Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Pirates of Somalia: ভারতীয় নৌসেনার বিরাট সাফল্য, সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার এক নাবিক

    Pirates of Somalia: ভারতীয় নৌসেনার বিরাট সাফল্য, সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার এক নাবিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমালি জলদস্যুদের (Pirates of Somalia) হাতে অপহরণের শিকার হয়েছেন জাহাজের নাবিকরা, রীতিমতো লড়াই করে আহতও হয়েছেন। পরে তাঁদের মধ্যে একজন নাবিককে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌসেনা। তাদের এই সাফল্যে শোরগোল পড়েছে দেশে। গত ১৪ ডিসেম্বর এমভি রুয়েন নামক একটি জাহাজ থেকে সাহায্যের জন্য বার্তা পাঠানো হয় ভারতীয় নৌসেনার কাছে। সেখানে বলা হয়, ছ’জন জলদস্যু অবৈধ ভাবে দখল করেছে জাহাজকে। এরপর ভারতীয় নৌসেনার পক্ষ থেকে ওই নাবিককে উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে।

    কী ঘটেছিল ঘটনা (Pirates of Somalia)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, আরব সাগরে সোমালিয়া জলদস্যুদের (Pirates of Somalia) কবলে আটকে পড়া পণ্যবাহী জাহাজ উদ্ধারে কাজ করে চলেছে ভারতীয় নৌসেনা। এমভি রুয়েন নামে ওই মালটার পণ্যবাহী জাহাজটি অপহরণের শিকার হয়েছিল। তাতে ১৮ জন নাবিক ছিলেন। এর মধ্যে একজনকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌসেনা। একটি হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধার করে তাঁকে বর্তমানে ওমানের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    কীভাবে উদ্ধার করা হল?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার অপহরণের পর জলদস্যুরা (Pirates of Somalia) জাহাজটিকে সোমালিয়ার তটের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। এমন সময় খবর পেয়ে এডেন উপসাগরে টহলরত ভারতের নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ এবং একটি বিমান সেখানে পৌঁছে যায়। ভারতের সরকারি একটি সূত্রে বলা হয়, জলদস্যুরা মিলে জাহাজকে সোমালিয়ার সীমানার দিকে নিয়ে যেতেই ভারতীয় নৌবাহিনী আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর শুরু হয় দস্যুদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ। সংঘর্ষে বেকায়দায় পরে দস্যুরা এক আহত নাবিককে মুক্তি দিতে সম্মত হয়।

    উল্লেখ্য, জলদস্যুদের কারণে আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এই ক্ষেত্রে দস্যুরা জাহাজ অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে বলে অভিযোগ উঠে আসে। বিগত কয়েক বছর ধরে এই জলদস্যুদের প্রভাব কম থাকলেও বর্তমানে তারা বেশ সক্রিয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় ভারতের উপকূলগুলিতে সমুদ্র সীমান্তে সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ তৃণমূলের পুর চেয়ারম্যানের, কেন জানেন?

    Cooch Behar: পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ তৃণমূলের পুর চেয়ারম্যানের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বিরুদ্ধে শাসকদলের দলদাস সহ নানা অভিযোগ করে বিরোধীরা। এবার সেই পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন তৃণমূলের কোচবিহার (Cooch Behar) পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। শুধু পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ খুলে তিনি চুপ থেকেছেন তা নয়, তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার জরুরি ভিত্তিতে কোচবিহার পুরসভার বোর্ড মিটিং করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

    কেন পুলিশের বিরুদ্ধে চটলেন তৃণমূল নেতা? (Cooch Behar)

