Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Ram Mandir: কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীর তৈরি টেরাকোটার ম্যুরালে সেজে উঠছে রাম মন্দিরের প্রবেশদ্বার

    Ram Mandir: কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীর তৈরি টেরাকোটার ম্যুরালে সেজে উঠছে রাম মন্দিরের প্রবেশদ্বার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পের সুনাম সারা বিশ্বে। এখানকার শিল্পীদের হাতের কাজ এবং শিল্প নৈপুণ্যের খ্যাতির কথা আজ আর কারও অজানা নয়। শিল্পীরা তাঁদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন দেশ-বিদেশের নানা পুরস্কার। এবার এখানকারই টেরাকোটা শিল্প জায়গা করে নিল অযোধ্যার রাম মন্দিরে (Ram Mandir)। মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার ধরমপথের দু’ ধারে সাজানো থাকবে কুড়ি ফুট বাই দশ ফুটের প্রায় ১০০ টি টেরাকোটার ম্যুরাল। কৃষ্ণনগরের শিল্পী বিশ্বজিৎ মজুমদার প্রায় ২৭ জন শিল্পীকে নিয়ে এই কাজ শুরু করেছেন গত সেপ্টেম্বর মাসে। ১০০ টি ম্যুরালই তৈরি হচ্ছে রামায়ণের কাহিনী অবলম্বনে। তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে এখনও পর্যন্ত ৬০ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। ১৩জন শিল্পী কাজ করছেন অযোধ্যার রাম মন্দিরে এবং বাকি ১৪ জন শিল্পী রয়েছেন কৃষ্ণনগরে শিল্পীর ওয়ার্কশপে।

    গর্ববোধ করছেন শিল্পী (Ram Mandir)

    শিল্পী জানালেন, প্রায় ১৫ বছর আগে থেকে অযোধ্যার একটি সরকারি মিউজিয়ামে তাঁর শিল্পকর্ম রয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ তাঁকে সেখানেই ডাকেন এবং সংবর্ধনা দেন। শুধু তাই নয়, এই শিল্পের ব্যাপারে তিনি বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) মূল প্রবেশপথ ধরমপথে এই শিল্প স্থান পাওয়াতে শিল্পী বিশ্বজিৎ মজুমদার গর্ববোধ করছেন। শিল্পী বিশ্বজিৎবাবু বলেন, এর আগে যেহেতু অযোধ্যার একটি সরকারি মিউজিয়ামে আমি কাজ করেছিলাম, তা দেখেই তাঁরা খুব খুশি হয়েছিলেন। এরপরই ২০২৩ সালে আমাকে তাঁরা আমন্ত্রণ জানান এবং কাজের বরাত দেন। আমি এই কাজ পেয়ে যথেষ্টই খুশি।

    দিনরাত এক করে চলছে কাজ (Ram Mandir)

    উল্লেখ্য রাম মন্দিরের কাজ প্রায় শেষের দিকে। ইতিমধ্যেই এই উদ্বোধন ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সম্মানীয় ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। আর কিছুদিন পরেই উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। উদ্বোধনের আগেই যাতে কাজের বরাত শেষ করা যায়, সেই কারণে শিল্পীদের নিয়ে দিনরাত কাজ চলছে বিশ্বজিৎবাবুর। তাঁর এখন একটাই লক্ষ্য, বাংলার এই শিল্পকর্মকে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া। তাই নাওয়া-খাওয়া ভুলে দিনরাত এক করে তাঁরা কাজ করে চলেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বিজেপি করার মাশুল? ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ বৃদ্ধ নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতেও ব্যর্থ!

