Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • South 24 Parganas: বাড়ির সামনে গাছ কেটে বিজেপি কর্মীকে শিক্ষা! অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: বাড়ির সামনে গাছ কেটে বিজেপি কর্মীকে শিক্ষা! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির সামনে বিজেপি কর্মীর লাগানো গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপ থানার রামগোপালপুর গ্রামে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূলের অঞ্চল প্রধান থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সত্যব্রত মাইতির নামে থানায় অভিযোগ জমা পড়েছে। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপি কর্মীর নাম তাপস পট্টনায়ক। ২৫ বছর আগে শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তি পেয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রামগোপালপুর গ্রামে স্ত্রী মনোরমা পট্টনায়ককে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। বাড়ির সামনে জমিতে তিনি গাছ লাগিয়েছিলেন। সেই জমির কিছুটা অংশ খাস জমি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। পঁচিশ বছর ধরে জায়গাটি দখল করে থাকার সুবাদে দুয়ারে সরকারে রেকর্ড সংশোধন ও তাঁদের নামে পাট্টার জন্য আবেদন করেছিলেন। এরই মধ্যে তৃণমূল নেতারা দলবল নিয়ে এসে সব বড় বড় গাছ কেটে নিয়ে চলে যায়। তাপস পট্টনায়ক বলেন, গাছগুলিকে সন্তানের মতো মানুষ করেছি। বিজেপি করি বলেই সব গাছ কেটে নিয়ে চলে গেল। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সত্যব্রত মাইতি বলেন, এই ঘটনাটি পুরোটাই পারিবারিক গন্ডগোল। ইচ্ছাকৃতভাবেই রাজনৈতিক হিংসা চরিতার্থ করতে আমার নাম জড়ানো হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নই। তৃণমূলের অন্যান্য নেতাদের জড়িত থাকার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির কাকদ্বীপ ৩ মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক হরেন্দ্রনাথ কামিল্যা বলেন, বিজেপি করে বলেই এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। গাছ কাটার জন্য বন দফতরের অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন, সেটাও তৃণমূল নেতারা করেনি। তৃণমূলের অত্যাচারে দলীয় কর্মীরা অতিষ্ঠ। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির প্যারেডে যোগ দেবেন আসানসোলের সোনিয়া

    Asansol: প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লির প্যারেডে যোগ দেবেন আসানসোলের সোনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে দিল্লির রাজপথে প্রতি বছর প্যারেড হয়। ২০২৪ সালের ২৬ জানুয়ারিও সেই রীতি মেনে প্যারেড হবে। এবার সেই প্যারেডে অংশ নেওয়ার সুযোগ পেলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের (Asansol) সোনিয়া বাউরি। তিনি  রানিগঞ্জের টিডিবি কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তাঁর বাড়ি জামুড়িয়া থানার চাঁদা স্কুলপাড়া এলাকায়। ন্যাশনাল সোশ্যাল সার্ভিস (এনএসএস) করা কলেজ পড়ুয়া সোনিয়া বাউরি রাজ্যের যে আটজন প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে দিল্লিতে সুযোগ পেয়েছেন, তার মধ্যে অন্যতম।

    কী বললেন সোনিয়া? (Asansol)

    জানা গিয়েছে, সোনিয়া বাউরি এনএসএস কর্মী হিসেবে গত ১৪ নভেম্বর একটি প্রশিক্ষণে অংশ নিতে ওড়িশার ভুবনেশ্বরে যান। ১৫ নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সেখানে তাঁর ১০ দিনের প্রশিক্ষণ হয়। মোট ৪৪ জন সেখানে ছিলেন। ২৫ নভেম্বর তিনি আসানসোলে (Asansol) ফিরে আসেন। দিনকয়েক আগে সোনিয়া জানতে পারেন দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসে প্যারেডে এনএসএস কর্মী হিসেবে অংশ নেওয়ার তিনি সুযোগ পেয়েছেন। সোনিয়া বলেন, ‘এই কলেজে প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার সময় জানতে পারি যে, এখানে এনএসএসের একটা ইউনিট রয়েছে। পড়াশুনার পাশাপাশি সামাজিক কাজ করার আগ্রহ থেকে ওই ইউনিটে ভর্তি হই। সেখানে প্রথমে কলেজ স্তরে সিলেকশন হয়। তারপর বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে সিলেকশন হওয়ার পরে ভুবনেশ্বরে যাই। খুব ভালোভাবে প্রশিক্ষণ নিয়েছি। যে কাজ দিয়েছে, সেই কাজ মন দিয়ে করেছি। এতবড় সুযোগের বিষয়টি আমি ওখানে কিছু জানতে পারিনি। দিন কয়েক আগে আমাকে মেল করে এই সিলেকশনের কথা জানানো হয়। এমন সুযোগ পেয়ে সত্যি খুব ভালো লাগছে। সবসময় টিভিতে দেখেছি। এবার তাতে অংশ নিতে চলেছি।’

