Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sea Beach: হারিয়ে যাচ্ছে তাজপুরের অনাবিল নির্জনতা, যত্রতত্র গজিয়ে উঠছে হোটেল, রিসর্ট!

    Sea Beach: হারিয়ে যাচ্ছে তাজপুরের অনাবিল নির্জনতা, যত্রতত্র গজিয়ে উঠছে হোটেল, রিসর্ট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ থেকে দশ বা পনেরো বছর আগেও বহু মানুষ সেভাবে জানতেন না যে সি-বিচটির (Sea Beach) বিষয়ে, আজ সেই সমুদ্র সৈকত পশ্চিমবঙ্গের উপকূল পর্যটনের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। হ্যাঁ, এই উপকূল পর্যটন কেন্দ্রটির নাম “তাজপুর”। পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক ছোট্ট অঞ্চল এই তাজপুর। বিস্তীর্ণ সোনালী বালুকাবেলা, সেই বালুকাবেলা জুড়ে লাল কাঁকড়ার খেলা করা, ঝাউগাছের আকাশ ছুঁতে চাওয়ার দুঃসহ প্রচেষ্টা, মাথার ওপর নীল আকাশ, আর বঙ্গোপসাগরের উর্মিল হাতছানি-এই সব নিয়েই তাজপুরের সংসার। পূর্ণিমা রাতে যখন সাগরের নীল জলের ওপর চাঁদের রুপোলি আলো এসে পড়ে, তখন এক অদ্ভুত ঘোর লাগে মনে। সূর্যাস্ত বা সূর্যোদয়ের সময় সূর্যের রক্তিম আভা তাজপুরকে করে তোলে আরও মোহময়ী, আরও সুন্দর। তখন প্রকৃতি প্রেমিক হৃদয় নিজের অজান্তেই কখন যেন গেয়ে ওঠে, “কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা, মনে মনে”।

    প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট (Sea Beach)

    যদিও এই মুহূর্তে তাজপুরের সেই অনাবিল নির্জনতা আর নেই। অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে সেই ঝাউ আর কেয়া গাছের আধিক্য। এখন আর সাগরের বালুকাবেলায় খেলা করা লাল কাঁকড়ার দল সেই পরিমাণে দেখা যায় না, প্রকৃতি আর পরিবেশ নষ্ট করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে একাধিক হোটেল, রিসর্ট। একদম বিচের ওপর একাধিক খাওয়ার ও থাকার হোটেল। তাতে প্রকৃতির ভারসাম্যটাই নষ্ট হতে চলেছে। তবু দু’দিন ছুটি কাটাতে তাজপুর এক অন্যতম সেরা স্থান (Sea Beach) হতেই পারে। তাজপুরের মোহনায় একটি ছোট নদী এসে মিশেছে সমুদ্রের সঙ্গে। নদীর ওপারেই আর এক জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র মন্দারমণি। ইচ্ছে হলে আর হাতে সময় থাকলে তাজপুর থেকে একই সঙ্গে ঘুরে নেওয়া যায় এই মন্দারমণি এবং শঙ্করপুরও।

    যাতায়াত ও থাকা-খাওয়া (Sea Beach)

    কলকাতা থেকে দিঘাগামী যে কোনও বাসে এসে নামতে হবে দিঘা-শঙ্করপুরের আগে বালিসাই স্টপেজে। এখান থেকে মাত্র চার-পাঁচ কিমি দূরে তাজপুর (Sea Beach)। যেতে হবে অটো বা টোটোতে। আর ট্রেনে গেলে দিঘাগামী ট্রেনে এসে নামতে হবে রামনগর ষ্টেশনে। সেখান থেকে গাড়ি বা অটোরিকশাতে আসতে হবে তাজপুর। থাকা এবং খাওয়ার জন্য এখানে রয়েছে বেশ কিছু হোটেল, রিসর্ট। এগুলির প্রায় সবকটিতেই থাকার সঙ্গে সঙ্গে খাওয়ারও ব্যবস্থা আছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: তৃণমূল পার্টি অফিসের পিছনে বোমা বিস্ফোরণ! উড়ল কিশোরের হাতের আঙুল

    Bomb Blast: তৃণমূল পার্টি অফিসের পিছনে বোমা বিস্ফোরণ! উড়ল কিশোরের হাতের আঙুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারুদের স্তূপের মধ্যে রয়েছে গোটা রাজ্য। বিজেপি সহ বিরোধীরা বার বার এই অভিযোগ করছে। এই ঘটনা কতটা বাস্তব তা উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার ঘটনার আরও একবার প্রমাণ করে দিল। জানা গিয়েছে, রবিবার দেগঙ্গার কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শেখের মোড় এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের পিছনে আচমকা বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে।  খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে জখম হল এক নাবালক। এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে।

