Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Cooch Behar: তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন দলীয় কর্মীরা, কেন জানেন?

    Cooch Behar: তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন দলীয় কর্মীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদীভাঙন কবলিত কোচবিহারের তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের বাসিন্দারা বাঁধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন বহুদিন ধরে। বৃহস্পতিবার সেখানে হাজির হন কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ চৈতি বর্মন বড়ুয়া। আর তাঁকে হাতের নাগালে পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বাসিন্দারা। তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা নিয়েই দলের টিকিটে জেতা কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে তাঁরা স্লোগান দিতে শুরু করেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    বৃহস্পতিবার কোচবিহারের (Cooch Behar) তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের মহিষকুচি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়ডাক নদী সংলগ্ন গেদারচর এলাকায় পরিদর্শনে যান তৃণমূল কংগ্রেসের তুফানগঞ্জ-২ ব্লক সভাপতি তথা জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ চৈতি বর্মন বড়ুয়া। সেখানে গেলে নিজের দলের কর্মীরাই চৈতিকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান। তাঁকে ঘিরে চলে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। সেই সময় ব্লক সভাপতিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য বাসন্তী বর্মনের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরে বক্সিরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চৈতিকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যায়। পরে কর্মাধ্যক্ষ বলেন, কোনও বিক্ষোভ নয়। এলাকার মানুষ দাবিদাওয়ার বিষয় আমার কাছে তুলে ধরেছে।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে নদীবাঁধের দাবি উঠলেও কর্মাধ্যক্ষকে কখনও এলাকায় দেখা যায়নি। কিন্তু সকাল থেকে অবৈধভাবে বালি পাচারের অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিনি এলাকায় হাজির হন। কী উদ্দেশ্য তাঁর? এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই গ্রামবাসীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। গ্রামবাসীদের আরও অভিযোগ, নিজের নির্বাচনী এলাকায় অবৈধভাবে রায়ডাক নদী থেকে বালি পাথর পাচারের জেরে ভাঙছে নদীবাঁধ। আতঙ্কে রয়েছেন এলাকাবাসী। কিন্তু, কর্মাধ্যক্ষের তাতে কোনও হেলদোল নেই।

    বিক্ষোভ প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    কোচবিহারের (Cooch Behar) তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভা রায় বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকেই তৃণমূল নেতাদের কয়লা চোর, বালি চোর ও পাথর চোর বলেছি। এবার গ্রামবাসীরাও একই কথা বললেন। গ্রামের মানুষ যখন নেতাকে চোর বলছেন, তখন অবিলম্বে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kharagpur IIT: খড়্গপুর আইআইটিতে র‍্যাগিং! অভিযোগ পেয়ে চিঠি দিল ইউজিসি

    Kharagpur IIT: খড়্গপুর আইআইটিতে র‍্যাগিং! অভিযোগ পেয়ে চিঠি দিল ইউজিসি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক মাস আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের জেরে এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ক্যাম্পাসে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল। তার প্রভাবে গোটা রাজ্যের রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল। এবার র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল খড়্গপুর আইআইটিতে (Kharagpur IIT)। দ্বিতীয়বর্ষের ছাত্রকে সারারাত ধরে করানো হল নাচ এবং খেলা। সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্তৃপক্ষের কাছে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ জমা পড়লে পুলিশের কাছে একটি মামলা রুজু করা হয়। ক্যাম্পাসের ছাত্রাবাসে যাতে কোনও আর অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সেজন্য কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও কড়া করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    অভিযোগে কারও নাম নেই (Kharagpur IIT)

    রাজ্যের একমাত্র আইআইটিতে (Kharagpur IIT) র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ক্যাম্পাসে তীব্র শোরগোল পড়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত বছরই আরও এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল খড়্গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষকে। এবার ফের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ! যদিও অভিযোগ ঠিক কার বিরুদ্ধে এবং কে করেছেন অভিযোগ, দুটি বিষয়েই অভিযোগপত্রে নামের উল্লেখ নেই বলে জানা গিয়েছে। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে হস্টেলগুলি পরিদর্শন করতে প্রতিষ্ঠানের ডিনদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের তরফ থেকে বিশেষ নোটিশ দিয়ে ১৬ হাজার পড়ুয়াকে সচেতন করা হয়েছে।