    গর্বিত পরিবারের লোকজন

    সোনিয়ার ২৬ জানুয়ারি প্যারেডে অংশগ্রহণের খবরে তাঁর পরিবারের সদস্য, এলাকার বাসিন্দা থেকে কলেজ কর্তৃপক্ষ ও সহপাঠী সবাই গর্বিত। তিনি পড়াশুনা করেন মামারবাড়ি থেকে। পরিবারের সদস্যদের বত্তব্য, মেয়ে নিজের যোগ্যতায় প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন রাজপথে হাঁটবে ভেবে গর্বে মন ভরে যাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dacoits: মালদার সোনার দোকানে ডাকাতিতেও বিহার-যোগ! পুলিশ কাউকে ধরতেই পারল না

    Dacoits: মালদার সোনার দোকানে ডাকাতিতেও বিহার-যোগ! পুলিশ কাউকে ধরতেই পারল না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ মিনিট ৩ সেকেন্ডে মালদার চাঁচলে সোনার দোকানে সর্বস্ব লুট করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পর দু’দিন পেরিয়ে গেলেও ডাকাতির (Dacoits) কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। দোকানের ম্যানেজারের দাবি, যে পরিমাণ সোনার অলঙ্কার দুষ্কৃতীরা লুট করেছে, তার মূল্য কোটি টাকারও বেশি। আর সিসি ক্যামেরা দেখে দুষ্কৃতীদের চেনার চেষ্টা করা হলেও সকলেই হেলমেট পরে থাকায় তাদের চিনতে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশ কর্তাদের। চাঁচলে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করে ইতিমধ্যেই থানা ঘেরাও করে বিজেপি। দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানান বিজেপি নেতারা।

    ডাকাতির ঘটনায় বিহার-যোগ (Dacoits)  

    গত কয়েক মাসের মধ্যে রাজ্যে একের পর এক ডাকাতির (Dacoits)  ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ডাকাতদলের টার্গেট সোনার গয়নার দোকান। নদিয়ার রানাঘাট এবং পুরুলিয়া শহরে সেনকো গোল্ডের শোরুমে ডাকাতিতেও বিহার-যোগ পাওয়া গিয়েছিল। বারাকপুরে সোনার দোকানে ঢুকে দোকানের মালিকের ছেলেকে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় বিহার-যোগ পেয়েছিল পুলিশ। মালদার ডাকাতির ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বিহারের গ্যাং এই ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত। সঙ্গে স্থানীয় দুষ্কৃতীরা রয়েছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।

    পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নন সোনার দোকানের মালিক

    চাঁচলের আগেই মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির (Dacoits) ঘটনা ঘটেছিল। মাসখানেকের মধ্যে ফের সেই সোনার দোকান লুট হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। দোকানের মালিক তথা চাঁচল ব্যবসায়ী সমিতির কর্মকর্তা কর্ণ বিশ্বাস বলেন, এক মাসের ব্যবধানে চাঁচল এবং হরিশ্চন্দ্রপুরে পর পর ডাকাতির ঘটনা ঘটল। দুটোই সোনার দোকানে। এখানে পুলিশের ভূমিকায় আমরা সন্তুষ্ট নই। ডাকাতদল পালিয়ে যেতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এল, এটাও কেন হবে? থানা থেকে এই বাজার তো ঢিল ছোড়া দূরত্বে। এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে ধরতেও পারল না।

    জেলা পুলিশ সুপার কী বললেন?

