Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Jalpaiguri: সারের কালোবাজারির পর এবার ভেজাল আলুবীজের রমরমা! মাথায় হাত চাষিদের

    Jalpaiguri: সারের কালোবাজারির পর এবার ভেজাল আলুবীজের রমরমা! মাথায় হাত চাষিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলাজুড়ে এতদিন সারের কালোবাজারিতে চাষিরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। বস্তায় যে দাম লেখা থাকত, তার দ্বিগুণ দামে চাষিরা সার কিনতে বাধ্য হয়েছিলেন। প্রশাসনের তৎপতায় কিছুটা লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে। সারের কালোবাজারির জের মিটতে না মিটতেই এবার ভেজাল আলুবীজের রমরমার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি এলাকায়।  

    ঠিক কী অভিযোগ? (Jalpaiguri)

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি জুড়েই ভেজাল আলুবীজ কারবারিদের রমরমা চলছে। তার জেরে সমস্যায় পড়ছেন গরিব কৃষকরা। খেটে আলুবীজ রোপণ করছেন, তবে সেই বীজ পচছে মাটির তলাতেই। এরপরই অভিযানে নামে কৃষি দফতর। দোকানে দোকানে অভিযান চালিয়ে খতিয়ে দেখা হয় দোকানিদের কাগজপত্র। তাতে প্রমাণও পান কৃষি আধিকারিকরা। ধূপগুড়ি হাইস্কুল লাগোয়া এক আলুবীজ বিক্রেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে নামী কোম্পানির নামে নিম্নমানের আলুর বীজ বিক্রির। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামেন তাঁরা। সিল করে দেওয়া হয় সেই দোকান। যদি অভিযুক্ত ব্যবসায়ী অমৃতকুমার সরকার বলেন, এক আলু ব্যবসায়ী আমার কাছে আলুবীজগুলি রেখে যান। এরপর আর তিনি আসেননি। এরপরই কৃষি দফতরের দল এসে আমার দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

    ভেজাল আলু বীজের রমরমা নিয়ে সরব চাষিরা

    চাষিদের বক্তব্য, এতদিন সারের কালোবাজারির জন্য দ্বিগুণ দামে সার কিনতে বাধ্য হয়েছি। বহুবার অভিযোগ করার পর প্রশাসনের টনক নড়েছিল। তবে, এখনও প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কালোবাজারি চলছেই। এর সঙ্গে এবার ভেজাল আলুবীজের রমরমা শুরু হয়েছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এসব করছে। প্রশাসনের কোনও নজর নেই। আমরা দাম দিয়ে ভেজাল বীজ কিনে চাষ করে শেষ হয়ে যাচ্ছি।

    ধূপগুড়ি কৃষি অধিকর্তা কী বললেন?

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি কৃষি অধিকর্তা তিলক বর্মনের বক্তব্য, উত্তরবঙ্গ আলু ব্যবসায়ী সমিতি এবং একটি আলুবীজ সংস্থার তরফে অভিযোগ পাই। খারাপ মানের আলুবীজ বিক্রির অভিযোগ ছিল। প্রাথমিকভাবে দোকানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তদন্তে প্রয়োজন হলে আরও কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্যকর তথ্য, অপহরণ ও খুনের হুমকি দিতেন তৃণমূল নেতা!

    Siliguri: মা ও মেয়ের দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্যকর তথ্য, অপহরণ ও খুনের হুমকি দিতেন তৃণমূল নেতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে (Siliguri) মা এবং মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় নাম জড়াল স্থানীয় তৃণমূল নেতার। মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া ঘর থেকেই সুইসাইড নোট মেলে। তাতেই তৃণমূল নেতার নাম পাওয়া গিয়েছে। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনায় অভিযোগ দায়ের করেছে।

    সুইসাইড নোটে কী রয়েছে? (Siliguri)

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ ডিসেম্বর শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিলিগুড়ি (Siliguri) শান্তিনগর এলাকায় একই বাড়ি থেকে জোড়া দেহ উদ্ধার হয়। শোওয়ার ঘরের বিছানার উপর এক তরুণীর দেহ মেলে। মায়ের দেহ উদ্ধার হয় ঝুলন্ত অবস্থায়। ঘটনার তদন্তে নেমে সুইসাইড নোট পায় পুলিশ। সেখানে আত্মহত্যার কারণ হিসাবে রয়েছে জমি সংক্রান্ত সমস্যার কথা। সেখানে তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা কমিটির অন্যতম সম্পাদক প্রসেনজিৎ রায়ের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল কর্মী সুনীল দাস, সুজিতকুমার ঘোষ, সুভাষ দাস, প্রদীপকুমার চৌধুরীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ওই চিঠির উপর ভিত্তি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে।

