Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Paschim Medinipur: ফের আত্মঘাতী হলেন এক কৃষক, পর পর তিনজন কৃষকের মৃত্যুতে সরকারি ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Paschim Medinipur: ফের আত্মঘাতী হলেন এক কৃষক, পর পর তিনজন কৃষকের মৃত্যুতে সরকারি ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমান, হুগলির পর এবার পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur)। ফের আলু চাষির আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা ঘটল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চাষির নাম বাপী ঘোষ। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়। এই নিয়ে রাজ্যে তিনজন চাষির মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। ঋণের বোঝা সামলাতে না পেরে ওই চাষি আত্মঘাতী হয়েছেন, উঠছে প্রশ্ন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?(Paschim Medinipur)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋণ নিয়ে প্রায় চার বিঘা পোখরাজ ও অন্যান্য আলু চাষ করেছিলেন চন্দ্রকোণা লাহিরগঞ্জ এলাকার বাপি ঘোষ নামে এক কৃষক। তবে অকাল বৃষ্টিতে আলুর জমি ডুবে যায়। প্রচুর টাকা ঋণ নিয়ে চাষ করার পর ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই কৃষক। শুক্রবার গভীর রাতে বিষ খান ওই চাষি। এরপর দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শনিবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।

    ঘাটালের মহকুমা শাসকের কী বক্তব্য?

    ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হবে। বিডিও সাহেব তাঁর বাড়িতে যাচ্ছেন। প্রশাসন সার্বিক ভাবে মৃতের পরিবারের পাশে থাকবে।

    পর পর তিনজন চাষির মৃত্যুতে রাজ্য সরকারের ভূমিরা নিয়ে  উঠছে প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী দুই ব্লকের নিমদহ পঞ্চায়েতের ছাতনি উত্তরপাড়া এলাকায় নিমাই ঘোষ নামে এক আলু চাষির মৃত্যুর আত্মহত্যা করেন। পরিবারের সদস্যরা জানান,বাড়ির পাশেই আম গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এই ঘটনার পর পরই বর্ধমান জেলায় খানাকুলে আরেক কৃষকের আত্মহত্যার খবর পাওয়া যায়। মৃত কৃষকের নাম তরুণ পালুই (৩৭)। ওই ব্যক্তি খানাকুলের ঘোষপুর অঞ্চলের পিলখাঁ এলাকার বাসিন্দা। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলায় আরও এক চাষির আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। একের পর এক চাষির মৃত্যুতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণের কোনও উদ্যোগ চোখো পড়ছে না। ফলে, রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: দুবাইয়ে আটকে ১৩ শ্রমিক, বাড়ি ফেরাতে সুকান্তর দ্বারস্থ পরিবারের লোকজন

    Sukanta Majumdar: দুবাইয়ে আটকে ১৩ শ্রমিক, বাড়ি ফেরাতে সুকান্তর দ্বারস্থ পরিবারের লোকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর সহ বিভিন্ন এলাকার ১৩ জন শ্রমিককে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে দুবাইয়ের এক সংস্থার বিরুদ্ধে। রবিবার ওই শ্রমিকরা এক ভিডিও বার্তার মধ্য দিয়ে তাদের পরিবারের কাছে দেশে ফেরানোর আর্জি জানান। আর ওই বার্তা পাওয়ার পরেই ওই পরিবারদের পক্ষ থেকে  বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাড়ি গিয়ে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানানো হয়। সুকান্ত বাবুও এ বিষয়ে বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে  জানিয়েছেন।

    দুবাইয়ে কেন আটকে রাখা হয়েছে শ্রমিকদের?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেশ কয়েকজন শ্রমিক সম্প্রতি দুবাইয়ে কাজের খোঁজে যায়। তাদের জেলারই এক এজেন্ট এর মাধ্যমে ওই কাজে নিয়ে যাওয়া হয়। গত মাস থেকেই  শ্রমিকরা যেতে শুরু করেছিলেন। সম্প্রতি, গত ৫ তারিখেও বিমানে চেপে জেলার আরও কয়েকজন শ্রমিক শারজাতে কাজে পৌঁছায়। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, প্রচুর বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কম্পিউটারের কাজ করতে নিয়ে গিয়ে, নির্মাণ শ্রমিকের কাজে লাগানো হচ্ছে। ওই শ্রমিকদের কম্পিউটারে কাজের বদলে তাদের নির্মাণ শ্রমিকের কাজে লাগানো হয়। প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা করে কাজ করানো হচ্ছে। কাজের দু একদিন কাজ করতে এই শ্রমিকরা বিদ্রোহ করে বসে। এরপরে তাদের শারজা থেকে আবুধাবির একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। জেলার মোট ১৩ জন শ্রমিকের ওই ঘরের মধ্যে আটকে রাখার শুধু নয় তাদের খাওয়া-দাওয়া বা অন্যান্য খরচও দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি ওই শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে আসতে চাইলে তাদের কাছে ক্ষতিপুরন হিসেবে মাথা পিছু এক লক্ষ টাকা চাইছে আরবের এক নির্মান সংস্থা। এমন অবস্থায় প্রবল অসহায় পড়া ওই শ্রমিকরা এবারে ভিডিও বার্তার মধ্য দিয়ে তাদের পরিবারের কাছে তাদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করার আর্জি জানায়।

