Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • South 24 Parganas: দলের নেতাদের ‘সঙ্গ’ দিতে অস্বীকার করায় ঘরবন্দি তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলার!

    South 24 Parganas: দলের নেতাদের ‘সঙ্গ’ দিতে অস্বীকার করায় ঘরবন্দি তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) সোনারপুরে তৃণমূল নেতাদের দৌরাত্ম্য এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ঘরবন্দি ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলার পাপিয়া হালদার। দলের এক অংশের নেতারা এলাকায় ব্যাপক তোলাবাজি করছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। সেই সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রতীক দে’র বিয়ের প্রস্তাব অস্বীকার করায় মারধর, হেনস্থার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও তুলে বিস্ফোরক হন এই কাউন্সিলার। এমনকি বাড়ির বাইরে বের হলে কটূক্তি এবং অশ্রাব্য গালিগালাজ শুনতে হয় তাঁকে। অবশেষে থানায় পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। এলাকার সাধারণ মানুষের বক্তব্য, তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের কাছে খোদ তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলারই সুরক্ষিত নন। ঘটনায় তৃণমূল দলের মধ্যেই তীব্র বিড়ম্বনার সৃষ্টি হয়েছে। 

    ঠিক কী অভিযোগ করলেন কাউন্সিলার (South 24 Parganas)?

    সোনারপুরের (South 24 Parganas) তৃণমূল কাউন্সিলার পাপিয়া হালদার অভিযোগ করে বলেন, “আমাকে যে কারণে মানুষ নির্বাচিত করেছেন সেই কাজ আমি করতে পারছি না। এমনকি আমি ঘর থেকে এলাকায় বাইরে বের হতে পারছি না। আমাকে ঘরবন্দি করে রেখেছে দলের কিছু দুষ্কৃতী। আমাকে তৃণমূল নেতাদের সঙ্গ দিতে হবে বলে চাপ দেওয়া হচ্ছে। বলা হয় তাদের সকল চাহিদা পূরণ করতে হবে আমাকে। আর যদি আমি তা না করি, তা হলে বাড়ির বাইরে বের হলে মারধর করা হবে আমাকে। এমনকি আমার সমস্ত অফিস তালা দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমি আমার এক অফিসে গেলে আমার সামনেই অফিসে তালা মেরে অফিস থেকে বের করে দেয় আমাকে। সাধারণ মানুষের জন্য এলাকায় আমি কোনও কাজ করতে পারছি না। অত্যন্ত ভয়ে রয়েছি। ”

    মূল অভিযুক্ত কে?

    সোনারপুরের (South 24 Parganas) তৃণমূল কাউন্সিলার পাপিয়া হালদার এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হিসাবে প্রতীককুমার দে নামক যুব তৃণমূল নেতার কথা বলেন। এই তৃণমূল নেতা এলাকার প্রভাবশালী। তিনি আগে এই ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর ছিলেন। পাপিয়া হালদার আরও বলেন, “আমার বাড়ির সামনে এসে রাতের বেলায় আমাকে এবং পরিবারকে হুমকি দেয়। মাদকাসক্ত হয়ে বাড়ির সামনে অশ্লীল মন্তব্য করে। আমি মানসিক ভাবে খুব বিপর্যস্ত। পুলিশের কাছে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। সেই সঙ্গে দলকে পাশে থাকার কথা বলেছি।”

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    অপরদিকে অভিযোগের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে সোনারপুরের (South 24 Parganas) তৃণমূল নেতা প্রতীককুমার দে বলেন, “দল তদন্ত করলে সমস্ত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হবে। দলের যা সিদ্ধান্ত আমি মাথা পেতে নেবো। আমি যে কোনও রকম তদন্তের জন্য প্রস্তুত।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Bardhaman: পরীক্ষাতেও কাটমানি! উচ্চ মাধ্যমিকের ফর্ম ফিলাপে দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ২০০ টাকা!

    Paschim Bardhaman: পরীক্ষাতেও কাটমানি! উচ্চ মাধ্যমিকের ফর্ম ফিলাপে দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ২০০ টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপে স্কুলে দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ২০০ টাকা। এই অভিযোগে পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) এক সরকারি স্কুল শোরগোল পড়েছে। স্কুলের ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকের মধ্যে উত্তেজনা। ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকসা গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। রাজ্যের সরকারি স্কুলে কি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে গেলে কাটমানি নেওয়া হচ্ছে? ঠিক এই প্রশ্নটাই করছেন শিক্ষাবিদদের একাংশ।

    পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ কী (Paschim Bardhaman)?

