Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dakshin Dinajpur: বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করে ফিরেও তাকাননি মমতা, মহিলা কলেজের দয়ায় হচ্ছে ক্লাস!

    Dakshin Dinajpur: বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করে ফিরেও তাকাননি মমতা, মহিলা কলেজের দয়ায় হচ্ছে ক্লাস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভা ভোটের আগে ঘটা করে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভোটপর্ব মিটতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কী হাল, তার খোঁজও নেননি মুখ্যমন্ত্রী। কারণ, জেলার অর্ধেক আসনে বিজেপি জয়ী হয়েছে। এমনই মত রাজনৈতিক মহলের। তাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ ঝুলে রয়েছে। এদিকে, মেয়াদ ফুরোচ্ছে বালুরঘাট মহিলা কলেজের দেওয়া ভবনের। অথচ আজও নতুন ভবনের ব্যবস্থা করা যায়নি। তাই ফের সংকটের মুখে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) বিশ্ববিদ্যালয়ের অফলাইন ক্লাস। আগামী এক মাসের মধ্যেই কোনও নতুন ভবনের ব্যবস্থা করা না গেলে অফলাইন ক্লাস বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যার কথা ভেবে নভেম্বর মাস পর্যন্ত কয়েকটি ঘর ব্যবহার করতে দিয়েছিল বালুরঘাট মহিলা কলেজ। ওই ঘরগুলিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অফলাইন ক্লাস চালু করা হয়েছিল। কিন্তু নভেম্বর মাস শেষ হতে চললেও, এখনও নতুন ঘরের ব্যবস্থা না করতে পারায়, কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আরও একমাস ঘর চেয়ে আবেদন জানিয়ে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ওই এক মাসের মধ্যে নতুন ঘরের ব্যবস্থা না করা গেলে সমস্যা বাড়বে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের অভিভাবকদের বক্তব্য, পরিকাঠামো তৈরি না করে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করে কী লাভ? এভাবে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে রাজ্য সরকার ছিনিমিনি খেলছে।

    কবে থেকে চালু হয়েছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়? (Dakshin Dinajpur)

    ২০২০ সালে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Dakshin Dinajpur) ঘোষণা হওয়ার পর মাহিনগরে জমি চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু, অর্থের অভাবে সেখানে আজও কোনও ভবন তৈরি করা হয়নি। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ভবনের জন্য অপেক্ষা না করে,  ২০২১ সালে ১ লা ফেব্রুয়ারি বালুরঘাট শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে অস্থায়ী ক্যাম্পাস গড়ে কাজ শুরু করা হয়। নিয়োগ হওয়া দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য সঞ্চারী  রায় মুখোপাধ্যায়। ওই শিক্ষাবর্ষ থেকেই পঠন পাঠন শুরু হয়ে যায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। অঙ্ক, ইংরেজি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান -এই তিনটি বিষয়ে  পঠন পাঠন শুরু হয়ে যায়। কিন্তু, ক্লাসরুমের মতো ভবন না থাকায় অনলাইনেই ওই শিক্ষাবর্ষ গুলি চলতে থাকে। মাস কয়েক আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের  নতুন উপাচার্য হিসেবে দেবব্রত মিত্র কাজে যোগ দেবার পর থেকে অনলাইন ক্লাস বন্ধ করে অফলাইন ক্লাস করানোর বিষয়ে বদ্ধপরিকর হন উপাচার্য। তিনি বিভিন্নভাবে ক্লাস করাবার জন্যে ভবন সংগ্রহের জন্য ছোটাছুটি করতে থাকেন। এগিয়ে আসে বালুরঘাট গার্লস কলেজ। তারা তাদের অব্যবহৃত একটি হোস্টেলে এই অফলাইন ক্লাস চালু করার জন্য অনুমতি দেয়। তবে, তা নভেম্বর মাস পর্যন্ত দেওয়ার শর্ত দেওয়া হয়।

    বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    বিশ্ববিদ্যালয়ের (Dakshin Dinajpur) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অমিত রায় বলেন, আমরা পুরসভার কাছে একটি ভবন চেয়েছিলাম। কিন্তু, তারা ওই ভবনের যে পরিমাণ ভাড়া চাইছে, তা আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়, তাই এখনও ওই চুক্তি সম্পন্ন হয়নি। তবে, কথা চলছে। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রর একাংশ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবহার করার জন্য দেওয়ার কথা রয়েছে। তাও এখনও চূড়ান্ত হয়নি। উপাচার্য দেবব্রত মিত্র বলেন, বেশ কয়েকটি ভবন দেখার কাজ চলেছে। এখনও কোনওটাই আমাদের হাতে আসেনি।

    বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে পুর কর্তৃপক্ষ এবং জেলা প্রশাসনের কী অবস্থান?

    বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন,আমরা ওই ভবনের ভাড়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিওসিতে আলোচনা করার পরেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাবো। জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, নাট্য উৎকর্ষ কেন্দ্রের একাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমের জন্য দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছি। একটু আলোচনা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: গোসাবায় তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার ৪, গোষ্ঠী সংঘর্ষেই কি খুন?

    South 24 Parganas: গোসাবায় তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার ৪, গোষ্ঠী সংঘর্ষেই কি খুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে খুনের ঘটনা যেন রাজ্যে থামছেই না। জয়নগরের পর ফের গোসাবা (South 24 Parganas)! তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে তৃণমূল নেতার খুনে গ্রেফতার হল ৪ জন। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার ৪ জনেই তৃণমূলের কর্মী বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের মঙ্গলবার আদালতে তোলা হবে। গতকাল সোমবার রাস্তা সারাইয়ে ব্যবহার করা সামগ্রীর মান নিয়ে প্রশ্ন করলে এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পুলিশ তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। এরপর ধৃতদের রাজনৈতিক পরিচয়ে স্পষ্ট হল। প্রত্যেকে এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত।

    অভিযুক্ত চার জনের পরিচয় কী (South 24 Parganas)?

    বারুইপুর (South 24 Parganas) পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের বুথ সভাপতি মোছাকুলি মোল্লাহত্যার পিছনে যে চারজন রয়েছে তারা হল, রউফ মোল্লা, ইমরান মোল্লা, ফারুক বৈদ্য এবং আনার জমাদার। হত্যার পিছনে তৃণমূল দলের দুষ্কৃতীরাই জড়িত ছিল বলে আগে থেকেই অনুমান করা হচ্ছিল। পুলিশ সূত্রে পরিচয়ে আরও স্পষ্ট হল এলাকায় ধৃতরা সকলেই তৃণমূলের হয়ে কাজ করতেন।

    কীভাবে ঘটেছিল খুনের ঘটনা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারুইপুর (South 24 Parganas) পুলিশের অধীনে পূর্ব রাধানগর এলাকায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি ছিলেন মোছাকুলি মোল্লা। এলাকায় এক কিলোমিটার রাস্তা ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। কিন্তু নিম্নমানের জিনিস ব্যবহারের কারণে, বচসা বাঁধে বাকিবুর মোল্লা নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, লোহার রড দিয়ে মোছাকুলিকে ব্যাপাক মারধর করা হয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

    উল্লেখ্য, রাজ্যে গত কয়েক মাসে একাধিক গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে। বিরোধীরা বার বার শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে জানিয়েছে জয়নগর বা বগটুইয়ের মতো জায়গাগুলিতে শাসক দলের নেতাদের মধ্যে গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তাল হয়ে উঠেছিল। প্রত্যেক ক্ষেত্রে যারা খুন করছে তারা তৃণমূলের কর্মী এবং যাঁদের মৃত্যু হয়েছে তাঁরাও তৃণমূলের কর্মী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “সিঙ্গুরের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না”, মমতার দাবিকে নস্যাৎ শুভেন্দুর

    Hooghly: “সিঙ্গুরের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না”, মমতার দাবিকে নস্যাৎ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতায় বিজেপির মেগা ইভেন্ট। আসবেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এই সভা সফল করে তোলার উদ্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন কোণে কোণে ছুটছেন বিজেপি নেতারা। সোমবার রাতে ঠিক একই কারণে সিঙ্গুরে (Hooghly) যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উপচে পড়া জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু সিঙ্গুরের বর্তমান অবস্থার জন্য শাসক দলকে দায়ী করে বলেন, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বোকামি এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এ রাজ্যের নেত্রী শিল্পকে ভাগিয়ে দিয়েছেন গুজরাটে।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Hooghly)?

