Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • South 24 Parganas: মধ্যযুগীয় বর্বরতার ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনায়! বধূকে মাথা মুড়িয়ে দিয়ে শাস্তি

    South 24 Parganas: মধ্যযুগীয় বর্বরতার ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনায়! বধূকে মাথা মুড়িয়ে দিয়ে শাস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যযুগীয় বর্বরতার ঘটনা ঘটল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপে। চুরির অপবাদ দিয়ে গৃহবধূর মাথা মুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ননদ ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় কাকদ্বীপ থানার নামখানা নারায়ণপুর এলাকার রাজ রাজেশ্বরপুরে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ।

    সন্তানের খাবারের জন্য আলমারি থেকে টাকা বের করার অপরাধ (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্মসূত্রে বাড়ির বাইরে থাকেন ওই বধূর স্বামী। ছয় মাসের ছেলেকে নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপে শাশুড়ি এবং ননদের সঙ্গে বাড়িতে থাকেন বধূ। সন্তানের খাবার ও বাড়ির কিছু জিনিস কেনার প্রয়োজন ছিল ওই বধূর। বার বার সকলের কাছে টাকা চেয়েছেন তিনি। কিন্তু, কেউ কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। তারপর আলমারি খুলে কিছু টাকা নেন ওই মহিলা। সেটা শাশুড়ি জানতে পারেন। তার পরই শুরু হয় চরম নির্যাতন। বধূকে প্রথমে শারীরিক ভাবে হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। মারধরের পর নাপিত ডেকে তাঁর মাথা কামিয়ে গাছে বেঁধে রাখা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার খবর চাউর হলে প্রতিবেশীরা নির্যাতিত মহিলার পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদে সরব হন। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, বধূকে প্রায়শই শাশুড়ি এবং ননদ নির্যাতন করেন। তাঁদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। ঘটনায় খবর দেওয়া হয়  পুলিশকে। খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছে নির্যাতিত গৃহবধূর শাশুড়ি ও  ননদকে আটক করে করে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ। তদন্তের পর পুলিশ জানতে পেরেছে, পারিবারিক অশান্তি থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য,বাচ্চার খাবার ও সংসারের টুকিটাকি জিনিস কেনার প্রয়োজনে ঘরের আলমারি খুলে কিছু টাকা নিয়েছিলেন বধূ। তারজন্য এভাবে কাউকে মাথার চুল কেটে প্রকাশ্যে অত্যাচার করা যায়। এটা মেনে নেওয়া যায় না। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: “মিড ডে মিলের টাকা নিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলে যাবেন” হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Nadia: “মিড ডে মিলের টাকা নিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলে যাবেন” হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মিড ডে মিলের টাকা নিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলে যাবেন। ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা নিয়ে কম্বল বিতরণ এবং বিভিন্ন জনসভায় খরচ করেছেন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হবে।” শুক্রবার নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    ২৯ নভেম্বর দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক (Nadia)

    উল্লেখ্য, চাকরির দুর্নীতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ২৯ নভেম্বর বিজেপির পক্ষ থেকে কলকাতা চলো ডাক দেওয়া হয়েছে। এই জনসভাকে সামনে রেখে এদিন একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয় নদিয়ার কৃষ্ণনগরের (Nadia) পোস্ট অফিস মোড়ে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বলেন, “এরাজ্যে এনআরসি খুব শীঘ্র চালু হচ্ছে। রাজ্যে যখন করোনার সময় চলছিল, তখন পিএম কেয়ারের টাকা লুট করেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এবং রাজিব সিন্‌হাকে কাজে লাগিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা লুট করেছেন। মিড ডে মিলের টাকা নিয়ে হিঙ্গলগঞ্জে কম্বল বিতরণ করেছেন। আমি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরে এবিষয়ে একটি চিঠি লিখব। তদন্ত শুরু হলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো দুজনেই জেলে যাবেন।”

    হাইকোর্টের নির্দেশকে স্বাগত শুভেন্দুর (Nadia)