    ৩৪১, ৩২৩, ৫০৬, ৩৪ ধারায় মামলা (Kharagpur IIT)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৩, ৫০৬, ৩৪ নম্বর ধারায় পুলিশের কাছে মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রথমে অ্যান্টির‍্যাগিং-এর পোর্টালে অভিযোগ করা হয়, তারপর ইউজিসির তরফ থেকে একটি মেইল করে খড়্গপুর আইআইটিকে (Kharagpur IIT) জানানো হয় র‍্যাগিংয়ের বিষয়ে। আর তারপরই আইআইটি থেকে পুলিশের কাছে খড়্গপুর টাউন থানায় মামলা দায়ের করা হয়। চতুর্থ এবং তৃতীয় বর্ষের ছাত্ররা, দ্বিতীয় বর্ষের তৃতীয় সেমেস্টারের এক ছাত্রকে সারারাত নাচ এবং খেলা করতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    পুলিশের বক্তব্য

    খড়্গপুর টাউন থানার এক আধিকারিক বলেন, “আইআইটির (Kharagpur IIT) কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েই আমরা মামলা দায়ের করেছি। এখন তদন্ত শুরু করেছি। অভিযোগের সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bagdogra: শুরু হচ্ছে বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের কাজ, উদ্যোগী কেন্দ্র

    Bagdogra: শুরু হচ্ছে বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের কাজ, উদ্যোগী কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাগডোগরা (Bagdogra) বিমানবন্দর নিয়ে বড়সড়় সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার সিদ্ধান্ত কার্যকর করার প্রথম ধাপ হিসেবে কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়ে গেল। ডিসেম্বর মাসে বড়দিনের আগেই প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা খরচ করে বাগডোগরা বিমানবন্দরের সম্প্রসারণ ও আধুনিকীকরণের কাজ ভূমিপুজো দিয়ে শুরু হতে চলেছে।

    বিমানবন্দরে কী উন্নয়নমূল কাজ করা হবে? (Bagdogra)

    বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান বিমানবন্দরের (Bagdogra) টার্মিনালের আয়তন সাড়ে আট হাজার বর্গমিটারের মতো। সকাল থেকে বিকাল অবধি বিমানবন্দর ভিড়ে ঠাসা থাকে। অনেকেই দাঁড়ানো বা বসার ঠিকঠাক জায়গা পান না। তাই, বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে ১০৪ একরের মতো জমি অধিগ্রহণ এবং সমীক্ষা করে প্রথম পর্যায়ের ৯৫০.৪৫ কোটি টাকার নতুন টার্মিনাল ভবনের পরিকাঠামো উন্নয়নের টেন্ডার করা হয়েছে। প্রায় এক লক্ষ বর্গমিটারের নতুন টার্মিনাল ভবন এবং আধুনিক পরিকাঠামো তৈরি হবে। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ‘এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়া’ প্রথম বাগডোগরার নতুন বিমানবন্দরের নকশা এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য দেশের তো বটেই, এশিয়ার নামকরা একটি সংস্থাকে পরামর্শদাতা হিসাবে নিয়োগ করে। ডিসেম্বরে ভূমিপুজোর পরে, ২০২৪ সালের গোড়ায় কাজ শুরু করে তা ২০২৬ সালের পুজোর আগে শেষ হওয়ার কথা। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রক বাগডোগরার জন্য ১,৮৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা করেছে। এই টেন্ডারে প্রথম পর্যায়ে ৯৫০.৪৫ কোটি টাকার টেন্ডার হয়েছে। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার পর বাকি টাকা বরাদ্দ করা হবে।

    বিমানবন্দরের পরামর্শদাতা কমিটির চেয়ারম্যান কী বললেন?

    বাগডোগরা (Bagdogra) বিমানবন্দরের পরামর্শদাতা কমিটির চেয়ারম্যান তথা দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ইতিমধ্যেই টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে কারা কাজ করবে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। ডিসেম্বরে ভূমি পুজো হচ্ছে। দিনক্ষণ দ্রুত ঠিক করা হবে। নতুন বছর থেকে পুরোদস্তুর কাজ চলবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই অঞ্চলকে গুরুত্ব বুঝেই বিপুল পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুই থেকে আড়াই বছরের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: জয়নগরের পর আমডাঙা! প্রকাশ্যে বোমা মেরে তৃণমূলের প্রধানকে খুন করল দুষ্কৃতীরা

