Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Abhijit Ganguly: গ্রামে জল নেই! আসন ছেড়ে মামলাকারীদের কথা শুনলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    Abhijit Ganguly: গ্রামে জল নেই! আসন ছেড়ে মামলাকারীদের কথা শুনলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানীয় জলের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন গ্রামবাসীরা। আর গ্রামবাসীদের সেই মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের এজলাসে। আর বিচারের দায়িত্ব পড়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) ওপর। স্বাভাবিকভাবে তাঁর উপর আস্থা ছিল মামলাকারীদের। কিন্তু, বিচারপতির ব্যবহারেই আপ্লুত মামলাকারীরা।

    বিচারপতি আসন ছেড়়ে মামলাকারীদের সঙ্গে কথা বললেন (Abhijeet Ganguly)

    আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সাল থেকে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নকশালবাড়ি ব্লকের হাতিঘিষা গ্রাম পঞ্চায়েতের সেবদুল্লা গ্রামে পানীয় জলের অভাবের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, বহু আবেদন এবং নিবেদনের পরেও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয় জলকষ্টে থাকা কিছু পরিবার। মামলাকরীদের অধিকাংশই আদিবাসী চা-শ্রমিক পরিবারের। সোমবার ওই মামলার শুনানি হয় কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguly) এজলাসে। সমস্যা বুঝতে অভিযোগকারীদের এজলাসে ডেকে পাঠান বিচারপতি। কিন্তু, শুনানির শুরুতেই গ্রামবাসীদের বক্তব্য ভালো করে শুনতে পাচ্ছিলেন না তিনি। তাই বিচারপতির আসন ছেড়ে নিচে নেমে আসেন তিনি। গ্রামবাসীদের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন। শুনানির দিন কলে জল পড়ে। অন্য সময় আর জলে বের হয় না। অভিযোগ শুনলেন বিচারপতি। একজন বিচারপতির এমন ব্যবহারে মামলাকারীরা আপ্লুত। মামলাকারীদের কাছে সব শোনার পর শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক দফতর, প্রকল্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার-সহ আরও কয়েক জনকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারক।

    মামলাকারীদের কী বক্তব্য?

    মামলাকারীদের বক্তব্য, আদালতে মামলা করার পর অদ্ভুত ভাবে লক্ষ্য করা যায়, ওই মামলার যখনই শুনানির দিন আসে, তখনই কল দিয়ে জল পড়তে শুরু করে। যেই শুনানি হয়ে যায় আবার জল বন্ধ হয়ে যায়। দীপু হালদার নামে এক মামলাকারী বলেন, আমাদের গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে জলকষ্ট। আমরা পিএইচই দফতরে আবেদন করলে আমাদের গ্রামে কল লাগিয়ে দেওয়া হয়। জল সমস্যা মিটে যায়। বাড়ি বাড়ি জলের সংযোগ দিয়ে জল পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু হয়। আমার বাড়িতেও সংযোগ দেওয়া হয়। তার পর আমার বাড়ির কল দিয়ে জল পড়ছে দেখিয়ে দিয়ে আমার থেকে আধার কার্ডের ফটোকপি নিয়ে নেওয়া হয়। তারপর থেকে আর জল পাচ্ছিলাম না। বিষয়টি বিভিন্ন মহলে দরবার করে সুরাহা না হওয়ায় আমরা আদালতের দ্বারস্থ হই।

    সরকারি আইনজীবী কী বললেন?

    সরকারি আইনজীবী হীরক বর্মণ বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের কাজ এখনও চলছে। মাঝেমধ্যে হাতির হানা কিংবা ভারী যানবাহন চলাচলের জন্য পাইপ ফেটে জল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিচারপতি (Abhijit Ganguly) মামলাকারীদের ডেকেছিলেন। অভিযোগকারীদের মধ্যে পাঁচ জন জানিয়েছেন যে তাঁরা জল পাচ্ছেন। ফলে, মামলাকারীরা জল না পাওয়ার যে অভিযোগ করছে তা ঠিক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ফের কুমিরছানা! জঙ্গলে ভরা বিমানবন্দর পরিদর্শনে তৃণমূল সরকারের রাজনীতিরই গন্ধ