    স্থানীয় (Paschim Bardhaman) সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের এই বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা অভিযোগ তুলেছেন, পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা দিতে হচ্ছে। সাধারণ স্কুলের পরীক্ষার ফিজ ২০০ টাকা। কিন্তু আরও অতিরিক্ত ২০০ টাকা যুক্ত করে মোট ৪০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। টাকার পরিমাণ বেশি হওয়ায় পরীক্ষার্থী এবং স্কুলছাত্রদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের দাবি, স্কুলে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার জন্য অনেক ছাত্রছাত্রীদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই স্কুলের পরিচালন সমিতি এবং প্রধান ইনচার্জ শিক্ষকের কাছে অভিযোগ জানিয়ে তীব্র অসন্তোষ ব্যক্ত করেছে।

    স্কুল সভাপতির বক্তব্য

    স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হবে, আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে অতরিক্ত টাকার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। স্কুল পরিচালন সমিতির (Paschim Bardhaman) সভাপতি জানিয়েছেন, “২০০ করে টাকা ফর্ম ফিলাপের জন্য নেওয়া হবে। আর আরও অতিরিক্ত ২০০ করে টাকা স্কুলের উন্নয়নের জন্য নেওয়া হবে। তবে কোনও পরীক্ষার্থীর আর্থিক ভাবে সমস্যা থাকলে বা টাকা দিতে সমস্যা হলে আমাদের আবেদন করলে বিবেচনা করব।” উল্লেখ্য, স্কুলের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি কোনও ছাত্রই ভালো ভাবে নিচ্ছে না। একই বিষয়ে অনেক শিক্ষকও ছাত্রদের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন।

    স্কুল ইনচার্জের বক্তব্য

    স্কুল (Paschim Bardhaman) ইনচার্জ সুচেতা পোদ্দার বলেন, “আমি মাত্র কয়েকদিন আগে স্কুলে জয়েন করেছি। এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আমি কিছু জানি না। সত্যিই টাকা নেওয়া হচ্ছে কিনা জেনে বলবো।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fishery: শুধু তৃণমূল নেতারা নন, একই রোগ সরকারি দফতরেও! ফিশারি থেকে দেদার মাছ চুরি!

    Fishery: শুধু তৃণমূল নেতারা নন, একই রোগ সরকারি দফতরেও! ফিশারি থেকে দেদার মাছ চুরি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথায় আছে, রক্ষকই ভক্ষক। আর তা যেন বাস্তবে প্রমাণিত হল রাজ্য সরকারের ফিশারিতে (Fishery)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার দশ মাইল এলাকায় ২০১১ সালে রাজ্য সরকারের এসএফডিসি ডিপার্টমেন্টের উদ্যোগে প্রায় ১০০ বর্গ কিলোমিটারেরও বেশি জায়গা জুড়ে তৈরি করা হয় ফিশারি। উদ্দেশ্য, স্থানীয় মৎস্যজীবীরা যাতে এই ফিশারির মাধ্যমে অল্প পয়সায় মাছ কিনে তা বাইরে বিক্রি করতে পারেন। আর এই ফিশারিতেই দিনের পর দিন রাতের অন্ধকারে চুরি যাচ্ছিল মাছ। তারই তদন্ত নেমে উঠে এল এক সরকারি আধিকারিকের নাম প্রদীপ মণ্ডল, যিনি ওই ফিশারির দায়িত্বে ছিলেন।

    থানায় অভিযোগ দায়ের (Fishery)

    এলাকার গরিব মৎস্যজীবীরা এই ফিশারির মাধ্যমে বেশ কয়েক বছর ধরে অল্প পয়সায় মাছ বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছিলেন কিন্তু দিনের পর দিন মাছ চুরি হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। এই ফিশারির প্রজেক্ট ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা অভিষেক পাত্র প্রথমে স্থানীয় মানুষদের সন্দেহ করলেও পরবর্তী সময়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে, ওই ফিশারির দায়িত্বে থাকা আর এক সরকারি কর্মচারী প্রদীপ মণ্ডলের কীর্তি। তিনি নাকি রাতের অন্ধকারে ওই ফিশারি (Fishery) থেকে মাছ চুরি করে অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে বেশি মুনাফায় বিক্রি করছিলেন। আর এই বিষয় নিয়ে ফিশারির প্রজেক্ট ইনচার্জ অভিষেক পাত্র ফেজারগঞ্জ থানায় প্রদীপ মণ্ডলের নামে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    ডেপুটেশন স্থানীয় মৎস্যজীবীদের (Fishery)

