Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Bankura: বিষ্ণুপুর মেলায় দাপট দেখাল তৃণমূল! উদ্বোধনে আকাশে উড়ল ঘাসফুল লোগো

    Bankura: বিষ্ণুপুর মেলায় দাপট দেখাল তৃণমূল! উদ্বোধনে আকাশে উড়ল ঘাসফুল লোগো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩৬তম বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আকাশে উড়ল শাসক দল তৃণমূলের লোগো। আর এই ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী থাকলেন ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাঁকুড়ার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক থেকে অন্যান্য সরকারি আধিকারিকদের উপস্থিতিতেই  সম্পূর্ণ  সরকারি অর্থ ব্যয়ে এই মেলায় সুকৌশলে শাসক দলের প্রচার করা হয়েছে বলে অনেকে অভিযোগ করছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Bankura)

    বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রশাসনের কর্তারা হাজির ছিলেন। তৃণমূলের জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায় সহ একাধিক জনপ্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। মেলায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হরেকরকম বাজি ওড়ানো হয়। সঙ্গে বিশেষ যন্ত্রের সাহায্যে ফোমের ফ্লাইং লোগো ওড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেই যন্ত্র থেকেই বিষ্ণুপুর মেলার লোগোর পাশাপাশি তৃণমূলের লোগো উড়তে দেখা যায়। তৃণমূলের লোগো মেলার মাঠে ওড়ানো হয়েছে, একথা স্বীকার করেছেন ওই কাজে দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থার কর্মী নিজেই। এদিন মেলার উদ্বোধনী ‘ফ্লাইং লোগো’ হিসেবে ‘বিষ্ণুপুর মেলা ও তৃণমূলের লোগো’ আকাশে ওড়ানো হয়েছে বলে তিনি স্পষ্টতই স্বীকার করেন।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের বাঁকুড়া (Bankura) জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায় বলেন, মেলার মধ্যে তৃণমূলের লোগো উড়েছে বলে আমাদের জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। এবিষয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে নাম লেখানো বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ন’দিন ধরে সরকারি ব্যবস্থাপনায় মেলা চলছে। তৃণমূলের লোগো আকাশে ওড়ানো ঠিক নয় স্বীকার করেও বিষয়টি তাঁর জানা নেই দাবি করেই দায় এড়িয়েছেন এই ‘দলবদলু’ বিধায়ক।

    তৃণমূল আর প্রশাসন সমার্থক, কটাক্ষ বিজেপির

    পুরো বিষয়টি শাসক দলের ‘নির্লজ্জতার পরিচয়’, দাবি বিজেপির। বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, ‘সরকারি টাকায় মোচ্ছব হচ্ছে। এখন প্রশাসন আর তৃণমূল সমার্থক। এখন বিষ্ণুপুর মেলায় তৃণমূলের লোগো উড়ছে, ক’দিন পর ওই দলটাই হাওয়ায় উড়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP West Bengal: লক্ষ্য চব্বিশের লোকসভা, সাংগঠনিক ঘোষণা বঙ্গ বিজেপির, যুবমোর্চার ইনচার্জ হিরণ

    BJP West Bengal: লক্ষ্য চব্বিশের লোকসভা, সাংগঠনিক ঘোষণা বঙ্গ বিজেপির, যুবমোর্চার ইনচার্জ হিরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বিজেপিতে (BJP West Bengal) বেশ কিছু নতুন সাংগঠনিক ঘোষণা হয় শুক্রবার। তাতে যুব মোর্চার সংগঠন দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অভিনেতা তথা খড়্গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়কে। প্রসঙ্গত, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি রয়েছেন ইন্দ্রনীল খান। এর পাশাপাশি ইনচার্জ হিসেবে গোটা যুব সংগঠনকে দেখাশোনা করবেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়।

    উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে দীপক বর্মণ

    বিজেপির সাংগঠনিক (BJP West Bengal) কাজ চলে পশ্চিমবঙ্গকে কতগুলি জোনে ভাগ করে। সেই সমস্ত জোনের কনভেনারদের নামও ঘোষণা করা হয় শুক্রবার। জোনের অধীনে থাকে বিভাগ। বিভাগ কনভেনারদের নামও ঘোষণা করা হয় এদিন। উত্তরবঙ্গে বিজেপির সংগঠন বেশ শক্তিশালী। বিগত নির্বাচনগুলিতে তার প্রমাণ মিলেছে। উত্তরবঙ্গ জোন কনভেনারের পদে থেকে গেলেন ফালাকাটার বিধায়ক দীপক বর্মণ। প্রসঙ্গত, দীপকবাবু রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকও বটে। অন্যদিকে মহিলা মোর্চার কাজ এবার থেকে দেখাশোনা করবেন পারমিতা দত্ত। তাঁকে মহিলা মোর্চার ইনচার্জ করা হয়েছে। বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদে রয়েছেন চার্লস নন্দী। সংখ্যালঘু মোর্চার কাজ দেখাশোনা করতে ইনচার্জ পদে বসানো হয়েছে মাফুজা খাতুনকে। মিডিয়া বিভাগের ইনচার্জ তুষারকান্তি ঘোষ রয়েছেন। সেই সঙ্গে রাজ্য বিজেপির (BJP West Bengal) অন্যতম মুখপাত্র কেয়া ঘোষকে জোন ইনচার্জ করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে, দলের বিধায়ককেই গ্রেফতারের দাবি অর্জুন অনুগামীদের!

    দক্ষিণবঙ্গের দায়িত্বে কারা?

    বিজেপির কলকাতা জোনের কাজ দেখাশোনা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলকে। অন্যদিকে কো-কনভেনার হিসেবে কাজ করবেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। দুজনেই রাজ্য বিজেপির (BJP West Bengal) সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন। রাঢ়বঙ্গের জোনের দায়িত্বে থেকে গিয়েছেন দলের সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনিও রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক। নবদ্বীপ জোনের দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়েছে সঞ্জয় সিংকে। হাওড়া-হুগলি-মেদিনীপুর জোনের দায়িত্বে রয়ে গেলেন দলের সাংসদ তথা রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gita: রবিবার লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ ব্রিগেডে, প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মঞ্চস্থলে শুভেন্দু 

    Gita: রবিবার লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ ব্রিগেডে, প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মঞ্চস্থলে শুভেন্দু 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাজির থাকার কথা থাকলেও মঙ্গলবারই জানা যায়, তিনি আসছেন না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী না এলেও গীতা (Gita) পাঠে রেকর্ড ভিড়ের ব্যাপারে আশাবাদী আয়োজকরা। শুক্রবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড পরিদর্শনে যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে সাংবাদিক বৈঠকও করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ থেকে রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হবে রবিবার, ব্রিগেডে এমন দাবিই করলেন তিনি।

    দক্ষিণবঙ্গে ১০টি ট্রেন ভাড়া করা হয়েছে

    জানা গিয়েছে, প্রথমে ঠিক ছিল দুটি মঞ্চ হবে। একটি মূল মঞ্চ যেখানে গীতা পাঠের অনুষ্ঠান চলবে এবং অপর মঞ্চে হাজির থাকবেন শঙ্করাচার্য সদানন্দ সরস্বতী ও নরেন্দ্র মোদি। তবে এখন একটি মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। পার্থ-সারথী মঞ্চ নির্মাণের কাজও প্রায় শেষ। আয়োজকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অনেক দূরের জেলাগুলি থেকে মানুষজন এখন থেকেই কলকাতাতে আসতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতে সকলে নিজেদের প্রোফাইল পিকচারও বদলে ফেলছেন এবং সেখানে গীতা (Gita) পাঠে কলকাতা যাওয়ার উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা থেকে গীতা পাঠে অংশগ্রহণকারীরা এখনও পর্যন্ত দশটি ট্রেন ভাড়া করেছেন। তবে উত্তরবঙ্গ থেকে এ ধরনের কোনও ট্রেন আসছে না।

    কী বলছেন আয়োজকরা?

    এনিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘অর্থাভাবের জন্য আমরা উত্তরবঙ্গ থেকে কলকাতায় আসার কোনও ট্রেনের ব্যবস্থা করতে পারিনি। তা সত্ত্বেও কমপক্ষে পাঁচ হাজার মানুষ আসবেন। আর দক্ষিণবঙ্গ ও কলকাতা মিলিয়ে গীতাপাঠে (Gita) যোগ দেবেন ১ লাখ ৩০ হাজার মানুষ।’’ আয়োজকদের তরফ থেকে শচীন্দ্রনাথ সিং বলেন, ‘‘আমাদের কর্মসূচিতে গীতাপাঠই মুখ্য। প্রধানমন্ত্রী এলে আমাদের ভালো লাগত। তবে তিনি না এলেও গীতা ভক্তদের আগ্রহ একটুও যে কমেনি সেটাই দেখা যাবে রবিবার ব্রিগেড ময়দানে। কোনও রাজনৈতিক ছোঁয়া ছাড়াই অতীতে কোথাও এত বড় কর্মসূচি হয়নি। রবিবার রাজ্যের আদিবাসী সমাজের বহু মানুষও এই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Teacher: শিক্ষকদের স্কুলে ঢুকতে হবে আরও আগে, নয়া নির্দেশিকা জারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

    Teacher: শিক্ষকদের স্কুলে ঢুকতে হবে আরও আগে, নয়া নির্দেশিকা জারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকদের স্কুলে ঢোকার সময় এবার বেশ খানিকটা এগিয়ে আসছে। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হচ্ছে জানুয়ারিতেই। তখন সকাল ১০ টা ৫০ নয়, সকাল ১০ টা ৪০ মিনিটের মধ্য়েই স্কুলে চলে আসতে হবে শিক্ষকদের (Teacher)। নন-টিচিং স্টাফদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড অব সেকেন্ডারি এডুকেশন বা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তা ইতিমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। সমস্ত ধরনের স্কুলের ক্ষেত্রেই এই নয়া নিয়মবিধি কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে। জুনিয়র হাইস্কুল, সেকেন্ডারি স্কুল (সরকার ও সরকার পোষিত)-সহ বোর্ডের আওতাধীন সমস্ত স্কুলের ক্ষেত্রেই এই নির্দেশ কার্যকর হবে।

    ১০ টা ৪০-এর পর যদি কেউ আসেন, তাঁর জন্য ‘লেট’ মার্ক হবে

    নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানের প্রধান থেকে শুরু করে স্কুলের সমস্ত স্টাফকে (টিচিং, নন-টিচিং) প্রার্থনায় থাকতে হবে। ১০ টা ৪০ থেকে ১০ টা ৫০ পর্যন্ত প্রার্থনার জন্য সময় বরাদ্দ থাকছে। ১০ টা ৪০-এর পর যদি কেউ আসেন, তাঁর জন্য ‘লেট’ মার্ক হবে। শুধু তাই নয়, ১১ টা ১৫ মিনিটের পর যদি কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা (Teacher) স্কুলে আসেন, তাহলে তাঁকে সেদিনের জন্য ‘অনুপস্থিত’ হিসাবে গণ্য করা হবে।

    সাড়ে ৪টে অবধি স্কুলে থাকতেই হবে

    নতুন শিক্ষাবর্ষে (Teacher) সাড়ে ৪টে অবধি স্কুলে থাকতেই হবে প্রতিটি শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের। ক্লাসের ভিতর মোবাইল ফোনের অযথা ব্যবহার অথবা ব্লু টুথ ডিভাইস ব্যবহার করে গান শোনা কোনওভাবেই চলবে না। ‘টিচিং এইড’ হিসাবে যদি মোবাইল বা স্মার্ট ফোন ক্লাসে ব্যবহার করতে হয়, সে ক্ষেত্রে লিখিত অনুমতি নিতে হবে আগে থেকে। নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, শিক্ষকেরা কে কতক্ষণ ক্লাস নিচ্ছেন, কতগুলো ক্লাস নিচ্ছেন, তা নিজেরাই ডায়েরিতে লিখে রাখবেন। প্রধান শিক্ষকের নজরেও থাকবে বিষয়টি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সারা সপ্তাহের জন্য শিক্ষকদের রুটিন তৈরি করবেন। ওই রুটিন পাঠানো হবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে, দলের বিধায়ককেই গ্রেফতারের দাবি অর্জুন অনুগামীদের!