    ভিডিও বার্তায় শ্রমিকরা কী আর্জি জানিয়েছেন?

    ভিডিও বার্তায় শ্রমিকরা বলেন,  একটি ছোট্ট ঘরের মধ্যে ১৩ জন শ্রমিককে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে আমাদের খাবার, ওষুধ বা অন্যান্য খরচ দিতে অস্বীকার করছে আরবের ওই সংস্থা। দুদিন ধরে ওই ঘরে আটকে রাখার পর থেকে আরব বা দক্ষিণ দিনাজপুরে কোনও এজেন্টই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে করছে না। খুব অসহায় ভাবে দিন কাটছে আমাদের। দ্রুত দেশে না ফেরানো হলে আমাদের মৃত্যু ছাড়া কোনও উপায় নেই।

    শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা কী বললেন?

    শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করে ওই শ্রমিকদের দেশে ফেরানোর আর্জি জানান। সাগরিকা কর্মকার নামে এক শ্রমিক পরিবারের সদস্য বলেন, আমার ভাই ও  ভাগ্নে গিয়েছে দুবাইয়ে। ওরা গত পাঁচ তারিখেই প্লেনে করে রওনা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র দুদিন সেখানে কাজ করার পরই,  তাদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে ওরা  দেশে ফিরে আসতে চাইছে। কিন্তু তাদের আটকে রাখা হয়েছে। ওনাদের সকলকে দ্রুত দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিতে কাছে আমরা সাংসদের (Sukanta Majumdar) কাছে আবেদন জানিয়েছি।

    শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর আশ্বাস সুকান্তর (Sukanta Majumdar)  

    সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, শ্রমিক পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। এই  বিষয়টি নিয়ে আমি বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে, ওই শ্রমিকদের সকলকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মমতার পুলিশ কাপুরুষ,’ মারিশদার পর গোঘাট থানায় দাঁড়িয়ে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মমতার পুলিশ কাপুরুষ,’ মারিশদার পর গোঘাট থানায় দাঁড়িয়ে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানায় হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পুলিশকে থানায় ঢুকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। মারিশদার পর এবার হুগলির গোঘাট থানা। থানার ভিতরে ঢুকে রনং দেহি মূর্তি ধারণ করলেন বিরোধী দলনেতা।

    কেন গোঘাট থানায় বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ধান্য ক্রয় কেন্দ্রে ধান কেনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোঘাটের ভিকদাস ধান্য ক্রয় কেন্দ্রের সামনে। কৃষকরা অভিযোগ তোলে, প্রয়োজনের তুলনায় ধান্য ক্রয় কেন্দ্রে ধান বেশি বাদ দেওয়া হচ্ছে। তার প্রতিবাদেই রাজ্য সড়ক অবরোধ করে কৃষকরা। সেই অবরোধ তুলতে গিয়ে সম্প্রতি কৃষকদের উদ্যেশে গালিগালাজের অভিযোগ হুগলির আরামবাগ মহকুমার গোঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের অরূপ মন্ডলে বিরুদ্ধে । সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই আগেই সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।  শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানার শ্রীনগরে দলীয় কর্মসূচিতে একটি জনসভা ছিল। সেই সভা শেষ করে সেখান থেকে সোজা আরামবাগের গোঘাট থানাতে এসে হাজির হন শুভেন্দু। কৃষকদের হয়ে প্রতিবাদ জানাতে । এদিন সন্ধ্যায় গোঘাট থানর গেটে বিরোধী দল নেতার কোন এসে পৌঁছাতেই বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকেরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। 

