Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Asansol: কষ্টের পয়সায় বাড়ি করবেন, তাতেও লাগবে তৃণমূলের অনুমতি! না হলে খুনের হুমকি?

    Asansol: কষ্টের পয়সায় বাড়ি করবেন, তাতেও লাগবে তৃণমূলের অনুমতি! না হলে খুনের হুমকি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকা খরচ করে নিজের বাড়ি তৈরি করবেন। আর তার জন্য তৃণমূলের অনুমতি নিতে হবে। আসানসোলের (Asansol) ফতেপুরের এলাকাবাসীর একাংশের এমনই অভিযোগ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা! (Asansol)

    আসানসোলের (Asansol) ফতেপুর এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে জমি মাফিয়ারা। অতিষ্ঠ হয়ে তৃণমূলের নেতার কাছে এলাকাবাসী দরবার করেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে, দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন এলাকাবাসী। ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা সভাটির আয়োজন করেন। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তৃণমূলের স্থনীয় পুরপ্রতিনিধি সমিত মাজিকেও। সকাল ১১টা নাগাদ সমিত সভামঞ্চে আসেন। অভিযোগ, সভা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই কয়েকজন সেই সভা বন্ধ করার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। সেই সভা ভেস্তে দেওয়ার চেষ্টা হয়। তবে, আয়োজকেরা সভার কাজ চালিয়ে যাওয়ার দাবিতে অনড় থাকেন। সভার জন্য পুলিশের থেকে আগাম অনুমতি নেওয়া ছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই কমিশনারেটের এসিপি (সেন্ট্রাল) দেবরাজ দাসের নেতৃত্বে র‍্যাফের একটি দল ঘটনাস্থলে আসে। তার পরে, পুলিশের উপস্থিতিতেই সভার কাজ শেষ হয়।

    প্রতিবাদ সভার আয়োজকদের কী বক্তব্য?

    সভার অন্যতম আয়োজক তথা বড়তোড়িয়ার বাসিন্দা দীনবন্ধু মণ্ডল বলেন, কয়েক মাস আগে নিজের জমিতে আমি বাড়ি করতে গিয়েছিলাম। জমি মাফিয়ারা বাধা দেয়। দেওয়া হয় খুনের হুমকিও। তাদের অনুমতি নেওয়ার কথা বলা হয়। নির্মাণ সামগ্রীও তাদের থেকে নেওয়ার কথা বলা হয়। এমনকী বাড়ি করার আগে তৃণমূলের স্থানীয় কার্যালয় থেকে অনুমতি নেওয়ার কথাও বলা হয়। ফতেপুরের স্বরূপকুমার মাজির আবার অভিযোগ, নিজের জমি বিক্রি করতে গেলেও, এক দল লোক এসে জমি বিক্রিতে বাধা দিচ্ছে। পাশাপাশি, এলাকার পরিকাঠামোগত সমস্যা নিয়েও সরব হয়েছেন বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, বরাচকের হনুমান মন্দির থেকে বরাচক স্টেশন পর্যন্ত রাস্তাটি বেহাল। পথবাতি নেই। নিকাশি পরিস্থিতি বেহাল। বিষয়টি পুরপ্রতিনিধিকে জানানো হলেও লাভ হয়নি।

    পুর প্রতিনিধির কী বক্তব্য?

    পুরপ্রতিনিধি সমিত মাজি বলেন, কারও নাম উল্লেখ না করে জমি মাফিয়াদের বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। বিস্তারিত খোঁজখবর করব। বাসিন্দাদের নিজেদের জমি কেনাবেচার আগে বা বাড়ি তৈরি করার আগে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে অনুমতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় না। কে বা কারা এই কাজ করছেন, তা-ও দেখা হবে। পাশাপাশি, পরিকাঠামোগত উন্নয়নের বিষয়েও উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি আসানসোল (Asansol) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ওই এলাকায় জমি মাফিয়াদের বখরাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের অন্দরে দু’টি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। তা নিয়েই গোলমাল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSKM: শিশুদের বেডে ‘কালীঘাটের কাকু’! সাধারণের চিকিৎসার সুযোগও কি কেড়ে নেবেন তৃণমূল নেতারা?