    ২৯ নভেম্বরের সভা নিয়ে কৃষ্ণনগরে (Nadia) শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্য সরকার ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করলেও জয় আমাদেরই। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অত্যন্ত সঠিক কথা বলেছেন। যে যুক্তি রাজ্য সরকার দেখিয়েছে, ঠিক একই যুক্তিতে ২১ শে জুলাইতে তৃণমূলের সভাও বাতিল হতে পারে। আমি এই নির্দেশকে স্বাগত জানাই।” এছাড়া শুভেন্দু আরও বলেন, “উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়াতে জাল পাসপোর্টের রমরমা চলছে। জেলার জনবিন্যাস পুরোপুরি বদলে যাচ্ছে। অনুপ্রবেশকারীরা একটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাবড়ার তৃণমূল নেত্রী প্রকাশ্যে বলছেন জাকির নামক দুষ্কৃতীর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নাম সরকারি তালিকায় তোলার কাজ হচ্ছে। খুব ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। মানব পাচারের বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে এনআইএ তল্লাশি চালিয়েছে। প্রয়োজনে আরও সক্রিয় হয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে চিঠি লিখব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি! প্রথম হুমকি, তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নৃশংস খুন টোটো চালককে

    Malda: আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি! প্রথম হুমকি, তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই নৃশংস খুন টোটো চালককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের শাসনে রাজ্যে হাতে হাতে ঘুরছে অস্ত্র, এ অভিযোগ প্রায়শই শোনা যায়। শুধু অভিযোগই বা কেন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বোমাবাজি, গুলি চালানোর মতো ঘটনাও তো কম ঘটছে না। বিরোধীদের অভিযোগ, বারুদের স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে রাজ্য। পথেঘাটে বের হওয়া মানুষের নিরাপত্তাও মাঝে মধ্যে প্রশ্নের মুখে এসে দাঁড়াচ্ছে। এবার নৃশংস এবং মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল মালদায় (Malda)। সামান্য চুরির ঘটনার শোচনীয় পরিণতিতে হয়ে গেল খুন। তাও যা ঘটল, তা অন্য দিক থেকেও উদ্বেগজনক। কারণ, প্রথমে ছিল খুন করার হুমকি। আর তারপর দু’দিনও কাটল না।

    কী ঘটনা? (Malda)

    হুমকির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল এক টোটো চালকের মৃতদেহ। মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা মালদা জেলার পুরাতন মালদা থানার রসিলাদহ বাগানপাড়া এলাকায়। জানা গেছে, মৃত টোটো চালকের নাম নেপাল মণ্ডল। গত এক সপ্তাহ আগে তাঁর বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এলাকারই কয়েকজন যুবককে সন্দেহ করেন নেপাল। এই নিয়ে গ্রামে সালিসি সভাও বসে। কিন্তু কোন মীমাংসা না হওয়ায় নেপাল মণ্ডল পুরাতন মালদা (Malda) থানার দ্বারস্থ হওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করেন। এর পরই গত পরশুদিন রাতে নেপাল মণ্ডলকে ফোন করে কে বা কারা খুনের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। সেই হুমকির ৪৮ ঘণ্টা না কাটতেই আজ সকালে নিজের ঘর থেকে ওই টোটো চালকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।

    গলায় মশারি এবং মুখে বালিশ (Malda)

    মৃত নেপাল মণ্ডলের স্ত্রী মৌসুমী মণ্ডলের অভিযোগ, তাঁর স্বামী নেশা করত। এই কারণে আলাদা বাড়িতে ছেলেমেয়েদের নিয়ে থাকতেন তিনি। তবে প্রতিদিন যাতায়াত ছিল। তাঁর স্বামী জানিয়েছিল তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছে (Malda)। এর পরই আজ সকালে ঘরের ভিতর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত নেপাল মণ্ডলের গলায় মশারি এবং মুখে বালিশ দেওয়া অবস্থায় পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: বাঁকুড়ার পর খণ্ডঘোষে মাটির দেওয়ালে চাপা পড়ে মৃত ১, পাকাবাড়ি কেন পাননি প্রশ্ন