    Barrackpore: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে, দলের বিধায়ককেই গ্রেফতারের দাবি অর্জুন অনুগামীদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়ায় তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনে জড়িতে সন্দেহে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভাইপো পাপ্পু সিংকে গ্রেফতার করার পর থেকেই সরগরম বারাকপুর শিল্পাঞ্চলের রাজনীতি। শুক্রবার পাপ্পুকে বারাকপুর (Barrackpore) মহকুমা আদালতে তোলা হয়। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪ দিনের আবেদন জানানো হয়। বিচারক ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ভিকি যাদব খুনে অন্যতম অভিযুক্ত পঙ্কজ সিং, ইফতিকার আলম শুক্রবার আদালতের তোলা হয়েছিল। বিচারক এই দুজনকেও চার দিনের পুলিশ হেপাজতের  নির্দেশ দিয়েছেন। পঙ্কজ এবং পাপ্পুকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।  

    বিধায়ক সোমনাথ শ্যামকে গ্রেফতারের দাবি জানালেন অর্জুন অনুগামীরা

    বৃহস্পতিবার বারাকপুরে (Barrackpore) গোয়েন্দা দফতরে পুরানো একটি মামলায় তদন্তের স্বার্থে হাজিরা দিতে এসে পাপ্পু সিং গ্রেফতার হন। তারপরই পরেই অর্জুন সিংয়ের অনুগামীরা রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাতেই জগদ্দল, ভাটপাড়া এলাকায় তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের  সঙ্গে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। যদিও পুলিশ প্রশাসনে কড়া নজরদারি থাকায় রাতে বড় কোনও গন্ডগোল হয়নি। তবে শুক্রবার সকালে ভাটপাড়ার অর্জুন সিংয়ের খাস তালুক মজদুর ভবনের সামনে পাপ্পু সিং এর অনুগামীরা সোমনাথ শ্যামের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ভিকি যাদব খুনের অন্যতম অভিযুক্ত পঙ্কজ সিং সোমনাথের ঘনিষ্ঠ। জন্মদিনের পার্টিতে সোমনাথ সিং পঙ্কজকে কেক খাওয়াতে দেখা গিয়েছে। পাপ্পুকে গ্রেফতার করা হলে এই খুনের ঘটনায় সোমনাথকে গ্রেফতার করতে হবে।

    বারাকপুর (Barrackpore) আদালতে দিনভর কী হল?

    জানা গিয়েছে, এদিন সকালেই পাপ্পু সিংকে কোর্ট লকআপে নিয়ে আসা হয়। বেলা বাড়তে আদালতের সামনে অর্জুন অনুগামী ও পাপ্পু সিং এর অনুগামীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। পাপ্পুর গ্রেফতারের প্রতিবাদে রীতিমতো তারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তৃণমূল কর্মীদের ভিড়ে আদালতের সামনের এস এন ব্যানার্জি রোড অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পাপ্পু সিংকে মুক্তির দাবিতে তৃণমূল কর্মীরা বেশ কিছুক্ষণ রাস্তা অবরোধ করেন। যার জেরে রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যদিও অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিশেষ করে রিভার সাইড রোডে প্রচুর স্কুল রয়েছে। স্কুলের ছেলেমেয়েদের অনেকটা ঘুরে যেতে হয়। দুপুরের  দুটো নাগাদ মামলাটি আদালতে ওঠে। বিচারক ছিলেন রাহুল ভট্টাচার্য। পাপ্পু সিংয়ের হয়ে প্রায় শতাধিক আইনজীবী সওয়াল করেন। আইনজীবীদের বক্তব্য, পাপ্পুকে অবৈধভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিচারক রাহুল ভট্টাচার্য তদন্তকারী অফিসারের কাছে বিষয়টি বিস্তারিত জানতে চান। তদন্তকারী আধিকারিক জানান, ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় ১২ ই ডিসেম্বর পাপ্পু সিং যুক্ত থাকার বিষয়টি সামনে আসে। তাই ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। সন্ধ্যা পর্যন্ত পেন্ডিং রাখার পর সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ বিচারক পাপ্পু সিংকে পাঁচ দিনে পুলিশ হেফাজত নির্দেশ দেন।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম?

