Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Paddy Procurement: সরকারি কেন্দ্রে ধান বেচতে গিয়েও দিতে হচ্ছে তৃণমূলের কাটমানি? প্রতিবাদে বিক্ষোভ চাষিদের

    Paddy Procurement: সরকারি কেন্দ্রে ধান বেচতে গিয়েও দিতে হচ্ছে তৃণমূলের কাটমানি? প্রতিবাদে বিক্ষোভ চাষিদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দূর-দূরান্ত থেকে ধান ক্রয় কেন্দ্রে ধান বিক্রি (Paddy Procurement) করতে এসে চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হলেন চাষিরা। প্রথমত, সার্ভার সমস্যায় হল না ধানের বিক্রি। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, ধান বিক্রি করতে প্রতি কুইন্টালে দিতে হচ্ছে ৫ কেজি ‘ধলতা’। অর্থাৎ এক কুইন্টাল ধান বিক্রির জন্য দিতে হচ্ছে ৫ কেজি অতিরিক্ত ধান। চাষিদের অভিযোগ, এটা সম্পূর্ণ নিয়মের বাইরে নেওয়া হচ্ছে। এটা দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চাষিরা। প্রতিবাদে ধান রাস্তায় ফেলে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। কারণ, তৃণমূলকে কাটমানি দেওয়ার জন্যই ৫ কেজি অতিরিক্ত ধান নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি চাষিদের। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধান চাষ করেন চাষিরা। সেই ধান বিক্রির উপর নির্ভর করেই চলে তাঁদের সারাটা বছর। এবার সেই ধান সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হলেন তাঁরা। মেশিন এবং সার্ভারের সমস্যা জনিত কারণে সারাদিন বসে থেকেও বিক্রি হল না ধান। প্রশ্নের মুখে মিলারদের (রাইস মিল) ভূমিকাও।

    চূড়ান্ত ভোগান্তির সম্মুখীন (Paddy Procurement)

    মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটল এলাকায় সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রের সামনে ওই বিক্ষোভ হয়। চাষিদের অভিযোগ, তাঁরা দূর-দূরান্ত থেকে এসেছিলেন ধান বিক্রির জন্য। ধান নিয়ে আসার জন্য যথেষ্ট খরচও হয়েছে। এই ধান বিক্রির (Paddy Procurement) অর্থের ওপর নির্ভর করে তাঁরা পরবর্তী চাষের খরচ জোগাবেন। কিন্তু সকাল থেকে বসে থেকেও তাঁরা বিক্রি করতে পারছেন না ধান। কারণ ওই ধান ক্রয় কেন্দ্রের ম্যানেজার জানাচ্ছেন, মেশিন এবং সার্ভারের সমস্যা রয়েছে। যার ফলে চূড়ান্ত ভোগান্তির সম্মুখীন হন চাষিরা। যদিও জানা গেছে পরবর্তীতে স্লিপ দিয়ে ধান নেওয়া হয়েছে। চাষিদের আরও অভিযোগ, ধান বিক্রি করতে গেলে প্রতি কুইন্টালে যে ৫ কেজি করে ধলতা দিতে হচ্ছে মিলারদের। অর্থাৎ ওই সরকারি কেন্দ্রে ধান ক্রয় করছেন যে রাইস মিল মালিকরা, তাঁরাই এই ধলতা নিচ্ছেন। কিন্তু প্রতি কুইন্টালে এই অতিরিক্ত পাঁচ কেজি ধান দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। এতে আধিকারিকদেরও যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ। এই নিয়েই রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাষিরা।

    তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দেওয়ার জন্য?

