Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Birbhum: দলীয় মঞ্চে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে উর্দি গায়ে পুলিশ আধিকারিক! জেলাজুড়ে শোরগোল

    Birbhum: দলীয় মঞ্চে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে উর্দি গায়ে পুলিশ আধিকারিক! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) নানুরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠান মঞ্চে উর্দি পরে অতিথি হিসেবে বসে পুলিশ অফিসারেরা। নানুর চণ্ডীদাস মহাবিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে বার্ষিক অনুষ্ঠানে নেতাদের পাশে মঞ্চে বসে সার্কেল ইনস্পেকটর কল্যাণপ্রসাদ মিত্র ও নানুর থানার ওসি শেখ ইজরাইল। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) নানুর চণ্ডীদাস মহাবিদ্যালয়ে বার্ষিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সেই মতো দলীয় পতাকা সহ দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দিয়ে মঞ্চ সাজানো হয়েছিল। এমনকী, মঞ্চের পিছনে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ লেখা লোগো দেওয়া ছিল। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ, নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি, তৃণমূল নানুর ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা। একই মঞ্চে অতিথি হিসেবে উর্দি পরে বসে থাকতে দেখা যায় নানুর সার্কেল ইনস্পেকটর (সিআই) কল্যাণপ্রসাদ মিত্রকে। এছাড়া, সাধারণ পোশাকে বসে থাকতে দেখা যায় নানুর থানার ওসি শেখ ইজরায়েলকে। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কীভাবে তৃণমূল আয়োজিত অনুষ্ঠান মঞ্চে নেতাদের সঙ্গে কর্তব্যরত পুলিশ অফিসাররা বসে থাকতে পারেন। যদিও, এই প্রসঙ্গে মুখ খুলতে চাননি কোন তৃণমূল নেতৃত্ব।

    রাজ্যে শাসকের আইন চলছে, কটাক্ষ বিজেপির

    বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অষ্টম মণ্ডল বলেন, ‘রাজ্যে আইনের শাসন নেই। শাসকের আইন চলছে। পুলিশ সব সময় শাসকের দলদাস। তাই ইউনিফর্ম পরে পুলিশ তৃণমূলের মঞ্চে বসে রয়েছে। এটা কাম্য নয়। এই পুলিশ কখনও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে? পুলিশের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা পাল্টে যাচ্ছে। এসব মানুষ বেশিদিন মেনে নেবে না। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সেই ভোটে মানুষ তৃণমূলকে বুঝিয়ে দেবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: চারশোর বেশি আসনে জিতবেন মোদি, বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: চারশোর বেশি আসনে জিতবেন মোদি, বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চারশোর বেশি আসন নিয়ে কেন্দ্রে ফের ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার জয়পুরে দলের কর্মিসভায় এমনই দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সঙ্গে দলীয় কর্মীদের তিনি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশও দিলেন। বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যে সভায় আসা কর্মীরা চাঙা হয়ে ওঠেন।

    ইন্ডি জোটকে কটাক্ষ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    এদিন স্থানীয় আরবিবি স্কুল ময়দানের ওই কর্মিসভায় বক্তব্যের শুরু থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক  বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আক্রমণ করেন। সঙ্গে ইন্ডি জোটকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশে ভোটের ফল দেখার পরে দিদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সাধ চলে গিয়েছে।’ শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘রাজ্য সরকারের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির ফোন নম্বর এখন মুখ্যমন্ত্রীকে বলো হয়েছে। বোতলটা নতুন, কিন্তু মদটা সেই পুরনো। ওই নম্বরে ফোন করা মানে ঢপ।

    পুলিশ-প্রশাসনকে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ১০ বছর ধরে পুরুলিয়ায় পুলিশের বেশ কিছু সাব-ইন্সপেক্টর রয়েছে, যারা টাকা তুলছে আর ভোট লুট করছে। তাদের তালিকা আমরা তৈরি করেছি। ভোটের আগে এদের রাজ্যের বাইরে গ্যারেজ করব। ওই তালিকার কয়েকটি নাম এদিন পড়েও শোনান তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, পুলিশ পাহাড় কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে। প্রকৃতি লুট হচ্ছে প্রতিদিন। গরু পাচারে যুক্ত পুলিশ।

