Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dibyendu Adhikari: কনভয়ে ঢুকে পড়ল ট্রাক, কীভাবে রক্ষা পেলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী?

    Dibyendu Adhikari: কনভয়ে ঢুকে পড়ল ট্রাক, কীভাবে রক্ষা পেলেন সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সড়ক ধরে গতিতে যাচ্ছিল গাড়ি। গাড়ির মধ্যে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। জাতীয় সড়কের মধ্যে  দুর্ঘটনার কবলে পড়ল সাংসদের গাড়ি। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের  মারিশদা থানা এলাকায়। বুকে এবং হাতে চোট পেয়েছেন সাংসদ। স্থানীয় নার্সিংহোমে চিকিৎসা করা হয়। তবে, এখন তিনি সুস্থ রয়েছেন।

    সাংসদের কনভয়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে ট্রাক (Dibyendu Adhikari)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া থেকে কাঁথির বাড়িতে ফিরছিলেন সাংসদ (Dibyendu Adhikari)। শনিবার সন্ধ্য ৭টা ৪৫ মিনিট নাগাদ দিঘা- নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়কের মারিশদা লোকাল বোর্ড বাসস্টপের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাঁর গাড়ি। জানা গিয়েছে, মারিশদা থানা পার করে আসার পর সাংসদের গাড়ির পাশে আচমকা করেই একটা ১২ চাকার লরি চলে আসে। অতি দ্রুত গতিতে সাংসদের গাড়িকে ওভারটেক করে একেবারে তাঁদের গাড়ির সামনে চলে আসে। প্রচণ্ড গতিতে থাকা সাংসদের গাড়ি আচমকা থামিয়ে চালক নয়নজুলির দিকে কিছুটা গাড়িটি নামিয়ে দেয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, নয়নজুলির দিকে গাড়িটি না নামালে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ লাগার সম্ভাবনা ছিল। তাতে আরও বড় বিপদ হতে পারত। চালকের উপস্থিত বুদ্ধিতেই বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেল।

    কী বললেন সাংসদ?

    সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari) বলেন, চোখের সামনে বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেলাম। আচমকা ব্রেক কষার জন্য গাড়ির ভিতরেই আমি হুমড়ি খেয়ে পড়ি। বুকে, হাত চোট লাগে। তবে, ট্রাকটি আমাদের গাড়ি থেকে সামান্য দূরে ছিল। আমাদের গাড়ি থামিয়ে ডানদিকে নয়নজুলির দিকে না ঘোরালে বড় দুর্ঘটনা ঘটত। চালকের তৎপরতায় এটা সম্ভব হয়েছে।

    পুলিশ কী ব্যবস্থা গ্রহণ করল?

    পুলিশ প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রাকের পাশাপাশি একটি কুকুরও সাংসদের (Dibyendu Adhikari) গাড়ির সামনে চলে এসেছিল। ট্রাকটিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষীরা উচ্চতম আধিকারিকের নজরে বিষয়টি এনেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: শীত পড়ার আগে ফের নিম্নচাপ! ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, কী বলছে আবহাওয়া দফতর

    Weather Update: শীত পড়ার আগে ফের নিম্নচাপ! ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, কী বলছে আবহাওয়া দফতর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের পথে কাঁটা নিম্নচাপ। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই সপ্তাহে হালকা শীতের আমেজ থাকলেও, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে। প্রাথমিকভাবে এর অভিমুখ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল। এরপর গতিপথ পরিবর্তন করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিগজাউম’ (Michaung)।  এর প্রভাবে বাংলাদেশে উপকূল ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

    আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে, মিধিলির পর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে চলেছে ‘মিগজাউম’ নামের আরেকটি ঘূর্ণিঝড়। এর প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশ, ভারত এবং মায়ানমারের উপকূলে। এটা হবে চলতি বছরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া চতুর্থ ঘূর্ণিঝড়। এই ঝড়ের জেরে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়ের দাপটে সাফ হয়ে যেতে পারে বাংলাদেশ উপকূলের একাংশ বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। পূর্বাভাস অনুসারে আগামী ২৭ নভেম্বর থাইল্যান্ড উপসাগর থেকে বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণাবর্ত প্রবেশ করবে। ক্রমশ উত্তর পশ্চিমদিকে এগিয়ে শক্তি সঞ্চয় করবে। শক্তি বাড়িয়ে ২৯ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে ঘূর্ণাবর্তটি। রবিবার তা প্রবেশ করবে পূর্ব আন্দামান এলাকায়। ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে ৩০ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে সেটা। ৩ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের কাছ গিয়ে ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারে ওই ঝড়টি। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউময়ের কেন্দ্রে হাওয়ার গতি ঘণ্টায় ১৫০ কিমি অতিক্রম করতে পারে। 

    আরও পড়ুন: সেবিকে ছাড়! আদানি-হিন্ডেনবার্গকাণ্ডের রায় সংরক্ষিত রাখল সুপ্রিম কোর্ট

    শহরে শীতের আমেজ

    এই নিম্নচাপের প্রভাবে মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে তাপমাত্রা বাড়বে। রবিবার শহর কলকাতার আকাশ পরিষ্কার থাকবে। তাপমাত্রা থাকবে ২০ ডিগ্রির নীচে। সকাল সন্ধ্যা শীতের হালকা আমেজ থাকলেও বেলার দিকে গরম বাড়বে। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শীতের আমেজ স্পষ্ট। ১৫ ডিগ্রির আশেপাশে ঘুরছে তাপমাত্রা। কলকাতাতেও ২০র নিচে নেমেছে পারদ। ১৫-১৬ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া সহ পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কিছু জেলায়। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shyamnagar: তৃণমূল কাউন্সিলারের দাদা বলেই কি এত বেপরোয়া! কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে কী করেছেন জানেন?

    Shyamnagar: তৃণমূল কাউন্সিলারের দাদা বলেই কি এত বেপরোয়া! কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে কী করেছেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলেজ ছাত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠল ভাটপাড়া পুরসভার এক তৃণমূল কাউন্সিলারের দাদার বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামনগর (Shyamnagar) বাসুদেবপুর দিঘির পাড় এলাকায়। নির্যাতিতা জগদ্দল থানায় ওই তৃণমূল নেতার দাদা ভূদের ব্রহ্মের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। এই ঘটনায় শাসক দল চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Shyamnagar)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল কাউন্সিলার অরুণ ব্রহ্ম এলাকার দাপুটে কাউন্সিলার। ভাই শাসক দলের কাউন্সিলার বলে দাদা এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায়। এমনই অভিযোগ শ্যামনগর (Shyamnagar) বাসুদেবপুর দিঘিরপাড় এলাকাবাসীর। গত ২০ নভেম্বর সন্ধের ঘটনা। অভিযোগ, বাবা-মায়ের অনুপস্থিতিতে ঘরে ঢুকে পড়েন স্থানীয় কাউন্সিলর অরুণ ব্রহ্মের দাদা ভূদেব ব্রহ্ম ওরফে ভুট্টো। ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে কুপ্রস্তাব দেন। কিন্তু, তাতে রাজি না হওয়ায় ওই কলেজ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করেন তিনি। ভয়ে পরিবারের কাউকে জানাননি ওই কলেজ ছাত্রী। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। মেয়ের আচরণ দেখে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। তাঁরা চেপে ধরতেই পরিবারের লোকজনের কাছে সমস্ত বিষয়টি তিনি জানান। পরে, শনিবার মা-কে সঙ্গে নিয়ে জগদ্দল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই কলেজ ছাত্রী। পুলিশ ওই কলেজ ছাত্রীর বয়ানও রেকর্ড করেছে।