    Balurghat: বিজেপি করার মাশুল? ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ বৃদ্ধ নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতেও ব্যর্থ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাতায় কলমে মারা গিয়েছেন। কিন্তু, তাঁরা দিব্যি চলে ফিরে বেড়াচ্ছেন। এমনই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্তীগ্রামে। এই এলাকার শম্ভুচন্দ্র দাস, মলিনা সরকাররা প্রশাসনের খাতায় মৃত। নিজেদের জীবিত করতে প্রশাসনের এই দরজা থেকে ওই দরজায় তাঁরা ঘুরছেন। তাঁদের আর্জি, ভোটার তালিকায় যেন আবার তাঁদের নাম তোলা হয়। কারণ, ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ায় তাঁদের বন্ধ হয়ে গিয়েছে সরকারি সুযোগ-সুবিধা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

    বিজেপি করার জন্য ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ! (Balurghat)

    বৃদ্ধ শম্ভু চন্দ্র দাস পেশায় কৃষক। তাঁর বাড়ি বালুরঘাট (Balurghat) ব্লকের নাজিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্তীগ্রামে। বছর দেড়েক আগে তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ভোটার তালিকা দেখে তিনি হতবাক হয়ে গিয়েছেন। কারণ, তাঁর মৃত স্ত্রীর নাম ভোটার তালিকায় জ্বল জ্বল করলেও তাঁর নাম বাদ গিয়েছে। খাতায় কলমে তিনি মৃত। কেন, কীভাবে বাদ হয়ে গেলেন তা বোঝার আগেই চলে আসে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ওই নির্বাচনে তিনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। এরপর থেকে তিনি নিজের নাম ভোটার তালিকায় তুলতে ও স্ত্রীর নাম বাদ দিতে প্রশাসনের দরজায় দরজায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু, এখনও তিনি ভোটার তালিকায় তুলতে পারেননি। তিনি বলেন, বিজেপিকে সমর্থন করি বলে হয়তো আমার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। মলিনা সরকার নামে আর এক মহিলা বলেন, আমাকে মৃত বলে আমার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর কারণ আমি কিছুটা বুঝতে পারছি। আমি বিজেপি করি বলে, শাসকদলের মদতেই আমার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই গণতন্ত্রের দেশে এভাবে ভূত হয়ে বেঁচে থাকতে হবে এ কেমন কথা? গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমি ভোট দিতে পারিনি। আগামী লোকসভা নির্বাচনেও পারব কি না জানিনা।

    কী বললেন বিজেপি নেতা?

    বিজেপির স্থানীয়  মণ্ডল সভাপতি প্রবীর মণ্ডল বলেন, গ্রামে গ্রামে এমন মানুষের সংখ্যা প্রচুর। শুধুমাত্র বিজেপি করার অপরাধে নানা কায়দাতে এভাবে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এসব অন্যায় চলতে পারে না।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল নেতা বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপ সরকার বলেন, বিজেপি মিথ্যা অভিযোগ করছে। যদি ওই বাসিন্দাদের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়ে থাকে, তবে নিয়ম মেনে আবেদন করলেই নাম উঠে যাবে। নাম না উঠলে আমরা সাহায্য করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: ১ জানুয়ারি থেকে ‘অক্ষত’ চাল নিয়ে বিজেপি কর্মীরা পৌঁছে যাবেন বাংলার ঘরে ঘরে

    Ram Mandir: ১ জানুয়ারি থেকে ‘অক্ষত’ চাল নিয়ে বিজেপি কর্মীরা পৌঁছে যাবেন বাংলার ঘরে ঘরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চালের সঙ্গে মেশানো হয়েছে ঘি এবং হলুদ। ‘অক্ষত’ নামের এই চাল এসেছে সরাসরি অযোধ্যার রাম মন্দির (Ram Mandir) থেকে। এর সঙ্গে থাকবে রাম মন্দিরের ল্যামিনেশন করা ছবি এবং রাম মন্দিরের ইতিহাস তুলে ধরা লিফলেট। এসব নিয়েই বিজেপি কর্মীরা পৌঁছে যাবেন বাংলার মানুষের ঘরে ঘরে। আগামী ২২ জানুয়ারি সেই বহু প্রতীক্ষিত দিন, যেদিন রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই মেগা উদ্বোধন কর্মসূচির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হল, সেখানে হাজির থাকবেন খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। স্বাভাবিকভাবেই গোটা অযোধ্যা সেই উপলক্ষে নতুনভাবে সেজে উঠছে। দেশের মানুষও সেই শুভক্ষণের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। আর এর ঠিক আগেই ১ জানুযারি থেকে টানা ১৫ দিন ভগবান শ্রীরামচন্দ্র এবং অযোধ্যার রাম মন্দিরের মহিমাকে বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। এই কাজে তাদের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন আরএসএস তথা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের কর্মীরাও।