    থানায় গিয়ে কী করলেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) গোঘাট থানার  সামনে গাড়ি থেকে নামতেই দলীয় নেতা কর্মীরা গেটের সামনেই ফুলমালা দিয়ে সংবর্ধনা জানান। তারপর তিনি ওই এলাকার কয়েকজন কৃষক ও পুরশুড়ার বিধায়ক তথা আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ ও গোঘাটের বিধায়ক বিশ্বনাথ কারককে সঙ্গে নিয়ে থানার ভিতরে ঢোকেন। এরপর থানায় ডিউটি অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জিজ্ঞাসা করেন থানার ওসি অরূপ মণ্ডল কোথায়?  তার সঙ্গেই কথা বলবো। যদিও ডিউটি অফিসার জানান, তিনি বিশেষ কাজে বাইরে আছেন। তবে এই কথা শোনার পর শুভেন্দু অধিকারী পুলিশ কর্মীদের ধমক চমক  দিতে থাকেন।

    মমতার পুলিশ কাপুরুষ

    থানায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এই অকথ্য ভাষায় কৃষকদের গালিগালাজ কখনো মেনে নেওয়া যায় না। আমিও একজন কৃষক পরিবারের ছেলে, আর এই এলাকায় মানুষ কৃষির উপরে নির্ভরশীল, তাই একজন কৃষককে গালিগালাজ করবে মমতা পুলিশ এট মানা যায় না। সতর্ক করে গেলাম। এই ধরনের কোনওরকম ব্যবহার কোনও মানুষের সঙ্গে যেন আর দ্বিতীয়বার করা না হয়। আমি ভেবেছিলাম, তিনি হয়তো নিজে আমার মাধ্যমে কৃষকদের জন্য ভুল স্বীকার করবেন। কিন্তু আমার আসার কথা শুনেই তিনি পালিয়ে গেছেন।  বেশ খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পর তিনি বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, মমতার পুলিশ কাপুরুষ। আমি আসবো বলে ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমি আবার আসবো, রেহাই কাউকে দেওয়া হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Malda: পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বার বার এই অভিযোগ করা হয়। তাই, বিরোধীদের আক্রমণের নিশানায় থাকে পুলিশ। এবার শাসক দলের দুই নেতা পুলিশকে তীব্র আক্রমণ করলেন। এর আগে পুলিশকে মেরে তার হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন একসময়ের বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় তিনি এখন জেলে রয়েছেন। এবার পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অশালীন ইঙ্গিত করে প্রকাশ্য মঞ্চে বেলাগাম করলেন মালদার (Malda) হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি।

    পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দুই তৃণমূল নেতার (Malda)

    মালদার (Malda) হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর সদরের শহিদ মোড়ে আইএনটিটিইউসির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সভা চলছিল। সেই সভাতেই মঞ্চ থেকে অন্যান্য জেলা ও ব্লক নেতৃত্বদের সামনেই পুলিশকে বেলাগাম আক্রমণ করলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য স্বপন আলি এবং জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতা বিকাশবাবু বলেন, যে সব পুলিশ অফিসার মানুষের জন্য কাজ করছে না তাঁদের বিছুটি পাতা ঘষে দিতে হবে। পুলিশের একাংশ বিরোধীদের হয়ে দালালি করছে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় তৃণমূল কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করে স্বপন আলিও পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার নিদান দেন। আর এই দুই শাসক নেতার মন্তব্য নিয়েই শোরগোল শুরু হয়েছে এলাকায়। এতদিন বিরোধীরা একরাশ অভিযোগ করতেন পুলিশের বিরুদ্ধে। এবার শাসকেরই রোশের মুখে পুলিশ। পরবর্তীতেও এই দুই নেতা সংবাদমাধ্যমের সামনে তাদের বক্তব্য অনড় থেকেছেন। তবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তাঁদের বক্তব্যকে তাদের ব্যক্তিগত বক্তব্য বলে দায় এড়িয়ে গিয়েছেন।

    তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে, সরব বিজেপি

    তৃণমূলের এই বক্তব্য নিয়ে মালদার (Malda) বিজেপি নেতা কিষাণ কেডিয়ার কটাক্ষ, তৃণমূল এই সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত। আসলে রাজ্যজুড়ে ইডির হানা চলছে। হয়ত এরপর হরিশ্চন্দ্রপুরেও আসতে পারে। তাই, তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Winter Update: দার্জিলিঙে তুষারপাত! চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে বাড়বে শীতের আমেজ, জানাল হাওয়া অফিস