    এদিকে সোমনাথ শ্যাম বলেন, আগেও বলেছি এখনও বলছি পাপ্পু তার কাকাকে (অর্জুন সিং) জিজ্ঞেস না করে কোনও কাজ করে না। পুলিশি তদন্তে পাপ্পু জড়িত থাকার অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাই, এই খুনের পিছনে অর্জুন সিংহের হাত রয়েছে। আমরা তার গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    সাংসদ অর্জুনের কী বক্তব্য?

    অর্জুন সিং বলেন, পাপ্পু গ্রেফতার করে কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়া যাবে না। তৃণমূলে ক্ষতি করা যাবে না। অর্জুন সিংয়ের কোনও ক্ষতি করতে পারবে না। রোজ পাপ্পু সিং তৈরি করার ক্ষমতা আমার রয়েছে। আমরা পাপ্পুর জন্য আইনি লড়াই লড়ব। মিথ্যা সব সময় মিথ্যায় প্রমাণিত হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: ‘ক্লাবগুলিকে লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও কাজ করছে না’, বেফাঁস মন্তব্য তৃণমূল মন্ত্রীর

    Burdwan: ‘ক্লাবগুলিকে লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও কাজ করছে না’, বেফাঁস মন্তব্য তৃণমূল মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান (Burdwan) নাট্য উৎসবে মন্ত্রীর বেফাঁস বক্তব্য। অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়ার পর তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। ক্লাবের সদস্যরা শাসকদলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বা মিটিং-মিছিলে ডাকলে আগের মতো সেভাবে হাজিরা দিচ্ছে না বলেই কি মন্ত্রী লোকসভা ভোটের আগে ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়ার বিষয়টি আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিলেন? অন্তত এমনটাই মনে করছে বিরোধীরা।

    ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী? (Burdwan)

    বৃহস্পতিবার বর্ধমানে (Burdwan) সংস্কৃত লোকমঞ্চে শুরু হল নাট্য উৎসব ২০২৩। সূচনা করেন রাজ্যের প্রাণী সম্পদ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। হাজির ছিলেন এলাকার বিধায়ক খোকন দাস, বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার ও তথ্য সংস্কৃতি দফতরের আধিকারিক। সূচনার পর মন্ত্রী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, রাজ্যে ক্লাবগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন, খেলাধূলা এবং সাংস্কৃতিক উন্নয়নের জন্য রাজ্য সরকার বছরে পাঁচ লক্ষ টাকা করে অনুদান দেয়। কিন্তু, বাস্তবে অনুদানের পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যবহার হয় না সাংস্কৃতিক কাজে। বর্ধমান জেলায় ১০০টি ক্লাবকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। আমার এলাকায় ৭৫টি ক্লাবকে ৫ লক্ষ টাকা করে দিয়েছি। কেউ নাটক করে না। রবীন্দ্র সঙ্গীত করে না। আমার আক্ষেপ হয়। এই বিষয়টি প্রকাশ্যে না আনার জন্য সংবাদ মাধ্যমকে অনুরোধ করব। মূলত, মন্ত্রীর ইঙ্গিত, ক্লাবগুলি কাজ না করায় টাকা নষ্ট হচ্ছে।

    ভোট কেনার জন্যই ক্লাবগুলিকে টাকা, সরব বিজেপি

    বিজেপির পূর্ব বর্ধমান (Burdwan) জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, ভোটের আগে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য এই বক্তব্য। কারণ, ভোট কেনার রাজনীতির জন্য ক্লাবগুলিকে অর্থ দেওয়া হয়। সেটা হচ্ছে না বলেই মন্ত্রীর এখন আক্ষেপ হচ্ছে। ক্লাবগুলো যদি উন্নয়নের কাজে টাকাগুলো ব্যবহার না করে, তাহলে অডিট করান। আসলে ক্লাবগুলোর কোনও দোষ নেই। যে উদ্দেশ্যে নিয়ে টাকাগুলো দেওয়া হয়েছিল, সেই উদ্দেশ্যে সফল না হওয়াতে মন্ত্রীর জ্বলন ধরছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • LPG: গ্যাসে বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের সময়সীমা বাড়ানো হল মার্চ পর্যন্ত, তারপরও ভিড় গ্রাহকদের