    কর্মসূচি নিয়ে বৈঠক (Ram Mandir)

    আগামী বছরই লোকসভার ভোট। তার প্রস্তুতিও বিভিন্ন দল শুরু করে দিয়েছে। এরকম একটা মোক্ষম সময়ে রাম মন্দিরের উদ্বোধন যে বিজেপির কাছে তুরুপের তাস হয়ে উঠেছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মানুষের ধর্মীয় আবেগ এবং রামের প্রতি শ্রদ্ধার কথা তাদের অজানা নয়। তাই রাম মন্দির উদ্বোধনের আগে এই ‘ঘর ঘর যাত্রা’ কর্মসূচির মাধ্যমে বিজেপি ভোটের আগে জনসংযোগের কাজেও অনেকটা এগিয়ে যাবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা। এই কর্মসূচি যাতে সার্থক হয়, তার জন্য রাজ্যের বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন দলের নতুন পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায়ও এ নিয়ে অজস্র বৈঠক হয়ে গিয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, বাড়ি বাড়ি অক্ষত চাল পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ২২শে জানুয়ারি উদ্বোধনের দিন কী করণীয়, তার একটি নির্দেশিকা সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরে (Ram Mandir) যাওয়ার জন্য সমর্থক ও রাজ্যবাসীকে আমন্ত্রণও জানাবেন বিজেপি নেতারা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্যের মতে, এই রাম মন্দির (Ram Mandir) আদপে দেশের পরিচয়ই বহন করছে। রামলালা এবং রাম মন্দিরের মাহাত্ম্য সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়াটাই দলের মূল লক্ষ্য। তাঁর সাফ বক্তব্য, বিজেপি জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল এবং তারা সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে। তাদের এই চিন্তাভাবনা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়াটাও অন্যতম কাজ। তাঁর আশা, সারা দেশ ভেসে যাবে রামের জোয়ারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ভাঙড়ে জোর করে জমি দখল! অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: ভাঙড়ে জোর করে জমি দখল! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর পূর্বক জমি দখল করে সেই জমিতে বিল্ডিং তৈরি করার অভিযোগ উঠল স্থানীয় তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। এমনই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনারে (South 24 Parganas) ভাঙড়ের লেদার কমপ্লেক্স থানার হাতিশালা এলাকায়। আর শাসক দল হওয়ায় কেউ এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)  

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড়ের হাতিশালা দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা সমীর ঘোষ। তিনি বলেন, ১৯৫৪ সালে আমি জমি কিনেছিলাম। সেই জমি আমাদের দখলেই রয়েছে। কিন্তু, সেই জমি জোর করে দখল করে নেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল নেতা রশিদ মোল্লা, রিন্টু মোল্লা ও ছুন্নত মোল্লা সহ তাঁর  দলবল জোর করে জমি দখল করে সেই জমিতে বিল্ডিং তৈরি করার কাজ করছেন। জানা গিয়েছে, এই রশিদ মোল্লা হচ্ছেন ভাঙড় দু নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ তুহিনা বিবির স্বামী। এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা তিনি। তাঁর নেতৃত্বের জোর করে জমি দখল করার অভিযোগ উঠেছে। কাজ বন্ধ করার জন্য নিষেধ করলেও তা উপেক্ষা করে কাজ করছেন। এ বিষয়ে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদ সদস্য হাকিমূল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি। যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। দল এই ধরনের ঘটনাকে সমর্থন করে না।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার বলেন, তৃণমূল নিজেদের ক্ষমতা দেখাচ্ছে। তৃণমূলের অত্যাচারে নিজের জমিও রাখতে পারছে না। এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। রাজ্যজুড়ে এসব চলছে। এই ধরনের ঘটনা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অবিলম্বে জমি হাঙরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Coochbehar: ভোট চাইতে এলে বিজেপি কর্মীদের বেঁধে রাখার ফরমান দিয়ে বিতর্কে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

