Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Purba Bardhaman: জলে আর্সেনিক, ট্যাপে জল আসে না, তৃণমূলের রাজত্বে নিষ্ক্রিয় প্রশাসন

    Purba Bardhaman: জলে আর্সেনিক, ট্যাপে জল আসে না, তৃণমূলের রাজত্বে নিষ্ক্রিয় প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের শাসনে পানীয় জলে আর্সেনিকের সমস্যায় কঠিন অবস্থার মধ্যে রয়েছে এলাকার মানুষ। পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) পূর্বস্থলীর মাদ্রাস গ্রামে টাকা খরচ করে পাম্প বসিয়েও সেই জল খেতে পারছেনা এলাকার মানুষ। বাধ্য হয়েই গত কয়েক বছর ধরে ভরসা কেনা জল। আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় অভাবী পরিবার দূর থেকে পানীয় জল এনে কাজ চালাচ্ছে বাসিন্দারা। আর্সেনিক প্রবণ গ্রামে এই ভাবেই পানীয় জলের সমস্যায় বছরের পর বছর কাটাচ্ছে কয়েকশো গ্রামবাসী।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য (Purba Bardhaman)

    পানীয় জলের সমস্যার কথা জানিয়ে স্থানীয় (Purba Bardhaman)  বাসিন্দা আনন্দ রায় বলেন, “মাটির নিচের পাইপ থেকে জল সংগ্রহ করে সেই জল পান করতাম আমরা। এরপর বাড়ির সকলেই আর্সেনিক আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। আর্সেনিকের বিষের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন আমার পরিবারের 8 জন। গত পাঁচ বছর ধরে আমাদের কলে জল পড়ে না। এলাকার মানুষের জলের সমস্যা নিয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না।”

    ২০০৩ সালে ট্যাপ দিলেও জল পড়ে না

    পূর্বস্থলীর (Purba Bardhaman) দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের আর্সেনিক প্রবণ মাদ্রাগ্রামে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পিএইচই দপ্তর থেকে বাড়ি বাড়ি আর্সেনিক মুক্ত পরিশ্রুত জলের ট্যাপ কল দেওয়া হয়েছিল ২০০৩ সালে। এলাকার মানুষের অভিযোগ, পাঁচ বছর আগে থেকেই সেই ট্যাপ কলে জল পড়ছে না। পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে বহুবার জানানো হলেও মিলেছে কোনও রকম সমাধান সূত্র। শুধু প্রতিশ্রুতিই সার। সমস্যার সমাধানে প্রশাসন একেবারেই নিষ্ক্রিয়।। তাই দিন দিন পানীয় জলের দাবিতে ক্ষোভ বাড়ছে আর্সেনিক প্রবণ এই মাদ্রা গ্রামের গ্রামবাসীদের।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও এলাকার (Purba Bardhaman) পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পানীয় জল সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, “জলের পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ায় বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছাচ্ছে না। তবে দ্রুত সমস্যার কথা সমাধান করার চেষ্টা করবো।”

    বিজেপির বক্তব্য

    পূর্ব বর্ধমান জেলার (Purba Bardhaman) বিজেপি সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলকের কাজ হল পাম্প বসিয়ে টাকা খরচের হিসাব দেখিয়ে কাটমানি খাওয়া। এবার নলে জল আসুক আর না আসুক দেখতে যায় না তৃণমূল। রাজ্যে চোরেদের শাসন চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • High Court: ফের আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য, খেজুরিতে শুভেন্দুর সভারও অনুমতি দিল সেই হাইকোর্ট!