    LPG: গ্যাসে বায়োমেট্রিক যাচাইয়ের সময়সীমা বাড়ানো হল মার্চ পর্যন্ত, তারপরও ভিড় গ্রাহকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় রান্নার গ্যাসে (LPG)  ‘বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন’ বা আঙুল ছাপ নেওয়ার কাজ চলছে। আর সেই কাজ করতে গিয়ে গ্যাস অফিসগুলিতে গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই চলেছে। ইন্ডিয়ান অয়েলের পক্ষ থেকে আগে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। এবার সেই সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।

    বায়োমেট্রিকের সময়সীমা কতদিন বাড়ানো হল? (LPG)

    মূলত, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে ধরে নিয়ে গ্রাহকরা গ্যাস অফিসে ভিড় করছিলেন। সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়টি অনেকে না জানার কারণে সমস্যা তৈরি হয়েছে। আর সময় কম থাকায় গ্যাস (LPG) অফিসগুলিতে গ্রাহকদের ভিড় বেড়েই যাচ্ছিল। এবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে, ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত গ্রাহকরা আঙুলের ছাপ দেওয়ার সময় পাবেন। ফলে, অকারণে গ্যাস অফিসে ভিড় করার প্রয়োজন নেই। আর প্রবীণ নাগরিকদের লাইনে দাঁড়ানোর প্রয়োজন নেই। বাড়িতে গিয়ে ‘বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন’ বা আঙুল ছাপ নেওয়া হবে। গ্রাহকদের প্রশ্ন, এই আধার সংযুক্ত না করা হলে গ্যাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে? এই বিষয়ে ইন্ডিয়ান অয়েলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিষেবায় কোনও সমস্যা হবে না। তবে, ভর্তুকিতে প্রভাব পড়তে পারে। গ্যাস-আধার অনলাইনে লিঙ্ক করা গেলেও, অনেকেই সেই সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নন। ফলে, ডিস্ট্রিবিউটর অফিসের সামনে বাড়ছে ভিড়।

    গ্রাহকদের থেকে বাড়তি টাকা নেওয়া যাবে না

    রান্নার গ্যাসে ‘বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশন’ বা আঙুল ছাপ নেওয়ার সময় বাড়তি কোনও টাকা নেওয়া যাবে না। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, ইন্ডেন এলপিজি’র (LPG) ডোমেস্টিক গ্রাহকদের আধারের তথ্য পরীক্ষা করে দেখার জন্য ওই আঙুল ছাপ নেওয়ার কাজ চলছে। কিন্তু এই কাজের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে কোনও রকম চার্জ নেওয়া হচ্ছে না। এই সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে। ইন্ডিয়ান অয়েল জানিয়েছে, যদি কোথাও এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যে ওই কাজের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা দাবি করা হচ্ছে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে জানাতে হবে। এর জন্য কোম্পানি একটি টোল ফ্রি নম্বরও দিয়েছে। তা হল, ১৮০০২৩৩৩৫৫৫। এর জন্য কোম্পানির (LPG) টিম রয়েছে, যারা সঙ্গে সঙ্গে সমস্যার সমাধান করার জন্য তৈরি থাকবে। 

    জেলায় জেলায় গ্যাস অফিসে গ্রাহকদের ভিড় বাড়ছে

    কোচবিহারে রান্নার গ্যাসের (LPG) বায়োমেট্রিক আপডেটের জন্য সকাল থেকেই দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষায় রয়েছেন গ্রাহকরা। চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলেও অনেকের অভিযোগ। সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন লিংক না থাকায়, আবার পরের দিন এসে লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। বিশেষত চরম সমস্যায় পড়েছেন বয়স্ক মানুষরা। আবার বাঁকুড়া শহরেও দেখা গেল এমন ছবি। মাচানতলায় সকাল থেকেই গ্রাহকদের লম্বা লাইন ইন্ডিয়ান গ্যাস এজেন্সির দোকানের সামনে। সার্ভার ডাউন থাকার কারণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়েও ঘুরে যেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আবার অপেক্ষায় অপেক্ষায় দীর্ঘায়িত হচ্ছে লাইন। বর্ধমানের মেমারিতেও গ্যাস অফিসের সামনে ভোরবেলা থেকেই লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে গ্রাহকরা। কেউ ভোর ৪ টে, কেউ ভোর ৫ টায় এসে লাইন দিয়েছেন ফুয়েল অফিসের সামনে। তারপরও ঠিকমতো লিঙ্ক করানো যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করছেন অনেক গ্রাহকই। অনলাইন পরিষেবা ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করছেন অনেক গ্রাহক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Protest: ডিএ আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার, নবান্নের মুখে মিছিল আটকেও পিছু হটল পুলিশ

