Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Saktigarh: বাণিজ্য সম্মেলনের ঢক্কানিনাদের মাঝেই অর্ডার না পেয়ে বন্ধ ‘জুট পার্ক’

    Saktigarh: বাণিজ্য সম্মেলনের ঢক্কানিনাদের মাঝেই অর্ডার না পেয়ে বন্ধ ‘জুট পার্ক’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাণিজ্য সম্মেলনের ঢক্কানিনাদের মাঝেই অর্ডার না পেয়ে বন্ধ ‘জুট পার্ক’। সরকারি অর্ডার নেই এবং সেই সঙ্গে প্রতিকূল বাজার। ফলে গোডাউনে মজুত রয়েছে উৎপাদিত পণ্য। আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে তিনদিন জুট পার্ক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল মিল কর্তৃপক্ষ। কর্মহীনতার আশঙ্কায় ভুগছেন জুট পার্কে শ্রমিকরা। এমন ঘটনায় শোরগোল পড়েছে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে (Saktigarh)।

    জুট পার্ক কী বলেছে (Saktigarh)?

    ৩০ নভেম্বর ২০২৩ থেকে ২ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় (Saktigarh) জুট পার্ক। জুট পার্কের পক্ষ থেকে নোটিশ জারি করে জানানো হয়েছে, সরকারি অর্ডার তেমন ভাবে নেই। প্রতিকূল বাজারের কারণে উৎপাদিত মাল বিক্রি করা যাচ্ছে না। ফলে গোডাউনে প্রচুর পরিমাণ মাল মজুত রয়েছে। কোম্পানির আর্থিক সংকট ও প্রয়োজনীয় কাঁচা পাট না থাকার জন্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে মিল চালানো সম্ভব হচ্ছে না, সেই জন্য বাধ্য হয়ে ইউনিট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে উক্ত বন্ধের দিনগুলিতে শ্রমিকদের কোনও মজুরি বা ভাতা প্রদান করা হবে না।

    শ্রমিকদের বক্তব্য

    মিলের (Saktigarh) এক শ্রমিক সেখ রফিক বলেন, “বিভিন্ন রাইস মিলগুলিও একই কারণেই সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন কাজ হচ্ছে বাকি দিন বন্ধ রাখছে। বন্ধের দিনগুলি শ্রমিকদের মজুরি দেওয়া হচ্ছে না ফলে এই শক্তিগড় জুট পার্কেও কেউ এরকম করা হলে আগামী দিনে আমরাও কর্মহীন হবো।” আরেক শ্রমিক বুধ শেঠ বলেন, “শক্তিগড় জুট পার্ক যাতে আগের মতই চালু করা হয়, সেই দাবি জানাচ্ছি আমরা”।

    বিজেপির বক্তব্য?