    High Court: ফের আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য, খেজুরিতে শুভেন্দুর সভারও অনুমতি দিল সেই হাইকোর্ট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির সভা হলেই তাতে অনুমতি না দেওয়া এবং শেষমেশ হাইকোর্টের (High Court) গুঁতোয় অনুমতি দিতে বাধ্য হওয়া। তৃণমূল শাসনে এটাই যেন দস্তুর। মাত্র কদিন আগে ধর্মতলায় বিজেপির সভা নিয়েও সেই হাইকোর্টের থাপ্পড় খেল সরকার। কিন্তু এত ঘটনা ঘটে গেলেও বোধোদয় তাদের হয়নি। তাই একের পর এক সভায় বাধা দিয়েই চলেছে পুলিশ এবং প্রশাসন। বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলির অভিযোগ অন্তত তেমনই। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এমনটাই তারা করেছিল খেজুরিতে শুভেন্দুর সভা নিয়ে। কিন্তু এখানেও একই পরিণতি। হাইকোর্ট দিয়ে দিল সভার অনুমতি। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করার কৌশল কাজে দিল না মমতার সরকারের। শুধু অনুমতি দেওয়াই নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাইকোর্ট এমন সব মন্তব্য করেছে, যা যে কোনও প্রশাসনের পক্ষেই লজ্জাজনক। এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হাইকোর্ট প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে, শাসক দলের ক্ষেত্রে কি একই নিয়ম মেনে চলা হয়, যা বিজেপির ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে? হাইকোর্টের বিচারপতি রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, বিরোধী দলকে সভার অনুমতি পেতে এভাবে বারবার হাইকোর্টেই বা আসতে হবে কেন?

    অনুমতি দিতে টালবাহানা

    উল্লেখ্য, আগামীকাল, রবিবার খেজুরিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভা। এই সভার জন্য অনেক আগেই পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে চরম টালবাহানা শুরু করে। অনুমতি তো দেয়ইনি, আবেদন খারিজও করেনি। তাই বাধ্য হয়ে তৃণমূল হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হয়। মামলাটি এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাশে উঠেছিল শুনানির জন্য। সেখানেই রাজ্যের কাছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, ‘শাসকদল কি কর্মসূচির ১৫ দিন আগে পুলিশকে জানায়? সব সময় কেন বিরোধী দলকে অনুমতির জন্য আদালতে আসতে হবে?

    রাজ্যকে ভর্ৎসনা (High Court)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কতখানি এলাকা জুড়ে এই সভা করা হবে, তা রাজ্য জানতে চেয়েছিল। বিষয়টি উত্থাপন করে বিচারপতি (High Court) রাজ্যকে বলেন, ‘মঞ্চের আয়তন জানতে চাইছেন কেন? শেষবার যখন শাসকদল সভা করেছিল, তখন মঞ্চের আয়তন জানতে চেয়েছিলেন?’ তবে এদিন অনুমতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, শব্দ দূষণ যাতে না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। বজায় রাখতে হবে শান্তি। তাছাড়া উস্কানিমূলক বক্তব্যের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: বন্ধ হোটেলে বহাল তবিয়তে চলছিল নামী কোম্পানির ভুয়ো লটারির টিকিট ছাপানো

    Asansol: বন্ধ হোটেলে বহাল তবিয়তে চলছিল নামী কোম্পানির ভুয়ো লটারির টিকিট ছাপানো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের রাজত্বে সবই সম্ভব, জাল হচ্ছে লটারির টিকিট। আসানসোলের (Asansol) কুলটি থানার অন্তর্গত জামতারার পুলিশ রূপনারায়ণপুরের মিহিজাম যাওয়ার প্রধান রোডের কাছে একটি বন্ধ হোটেলে অভিযান চালায়। যেখানে ভুয়ো অবৈধ ডিয়ার লটারির টিকিট ছাপানোর কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রচুর অবৈধ টিকিট সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে সাতজনকে গ্রেফতারও করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে লটারি আইনে মামলা করা হয়েছে।

    পুলিশের বক্তব্য (Asansol)

    জামতারা (Asansol) পুলিশ সুপার অনিমেশ নাইথানি বুধবার মিহিজাম থানায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, “আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে কুলটি পুলিশের মাধ্যমে তথ্য পাওয়া গেছে মিহিজাম থানার অন্তর্গত আমোই রেলওয়ে আন্ডারপাসের কাছে বন্ধ হোটেলে নকল লটারি ছাপানো এবং বিক্রি করা হচ্ছে। টিকিট বিক্রেতারা রাজ্য সরকারকে ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা মুনাফার চক্র চালাচ্ছে। সেখানে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়।”

    গোপন সূত্রে অভিযান

    জামতারার (Asansol) পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসডিপিও আনন্দ জ্যোতি মিঞ্জ ও থানার ইনচার্জ ভাস্কর ঝা-এর নেতৃত্বে একটি দল গঠন করে অভিযান চালিয়েছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে বহু নকল লটারির টিকিট, লটারি তৈরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, আটটি ল্যাপটপ, ১২টি ডিজিটাল প্রিন্টার, বিভিন্ন সাইজের তেরশো লটারির টিকিট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    আর কী কী উদ্ধার হয়েছে?

