Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Murshidabad: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে মুর্শিদাবাদ কী পেলো? প্রশ্ন জেলার ব্যবসায়ীদের

    Murshidabad: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে মুর্শিদাবাদ কী পেলো? প্রশ্ন জেলার ব্যবসায়ীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন থেকে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) কী পেলো? এই প্রশ্ন জেলাবাসীর মনে বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে। রেজিনগর শিল্পতালুকে ই-বাস কারখানা তৈরি জন্য রাজ্য সরকার একটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু কার্যকর হয়নি কারখানার কাজ। গতমাসে নভেম্বরের শেষেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটা করে বাণিজ্য সম্মেলন করলেন কিন্তু মুর্শিদাবাদ কিছুই পেলনা। জেলার ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষে বলা হয়, আমাদের জেলার জন্য কোনও চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি।

    জেলার ব্যবসায়ী সংগঠনের বক্তব্য (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ়ের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কুমার ভট্টাচার্য বলেন, “প্রত্যেক বারের মতো এই বারেও আমরা বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ডাক পেয়েছি। আগেই ই-বাস তৈরির কারখানার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল। এই বছর আমাদের চোখের সামনে অন্য জেলার জন্য চুক্তি স্বাক্ষর হলেও আমাদের জন্য কিছুই মেলেনি। বারবার বাণিজ্য সম্মেলনে আমরা পিছিয়ে পড়ছি। জেলায় বড় পর্যটন ক্ষেত্রে কোনও বিনিয়োগ নেই।”

    স্থানীয় মানুষে বক্তব্য

    বহরমপুরের (Murshidabad) এক স্থানীয় দীপক মণ্ডল বলেন, “আমাদের জেলায় তিন মাসে ৩ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকের নাম নথিভুক্ত করেছেন। ফলে খুব স্পষ্টত জেলায় কত মানুষ বেকার। কাজের জন্য অন্য রাজ্যে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে হচ্ছে। জেলায় কাজ থাকলে তাঁদের আর বাইরে গিয়ে কাজ করতে হতো না। বেকারত্ব এবং পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কমাতে গেলে প্রয়োজন শিল্প কারখানা। যা আমাদের জেলায় নেই।”

    জেলা শিল্প কেন্দ্রের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) শিল্প কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত জেনারেল ম্যানেজার আহমদুল্লা তালিব বলেছেন, “বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আমাদের কিছু জানানো হয়নি। রাজ্য থেকে জানানো হলে আমরা অবশ্যই জানাবো।” অপরদিকে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০৮ সালের রেজিনগর শিল্পতালুকে ১৮৭ একরের জমিতে শিল্পের শিলান্যাস করেছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। পরবর্তী কালে আর কিছুই কার্যকর হয়নি। বর্তমানে খা খা করছে এই শিল্পতালুক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ৪৮০ জন পড়ুয়া, ২ জন শিক্ষক! ক্লাস বন্ধ রেখেই চলছে হাইস্কুল

    Dakshin Dinajpur: ৪৮০ জন পড়ুয়া, ২ জন শিক্ষক! ক্লাস বন্ধ রেখেই চলছে হাইস্কুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের ছাত্রসংখ্যা ৪৮০ জন। আর স্কুলে শিক্ষক মাত্র ২ জন। পড়াশুনা কার্যত শিকেয় উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) কুমারগঞ্জের তুলট উচ্চবিদ্যালয়ে। পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি একসঙ্গে চালানোর মত শিক্ষক নেই। ফলে. বেশিরভাগই সময়েই ক্লাস বন্ধ থাকছে। গত প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরেই এমনই শিক্ষক সংকটে ভুগছে কুমারগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রামের তুলট উচ্চবিদ্যালয়। স্কুলের দুর্দশা দেখে স্থানীয় কিছু যুবক যুবতী অবশ্য এগিয়ে এসেছেন। তাঁরা মাঝে মাঝে স্কুলে গিয়ে ক্লাসও করাচ্ছেন। এদিকে স্কুলের এই বেহাল দশা দেখে দিন দিন কমছে পড়ুয়ারার সংখ্যা। এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শক নিতাই চন্দ্র দাস বলেন, পুরো বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