    Coochbehar: ভোট চাইতে এলে বিজেপি কর্মীদের বেঁধে রাখার ফরমান দিয়ে বিতর্কে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট যত এগিয়ে আসছে, লজ্জা-শরমের মাথা খেয়ে তৃণমূল নেতারা ততই যেন বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি অশালীন আক্রমণ এবং কদর্য ভাষা ব্যবহারে একজন যেন অন্যজনকে টেক্কা দেওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। বিরোধীরা অবশ্য এর মধ্যে অবাক করার মতো কিছু দেখছেন না। তাঁরা বলছেন, যেখানে দলের নেত্রীর মুখে আগল নেই, সেখানে অন্য নেতারা যে তাঁরই পথ অনুসরণ করবেন, তা নিয়ে আর বলার কী আছে। তালিকায় এবারের সংযোজন হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি তথা কোচবিহার (Coochbehar) পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বিজেপির কর্মীরা যদি বাড়িতে ভোট চাইতে যায় তাহলে তাঁদের বেঁধে রাখার ফরমান জারি করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা অমিত শাহ এবং জেপি নাড্ডাকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করতেও ছাড়েননি। তৃণমূল নেতার এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা।

    কী বললেন তিনি? (Coochbehar)

    সামনেই ভোট। তাই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জেলায় কর্মিসভার আয়োজন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সেরকমই এক কর্মিসভা ছিল তুফানগঞ্জ বিধানসভার শালবাড়ি এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শালবাড়ি হাইস্কুল ময়দানে। সেখানেই ভাষণ দিতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (Coochbehar) বলেন, “বাংলায় কয়েকদিন আগে দুজন এসেছিলেন। একজন কার্তিক ঠাকুরের মতো দেখতে, আর একজন মোটা ভাই অমিত শাহ। মাশান ঠাকুরের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের লোকেরা যদি বাড়িতে ভোট চাইতে যায়, তাহলে বেঁধে রাখবেন এবং জিজ্ঞাসা করবেন ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন আটকে দেওয়া হয়েছে।” কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর সাফ কথা, আগে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া হোক তারপর ভোটের কথা।

    কী বলছে বিজেপি? (Coochbehar)

    তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের সরাসরি জবাব দিয়েছে বিজেপি। দলের তুফানগঞ্জ বিধানসভার (Coochbehar) কনভেনার বিমল পাল বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের তো দুর্নীতির শেষ নেই। গরু চুরি, কয়লা চুরি, ১০০ দিনের টাকা চুরি থেকে শুরু করে আরও কত কী। ওরা এত দুর্নীতি করেছে যে ওদেরই সাধারণ মানুষ বেঁধে রাখবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panihati: নির্মল ঘোষের পানিহাটি উৎসবে মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীরা অধরা

    Panihati: নির্মল ঘোষের পানিহাটি উৎসবে মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীরা অধরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো কিংবা উৎসবে ভিড়ের মধ্যে শ্লীলতাহানি বা কোনও অপরাধ রুখতে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে বিশেষ বাহিনী তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীরা তো রয়েইছে। এসবের পরও এক মহিলা পুলিশ কনস্টেবলের শ্লীলতাহানির ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পানিহাটিতে (Panihati)। তিনি বর্তমানে রাজ্য পুলিশের র‍্যাফে কর্মরত রয়েছেন। ইতিমধ্যেই নির্যাতিতা পুলিশকর্মী খড়দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু, ঘটনা ঘটার পর প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলল, পুলিশ অভিযুক্তদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Panihati)