    এদিকে ৫ কেজি ধান তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দেওয়ার জন্য, খাদ্য-দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে খোঁচা বিজেপির। পাল্টা সাফাই তৃণমূলের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সমগ্র ঘটনা নিয়ে বিজেপির দাবি, তৃণমূল নেতারা এখান থেকেও কাটমানি নেয়। তাই ৫ কেজি করে অতিরিক্ত ধান দিতে হচ্ছে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর গ্রেফতারি প্রসঙ্গেও খোঁচা। যদিও পাল্টা তৃণমূলের দাবি, চাষিদের কথা মমতা ব্যানার্জির সরকার ভাবে। তাই ন্যায্য মূল্যের ধান ক্রয় কেন্দ্র (Paddy Procurement) করা হয়েছে। সমস্যা হলে সেটা তাঁরা মিল মালিকদের বলবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jafikul Islam: মারুতি ভ্যানের চালক থেকে কোটিপতি! তৃণমূল বিধায়কের উত্থান যেন সিনেমার চিত্রনাট্য

    Jafikul Islam: মারুতি ভ্যানের চালক থেকে কোটিপতি! তৃণমূল বিধায়কের উত্থান যেন সিনেমার চিত্রনাট্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের নতুন ‘নায়ক’ ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুল ইসলাম (Jafikul Islam)। নায়ক এই কারণেই, তাঁর উত্থান কাহিনী সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানাবে। ডোমকলের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুরের বাড়িতে একটি কয়েন বুথ দিয়ে জীবন শুরু। তারপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সেখান থেকে গরুর হাটের মুন্সি, মুড়ির কল। তার পরে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া, হাইকোর্ট থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা, কাশ্মীরে নিরুদ্দেশ, তৃণমূলের প্রয়াত প্রাক্তন সাংসদ মান্নান হোসেনের হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ। শোনা যায়, শুরুতে মারুতি ভ্যানের চালক হিসেবেও বেশ কিছু সময় কাজ করেছেন। সব মিলিয়ে ঘটনাবহুল জীবন। আর আজ? আজ তিনি যে সব জিনিসের মালিক, সেই তালিকাটা বেশ দীর্ঘ। কী আছে তাতে শুনবেন? 

    ১২টি কলেজের মালিক? (Jafikul Islam)

    জাফিকুল ইসলাম সব মিলিয়ে ১২টি কলেজের মালিক বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে সাতটি বিএড কলেজ, তিনটি প্যারামেডিক্যাল কলেজ এবং দুটি ডিগ্রি কলেজ। ২০০৪ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যেই তিনি একের পর এক কলেজ করে ফেলেন। গোড়া থেকেই তিনি ছিলেন কংগ্রেসের সমর্থক। সেই সুবাদে তাঁর কলেজের মাঠ সভা-সমাবেশের জন্য ব্যবহার করতেন মান্নান হোসেন। এইভাবেই দু’জনের কাছাকাছি আসা। রাজনীতিতে ঢুকেছিলেন কাউন্সিলার হয়ে। এই ১৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই জিতেছিলেন তিনি। এরপরই তৃণমূলের যোগদান। পরে বিধায়ক হলেন ২০২১ সালের নির্বাচনে। শুধু বাইরে এত সম্পত্তি করেছেন, এমনটাই নয়। তাঁর দুধ সাদা প্রাসাদোপম বাড়িটি দেখলেও চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। এই বাড়িরই বেড রুম থেকে শুরু করে, এমনকি টয়লেটেও পাওয়া গিয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। মিলেছে প্রচুর সোনাদানাও। টাকা গোনার জন্য মেশিন এনেও দীর্ঘক্ষণ পরে সব টাকা গোনা সম্ভব হয়েছে। শেষ যা হিসেব বিভিন্ন সূত্র মারফত মিলেছে, তাতে তাঁর বাড়ি (Jafikul Islam) থেকে পাওয়া গিয়েছে ৩৫ লাখ টাকা।

    টার্নিং পয়েন্ট মুড়ির কল? (Jafikul Islam)