    মালদা জেলার পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, কত টাকার অলঙ্কার লুট হয়েছে, তা ওই দোকানের মালিকের সঙ্গে কথা বলার পর পরিষ্কার করে বলা যাবে। ইতিমধ্যে সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: বাংলার প্রদীপ জ্বলবে অযোধ্যায়! সাইকেলে রাম মন্দিরের উদ্দেশে পাড়ি তিন যুবকের

    Ram Mandir: বাংলার প্রদীপ জ্বলবে অযোধ্যায়! সাইকেলে রাম মন্দিরের উদ্দেশে পাড়ি তিন যুবকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির (Ram Mandir) নিয়ে এখন সাজো সাজো রব। হোটেল বুকিং অনেক আগে থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। রামলালাকে নিয়ে চলছে এলাহি আয়োজন। আর ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ সাইকেল চালিয়ে রাম মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। এরই মধ্যে অযোধ্যার মন্দিরে প্রদীপ জ্বালানো নিয়ে বড় উদ্যোগ গ্রহণ করলেন বীরভূমের তিন যুবক। এই জেলার নলহাটি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং পুরসভার হিন্দ ক্লাবের সদস্য তিন যুবক নীতেশ সাহানি, সুদীপ মাল ও রাজ মাল একসঙ্গে সাইকেল চালিয়ে রওনা দিলেন অযোধ্যার উদ্দেশে। তাঁদের উদ্যোগকে কুর্ণিশ জানালেন এলাকাবাসী।

    সতীপীঠে পুজো দিয়ে রওনা দিলেন তিন যুবক (Ram Mandir)

    এত দূর পথ অতিক্রম করার আগে নলহাটি শহরের রাম মন্দির এবং ৫১ সতীপীঠের অন্যতম সতীপীঠ নলহাটির নলহাটেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে তাঁরা এই যাত্রার সূচনা করেন। আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন। নিজের হাতেই রামলালাকে নতুন মন্দিরে প্রবেশ করাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি! পুজোর আয়োজনের অনেকটাই তিনি নিজে হাতে করবেন বলে জানা গিয়েছে। রামলালার ৫ ফুটের মূর্তিটি প্রায় ৫০০ মিটার কোলে নিয়ে মূল মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেই কর্মযজ্ঞে সামিল হতে পাড়ি দিয়েছেন বীরভূমের তিন যুবক। নলহাটি শহর থেকে প্রায় ৮০৪ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আগামী বছর ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করতে চান তাঁরা। আর সেই ইচ্ছাশক্তি নিয়ে সাইকেলে করে রাম নাম করতে করতে অযোধ্যার মন্দিরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন। তিন যুবকের ইচ্ছে, রাম মন্দিরের উদ্বোধনের সন্ধ্যায় তাঁরা সেখানে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করবেন। নলহাটি থেকে সাইকেলে করে রওনা হওয়ার সময় দীর্ঘ প্রায় দু কিলোমিটার পথ হেঁটে তাঁদের উৎসাহিত করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: রাজ্যে ফের সক্রিয় এটিএম প্রতারণা চক্র! টাকা হাতানোর কৌশল জানলে চমকে উঠবেন

    Hooghly: রাজ্যে ফের সক্রিয় এটিএম প্রতারণা চক্র! টাকা হাতানোর কৌশল জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এটিএম থেকে টাকা হাতানোর চক্র ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজ্যে। এটিএমের মধ্যে নানা কৌশল প্রয়োগ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিত দুষ্কৃতীরা। এবার এটিএম থেকে টাকা হাতানোর অভিনব পরিকল্পনা নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়ায়। বিষয়টি সামনে আসতেই ব্যাঙ্কের আধিকারিক থেকে পুলিশের কর্তাদের চোখ কপালে উঠে গিয়েছে।

     টাকা হাতানোর অভিনব কৌশল কী? (Hooghly)