    SSKM: শিশুদের বেডে ‘কালীঘাটের কাকু’! সাধারণের চিকিৎসার সুযোগও কি কেড়ে নেবেন তৃণমূল নেতারা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতাল একাধিক রোগে আক্রান্ত। রেফার রোগ থেকে দালালচক্র, সরকারি হাসপাতালের একাধিক রোগে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ছে।‌ তার মধ্যেই সরকারি হাসপাতালে আরেক রোগের জেরে জেরবার সাধারণ মানুষ। শাসক দলের দাপটে সরকারি হাসপাতালে (SSKM) সাধারণ মানুষের চিকিৎসা করাতে অপেক্ষা হচ্ছে আরও দীর্ঘ।‌

    কোথায় বাড়ছে এই রোগ? 

    এসএসকেএম থেকে জেলার হাসপাতাল, পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র এই সমস্যা রয়েছে। ভুক্তভোগীদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও সরকারি হাসপাতালে শাসক‌ দলের নেতারাই চিকিৎসায় অগ্রাধিকার পায়। আর তার জেরেই সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সময়মতো হচ্ছে না। সম্প্রতি কালীঘাটের কাকু নামে পরিচিত সুজয় ভদ্র এসএসএকেএম (SSKM) হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় সেই বিতর্ক আরও জোরালো হয়েছে। 
    সূত্রের খবর, এসএসকেএম হাসপাতালে শিশুদের বিশেষ অস্ত্রোপচারের জন্য নির্ধারিত শয্যায় ভর্তি রয়েছেন সুজয় ভদ্র। তবে, এই ঘটনা ব্যতিক্রম নয় বলেই জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। দফতরের অন্দরের খবর, রাজ্যের সর্বত্র এরকম চলছে। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, আরজিকর হাসপাতালের মতো প্রথম সারির মেডিক্যাল কলেজ হোক কিংবা জেলার হাসপাতাল, সাধারণ মানুষকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কিন্ত তৃণমূলের নেতারা দিনের পর দিন সরকারি হাসপাতালের শয্যায় থাকছেন। বিশেষত এসএসকেএমে এই রোগ আরও বেশি জাঁকিয়ে বসেছে। ইডি কিংবা সিবিআই গ্রেফতার করার পরেই একাধিক নেতা অসুস্থ হয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যে বিতর্ক আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। কিন্তু সেই হাসপাতালে সাধারণ মানুষ চিকিৎসার জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষা করেছেন।

    কী বলছেন ভুক্তভোগীরা? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের একাধিক সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নেই। বিশেষত হৃদরোগ, শিশুরোগ, স্নায়ু শল্য চিকিৎসায় পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে‌। এসএসকেএম-এর (SSKM) মতো রাজ্যের প্রথম সারির হাসপাতালে যে কোনও রোগীর চিকিৎসার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়। হৃদপিণ্ডের অস্ত্রোপচার হোক কিংবা স্নায়ুর চিকিৎসা, যে কোনও রোগে রোগীকে কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হয়। তার উপরে রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের অভাব রয়েছে। পর্যাপ্ত শয্যা এবং পরিকাঠামো নেই। তার জেরে রোগীকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হচ্ছে। কিন্তু সেই সরকারি হাসপাতালে শিশুর জন‌্য বরাদ্দ শয্যায় ভর্তি থাকছেন দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার শাসক দল ঘনিষ্ঠ নেতা‌। ভুক্তভোগীদের একাংশের অভিযোগ, সরকারি হাসপাতালে তাদের চিকিৎসার ন্যূনতম সুযোগ পাওয়া যায় না। এদিকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য নেই। স্বাস্থ্য সাথী থেকেও ঠিকমতো পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে না। কার্যত স্বাস্থ্য পরিষেবা এ রাজ্যে অনিশ্চিত। তাই চিকিৎসার জন্য অনেকেই ভিন রাজ্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।

    কী বলছেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ? 

    সরকারি হাসপাতালে শাসক দলের শয্যা আটকে রাখার নতুন রোগ নিয়ে মুখ খুলতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতর। এই নতুন রোগ কীভাবে মোকাবিলা হবে, সে নিয়েও কোনো মন্তব্য করতে চাননি স্বাস্থ্য কর্তারা। আর এসএসকেএম-এ (SSKM) সুজয় ভদ্রের চিকিৎসা নিয়ে কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করলে, তাঁরা সাফ জানান, কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে ২৪ ঘণ্টায় ১১ শিশুর মৃত্যু! বাল্যবিবাহ এবং অপুষ্টিরই করুণ পরিণতি?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে ২৪ ঘণ্টায় ১১ শিশুর মৃত্যু! বাল্যবিবাহ এবং অপুষ্টিরই করুণ পরিণতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ১১ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আর এই মৃত্যুর ঘটনার জন্য পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। নজরদারি অভাব বা গাফিলতির জন্য পর পর এই শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, এমনই দাবি মৃতের পরিবারের লোকজনের।