    প্রাণে মেরে দেওয়ার হুমকি, সরব নির্যাতিতা

    নির্যাতিতার বক্তব্য, বাবা, মা একটি কাজে বাড়ির বাইরে ছিলেন। আমি একাই ছিলাম। লঙ্কা চাইতে এসেছিলেন তিনি। আমি লঙ্কা দিতে দরজা খুলতেই তিনি আমাকে খারাপ প্রস্তাব দেন। রাজি না হলে তিনি আমার শ্লীলতাহানি করেন। আর বিষয়টি কাউকে বললে খুন করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। আমি ভয়ে কাউকে কিছু বলিনি। আমি এই ঘটনার বিচার চাই। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে জগদ্দল থানার পুলিশ।

      আইন আইনের পথে চলবে, সাফাই  তৃণমূল কাউন্সিলারের

    গোটা ঘটনায় ভাটপাড়া পুরসভা ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরুণ ব্রহ্ম চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন। শ্যামনগরের (Shyamnagar) রাস্তাঘাটে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করেছেন। এই ঘটনার পর তৃণমূল কাউন্সিলার বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। আমার দাদা যদি অপরাধ করেন আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেওয়ার পুলিশ তা নেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: “সব খেয়েছে হাওয়াই চটি, আসল চোর মমতা” তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    Bankura: “সব খেয়েছে হাওয়াই চটি, আসল চোর মমতা” তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) কোতুলপুরে এসে পুলিশ সুপারকে গ্রেপ্তারের হুঁশিয়ারি দিলেন নন্দী গ্রামের বিধায়ক। উল্লেখ্য, এই সভা নিয়ে প্রথমে রাজ্য সরকার অনুমতি দেয়নি এরপর মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। পরবর্তীতে হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে শনিবার পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কোতুলপুরে হাঁটলেন। হাঁটার পথেই করলেন জনসংযোগ। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মুখ্যমন্ত্রীকে দুর্নীতি নিয়ে করলেন কড়া আক্রমণ। তিনি বললেন, “সব খেয়েছে হাওয়াই চটি, আসল চোর মমতা”।

    নম্বর দিয়ে বালি চুরির ফটো পাঠাতে বললেন শুভেন্দু

    আজকে প্রশাসনের ব্যাপক নজর শুভেন্দুর সভা এবং মিছিলে ছিল। মিছিল শেষে কোতুলপুরের (Bankura) নেতাজি মোড়ে চাচা ছোলা বক্তব্য রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী। কোতুলপুরে বিধায়ক থেকে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কাউকে রেয়াত দিলেন না। তিনি ঘোষণা করে বললেন, “বাঁকুড়ার আগামী কর্মসূচি ১১ ডিসেম্বর, পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করা হবে।” জনসভার খোলা মঞ্চে নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে বালিচুরির ছবি পাঠাতে বললেন তিনি। কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহারের বিরুদ্ধে ছয় লাখ টাকা খেপে খেপে ধার নেওয়ার অভিযোগও তুললেন তিনি। এরপর জনসভা শেষে শুভেন্দু অধিকারী কামারপুকুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।

    সারের কালোবাজারি নিয়ে কী বলেন (Bankura)?

    রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু কোতুলপুরে (Bankura) বলেন, “মোদিজী সারের ভর্তুকি নামিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বাংলার কৃষকদের ১২০০ টাকার সারকে ২৫০০ টাকা দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে। সারের কালোবাজারি করা চোরেদের নেত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আলুর বস্তা কম দামে শাসক দলের চোরেরা তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আমরা গরিব চাষিদের পাশে রয়েছি। ভাইপো বলেছেন এখানে নাকি বিজেপি শেষ হয়ে গিয়েছে। সব বিজেপি নাকি তৃণমূলে চলে গেছে। তাই বিজয়া সম্মেলনের দিনে লেজ দেখিয়ে ছিলাম, আজ দেহ দেখালাম এবং এরপর ১১ তারিখে পুরো সিনেমা দেখাবো। এখানে এলাকার মানুষ ডবল ইঞ্জিনের স্বপ্নে মোদিজীর হাত শক্ত করার কথা ভেবে ভোট দিয়ে জিতিয়েছিলেন কিন্তু ভাইপোর দলে ঢুকে মানুষের স্বপ্নকে ভঙ্গ করছেন বিধায়ক।” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে শুভেন্দু আরও বলেন, “সব খেয়েছে হাওয়াই চটি, আসল চোরের মমতা। চাকরি চোর, বালি চোর, আবাস চোর, রেশন চোর, কয়লা চোর, মিড ডে মিলের টাকার চোরদের ধরতে কলকাতা যাবেন তো। এই রাজ্যে রাজনৈতিক ভাবে মমতাকে সারবো আমরা। সব হিসাব হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatpara: ভাটপাড়ায় সিবিআই, কথা বললেন নিহত তৃণমূল কর্মী ভিকির বাড়ির লোকজনের সঙ্গে

    Bhatpara: ভাটপাড়ায় সিবিআই, কথা বললেন নিহত তৃণমূল কর্মী ভিকির বাড়ির লোকজনের সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভা এলাকার তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তরা এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। এরই মধ্যে ভিকির ঘনিষ্ঠের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশের জেরা এবং সন্দেহ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন ভিকি ঘনিষ্ঠ যুবক। এমনই অভিযোগ মৃতের পরিবারের। ভিকির খুনে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও বারংবার পুলিশের জেরায় দিশেহারা হয়ে নিজের ঘরেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন তিনি। যুবকের নাম হরেরাম সাউ (২২)। তাঁর ঘরের ভিতর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি শনিবার ভিকির বা়ড়িতে যায় সিবিআইয়ের এক প্রতিনিধি দল। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। সেই সাক্ষী খুন হওয়ার বিষয়টি দেখছে সিবিআই। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কি না তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    সুইসাইড নোটে কী লেখা রয়েছে? (Bhatpara)

    শুক্রবার ভিকি ঘনিষ্ঠ হরেরাম সাউ ভাটপাড়ায় (Bhatpara) নিজের বাড়িতে আত্মঘাতী হয়েছেন। তাঁর দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে, ‘আমি ভিকি যাদবের খুনের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নই। আমাকে মিথ্যে সন্দেহ করা হচ্ছে। আমি, ভিকি এবং আকাশ যাদবের কাছে চললাম। ভাই, মাকে দেখিস।’ হ্যান্ড রাইটিং এক্সপার্ট কে ডাকা হয়েছে সুইসাইড নোট পরীক্ষা করার জন্য।

    সুপারি কিলারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ধৃত অঙ্কিত‍!

    ভাটপাড়া (Bhatpara) শ্যুট আউট কাণ্ডে সুপারি কিলারদের সঙ্গে অঙ্কিত সিং ওরফে রিঙ্কুর যোগাযোগ করেছিল। পুলিশি জেরায় তা স্বীকার করেছে সে। তবে, শুটাররা সকলেই পলাতক। প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুপারি কিলারদের বাড়ি বিহারে। তবে, ঘটনার পর থেকে শনিবার পর্যন্ত তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তদের খোঁজ পায়নি পুলিশ। এদিন রিঙ্কুদের আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে, ২০২১ সালের ২ মে খুন হয়েছিলেন আকাশ যাদব। এই খুনের কেসের মামলা নিয়েছিল সিবিআই। সেই খুনের প্রধান সাক্ষী ছিলেন ভিকি যাদব। ২১ নভেম্বর গুলিতে ঝাঁঝরা করে দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেন। সেই ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম অঙ্কিতকুমার সিংহ ওরফে রিঙ্কু এবং রহিস আলি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: “টাকা না দিলে জয় শ্রী রাম বলতে দেবো না” নিদান বিতর্কে তৃণমূল নেতা

