Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Gram Panchayat: প্রধান-উপ প্রধানের বিরুদ্ধে সরব দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যরা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Gram Panchayat: প্রধান-উপ প্রধানের বিরুদ্ধে সরব দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যরা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত (Gram Panchayat) গঠন হয়েছে এক বছরও হয়নি। এরই মধ্যে দলের প্রধান, উপ প্রধানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি-১ ব্লকের মানকর পঞ্চায়েতে। আর প্রকাশ্যে প্রধান, উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Gram Panchayat)

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মানকর পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ১৯। গত পঞ্চায়েত (Gram Panchayat) নির্বাচনে ১৮টি আসন পেয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। প্রধান ও উপ প্রধান হন যথাক্রমে তৃণমূলের ডালিয়া লাহা ও তন্ময় ঘোষ। দলের কয়েকজন পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের অভিযোগ, বোর্ড গঠন হওয়ার পর থেকেই তাঁদের কোনও কথার গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। প্রধান ও উপ প্রধান নিজেদের মতো করে পঞ্চায়েত চালাচ্ছেন। পরিষেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন তাঁরা। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বাপ্পাদিত্য রায়, কল্যাণী পাত্র রায়দের অভিযোগ, মানুষজনকে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না। পঞ্চায়েতের সদস্য নিলু মালিক মণ্ডল, মাম রায়, মাম্পি মেটেদের বক্তব্য, পঞ্চায়েতের অনলাইন টেন্ডারের ক্ষেত্রেও স্বজনপোষণ করা হচ্ছে। নিজেদের পছন্দ মতো লোককে দরপত্র পাইয়ে দিতে অন্য ঠিকাদারদের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। ত্রিপল বিলিতেও রয়েছে নানা অনিয়ম। পঞ্চায়েত কার্যালয়ের পরিবর্তে উপ প্রধানের বাড়িতে রাখা হচ্ছে ত্রিপল। নিজের ইচ্ছে মতো মানুষকে সেই সব ত্রিপল বিলি করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলেই আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। বিডিও-র কাছে অভিযোগও জানানো হয়েছে। গলসি-১ ব্লকের বিডিও জয়প্রকাশ মণ্ডল জানান, বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

    প্রধান-উপ প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat) প্রধান ডালিয়া লাহা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে কয়েকজন সদস্য পঞ্চায়েতের কাজ ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। সব কাজ প্রত্যেক পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়। উপপ্রধান তন্ময় ঘোষও বলেন, দরপত্র নিয়ে কাউকে বাধা দেওয়া হয় না। যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও, একজন ঠিকাদার দরপত্র জমা দিয়েছিলেন। সেই কারণে ওই ঠিকাদারকে বাতিল করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: পরীক্ষায় ছাত্রদের মোবাইল জমা রাখা অপরাধ! স্কুলের অস্থায়ী কর্মীকে পিটিয়ে খুন

