Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Purba Bardhaman: মালদার পর বর্ধমান, এখানেও রোগীদের খাটিয়ায় নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে!

    Purba Bardhaman: মালদার পর বর্ধমান, এখানেও রোগীদের খাটিয়ায় নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ নিদান দিয়েছিলেন, “রাস্তা খারাপ হলে কেউ মারা যান না। মারা যান ভাগ্য খারাপ হলে।” তৃণমূলের উন্নয়ন এবং পথশ্রী যে ব্যর্থ, তা আরও একবার প্রমাণিত হল বর্ধমানে (Purba Bardhaman)। মালদার পর বর্ধমান, এখানেও রোগীদের খাটিয়ায় নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। সমস্যাটা জানেন বিডিও, চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে জেলা আধিকারিক সকলেই। তবুও দুর্ভোগ চলছেই। বর্ষাকালে এই রাস্তার হাল কহতব্য নয়, ঠিক এমনটাই জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান সদরের বন্ডুল গ্রামের আদিবাসীপাড়ায় রাস্তার অবস্থা এতটাই বেহাল। প্রশাসনের কাছে রাস্তা নির্মাণের দাবি জানানো হলেও মিলছে না সমাধানসূত্র। উল্লেখ্য মালদায় খারাপ রাস্তার কারণে খাটিয়া করে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মৃত্যু হয়। এরপরই প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

    নেতারা শুধু প্রতিশ্রুতি দেন, ক্ষোভ

    আদিবাসী পাড়ার এক ব্যক্তি দুলন সর্দার বলেন, “গ্রামের (Purba Bardhaman) ভিতরে আসা যাওয়া করতে প্রচণ্ড অসুবিধা হচ্ছে। কেউ অসুস্থ হলে খাটিয়া করেই জীবিত মানুষকে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। এলাকা থেকে হাসপাতাল প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে। খারাপ রাস্তার কারণে রোজ স্কুল যেতে ব্যাঘাত ঘটছে পড়ুয়াদের। আর বর্ষাকালে রাস্তায় হাঁটাচলা করাই সমস্যা।” আরেক বাসিন্দা রবিলাল বাস্কে বলেন, “নেতারা শুধু প্রতিশ্রুতি দেন। ভোট নিয়ে যান। গ্রামের ভিতরে এই রাস্তাটুকু চলার অযোগ্যই থেকে যায়।”

    বেহাল রাস্তায় ক্ষুব্ধ গ্রামের মানুষ

    গ্রামের (Purba Bardhaman) বাসিন্দা বাবু বেসরা বলেন, “এলাকায় দীর্ঘদিনের রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে। দশ বছর ধরে আবেদন নিবেদন করলেও পঞ্চায়েত থেকে বি.ডি.ও এবং বিধায়ক থেকে জেলা পরিষদ, বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদকে অভিযোগের কথা জানালেও কোনও সমাধান হচ্ছে না। প্রশাসনের বিন্দুমাত্র সমস্যা নিয়ে হুঁশ নেই।”

    প্রশাসনের বক্তব্য

    তবে বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের (Purba Bardhaman) চেয়ারম্যান কাকলি তা বলেন “হঠাৎ করে ওই পাড়াটি গ্রামের ভিতরে গড়ে তুলেছেন আদিবাসীরা। নিজেদের আত্মীয় এনে বসতি গড়েছেন। পাড়ার ভিতরে কিছুটা রাস্তা হলেও মূল রাস্তার সাথে এখনও সংযোগ করা যায়নি।” তিনি স্বীকার করেন অসুবিধা আছে। তবে এও জানান, একটি পরিবার বারো কাঠা জায়গা দিলে তবেই রাস্তাটি হতে পারে। এই যুগে কে এই রাস্তার জন্য জমি দেবে? এনিয়ে জটিলতা রয়েছে। জমি অধিগ্রহণও হয়নি বলে তিনি জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: পেনশনের টাকায় দরিদ্র শিশুদের নিখরচায় পড়াশোনা করাচ্ছেন শিক্ষক