    এখনও পর্যন্ত দোষী গ্রেফতার না হওয়ার পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ফিশারি ইনচার্জ-এর কাছে শুক্রবার ডেপুটেশন জমা দেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। তাঁদের দাবি, যিনি এই ঘটনার সাথে যুক্ত, তাঁকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হোক এবং ফিশারি পুনরায় চালু করা হোক। ফিশারি (Fishery) বন্ধ হয়ে গেলে অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তাঁরা। অন্যদিকে এই বিষয় নিয়ে প্রদীপ মণ্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তিনি এই ঘটনার সাথে কোনও ভাবেই যুক্ত নন। তাঁকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: “স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে আপনি মৃত, পরিষেবা দিতে পারছি না”! হাসপাতালের কথায় অবাক রোগী

    Jalpaiguri: “স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে আপনি মৃত, পরিষেবা দিতে পারছি না”! হাসপাতালের কথায় অবাক রোগী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর হাতে একটি জেরক্স কাগজ ধরিয়ে বলে, “স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে আপনি মৃত। আর তাই আপনাকে পরিষেবা দিতে পারছি না।” শুনেই রোগী অবাক হয়ে যান! পরে টাকা ধার করে নিজের অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করে বাড়িতে ফেরেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য দফতরে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়ে অভিযোগ করেন জলপাইগুড়ির ওই (Jalpaiguri) রোগী। ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। রোগীর পরিবারের বক্তব্য, “রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর কতটা দায়িত্বজ্ঞানহীন, সেই চিত্র আরও একবার দেখা গেল এই ঘটনায়।”

    কে এই রোগী (Jalpaiguri)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীর নাম সৌমিত্র বসাক। তাঁর বাড়ি জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) লক্ষণ মৌলিক সরণিতে। তাঁর বয়স ৬৭। কয়েকদিন আগে তাঁর হার্টের সমস্যার জন্য ডাক্তার অ্যাঞ্জিওগ্রাফি করতে বলেছিলেন। এরপর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে কলকাতায় চলে আসেন তিনি। তিনি স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে কলকাতায় চিকিৎসা করার জন্য মনস্থির করেন।

    কেন বিভ্রাট স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে?

    প্রথমে সৌমিত্র বসাক ভেবেছিলেন স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে নিজের চিকিৎসা করাবেন। কিন্তু স্বাস্থ্য সাথী কার্ডটি হারিয়ে ফেলেছিলেন। যোগাযোগ করেন জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্য সাথী দফতরে। এরপর সেখান থেকে জানতে পারেন থানায় অভিযোগ দায়ের করতে হবে। এরপর সেই অভিযোগপত্রের একটা কপি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) স্বাস্থ্য সাথী দফতরে জমা করেন। তারপর তাঁকে একটি নতুন কার্ড দেওয়া হয়। কিন্তু কার্ড নিয়ে কলকাতার বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান। এরপর সেখানে কার্ড জমা করলে জানতে পারেন যে কার্ডে তিনি মৃত। ঘটনায় তাঁর কার্ডের অস্তিত্ব নিয়ে চরম বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যান।

    রোগীর বক্তব্য

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বাসিন্দা রোগী সৌমিত্র বসাক বলেন, “নতুন কার্ডের জন্য ৬০ টাকা দিয়ে ছিলাম। কোনও রসিদ পাইনি। বিনামূল্যে চিকিৎসা পাব ভেবেছিলাম। আমি বয়স্ক মানুষ। দফতরের গাফিলতির জন্য এই হয়রানির শিকার হতে হল। আমার যে টাকা খরচ হয়েছে সেই টাকা আমি ফেরত চাই।” অপর দিকে জলপাইগুড়ি স্বাস্থ্য দফতরের কিয়স্ক ম্যানেজার কৌশিক বিশ্বাস বলেছেন, “অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত আমরা সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: দাদাগিরিতে ‘মাস্টার’ তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলেও! বাড়িতে ঢুকে হামলা, প্রসূতিকে মারধর!