    কোচবিহার (Cooch Behar) রাসমেলার আয়োজন করে পুরসভা। মেলার সূচনা ও সমাপ্তি- দুই পর্বই পুরসভা ঘোষণা করে। সেখানে মেলা শেষ হওয়ার তিন দিন আগে থেকেই মেলার সমাপ্তির কথা জানিয়ে মাইকে প্রচার করে পুলিশ। ২৭ নভেম্বর এ বার মেলা শুরু হয়। কুড়ি দিনের মেলা শেষ হয় ১৬ ডিসেম্বর। ব্যবসায়ীরা মেলার মেয়াদবৃদ্ধির দাবি করলেও, তা মানা হয়নি। অভিযোগ, ১৬ ডিসেম্বর রাত ১২টার পর থেকে পুলিশ দোকান ভেঙে নিতে ব্যবসায়ীদের উপরে চাপ তৈরি করে। ঐতিহ্যবাহী রাসমেলার শেষ মুহূর্তে ব্যবসায়ী ও পুরকর্মীদের উপরে অত্যাচার করেছে পুলিশ। তা নিয়ে দু’দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন কর্মীরা। তাতে শহর জুড়ে আবর্জনা ছড়িয়ে পড়েছে। রাসমেলার মাঠ, ভবানীগঞ্জ বাজারে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। এই অবস্থায় শহরে মিছিল করে পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান পুরকর্মীরা। পরে, পুরসভার চেয়ারম্যান তাঁদের কাছে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার আবেদন করেন। চেয়ারম্যানের কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে নালিশ জানান পুরকর্মীরা। এরপরই তৃণমূল নেতা তথা পুরসভার চেয়ারম্যান পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, এ বারের রাসমেলায় পুলিশের একটি অংশের ভূমিকা মোটেই ভাল ছিল না। নিরীহ ব্যবসায়ীদের মারধর করা হয়েছে। তাঁদের জিনিসপত্র নিয়ে দোকান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাব।

    জেলা পুলিশের এক কর্তা কী বললেন?

    কোচবিহার জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, মেলা শেষ হওয়ার পরেও একটি অংশ আটকে কেনাবেচা করা হচ্ছিল। তাতে ভিড় বাড়ছিল। সে জন্যেই সবাইকে দোকান ভেঙে নিতে বলা হয়েছে। পুরকর্মীরা যে অভিযোগ করছে তা ঠিক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: স্বামীজির স্মৃতিবিজড়িত স্থান ঘিরে এখন পার্কিং জোন, প্লেট ঢেকেছে মুহুরিদের প্লাস্টিকে

    Howrah: স্বামীজির স্মৃতিবিজড়িত স্থান ঘিরে এখন পার্কিং জোন, প্লেট ঢেকেছে মুহুরিদের প্লাস্টিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার যে রেজিস্ট্রি অফিসে বেলুড় মঠের জমি রেজিস্ট্রি করতে এসেছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ স্বয়ং, সেই জায়গা এখন হয়ে উঠেছে পার্কিং জোন। ভবনের সামনের অংশে একটা প্লেট দেওয়া আছে ঠিকই, কিন্তু তা ঢেকে গিয়েছে মুহুরিদের টাঙানো প্লাস্টিকে। মহাপুরুষরা যেখানে যেখানে যান বা গিয়েছেন, তার প্রতিটি জায়গা হেরিটেজ বলে ঘোষণা করা সম্ভব নয়। কিন্তু যে সব জায়গায় মহাপুরুষদের স্মৃতি আছে, সেখানে একটা ফলক বসিয়ে দিলেই কি যথেষ্ট শ্রদ্ধা দেখানো হয় যায়? এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে অনেকের মনেই। তাছাড়া যেভাবে দায়সারা করে একটি মূর্তি বসিয়ে তার নীচে ফলক দেওয়া হয়েছেে, তাতে এই জায়গায় ঐতিহাসিক গুরুত্ব পথচারীরা জানতে পারছেন কিনা, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। তাছাড়া নাগরিক সমস্যাও রয়েছে।