    ব্যাগের মধ্যে কী রয়েছে দেখতে গিয়ে বিস্ফোরণ (Bomb Blast)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বোমা বিস্ফোরণে (Bomb Blast) জখম কিশোরের নাম আরমান গাজি। তার বয়স ১৩ বছর। তাকে উদ্ধার করে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, এদিন আরমান পার্টি অফিসের পিছনে আমবাগানে খেলছিল। সেখানে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ পড়েছিল। তার মধ্যে কী রয়েছে কা দেখতে যায় ওই কিশোর। বল মনে করে ব্যাগের ভিতর থেকে গোলাকার বস্তুগুলো টেনে বার করে আনে সে। আর তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। আরমানের একটি হাতের আঙুল উড়ে গিয়েছে। বাঁ হাতে চোট পেয়েছে। আমবাগানের মধ্যে বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনে এলাকার কয়েক জন ছুটে আসেন। উদ্ধার করা হয় জখম আরমানকে। খবর দেওয়া হয় দেগঙ্গা থানার পুলিশকেও। পরে ঘটনাস্থলে যান দেগঙ্গা থানা ও চাকলা ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিকরা। এ পর্যন্ত ওই ব্যাগের মধ্যে তিনটি তাজা বোমা পেয়েছে পুলিশ। বোমাগুলি উদ্ধার করার জন্য বোম্ব স্কোয়াডকে করার খবর দেওয়া হয়েছে। বিরোধীদের বক্তব্য, বাংলাকে বিস্ফোরকের উপর বসিয়ে রেখেছে তৃণমূল। সাধারণ মানুষের কোনও সুরক্ষা নেই।

    বিস্ফোরণের জন্য বিরোধীদের দায়ী করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব

    স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃণমূল নেতা শাহাবুল সর্দার  বলেন, সামনে লোকসভা নির্বাচন রয়েছে। আমাদের দলকে বদনাম করতে আইএসএফ এবং বিজেপি চক্রান্ত করে বাগানের মধ্যে এভাবে বোমা রেখে গিয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: রুটে দাপাচ্ছে বেআইনি আটো-টোটো, প্রতিবাদে বাস ধর্মঘটের ডাক

    Murshidabad: রুটে দাপাচ্ছে বেআইনি আটো-টোটো, প্রতিবাদে বাস ধর্মঘটের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২৭ নভেম্বরে বাস ধর্মঘটের ডাক দিল মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) বাস ওনার্স কাউন্সিল। দু’দিন আগেই বৈঠক করেই তাঁরা ধর্মঘটের কথা ঘোষণা করেছেন। তাঁদের মূল দাবি হল, বাসের রুটে বেআইনি ভাবে টোটো-আটো সহ অতিরিক্ত যাত্রীবাহী যান চলাচল বন্ধ করতে হবে। কারণ রুটে দাপাচ্ছে বেআইনি আটো-টোটো। মুর্শিদাবাদের বাস মালিকেরা আগেও বারবার সরকারের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু জানিয়ে ফল না মেলায় সরাসরি এবার বাস বন্ধের কথা ঘোষণা করলেন তাঁরা।

    চিঠি দিল বাস ওনার্স কাউন্সিল (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) বাসের রুটগুলিতে সরকারি নিয়ম-নীতিকে উপেক্ষা করে বারবার বেআইনি ভাবে নানান যাত্রীবাহী গাড়ি চালানোর অভিযোগ বিভিন্ন সময়ে উঠেছে। বাস চালক এবং বাসের মালিকদের এই নিয়ে রুটের পরিষেবায় ব্যাপক ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানা গিয়েছে। তাই ধর্মঘটকে সমর্থন করতে মুর্শিদাবাদের বাস ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনকে চিঠি দিয়েছেন মুর্শিদাবাদ বাস ওনার্স কাউন্সিল। সেই সঙ্গে পাশের দুই জেলা মালাদ এবং নদিয়ার বাস ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে সামিল হওয়ার জন্য অনুরোধও জানান তাঁরা।

    মুর্শিদাবাদ বাস ওনার্স কাউন্সিলের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) বাস ওনার্স কাউন্সিলের পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার অধিকারী বলেন, “সারা জেলা জুড়ে বাসের প্রত্যেক রুটে বেআইনি ভাবে অটো, টোটোর দৌরাত্ম্য চলছে। ফলে বাসে যাত্রী সংখ্যায় কম হচ্ছে। আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি আমরা। তাই আমরা ২৭ নভেম্বর, ২৪ ঘণ্টার জন্য বাসপরিষেবা বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করব। যদি আমাদের দাবি নিয়ে প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার বৃহৎ আন্দোলন করা হবে।”