    এলাকার বাসিন্দারা মনে করেন, জাফিকুলের জীবনের টার্নিং পয়েন্ট হল মুড়ির কল। ব্যাঙ্ক থেকে এর জন্য তিনি নিয়েছিলেন ৫৩ লক্ষ টাকা লোন। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে পারে, সেই সময় তাঁর তো কিছুই ছিল না। তা হলে ব্যাঙ্ক থেকে এই বিরাট অঙ্কের লোন তিনি পেলেন কীভাবে? জানা গিয়েছে,  এই নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। কারণ, ব্যাঙ্ক অভিযোগ পায়, তিনি নাকি মসজিদের সম্পত্তি নিজের নামে দেখিয়ে ওই লোন নিয়েছেন। ব্যাঙ্ক তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করে। হাইকোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এই সময়ই তিনি (Jafikul Islam) নিরুদ্দেশ হয়ে যান। অনেকে বলেন, তিনি  নাকি কাশ্মীরে চলে গিয়েছিলেন। যাই হোক, পরে ফিরে এসে তাঁকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। রকেট গতিতে শুরু হয় তাঁর উত্থান। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatpara: বোর্ড মিটিংয়ে তুমুল অশান্তি, উঠল চেয়ারপার্সনের পদত্যাগের দাবি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Bhatpara: বোর্ড মিটিংয়ে তুমুল অশান্তি, উঠল চেয়ারপার্সনের পদত্যাগের দাবি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভার বোর্ড মিটিংয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূল কাউন্সিলাররা। বোর্ড মিটিংয়ের মধ্যেই পুরসভার চেয়ারপার্সন রেবা রাহার পদত্যাগ দাবি করেছেন দলেরই কাউন্সিলার সত্যেন রায়। পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাধিক কাউন্সিলার এবং সিআইসি। সবমিলিয়ে এদিন বোর্ড মিটিংকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে  প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কাউন্সিলাররা দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত  (Bhatpara)

    ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভায় মোট আসন সংখ্যা ৩৩ টি। সবকটি আসনে তৃণমূল জয়লাভ করেছে। এই পুরসভায় বিরোধী কাউন্সিলার বলে কেউ নেই। স্বাভাবিকভাবেই পুরসভায় উন্নয়নমূলক কাজের গতি পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু, বাস্তবেই হয়েছে উল্টোটা। কাউন্সিলাররা দুটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংয়ের অনুগামী রয়েছেন বেশ কিছু কাউন্সিলার। জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের রয়েছে বেশ কয়েকজন কাউন্সিলার। পুরসভার বোর্ড গঠনের পর থেকেই দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব চলছেই। বেশ কয়েক মাস আগে তৃণমূল কাউন্সিলার সত্যেন রায়কে পুরসভার মধ্যে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে দলেরই অন্যগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় হয়েছিল ভাটপাড়ার রাজনীতি। পুরসভার বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ এবং কাউন্সিলরদের গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন সত্যেনবাবু। সেই ধারাবাহিকতা এখনও বজায় রয়েছে পুরসভায়।

    বৈঠকে কী নিয়ে অশান্তি?

    বুধবারই পুরসভায় ছিল সিআইসি বৈঠক। সেই বৈঠকে সিআইসি সদস্যরা চেয়ারপার্সনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পুরসভার কাজকর্ম নিয়ে তাঁরা বিস্তর অভিযোগ জানান। সিআইসি সদস্যদের না জানিয়েই কাজকর্ম হচ্ছে পুরসভায়। বৈঠকে সিআইসি সদস্যরা সরব হন। বৈঠক চলাকালীন সিআইসি সদস্যরা মিটিং বয়কট করেই  বেরিয়ে যান। ফলে, মাঝ পথে মিটিং ভেস্তে যায়। বৃহস্পতিবার ছিল বোর্ড মিটিং। সেই মিটিংয়ে দুই কাউন্সিলার হাজির ছিলেন। বৈঠক চলাকালীনই সত্যেন রায় পুরসভার চেয়ারপার্সনের পদত্যাগ দাবি করেন, তাঁকে চেয়ারপার্সনের অনুগামীরা থামাতে গেলে বাকবিতণ্ডা বাধে। এরই মাঝে সিআইসি পূর্ত অরুণ ব্রহ্ম বলেন, আমার দফতরের কাজ পুরসভা এলাকায় হচ্ছে। অথচ পুরসভার সিআইসি সদস্য হিসেবে আমি সেই কাজ কি হচ্ছে তা জানতে পারছি না। কাজ হয়ে যাবার পর আমাকে দিয়ে ফাইলে সই করানো হচ্ছে। এটা চলতে পারে না।