    দুর্ঘটনা এখানে লেগেই থাকে

    বিবেকানন্দের মূর্তি ফুটপাতের যেখানে বসানো হয়েছে, তার দুপাশ ঘেরা। ফলে পথচারীরা এই ফুটপাত দিয়ে চলাফেরা করতে পারেন না। সামনে আবার সার সার গাড়ি দাঁড়িয়ে। বাধ্য হয়েই এখানে ফুটপাতের বদলে রাস্তা ধরে যাতায়াত করতে হয়। রেজিস্ট্রি অফিস, হাওড়া আদালত, হাওড়া পুরসভা ও জেলা পরিষদে আসা লোকজনের ভিড় থাকে প্রতিদিনই। কোর্ট ও রেজিস্ট্রি অফিসেও নিত্যদিনের ভিড় যথেষ্ট। হাটের দিন আবার দশগুণ ভিড় হয়। ফলে ছোট ও মাঝারি দুর্ঘটনা এখানে লেগেই থাকে। উল্টো দিকেই হাওড়া জেলাশাসকের অফিস, কাছেই হাওড়া থানা ও পুলিশ কমিশনারের অফিস। তাও এই জায়গার চরম অব্যবস্থা কেন কারও চোখে পড়ে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন আদালতে প্রায়ই যাঁরা নানা কাজে আসেন তাঁরা। হাওড়ার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে এই জায়গায় নিত্য আসতেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কোথায় সেই ফলক রয়েছে, তা বলে না দিলে কেউ খুঁজেও পাবে না। সময়ের সঙ্গে এই জায়গার ব্যস্ততা বেড়েছে। ভিড় বেড়েছে। ভবনের সংস্কার হয়েছে, কাছাকাছির মধ্যে নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু ঐতিহ্যকে যে অবহেলা করে সেসব করা হয়েছে, তা সাধারণের চোখে এমনিতেই ধরা পড়ে যায়। আর নানা রকম কর্মকাণ্ড হলেও পথচারীদের নিরাপত্তাকে যে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, তাও স্পষ্ট।

    পরিকল্পনার অভাব

    এই জায়গায় নতুন করে কিছু করা এই মুহূর্তে সম্ভব না হলেও, বঙ্কিম সেতু ও জি টি রোডের সংযোগস্থলে যেখানে ট্যাক্সি স্ট্যান্ড গজিয়ে উঠেছে, হাওড়া ময়দান মেট্রো প্রকল্পের কাজ চলাকালীন সেখানে কেন পার্কিং লট বানানো হল হল না, সেই প্রশ্নও উঠছে। এই এলাকায় ছবি গত দশ বছরে পুরো বদলে গিয়েছে। কিন্ত যা হয়েছে তার কিছুই যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে করা হয়নি তা স্পষ্ট। এখনও মেট্রো রেল চালু হয়নি। এখনই সরকারি স্তরে উদ্যোগ শুরু হলে নিউ মার্কেটের মতো এখানেও মাটির নিচে পার্কিং লট তৈরি করে রাস্তা ও ফুটপাত সাধারণের চলাচলের উপযোগী করা যায়।

    পুরসভা অন্ধকারে

    অন্যদিকে হাওড়া আদালতের সামনে হাওড়া পুরসভা অনুমোদিত যে পার্কিং জোন রয়েছে, তার আয়তন কতটা, তার সঠিক তথ্য নেই পুরসভার কাছেই। ফলে পার্কিং ফি নেওয়ার দায়িত্ব যে এজেন্সির কাছে, তারা যথেচ্ছ ভাবে ডবল লাইন করে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের অনুমতি দেয়। আর এর ফলেই যানজট এবং মাঝেমধ্যেই পার্কিংকে কেন্দ্র করে গন্ডগোল লাগে এখানে। কয়েক বছর আগে ডবল লাইনে পার্কিংকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের সঙ্গে গন্ডগোলে উত্তাল হয়ে উঠেছিল হাওড়া ময়দান এলাকা। এমনকী র‍্যাফ নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, হাওড়া আদালতের সামনে পার্কিং ঠিক কতটা জায়গা জুড়ে রয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে হবে। যদি রেজিস্ট্রি অফিসের কাছে পার্কিংয়ের অনুমতি না থাকে তাহলে সেখান থেকে পার্কিং তুলে দেওয়ারও উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না, তাড়া করে বেড়াব!” নবান্নে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না, তাড়া করে বেড়াব!” নবান্নে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৪ ডিসেম্বর নবান্নের ১৪ তলায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে হাজির হননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আজ বুধবার দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক হয়। উল্লেখ্য এই দিনেই শুভেন্দু হঠাৎ নবান্নে পৌঁছে যান। তিনি নবান্নে দাঁড়িয়ে হুঙ্কার দিয়ে বলেন, “এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না, তাড়া করে বেড়াব!”। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, চন্দনা বাউরি সহ আরও দুই বিধায়ক।

    কখন পৌঁছালেন নবান্নে (Suvendu Adhikari)?