    একবছরে প্রায় ৫০ জন পড়ুয়া স্কুল ছেড়েছে (Dakshin Dinajpur)

    স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) কুমারগঞ্জ ব্লকের জাখিরপুর গ্রামপঞ্চায়েতের তুলট গ্রামে রয়েছে এই স্কুল। কয়েক বছর আগে স্কুলটি অষ্টম শ্রেণি থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত হয়েছে। আগে থেকেই শিক্ষক কম ছিল। উৎসশ্রী পোর্টাল চালুর পর থেকে একের পর এক শিক্ষক চলে যায়। কমপক্ষে ১২ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে প্রধান শিক্ষক এবং একজন সহকারি শিক্ষক রয়েছেন। আরও একজন সহকারি অফিসের কর্মী রয়েছেন। তা বাদে এই স্কুলে আর কেউ নেই। ফলে, স্কুলের বেশিরভাগ কাজকর্ম স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাই নিজেরা করে। এদিকে ওই স্কুলে এক বছর আগে ৫০০ এর বেশি পড়ুয়া ছিল। কিন্তু, অষ্টম শ্রেণি ও নবম শ্রেণি থেকেই বেশি পড়ুয়া স্কুল ছাড়ছে। ফলে, একবছরে প্রায় ৫০ জন স্কুল ছেড়েছে বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বর্তমানে যে দুজন শিক্ষক রয়েছেন, তাদের একজন ইংরেজি ও বিজ্ঞানের। ফলে, বাংলা, ইতিহাস, ভূগোল, অংক সহ নানা বিষয়ে কার্যত ক্লাসই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওই ক্লাসগুলিও হয়না বলেই পড়ুয়ারা জানাচ্ছে। ফলে, অনেক সময় শুধুমাত্র মিড ডে মিল খেয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছে পড়ুয়ারা।

    ক্লাস বন্ধ রেখে স্কুল চালাতে হচ্ছে, দাবি প্রধান শিক্ষকের

     দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) তুলট উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৃষ্ণ জোত্যি সরকার বলেন, স্কুলে দীর্ঘদিন ধরেই শিক্ষকের অভাব ছিল। অনেকেই বদলি নিয়ে বাড়ির কাছে চলে গিয়েছে। যার ফলে এখন মাত্র দুইজন শিক্ষক ও একজন অফিস কর্মী দিয়েই স্কুল চলছে। এতজন পড়ুয়াদের আমরা ঠিকমত ক্লাস নিতে পারছি না। বেশিরভাগ সময়ই ক্লাস বন্ধ থাকছে।

    পড়ুয়া ও অভিভাবকরা কী বললেন?

    এক স্কুল পড়ুয়া বলেন, আমাদের স্কুলে সব বিষয় পড়ানোর মতো শিক্ষক নেই। ফলে, ক্লাস হয় না। পড়ুয়াদের অভিভাবক পীযুষ কান্তি সরকার এবং এমাজুল মোল্লা বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা একেবারেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। পড়াশোনার প্রতি তারা আগ্রহ হারাচ্ছে। আমরা প্রত্যন্ত গ্রামে বাস করি, তাই দূরের স্কুলেও ছেলেমেয়েদের ভর্তি করাতে পারছিনা। প্রশাসন বিষয়টি দেখছে না। দ্রুত এই স্কুলের হাল না ফিরলে আমাদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার ২ কোটির সোনার বিস্কুট, গ্রেফতার ৮

    Nadia: নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার ২ কোটির সোনার বিস্কুট, গ্রেফতার ৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ২ কোটির সোনার বিস্কুট উদ্ধার করল সীমান্ত সুরক্ষ বাহিনী। একই সঙ্গে উদ্ধার একটি পিস্তল, ফেনসিডিল এবং গাঁজা। একেবারে হাতেনাতে ধরা হয়েছে পাঁচ মহিলা সহ মোট ৮ জনকে। এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এই ঘটনায়।

