Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Agnimitra Paul: ‘বেআইনি কয়লা-বালির কারবারে পুলিশ যুক্ত’, বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা পল

    Agnimitra Paul: ‘বেআইনি কয়লা-বালির কারবারে পুলিশ যুক্ত’, বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা পল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল শিল্পাঞ্চল জুড়ে রমরমিয়ে বেআইনি কয়লার কারবার চলছে। বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul) দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এই মন্তব্য করেন। শুক্রবার জামুড়িয়া থানার কেন্দা ফাঁড়ি ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ছিল বিজেপির। সেখানে যোগ দিতে এসে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বসে পড়েন অগ্নিমিত্রা। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখালেন তিনি। বেআইনি কয়লার কারবার বন্ধের তিনি আর্জি জানান। কয়েকদিন আগেই জামুড়িয়ার তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং দলীয় এক সভায় বলেছিলেন, এখানে কয়লা ও বালির বেআইনি সিন্ডিকেট চলছে। বলেছিলেন, এই সিন্ডিকেট তিনি রুখবেন। দাবি করেছিলেন, তাতে বিজেপি বা তৃণমূল, যে দলেরই লোক যুক্ত থাকুক রেয়াত করা হবে না। বিজেপি বিধায়কও বেআইনি কয়লা কারবারের বিরুদ্ধে তিনি সরব হন।

    তৃণমূল বিধায়ককে কী বার্তা দিলেন অগ্নিমিত্রা? (Agnimitra Paul)

    গরু পাচার, কয়লা কারবারীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নজরদারি শুরু করার পর এই শিল্পাঞ্চলে বেআইনি এই কারবার বন্ধ ছিল। ফের এই কারবার নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তৃণমূল বিধায়ক বেআইনি কারবার নিয়ে সরব হওয়া প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা (Agnimitra Paul) বলেন, তিনি (তৃণমূল বিধায়ক হরেরাম সিং) কেন বিজেপির কথা বলছেন? এভাবে হাওয়ায় কথা না ভাসিয়ে বরং কারা যুক্ত তার তালিকা দিন। বিধায়কের বক্তব্যের প্রতিবাদ করেন তিনি। তিনি বলেন, এখানকার বিধায়ক বলছেন, বিজেপি নাকি বেআইনি কয়লার সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত। বিজেপির নাম নিচ্ছেন, সাহস থাকলে বিজেপির কারা যুক্ত সিবিআইয়ের কাছে তালিকা দিন। অবৈধ বালি এবং কয়লার কারবার বন্ধ করতে পুলিশকেও আরও সক্রিয় হওয়ার দাবি তোলেন বিধায়ক।

    পুলিশকে নিয়ে কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    অগ্নিমিত্রা (Agnimitra Paul) বলেন, জামুড়িয়া, পাণ্ডবেশ্বরে বেআইনি কয়লা, বালির ব্যবসা চলছে। গাছ কেটে দেওয়া হচ্ছে, মানুষ জল পাচ্ছে না। সবকিছুর সঙ্গে পুলিশ প্রশাসন যুক্ত। তৃণমূলের মদতেই বেআইনি এসব কারবার চলছে। আর শাসক দলের সকলে জড়িত থাকার কারণে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে ভয় পাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Michaung: ‘বাংলার থেকে আয় হয় দ্বিগুণ,’ দাবি দুর্যোগে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকের

    Cyclone Michaung: ‘বাংলার থেকে আয় হয় দ্বিগুণ,’ দাবি দুর্যোগে আটকে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) ধাক্কায় বেহাল চেন্নাই। প্রবল বৃষ্টিতে কার্যত স্তব্ধ জনজীবন। চারিদিক জলমগ্ন। দুর্যোগের মধ্যে আটকে রয়েছেন এই রাজ্যের বহু পরিযায়ী শ্রমিক। স্বাভাবিকভাবে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা।  মালদা ও বাংলার অন্য নানা জেলা থেকে চেন্নাইয়ে এসেছেন বহু শ্রমিক। তাঁরা এখন দুর্দশায় পড়েছেন।