    হোটেলে ওই বন্ধ কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু লটারির বান্ডিল, প্রিন্ট করা লটারির টিকিট সমেত সাতটি ব্যাগ, একটি ভারী কাগজের কাটিং মেশিন। তাছাড়া তিনটি ব্যবহৃত কার্তুজ, পাঁচটি বাইক ও দুটি প্রিন্টিং মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযানে ওই বন্ধ হোটেল থেকে মোট সাতজনকে আটক করা হয়। ধৃতরা হল জামতারা নারায়ণপুর (Asansol) ভ্যালি সিমলার কুণাল মণ্ডল, বিশাল মণ্ডল, গোবিন্দপুর বেলাতন্ডের শিবু গোপ, হেমু মল্লিক, আদিত্য মল্লিক, অন্নত মল্লিক, আস্তিক অধিকারী। তবে এই হোটেলের মালিক চন্দন ঠাকুরকেও খোঁজ করেছে পুলিশ। এই ঘটনায়, পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা নং ৭৪/২৩, ৪ লটারি আইন ১৯৯৮ এবং ৭ (৩) লটারি নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯৮ এর অধীনে সাতজন এবং অন্যান্য আরও অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: সরকারি অফিসে মমতার পাশেই অভিষেকের ছবি! হইচই হতেই সরিয়ে মুখরক্ষা

    Howrah: সরকারি অফিসে মমতার পাশেই অভিষেকের ছবি! হইচই হতেই সরিয়ে মুখরক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি দফতরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির সঙ্গে লাগানো হয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। সরকারি কার্যালয়ে কেন অভিষেকের ছবি? প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন এলাকার বিরোধীরা। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার অভিষেকের ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    কেন সরকারি দফতরে অভিষেকের ছবি?

    স্থানীয় (Howrah) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পঞ্চায়েত অফিসে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো হয়েছিল। বিরোধীদের প্রশ্ন ছিল তৃণমূলের এই সাংসদ তো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কোনও দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বা মন্ত্রী নন। তাহলে তাঁর ছবি কেন? বিরোধীদের আরও অভিযোগ, কেবলমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো বলে সরকারি দফতর বা কার্যালয়ে তাঁর ছবি রাখতে হয়েছিল! সংবাদ মাধ্যমে খবর জানাজানি হতেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিষেকের ছবি দ্রুত খুলে ফেলা হয়। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দলের তরফ থেকেই এই ছবি খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফলে এলাকার মানুষের প্রশ্ন,  সরকারের দফতর কি প্রশাসন চালাচ্ছে, নাকি পার্টি?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে তেমন ভাবে কিছু না বলতে চাইলেও দলের এক কর্মী বলেন, “সমিতির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেই ছবি সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংবাদপত্রে ছবির কথা প্রকাশিত হলে আমরা দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নিই যে ছবি খুলে ফেলা হবে। আবার উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক এবং তৃণমূল দলের চেয়ারম্যান সমীর পাঁজা বলেন, “প্রশাসনের বোধোদয় হয়েছে এটা খুব ভালো খবর।” যদিও এলাকার বিডিও অভিজ্ঞা চক্রবর্তীকে একাধিকবার ফোন করা হলে উত্তর পাওয়া যায়নি।