    স্থানীয় (Saktigarh) বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “রাজ্য সরকার বাণিজ্য সম্মেলনের নামে সাধারণ জনগণের ট্যাক্সের কোটি কোটি টাকা খরচা করে বিদেশে ঘুরছেন আমলা এবং মন্ত্রীরা। একই ভাবে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তৃণমূল। তারই একটা প্রকৃষ্ট উদাহরণ শক্তিগড় জুট পার্ক বন্ধের দৃষ্টান্ত।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “জুটের ক্ষেত্রে সমস্ত দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের, শুধু বড়ো বড়ো কথা বলছেন। কারখানাগুলি আজ ধুকছে, ফলে শ্রমিকরা চিন্তা করছেন আগামী দিনে তাঁদের কী হবে। বাণিজ্য সম্মেলন করে কী লাভ হয়েছে বাংলার মানুষ জানেন। বিজেপির জানা উচিত মালিক যে নোটিশ দিয়েছে এর কারণের পিছনে রয়েছে কেন্দ্র সরকার। মূল কারণ যে হারে উৎপাদন হয় সেই হারে বিক্রি নেই। মাল কেনা থেকে বিক্রি সবটাই দেখে কেন্দ্র সরকার। আর সেই কারণেই কারখানা (Saktigarh) বন্ধ হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মতুয়ারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, কেন বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: মতুয়ারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, কেন বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পুলিশকে লেঠেল বাহিনীতে পরিণত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো অভিষেক। পুলিশের কাজ শুধু দড়ি দিয়ে মমতা এবং অভিষেককে পাহাড়া দেওয়া আর টাকা তোলা। শুক্রবার কল্যাণীতে আত্রান্ত বিজেপি কর্মীকে দেখতে এসে এই ভাষাতেই রাজ্য পুলিশ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    বিজেপি কর্মীর উপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে মিহির বিশ্বাস নামে এক বিজেপির সক্রিয় কর্মীকে কল্যাণী থানার উত্তর চাঁদমারি এলাকার একটি সেলুনের দোকানে ঢুকে আচমকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে ওই এলাকারই অভিযুক্ত দুই ভাই আরমান শেখ এবং আরবাজ শেখ। জানা যায়, আরমান এবং আরবাজ ওই এলাকার তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বে রয়েছেন। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বিজেপি কর্মীকে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও চিকিৎসা চলছে তার। এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দেশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এরপরই শুক্রবার রাতে ঘটনার কথা জানতে পেরে হাসপাতালে আক্রান্ত ওই বিজেপি কর্মীকে দেখতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকার এবং পুলিশকে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, পুলিশকে কাজ না করতে দিলে যে ঘটনা ঘটার কথা সেটাই হয়েছে। পুলিশ এখন শুধুমাত্র দড়ি ধরে মমতা এবং অভিষেককে নিরাপত্তা দিতেই ব্যস্ত। গ্রাম পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ স্তরের নির্বাচন হলে ভোট লুট করে কীভাবে তৃণমূলকে জেতানো যাবে সেই কাজ করানো হয় পুলিশকে দিয়ে।

    মতুয়ারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, তোপ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    মতুয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, বাংলাদেশ থেকে জামাতদের কারণে মতুয়ারা অত্যাচারিত হয়ে এদেশে এসে এসেছিলেন। আজ তাদেরই নিরাপত্তা দিতে ব্যস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়াদের সম্পর্কে যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তাতে করে কোনও মতুয়া তৃণমূলকে ভোট দেবেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel: “এখানে চাকরি নেই, দিদিকে বলব কাজ দিন” সুড়ঙ্গ থেকে ফিরে কেন বললেন মানিক?

    Uttarkashi Tunnel: “এখানে চাকরি নেই, দিদিকে বলব কাজ দিন” সুড়ঙ্গ থেকে ফিরে কেন বললেন মানিক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুড়ঙ্গ থেকে ফিরে শ্রমিক মানিক বললেন, “এখানে চাকরি নেই, দিদিকে বলব কাজ দিন”। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে (Uttarkashi Tunnel) ৪১ জন শ্রমিকদের মধ্যে ছিলেন কোচবিহারের বাসিন্দা মানিক তালুকদার। সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হয়ে ঋষিকেশ এইমসে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। এরপর সেখান থেকে বিমানপথে বাগডোগরা বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “রাজ্যে কাজ কোথায়?” ফের একবার কর্মসংস্থান নিয়ে প্রশ্ন করলেন তিনিও। 

    রাজ্যে মমতার ১৩ বছরের শাসনে কর্মসংস্থান কোথায়? শিল্প, কল-কারখনার কোথায়? রাজ্যে সরকারি চাকরির নিয়োগ কোথায়? ঠিক এই প্রশ্নগুলি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মুখে প্রত্যেক দিন শোনা যায়। বিরোধী দলগুলি করোনার সময় এই রাজ্য থেকে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হরিয়ানাতে সবথেকে বেশি পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ করতে যায় বলে উল্লেখ করেছিল। পরিযায়ী শ্রমিকদের মুখেও বার বার শোনা গিয়েছে, বাংলায় কাজের সুযোগ নেই, তাই অন্য রাজ্যে যেতে হয়। সম্প্রতি বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় বাংলা থেকে দক্ষিণ ভারতের কাজ করতে যাওয়া অনেক পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। ফলে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা কোচবিহারের শ্রমিক মানিকের কথায় ফের একই কথা শোনা গেল, রাজ্যে কাজ কোথায়?

    কী বললেন মানিক (Uttarkashi Tunnel)?