    Malda: দাদাগিরিতে ‘মাস্টার’ তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলেও! বাড়িতে ঢুকে হামলা, প্রসূতিকে মারধর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের দাদাগিরি! আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল মালদা (Malda) জেলা জুড়ে। যদিও ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ মাধ্যম। প্রতিবেশী আইনজীবীর বাড়িতে ঢুকে সদ্য প্রসূতিকে মারধর ও ভাঙচুর করার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ওই ‘গুণধরের’ বিরুদ্ধে। বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় দলবল নিয়ে হামলা করার অভিযোগে নাম জড়িয়েছে পুরাতন মালদা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বশিষ্ঠ ত্রিবেদীর ছেলে সুমিত ত্রিবেদীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিরোধীরা। যদিও সাফাই দিয়েছে তৃণমূল। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।

    ফেলে দেওয়া হয় খাবার

    জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ৯ ই ডিসেম্বর রাত বারোটা নাগাদ পুরাতন মালদা (Malda) পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় আইনজীবী অমরেশ দত্তের ছোট ছেলে অভিষেক দত্তের জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে বড় ছেলে অর্কপ্রভ দত্ত, তাঁর স্ত্রী এবং অন্যান্য আত্মীয়রা আসেন। হঠাৎ তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে সুমিত ত্রিবেদী দলবল নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়। আর এই নিয়ে শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে বচসা। বাড়িতে থাকা সমস্ত খাবার তারা ফেলে দেয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে অর্কপ্রভ দত্ত তার স্ত্রী মৌসুমী মণ্ডলকে বাবার বাড়িতে রেখে এলে, সেখানে গিয়ে রাত ১ টা নাগাদ প্রথমে পেটে লাথি ও চুলের মুঠি ধরে তাঁর স্ত্রীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনা নিয়ে মালদা থানার দ্বারস্থ হন আইনজীবীর পরিবার। তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্তে নেমেছে মালদা থানার পুলিশ।

    সাফাই তৃণমূল কাউন্সিলরের

    এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলর বশিষ্ঠ ত্রিবেদীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কিছুই বলতে চাননি। মৌখিকভাবে সাফাই দিয়েছেন। তিনি বলেন, “মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে আমার ছেলের বিরুদ্ধে। এরকম কোনও ঘটনাই ঘটেনি। ওইদিন রাতে সেখানে একজন পুরসভার (Malda) অস্থায়ী কর্মী মারা গিয়েছিল। সে কারণে গোটা এলাকা শোকস্তব্ধ ছিল। যারা অভিযোগ করছে, তারাই মাইক বাজিয়ে সেখানে পার্টি করছিল। আর তাতে স্থানীয়রা বাধা দিতে যায় এবং গন্ডগোল হয়। এখন আমার ছেলের বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করছে, তা যদি সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে আইন আইনের পথে চলবে।”

    নিন্দা বিজেপির

    এই ঘটনার কড়া ভাষায় নিন্দা করেছেন মালদা (Malda) বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক গোপালচন্দ্র সাহা। তিনি বলেন, “ঘটনাটা শুনেছি। অনুষ্ঠানে কে কাকে ডাকবে, সে তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।সেখানে গিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলরের ছেলের এই সমস্ত করাটা ঠিক হয়নি। তৃণমূলের এটাই কালচার, সারা রাজ্য জুড়ে এসব চলছে। অভিযোগ হয়েছে, পুলিশ তদন্ত করবে এবং যথাযোগ্য ব্যবস্থা নেবে।” যদিও পাল্টা সাফাই দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শুভময় বসু। তিনি বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে দলগতভাবে কোনও খবর আসেনি। তবে প্রশাসনিক স্তরে যদি অভিযোগ হয়ে থাকে, তাহলে দলের যে কোনও স্তরের নেতাকর্মীই হোক না কেন, প্রশাসন ঘটনার সঠিক তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: কাটমানির খেলা? রাস্তা তৈরির পর দিনই উঠে যাচ্ছে পিচের চাদর, বেরিয়ে আসছে পাথর!