    চেন্নাইয়ের মজুরি দ্বিগুণ, দাবি পরিযায়ী শ্রমিকদের

    পরিযায়ী শ্রমিক মালদার বাসিন্দা সেলিম সেখ। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। তিনি বলেন, বৃষ্টি দেখে বুঝতেই পারিনি এমন পরিস্থিতি হবে। বাড়ি যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) জেরে এমনভাবে জল বেড়েছে যে আটকে পড়েছিলাম আমরা। ইন্টারনেট নেই, বিদ্যুৎ সংযোগও নেই। ফলে মোবাইল বন্ধ হয়ে বাড়ির সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছিলেন না। বৃষ্টির জন্য বন্ধ রয়েছে সব কাজ। এখানে রোজগার না থাকলে বসে খরচ বেড়ে যায়। তাই বাড়ি ফেরার চেষ্টা করছি। কিন্তু বাড়ি-ঘর ছেড়ে এতদূরে কেন আসেন তাঁরা? কারণ স্পষ্ট জানালেন ওই শ্রমিক। তিনি বলেন, রাজ্যেও রাজমিস্ত্রির হেল্পারের কাজ করতাম। কিন্তু বাংলায় যে কাজের জন্য দিনে ৩০০-৩৫০ টাকা মেলে, সেই কাজের জন্যই চেন্নাইয়ে মেলে ৭০০ টাকা। বাংলার থেকে দ্বিগুণ আয় হয় এখানে। বেশি আর্থিক স্বচ্ছলতার জন্য রাজ্য ছাড়তে বাধ্য হই। ডালিম হক বলেন, বাংলায় কাজ নেই। মজুরিও কম। এখানে মজুরি অনেকটাই বেশি। তাই, বাড়তি রোজগারের আশায় আমরা বাড়ি ছেড়ে এখানে এসেছি।

    দুদিন পরই খোঁজ মিলল তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী

    চেন্নাইয়ে থারাইপক্কমে থাকেন হুগলির কোন্নগরের বাসিন্দা তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী সৌমাভ মিত্র। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) জেরে  দুদিন ধরে তিনি পাননি খাবার ও পানীয় জল। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরিবারের সঙ্গে। প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে শেষমেশ খোঁজ মেলে সৌমাভর। শেষ পর্যন্ত,  ভিডিও কলে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। তাঁর বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন পরিবারের লোকজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Central Team: আবাস যোজনায় দুর্নীতি! উপভোক্তাদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

    Central Team: আবাস যোজনায় দুর্নীতি! উপভোক্তাদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও দুর্নীতি হয়েছে কি না সেই সব খতিয়ে দেখতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Central Team)। বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করেন তারা। মূলত কারা কারা ঘর পেয়েছে। তারা আসল ঘর প্রাপক কি না। ঘরের টাকা দিয়ে ঠিক মতো বাড়ি করা হয়েছে কিনা সেইসব সরেজমিনে খতিয়ে দেখেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। আগামী কয়েকদিন জেলায় থাকার কথা রয়েছে প্রতিনিধি দলের।

    কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নিয়ে কী বললেন উপভোক্তারা? (Central Team)

    বারবারই বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছিল একশো দিনের কাজের মত সরকারি আবাস যোজনার ক্ষেত্রেও ব্যাপক দুর্নীতি করা হয়েছে। এমন অভিযোগেই কেন্দ্রের তরফে একশো দিনের কাজের ও সরকারি আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েক মাস আগে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল একশো দিনের কাজ খতিয়ে দেখতে জেলায় এসেছিলেন। এবার সরকারি আবাস যোজনার ঘরের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে জেলায় এলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। মোট দুজনের প্রতিনিধি দল আগামীকালও জেলার বিভিন্ন এলাকা খতিয়ে দেখবেন বলেই জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। যদিও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এনিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। তবে সূত্রের খবর, অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতে সরকারি আবাস যোজনার ঘরের ক্ষেত্রে তেমন কোনও অভিযোগ পাননি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Central Team)। বৃহস্পতিবার বিকেলে বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকা পরিদর্শন করেন তারা। পাশাপাশি বংশীহারী ব্লকের মহাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। এবিষয়ে অমৃতখন্ডের বাসিন্দা শিবনাথ হেমব্রম বলেন, আমাদের সরকারি বাড়ি দেখতে উপর থেকে লোক এসেছিল। আমাদের ছবি তুলল। নাম ও সরকারি বাড়ি নিয়ে অনেক কিছুই জিজ্ঞেস করল।

    পঞ্চায়েত প্রধান কী বললেন?