    এদিন বেলা ১১ টা ৫০ মিনিট নাগাদ পৌঁছে যান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। উল্লেখ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন নবান্নে উপস্থিত ছিলেন না। ফলে নবান্নে নিরাপত্তা বলয় কম ছিল। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা নবান্নে পৌঁছালে দ্রুত নিরাপত্তা বলয় বৃদ্ধি করা হয়। একদিকে আজ যখন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের বকেয়া নিয়ে দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করছিলেন, ঠিক সেই সময় শুভেন্দু, মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। রাজ্যের মানুষকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে কেন বঞ্চনা করা হচ্ছে, তাই জানতে চেয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

    নবান্ন থেকে বের হয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বিজেপির সমর্থক ভোটারদের কেন্দ্রের আবাস থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। যুক্তি ও তথ্য দিয়ে আমরা রাজ্যের মুখ্যসচিবকে বলে গেলাম। মুখ্যসচিবের সঙ্গে দেখা করেছি। আইন মেনে আমরা মোট পাঁচ জন এসেছি। রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট লুট হয়েছে। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে দিল্লিতে ড্রামা করতে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের শৌচালয়ের টাকা পায়নি পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। তাই আজ এখানে প্রতিবাদ জানিয়ে গেলাম।”

    শুভেন্দুর হাতে পোস্টার

    সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) নিজের হাতে একটি পোস্টার নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন নবান্নের সামনে। তাতে প্রধানমন্ত্রীর গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা, আবাস যোজনার টাকার কথা লেখা ছিল। মোদির সময়ে যত বেশি পরিমাণে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সেই হিসাবও এদিন লিখে আনেন শুভেন্দু পোস্টারে। কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের করা সকল অভিযোগকে খারিজ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। বিগত কংগ্রেস সরকারের আমল থেকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার অনেক বেশি আর্থিক বরাদ্দ করেছ বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু। পালাটা রাজ্য সরকার রাজ্যবাসীকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চনা করছে বলে অভিযোগ করেন।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: গ্যাসেও কাটমানি! আধার সংযোগ করতে মন্ত্রীর স্ত্রী নিচ্ছেন ২০০ টাকা! বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

    Nadia: গ্যাসেও কাটমানি! আধার সংযোগ করতে মন্ত্রীর স্ত্রী নিচ্ছেন ২০০ টাকা! বাড়ির সামনে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে গ্যাসের কেওয়াইসি করানোর অভিযোগ। মন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ গ্রাহকদের। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে (Nadia)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    আধার লিংক করাতে ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে! (Nadia)

    রাজ্যের মন্ত্রী তথা কৃষ্ণনগর (Nadia) দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাসের স্ত্রীর নামে গ্যাসের ডিলারশিপ রয়েছে। কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী গোটা দেশ জুড়ে চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের সঙ্গে আধার কার্ডের লিংক করানোর কাজ। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিভিন্ন গ্যাসের ডিলারের অফিস থেকে এই কেওয়াইসি করার নির্দেশ রয়েছে কেন্দ্র সরকারের তরফে। সেই মতো বিভিন্ন জায়গায় গ্রাহকরা গিয়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তাঁদের আধার লিঙ্ক করিয়ে আনছেন। অথচ দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের স্ত্রী সোমা বিশ্বাস গ্রাহকদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। টাকা না দিলে বলা হচ্ছে এখানে কেওয়াইসি করা যাবে না। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গ্রাহকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে সোমা বিশ্বাস এবং তাঁর কর্মীদের বিরুদ্ধে। মূলত এই অভিযোগ তুলেই একাধিক গ্রাহক মন্ত্রীর বাড়ির সামনে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গ্রাহকদের বক্তব্য, কেন ২০০ টাকার বিনিময়ে আমরা কেওয়াইসি করব, যেখানে সরকারি নির্দেশ রয়েছে সম্পন্ন বিনামূল্যে এই কাজ করা যাবে। কৃষ্ণনগরে অন্য গ্যাস অফিসে কোথাও নেওয়া হচ্ছে না।

    মন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রী কী সাফাই দিলেন?