    বাড়িতে লোক পাঠিয়ে হুমকি দিতেন তৃণমূল নেতা, সরব মৃতের স্বামী

    মৃতের স্বামী সাধন সরকারের অভিযোগ, বছরখানেক আগে প্রসেনজিতের কাছ থেকে একটি জমি কিনেছিলাম। সেই জমি প্রসেনজিৎ নিজেই ডিসপুট ল্যান্ড তৈরি করে আরও টাকা চান আমার কাছে। এ নিয়ে সমস্যা চলছিল। অনেক দিন ধরে প্রসেনজিৎ তাঁর দলবলকে ওই বাড়িতে পাঠাতেন। ওই লোকজনের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকত। বার বার টাকার চাপ দেওয়া হয়। দেওয়া হয় প্রাণে মারার হুমকিও। বাড়িতে বিবাহযোগ্য মেয়ে ছিল। এ নিয়ে আমার স্ত্রী বেশ কয়ে কয়েক মাস ধরেই চিন্তিত ছিল। মাঝে আমাকে আমার স্ত্রীকে অপহরণ বা তুলে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হবে বলে হুমকি দেওয়া হত। এগুলো সহ্য করতে না পেরে ওরা নিজেদের শেষ করে দিয়েছে। আর প্রসেনজিতের মতো বড় নেতার সঙ্গে লড়াইয়ের ক্ষমতা আমার নেই। থানায় জানিয়েছি ঠিকই। কিন্তু, আদৌ কোনও লাভ হবে কি না জানা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Michaung: কলকাতায় শুরু বৃষ্টি! ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম-এর পরোক্ষ প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে

    Cyclone Michaung: কলকাতায় শুরু বৃষ্টি! ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম-এর পরোক্ষ প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) প্রভাবে কলকাতায় শুরু হল বৃষ্টি। সকাল থেকেই আকাশে মেঘ ছিল। ভোর রাত থেকেই ছিল ঝোড়ো হাওয়ার দাপট। আজ, মঙ্গলবার দুপুরেই অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ঝড়। সমতলে আছড়ে পড়ার সময় তার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার। ইতিমধ্যেই অন্ধ্র উপকূল থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদে সরানো হয়েছে। অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়লেও প্রবল ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের পরোক্ষ প্রভাব পড়বে বাংলার জেলাগুলিতেও। দক্ষিণবঙ্গে এর প্রভাবে আগামী দু’দিন বৃষ্টি চলবে।

    ভিজবে বাংলা

    আবহাওয়া দফতরের (Weather Update) পূর্বাভাস, মিগজাউমের (Cyclone Michaung) প্রভাবে ভিজবে দক্ষিণবঙ্গের একাংশ। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা, মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা ১১টি জেলায়। আজ বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া ও কলকাতায়। বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়ায়। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা ঝোড়ো হওয়া বইতে পারে উপকূলের জেলাগুলিতে। মৎস্যজীবীদের জন্য জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা। অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলে বুধবার পর্যন্ত সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দুর্যোগের কারণে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হচ্ছে। আজ এর্নাকুলাম-পাটনা এক্সপ্রেস ও তিরুচিরাপল্লি-হাওড়া এক্সপ্রেস বাতিল করা হয়েছে।  

    আরও পড়ুন: নেল্লোরের কাছে ল্যান্ডফল! ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে লন্ডভন্ড চেন্নাই, মৃত ৫

    কবে থেকে পারদ-পতন

    আলিপুর হাওয়া অফিস (Weather Update) জানাচ্ছে, মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গের কোথাও বৃষ্টি হবে না। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের (Cyclone Michaung) প্রভাব পড়বে না দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর কিংবা মালদায়। এই সব জেলার আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে আজ। এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দু’দিনে পশ্চিমবঙ্গের কোনও জেলায় তাপমাত্রার কোনও হেরফের হবে না। শীতের পথে কার্যত কাঁটা হয়ে উঠেছে ঘূর্ণিঝড়। থমকে শীতের আমেজ। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। কলকাতায় আজ সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  শনিবার থেকে নামতে পারে তাপমাত্রা। পরবর্তী তিন থেকে চারদিনে একধাক্কায় তিন থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস পারদ পতনের সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Health Mission: কোনও শর্তই মানছে না রাজ্য! স্বাস্থ্যভবনকে চিঠি কেন্দ্রের, বন্ধ হচ্ছে টাকা?