    Balurghat: কাটমানির খেলা? রাস্তা তৈরির পর দিনই উঠে যাচ্ছে পিচের চাদর, বেরিয়ে আসছে পাথর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ত দফতর রাস্তা তৈরিতে ব্যবহার করছে নিম্নমানের সামগ্রী। রাস্তা তৈরির পর দিনই উঠে যাচ্ছে পিচের চাদর। ফাটল ধরছে রাস্তার মাঝে। শুক্রবার সকালে এমন ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়াল বালুরঘাটের কুড়মাইলে (Balurghat)। খারাপ রাস্তার বিষয়টি জানতে পেরে এদিন পূর্ত দফতরে (রাস্তা) লিখিত অভিযোগ দায়ের করল বিজেপি। সরকারি নিয়ম মেনেই রাস্তার কাজের দাবির পাশাপাশি পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে তারা। এদিকে সরকারি নিয়ম মেনে কাজ হচ্ছে এবং কোনও অভিযোগ নেই বলেই পূর্ত দফতরের দাবি।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ (Balurghat)

    বালুরঘাট ব্লকের কামারপাড়া থেকে চিঙ্গিশপুর পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল৷ রাস্তা খানাখন্দে ভরে গিয়েছিল। অবশেষে বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়। মাস দুয়েক আগে কামারপাড়া থেকে চিঙ্গিশপুর পর্যন্ত প্রায় সাড়ে দশ কিলোমিটার রাস্তায় নতুন করে পিচের প্রলেপ দেওয়ার কাজ শুরু হয়৷ এর জন্য বরাদ্দ করা হয় প্রায় ৩ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। রাস্তার কাজ প্রায় শেষের দিকে। কামারপাড়া ও চিঙ্গিশপুর, দুই দিক থেকেই রাস্তার কাজ চলছিল। গতকাল কুড়মাইল এলাকায় রাস্তার কাজ হয়। অভিযোগ, রাস্তায় পিচের প্রলেপ দেওয়ার পরই তা উঠে যেতে থাকে। কিছু কিছু জায়গায় রাস্তা তৈরির পর তা ফেটে যায়। হাত দিলেই উঠে যাচ্ছে পাথর৷ নিম্নমানের রাস্তা তৈরির বিষয়টি নজরে আসতেই স্থানীয় বাসিন্দারা (Balurghat) এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ জানাতে থাকেন।

    কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি

    ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “গতকাল আমাদের এলাকায় (Balurghat) রাস্তা হয়েছে। কিন্তু সেই রাস্তায় আজ থেকেই পাথর উঠে যাচ্ছে। হাত কিংবা পা দিলেই উঠে যাচ্ছে পাথর। আমরা মনে করছি, এই রাস্তার কাজ অতি নিম্নমানের করা হয়েছে। আগের রাস্তা পাঁচ বছর টিকেছে। কিন্তু এবারের রাস্তা পাঁচ মাসও টিকবে না। আজ আমরা এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে জানিয়েছি। এভাবে রাস্তা যাতে না করা হয়, সে কথাই তাকে জানানো হয়েছে।” আর এক বাসিন্দা বলেন, “এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন বহু মানুষ যাতায়াত করে, বড় যানবাহনও যায়। কিন্তু যেভাবে রাস্তা হচ্ছে, তা অতি নিম্নমানের। পিচ কম দেওয়া হচ্ছে, যে খোয়াগুলি উঠে যাচ্ছে। সেখানে আবার নতুন করে পিচ স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে। এটা কখনও কাজের পদ্ধতি হতে পারে না। এটা প্রশাসনের দেখা উচিত। তা না হলে আমরা কাজ আটকে দেব।”

    গলদ দেখছে না পূর্ত দফতর (Balurghat)

    পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিয়ার (রাস্তা) দেবব্রত সরকার বলেন, “আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিম্নমানের কাজ হচ্ছে না। সরকারি নির্দিষ্ট তালিকা মেনেই কাজ হচ্ছে। যদি কোথাও কোন সমস্যা হয়, তা খতিয়ে দেখা হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: চাষিদের ধান কেনায় সরকারি অফিসারদের সামনেই কাটমানি! ব্যাপক শোরগোল

    South 24 Parganas: চাষিদের ধান কেনায় সরকারি অফিসারদের সামনেই কাটমানি! ব্যাপক শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিভিন্ন জায়গায় রাজ্য সরকারের ধানকেনায় চলেছে চরম দুর্নীতি। পাথরপ্রতিমায় সরকারি অফিসারদের সামনে মিল মালিককে কুইন্টাল পিছু আড়াই কিলো কাটমানি দিতে হচ্ছে গরিব চাষিদের। অবশ্য কর্তৃপক্ষের দাবি, ধানে তুষ বা খোসা রয়েছে। যার জন্য আড়াই কিলো করে ধান বাদ দিতে হচ্ছে চাষিদের। এনিয়ে চাষিদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ লক্ষ্য করা গিয়েছে। এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। 