    যদিও গ্রাহকদের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল মন্ত্রীর স্ত্রী সোমা বিশ্বাস। তিনি বলেন, কেওয়াইসির বিনিময়ে কোনও টাকা নেওয়া হচ্ছে না। গ্যাসের যে পাইপ লাইন রয়েছে সেই পাইপ দেওয়ার বিনিময়ে ওই ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। এটা শুধু আমার এখানে নয়, জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন গ্যাসের ডিলাররা একই নিয়মে কাজ করছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস বলেন, গোটা দেশজুড়ে একই নিয়ম চলছে। আর আমরা তো দেশের বাইরে নই। যার সমস্যা হবে সে আসবে না।

    গ্যাসেও কাটমানি নিচ্ছে তৃণমূল

    এ বিষয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা সন্দীপ মজুমদার বলেন, কোথাও নিয়ম নেই পাইপ না নিলে কেওয়াইসি করা যাবে না। এটা সম্পূর্ণ জোড়পূর্বক করা হচ্ছে। গ্যাসেও কাটমানি খাওয়ার ধান্দা। তৃণমূলের এটাই পরিচয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠককে ‘শোকসভা’ বলে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠককে ‘শোকসভা’ বলে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারে দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের ‘মেগা বৈঠক’কে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বললেন, “দিল্লির বৈঠক শোকসভা। ছত্তিসগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ-এই তিন রাজ্যের নির্বাচনী ফলাফলের পর ওরা সেমি ফাইনালে পরাজিত হয়েছে। সেই নীরবতা পালনের জন্য এই বৈঠক।” অপর দিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝে গিয়েছেন যে বিজেপির বিরুদ্ধে একা লড়াই করা সম্ভবপর নয়। তাই জোটের কথা বার বার বলছেন।”

    উল্লেখ্য, পাওনা টাকার দাবিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে গিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে গতকাল সংসদে বিরোধী দলের শতাধিক সাংসদের অভব্য আচরণের জন্য সাসপেন্ড করার ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়েছে। সেই সঙ্গে এই সপ্তাহতেই আবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আর্থিক দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তলব করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি সফর নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের নেতারা সব চোর। জোটের সমস্ত নেতারা দুর্নীতিগ্রস্থ। ওরা যা ইচ্ছে করুক। ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি ৪০০ আসন অতিক্রম করবে। ওরা শুধু দেখবে, জ্বলবে আর লুচির মতো ফুলবে।” উল্লেখ্য, দিল্লীতে গিয়ে বিরোধী জোট প্রসঙ্গ নিয়ে মমতা বলেছেন, “বেড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধতেই হবে। বাম-কংগ্রেস যদি ঠিক মনে করেন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে তাহলে আমাদের আপত্তি নেই। লোকসভার ভোটে জোট জিতলে প্রধানমন্ত্রীকে হবেন তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে লোকসভা নির্বাচনের পরেই।” এরপর থেকেই রাজ্যের প্রেক্ষাপটে মমতা এবং শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) বাক্যবাণে বঙ্গের রাজনীতিতে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত?