    National Health Mission: কোনও শর্তই মানছে না রাজ্য! স্বাস্থ্যভবনকে চিঠি কেন্দ্রের, বন্ধ হচ্ছে টাকা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে নতুন কিছু নয়। ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’কে এর আগেই তারা ‘বাংলার আবাস যোজনা’ বলে চালিয়ে দিতে চেয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবার ‘রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য মিশন’-এর ক্ষেত্রে (National Health Mission) কেন্দ্রীয় শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, এই মর্মে খুব শীঘ্রই স্বাস্থ্য ভবনের তরফে চিঠি আসতে চলেছে রাজ্য সরকারের কাছে। কেন্দ্রের অভিযোগ সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবনের রং এবং নাম নিয়ে। জানা গিয়েছে, সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রের (National Health Mission) রং হওয়ার কথা ছিল হলুদ, কিন্তু শুধুমাত্র মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছাতে তাঁর পছন্দের রং, নীল-সাদা করা হয়েছে।

    কেন্দ্রের প্রকল্প নিজের নামে চালাচ্ছে রাজ্য 

    অন্যদিকে সুস্বাস্থ্য ভবনগুলির (National Health Mission) নাম বাংলাতে কেন্দ্র ঠিক করে দিয়েছিল ‘আয়ুষ্মান আরোগ্য মন্দির’ এবং ইংরেজিতে তা হওয়ার কথা ছিল ‘আয়ুষ্মান ভারত হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’। তবে এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকার গা-জোয়ারি মনোভাব দেখিয়ে ভবনগুলির নাম ‘সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র’ করেছে বাংলাতে এবং ইংরেজিতে করেছে ‘হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার’। অর্থাৎ প্রতিটা ক্ষেত্রে পদে পদে কেন্দ্রের দেওয়া শব্দ ‘আয়ুষ্মান’কে বাদ দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য সরকার কখনই নাগরিকদের কাছে এই বার্তা দিতে রাজি নয় যে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পগুলি রাজ্যে চলছে! কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে যে সমঝোতাপত্র সই হয়েছিল, সেখানে ব্র্যান্ডিং গাইডলাইন সংক্রান্ত বেশ কিছু শর্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকার মানেনি। কেন্দ্রীয় সরকারের আরও বক্তব্য, যে সমস্ত রাজ্য এই শর্ত মেনেছে, সেখানে কোথাও তাদের টাকা আটকে রাখা হয়নি (National Health Mission)। অন্যদিকে ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’র মতো কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে বাংলার কোনও প্রতিনিধি যোগও দেয়নি।

    কী বলছেন শুভেন্দু?

    প্রসঙ্গত, ব্র্যান্ডিং-এর গাইডলাইন কেন্দ্র সরকার জারি করেছিল ২০১৮ সালে। তখন বাংলা সহ সমস্ত রাজ্য তাতে সই করেছিল। গাইডলাইন রূপায়ণের (National Health Mission) তারিখ ছিল ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও কেন্দ্রের নির্দেশিকা মানেনি রাজ্য। এরপরে চলতি বছরে গাইডলাইন (National Health Mission) মানার জন্য ১১ এপ্রিল ও ৩ নভেম্বর চিঠি দেয় কেন্দ্র সরকার। সেখানেও রাজ্য সরকার কোনও উত্তর দেয়নি। স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী আগেই সরব হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘‘দেওয়া হবে না টাকা। আবার বলছি, দেওয়া হবে না। যা চুরি করেছে কোভিডে, সেই চুরির হিসেব দিক আগে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sovandeb Chaterjee: মিছিলে মেজাজ হারালেন শোভনদেব! ধাক্কা দিলেন দলীয় নেতাকে, কেন জানেন?