    নদিয়ার কোথায় উদ্ধার হয়েছে (Nadia)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু এই পাচারের গোপন খবর আগেই পেয়ে যান বিএসএফের অফিসারেরা। এরপর নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের পুলিশ এবং রাজস্ব গোয়েন্দা দফতরের কাছে খবর দেওয়া হয়। এরপর শুরু হয় সীমান্ত সংলগ্ন বিজয়পুর গ্রামে চলে যৌথ অভিযান। সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩০ নভেম্বর এবং ১ ডিসেম্বর দুই দিন ধরে চলে অপারেশেন। অবশেষে উদ্ধার হয় গতকাল শনিবারে।

    সীমান্তে চলেলে যৌথ অভিযান

    গত কয়েক মাসে নদিয়ার (Nadia) ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পেয়েছে বিএসএফ। গতকাল শনিবার বিজয়পুর গ্রামে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী এবং ডিআরআই যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে ৩ কেজি ৫০০ গ্রাম সোনার বিস্কুট উদ্ধার করে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এছাড়াও পুলিশের তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল, তিনটি কার্তুজ, একটি ম্যাগাজিন, দুই কেজি গাঁজা এবং ৬৯ বোতল ফেনসিডিল।

    সীমান্তের সক্রিয় বিএসএফ

    ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাকারবার নিয়ে বারবার সংবাদ মাধ্যমে খবর উঠে এসেছে। কেন্দ্র সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সীমান্তবর্তী এলাকায় ইতিমধ্যে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকাকে বিএসএফের নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারের পুলিশ প্রশাসনকে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার উপদেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধিকে কটাক্ষ করে রাজ্যের ক্ষমতায় কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি তুলেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের একাংশের কাছে নদিয়ার (Nadia) এই সাফল্য, সীমান্তে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধিকেই ইতিবাচক বলে মনে করছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বৈঠকই সার! মঞ্চ থেকেই নামিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল নেত্রীকে, কেষ্ট গড়ে ফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Birbhum: বৈঠকই সার! মঞ্চ থেকেই নামিয়ে দেওয়া হল তৃণমূল নেত্রীকে, কেষ্ট গড়ে ফের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচারকাণ্ডে জেলে রয়েছে। যত দিন যাচ্ছে বীরভূম জেলায় তৃণমূলের দ্বন্দ্ব বেড়েই চলেছে। কোন্দল থামাতে কয়েকদিন আগে ঘটা করে জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোলে বৈঠক করা হয়েছিল। জেলা নেতৃত্বের আশা ছিল, বৈঠকে সমস্যার সমাধান হয়েছে। জোটবদ্ধভাবে সকলকে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। আর তাতেই তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল।

    তৃণমূলের রাজ্য নেত্রীকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হল (Birbhum)

    জেলা নেতৃত্বের নির্দেশে বীরভূমের (Birbhum) খয়রাশোলে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। মঞ্চে শতাব্দী রায়, বিকাশ রায়চৌধুরী, চন্দ্রনাথ সিনহা, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজল শেখ সহ একাধিক জেলা নেতৃত্ব ছিলেন। সেই মঞ্চে ঠাঁই না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন রাজ্য মহিলা সেলের সাধারণ সম্পাদক অসীমা ধীবর। মঞ্চ থেকে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, ব্লকের তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল কাদেরি, খয়রাশোলের ব্লক সভাপতি কাঞ্চন অধিকারীর উদ্যোগেই এদিন জেলা তৃণমূলের এই বিজয়া সম্মিলনী হয় বলে জানা গিয়েছে। সেখানেই জেলার শীর্ষনেতৃত্ব ছিল। তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে নির্দেশ দিয়েছে, এসব কোন্দল দলে বরদাস্ত করা হবে না। সেই নির্দেশই সার। কোনও কিছুই কাজেই এল না। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য সেলের মহিলা সাধারণ সম্পাদক অসীমা ধীবর মঞ্চে বসেন।  মঞ্চে বসার সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ রাজ্য নেত্রী?

