Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Malda: মানিকচকে পুকুরপাড় থেকে শতাধিক রেশন কার্ড উদ্ধার! দুর্নীতির আরও এক চক্র?

    Malda: মানিকচকে পুকুরপাড় থেকে শতাধিক রেশন কার্ড উদ্ধার! দুর্নীতির আরও এক চক্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) মানিকচকে পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার শতাধিক রেশন কার্ড! ঘটনাটি ঘটেছে মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনের সংলগ্ন পুকুরে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গেছে এলাকায়। উদ্ধার হয়েছে ১০৫টি রেশন কার্ড। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিডিও। কীভাবে এই কার্ড এলো, তারই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে তৃণমূলের বর্তমান বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং মন্ত্রীঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ফের রেশন কার্ড উদ্ধার হওয়া প্রশাসন প্রশ্নের মুখে। অনেকেরই মনে প্রশ্ন জেগেছে, এটা রেশন দুর্নীতির আরও এক চক্র নয়তো? 

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Malda)?

    মঙ্গলবার সকালেই হঠাৎ মানিকচকের (Malda) পঞ্চায়েত দফতরের পাশে পুকুরের পাড়ে প্রচুর রেশন কার্ড উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়। পাশপাশি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন বিডিও। এরপর এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে।

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    মানিকচকের (Malda) স্থানীয় মানুষ অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “এই রেশন কার্ড উদ্ধার ব্যাপক চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হয়েছেন। আবার অপর দিকে এই ভাবে রেশন কার্ডও উদ্ধার হয়েছে। পুরোটাই দুর্নীতির অংশ।”

    বিডিওর বক্তব্য

    মানিকচকের (Malda) বিডিও কারমবীর কেশব বলেন, “এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কমিটি খতিয়ে দেখবে কার্ডগুলির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে কি না। যতদূর মনে হচ্ছে এই কার্ডগুলি ২০১৩ এবং ২০১৫ সালের। হয়তো নতুন কার্ড ইস্যু হয়েছে, তাই পুরাতন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। কোনও বড় পরিকল্পনা রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে সন্ধান করে দেখা হচ্ছে। এক্সেল শিট তৈরি করে সব কার্ডের নাম মিলিয়ে দেখা হবে। ব্লকের তরফ থেকে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: চিকিৎসা তো নেই-ই, কনকনে শীতে মেডিক্যাল কলেজে জুটছে না কম্বলও

    Cooch Behar: চিকিৎসা তো নেই-ই, কনকনে শীতে মেডিক্যাল কলেজে জুটছে না কম্বলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিষেবার হাল কেমন তা জানতে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় হাসপাতালে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু, রোগীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি যা শুনলেন তা হতবাক হওয়ার মতো। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার (Cooch Behar) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। যা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কনকনে শীতেও হাসপাতালে মিলছে না কম্বল! (Cooch Behar)

    কোচবিহার (Cooch Behar) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের উপরে জেলার কয়েক লক্ষ মানুষ নির্ভরশীল। প্রতিদিন কয়েক হাজার রোগী ওই হাসপাতালের চিকিৎসা নিতে হাজির হন। তাঁদের মধ্যে অনেককেই ভর্তি করে নেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সব সময় প্রায় পাঁচশো জনের উপরে রোগী হাসপাতালে ভর্তি থাকেন। তার মধ্যে যেমন সদ্যোজাত শিশু রয়েছে, তেমনই রয়েছে প্রবীণ মানুষেরাও। মেডিক্যাল কলেজ হওয়ার পর থেকেই ওই হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতার উপরে জোর দেওয়া হয়। কিন্তু, শীতের মধ্যে রোগীদের কম্বল দেওয়া হচ্ছে না। প্রবীণ এক রোগী বলেন, ঠান্ডায় আমার খুব অসুবিধা হচ্ছিল। সে জন্য আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কম্বল চেয়েছিলাম। কিন্তু, আমাকে কম্বল দেওয়া হয়নি। বাধ্য হয়ে বাড়ির লোককে বলে কম্বল নিয়ে এসেছি। রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান জানতে আসায় হাসপাতালের কী হাল তা সব জানিয়েছি।