    Dakshin Dinajpur: পেনশনের টাকায় দরিদ্র শিশুদের নিখরচায় পড়াশোনা করাচ্ছেন শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকতার পাশাপাশি দরিদ্র, অসহায় বাচ্চাদের পড়াশোনা করাতেন শিক্ষক। নিজের বেতনের টাকা থেকে পয়সা বাঁচিয়ে শিক্ষাদান করতেন শিশুদেরকে। দেখতে দেখতে হয়ে গিয়েছে ২৫টা বছর। ১৯৯৮ সালে ৩০ জন হতদরিদ্র পরিবারের শিশুদের নিয়ে পথচলা শুরু করে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) কুশমণ্ডি ব্লকের জয় রাধা সুদর্শন লাল নীলকণ্ঠ স্বর্গ সংস্থা। থাকা-খাওয়া, পড়াশোনা সবই একেবারের নিখরচায়। কিন্তু বারবার আবেদন করেও এখনও মেলেনি সরকারি স্বীকৃতি। যা নিয়ে হতাশ কর্তৃপক্ষ, আবাসিকরা।

    কে এই শিক্ষক (Dakshin Dinajpur)?

    শিক্ষকতা থেকে অবসর নেওয়ার পরে পেনশনের টাকা টাকা দিয়ে অসহায় শিশুদের লেখাপড়া করিয়ে যাচ্ছেন বালুরঘাটের বাসিন্দা রঞ্জিতকুমার দত্ত। তিনি এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন শুধুমাত্র গ্রামীণ এলাকার অসহায় শিশুদের জন্য। বালুরঘাটে বাড়ি হলেও শিক্ষকতার সূত্রে রঞ্জিতবাবুর যোগাযোগ শুরু হয় কুশমণ্ডি ব্লকের মালিগাঁও পঞ্চায়েত এলাকার সঙ্গে। তিনি বাগডুমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মাস গেলে বেতন পাওয়া নিয়ে কোনও অসুবিধে ছিল না। কিন্তু স্কুলের ছাত্র সংখ্যার অভাব দেখে তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে, কেন পড়ুয়ার সংখ্যা কম? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে স্কুলে এসে বেরিয়ে পড়তেন আশেপাশের গ্রামগুলোতে।

    কেন শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা?

    এলাকায় (Dakshin Dinajpur) পড়াশোনার ভাবনা একেবারই ছিল না। দারিদ্রতা ছিল এর প্রধান কারণ। তাই নিজের বেতনের পয়সা থেকে একটা করে ব্ল্যাকবোর্ড কিনে ষোলোখানা টোল খুলেছিলেন সেই সময়। সন্ধ্যায় পাড়ার শিক্ষিত ছেলেদের তুলে এনেছিলেন পড়ানোর কাজে। যাঁরা পড়াতেন তাঁদেরকেও বেতন দিতেন ৫০, ১০০ করে টাকা। বালুরঘাট ছেড়ে নিজেও রাত্রিবাস করা শুরু করেন বাগডুমা গ্রামে। সুফল পেয়েছিলেন হাতেনাতে। ১৯৯৮ সালে অসহায় শিশুদের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান খুলবেন বলে ঠিক করেন। এগিয়ে আসেন বাগডুমা স্কুলের পাশে মস্তৈল গ্রামের কাইচালু সরকার। তাঁর দান করা পতিত ৮৪ শতক জমিতে পাটকাঠির বেড়ায় ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে জয় রাধা সুদর্শন লাল নীলকণ্ঠ স্বর্গ প্রতিষ্ঠান। আশেপাশের জেলা থেকে ছাত্ররা আসতো। এলাকার দরিদ্র ছেলেদের ওই প্রতিষ্ঠানে রাখার ভাবনা থাকলেও পাশের জেলার গাজোল, দৌলতপুর বুনিয়াদপুর কিংবা ইটাহার ব্লক থেকেও অনাথ শিশুরা চলে আসতে শুরু করে।