    রাজ্য সেলের মহিলা সাধারণ সম্পাদক অসীমা ধীবর বলেন, কয়েকদিন আগে বৈঠক করে কোন্দল মেটানোর জন্য বলা হল। আমরা ভাবলাম, সব মিটে গিয়েছে। কিন্তু, আমার মতো রাজ্য নেত্রীকে প্রকাশ্যে মঞ্চ থেকে নামিয়ে অপমান করা হল। আমাকে অপমান করার অর্থ দলকে অপমান করা। এই ব্লকের যারা দায়িত্বে রয়েছে, তারা এসব করল। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

    তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের বীরভূমের (Birbhum) জেলা নেতা বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, মন্ত্র একটাই তৃণমূল কংগ্রেস, নাম একটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে মতান্তর বা কোন্দলের কোনও জায়গাই নেই। এটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই। অসীমা আমাদের পুরানো কর্মী, এখানকার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। কোনও কারণে হয়ত ভুল বুঝেছে, দেখে নেওয়া হচ্ছে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপির দুবরাজপুর বিধানসভার বিধায়ক অনুপ সাহা বলেন, কাটমানি আর কোন্দল নিয়ে তৃণমূল দল গঠিত। তাই, বিজয়া সম্মিলনীতে অসীমা ধীবরকেই মঞ্চে উঠতে দিল না। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে তৃণমূল যে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল, সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও প্রকট হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: সরকারি মঞ্চে অভিষেকের ছবি! প্রশাসনের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন

    Abhishek Banerjee: সরকারি মঞ্চে অভিষেকের ছবি! প্রশাসনের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার উলুবেড়িয়ার একটি পঞ্চায়েত সমিতি অফিসে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মণ্ডহারবারের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ছবি রাখা নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। বিরোধীরা এই বিষয়ে সরব হতেই রাতারাতি সেই ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার সরকারি অনুষ্ঠানেও লাগল রাজনীতির রং! এমনিই অভিযোগ করলো বিরোধীরা। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান শহরে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Abhishek Banerjee)

    রবিবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে দুর্গাপুজোর মা কার্নিভালের সম্মান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া পুজো কমিটি বা ক্লাবগুলির মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও ইন্দ্রনীল সেন ও বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। ছিলেন জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি সহ জেলা প্রশাসনের  আধিকারিকরা। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও গোল বাঁধে অন্য জায়গায়। অনুষ্ঠানে ব্যানারে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মণ্ডহারবারের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) ছবি। ব্যানারের বাঁদিকে উপরে রাজ্যের মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। ঠিক তার নীচে তাঁর ছবি রয়েছে। তবে, এই বিষয়ে মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বা জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি কিছু বলতে অস্বীকার করেন।

    অভিষেক সাংসদ, ছবি থাকতেই পারে সাফাই তৃণমূলের

    রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের সাফাই, বিজেপির অভিযোগ করা অভ্যাস। তাই তারা এসব অভিযোগ করছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) লোকসভার সাংসদ। তাই, তাঁর ছবি থাকতেই পারে। তৃণমূল কখনও সরকারি মঞ্চ ব্যবহার করে না।