    North 24 Parganas: পরীক্ষায় ছাত্রদের মোবাইল জমা রাখা অপরাধ! স্কুলের অস্থায়ী কর্মীকে পিটিয়ে খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলের মধ্যেই অস্থায়ী কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল মাধ্যমিক পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। বুধবার বিকেলে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ছোট জাগুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শিবু শী। তাঁর বয়স ৬১ বছর। স্কুলের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে দত্তপুকুর থানার পুলিস। ইতিমধ্যেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এই ঘটনায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) ছোট জাগুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় দশম শ্রেণীর টেস্ট পরীক্ষা ছিল। আগেই স্কুল কর্তৃপক্ষ সব ছাত্র-ছাত্রীদের মোবাইল নিয়ে আসতে বারণ করা দিয়েছিল। বিদ্যালয়ের পক্ষ এই নির্দেশ দেওয়ার পরেও পরীক্ষা দিতে অনেকেই মোবাইল নিয়ে আসে। পরীক্ষার আগে সেই মোবাইলগুলো আটকে রাখলেও পরীক্ষার পরে যারা অভিভাবক নিয়ে এসেছে তাদেরকে মোবাইল ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অভিভাবকদের এই বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়। কিন্তু, কিছু ছাত্রের অভিভাবকরা আসেননি। ফলে, তাদের মোবাইল ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়নি। এই সব ছাত্ররা মোবাইল নিতে লাঠিসোটা নিয়ে স্কুলের মধ্যে হঠাৎ করে চড়াও হয়। প্রথম মোবাইল ফেরতের জন্য দাবি জানায়। অভিভাবকদের নিয়ে আসার কথা বলতেই অস্থায়ী কর্মী শিবু শী-এর উপরে তারা চড়াও হয়। কারণ, তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ওই ছাত্রদের জানিয়ে দিয়েছিলেন। এরপরই গুণধর ছাত্রধরের সমস্ত রাগ গিয়ে শিবুবাবুর উপর পড়ে। লাঠি, বাস নিয়ে অস্থায়ী কর্মীর উপর আক্রমণ করে, শুধু তাই নয়, পিটিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে ছোট জাগুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    অভিযুক্তদের ছাড়া হবে না, বললেন বারাসত পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী

    বারাসত পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী হালিমা বিবি বলেন, স্কুলের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশাসন তদন্ত করছে। যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: সালিশি সভায় যুবতীকে ব্যাপক মারধর! অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য

    Nadia: সালিশি সভায় যুবতীকে ব্যাপক মারধর! অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সালিশি সভায় নিজের বাড়িতে ডেকে মহিলাদের মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য এবং দাদা সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত সদস্যর পাল্টা দাবি, তার বাড়িতে ঢুকেই আচমকা আক্রমণ চালিয়েছে অভিযোগকারিণী। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর থানার বেলঘড়িয়া এলাকায়। এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। দুই পক্ষ থেকেই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Nadia)?

    স্থানীয় (Nadia) সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার এক যুবতী অপর এক যুবকের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। যুবতীর বাড়ির তরফ থেকে নিজেদের মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সেই দাবি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার ওই এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় শিকদারের বাড়িতে একটি সালিশি সভা বসানো হয়। অভিযোগ ওঠে, সেখানে নিজেদের মেয়েকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবি তুললেই আচমকা যুবতীর পরিবারকে মারধর করা হয়। অভিযোগ ওঠে যে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় শিকদার এবং তাঁর দাদা পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার মহিলাদের মারধর করেন। মারধরের হাত থেকে রেহাই পায়নি বৃদ্ধ মহিলারাও। মারের আঘাতে এক বৃদ্ধা গুরুতর আহত হন। তিনি বর্তমানে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে গোটা ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় শিকদার। তিনি বলেন, “সালিশি সভায় বসার নাম করে যুবতীরা আচমকা দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে চড়াও হয়। আচমকা তারা ঘরে ঢুকে পড়ে। এরপর আমার বাড়িতে থাকা সকল সদস্যদের মারধর করে ওই যুবতীরা। এমনকি বাড়ির এক ছোট্ট মেয়েকে মারধর করা হয়। ঘটনায় জখম হওয়া মেয়েকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে হয়।”

    ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দুপক্ষই শান্তিপুর (Nadia) থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার না হলেও ঘটনার সত্যতা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: টাকা নিয়েছেন, চাকরি কই? দুর্গাপুর স্টেশনে তৃণমূল কর্মীকে জুতোপেটা মহিলার