    বিরোধীদের বক্তব্য

    হাওড়া (Howrah) গ্রামীণ জেলার বিজেপি সভাপতি অরুণ উদয় পাল চৌধুরি বলেন, “তৃণমূলের দলটা হল জ্ঞানপাপী। বুঝে শুনেই অন্যায় কাজ করছে। সরকারি কার্যালয়ে দলের নেতার ছবিতেই স্পষ্ট হয় সরকার কীভাবে চলছে।” আবার এলাকার সিপিএম নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “আসলে নেতার ছবি সামনে রেখে চুপচাপ চুরি চলছিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paddy Procurement: সরকারি কেন্দ্রে ধান বেচতে গিয়েও দিতে হচ্ছে তৃণমূলের কাটমানি? প্রতিবাদে বিক্ষোভ চাষিদের

    Paddy Procurement: সরকারি কেন্দ্রে ধান বেচতে গিয়েও দিতে হচ্ছে তৃণমূলের কাটমানি? প্রতিবাদে বিক্ষোভ চাষিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূর-দূরান্ত থেকে ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি (Paddy Procurement) করতে এসে চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হলেন চাষিরা। প্রথমত, সার্ভার সমস্যায় হল না ধানের বিক্রি। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, ধান বিক্রি করতে প্রতি কুইন্টালে দিতে হচ্ছে ৫ কেজি ‘ধলতা’। অর্থাৎ এক কুইন্টাল ধান বিক্রির জন্য দিতে হচ্ছে ৫ কেজি অতিরিক্ত ধান। চাষিদের অভিযোগ, এটা সম্পূর্ণ নিয়মের বাইরে নেওয়া হচ্ছে। এটা দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চাষিরা। প্রতিবাদে ধান রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। কারণ, তৃণমূলকে কাটমানি দেওয়ার জন্যই ৫ কেজি অতিরিক্ত ধান নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি চাষিদের। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান চাষ করেন চাষিরা। সেই ধান বিক্রির উপর নির্ভর করেই চলে তাঁদের সারাটা বছর। এবার সেই ধান সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হলেন তাঁরা। মেশিন এবং সার্ভারের সমস্যা জনিত কারণে সারাদিন বসে থেকেও বিক্রি হল না ধান। প্রশ্নের মুখে মিলারদের (রাইস মিল) ভূমিকাও।

    চূড়ান্ত ভোগান্তির সম্মুখীন (Paddy Procurement)

    মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটল এলাকায় সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রের সামনে ওই বিক্ষোভ হয়। চাষিদের অভিযোগ, তাঁরা দূর-দূরান্ত থেকে এসেছিলেন ধান বিক্রির জন্য। ধান নিয়ে আসার জন্য যথেষ্ট খরচও হয়েছে। এই ধান বিক্রির (Paddy Procurement) অর্থের ওপর নির্ভর করে তাঁরা পরবর্তী চাষের খরচ জোগাবেন। কিন্তু সকাল থেকে বসে থেকেও তাঁরা বিক্রি করতে পারছেন না ধান। কারণ ওই ধান ক্রয় কেন্দ্রের ম্যানেজার জানাচ্ছেন, মেশিন এবং সার্ভারের সমস্যা রয়েছে। যার ফলে চূড়ান্ত ভোগান্তির সম্মুখীন হন চাষিরা। যদিও জানা গেছে পরবর্তীতে স্লিপ দিয়ে ধান নেওয়া হয়েছে। চাষিদের আরও অভিযোগ, ধান বিক্রি করতে গেলে প্রতি কুইন্টালে যে ৫ কেজি করে ধলতা দিতে হচ্ছে মিলারদের। অর্থাৎ ওই সরকারি কেন্দ্রে ধান ক্রয় করছেন যে রাইস মিল মালিকরা, তাঁরাই এই ধলতা নিচ্ছেন। কিন্তু প্রতি কুইন্টালে এই অতিরিক্ত পাঁচ কেজি ধান দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। এতে আধিকারিকদেরও যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ। এই নিয়েই রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাষিরা।

    তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দেওয়ার জন্য?