    শিশুমৃত্যুর তদন্তে কী উঠে এল? (Murshidabad)

    একের পর এক শিশুমৃত্যুর কারণ নিয়ে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ এবং জঙ্গিপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল একে অন্যের দিকে দায় ঠেলেছে। পরিস্থিতি দেখে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। শিশুমৃত্যুর কারণ খোঁজার চেষ্টা করেছে স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধি দল। তাতে উঠে আসে একটি তথ্য। দেখা যাচ্ছে, সদ্য সন্তান হারানো মায়েদের ঠিকানা আলাদা হলেও তাদের বেশির ভাগের মধ্যে একটি মিল, অপরিণত বয়সে বিয়ে এবং মা হওয়া। ১১ জন শিশুর মধ্যে সাত জনের মা নাবালিকা। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার ১৬ বছর বয়সি এক কিশোরী ৪৬০ গ্রাম ওজনের একটি সন্তানের জন্ম দেয়। জঙ্গিপুরের ১৭ বছর ৩ মাস বয়সি এক নাবালিকা যে সন্তান প্রসব করে, তার ওজন ছিল ৫১০ গ্রাম। শুধু এই দুই মা নয়, ২৪ ঘণ্টায় যে ১১ সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে, তাদের মায়েরা সবাই হয় নাবালিকা নয়তো সবে আঠারো পেরোনো। আসলে শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে পা দিতে না দিতেই মেয়েদের পাত্রস্থ করার চল এখনও রয়েছে মুর্শিদাবাদের গ্রামগঞ্জে। বাল্যবিবাহ রুখতে কেন্দ্র এবং রাজ্যের একাধিক প্রকল্প রয়েছে। কিন্তু মুর্শিদাবাদের গ্রামে গ্রামে গেলে দেখা যাবে বাল্যবিবাহের ছবি। বাড়ির মেয়েরা ভালো খাবার না পেয়ে অপুষ্টিতে ভোগেন। আর তারই ফলশ্রুতিতে অপুষ্টিজনিত সমস্যা নিয়ে শিশুদের জন্ম হয়। জন্মের পর থেকেই বিভিন্ন অসুখে ভুগে থাকে তারা।

    বাবা-মায়েরা কন্যাসন্তানের প্রতি যত্নবান নন

    গ্রামবাংলার আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার কমিশনের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য প্রসূন ভৌমিক বলেন, ‘আসলে এখনও বাবা-মায়েরা ছেলেদের প্রতি যতটা যত্নবান হন, কন্যাসন্তানের প্রতি ততটা নন। এই ভয়াবহ সামাজিক অভিশাপেই এক নাবালিকার অল্প বয়সে মা হতে হয়। প্রসবের সময় প্রাণের ঝুঁকি থাকে তাদের দু’জনেরই।’

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অমিত দাঁ বলেন,  আমাদের হাসপাতালে প্রচুর রেফার হচ্ছে। নার্সিংহোম থেকে শেষ মুহূর্তে রেফার করা হচ্ছে। আর ডাক্তার বা নার্সদের কোনও গাফিলতি রয়েছে কি না তা জানতে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ১৬ থেকে ১৭ বছরের মেয়ে মা হচ্ছে। তার ফলে কম ওজনের সন্তানের জন্ম হচ্ছে। পাশাপাশি জন্মগত ত্রুটি নিয়ে সন্তানের জন্ম হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET: গীতাপাঠের দিনেই টেট ঘোষণা রাজ্যের, হাইকোর্টে বিজেপি