    জেলা শাসকের বক্তব্য

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা শাসকের রাজর্ষি মিত্র বলেন, “বাস ব্যবসায়ীরা আমার কাছে এখনও এই বিষয়ে তেমন কিছু জানাননি। তাঁদের দাবি কী শুনবো। তবে লালগোলা রাজ্য সড়কে বেআইনি আটো বন্ধ করা হয়েছে। প্রশাসন এই বিষয়ে কাজ করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ধর্মতলায় বিজেপির ‘শাহি সমাবেশ’ উপলক্ষ্যে হয়ে গেল খুঁটি পুজো, উৎসাহ তুঙ্গে

    BJP: ধর্মতলায় বিজেপির ‘শাহি সমাবেশ’ উপলক্ষ্যে হয়ে গেল খুঁটি পুজো, উৎসাহ তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে রাজ্য সরকার যাঁদের নানাভাবে বঞ্চিত করেছে, তাঁদের নিয়েই বুধবার সভা করছে বিজেপি। সেই সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার সভাস্থানে সম্পন্ন হল খুঁটিপুজো। তার আগে বঙ্গ বিজেপির (BJP) নেতৃত্ব সেই স্থানে বসেই প্রধানমন্ত্রীর ১০৭ তম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শোনেন। খুঁটিপুজো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল সহ অন্যান্যরা। বুধবার বিজেপির সভা সংখ্যার বিচারে অতীতের সমস্ত রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবে বলে আশাবাদী গেরুয়া শিবির।

    হাইকোর্টের অনুমতিতেই হচ্ছে সভা

    ৯ বছর আগে, ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর একই স্থানে সভা করেছিল রাজ্য বিজেপি। তখনও হাজির ছিলেন বিজেপির তৎকালীন সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তারপর থেকে রাজ্যে বিজেপির (BJP) যথেষ্ট শক্তিবৃদ্ধি হয়েছে। বর্তমানে বিরোধী দলের জায়গাও পেয়েছে বিজেপি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের সন্ত্রাসকে উপেক্ষা করেও দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে গেরুয়া শিবির। মিলেছে ১০ হাজারেরও বেশি গ্রাম সংসদের আসন। এমতাবস্থায়, গেরুয়া শিবিরের কাছে লোকসভা ভোটের আগে শক্তি প্রদর্শনের বড় মঞ্চ হতে চলেছে ২৯ নভেম্বরের সভা। সভার অনুমতি নিয়ে অবশ্য জলঘোলাও কম করেনি রাজ্য প্রশাসন। একই জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস সভা করলেও বিজেপির সভায় আপত্তি তুলে প্রথমে অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। এরপরে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। উচ্চ আদালতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা পুলিশকে অনুমতি প্রদানের নির্দেশ দেন। প্রসঙ্গত, ওই একই স্থানে প্রতি বছর ২১ জুলাই সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশ্ন তোলে যে তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ যদি ওখানে হতে পারে, তবে বিজেপির সমাবেশ কেন নয়? বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। সেখানেও রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করে ডিভিশন বেঞ্চ। সভার অনুমতি প্রদানের বিষয়ে একক বেঞ্চের রায়কেই বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ।

    দুর্নীতি ইস্যুতে কোণঠাসা শাসকদল

    প্রসঙ্গত, শাসকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রামস্তরে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ির টাকায় কাটমানি নেওয়া, বার্ধক্য ভাতা এবং বিধবা ভাতার টাকা চুরির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এর পাশাপাশি রাজ্যস্তরে রেশন দুর্নীতি, শিক্ষা দুর্নীতি এবং গরু পাচারের মতো ঘটনায় শাসক দলের একাধিক নেতা বর্তমানে জেলবন্দি। লোকসভা ভোটের আগে দুর্নীতি ইস্যুতে অনেকটাই কোণঠাসা মমতা সরকার। এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গত অগাস্টে অভিষেক ও তাঁর দলবল কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে যখন দিল্লিতে একপ্রস্থ নাটক দেখায়, তখনই রাজ্যের বঞ্চিতদের নিয়ে পাল্টা সভার কথা ঘোষণা রাজ্য় বিজেপি (BJP)।