     মুখ খুললেন রোগী কল্যাণের চেয়ারম্যান

    রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় বলেন, রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত কম্বল রয়েছে মেডিক্যাল কলেজে। তার পরেও তা কেন দেওয়া হচ্ছে না, তা নিয়ে আলোচনা করব। শীঘ্রই বৈঠক ডাকা হবে।  দ্রুত রোগীদের যাতে কম্বল দেওয়া হয়, সে বিষয়ে বলা হয়েছে। কারও গাফিলতি থাকলে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    হাসপাতালের সুপার কী সাফাই দিলেন?

    কোচবিহার (Cooch Behar) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এমএসভিপি রাজীব প্রসাদ বলেন, এমন হওয়ার কথা নয়। প্রত্যেক রোগীর জন্য কম্বল রয়েছে। নির্দিষ্ট এক-দুটি ওয়ার্ড থেকে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: সরকারি ধান বিক্রয় কেন্দ্রেই ওজনে কারচুপি, ১৫ কুইন্টাল ধানে ৬০ কেজি হাপিশ!

    Jalpaiguri: সরকারি ধান বিক্রয় কেন্দ্রেই ওজনে কারচুপি, ১৫ কুইন্টাল ধানে ৬০ কেজি হাপিশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাষিরা ধান বিক্রি করতে গিয়ে ফের বিপাকে! তাঁদের অভিযোগ, কুইন্টাল প্রতি চার-পাঁচ শতাংশ ধান ওজন থেকে বাদ দিয়ে কেনা হচ্ছে। একে বর্ষার সময় অতিবৃষ্টি, তারপর ফসল তোলার আগে শীতের বৃষ্টি, চাষিদের বিরাট বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হয়েছে। কিন্তু সারা বছরের পরিশ্রমের ফসল বিক্রি করে যখন সামান্য লাভের আশা দেখবেন, ঠিক সেই সময় সরকারি ধান বিক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে কেউ যাচ্ছেন না বললেই চলে। এমন ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) সন্ন্যাসীহাটে। কৃষকদের অভিযোগ, সরকারি বিক্রয় কেন্দ্রে চলছে ধান কেনায় ওজনে কারচুপি। তাই কেউ ওই মুখো হতে চাইছেন না।

    চাষিদের অভিযোগ (Jalpaiguri)

    সন্ন্যাসীহাটের (Jalpaiguri) এক কৃষক দুলালচন্দ্র রায় বলেন, “বিক্রয় কেন্দ্রে ১৫ কুইন্টাল ধান নিয়ে এসেছিলাম। চার শতাংশ ধান বাদ দেওয়া হয়েছে। আমি মোট ৬০ কেজি ধানের দাম পেলাম না। খোলা বাজারে বিক্রি করলে অন্তত আটশো টাকা বেশি পেতাম। সরকারি কেন্দ্রে গিয়ে আমার সবটাই ক্ষতি হয়েছে।” আবার আর এক চাষি করেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “সরকারি কেন্দ্রে গেলে সারা দিন চলে যায়। প্রচুর সময় নষ্ট হয়। ওজনে ধানের পরিমাণ বাদ দিয়ে মূল্য কম দেওয়া হয়। তাই খোলা বাজারে বিক্রি করলেই আমাদের ভালো।”