    Winter Update: দার্জিলিঙে তুষারপাত! চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে বাড়বে শীতের আমেজ, জানাল হাওয়া অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কনকনে ঠান্ডা আপাতত বেশ উপভোগ করছে বাঙালি। দুদিন আগে নিম্নচাপের বৃষ্টির পরে পারদ যেন আরও খানিকটা নেমে গিয়েছে। চলতি সপ্তাহে শীতের আমেজ (Winter Update) আরও বাড়বে, এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। শীতকাল মানে বাঙালির খাওয়া-দাওয়া, ঘুরে বেড়ানো। ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির গন্তব্যস্থল দার্জিলিঙ। শীতের মরসুমে প্রথম তুষারপাতও হয়েছে দার্জিলিঙে। সেখানেও ইতিমধ্যে বেশ বড় সংখ্যার পর্যটকদের ভিড় জমতে শুরু করেছে। হোটেলগুলিও ভিড়ে ঠাসা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে যে কলকাতার পারদ নেমে (Winter Update) গিয়েছে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে। আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে পারদ আরও নামতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আপাতত নতুন করে কোথাও কোনও রকম বৃষ্টির সম্ভাবনা পশ্চিমবঙ্গে নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    শীতের আমেজ বাড়বে কলকাতায়

    শনিবারই তিলোত্তমার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Winter Update) ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। রবি ও সোমবার পারদে পতনের আরও হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে হাওয়া অফিস এও জানিয়েছে, গতবারের মতো জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা বেশ কম। শীত মানেই কলকাতাতে চিড়িয়াখানা সমেত অন্যান্য জায়গাগুলিতে ঘুরতে আসেন প্রচুর মানুষ। এখন থেকেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেই ভিড়।

    দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গেও কমবে পারদ

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে বুধবারের মধ্যে শীতের আমেজ আরও বাড়বে অর্থাৎ কমবে তাপমাত্রা। এমনিতেই আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল, পুরুলিয়া, বীরভূমে এখনই অনুভূত হচ্ছে প্রবল ঠান্ডা। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলোতেও ঠান্ডা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। শীতের আমেজ (Winter Update) পড়তেই শুরু হয়েছে পিকনিকও। উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা নিচের দিকে নামছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এর মধ্যে দার্জিলিং জেলাতে বৃষ্টিপাতের কিছুটা সম্ভাবনা থাকলেও উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাতে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস দেয়নি হাওয়া অফিস। দার্জিলিঙের মতো ভিড় দেখা যাচ্ছে ডুয়ার্সেও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শিলিগুড়িতে শুভেন্দুর সভার ভবন অমিল, মিলল না পুলিশি অনুমতি

    Suvendu Adhikari: শিলিগুড়িতে শুভেন্দুর সভার ভবন অমিল, মিলল না পুলিশি অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। আগামী মঙ্গলবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। আর সেদিনই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শিলিগুড়িতে পালটা সভা করবেন। কিন্তু, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার জন্য ভবন দিতে চাইছে না কেউ। এমনটাই অভিযোগ শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের। পুলিশি অনুমতিও নেই। এদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সামনে – মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিন ধরনা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন শংকর ঘোষ। পুলিশ সেই কর্মসূচির অনুমতিও দেয়নি।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার অনুমতি পাওয়া নিয়ে কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১২ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভার আয়োজনের মূল দায়িত্ব শংকর ঘোষেরই। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, অন্তত ১০টি ভবনে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের মালিকেরা বলছেন, আপনাদের ভবন দিতে পারব না। নিষেধ রয়েছে। চোখ রাঙানো হচ্ছে। কেউ অন্য যুক্তি দিচ্ছেন। তৃণমূল রয়েছে এ সবের পিছনে।’ শংকর দাবি করেন, ‘বাড়ির মালিকেরা আমাদের বলছেন, তাঁদের সমস্যা বুঝতে চেষ্টা করার। কাউকে বিব্রত করতে চাই না। ‘ এদিন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক ধরনা কর্মসূচির অনুমতি না পাওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, ‘সভার নামে স্টেডিয়ামকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। যেখানে রাজ্য সরকার ও পুরনিগমের তরফে অনেকদিন ধরেই বহুবার বলা হয়েছে স্টেডিয়ামের মাঠে কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না, সেই মাঠেই মুখ্যমন্ত্রীর সভা কী করে হয়, মেনে নেওয়া যায় না।’ শুধুমাত্র ১৪৪ ধারা বিরোধী দল বা সাধারণ মানুষদের জন্য, শাসকদলের জন্য কেন হয় না, তারও প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক। করছে