    এদিকে ৫ কেজি ধান তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দেওয়ার জন্য, খাদ্য-দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা বিজেপির। পাল্টা সাফাই তৃণমূলের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সমগ্র ঘটনা নিয়ে বিজেপির দাবি, তৃণমূল নেতারা এখান থেকেও কাটমানি নেয়। তাই ৫ কেজি করে অতিরিক্ত ধান দিতে হচ্ছে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গেও খোঁচা। যদিও পাল্টা তৃণমূলের দাবি, চাষিদের কথা মমতা ব্যানার্জির সরকার ভাবে। তাই ন্যায্য মূল্যের ধান ক্রয় কেন্দ্র (Paddy Procurement) করা হয়েছে। সমস্যা হলে সেটা তাঁরা মিল মালিকদের বলবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jafikul Islam: মারুতি ভ্যানের চালক থেকে কোটিপতি! তৃণমূল বিধায়কের উত্থান যেন সিনেমার চিত্রনাট্য

    Jafikul Islam: মারুতি ভ্যানের চালক থেকে কোটিপতি! তৃণমূল বিধায়কের উত্থান যেন সিনেমার চিত্রনাট্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের নতুন ‘নায়ক’ ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম (Jafikul Islam)। নায়ক এই কারণেই, তাঁর উত্থান কাহিনী সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে। ডোমকলের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুরের বাড়িতে একটি কয়েন বুথ দিয়ে জীবন শুরু। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সেখান থেকে গরুর হাটের মুন্সি, মুড়ির কল। তার পরে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া, হাইকোর্ট থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা, কাশ্মীরে নিরুদ্দেশ, তৃণমূলের প্রয়াত প্রাক্তন সাংসদ মান্নান হোসেনের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ। শোনা যায়, শুরুতে মারুতি ভ্যানের চালক হিসেবেও বেশ কিছু সময় কাজ করেছেন। সব মিলিয়ে ঘটনাবহুল জীবন। আর আজ? আজ তিনি যে সব জিনিসের মালিক, সেই তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। কী আছে তাতে শুনবেন? 

    ১২টি কলেজের মালিক? (Jafikul Islam)

    জাফিকুল ইসলাম সব মিলিয়ে ১২টি কলেজের মালিক বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে সাতটি বিএড কলেজ, তিনটি প্যারামেডিক্যাল কলেজ এবং দুটি ডিগ্রি কলেজ। ২০০৪ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যেই তিনি একের পর এক কলেজ করে ফেলেন। গোড়া থেকেই তিনি ছিলেন কংগ্রেসের সমর্থক। সেই সুবাদে তাঁর কলেজের মাঠ সভা-সমাবেশের জন্য ব্যবহার করতেন মান্নান হোসেন। এইভাবেই দু’জনের কাছাকাছি আসা। রাজনীতিতে ঢুকেছিলেন কাউন্সিলার হয়ে। এই ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই জিতেছিলেন তিনি। এরপরই তৃণমূলের যোগদান। পরে বিধায়ক হলেন ২০২১ সালের নির্বাচনে। শুধু বাইরে এত সম্পত্তি করেছেন, এমনটাই নয়। তাঁর দুধ সাদা প্রাসাদোপম বাড়িটি দেখলেও চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। এই বাড়িরই বেড রুম থেকে শুরু করে, এমনকি টয়লেটেও পাওয়া গিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। মিলেছে প্রচুর সোনাদানাও। টাকা গোনার জন্য মেশিন এনেও দীর্ঘক্ষণ পরে সব টাকা গোনা সম্ভব হয়েছে। শেষ যা হিসেব বিভিন্ন সূত্র মারফত মিলেছে, তাতে তাঁর বাড়ি (Jafikul Islam) থেকে পাওয়া গিয়েছে ৩৫ লাখ টাকা।

    টার্নিং পয়েন্ট মুড়ির কল? (Jafikul Islam)