    সুড়ঙ্গ থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলায় পা রেখে মানিক তালুকদার বলেন, “আমার ছেলে স্নাতক পাশ করে বসে রয়েছে। রাজ্যে কাজ কোথায়। আমাদের মতো দরিদ্র মানুষ কাজে না গেলে সংসার কীভাবে চলবে। কর্মসংস্থানের অভাবের জন্যই বাইরের রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হয়। কাজ দিলে বাংলাতেই থাকব। দিদিকে বলবো কাজ দিন। বাইরের রাজ্যে অনেক কোম্পানি রয়েছে। তাঁদের কাছে কাজ রয়েছে কিন্তু আমাদের রাজ্যে কাজ নেই।”

    রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই তাই পরিযায়ী

    সুড়ঙ্গ (Uttarkashi Tunnel) থেকে উদ্ধার হওয়ার পর মানিকের স্ত্রী সোমা তালুকদার বলেছিলেন, “ঝুঁকির কাজে আর ওঁকে পাঠাবো না”। কিন্তু বাড়িতে ফিরে মানিক বলেন রাজ্যে কাজ নেই, অভাবের সংসার। অন্য রাজ্যে কাজে যেতে হয়। পাশপাশি মাণিক আরও খুব স্পষ্ট করে বলেন, “উত্তরকাশীতে ৩৪ হাজার টাকা বেতন পান। কিন্তু এই রাজ্যে কাজ কে দেবে?” অপর দিকে হুগলির শ্রমিক জয়দেব প্রামাণিকের বাবা তাপস প্রামাণিক বলেছেন, “আমার চায়ের দোকান, তা দিয়ে সংসার চলে না। ঝুঁকিপূর্ণ কাজ না হলে ছেলেকে আবার বাইরের রাজ্যে কাজে পাঠাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির প্রতীকে পঞ্চায়েতে জেতার মাশুল! তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য রোজ রাতে ‘বিশেষ অনুরোধ’

    BJP: বিজেপির প্রতীকে পঞ্চায়েতে জেতার মাশুল! তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য রোজ রাতে ‘বিশেষ অনুরোধ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি ছাড়ার জন্য প্রতি রাতেই তৃণমূলের লোকজন বাড়িতে গিয়ে ‘বিশেষ অনুরোধ’ করছে। এর সুরাহার দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত সদস্যা। অভিযোগ, রাত হলেই ভয়ে থাকতে হচ্ছে বিজেপির প্রতীকে পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী মহিলা সদস্যা বন্দনা টুডু ও তাঁর স্বামী মোহনলাল টুডুকে। এ নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বিজেপি নেতৃত্ব এবং তাঁদের ওই পঞ্চায়েত সদস্যা প্রশাসনের কাছে অভিযোগে যা জানিয়েছেন, সেটাও যথেষ্ট চমকে দেওয়ারই মতো। বিজেপি সদস্যা ও তাঁর স্বামীকে তৃণমূলে যোগদান করানোর জন্য ’ভীতি প্রদর্শন’ করতে রাত হলেই নাকি পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতর উপ-প্রধান সহ শাসকদলের লোকজন তাঁদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে। আর এই ঘটনা নিয়েই এখন আলোচনায় জামালপুরের পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি শাসকদলের নেতৃত্ব।

    অভিযোগে কী জানিয়েছেন বিজেপি সদস্যা? (BJP)

    এবারের পঞ্চায়েত ভোটে পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পর্বতপুর গ্রামের ১২৮ নম্বর বুথে বিজেপি (BJP) প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বন্দনা টুডু। তিনি লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছেন, ভোট দিয়ে এলাকাবাসী তাঁকে জয়ী করে পঞ্চায়েতে পাঠান। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে তৃণমূল পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে। কিন্তু তার পরেও একেবারে বিরোধীমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এলাকার শাসক দলের লোকজন এবং পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান উত্তম হাজারী। তাঁর কথায়, ‘বেশ কিছুদিন ধরে রাত হলেই উত্তম হাজারী তাঁর দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে চলে আসছে। তৃণমূল কংগ্রেস দলে আমি যাতে যোগদান করি, তার জন্য তারা আমাকে ও আমার স্বামী মোহনলাল টুডুকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এমনকি ব্লক তৃণমূলের পার্টি অফিসে আমাদের নিয়ে গিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানোর জন্য প্রায় প্রতিদিনই চাপ সৃষ্টি করছে।’ প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার বিহিত চেয়েছেন পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যা বন্দনা টুডু।

    বিজেপির অভিযোগে কী জবাব তৃণমূলের?