    গত ২৩ ডিসেম্বর পানিহাটি (Panihati) উৎসবে ডিউটিতে গিয়েছিলেন ওই পুলিশকর্মী। গায়ে উর্দি পরেছিলেন তিনি। ঘড়িতে তখন রাত আনুমানিক দশটা থেকে সাড়ে দশটা। অভিযোগ, সেই সময় একদল মদ্যপ যুবক র‍্যাফের ওই মহিলা কর্মীর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। অভিযুক্তরা স্থানীয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। ওই মহিলা পুলিশকর্মীর শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে মহিলা পুলিশকর্মী বলেছিলেন, আমাকে সেখানে গালিগালাজ করা হয়েছিল। এমনকী ধাক্কাধাক্কির সময় অভব্য আচরণও করা ও হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যে সেখানে কর্তব্যরত অন্যান্য পুলিশ অফিসাররা এসে আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করেছিলেন। এরপরই খড়দা থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জানাই।

    বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সরব হয়েছেন

    এই বিষয় নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার স্যোশাল মিডিয়ায় মহিলার অভিযোগপত্র তুলে ধরে লিখেছেন, বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ পরিচালিত পানিহাটি (Panihati) উৎসবে তৃণমূলের এক কাউন্সিলরের নেতৃত্বে এক মহিলা পুলিশকর্মীকে হুমকি, গালিগালাজ ও শ্লীলতাহানি করা হয়। ৬দিন হতে চলল পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। রাজ্যে নারী সুরক্ষার হাল এতটাই খারাপ যে সাধারণ মহিলা তো বটেই , কর্তব্যরত মহিলা পুলিশও ছাড় পান না তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাত থেকে।

    অভিযোগে কী লিখেছেন মহিলা পুলিশ কর্মী?

    অভিযোগপত্রে মহিলা পুলিশকর্মী কাউকে চিনতে না পারার কারণে, কারও নাম উল্লেখ করেননি। এফআইআর-ও দায়ের করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ থেকে শুরু করে সরকারি কর্মীকে কাজে বাধা, কর্তব্যরত সরকারি কর্মীর উপর চড়াও হওয়া-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত চালাচ্ছে খড়দা থানার পুলিশ। এই ঘটনায় আতঙ্কিত সাধারণ মহিলারা। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশ কর্মী সুরক্ষিত না হলে সাধারণ মহিলাদের নিরাপত্তা কে দেবে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “ধান্দাবাজ, জমি মাফিয়া, চোর, তোলাবাজ”, পোস্টারে তৃণমূল বিধায়কের ‘কাজের স্বীকৃতি’

    Howrah: “ধান্দাবাজ, জমি মাফিয়া, চোর, তোলাবাজ”, পোস্টারে তৃণমূল বিধায়কের ‘কাজের স্বীকৃতি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের হাওড়ার ডোমজুড়ে পোস্টার-বিতর্কে ঝড় উঠল দিনভর। বুধবার সকালেই ডোমজুড়ের (Howrah) বাঁকড়া ১, ২, ৩-তিনটি অঞ্চলেই বেশ কিছু জায়গায় বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের নাম জড়িয়ে ছাপানো ফ্লেক্স-পোস্টার দেখা যায়। উল্লেখ্য, বছরখানেক আগেও কল্যাণের নামে এরকম পোস্টার পড়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছিল। এদিনের পোস্টারে সকলকে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি কল্যাণ ঘোষের নামে ধান্দাবাজ, জমি মাফিয়া, চোর, তোলাবাজ ইত্যাদি বিশেষণ যুক্ত করা হয়েছে। পোস্টারে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০২৩ সালে সাধারণ মানুষের কোনও কাজ করা হয়নি। কিন্তু বিধায়ক নিজের প্রভাব খাটিয়ে সলপ হাই রোডে রাস্তার ওপর ১০টা বড় জমি দখল করে নিয়েছেন। পোস্টারের নীচে প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীবৃন্দ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিরোধীরা আড়ালে বলছেন, এ তো তৃণমূল বিধায়কের কাজেরই স্বীকৃতি। 