    সোমবার বড়দিন উপলক্ষে হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়ার চকবাজারের হুগলি ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে ছুটি ছিল। মঙ্গলবার সকালে নির্দিষ্ট সময়ে ব্যাঙ্ক খোলে। ব্যাঙ্কের পাশেই রয়েছে এটিএম কিয়স্ক। ব্যাঙ্কের কর্মী অলোক পাল সিসি ক্যামেরায় দেখতে পান, এক যুবক এটিএমের ভিতরে রয়েছেন। এটিএম মেশিনের শাটার জ্যাম (টাকা বেরোনোর অংশে হাত বা কিছু ঢুকিয়ে দেওয়া) করে প্রতারণার চেষ্টা করছিল সোনু কুমার নামে বছর উনিশের এক তরুণ। সিসিটিভিতে চোখ যেতেই চক্ষু চড়ক গাছ হয় এক ব্যাঙ্ক কর্মীর। তড়িঘড়ি ব্যাঙ্কের সামনেই থাকা ওই এটিএমের ভিতর থেকে যুবককে ধরা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা সোনু টাকা বেরোনোর প্রক্রিয়া শুরু হতেই শাটার জ্যাম করে দিত। এরপর টাকা বেরিয়ে যেত। অথচ সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের কম্পিটারে বিস্ময়সূচক (সাসপেক্ট) লেনদেন দেখাত। এরপর নিজের ব্যাঙ্কে গিয়ে সেই ডিটেলস দিয়ে টাকা নিয়ে নিত। এ দিন চুঁচুড়ার চকবাজারের ওই সমবায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পুলিশের হাতে তুলে দেয় সোনুকে। 

    দুটি এটিএম থেকে ১৪ বার সন্দেহজনক লেনদেন!

    এক ব্যাঙ্ককর্মী বলেন, আমাদের এটিএম যে এজেন্সির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ, তারা জানিয়েছে গত দু’দিনে ১৪ বার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে দুটি এটিএম থেকে। একটি চকবাজারের। আর একটি ফুলপুকুর শাখায়। সব মিলিয়ে মোট ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা তোলা হয়েছে। লেনদেনের সময় শাটার বন্ধ করে ওই লেনদেন করেন অভিযুক্তরা। এটিএম লেনদেন হওয়ার পর একটা ‘কোড’ আসে। সেটা থেকে জানা যায় লেনদেন সম্পর্কে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে এটিএম-এ টাকা তোলা যায়নি দেখিয়ে ব্যাঙ্ক থেকে টাকা দাবি করা হয়। ব্যাঙ্কের ম্যানেজার সুরঞ্জন হালদার বলেন, ‘দু’দিনে লক্ষাধিক টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। তাই আজ এক জন সন্দেহভাজনকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত বলছেন, তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। পুলিশ দেখুক কী রহস্য আছে, এর পিছনে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: ‘জগদ্দলের বিধায়কের মায়ের স্কুলে চাকরি করে দিয়েছিলেন বাবা’, স্বীকার করলেন অর্জুন

    Barrackpore: ‘জগদ্দলের বিধায়কের মায়ের স্কুলে চাকরি করে দিয়েছিলেন বাবা’, স্বীকার করলেন অর্জুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্বে রাশ টেনেছে দল। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ইতিমধ্যেই অর্জুন সিংকে সোমনাথ ইস্যুতে মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সেই নির্দেশকে ফুৎকারে উড়িয়েই ফের বিস্ফোরক অর্জুন। আবারও জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে তুলোধোনা করলেন তিনি। স্বাভাবিকভাবে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপের পরও আরও একবার সোমনাথ-অর্জুনের দ্বৈরথ ফের প্রকাশ্যে চলে এলো।

    অর্জুনকে নিয়ে কী বলেছিলেন সোমনাথ? (Barrackpore)

    তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুন হওয়ার পর থেকেই উত্তাল বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলের রাজনীতি। এই তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অর্জুনের ভাইপো পাপ্পু সিংকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারপর থেকেই সোমনাথ-অর্জুনের দ্বন্দ্ব একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। দলীয় মিটিং, পথসভায় প্রকাশ্যেই একে অপরের বিরুদ্ধে সোমনাথ এবং অর্জুন সিংকে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। দুদিন আগেই জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, আমার কাছে হলুদ ফাইল রয়েছে। সেখানে অর্জুন সিং এর সমস্ত তথ্য রয়েছে। হলুদ ফাইল খুললেই সাংসদের সমস্ত দুর্নীতি  সামনে চলে আসবে।