    Durgapur: টাকা নিয়েছেন, চাকরি কই? দুর্গাপুর স্টেশনে তৃণমূল কর্মীকে জুতোপেটা মহিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি চুরি থেকে শিক্ষা চুরি, সাম্প্রতিক সংযোজন আবার রেশন কেলেঙ্কারি। এইসব দুর্নীতির প্রতিবাদে ধর্মতলায় শাহি সভা ছিল বিজেপির। এই আবহে এদিন দুর্গাপুর (Durgapur) স্টেশনে এক প্রতারক তৃণমূল কর্মীকে জুতোপেটা করলেন প্রতারিত মহিলা। আর এই ঘটনার সাক্ষী রইলেন স্টেশনে আসা যাত্রীরা। ঘটনাস্থল দুর্গাপুর স্টেশনের চার নম্বর প্লাটফর্ম। আচমকা এত ভিড়ে সবাই ভিড় জমালো প্লাটফর্মে। তৃণমূল কর্মীর প্রতারণার  বিষয়টি সামনে আসে।

    কেন প্রকাশ্যে এই মারধর? (Durgapur)

    স্থানীয় ও জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিত মহিলার বাড়ি রানিগঞ্জ এলাকায়। তিনি বিজেপি কর্মী। আর প্রতারক তৃণমূল কর্মীর নাম অবনী মণ্ডল। তার বাড়ি জামুরিয়া এলাকায়। ডাক বিভাগে চাকরি করে দেওয়ার নাম করে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী ওই মহিলার কাছে প্রায় দু লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। বছর দুয়েক আগে সেই টাকা দিলেও আজও না পেয়েছেন চাকরি, না পেয়েছেন টাকা। প্রতারণা করেছেন তৃণমূল কর্মী। এই দু বছর ধরে অনেক বার ফোন করেছেন অভিযুক্ত এই ব্যক্তিকে। কিন্তু মহিলা বিজেপি কর্মীর ফোন দু একবার ধরলেও, অভিযুক্ত ব্যাক্তি এরপর ওই মহিলার ফোন নম্বর ব্লক লিস্টে ফেলে দেন। টাকা ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন মহিলা বিজেপি কর্মী। বুধবার ধর্মতলায় দলীয় জনসভায় স্পেশাল ট্রেন ধরার জন্য রানিগঞ্জ থেকে দুর্গাপুর (Durgapur) আসেন ওই মহিলা বিজেপি কর্মী। সঙ্গে  ছিলেন দলীয় কর্মী সমর্থকরা। আচমকা স্টেশনের মধ্যে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে দেখতে পান ওই মহিলা। গুটি গুটি পায়ে তার সামনে পৌঁছে টাকা ফেরত চাইতে শুরু করেন প্রতারিত মহিলা। কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়েন অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী। এরপর পায়ের চটি খুলে প্রকাশ্যে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারধর শুরু করে দেন মহিলা বিজেপি কর্মী। কেন ফোন ধরেননি এতদিন সেই প্রশ্ন তো ছিলই, সঙ্গে ছিল টাকা ফেরত আর চাকরি কোথায় এই সব প্রশ্ন। পরে, জিআরপি গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। প্রতারক তৃণমূল কর্মী অবনী মণ্ডল বলেন, টাকা নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।

    প্রতারিত মহিলা কী বললেন?

    প্রতারিত মহিলা বলেন, ওই তৃণমূল কর্মী বলেছিল, লকডাউনে অনেকে চাকরি ছেড়ে চলে গিয়েছে। ১৮ হাজার বেতনের চাকরি দেওয়ার কথা বলেছিল। চাকরি দেওয়ার নাম করেই আমার কাছে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে গা ঢাকা দিয়েছিল। এদিন দেখা হতেই সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আমি ঘিরে ধরতেই আমার সঙ্গে বচসা শুরু করে। তখনই বাধ্য হয়ে জুতোপেটা করি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyanmoy Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাক্তন পর্ষদ-কর্তা কল্যাণময়ের জামিন, মানতে হবে কী কী শর্ত?