    এবিষয়ে অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দেবদূত বর্মন বলেন,  আমার পঞ্চায়েত এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় সরকারি আবাস যোজনা ঘর ঘুরে দেখেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল (Central Team)। কোথাও কোন অভিযোগ পাননি। সঠিক ভাবেই সব জায়গায় কাজ হয়েছে। কেন্দ্র উদ্দেশ্যে প্রনোদিত ভাবেই বাংলার আবাস যোজনার ঘরের টাকা আটকে রেখেছে। এইভাবে বাংলার উন্নয়নকে দমিয়ে রাখা যাবে না।

    বিডিও-র কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে বালুরঘাট ব্লকের বিডিও সম্বল ঝাঁ বলেন, বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু এলাকা পরিদর্শন করেন ওই প্রতিনিধি দল। যারা ঘর পেয়েছে সেই সব বাড়িতে যান তারা। কথা বলেন ঘর প্রাপকদের সঙ্গে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে একদিনে ৯ নবজাতকের মৃত্যু, হাসপাতালের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে একদিনে ৯ নবজাতকের মৃত্যু, হাসপাতালের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে। একসঙ্গে এতগুলো নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। মৃতের পরিবারের লোকজনের দাবি, এই ঘটনার তদন্ত করার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ, হাসপাতালের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুদের বেশিরভাগ শিশুকেই জঙ্গিপুর হাসপাতাল থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। জঙ্গিপুর হাসপাতালের এসএনসিইউ ওয়ার্ড খারাপ থাকার কারণে শেষ মুহূর্তে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে দীর্ঘ এক মাস ধরে সংস্কারের কাজ চলছে। তার ফলে যে-সমস্ত নবজাতক অসুস্থ হয়ে পড়ছে, তাদের জঙ্গিপুর থেকে ভর্তি হচ্ছে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) মেডিক্যাল কলেজ স্কুলে ও হাসপাতালে। এছাড়া ডোমকল বা লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে থাকা নবজাতকদের অবস্থা খারাপ হলে তাদেরও পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে মুর্শিদাবাদ হাসপাতালে। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অনেক প্রসূতি চিকিৎসা বা প্রসব না করিয়ে ব্যাঙের দিতে ছাতার মতো যত্রতত্র গজিয়ে-ওঠা নার্সিংহোমে শিশু প্রসব করানো হচ্ছে। সেই সমস্ত নার্সিংহোমে চিকিৎসকরা অপারেশন করে দেওয়ার পরে সন্তানের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নবজাতকদের নিয়ে আসতে হচ্ছে চিকিৎসা করানোর জন্য। ঘটনা হল, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ওপর নির্ভর করেন এই জেলা-সহ পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষ। মোট ৫২টি আসন আছে নবজাতক বিভাগে। কিন্তু সেখানে বর্তমানে ১০০-র বেশি নবজাতক ভর্তি আছে। সবমিলিয়ে চাপ বাড়ছে হাসপাতালের ওপর। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ৫ জন শিশুর মৃত্যু হলে সেটিকে স্বাভাবিক ধরা হয়। কিন্তু এর বেশি শিশুর মৃত্যু হতেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। গাফিলতির কোনও ঘটনা ঘটেছে কি না তা খতিয়ে দেখতে জেলা স্বাস্থ্য দফতর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।

    কী বললেন এমএসভিপি?