    Purba Bardhaman: বাঁকুড়ার পর খণ্ডঘোষে মাটির দেওয়ালে চাপা পড়ে মৃত ১, পাকাবাড়ি কেন পাননি প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সেপ্টেম্বর মাসের শেষে বাঁকুড়ার বাঁকদহতে মাটির বাড়ির দেওয়াল চাপা পড়ে তিন শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। প্রশ্ন উঠেছিল গ্রামে একটিও পাকা বাড়ি কেন হয়নি? রাজ্য সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা কী করেছে? একই রকম ভাবে গতকাল, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) খণ্ডঘোষের গোপালবেড়া অঞ্চলের পূর্বচক গ্রামে একটি মাটির বাড়ির দেওয়াল ভেঙে তিনজন মহিলার চাপা পড়ার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে একজনের। সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর আগে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেও পাকা বাড়ি মেলেনি। এলাকার মানুষ প্রশ্ন তুলছেন যথার্থ প্রাপকদের পাকা বাড়ি দিতে কেন বঞ্চনা করছে রাজ্য সরকার।

    ঘটনায় নিহত ও আহতদর পরিচয় (Purba Bardhaman)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্বচক গ্রামে প্রায় ঘন্টাখানেকের চেষ্টায় শেষমেষ তিনজন মহিলাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর তাঁদেরকে দ্রুততার সঙ্গে বর্ধমান মেডিক্যালে (Purba Bardhaman) পাঠানো হলে তাঁদের মধ্যে জুলেখা বেগম (৩৩) এর মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, বাড়ির মালিকের নাম শেখ হবিবর ইসলাম। ঘটনায় আহতরা হলেন প্রতিবেশী মধুরানী বেগম ( ৩৮ ) এবং সাবানা বেগম (২৮)। তাঁরা বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালে চিৎকিসাধীন রয়েছেন। মৃত জুলেখা বেগমের স্বামী বলেন, “বাড়ি পাকা থাকলে আজ এই ভাবে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটত না।”

    জেসিবি মেশিন দিয়ে উদ্ধার হয়

    খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় খণ্ডঘোষ, রায়না ও সেহারাবাজার (Purba Bardhaman) ফাঁড়ির পুলিশ। এরপর জেসিবি মেশিন দিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন গোটা গ্রামের মানুষও। ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর বর্ধমান থেকে দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী ছিল। গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গেছে, মাটির দোতলা বাড়িটির মেরামতের কাজ চলছিল।

    ঠিক কীভাবে ভাঙল দেওয়াল?

    স্থানীয় (Purba Bardhaman) সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়িতে মাটির মেঝে খুঁড়ে দেওয়ালে লোহার রড ঢোকানোর কাজ চলছিল। নিচ থেকে দোতলায় বেশ কিছু সামগ্রী, আসবাবপত্র উপরে তুলে দেওয়া হয়েছিল। বাড়ির বড় বৌ জুলেখা বেগম একটি আলমারি সরাতে যাওয়ার সময় আচমকা উপরের দেওয়াল হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। আর আলমারির নিচে চাপা পড়ে যান তিনি। একই সময়ে আরও দুই প্রতিবেশী মহিলা সেখানে ছিলেন, তাঁরাও দেওয়ালের নিচে চাপা পড়ে যান। প্রতিবেশীরা বলেন, আজ যদি রাজ্য সরকারের দেওয়া একটি পাকা বাড়ি থাকত তাহলে এইরকম বিপত্তি ঘটত না। একটি প্রাণের মৃত্যু ঘটত না। 

    আবেদন করলেও পাকা বাড়ির মেলেনি

    পরিবার অত্যন্ত গরিব, কিন্তু রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেও পাওয়া যায়নি পাকা বাড়ি। মাটির জীর্ণ দুইতলা বাড়িতে বসবাস করছিলেন তাঁরা। হঠাৎ ভেঙে পড়ে বাড়ির দেওয়াল। আবার পূর্বচক গ্রামের তৃণমূল গ্রাম সভাপতি মুন্সি সাইদুল রহিম বলেন, “প্রায় পাঁচ বছর আগে আমি নিজে এই পরিবারের নাম আবাস তালিকার জন্য পাঠিয়েছিলাম। বাড়ির সার্ভে হয়েছিল। কিন্তু সফটওয়্যার আপলোডিংয়ের সমস্যার জন্য এই পরিবারের নাম বাদ গিয়েছে।” অন্যদিকে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল বলেন, “এই মৃত্যুর দায় তৃণমূলকে নিতে হবে। কেন্দ্র সরকারের পাঠানো টাকা তৃণমূল চুরি করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: অনুব্রত ঠিকই বলেছিলেন, ঢেউ খেলানো রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে মালদার উন্নয়ন!