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    জগদ্দল তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভায় যা উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে তা আগে কখনও হয়নি। কিছু মানুষ পুরসভার কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: তৃণমূল বিধায়কের শৌচাগারেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, যন্ত্র দিয়ে চলছে গোনা

    CBI: তৃণমূল বিধায়কের শৌচাগারেও কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা, যন্ত্র দিয়ে চলছে গোনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অভিনেত্রী তথা মডেল অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। তাঁর দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল কোটি কোটি ক্যাশ এবং গয়না। মেশিন নিয়ে এসে রাতভর চলেছিল টাকা গোনার কাজ। আর তা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে উঠেছিল রাজ্যবাসীর। সেই ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যেই এবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের  বা়ড়িতে হানা দেয় সিবিআই (CBI)। তাঁর বাড়ি থেকে মিলল কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা। যা জানাজানি হতে এলাকার মানুষও হতবাক হয়ে যান। প্রতিবেতন লেখা পর্যন্ত ৩১ লক্ষ টাকার হদিশ মিলেছে। সেই সংখ্যা আরও বাড়়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    শৌচাগারেও মিলল লক্ষ লক্ষ টাকা (CBI)

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারীদের নজর ছিল ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের উপর। তাঁর বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, জাফিকুলের দুটি কলেজ রয়েছে। তাঁর সম্পত্তি, আয় এবং যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সকাল থেকেই সিবিআই আধিকারিকরা তল্লাশি শুরু করেন। বাড়ির পিছন থেকে দুটি ব্যাগের মধ্যে প্রচুর নথি উদ্ধার করে সিবিআই (CBI)। সেই তথ্য তদন্তকারী আধিকারিকরা খতিয়ে দেখেন। পরে, বাড়ির ভিতরে তল্লাশি চালানোর সময় লক্ষ লক্ষ টাকার হদিশ পান আধিকারিকরা। এরপরই তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে বৃহস্পতিবার বিকেলে টাকা গোনার যন্ত্র নিয়ে আসা হয়। কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে খবর মিলেছিল,মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুলের বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ নগদ টাকা উদ্ধার হয়েছে। বেশ কিছু টাকা মিলেছে জাফিকুলের বাড়ির শৌচাগার থেকে। তদন্তকারীদের একটি অংশের সূত্রে দাবি, বিধায়কের বেডরুমেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকেও প্রচুর টাকার হদিশ মিলেছে।  বিধায়ক বর্তমানে বিধানসভার অধিবেশনের জন্য কলকাতায় রয়েছেন। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়েছে, বিধায়কের বাড়ির শৌচাগারের  থেকে সাত লক্ষ ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। তদন্তকারীদের ওই অংশের দাবি, জাফিকুলের ‘বেডরুম’ থেকেও কয়েক লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে।

    টাকা উদ্ধার নিয়ে বিধায়কের পরিবারের লোকজন কী সাফাই দিলেন?

    যদিও এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের (CBI) তরফে প্রকাশ্যে বা সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি। বিধায়ক না থাকায় সিবিআই আধিকারিকরা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। বিধায়কের পরিবার সূত্রে খবর, সম্প্রতি কিছু সম্পত্তি বিক্রি করা হয়েছে। সেই টাকাই তাঁর বাড়িতে ছিল। অন্য কোনও বিষয়। তবে, শৌচাগারে কেন টাকা রাখা হয়েছিল সেই বিষয়ে পরিবারের লোকজন স্পষ্ট করে কোনও কিছু বলতে পারেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhalda: ‘জেলাশাসকের উপস্থিতিতে অনাস্থা ভোট হবে ঝালদায়’, নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার

    Jhalda: ‘জেলাশাসকের উপস্থিতিতে অনাস্থা ভোট হবে ঝালদায়’, নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভা ভোট শেষ হওয়ার এতদিন পরও ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় চেয়ারম্যান হিসেবে কে বসবে তা নিয়ে লড়াই চলছে। পুরসভায় বোর্ড গঠন এখনও আটকে রয়েছে আইনি জটে। পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে জোড়া মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। হাইকোর্টে সেই মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা ঝালদা পুরসভার অনাস্থা ভোট নিয়ে এদিন দিনক্ষণও ঠিক করে দিয়েছেন।

    কী নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক? (Jhalda)  

    বিচারক অমৃত সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, ‘আস্থাভোট করাতে হবে ঝালদায় (Jhalda)। ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে ঝালদা পুরসভায় অনাস্থা ভোট করতে হবে। জেলাশাসককেই এই ভোটের দায়িত্ব নিতে হবে। আস্থাভোট করানোর পর সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট আগামী ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে। যতদিন না আস্থাভোট মিটছে, ততদিন যেমন পুরসভার কাজ চলছে তেমন চলবে।’ জানা গিয়েছে, বর্তমানে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান শীলা চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অপসারণের দাবিতে গত ২৩ নভেম্বর জোড়া মামলা হয়েছিল হাইকোর্টে। পাঁচ জন তৃণমূল কাউন্সিলর এবং দু’জন কংগ্রেস কাউন্সিলর পৃথক ভাবে মামলা দায়ের করেছিলেন। বৃহস্পতিবার সেই মামলারই শুনানি ছিল।

    প্রসঙ্গত, ঝালদা (Jhalda) পুরসভায় মোট ১২টি আসন। ৫টি করে আসন জেতে কংগ্রেস এবং তৃণমূল। নির্দল পায় ২টি আসন। কে পুরবোর্ড গঠন করবে সেই নিয়ে দড়ি টানাটানি চলছে। ২০২২ সালে ২১ নভেম্বর আস্থাভোট হয় ঝালদা পুরসভায়। সেখানে নির্দলের সমর্থন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করে কংগ্রেস। তবে, কংগ্রেস বোর্ড গঠন করার আগেই মামলা হয় হাইকোর্টে। সেই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। শেষ পর্যন্ত বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে শীলা চট্টোপাধ্যায় ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। কিন্তু, এবার শীলাকেই সরাতে চাইছে তৃণমূল ও কংগ্রেস দুই পক্ষই। তাই আস্থা ভোটের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিল প্রতারকরা, কীভাবে?

    Fraud: অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিল প্রতারকরা, কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই জামতারা গ্যাংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বারাকপুর জুড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা (Fraud) করার অভিযোগ উঠেছিল একটি দলের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। মূল পান্ডার খোঁজে তল্লাশি শুরু করছে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার রাজ্য পুলিশের এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী কালীচরণ মাঝি প্রতারকদের খপ্পড়ে পড়লেন। তিনি বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের প্রাক্তন দেহরক্ষী ছিলেন। প্রতারকরা কয়েক দফায় তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৭ লাখ ১৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ইতিমধ্যেই বারাকপুর সাইবার ক্রাইম থানায় তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। একজন পুলিশ কর্মীর অ্যাকাউন্ট সাফ করে দেওয়ার ঘটনায় যথেষ্ট উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কীভাবে প্রতারণা? (Fraud)