    হাসপাতালের এমএসভিপি ডা. অমিতকুমার দাঁ বলেন, ‘৩০০ গ্রাম ও ৫০০ গ্রাম ওজনের শিশু ভর্তি ছিল। একজন শিশুর জন্মগত ত্রুটি ছিল হার্টের। তাই তাকে বাঁচানো যায়নি। গত ২৪ ঘণ্টায় সদ্যোজাতের মৃত্যু হয়েছে। জন্মগত ত্রুটি ও ওজন কমে যাওয়ার কারণে অনেক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Darjeeling: বরফের চাদরে ঢাকল দার্জিলিং, উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা

    Darjeeling: বরফের চাদরে ঢাকল দার্জিলিং, উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) সান্দাকফুতে অকাল তুষারপাত। আর এতে  বড়দিনের পর্যটন ব্যবসায় বিরাট লাভের আশায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার সান্দাকফুতে বরফ পড়ায় পাহাড় সহ লাগোয়া এলাকায় প্রবল ঠান্ডা নেমে এসেছে। বরফে ঢেকেছে সান্দাকফু। সান্দাকফুতে তুষারপাত হতেই উল্লসিত পর্যটকরা। এই মুহূর্তে ভিড়ে ঠাসা দার্জিলিং। মরসুমের প্রথম তুষারপাত উপভোগ করতে অনেকেই দার্জিলিং থেকে সান্দাকফুতে চলে যান। প্রথম তুষারপাতের খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকের ভিড় আরও বাড়বে বলে আশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। যে আবহাওয়া রয়েছে তাতে রাতের দিকে আরও তুষারপাত হতে পারে বলে মনে করছেন আবহবিদরা।

    আশায় বুক বাঁধছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা (Darjeeling)

    মরসুমের প্রথম বরফ পড়াকে ঘিরে আশায় বুক বেঁধেছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। সিকিমের লেক বিপর্যয়ের কারণে পুজোর পর্যটনের ধাক্কা লেগেছিল। এদিনের অপ্রত্যাশিত তুষারপাত বড়দিনের পর্যটনে ব্যাপক সাড়া জাগাবে বলে জানান ট্যুর অপারেটর সম্রাট সান্যাল। তিনি বলেন, সাধারণত এত আগে দার্জিলিং (Darjeeling) পাহাড়ে বরফ পড়ে না। এবার অসময়ের এই তুষারপাত বড়দিনের আগেই দার্জিলিংয়ে পর্যটকের ঢল নামাবে। বরফ দেখতে বহু পর্যটক এর মধ্যেই আসতে শুরু করবে। আমাদের আশা, পুজোর পর্যটনে যে ধাক্কা লেগেছিল বড়দিনের পর্যটনে অনেকটাই পুষিয়ে নেওয়া যাবে। এই আশায় বুক পাচ্ছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা।

    সকাল থেকেই ইঙ্গিত ছিল তুষারপাতের

    এই সময়ে বরফ পড়ার ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। যদিও কিছুদিন আগে সিকিমের বরফ পড়েছিল। তবে, দার্জিলিং (Darjeeling) জেলায় এদিন মরসুমের প্রথম বরফ পড়ায় সমতলে তাপমাত্রা নামতে শুরু করেছে। ঘূর্ণাবর্তের জেরে অনেক জেলাতেই শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত। বিকেল থেকে পাহাড়েও কিছু জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এদিন সকাল থেকেই সমতলে মেঘলা আকাশের সঙ্গে হিমেল হাওয়া ছিল। সন্ধ্যার দিকে কিছুক্ষণ ঝিরঝিরে বৃষ্টি শুরু হয়। এদিন পাহাড়ে বরফ পড়ায় সর্বত্র খুশির হাওয়া।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “স্টেট স্পনসর্ড ওয়েডিং”! মমতার ভাইপোর বিয়ে নিয়ে ট্যুইটে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “স্টেট স্পনসর্ড ওয়েডিং”! মমতার ভাইপোর বিয়ে নিয়ে ট্যুইটে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পারিবারিক বিয়ের অনুষ্ঠান সূত্রে মুখ্যমন্ত্রী দার্জিলিংয়ে রয়েছেন। আর এই বিয়ে নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি টুইট করে এই বিয়ের অনুষ্ঠানকে স্টেট স্পনসরড বিয়ে বলে তীব্র কটাক্ষ করেছেন।

    সিকিমের লেক বিপর্যয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা মেলেনি, তোপ রাজু বিস্তার