    এর আগেও শুভেন্দুর একাধিক সভায় পুলিশ অনুমতি দেয়নি

    প্রসঙ্গত, বিজেপির সভার অনুমতি নিয়ে সবসময় সমস্যা তৈরি  করছে প্রশাসন। সম্প্রতি ধর্মতলায় একুশের সভাস্থলে অমিত শাহের জন সভার জন্য প্রথমে বিজেপি পুলিশি অনুমতি পায়নি। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বিজেপি সভা করার অনুমতি পায়। এর ক’দিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের তাঁর খেজুরিতে স্থানীয় প্রশাসন দিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার অনুমতি না দেওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে অনুমতি পায় বিজেপি। বাঁকুড়ার কোতুলপুরেও দু’দফায় বাধা পাওয়ার পরে আদালতের অনুমতি নিয়েই মিছিল ও পথসভা করেন শুভেন্দু। শেষ পর্যন্ত শিলিগুড়িতে কী হয় হয়, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSKM: সুজয়কৃষ্ণকে ভর্তি করাতে আইসিইউ থেকে নামানো হল অসুস্থ সন্ধ্যাকে, ১৮ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে মৃত্যু আখলিমার

    SSKM: সুজয়কৃষ্ণকে ভর্তি করাতে আইসিইউ থেকে নামানো হল অসুস্থ সন্ধ্যাকে, ১৮ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে মৃত্যু আখলিমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অগাস্ট মাস থেকেই এসএসকেএম-এ ভর্তি হয়ে আছেন কালীঘাটের কাকু। বাইপাস সার্জারির পরে তিনি ভর্তি হন এখানে। বর্তমানে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের অসুখ হিসেবে জানা গিয়েছে, মানসিক স্ট্রেস। বিরোধীরা বলছে, সিবিআই-ইডির হাত থেকে বাঁচতেই এসএসকেএম-কে (SSKM) ব্যবহার করে থাকেন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। তিন মাস যাবৎ বেড দখল করেছেন সুজয়কৃষ্ণ। অথচ ১৮ ঘণ্টা ধরে বেড না পাওয়ার কারণে মৃত্যু হল আখলিমা বেগমের। আবার কোলাঘাটের অসুস্থ সন্ধ্যা পোড়েলকে মাঝরাতে আইসিইউ থেকে স্থানান্তর করা হল জেনারেল বেডে। কারণ কাকু ভর্তি হবেন।

    সুজয়কৃষ্ণরা চাইলেই বেড পায়, ১৮ ঘণ্টা বেড না পেয়ে মৃত্যু আখলিমা বেগমের

    জানা গিয়েছে, ৭০ বছর বয়সী আখলিমা বেগমকে হাওড়ার জগৎবল্লভপুর থেকে শনিবারে নিয়ই আসা হয়েছিল এসএসকেএম-এ (SSKM)। বুকে ব্যথা হওয়ায় বৃদ্ধার পরিবার চেয়েছিল যে কার্ডিয়লজি বিভাগে চিকিৎসা হোক তাঁর। কিন্তু খোলা আকাশের নিচেই তাঁকে কাটাতে হল ১৮ ঘণ্টা। শনিবার দুপুরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। যে কার্ডিওলজি বিভাগের (SSKM) বেড পেলেন না আখলিমা সেখানেই হার্টের কোনও অসুখ না থাকা সত্ত্বেও ভর্তি করা হয়েছিল রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এবং সেই কার্ডিওলজি বিভাগেই বর্তমানে ভর্তি হয়ে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। আখলিমা বেগমের পরিবার শুধুমাত্র একটি বেডের জন্য ছোটাছুটি করতে থাকেন। কখনও এসএসকেএম-এর জরুরি বিভাগে কারও সঙ্গে কথা বলেন। কখনও কার্ডিওলজি বিভাগে গিয়ে কথা বলেন। তাঁদেরকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে। কোনওরকম রেফার গাইডলাইন না মেনে এসএসকেএম এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে অভিযোগ। ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ থেকে আবার তাঁদেরকে ফিরতে হয় এসএসকেএম-এ। অবশেষে খোলা আকাশের নিচে হাসপাতাল চত্বরেই আখলিমা বেগমের জীবন শেষ হয়ে যায়।

