Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Poush Mela: শান্তিনিকেতনে এই বছর হচ্ছে না পৌষমেলা, ঘোষণা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের

    Poush Mela: শান্তিনিকেতনে এই বছর হচ্ছে না পৌষমেলা, ঘোষণা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়ের অভাবে এবছরও শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা (Poush Mela) হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সময়পর্বে মেলা বন্ধ করা হয়েছিল। মেলার নামে ক্যাম্পাসে রবি ঠাকুরের সংস্কৃতিকে নষ্ট করার কথা উঠেছিল। কিন্তু তাঁর কার্যকালের সময় শেষ হলে আবার শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা হবে বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু আজ সোমবার বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট জানিয়ে দিল, সময়ের অভাবে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা হচ্ছে না। অবশ্য এই সিদ্ধান্তে স্থানীয় এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের কথা জানা গিয়েছে।

    প্রথমে হওয়ার কথা ছিল মেলা (Poush Mela)

    প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হতেই এই পৌষমেলা (Poush Mela) নিয়ে প্রথমে আশার আলো দেখা গিয়েছিল স্থানীয় এবং দেশ-বিদেশের পর্যটকদের। ক্যাম্পাসের ভিতরে-বাইরে সকলের মধ্যে মেলা হওয়ার কথা জানতে পারায় বেশ খুশির আবহ ছিল। কিন্তু সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে লম্বা বৈঠকের পর ঘোষণা হয়, সময় কম, তাই এই সংক্ষিপ্ত সময়ে মেলার পুরোপুরি প্রস্তুতি সম্ভবপর নয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক। তবে বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ পৌষ উৎসব পালন করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, ‘‘আমাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে, এই বছর আর পৌষমেলা করা সম্ভব হচ্ছে ।“

    ২০১৯ সাল থেকেই বন্ধ পৌষমেলা

    বোলপুর শান্তিনিকেতনের অন্যতম প্রধান উৎসব হল পৌষমেলার (Poush Mela) উৎসব। এই উৎসব নানাবিধ কারণে বিগত ২০১৯ সাল থেকে বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিবাদে সরব হয়েছিল নানা মহল। বিশ্বভারতীতে ছাত্রদের মধ্যে নানান বিক্ষোভ কর্মসূচিও দেখা যায়। পাশাপাশি তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবতী এই মেলাকে বন্ধ করার কারণ হিসাবে মেলার নামে ক্যাম্পাসে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের জায়গা দখল, মাঠে অবৈধ কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ তুলেছিলেন। সার্বিক ভাবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্রমিক জীবনযাপনের উপর মেলার নামে অপসংস্কৃতিকে চাষ হচ্ছে বলে যুক্তিও উঠেছিল সেই সময়। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সময়পর্বে তাই মেলা বন্ধ করা হয়। সেই সময়পর্বে ক্যাম্পাসের নিজস্ব জায়গাগুলিকে দখলমুক্ত করতে ফেন্সিং ওয়াল দিতে গেলে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক, নেতা এবং কর্মীরা জেসিবি মেশিন দিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। একই ভাবে নির্মাণসামগ্রী রড, বালি, পাথর চুরি হয় বলে সংবাদ মাধ্যমে জানা গিয়েছিল। বহিরাগত দৌরাত্ম্যের কবল থেকে ক্যাম্পাসকে মুক্ত করার কথা তৎকালীন উপাচার্যের মুখে বার বার শুনে গিয়েছিল।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কেষ্টর গড়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের মাথা ন্যাড়া করার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা, বিতর্ক