    Dakshin Dinajpur: ফের কুমিরছানা! জঙ্গলে ভরা বিমানবন্দর পরিদর্শনে তৃণমূল সরকারের রাজনীতিরই গন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে লোকসভা নির্বাচন। ভোট রাজনীতিকে সামনে রেখে ফের বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) থেকে বিমান চালুর উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। যদিও ভোট পেরোলে আবার সেই উদ্যোগ ধামাচাপা পড়ে যায়। বুধবার তিনজনের একটি দল বালুরঘাট বিমানবন্দরের পরিকাঠামো সরেজমিনে খতিয়ে দেখে। যদিও খবর, বালুরঘাট বিমানবন্দরের পরিকাঠামোগত বহু ঘাটতি রয়েছে। উড়ান চালাতে গেলে আরও একাধিক পরিকাঠামো প্রয়োজন। সেই জায়গা থেকে বালুরঘাট বিমানবন্দর থেকে উড়ান আদৌ চলবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েই গেল। তবে, জেলা প্রশাসনের তরফে দাবি করা হচ্ছে, বিমান চলার সম্ভাবনা প্রবল। 

    ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ণ

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মাহিনগরে রয়েছে বালুরঘাট বিমানবন্দর (Dakshin Dinajpur)। প্রায় ১৫২ একর জমির মধ্যে রয়েছে ১৩৮০ মিটার রানওয়ে। বড়মাপের বিমান না চললেও ছোট বিমান চলতে পারবে। তবে বৃহৎ এলাকার বিস্তীর্ণ জমি, এয়ার স্ট্রিপ, প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ, এয়ার ট্রাফিক সহ বিমান পরিষেবার সমস্ত সুবিধাযুক্ত বালুরঘাট বিমানবন্দরটি দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। প্রায় ৩৫ বছরের উপরে এই বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল করেনি। বর্তমান রাজ্য সরকারের ১১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দে বিমানবন্দরের ভেঙে যাওয়া রানওয়ে থেকে শুরু করে এয়ার স্ট্রিপ, প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ, এয়ার ট্রাফিক, ক্রু এবং পাইলটদের রেস্ট রুম, প্রয়োজন মতো রেস্তোরাঁ, রিফ্রেশমেন্ট কাউন্টার এবং অন্যান্য সমস্ত কিছু একেবারে নতুনভাবে তৈরি হয়েছে। কিন্তু আধুনিকমানের পরিকাঠামো তৈরির পরেও বর্তমানে এয়ারপোর্টের রানওয়ে ছাড়া বাকি অংশ ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ণ। দিনের বেলাতেও লোকে ঢুকতে ভয় পাবে। প্রকাশ্য দিবালোকে বিমানবন্দরে ঘুরছে শিয়াল। রানওয়ের আশেপাশেও গজিয়ে উঠেছে বড় বড় গাছ, ঘাসে ঢেকেছে অন্যান্য এলাকা। অথচ পরিকাঠামো উন্নয়নের খাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

    সরাতে হবে ইটভাটা

    এরকম একটা পরিস্থিতিতেই এদিন বালুরঘাট বিমানবন্দর পরিদর্শনে আসেন রাজ্য পরিবহণ দফতরের আধিকারিক মানস গাঙ্গুলি ও রেল ইন্ডিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক সার্ভিসের আধিকারিকরা। রাজ্য আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও রাজস্ব) সঞ্জয় পণ্ডিত প্রমুখ। বিমানবন্দর পরিদর্শনের পাশাপাশি পরিবহণ ও রাইটসের আধিকারিকরা জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণার সঙ্গে দেখা করেন এবং এনিয়ে আলোচনা করেন। এরপর আবার প্রতিনিধিদল বালুরঘাট বিমানবন্দর পরিদর্শনে আসেন। তবে উড়ান চালু করতে গেলে বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। বিমানবন্দর চত্বরে কোনও পুকুর বা ইটভাটা থাকার কথা নয়। কিন্তু বালুরঘাট বিমানবন্দরের (Dakshin Dinajpur) ভিতরে বেশ কয়েকটি ডোবা ও পাশেই ইটভাটা রয়েছে। এছাড়াও পাশে রয়েছে বিদ্যুতের সাব-স্টেশন।