    TET: গীতাপাঠের দিনেই টেট ঘোষণা রাজ্যের, হাইকোর্টে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠ’ কর্মসূচিতে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিনই রাজ্য সরকার প্রাথমিক টেট (TET) পরীক্ষার দিন ঘোষণা করেছে। প্রসঙ্গত, এর আগের টেট পরীক্ষার দিন পাল্টে সেদিনই রাখে মমতা সরকার। প্রধানমন্ত্রী এলে যানজটের সমস্যায় পড়তে পারেন পরীক্ষার্থীরা, এই দাবি নিয়ে টেট পরীক্ষার দিন বদলের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করল বিজেপি। মামলাটি করতে চান বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। সোমবার এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এদিন তাতে অনুমতি দিল হাইকোর্ট। এনিয়ে দিলীপ ঘোষের বক্তব্য হল, ‘‘এ রাজ্যের শাসকদল এবং মুখ্যমন্ত্রী যে সনাতন বিরোধী, তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। উনি নিজেই তাঁর নানা কাজকর্ম দিয়ে সেটা বুঝিয়ে দেন। পরীক্ষা পিছিয়ে একটি সনাতন কর্মসূচির দিনে ফেলা সেই মনোভাবেরই পরিচয়।’’

    ১০ ডিসেম্বর টেটের দিন ঘোষণা করেও কেন পিছল সরকার?

    প্রসঙ্গত, প্রথমে ১০ ডিসেম্বর প্রাইমারি টেট (TET) পরীক্ষার দিন ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। সেই মোতাবেক প্রস্তুতিও শুরু করেছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয় দুপুর বারোটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত টেট পরীক্ষা চলবে। এরপরে গত সপ্তাহের সোমবারই পর্ষদ হঠাৎ জানায় ১০ ডিসেম্বর টেট (TET) পরীক্ষা হচ্ছে না। তার পরিবর্তে তা হবে ২৪ ডিসেম্বর। তবে পরীক্ষার কোনও সময় বদল হচ্ছে না এবং তা দুপুর বারোটা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত চলবে। কিন্তু কী কারণে এই দিন বদলের সিদ্ধান্ত তা কোনওভাবেই জানানো হয়নি নতুন বিজ্ঞপ্তিতে। এতেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। তবে কি প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচির দিন দেখে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ওইদিন টেট পরীক্ষা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার? এমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার কারণ ২৪ ডিসেম্বর যে গীতাপাঠের অনুষ্ঠান হতে চলেছে তা বিগত কয়েক মাস ধরেই সংবাদমাধ্যমের দৌলতে সবাই জানতে পেরেছেন।

    ক্ষুদ্ধ উদ্যোক্তারাও

    গীতা পাঠের দিন টেট পরীক্ষা (TET) ফেলা নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন উদ্যোক্তারা। রবিবারই এ বিষয়ে উদ্যোক্তা কমিটির সভাপতি স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ, ‘মাধ্যম’- কে ফোনে বলেন, ‘‘কেন এরকম করা হল, সেটা বোঝা যাচ্ছে না। আমরা তো গীতা পাঠের দিনক্ষণ অনেক আগেই স্থির করে ফেলেছিলাম।’’ কোনও কোন মহল এ নিয়ে ষড়যন্ত্রও দেখছে এবং তাঁদের মতে, ‘‘রাজ্য সরকার জেনে বুঝে ২৪ ডিসেম্বর টেট পরীক্ষার দিন ঘোষণা করল, তার কারণ এতে যদি পরীক্ষার্থীরা অসুবিধা পড়েন সে ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার সুযোগ পাবে শাসক দল।’’ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়েছে যে চলতি বছরে টেট পরীক্ষা দিচ্ছেন ৩ লাখ ১০ হাজার পরীক্ষার্থী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • East Medinipur: সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে দলীয় বক্তব্য! বিতর্কে মন্ত্রী অখিল গিরি

    East Medinipur: সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে দলীয় বক্তব্য! বিতর্কে মন্ত্রী অখিল গিরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের গড়বাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বার্ষিক সাধারণ সভাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক! গ্রাম পঞ্চায়েতের বার্ষিক সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের প্রতীকে জেতা পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান থেকে বিজেপির প্রতীকে জেতা পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা। সরকারি অনুষ্ঠানে সেখানেই দলীয় বক্তব্য রাখেন কারামন্ত্রী অখিল গিরি। বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভের জেরে কিছু সময়ের জন্য সভা বন্ধ হয়ে যায়। পঞ্চায়েত প্রধান জনগণের সামনে ভুল স্বীকার করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

    ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী? (East Medinipur)