    Sovandeb Chaterjee: মিছিলে মেজাজ হারালেন শোভনদেব! ধাক্কা দিলেন দলীয় নেতাকে, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের মিছিলে কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের (Sovandeb Chaterjee) মেজাজ হারানো দেখে হকচকিয়ে যান তৃণমূল কর্মীরা। চোখের সামনে এই কর্মীদের উদ্দেশে নানা কটুক্তি করেন তিনি। তৃণমূলের প্রবীণ নেতা রাগে ধাক্কা মেরে বসলেন দলেরই এক নেতার বুকে। প্রথমে হকচকিয়ে গেলেন সেই নেতা। পরে, নিজেকে সামলে নিয়ে মিছিলে উপস্থিত কর্মীদের জোরে স্লোগান দিতে বললেন। মন্ত্রীর ধমকানিতে কর্মীরাও থ হয়ে যায়। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠার সময় থেকে দলের সঙ্গে তিনি। তৃণমূলের প্রথম বিধায়ক শোভনদেব এক সময় বক্সিং করতেন। তবে, মন্ত্রীর এই ধরনের আচরণ কর্মীরা কোনওদিন দেখেননি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Sovandeb Chaterjee)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুর ঘোলা বিলকান্দা এলাকায় কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল। তাঁর নেতৃত্বে ছিলেন খড়দার বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chaterjee)। তিনি কর্মীদের সামনে মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘ আমাদের টাকা দিতেই হবে।’ পাশে দাঁড়ানো তৃণমূলের ব্যারাকপুর-২ সমিতির সভাপতি প্রবীর রাজবংশীও মন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে হাঁটছিলেন। কিন্তু, মিছিল থেকে জোরে আওয়াজ না পেয়ে খাপ্পা হয়ে যান শোভনদেব। পাশে দাঁড়ানো প্রবীরের বুকে ধাক্কা মারেন অতীতের শোভনদেব। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘এই- সব ডেডবডি।’ মন্ত্রীর ধাক্কা খেয়ে প্রবীরবাবু কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘কেউ স্লোগান দিচ্ছিস না কেন?’ এরপর মন্ত্রী আরও রেগে গিয়ে বলেন, ‘এখানে কেউ জ্যান্ত মানুষ নেই।’ শোভনদেবের ধমক খেয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন সবাই।

    মন্ত্রী কী সাফাই দিলেন?

    মন্ত্রী শোভনদেব (Sovandeb Chaterjee) বলেন, কেউ স্লোগান দিলে সবাই স্লোগান দেবে। আমাদের আরও ছেলে আসার কথা। যত লোক হয়েছে, তার চার ডাবল লোক আসার কথা। কয়েক জন ইতস্তত করছিল। এখন দেখুন কত বড় মিছিল হয়ে গিয়েছে। আর আমি স্লোগান চিরকালই দিয়ে এসেছি। এখনও দিচ্ছি। এ কথা বলেই তিনি ফের হাত তুলে স্লোগান দিতে থাকেন। আর কর্মীরাও তাঁর সঙ্গে গলা মিলিয়ে স্লোগান দেন। তবে, মেজাজ হারানো নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: লোন পাইয়ে দেওয়ার টোপ! ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সই জাল করে কুড়ি কোটি টাকার প্রতারণা

    Fraud: লোন পাইয়ে দেওয়ার টোপ! ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সই জাল করে কুড়ি কোটি টাকার প্রতারণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চাকরি নেই। কাজের জন্য অনেকেই ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন। অনেকে আবার চাকরি না পেয়ে ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করার চেষ্টা করছেন। আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা (fraud) করার অভিযোগ উঠল এক চক্রের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা এলাকায়।

    কীভাবে প্রতারণা?(fraud)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লোন করে দেওয়ার নাম করে নামখানার একটি ব্যাঙ্ক থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়। ইন্দ্রজিৎ নস্কর নামে ব্যাঙ্কের এক কর্মী প্রতারণা (fraud) চক্রের মূল পান্ডা। তিনি মূলত গ্রামের গ্রাহকদের মোটা টাকা লোন করে দেওয়ার টোপ দিতেন। বেশ কিছু কাগজপত্র নিতেন। সঙ্গে দুটি ব্ল্যাঙ্ক চেকে সই করে নিতেন। এরপরই ব্যাঙ্কের শাখা অফিসের ম্যানেজারের সই নকল করে ওই ব্যাঙ্ক কর্মী সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দিতেন। সেই মতো লোন অনুমোদনও হয়ে আসত। কাউকে, ৫ লক্ষ, ১০ লক্ষ বা তার বেশি লোন পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতেন তিনি। অ্যাকাউন্টে লোনের টাকা ঢুকলে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা তুলে নেওয়া হত। ফলে, গ্রাহক বুঝে ওঠার আগেই টাকা প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে চলে আসত। দুদিনে একই অ্যাকাউন্টে প্রায় এক কোটি টাকা ঢোকে। তাতে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সন্দেহ হয়। তিনি রিজিওন্যাল ম্যানেজারকে বিষয়টি জানান। এরপরই তিনি কাকদ্বীপ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ বারুইপুর থেকে ইন্দ্রজিৎ নস্কর ও রুদ্র নস্কর ও কাকদ্বীপ থেকে বাপন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ ২০ কোটি টাকা প্রতারণা করার হদিশ পায়।