    ডিএ নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, যৌথমঞ্চের আন্দোলনকে হাইকোর্ট স্বীকৃতি দিয়েছে। যৌথমঞ্চ ডাকলে আমি যাব। অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে আমরা আগেও ছিলাম, এখনও থাকব। পরবর্তীকালেও আমি ওদের সঙ্গে থাকব। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বঞ্চিত প্রার্থীদের জন্য যে ভূমিকা গ্রহণ করেছেন, তাতে তিনি সমাজ সংস্কারক হিসেবে উদিত হবেন। তাঁকে প্রণাম জানাই। তাঁর লড়াই যেন স্বার্থক হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • COVID-19: ফের ফিরছে মাস্ক-যুগ? কলকাতার তিন হাসপাতালে ভর্তি ৩ করোনা আক্রান্ত

    COVID-19: ফের ফিরছে মাস্ক-যুগ? কলকাতার তিন হাসপাতালে ভর্তি ৩ করোনা আক্রান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কি মাস্ক-যুগ ফিরতে চলেছে দেশে? ইতিমধ্যে করোনার (COVID-19) নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট জেএন১-কে নিয়ে জোর চর্চা চলছে বিশ্বজুড়ে। নতুন এই উপ প্রজাতির সন্ধান মিলেছে ভারতেও। কলকাতাতেও করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ৩ জন। জানা গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে দু’জন কলকাতার বাসিন্দা। এঁরা দুজনেই পুরুষ। কলকাতার দুটি আলাদা বেসরকারি হাসপাতালে দু জন ভর্তি হয়ে রয়েছেন। বাকি একজন বিহারের ছ’মাসের একটি শিশু। বাচ্চাটি বর্তমানে করোনা সংক্রমণ নিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি রয়েছে। তবে প্রত্যেকেই জেএন১ সাব ভ্যারিয়েন্টে (COVID-19) আক্রান্ত কিনা, তা জানা যায়নি। জিনোম সিকোয়েন্সিং করানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, কল্যাণীর ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজিতে পাঠানো হয়েছে তিন জনের নমুনা।

    ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা (COVID-19) আক্রান্ত ৩৫৮ জন

    করোনার গ্রাফ আপেক্ষিকভাবে বেশ ঊর্ধ্বমুখু গত কয়েকদিন ধরেই। দেশে আচমকাই বৃদ্ধি পেয়েছে কোভিড সংক্রমণ। গত দু’সপ্তাহে ১৬ জন কোভিড আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে গোটা দেশে, এমনটাই বলছে পরিসংখ্যান। ইতিমধ্যে, করোনাবিধি লাগু হয়েছে ভারতের বেশ কতগুলি রাজ্যে। ওই রাজ্যগুলিতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ফিরে আসছে আড়াই-তিন বছর আগের আতঙ্কের স্মৃতি। সব থেকে অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছে দক্ষিণী রাজ্য কেরলে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৫৮ জন। তাঁদের মধ্যে ৩০০ জনই কেরলের বাসিন্দা।

    মে মাসের পর ফের বাড়ল করোনা (COVID-19) 