    কটাক্ষ বিধায়কের

    রাজ্য সরকারের এই পরিদর্শনকে কটাক্ষ করেছেন বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) বিধায়ক অশোককুমার লাহিড়ি। তিনি বলেন, “এটা আনন্দের কথা হলেও, সবটাই লোক দেখানো। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য সরকার এই বিমানবন্দর চালুর চেষ্টা করছে, এটাই শুধু শুনছি। বিমানবন্দর চালু করতে যা যা উদ্যোগ বা যা যা প্রয়োজন, সেইসব কোনও কিছুই দেখছি না। সামনে ভোট, তাই হয়তো আবার উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য।”

    কী জবাব মন্ত্রী এবং প্রশাসনের?

    রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, “উড়ান চালুর জন্য বালুরঘাট বিমানবন্দরে যথেষ্ট পরিকাঠামো রয়েছে। কিছু পরিকাঠামো হয়তো বাকি রয়েছে। সেটা খুবই নগণ্য। মুখ্যমন্ত্ৰী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিমানবন্দর চালুর জন্য সবরকমভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করছেন।” অতিরিক্ত জেলাশাসক সঞ্জয় পণ্ডিত বলেন, বালুরঘাট বিমানবন্দর থেকে উড়ান চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। জেলাশাসকের নির্দেশমতো আজ আমরা বিমানবন্দরে (Dakshin Dinajpur) এসেছি। রাজ্য পরিবহণ দফতর এবং রাইটসের কর্তারা বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছেন। বিমানবন্দরে আর কী কী প্রয়োজন, তা নিয়ে তাঁরা রিপোর্ট দেবেন। সেই মতো পরবর্তীতে আমরা ব্যবস্থা নেব।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 parganas: এই কি তৃণমূলের ‘উন্নয়নের জোয়ার’? দীর্ঘ ৩৫ বছরেও বাঁশের সেতু পাকা হল না!

    South 24 parganas: এই কি তৃণমূলের ‘উন্নয়নের জোয়ার’? দীর্ঘ ৩৫ বছরেও বাঁশের সেতু পাকা হল না!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরু একটি বাঁশের সেতু। আর তার ওপর দিয়েই নিত্যদিন প্রাণ হাতে করে যাতায়াত করতে হচ্ছে এলাকার মানুষকে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার কাকদ্বীপ বিধানসভার নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত। এর অধীনে বটতলা এলাকায় এমনই ছবি দেখা গেল। এলাকার স্থানীয় মানুষদের (South 24 parganas) দাবি, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে একটি বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়েই প্রাণ হাতে করে পারাপার করতে হয় ২০০ থেকে ২৫০টি পরিবারকে। আর এই বেহাল সাঁকো এখনও পর্যন্ত বেহাল হয়েই পড়ে রয়েছে। এটি বটতলা ও দুর্গানগর-দুটি গ্রামের সংযোগকারী সাঁকো। নিত্যদিনই এলাকার মানুষজনকে পড়তে হয় বহু অসুবিধায়। স্কুল, কলেজ পড়ুয়া, প্রসূতি মা কিংবা রোগীর পরিবারের লোকজনের এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়েই নিত্যদিন যাতায়াত করতে হয়। এমনকি কয়েকবার পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনাও ঘটেছে। তারপরেও হেলদোল নেই প্রশাসন থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। এলাকার মানুষজনের আরও অভিযোগ, ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি মেলে এই বেহাল সাঁকো মেরামতের কাজ হবে। শুধু প্রতিশ্রুতি মেলে, কিন্তু কাজ আর হয় না।

    রাজনীতির টানাপোড়েন (South 24 parganas)

    তবে বিষয়টি নিয়ে বর্তমান নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের (South 24 parganas) প্রধান প্রিয়াঙ্কা দাস জানান, এই বিষয়টি নজরে এসেছে। তিনি তাঁর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এই বেহাল সাঁকো মেরামতের আশ্বাস দেন। তবে এই বিষয়টি নিয়ে বিজেপির কাকদ্বীপ বিধানসভার কনভেনর অভিজিৎ দাস বলেন, শাসক দল যতই প্রতিশ্রুতি দিক না কেন, কোনও দিন এরা চুরি ছাড়া অন্য কাজ করে না। তবে এই বিষয় নিয়ে তাঁরা বিডিওকে জানিয়েছেন আগেও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাজ হয়নি। আবার একবার জানাবেন। যদি কোনও কাজ না করেন, তাহলে এলাকাবাসীদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন ছাড়া পথ নেই।