    সভায় থাকছে অভিযোগ জমা দেওয়ার বাক্স

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহল থেকে লোক আসবে বিজেপির (BJP) ভাড়া করা ন’টি ট্রেনে। একই সঙ্গে বুধবার হাওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে দুটি বড় মিছিল এসে মিশবে ধর্মতলায়। ধর্মতলার বিভিন্ন চত্বরে দশটি বড় মাপের বাক্স রাখা হবে। সেখানে বিজেপির সভায় যোগদান করা মানুষরা লিখিতভাবে জানাবেন যে কোন কোন প্রকল্প থেকে তাঁদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। আগামী দিনে এই আন্দোলন ব্লকস্তর পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সমস্ত অভিযোগ জমা করার পরে তা দিল্লিতে পাঠানো হবে। জানা গিয়েছে, বিজেপির সভায় অমিত শাহের ঢোকার কথা রয়েছে ঠিক দুপুর দুটো নাগাদ। রাজ্য বিজেপির শীর্ষস্থানীয় নেতা সুকান্ত মজুমদার থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পর্যন্ত প্রত্যেকেই নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রোফাইল পিকচার বদলে ফেলেছেন। সেখানে সমাবেশকে সফল করার স্লোগানও রাখা হয়েছে। বিজেপি (BJP) তরফ থেকে একটি থিম সং-ও লঞ্চ করা হয়েছে সমাবেশকে সফল করতে। 

    লাখ ছাড়াবে জমায়েত, আশা বঙ্গ বিজেপির

    বুধবারের সভা নিয়ে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা এক লক্ষ জমায়েতের কথা বলেছিলাম। কিন্তু যেভাবে আমরা বিভিন্ন জেলা থেকে সাড়া পাচ্ছি, তাতে সংখ্যাটা অনেক বেশি হয়ে যাবে।’’ বিজেপির সভা নিয়ে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসক দল। সে প্রসঙ্গে জগন্নাথবাবু বলেন, ‘‘বিশ্বের বৃহত্তম দল বিজেপি। কোনও আঞ্চলিক দলের অনুকরণের দরকার পড়ে না আমাদের। তারা কী বলছে, তা নিয়েও আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। তৃণমূল বরং দলের প্রকৃত মালিক নিয়ে নিজেদের মধ্যে গোলমাল মেটাক।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: রাস্তা কাটা, ঘুরপথে হাসপাতালে যাওয়ার পথেই প্রসূতির মৃত্যু!

    Bankura: রাস্তা কাটা, ঘুরপথে হাসপাতালে যাওয়ার পথেই প্রসূতির মৃত্যু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তোরণ তৈরীর জন্য কাটা হয়েছে রাস্তা, ঘুরপথে হাসপাতালে পৌঁছাতে হল দেরি। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই এক প্রসূতি মহিলার মৃত্যু ঘটল। ঘটনায় বাঁকুড়ার (Bankura) জয়পুরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এরফলে প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই মালদার বামনগোলায় রাস্তা খারাপের কারণে গ্রামে অ্যাম্বুল্যান্স চেয়েও পাওয়া যায়নি। উপায় না পেয়ে গ্রাম থেকে হাসপাতালে খাটিয়ায় করে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়। আর পথে যেতে যেতেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল রোগীর। খারাপ রাস্তার কারণে এবার আরও এক গর্ভবতী মহিলার মৃত্যূ ঘটল।

    প্রসূতি মহিলার পরিচয় (Bankura)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার (Bankura) জয়পুর ব্লকের ডান্ডে গ্রামে নিজের বাপের বাড়িতেই ছিলেন প্রসূতি তাপসী মন্ডল। সেখানেই গতকাল রাত থেকেই শারীরিক সমস্যা শুরু হয় তাঁর। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পরিবারের লোকজন তাঁকে ওষুধও দেন। কিন্তু তারপরও সমস্যা ক্রমশ বাড়তে থাকায়, আজ ভোরে ওই প্রসূতিকে হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেন পরিবারের লোকজন। আজ সকালে প্রসূতিকে গাড়িতে চাপিয়ে প্রথমে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সকলে। কিন্তু অত্যন্ত খারাপ রাস্তা, ফলে সমস্যা ব্যাপক আকার নিলে তড়িঘড়ি নিকটবর্তী জয়পুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পরিবারের লোকজন।

    রাস্তা কাটা ছিল

    প্রসূতিকে স্থানীয় হাসপাতালে (Bankura) পৌঁছানোর কিছুটা আগেই নির্মীয়মাণ তোরণ তৈরীর জন্য রাস্তা কাটা থাকায় তিন কিলোমিটার ঘুরপথে হাসপাতালে যেতে হয় রোগীকে নিয়ে। রোগীর পরিজনদের দাবি এই তিন কিলোমিটার ঘুরপথে হাসপাতালে যেতে তাঁদের প্রায় ৪০ মিনিট সময় বেশি লেগেছিল। আর তার জেরেই হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই প্রসূতির মৃত্যু হয়।