    Kalyanmoy Ganguly: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে প্রাক্তন পর্ষদ-কর্তা কল্যাণময়ের জামিন, মানতে হবে কী কী শর্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় অবশেষে জামিন পেলেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmoy Ganguly)। তবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই প্রাক্তন সভাপতির গতিবিধির উপর শর্ত আরোপ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যেহেতু অভিযুক্ত কল্যাণময়, তাই বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, তাঁকে কলকাতা পুরসভা এলাকায় থাকতে হবে। সেই সঙ্গে পার্ক স্ট্রিট থানা এবং বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না।

    শর্ত সাপেক্ষে জামিন (Kalyanmoy Ganguly)

    শিক্ষক দুর্নীতি নিয়োগ মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় (Kalyanmoy Ganguly) সিবিআইয়ের কাছে প্রধান অভিযুক্ত। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার শর্ত সাপেক্ষে তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁর গতিবিধির উপর নজরদারি রাখা হবে। কোন কোন এলাকায় যেতে পারবেন এবং কোথায় যেতে পারবেন না, তাও হাইকোর্ট নির্দেশে বলে দিয়েছে। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতে তাঁর পাসপোর্ট জমা রাখার কথাও জানানো হয়েছে।

    এক বছর আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল

    স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে (Kalyanmoy Ganguly) গ্রেফতার করে ২০২২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। ২০১০ সাল থেকে তিনি টানা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন। সিবিআইয়ের অভিযোগ, তিনি নিজের পদের প্রভাব খাটিয়ে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আরও জানিয়েছে, সই নকল করে একের পর এক নিয়োগ করেছেন। এই দুর্নীতিকাণ্ডে আরও গ্রেফতার করা হয়েছে সুবীরেশ ভট্টাচার্য, অশোক সাহা, শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হা, প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাকেও। বাকিরা সকলে জেলে রয়েছেন। এর আগেও কল্যাণময় সিবিআই আদালত এবং হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। এবার তাঁর জামিনের আবেদনের সিবিআই বিরোধিতা করলেও, হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয়, অনুব্রতদের সাসপেন্ড করে দেখান”, মমতাকে চ্যালেঞ্জ অমিত শাহের

    Amit Shah: “হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয়, অনুব্রতদের সাসপেন্ড করে দেখান”, মমতাকে চ্যালেঞ্জ অমিত শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় এসে সরাসরি তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। ধর্মতলায় বিজেপির ভিড়ে ঠাসা সমাবেশ থেকে তিনি রাজ্যের শাসকদলকে নানা ইস্যুতে আক্রমণ শানান। তবে নিয়ো-দুর্নীতি এবং রেশনকাণ্ড নিয়ে তাঁর গলায় ছিল আক্রমণাত্মক সুর। এমনিতেই তৃণমূলের হেভিওয়েট বেশ কয়েকজন নেতা জেলের ঘানি টানছেন। তাঁদের নিয়ে দল যথেষ্ট বিব্রত। তার ওপর এদিন অমিত শাহের আক্রমণ কার্যত কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে। তিনি এদিন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম করেন। তারপরই তৃণমূল নেত্রীকে নিশানা করে বলেন, “মমতাকে বলছি হিম্মত থাকলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করে দেখান। আপনি পারবেন না। যারা নিজে দুর্নীতিগ্রস্ত, তারা এই রাজ্যকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারবে না। তৃণমূল সাংসদ সংসদকেও অপবিত্র করেছে।”

    হিসাব দিয়ে জবাব (Amit Shah)