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে আক্রান্ত ছ’জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে দেশে এখন সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ২,৬৬৯। চলতি বছরের মে মাসের পর থেকে দেশে এত সংক্রমণ ছড়ায়নি। করোনা ভাইরাসের নতুন উপপ্রজাতি জেএন.১-এর কারণেই বৃদ্ধি পাচ্ছে সংক্রমণ। তবে হু এও জানিয়েছে, নতুন এই সাবভ্যারিয়েন্ট যে খুব মারাত্মক, এখনও তার সপক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ মেলেনি। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, নতুন এই উপ প্রজাতির সংক্রমণে ওষুধ ছাড়াই সুস্থ হয়ে উঠছেন বেশিরভাগ মানুষ। মোদি সরকারের করোনা ভ্যাকসিনও খুবই কার্যকরী বলে আগেই জানিয়েছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, দেশের প্রতিটি নাগরিকই ভ্যাকসিনের ডোজ পেয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Justice Abhijit Ganguly: ‘‘রাজ্যে ৩-৪ টি সিবিআই থানা খোলা প্রয়োজন”, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Justice Abhijit Ganguly: ‘‘রাজ্যে ৩-৪ টি সিবিআই থানা খোলা প্রয়োজন”, পর্যবেক্ষণ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার রাজ্যে সিবিআই থানা তৈরি হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তাঁর মতে, অন্তত ৩-৪ টি সিবিআই থানা খোলা দরকার রাজ্যে। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার মহিলা সমবায় দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় শুনানি চলার সময় এই মন্তব্য করতে শোনা যায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে। প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার মহিলা সমবায় সমিতিতে ২১ হাজার ১৬৩ জন মোট ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। টাকা জমা দেওয়ার সময় সমিতি জানিয়েছিল, ওই টাকা বাজারে ঋণ হিসেবে খাটানো হবে। কিন্তু আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার সময় হলে দেখা যায়, সমিতিই ‘বিলুপ্ত’ হয়ে গিয়েছে। এর জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। মোট ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে এই মামলায়।

    বিচারপতির এজলাস বয়কট

    প্রসঙ্গত, এদিনও ওই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার (Justice Abhijit Ganguly) অভিযোগ তোলে সিবিআই। জানা গিয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরেই তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা তাঁর এজলাস বয়কট করছিলেন। বৃহস্পতিবারই বিচারপতি এজলাসে বসে, সেই বয়কট প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেন। পরবর্তীকালে আইনজীবীরা বিচারপতির এজলাসে ফেরেন। 

    সিবিআইকে অসহযোগিতা

    আলিপুরদুয়ার মহিলা সমবায় দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় বিচারপতি এদিন প্রশ্ন করেন, ‘‘মামলায় সিবিআই নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেল না কেন?’’ এর জবাবে সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী  বলেন, ‘‘পুলিশ বা রাজ্য সরকার কেউই কোনও সহযোগিতা করছে না এ বিষয়ে। এমনকী আদালতের নির্দেশ পর্যন্ত মানা হচ্ছে না।’’ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly) তখন বলেন, ‘‘রাজ্যে সিবিআই থানা তৈরির সময় এসেছে। অন্তত তিনে-চারটি থানা তৈরি প্রয়োজন। ইন্সপেক্টর, কনস্টেবল দিয়ে থানা তৈরি করতে হবে। নতুন নতুন দুর্নীতির অভিযোগ আসছে। রাজ্যের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ উঠছে। মানুষ পুলিশ এবং আদালতে ঘুরে ঘুরে হয়রান হচ্ছেন। তবু অভিযোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে জড়িত তৃণমূল, সরব বিজেপি

    Cooch Behar: পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে জড়িত তৃণমূল, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে বার বার সরব হয়েছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে রয়েছেন। এবার উত্তরবঙ্গে কোচবিহার (Cooch Behar) সহ পাঁচ জেলায় পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি। বিষয়টি নিয়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলনও করেছে বিজেপি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Cooch Behar)

    ২০২১ সালে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার (Cooch Behar) সহ পাঁচ জেলায় দু’শোর বেশি রাজবংশী স্কুল খোলার জন্য নির্দেশ দেয় শিক্ষা দফতর। ওই সব স্কুলে পড়ানোর জন্য কেবল কোচবিহারে সাড়ে সাতশো জন পার্শ্ব শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। কিন্তু, বিরোধীদের অভিযোগ পাঁচটি জেলার কোথাও রাজবংশী স্কুলের অস্তিত্ব নেই। এরপরই প্রতিবাদ করেন বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। রাজবংশী স্কুল খোলা ও তাতে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তিনি। মিহিরবাবু বলেন, কোনও বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে তৃণমূলের দেওয়া তালিকা দেখে জেলাশাসক সমগ্র শিক্ষা মিশনকে নিয়ে নিয়োগ করছে। এই দুর্নীতি নিয়ে আদালতে যাবেন বলেই হুঁশিয়ারি দেন বিধায়ক। আর আমার অভিযোগ সঠিক বলেই আন্দোলন শুরু হয়েছে। তৃণমূলের কার্যালয় থেকে এই সব নিয়োগের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ দাগেন বিজেপির এই বিধায়ক। আসলে দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতেই তৃণমূল এই আন্দোলন করছে। আমরা এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করছি। প্রকৃত তদন্ত হলে বড়সড় চক্রের খোঁজ মিলবে।