    Purba Bardhaman: “টাকা না দিলে জয় শ্রী রাম বলতে দেবো না” নিদান বিতর্কে তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একশ দিনের টাকা না দিলে জয় শ্রী রাম বলতে দেবো না”। কার্যত এমন নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) এক তৃণমূলের এক নেতা। সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার কালনার সিঙ্গেরকোন (Purba Bardhaman) এলাকায় দলের এক কৃষক সভায় এই মন্তব্য করেন। আগামী জানুয়ারিতে অযোধ্যায় রাম মন্দিরে প্রভু রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। সনাতনী হিন্দু সংস্কৃতির শ্রীরাম জন্ম ভূমির আন্দোলের বড় শ্লোগান ছিল ‘জয় শ্রী রাম’। শ্রী রাম ভারতের অখণ্ডতার প্রতীক। এমন সময়ে তৃণমূল নেতার এই মন্তব্য অত্যন্ত নিম্নরুচির বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ। প্রতিবাদ জানিয়ে এই নিদানকে ধর্মীয় আক্রমণ বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। ফলে রাম নাম বন্ধ করার ঘোষণায় রাজনীতিতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    ঠিক কী বলেন তৃণমূল নেতা (Purba Bardhaman)?

    পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) তৃণমূল নেতা দেবু টুডু কালনায় (Purba Bardhaman) বলেন, “১০০ দিনের টাকা না দিলে জয় শ্রী রাম বলতে দেবো না। বিজেপির কর্মীরা আমাদের পাড়ায় জয় শ্রী রাম বলছেন। এই শ্লোগান দিতে হলে মানুষের কাজের টাকা দিতে হবে। টাকা না দিলে গোটা বাংলার কোথাও উচ্চারণ করতে দেবো না। এটা আমার ভিক্ষা নয়, অধিকার।”

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূল নেতার এই উস্কানি মূলক মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) জেলা বিজেপি সভাপতি সুভাষ পাল বলেন, “এটা হচ্ছে একটা গরু চোর। সেইসঙ্গে ছাগলদেরও নেতা। ধর্মীয় বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতা। রাজ্যের মা মাটির সরকার কেন্দ্রকে হিসাব দেয় না। টাকা চুরি আটকাতে কেন্দ্র সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করেছে। এই রাজ্যের রেশন, আবাস, মিড ডে মিল ইত্যাদিতে দুর্নীতির কথা ধরা পড়েছে। রাজ্যে দেড় কোটি রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় কেন জেলে রয়েছেন? এসব প্রশ্নের উত্তর কী দেবু জানেন? দেবু একটা পাগল, পাগলে কিনা বলে আর ছাগলে কি না খায়।”

    ১০০ দিনের টাকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ

    ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে রাজ্যের শাসক তৃণমূল বনাম বিজেপির মধ্যে ব্যাপক তর্জা চলছে। সম্প্রতি কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে দিল্লিতে ধরনা করতে দেখা যায় তৃণমূলের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পাশাপাশি তৃণমূল শাসকের কাছে, রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে কেন্দ্রের পাঠানো অনুদানের খরচের হিসাব চাওয়া হয়। কেন্দ্রীয় গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে এই নিয়ে অভিযোগও করা হয়। সেই সঙ্গে ১০০ দিনের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির কথা বলে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে বিজেপি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘মিড ডে মিলের টাকাও মেরে খায়!’ তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘মিড ডে মিলের টাকাও মেরে খায়!’ তৃণমূলকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পোষণ যোজনা এমন একটা প্রকল্প, যেখানে দুস্থ ছাত্র ছাত্রীদের পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়ার জন্য এই প্রকল্প চালায় কেন্দ্রীয় সরকার। সেই টাকাও মেরে খেয়েছে তৃণমূলের নেতারা। এখন তো মনে হচ্ছে সামান্য একটা কাজ করতে গেলেও সিবিআই তদন্ত করতে হবে। রাজ্যে মিড ডে মিলের টাকাও মেরে খায় তৃণমূল। এই রকম চোর পৃথিবীতে আর নেই। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে একথা বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।

    বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    উত্তর ২৪ পরগনার এক জেলা তৃণমূলের নেত্রী বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড তৈরির নিদান দিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা দেশের স্বার্থ দেখে না। এরা ভোটের স্বার্থ দেখে, যে কারণে তাঁরা এই ধরনের মতামত প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ থেকে আগত রোহিঙ্গা বা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের এরা নাগরিকত্ব পাইয়ে দিচ্ছে। বিজেপির স্পষ্ট বক্তব্য, যারা শরণার্থী তাঁরা সিএএ-র মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাবেন। কিন্তু, যারা অনুপ্রবেশকারী তাদের ভারতে ঠাঁই হবে না। নিজেদের ভোটব্যাংক তৈরি করতে এই ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।

    বিশেষ শারীরিকভাবে সক্ষমদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিলি করলেন সুকান্ত

    শনিবার বালুরঘাট ব্লকের পোল্লাপাড়া জুনিয়র হাই স্কুলের সাংসদ তহবিলের টাকা তৈরি করা শৌচালয়ের শুভ উদ্বোধন করেন বালুঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন ফিতে কেটে শৌচালয়ের শুভ উদ্বোধন করলেন সাংসদ। প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই শৌচালয় নির্মিত হয়েছে। মোট তিনটি শৌচালয়ের মধ্যে একটি শিক্ষক শিক্ষিকা ও বাকি দুটি স্কুল পড়ুয়াদের জন্য। বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ভারত সরকারের ডিপার্টমেন্ট অফ এম্পাওয়ারমেন্ট পার্সন উইথ ডিজেবিলিটি প্রকল্পে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় মোট ১ হাজার ৬৮ জন দিব্যাঙ্গ মানুষকে তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হবে। হস্তচালিত ত্রিচক্রযান, মোটর চালিত ত্রিচক্র যান, হুইলচেয়ার, শ্রবণ যন্ত্র সহ শারীরিক চলাফেরার অন্যান্য যন্ত্রপাতি সহ মোট সামগ্রী রয়েছে ২০১৬ টি। এজন্য ব্যয় হয়েছে ৯৫ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা। ভারত সরকারের নিদিষ্ট এজেন্সির মাধ্যমে একাধিক শিবির চালিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছিল এই দিব্যাঙ্গজনদের। বালুরঘাট থেকে সামগ্রী প্রদান শুরু হল। এরপর গঙ্গারামপুর এবং বুনিয়াদপুরে এমন শিবির করে বিশেষভাবে শারীরিক সক্ষমদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিলি করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদেও সক্রিয় চক্র! সারের কালোবাজারিতে নাজেহাল অবস্থা চাষিদের

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদেও সক্রিয় চক্র! সারের কালোবাজারিতে নাজেহাল অবস্থা চাষিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে রমরমিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা সার নিয়ে কালোবাজারি করছেন। কৃত্রিম সংকট তৈরি করে সারের দ্বিগুণ দাম নিচ্ছেন। আর সার কিনতে গিয়ে চাষিদের মাথায় হাত পড়ছে। রবি মরসুমের শুরু থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলাজুড়ে সক্রিয় এই চক্র। ফলে, চরম অসহায় জেলার চাষিরা।

    দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে সার, অভিযোগ চাষিদের (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙা, শক্তিপুর, নওদা, বহরমপুর, সালার, কান্দি, জঙ্গিপুর, ডোমকল সহ একাধিক জায়গায় সার নিয়ে কালোবাজারি চলছে। চাষিদের বক্তব্য, সারের বস্তায় যে দাম লেখা রয়েছে, সেই দামে বিক্রি করার কথা ব্যবসায়ীদের। কিন্তু, বাস্তবে ব্যবসায়ীরা বেশ কিছু সারের বস্তা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে। আমরা কারণ জানতে চাইলে জোগান না থাকার অজুহাত দেওয়া হচ্ছে। আসলে প্রশাসনের কোনও নজরদারি নেই বলে ব্যবসায়ীদের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে।

    কী পদক্ষেপ নিল প্রশাসন?