    রাজ্যজুড়ে অনলাইন প্রতারণা (Fraud) চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আধার কার্ড জালিয়াতি করে বহু মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা সাফ করে দিচ্ছে প্রতারকরা। অনলাইনে প্রতারকদের বিরুদ্ধে পুলিশ একাধিকবার অভিযান চালিয়ে ব্যবস্থা নিয়েছে। অনেককে গ্রেফতারও করেছে। কিন্তু, প্রতারকদের এই জালিয়াতি বন্ধ করতে পারছে না পুলিশ। নিত্য নতুন কৌশল ব্যবহার করে প্রতারকরা মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, কালীচরণ মাঝি রাজ্য পুলিশের কর্মী ছিলেন। তিনি থাকেন সোদপুরে। তিনি পানিহাটির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষের দীর্ঘদিনের নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। মাসখানেক আগে তিনি অবসরগ্রহণ করেন। স্বাভাবিকভাবে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে অবসরকালীন অনেক টাকাই গচ্ছিত ছিল। এই গচ্ছিত টাকার একটা বড় পরিমাণ প্রতারকরা হাতিয়ে নেয়। কালীচরণবাবু বলেন, আমার মোবাইলের মেসেজে একটা নম্বর আসে। এরপর একটা অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। বিদ্যুতের বিল আপডেট নেই বলে জানানো হয়। আমি বিল মিটিয়ে দিয়েছি। অফিস যাচ্ছি বলার পর ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি বলেন, অফিস যাওয়ার প্রয়োজন নেই। একটি ওটিপি দিচ্ছি। সেটা শেয়ার করলেই বিল আপডেট হয়ে যাবে। ওটিপি শেয়ার করতেই পর পর মোবাইলে মেসেজ আসে। এরপর কয়েক দফায় আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ৭ লক্ষ ১৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক নির্মল ঘোষ বলেন, রাজ্যজুড়ে প্রতারণা (Fraud)  চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অবসরকালীন তিনি যে টাকা পেয়েছিলেন, সেই টাকার একটা বড় অংশ প্রতারকরা হাতিয়ে নিয়েছে। পুলিশে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আমাদের দাবি, যে বা যারা এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত তাদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Flag: পরাধীন ভারতেও বাংলায় উত্তোলিত হয়েছিল জাতীয় পতাকা! কোন জেলায় জানেন?

    National Flag: পরাধীন ভারতেও বাংলায় উত্তোলিত হয়েছিল জাতীয় পতাকা! কোন জেলায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের এত রোমহর্ষক কাহিনী আছে যে, সেগুলির অধিকাংশই আমাদের অজানা। বলা বাহুল্য, ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের বাঁধন ছিন্ন করে স্বাধীনতা অর্জন করা মোটেই কয়েক দিনের সংগ্রাম ছিল না। এর সঙ্গে জড়িয়ে ছিল রক্ত-ঘাম মিশে থাকা বহুদিনের সংগ্রাম। এই প্রতিবেদন এমনই এক কাহিনী নিয়ে, যা স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় অনেকটাই ছাপ ফেলেছিল। আর এর সঙ্গে জড়িয়ে বীরভূমের দুবরাজপুর অঞ্চল (National Flag)।

    কী সেই স্বাধীনতা সংগ্রামের কাহিনী?

    বীরভূমের ইতিহাস থেকে জানা যায়, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় এই জেলার দুবরাজপুরের মাটিতে দুটি দিন স্মরণীয় হয়ে আছে। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ২৮ শে অগাস্ট এবং সেই একই বছরের ১ লা সেপ্টেম্বর। কথিত আছে, এই দুটি দিনে পরাধীন ভারতে দেশের জাতীয় পতাকা (National Flag) উত্তোলন করা হয়েছিল দুবরাজপুর আদালতে। সেই সময় এই দুবরাজপুর আদালত ছিল মুন্সেফ কোর্ট। ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে জানা যায়, দুবরাজপুরের এই তৎকালীন মুন্সেফ কোর্টে জাতীয় পতাকা তোলা হয়েছিল ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ২৮ শে অগাস্ট। সেই সময় সৌরেন্দ্রনারায়ণ সেন এবং শ্রীপতি পাতর-এর নেতৃত্বে প্রায় ৫০০ জন মিছিল করে এই মুন্সেফ কোর্ট এবং ডাকঘরে উপস্থিত হন, শুরু হয় বিশাল আন্দোলন। আবার প্রচলিত কিছু কাহিনী থেকে জানা যায়, ওই একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর মুন্সেফ কোর্টে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। এ নিয়ে দ্বিমত থাকলেও এই দুটি দিনই স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক আলাদা নজির স্থাপন করেছিল।

    কী ঘটেছিল সেদিন? (National Flag)