    প্রতিবাদ আন্দোলন করে তৃণমূল

    বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে বুধবার সন্ধ্যায় কোচবিহার (Cooch Behar) এক নম্বর ব্লকে মিছিল করেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্যরা। সন্ধ্যায় কোচবিহার শহরের দাস ব্রাদার্স মোড়ে বিজেপি বিধায়কের হুঁশিয়ারির প্রতিবাদে ঝাঁটা হাতে পথে নামল মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। শুধু তাই নয়, মিহিরের কুশ পুতুল দাহ করলেন তাঁরা। তৃণমূল নেতা বলেন, কোনও দুর্নীতি হয়নি। আসলে বিজেপি এসব বলে মিথ্যা অভিযোগ করছে। ওরা রাজনৈতিক ফয়দা তোলার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনে অর্জুনের ভাইপো গ্রেফতার, সাংসদ-বিধায়কের দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে

    Barrackpore: তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনে অর্জুনের ভাইপো গ্রেফতার, সাংসদ-বিধায়কের দ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়ার তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনে এবার সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ভাইপো পাপ্পু সিংকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বারাকপুর (Barrackpore) কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতরে। সেখানেই পাপ্পু সিংকে গ্রেফতার করা হয়। পাপ্পু সিংয়ের আইনজীবী ও তাঁর অনুগামীরা বিক্ষোভের ফেটে পড়েন। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    জগদ্দল এর বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে অর্জুন সিং এর দ্বন্দ্ব নতুন নয়। প্রকাশ্য মঞ্চে একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগার ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন বারাকপুরবাসী (Barrackpore)। গত নভেম্বর মাসেই তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনায় বেশ  কয়েকজনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। দুদিন আগেই ভিকি যাদবের মা সহ ভাটপাড়া পুরসভার একাধিক কাউন্সিলর এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু সদস্য মিছিল করে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারের কাছে হাজির হন। মূল অভিযুক্ত গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন তাঁরা। এই প্রতিবাদ মিছিলের পিছনেও সোমনাথের হাত রয়েছে বলে তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর লোকজনের মত। জানা গিয়েছে, বছরখানেক আগে রাজেন পান্ডে নামে একজনকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। সেই মামলায় অর্জুনের ভাইপো পাপ্পুর নাম জড়ায়। গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা সেই ঘটনার তদন্তে বৃহস্পতিবার তলব করেন পাপ্পুকে। আইনজীবী রাকেশ সিং সহ বেশ কয়েকজন অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে পাপ্পু গোয়েন্দা বিভাগে আসেন। পুরানো মামলায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে আসতেই তাঁকে ভিকি যাদব খুনে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়। এরপর এই গোয়েন্দা প্রধান শ্রীহরি পাণ্ডের সঙ্গে পাপ্পু সিংয়ের আইনজীবির রাকেশ সিংয়ের রীতিমতো বচসা হয়। পাপ্পুর অনুগামীরা  রীতিমতো বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরিস্থিতি সামাল দিতে  বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পাপ্পু সিং গ্রেফতার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা ছড়ায় জগদ্দলে। সেখানে পাপ্পু সিং অনুগামীরা ও রীতিমতো বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। আর এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে আসে।

    সোমনাথ শ্যাম পাপ্পুকে গ্রেফতার করিয়েছেন, সরব আইনজীবী

    পাপ্পু সিংয়ের আইনজীবী রাকেশ সিং বলেন, পাপ্পুকে অন্য একটি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। অথচ তাঁকে খুনের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হল। সোমনাথ শ্যাম পুলিশকে দিয়ে এসব করিয়েছে। পাপ্পু এলাকায় জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা। সেটা কখনও মেনে নিতে পারছেন না সোমনাথ। তাই তাঁকে হেনস্তা করতেই তাঁর নামে এভাবে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। অর্জুন সিং বলেন, ষড়যন্ত্র করে পাপ্পুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    সোমনাথকে নিয়ে কী বললেন অর্জুন?