    Birbhum: কেষ্টর গড়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের মাথা ন্যাড়া করার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহার জেলে রয়েছেন। বিজেপি সহ বিরোধীদের কদর্য ভাষা প্রয়োগে সিদ্ধহস্ত ছিলেন কেষ্ট। বছরখানেক হল জেলার মাটিতে তিনি নেই। কিন্তু, তাঁর সেই ভাষা ধার করেই বিজেপিকে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছেন তৃণমূলের জেলার নেতা-কর্মীরা। এবার বিজেপি নেতা-কর্মীদের মাথা ন্যাড়া করার নিদান দিলেন কেষ্টর গড় বীরভূমের (Birbhum) এক তৃণমূল নেতা। যা নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন ওই তৃণমূল নেতা? (Birbhum)

    ১০০ দিনের কাজের টাকা ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতির প্রতিবাদে বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের অন্তর্গত রুপপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। আর সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের তৃণমূল নেতা বাবু দাস। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেতা বাবু দাস বলেন, মা বোনেদের বলবো, যদি ১০০ দিনের কাজের টাকা না পেয়ে থাকেন, কোনও বিজেপি নেতাকর্মী এলে তাঁর মাথাটা ন্যাড়া করে দিন। রাস্তায় দাঁড় করিয়ে ভান্ডারি ডেকে তাঁর মাথাটা ন্যাড়া করে ঘোল ঢেলে দিন। বল হরি, হরি বল বলে পাড়া থেকে তাড়িয়ে দিন। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে এমনই হুমকি দিতে দেখা গেল রুপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা বাবু দাসকে। শুধু প্রকাশ্যে মঞ্চে নয়, তিনি ক্যামেরার সামনেও জানিয়েছেন, গ্রামে যখন চোর ধরা পড়ে, বয়স্ক মানুষরা বলে চোর ধরা পড়েছে, মাথাটা ন্যাড়া করে দে। যারা ১০০ দিনের টাকা চুরি করেছে, তাদের ন্যাড়া করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বলেন, তিন রাজ্যে বিজেপি জয়ী হয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপির জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। তাই, এসব বলে কোনও লাভ নেই। তৃণমূল যত বলবে তত ওদের ভোট কমবে। বরং, চোর মানেই তৃণমূল। এবার তৃণমূল নেতাদের সাধারণ মানুষ গণপিটুনি দেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: নেই বৈধ কাগজপত্র-অনুমোদন, সরকারি কমিউনিটি হলেই চলছে বেসরকারি স্কুল!

    Jalpaiguri: নেই বৈধ কাগজপত্র-অনুমোদন, সরকারি কমিউনিটি হলেই চলছে বেসরকারি স্কুল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি কমিউনিটি হলে চলছে বেসরকারি সিবিএসই-র স্কুল। সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের বৈধ কাগজপত্র এবং অনুমোদন নেই। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকারি কমিউনিটি হলের জায়গা দখল করে কার্যত বিনা অনুমাতিতে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল চালানো হচ্ছে। ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। উল্লেখ্য ১৮ নম্বর টাকিমারি চড় এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতি এই কমিউনিটি হলটি তৈরি করেছিল। কিন্তু বর্তমানে তা বেসরকারি স্কুলের দখলে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রধান স্কুল মালিককে সহযোগিতা করেছেন। ফলে এই ঘটনায় শাসক দলের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তিকে ব্যবহার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল এলাকাবাসীদের মধ্যে।

    স্কুলের মালিক কে (Jalpaiguri)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারি স্কুলের নাম সারদা শিশু তীর্থ। স্কুলটি সিবিএসই অনুমোদিত। স্কুলের মালিকের নাম হানিফ চৌধরি। তাঁর বাড়ি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) থানার অন্তর্গত গেট বাজার এলাকায়। স্কুলের বেতন ভর্তিতে ২০০০ টাকা এবং মাসিক বেতন ৫০০ টাকা। স্কুলের এক শিক্ষিকা বলেন, স্কুলের মালিক স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের মৌখিক অনুমতি নিয়ে এই স্কুল চালাচ্ছেন। সরকারি সম্পত্তির মধ্যে কীভাবে চলছে বেসরকারি স্কুল? এটাই এলাকাবাসীর কাছে বড় প্রশ্ন। প্রশাসন এবং শাসক দলের কাছে কি কোনও খবর নেই? নাকি সব জেনেশুনেই চলছে স্কুল। এমনটাই মনে করছেন এলাকার মানুষ।