    শিক্ষকের বক্তব্য

    শিক্ষক রঞ্জিতবাবু বলেন, ‘কারও বাবা, কারও মা নেই। তাই যতদিন চাকরি করেছি ওদের তিনবেলা খাওয়া-থাকা সমস্ত খরচ নিজের বেতন থেকে চালিয়েছি। এখন অবসর নিলেও হাল ছাড়িনি। পেনশনের টাকা দিয়ে আশ্রমের কাজ করে যাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, “এলাকার (Dakshin Dinajpur) পরিচিত মানুষদের কাছ থেকে সাহায্য নিই। আর বাকিটা নিজের পেনশনের টাকা দিয়ে চলে সব খরচ। এই পরিস্থিতিতে অনাথ শিশুদের তিনবেলা খাবার জোগাড় করতে হয় বলে ছাত্রবৃদ্ধির কোনও ভাবনায় নেই। ৩০ জনের তিনবেলা খাওয়া, মাস গেলে ইলেক্ট্রিক বিল, তিনজন শিক্ষকের সাম্মানিক ছাড়াও আরও অজস্র খরচ”।

    মেলেনি সরকারি স্বীকৃতি

    আজ ২৫ বছর হলেও নীলকণ্ঠ প্রতিষ্ঠানকে ব্লক বা জেলা প্রশাসন (Dakshin Dinajpur) কেন আশ্রমের স্বীকৃতি দেয়নি? রাজ্য সরকার সুপারিশ করেনি কেন? উত্তরে রঞ্জিতবাবু বলেন, ‘১৫ বছর ধরে কাগজপত্র জমা দিয়েছি অফিসে সরকারি স্বীকৃতি পাবো বলে। মনমতো হয়নি, তাই স্বীকৃতি দেয়নি।’ এমন আক্ষেপের সুর তাঁর গলায় বাজতে থাকে। তিনি চান প্রতিষ্ঠানটি সরকারি স্বীকৃতি পাক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার দুই মাওবাদী নেতা, তাঁদের কাছে থেকে কী পেল পুলিশ?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার দুই মাওবাদী নেতা, তাঁদের কাছে থেকে কী পেল পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কি মাওবাদীরা নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠল। মুর্শিদাবাদ থেকে দুই মাও নেতাকে গ্রেফতার করার ঘটনা সেই সন্দেহকে নতুন করে উস্কে দিল। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে পিস্তল ও বুলেট উদ্ধার করেছে। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad)  সুতি থেকে মন্টু মল্লিক ও প্রতীক ভৌমিক নামে দুই মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল ও ৬’টি বুলেট।

    চলছিল তথ্য জোগাড় (Murshidabad)  

    সাত মাস আগে মাওবাদী নেতা প্রদীপ মণ্ডল ওরফে ‘ডাক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করে কলকাতা পুলিশ জানতে পারে, বাংলাদেশ সীমান্তে ‘মাও করিডর’ তৈরির কাজ করছে ঝাড়খণ্ডের মাওবাদীরা। তথ্য পেয়ে পুলিশ দুই মাও নেতাকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, মন্টু মল্লিক ওরফে রবি বা ভজা নামে পরিচিত। বেহালার সরশুনা এলাকার বারুইপাড়া রোডের বাসিন্দা তিনি। অন্যদিকে প্রতীক ভৌমিক ওরফে কাঞ্চনের বাড়ি নদিয়ার ধানতলায়। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর হাতে আগেও গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। তখনই পুলিশ জানতে পারে, তিনি মাও কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। তবে সে-ব্যাপারে পুলিশের হাতে উপযুক্ত কোনও প্রমাণ ছিল না।

    বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার পথে গ্রেফতার

    কিন্তু তাঁর ওপরে ধারাবাহিক নজরদারি চালিয়ে যায় পুলিশ। তাঁর মোবাইলও ট্র্যাক করা হয়। একটা সময় পুলিশ নিশ্চিত হয়, ঝাড়খণ্ড ও রাজ্যে মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মন্টু এবং প্রতীক। তখন থেকেই প্রতীক ও মন্টুর ওপর নজর রাখতে শুরু করে এসটিএফ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১৮ নভেম্বর গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সূতি এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে পুলিশ পৌঁছয়। পুলিশ জানতে পারে, ওই এলাকার একটি গোপন স্থানে দুই মাওবাদী নেতা বিশেষ বৈঠকে যোগ দিতে যাবেন। বাইকে করে যাওয়ার পথেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Collapse: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ ধসে আটকে বাংলার তিন যুবক, উদ্বেগে পরিবার