    ভাইপোর বিয়ে উপলক্ষে বুধবার বিকেলে কার্শিয়াং পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোট চারদিন তাঁর পাহাড়ে থাকার কথা। বৃহস্পতিবার সকালে  কার্শিয়াং ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। হঠাৎই তিনি একটি চা বাগানে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কিছুক্ষণ চা পাতা তোলার চেষ্টা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই পাতা তোলা নিয়েই সরব হয়েছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ। বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব ভুলে পর্যটকের মতো পাহাড়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কার্শিয়াঙে একজন পর্যটকের মতো সময় কাটাচ্ছেন। গত ৪ অক্টোবর সিকিমের লেক বিপর্যয়ে তিস্তায় প্রবল জলোচ্ছাস দেখা দেয়। তাতে দার্জিলিং ও কালিম্পং এলাকায় বিপুল ক্ষতি হয়েছে। ৫০০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একজন সরকারিভাবেই মারা গিয়েছেন। ১১ জন এখনও নিখোঁজ। সেই বিপর্যয়ে মুখ্যমন্ত্রী। পদধূলি পাহাড়ে পড়েনি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য তিনি কোনও উদ্যোগও নেননি।  মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিপর্যস্ত পাহাড়বাসীর পাশে এসে তাঁর দাঁড়ানো উচিত ছিল। সেখানে তিনি এখন পারিবারিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে পাহাড়ে এসে পর্যটকদের মত চা বাগানে গিয়ে পাতা তুলছেন। বিজেপি সাংসদের পাশাপাশি ভাইপোর বিয়ে নিয়ে বিরোধী দলনেতাও (Suvendu Adhikari) তীব্র কটাক্ষ করেছেন।

    [tw]


    [/tw]

     মুখ্যমন্ত্রীর চা পাতা তোলা নিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    রাজু বিস্তা বলেন, এদিন চা শ্রমিকদের  আপনজন প্রমাণের তাগিদে তাদের সঙ্গে পাতা তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন চা পাতা তুলে মুখ্যমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন কত কষ্টকর কাজ করেন চা শ্রমিকরা। সেই কাজে তারা ন্যায্য বেতন, সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সামান্য বেতনে কষ্টের মধ্যেই সংসার চালাচ্ছে চা শ্রমিকরা। আশা করবো সেই কষ্ট লাঘবের জন্য তিনি উদ্যোগ নেবেন। যদি চা শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা তিনি করেন তাহলেই সার্থক হবে তাঁর এই কর্মকাণ্ড।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: তৃণমূলের পুরসভার বিরুদ্ধে আন্দোলন দলেরই শ্রমিক সংগঠনের, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Raiganj: তৃণমূলের পুরসভার বিরুদ্ধে আন্দোলন দলেরই শ্রমিক সংগঠনের, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে সাধারণত বিরোধী সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্দোলন করা হয়। এবার সেই পুরসভার বিরুদ্ধে অবস্থান বিক্ষোভ খোদ তৃণমূল পরিচালিত কর্মচারী সংগঠনের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ (Raiganj) পুরসভায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Raiganj)

    বৃহস্পতিবার বকেয়া বেতন প্রদান, অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের বকেয়া পেনশন সহ একাধিক দাবিতে কর্মবিরতির পাশাপাশি অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হন তৃণমূল পরিচালিত পুর কর্মচারী সংগঠনের নেতৃত্বে পুর কর্মচারীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে বকেয়া টাকা না মেটালে তাঁরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে। এই আন্দোলনের জেরে ব্যাহত হয়েছে পৌর পরিষেবা। সাধারণ মানুষ বিভিন্ন কাজে পুরসভায় গিয়ে ঘুরে আসতে হচ্ছে।  তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন পরিচালিত পশ্চিমবঙ্গ পৌরকর্মচারী ফেডারেশনের রায়গঞ্জ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক শম্ভু ঘোষ বলেন,  মূলত চার দফা দাবিতে এই আন্দোলনে শামিল হয়েছে।  অস্থায়ী পুর কর্মীদের দু মাসের বকেয়া বেতন, অবসরপ্রাপ্ত পুর কর্মচারীদের তিন মাসের বকেয়া পেনশন, পুর (Raiganj) প্রশাসকের কথামতো বাকি অর্ধেক বোনাস প্রদান ও পুর কর্মচারীদের বকেয়া গ্রাচুইটির টাকার দাবিতে আমরা এই কর্ম বিরতি ও অবস্থান-বিক্ষোভ আন্দোলনে করছি। অতি দ্রুত এই বকেয়া টাকা না মেটানো হলে আমরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাব।