    এই নিয়ে বিজেপির (BJP) মণ্ডল সভাপতি প্রধানচন্দ্র পাল বলেন ,“তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করানোর জন্য আমাদের দলের পঞ্চায়েত সদস্যা ও তার স্বামীকে ভীতি প্রদর্শন করছে শাসক দলের উপ-প্রধান ও তার দলবল । এই বিষয়টি লিখিতভাবে ব্লকের বিডিও ও থানায় জানিয়েছি। প্রশাসন যদি এসব বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে বিজেপি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে“। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান; ‘মানুষ বিজেপি ,সিপিএম দুই দলকেই প্রত্যাখ্যান করেছে। ব্লকের কোনও পঞ্চায়েতেই বিরোধীরা বোর্ড গঠন করতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের আগে ’মাইলেজ’ পেতে বিজেপি নেতারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তৃণমূলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। অন্য দল থেকে লোক টেনে আনার মতো অবস্থা তৃণমূল কংগ্রেসের হয়নি।’
     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতি! অবৈধ সম্পর্কের জেরে গুলি চালিয়ে দিলেন তৃণমূল কর্মী

    South 24 Parganas: আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতি! অবৈধ সম্পর্কের জেরে গুলি চালিয়ে দিলেন তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গভীর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিংয়ে চলল গুলি! বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এক মহিলাকে গুলি চালানোর অভিযোগ এলাকারই এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ওই তৃণমূল কর্মীর নাম ভোলা প্রসাদ। ইতিমধ্যেই তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (South 24 Parganas)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এই মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল ওই তৃণমূল কর্মীর। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাদের মধ্যে কোনও এক বিষয় নিয়ে বচসা হয়। আর তারপর সেই বচসা জেরেই ওই তৃণমূল কর্মী নিজের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মহিলাকে গুলি করে বলে অভিযোগ ওঠে। গুলিতে আহত হয় ওই মহিলা। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে নিয়ে আসা হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা রেফার করেন কলকাতা মেডিক্যাল হাসপাতালে। সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পেটে গুলি লেগেছে। ইতিমধ্যে এই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (South 24 Parganas) এক তৃণমূল নেতা গুলি চালানোর ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “ঠিক কোন জায়গায় এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে সেই কথা আমি জানি না। তবে একজন মহিলার সঙ্গে ভোলার একটা সম্পর্ক ছিল। শুনেছি মহিলার টাকাপয়সার চাহিদা ছিল প্রচুর পরিমাণে। অনেক জায়গায় ঘুরতে যেতে চাইত, হোটেলে যেতে চাইত। হয়তো আরও বেশি বেশি টাকার দাবি করেছিল। তবে ভোলা প্রসাদের সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। পাড়ার ছেলে হিসাবে তৃণমূল করত ভোলা। কিন্তু এর থেকে বেশি আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক নেই।”

    পুলিশের বক্তব্য

    ক্যানিং পুলিশ (South 24 Parganas) সূত্রে খবর, রাত ১২ টার সময় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। গুলি করছে ভোলা প্রসাদ নামক ৪৩ বছরের এক ব্যক্তি। সেই সঙ্গে গুলিতে আক্রান্ত হয়েছে ২৩ বছরের মাহিলা। তবে তাদের মধ্যে কী সম্পর্ক, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে একটাই গুলি লেগেছে ময়নার পেটে, অবস্থা বেশ আশঙ্কা জনক। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ভোলা প্রসাদ সম্পর্কে আগেও অপরাধের অভিযোগ জমা পড়েছিল থানায়। ফলে এই বিষয় নিয়ে এখন আরও বিস্তৃত তদন্ত চলছে। ভোলা এখন পুলিশের হেফাজতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: জলে আর্সেনিক, ট্যাপে জল আসে না, তৃণমূলের রাজত্বে নিষ্ক্রিয় প্রশাসন