    Malda: অনুব্রত ঠিকই বলেছিলেন, ঢেউ খেলানো রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে মালদার উন্নয়ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত ভুল কিছু বলেননি, উন্নয়ন এখানে সত্যিই রাস্তায় দাঁড়িয়ে। কারণ, রাস্তা তো নয়, যেন দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে আছে। রীতিমতো ঢেউ খেলানো। জায়গায় জায়গায় চাকলা উঠে পরিস্থিতি দিনকে দিন যেন আরও সঙ্গীন হয়ে উঠছে। অথচ রাস্তাও (Malda) কম নয়, মালদার গাজোল ব্লকের দেওতলা থেকে চাকনগর-প্রায় ১৭ কিলোমিটার। বাসিন্দারা বলছেন, স্কুল-কলেজ, বাজার, সরকারি অফিস সে সব না হয় কোনও রকমে করা গেল। কিন্তু কেউ অসুস্থ হলে? সে এক দুঃসহ যন্ত্রণা। কীভাবে রোগীকে নিয়ে যাওয়া যাবে? অ্যাম্বুল্যান্স তো ওই রাস্তা দিয়ে গ্রামে ঢুকবেই না। ভ্যান কিংবা ছোট গাড়িই ভরসা। ফলে স্বাভাবিক কারণেই রোগীর প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা বেড়ে যায়। অনেকেই বলছেন, প্রসব যন্ত্রণা উঠলে দুশ্চিন্তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এমনও হয়েছে, উঁচু-নিচু রাস্তায় যেতে যেতে মাঝপথেই প্রসব হয়ে গিয়েছে। ফলে রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে।

    বিজেপি পঞ্চায়েতে বলেই বঞ্চনা? (Malda)

    দীর্ঘদিন ধরে এই অবহেলা কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এল রাজনীতির এক নোংরা চিত্র। উল্লেখ্য, এখানকার পঞ্চায়েতে গত ১০ বছর ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। সেই পঞ্চায়েতেরই প্রধান বলছেন, রাজ্যের শাসন ক্ষমতা এবং অর্থ-সবই তো তৃণমূলের করায়ত্ত। শুধু রাস্তা (Malda) কেন, কোনও কাজেই টাকা মিলছে না। ওপর মহলে যেখানে যা জানানোর, বহুবার বলা হয়েছে। চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দীপু ওঁরাও সরাসরি অসহযোগিতারই অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে হলে কী হবে, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ তো তৃণমূলের। এমনকী সরকারি অফিসাররাও শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনেই চলেন। ফলে পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় থেকেও চরম বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে।

    কী জবাব তৃণমূলের? (Malda)

    গাজল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন অবশ্য এসব অভিযোগ মানতে নারাজ। রাস্তার যে সমস্যা রয়েছে, এবং মানুষের যে তাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে, তা স্বীকার করে তিনি বলেন, গোটা বিষয়টিই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। রাস্তার (Malda) কাজ তাড়াতাড়ি শুরু হবে, এমন আশ্বাসও তিনি দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: “দলের নেতাদের শালা-ভাইপোরাই কেবল চাকরি পাচ্ছেন” বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    Durgapur: “দলের নেতাদের শালা-ভাইপোরাই কেবল চাকরি পাচ্ছেন” বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসংগঠিত শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে কেবলমাত্র শাসক দল তৃণমূল নেতার ‘শালা-ভাইপোদের’ চাকরি দেওয়া হচ্ছে। বিরোধীরা অবশ্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে এইরকম স্বজনপোষণের অভিযোগ আগেও তুলেছিল। এবার দুর্গাপুরের (Durgapur) পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর গলায় শাসক দলের বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগের কথা শোনা গেল। 

    কী বলেলন তৃণমূল বিধায়ক (Durgapur)?