    স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    মান্তাদড়ি (Jalpaiguri) গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অর্চনা বলেন, “বিষয় সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। স্কুলটি অবৈধ। সরকারি জায়গা দখল করে স্কুল করা অনৈতিক। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলবো।

    উল্লেখ্য স্কুলের মালিক হানিফের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোনে তাঁকে পাওয়া যায়নি। প্রাইমারি স্কুলের ডিআই জানিয়েছেন, “স্কুল সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। এইভাবে স্কুল করা যায় না। তবে এনওসি ছাড়া কীভাবে স্কুল খুললেন মানিক। সেই বিষয়ে তদন্ত করে দেখতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: প্রশিক্ষণ নিয়েও মেলেনি চাকরি! রাজ্যের প্রতি মোহভঙ্গ হয়ে সুকান্তর দ্বারস্থ বঞ্চিতরা

    Sukanta Majumdar: প্রশিক্ষণ নিয়েও মেলেনি চাকরি! রাজ্যের প্রতি মোহভঙ্গ হয়ে সুকান্তর দ্বারস্থ বঞ্চিতরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরেও নেই নিয়োগ। জেলা প্রশাসন থেকে রাজ্য সরকার, সবার দ্বারস্থ হয়েও হয়নি লাভ। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজেদের কাজ সুনিশ্চিত করতে এবার  দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সরব বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা। রাজ্য সরকারের প্রতি আর আস্থা নেই। তাই এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) দ্বারস্থ হলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স ফাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। বালুরঘাটে সুকান্ত মজুমদারের বাড়িতে দেখা করেন সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্ব। পাশাপাশি সাংসদের হাতে তুলে দেন নিজেদের দাবিপত্র।

    কলকাতার রাজপথে অনশন আন্দোলনের হুমকি

    দীর্ঘদিন আগে বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য প্রত্যেক জেলায় যুবক-যুবতীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় কয়েক হাজার জন প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরেও সকলে কাজ পাননি। নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। বিপর্যয় মোকাবিলার প্রশিক্ষণ নেওয়া যুবকদের বক্তব্য, আমরা বেশিরভাগই বিপর্যয় মোকাবিলার প্রশিক্ষণ নিয়েছি। কিন্তু, আমাদেরকে কাজ দেওয়া হচ্ছে না। এনিয়ে একাধিকবার আন্দোলন করেছি। বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের দাবিদাওয়া জানিয়েছি। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। তাই সুকান্ত মজুমদারের দ্বারস্থ হয়েছি। এদিন সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে দেখা করেন সংগঠনের জেলা সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাস সহ অন্য সদস্যরা। এবিষয়ে সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘বিপর্যয় মোকাবিলার প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরও কাজ পাচ্ছি না। কাজের ক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। আবার যাঁরা কাজ পাচ্ছেন তাদের কিটস দেওয়া হচ্ছে না। প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরও দুবেলা অন্নের জোগান আমাদের হচ্ছে না। সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) দ্বারস্থ হয়ে আমরা আমাদের দাবিপত্র দিয়েছি। যাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, সকলকে কাজ দিতে হবে। কাজ না হলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে। প্রয়োজনে আগামীদিনে কলকাতার রাজপথে অনশন আন্দোলন করব আমরা।’

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি কী বললেন? (Sukanta Majumdar)

    এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘যখন বিপর্যয় মোকাবিলা করার প্রয়োজন হয়, তখন দেখা যায় সেই জায়গায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়েছে। বৈজ্ঞানিকভাবে তাঁদের কোনও প্রশিক্ষণ নেই। অথচ সেইসময় বিপর্যয় মোকাবিলার যাঁরা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন, তাঁদের কাজ দেওয়া হয়নি। যাঁরা এনিয়ে আন্দোলন করেন, তাঁদেরকে বেশি করে কাজ দেওয়া হয় না। তাই তাঁরা আমার কাছে এসেছেন। তাঁদের দাবি জানিয়েছেন। এই প্রশিক্ষণে কেন্দ্র সরকার টাকা দিয়েছে। আমি বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নজরে আনব এবং আন্দোলনকারীদের পাশে রয়েছি।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: ৫০০ টাকায় চাষির পাসবুক ভাড়া নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন!