    কেন্দ্র টাকার অঙ্কে রাজ্যকে ভরিয়ে দিলেও তা যে প্রকৃত উপভোক্তাদের কাছে যাচ্ছে না, এটা নিয়েই বাংলায় সরব হয়েছে বিজেপি। তাদের সাফ কথা, মোদির দেওয়া টাকা রাজ্যে চুরি করছে শাসকদল। মানুষকে বঞ্চিত করে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ফুলে-ফেঁপে উঠছেন। যাঁর হাতে দেখা যেত আধ-পোড়া বিড়ি, তিনি এখন খাচ্ছেন দামী সিগারেট। মমতা নিজের দলের এই দুর্নীতিকে ঢাকতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেছেন। মোদি টাকা আটকে দিয়েছে, এই অভিযোগ তুলে সোচ্চার হচ্ছেন। অমিত শাহর (Amit Shah) ভাষণে এদিন এই প্রসঙ্গও উঠে আসে। তিনি বলেন, কান খুলে শুনুন, আপনার জন্য হিসেব এনেছি। ইউপিএ সরকার দশ বছরে ২ লক্ষ ১৪ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। মনরেগায় তিনগুণ বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে। হাইওয়ের জন্য মোট ৭০ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। টাকা না দেওয়ার অভিযোগ শুধু মুখে নয়, এভাবে হিসাব দিয়ে তিনি নস্যাৎ করে দিয়েছেন। শাহের দাবি, মোদি সরকার বাংলার জন্য কোটি কোটি পাঠাচ্ছে। কিন্তু তৃণমূলের জন্যই তা বাংলার গরিব মানুষ হাতে পাচ্ছে না। দুর্নীতির পাশাপাশি ভোটে সন্ত্রাস নিয়েও এদিন সোচ্চার হতে দেখা যায় শাহকে।

    রাজ্যে দারিদ্রতা কমেনি (Amit Shah)

    দুর্নীতি ইস্যুতে শাহ (Amit Shah) আরও বলেন, সব জায়গায় দারিদ্রতা কমেছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কমেনি। যে বাংলা সাহিত্য, বিজ্ঞান, কলা, স্বাধীনতা, উদ্যোগের ক্ষেত্রে এক নম্বরে ছিল, সেই বাংলাকে দিদি পিছিয়ে দিয়েছেন। আজ আমি বাংলার মানুষকে বলতে এসেছি, আপনারা একবার পুরো দেশের বিকাশ দেখুন। মোদি কোটি কোটি মানুষের জীবন পরিবর্তন করেছেন। শৌচালয়, রেশন, বাড়ি, ৫ লাখের বিমা, কোভিড টিকা দিয়েছেন। কিন্তু বাংলা ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “সৌভিক, চেক-আপ করিয়েছো তো?” উদ্ধারের পর ফোনে জানতে চাইলেন আবেগপ্রবণ মা

    Hooghly: “সৌভিক, চেক-আপ করিয়েছো তো?” উদ্ধারের পর ফোনে জানতে চাইলেন আবেগপ্রবণ মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৭ দিনের মাথায় উত্তরকাশীর সিল্কিয়ার সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের পর ছেলের কথা শুনে উৎকণ্ঠা কাটল মায়ের। অনেকটাই স্বস্তি পেয়েছে পরিবার। হুগলির (Hooghly) বাসিন্দা সৌরভ পাখিরা এবং জয়দেব আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে ছিলেন। গতকাল উদ্ধার হওয়ার পর সৌভিকের সঙ্গে মায়ের কথা হয়। মা আবেগপ্রবণ হয়ে ফোনে জিজ্ঞেস করলেন, “সৌভিক, চেক-আপ করিয়েছো তো”? পাশাপাশি বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন আশপাশের প্রতিবেশীরা। এলাকায় খুশির আবহ।

    কী বললেন মা (Hooghly)?

    ৪১ জন ভারতীয়ের সুড়ঙ্গে আটকে থাকার খবরে নজর ছিল গোটা দেশের মানুষের। কেন্দ্র সরকার এবং উত্তরাখণ্ড রাজ্য সরকারের সঙ্গে একাধিক সংস্থা যৌথভাবে অপারেশন চালিয়ে উদ্ধারকাজকে সম্পূর্ণরূপ দিয়েছে। তবে উদ্ধারের কাজ খুব একটা সহজ ছিল না। এরপর হুগলির (Hooghly) হরিণখোলার মানুষের মধ্যে স্বস্তির নিশ্বাস নেমে এলো। সৌভিকের সঙ্গে মা ফোনে কথা বলে জানান, “সুড়ঙ্গ থেকে সকলকেই উদ্ধার করা হয়েছে। জয়দেব এবং সৌভিক একসঙ্গেই রয়েছে, দুজনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়দেব এবং সৌভিকের মঙ্গলকামনায় এলাকার মানুষ বাবা তারকনাথের কাছে পুজো দিয়েছেন। তবে এখনও উদ্বেগ পুরোপুরি কাটেনি। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই পুরো ভয় কাটবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    উদ্ধার কাজে ছিল টানটান উত্তেজনা