    কোন্দলেরই ফল? (Howrah)

    এই পোস্টারের বিষয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিরোধীদের দিকে আঙুল তোলা হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির পক্ষে স্পষ্ট ভাবে ঘটনায় তাদের কোনও হাত নেই বলে জানানো হয়েছে। তৃণমূলেরই অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জন্য কল্যাণের বিরোধী গোষ্ঠীর লোকজন এই ঘটনায় যুক্ত থাকতে পারে বলে তারা দাবি করেছে। সিপিএম নেতা (Howrah) উত্তম বেরা বলেন, ‘এর আগেও কল্যাণ ঘোষকে কোণঠাসা করার জন্য ওঁর বিরোধী গোষ্ঠী সক্রিয় ছিল। ওঁকে জেলা পরিষদ আসনে গোঁজ প্রার্থী দিয়ে ভোট লুট করে হারানো হয়েছিল, একথা সবাই জানে। ওদের দলের কোন্দল রয়েছে। তারই ফল এই পোস্টার।’

    “জমি মাফিয়ারা কুৎসা রটাচ্ছে”

    কিন্তু যাঁর বিরুদ্ধে এই পোস্টার, সেই কল্যাণ ঘোষ বিরোধী বা দলের বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর কারও নাম নেননি। তাঁর বক্তব্য, ‘তিনি বিধায়ক (Howrah) হওয়ার আগের দশ বছরে জমি মাফিয়া ও তোলাবাজরা একতরফা প্রচুর তোলা তুলেছে ও জমি দখল করেছে। তিনি বিধায়ক হওয়ার পর সেসব বন্ধ করেছেন বলেই তাঁর ওপর আক্রোশ থেকে সেইসব জমি মাফিয়ারাই কুৎসা রটাচ্ছে। এতে লাভ কিছু হবে না বলেও আত্মবিশ্বাসী তৃণমূলের হাওড়া সদরের সভাপতি কল্যাণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC leader: বিদ্যাসাগরের সঙ্গে তুলনা সংসদ সভাপতির! চরম বিতর্কে তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী

    TMC leader: বিদ্যাসাগরের সঙ্গে তুলনা সংসদ সভাপতির! চরম বিতর্কে তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত মঙ্গলবার বর্ধমানের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর সার্থক বংশধর বলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে বলেছিলেন, ‘মমতা যথার্থ উত্তরসূরী’। এবার এই বিতর্কের মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতিকে বিদ্যাসাগরের সঙ্গে তুলনা করলেন হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথিরিটির চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক (TMC leader) তথা প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর। আর তাই নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    কী বললেন প্রাক্তন বিধায়ক (TMC leader)?

    পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর বিধানসভা এলাকার একটি মেলায় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর (TMC leader) বলেন, “প্রাথমিক শিক্ষার ভার বিদ্যাসাগরের পরে যাঁর ওপর পড়েছে, তিনি হলেন হাবিবুর রহমান।” এর পরেই ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। সত্যিই কি বিদ্যাসাগরের পরে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হাবিবুরকেই? উল্লেখ্য, পরে প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী ভুল স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, “অনেক লোকজন ছিল, তাই হয়তো একটু ভুল বলা হয়েছে।”