    কেন ঘটছে ঘটনা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল সোমাবার সন্ন্যাসীহাটের (Jalpaiguri) সরকারি ধান বিক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি করতে এসেছিলেন মাত্র ৬ জন। উল্লেখ্য এই কেন্দ্রে গত দুই মাসে মোট ২৮ টন ধান কেনা হয়েছে । অথচ গোটা জেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লক্ষ ২১ হাজার টন। নভেম্বর পেরিয়ে গিয়ে এখন ডিসেম্বর। কিন্তু মাত্র কেনা হয়েছে ১০ হাজার টন। লক্ষ্যমাত্রার চার ভাগের এক ভাগও কিনতে পারেনি সরকারি ধান বিক্রয় কেন্দ্রগুলি। গত বছর ৭০ হাজার কৃষক ধান বিক্রি করেছিল জেলার কেন্দ্রগুলিতে। এই বছর মাত্র ২১ হাজার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই সব কিছুর কারণ হল চাষিদের বিক্রয় করা ধানের ওজন এবং মূল্যে চুরি করা হচ্ছে। সবটাই সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে হচ্ছে বলে চাষিদের অভিযোগ।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    জেলার (Jalpaiguri) প্রশাসন থেকে জেলা খাদ্য নিয়ামক বলেন, “ওজন থেকে বাদ দেওয়ার তেমন নিয়ম নেই। এই বছর ধান বিক্রির প্রবণতা অনেক কম। সবে ডিসেম্বর, আরও সময় রয়েছে। ঝাড়াই, মাড়াই করার পর হয়তো আরও ধান বিক্রয় কেন্দ্র আসবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: বিজেপির রাস্তা হাইজ্যাক করল তৃণমূল! তারপর কী হল জানেন?

    Balurghat: বিজেপির রাস্তা হাইজ্যাক করল তৃণমূল! তারপর কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্প হাইজ্যাক করার নজির তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক রয়েছে। এবার পুরসভা এলাকার সামান্য রাস্তাও হাইজ্যাক করার চেষ্টা করল তৃণমূল। যদিও বিরোধীদের বাধায় সেই পরিকল্পনা মাঝ পথেই ভেস্তে যায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভা এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    বিজেপির বিধায়ক অশোক লাহিড়ীর বিধায়ক তহবিলের টাকায় রাস্তা তৈরি করছে বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভা। সেই রাস্তার কাজের সূচনাও করেছেন চেয়ারম্যান। কিন্তু, সেই রাস্তার কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিধায়ককেই আমন্ত্রণ করা হয়নি বলে অভিযোগ বিজেপির। এনিয়ে বালুরঘাট শহরে তৈরি হয়েছে জোর বিতর্ক। পুরসভার সূচনার পরে সেই একই রাস্তার উদ্বোধন করল বালুরঘাট টাউন বিজেপি নেতৃত্ব। আমন্ত্রণ না পেয়ে বিধায়কের নির্দেশে ফের মঙ্গলবার ওই রাস্তার কাজের সূচনা হয়। বিধায়কের নির্দেশে মঙ্গলবার ওই একই রাস্তার কাজের সূচনা করলেন বালুরঘাট টাউন বিজেপি সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত। এদিন ফিতে কেটে ও নারকেল ফাটিয়ে কাজের সূচনা করেন বিজেপি নেতা। বালুরঘাট শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের খাদিমপুর স্কুলপাড়া এলাকার রাস্তার ঘটনা।

    ফের বিজেপির উদ্যোগে রাস্তার শিলান্যাস করা হল

    বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের খাদিমপুর স্কুলপাড়া এলাকায় প্রায় ১০০ মিটার এই ঢালাই রাস্তাটির জন্য বিধায়ক তহবিল থেকে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। দিন পনেরো আগে এই রাস্তার সূচনা করে পুরসভা। ইট পাতা থেকে পাশের নর্দমার কাজ শুরু হয়েছে। এদিকে বিধায়ক তহবিলে এই কাজ হলেও বিধায়ককে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি শিলান্যাসের সময়। এই বিষয়ে বিজেপির টাউন সভাপতি সমীর দত্ত বলেন, বিধায়ক তহবিল থেকে এই রাস্তার কাজ করা হচ্ছে। কাজের অনুষ্ঠানের সূচনা পর্বে বিধায়ককে ডাকা হয়নি। তাই আমরা এদিন ফের রাস্তাটির শিলান্যাস করে ফের নতুন করে কাজ শুরু করি।