    প্রচলিত নানা তথ্য এবং বিশেষজ্ঞদের থেকে জানা যায়, দুপুর বারোটার সময় প্রায় ৫০০ জন স্বাধীনতা সংগ্রামী মিছিল করে দুবরাজপুর থানার সামনে বন্দেমাতারাম স্লোগান সহ জমায়েত করেন এবং শুরু হয় আন্দোলন। পরে তাঁরা পৌঁছে যান দুবরাজপুরের মুন্সেফ কোর্ট প্রাঙ্গনে। এখানে তাঁরা ভাঙচুর করেন এবং ভিতরে প্রবেশ করে আগুন লাগিয়ে দেন, কাগজপত্র, নানা নথি, চেয়ার, টেবিল পুকুরে ফেলে দেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ৫০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ২৫ জনকে কড়া শাস্তি প্রদান করা হয়।

    সমগ্র ঘটনায় একজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম সব থেকে বেশি উঠে আসে, হারান খাঙ্গার। এই হারান খাঙ্গারেরও শাস্তি হয় এবং তাঁকে সেলুলার জেলে পাঠানো হয়। এখনও সেখানে তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। তিনি ছাড়াও আরও কয়েকজন স্বাধীনতা সংগ্রামী তৎকালীন বীরভূমে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিতকে দুর্বল করে দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম পতিত চ্যাটার্জি, শক্তিনাথ মুখোপাধ্যায়, শম্ভুনাথ কবিরাজ প্রমুখ। এই সবই বীরভূম জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলেই জানা যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির পিছনে দুটি ব্যাগ পেল সিবিআই, কী রয়েছে তাতে?

    CBI: তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির পিছনে দুটি ব্যাগ পেল সিবিআই, কী রয়েছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালানোর সময় পিছনের পুকুরে দুটি মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন স্বয়ং বিধায়ক। মেশিন লাগিয়ে পুকুরের জল মেরে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই (CBI)। এর সাক্ষী ছিলেন রাজ্যবাসী। সেই ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যেই আবার সেই মুর্শিদাবাদ জেলায় হানা দিল সিবিআই। এবার প্রাইমারি স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। এবার তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে মিলল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

    বাড়়ির পিছনে মিলল নথি বোঝাই দুটি ব্যাগ! (CBI)

    ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়ির পিছনে মিলল নথিবোঝাই দু’টি ব্যাগ। কী রয়েছে নথিতে, এখন তা-ই পরীক্ষা করে দেখছেন সিবিআইয়ের (CBI) তিন তদন্তকারী আধিকারিক। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে প্রথমে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বিধায়কের বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। সিবিআইয়ের চারজন আধিকারিক বাড়ির ভিতরে ঢুকে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের বয়ান রেকর্ডও করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। কিছুক্ষণ পর দেখা যায়, সিবিআইয়ের তিন আধিকারিক বিধায়কের বাড়ির গ্যারাজের পিছন দিকে যাচ্ছেন। সেখানে দু’টি ব্যাগ উদ্ধার করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, ব্যাগে ভরা রয়েছে নথি। ওই নথি কিসের, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সে জন্য প্রতিটি নথি আলাদা আলাদা করে খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদের অন্তত চার জায়গায় সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। কেন, কোন মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির সাতসকালে অভিযান, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    বড়ঞায় সিবিআই হানা নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী?

    স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ কেন্দ্রীয় এজেন্সির একটি দল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যায় বড়ঞার কুলিতে এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়ী সুজল আনসারি ওরফে ঝন্টু শেখের বাড়িতে। সূত্রের খবর, ঝন্টু নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষের ঘনিষ্ঠ। এ ছাড়াও তাপস মণ্ডল, জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও ঝন্টুর যোগাযোগ রয়েছে বলে খবর। স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় ভিড় করেন। গাফ্ফর সেখ বলেন, ঝন্টু খুব খারাপ ছেলে। অনেক স্কুল করেছে। সিবিআই (CBI) হানা দেখতে এসেছি। আমরা চোরেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: জামিন পেয়েও ফের জেলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন কর্তা কল্যাণময়, কেন জানেন?