    নির্লজ্জ প্রশাসন, সরব বিজেপি

    এই অনুষ্ঠান নিয়ে বিষোদগার করেন বিজেপি জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা। তিনি বলেন,আসলে প্রশাসনের আধিকারিকরা এখন দু’কান কাটা হয়ে গেছে। সরকারি অনুষ্ঠানে এখানকার সাংসদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অথচ অনুষ্ঠানের ব্যানারে ছবি আছে ডায়মণ্ডহারবারের তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। কোনটা সরকারি আর কোনটা তৃণমূলের অনুষ্ঠান তা এখন বোঝা যায় না। নির্লজ্জ প্রশাসন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘জেলের মধ্যেই তৃণমূল ক্যাবিনেট মিটিং করবে,’ তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘জেলের মধ্যেই তৃণমূল ক্যাবিনেট মিটিং করবে,’ তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে যে সমস্ত বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো দিয়ে আসলে তৃণমূল কালো টাকা সাদা করতো। তৃণমূলে একে একে সবাই জেলে হবে। ওই পার্টির যা অবস্থা তাতে আস্তে আস্তে দেখা যাবে জেলের মধ্যেই তারা ক্যাবিনেট মিটিং করবে। শনিবার নদিয়ার কৃষ্ণনগরে একটি প্রতিবাদী সভায় এসে রাজ্য সরকারকে এভাবেই আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    লোকসভায় রাজ্যে আরও বেশি আসন পাবে বিজেপি, বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক কৃষাণ মোর্চার পক্ষ থেকে কৃষ্ণনগর লাইব্রেরির মাঠে একটি প্রতিবাদী জনসভার আয়োজন করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। কর্মীদের ভিড় উপচে পড়েছিল। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি তৃণমূলকে তুলোধোনা করেন। পরে, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, তৃণমূলের সবাই চোর। আগামী দিন দেখতে পাবেন সকলে গ্রেফতার হয়েছে। অন্যদিকে, মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজ নিয়ে অধ্যক্ষকে অধীর চৌধুরীর চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে অধীর চৌধুরী তৃণমূলের বিরোধিতা করলেও দিল্লিতে পাপ্পু আর এ রাজ্যের আম্মু একসঙ্গে রাজনীতি করে। তিনি বলেন, গত বছর লোকসভা ভোটে এ রাজ্য থেকে আমরা ১৮ টি আসন পেয়েছিলাম। তবে, এ বছর আমরা আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে অব্যাহত রাখব।

    কৃষ্ণনগর লোকসভা নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, কৃষ্ণনগর আসনটি এক সময় আমাদের ছিল। এই আসনে জয়লাভ করা আমাদের লক্ষ্য। তাই, এখানে একবার বা দুবার নয়, আমরা বার বার মিটিং করব। এখানে আমি ছাড়াও শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ সহ একাধিক নেতা বার বার মিটিং করতে আসবেন। অন্যদিকে, মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পথ খারিজের সমর্থন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ অধ্যক্ষের ব্যক্তিগত ব্যাপার। আর নিজস্ব পদাধিকার ক্ষমতা রয়েছে তিনি কী সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি নিজেই ঠিক করবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Purba Medinipur: “চোরেরা কী করে তাড়াতাড়ি জেলে যায় সেই কাজেই আমরা ব্যস্ত” হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Purba Medinipur: “চোরেরা কী করে তাড়াতাড়ি জেলে যায় সেই কাজেই আমরা ব্যস্ত” হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে অবশেষে খেজুরিতে (Purba Medinipur) নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী সভা করলেন। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রীকে একাধিক বিষয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন। তিনি বলেন, “খেজুরির মানুষ নানা ভাবে অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। যেহেতু তৃণমূলের ক্ষমতা কমে গিয়েছে তাই তারা এলাকায় অত্যাচার করছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই এলাককে উত্তপ্ত করে তোলা হয়েছিল। তাই চোরেরা কী করে তাড়াতাড়ি জেলে যায় এবং বঞ্চিতরা কীভাবে তাঁদের অধিকার ফিরে পায় সেই কাজে আমরা ব্যস্ত।”

    কী বলেন শুভেন্দু (Purba Medinipur)?

    রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী খেজুরিতে (Purba Medinipur) রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আজকের এই সভা কোনও রাজনৈতিক সভা নয়, ভোট চাওয়া বা দেওয়ার কথা বলতে আসিনি। এখানকার মানুষ বার বার অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। মানুষের মন জয় না করতে পেরে পুলিশকে দিয়ে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করানো হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে আমাদের কর্মীদের। সিপিএমের শাসনেও আমি নিজে এলাকায় মানুষের পাশে থেকেছি। এইরকম ঘটনা আগে হয়নি। যত মিথ্যা মামলা হয়েছে আমরা সব সাটিফায়েড কপি তুলে পুলিশের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবো। বোগা, চরকাপীঠ, কসবাতে সভা করেছি। বাটুল, গোপাল, রবীনদের মিথ্যা মামলায় পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। থানায় গিয়ে কর্মীদের ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছি। আমি সকলের পাশে বন্ধু হিসাবে থেকেছি।”

    আর কী বললেন?