    কৃষকদের বক্তব্য (South 24 Parganas)

    সুন্দরবনের (South 24 Parganas) চাষি সুনীল মণ্ডল বলেন, “বর্ষায় বাঁধ ভেঙে মাঠে নোনা জল ঢুকে চাষের বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল। অন্য দিকে চাষের সময় অনাবৃষ্টি, আবার ধান কাটার সময় অকাল বর্ষনে ধান নষ্ট হয়েছে। এর পরেও কিছু ধান তুলে বাড়ি ফিরেছি আমরা। আর সেই ধান এবার রাজ্য সরকারের খামারে বিক্রি করে করতে গিয়ে দিতে হচ্ছে কাটমানি। আমাদের ভাতে মারার কাজ করছে প্রশাসন।” আরেক চাষি সুভাষচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “একে প্রকৃতির মারও, তারপরে চলছে প্রকাশ্যে চুরি।”

    সরকারি কর্মচারী-মিল মালিকের বক্তব্য

    এলাকার (South 24 Parganas) সরকারি এক আধিকারিক শেখ কুতুবুদ্দিন বলেন, “এই বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না। যা ধান বেশি নেওয়া হচ্ছে, তার সবটাই মিল মালিকের পক্ষ থেকে নেওয়া হচ্ছে, এমনকি ধানের খোসা বা তুষের জন্য মেশিন ঠিক করেছে মিলের মালিকেরাই। কিন্তু অন্যদিকে মিল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে চাঁদু হাতি বলেন, “এই বিষয় নিয়ে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়েই চাষিদের সাথে কথা হয়েছে এবং আড়াই কেজি করে ধান বেশি নেওয়ার কাজ চলছে।” ফলে একদিকে যখন চাষের ক্ষতির কারণে চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে, তখন এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করলেও কেউই দায় নিতে চাইছে না কাটমানির বিষয়ে। কিন্তু কৃষকদের বক্তব্য, তাঁরা ধান বিক্রির মূল্য পাচ্ছেন না।

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনায় স্থানীয় (South 24 Parganas) বিজেপির নেতা অরুণাভ দাস অভিযোগ করে বলেন, “রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী নিজেই জেলে। তাঁর চেলারা আর কতটা ভালো হবে। মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবিলম্বে সমস্যার সমাধান চাই আমরা। পরোক্ষভাবে কাটমানির মতো ধানও দিতে হচ্ছে মিল মালিকদের। সরকারি আধিকারিকদের পাশে বসে মিল মালিকরা সেই ধান কড়ায় গন্ডায় বুঝে নিচ্ছে চাষিদের কাছ থেকে। অবিলম্বে এই দুর্নীতি বন্ধ না হলে বড় আন্দোলনের পথে নামবো আমরা ।” স্থানীয় তৃণমূল কর্মী মৃণালকুমার মাঝি বলেন, “অভিযোগ সম্পর্কে আমি জানি না। খোঁজ নেবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দাদাগিরি, হম্বিতম্বির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল

    Asansol: তৃণমূল কংগ্রেস নেতার দাদাগিরি, হম্বিতম্বির ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলার জামুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির (Asansol) সহ-সভাপতি সিদ্ধার্থ রানার দাদাগিরির ভাইরাল ভিডিও এল প্রকাশ্যে। ব্লক সভাপতির উপস্থিতিতে তাঁরই গাড়ির চালক অন্য এক গাড়ির চালককে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত ওই দৃশ্য দেখে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন পথচলতি মানুষ। ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতির গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এই সময় ওই নেতা নিজের গাড়ি থেকে নেমে রীতিমতো দাদাগিরি শুরু করে দেন এবং হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। আর ওই তৃণমূল নেতার হম্বিতম্বির ভিডিও রেকর্ডিং করে বিক্ষুব্ধ জনতা ছড়িয়ে দেয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে আসানসোলের জামুড়িয়ায় তপসি রেল ব্রিজের নিচে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। যদিও ওই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি ‘মাধ্যম’।

    ঘটনার বিবরণ (Asansol)