    গত ১৭ দিন থেকেই সুড়ঙ্গে আটকে থাকার বিষয় নিয়ে উদ্বেগের একটা কারণ কাজ করছিল। আটকে থাকা হুগলির (Hooghly) শ্রমিকদের পরিবারের মানুষদের মধ্যে ছিল তীব্র আতঙ্কের ছায়া। উদ্ধার কাজেও ছিল ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা। সন্ধ্যা আটটার সময় প্রথম শ্রমিক উদ্ধারের খবর টিভির পর্দায় দেখা যায়। প্রথম উদ্ধার হন বিজয় হেরো এবং গণপতি হেরো। এরপর থেকেই সারা দেশের মানুষের মধ্যে আশার আলো সঞ্চার হয়। সময় ক্রমশ বৃদ্ধি পেলে উদ্ধার হওয়া শ্রমিকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। মাত্র ত্রিশ মিনিটে উদ্ধার হন ৪১ জন শ্রমিক। উদ্ধারের পরেই সকল শ্রমিককে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উদ্ধারের সময় উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি। তিনি উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। স্বাস্থ্যের সম্পর্কে খোঁজখবরও নেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Basirhat: লোকসভা ভোটে নুসরাতকে চাইছেন না বসিরহাটের তৃণমূল কর্মীরা, পোস্টার ঘিরে হইচই

    Basirhat: লোকসভা ভোটে নুসরাতকে চাইছেন না বসিরহাটের তৃণমূল কর্মীরা, পোস্টার ঘিরে হইচই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভায় তৃণমূলের কে প্রার্থী হবেন, তা এখনও ঠিক হয়নি। এর মধ্যেই বসিরহাটে (Basirhat) অভিনেতা-অভিনেত্রীকে প্রার্থী করা চলবে না বলে পোস্টার পড়ল। তৃণমূলের একটা অংশের পক্ষ থেকে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বাদুড়িয়া, হাড়োয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় এমনই পোস্টার লাগানো হয়েছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পোস্টারে ঠিক কী লেখা রয়েছে? (Basirhat)

    বসিরহাটের (Basirhat) হাড়োয়ার কুলটি, বাদুড়িয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট সাদা কাগজে পোস্টার দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই পোস্টারে পরিষ্কারভাবে লেখা রয়েছে, আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে কোনও বহিরাগত বা কোনও অভিনেতা-অভিনেত্রীকে প্রার্থী করা চলবে না। এলাকার ভূমিপুত্র, কাছের মানুষ ও কাজের মানুষকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করতে হবে। একেবারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়ে এই পোস্টার দেখা যায়। পোস্টারের নিচে ‘আমরা তৃণমূল কর্মীবৃন্দ’ বলে উল্লেখ রয়েছে।

    পোস্টার নিয়ে মুখ খুললেন হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ

    বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। তিনি সাংসদ হওয়ার পর এলাকায় তেমন কোনও উন্নয়ন হয়নি। সাংসদকে এলাকার সাধারণ মানুষ তো দূরে থাক, তৃণমূলের কর্মীরাও কাছে পাননি। তা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে এলাকার কর্মীদের মনে, এমনটাই দাবি দলের। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরে বড় কোনও সমাবেশ ছাড়া সাংসদকে এলাকায় দেখা যায়নি। কোনও সাংগঠনিক বৈঠকে তাঁকে ডেকে কাছে পাননি তৃণমূলের কর্মীরা। সাংসদ তহবিলে তেমন কোনও উন্নয়ন এলাকায় হয়নি। হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য ও প্রাণী কর্মাধ্যক্ষ বাহার আলি মোল্লা বলেন, ‘পোস্টারটা বড় কথা নয়। প্রতিটা লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আমাদের কেন্দ্রের প্রার্থী এলাকার কর্মীদের কাউকে করা দরকার। বর্তমানে যিনি সাংসদ আছেন, তাঁকে আমরা কোনও অনুষ্ঠানে ডেকে সেভাবে কাছে পাই না। এমন কোনও ব্যক্তিকে প্রার্থী করা দরকার, তিনি আমাদের সাংগঠনিক বুদ্ধি দেবেন। তিনি আমাদের তৃণমূলের পরিবারের অভিভাবক হবেন। যাকে ডাকলে বা কোনও সমস্যায় পড়লে কাছে পাই।’