    Purba Bardhaman: ৫০০ টাকায় চাষির পাসবুক ভাড়া নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধান বিক্রির নামে ৫০০ টাকায় চাষির পাসবুক ভাড়া করে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেনের অভিযোগে তীব্র শোরগোল পড়েছে পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)। এই বেআইনি লেনদেন চলত খণ্ডঘোষ সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে। দুর্নীতির অভিযোগে শাসক-বিরোধীদের মধ্যে তরজা শুরু হয়েছে।

    কীভাবে চলত লেনদেন (Purba Bardhaman)?

    ২০১৮-১৯ সালে খণ্ডঘোষের গ্রামবাসীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকেছিল। উল্লেখ্য একই দিনে সেই টাকা ধাপে ধাপে আবার তুলে নেওয়া হয়েছিল। অথচ যাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট তাঁরা কিছুই জানতে পারলেন না। কালনা গ্রামের সমবায় সমিতির পাসবুকে ধরা পড়েছে এই লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ।

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ

    কালনা গ্রামের (Purba Bardhaman) এক বাসিন্দা বলেন, “আমিনুল্লা হাজারি নামক এক ব্যক্তি আমাদের অনেকের সমবায় সমিতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছিলেন। এরপর ৫০০-২৫০ টাকা দিয়ে পাসবুক ভাড়া নিয়ে যান।” অবশ্য অভাবের কারণে গ্রামের মানুষ পাসবুক এই সামান্য টাকায় ভাড়া দিয়েও দেন। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেখা যায় এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢোকে। এরপর ধীরে ধীরে আবার সেই টাকা তুলেও নেওয়া হয়। যদিও কাজ করতে করতে আমিনুল্লা হাজারি মারা গেলে, পরবর্তী সময়ে তাঁর ছেলে আসদুল্লা হাজারি এই কাজ চালাতেন। অবশ্য ছেলের দাবি, তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে। পরবর্তীকালে বেকায়দায় পড়ে চাপে স্বীকার করে নেন যে এলাকার এক রাইসমিলের মালিকের হয়ে তাঁরা এই কাজ করতেন। অবশ্য এই বিষয়ে অভিযুক্ত সত্যনারায়ণ রাইস মিলের মালিক বলেন, “আমার কোনও ভূমিকা নেই, সমবায় সমিতি যে ধান দিত তাই আমরা নিতাম।”

    বিজেপির বক্তব্য

    এলাকার (Purba Bardhaman) বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “কেবল গরিব মানুষেরাই এই পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন। পাসবুক নিয়ে কী করে লেনদেন হতো, তার তদন্ত হওয়া উচিত। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের দিয়ে পুরো দুর্নীতির পর্দাফাঁস করা উচিত। আসল চক্রী তৃণমূলের মাথা কলকাতায়। তাকে ধরা হোক।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Bardhaman) তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অপার্থিব ইসলাম বলেন, “আইন আইনের পথে চলবে। দোষীরা শাস্তি পাবে। বিজেপির কাছে মানুষ নেই তাই বারবার তৃণমূলকে বদনাম করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: মাতৃযান ধর্মঘট! বিপাকে প্রসূতি মায়েরা, হেলদোল নেই কর্তৃপক্ষের