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সুর মিলিয়ে বালুরঘাট লোকসভার সাংসদ তথা বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “শাসক যখন শক্তিশালী হয় তখন দেশে এই রকম হয়। বিরোধীরা একজোট হওয়ার চেষ্টা করেন। আগামী লোকসভার ভোটকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাই ২০২৪ সালের নির্বাচন নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: আগুনে পুড়ে ছাই শতাধিক বাড়ি, শীতে খোলা আকাশের নীচে বাসিন্দারা

    Howrah: আগুনে পুড়ে ছাই শতাধিক বাড়ি, শীতে খোলা আকাশের নীচে বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেল হাওড়ার (Howrah) ব্যাটরা থানার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের কাছে ড্রেনেজ ক্যানাল রোডের ধারে একটি বস্তি।  প্রায় শতাধিক ঝুপড়ি বাড়ি সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গিয়েছে। যার জেরে সর্বহারা হলেন কয়েকশো মানুষ। এই কনকনে শীতের মধ্যে মাথার ছাদ টুকু চলে গেল সবার। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে, দমকলের প্রাথমিক অনুমান গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন লাগতে পারে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)  

    মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হঠাৎ করেই হাওড়ার (Howrah) ড্রেনেজ ক্যানেল রোডের ওই  ঝুপড়ির একটি বাড়িতে আগুন লাগে। তারপর সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের ঝুপড়ি বাড়ি গুলিতে। কাঁথা কম্বল থেকে শুরু করে কাঠ, বাঁশের বেড়া, চাঁচের ঘর এই সব থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, তা দেখে ঝুপড়ির বাসিন্দারা ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন রাস্তায়। তারপর বস্তির ঘরে  থাকা গ্যাস সিলিন্ডার গুলিতেও আগুন লেগে বিস্ফোরণ হতে থাকে। আগুন আরও ভয়াবহ আকার নেয়। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে নিজেরাই ঘরের মধ্যে যা জল ছিল এবং পাশে একটি ঝিল থেকে জল তুলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, তাতেও আগুন নেভানো যায়নি। তারপর তারা ব্যাটার থানায় এবং পরে দমকলে খবর দেন। হাওড়া ময়দান দমকল কেন্দ্র থেকে দমকলের ছটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে, আরও চারটি ইঞ্জিন আসেন। মোট ১০টি ইঞ্জিন একযোগে কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও আগুন এত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে যে বস্তির কোনও কিছুই আস্ত পাওয়া যায়নি। আসবাব থেকে বস্তির বেড়া পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, রান্নার থালা, গ্লাস, বাটি আগুনে দুমড়ে মুচড়ে দলা পাকিয়ে গেছে।

    বস্তিবাসীদের কী বক্তব্য?

    কল্যাণী অধিকারী নামে এক বাসিন্দা বলেন, হঠাৎ করেই দেখলাম ঘর থেকে ধোঁয়া উড়ছে। ঘর বের হতেই সম্পূর্ণ বাড়িটা পুড়ে ছাই হয়ে গেল। কোনও কিছুই ঘর থেকে বের করতে পারলাম না। এখন এই ঠান্ডায় পরিবার নিয়ে কোথায় যাব, কোথায় রাত কাটাবো, কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। অসীমা দলুই নামে এক বাসিন্দা বলেন, এমনিতেই অভাবের সংসার। কোনও রকমে রিকশা টেনে সংসার চলে। এই বস্তিতে মাথা গোঁজার আশ্রয় নিয়েছিলাম। আগুনে পুড়ে সেটাও চলে গেল। এখন কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না।

    দমকলমন্ত্রী কী বললেন?

    হাওড়া (Howrah) পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে আসেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তিনি বলেন, কী করে আগুন লাগলো তা তদন্ত করে দেখা হবে। তবে, যাদের বাড়ি পুড়েছে তাদের জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের টাকায় তাঁদের বাড়িগুলি তৈরি করে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে আসতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী!