    পোস্টার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই প্রসঙ্গে মিনাখাঁ এরিয়া সিপিএম কমিটির সম্পাদক প্রদ্যুৎ রায় বলেন, ‘আমরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেখেছি, যিনি যত টাকা উপরের নেতাদের দিতে পেরেছেন, তিনিই টিকিট পেয়েছেন। এক্ষেত্রেও তাই হবে। কোথায় কোন তৃণমূলের কর্মীরা পোস্টার মারলেন, তা তৃণমূলের উঁচু স্তরের নেতারা দেখেন না। তাঁরা শুধু দেখেন টাকা। ‘মিনাখাঁর বিজেপি নেতা জয়ন্ত মণ্ডল বলেন, ‘এই চোরেদের দল নিয়ে আর কী বলব। যিনি প্রার্থী হবেন, তিনিই চুরি করবেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi tunnel:  ‘ঝুঁকির কাজে পাঠাবো না’ সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের পর মন্তব্য মানিকের স্ত্রীর

    Uttarkashi tunnel: ‘ঝুঁকির কাজে পাঠাবো না’ সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের পর মন্তব্য মানিকের স্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরকাশীতে সুড়ঙ্গে (Uttarkashi tunnel) আটকে থাকা ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে বাংলার তিনজন শ্রমিক ছিলেন। কোচবিহারের একজন এবং হুগলির বাকি দুজন। গতকাল মঙ্গলবার সুড়ঙ্গে আটকে থাকা সকল শ্রমিককেই বের করে আনা হয়েছে। গোটা উদ্ধারকার্যকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং নজরে রেখেছিলেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি, কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ভি.কে সিং।

    আতঙ্কের প্রহর শেষ করে বাইরে বের হওয়ার পর, কোচবিহারের শ্রমিক মানিক তালুকদারের স্ত্রী সোমা তালুকদার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন। ফোনে স্বামীর কণ্ঠ শুনে নিজের হাত কপালে জড়ো করে ভাগবানকে স্মরণ করলেন। ছেলে মণি বাবার সঙ্গে কথা বলতে বলতে ফোন কেটে যায়। কারণ মানিককে অ্যাম্বুল্যান্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল হাসপাতালে। স্ত্রী সোমা এবং ছেলে মণি এখন অপেক্ষার প্রহর গুনছেন কত তাড়াতাড়ি মানিক ঘরে ফিরবেন।

    স্ত্রীর বক্তব্য (Uttarkashi tunnel)

    টানা ১৭ দিন ধরে সুড়ঙ্গে (Uttarkashi tunnel) আটকে থাকায় মানিকের স্ত্রী বাড়িতে অত্যন্ত উৎকণ্ঠায় দিনপাত করছিলেন। দুশ্চিন্তায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়েছিল। স্বামীর প্রতি চিন্তা ব্যক্ত করে বলেন, “ভালো আছেন মানিক, আর কোনও দিন ঝুঁকির কাজে পাঠাবো না। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। টিভিতে দেখে ঠিকই মনে হয়েছে। তবে এতো দিন আটকে থাকার পর শারীরিক সমস্যা হয়েছে কী না তাই এখন দেখার। তবে ওঁর এখন চিকিৎসা দরকার।”