    পরিবারের বক্তব্য

    জয়পুরের (Bankura) মৃত গর্ববতী মহিলার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, “রাস্তা কাটা থাকায় ঘুরপথে হাসপাতালে পৌঁছাতে হয়। ঘুরতে না হলে আরও আগে তাপসীকে অক্সিজেন দেওয়া যেতো। ফলে তাপসীর মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হত।” স্বাভাবিক ভাবে এই ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন প্রসূতির পরিবারের লোকজন। হাসপাতালে যাওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় তোরণ তৈরীর জন্য কীভাবে দিনের পর দিন রাস্তা কাটা রয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় মানুষ। সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার মানুষ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: কাঠের মিলের মধ্যে ঢুকে দুই তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারল দলেরই লোকজন, কোন্দল প্রকাশ্যে

    South 24 Parganas: কাঠের মিলের মধ্যে ঢুকে দুই তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারল দলেরই লোকজন, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। কাঠের মিলের মধ্যে ঢুকে দুই তৃণমূল কর্মী সমর্থককে বেধড়ক মার অন্য গোষ্ঠীর। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মথুরাপুর-১ নম্বর ব্লকের ঢোলা থানার ভগবানপুর এলাকায়। আর সেই সিসি টিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসতেই অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির।

    সিসি টিভি ফুটেজে কী দেখা হল? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভগবানপুর এলাকায় স্থানীয় একটি কাঠের মিলের মধ্যে কয়েকজন দুষ্কৃতী ঢুকে কাঠ মিলের কর্মীদেরকে বেধড়ক মারধর করে। সেই হামলার ছবি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সিসিটিভি ফুটেছে দেখা যাচ্ছে, একদল দুষ্কৃতী  ওই কাঠের মিলের মধ্যে ঢুকে দুই ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধর করছে। তবে, এই সিসিটিভি ফুটেজ এর সত্যদার যাচাই করেনি মাধ্যম নিউজ। ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হন নিজাম উদ্দিন মোল্লা ও সাজিদুল রহমান মোল্লা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের প্রথমে কুলপি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁদের অবস্থার অবনতি হলে ডায়মন্ডহারবার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক রঙ লেগেছে।

    পঞ্চায়েতে সিপিএমকে সমর্থন করার অপরাধে হামলা

    জখম তৃণমূল কর্মী নিজাম উদ্দিন মোল্লা ও সাজিদুল রহমান মোল্লার বক্তব্য, আমরা তৃণমূল কংগ্রেসের পুরনো কর্মী। দলে সন্মান, গুরুত্ব না পেয়ে পঞ্চায়েতে সিপিআইএমকে সমর্থন করেছিলাম। এটাই ছিল অপরাধ। তারজন্যই ভগবানপুর এলাকার তৃণমূলের সদস্য নইম সাহার ঘনিষ্ঠ মইমুর পিয়াদা ও তাঁর নেতৃত্বে দুষ্কৃতী বাহিনী আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল সদস্য নইম সাহার সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বলেন, ‘নিজাম উদ্দিন মোল্লা ও সাজিদুর রহমান মোল্লাই মইমুর পিয়াদাকে বেধড়ক মারধর করেছে। তিনিও গুরুতর জখম হয়ে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’ তবে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের পক্ষ থেকে ঢোলা থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে গোটা বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে ঢোলা থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murder: জোরে গান চালানোর প্রতিবাদ করায় গলায়, ঘাড়ে, পেটে কাঁচি ঢুকিয়ে খুন

    Murder: জোরে গান চালানোর প্রতিবাদ করায় গলায়, ঘাড়ে, পেটে কাঁচি ঢুকিয়ে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার রাতে জগদ্ধাত্রী পুজোর ভাসানের বক্স বাজানো নিয়ে বচসা, তার জেরেই খুন (Murder) হতে হলে তরতাজা যুবককে। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম সাহেব আলি (২২)। এই ঘটনায় রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে চিংড়িঘাটা এলাকা। স্থানীয়রা দফায় দফায় অবরোধ করেন। ঘটনার মূল অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত বিট্টু সরকারকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযোগ মৃত সাহেব আলিকে গলায়, ঘাড়ে, পেটে, কাঁচি ঢুকিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এরপরে সাহেব আলিকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত (Murder) বলে ঘোষণা করেন।

    বিপাকে পড়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন মন্ত্রী সুজিত বসু