    একাধিক প্রশ্ন (South 24 parganas)

    তবে প্রশ্ন উঠছে, দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে এই বেহাল অবস্থা কেন? উন্নয়নের জোয়ারে শাসক দলের কেন নজরে এল না এই সেতু? শুধুই কি তাহলে ভোটের রাজনীতি? উঠছে একাধিক প্রশ্ন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়িতে একই দিনে মমতা-শুভেন্দু! বিজেপি কর্মীদের হাত-পা ভাঙার নিদান গৌতমের

    Siliguri: শিলিগুড়িতে একই দিনে মমতা-শুভেন্দু! বিজেপি কর্মীদের হাত-পা ভাঙার নিদান গৌতমের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির (Siliguri) মাটিতে একই দিনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা হতে চলেছে। স্বাভাবিকভাবেই দুই হেভিওয়েট নেতার সভা ঘিরে শিলিগুড়ির রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। যুযুধান দুই রাজনৈতিক দলের সভা ঘিরে গন্ডগোলের আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল। ১২ ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে বিজেপি এবং তৃণমূলের সভা, পাল্টা সভা হতে চলেছে। যা নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে।

    ফুটবল লিগের খেলা বন্ধ করে মমতার সভা, প্রতিবাদে বিজেপি (Siliguri)

    বুধবার শিলিগুড়ি (Siliguri) পৌঁছে কার্শিয়াং যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আগামী ৭ তারিখ অবধি পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। এরপর আগামী ৮ তারিখ কার্শিয়াং, ১০ তারিখ আলিপুরদুয়ারে, ১১ তারিখ বানারহাটে এবং ১২ তারিখ শিলিগুড়িতে সভা করবেন। শিলিগুড়ির এই সভা নিয়েই যত প্রশ্ন। কারণ, এখন শিলিগুড়ি স্টেডিয়ামে লিগের খেলা চলছে। আর তা চলাকালীন খেলা বন্ধ করে স্টেডিয়ামে মমতার সভা করতে গিয়ে মাঠ খুঁড়ে নষ্ট করা হচ্ছে বলে বিরোধীদে অভিযোগ। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েই ওই দিন শিলিগুড়িতে পাল্টা সভার ডাক দিয়েছে বিজেপি। সেই সভায় হাজির থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী। যাত্রাপথে মুখ্যমন্ত্রীকে কালো পতাকা দেখানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। ওই দিন বিজেপির সভায় আসবেন শুভেন্দু অধিকারী। আজই এ নিয়ে আবেদন করা হবে। অনুমতি মিলবে না ধরে নিয়েই আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে বিজেপি।

    বিজেপি কর্মীদের হাত-পা ভাঙার নিদান গৌতমের

    মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সভার পর মাঠ ঠিক করে দেওয়া হবে বলেছিলাম। খেলাধূলো আমার হৃদয়ে রয়েছে। তবে এটাকে নিয়ে রাজনীতি করা নিন্দাজনক। বিজেপির অধিকার আছে বিক্ষোভ দেখানোর। তবে তা কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় জানি। আমরা হাতে চুড়ি পরে বসে নেই। হাত-পা ভেঙে দেব।’

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি নেতা শঙ্কর ঘোষ বলেন, এটা মুখ্যমন্ত্রীর গা জোয়ারি মনোভাব প্রকাশ পায়। এর আগে এই স্টেডিয়ামে (Siliguri) গায়ক অরিজিৎ সিংয়ের গানের অনুষ্ঠানের সময় প্রতিবাদ করেছিলাম। তখন বলেছিলাম খেলা ছাড়া আর কোনও অনুষ্ঠান হবে না। এখন শুনছি তৃণমূলের প্রধান স্টেডিয়ামের মাঠে এসে কর্মসূচি করছেন। যদি সেটা হয় আমি নিজে এর প্রতিবাদ করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: সভা থেকেই তৃণমূল নেতার উস্কানি! বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতে ভাঙচুর