    দুর্গাপুরের (Durgapur) সরকারি-বেসরকারি কারখানাগুলিতে শ্রমিক নেওয়া নিয়ে বিরোধীদল হিসাবে বিজেপি আগেও অভিযোগ তুলেছিল। এবার একই অভিযোগের কথা শোনা গেল তৃণমূল বিধায়কের মুখে। তিনি এদিন দুর্গাপুরের এক সভায় বলেন, “দলের পুরনো কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও সুযোগ নেই। দুর্গাপুরের কোনও মানুষ সুযোগ পাচ্ছেন না কাজে। জিজ্ঞেস করলেই শুনতে পাচ্ছি তৃণমূলের নেতাদের অমুকের শালা এবং অমুকের ভাইপো, ভায়রাভাইয়েরাই চাকরি পাচ্ছেন। স্থানীয় কোনও ভূমিপুত্ররা কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না। অথচ কথা ছিল ডিএসপি-তে যাঁরা চাকরি পাবেন তাঁরা দুর্গাপুরের লোক হবেন।” উল্লেখ্য তাঁর এই বক্তব্য ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। শ্রমিক নিয়োগে শাসক দলের স্বজনপোষণের কথা বলে তিনি যে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন সে কথা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। এতদিন শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিরোধীরা অভিযোগ করলেও এবার তা শোনা গেল তৃণমূল বিধায়কের মুখেই।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    এই ডিএসপিতে (Durgapur) শ্রমিক নিয়োগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই বলেন, “শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে তৃণমূলের দুর্নীতির কথা শুধু মুখে প্রকাশ করলেই হবে না প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে হবে। নিয়োগের অস্বচ্ছতা নিয়ে আরও পরিষ্কার করে তৃণমূল নেতাদের নামের উল্লেখ করতে হবে।”

    উল্লেখ্য রাজ্যে এসএসসি দুর্নীতিতে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগে ব্যাপক তোলপাড় হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে, রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে, কয়লাকাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে, এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ভাইয়ের মেয়ের চাকরি বাতিলের ঘটনা নিয়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: তৃণমূলের কাটমানির খেলা? মমতার তৈরি বিমানবন্দর এখন ঘন জঙ্গলে পূর্ণ!

    Balurghat: তৃণমূলের কাটমানির খেলা? মমতার তৈরি বিমানবন্দর এখন ঘন জঙ্গলে পূর্ণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকঢোল পিটিয়ে বালুরঘাট এয়ারপোর্টের পুনর্গঠন ও পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। কাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের পর দীর্ঘ ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও বালুরঘাট বিমানবন্দরের বিমান পরিষেবা চালু হয়নি আজ পর্যন্ত। তড়িঘড়ি সীমানা প্রাচীর, রানওয়ে, প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ, এয়ার ট্রাফিক, পাইলটদের রেস্ট রুম, রেস্তুরাঁ, রিপ্লেসমেন্ট কাউন্টার সহ বেশ কিছু অত্যাধুনিক মানের জিনিস তৈরি করা হয়। পাশাপাশি ১৩৭৫ মিটার রানওয়েকে বাড়িয়ে ১৪৯৫ মিটার করা হয়। কিন্তু আধুনিক মানের এই সমস্ত জিনিসপত্র তৈরি করেও বর্তমানে এয়ারপোর্টের রানওয়ে ছাড়া বাকি অংশ ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ণ। উন্নয়নের খাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যস্তর থেকে একাধিক বার বালুরঘাট বিমানবন্দর পরিদর্শনে এসেছেন আধিকারিকেরা। পরিবহণমন্ত্রী ঘুরে গিয়েছেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও বালুরঘাটে গিয়েছিলেন, কিন্তু কাজ শুরু করা যায়নি।