    আসানসোল থেকে জামুড়িয়া ফিরছিলেন জামুড়িয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের দু’নম্বর ব্লকের সভাপতি তথা জামুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি সিদ্ধার্থ রানা। তপসি ব্রিজের কাছে রেলগেট পড়ে যায় এবং তা খোলার পরই যানজট লেগে যায়। অনেকেই রং সাইডে ঢুকে পড়েন। এরকমই এক গাড়ির চালককে গালিগালাজ করে বেধড়ক মারধর করেন সভাপতির গাড়ির চালক, এমনটাই অভিযোগ এবং ওই চালক হুমকি দিয়ে বলেন যে তাঁর মাথার উপর তৃণমূল নেতাদের হাত রয়েছে। কেউ কিছু করতে পারবে না। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাধারণ পথচলতি মানুষ (Asansol)।

    কী বললেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি? (Asansol)

    সিদ্ধার্থ রানা বলেন, “আমি গাড়ি পাশে দাঁড় করিয়ে বাথরুম গিয়েছিলাম। এসে দেখি ঝামেলা হচ্ছে। এক ভদ্রলোকের মাথা ফাটা রয়েছে। আমি বলি, চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ ছাড়াও যদি সাত-দশ দিন চাকরিতে অনুপস্থিত থাকেন, তার যাবতীয় খরচও বহন করবো। তা সত্ত্বেও তারা মারমুখী হয়ে উঠেছিল। আমার গাড়ির চালক গাড়ি থেকে বাইরে বের হয়নি। তাহলে কে উনাকে মারল, তা উনি ভালো বলতে পারবেন।”

    সাধারণ মানুষ বিপদে, তোপ বিজেপির

    বিজেপির আসানসোল (Asansol) জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যেভাবে কংগ্রেস গোটা দেশ থেকে এক প্রকার শেষ হয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস শেষ হয়ে যাবে। কেউ তাদের নেতাকর্মীকে খুঁজে পাবে না। তাদের সম্বন্ধে কারও কাছে কোনও খবর থাকবে না। তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী থেকে নেতা সকলেই যে ভাবে গোটা রাজ্য জুড়ে অত্যাচার শুরু করেছে, তাতে সাধারণ মানুষ চরম বিপদে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gita: গীতা পাঠে আসছেন মোদি, শনিবার শুরু মঞ্চ বাঁধার কাজ, নজরুলগীতি দিয়ে সূচনা অনুষ্ঠানের

    Gita: গীতা পাঠে আসছেন মোদি, শনিবার শুরু মঞ্চ বাঁধার কাজ, নজরুলগীতি দিয়ে সূচনা অনুষ্ঠানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ডিসেম্বর ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ (Gita) কর্মসূচি। শনিবারই ব্রিগেডে ভূমি পূজন করে মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হবে। জানা গিয়েছে, দুটি পৃথক মঞ্চ বাঁধা হবে। একটিতে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অন্যটি হবে অতিথিদের বসার জন্য। অতিথিদের মঞ্চে দেখা যাবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দ্বারকা মঠের বর্তমান শংকরাচার্য স্বামী সদানন্দ সরস্বতী এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে।  এর পাশাপাশি অনুষ্ঠান শুরুর আগে একটি শোভাযাত্রা হবে। শোভাযাত্রায় থাকবে কুরুক্ষেত্রর মাটি। মূল অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে নজরুলগীতির মাধ্যমে। সেসময় বেজে উঠবে ৬০ হাজার শঙ্খ।

    প্রধানমন্ত্রী কখন আসবেন?

    জানা গিয়েছে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে আসবেন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ। পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ধুতি পোশাক, মহিলারা পরবেন শাড়ি। গীতা পাঠের (Gita) কর্মসূচিতে আমন্ত্রিত রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। বৃহস্পতিবার এবিষয়ে অন্যতম উদ্যোক্তা নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারী বলেন, ‘‘আমাদের কর্মসূচির সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকেই অনুষ্ঠানে আসতে চেয়েছিলেন। সকলের সঙ্গে গীতাপাঠ (Gita) করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজি হলে তাঁকেও যথাযথ সম্মানে স্বাগত জানানো হবে।’’