    North 24 Parganas: জয়নগরের পর আমডাঙা! প্রকাশ্যে বোমা মেরে তৃণমূলের প্রধানকে খুন করল দুষ্কৃতীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভরসন্ধ্যায় খুন হলেন উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙা পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডল। রাত ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে আমডাঙা থানার সোনাডাঙা এলাকায়। তৃণমূলের প্রধানকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। বোমার আঘাতে গুরুতর জখম অবস্থায় তড়িঘড়ি উদ্ধার করে পুলিশ আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁকে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই রূপচাঁদের মৃত্যু হয়। এর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে দাপুটে তৃণমূল নেতাকে প্রকাশ্যে খুন করার ঘটনা ঘটে। এক সপ্তাহের মধ্যে পর পর দুজন শাসক দলের নেতা খুন হওয়ার ঘটনায় রাজ্যে পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সন্ধ্যাবেলা উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙার কামদেবপুর হাটে ছিলেন রূপচাঁদবাবু। আচমকা সেই সময় তাঁর কাছে একটা ফোন আসে। ফোন পাওয়া মাত্রই তিনি রাস্তা পার হতে যান। অভিযোগ, সেই সময় কেউ বা কারা তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। রাস্তাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে বারাসতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান সাংসদ অর্জুন সিং, স্থানীয় বিধায়ক রফিকুর রহমান সহ একাধিক ব্লক নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, রাতেই জাতীয় সড়ক অবরোধ করে তৃণমূল কর্মীরা হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। এই হামলার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল দায়ী, জমি বেচাকেনার ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে বিবাদের জেরে এই ঘটনা-এমনই অভিযোগ বিরোধীদের।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    খুনের ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের সব অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এলাকায় কোনও গোষ্ঠীকোন্দলের বিষয় নেই।’ কিন্তু, কেন তাঁকে বোমা মারা হল, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কোনও কিছু বলতে পারেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Visva Bharati: বিশ্বভারতী থেকে ফলক সরানোর নির্দেশ জারি করল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক

    Visva Bharati: বিশ্বভারতী থেকে ফলক সরানোর নির্দেশ জারি করল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিনিকেতনে (Visva Bharati) ফলক সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জারি করল কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক। ওই নির্দেশে নতুন ফলকও বসাতে বলা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ফলকে কী লেখা থাকবে, সে কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে নির্দেশিকায়। নতুন ফলকে আচার্য হিসেবে প্রধানমন্ত্রী কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নাম থাকছে না। শিক্ষামন্ত্রকের (Visva Bharati) তরফ থেকে এদিন জানানো হয়েছে, একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট স্থির করে দেওয়া হবে এবং তাতেই নতুন ফলক তৈরি করা হবে।

    আরও পড়ুন: মহুয়াকাণ্ডের জের! এবার থেকে সংসদে প্রশ্ন করতে হবে স্বয়ং সাংসদদেরই?

    নতুন ফলক বসাতে ৮ জনের কমিটি গঠন

    একই সঙ্গে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva Bharati) কর্তৃপক্ষকে আটজনের একটি কমিটি গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের তরফে জানা গিয়েছে, ওই কমিটিতে থাকবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন বিভাগীয় প্রধান এবং দুজন এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল সদস্য। এই কমিটির তত্ত্বাবধানেই নতুন ফলক বসানো হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিশ্বভারতী ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পায় এবং তারপরেই সেখানে একটি ফলক লাগানোর সিদ্ধান্ত নেন তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না থাকায় বিতর্ক দানা বাধে।

    নতুন ফলকের অনুচ্ছেদ

    নতুন ফলকের জন্য যে অনুচ্ছেদ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম রয়েছে। ওই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ১৯০১ সালে গ্রামীণ বাংলায় স্থাপিত হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়। ভারতের পুরাতন সংস্কৃতি অনুযায়ী মানবতার পাঠ করানো হত শান্তিনিকেতনের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ১৯২১ সালে বিশ্বভারতী আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়। ওই ফলকে আরও বর্ণনা করা হয়েছে, রবীন্দ্রনাথের বিশ্বশান্তির ভাবনাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য এবং জ্ঞানের সাধনায় সারা বিশ্বকে এক ছাতার তলায় ধরে আনা হয়েছে বিশ্বভারতীতে।

    আরও পড়ুুন: জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে নদিয়া থেকে গ্রেফতার ‘মাস্টারমাইন্ড’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: মমতা সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিলেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা, ঠিক কী বলেছেন তিনি?