    তৃণমূল কর্মচারীদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস

    তৃণমূল কর্মচারীদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছে কংগ্রেস পরিচালিত শ্রমিক কর্মচারী সংগঠন আইএনটিইউসি। উত্তর দিনাজপুর জেলার কংগ্রেস পরিচালিত শ্রমিক কর্মচারী সংগঠনের  সম্পাদক অসীম কুমার ভৌমিক বলেন, তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যটাকে যেভাবে শেষ করে দিয়েছে, তেমনি রায়গঞ্জ (Raiganj) পুরসভা যখন থেকে তৃণমূলের দখলে গেছে তবে থেকে এই পুরসভার মান তলানিতে এসে ঠেকেছে। আমরা কর্মচারীদের স্বার্থে কাজ করি। তাই কর্মচারীদের এই দাবিকে সমর্থন করে এই আন্দোলনের পাশে আমরা আছি।

    রায়গঞ্জ (Raiganj) পুরসভার পুর প্রশাসক কী বললেন?

    এ ঘটনায় রায়গঞ্জ পুরসভার পুর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, এটা কোনও কোন্দল নয়। দাবিদাওয়ার বিষয়টি আমাদের কাছে জানিয়েছে। কর্মীদের স্বার্থে তাঁরা আন্দোলন করছে। খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Nagar: উদ্বোধন করেই দায় শেষ মুখ্যমন্ত্রীর ! কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল জানেন?

    Krishna Nagar: উদ্বোধন করেই দায় শেষ মুখ্যমন্ত্রীর ! কৃষ্ণনগরের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের হাল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘটা করে নদিয়ার কৃষ্ণনগরে (Krishna Nagar) কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই জেলার ছাত্রীদের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা হয়েছিল। কিন্তু, গত তিন বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও পরিকাঠামো তৈরি করা হয়নি। ফলে, মুখ্যমন্ত্রী স্বপ্নের কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা ক্রমশ কমছে।

    কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের কী অবস্থা? (Krishna Nagar)

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়টি চালু হয়। নিজস্ব ভবন না-থাকায় প্রথমে কৃষ্ণনগর (Krishna Nagar) উইমেন্স কলেজে এর ক্লাস হচ্ছিল। বছর খানেক পরে কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলের নতুন ভবনে ক্লাস শুরু হয়। কৃষ্ণনগর সরকারি মহাবিদ্যালয়ের প্রিন্সিপ্যালের আবাসনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়। ফলে,  কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবন নেই। কোনও স্থায়ী অধ্যাপক বা শিক্ষক নেই। স্থায়ী উপাচার্যও নেই। তিন বছর পেরিয়েও এমনই হাল এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। ছাত্রী সংখ্যা কমছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। কর্মীদের অনেকেই মনে করছেন, পরিকাঠামোর অভাব দেখেও অনেক ছাত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার উৎসাহ হারাচ্ছেন। বরং তাঁরা চলে যাচ্ছেন নিকটবর্তী বর্ধমান বা কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০টি বিষয়ে মোট আসন ৪৬০টি। এ বছর ভর্তি হয়েছেন ৩৪৩ জন। যেখানে গত বছর ভর্তি হয়েছিলেন ৪৩৭ জন।

    কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কোনও ভবন নেই?

    প্রশাসন সূত্রে খবর, কৃষ্ণনগরে (Krishna Nagar) এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবন তৈরির জন্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। তবে সেই টাকা পূর্ত দফতরের হাতে আসেনি। ফলে ভবন তৈরির কাজ বিশ বাঁও জলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ জন শিক্ষাকর্মী। সকলেই অস্থায়ী। ১৪৪ জন অতিথি অধ্যাপক। কোনও স্থায়ী অধ্যাপক নেই। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হয়েছেন কাজল দে। তিনি বর্তমানে ডায়মন্ডহারবার উইমেন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তাঁকে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে তিনিও নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেন না। এ ছাড়া ফিনান্স অফিসার, কন্ট্রোলার, রেজিস্ট্রার- সকলেই অবসরপ্রাপ্ত। তাঁদের নতুন করে নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের সকলে আবার নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Agriculture: জেলায় জেলায় মাঠ জুড়ে পাকা ধান, অকাল বৃষ্টিতে কপাল চাপড়াচ্ছেন চাষিরা