    মাঝরাতে সরানো হল সন্ধ্যা পোড়েলকে, বেডে এলেন কাকু

    অন্যদিকে শুক্রবারই কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করানোর কথা বলেছিল ইডি, ঠিক তার আগের দিন বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বুকে ব্যাথা শুরু হয় কাকুর। এই সময় কার্ডিওলজি বিভাগে (SSKM) ভর্তি ছিলেন কোলাঘাটের বাসিন্দা সন্ধ্যা পোড়েল। আইসিইউ-এর ১৮ নম্বর বেডে ছিলেন সন্ধ্যা দেবী। বুধবারই তাঁর বুকে অস্ত্রোপচার হয়। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ঘোরে আচ্ছন্ন ছিলেন সন্ধ্যা দেবী, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর ছেলে। কিন্তু কাকু আসছেন বলে বৃহস্পতিবার মাঝরাতেই তাঁকে জেনারেল বেডে স্থানান্তর করে দেয় এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় উঠছে প্রশ্ন। ইডির তদন্তের হাত থেকে বাঁচতে একজন আইসিউতে ভর্তি হবেন! সে কারণে সরানো হবে অসুস্থ রোগীকে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে হাতে-পায়ে ধরবেন বাঁচার জন্য!” মমতাকে কটাক্ষ লকেটের

    BJP: “উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে হাতে-পায়ে ধরবেন বাঁচার জন্য!” মমতাকে কটাক্ষ লকেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সময় চাওয়ার কথা শুনিয়েছেন। এবার এ নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপির (BJP) সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলে বর্ধমানের দলীয় কার্যালয়ে বৈঠকে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নাটক করছেন। সব সময় উনাকে প্রধানমন্ত্রী সময় দেবেন কেন? উনি দিল্লি গিয়ে নাটক করেন। কয়েকদিন আগে তাঁর দলবল নাটক করতে দিল্লি গিয়েছিল। আসলে উনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে হাতে-পায়ে ধরবেন সিবিআই, ইডির হাত থেকে বাঁচার জন্য। দিল্লি সফরের আগে বরাদ্দ বঞ্চনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপেক্ষিতেও সরব হন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, প্রকল্পের নাম বদল করা হচ্ছে। প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করা হচ্ছে। মিড ডে মিলে বড় ঘাবলা হয়েছে। চালে পোকা, কাঁকড় পাওয়া যাচ্ছে। এসব এড়িয়ে বঞ্চনার নাটক করা হচ্ছে।

    ধর্নামঞ্চে কুণাল (BJP)

    গান্ধীমূর্তির সামনে SLST-র  ধর্নামঞ্চে কুণাল ঘোষের উপস্থিতি নিয়ে বিজেপি (BJP) সাংসদ বলেন, এখন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে যাচ্ছেন। ১২ বছর ধরে চলছে। এক হাজার দিন ধরে চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করছে। এখন মনে পড়েছে! সামনে ভোট আছে, তাই ধর্না মঞ্চে গেছেন। ভোট পার হলে সব ভুলে যাবে। আবার ২৬ সালে মনে পড়বে। ২৪ নির্বাচনে এর জবাব পাবে সরকার। মহিলা মুখ্যমন্ত্রী অথচ মহিলারা ধর্নায় বসে আছেন। মুখ্যমন্ত্রী কী করছেন? এটা অন্যায় নয়?

    মহুয়া মৈত্রের আইনি পরামর্শ (BJP)

    অন্যদিকে মহুয়া মৈত্রের আইনি পরামর্শ নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের মন্তব্য নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় (BJP) বলেন, অনেকেই আইনি পরামর্শ নিয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডল থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, কালীঘাটের কাকু। এঁরা সবাই আইনি পরামর্শ নিয়েছেন। হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে যাবে। বড় বড় কংগ্রেসের আইনজীবীরা মোটা টাকার বিনিময়ে মামলা লড়বে। বাংলা থেকে দেশের সুরক্ষার জন্য যে সাংসদকে পাঠানো হয়েছে দিল্লিতে, সেখানে তিনি গোপন পাসওয়ার্ড অন্য জনকে শেয়ার করেছেন। এটা দেশের সুরক্ষা ব্যাপার। মহুয়া মৈত্র দেশদ্রোহী। আইন আইনের পথে চলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri News: খেলা বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রীর সভা! কর্মসূচির দিন মাঠের অদূরে ধর্নায় বসছেন বিজেপি বিধায়ক

    Siliguri News: খেলা বন্ধ করে মুখ্যমন্ত্রীর সভা! কর্মসূচির দিন মাঠের অদূরে ধর্নায় বসছেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হচ্ছে উত্তরবঙ্গের মাঠ! এই অভিযোগে ফের একবার সরব হলেন শিলিগুড়ির (Siliguri News) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এর প্রতিবাদে মাঠের অদূরে ধর্নায় বসার কর্মসূচিও ঘোষণা করলেন বিধায়ক। বর্তমানে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ির (Siliguri News) কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে প্রশাসন। আসলে নামেই প্রশাসনিক সভা, আদতে তা তৃণমূলের দলীয় সভাই হয়ে ওঠে শেষ পর্যন্ত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মসূচির জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে শিলিগুড়ির ‘সুপার ডিভিশন লিগ’ও। মাঠ তো খেলার জন্য। যে কোনও সরকারি বা রাজনৈতিক অনুষ্ঠানের কারণে সেই খেলা বন্ধ হওয়া মোটেও বাঞ্ছনীয় নয়, এমনটাই মত রয়েছে শিলিগুড়ির নাগরিক মহলের একাংশের।

    কী বলছেন শঙ্কর ঘোষ?