    Alipurduar: মমতা সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিলেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা, ঠিক কী বলেছেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা সরকারকে উৎখাত করতে হবে। রাজ্যে একটা ফ্যাসিস্ট সরকার চলছে। এটা বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দলের নেতার কোনও বক্তব্য নয়। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতার ঘনিষ্ঠ আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা প্রশান্ত নারায়ণ (জহর) মজুমদার এই মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি একথা জানিয়েছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন বর্ষীয়ান ওই তৃণমূল নেতা? (Alipurduar)

    নিজের হাতে তৈরি করা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কার্যকলাপের বিতশ্রদ্ধ হয়ে এদিন মমতা সরকারকে উৎখাত করতে আমজনতাকেও জোটবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন জহরবাবু। জহরবাবু একসময় বিধানসভার প্রার্থী ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। পাশাপাশি তিনি সরকারি আইনজীবীও ছিলেন। লোকসভা ভোটের আগে শাসক দলের বিরুদ্ধে জহরবাবুর মতো একজন ৮২ বছরের বর্ষীয়ান নেতার এ ধরনের মন্তব্যে জেলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, উদ্যান পালন দফতরে আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তদন্তের দাবি জানিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই ঘটনার তদন্ত কিছুই হয়নি। উলটে কেন তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন তারজন্য প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন এই তৃণমূল নেতা। তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, সরকারি আর্থিক তছরুপ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে কোনও সুবিচার হয় না। এ রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। গণতন্ত্রকে ফেরাতে বিরোধী সব দলকে সব মানুষকে একজোট হতে হবে। যেখানে যে দল শক্তিশালী সেই দলকে শক্তিশালী করে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। জহরবাবু দাবি করেন, দলে পুরানোদের কোনও মর্যাদা নেই। যারা শাসক দলে এখনও রয়েছেন তাদের ৭০ শতাংশ মানুষও এই দলের উপর তিতিবিরক্ত হয়ে রয়েছেন। ওই মানুষগুলো সামনের লোকসভা ভোটে শাসক দলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবেন।

    কী বললেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি?

    তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক  বলেন, জহর বাবু শ্রদ্ধেয় মানুষ। তিনি ঠিক কি বলেছেন, তা আমার জানা নেই। তাই তাঁকে নিয়ে আগেভাগে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2023: চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর এক ঝলকে জেনে নিন খুঁটিনাটি

    Jagadhatri Puja 2023: চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর এক ঝলকে জেনে নিন খুঁটিনাটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রস্তুতি তুঙ্গে। মেঘলা আকাশ, হালকা বৃষ্টিতে দমেনি পুজো নির্মাতারা। আগামীকাল ১৭ নভেম্বর চতুর্থীর দিন বিকেলেই  চন্দননগরের  উর্দিবাজার, বোরো, দৈবক পাড়া সহ ৬ টি পুজোর উদ্বোধন হতে চলেছে। বাকী পুজোগুলি পরে উদ্বোধন হবে। আসলে চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja 2023) ঐতিহ্য হল সুবিশাল প্রতিমা(সবই প্রায় উচ্চতায় ২০ ফুটের ওপরে), নয়নাভিরাম আলোর জাদু এবং অবশ্যই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এই তিন জাদুকাঠির জেরে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর নাম জগৎজোড়া। এই কদিনে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করবেন জগতের ধাত্রীকে দর্শন করতে। চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর শুরু থেকে শেষ সবটাই জাঁকজমকপূর্ণ। বৃহস্পতিবার চন্দননগরে নিজেদের  কার্যালয়ে প্রেস মিট করে এবিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন  চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির কর্মকর্তারা।

    কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক কী বললেন? (Jagadhatri Puja 2023)