    Raiganj: মাতৃযান ধর্মঘট! বিপাকে প্রসূতি মায়েরা, হেলদোল নেই কর্তৃপক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিষেবা বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানালেন ‘নিশ্চয় যান/ মাতৃযান’ চালক ও মালিকরা। রবিবার এমনই চিত্র ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ (Raiganj) গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। যার জেরে সমস্যায় রোগী সহ তাঁদের আত্মীয় পরিজনেরা।

    কেন পরিষেবা বন্ধ রেখে আন্দোলন? (Raiganj)

    রায়গঞ্জ (Raiganj) গভর্নমেন্ট ও মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ‘নিশ্চয় যান’ বা ‘মাতৃযান’-এর সংখ্যা বর্তমানে ১১ টি। উত্তর দিনাজপুর জেলায় মোট ৯৩টি মাতৃযান বা নিশ্চয় যান আছে। অভিযোগ, মালিক সহ চালকেরা দীর্ঘ ৮ মাস ধরে বিল পাচ্ছেন না। ফলে, চরম সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, চালকদের বেতন ৩ হাজার টাকা। নিশ্চয় যান বা মাতৃযানের জন্য কিলোমিটার প্রতি ৮ টাকা করে দেওয়া হয় স্বাস্থ্য দফতর থেকে। তার মধ্যে বর্তমান বাজারে ডিজেল ও পেট্রোলের দাম বেশি হওয়ায় ওই টাকা দিয়ে চালানোয় সমস্যায় পড়ছেন মালিক থেকে চালকেরা। তারই প্রতিবাদে ১লা ডিসেম্বর থেকে ধর্মঘট শুরু করেছেন মালিক এবং চালকেরা। ফলে, চরম সমস্যায় পড়েছেন জেলার প্রসূতি মা থেকে শুরু করে রোগীর আত্মীয়রা।

    মাতৃযান গাড়ির চালক ও মালিকেরা কী বললেন?

    মাতৃযান চালক দেবাশিস মজুমদার বলেন, গত ৮ মাস ধরে মালিকরা আমাদের বেতন দিচ্ছেন না। বেতন দেওয়ার কথা বললে তাঁরা বলছেন তাঁদের বিল আটকে আছে। সে কারণে আমরা পরিষেবা বন্ধ রেখেছি। কারণ টাকা না পেলে কি করে গাড়ি চালাবো। খুব সমস্যার মধ্যে আছি। কী করবো বুঝতে পারছি না। বিকল্প কিছু করার চেষ্টা করছি। এক মাতৃযান গাড়ির মালিক দিলীপ সরকার জানিয়েছেন, গত ৮ মাস ধরে  বিল আটকে আছে। স্বাস্থ্য দফতর থেকে টাকা ঢুকছে না। পেট্রোল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এমনিতেও আমাদের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। গত এক মাস আগে লিখিতভাবে স্বাস্থ্য দফতর জানানো হলেও এখনও তার কোনও সুরাহা হয়নি। সেই কারণেই বেতন দিতে পারছি না।

    চরম বিপাকে রোগীরা, কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    এ ঘটনায় চরম বিপাকে পড়েছেন রোগীর আত্মীয় স্বজনেরা। মনোজিৎ সরকার নামে এক রোগীর আত্মীয়া বলেন, আমার মেয়ে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে ভর্তি আছে। হাসপাতাল থেকে ছুটিও দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু, মাতৃযানের অভাবে তাকে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারছি না। কারণ বেসরকারি অ্যাম্বুল্যান্সে ৩ হাজার টাকা চাইছে। অত টাকা নেই।

    রোগী কল্যাণ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যানের কী বক্তব্য?