    বারাকপুরের (Barrackpore) সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, দিন কুড়ি আগে থেকে সোমনাথ শ্যাম বলছে ভিকি যাদবকে খুন করিয়েছে আমার ভাইপো পাপ্পু। এদিকে, এই খুনের ঘটনায় ধৃত পঙ্কজ, যাকে পুলিশ মূল ষড়যন্ত্রকারী বলে জানিয়েছে তার জন্মদিন সোমনাথ শ্যাম পালন করছে, বিধায়কের পাশে দাঁড়িয়ে পঙ্কজ কেক কাটছে। সেই কেক সোমনাথ শ্যামকে খাওয়াচ্ছে। সেই ভিডিও, ছবি দেখে সবাই বুঝতে পেরেছে দুজনের কতটা গভীর সম্পর্ক। এই পঙ্কজ সোমনাথ শ্যামের লোক না হয়ে পাপ্পু সিংয়ের লোক হয়ে গেল? আসলে চক্রান্ত করে পাপ্পুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    খুনের পিছনে অর্জুন যোগ, প্রশ্ন সোমনাথের?

    সোমনাথ শ্যাম বলেন, “ভিকি যাদবকে খুন করার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী ছিল পাপ্পু। তার বিরুদ্ধে একাধিক খুনের অভিযোগ রয়েছে। এই পাপ্পু প্রকাশ্যেই বলতো, কাকা অর্জুন সিংয়ের কথা ছাড়া কোনও কাজ করিনা। তাহলে কোথাও না কোথাও কি এই খুনের পিছনে অর্জুন সিংও জড়িত আছে? এটাই আমার প্রশ্ন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য, নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনেই ডিএ নিয়ে ধর্নার অনুমতি

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে ভর্ৎসিত রাজ্য, নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনেই ডিএ নিয়ে ধর্নার অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ রাজ্যে সরকারের বিরোধিতা করার অর্থই হল প্রশাসনের রোষানলে পড়া। সঙ্গত দাবি নিয়ে পথে নেমে কেউ আন্দোলন করলে তাতেও নেমে আসে শাসকের খড়্গহস্ত। পুলিশের প্রথম কাজই হয়, অনুমতি না দেওয়া। বিজেপি এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা নিয়ে এরকম একাধিক ঘটনার সাক্ষী রাজ্যবাসী। প্রতিটি ক্ষেত্রেই অবশ্য হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে, পিছু হটে শেষমেশ অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছে মমতার প্রশাসন। বৃহস্পতিবার একই ঘটনা ঘটল ডিএ আন্দোলনকারীদের ক্ষেত্রেও। তাঁদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সভার অনুমতি আটকে দিয়েছিল পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শর্তসাপেক্ষে সেই অনুমতি দিয়ে দিলেন। শুধু তাই নয়, এবারও বিচারপতির ভর্ৎসনা থেকে রেহাই মিলল না সরকারের।

    কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)