    PM Modi: ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠানে আসতে পারছেন না প্রধানমন্ত্রী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার ব্রিগেডে হবে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠে’র অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণই ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেই তিনিই থাকছেন না অনুষ্ঠানে। উদ্যোক্তারা প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে প্রচার করছিলেন। তবে বিশেষ কারণবশত: তিনি আসছেন না বলেই খবর প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে। ব্রিগেডের এই অনুষ্ঠানের আয়োজক অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ। পরিষদের কর্তারা জানাচ্ছেন, এ বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানেন না তাঁরা। তবে বাকি কর্মসূচি হবে, পূর্বনির্ধারিত সূচি মেনেই।

    কী বললেন সুকান্ত?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সফর বাতিল হতে পারে বলে আমিও শুনেছি।” আয়োজক সংগঠনের সহ সভাপতি নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারী বলেন, “আমাদের কাছে এখনও এ রকম কোনও খবর নেই। প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) দফতর থেকে কোনও কিছু জানানো হয়নি। তবে আমাদের যেমন কর্মসূচি রয়েছে, তেমনই হবে। লক্ষ মানুষের সমাগমেই হবে গীতাপাঠ। নজরুলগীতি থেকে শঙ্খবাদন কোনও কিছুই বাদ যাবে না।”

    কী বললেন শুভেন্দু? 

    লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। রাজ্য সরকারের তরফে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার করা যাবে না জানার পরে বাতিল হয়েছে রাষ্ট্রপতির সফর। এবার বাতিল হয়ে গেল অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ প্রধানমন্ত্রীর সফরও। গীতাপাঠের অনুষ্ঠান প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “গীতাপাঠের অনুষ্ঠান হবে। গত বছর মায়াপুরে পাঁচ হাজার সনাতনী গীতা পাঠ করে ঘোষণা করেছিলেন, তাঁরা আগামী ২৩ ডিসেম্বর গীতা জয়ন্তী পালন করবেন। ২৩ তারিখ শনিবার হওয়ার কারণে ওই কর্মসূচি পালন করা হবে ২৪ ডিসেম্বর।”

    আরও পড়ুন: সাত সকালে বিধায়ক বাইরনের বাড়িতে আয়কর হানা, কেন জানেন?

    তিনি বলেন, “এই কর্মসূচি সাধু-সন্তদের। আমরা দলের লোকেরা শুধু স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করব। মঞ্চে সাধু-সন্ত ছাড়া আর কাউকে দেখা যাবে না। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম সারির প্রায় সাড়ে তিন হাজার মঠ ও আশ্রমের সাধু-সন্ন্যাসী ওই দিন উপস্থিত থাকবেন।” প্রধানমন্ত্রীর অনুপস্থিতির প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি অনেককেই এই কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাঁরা আসার ইচ্ছেও প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত জরুরি একটি কাজ রয়েছে বলে তিনি আসতে পারবেন না। তাঁর দফতর থেকে সাধু সমাজকে তিনি যে আসতে পারবেন না, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা তাঁদের কাছ থেকেই জানতে পেরেছি।” প্রসঙ্গত, ব্রিগেডে ঘণ্টা তিনেকের ওই অনুষ্ঠানে গীতার বাছাই করা পাঁচটি অধ্যায় পাঠ করবেন লক্ষ মানুষ। এই অনুষ্ঠানেই যোগ দেওয়ার কথা ছিল রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Bayron Biswas: সাত সকালে বিধায়ক বাইরনের বাড়িতে আয়কর হানা, কেন জানেন?

    Bayron Biswas: সাত সকালে বিধায়ক বাইরনের বাড়িতে আয়কর হানা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগে তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতে আয়কর দফতর হানা দিয়েছিল। পাশাপাশি রাজ্যের একাধিক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও অভিযান চালানোর খবর পাওয়া গিয়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার মুর্শিদাবাদের সাঘরদিঘির বিধায়ক বাইরন বিশ্বাসের (Bayron Biswas) বাড়িতে হানা দিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। বুধবার সকালে বিধায়কের শামসেরগঞ্জের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। আয়কর ফাঁকির অভিযোগে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বাইরনের বাড়িতে হানা দিয়েছে আয়কর বিভাগ। মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমের একাধিক এলাকাতেও আয়কর হানা চলছে। বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে তিনি কর ফাঁকি দিয়েছেন। সেই কারণেই বাইরনের বাড়িতে হানা দিয়েছেন আয়কর বিভাগের আধিকারিকেরা।

    বিধায়কের বাড়ি ছাড়াও আর কোথায় কোথায় তল্লাশি চালানো হয়? (Bayron Biswas)