    পূর্ব মেদিনীপুরের (East Medinipur) ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের গড়বাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখতে উঠে মন্ত্রী অখিল গিরি মহুয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি কোনও ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়া হয়, তাহলেও তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় আপনি কী চান? নির্লজ্জভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে আমাদের সাংসদ মহুয়া মৈত্রর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। দু’মাস-ছ’মাস পর ভোট হবে, কৃষ্ণনগর থেকে আবার জিতে আসবে মহুয়া মৈত্র।’ পাশাপাশি তিনি হুমকির সুরে বলেন, ‘বিজেপি কেমন ভাবে জিতবে সেটা আমরা দেখব। এই বক্তব্যের পরেই উপস্থিত সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। এই বক্তব্য থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। বৈঠকে উপস্থিত বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। সরকারি অনুষ্ঠানে এই ধরনের বক্তব্য কেন তা নিয়ে বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। পরে নিজের বক্তব্যে অনড় থাকেন রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি। তাঁর দাবি, বিরোধীরা তাঁদের মতো বলবেন, আমরা আমাদের মতো বলব। মন্ত্রী মঞ্চ ছাড়তেই পুনরায় কার্যত জনগণের বিক্ষোভ শুরু হয়। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এর পরেই কোনও রকমে পরিস্থিতি সামাল দেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বপন দাস ও প্রাক্তন মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর। এদিনের সভায় উপস্থিত জনগণের সামনে ক্ষমা চান গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বপনকুমার দাস।

    তৃণমূল নেতার কী বক্তব্য?

    ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা জ্যোতির্ময় কর বলেন, ‘এই মঞ্চে আমাদের পক্ষ থেকে দলীয় প্রচার করার কোনও ইচ্ছা নেই। গ্রাম পঞ্চায়েতের দল-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই থাকবেন এই বার্ষিক সভায়।’

    বিজেপি নেতা কী বললেন?

    গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা অনুপম জানা বলেন, ‘গ্রাম সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সভায় একাধিক মন্ত্রী উপস্থিত রয়েছেন। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব। এলাকার উন্নয়নের জন্য বিরোধী দল হিসেবেও সহযোগিতা করব। এই সরকারি অনুষ্ঠানটি অন্যরকম হয়ে গেল মন্ত্রী অখিল গিরির বক্তব্যে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: দলের অঞ্চল সভাপতিকেই বেধড়ক মার! তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    North 24 Parganas: দলের অঞ্চল সভাপতিকেই বেধড়ক মার! তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের জেরে আহত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হাড়োয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত রয়েছে এলাকা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) হাড়োয়ার শালিপুর অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম শনিবার হাড়োয়ার ধোনপোতা বাজারে বসে চা খাচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকা বেশ কিছু দুষ্কৃতী তাঁর ওপর হামলা চালায়। লোহার রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। তরিকুলের চিৎকারে বাজারে থাকা বেশ কিছু লোকজন ছুটে আসলে দুষ্কৃতীরা সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যায়। তারপর আহত তরিকুল ইসলামকে উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসা করানোর পর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনার পর রবিবার শালিপুর অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি তরিকুল ইসলামের পক্ষ থেকে হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় ও শালিপুর অঞ্চলের প্রধান-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হাড়েয়া থানায় খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনার পর থেকে এলাকায় যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    আক্রান্ত তৃণমূল নেতা কী বললেন?

    এ-প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তরিকুল ইসলাম বলেন,’পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই এলাকায় এলাকায় ঘুরে সংগঠন মজবুত করেছি। এলাকার মানুষের পাশে থেকে উন্নয়নের কাজ করছি। সেটা বর্তমান তৃণমূলের কর্মীদের সহ্য হচ্ছে না। তাই, ওরা আমাকে খুন করার চক্রান্ত করছে।’

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার কী বক্তব্য?

    হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তরিকুল তৃণমূলের নাম করে এলাকায় সম্প্রতি তোলাবাজি শুরু করেছে। সেটা এলাকার মানুষ সহ্য করতে না-পেরে ওকে মারধর করেছে। আর ও সহানুভূতি পাওয়ার জন্য মিথ্যাভাবে তৃণমূলের উপর দোষ চাপাচ্ছে।’

    তোলাবাজির বখড়া নিয়ে বিবাদ, কটাক্ষ বিজেপির

    বিজেপির রাজ্য কমিটির নেতা তথা বসিরহাটের পর্যবেক্ষক শংকর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূলের অন্দরে তোলাবাজির টাকার বখড়া নিয়ে গোলমাল শুরু হয়েছে। বখড়ায় ভাগে কম পড়লেই সংঘর্ষ হচ্ছে। শালিপুত্রের ঘটনার নেপথ্যেও রয়েছে সেই বখড়া সঙ্গে বাঁটোয়ারা সংক্রান্ত বিবাদ। মানুষ সব দেখছে। আগামী লোকসভা নিয়ে নির্বাচনে তোলাবাজদের বিরুদ্ধে মানুষ জবাব দেবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Winter Update: সুখবর শোনাল হাওয়া অফিস, জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ছে চলতি সপ্তাহেই