    সংগ্রামী যৌথমঞ্চের পরিকল্পনা ছিল, তারা নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের কাছে তাদের প্রতিবাদ সভা করবে। সেই মতো পুলিশের কাছে নিয়ম মাফিক আবেদনও করে তারা। কিন্তু প্রথা মেনে পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। যুক্তি হল, রাজ্যের প্রশাসনিক কার্যালয় হল নবান্ন। সেখানে এই ধরনের বিক্ষোভ কর্মসূচি হলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে, নিরাপত্তাও হতে পারে বিঘ্নিত। রাজ্যের আরও যুক্তি ছিল, এভাবে ধর্না দিয়ে নাকি কোনও কাজ হয় না। এরই উত্তরে বিচারপতি মান্থা পাল্টা প্রশ্ন করেন, রেড রোডেও তো ১৪৪ ধারা থাকে। তাহলে সেখানে প্রশাসন মিছিল বা শোভাযাত্রা করার অনুমতি কীভাবে দিচ্ছে? আর সেখানে অনুমতি দেওয়া হলে নবান্নের কাছে নয় কেন?
    এরপরই তিনি জানিয়ে দেন, নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনে ধর্না কর্মসূচি করা যাবে, তবে কোনওভাবেই তা যেন ৭২ ঘণ্টার বেশি না হয়। একসঙ্গে ৩০০ জনের বেশি একই সময়ে থাকার ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন বিচারপতি (Calcutta High Court)। বিচারপতি আরও জানিয়ে দেন, ধর্নাতে কাজ হয় না, এই যুক্তিরও কোনও সারবত্তা নেই। কারণ চাকরিপ্রার্থীরা যখন ধর্না দিচ্ছেন, তখন তা দেখেই সরকার তাঁদের আলোচনার টেবিলে ডেকেছিল।

    কী কর্মসূচি যৌথমঞ্চের?

    আদালতের রায়ে দৃশ্যতই খুশির আবহ আন্দোলনকারীদের মধ্যে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ কোর্টের (Calcutta High Court) রায় মেনে তাদের কর্মসূচিও ঘোষণা করে দিয়েছে। সেই মোতাবেক নবান্ন বাসস্ট্যান্ডের সামনে ধর্নায় তারা বসবেন আগামী ২২ ডিসেম্বর, যা চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arjuna Award 2023: অর্জুন পুরস্কার পাচ্ছেন নৈহাটির ঐহিকা, কেন জানেন?

    Arjuna Award 2023: অর্জুন পুরস্কার পাচ্ছেন নৈহাটির ঐহিকা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেবল টেনিসে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য বাংলার তারকা ঐহিকা মুখোপাধ্যায় এবার অর্জুন পুরস্কার (Arjuna Award 2023) পাচ্ছেন। চিনের এশিয়ান গেমসে এই তারকা টেবল টেনিসের ডাবলসে ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন। বিশ্বকাপেও নৈহাটির এই মেয়ের নজরকাড়া সাফল্য ছিল। এরপর এই স্বীকৃতিতে রীতিমতো গর্বিত নৈহাটিবাসী। তবে, তারঁ সঙ্গে সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় সহযোগী হিসেবে ছিলেন। তাঁর নাম পুরস্কারের তালিকায় নেই।

    অর্জুন পুরস্কার পাওয়া নিয়ে কী বললেন তারকা কন্যা (Arjuna Award 2023)

    বুধবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়া দফতর থেকে এবারে মোট ২৬ জন ক্রীড়াবিদকে অর্জুন পুরস্কার (Arjuna Award 2023) দেওয়া হচ্ছে। এরমধ্যে বাংলার রয়েছেন তিনজন ক্রীড়াবিদ। ক্রিকেটের মহম্মদ শামি এই তালিকায় আছেন। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ কাপ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হিসাবে সম্মানিত হোন শামি। তারপরেই ভারতীয় বোর্ড শামির নাম অনুমোদন করে। আগে শামির নাম ছিল না। পরবর্তী সময়ে শামির নাম পাঠানো হয়। এশিয়ান গেমসে টেবল টেনিসে ব্রোঞ্জ পাওয়ায় খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে যান এই কন্যা। তাঁদের কোচ ছিলেন প্রথমে মিহির ঘোষ। তারপরে তিনি বেশি সাফল্য পান সৌম্যদীপ রায়ের কোচিংয়ে। এই পুরস্কার তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হবে ২৬ জানুয়ারি। এই সম্মান পাওয়া প্রসঙ্গে তারকা কন্যা  বলেন, সবসময় ভাল করে খেলা করার স্বপ্ন দেখতাম। অর্জুন পুরস্কার আমাদের কাজের বড় স্বীকৃতি। এটা আমাদের কাছে বিরাট প্রাপ্তিও। এতে আমাদের মনোবল আরও বেড়ে গেল। জানা গিয়েছে, বাংলার একুয়েস্ট্রিয়ানে এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী আয়ুষ আগরওয়ালকে অর্জুন দেওয়া হচ্ছে।