    প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ চেয়ারম্যানের বক্তব্য

    প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান বলেন, “পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্রের সঙ্গে আমার তুলনা ভাবা যায় না। বিদ্যাসাগরের কাছে আমি অত্যন্ত নগণ্য মানুষ। তবে তিনি (TMC leader) হয়তো অন্য কিছু বলতে চেয়েছেন। প্রাথমিক শিক্ষার দায়িত্বে যেহেতু বিদ্যাসাগর ছিলেন, তাই বিদ্যাসাগরের সঙ্গে এই তুলনা ঠিক নয়।”

    মমতা চৈতন্যের উত্তরসূরী

    রাজ্যে বাঙালি মহাপুরুষদের সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর তুলনা টেনে বারবার বিতর্ক তৈরি করেছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা (TMC leader)। তাই বিরোধীদের অভিযোগ, এই ধরনের কথা বলে মমতার স্নেহধন্য হওয়ার একটা প্রতিযোগিতা চলছে রাজ্যে। ব্রাত্য বসু বলেছেন, মমতা চৈতন্যের ‘উত্তরসূরী’, ডাক্তার নির্মল মাজি বলেছেনে, মমতা ‘সারদা দেবী’। আবার তৃণমূলের আরও অনেক জেলার নেতা মমতাকে বলেছেন, লতা মঙ্গেশকর, সচিন, আবার কখনও ভগ্নী নিবেদিতাও। বিরোধীদের বক্তব্য, বাংলার মহাপুরুষদের সঙ্গে তুলনা করে কার্যত বাংলার সংস্কৃতিকেই ছোট করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Road Accident: কালিম্পঙের পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত দক্ষিণেশ্বরের যুবক, আহত পরিবারের আরও ৬

    Road Accident: কালিম্পঙের পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত দক্ষিণেশ্বরের যুবক, আহত পরিবারের আরও ৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ে এখন পর্যটনের ভরা মরশুম চলছে। শীতের ঠান্ডা গায়ে মেখে পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দল দল মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন পাহাড়ে। কারও গন্তব্য দার্জিলিং, কারও কালিম্পং, কেউ বা ছুটছেন নর্থ সিকিমে। আনন্দের মাঝেই এল বিষাদের খবর। বৃহস্পতিবার সাত সকালে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন এক যুবক, গুরুতর জখম অবস্থায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি আরও ২ জন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, এঁরা সকলেই দক্ষিণেশ্বরের বাসিন্দা। যাচ্ছিলেন কালিম্পঙের চুইকহিমের বাড়িতে। কিন্তু বাগডোগরার কাছে গোঁসাইপুরে তাঁদের বোলেরো গাড়িটি মারাত্মক দুর্ঘটনার (Road Accident) কবলে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ইন্দ্রাশিস চক্রবর্তী নামে ওই যুবকের। বাগডোগরা থানার পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করে।

    কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? (Road Accident)

    প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জেনেছে, এশিয়ান হাইওয়ে ২ দিয়ে গাড়িটি প্রচণ্ড গতিতে ছুটছিল। আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁদের বোলেরো গাড়িটি একটি বাসের পিছনে ধাক্কা মারে। ফলে গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় (Road Accident)। গাড়িতে একই পরিবারের মোট ৭ জন যাত্রী ছিলেন। সকলেই কমবেশি আহত হন। আহত ৬ জনের মধ্যে ২ জনের আঘাত গুরুতর। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত গাড়িটিকে থানায় নিয়ে যায়। চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণেই এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা বলে পুলিশ জেনেছে। ফলে এমন খবরে অন্যান্য পর্যটকরাও একাধারে মর্মাহত এবং আতঙ্কিতও। বলা বাহুল্য, তাঁদের দক্ষিণেশ্বর এলাকাতেও নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

    কী জানালেন মৃতের বাবা? (Road Accident)