    Winter Update: সুখবর শোনাল হাওয়া অফিস, জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ছে চলতি সপ্তাহেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ জাঁকিয়ে পড়তে শুরু করেছে শীত। কনকনে ঠান্ডার অনুভূতি ভালোই পাওয়া যাচ্ছে (Winter Update)। শৈল শহরগুলির তাপমাত্রা এক ধাক্কায় অনেকটাই নেমে গিয়েছে। লে, শ্রীনগর, গুলমার্গে তা মাইনাসেও পৌঁছে গিয়েছে। এরই মাঝে দার্জিলিং-এ তুষারপাত হওয়ারও খবর মিলেছে। জাঁকিয়ে শীত পড়াকে বেশ উপভোগ করে ভোজনরসিক বাঙালি। পিঠে-পুলি খাওয়া, পিকনিক করা চলতে থাকে শীতে। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির ঘুরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে শীত খুব উপযুক্ত। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে বাংলা জুড়েই প্রবল কনকনে ঠান্ডা পড়তে (Winter Update) চলেছে। মানে এবার থেকে লেপ-কম্বল মুড়ি দিয়ে থাকতে হবে।

    দেশের মধ্যে লে-তে তাপমাত্রা সব থেকে কমবে

    ভ্রমণপিপাসু বাঙালি যদি কোথাও ঘুরতে যেতে চান, তাঁদের জন্য সুখবর শুনিয়েছে হাওয়া অফিস। শৈল শহর বলে পরিচিত সিমলা, মানালি লে’তে আগামী সপ্তাহেই তাপমাত্রা মাইনাসে নেমে যাচ্ছে। সারা দেশের মধ্যে সব থেকে শীতপ্রধান অঞ্চল হয়ে দাঁড়াবে (Winter Update) লে। দুদিন আগেই লে-এর তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল হিমাঙ্কেরও ১১ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড নিচে। দেশের অন্যান্য প্রান্তে ঘুরতে যাওয়ার যাঁরা পরিকল্পনা করেছেন, তাঁদের জন্য নিঃসন্দেহে এটা সুখবর।

    কেমন থাকবে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা

    অন্যদিকে, হাওয়া অফিস ইতিমধ্যে জানিয়েছে এবার শীত পড়ার ক্ষেত্রে আর কোথাও কোনও রকমের বাধা নেই। আকাশ পরিষ্কার থাকবে, দাপট চলবে উত্তরের হাওয়ার। আগামী চার দিনে, চার ডিগ্রি কমবে রাতের তাপমাত্রা। সারা রাজ্যে এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে চলতি সপ্তাহের তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি থেকে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি নেমে যেতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
    অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে দু-তিন দিনের মধ্যে দার্জিলিং জেলায় বৃষ্টির কিছুটা পূর্বাভাস রয়েছে। তবে বাকি জেলা শুষ্ক (Winter Update) থাকবে বলে জানা গিয়েছে। কুয়াশার দাপটের সঙ্গে ঠান্ডা ব্যাপকভাবে পড়বে। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ব্যাপক কুয়াশা দেখা যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! একে অপরের বিরুদ্ধে কী বললেন জানেন?

    Arjun Singh: সোমনাথ-অর্জুন দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! একে অপরের বিরুদ্ধে কী বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) লড়াই একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। এতদিন দাপুটে দুই নেতার মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছিল। এখন তা সামনে চলে এল। রবিবার সন্ধ্যায় অর্জুন সিং ভাটপাড়ায় দলীয়  সভায় যোগ দিতে গিয়ে সোমনাথ শ্যামের নাম না করে পোলট্রি মোরগ বলে কটাক্ষ করেন।