    এরপর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা চিংড়িঘাটা এলাকা। রবিবার সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা চিংড়িঘাটা এলাকা। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাতে থাকেন স্থানীয় মানুষজন।  নিজের বিধানসভাকেন্দ্রে এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ায় কার্যত বিপাকে পড়েন মন্ত্রী সুজিত বসুও। তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামতে দেখা যায় তাঁকে। স্থানীয়দের সঙ্গে সুর মেলাতেও দেখা যায় মন্ত্রীকে। প্রকাশ্যেই মন্ত্রী ঘোষণা করেন, দোষীর শাস্তি হবে।

    মূল অভিযুক্ত বিট্টু সর্দারকে আটক করেছে পুলিশ

    এই ঘটনায় স্থানীয়রা জানান যে মূল অভিযুক্ত বিট্টু সর্দার, এলাকায় কুখ্যাত দুষ্কৃতী (Murder) বলেই পরিচিত। এর আগেও একাধিক দুষ্কৃতীমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তার যোগ থাকার প্রমাণও মিলেছে। বার কয়েক জেলও খেটেছে সে। সম্প্রতি জামিনে মুক্ত হয় সে। জানা গিয়েছে, ঘটনার পরে বিট্টুর খোঁজ চালাতে থাকে পুলিশ। বিট্টুর বাড়িতেও চড়াও হয় স্থানীয় মানুষজন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিট্টুর স্ত্রীকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর পরেই বিট্টুকে একটি ট্যাক্সির ভিতরে আবিষ্কার করে স্থানীয়রা। উপস্থিত জনতা বিট্টুর ওপর চড়াও হয়। হাতের কাছে যা পাওয়া যায় তাই দিয়েই মারধর চলতে থাকে বিট্টুকে (Murder)। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে এবং হাসপাতালে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘এর আগেও বিট্টুর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছিল। তিনি জেল খেটেছেন। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়েছিলেন। শনিবার রাতের ঘটনা স্বতন্ত্র। উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: নেই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা, ব্যস্ত সড়কে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হল স্ট্রেচারে করেই

    Purba Bardhaman: নেই অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা, ব্যস্ত সড়কে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হল স্ট্রেচারে করেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসপাতালে ফ্রিতে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা থাকলেও রোগীর জন্য মেলেনি পরিষেবা। ব্যস্ত দ্রুতগামী সড়কে স্ট্রেচারে করে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হল হাসপাতালে। কালনা (Purba Bardhaman) সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এমন অমানবিক ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। উঠছে হাসপাতাল প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ। অবশ্য হাসপাতাল অ্যাসিণ্ট্যাণ্ট জানান, এমন ঘটনা যাতে আর না ঘটে তার জন্য আমরা ব্যবস্থা নেবো।

    উল্লেখ্য, রাজ্যে একাধিকবার হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসার জন্য রোগীকে নিয়ে যাওয়া হোক অথবা রোগী মারা গেলে মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। বামানগোলা, কালিয়াগঞ্জ এবং জলপাইগুড়িতে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা না দেওয়ার মতো অমানবিক নির্মম ঘটনার বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বিরুদ্ধে আগেও গুরুতর অভিযোগ উঠেছিল।

    রোগীর পরিচয় (Purba Bardhaman)

    হাসপাতেলে এই রোগীর পরিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, রোগীর বাড়ি মেমারি (Purba Bardhaman) থানার মহিষপুর এলাকায়। তাঁর নাম সাহার আলি মল্লিক। শুক্রবার সন্ধ্যায় হঠাৎ আহত হন তিনি। মাথায় ব্যাপক আঘাত লাগে। এরপর ভর্তি করা হয় কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ডাক্তার রোগীকে সিটি স্ক্যান করার কথা বলেন। এরপর রোগীকে হাসপাতাল থেকে বাইরে বের করে স্ট্রেচারে টেনে ব্যস্ততম রাস্তা দিয়ে স্ক্যান করতে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার ছবি ইতিমধ্যেও সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। প্রশ্ন ওঠে হাসপাতালে বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা থাকলেও কেন রোগীর জন্য পরিষেবা দেওয়া হয়নি।

    রোগীর ছেলের বক্তব্য

    বৃদ্ধ রোগীর ছেলে সাবর আলি বলেছেন, “ডাক্তার সিটি স্ক্যানের কথা বললে বাবাকে স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাই। কিন্তু হাসপাতালে (Purba Bardhaman) কোনও স্ক্যানের ব্যবস্থা না থাকায় বাইরে নিয়ে যেতে হয়। বাইরে নিয়ে যেতে বাবা টোটোতে উঠতে পারেননি। আবার আমার কাছে গাড়ি ভাড়া করে নিয়ে যাওয়ার মতো টাকাও ছিল না। আবেদেন করে বিনামূল্যের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবাও আমরা পাইনি। তাই রাস্তায় স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাই বাবাকে।”