    কমিটির পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, এবারে শাস্ত্র মতে ১৯ নভেম্বর জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja 2023) ষষ্ঠী ও সপ্তমী একইদিনে পড়েছে। ২০ নভেম্বর অষ্টমী। তাই দশমীর দিন পর্যন্ত প্রতিমা থাকবে মণ্ডপে। প্রতিমা নিরঞ্জনের ঐতিহাসিক শোভাযাত্রা হবে আগামী ২৩ তারিখে। ওই দিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে পরদিন ভোরবেলা অবধি শোভাযাত্রা চলবে।  চন্দননগর কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর জুড়ে মোট ১৭৭ টি পুজো হচ্ছে এবারে। এর মধ্যে ৬ টি পুজো বারোয়ারির জুবিলী আছে। এদের মধ্যে কারও ২৫, কারও ৫০, কারও ৬০, আবার কেউ ৭৫ বছরে পদার্পণ করছে। এবারে পুজোর পরিবেশ হবে পরিবেশ বান্ধব। ঠাকুরের ভোগ দেওয়া হবে মাটির ভাঁড়ে। একান্ত প্রয়োজন না হলে প্লাস্টিক ব্যবহার করব না আমরা। প্রতিবছরের ঐতিহ্য মেনে ডিজে বা শব্দবাজির প্রবেশ নিষেধ চন্দননগর এলাকাতে।

    বিসর্জনের শোভাযাত্রা কত পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করতে চলেছে?

    বিশেষ করে বিসর্জনের যে শোভাযাত্রা (Jagadhatri Puja 2023)  বের হয় তা দেখতে রাস্তার দুধারে কাতারে কাতারে লোক আসে দূর দূরান্ত থেকে। তবে, সব পুজো বারোয়ারি শোভাযাত্রায় সুযোগ পায় না। গতবারের মতো এবারও ৬২ টি পুজো কমিটি শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহন করবে। প্রতিটি কমিটির সর্বাধিক ৪ টি করে লরি থাকবে। এবার শোভাযাত্রায় মোট ২৩০ টি লরি থাকছে। এবারে কমিটি থেকে নতুন নিয়ম করা হয়েছে , যে লরিগুলিতে প্রতিমা থাকবে অর্থাৎ ৬২ টি লরিতেই  অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র বহন করা বাধ্যতামূলক। এদিন সেন্ট্রাল কমিটি থেকে আরও জানানো হয়, চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট ১৭ টি ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা থাকবে। অগ্নিনির্বাপক দফতরের পক্ষ থেকেও পুজোর কটা দিন গোটা চারেক বড় ভ্যান চন্দননগরের বিভিন্ন জায়গায় রাখা থাকবে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। পাশাপাশি মোবাইল (বাইক বাহিনী) টিমও থাকছে দমকলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: সহায়ক মূল্যে নয়, কম দামে ফড়়েদের কাছে ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন চাষিরা

    Uttar Dinajpur: সহায়ক মূল্যে নয়, কম দামে ফড়়েদের কাছে ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন চাষিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটা করে জেলাজুড়ে চলছে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্য প্রচার। আর চাষিরা সরকারি নির্ধারিত দামের অনেক কমে ফড়েদের কাছে তা বিক্রি করে দিচ্ছে। উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চাকুলিয়া হাট সহ জেলা জুড়ে এই ঘটনা ঘটছে। চাষিরা যাতে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারে তারজন্য প্রশাসনের কোনও উদ্যোগই চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ।

    ফ়ড়ে রুখতে অভিযান চালিয়েও কোনও লাভ হয়নি (Uttar Dinajpur)

    ধান বিক্রিতে ফড়ে-রাজ রুখতে কিছুদিন আগে জেলা (Uttar Dinajpur) জুড়ে বিভিন্ন হাটে সাদা পোশাকে নজরদারি শুরু করেন পুলিশ ও দুর্নীতি দমন শাখার কর্মীরা। প্রশাসন সূত্রের দাবি, সে নজরদারিতেই জেলা জুড়ে বিভিন্ন হাটে ফড়েদের বিরুদ্ধে কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি সহায়ক দামের থেকে কম দামে ধান কেনার অভিযোগ জানতে পেরেছেন খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের কর্তারা। ইতিমধ্যেই ওই দফতরের তরফে জেলার ন’টি ব্লকে মাইক-যোগে কৃষকদের সরকারি সহায়ক দরে ধান বিক্রি করে বেশি লাভ পাওয়ার বিষয়ে প্রচারও শুরু হয়েছে। জেলার ন’টি ব্লকের সমস্ত কিষান মান্ডিতে প্রতি কুইন্টাল ধান ২,২০৩ টাকা  সরকারি সহায়ক দরে কেনার কাজ চলছে। তার মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, জেলার বিভিন্ন হাটে কুইন্টাল প্রতি কোথাও ১,৭৫০, কোথাও আবার ১,৮০০-১,৮৫০ টাকায় কৃষকদের কাছ থেকে ফড়েরা ধান কিনছেন। ফড়েদের দাবি, তাঁরা ওই ধান পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে কুইন্টাল পিছু দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা দরে বিক্রি করবেন।

    চাষিদের কী বক্তব্য?