    শুক্রবার শিলিগুড়ির (Siliguri News) কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন শঙ্করবাবু। এই সময়েই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘মাঠে তো ঢুকতেই পারলাম না। দুর্গ তৈরি করে তার ভিতর সাজসজ্জা চলছে। মাঠের অন্তর্জলি যাত্রা হচ্ছে, সেটাই দেখলাম। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে আগামী ১১ তারিখ বিকেল ৪টে থেকে ১২ তারিখ সকাল পর্যন্ত খেলোয়াড় এবং ক্রীড়াপ্রেমীদের নিয়ে ধর্নায় বসব।’’ উত্তরবঙ্গের এই বিজেপি বিধায়কের আরও অভিযোগ, ‘‘খেলার জন্য স্টেডিয়াম। সেটা বন্ধ করে রাজনৈতিক কর্মসূচির সিদ্ধান্ত গা-জোয়ারি সিদ্ধান্ত। এটা হল, আমি যা ইচ্ছা তা করব ব্যাপার।’’

    দীর্ঘ এক দশক ধরে উত্তরবঙ্গের খেলাধুলোর পরিকাঠামো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে

    বিধায়কের আরও সংযোজন, ‘‘এই স্টেডিয়ামে (Siliguri News) সর্বশেষ যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছিল, সেটা স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী অরিজিৎ সিংহের। ব্যক্তিগত ভাবে সে দিন প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। ব্যক্তিগত ভাবে অরিজিৎ সিংহের ফ্যান হওয়ার সত্ত্বেও এবং আয়োজকদের আমন্ত্রণ পেয়েও প্রতিবাদ জানিয়ে ওই সভায় যাইনি। এখন আবার মুখ্যমন্ত্রী আসছেন বলে শিলিগুড়ির সুপার ডিভিশন লিগের টুর্নামেন্ট বন্ধ করা হল!’’ শঙ্করবাবুর মতে, দীর্ঘ এক দশক ধরে উত্তরবঙ্গের খেলাধুলোর পরিকাঠামো ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামকে শ্মশান করার চেষ্টা চলছে। আমি জনপ্রতিনিধি হিসাবে প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর সভার সময় ধর্নায় বসব।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: “আপনার দল কি সংবর্ধনা দেবে, নাকি বঙ্গরত্ন দেবে?” ধীরজ সাহু ইস্যুতে মমতাকে প্রশ্নবাণ সুকান্তর

    BJP: “আপনার দল কি সংবর্ধনা দেবে, নাকি বঙ্গরত্ন দেবে?” ধীরজ সাহু ইস্যুতে মমতাকে প্রশ্নবাণ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পর এবার কংগ্রেসের ধীরজপ্রসাদ সাহু। ঝাড়খণ্ডের এই সাংসদের ডিস্টিলারি সংস্থায় হানা দিয়ে আয়কর দফতর এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করেছে নগদ ২৫০ কোটি টাকা। এই ইস্যুতে এবার শুধু কংগ্রেস নয়, নতুন ‘ইন্ডি’ জোটকেই নিশানা করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার বালুরঘাটে সাংবাদিক সম্মেলন করে নয়া ওই জোটের মুখ বলে প্রচারিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিয়েছেন তিনি।

    কী বললেন সুকান্ত? (BJP)

    তিনি বলেন, “কংগ্রেস বলতে মনে রাখবেন কংগ্রেস কিন্তু একা নয়। মোদি বিরোধী যে একটি গ্রুপ তৈরি হয়েছে, যারা নিজেদেরকে I.N.D.I.A বলছে, তাদের লিডার হচ্ছে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন নেতানেত্রী। এরা বাংলায় বিজেপির (BJP) বিরোধিতা করে বড় বড় কথা বলে, দেশ নাকি আম্বানি-আদানিদের বিক্রি করে দিয়েছে। আর ৬ই ডিসেম্বর থেকে যে কংগ্রেস সাংসদের বাড়িতে আইটি রেড চলছে, তাতে আমরা দেখতে পাচ্ছি, তাঁর বাড়ি থেকে ২০০ কোটি টাকার বেশি ক্যাশ উদ্ধার হয়েছে। আলমারির থাকে থাকে সাজানো টাকা। ৬ই ডিসেম্বর ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডে রেড চলেছে। বিভিন্ন লোকেশনে তাঁর সম্পত্তি রাখা ছিল। ৪০ জনের আইটি অফিসারের টিম রেড করে এবং এই কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়। এর আগে এই রকম রেড করে এত টাকা উদ্ধার খুব কম উদ্ধার হয়েছে। ২০০ কোটি টাকা পার হয়ে গেছে এখনও পর্যন্ত। আরও টাকা উদ্ধার হবে। তাহলে কি এই বিষয়টাকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই রাহুল গান্ধী-সোনিয়া গান্ধী মহুয়া মৈত্র মহুয়া মৈত্র করছেন?”