    রায়গঞ্জ (Raiganj) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছি। জেলা স্বাস্থ্য ও আধিকারিক আমাকে জানিয়েছেন যে কেন্দ্রীয় সরকারের পাঠানো টাকা বন্ধ রয়েছে তাই একটু সমস্যা হচ্ছে। গোটা বিষয়টি রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে জানানো হয়েছে। তবে, আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: এসএসকেএমে বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয়, সিসিটিভিতে নজর ইডির  

    Jyotipriya Mallick: এসএসকেএমে বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয়, সিসিটিভিতে নজর ইডির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। যদিও বর্তমানে তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অবশ্য দাবি, জেলে বিপাকে পড়েছেন। তাই অসুস্থতার অজুহাতে এসএসকেএমে আশ্রয় নিয়েছেন মন্ত্রীমশাই। এবার এই হাসপাতালে এসে বালু বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন। কেবিনে সিসিটিভির মাধ্যমে তাঁর উপর নজর রাখছেন ইডির তদন্তকারী অফিসাররা।

    বালু রয়েছেন কার্ডিওলজির কেবিনে (Jyotipriya Mallick)

    আদালতের বিশেষ নির্দেশে জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) এসএসকেএম হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের কেবিনে রয়েছেন। প্রতিদিন কারা কারা তাঁর কেবিনে আসছেন, কাদের সঙ্গে কথা বলছেন এই সব কিছু নজরে রাখছেন ইডির আধিকারিকরা। যদিও গ্রেফতারের পর থেকে দুই দফায় জেরা করার পর প্রেসিডেন্সি জেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে জেল চিকিৎসকরা এসএসকেএমে স্থানান্তরণের পরামর্শ দেন। এরপর পরেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএমে।

    হাসপাতাল সূত্রে খবর

    এসএসকেএম হাসপাতাল সূত্র জানা গিয়েছে, জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) রক্তচাপ খুব ওঠানামা করছে। মাঝে মাঝে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছেন। ইতিমধ্যেই রক্তের চাপ এরকম হওয়ার পিছনে কি সুগার কম হওয়াই কারণ, তা দেখতে পরীক্ষা করছেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু তাঁর চিকিৎসার জন্য গড়া মেডিক্যাল বোর্ড জানিয়েছে, হার্ট স্বাভাবিক রয়েছে। আজ সোমাবারে বেশ কিছু আরও পরীক্ষা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, বালু এখন কোনও কথা বলছেন না। শব্দ না করে তিনি কেবল নাকি ঈশ্বরকে স্মরণ করছেন।

    আদলাতে ইডির কী দাবি ছিল?

    আদালতের কাছে ইডির দাবি ছিল, বালুর (Jyotipriya Mallick) কেবিনের বাইরে-ভিতরে লাগাতে হবে সিসিটিভি। কেবিনের ভিতরে কেউ ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে যাচ্ছে কিনা তার দিকে নজর রাখা হবে। সিসিটিভির লিঙ্ক দেওয়া থাকতে হবে ইডির আধিকারিকদের কাছে। কেবিনের সমস্ত জায়গা সিসিটিভির নজরে রাখতে হবে। অবশ্য ইডির করা সমস্ত আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছিল। আর সেই মতোই নজরদারি চলছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: মেলা কমিটি থেকে বাদ সাংসদ দেব, বৈঠকে তৃণমূলের দুপক্ষের মধ্যে তুমুল হাতাহাতি

    Paschim Medinipur: মেলা কমিটি থেকে বাদ সাংসদ দেব, বৈঠকে তৃণমূলের দুপক্ষের মধ্যে তুমুল হাতাহাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটালে ছন্নছাড়া অবস্থা তৃণমূলের। তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যানের অনুগামীদের সঙ্গে সাংসদ তথা অভিনেতা দীপক অধিকারী (দেব)-র অনুগামীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা প্রকাশ্যে চলে আসে। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয়। গন্ডগোলের জেরে মিটিং কার্যত ভেস্তে যায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী নিয়ে গন্ডগোল? (Paschim Medinipur)