    এলাকার বাসিন্দারা মনে করেন, জাফিকুলের জীবনের টার্নিং পয়েন্ট হল মুড়ির কল। ব্যাঙ্ক থেকে এর জন্য তিনি নিয়েছিলেন ৫৩ লক্ষ টাকা লোন। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে পারে, সেই সময় তাঁর তো কিছুই ছিল না। তা হলে ব্যাঙ্ক থেকে এই বিরাট অঙ্কের লোন তিনি পেলেন কীভাবে? জানা গিয়েছে,  এই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। কারণ, ব্যাঙ্ক অভিযোগ পায়, তিনি নাকি মসজিদের সম্পত্তি নিজের নামে দেখিয়ে ওই লোন নিয়েছেন। ব্যাঙ্ক তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে। হাইকোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এই সময়ই তিনি (Jafikul Islam) নিরুদ্দেশ হয়ে যান। অনেকে বলেন, তিনি  নাকি কাশ্মীরে চলে গিয়েছিলেন। যাই হোক, পরে ফিরে এসে তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। রকেট গতিতে শুরু হয় তাঁর উত্থান। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatpara: বোর্ড মিটিংয়ে তুমুল অশান্তি, উঠল চেয়ারপার্সনের পদত্যাগের দাবি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Bhatpara: বোর্ড মিটিংয়ে তুমুল অশান্তি, উঠল চেয়ারপার্সনের পদত্যাগের দাবি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কাউন্সিলাররা। বোর্ড মিটিংয়ের মধ্যেই পুরসভার চেয়ারপার্সন রেবা রাহার পদত্যাগ দাবি করেছেন দলেরই কাউন্সিলার সত্যেন রায়। পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক কাউন্সিলার এবং সিআইসি। সবমিলিয়ে এদিন বোর্ড মিটিংকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে  প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কাউন্সিলাররা দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত  (Bhatpara)

    ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভায় মোট আসন সংখ্যা ৩৩ টি। সবকটি আসনে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। এই পুরসভায় বিরোধী কাউন্সিলার বলে কেউ নেই। স্বাভাবিকভাবেই পুরসভায় উন্নয়নমূলক কাজের গতি পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু, বাস্তবেই হয়েছে উল্টোটা। কাউন্সিলাররা দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অনুগামী রয়েছেন বেশ কিছু কাউন্সিলার। জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের রয়েছে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার। পুরসভার বোর্ড গঠনের পর থেকেই দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব চলছেই। বেশ কয়েক মাস আগে তৃণমূল কাউন্সিলার সত্যেন রায়কে পুরসভার মধ্যে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে দলেরই অন্যগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয়েছিল ভাটপাড়ার রাজনীতি। পুরসভার বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ এবং কাউন্সিলরদের গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন সত্যেনবাবু। সেই ধারাবাহিকতা এখনও বজায় রয়েছে পুরসভায়।

    বৈঠকে কী নিয়ে অশান্তি?

    বুধবারই পুরসভায় ছিল সিআইসি বৈঠক। সেই বৈঠকে সিআইসি সদস্যরা চেয়ারপার্সনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে তাঁরা বিস্তর অভিযোগ জানান। সিআইসি সদস্যদের না জানিয়েই কাজকর্ম হচ্ছে পুরসভায়। বৈঠকে সিআইসি সদস্যরা সরব হন। বৈঠক চলাকালীন সিআইসি সদস্যরা মিটিং বয়কট করেই  বেরিয়ে যান। ফলে, মাঝ পথে মিটিং ভেস্তে যায়। বৃহস্পতিবার ছিল বোর্ড মিটিং। সেই মিটিংয়ে দুই কাউন্সিলার হাজির ছিলেন। বৈঠক চলাকালীনই সত্যেন রায় পুরসভার চেয়ারপার্সনের পদত্যাগ দাবি করেন, তাঁকে চেয়ারপার্সনের অনুগামীরা থামাতে গেলে বাকবিতণ্ডা বাধে। এরই মাঝে সিআইসি পূর্ত অরুণ ব্রহ্ম বলেন, আমার দফতরের কাজ পুরসভা এলাকায় হচ্ছে। অথচ পুরসভার সিআইসি সদস্য হিসেবে আমি সেই কাজ কি হচ্ছে তা জানতে পারছি না। কাজ হয়ে যাবার পর আমাকে দিয়ে ফাইলে সই করানো হচ্ছে। এটা চলতে পারে না।

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    জগদ্দল তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভায় যা উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে তা আগে কখনও হয়নি। কিছু মানুষ পুরসভার কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: তৃণমূল বিধায়কের শৌচাগারেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, যন্ত্র দিয়ে চলছে গোনা