    খেজুরিতে (Purba Medinipur) এদিন সভায় শুভেন্দু আরও বলেন, “তৃণমূলের চোর, ডাকাত যাঁদের দেখেছেন তাঁরা সবাই ২০১০ সালে হিমাংশু দাসের নেতৃত্বে হওয়া আন্দলেনের ফলে গর্তে লুকিয়ে ছিল। তৃণমূলের চোরদের একদম ভয় পাবেন না। এলাকার বিরাট নেতা নৌসদ, জালালদের মদের বতলে ছবি প্রকাশিত হয়। আমাকে দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন থরথর করে কাঁপে, ঠিক সেই সময় সিপিএমের লোকেরা কেঁপেছিল। সে দিন আমি ছিলাম বলেই আজ তোলা মূলেরা টিকে আছে। সিপিএমের প্রবীণ নেতাদেরকে বিজেপির পক্ষে আগামী লোকসভার ভোটে নামামো। একেবারে চৌকিদারের মতো পাহাড়া দেবো আমি আপনাদের। আপানাদের পাশে থেকে আমি সব রকম সহযোগিতা করব।”

    হাইকোর্টের অনুমতিতে সভা হয়েছিল

    খেজুরির (Purba Medinipur) বিজেপির মণ্ডল সম্পাদক রবীন মান্নারকে পুলিশ মিথ্যা মামলায় কেস দিয়ে গ্রেফতার করলে প্রতিবাদে ২ ডিসেম্বর সভা করার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু প্রশাসনের কাছে জানিয়েও আবেদন মেলেনি। এরপর মামলা যায় হাইকোর্টে। শক্রুবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চ, খেজুরিতে শনিবার ২ টো থেকে ৫ টা পর্যন্ত সভা করার অনুমতি দিয়েছিলেন।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhijeet Ganguly: ‘আপনি ত্রাতা, আমাদের ভবিষ্যৎ’, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বললেন উৎসাহী জনতা

    Abhijeet Ganguly: ‘আপনি ত্রাতা, আমাদের ভবিষ্যৎ’, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে বললেন উৎসাহী জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijeet Ganguly) রাজ্যবাসীর কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যুব সমাজের কাছে তিনি আইকন হয়ে উঠেছেন। শনিবার একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে মুর্শিদাবাদ এসে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা পেয়ে তিনি অভিভূত, সে কথা তিনি ব্যক্ত করেছেন।

    আপনি ত্রাতা, আমাদের ভবিষ্যৎ, বিচারপতিকে (Abhijeet Ganguly) বললেন উৎসাহী জনতা

    এদিন সাড়ে দশটা নাগাদ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijeet Ganguly) হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসে বহরমপুর কোর্ট স্টেশনে নামেন। সেখানে তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে সম্বর্ধনা জানানো হয়। এরপর সোজা সার্কিট হাউসে যান তিনি। সেখানে মুর্শিদাবাদ পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয় তাঁকে। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে হাজারদুয়ারি পরিদর্শনে যান বিচারপতি। প্যালেস মিউজিয়ামের ভেতর ঘুরে দেখেন। এরপরে সৈদাবাদের শহিদ ক্ষুদিরাম পাঠাগারে এসে একটি ক্যানসার ইউনিট এর উদ্বোধন করেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমের সামনে বলেন, ‘এই ধরনের কর্মকাণ্ড একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনই করতে পারে।’ এরপর তিনি একটি পাঠাগারের উদ্বোধন করতে বহরমপুরের ইন্দ্রপ্রস্থে যান। সেখানে সাধারণ মানুষের ভিড় ছিল লক্ষ্য করার মতো। বহু টেট পরীক্ষার্থীরা হাজির হয়েছিলেন। বিচারপতিকে দেখে উৎসাহী জনগণের মধ্যে থেকে আওয়াজ উঠল আপনি আমাদের ত্রাতা, আমাদের ভবিষ্যৎ। আপনি পারবেন এই বাংলাতে কলঙ্কমুক্ত করতে। পরে, রবীন্দ্র সদনের অনুষ্ঠান শেষ করে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসে কলকাতা ফিরে যান কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি।

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী, দাবি জানালেন অধীর

    প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Abhijeet Ganguly) মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘ আমি চাই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদের মুখ করে একটি ভোট করা হোক। তাঁর মতো মানুষরা রাজনীতিতে এলে নতুন দিগন্ত তৈরি হবে।’ এরপরেই বঙ্গ রাজনীতিতে ঢেউ উঠেছে। অধীরের মন্তব্য প্রসঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি শুনেছি। এসব ব্যাপারে আমি কিছু বলব না।’

    কী বললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়?