    Purba Bardhaman: জলে আর্সেনিক, ট্যাপে জল আসে না, তৃণমূলের রাজত্বে নিষ্ক্রিয় প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের শাসনে পানীয় জলে আর্সেনিকের সমস্যায় কঠিন অবস্থার মধ্যে রয়েছে এলাকার মানুষ। পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) পূর্বস্থলীর মাদ্রাস গ্রামে টাকা খরচ করে পাম্প বসিয়েও সেই জল খেতে পারছেনা এলাকার মানুষ। বাধ্য হয়েই গত কয়েক বছর ধরে ভরসা কেনা জল। আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় অভাবী পরিবার দূর থেকে পানীয় জল এনে কাজ চালাচ্ছে বাসিন্দারা। আর্সেনিক প্রবণ গ্রামে এই ভাবেই পানীয় জলের সমস্যায় বছরের পর বছর কাটাচ্ছে কয়েকশো গ্রামবাসী।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য (Purba Bardhaman)

    পানীয় জলের সমস্যার কথা জানিয়ে স্থানীয় (Purba Bardhaman)  বাসিন্দা আনন্দ রায় বলেন, “মাটির নিচের পাইপ থেকে জল সংগ্রহ করে সেই জল পান করতাম আমরা। এরপর বাড়ির সকলেই আর্সেনিক আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। আর্সেনিকের বিষের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন আমার পরিবারের 8 জন। গত পাঁচ বছর ধরে আমাদের কলে জল পড়ে না। এলাকার মানুষের জলের সমস্যা নিয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না।”

    ২০০৩ সালে ট্যাপ দিলেও জল পড়ে না

    পূর্বস্থলীর (Purba Bardhaman) দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের আর্সেনিক প্রবণ মাদ্রাগ্রামে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পিএইচই দপ্তর থেকে বাড়ি বাড়ি আর্সেনিক মুক্ত পরিশ্রুত জলের ট্যাপ কল দেওয়া হয়েছিল ২০০৩ সালে। এলাকার মানুষের অভিযোগ, পাঁচ বছর আগে থেকেই সেই ট্যাপ কলে জল পড়ছে না। পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে বহুবার জানানো হলেও মিলেছে কোনও রকম সমাধান সূত্র। শুধু প্রতিশ্রুতিই সার। সমস্যার সমাধানে প্রশাসন একেবারেই নিষ্ক্রিয়।। তাই দিন দিন পানীয় জলের দাবিতে ক্ষোভ বাড়ছে আর্সেনিক প্রবণ এই মাদ্রা গ্রামের গ্রামবাসীদের।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও এলাকার (Purba Bardhaman) পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পানীয় জল সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, “জলের পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ায় বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছাচ্ছে না। তবে দ্রুত সমস্যার কথা সমাধান করার চেষ্টা করবো।”

    বিজেপির বক্তব্য

    পূর্ব বর্ধমান জেলার (Purba Bardhaman) বিজেপি সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলকের কাজ হল পাম্প বসিয়ে টাকা খরচের হিসাব দেখিয়ে কাটমানি খাওয়া। এবার নলে জল আসুক আর না আসুক দেখতে যায় না তৃণমূল। রাজ্যে চোরেদের শাসন চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • High Court: ফের আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য, খেজুরিতে শুভেন্দুর সভারও অনুমতি দিল সেই হাইকোর্ট!

    High Court: ফের আদালতে ধাক্কা খেল রাজ্য, খেজুরিতে শুভেন্দুর সভারও অনুমতি দিল সেই হাইকোর্ট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির সভা হলেই তাতে অনুমতি না দেওয়া এবং শেষমেশ হাইকোর্টের (High Court) গুঁতোয় অনুমতি দিতে বাধ্য হওয়া। তৃণমূল শাসনে এটাই যেন দস্তুর। মাত্র কদিন আগে ধর্মতলায় বিজেপির সভা নিয়েও সেই হাইকোর্টের থাপ্পড় খেল সরকার। কিন্তু এত ঘটনা ঘটে গেলেও বোধোদয় তাদের হয়নি। তাই একের পর এক সভায় বাধা দিয়েই চলেছে পুলিশ এবং প্রশাসন। বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলির অভিযোগ অন্তত তেমনই। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এমনটাই তারা করেছিল খেজুরিতে শুভেন্দুর সভা নিয়ে। কিন্তু এখানেও একই পরিণতি। হাইকোর্ট দিয়ে দিল সভার অনুমতি। নিজের নাক কেটে পরের যাত্রাভঙ্গ করার কৌশল কাজে দিল না মমতার সরকারের। শুধু অনুমতি দেওয়াই নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাইকোর্ট এমন সব মন্তব্য করেছে, যা যে কোনও প্রশাসনের পক্ষেই লজ্জাজনক। এখানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হাইকোর্ট প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে, শাসক দলের ক্ষেত্রে কি একই নিয়ম মেনে চলা হয়, যা বিজেপির ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে? হাইকোর্টের বিচারপতি রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, বিরোধী দলকে সভার অনুমতি পেতে এভাবে বারবার হাইকোর্টেই বা আসতে হবে কেন?