    বাবার দৌলতে বিধায়কের মা চাকরি পেয়েছেন: অর্জুন

    মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে অর্জুন বলেন, দলের রাজ্য সভাপতি আমাকে চুপ থাকতে বলেছেন। তাই এই বিষয়ে আমি আর বেশি কোনও কথা বলবো না। এরপরই তিনি বলতে শুরু করেন, আমি কোন হলুদ ফাইল, নীল ফাইলের কথা বলবো না। যেটা সত্যি, জগদ্দল এর মানুষ যেটা জানেন, আমি সেই কথাই বলবো। তিনি বলেন, জগদ্দল এর বিধায়কের মায়ের প্রাইমারি স্কুলে চাকরি আমার বাবা করে দিয়েছিলেন। সেখানে মিঠু সাউ বলে একজনকে নেওয়ার কথা ছিল। তাকে বাদ দিয়ে বিধায়কের মাকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল প্রাইমারি স্কুলে। এটা সবাই জানেন।

    তোলাবাজি বন্ধ হয়ে যাবে বলেই আক্রমণ

    সোমনাথ শ্যামের এই বার বার আক্রমণ প্রসঙ্গে অর্জুন বলেন, আমি বিজেপিতে যাওয়ার পর বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে রমরমিয়ে তোলাবাজি শুরু হয়েছিল। আমি তৃণমূলে ফিরে আসতেই তোলাবাজিতে লাগাম টেনেছি। এবার দল যদি আমার উপর আস্থা রাখে এবং আমি যদি ফের সাংসদ নির্বাচিত হই তাহলে তাদের তোলাবাজি পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এখন আমার বিরুদ্ধে এসব কথা বলে ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা করছে। কিন্তু, এলাকার মানুষ জানেন, অর্জুন সিং কেমন মানুষ। এসব নোংরামো করে ভোট ব্যাঙ্কে কোন প্রভাব পড়বে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: হাসপাতালে রক্তের আকাল! সক্রিয় দালালচক্র, কী করছে স্বাস্থ্য দফতর?

    Murshidabad: হাসপাতালে রক্তের আকাল! সক্রিয় দালালচক্র, কী করছে স্বাস্থ্য দফতর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রমরমিয়ে চলছে রক্তের দালালচক্র। টাকার বিনিময়ে রোগীর  পরিবারের লোকজনকে রক্ত বিক্রি করছে বলে অভিযোগ। হাসপাতালের কর্মীদের জ়ড়িয়ে থাকার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ইতিমধ্যেই এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দুজনকে রক্তদাতা সংগঠনের সদস্যরা হাতেনাতে ধরে ফেলেন। যদিও দুজনই বহিরাগত। তবে, এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বছরে ৩০ হাজার ইউনিট রক্ত লাগে! (Murshidabad)

    মেডিক্যালের ব্লাড ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, আগের তুলনায় রক্তের চাহিদা বেড়েছে। ২০১৪-১৫ সালে বছরে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১৫-১৬ হাজার ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হত। গত কয়েক বছরে প্রায় ৩০ হাজার ইউনিটের আশপাশে রক্তে লাগছে। মেডিক্যালে চিকিৎসা পরিষেবা বেড়েছে। রক্তের চাহিদাও বেড়েছে। চাহিদা অনুযায়ী রক্তের জোগান অনেকটাই কম। তাই, বরাবরই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ব্লাড ব্যাঙ্কে চাহিদার তুলনায় রক্ত সরবরাহ কম থাকে। আর উৎসবের মরসুম হলে রক্তদান শিবির কমে যায়। যার জেরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কেও রক্তের আকাল দেখা দেয়। সেই সুযোগটাই নেয় রক্তের দালালেরা। এ বারে শীত পড়তে উৎসবের মরসুম শুরু হয়েছে। যার জেরে রক্তের সঙ্কট বেড়েছে। আর এই সুযোগে টাকার বিনিময়ে দালালেরা সেখানে রক্ত বিক্রি করছে বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।

    মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ কী বললেন?