    বিমানবন্দর পড়ে আছে সেই তিমিরেই

    প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া বালুরঘাট বিমানবন্দরটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। এক সময় এই বিমানবন্দর মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিল। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে এখন থেকে বিমান চলাচল করেনি। সরকারের সদিচ্ছার অভাবে তা হয়নি বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। এরপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগ নেন বিমান পরিষেবা চালু করার। তার ফলস্বরূপ ২০১৬ সালের প্রথম দিকে থেকে ১১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দে বিমানবন্দরের কাজ শুরু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো পূর্ত দফতর ওই কাজ শুরু করে। বড় মাপের বিমান এখান থেকে চলতে না পারলেও সব ধরনের প্রপেলার চালিত বিমান এখান থেকে চলতে পারবে।

    বালুরঘাট শহর লাগোয়া মাহিনগর এলাকায় অবস্থিত রয়েছে বালুরঘাট বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের প্রায় ১৫২ একর জমির উপরে দুই কিলোমিটার রানওয়ে তৈরি করা হয় বিমান নামা ও ওঠার জন্য। দু-একবার পরীক্ষামূলকভাবে বিমান ওঠানামা করলেও এই পরিষেবা চালু হয়নি আজও। এখনও বালুরঘাট বিমানবন্দর পড়ে আছে সেই তিমিরেই। কাজ এতটুকুও এগোয়নি। বিমানবন্দরের রানওয়ে বাদ দিয়ে বাকি এলাকা এখন ঘন জঙ্গলে পূর্ণ। বড় বড় গাছ উঠেছে রানওয়ের পাশে। বড় ঘাসে ঢেকেছে বাকি এলাকা। জঙ্গলের পরিচর্যা না হওয়ায় তা সাপ, বিষাক্ত পোকামাকড়ের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। তাই দিনের বেলাতেও অনেকে সেখানে ঢুকতে ভয় পান।

    এই বিষয়ে বালুরঘাটের এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের বালুরঘাটের বিমানবন্দরটি বহুদিনের পুরনো। আগে এখানে বিমান নামত। তারপর বিমান নামা বন্ধ হয়ে যাওয়াই পরে ২০১৬ সালের প্রথম দিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিমানবন্দরটি চালু করার উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন। বিমানবন্দরের কাজ শেষ হওয়ার পরেও আজ অব্দি বালুরঘাটে কোনও বিমানের ব্যবস্থা হল না। বরং সাজানো গোছানো পুরো বিমানবন্দরটা জঙ্গলে পরিণত হয়ে গিয়েছে। আমরা চাই বালুরঘাটে বিমান ব্যবস্থা চালু হোক।

    সংস্কারের নামে শুধু কাটমানি?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, তৃণমূল সরকারের কাজ শুধু ভাঁওতাবাজি দেওয়া। বিমানবন্দর নিয়েও জেলাবাসীকে ভাঁওতা দেওয়া হয়েছে। বিমান চালানোর সদিচ্ছাই নেই সরকারের। সংস্কারের নামে শুধু কাটমানি খেয়েছে তৃণমূল নেতারা। কয়েক কোটি টাকা দিয়ে সংস্কার করা বিমানবন্দরের সম্পত্তি বর্তমানে নষ্ট হচ্ছে। এনিয়ে আগেও আমরা আন্দোলন করেছি, আগামীদিনেও করব।’

    আশা দেখিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল ও সরকার

    তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, ‘বালুরঘাট বিমানবন্দর চালুর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের অজানা কিছু অজুহাত আর গাফিলতিতে বিমান চলাচল করছে না। তৃণমূল ভাঁওতা দেয় না। কোচবিহার বিমানবন্দর ইতিমধ্যে চালু হয়েছে। ভাঁওতা তো দেয় বিজেপি! এবিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, বালুরঘাট বিমানবন্দর চালুর জন্য তৈরি। এখানে বিমান চলাচলের অনেক সম্ভাবনাও রয়েছে। ভালো রানওয়ে আছে। রাজ্য সরকার এই বিমানবন্দর চালুর জন্য আগ্রহী। পরিবহণ দফতর ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে পরিবহণ দফতরের তরফে বিমানবন্দর পরিদর্শন করা হবে। কয়েক মাসের মধ্যে বালুরঘাট বিমানবন্দরে উড়ান চালুর পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যাবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: শান্তি নেই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শান্তিনিকেতনে! ডিজের দাপটে অতিষ্ঠ মানুষ