    Uttarkashi Tunnel Collapse: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ ধসে আটকে বাংলার তিন যুবক, উদ্বেগে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে উত্তরাখণ্ডের কাশীতে টানেলের (Uttarkashi Tunnel Collapse) ভিতরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আটকে পড়েছেন হুগলির আরামবাগের পুরশুড়ার দুই যুবক। তাঁদের নাম সৌভিক পাখিরা এবং জয়দেব প্রামাণিক। সৌভিকের বাড়ি পুরশুড়া থানার হরিণাখালি গ্রামে। আর জয়দেব নিমডাঙ্গির বাসিন্দা। আটদিন ধরে তাঁরা আটকে থাকায় পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন।

    পুজোর ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন (Uttarkashi Tunnel Collapse)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌভিক কলকাতার আশুতোষ কলেজ থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করে একটি বেসরকারি কোম্পানির চাকরিতে যোগ দেন উত্তরাখণ্ডে। ৯ মাস আগে ওই কোম্পানির চাকরি করতে যান তিনি। পুজোর ছুটিতে তিনি বাড়িতেও এসেছিলেন। ছুটি কাটিয়ে আবার ফিরে যান কাজে। উত্তরাখণ্ডে পাহাড়ের ভিতর দিয়ে ট্যানেলের মাধ্যমে রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল। সেখানেই কাজ করছিলেন সৌভিক ও জয়দেব। কাজ চলাকালীন পাহাড়ে ধস নেমে ট্যানেলের (Uttarkashi Tunnel Collapse) মুখ বন্ধ হয়ে গিয়ে আটকে পড়েন সৌভিক ও জয়দেব। তারপর উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন। কিন্তু কোনওভাবেই সৌভিক ও জয়দেবের সঙ্গে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করতে পারেননি।

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    সৌভিকের মা লক্ষ্মী পাখিরা বলেন, গত ১১ নভেম্বর রাতে সৌভিকের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। তারপর থেকে আর কোনও যোগাযোগ করা যায়নি। ট্যানেলে (Uttarkashi Tunnel Collapse) আটকে রয়েছে। অক্সিজেন ও খাবার পাঠিয়েছে। ওখানে থাকা লোকেদের সঙ্গে ওয়াকিটকির মাধ্যমে তাদের কথাবার্তা হয়েছে বলেই জানতে পেরেছি। জয়দেবের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, জয়দেবের কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। তবে, জয়দেবের খোঁজ মেলেনি। সুস্থ আছে বলে জানতে পেরেছি। দিল্লি থেকে নতুন মেশিন নিয়ে এসে বসানো হয়েছে, যাতে খুব তাড়াতাড়ি তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

    কোচবিহারের যুবকও আটকে 

    আরামবাগের মতো কোচবিহারের মানিক তালুকদার নামে এক যুবকও ট্যানেলের (Uttarkashi Tunnel Collapse) ভিতরে আটকে রয়েছেন। তাঁর বাড়ি তুফানগঞ্জের চেকাডরা গেরগেন্দার এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ মাস আগে তিনি কাজ করতে গিয়েছিলেন। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, ১১ নভেম্বর শেষ কথা হয়েছিল। এখন কেমন আছে তা বুঝতে পারছেন না। কেউ খোঁজ দিলে খুব ভাল হয় বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Visva Bharati: প্রাক্তন উপাচার্যের বাড়িতে ঢুকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ, করা হল ভিডিও

    Visva Bharati: প্রাক্তন উপাচার্যের বাড়িতে ঢুকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ, করা হল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলায় দায়ের হওয়া অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে বীরভূম জেলার পুলিশ। এদিন প্রাক্তন উপাচার্যের বাড়তিতে ঢুকেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় করা হয়েছে ভিডিও রেকর্ডিং এবং পুরো প্রক্রিয়াকে লিখিত আকারে নেওয়া হয়েছে। শেষে প্রাক্তন উপাচার্যকে দিয়ে সইও করানো হয় বলে জানা গিয়েছে।

    রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত (Visva Bharati)

    বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজের কার্যকালে একাধিক বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে গিয়েছিলেন। শাসক দলের নেতারা ক্যাম্পাসে দৌরাত্ম্য চালায়। তৃণমূলের নেতাদের অবৈধভাবে জায়গা দখল, পৌষমেলা বন্ধ, মেলার মাঠে বেআইনি দখল, বসন্ত উৎসবের নামে অপসংস্কৃতি থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসে দেওয়াল দেওয়া ইত্যাদি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন তিনি। সর্বোপরি অমর্ত্য সেনের জমি দখলকে ঘিরে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সংঘাতে গিয়েছিলেন তিনি। ফলে শাসক দল, পুলিশকে দিয়ে প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বলে মনে করছে অনেকেই।

    ফলক বিতর্ক

    বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য থাকার সময় ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সম্মান পাবার পর থেকেই বিশ্বভারতী (Visva Bharati) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পসের একাধিক জায়গায় ফলক লাগানো হয়। আর তা থেকে শুরু হয়েছিল তুমুল বিতর্ক। বিতর্কের কারণ ছিল ফলকে উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর নাম ছিল। ছিল না রবীন্দ্রনাথের নাম। আর নাম না থাকার কারণে বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল।

    নোটিশ পাঠিয়েছিলেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্য

    এই ফলক বিতর্কের জন্যই বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) প্রাক্তন উপাচার্যকে নোটিশ পাঠিয়েছিল পুলিশ। সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নোটিশে মূল অভিযোগ করেছিলেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার। গত ১৪ নবভেম্বর বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে শান্তিনিকেতন থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই ফলকে নাম নিয়ে রাজ্যের রাজ্যাপাল সিভি আনন্দ বোসও তৎকালীন উপাচার্যের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছিলেন। যদিও ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর ফলক পরিবর্তনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। গঠন করা হয়েছে চার সদস্যের একটি কমিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Joynagar: জয়নগর কাণ্ডে এবার গ্রেফতার তিন তৃণমূল কর্মী

    Joynagar: জয়নগর কাণ্ডে এবার গ্রেফতার তিন তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগর কাণ্ডে নতুন করে আরও তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম নজরুল মণ্ডল, আকবর ঢালি এবং আমানুল্লাহ জমাদার। তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িই দলুয়াখাকিতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃত তিন জনই এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত। তৃণমূল নেতা খুনের পর গন্ডগোলের ঘটনায় দলীয় কর্মীরা গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় তৃণমূলের দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    তৃণমূল নেতা খুনের পরই একজনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছিল

    তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের মামলার পাশপাশি, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আলাদা মামলা রুজু করে পুলিশ। সেই মামলাতেই রবিবার রাতে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ১৩ নভেম্বর জয়নগরের বামনগাছির পঞ্চায়েতের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর বাড়ি থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে মসজিদ নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন।  মসজিদের সিঁড়িতে সবে পা রেখেছিলেন তিনি। এমন সময়ে তাঁর ঘাড়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। গুলির শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা বেরিয়ে এসেছিলেন। রক্তাক্ত দেহটি তুলে দৌড়েছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি সইফুদ্দিনকে। খুনের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দলুয়াখাকি গ্রাম। সইফুদ্দিনকে গুলি করে পালানোর সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় দু’জন ধরা পড়ে যান স্থানীয়দের হাতে। অভিযোগ, সাহাবুদ্দিন নামে তাঁদের একজনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। অন্য জন, শাহরুল শেখকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    শাসক দলের নেতা খুনের পরই সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ হয়

    তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার পর পরই তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ২০-২৫ টি বাড়িতে ভাঙচুর এবং লুটপাটের অভিযোগ ওঠে। পরিবারের মহিলাদের মারধর করে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, বেছে বেছে শুধুমাত্র সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে ভাঙচুর এবং আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত আনিসুর লস্করকে নদিয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও কামালউদ্দিন ঢালি নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার জয়নগরের দলুয়াখাকিতে ঘরবাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: জগদ্ধাত্রী পুজোতে শীতের আমেজ, আগামী সপ্তাহ থেকে আরও কমবে তাপমাত্রা?