    মানুষের ভালোবাসায় যে তিনি অভিভূত, এমনটাই জানান  বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijeet Ganguly)। তিনি বলেন, ‘আমি মানুষের ভালোবাসায় অভিভূত। আমি ভগবান নই। আমি ভারতীয় বিচারব্যবস্থার একটি প্রোডাক্ট। কাউকে অভিনন্দন জানাতে হলে ভারতের বিচারব্যবস্থাকে জানান।’ তিনি পথ দেখালেও অনেকেই সেই পথ ধরে হাঁটবেন বলেও আশাবাদী বিচারপতি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: দুষ্কৃতীর মাথায় তৃণমূল মন্ত্রীর হাত! ভাইরাল ছবিতে ব্যাপক শোরগোল  

    Bankura: দুষ্কৃতীর মাথায় তৃণমূল মন্ত্রীর হাত! ভাইরাল ছবিতে ব্যাপক শোরগোল  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুষ্কৃতীর মাথায় তৃণমূল মন্ত্রীর হাত! সামজিক মাধ্যমে এই ছবি ছড়িয়ে পড়ায় ব্যাপক তর্জা শুরু হয়েছে। শাসক দলের মন্ত্রীরা যদি দুষ্কৃতীদের প্রত্যক্ষ মদত দেন তাহলে অসামাজিক কাজের শ্রীবৃদ্ধি তো ঘটবেই। ঠিক এইভাবে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা ক্ষোভ ব্যক্ত করছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) খাতড়ায়। অভিযুক্ত দুষ্কৃতীর নাম প্রসূন পণ্ডা। হাত রেখে ছিলেন রাজ্যের তৃণমূল মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Bankura)?

    খাতড়া (Bankura) সিনেমা রোডের দোকানের এক কর্মীর মাথা ফাটিয়ে ব্যবসায়ীকে ব্যাপক মারধর করেছিল তৃণমূল দুষ্কৃতী প্রসূন পণ্ডা। এর প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার ১২ ঘণ্টার অবরোধ ডাকা হয়েছিল ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে। আবার শুক্রবার এলাকায় অভিযুক্তের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী মহল সরব হলে এখনও পর্যন্ত পুলিশ এই দুষ্কৃতীকে ধরতে পারেনি। কিন্তু এর মধ্যেই দুষ্কৃতীর এবং রাজ্যের তৃণমূল মন্ত্রীর ছবি সামজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ছবিতে দেখা যায়, তৃণমূল মন্ত্রী, দুষ্কৃতীকে ভাই ফোঁটা দিচ্ছেন। ফলে অভিযোগ তোলা হয় মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ দুষ্কৃতী, তাই তাকে পুলিশ গ্রেফতার করছেনা।

    অভিযোগকারীর বক্তব্য

    বাঁকুড়ার (Bankura) পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, “হামলার অভিযোগে ইনজুরি রিপোর্ট দেখানো হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।” অপর দিকে দোকানে মহীতোষ ঘোষ বলেন তাঁর প্রেসক্রিপশেনে আঘাতের কথা লেখা হয়নি। হাসপাতাল থেকে ছাড়ার আগে সিটি স্ক্যান করার কথা বললেও তা উল্লেখ করেনি কাগজে। পাশপাশি খাতড়া ব্লক যাদব সভার সভাপতি সব্যসাচী মণ্ডল বলেন, “মামলাকে লঘু করতে হাসপাতালকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।” তবে যাকে মারধর করা হয়েছে তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় এলাকায় বিজেপির হয়ে কাজ করছেন বলে জানা গিয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি (Bankura) বাঁকুড়া জেলার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডল বলেন, “ওই ছবি প্রমাণ করে মন্ত্রী কত কাছের লোক। অসামাজিক কাজের শ্রীবৃদ্ধি ঘটছে। প্রভাবশালী বলেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। ছবিই প্রমাণ করে দুষ্কৃতীদের মাথায় কাদের হাত।”