    মৃত যুবক ইন্দ্রাশিসের বাবা ইন্দ্রনীল চক্রবর্তী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এদিন সকালে দুর্ঘটনাটি (Road Accident) ঘটেছে। ছেলেকে তিনি হারিয়েছেন, তাঁর স্ত্রীর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। গাড়িতে আর যাঁরা ছিলেন, সকলেই অল্পবিস্তর আহত হয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Bardhaman: গ্যাসের রি-কেওয়াইসি’র নামে ফের টাকা নেওয়ার অভিযোগে ধুন্ধুমার

    Paschim Bardhaman: গ্যাসের রি-কেওয়াইসি’র নামে ফের টাকা নেওয়ার অভিযোগে ধুন্ধুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য যেন মগের মুলুক। সরকার বা প্রশাসনের কোনও নিয়ন্ত্রণই নেই। যে কাজে টাকা লাগার কথা নয়, সেই কাজে টাকা নেওয়াটা যেন রাজ্যে অলিখিত প্রথা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর প্রশাসন! সে তো চোখ থাকতেই অন্ধ। গ্যাসের ভর্তুকির রি-কেওয়াইসি করে দেওয়ার নামে ডিলাররা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। ফের এমন অভিযোগে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে পশ্চিম বর্ধমানের উখড়ায় (Paschim Bardhaman)।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Paschim Bardhaman)?

    নতুন নিয়ম অনুযায়ী গ্যাসে ভর্তুকি পেতে হলে রি-কেওয়াইসি করাটা বাধ্যতামূলক। বিভিন্ন জায়গায় সম্প্রতি শুরু হয়েছে রি-কেওয়াইসির কাজ। গ্যাসের দোকানে তাই লম্বা লম্বা লাইন। কিছু জায়গায় আধার যোগের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে উঠছে অভিযোগ। এই নিয়ে এলাকার (Paschim Bardhaman) মানুষের প্রশাসনের বিরুদ্ধে বেজায় ক্ষুব্ধ। বৃহস্পতিবার উখড়া (Paschim Bardhaman) গ্রামের নতুন হাটতলা এলাকায় দেখা গেল এরকমই ছবি। চার-পাঁচদিন ধরে নতুন হাটতলায় একটি দোকানের বাইরে উজ্জ্বলা গ্যাসের ভর্তুকির জন্য আধার যোগের কাজ চলছিল অস্থায়ী ক্যাম্প করে। ওই ক্যাম্পে প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে আধার যোগের নামে ৪০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ। তবে টাকা নিলেও কোনও রসিদ না দেওয়ায় সন্দেহ হয় গ্রাহকদের। খোঁজ নিয়ে গ্রাহকরা জানতে পারেন, আধার লিঙ্কের জন্য কোনও টাকা লাগে না। এরপরই টাকা ফেরত দেওয়ার দাবিতে সরব হন গ্রাহকদের একাংশ। এরপর ক্যাম্পে ছড়ায় উত্তেজনা।

    ঘটনাস্থলে পুলিশ

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে উখড়া (Paschim Bardhaman) ফাঁড়ির পুলিশ। গ্যাসের ডিলার বিশ্বজিৎ মাঝি ও কর্মী নির্মলকুমার ঠাকুরকে আটক করে উখড়া ফাঁড়িতে নিয়ে যায় পুলিশ। স্থানীয় গ্রাহক সীমা রুইদাস এবং নাসরিন খাতুন বলেন, “রি-কেওয়াইসি’তে আধার যোগের জন্য ৪০ টাকা করে আমাদের কাছে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিনিময়ে কোনও রসিদ দেয়নি ওই ডিলার।” ঘটনায় অভিযুক্ত আটক ডিলার বিশ্বজিৎ মাজি বলেন, “ক্যাম্পটি আয়োজন করেছে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। কেন টাকা নেওয়া হয়েছে, সেটা তারাই বলতে পারবে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    উখড়া (Paschim Bardhaman) গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মীনা কোল বলেন, “ক্যাম্প করার কথা পঞ্চায়েতকে জানানো হয়নি। আধার যোগের নামে টাকা নেওয়াটা বেআইনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share