    DA Protest: ডিএ আন্দোলন ঘিরে ধুন্ধুমার, নবান্নের মুখে মিছিল আটকেও পিছু হটল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে, ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনের (DA Protest) ঝাঁঝ যেন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। মুখ্যমন্ত্রীর ডিএ দেওয়া সংক্রান্ত ঘোষণাও সেই আগুনে জল ঢালতে পারেনি। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শর্তসাপেক্ষে নির্দেশ দিয়েছিলেন, যৌথ মঞ্চের সদস্যরা নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনে ধর্নায় বসতে পারবেন। সেইমতো শুক্রবার ভোরের আলো ফোটার আগেই ডিএ নিয়ে আন্দোলনকারীরা মিছিল করে নবান্ন অভিমুখে রওনা দেন। কিন্তু বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছানোর আগেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড করে তাঁদের যেতে বাধাও দেওয়া হয়। এই সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক বচসা শুরু হয়ে যায়। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষের নেতৃত্বে সবাই রাস্তার ওপরেই বসে পড়েন। মুহূর্তের মধ্যে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, বন্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। পরে বেলার দিকে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে শুরু হয় ধর্না।

    মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই ধর্না কর্মসূচি (DA Protest)

    উল্লেখ্য, বড়দিনের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি কর্মচারীদের চার শতাংশ ডিএ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু এই রায়ে আন্দোলনকারীরা খুব একটা খুশি হতে পারেননি। তাঁদের সাফ কথা, ইতিমধ্যেই ৪০ শতাংশ ডিএ বকেয়া রয়েছে। সেই জায়গায় চার শতাংশ দেওয়ার অর্থ হল মাত্র ১০ ভাগের এক ভাগ দেওয়া। এরপরেও ৩৬ শতাংশ ডিএ বকেয়া থেকে যাবে। এমনকী সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা ভাস্কর ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণাকে ‘ভিক্ষা’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। পাশাপাশি একই দিনে হাইকোর্ট আন্দোলনকারীদের ধর্নায় বসার অনুমতি দেওয়ায় পরিস্থিতি যৌথ মঞ্চের পক্ষে চলে যায়। তাই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই সংগঠনের পক্ষ থেকে ধর্নার কর্মসূচি (DA Protest) ঘোষণা করে দেওয়া হয়। সেই মতোই কাক ভোরে আন্দোলনকারীরা নবান্ন অভিমুখে রওনা দেন।

    পুলিশ সবরকম চেষ্টা চালায় (DA Protest)

    আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তাঁদের আটকাতে যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ। প্রথমত সাত সকালে তাঁদের একটি কাগজ দেখিয়ে বলা হয়, ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। পাশাপাশি যে নির্দিষ্ট জায়গায় আন্দোলনকারীদের ধর্নায় (DA Protest) বসার কথা ছিল, সেই জায়গাটি ভরিয়ে দেওয়া হয় বেসরকারি বাসে। এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে সরকারি বাস থাকার কথা, সেখানে বেসরকারি বাস এল কীভাবে। যদিও ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশের জেরে পুলিশের যাবতীয় প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মহিলাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে অপহরণের চেষ্টা! তৃণমূল নেত্রীর ছেলেকে গণপিটুনি

    North 24 Parganas: মহিলাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে অপহরণের চেষ্টা! তৃণমূল নেত্রীর ছেলেকে গণপিটুনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা তৃণমূল নেত্রী বলে এলাকায় দাপিয়ে বেড়ান ছেলে। এবার এক মহিলাকে কুপ্রস্তাব ও অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার ছেলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বাগদার আষাঢ় বাজার এলাকায়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীর ছেলের নাম মিঠুন বালা। আর তাঁর মায়ের নাম মাধুরী বালা। তিনি সিন্দ্রনী গ্রাম পঞ্চায়েতের মাগুরকোনা গ্রামের তৃণমূল সদস্যা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (North 24 Parganas)  