    Weather Update: জগদ্ধাত্রী পুজোতে শীতের আমেজ, আগামী সপ্তাহ থেকে আরও কমবে তাপমাত্রা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমের মধ্যেই ধীরে ধীরে শীতের (Weather Update) প্রভাব ক্রমশ বাড়ছে। পারদ ক্রমশ নিম্নমুখী। আকাশে মেঘ-বৃষ্টির সম্ভাবনা কেটে যাচ্ছে, আকাশ আরও পরিষ্কার হয়ে উঠেছে। একে একে দুর্গাপুজো, কালীপুজো, ছটপুজোর পর জগদ্ধাত্রী পুজোতে শীতের আমেজ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পূর্বাভাস, সকাল-সন্ধ্যায় ক্রমশ শীতের প্রাবল্য বাড়বে। তবে দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে।

    জেলার তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির কম থাকবে (Weather Update)

    আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে। মেঘ কেটে গেলেও দিনের উষ্ণতা সামান্য বাড়বে। বাতাসে কিছুটা জলীয় বাস্পের পরিমাণ বৃদ্ধি থাকায় কিছুটা অস্বস্তি থাকবে। সন্ধ্যা হলেই আবার শীতের (Weather Update) আমেজ অনুভূত হবে। সেই সঙ্গে জেলার তাপমাত্রা মোটামুটি ২০ ডিগ্রির কম থাকবে। আগামী সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা আরও কম হবে বলে জানা গিয়েছে। দিনের তুলনায় রাতের তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি করে কম হবে।

    উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা

    উত্তরবঙ্গেও দক্ষিণবঙ্গের মতো তাপমাত্রা অনেকটাই কম হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে আকাশ অনেকটাই পরিষ্কার থাকবে। শীত (Weather Update) ক্রমশ বাড়ছে। পাহাড়ি এলাকায় অনেকটাই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৃষ্টির কারণ হবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। আবহাওয়া দফতর থেকে জানা গিয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। উত্তরের সমস্ত জেলায় শীতের প্রভাব বাড়বে।

    কলকাতার আবহাওয়া

    গত শুক্রবার কলকাতা শহরের আবহাওয়া মেঘলা ছিল। কোথাও কোথাও সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ আকাশ বেশ পরিষ্কার। রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই কম হয়েছে। সকাল এবং সন্ধ্যায় অপেক্ষাকৃত কম তাপমাত্রার কারণে শীতের (Weather Update) আমেজ অনুভব করা যাবে। মঙ্গলবার থেকে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির থেকে আরও কম থাকবে। রবিবার কলকাতা সহ আশেপাশের এলাকায় সবথেকে বেশি তাপমাত্রা ছিল ২৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। আবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৮ শতাংশ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • World Cup 2023: বিশ্বকাপ ফাইনালে বিরাট আউট হতেই হৃদরোগে মৃত্যু হল বৃদ্ধের

    World Cup 2023: বিশ্বকাপ ফাইনালে বিরাট আউট হতেই হৃদরোগে মৃত্যু হল বৃদ্ধের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ (World Cup 2023) ফাইনাল নিয়ে রবিবার দেশের সর্বত্র উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই ফাইনাল খেলা দেখতে দেখতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে দেশের হার মেনে নিতে না পেরে আচমকাই অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয় প্রবীণ এক ক্রিকেটপ্রেমীর। এভাবে মৃত্যুর ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না পরিবারের লোকজন। প্রতিবেশীরাও সুস্থ মানুষের এভাবে চলে যাওয়ার ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না। রবিবার মর্মান্তিক এই ঘটনার সাক্ষী থাকল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। বয়স ৬২ বছর।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (World Cup 2023)  