    Tamluk: সভা থেকেই তৃণমূল নেতার উস্কানি! বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতে ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের সভা। আর সেই সভা থেকেই বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে চড়াও হওয়ার ঘটনা ঘটল। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের (Tamluk) উত্তর সোনামুই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে। সেখানে ঢুকে হামলা এবং ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল শতাধিক তৃণমূলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Tamluk)

    মঙ্গলবার তমলুক (Tamluk) ব্লকের উত্তর সোনামুই অঞ্চল অফিসের ঠিক উল্টো দিকে বিক্ষোভ সভার আয়োজন করে তৃণমূল। সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক, তৃণমূল নেতা সোমনাথ বেরা প্রমুখ। সোমনাথবাবু বক্তব্য শেষ হওয়ার মুখেই সভাস্থলে থাকা মহিলা এবং পুরুষ নির্বিশেষে দলে দলে ছুটে যান বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিসের দিকে। ১০০ দিনের বকেয়ার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। চলে পঞ্চায়েত অফিসের আসবাবপত্র ভাঙচুর। পঞ্চায়েত অফিসের গুরুত্বপূর্ণ নথি নষ্ট করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

    গন্ডগোল, ভাঙচুরের সময় পুলিশ ছিল নীরব দর্শক, সরব বিজেপি

    পুরো ঘটনার পিছনে তৃণমূলের উস্কানিকেই দায়ী করেছেন বিজেপির তমলুক (Tamluk) সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি আশিস মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ওই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল। এবার তাদের হারিয়ে পঞ্চায়েতের দখল বিজেপির হাতে গিয়েছে। তারই শোধ তুলতে সাধারণ মানুষকে উস্কে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েতে হামলা চালানোর জন্য। তৃণমূলের সভাস্থল থেকে সামান্য দূরে দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশ। গন্ডগোল, ভাঙচুরের সময় তারা নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। মঙ্গলবার রাতেই বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার পক্ষ থেকে তমলুক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’ এই ঘটনার প্রতিবাদে লাগাতার আন্দোলনে নামার ডাক দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    জেলা তৃণমূলের এক নেতা বলেন, ১০০ দিনের কাজের বকেয়ার টাকা চক্রান্ত করে আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর তার জন্য দায়ী এই রাজ্যের বিজেপি নেতারাই। এলাকার মানুষ নিজেদের দাবি আদায়ে প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Memari: দলেরই আদিবাসী নেত্রীকে জাত তুলে অপমান তৃণমূল নেতার! থানার সামনে ধুন্ধুমার

    Memari: দলেরই আদিবাসী নেত্রীকে জাত তুলে অপমান তৃণমূল নেতার! থানার সামনে ধুন্ধুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক মাস আগেই বোর্ড গঠন হয়েছে। এরই মধ্যে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতির বিরুদ্ধে হেনস্থা, জাতিগত বৈষম্য সহ একাধিক অভিযোগ করলেন দলেরই মেমারি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ময়না হালদার টুডু। এমনকী, মেমারি (Memari) থানার সামনে তৃণমূল কর্মীরা একে অপরকে প্রকাশ্যে হুঙ্কার দিতে থাকেন। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি গফ্ফর মল্লিক, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য তথা সহ সভাপতির স্ত্রী ডালিয়া খাতুন, তৃণমূল কর্মী শেখ রহিম, জ্যোর্তিময় মণ্ডলের নামে মেমারি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Memari)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের মেমারির (Memari) কুচুট পঞ্চায়েত প্রধান মদনমোহন দাস তাঁর ঘরে এলাকার সদস্যদের নিয়ে কথা বলছিলেন। সেই সময় সভাপতি ময়না হালদার টুডু তাঁর অনুগামীদের নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। তারপর সভাপতি পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে ফিরে আসেন। বিকেলে মেমারি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি গফফর মল্লিক তাঁর অনুগামীদের নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে এলে দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মেমারি থানার পুলিশ।

    মেমারি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কী বললেন?