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটালে প্রতিবারের মতো এবারও শিশুমেলার আয়োজন করা হয়েছে। ঘাটালের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ কমিটি গঠনের জন্য এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেই বৈঠকের শুরুতেই উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, ঘাটাল মহকুমার পুলিশ আধিকারিক অগ্নিশ্বর চৌধুরী। পরে তাঁরা মিটিং থেকে বেরিয়ে যান। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ মাজি, ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুই, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি বিকাশ কর সহ একাধিক পদাধিকারী ও তাঁদের অনুগামীরা। জানা গিয়েছে, ঘাটাল উৎসব ও শিশু মেলার সভাপতি পদটি মহকুমা শাসক সামলান। কমিটিতে সম্পাদক হিসেবে থাকেন দেব। মিটিং শুরু হওয়ার পর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শঙ্কর দলুই, নতুন কমিটির তালিকা প্রকাশ করেন। তাতে নেই দীপক অধিকারীর নাম। এদিনের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন সাংসদের প্রতিনিধি রামপদ মান্নাও। সাংসদের নাম বাদ যাওয়ায় বাড়ে উত্তেজনা। দীপক অধিকারীর নাম কেন বাদ গেল তা জানতে চান বৈঠকে উপস্থিত কয়েকজন। শঙ্কর দলুই ব্যাখ্যা দিতে গেলে শুরু হয় বাদানুবাদ। শাসকদলের তাবড় তাবড় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতেই চলে তাঁদের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি।

    সাংসদ অনুগামীর কী বক্তব্য?

    সাংসদ দেব-এর অনুগামী রামপদ মান্না বলেন, দেবকে বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘাটালের মানুষ তার প্রতিবাদ করেছে। ঘাটালের মানুষ চোরকে মেনে নেবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI Raid: সোমবার সাতসকালে নিউটাউনে সিবিআইয়ের তল্লাশি, ১০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ

    CBI Raid: সোমবার সাতসকালে নিউটাউনে সিবিআইয়ের তল্লাশি, ১০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সাতসকালে নিউটাউনে সিবিআইয়ের হানা (CBI Raid)। ১০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার মামলায় তল্লাশি শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কোটি কোটি টাকা আর্থিক প্রতারণার মামলায় কলকাতা শহরে অভিযানে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে এই আর্থিক প্রতারণার মামলায় কারা অভিযুক্ত, তা এখনও জানা যায়নি।

    ঠিক কোথায় তাল্লাশি (CBI Raid)?

    সূত্রে জানা জানা গিয়েছে, সকাল ৯ টার সময় নিজাম প্যালেস থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী (CBI Raid) সংস্থার কয়েকজন আধিকারিক বেরিয়ে যান। তাঁরা নিউ টাউনের কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি করেন। আর্থিক প্রতারণা মামলায় অভিযুক্ত, নিউটাউন সংলগ্ন এলাকায় দত্তাবাদের এক ব্যাঙ্ক কর্মীর বাড়িতে সকাল ১০ টায় অভিযান চালানোর কাজ শুরু করেন। তবে এই আর্থিক প্রতারণার মামলায় ঠিক কারা কারা অভিযুক্ত, সেই খবর এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

    তৃণমূল বিধায়ক ও কাউন্সিলারের বাড়িতে তল্লাশি

    গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদে ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে সিবিআই (CBI Raid) বিরাট অভিযান চালিয়েছিল। সেই সময় এই বিধায়ক বিধানসভায় ছিলেন বলে খবর। বিকেলে রীতিমতো টাকা গোনার মেশিন নিয়ে অভিযান চালান তদন্তকারী অফিসাররা। সূত্রের আরও খবর, তাঁর বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। এমনকী বিধায়কের বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় নগদ আট লক্ষ টাকা। সেই সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে প্রচুর সোনার গহনা। এছাড়াও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা তল্লাশি আভিযান চালিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সির স্বামী তৃণমূল কাউন্সিলার দেবরাজ চক্রবর্তীর দুটি বাড়িতে। বাদ যায়নি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের কাউন্সিলার বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িও। সূত্রের খবর এসএসসি শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নথি পাওয়া গিয়েছে।