    তৃণমূলের বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    এই বিষয়ে বালুরঘাট (Balurghat) পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, পুরসভার পক্ষ থেকে বিধায়ককে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। তিনি আসেননি কেন তা জানি না। এখন ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    বিজেপি বিধায়কের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে বালুরঘাট (Balurghat) বিধানসভার বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ী বলেন, এই রাস্তার উদ্বোধনে আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়নি, তার জন্য আমি খুব খুশি। তবে, রাস্তাটা যাতে ভালোভাবে হয় সেটা পুরসভা দেখলেই হল। পুরসভার চেয়ারম্যান আবার এই রাস্তাটির ব্যান্ড বাজিয়ে ধূমধাম করে উদ্বোধন করলে আমি আরও খুশি হব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Registry Marriage: আঙুলের ছাপ দিতে বর-কনেদের কলকাতায় তলব, দুর্ভোগে বাড়ছে ক্ষোভ

    Registry Marriage: আঙুলের ছাপ দিতে বর-কনেদের কলকাতায় তলব, দুর্ভোগে বাড়ছে ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইনে রেজিস্ট্রি বিয়ে (Registry Marriage) করতে গিয়ে ফাঁপড়ে পড়ছেন নবদম্পতিরা। ঘরে বসে সুবিধা লাভের আশায় পরিবারের লোকজন যে উদ্যোগ নিচ্ছেন, তা কার্যকরী করতে গিয়ে  নবদম্পতির কালঘাম ছুটছে। অনলাইনে রেজিস্ট্রি বিয়ে নিয়ে জেলায় জেলায় ক্ষোভ বাড়ছে।

    আঙুলের ছাপ দিতে কলকাতায় দৌড়তে হচ্ছে নবদম্পতিদের (Registry Marriage)

    অনলাইনে রেজিস্ট্রি বিয়ে (Registry Marriage) চালু হয়েছিল ২০১৯ সালে। চলতি বছরের ১ নভেম্বর নতুন নির্দেশিকা জারি করে ‘রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ম্যারেজেস’-এর দফতর। বিয়ে নথিভুক্ত করতে গেলে পাত্র-পাত্রীর আঙুলের ছাপ নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পরেও রেজিস্ট্রির দিন দেখা যাচ্ছে যে, আঙুলের ছাপ মিলছে না। ফলে ওই দিন রেজিস্ট্রি বিয়ে নাকচ হয়ে যাচ্ছে। রাজ্যজুড়ে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনলাইনে রেজিস্ট্রি বিয়ে করতে গিয়ে নাকাল হতে হচ্ছে অনেককেই। যাঁদের আঙুলের ছাপ মিলছে না তাঁদের ম্যারেজ রেজিস্ট্রি আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করতে জেলা থেকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে কলকাতায়। আচমকা কলকাতা যাওয়ার ডাক পেয়ে অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন। এরই মধ্যে ১৪ ডিসেম্বর রাজ্যের ‘রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ম্যারেজেস’ বিভিন্ন জেলার ৩১ জন ম্যারেজ রেজিস্ট্রি আধিকারিককে নোটিস পাঠিয়েছেন। বলা হয়েছে, আঙুলের ছাপ মেলেনি এ রকম পাত্র-পাত্রীকে ২১ ডিসেম্বর কলকাতায় আরজিএম (রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ম্যারেজেস) অফিসে নির্দিষ্ট দিনে এসে আঙুলের ছাপ দিয়ে যেতে হবে। ওই তালিকায় পূর্ব মেদিনীপুরের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের কালিম্পং, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, মালদা জেলার অনেকে রয়েছেন। পাশাপাশি পুরুলিয়া, পূর্ব-পশ্চিম বর্ধমান, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া জেলার লোকেদের ১৮-২০ ডিসেম্বর ডাকা হয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির ক্ষেত্রে এখনও দিন নির্ধারণ হয়নি।

    কলকাতায় নবদম্পতিদের তলব নিয়ে কর্তৃপক্ষের কী সাফাই?