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আষাঢ় বাজারে বিউটি পার্লার বন্ধ করে ফিরছিলেন এক মহিলা। সেই মহিলাকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ ওঠে মিথুন বালার বিরুদ্ধে। পরে, গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের পাশ থেকে মহিলাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ারও নাকি চেষ্টা করেন মিঠুন। মহিলা চিৎকার শুরু করেন। সেই সময় তাঁর চিৎকার বন্ধ করার জন্য মহিলাকে মারধরও করা হয়। যদিও মহিলার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। চোখের সামনে মহিলার সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে দেখে উত্তেজিত জনতা মিঠুনকে ধরে গণপিটুনি দেয়। তৃণমূল নেত্রীর ছেলেকে মারধরের মুহূর্তের ভিডিও এখন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। মিঠুনের নামে বাগদা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। সেই অনুযায়ী তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

    অভিযুক্ত যুবক কী সাফাই দিলেন?

    মিঠুন বলেন, আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আসলে আমাকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমি কথা বলতে গেলে আচমকা মারধর শুরু করে। আমার বিরুদ্ধে পুরোপুরি মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমার মা যেহেতু তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা, সেই কারণেই মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি কাউকে অপহরণ বা মারধর করিনি।

    রাজনৈতিক ষড়ষন্ত্র, দাবি স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার

    এই ঘটনাকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলেই দাবি সিন্দ্রানি গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্যা মাধুরী বালার। তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে পুরোপুরি মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখুক। আমার ছেলে দোষী হলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তা আমি মেনে নেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলার, কেন জানেন?

    North 24 Parganas: চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনলেন ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলার, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকি পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যানের মধ্যে দ্বন্দ্ব বহুদিন ধরেই চলছিল। যত দিন যাচ্ছে, সেই সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। এবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি, বেআইনিভাবে জমি হস্তান্তর-সহ একাধিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনলেন ভাইস চেয়ারম্যান। শুধু অভিযোগ নয়, উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) বসিরহাট মহকুমার টাকি পুরসভার চেয়ারম্যান সোমনাথ মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক গাজি-সহ তৃণমূলের ১২ জন কাউন্সিলার অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন। বৃহস্পতিবার অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল।

    মহকুমা শাসকের দফতরে জমা পড়ল অনাস্থা প্রস্তাব (North 24 Parganas)

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) টাকি পুরসভায় মোট আসন সংখ্যা ১৬টি। এর মধ্যে ১৪টি আসন তৃণমূলের দখলে রয়েছে। আর ২টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। ১৪টি আসনের মধ্যে ১২জন তৃণমূল কাউন্সিলার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছে। স্বাভাবিকভাবে চেয়ারম্যান আসন সংখ্যার বিচারে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন। ফলে, সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে না পারলে চেয়ারম্যানের সরে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। তবে, অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান কোনও মন্তব্য করতে চাননি। টাকি পুরসভা তৃণমূলের কাউন্সিলারদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এল এদিন। বসিরহাট মহকুমা শাসকের দফতরে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করলেন ভাইস চেয়ারম্যান-সহ ১২ জন তৃণমূল কাউন্সিলার। ইতিমধ্যে উত্তর ২৪ পরগনা জেলাশাসক  শরৎ কুমার দ্বিবেদীর দফতরে তা পাঠানো হয়েছে। এই নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বসিরহাট বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস ঘোষ বলেন, ‘টাকি পৌরসভায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সেখানে বেআইনিভাবে জমি হস্তান্তর থেকে চুরি করে সরকারি জমি দখল করা, এমনকী স্বজনপোষণ-সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তৃণমূলের এক পক্ষের বিরুদ্ধে আর এক পক্ষ অনাস্থা এনেছে। এবার আপনারাই ভাবুন এই দলটা কেমন। আমরা চাই, দুর্নীতিমুক্ত টাকি পুরসভা।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share