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অধ্যক্ষ অমিত কুমার দাঁ বলেন, চাহিদার তুলনায় রক্তের জোগান কম। এই পরিস্থিতিকে কখনও কখনও দালালেরা কাজে লাগায়। তবে আমরা নিয়মিত নজরদারি চালাই। বিনা পয়সায় মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করা হয়। রক্তের জন্য কোনও অর্থ দিতে হয় না, এ কথা হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় লেখা রয়েছে। কোনও পরিষেবা দেওয়ার পরিকাঠামো না থাকলে আমরা রোগীদের বিষয়টা জানিয়ে দিই। সকলেই রক্তদানে এগিয়ে আসুন। সেই সঙ্গে অর্থের বিনিময়ে কারও কাছ থেকে রক্ত নিতে যাবেন না। ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত না থাকলে দাতা এনে রক্ত নেওয়ার ব্যবস্থা করুন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যকে হাঁসুয়ার কোপ! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Malda: শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্যকে হাঁসুয়ার কোপ! অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে তৃণমূলের এক  নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের বাবা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) মোথাবাড়ি থানার উত্তর পঞ্চানন্দপুর এলাকায়। আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্যের নাম রথীন সরকার এবং তাঁর বাবার নাম শ্যামল সরকার। এই ঘটনায় আক্রান্ত পঞ্চায়েত সদস্য হামলাকারী তৃণমূল নেতা বাপি সরকার ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    আক্রান্তকারী পুলিশকে কী বললেন? (Malda)

    আক্রান্ত তৃণমূল নেতার বাড়ি মালদার (Malda) মোথাবাড়ি থানার উত্তর পঞ্চানন্দপুর এলাকায়। পুলিশকে অভিযোগকারী আক্রান্ত তৃণমূল নেতা রথীন সরকার বলেন, ‘এলাকায় দলীয় একটি কর্মসূচির জন্য ফ্ল্যাগ ও ফেস্টুন টাঙানোর কাজ চলছিল। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে আমিও সেখানে ছিলাম। সেই সময় তৃণমূল নেতা বাপি সরকার তাঁর দলবল নিয়ে এসে গোলমাল শুরু করেন। প্রতিবাদ করলে হাঁসুয়া দিয়ে আমার ওপর হামলা চালান। মাথায় কোপ মারতে গেলে হাত দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করি। আমার বাবা ঘটনাটি দেখতে পেয়ে ছুটে আসে। ওরা বাবাকেও মারধর করে। তারপর আমার চিৎকার শুনে স্থানীয় তৃণমূলের কার্যালয় থেকে কর্মীরা ছুটে আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পুরো বিষয়টি নিয়ে হামলাকারী বাপি সরকার ও তাঁর ভাই টনি সরকার-সহ দলবলের বিরুদ্ধে মোথাবাড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।’

    হামলাকারী কী সাফাই দিলেন?

    এদিকে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই তৃণমূল নেতা বাপি সরকার বলেন,’ঘটনাটি মিথ্যা। এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। বরং, রাস্তা ঘিরে ওরা কাজ করছিল। প্রতিবাদ করাতেই পাল্টা তৃণমূলের নির্বাচিত পঞ্চায়েতে সদস্যের দলবল আমার ওপর হামলা চালায়। মোথাবাড়ি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।’

    জেলা নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূলের মালদা (Malda) জেলা সহ- সভাপতি দুলাল সরকার বলেন, ‘অন্যায়ভাবে দলের এক নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: সাইকো কিলার? হাওড়ায় শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন! ধৃতের বয়ানে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    Howrah: সাইকো কিলার? হাওড়ায় শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন! ধৃতের বয়ানে চাঞ্চল্যকর তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ির কাছ থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায় এক শিশুকন্যা। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নিথর দেহ উদ্ধার হয় তার। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ার একটি গ্রামে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ছয় বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম এরশাদ মালি। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশের হাতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। সেই তথ্য হাতে পেয়ে পুলিশ কর্তারা হতবাক হয়ে গিয়েছেন।