    Birbhum: শান্তি নেই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শান্তিনিকেতনে! ডিজের দাপটে অতিষ্ঠ মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তি নেই শান্তিনিকেতনে (Birbhum)। কালীপুজো থেকে ছটপুজো, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শান্তিনিকেতনে শব্দদানব ডিজের দাপটে অতিষ্ঠ মানুষজন৷ শব্দ দূষণের কারণে শান্তিনিকেতন এখন অশান্ত। মধ্যরাত পর্যন্ত ডিজে বাজিয়ে চটুল অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় শান্তিনিকেতনের শ্যামবাটি থেকে ৭ জন শিল্পীকে আটক করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় ডিজে বক্স সহ গাড়ি৷ জানা গিয়েছে, জেলা জুড়ে কয়েক দিনে প্রায় ১৫০ টি অভিযোগ জমা পড়েছে৷ সাধারণ মানুষ চরম অস্বস্তির মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    কার নেতৃত্বে চলছিল চটুল অনুষ্ঠান (Birbhum)?

    ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শান্তিনিকেতন (Birbhum), সংস্কৃতির শহর৷ এলাকার মানুষের অভিযোগ, কালীপুজো থেকে শুরু করে ছটপুজো। সর্বত্র ডিজেবক্সের শব্দ দানবের দৌরাত্ম্যে একেবারে সাধারণ জীবন নাজেহাল। স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, শান্তিনিকেতন থানার শ্যামবাটিতে শহরের মূল রাস্তা অবরোধ করে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচণ্ড শব্দে ডিজে বক্স বাজিয়ে চলছিল চটুল অনুষ্ঠান। সেই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, বোলপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার চন্দন মণ্ডলের নেতৃত্বে চলছিল এই চটুল অনুষ্ঠান। আরও জানা গিয়েছে, মানুষ প্রতিবাদ করলে অভিযোগকারীদের শাসক দলের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল। 

    পুলিশের ভূমিকা

    শান্তিনিকেতনে (Birbhum) উচ্চস্বরে ডিজে বাজানোর অভিযোগ পেয়ে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় ৪ জন পুলিশ অফিসারকে শোকজ করেছেন। তারপর থেকেই ডিজের দৌরাত্ম্য বন্ধে তৎপর হয়েছে পুলিশ। আবার শান্তিনিকেতন থানার ওসি কস্তুরী মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই অনুষ্ঠানের বিষয়ে কোনও অনুমতিই নেওয়া হয়নি।”

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    ঘটনায় বোলপুরের (Birbhum) তৃণমূল কাউন্সিলার চন্দন মণ্ডল বলেন, “এটা ঠিক একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ তবে এই প্রথম অনুষ্ঠান নয়, আগেও এইরকম অনুষ্ঠান হয়েছে এখানে। একটু রাত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু ডিজে বাজানোর তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি৷ কিন্তু, এমন নয় অনিয়ম করা হয়েছে বা অশান্তি হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hospital: গরিব মানুষকে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা, মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের

    Hospital: গরিব মানুষকে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা, মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজের পিছিয়ে পড়া ও প্রান্তিক শ্রেণির মানুষকে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে কলকাতার কাছে জোকায় ২০১০ সালে শুরু হয় ১৫০ শয্যার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ হাসপাতাল। এখন আরও ৩০০ শয্যার মাল্টিস্পেশালিটি ফেজ টু হাসপাতালের (Hospital) উদ্বোধন হতে চলেছে আগামী ২৭ নভেম্বর। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্যকরী সভাপতি স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ ও বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সেক্রেটারি স্বামী সুবীরানন্দজি মহারাজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। আটতলার এই হাসপাতাল ভবন তৈরি হয়েছে, যেখানে রয়েছে অত্যাধুনিক ওটি, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট, আইসিসিইউ,আইটিইউ, নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট, পিআইসিইউ, নেফ্রোলজি বিভাগ সহ শিশু বিভাগ, ডায়ালিসিস ও ফিজিওথেরাপি ইউনিট সহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় বিভাগ।