    নিশানায় মমতা

    সুকান্ত মজুমদার (BJP) বলেন, “এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বঙ্গারু লক্ষ্মণের বিরুদ্ধে এক লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে এনডিএ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আজ তাঁর জোটের কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে ২০০ কোটি টাকারও বেশি টাকা উদ্ধার হয়েছে। তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রী ২০০ কোটি টাকাকে এক লক্ষ টাকার থেকে কম মনে করছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার সার্টিফিকেট দেবেন পার্থ চ্যাটার্জির মতো, উনি চুরি করেননি, সৎ মানুষ, ওনাকে ফাঁসানো হয়েছে। আজকে তাই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বাংলা থেকে প্রশ্ন করতে চাই, আপনি এক সময় বঙ্গারু লক্ষণের বিরুদ্ধে এক লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগে (যদিও সেটা প্রমাণও হয়নি) NDA ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। আজকে এই ২০০ কোটি টাকার বেশি উদ্ধার হওয়া ধীরাজ সাহু সম্পর্কে আপনার মত কী? আপনার দল কি পাশে দাঁড়াবে, নাকি সংবর্ধনা দেবে, নাকি বঙ্গরত্ন দেবে? এই প্রশ্নের জবাব আপনারা দেবেন। এই প্রশ্ন জনগণের সামনে বিরাট প্রশ্ন হয়ে রয়েছে। রাজনীতি মানেই কি টাকা নিজের ঘরে নিয়ে যাওয়া? পরিবার-পরিজন-আত্মীয়-স্বজনকে দিনকে দিন বড়লোক করা? এই যদি রাজনীতি হয়, তবে কংগ্রেস সহ তার বিভিন্ন সহযোগী রাজনৈতিক দলকে গোটা দেশের মানুষ যেভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে, আগামী দিনে বাংলার জনগণও তৃণমূলের চোর সরকারকে প্রত্যাখ্যান করবে।”

    চাকরিপ্রার্থীদের ধরনার ১০০০ তম দিন

    এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (BJP) জানান, এসএলএসটি’র এই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা যোগ্য। এঁদের চাকরি পাওয়া উচিত ছিল। দুর্ভাগ্যবশত তাঁরা চাকরি পাননি। এঁরা চাকরি পাবেনও না, কারণ এই সরকারের শিক্ষামন্ত্রী নিজেই জানেন না ভ্যাকান্সি কত রয়েছে। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে কখনও বলছেন লক্ষাধিক, কখনও বলছেন ৭০০। যখন কোনও শিক্ষামন্ত্রী তাঁর মত ও অবস্থান বারবার কিছুদিন পরপর পরিবর্তন করেন, আমার মনে হয়, তাঁদের কোনও সমস্যার সমাধান হবে না। এসএসসির কথা মানুষকে ভুলে যেতে হবে। ৫০০ টাকা ও হাজার টাকার উপঢৌকন নিয়ে চুপ করে বসে থাকতে হবে।

    টেনে জিভ ছিঁড়ে নেওয়ার ফরমান

    তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি বিজেপির নেতানেত্রী, সহকর্মীদের টেনে জিভ ছিঁড়ে নেওয়ার ফরমান দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (BJP) জানান, তৃণমূল কংগ্রেস মানে ভাগাড়।তারা মুখ খুললে গন্ধ তো বেরোবে, এটাই স্বাভাবিক। এখানে তো চন্দনের গন্ধ আশা করা যায় না। জেলা সভাপতিকে নির্দেশ দিয়েছি, উনার বিরুদ্ধে এফআইআর করবার জন্য। কত মানুষকে স্তব্ধ করতে পারবেন, সেটাই দেখতে চাই। রহিম বক্সী সাহেবের দম দেখতে চাই, তিনি কত বিজেপি কর্মীদের লাঠিপেটা করতে পারেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share