    ধর্ষণ করে শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধ করে খুন! (Howrah)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ ডিসেম্বর হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়ায় শিশুকন্যাটি বাড়ির সামনে খেলছিল। সেখান থেকেই রহস্যজনকভাবে সে নিখোঁজ হয়ে যায়। পাঁচ ঘণ্টা তল্লাশি চালানোর পরে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে, অন্য একটি বাড়ির পাঁচিলের ভিতরে মেয়েটির বস্তাবন্দি দেহ মেলে। তারপরেই ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। সিসি ক্যামেরায় এরশাদকে সাইকেলে করে ওই বস্তা নিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। রবিবার রাতে অভিযুক্ত এরশাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় সে কবুল করে, বাড়ির সামনে থেকে মেয়েটিকে ভুলিয়ে কিছুটা দূরে বস্তির একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তার পরে প্যান্ডেল বাঁধার কাপড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করে দেহ ব্যাগে ভরে।

    ধর্ষণে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কী পেল পুলিশ?

    ধর্ষণে অভিযুক্ত এরশাদের বাড়ি কলকাতার মেটিয়াবুরুজে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সে বিদ্যুতের মিস্ত্রি হিসাবে একটি ঠিকা সংস্থার হয়ে হাওড়ার ওই গ্রামে কাজ করতে এসেছিল। এর পরেই তদন্তে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তদন্তকারীরা জানান, এর আগে ২০২০ সালেও এরশাদের বিরুদ্ধে কলকাতার একটি শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। বরাতজোরে শিশুটি রক্ষা পায়। এরশাদকে সেই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে সে জামিন পায়। এবারও সেই একই কায়দায় ধর্ষণ করে খুন। সাইকো কিলার কি না, সেটা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: প্রেমের প্রস্তাবে না, কার্যালয়ে ডেকে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতা

    Nadia: প্রেমের প্রস্তাবে না, কার্যালয়ে ডেকে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার প্রেমের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এক কলেজ ছাত্রী। এটাই তাঁর অপরাধ। এরপর  ওই কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে তৃণমূল ছাত্র নেতা যা করেছেন তা জানলে চমকে উঠবেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) নবদ্বীপ শহরে।  

    দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে শ্লীলতাহানি! (Nadia)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণী নদিয়ার (Nadia) নবদ্বীপের বিদ্যাসাগর কলেজের ছাত্রী। আর অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র নেতার নাম শ্যামসুন্দর দাস। তিনি নবদ্বীপ শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ সভাপতি। কলেজের এক ছাত্রীকে এক যুবকের মাধ্যমে তিনি প্রেমের প্রস্তাব দেন। কিন্তু, সেই কলেজ ছাত্রী তাঁর সেই প্রস্তাবে সাড়া দেননি। অভিযোগ, এরপর একদিন রাধাবাজারের দলীয় কার্যালয়ে ছাত্রীকে ডেকে পাঠান। দলীয় কার্যালয়ে সকলে থাকবে মনে করে তরুণী সেখানে যান। অভিযোগ, দলীয় কার্যালয়ের দরজা বন্ধ করে শ্লীলতাহানি করা হয় তাঁর। কোনওমতে দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফেরেন তরুণী। পরিবারের লোকজনকে তিনি সমস্ত ঘটনা জানান। এরপর নবদ্বীপ থানায় যান। অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তৃণমূল ছাত্র নেতা হওয়ায় পুলিশ তাঁকে ধরতে পারেনি। ফলে, এই ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। তাদের বক্তব্য, শাসক দলের নেতা বলে অপরাধ করলে সাত খুন মাফ। এই ধরনের ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দরকার। নাহলে রাস্তাঘাটে মহিলাদের সুরক্ষা বলে কিছু থাকবে না।

    নির্যাতিতার পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    নির্যাতিতার বক্তব্য, ওই ছাত্র নেতা আমাকে মাঝে মধ্যে উত্যক্ত করত। বহুবার আপত্তি জানালেও ও তা মানেনি। অবশেষে আমাকে কার্যালয়ের মধ্যে এরকম করবে তা ভাবতে পারিনি। নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, কলেজে যেতে মেয়ে আতঙ্কিত বোধ করছে। দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে ওই ছাত্র নেতা যা করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। আমরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। পুলিশ ওই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share