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সারের দাম বেশি নেওয়া রুখতে নির্ধারিত দামে সার বিক্রি ও বিক্রেতাকে ক্যাশমেমো দেওয়ার উপরে নজরদারি শুরু করে কৃষি দফতর। সম্প্রতি জেলা ও মহকুমা স্তরে টাস্ক ফোর্সও তৈরি করেছে প্রশাসন ও কৃষি দফতর। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ডিলার ও সার বিক্রেতাদের দোকানে লাগাতার অভিযান চলছে। জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর এ পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৩৫০ জন সার বিক্রেতাকে শো- কজ় করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২৫ জন সার বিক্রেতাকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সার বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) মোহনলাল কুমার বলেন, জেলায় প্রয়োজনীয় সব ধরনের সার পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে। দাম বেশি নেওয়া সহ অনিয়ম রুখতে আমরা তৎপর রয়েছি। টাস্ক ফোর্স নজরদারি চালাচ্ছে। অনেক সার বিক্রেতার বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করা হয়েছে। পাশাপাশি চাষিদেরও সচেতন করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • India: বাংলাদেশকে বার্তা দিল ভারত! ছোট শিশুর জীবন বাঁচাতে দিল্লি থেকে উড়ে গেল প্রাণদায়ী ওষুধ

    India: বাংলাদেশকে বার্তা দিল ভারত! ছোট শিশুর জীবন বাঁচাতে দিল্লি থেকে উড়ে গেল প্রাণদায়ী ওষুধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারতকে (India) হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া জয়ী হয়েছিল। আর সেই ফাইনাল খেলায় ভারতকে হারতে দেখে বাংলাদেশিরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছিলেন। কেউ কেউ আবার পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করেছেন বলে নিজেদের অনুভূতি ব্যক্ত করেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে বিশ্ববাসী তা দেখেছেন। ভারতের প্রতি প্রতিবেশী দেশের এত ঘৃণা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে সর্বত্র। বাংলাদেশে ৬ বছরের এক শিশুর প্রাণ বাঁচাতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (India)

    হ্যাম রেডিও সূত্রে জানা গিয়েছে, আচমকা রেডিও তরঙ্গে এসএমএস  বাংলাদেশের এক হ্যাম রেডিওর সদস্য জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ছয় বছর বয়সী একটি শিশু। চিকিৎসক  যে ওষুধ লিখেছেন সমগ্র বাংলাদেশ তন্ন তন্ন করেও তার হদিশ মেলেনি। ওষুধ খুঁজে বের করার আর্জি জানান তিনি। ভারতীয় (India) হ্যামরা সেই ওষুধের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন। কলকাতায়  ওই ওষুধের সমগোত্রীয় একটি ওষুধ পাওয়া গেলেও একই ওষুধ না হওয়ায় তা দিতে চিকিৎসকরা রাজি হননি। ফের, ওষুধ খোঁজা শুরু হয়। দিল্লিতে পাওয়া যায় ওই ওষুধ। সেই ওষুধ অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে দিল্লি থেকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