    কাকদ্বীপ আদালতের আইনজীবী কী বললেন?

    কাকদ্বীপ আদালতের আইনজীবী সব্যসাচী দাস বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫ ৪৬৭ ৪৬৮ ৪৭১, ১২০বি আইপিসি ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছে কাকদ্বীপ থানার পুলিশ। অভিযুক্তদের এদিন কাকদ্বীপ আদালতে পাঠালে বিচারক চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: অধ্যাপিকাকে অশ্লীল মন্তব্য টিএমসিপি ছাত্রনেতার! কলেজে বিক্ষোভ এবিভিপির

    Nadia: অধ্যাপিকাকে অশ্লীল মন্তব্য টিএমসিপি ছাত্রনেতার! কলেজে বিক্ষোভ এবিভিপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়া সুধীররঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ের এডুকেশন বিভাগের অধ্যাপিকাকে ফোন করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই কলেজের টিএমসিপি’র সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে এই ফোনের অডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতেই কৃষ্ণগঞ্জ ব্লক জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্রের নাম বিভাস হালদার। প্রতিবাদে কলেজ ক্যাম্পাসে সরব হয়ে বিক্ষোভ দেখায় এবিভিপি।

    শাস্তির দাবিতে এবিবিপির বিক্ষোভ (Nadia)

    অধ্যাপিকার ওপর এহেন আচরণের প্রতিবাদে সোমবার মাজদিয়া (Nadia) কলেজের সামনে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের পক্ষ থেকে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। দাবি একটাই তৃণমূল ছাত্র নেতার শাস্তি চাই। আর এই বিক্ষোভ প্রদর্শনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই কৃষ্ণগঞ্জ থানার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী আসে মহাবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। ঘটনায় পুলিশ বাধা দিলে, এভিবিপি ছাত্রছাত্রীরা জোর করে কলেজে ঢুকতে গেলে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। সেই সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। কারণ ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও কলেজের ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর ঘটনাস্থলে আসেন কৃষ্ণগঞ্জ থানার আইসি বাবিন মুখার্জী।

    প্রিন্সিপালের বক্তব্য

    কলেজ (Nadia) প্রিন্সিপাল এই প্রসঙ্গে বলেন, “আই কার্ড থাকলে ছাত্র-ছাত্রীরা কলেজের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে।” এরপর প্রিন্সিপালের হস্তক্ষেপে যারা আইডেন্টিটি কার্ড নিয়ে এসেছিল, সেই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কলেজের ভিতরে ঢুকতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে প্রিন্সিপাল আরও বলেন, “ফোনে অশালীন মন্তব্য করার ঘটনায় অধ্যাপিকা নিজে বিবরণ দিয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।”

    টিএমসিপি ছাত্রনেতার শাস্তির দাবি

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে কলেজের (Nadia) অধ্যাপক, অধ্যাপিকা ও স্টাফদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন প্রিন্সিপাল। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয় কোনও মতেই অধ্যাপিকার উপর এই অসভ্য আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। অভিযুক্ত ছাত্র যাতে শাস্তি পায় তার ব্যবস্থা করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Poush Mela: শান্তিনিকেতনে এই বছর হচ্ছে না পৌষমেলা, ঘোষণা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের