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    হাসপাতালের (Purba Bardhaman) অ্যাসিণ্ট্যাণ্ট গৌতম বিশ্বাস বলেন, “যে পরীক্ষাগুলি দেওয়া হয়েছে তা এখানে করানো হয় না। রোগীর ক্ষেত্রেও পরীক্ষা বাইরে করতে যেতে হয়। তবে হাসপাতাল থেকে বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দেওয়া হয়। কিন্তু এই রোগীর ক্ষেত্রে কেন এমন ঘটল জানিনা। খোঁজ নিয়ে বলবো। এমন ঘটনা আর যাতে না ঘটে সেই দিকে আমরা ব্যবস্থা নেবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatar: প্রকাশ্য সভায় বদলার নিদান তৃণমূল বিধায়কের মুখে, বিতর্ক

    Bhatar: প্রকাশ্য সভায় বদলার নিদান তৃণমূল বিধায়কের মুখে, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের সমাবেশ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো আগেই সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধীদের উদ্দেশে। মূলত টার্গেট ছিল বিজেপি। তৃণমূল নেত্রী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, ৪ জনের বদলে ৮ জনকে জেলে ঢোকাবেন। এবার সেই সুরেই কার্যত সুর মেলালেন ভাতারের (Bhatar) তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘বদল নয়, এবার বদলা চাইব’। তৃণমূল বিধায়কের এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

     ঠিক কী বলেছেন বিধায়ক? (Bhatar)

    ভাতাড়ের সিপিএমের পক্ষ থেকে ইনসাফ যাত্রা করা হয়েছিল। তার পাল্টা হিসাবে শুক্রবার ভাতারের (Bhatar) বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর নেতৃত্বে ভাতারের বলগোনা বাজার থেকে ভাতার বাজার পর্যন্ত একটি পদযাত্রা করা হয়। পদযাত্রা শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মানগোবিন্দ অধিকারী বিরোধীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমাদের নেত্রী সেদিন বলে দিয়েছেন, আমাদের চারজনকে জেলে ঢোকালে, আমরা আটজনকে ঢোকাবো। উনি আগে বলেছিলেন বদলা নয়, বদল চাই। কিন্তু এবার বদলা চাইব।’ এরপরেই সিপিএমকে নিশানা করে বিধায়ক বলেন, তোমরা কি করেছো সেটা তো আমরা জানি। এখনকার ১৯ বছরের যুবকরা জানে না তোমরা কি করেছো। কিন্ত, আমরা জানি, সেই হিসাব আমরা চাই।

    বাম আমলে সিপিএমের অত্যাচারের কথা স্মরণ করালেন তৃণমূল বিধায়ক

    ভাতারের (Bhatar) তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ২০১০ এর ১০ই জানুয়ারি বনপাস স্কুলের কাছে টোটন মল্লিককে মারা হয়েছিল বোম মেরে। পুলিশের রিপোর্ট অনুযায়ী সে নিজের বোমাতেই নিজে মারা গিয়েছে। এরপর তিনি বলেন, ‘২০১১ সালের ৩০ শে জানুয়ারি তেঁতুলতলায় আমাকে গুলি করা হয়েছিল, তখন পুলিশগুলিটাকে বাজেয়াপ্ত করেছিল। এক পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম গুলিটা কি হল,যেটা বাজেয়াপ্ত করেছিলেন? তিনি বলেছিলেন, বড় সাহেবের নির্দেশে গুলিটা দেখায়নি। ইনসাফ তো আমরা চাই, তোমরা কি চাইবে?’

    বামেদের পাশে লোক দেখে তৃণমূল আতঙ্কিত, সরব সিপিএম নেতৃত্ব

    সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য অচিন্ত্য মল্লিক বলেন, ‘বদলার রাজনীতি, স্বৈরাচারী রাজনীতি নিয়ে চলছে, তৃণমূল ভয় পেয়েছে বামেদের পাশে লোক দেখে তাঁরা আতঙ্কিত।’ তাঁর কথায়, ১২ বছর ধরে ইনসাফ চাইতে পারলো না,এখন বলছে ইনসাফ চায়। এসব আর ওদের মানায় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: থানায় সটান হাজির শুভেন্দু, পুলিশের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলার হুমকি