    তৃণমূল কর্মী খুনে জড়িত সাংসদ বা তাঁর পরিবারের কেউ, সরব বিধায়ক

    এর আগে ভাটপাড়ায় তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় সাংসদ অর্জুন সিংকে নিশানা করেছিলেন জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক। পাশাপাশি, পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। যা নিয়ে ফের চর্চায় এসেছে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি। ফলে অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের অন্দরে। গত ২১ নভেম্বর ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে পুরানি তালাও সংলগ্ন এলাকায় তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে বাড়ির সামনে গুলি করে খুন করা হয়। তিন দিনের মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। যদিও ভিন রাজ্যের ভাড়াটে খুনিরা এখনও অধরা। তাদের ধরতে ইতিমধ্যেই ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগকে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে খুনের ঘটনায় দেখা গিয়েছে, মেঘনা জুটমিলের পুরাতন লাইন থেকে বেরিয়ে খুনিরা খুন করে আবার সেখানে ঢুকে যায়। এই কারণেই আমি বলেছি, কোথাও না কোথাও সাংসদ বা তাঁর পরিবারের কেউ জড়িত। পরিবারের সেই যুক্ত লোকের নাম পাপ্পু সিং। কেউ প্রভাব খাটাচ্ছে। তাই হয়তো পুলিশ পিছিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমার মনে হয়, পুলিশ এ বার পিছোবে না, কারণ পুলিশের কাছে গ্রেফতার করার জন্য যথেষ্ট তথ্য আছে। যে খুন করেছে, তাঁকে জেল খাটতেই হবে।

    সোমনাথকে নিয়ে কী বললেন অর্জুন? (Arjun Singh)

    সোমনাথ শ্যামের সেই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। তিনি বলেন, আমার ভাইপো আমার সঙ্গে রয়েছে, তারজন্য সে খুনি। আর আমার ভাইপো তাঁর সঙ্গে রয়েছে সে ভাল। আর ভিকি যাদবকে খুন করার পর খুনিরা মেঘনা জুটমিলে ঢুকছিল সেটা তিনি দেখেছেন। তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মুখ্যমন্ত্রীতে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, এক সময় আমরা হাতে গোনা কয়েকজন দল করতাম। দুদিন আগে দল করে আমার যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন করছে। আমার সামনে দাঁড়ানোর কোনও যোগ্যতা তাঁর নেই। দলীয় ঝান্ডা ছেড়ে বেরিয়ে এসে একটা কথা বলে দেখুক জনগন এমন হাল করবে যে তিনি তখন বুঝতে পারবেন।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি রাজ্য মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলেছি রাজ্যের পুলিশ নিষ্ক্রিয়, তৃণমূল নিজেরাই নিজেদের খুন করেছে। আমাদের এই কথাটাই তৃণমূল বিধায়ক বলে দিলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছেন  শিশুর বেডে!’ কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছেন শিশুর বেডে!’ কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মের কল বাতাসে নড়ে, একজন বলেছিলেন কালী মদ খায় আর মাংস খায়। এক বছরও গেল না সেই কালী মায়ের কৃপায় সাংসদ হারা হয়ে গেলেন তিনি। নদিয়ার নবদ্বীপে একটি নাম সংকীর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে এই ভাষাতেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন তিনি।

    শিশুর বেডে কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছেন, কটাক্ষ সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    নদিয়ার নবদ্বীপে সারা ভারত কীর্তন ও বাউল গীতি সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁকে করতাল হাতে নিয়ে কীর্তন করতেও দেখা যায়। এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন ধর্মকে যদি আমরা রক্ষা না করতে পারি তাহলে ধর্ম আমাদের রক্ষা করবে না। তার জলজ্যান্ত উদাহরণ কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। মুর্শিদাবাদে শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের স্বাস্থ্য ভালো নেই। যেখানে শিশুর চিকিৎসা হওয়ার কথা, সেই বেডে কালীঘাটের কাকু শুয়ে রয়েছে।

    কৃষক মৃত্যু নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, রাজ্যে সারের কালোবাজারি চলছে। সরকারের কোনও হেলদোল নেই। গোঘাট থানার ওসি কৃষকদের সঙ্গে যা আচরণ করেছে তাতে বোঝাই যাচ্ছে এই সরকার কৃষকদের কথা ভাবে না। তাই, কৃষকরা এই পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

    মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়ের বিয়ে নিয়েও সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, সরকার যে বিয়ে তা এই প্রথম দেখলাম। এবার তো সরকার প্রজাপতি অফিস খুলবে। পাত্র-পাত্রী কে বাছাইয়ের কাজ করবে। রাজ্যে কৃষকের মৃত্যু হচ্ছে, হাসপাতালে শিশুর মৃত্যু হচ্ছে আর মুখ্যমন্ত্রী বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।

    চাকরি প্রার্থীদের নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ১০০১দিনে পড়ল। ১০০০দিনে এক চাকরি প্রার্থী মস্তক মুন্ডন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন নিয়ে এই সরকারের কোনও হেলদোল নেই। তাই, এই সরকার যতদিন থাকবে ওই চাকরি প্রার্থীরা চাকরি পাবেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gita: নজরুলের গান দিয়ে শুরু হবে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’, কী বলছেন স্বামী প্রদীপ্তানন্দ?

