলে বিজেপিতে, আর বাবা তৃণমূলে। ছেলের সাক্ষী দেওয়ার জন্য ১৩ জন তৃণমূল কর্মী এখন জেলে রয়েছেন। ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় বিজেপির ভাটপাড়ার (Bhatpara) বিধায়ক পবন সিং ওই সাক্ষী দিয়েছিলেন। তাঁর বাবা দলকে শক্তিশালী করবেন? আসলে তিনি দুর্বল করতে এসেছেন। দলে থেকে দলের কর্মীদের খুন করাচ্ছে কে, তা বারাকপুরের মানুষ জানে। কেন তিনি প্রকাশ্যে সাংসদের বিরুদ্ধে বলছেন, সেই প্রশ্নের জবাবে সোমনাথ শ্যাম বলেন, ২০১৯ সাল থেকে তিনি (অর্জুন সিং) যা করেছেন, আমি সেটাই মানুষের কাছে তুলে ধরছি। আমাকে কেউ বলতে বারণও করেনি। অবশ্য সুব্রত বক্সির নির্দেশে অর্জুন সিং মুখে কুলুপ এঁটেছেন। ফলে, বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে সোমনাথের বাণে বার বার বিদ্ধ হচ্ছে অর্জুন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share