    ছেলের বক্তব্য

    সুড়ঙ্গে (Uttarkashi tunnel) আটকে পড়া শ্রমিক মানিকের ছেলে মণি তালুকদার বলেন, “অনেক দিন ধরে উদ্বিগ্ন ছিলাম। বাবা কবে আসবেন সেই ভাবনাই মনে মনে কাজ করছিল। তবে কাল বাবার সঙ্গে ফোনে সরাসরি কথা বলে বেশ ভালো লেগেছে। তবে কথা বলতে বলতে ফোনটা কেটে গিয়েছে। আমি চাই বাবা খুব তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরে আসুক।”

    প্রতিবেশীদের উচ্ছ্বাস

    পরিবারের লোক অনেক দিন আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন উত্তরকাশীতে (Uttarkashi tunnel)। পারিবারের সূত্রে জানা গিয়েছে, সুড়ঙ্গে আটকে পড়ার খবর পেয়েই মানিকের দাদা বিনয় তালুদার এবং এক নিকট আত্মীয় ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন। এদিন সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধারের পর থেকেই বাড়িতে ভিড় করছেন প্রতিবেশীরা। অনেকেই উদ্ধারের খবরে খুশি হয়ে মিষ্টি মুখ করালেন স্ত্রী সোমাকে। এমনকী উচ্ছ্বাসে অনেকে বাজিও ফাটান বলে জানা গিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বিজেপি জেতায় যেখানে দরকার রাস্তা হল না, হল তৃণমূল নেত্রীর বাড়ির সামনে!

    South 24 Parganas: বিজেপি জেতায় যেখানে দরকার রাস্তা হল না, হল তৃণমূল নেত্রীর বাড়ির সামনে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ গঙ্গাধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাজনা মানিক দুয়ানি এলাক। দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসতেই এলাকার মানুষ এদিন বিক্ষোভ দেখান।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ওই এলাকায় গত পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে হারিয়ে ১৭ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী অতসী পণ্ডিত এবং ১৮ নম্বর বুথে সিপিআইএম প্রার্থী গীতা বৈরাগী জয়ী হন। সেই কারণে ভোগান্তির শিকার হতে  হচ্ছে এই এলাকার মানুষদের। এই এলাকার জন্য দেড় হাজার ফুট রাস্তা তৈরির অনুমোদন হয়। লক্ষণ পণ্ডিতের ঘর থেকে নিমাই পণ্ডিতের ঘর ভায়া দুখিরাম হালদার রাস্তা তৈরির কথা ছিল। কিন্তু, এই দুটি এলাকায় বিরোধীরা জয়ী হয়েছে। তাই, এই রাস্তাটি বিরোধীদের এলাকায় না হয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অসীমা হালদারের বাড়ির সামনে তৈরি করা হয়েছে। আর দেড় হাজার ফুটের পরিবর্তে ৪০০ ফুট করা হয়েছে। সেখানে ফলক বসানো হয়েছে, যাতে লেখা রয়েছে, বর্তমান আর্থিক বর্ষে ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ৬২৯ টাকা খরচা করে লক্ষণ পণ্ডিতের ঘর হইতে নিমাই পণ্ডিতের ঘর ভায়া দুখিরাম হালদার রাস্তা নির্মিত হইল। যার ফান্ড নম্বর ১৫ এফসি/২২/২৩। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে লোকজন জানতে পেরে অবাক হয়ে যান। তাঁদের বক্তব্য, বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্য জয়ী হয়েছে বলে এলাকার রাস্তা তৈরি করা হয়নি। আর দেড় হাজার ফুটের জায়গায় ৪০০ ফুট রাস্তা হয়েছে। আমরা এই দুর্নীতির তদন্ত দাবি করছি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অসীমা হালদার বলেন, এই রাস্তাটি আগে অনুমোদন হয়েছিল। তাই, রাস্তাটি করা হচ্ছে। ভুলবশত ওই বোর্ড বসেছে। কোথাও কোনও দুর্নীতি হয়নি। যা হয়েছে নিয়ম মেনে হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share