    গর্বিত নৈহাটিবাসী

    অর্জুন পুরস্কারের (Arjuna Award 2023) নিয়ম হচ্ছে সফল ক্রীড়াবিদের নাম সেই ক্রীড়া সংস্থা থেকে পাঠাতে হয়। তবেই সেটি মনোনীত করে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক। নৈহাটির এই কন্যার এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে খুশি এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বাংলার সন্মানের সঙ্গে সঙ্গে নৈহাটিবাসীকে গর্বিত করলেন ঐহিকা। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ছবি দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Egg Price: ডিমের দাম বাড়ছে হু হু করে, নাজেহাল মধ্যবিত্ত, মমতার টাস্ক ফোর্স কোথায়?

    Egg Price: ডিমের দাম বাড়ছে হু হু করে, নাজেহাল মধ্যবিত্ত, মমতার টাস্ক ফোর্স কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ মানুষের কাছে সহজলভ্য এবং কম খরচে প্রোটিনের উৎস ছিল ডিম। মোটামুটি সাড়ে ৪ টাকা থেকে ৫ টাকা ছিল প্রতি পিস ডিমের দাম। কিন্তু শীতের হাওয়া গায়ে লাগতেই যেন উলট পুরাণ। হু হু করে বেড়ে চলেছে ডিমের দাম (Egg Price)। গত কয়েক দিন ধরে কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন খুচরো বাজারে প্রতি পিস ডিমের দাম পৌঁছেছে সাড়ে ৭ টাকায়। অভিজাত বাজার এবং বাছাই করা ডিমের জন্য ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে পিস প্রতি আট টাকাও। ফলে আম আদমির এও যেন এক নয়া দুর্ভোগ। সামান্য ডিম কিনতে গিয়েও নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে। প্রতি বছর বড়দিনের আগে ডিমের দামে যে উর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যায়, এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।

    কেন এই মূল্যবৃদ্ধি? (Egg Price)

    এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, আমাদের রাজ্য ডিম উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। ফলে মোট যা চাহিদা, তা মেটাতে অন্য রাজ্যের ওপর নির্ভর করতেই হয়। মূলত এ রাজ্যে ডিম আসে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা প্রভৃতি রাজ্য থেকে। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড়ে তামিলনাড়ু তছনছ হয়ে গিয়েছে। আশানুরূপ ডিমের জোগান ওই রাজ্য থেকে মিলছে না। ফলে চাহিদার সঙ্গে জোগানে কোনও সামঞ্জস্য থাকছে না। কিন্তু এরকম একটা প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই দুয়ারে কড়া নাড়ছে বড়দিন। এই সময় কেকের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। কেক তৈরির অন্যতম উপাদান হল ডিম। কিন্তু বাজারে ডিমের জোগান এমনিতেই কম থাকায় পরিস্থিতি আরও বিগড়ে গিয়েছে। চড়চড় করে বেড়ে চলেছে দাম (Egg Price)। চিকেনের দাম সাধারণ বাজারে কমতে কমতে কেজি প্রতি ১৬০-৭০ টাকায় নেমে এসেছিল। তাও যেমন বাড়ছে, তেমনি ডিমের দামেরও এমন অস্বাভাবিক উর্ধ্বগতিতে মানুষ নাকানি চোবানি খাচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কালোবাজারিরা সক্রিয় হয়ে ওঠেনি তো? 