    CBI: তৃণমূল বিধায়কের শৌচাগারেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, যন্ত্র দিয়ে চলছে গোনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অভিনেত্রী তথা মডেল অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। তাঁর দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি ক্যাশ এবং গয়না। মেশিন নিয়ে এসে রাতভর চলেছিল টাকা গোনার কাজ। আর তা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছিল রাজ্যবাসীর। সেই ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যেই এবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের  বা়ড়িতে হানা দেয় সিবিআই (CBI)। তাঁর বাড়ি থেকে মিলল কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। যা জানাজানি হতে এলাকার মানুষও হতবাক হয়ে যান। প্রতিবেতন লেখা পর্যন্ত ৩১ লক্ষ টাকার হদিশ মিলেছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    শৌচাগারেও মিলল লক্ষ লক্ষ টাকা (CBI)

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারীদের নজর ছিল ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের উপর। তাঁর বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, জাফিকুলের দুটি কলেজ রয়েছে। তাঁর সম্পত্তি, আয় এবং যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সকাল থেকেই সিবিআই আধিকারিকরা তল্লাশি শুরু করেন। বাড়ির পিছন থেকে দুটি ব্যাগের মধ্যে প্রচুর নথি উদ্ধার করে সিবিআই (CBI)। সেই তথ্য তদন্তকারী আধিকারিকরা খতিয়ে দেখেন। পরে, বাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালানোর সময় লক্ষ লক্ষ টাকার হদিশ পান আধিকারিকরা। এরপরই তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে বৃহস্পতিবার বিকেলে টাকা গোনার যন্ত্র নিয়ে আসা হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর মিলেছিল,মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুলের বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বেশ কিছু টাকা মিলেছে জাফিকুলের বাড়ির শৌচাগার থেকে। তদন্তকারীদের একটি অংশের সূত্রে দাবি, বিধায়কের বেডরুমেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকেও প্রচুর টাকার হদিশ মিলেছে।  বিধায়ক বর্তমানে বিধানসভার অধিবেশনের জন্য কলকাতায় রয়েছেন। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বিধায়কের বাড়ির শৌচাগারের  থেকে সাত লক্ষ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের ওই অংশের দাবি, জাফিকুলের ‘বেডরুম’ থেকেও কয়েক লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে।

    টাকা উদ্ধার নিয়ে বিধায়কের পরিবারের লোকজন কী সাফাই দিলেন?

    যদিও এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের (CBI) তরফে প্রকাশ্যে বা সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। বিধায়ক না থাকায় সিবিআই আধিকারিকরা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। বিধায়কের পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি কিছু সম্পত্তি বিক্রি করা হয়েছে। সেই টাকাই তাঁর বাড়িতে ছিল। অন্য কোনও বিষয়। তবে, শৌচাগারে কেন টাকা রাখা হয়েছিল সেই বিষয়ে পরিবারের লোকজন স্পষ্ট করে কোনও কিছু বলতে পারেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhalda: ‘জেলাশাসকের উপস্থিতিতে অনাস্থা ভোট হবে ঝালদায়’, নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার

    Jhalda: ‘জেলাশাসকের উপস্থিতিতে অনাস্থা ভোট হবে ঝালদায়’, নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভা ভোট শেষ হওয়ার এতদিন পরও ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় চেয়ারম্যান হিসেবে কে বসবে তা নিয়ে লড়াই চলছে। পুরসভায় বোর্ড গঠন এখনও আটকে রয়েছে আইনি জটে। পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে জোড়া মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ঝালদা পুরসভার অনাস্থা ভোট নিয়ে এদিন দিনক্ষণও ঠিক করে দিয়েছেন।

    কী নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক? (Jhalda)  