    Recruitment Scam: জামিন পেয়েও ফের জেলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন কর্তা কল্যাণময়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবারই শর্তসাপেক্ষে গ্রুপ-সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে জামিন দেয়। তবে গ্রুপ সি মামলায় জামিন হলেও নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতারের আবেদন করেছিল সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আলিপুর সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। তাই জামিন পেয়েও বের হওয়া হল না কল্যাণময়ের। এদিন তাঁকে ফের জেলে যেতে হল।

    ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকছেন কল্যাণময়

    নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি আগামী ৬ ডিসেম্বর রয়েছে। ততদিন পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে। এর পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে জেলেই থাকবেন অশোক সাহা, সুব্রত সামন্তরাও। প্রসঙ্গত, নিজাম প্যালেসের (Recruitment Scam) সিবিআই এর দফতরে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথমে তাঁকে তলব করে সিবিআই। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর একাধিক বয়ানে অসঙ্গতি মেলে। এরপরেই কল্যাণময়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্রে সই করে তা শান্তিময়প্রসাদ সেনের কাছে কল্যাণময় পাঠাতেন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা প্রকাশ্যে আসে।

    কী কী শর্ত চাপানো হল কল্যাণময়ের ওপর? 

    এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জামিন দিলেও, তাঁকে তদন্তে সাহায্য (Recruitment Scam) করার নির্দেশও দিয়েছেন। তবে বেশ কিছু শর্ত চাপিয়েই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে এদিন জামিন দেওয়া হয়। এগুলি হল, তাঁকে কলকাতা পুরসভার এলাকাতেই থাকতে হবে। বিধাননগর কমিশনারেট ও পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকায় কল্যাণময় প্রবেশ করতে পারবেন না। তাঁর যদি কোনও পাসপোর্ট থাকে তবে তা নিম্ন আদালতে জমা করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই, হানা কোচবিহারেও

    CBI: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই, হানা কোচবিহারেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর সিবিআই। কলকাতার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদ ও কোচবিহার জেলায় অভিযান চালাল সিবিআই (CBI)। ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে এদিন সিবিআই হানা দেয়। দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা ছিল, এই বিধায়কের বাড়ি সিবিআই হানা দিতে পারে। পাশাপাশি বড়ঞাতেও ঝন্টু শেখের বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছে।

    মানিক ঘনিষ্ঠ বিধায়ক (CBI)

    সিবিআইয়ের (CBI) চারজন আধিকারিক তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে রয়েছেন। বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আধিকারিকরা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন। বেশ কিছু নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই বিধায়ক। তিনি ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সিবিআই হানা দিতে পারে। প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় আগে জাফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।

    বড়ঞায় সিবিআই

    বৃহস্পতিবার সাত সকালে বড়ঞার কুলি চৌরাস্তার মোড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ ‘ঘনিষ্ঠ’ ঝনটু শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। সেখানেই তাঁর বাড়ি। তিনি একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক বলে জানা গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে ঝন্টুর কী ভূমিকা রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁর কাছে বেশি নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কুন্তলের কাছে তথ্য পেয়ে তা যাচাই করতে কেন্দ্রীয় টিম এসেছে কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    কোচবিহারেও হানা দিল সিবিআই

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই (CBI) হানা দিল কোচবিহারে দু’নম্বর ব্লকের রাজারহাটের টেঙর মারির বিএলএডুকেশনের টিচার্স ট্রেনিং কলেজে। সকাল সকাল সিবিআই এর ৪টি গাড়ি নিয়ে বিশাল টিম তদন্ত করতে কোচবিহারের রাজারহাটের টেংর মারির ওই বিএড কলেজে হানা দেয়। জানা যায়, এই কলেজের মালিক রয়েছেন শ্যামল কর। তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়াও এই কলেজের মালিক রয়েছেন সজল কর এবং শ্যামল কর সহ আরও দুই ভাই। পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর পরই শ্যামল গাঢাকা দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share