    Gita: নজরুলের গান দিয়ে শুরু হবে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’, কী বলছেন স্বামী প্রদীপ্তানন্দ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ (Gita) কর্মসূচি রয়েছে। হাজির থাকার কথা খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। অনুষ্ঠান শুরু হবে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা, ‘‘হে পার্থসারথি! বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য শঙ্খ, চিত্তের অবসাদ দূর কর কর দূর….’’ গানের মাধ্যমে। হঠাৎ এধরনের নজরুল গীতি দিয়ে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’-এর আয়োজন কি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতেই? এমন প্রশ্ন শুনে আয়োজক কমিটির সভাপতি স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ ‘মাধ্যম’-কে বলেন, ‘‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ কর্মসূচি কখনও নির্দিষ্ট ধর্ম বা বর্ণের মধ্যে বেঁধে দেওয়া হয়নি। নেই কোনও রাজনৈতিক বাছবিচারও। ‘গীতা’ জীবন বোধ, তা যেমন মানুষের কী খাওয়া উচিত সেটাও বলে, তেমনি সুশৃঙ্খল জীবন গঠনের উপায়ও শেখায়। নজরুল ইসলামের এই গান আমাদের কাছে বর্তমানে সময়োপযোগী বলে মনে হয়েছে, তাই রাখা। এই গানের প্রতিটি কথা গীতাকে সরল ও সুন্দরভাবে ব্যাখা করেছে।’’

    পশ্চিমবঙ্গে হিংসার আবহে, শান্তির বার্তা দেবে গীতা (Gita)

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই আয়োজকরা দাবি করেন, অসংখ্য মুসলিম ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষও ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ (Gita) কর্মসূচিতে নাম নথিভুক্ত করেছেন। ‘‘বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের হিংসা, হানাহানির মাঝে শান্তির বার্তা দিতেই আয়োজন করা হয়েছে এমন অনুষ্ঠান, তবে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ কর্মসূচিতে রাজনৈতিকভাবে সিলমোহর বসানোর চেষ্টা করছেন এক শ্রেণির রাজনীতিবিদ, যা মোটেও কাম্য নয় ’’, মাধ্যমের প্রতিনিধিকে ফোনে একথাও এদিন বলেন স্বামী প্রদীপ্তানন্দ ওরফে কার্তিক মহারাজ।

    জায়গায় জায়গায় গীতা পাঠের পোস্টার ছেঁড়া হচ্ছে

    ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের এই সন্ন্যাসী এদিন কার্যত অভিযোগের সুরেই বলেন, ‘‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীও আমন্ত্রিত থাকবেন গীতা পাঠের (Gita) কর্মসূচিতে, কোনও রাজনীতি নেই তবু শাসক দলের নেতারা জায়গায় জায়গায় ফরমান জারি করছে ২৪ ডিসেম্বর কোনও বাস যেন কলকাতায় না যায়! এ কেমন কথা? মানুষ গীতা পাঠ করতে যাবে না? অনেক জায়গাতে গীতার পোস্টার ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগও আসছে আমাদের কাছে।’’ দিনকয়েক আগেই ২৪ ডিসেম্বর প্রাথমিকে টেট পরীক্ষা ঘোষণা করেছে রাজ্যসরকার। এনিয়ে কার্তিক মহারাজ বলেন, ‘‘আমরা তো গতবছর মায়াপুরেই ঘোষণা করেছিলাম, ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে হবে এমন এমন কর্মসূচি। গত কয়েকমাস ধরে সংবাদমাধ্যমেও একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে এটা নিয়ে। প্রশাসনের সর্বোচ্চ  আধিকারিকরাও জানেন। তারপরেও কেন ওই দিনে টেট পরীক্ষার দিন দেওয়া হল বোঝা যাচ্ছে না।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share