    Suvendu Adhikari: থানায় সটান হাজির শুভেন্দু, পুলিশের বিরুদ্ধে অপহরণের মামলার হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আচমকা থানার সামনে একের পর এক গাড়ি এসে থামল। গাড়ি থেকে নামলে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সঙ্গে ছিলেন দলীয় বিধায়ক। সোজার ঢুকে পড়লেন থানার ভিতর। শনিবার রাত দশটার ঘটনা। ঘটনাস্থল পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানা। থানার ভিতরে এভাবে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ঢুকে পড়বেন তা আঁচ করতে পারেননি থানার ডিউটি অফিসার থেকে বড়বাবু। স্বাভাবিকভাবে সকলেই হকচকিয়ে যান।

    থানায় কেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  বাশগোড়াতে সভা ছিল। তার আগে বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানকার মণ্ডল কমিটির সম্পাদক যুব নেতা রবীন মান্নাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে  কাজ করা হয়নি বলে অভিযোগ। একেবারে সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। দীর্ঘক্ষণ তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। এই ঘটনার খবর পেয়ে রাত প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ দাসপুর থেকে কাঁথির বাড়ি ফেরার পথে মারিশদা থানায় ঢুকে পড়েন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তাঁর সঙ্গে ছিলেন খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক-সহ ধৃত বিজেপি নেতার পরিজন ও একঝাঁক দলীয় সমর্থক। শুভেন্দু আসার খবরে মারিশদা থানার বাইরে ক্রমশ ভিড় জমাতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা। থানার সামনে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

    পুলিশকে অপহরণের মামলার হুমকি দিলেন শুভেন্দু

    গাড়ি থেকে নেমে থানার ভিতরে ঢুকে কর্তব্যরত ডিউটি অফিসারের কাছে দলীয় নেতার গ্রেফতারির ‘অ্যারেস্ট মেমো’ দেখতে চান বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। এর পরেই পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। সেই সময় পুলিশকে রীতিমতো ধমকের সুরে সুপ্রিম কোর্টের একাধিক নির্দেশ ও আইনের বিভিন্ন ধারার উল্লেখ করে বিজেপি নেতার গ্রেফতারিকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেন। তিনি সরাসরি পুলিশ আধিকারিককে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আপনি সুপ্রিম কোর্টের আইন অমান্য করে ক্রিমিনাল প্রসিডিওর ভায়োলেট করেছেন। আমি ওঁর (বিজেপি নেতার) স্ত্রীকে দিয়ে এখনই কিডন্যাপের (অপহরণ) অভিযোগ দায়ের করাব।’ সেই সময়েই পিছন থেকে এক পুলিশকর্মী কিছু বলতে গেলে তাঁকে থামিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘ডোন্ট ডিকটেট মি, ডিউটি অফিসার আমাকে বলুন। সিভিল ড্রেসে গিয়ে বাড়ির লোকের সই ছাড়া দলীয় কর্মীকে তুলে এনেছে। অ্যারেস্ট করেছে ৪টের সময়, এখন রাত সাড়ে ১০টা বাজে। আমি অ্যারেস্ট মেমো চেয়েছি। সেটা দিতে সাড়ে ছ’ঘণ্টা লাগে নাকি! ডিউটি অফিসার আর ওসির বিরুদ্ধে মামলা করব।’ এরপর তিনি থানার বাইরের বেঞ্চে বেশ কিছু সময় বসে থাকেন‘অ্যারেস্ট মেমো’ হাতে পাওয়ার দাবিতে। তবে পুলিশের তরফে কোনও কাগজ না পেয়ে অবশেষে রাত ১১টার আগেই তিনি মারিশদা থানা থেকে বেরিয়ে যান। যাওয়ার আগে পুলিশকে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘আপনারা আইপিসি-সিআরপিসি মানেন না। আপনাদের সঙ্গে তা হলে আদালতেই আমার দেখা হবে। এই মামলাটি অনেক দূর যাবে।’

    খেজুরি বনধের ডাক দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা

    থানা থেকে বেরিয়ে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘দলীয় নেতাকে গ্রেফতারের পর দীর্ঘ ৫ ঘন্টা তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। সব শেষে রাত প্রায় ১০টা নাগাদ মারিশদা থানায় থাকা কয়েক জন বিজেপির শুভানুধ্যায়ী আমাকে ম্যাসেজ করে জানান, এই থানায় রবীন মান্নাকে রাখা হয়েছে। আমি থানায় ঢুকে যেতেই ডিউটি অফিসার থরথর করে কাঁপছেন। এদের বিরুদ্ধে আমরা অবশ্যই আদালতে যাব। ধৃত নেতা স্ত্রীকে দিয়ে আমি রবিবার কাঁথি আদালতে কিডন্যাপের মামলা দায়ের করব। সোমবার হাইকোর্ট খুললে সেখানে আমি রিট পিটিশন দাখিল করব। এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী সোমবার খেজুরি বনধ ডাকা হল।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share