    চাষিদের বক্তব্য, সরকারি সহায়ক দরে ধান বিক্রির তারিখ পেতে অনেক ঝামেলা। তা ছাড়া, ধানের মান খারাপের যুক্তি দেখিয়ে প্রতি কুইন্টালে সাত থেকে ১০ কেজি অতিরিক্ত ধান নেওয়া হয় । ঝামেলা এড়াতে আমি প্রতি ১,৮৫০ টাকা দরে স্থানীয় হাটে ৫০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করেছি।

    খাদ্য দফতরের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    জেলা (Uttar Dinajpur) খাদ্য ও সরবরাহ আধিকারিক সঞ্জীব হালদারের বক্তব্য, সরকারি সহায়ক দরে ধান বিক্রির প্রক্রিয়ায় অনেক সরলীকরণ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কোনও কৃষক অসচেতন থেকে যদি নিজের ক্ষতি করে ফড়েদের কাছে ধান বিক্রি করেন, তবে আমাদের কিছু করণীয় নেই। গত বছর জেলায় ১৫টি ধান কেনার শিবির করা হয়েছিল। এ বার ১৯টি শিবির করা হয়েছে। চাকুলিয়া আরও শিবির করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে নদিয়া থেকে গ্রেফতার ‘মাস্টারমাইন্ড’

    Jaynagar: জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে নদিয়া থেকে গ্রেফতার ‘মাস্টারমাইন্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে (Jaynagar) তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার সময় যত গড়িয়েছে ততই পরিষ্কার হয়ে উঠছে এই খুনের কারণ। গত সোমবার বাড়ির কাছেই খুন হন তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন। এরপর থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় জয়নগর এলাকায়। তবে নেতা খুনের ঘটনায় দলুয়াখাঁকির যোগ রয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে। এই গোটা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন আনিসুর লস্কর এমনটাই পুলিশ সূত্রে দাবি। মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে যে এফআইআর করা হয়েছিল তাতে নাম আছে তার। তাঁর বাড়ি দলুয়াখাঁকি এলাকায়। তিনি এলাকায় সিপিএম কর্মী হিসেবে পরিচিত। নদিয়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সেখানেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন।

    কেন খুন করা হল সইফুদ্দিনকে? (Jaynagar)

    পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, সুপারি কিলার দিয়েই জয়নগরে (Jaynagar) তৃণমূল নেতাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাই, সবকিছুই পরিকল্পনা মতো হয়েছিল। কারণ হিসেবে উঠে আসছে দুটি তথ্য- ১) ক্রমশ এলাকায় সইফুদ্দিন শেষ কথা হয়ে উঠেছিলেন। এমনকী তিনি শাসকদলের নেতা হওয়ায় এলাকায় বিরাট অট্টালিকা থেকে শুরু করে প্রচুর টাকা-পয়সা করে ফেলেছিলেন। ২) একটি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের ঝামেলা চলছিল। এমনকী পারিবারিক বিবাদও ছিল দীর্ঘদিনের। এমনটাই মনে করছে পুলিশ। প্রায় ১ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল। তবে এই গোটা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই জয়নগর, বকুলতলা, কুলতলি, বারুইপুর, মন্দিরবাজার পুলিশ অফিসারদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এমনকী একটি স্পেশাল পুলিশ টিমও গঠন করা হয়েছে। টিমের মাথায় রয়েছেন পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ।

    খুন কাণ্ডে বড় ভাইয়ের নাম সামনে আসছে, কে সে?

    এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ধৃত সাহারুল লস্করকে জিজ্ঞাসাবাদে যে বড় ভাইয়ের নাম উঠে এসেছে, সেই বড় ভাই কে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত জয়নগর (Jaynagar) খুন কাণ্ডে পুলিশের সামনে নাসির হালদার এবং আলাউদ্দিন নামে দুজনের নাম সামনে এসেছে। এই আলাউদ্দিন নাকি নাসির বড় ভাই, তা এখনও পর্যন্ত  পুলিশ তা জানতে পারেনি। তবে, দুজনের বাড়ি মন্দিরবাজার থানার টেকপাঁজা এলাকায় বলে জানা গেছে। পাশাপাশি ধৃত সাহারুল ঘটনার পর চালতাবেড়িয়ার বাসিন্দা মোতালেফ নামে যে ব্যক্তির বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল তিনিও এলাকায় সিপিএম কর্মী বলেই পরিচিত। তবে, ঘটনার পর থেকে সবাই ঘরছাড়া রয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, এরা একদিকে যেমন সিপিএম কর্মী বা সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত ছিল, ঠিক তেমনি কেউ দর্জির কাজ, আবার কেউবা ফেরির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে এই ঘটনায় যে সমস্ত অভিযুক্তের নাম উঠে আসছে তা তাদের সঠিক নাম কিনা তা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নাকি পারিবারিক শত্রুতার কারণে খুন করা হয়েছে সইফুদ্দিনকে গোটা বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে অবহেলিত বুনিয়াদপুর স্টেশনের শ্রী ফেরাতে উদ্যোগী সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে অবহেলিত বুনিয়াদপুর স্টেশনের শ্রী ফেরাতে উদ্যোগী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে রেল প্রকল্পকে সামনে রেখে প্রচারে নামলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর রেল স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যেই অর্থ বরাদ্দ করেছে রেল। লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলায় রেলের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে প্রচারে নেমেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের হস্তক্ষেপে খুব শীঘ্রই রেলের উন্নয়নমূলক কাজের শুভারম্ভ হবে, এমনটাই প্রচার চলছে জেলাজুড়ে।

    বুনিয়াদপুরে কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে?

    জেলার মধ্যে দীর্ঘদিন থেকেই বুনিয়াদপুর রেল স্টেশন অবহেলিত। এখনও দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্ম না থাকার কারণে ট্রেন থেকে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপ দিয়ে নামতে হয়। বুনিয়াদপুরে রেলের জমিতে ওয়াগন ফ্যাক্টরি হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে। বুনিয়াদপুর রেল স্টেশনই দুরপাল্লার ট্রেন ধরতে কুশমণ্ডি, হরিরামপুর ও বংশিহারি ব্লকের মানুষের একমাত্র ভরসা। রেল স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়নের খবর জানাজানি হতেই খুশির হাওয়া জেলা জুড়ে। বুনিয়াদপুর স্টেশনের দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য ৩.৩২ কোটি ও ফুটব্রিজ তৈরির জন্য ৯.১৯ কোটি সহ প্রায় ১৩ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের তরফে এই উন্নয়নের কাজ করা হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই স্টেশন উন্নয়নে কেউ উদ্যোগ নেয়নি। স্থানীয় সাংসদের (Sukanta Majumdar) উদ্যোগেই এবার শ্রী ফিরতে চলেছে স্টেশনের।

    রেল প্রকল্পের কাজ নিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এর আগে তৃণমূলের সাংসদ শুধু পার্লামেন্টে গিয়েছেন, জেলার মানুষের জন্য কিছুই করেননি। জেলার মানুষ আমাকে সুযোগ দিয়েছে, আমি বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর এবং বুনিয়াদপুর রেল স্টেশনের মানোনয়ন্ত্রের জন্য রেলমন্ত্রীর কাছে দরবার করি। আমার জেলার মানুষ যেন ভালো রেল পরিষেবা পান সেটা তুলে ধরি। রেলমন্ত্রী আমার আবেদনে সাড়া দিয়ে বুনিয়াদপুর রেল স্টেশন উন্নয়নের জন্য প্রায় ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। তৃণমূল একে লোকসভা ভোটের প্রচার বলছে। তাদের সাংসদ করতে পারেননি কেন? আর আমরা দায়িত্ব নিয়ে করে দেখিয়ে দিলাম। কেন্দ্রকে দিয়ে জেলায় রেলের আরও উন্নয়নমূলক কাজ করাব।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, সাংসদের এটা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। লোকসভা নির্বাচনের আগে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) এর কৃতিত্ব নিতে চাইছেন। আমরা আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি এতদিন করতে পারেননি কেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে এমন চমক দিয়ে কোনও লাভ নেই। জেলায় বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। আর সাংসদ জেলায় থাকেন না। সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা তিনি কী বুঝবেন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share