    এ-বিষয়ে মেমারি (Memari) ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ময়না হালদার টুডু বলেন, ‘আমি সভাপতি পদে বসার পর থেকেই জাতিগত বৈষম্যের শিকার হতে হয়। আমার শিক্ষাগত যোগ্যতা, জাতপাত তুলে কটূক্তি করা হয়। এদিনের ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ। শুধু তাই নয়, মন্তেশ্বর বিধানসভার বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী-সহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নির্দেশে সহ-সভাপতি গফ্ফর মল্লিক ঠিকাদারদের কাজের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করার জন্য প্রভাব খাটায়।’

    মেমারি ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি কী বললেন?

    পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি গফ্ফর মল্লিক বলেন, এ-ধরনের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। এটি মিথ্যে অভিযোগ। যদি কোনও ঘটনা ঘটে থাকে, পুলিশ তদন্ত করবে। জাতিগত বিদ্বেষ সংক্রান্ত অভিযোগের প্রশ্নে তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে আমি এবং আমার অনুগামীরা দীক্ষিত। সব জাতিকে শ্রদ্ধা, সম্মান করা দলের কাজ। জাতিগত বৈষম্য বিজেপি-সিপিএম করে, আমরা নই।  

    আদিবাসী সমাজের কর্তারা কী বললেন?

    আদিবাসী সমাজের পক্ষ থেকে অশোক হেমব্রম বলেন, মহিলা সভাপতির প্রতি এই দুর্ব্যবহার, কটূক্তি, জঙ্গলমহল তুলে কথাবার্তার বিচার যদি না হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মোদি-শাহ সম্পর্কে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য! ৬০ তৃণমূল বিধায়কের নামে এফআইআর রাজ্য বিজেপির

    BJP: মোদি-শাহ সম্পর্কে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য! ৬০ তৃণমূল বিধায়কের নামে এফআইআর রাজ্য বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহের বিরুদ্ধে ‘কুরুচিপূর্ণ’ মন্তব্য! এই অভিযোগেই ৬০ তৃণমূল বিধায়কের নামে এফআইআর দায়ের করল বিজেপি। এর আগে বিজেপির (BJP) বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ এনেছিল তৃণমূল, লালবাজারের তলব করা হয়েছিল বিজেপি বিধায়কদের। যদিও হাইকোর্ট এই মর্মে নির্দেশ দেয় যে এই মামলায় বিজেপি বিধায়কদের কোনওভাবেই গ্রেফতার করা যাবে না। তৃণমূলের করা মামালায় অতিসক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে পুলিশকে। এবার বিজেপির মামলায় পুলিশের ভূমিকা কী থাকে, সেটাই দেখার।

    হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের মামলা

    জানা গিয়েছে, হেয়ার স্ট্রিট থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেছেন রাজ্য বিজেপির দুই বিধায়ক। তাঁরা হলেন, তুফানগঞ্জের বিজেপি (BJP) বিধায়ক মালতি রাভা রায় এবং দেবগ্রাম ফুলবাড়ী কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই এফআইআর-এ নাম রয়েছে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, বাবুল সুপ্রিয়, শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায় সমেত প্রত্যেক প্রথম সারির নেতার।

    বিজেপির অভিযোগ

    বিজেপির (BJP) ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৩০ নভেম্বর বিকাল তিনটে নাগাদ বিধানসভায় অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশে মোদি ও শাহের নামে কুরুচিকর স্লোগান দেন তৃণমূলের বিধায়করা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে করা এই এফআইআর নিয়ে ট্যুইটও করতে দেখা গিয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