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুকুমারবাবুও মুর্শিদাবাদ জেলায় ক্রিকেট খেলার সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলেন। ফলে, খেলার প্রতি তাঁর বরাবরই আগ্রহ ছিল। আর এবার বিশ্বকাপে (World Cup 2023)  ভারতের পারফরম্যান্সে মুগ্ধ ছিলেন তিনি। তাই, ফাইনাল নিয়ে বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখেছিলেন। রবিবার দুপুরে খেলা শুরুর আগে সব কাজ শেষ করে টিভির সামনে বসেছিলেন। পরিবারের সকলকে নিয়ে খেলা দেখছিলেন তিনি। লাগাতার ভারতের উইকেট পড়তে থাকায় উৎকণ্ঠা বাড়ছিল সকলের মধ্যে। সুকুমারবাবু ঘামতে শুরু করেন। একমাত্র ভরসা ছিলেন বিরাট কোহলি। অর্ধশতরান করার পর তিনিও আউট হতেই তিনি উঠে ছাদে চলে যান। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। বুকে ব্যথা শুরু হয়ে যায় তাঁর। তাঁকে প্রথমে বেলডাঙা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীনই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, ক্রিকেট খেলা অনেকেই ভালোবাসে। তবে, এরকম ক্রিকেটপ্রেমী খুব কম দেখা যায়।

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    সুকুমারবাবুর স্ত্রী গীতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিশ্বকাপ (World Cup 2023) নিয়ে প্রথম থেকে ওর উৎসাহ ছিল। কোনও ম্যাচ বাদ দেয়নি। আর কয়েক দিন ধরেই শুধু ফাইনাল ম্যাচের কথা বলছিল। বিশ্বকাপ নিয়ে তাঁর বাড়তি উন্মাদনা ছিল। ভারতের উইকেট পড়তে থাকায় ভীষণ ভাবে ঘামতে শুরু করে আমার স্বামী। ছটফট করছিল। বিরাট কোহলি আউট হওয়ার পর ওর বুকে ব্যথা শুরু হয়। হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মাথা উঁচু করে ফিরব’, ভারতীয় দলকে ভরসা জোগালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘মাথা উঁচু করে ফিরব’, ভারতীয় দলকে ভরসা জোগালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১০ ম্যাচে অপ্রতিরোধ্য ছিল ভারতীয় দল। তবে ছন্দপতন হল আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। ফাইনালের দিন অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬ উইকেটে পরাস্ত হয়েছে ভারত। ১৪০ কোটি দেশবাসীর মন ভারাক্রান্ত। এই সময় ভারতীয় টিমের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে বলিউডের তারকারাও। এবার ভারতীয় টিমের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দু অধিকারীর বার্তা

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘আমরা হয়তো আজকে জিততে পারিনি। তবে পুরো টুর্নামেন্টে আমাদের খেলোয়াড়রা অসাধারণ পারফরম্যান্স তুলে ধরতে পেরেছেন।’’ নন্দীগ্রামের বিধায়কের আরও সংযোজন, ‘‘খেলাধুলার পাশাপাশি জীবনেও আমরা অনেক কিছু জিতি এবং হারাই।’’ এর পাশাপাশি বিশ্বকাপ জয়ী অস্ট্রেলিয়া দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি লেখেন, ‘‘আজকের সেরা দল ছিল অস্ট্রেলিয়া। আমাদের ভারতীয় টিমের জন্য আমরা গর্বিত। মাথা উঁচু করে শক্তিশালী হয়ে ফের আমরা ফিরে আসবো।’’

    ফাইনালে ছন্দপতন

    ভারতীয় দলের বিপর্যয়ের পরেই বার্তা ভেসে আসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। তিনি লিখেছেন, ‘‘অসামান্য উদ্যমে খেলেছেন আপনারা এবং দেশবাসীকে গর্বিত করেছেন। আমরা আজ এবং সব সময় আপনাদের পাশে রয়েছি।’’ প্রসঙ্গত, রবিবারের ফাইনাল ম্যাচে টসে জিতে অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে পাঠায় ভারতকে। ভারতের হয়ে শুরুটা ভালোই করেছিলেন রোহিত শর্মা। তবে প্রথমেই ফিরে যান শুভমন গিল। এদিনও ৪৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন টিম ইন্ডিয়ার ক্যাপ্টেন। এরপরে কোহলি এবং কে এল রাহুলও অর্ধশত রান করেন। তবে মাত্র ২৪১ রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখতেই সক্ষম হয় টিম ইন্ডিয়া। ব্যাট করতে নেমে ৪৭ রানের মাথায় তিন উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। তারপরে ঘুরে দাঁড়ায় তাদের ব্যাটাররা। অবশেষে সহজেই ৪২ ওভারে জয় পেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: “এত অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী ৭ জনের মধ্যে ৪ জনের ডেথ সার্টিফিকেট দেননি” তোপ শুভেন্দুর