    Agriculture: জেলায় জেলায় মাঠ জুড়ে পাকা ধান, অকাল বৃষ্টিতে কপাল চাপড়াচ্ছেন চাষিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। এর ফলে চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। কারণ, ধান কাটা শুরু হলেও সেই ধান মাঠেই পড়ে আছে। মাঠের পর মাঠ জুড়ে শুধুই পাকা ধান। এদিকে বৃষ্টির জেরে সেই ধান নষ্টও হচ্ছে (Agriculture)। ফলে আবহাওয়ার এই আচমকা পরিবর্তন চাষিদের ক্ষেত্রে চরম বিপর্যয় ডেকে এনেছে। কীভাবে এই পরিস্থিতি থেকে তাঁরা বেরতে পারবেন, তা কারোরই জানা নেই। সরকারের দিক থেকেও এখনও পর্যন্ত কোনও আশার আলো দেখানো হয়নি।

    জেলায় জেলায় হাহাকার (Agriculture)

    পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলীর চাষি নিখিল ঘোষ বলেন, আমার আড়াই বিঘে জমি আছে। ধান কাটা অবস্থায় জমিতেই পড়ে আছে। বৃষ্টির কারণে ধান তুলতে পারছি না। দিনের পর দিন সারের দাম, শ্রমিকদের মজুরি ইত্যাদির খরচ বাড়ছে। ট্রাক্টরের খরচও বেশি। কিন্তু ধানের দাম পাচ্ছি না। এই অবস্থায় যদি ধান ঘরে তুলতেই না পারি, তাহলে তো পরিবার পরিজন নিয়ে পথে বসতে হবে। বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়া জেলাতেও একই পরিস্থিতি। আমন ধান একদিকে যেমন কাটা শুরু হয়েছিল, পাশাপাশি তা ঘরে তোলারও কাজ চলছিল। আচমকা টানা বৃষ্টি সব লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। মাঠের পর মাঠ জলের তলায় (Agriculture)। ধান এবং অন্যান্য সবজি ডুবে গিয়েছে। ফলে কাল বা পরশু রোদ উঠলেও বিঘের পর বিঘে জমির ফসল যে আর কিছু আস্ত থাকবে না, তা চাষিরা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন। তাই আমন ধানের সঙ্গে আলু চাষেও ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। কারণ, এখন জমিতে আলু বসানোর কাজ চলছে। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সেই কাজ থমকে গেল। তাছাড়া যেখানে আলু বসানো হয়ে গেছে, তাদের অবস্থাও হবে পাকা ধানের মতোই।

    ক্ষতি সবজি চাষেও (Agriculture)

    তবে দুশ্চিন্তা শুধু যে ধান নিয়ে, এমনও নয়। শীতের মরশুমে নানা সবজির চাষও (Agriculture) হয় জোর কদমে। ফুলকপি, বাঁধাকপি, পালং শাক, মটরশুঁটি, বিনস ইত্যাদির এখন বাজারও চাঙ্গা। কিন্তু এরকম একটা সময়ে অকাল বৃষ্টিতে যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। কারণ, অনেকেই চাষ করার জন্য মোটা টাকা ঋণ নিয়ে বসে আছেন। আশা, ফসল বিক্রি করে তা শোধ করবেন। কিন্তু ফসল যদি নষ্টই হয়ে যায়, তাহলে কপাল চাপড়ানো ছাড়া আর কোনও পথ খোলা থতাদের।এটা ভেবেই তাঁদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Singur: “সিঙ্গুরের মাটিতে প্রথম সরষের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন কে?” পরীক্ষার প্রশ্ন ভাইরাল