    Poush Mela: শান্তিনিকেতনে এই বছর হচ্ছে না পৌষমেলা, ঘোষণা বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সময়ের অভাবে এবছরও শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা (Poush Mela) হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সময়পর্বে মেলা বন্ধ করা হয়েছিল। মেলার নামে ক্যাম্পাসে রবি ঠাকুরের সংস্কৃতিকে নষ্ট করার কথা উঠেছিল। কিন্তু তাঁর কার্যকালের সময় শেষ হলে আবার শান্তিনিকেতনের পৌষমেলা হবে বলে শোনা গিয়েছিল। কিন্তু আজ সোমবার বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট জানিয়ে দিল, সময়ের অভাবে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা হচ্ছে না। অবশ্য এই সিদ্ধান্তে স্থানীয় এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের কথা জানা গিয়েছে।

    প্রথমে হওয়ার কথা ছিল মেলা (Poush Mela)

    প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হতেই এই পৌষমেলা (Poush Mela) নিয়ে প্রথমে আশার আলো দেখা গিয়েছিল স্থানীয় এবং দেশ-বিদেশের পর্যটকদের। ক্যাম্পাসের ভিতরে-বাইরে সকলের মধ্যে মেলা হওয়ার কথা জানতে পারায় বেশ খুশির আবহ ছিল। কিন্তু সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে লম্বা বৈঠকের পর ঘোষণা হয়, সময় কম, তাই এই সংক্ষিপ্ত সময়ে মেলার পুরোপুরি প্রস্তুতি সম্ভবপর নয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয়কুমার মল্লিক। তবে বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ পৌষ উৎসব পালন করা হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার বলেন, ‘‘আমাদের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে, এই বছর আর পৌষমেলা করা সম্ভব হচ্ছে ।“

    ২০১৯ সাল থেকেই বন্ধ পৌষমেলা

    বোলপুর শান্তিনিকেতনের অন্যতম প্রধান উৎসব হল পৌষমেলার (Poush Mela) উৎসব। এই উৎসব নানাবিধ কারণে বিগত ২০১৯ সাল থেকে বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিবাদে সরব হয়েছিল নানা মহল। বিশ্বভারতীতে ছাত্রদের মধ্যে নানান বিক্ষোভ কর্মসূচিও দেখা যায়। পাশাপাশি তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবতী এই মেলাকে বন্ধ করার কারণ হিসাবে মেলার নামে ক্যাম্পাসে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের জায়গা দখল, মাঠে অবৈধ কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ তুলেছিলেন। সার্বিক ভাবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ্রমিক জীবনযাপনের উপর মেলার নামে অপসংস্কৃতিকে চাষ হচ্ছে বলে যুক্তিও উঠেছিল সেই সময়। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সময়পর্বে তাই মেলা বন্ধ করা হয়। সেই সময়পর্বে ক্যাম্পাসের নিজস্ব জায়গাগুলিকে দখলমুক্ত করতে ফেন্সিং ওয়াল দিতে গেলে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক, নেতা এবং কর্মীরা জেসিবি মেশিন দিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। একই ভাবে নির্মাণসামগ্রী রড, বালি, পাথর চুরি হয় বলে সংবাদ মাধ্যমে জানা গিয়েছিল। বহিরাগত দৌরাত্ম্যের কবল থেকে ক্যাম্পাসকে মুক্ত করার কথা তৎকালীন উপাচার্যের মুখে বার বার শুনে গিয়েছিল।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কেষ্টর গড়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের মাথা ন্যাড়া করার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা, বিতর্ক

    Birbhum: কেষ্টর গড়ে বিজেপি নেতা-কর্মীদের মাথা ন্যাড়া করার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা, বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহার জেলে রয়েছেন। বিজেপি সহ বিরোধীদের কদর্য ভাষা প্রয়োগে সিদ্ধহস্ত ছিলেন কেষ্ট। বছরখানেক হল জেলার মাটিতে তিনি নেই। কিন্তু, তাঁর সেই ভাষা ধার করেই বিজেপিকে লাগাতার আক্রমণ করে চলেছেন তৃণমূলের জেলার নেতা-কর্মীরা। এবার বিজেপি নেতা-কর্মীদের মাথা ন্যাড়া করার নিদান দিলেন কেষ্টর গড় বীরভূমের (Birbhum) এক তৃণমূল নেতা। যা নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন ওই তৃণমূল নেতা? (Birbhum)