    দেশ জুড়ে সিবিআই তল্লাশি

    উল্লেখ্য, সারা দেশ জুড়ে দুর্নীতি এবং আর্থিক প্রতারণার মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। বেশ কিছু রাজ্য বিশেষ করে দিল্লি, বিহার, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা রাজ্যে অনেক নেতা, মন্ত্রী দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হয়েছেন। উল্লেখ্য দিল্লির আপ পার্টির নেতা মনীশ সিসোদিয়া, সত্যেন্দ্র জৈন, সঞ্জয় সিং প্রমুখ গ্রেফতার হয়েছেন সিবিআই-ইডির হাতে। এই রাজ্যও তার ব্যতিক্রম নয়। সিবিআই (CBI Raid), ইডি ব্যাপক ভাবে জেলায় জেলার পাশাপাশি কলকাতায়ও তল্লাশির কাজ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Train Accident: রেল লাইনে উঠে এল লরি! দুর্ঘটনার কবলে আপ রাধিকাপুর এক্সপ্রেস

    Train Accident: রেল লাইনে উঠে এল লরি! দুর্ঘটনার কবলে আপ রাধিকাপুর এক্সপ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসখানেক আগেই মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা সেতুর কাছে জাতীয় সড়়ক ধরে প্রচণ্ড গতিতে আসা ট্রাক রেল লাইনে উঠে গিয়েছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে এই ঘটনা পর পর দুবার হয়েছিল। একবার একটি মালগাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই আবারও রেল দুর্ঘটনা (Train Accident) ঘটল ফরাক্কায়। জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কলকাতা থেকে রাধিকাপুরগামী এক্সপ্রেস।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Train Accident)

    স্থানীয় ও রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে আপ রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের অনেকটাই গতি ছিল। ফরাক্কার কাছে রেল লাইনের উপর একটি লরি আটকে যায়। লরির কাছে ট্রেনটি আসতেই চালক ব্রেক কষেন। কিন্তু, গতি থাকায় ট্রেনটি লরিটিকে ধাক্কা মারে। ট্রেনের ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দুর্ঘটনার (Train Accident) জেরে আপ-ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে, যাত্রীদের জখম হওয়ার কোনও খবর নেই। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকজন ছুটে যান। রেলের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। এই দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে রেল। লরিটির বিস্তারিত রেলের আধিকারিকদের হাতে এসে গিয়েছে। তদন্তের জন্য রাজ্য পুলিশকে সেই সব তথ্য ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন মালদার ডিআরএম। এই ঘটনা নিয়ে রেলের তরফেও তদন্ত করা হবে। রেলকর্তারা মনে করছেন, রেললাইনে এসে যাওয়ার পরও যদি লরিচালক কোনও আলো দেখাতেন, তাহলে ট্রেনের চালক সতর্ক হতে পারতেন। কিন্তু সে রকম কিছু না করায় জরুরি ব্রেক ব্যবহার করেও দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়নি। যদিও চালকের তৎপরতায় বড় ক্ষয়ক্ষতি আটকানো গিয়েছে, দাবি রেলের আধিকারিকদের।

    ডিআরএম কী বললেন?

    পূর্ব রেলের মালদা ডিভিশনের ডিআরএম বিকাশ চৌবে জানিয়েছেন, লরির ভুলের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। যেখানে দুর্ঘটনা (Train Accident) ঘটেছে তার নিকটবর্তী লেভেল ক্রসিং ঠিক সময়েই বন্ধ হয়েছিল এবং লরিটি লেভেল ক্রসিং দিয়ে আসেনি। দুর্ঘটনাস্থলের উপরে যে ফ্লাইওভার রয়েছে, সেখান থেকে ভুল পথে নেমে এসেছিল লরিটি।  ডাউন লাইনকে ট্রেন চলাচলের জন্য তৈরি করে ফেলা হয়েছে। আপ লাইনে ট্রেন চলাচল শুরুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share