    টাস্ক ফোর্স কোথায়? (Egg Price)

    প্রশ্ন হল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢাকঢোল পিটিয়ে যে টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছেন, তারা কোথায়? মুদ্রাস্ফীতির সময় তাদের মাঝে মধ্যে লোক দেখানো বাজার পরিদর্শনে দেখা গেলেও তার প্রভাব সেভাবে বাজারে পড়তে দেখা যায় না। অর্থাৎ, বাজার তার নিজের গতিতেই বেড়ে চলে (Egg Price)। ফলে এই টাস্ক ফোর্স নামক কুমির ছানা নিয়েও জনমানসে ক্ষোভ জমতে শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: সংখ্যালঘু এলাকায় বেহাল রাস্তা সারায়নি তৃণমূল, তারপর কী হল জানেন?

    Arambagh: সংখ্যালঘু এলাকায় বেহাল রাস্তা সারায়নি তৃণমূল, তারপর কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১৫ বছর পার হয়ে গেলেও হাল ফেরেনি গ্রামের ২ কিমি কাঁচা রাস্তার। এক হাঁটু কাদা পেরিয়েই তিনটি গ্রামের বাসিন্দাদের এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এই চিত্র আরামবাগের (Arambagh) গৌরহাটি-১ নং পঞ্চায়েতের সাঁপড়োজোল গ্রামের। এই গ্রামে ঢোকে না কোনও অ্যাম্বুল্যান্স, অসুস্থ রোগীকে নিয়ে যেতে ভরসা সেই খাটিয়া। এমনই অভিযোগ বাসিন্দাদের। এলাকাটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। তৃণমূল পঞ্চায়েতকে বার বার বলেও কোনও কাজ হয়নি। তাই, এবার ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পাশাপাশি, বেহাল রাস্তা সংস্কার করার জন্য তৃণমূলের উপর নির্ভর না করে গ্রামবাসীরা নিজেরাই কোদাল হাতে রাস্তা মেরামতির কাজে হাত লাগান।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Arambagh)

    আরামবাগের (Arambagh) গৌরহাটির সাঁপড়োজোল থেকে বেয়ুড় গ্রাম প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তা। প্রায় ১৫ বছর ধরে রাস্তাটি বেহাল অবস্থা। তিনটি গ্রামের মানুষের ভরসা এই রাস্তা। যার ফলে যতদিন পেড়িয়েছে, ততই খারাপ হয়েছে রাস্তার হাল। বর্ষা ছাড়াও বৃষ্টি হলেই রাস্তায় এক হাঁটু সমান কাদা পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয় বলে অভিযোগ। এলাকার মানুষের অভিযোগ, এই রাস্তায় কোনও গাড়ি চলাচল করা যায় না। বেশিরভাগ সময় কাদা পেরিয়ে, সাইকেল কাঁধে নিয়ে পার হতে হয়। ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলে যেতে চরম অসুবিধা হয়। গ্রামে ঢোকেনা অ্যাম্বুল্যান্স। অসুস্থ রোগীদের খাটিয়া করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।  সম্প্রতি ওই রাস্তায় কৃষি কাজে ট্রাক্টর ঢোকায় ফেটে যায় জলের পাইপ। তার জেরে জলমগ্ন হয়ে যায় রাস্তা। গর্ত হয়ে যায় রাস্তা। তারপরও রাস্তা সংস্কারে তৃণমূল পঞ্চায়েত এগিয়ে আসেনি। তাই, গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই নিজেদের রাস্তা মেরামতের কাজের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    এবিষয়ে তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিশির সরকার বলেন, আমি আগে ওই রাস্তা সংস্কারের কাজ করেছি। পঞ্চায়েতকে মোড়াম করার জন্য বলেছিলাম, তা করেছে কি না তা আমি জানি না। তবে, এবারে পথশ্রীর জন্য ওই রাস্তার নাম পাঠিয়েছি।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এবিষয়ে আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ওই এলাকায় আমি গিয়েছিলাম। ওই কাঁচা রাস্তা একেবারেই বেহাল দশা। এলাকায় বহু সংখ্যক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। এতদিন শুধু তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভোট দিয়ে এসেছেন। অন্য দলকে ভোট দেয় নি। তৃণমূল দল কেমন তা ওরা এখন বুঝতে পারছেন। একবার বিজেপিকে ভোট দিয়ে রাস্তা সংস্কার হয় কি না দেখুক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share