    নজরুল গীতি দিয়ে শুরু হচ্ছে অনুষ্ঠান

    ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ (Gita) কর্মসূচি শুরু হবে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা, ‘‘হে পার্থসারথি! বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য শঙ্খ, চিত্তের অবসাদ দূর কর কর দূর….’’ গানের মাধ্যমে। হঠাৎ এধরনের নজরুল গীতি দিয়ে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’-এর আয়োজন কি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতেই? এমন প্রশ্ন শুনে আয়োজক কমিটির সভাপতি স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ গত রবিবার ‘মাধ্যম’-কে বলেন, ‘‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ কর্মসূচি কখনও নির্দিষ্ট ধর্ম বা বর্ণের মধ্যে বেঁধে দেওয়া হয়নি। নেই কোনও রাজনৈতিক বাছবিচারও। ‘গীতা’ জীবন বোধ, তা যেমন মানুষের কী খাওয়া উচিত সেটাও বলে, তেমনি সুশৃঙ্খল জীবন গঠনের উপায়ও শেখায়। নজরুল ইসলামের এই গান আমাদের কাছে বর্তমানে সময়োপযোগী বলে মনে হয়েছে, তাই রাখা। এই গানের প্রতিটি কথা গীতাকে সরল ও সুন্দরভাবে ব্যাখা করেছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: দুয়ারে রেশন চলাকালীন সামগ্রীর পাচার আটকে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়কই

    Hooghly: দুয়ারে রেশন চলাকালীন সামগ্রীর পাচার আটকে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়কই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন সামগ্রী পাচারের অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক হলেন তৃণমূলেরই বিধায়ক। মাঠের মধ্যে দুয়ারে রেশন দিচ্ছিলেন ডিলার বাচ্চু মুখোপাধ্যায়। কিন্তু রেশনের সামগ্রী পাচারের অভিযোগ তুলে রেশন সামগ্রী আটক করলেন হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। উল্লেখ্য বিধায়ক আগেও শাসক দলের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত নির্বাচনে টাকা নিয়ে টিকিট দেওয়ার কথা বলে দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। ফের এবার রেশন দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়ে তৃণমূল সরকারের দুয়ারে রেশন প্রকল্পের বাস্তব সত্যতাকে তুলে ধরলেন। উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। শাসক দল রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে আরও চাপের মুখে। 

    বলাগড়ের কোথায় ঘটেছে ঘটনা (Hooghly)?

    বলাগড়ের (Hooghly) বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ডুমুরদহ নিত্যান্দপুর ২ পঞ্চায়েত কুন্তিঘাট শেরপুর স্কুল মাঠে ঘটনা ঘটেছে। রেশন সামগ্রী পাচারের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে সামগ্রী আটক করেছে। এরপর থেকে এলাকায় তীব্র উতেজনা শুরু হয়েছে। 

    বিধায়কের বক্তব্য

    বলাগড়ের (Hooghly) তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, “দলের কাছে আগেও জানিয়েছি এখানে রেশন বিলির সময় রেশনের সামগ্রী পাচার করা হচ্ছে। আজ খবর পেয়ে হাতেনাতে ধরলাম। রেশনের সামগ্রী সাধারণ মানুষের জন্য। তাকে এই ভাবে পাচার করা যায়না। প্রশানকে আরও শক্ত হতে হবে।” খুব স্পষ্ট যে তাঁর এই বক্তব্যে দলের কাছে জানালেও কোনও লাভ হচ্ছিলনা। অবশেষে নিজেই রেশন পাচার ধরলেন। এমনটাই অভিযোগ করছে বিজেপি। 

    উপভোক্তাদের বক্তব্য

    এলাকার (Hooghly) রেশন উপভোক্তাদের বক্তব্য, “রেশনে দেওয়া চাল এবং আটার মান অত্যন্ত খারাপ। বেশিরভাগ রেশন সামগ্রীর মধ্যেই পোকা থাকে। আমরা এই সামগ্রী খাবারের কাজে ব্যবহার করতে পারিনা। সরকারের ভালো জিনিস অন্যত্র পাচার করে আমাদের খারাপ জিনিস দেওয়া হচ্ছে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনায় (Hooghly) স্থানীয় বিজেপি নেতা মণ্ডল সম্পাদক নেপাল দাস বলেন, “সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে রেশন পাচার চলছে। তৃণমূল বিধায়ক লোকসভার ভোটের আগে শিরোনামে আসতে দুর্নীতি নিয়ে একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। কিন্তু দলের বিরুদ্ধে সার্বিক অভিযোগ তুলছেন না। তৃণমূলের সবাই চোর।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share