    অনুমতি দিতে টালবাহানা

    উল্লেখ্য, আগামীকাল, রবিবার খেজুরিতে শুভেন্দু অধিকারীর সভা। এই সভার জন্য অনেক আগেই পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসন অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে চরম টালবাহানা শুরু করে। অনুমতি তো দেয়ইনি, আবেদন খারিজও করেনি। তাই বাধ্য হয়ে তৃণমূল হাইকোর্টের (High Court) দ্বারস্থ হয়। মামলাটি এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাশে উঠেছিল শুনানির জন্য। সেখানেই রাজ্যের কাছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, ‘শাসকদল কি কর্মসূচির ১৫ দিন আগে পুলিশকে জানায়? সব সময় কেন বিরোধী দলকে অনুমতির জন্য আদালতে আসতে হবে?

    রাজ্যকে ভর্ৎসনা (High Court)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, কতখানি এলাকা জুড়ে এই সভা করা হবে, তা রাজ্য জানতে চেয়েছিল। বিষয়টি উত্থাপন করে বিচারপতি (High Court) রাজ্যকে বলেন, ‘মঞ্চের আয়তন জানতে চাইছেন কেন? শেষবার যখন শাসকদল সভা করেছিল, তখন মঞ্চের আয়তন জানতে চেয়েছিলেন?’ তবে এদিন অনুমতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, শব্দ দূষণ যাতে না হয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। বজায় রাখতে হবে শান্তি। তাছাড়া উস্কানিমূলক বক্তব্যের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: বন্ধ হোটেলে বহাল তবিয়তে চলছিল নামী কোম্পানির ভুয়ো লটারির টিকিট ছাপানো

    Asansol: বন্ধ হোটেলে বহাল তবিয়তে চলছিল নামী কোম্পানির ভুয়ো লটারির টিকিট ছাপানো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের রাজত্বে সবই সম্ভব, জাল হচ্ছে লটারির টিকিট। আসানসোলের (Asansol) কুলটি থানার অন্তর্গত জামতারার পুলিশ রূপনারায়ণপুরের মিহিজাম যাওয়ার প্রধান রোডের কাছে একটি বন্ধ হোটেলে অভিযান চালায়। যেখানে ভুয়ো অবৈধ ডিয়ার লটারির টিকিট ছাপানোর কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর প্রচুর অবৈধ টিকিট সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে সাতজনকে গ্রেফতারও করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে লটারি আইনে মামলা করা হয়েছে।

    পুলিশের বক্তব্য (Asansol)

    জামতারা (Asansol) পুলিশ সুপার অনিমেশ নাইথানি বুধবার মিহিজাম থানায় একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, “আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে কুলটি পুলিশের মাধ্যমে তথ্য পাওয়া গেছে মিহিজাম থানার অন্তর্গত আমোই রেলওয়ে আন্ডারপাসের কাছে বন্ধ হোটেলে নকল লটারি ছাপানো এবং বিক্রি করা হচ্ছে। টিকিট বিক্রেতারা রাজ্য সরকারকে ফাঁকি দিয়ে কোটি কোটি টাকা মুনাফার চক্র চালাচ্ছে। সেখানে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়।”

    গোপন সূত্রে অভিযান

    জামতারার (Asansol) পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এসডিপিও আনন্দ জ্যোতি মিঞ্জ ও থানার ইনচার্জ ভাস্কর ঝা-এর নেতৃত্বে একটি দল গঠন করে অভিযান চালিয়েছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে বহু নকল লটারির টিকিট, লটারি তৈরিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, আটটি ল্যাপটপ, ১২টি ডিজিটাল প্রিন্টার, বিভিন্ন সাইজের তেরশো লটারির টিকিট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    আর কী কী উদ্ধার হয়েছে?