    বাংলাদেশ হাই কমিশন  এগিয়ে আসেনি, আক্ষেপ হ্যাম কর্তার

    ওয়েস্ট বেঙ্গল হ্যাম রেডিও ক্লাবের সম্পাদক অম্বরীশ নাগবিশ্বাস বলেন, খগেন্দ্রনাথ জানা নামে এক হ্যামের সদস্য ওষুধ জোগাড় করেন। বাংলাদেশ হাই কমিশনে যোগাযোগ করি আমরা। সেই সাহায্য করেনি। পরে, অহিরুজ্জামান খান নামে বাংলাদেশে এক নাগরিকের সন্ধান পাই আমরা। তাঁর মাধ্যমে ছোট্ট শিশুর আমরা প্রাণদায়ী সেই ওষুধ পাঠানোর ব্যবস্থা করি। ভারত (India) হারের জন্য বাংলাদেশিরা আনন্দে মেতে উঠেছিল তার যোগ্য জবাব দেওয়া হল। কারণ, ভারত ভালবাসতে জানে। এই ভারতের জন্য ওই দেশের ফুটফুটে এক শিশু কন্যা প্রাণে বাঁচবে। সেখানকার নাগরিকরা আমাদের দেশের প্রতি ঘৃণা ছেড়ে ভালোবাসা শুরু করবে, তত তাঁদের মঙ্গল। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আমরা চাই, ছোট্ট শিশুটির হাসিতে ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রীর হাত আরও  শক্ত হোক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড তৈরির নিদান তৃণমূলের জেলা নেত্রীর, বিতর্ক

    North 24 Parganas: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড তৈরির নিদান তৃণমূলের জেলা নেত্রীর, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার তালিকায় নাম তুলে লোকসভা নির্বাচনে জেতার ছক কষছে তৃণমূল। এই ধরনের অভিযোগ সাধারণত বিরোধীরা করে থাকে। কিন্তু, লোকসভা ভোটের আগে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের শাসক দল যে গুরুত্ব দিচ্ছে তা উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas) তৃণমূলের এক নেত্রীর মন্তব্যে তা প্রকাশ্যে এসেছে। তৃণমূল নেত্রীর ওই বক্তব্য যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল এভাবে জালিয়াতি করে ভোটে জিততে চাইছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেত্রী? (North 24 Parganas)

    শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারের জন্মদিন পালন অনুষ্ঠানে যোগ দেন হাবড়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভানেত্রী তথা বারাসত সাংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস, তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস বলেন, আর বাকি তিন মাস। তিন মাস বাদেই আমাদের লড়াই লড়তে হবে। এখন ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজ চলছে। জাকিরদার নির্বাচনী এলাকায় অনেক বাংলাদেশি লোক বসবাস করেন। জাকিরদা, অভিজিৎদা (স্থানীয় তৃণমূল নেতা) লিঙ্কটা ভালো জানেন। যদি লিঙ্কের কোনও সমস্যা হয়, বাংলাদেশ থেকে যাঁরা এসেছেন ভোটার লিস্টে নাম তোলার ক্ষেত্রে যদি সমস্যায় পড়েন, জাকিরদাকে কাছে গেলে তিনি সব ঠিক করে দেবেন। এই কাজটা অতি দ্রুত করবেন। আমরা চাই না, একটা ভোটও বাদ যাক। স্বাভাবিকভাবেই এই বক্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

    দলীয় নেত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব

    এ প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাকির হোসেন বলেন, তিনি সেভাবে কিছু বলতে চাননি, রত্নাদি যেটা বলতে চেয়েছেন, সেটা হল ভোটার তালিকা ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে দেওয়ার কথা। সেটা আমরা বরাবর করি। ওঁর বলার ক্ষেত্রে কিছুটা ভুল হয়েছে। আমরা শুধু ফর্মটা পূরণ করে দিই। বাংলাদেশি কথাটা উচ্চারণ না করলেই ভালো হত। গ্রাম্য কথ্যভাষায়, বাংলাদেশি বলতে যেটা উনি বোঝাতে চেয়েছেন, তা হল সাতচল্লিশ সালের আগে যাঁরা এখানে ছিলেন তাঁরা ভারতীয়, আর তাঁদের পরে যাঁরা এসেছেন তাঁরা বাংলাদেশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share