    বিজেপির (BJP) দাবি, দেশের প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এরকম কুরুচিপূর্ণ স্লোগান গুরুতর অপরাধ। দুই শীর্ষস্থানীয় পদমর্যাদার ব্যক্তিকে অপমানই নয়, দেশের অসংখ্য মানুষের ভাবাবেগেও আঘাত দিয়েছে এই স্লোগান। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘ভোটের ফল দেখে ‘ইন্ডি’ জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘ভোটের ফল দেখে ‘ইন্ডি’ জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীকে ‘জাতীয়তা বিরোধী’ বলে মন্তব্য করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার হাওড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে এসে মমতা সরকারের ‘রাজ্য সংগীত’ চালু করার প্রসঙ্গে একথা বলেন তিনি। দলীয় সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৩৫ কোটি দেশবাসীর জন্য জাতীয় সংগীত লিখে গিয়েছেন, যা আমরা গেয়ে থাকি। আর তিনি পাকিস্তানে ভারত এয়ার স্ট্রাইক করলে তার প্রমাণ চান। রাজ্যে সেনাবাহিনী মহড়া করলে নবান্নে বসে বলেন আমার রাজ্য দখল করে নিচ্ছে। ওনার কাজে এটা প্রমাণিত উনি ‘জাতীয়তা বিরোধী’।

    ‘ইন্ডি’ জোট নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    ‘ইন্ডি’ জোট প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘তিন রাজ্যের ভোটের ইন্ডি জোটের পিন্ডি চটকে গিয়েছে। আমি ওই জোটের নেতাদের বলব গয়াতে গিয়ে পিন্ডি দেওয়ার কাজটা শেষ করে আসুন। আমরা বলছি মমতা চোর। রাজ্যে ও কেন্দ্রে মন্ত্রিসভার গঠন কাদের নিয়ে হবে সেটা সেই রাজ্যের বা কেন্দ্রের সাংবিধানিক প্রধান ঠিক করেন। এখানে রাজ্যপাল হস্তক্ষেপ করতে পারেন না। রাজ্যে যে চুরি ও দুর্নীতি হয়েছে তার দায় মুখ্যমন্ত্রীকেও নিতে হবে। মমতার মন্ত্রিসভা বলে ক্ষীর খাব, আর তাঁর মন্ত্রীদের অধীনে থাকা দফতরে দুর্নীতি হলে তার দায় নেব না! এক যাত্রায় পথক ফল হয় না।’

    এনসিআরবি রিপোর্ট নিয়ে সরব হলেন বিরোধী দলনেতা

    সোমবার রাজ্যের মন্ত্রী এনসিআরবি রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ অপেক্ষাকৃত কম অপরাধপ্রবণ রাজ্য বলে দাবি করেন। এদিন সেই বক্তব্য কার্যত উড়িয়ে দিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) পালটা বলেন, ‘আমি থিয়োরিতে বিশ্বাসী নয়, বিশ্বাস করি বাস্তবকে। ২০২১-এর নির্বাচন হওয়ার পর এক লক্ষ হিন্দুকে কেন ঘর ছাড়া হতে হয়েছিল, কেন মানস সাহা-সহ ৫৭ জন বিজেপি কর্মীর হত্যা হয়েছিল? পঞ্চায়েত নির্বাচনে  ৫৫জনের মৃত্যু হয়েছে কেন? যেখানে দেশে পাঁচটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হলেও কারও মাথাও ফাটেনি, সেখানে এই রাজ্যে নির্বাচনে এত হিংসা কেন জানতে চাই।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Visva Bharati: বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ, কেন জানেন?

    Visva Bharati: বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী সহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে জাতিবিদ্বেষের মামলা হয়েছে। সেই মামলায় শুনানিতে তিনি আদালতে হাজির ছিলেন না। এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে তাঁকে হাজির থাকার নির্দেশ দিলেন বীরভূমের অতিরিক্ত জেলা বিচারক (এডিজে)। এই মর্মে নোটিস জারি করার নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ১৯ জানুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কেন আদালতে মামলা? (Visva Bharati)