    বিচারক অমৃত সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আস্থাভোট করাতে হবে ঝালদায় (Jhalda)। ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ঝালদা পুরসভায় অনাস্থা ভোট করতে হবে। জেলাশাসককেই এই ভোটের দায়িত্ব নিতে হবে। আস্থাভোট করানোর পর সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে। যতদিন না আস্থাভোট মিটছে, ততদিন যেমন পুরসভার কাজ চলছে তেমন চলবে।’ জানা গিয়েছে, বর্তমানে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অপসারণের দাবিতে গত ২৩ নভেম্বর জোড়া মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। পাঁচ জন তৃণমূল কাউন্সিলর এবং দু’জন কংগ্রেস কাউন্সিলর পৃথক ভাবে মামলা দায়ের করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সেই মামলারই শুনানি ছিল।

    প্রসঙ্গত, ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় মোট ১২টি আসন। ৫টি করে আসন জেতে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। নির্দল পায় ২টি আসন। কে পুরবোর্ড গঠন করবে সেই নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে। ২০২২ সালে ২১ নভেম্বর আস্থাভোট হয় ঝালদা পুরসভায়। সেখানে নির্দলের সমর্থন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে কংগ্রেস। তবে, কংগ্রেস বোর্ড গঠন করার আগেই মামলা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। শেষ পর্যন্ত বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে শীলা চট্টোপাধ্যায় ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। কিন্তু, এবার শীলাকেই সরাতে চাইছে তৃণমূল ও কংগ্রেস দুই পক্ষই। তাই আস্থা ভোটের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিল প্রতারকরা, কীভাবে?

    Fraud: অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিল প্রতারকরা, কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই জামতারা গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বারাকপুর জুড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা (Fraud) করার অভিযোগ উঠেছিল একটি দলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। মূল পান্ডার খোঁজে তল্লাশি শুরু করছে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার রাজ্য পুলিশের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী কালীচরণ মাঝি প্রতারকদের খপ্পড়ে পড়লেন। তিনি বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের প্রাক্তন দেহরক্ষী ছিলেন। প্রতারকরা কয়েক দফায় তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৭ লাখ ১৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ইতিমধ্যেই বারাকপুর সাইবার ক্রাইম থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। একজন পুলিশ কর্মীর অ্যাকাউন্ট সাফ করে দেওয়ার ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কীভাবে প্রতারণা? (Fraud)

    রাজ্যজুড়ে অনলাইন প্রতারণা (Fraud) চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আধার কার্ড জালিয়াতি করে বহু মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা সাফ করে দিচ্ছে প্রতারকরা। অনলাইনে প্রতারকদের বিরুদ্ধে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে। অনেককে গ্রেফতারও করেছে। কিন্তু, প্রতারকদের এই জালিয়াতি বন্ধ করতে পারছে না পুলিশ। নিত্য নতুন কৌশল ব্যবহার করে প্রতারকরা মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, কালীচরণ মাঝি রাজ্য পুলিশের কর্মী ছিলেন। তিনি থাকেন সোদপুরে। তিনি পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। মাসখানেক আগে তিনি অবসরগ্রহণ করেন। স্বাভাবিকভাবে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অবসরকালীন অনেক টাকাই গচ্ছিত ছিল। এই গচ্ছিত টাকার একটা বড় পরিমাণ প্রতারকরা হাতিয়ে নেয়। কালীচরণবাবু বলেন, আমার মোবাইলের মেসেজে একটা নম্বর আসে। এরপর একটা অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। বিদ্যুতের বিল আপডেট নেই বলে জানানো হয়। আমি বিল মিটিয়ে দিয়েছি। অফিস যাচ্ছি বলার পর ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি বলেন, অফিস যাওয়ার প্রয়োজন নেই। একটি ওটিপি দিচ্ছি। সেটা শেয়ার করলেই বিল আপডেট হয়ে যাবে। ওটিপি শেয়ার করতেই পর পর মোবাইলে মেসেজ আসে। এরপর কয়েক দফায় আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৭ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, রাজ্যজুড়ে প্রতারণা (Fraud)  চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অবসরকালীন তিনি যে টাকা পেয়েছিলেন, সেই টাকার একটা বড় অংশ প্রতারকরা হাতিয়ে নিয়েছে। পুলিশে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আমাদের দাবি, যে বা যারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share