    সাত সকালে মুর্শিদাবাদের শামসেরগঞ্জের ধূলিয়ানের বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল হানা দেয়। যে বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল হানা দিয়েছে সেটি অবশ্য বাইরন বিশ্বাসের (Bayron Biswas) বাবা বাবর আলির নামে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বাড়িতে বিধায়ক আছে কিনা তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। বাবর আলির এই বাড়িতে বিড়ির কারখানা রয়েছে। শুধু এক জায়গায় নয় শামসেরগঞ্জের পাশাপাশি সাগরদিঘির বাড়িতেও বিধায়কের বিড়ির কারখানা, হাসপাতাল, চা কোম্পানি এবং ডাকবাংলার বাড়িতেও আয়কর দফতরের আধিকারিকরা হানা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, বাইরন বিশ্বাস উপনির্বাচনে দাঁড়াবার আগে নির্বাচন কমিশনে তাঁর আয়ের যে তথ্য দিয়েছিলেন তাতে দেখা যাচ্ছে যে তিনি বিড়ির ব্যবসা শুরু করেই অন্যান্য ব্যবসা শুরু করেন। তাঁর নামে একাধিক নার্সিংহোম, রাসায়নিক ফ্যাক্টরি রয়েছে।

    অভিষেকের হাত ধরে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন বাইরন

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে মারা যান সাগরদিঘির বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা। চলতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘির উপনির্বাচন হয়। ২ মার্চ উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হলে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন (Bayron Biswas)। কিন্তু, জুন মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রা ঘাটালে পৌঁছলে সেখানে গিয়ে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: স্বামী-সন্তানকে নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন মহিলা! লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়ে সর্বস্বান্ত অনেকেই

    Fraud: স্বামী-সন্তানকে নিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন মহিলা! লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়ে সর্বস্বান্ত অনেকেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইনে প্রতারিত হওয়ার ঘটনা প্রায় ঘটছে। এবার সহানুভূতি কিংবা ঋণ পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ উঠল এক দম্পতির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির কোন্নগর এলাকায়। প্রতারিতরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, নির্দিষ্ট ধারায় অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কীভাবে প্রতারণা করতেন দম্পতি? (Fraud)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকদের নাম সোমা কর, তাঁর স্বামী গৌতম কর ও তাঁর ছেলে কৌশিক কর। তাঁদের বাড়ি কোন্নগর পঞ্চাননতলা এলাকায়। মোটা টাকা ঋণ করিয়ে দেওয়ার নাম করে এক ব্যক্তির কাছে থেকে কয়েক ধাপে প্রায় আট লক্ষ টাকা নিয়েছেন তাঁরা। ঋণ না পেয়ে প্রতারিত ব্যক্তি টাকা ফেরত চাইলে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। যে টাকা নেওয়া হয়েছে তার সমস্ত কাগজপত্র আছে। কিন্তু, টাকা কিছুতেই ফেরত দিতে চায়নি বলে শেষে প্রতারিত ব্যক্তি উত্তরপাড়া থানার দ্বারস্থ হন। আরেক প্রতারিত লিলি বোস বলেন, ওই কর দম্পতি আমার বাড়িতে এসে আর্থিক সমস্যার কথা বলে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। কিন্তু অনেকদিন হয়ে যাওয়ায় টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে পুলিশে অভিযোগ জানাই। প্রতারণার খবর জানাজানি হওয়ার পরেই পলাতক তিন অভিযুক্ত। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে, তাঁদের বাড়িতে ঝুলছে তালা। অভিযুক্তকে ফোন করা হলেও সঠিক উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। কখনও বলছেন তাঁরা বাড়িতে নেই, আবার কখনও বলছেন, এটা ভুল নম্বর। জানা গিয়েছে, এক বা দুজন নয়, এই এলাকায় বহু মানুষের থেকে নানা কৌশল করে তাঁরা প্রতারণা (Fraud) করে টাকা নিয়েছেন। এদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। না হলে তাঁরা এই ধরনের কারবার আরও চালাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share