    চলতি বছরের ৫ জুলাই বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে জাতিবিদ্বেষের মামলা করেছিলেন বিশ্বভারতীরই (Visva Bharati) কর্মী প্রশান্ত মেশরাম। তিনি বিশ্বভারতীর অ্যাকাডেমিক এবং রিসার্চ বিভাগের রেজিস্ট্রার। তাঁর অভিযোগ, ওড়িশার কোরাপুটে সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা নিয়ামক পদে মনোনীত হই। আমার পদোন্নতি আটকাতে নানা রকমভাবে ষড়যন্ত্র করা হয়। এমনকী, তফসিলি সম্প্রদায়ভুক্ত হওয়ার জন্য আমাকে অপমান করা হয়। জানা গিয়েছে, এরপরই বিশ্বভারতীর ওই কর্মী বিদ্যুৎ চক্রবর্তী-সহ বিশ্বভারতীর জয়েন্ট রেজিস্ট্রার তন্ময় নাগ, জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ইন্টারনাল অডিট অফিসার প্রশান্ত ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা চলছে সিউড়ির এডিজে আদালতে। মঙ্গলবার ছিল সেই মামলার শুনানি। শুনানিতে অভিযুক্ত চারজনের মধ্যে তিনজন উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী হাজিরা দিতে আসেননি। এর পরেই নোটিস জারি করার নির্দেশ দেয় আদালত। এর আগেও অক্টোবর মাসে অসুস্থতার কথা জানিয়ে শুনানিতে হাজির হননি তিনি।

    সরকারি আইনজীবী কী বললেন?

    বিশ্বভারতীর আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী এখন আর বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) উপাচার্য নেই। দিল্লিতে থাকেন। এখনও সেখানেই রয়েছেন। সে কারণে আসতে পারেননি।  সরকারি আইনজীবী রঞ্জিত গঙ্গোপাধ্যায় আদালতে পাল্টা সওয়াল করে জানান, বীরভূমের সিউড়িতে তাঁর পৈতৃক বাড়ি রয়েছে। অন্য জায়গায় থাকলেও আদালতে হাজিরা দিতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। পরবর্তী শুনানির দিন বিদ্যুৎবাবু আদালতে হাজির না থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Santiniketan: পৌষমেলার দাবিতে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ বিশ্বভারতীর গেট ভাঙলেন বিক্ষোভকারীরা!

    Santiniketan: পৌষমেলার দাবিতে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ বিশ্বভারতীর গেট ভাঙলেন বিক্ষোভকারীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক ছিল ছোট করে হলেও পৌষমেলা হবে। কিন্তু, সময় কম থাকার কারণে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন (Santiniketan) ট্রাস্ট যৌথ ভাবে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল, এবারও হচ্ছে না ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। এবার সেই পৌষমেলার দাবিতে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ও ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা বিক্ষোভ দেখানোর নামে কার্যত তাণ্ডব চালালেন।

    বিশ্বভারতীর গেট ভেঙে ঢোকেন বিক্ষোভকারীরা (Santiniketan)

    ২০১৯ সালে শেষ বার শান্তিনিকেতনে (Santiniketan) হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। ২০২০ সালে কোভিড পরিস্থিতির জন্য বন্ধ ছিল মেলা। কিন্তু, পরবর্তীতে ২০২১ ও ২০২২ সালে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী পৌষমেলা বন্ধ করে দেন। যা নিয়ে শান্তিনিকেতন জুড়ে বিক্ষোভ হয়। ৮ নভেম্বর উপাচার্য হিসাবে মেয়াদ শেষ হয়েছে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর। নতুন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হয়েছেন সঞ্জয় কুমার মল্লিক। তাই বোলপুর-শান্তিনিকেতনবাসী আশা করেছিলেন, এবার হয়তো পৌষমেলা হবে। কিন্তু, সময় কম থাকার কারণে এত বড় ঐতিহ্যবাহী মেলা করা সম্ভব নয় বলেই শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট ও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে যৌথ প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে মেলা বাতিল করে দেয়। যা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সকলে। বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখান বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ ও বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢোকার প্রথম বলাকা গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকেন বিক্ষোভকারীরা। যদিও, কার্যালয়ে নেই ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সহ কর্মসচিব। পৌষমেলা করতে হবে এই দাবিতে চলে বিক্ষোভ। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিশ্বভারতী।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চর পক্ষ থেকে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমরা এবার আশা করেছিলাম পৌষমেলা হবে। আচমকা এভাবে মেলা বন্ধ করা ঠিক নয়। মেলা করতে হবে। কেন বন্ধ করা হল মেলা? আমাদের সঙ্গে কেন উপাচার্য কথা বলছেন না? এই মেলা আমাদের সবার আবেগ। ইচ্ছাকৃতভাবে বন্ধ করা হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। আমরা চুপচাপ বসে থাকব না। মেলার দাবিতে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share