    Singur: “সিঙ্গুরের মাটিতে প্রথম সরষের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন কে?” পরীক্ষার প্রশ্ন ভাইরাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সিঙ্গুরের মাটিতে প্রথম সরষের বীজ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন কে?” সিঙ্গুর (Singur) গোপাল মোহিনী মল্লিক গার্লস হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় ইতিহাসের প্রশ্ন এটি। আর এই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল। বলা বাহুল্য, এ ধরনের প্রশ্নের সমালোচনায় মুখর নেট দুনিয়া। অনেকেই রাখঢাক না করে তির্যক মন্তব্য ছুড়ে দিয়েছেন। এমনকী ছাত্রীদের অভিভাবকরাও এ ধরনের প্রশ্নের যৌক্তিকতা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন। বিজেপি তো সরাসরিই বলছে, মাথারা যখন জেলে, তখন শিক্ষা ব্যবস্থার আর রইলটা কী?

    বিতর্ক কীভাবে দানা বাঁধল? (Singur)

    ‘অতীত ও ঐতিহ্য’। এটি হল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রকাশিত অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক। তারই একটি অধ্যায় হল ‘কৃষিজমির অধিকার, সিঙ্গুর গণ আন্দোলন’। বোঝাই যায়, তৃণমূল ক্ষমতাবলে নিজেদের আন্দোলনকেই গণ আন্দোলন নাম দিয়ে ছেলেমেয়েদের মধ্যে প্রচারের এই অভিনব এবং ন্যক্কারজনক পরিকল্পনা নিয়েছিল। আর এটাই ছিল সেই সময় বিতর্কের মূল বিষয়। অনেকেই সেই সময় প্রশ্ন তুলেছিলেন, শিক্ষায় এভাবে রাজনীতিকে টেনে আনা কেন? কিন্তু সরকার কারও কথাতেই গুরুত্ব দেয়নি। সেই বইয়ের জেরেই এবার নতুন বিতর্ক। কারণ অনেকেই হয়তো জানেন, টাটাদের হটিয়ে সেই জমিতে চাষ শুরু করিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রতীক হিসেবে তিনি নিজে জমিতে (Singur) নেমে সরষের বীজ ছড়িয়েছিলেন। কিন্তু এরকম একটি বিতর্কিত এবং রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে পরীক্ষার প্রশ্ন? অনেকেই হতবাক, জমছে ক্ষোভও।

    কে কী বলছেন?(Singur)

    সিঙ্গুরের বিজেপি নেতা মধুসূদন দাসের তোপ, তৃণমূল ক্ষমতার দম্ভে পাঠ্যপুস্তকে নিজেদের মতো করে ইতিহাস লিখেছে। ফলে এর মধ্যে সত্যতা নেই বললেই চলে। এভাবে ভুল জিনিস শিখিয়ে ছেলেমেয়েদের ভুল পথে চালিত করা হচ্ছে। বইয়ে লেখা ইতিহাসের চরিত্রদের অনেকেই তো জেলের ঘানি টানছেন। এই ধরনের প্রশ্ন চাটুকারিতারই নির্লজ্জ উদাহরণ। রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকারা আসলে যে শাসক দলের দাস-দাসী, তা এসব দেখলেই বোঝা যায়।

    যদিও সিঙ্গুর (Singur) ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি গোবিন্দ ধাড়া এর মধ্যে খারাপ কিছু দেখছেন না। তাঁর যুক্তি, চাষিরা জমি ফিরে পাওয়ার পর ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতীকী সরষে ছড়িয়েছিলেন। এটা বাস্তব এবং সেই কারণে পাঠ্যপুস্তকেই রয়েছে। সুতরাং বই বা সিলেবাসে যা আছে, প্রশ্নও তো সেখান থেকেই এসেছে। বাইরে থেকে তো নয়।

    বিতর্ক পিছু ছাড়ার নয় (Singur)

    হুগলি জেলার সিঙ্গুর (Singur) বরাবরই আলোচনার কেন্দ্রে এবং নানা কারণে খবরের শিরোনামে। টাটার কারখানা, জমি অধিগ্রহণ, মমতার আন্দোলন-এসবই যখন রাজ্য সরকার পাঠ্যপুস্তকে স্থান দিল, তখন তা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। কিন্তু তারপরেও সিঙ্গুর নিয়ে বিতর্ক যে পিছু ছাড়ার নয়, এবারের ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে দিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share