    এ বিষয়ে ‘রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ম্যারেজেস’ দীপ্তার্ক বসু জানিয়েছেন, বিবাহ আইনে উল্লেখ রয়েছে, বাম আঙুলের ছাপ বাধ্যতামূলক। যেহেতু ৩০ জন অফিসারের কাছে কোনওভাবেই পাত্র-পাত্রীরা বাম আঙুলের ছাপ দিতে পারছিলেন না, তাই নির্দিষ্ট ভাবে শুধু তাঁদেরকেই কলকাতায় ডেকে পাঠানো হয়েছে। সরকারি আধিকারিকের সামনে তাঁরা অন্য আঙুলের ছাপ দিয়ে রেজিস্ট্রি বিয়ে (Registry Marriage) সম্পূর্ণ করতে পারেন। যদি তাঁদের অসুবিধে থাকে সে কথা আমাদের জানালে ভিডিও কনফারেন্স হতে পারে। বা উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী মাসের শিবির আয়োজন করে তা সমাধান করা যেতে পারে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: বর্ধমান স্টেশনের বিপর্যয়কাণ্ড! পূর্ব রেলের কতগুলি জলের ট্যাঙ্ক ভাঙা পড়ছে জানেন?

    Burdwan: বর্ধমান স্টেশনের বিপর্যয়কাণ্ড! পূর্ব রেলের কতগুলি জলের ট্যাঙ্ক ভাঙা পড়ছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান (Burdwan) স্টেশনে জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে চারজনের মৃত্যু হয়। ৩৪ জন যাত্রী জখম হন। সেই ঘটনার পরই এবার নড়েচড়ে বসল রেল কর্তৃপক্ষ। নতুন করে এই ধরনের বিপর্যয় যাতে না হয়, তার জন্য রেলের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

    রেলের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল?

    পূর্ব রেলের অধীনে বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে একটি করে জলাধার আছে। এর মধ্যে একাধিক জলের ট্যাঙ্ক ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে হাওড়া ডিভিশনের তিনটি, আসানসোল ডিভিশনের আটটি এবং মালদা ডিভিশনের একটি জলের ট্যাঙ্ক। বিপদ এড়াতে এই সব ক’টি ট্যাঙ্ককেই ভেঙে ফেলা হবে। পূর্ব রেলের অধীনে বিভিন্ন স্টেশন চত্বরে সব মিলিয়ে মোট ৪৮টি জলাধার আছে। সেগুলির সব ক’টিকেই নষ্ট করে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই তালিকায় আছে শিয়ালদা ডিভিশনের সাতটি, আসানসোল ডিভিশনের ২৩টি, হাওড়া ডিভিশনের ১৪টি এবং মালদা ডিভিশনে চারটি ট্যাঙ্ক। প্রসঙ্গত, হেরিটেজ তকমা পাওয়া বর্ধমান (Burdwan) স্টেশনে গত ১৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২টা নাগাদ বিপর্যয় ঘটে। স্টেশনের ২ এবং ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মধ্যে থাকা ১৮৯০ সালে তৈরি ট্যাঙ্ক আচমকা ভেঙে পড়ে। ভিড়ে ঠাসা প্ল্যাটফর্মের শেডের উপর আছড়ে পড়ে বিপুল পরিমাণ জল ও ভাঙা ট্যাঙ্কের ধাতব অংশ। ওই দুর্ঘটনায় চার জনের মৃত্যু হয়। মৃতদের নাম ক্রান্তি বাহাদুর (১৪), সোনারাম টুডু (৩৫), মফিজা বেগম (৩৫) এবং সুধীর সূত্রধর। ক্রান্তি এবং সোনারাম দু’জনেই ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। বর্ধমান শহরের লাকুড্ডির বাসিন্দা ছিলেন মফিজা। এই ঘটনার পরই রেল কর্তৃপক্ষ বহু পুরানো জলাধার ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

    পূর্ব রেলের আধিকারিক কী বললেন?

    পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, বর্ধমান (Burdwan) স্টেশনের বিপর্যয়ের পর বিভিন্ন স্টেশনে আরও কিছু জলাধার চিহ্নিত করা হয়েছে। বিপজ্জনক হিসেবে সেগুলিকেও পরে নষ্ট করে ফেলা হবে। আপাতত নষ্ট করার আগে সব চিহ্নিত জলাধারগুলিতে ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক জল ভরা হবে। যদি মনে হয় কোনওটির রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন, সেগুলির সংস্কার করা হবে। সে কাজেও হাত দেওয়া হয়েছে। আগামী এক বছরের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ফেলা হবে বলে আশা করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: গ্রামের রাস্তায় গাড়ি নিয়ে যেতে তৃণমূল পঞ্চায়েতকে দিতে হচ্ছে টোল ট্যাক্স, ক্ষোভ

    Arambagh: গ্রামের রাস্তায় গাড়ি নিয়ে যেতে তৃণমূল পঞ্চায়েতকে দিতে হচ্ছে টোল ট্যাক্স, ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলা পরিষদের রাস্তায় টোল আদায় করছে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত। আর সেই টোল নেওয়ার প্রতিবাদেই সরব হয়েছেন গাড়িচালক ও মালিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) তিরোল পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Arambagh)  

    আরামবাগের (Arambagh) তিরোল পঞ্চায়েত এলাকায় শিয়ালি থেকে বাইশ মাইল পর্যন্ত দীর্ঘ ৬-৭ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি করে হুগলি জেলা পরিষদ। কিন্তু, হঠাৎ করেই সেই রাস্তায় গাড়ি চলাচল করার জন্য বসানো হয় গ্রাম পঞ্চায়েতের টোল ট্যাক্স। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে বিভিন্ন যানবাহন। অভিযোগ, বালির ট্রাক্টর, ধানের গাড়ি সহ মাল বোঝাই গাড়ি থেকে নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা করে টোল ট্যাক্স। কিন্তু, এখানেই গাড়ি মালিক ও চালকদের আপত্তি। তাঁদের বক্তব্য, গাড়ির জন্য সরকারকে ট্যাক্স দেওয়ার পরেও আবার কেন ট্যাক্স দিতে হবে? তাছাড়াও জেলা পরিষদের রাস্তায় কেন পঞ্চায়েত তাদের ইচ্ছা মতো ট্যাক্স নেবে? সেই সব অভিযোগ তুলে তিরোল পঞ্চায়েতের মাদরা এলাকায় বেশ কয়েকবার এই টোল বসানোর পরে পঞ্চায়েতের ওই টোল কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। যার জেরে ওই রাস্তায় গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখেন গাড়ির মালিকেরা। তাঁদের দাবি, যতক্ষণ পর্যন্ত এই জোরজুলুম বন্ধ না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত রাস্তা গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। যদিও পরে খবর পেয়ে আরামবাগ থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    পঞ্চায়েত প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    তিরোল পঞ্চায়েতের প্রধান বিলকিস বেগম বলেন, ওই রাস্তা জেলা পরিষদের হলেও রক্ষণাবেক্ষণ করে পঞ্চায়েত। তাই ওই রাস্তা মেরামতের জন্য সমস্ত নিয়ম মেনেই টোল নেওয়া হচ্ছে। কোনও বেআইনি কাজ করা হচ্ছে না।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, জেলা পরিষদের রাস্তায় উপর টোল বসানোর কোনও আইন নেই। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। এটা তোলা তোলার একটি কল। এটা কোনও পঞ্চায়েত টোল বসায়নি। এই টোল বসিয়েছেন পঞ্চায়েতের প্রধান। ব্যক্তিগতভাবে তোলা তোলার জন্য এসব করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gita Chanting in Kolkata: ‘গীতাপাঠ’-এর পোস্টারে গেরুয়া বসনে মোদি, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