    Asansol: “এত অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী ৭ জনের মধ্যে ৪ জনের ডেথ সার্টিফিকেট দেননি” তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলের (Asansol) রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়িতে খোলামুখ খনিতে অবৈদ্ধ কয়লা কাটতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের সাথে দেখা করলেন রাজ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার বিকালে নারায়ণকুড়ি এলাকায় এসে তিনি বলেন, “অমানবিক মুখ্যমন্ত্রী, সেদিনের ঘটনায় ৭ জনের মধ্যে তিনজনকে ডেথ সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে, বাকি ৪ জনকে কোন ডেথ সার্টিফিকেট দেননি।” এক মাসের কিছু বেশি সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও পরিবারগুলির সাথে সরকারি কোনও আধিকারিক দেখা করতে আসেননি। তাই রাজ্য সরকারের মৃত্যু নিয়ে এই আচরণ বৈমাত্রেয় সুলভ বলে দাবি করেন তিনি। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় সরব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Asansol)

    এই দিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী রানিগঞ্জে (Asansol) বলেন, “এই এলাকা একটা সময় শিল্পাঞ্চলের জন্য বিখ্যাত ছিল। কিন্তু তৃণমূল সরকারের নীতি না থাকায় বর্তমানে অনেক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে এখানে কেবলমাত্র কয়লা চুরির ঘটনায় কুখ্যাতি অর্জন করেছে। এই চুরির জন্য অনেকে জেলে গিয়েছেন আবার অনেকে জেলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু উল্লেখ্য এলাকায় সিবিআই এতো বড় দুর্নীতির তদন্ত করলেও এলাকার প্রশাসনের মদতে চলছে নতুন গেলাসে পুরাতন মদ। এলাকায় পুলিশের মদতে নতুন সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। স্থানীয় শাসক দলের নেতার পুলিশের সহযোগিতায় এই চুরির কারবারি চালাচ্ছেন। এলাকায় যাঁরা খনি অঞ্চলের কাজ করেন তাঁদেরকে কাজ দেওয়া হয়নি। বাইরে থেকে টাকার বিনিময়ে এলাকায় লোক ভাড়া করে কাজে লাগানো হচ্ছে। ফলে এলাকার মানুষের কর্ম সংস্থান নেই।”

    মৃতের সংখ্যা নিয়ে কারচুপি

    খোলামুখ খনি এলাকায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে কারচুপি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু আরও বলেন, “খনি অঞ্চলে (Asansol) ইএসএল কর্তৃপক্ষ এলাকার শাসক দলের চাপে সম্মিলিত ভাবে তৃণমূলের কাজকে সমর্থন করছেন। বিজেপি জেলা সভাপতির বাপ্পা এবং বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ আন্দোলন করা হয়। ধসের কারণে যাঁদেরে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের পরিবার পিছু ক্ষতিপূরণের দাবি জানানো হয়। আজ যদি এলাকার মানুষেরা কাজের সুযোগ পেতেন তাহলে এই রকম বিপত্তি ঘটতো না। পশ্চিমবঙ্গে করোনা হোক, ডেঙ্গি হোক মৃতের সংখ্যা কম দেখানো এই মুখ্যমন্ত্রীর একটা রোগ। এতো মৃত্যু দেখালে সারা দেশে প্রচার হবে তাই মৃতের সংখ্যা নিয়ে রাজনীতি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মারা গেছেন ৭ জন আর নাম পাঠানো হয়েছে ৩ জনের। তিনটে চেক এসেছে কিন্তু বাকি চারটে মৃত্যুর ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হয়নি পরিবারকে। আমরা আগামী ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রের কয়লা মন্ত্রীকে এই এলাকায় আসার জন্য অনুরোধ করব। এলাকার সমস্যা সমাধানে আমরা সকালের পাশে আছি।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share