    হোটেলে ওই বন্ধ কারখানা থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু লটারির বান্ডিল, প্রিন্ট করা লটারির টিকিট সমেত সাতটি ব্যাগ, একটি ভারী কাগজের কাটিং মেশিন। তাছাড়া তিনটি ব্যবহৃত কার্তুজ, পাঁচটি বাইক ও দুটি প্রিন্টিং মেশিন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। অভিযানে ওই বন্ধ হোটেল থেকে মোট সাতজনকে আটক করা হয়। ধৃতরা হল জামতারা নারায়ণপুর (Asansol) ভ্যালি সিমলার কুণাল মণ্ডল, বিশাল মণ্ডল, গোবিন্দপুর বেলাতন্ডের শিবু গোপ, হেমু মল্লিক, আদিত্য মল্লিক, অন্নত মল্লিক, আস্তিক অধিকারী। তবে এই হোটেলের মালিক চন্দন ঠাকুরকেও খোঁজ করেছে পুলিশ। এই ঘটনায়, পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা নং ৭৪/২৩, ৪ লটারি আইন ১৯৯৮ এবং ৭ (৩) লটারি নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯৮ এর অধীনে সাতজন এবং অন্যান্য আরও অজ্ঞাত কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: সরকারি অফিসে মমতার পাশেই অভিষেকের ছবি! হইচই হতেই সরিয়ে মুখরক্ষা

    Howrah: সরকারি অফিসে মমতার পাশেই অভিষেকের ছবি! হইচই হতেই সরিয়ে মুখরক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি দফতরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবির সঙ্গে লাগানো হয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। সরকারি কার্যালয়ে কেন অভিষেকের ছবি? প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন এলাকার বিরোধীরা। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah) উলুবেড়িয়া ২ পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার অভিষেকের ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    কেন সরকারি দফতরে অভিষেকের ছবি?

    স্থানীয় (Howrah) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পঞ্চায়েত অফিসে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো হয়েছিল। বিরোধীদের প্রশ্ন ছিল তৃণমূলের এই সাংসদ তো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কোনও দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বা মন্ত্রী নন। তাহলে তাঁর ছবি কেন? বিরোধীদের আরও অভিযোগ, কেবলমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো বলে সরকারি দফতর বা কার্যালয়ে তাঁর ছবি রাখতে হয়েছিল! সংবাদ মাধ্যমে খবর জানাজানি হতেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিষেকের ছবি দ্রুত খুলে ফেলা হয়। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দলের তরফ থেকেই এই ছবি খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ফলে এলাকার মানুষের প্রশ্ন,  সরকারের দফতর কি প্রশাসন চালাচ্ছে, নাকি পার্টি?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রকাশ্যে তেমন ভাবে কিছু না বলতে চাইলেও দলের এক কর্মী বলেন, “সমিতির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করেই ছবি সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সংবাদপত্রে ছবির কথা প্রকাশিত হলে আমরা দলের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নিই যে ছবি খুলে ফেলা হবে। আবার উদয়নারায়ণপুরের বিধায়ক এবং তৃণমূল দলের চেয়ারম্যান সমীর পাঁজা বলেন, “প্রশাসনের বোধোদয় হয়েছে এটা খুব ভালো খবর।” যদিও এলাকার বিডিও অভিজ্ঞা চক্রবর্তীকে একাধিকবার ফোন করা হলে উত্তর পাওয়া যায়নি।

    বিরোধীদের বক্তব্য

    হাওড়া (Howrah) গ্রামীণ জেলার বিজেপি সভাপতি অরুণ উদয় পাল চৌধুরি বলেন, “তৃণমূলের দলটা হল জ্ঞানপাপী। বুঝে শুনেই অন্যায় কাজ করছে। সরকারি কার্যালয়ে দলের নেতার ছবিতেই স্পষ্ট হয় সরকার কীভাবে চলছে।” আবার এলাকার সিপিএম নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “আসলে নেতার ছবি সামনে রেখে চুপচাপ চুরি চলছিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share