    Gita Chanting in Kolkata: ‘গীতাপাঠ’-এর পোস্টারে গেরুয়া বসনে মোদি, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫দিন পরেই গীতার শ্লোকের ধ্বনিতে (Gita Chanting in Kolkata) মুখরিত হবে কলকাতা। গমগম করবে ব্রিগেড। হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ইতিমধ্যে গেরুয়া বসন পরিহিত প্রধানমন্ত্রীর ছবিও সামনে এসেছে। ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠে’র কর্মসূচিতে তাঁর ছবি দিয়েই পোস্টার করেছেন আয়োজকরা। প্রসঙ্গত, আধ্যাত্মিকতা প্রধানমন্ত্রীর জীবনের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ওইদিন পুরীর শঙ্করাচার্য নিশ্চলানন্দ সরস্বতী এবং দ্বারকার শঙ্করাচার্য সদানন্দ সরস্বতীও উপস্থিত থাকবেন।

    চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি

    এক লাখেরও বেশি মানুষের উপস্থিতি, ৬০ হাজারেরও বেশি শঙ্খধ্বনিতে গীতাপাঠ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নামও নথিভুক্ত করতে চলেছে। উদ্যোক্তাদের এখন আর ব্যস্ততার শেষ নেই। চলছে অন্তিম মুহূর্তের প্রস্তুতি। এত বড় আয়োজনে যেন কোনও খামতি না (Gita Chanting in Kolkata) থাকে, সেদিকেই নজর রয়েছে আয়োজকদের। ২৪ ডিসেম্বরের ওই অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা হিসেবে নিরন্তর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। রয়েছে অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ, সংস্কৃতি সংসদ, মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন এরকম একাধিক সংগঠন।

    আয়োজনের খুঁটিনাটি

    আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, মোট ৩টি মঞ্চ থাকবে। তার মধ্যে মূল মঞ্চ অর্থাৎ যেখানে বিশেষ অতিথিরা বসবেন (Gita Chanting in Kolkata) সেটি হবে ৯৬ ফুট চওড়া এবং ৪০ ফুট লম্বা। মূল মঞ্চের পিছন দিকে থাকবে প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশেষ অফিস। মঞ্চের বাঁ দিকে আরেকটি মঞ্চ থাকবে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন সাধু-সন্তদের সঙ্গে। সেই মঞ্চ হবে ৮২ ফুট লম্বা, ১০০ ফুট চওড়া। এছাড়াও আর একটি ছোট মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। সেখানে গান হবে। নজরুলগীতি দিয়েই শুরু হবে অনুষ্ঠান। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে অসংখ্য বাস ও লরিতে সওয়ার হয়ে আসবেন অংশগ্রহণকারীরা (Gita Chanting in Kolkata)। রেলের কাছে আয়োজকরা ১৩টি অতিরিক্ত ট্রেন চালাতে আবেদনও জানিয়েছেন। আগের দিন যাঁরা অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হবেন, তাঁদের জন্য বিগ্রেডে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্যদিকে কলকাতা এবং তৎসংলগ্ন স্থানগুলির বিভিন্ন মঠ ও মন্দিরেও থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে অংশগ্রহণকারীদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: তারাপীঠ মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকে আর ছবি তুলতে পারবেন না ভক্তরা, জারি হল নোটিশ

    Tarapith: তারাপীঠ মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকে আর ছবি তুলতে পারবেন না ভক্তরা, জারি হল নোটিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধক বামাক্ষ্যাপার অন্যতম সিদ্ধপীঠ এই তারাপীঠ। বীরভূমের তারাপীঠ (Tarapith) স্টেশন কিংবা রামপুরহাট স্টেশন থেকে মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় এই তারাপীঠ মন্দিরে। প্রত্যেকদিন এই তারাপীঠে হাজার হাজার মানুষের ভিড় জমে। বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে ভক্তদের সেই ভিড় পেরিয়ে যায় কয়েক লক্ষ। তারাপীঠ মন্দির থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সাধক বামাক্ষ্যাপার জন্মভিটে। সেখানেও দর্শনার্থীদের ভিড় জমে। এবার তারা মায়ের মন্দিরে ভক্তদের পুজো দিতে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।

    মন্দিরের গর্ভগৃহে ছবি তোলা নিষেধ (Tarapith)