    স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা (Hospital) 

    ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ মহারাজ বলেন, একদম অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে দ্বিতীয় ফেজের এই হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। এখানে গরিব মানুষদের স্বল্পমূল্যে সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হবে। মহারাজ জানান, জোকা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ। বালিগঞ্জে সংঘের প্রধান কার্যালয় সংলগ্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় যেখানে স্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র করা যায়নি, সেই সব জায়গায় মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট খোলা হয়েছে। কোভিডের কারণে আর্থিক সমস্যা নেমে এসেছিল। এর জন্য দ্বিতীয় ফেজের হাসপাতাল (Hospital) সময়ে শুরু করা যায়নি। আটতলা বাড়িতে আপাতত ২৭ নভেম্বর চারতলা ভবন জুড়ে এই দ্বিতীয় ফেজের হাসপাতাল শুরু হচ্ছে।

    গয়ার আশ্রমের শতবর্ষ

    তিনি জানান, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজ তীর্থযাত্রীদের সহযোগিতা করতে গয়াতে যে আশ্রম তৈরি করেছিলেন, এবছর সেই আশ্রমেরও শতবর্ষ অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷। ৩০ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত শতবর্ষের অনুষ্ঠান চলবে। ১ ডিসেম্বর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অংশ নেবেন অনুষ্ঠানে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মুসলিমদের ভোট ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মুসলিমদের ভোট ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে নানা টানাপোড়েন চলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের এই দলুয়াখাঁকি গ্রামে। ১৩ নভেম্বর তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হন। এই ঘটনার পর বিভিন্ন  রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে আটকে দেওয়া হয়েছে গ্রামের অনেক আগেই। অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রামে ত্রাণ নিয়ে প্রবেশ করার অনুমতি মিলল। বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো নাগাদ দলুয়াখাঁকি গ্রামে পৌঁছন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি গ্রামবাসীদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যান। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি আর্থিক সাহায্য করা হয় গ্রামবাসীদের। গ্রামের মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। যারা গ্রামে অসুস্থ রয়েছেন, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থার পাশাপাশি যাদেরকে ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদেরও জামিনের ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    মুসলিমদের ভোট ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,’ মুসলিমদের ভোট ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হওয়া আপনার বাপের সাধ্যি ছিল না। সেই মুসলমানদের এই প্রতিদান দিলেন। তৃণমূলকে ভোট দেয় না বলে এদের ওপর হামলা হয়েছে। বগটুইয়ের মতো পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হয়েছে দলুয়াখাঁকিতে। দিল্লি যাওয়ার আগে জয়নগরে একবার ঘুরে যান না। আপনি বগটুইতে পুড়িয়েছেন মুসলমানদের। আর এখানে মুসলমানদের বাড়ি পুড়িয়েছেন। বগটুইয়ের মতো পরিকল্পিত হামলা হয়েছে, নাহলে পেট্রল আর হাতুড়ি এল কোথায় থেকে। এই গ্রামের মানুষজন বিরোধী দল করেন বলেই পরিকল্পিতভাবে গ্রামের উপরে হামলা চালানো হয়েছে।’

    সিপিএম প্রতিনিধি দল যায় গ্রামে

    বিরোধী দলনেতার আগে এদিন সকালে সিপিএমের প্রতিনিধি দল গ্রামে ত্রাণ নিয়ে যান। ঘর তৈরির জন্য বাঁশ টিন থেকে শুরু করে অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন গ্রামবাসীদের হাতে। সেই প্রতিনিধি ছিলেন সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত সিপিএম নেতৃত্ব। যদিও সিপিএমের প্রতিনিধি দল গ্রামের প্রবেশ করার মুখে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান। পাঁচজনের বেশি মানুষ গ্রামে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে পুলিশের তরফ থেকে জানিয়ে দিলে দু পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। শেষ পর্যন্ত সিপিএমের তরফ থেকে ত্রাণ নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share