    ১০০ দিনের কাজের টাকা ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার দুর্নীতির প্রতিবাদে বীরভূমের (Birbhum) বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের অন্তর্গত রুপপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করা হয়। আর সেই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর শ্রীনিকেতন ব্লকের তৃণমূল নেতা বাবু দাস। মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল নেতা বাবু দাস বলেন, মা বোনেদের বলবো, যদি ১০০ দিনের কাজের টাকা না পেয়ে থাকেন, কোনও বিজেপি নেতাকর্মী এলে তাঁর মাথাটা ন্যাড়া করে দিন। রাস্তায় দাঁড় করিয়ে ভান্ডারি ডেকে তাঁর মাথাটা ন্যাড়া করে ঘোল ঢেলে দিন। বল হরি, হরি বল বলে পাড়া থেকে তাড়িয়ে দিন। প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে এমনই হুমকি দিতে দেখা গেল রুপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা বাবু দাসকে। শুধু প্রকাশ্যে মঞ্চে নয়, তিনি ক্যামেরার সামনেও জানিয়েছেন, গ্রামে যখন চোর ধরা পড়ে, বয়স্ক মানুষরা বলে চোর ধরা পড়েছে, মাথাটা ন্যাড়া করে দে। যারা ১০০ দিনের টাকা চুরি করেছে, তাদের ন্যাড়া করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বলেন, তিন রাজ্যে বিজেপি জয়ী হয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে বিজেপির জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। তাই, এসব বলে কোনও লাভ নেই। তৃণমূল যত বলবে তত ওদের ভোট কমবে। বরং, চোর মানেই তৃণমূল। এবার তৃণমূল নেতাদের সাধারণ মানুষ গণপিটুনি দেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: নেই বৈধ কাগজপত্র-অনুমোদন, সরকারি কমিউনিটি হলেই চলছে বেসরকারি স্কুল!

    Jalpaiguri: নেই বৈধ কাগজপত্র-অনুমোদন, সরকারি কমিউনিটি হলেই চলছে বেসরকারি স্কুল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি কমিউনিটি হলে চলছে বেসরকারি সিবিএসই-র স্কুল। সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের বৈধ কাগজপত্র এবং অনুমোদন নেই। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকারি কমিউনিটি হলের জায়গা দখল করে কার্যত বিনা অনুমাতিতে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল চালানো হচ্ছে। ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। উল্লেখ্য ১৮ নম্বর টাকিমারি চড় এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতি এই কমিউনিটি হলটি তৈরি করেছিল। কিন্তু বর্তমানে তা বেসরকারি স্কুলের দখলে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় প্রধান স্কুল মালিককে সহযোগিতা করেছেন। ফলে এই ঘটনায় শাসক দলের বিরুদ্ধে সরকারি সম্পত্তিকে ব্যবহার নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল এলাকাবাসীদের মধ্যে।

    স্কুলের মালিক কে (Jalpaiguri)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেসরকারি স্কুলের নাম সারদা শিশু তীর্থ। স্কুলটি সিবিএসই অনুমোদিত। স্কুলের মালিকের নাম হানিফ চৌধরি। তাঁর বাড়ি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) থানার অন্তর্গত গেট বাজার এলাকায়। স্কুলের বেতন ভর্তিতে ২০০০ টাকা এবং মাসিক বেতন ৫০০ টাকা। স্কুলের এক শিক্ষিকা বলেন, স্কুলের মালিক স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের মৌখিক অনুমতি নিয়ে এই স্কুল চালাচ্ছেন। সরকারি সম্পত্তির মধ্যে কীভাবে চলছে বেসরকারি স্কুল? এটাই এলাকাবাসীর কাছে বড় প্রশ্ন। প্রশাসন এবং শাসক দলের কাছে কি কোনও খবর নেই? নাকি সব জেনেশুনেই চলছে স্কুল। এমনটাই মনে করছেন এলাকার মানুষ।

    স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    মান্তাদড়ি (Jalpaiguri) গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অর্চনা বলেন, “বিষয় সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। স্কুলটি অবৈধ। সরকারি জায়গা দখল করে স্কুল করা অনৈতিক। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলবো।

    উল্লেখ্য স্কুলের মালিক হানিফের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোনে তাঁকে পাওয়া যায়নি। প্রাইমারি স্কুলের ডিআই জানিয়েছেন, “স্কুল সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই। এইভাবে স্কুল করা যায় না। তবে এনওসি ছাড়া কীভাবে স্কুল খুললেন মানিক। সেই বিষয়ে তদন্ত করে দেখতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share