    এবার তারাপীঠ (Tarapith) আসতে গেলে ভক্তদের বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তারাপীঠ মন্দিরে এসে পুজো দেওয়ার পর মায়ের সঙ্গে একটা ছবি তোলার ইচ্ছে সকল ভক্তের থাকে। তবে, ১৮ ডিসেম্বর সোমবার থেকে ভক্তদের সেই ইচ্ছায় নিষেধাজ্ঞা জারি হতে চলেছে। তারাপীঠ তারামাতা সেবাইত সংঘ এবং মন্দির কমিটির তরফ থেকে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, সেখানে জানানো হয় মা তারার গর্ভগৃহে ছবি তোলা এবং মায়ের সঙ্গে ছবি তোলা (সেলফি) সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। এছাড়াও কোনও সহকারি পূজারী ও দর্শনার্থীদের স্মার্টফোন নিয়ে মন্দির চত্বরে প্রবেশ করা যাবে না। ছবি তুলতে তুলতে কোনও পূজারী অথবা দর্শনার্থী গর্ভগৃহে যেতে করতে পারবেন না।

    তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি কী বললেন?

    এই বিষয়ে তারাপীঠ (Tarapith) মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, যত দিন যাচ্ছে ততই তারাপীঠ চত্বরে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে। সেই কারণেই দর্শনার্থীদের যাতে লাইন দিয়ে পুজো দিতে সময় কম লাগে তারজন্য কিছু নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছে। মায়ের সঙ্গে ছবি তোলার পাশাপাশি মা তারাকে অঞ্জলি দেওয়ার ক্ষেত্রেও কিছু নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এবার থেকে মা তারাকে দর্শন করার পরেই সেখান থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। ভক্তদের সুবিধার্থে এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ফল খেয়ে বিপত্তি! অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ১১ জন শিশু, কী করে হল জানেন?

    Dakshin Dinajpur: ফল খেয়ে বিপত্তি! অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ১১ জন শিশু, কী করে হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেলার সময় ফল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ল একই গ্রামের ১১ জন শিশু। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার হরিরামপুর ব্লকের গোকর্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের বলদু গ্রামে। বর্তমানে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অসুস্থ শিশুরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dakshin Dinajpur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) হরিরামপুর ব্লকের বলদু গ্রামে খেলা করছিল একদল বাচ্চা। যেখানে তারা খেলা করছিল, সেখানে কয়েকটি গাছ রয়েছে। তারমধ্যে একটি গাছ থেকে এক শিশু ফল পেড়ে খায়। তার ওই ফল খাওয়া দেখে বাকীরাও ওই গাছ থেকে ফল খায়। ফল খাওয়ার পর তারা ফের খেলায় মত্ত হয়ে যায়। ঘণ্টা দুয়েক পড়ে একজন বমি করা শুরু করে। এরপরই বাড়ির লোকজন ছুটে আসে। ততক্ষণে বাকি শিশুরা বমি, পায়খানা করা শুরু করে। কয়েকজন অজ্ঞানও হয়ে যায়। অসুস্থ শিশুদের প্রথমে হরিরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছিল। পরে, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে নিয়ে আসা হয় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত শিশুরা সুস্থ রয়েছে। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, শিশুরা খেলার সময় বিষাক্ত কোনও ফল খেয়ে এই বিপত্তি হয়েছে। এই ঘটনায় চরম আতঙ্কিত পরিবারের লোকজন। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, ওই গাছের পাশে তারা প্রতিদিন খেলা করে। কোনওদিন এরকম ঘটনা ঘটেনি। এদিন গাছের ফল খেয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। আমরা আতঙ্কে রয়েছি।

    হাসপাতালের সুপার কী বললেন?

    এই বিষয়ে গঙ্গারামপুর হাসপাতালের সুপার বাবুসোনা সাহা বলেন, ওই ১১ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে তারা আপাতত তারা সুস্থ রয়েছে। তাদেরকে আরও দুদিন হাসপাতালে নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share