    তৃণমূলমন্ত্রীর বক্তব্য

    সকল অভিযোগের কথা অস্বীকার করে তৃণমূল মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি (Bankura) বলেন, “ভাই ফোঁটার দিন অনেকে পার্টি অফিসে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে ওকেও ফোঁটা দিয়েছি। এর সঙ্গে দলের বা আমার কোনও যোগসূত্র নেই। বিজেপি কী বলছে তাতে আমার কিছু যায় আসে না।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: মমতা আসার আগে এ কী দশা তৃণমূলের! প্রস্তুতি বৈঠকে গরহাজির একাধিক নেতা

    Alipurduar: মমতা আসার আগে এ কী দশা তৃণমূলের! প্রস্তুতি বৈঠকে গরহাজির একাধিক নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগে আলিপুরদুয়ারে প্রস্তুতি সভায় তৃণমূলের একাধিক জেলা নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা গরহাজির কেন? এসজেডিএর চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী এমনই প্রশ্ন তোলায় চরম অস্বস্তিতে শাসকদলের জেলা নেতৃত্বও।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    আগামী ১০ ডিসেম্বর আলিপুরদুয়ারে সরকারি অনুষ্ঠানে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার রবীন্দ্র মঞ্চে তারই প্রস্তুতি বৈঠক ডেকেছিল জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। ওই বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সৌরভ দলের নেতাদের ও জনপ্রতিনিধিদের গরহাজিরা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।  যদি ও দলের চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন,  ৯০ শতাংশ নেতা জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কোনও সভায় ১০০ শতাংশ উপস্থিতি হয় না। প্রস্তুতি বৈঠকে যে নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যেও সামনের সারিতে বসা নিয়ে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর নেতাদের মধ্যে  শুরুতেই একটা বিশৃঙ্খলা পরিবেশ তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে দলের দুই জেলা নেতাকে তৎপর হতে দেখা যায়। যদিও এ নিয়ে জেলার নেতৃত্ব মুখে কুলুপ এঁটেছেন।

    প্রস্তুতি বৈঠকে কোন কোন তৃণমূল নেতা যাননি?

    প্রস্তুতি বৈঠকে গরহাজির ছিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে, টাউন ব্লক সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল সহ বেশ কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও অঞ্চল সভাপতিরা। তৃণমূলের ওই প্রস্তুতি সভা থেকেই সৌরভ বলেন, দলের নেতা, জনপ্রতিনিধিরা পঞ্চায়েত ভোটের আগে যতটা সক্রিয়, গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে সেই সক্রিয়তার অভাব দেখা গিয়েছিল। তাই আমরা গত লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে জিততে পারিনি। দলের কেউ কেউ যদি ভাবেন পঞ্চায়েত ভোটে দিতে গিয়ে নিজের পলিটিক্যাল ক্যারিয়ার করবেন, তারপর নিষ্ক্রিয় থাকবেন, সেটা কখনোই কাম্য হতে পারে না। দল সকলের উপর নজর রাখছে।

    জেলা তৃণমূলের সভাপতির কী বত্তব্য?

    তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar)  জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর সভায় প্রায় এক লক্ষ মানুষের জমায়েত করা হবে। যদিও সবাইস্থল এখনও ঠিক হয়নি।  বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, গত পাঁচ বছরে বিজেপির সাংসদকে এলাকার মানুষ খুঁজে পাননি। তাই সামনের লোকসভা ভোটে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী এখানে জয়ী হবেন।’ লোকসভা ভোটের মুখেও আলিপুরদুয়ারে শাসক শিবিরের দুই গোষ্ঠীর বিরোধ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে জেলা নেতৃত্বকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share