    হুগলির (Hooghly) সিঙ্গুরে বুড়াশান্তির মাঠে শুভেন্দুর সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন চাকরি চুরি, রেশন চুরির ১০০ দিনের কাজ, বার্ধক্য, বিধবা ভাতা, আবাস যোজনা দুর্নীতির প্রতিবাদে সরব হন বিজেপি নেতারা। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিঙ্গুর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “২০০৬ সালে সিঙ্গুরের যাঁরা জমির মালিক হিসাবে চেক নিয়ে নিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে থেকে সামান্য কজন বর্গাদারকে নিয়ে সিঙ্গুরে শিল্প-কারখানার বিরোধিতা করতে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রামের দুটো লড়াই এক লড়াই নয়। সিঙ্গুরের লড়াইতে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের এই সিঙ্গুরকে শ্মশানে পরিণত করেছেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উদারতা এবং প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর মতো মহান ব্যক্তির ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এই রাজ্যের নেত্রী শিল্পকে ভাগিয়ে দিয়েছেন গুজরাটে। সিঙ্গুরকে ধ্বংস করেছেন তিনি।”

    তীব্র আক্রমণ বেচারাম মান্নাকে

    রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে এদিন আক্রমণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, “সিঙ্গুর টাটার কারখানায় (Hooghly) চুনসুড়কি সাপ্লাই করতেন বেচারাম মান্না। আমি জানি তিনি একটা বিড়িকে নিভিয়ে নিভিয়ে কীভাবে খেতেন। আগে ফাটা পায়জামা পড়তেন। একটা পাঞ্জাবি পাঁচদিন পড়তেন, তারপর ধুতে দিতেন। তিনি এখন সারাদিনে তিনটে সিল্কের পাঞ্জাবি পরেন। পিছনে তুলো লাগানো লম্বা সিগারেট খান। অনেক কিছু করেছেন, কোথা থেকে হয়েছে জানি না। তবে আমাদের ভারতবর্ষে ইডি আছে। মাটির ভিতরে জিনিস থাকলেও খুঁজে বের করতে পারে ইডি। কেউ ভাবতে পেরেছিল দেড়শো কেজি ওজনের, পঁচাত্তর বছরের একটা বুড়োর নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যিনি মমতার একজন প্রিয় পার্থদা ছিলেন। অপার ঘরে ঢুকেই ৫১ কোটি মাল দুদিনে বেরিয়েছে। এই দুর্নীতির হিসাব নেবো আমারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: দেগঙ্গার পর দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণ, জখম যুবক, পুলিশের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Bomb Blast: দেগঙ্গার পর দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণ, জখম যুবক, পুলিশের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্যে বোমা বিস্ফোরণ। আর বিস্ফোরণের জেরে এক যুবক গুরুতর জখম হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার কদম্বগাছিতে। আহত যুবকের নাম কবিরুল আলি। বছর তেইশের জখম যুবকের বাড়ি দেগঙ্গার গোসাইপুরে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার দুদিন আগেই দেগঙ্গার কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শেখের মোড় এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের পিছনে আচমকা বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে।  খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে জখম হয় এক নাবালক। এবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল কদম্বগাছিতে।

    কী করে ঘটল বোমা বিস্ফোরণ? (Bomb Blast)

    এদিন সকালে কোদাল দিয়ে বাড়ির অদূরে জমিতে মাটি কাটচ্ছিলেন কবিরুল। মূলত সেখানে ঝোঁপ পরিষ্কার করার তিনি কাজ করছিলেন। মাটির মধ্যে বোমা পোঁতা ছিল। শাবল দিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। জানা গিয়েছে, আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা এসে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন কবিরুল। তাঁর শরীরের একটি অংশ ঝলসে গিয়েছে। বাঁ হাতের তালু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কীভাবে ওখানে বোমা এল তা খতিয়ে দেখছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ।

    বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুলিশের নজরদারি অভাবের জন্যই বার বার বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটছে। মাটির নীচে এভাবে বোমা রাখা থাকলে সাধারণ মানুষ কী করে বুঝবে। এই ঘটনার পর রাস্তাঘাটে চলাচল করতে ভয় লাগছে। বোমা মজুতকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা না করলে দেগঙ্গা, কদম্বগাছির মতো বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা বার বার ঘটবে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভপতি সর্দার মেহবুব হাসান নয়ন  বলেন, আইএসএফ এই এলাকা সংগঠন তৈরি করতে পারছে না। তাই, এভাবে বোমা মজুত করে সন্ত্রাসের পরিবেশ করতে চাইছে তারা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: সুড়ঙ্গে আটক হুগলির ২ শ্রমিক, সাহায্যের জন্য বিজেপি বিধায়ক চিঠি দিলেন মোদিকে

    Hooghly: সুড়ঙ্গে আটক হুগলির ২ শ্রমিক, সাহায্যের জন্য বিজেপি বিধায়ক চিঠি দিলেন মোদিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে হুগলির ২ শ্রমিক। পরিবারকে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখলেন হুগলির পুরশুড়ার (Hooghly) বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ। বিধায়ক বলেন, এই শ্রমিক পরিবারদের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল নয়। অভাবের সংসার। তাই প্রশাসনের মাধ্যমে যদি কিছু সাহায্য করা যায়, তাহলে ভীষণ উপকার হবে। সেই সঙ্গে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়কে তুলে ধরে বিজেপির অভিযোগ, এই রাজ্যে কাজ নেই, তাই অন্য রাজ্যে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে হয়।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক (Hooghly)

    হুগলির (Hooghly) পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, “উত্তরকাশীতে রাস্তার সুড়ঙ্গে ৪১ জন শ্রমিক আটকে পড়েছেন। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ওই সুড়ঙ্গে রয়েছেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গের মোট ৩ জন শ্রমিক সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন। এই জেলারও রয়েছেন দুই জন শ্রমিক। তাঁদের একজন হলেন শৌভিক পাখিরা এবং অপরজন জয়দেব প্রামাণিক। রাজ্যের তৃণমূল সরকার কাজ দিতে না পারায় অন্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছিল এই শ্রমিকদের।” দুইজন শ্রমিকের পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা বলতে গিয়ে আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ৭ রেসকোর্সের ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই শ্রমিকদের বাড়িতে একমাত্র উপার্জনকারী হলেন তাঁরাই। সুড়ঙ্গে আটকে থাকায় তাঁদের বাড়ির লোকজন খুব অসহায়বোধ করছেন। তাঁদের উভয়ের বাড়িতে অসুস্থ রোগী এবং বাচ্চাদের পড়াশুনার খরচ জোগাড় করতে রীতিমতো সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। তাই এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী পরিবারের পাশে থেকে সাহায্য করলে খুব ভালো হয়। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করলে পরিবারের দুশ্চিন্তা কমবে।”

    চারধামের সরল পথ এই সুড়ঙ্গ

    উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ পথে সড়কের কাজ চলাকালীন উপর থেকে ধসের কারণে পাথর ভেঙে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। রয়েছেন হুগলির (Hooghly) দুই শ্রমিক। এই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে উত্তরাখণ্ডের গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ এই চারধামের যাত্রা পথকে আরও সরল সহজ করতে রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছিল। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে খননের কাজ খুব জোর কদমে চলছে। ৪১ টি অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হয়েছে সুড়ঙ্গের বাইরে। স্থানীয় হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য দফতরকে সতর্ক রাখা হয়েছে। মনে করা হয়েছে আজ বিকেলের মধ্যেই উদ্ধার করা সম্ভব হবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলে যোগদানকারীদের অস্বীকার বিধায়কের, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    South 24 Parganas: তৃণমূলে যোগদানকারীদের অস্বীকার বিধায়কের, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের দলীয় সভা থেকে যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দল থেকে আসা সমস্ত কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছেন, সেখানেই বেসুরো দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। বিরোধী দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পঞ্চায়েত সদস্যদের মানতে রাজি নন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর অবস্থানের জন্য দলের অঞ্চল নেতৃত্বের কাছে সমালোচিত হয়েছেন বিধায়ক। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    বিধায়কের বক্তব্যে সরব যোগদানকারীরা (South 24 Parganas)

    ব্লক সভাপতির হাত ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপির গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে যোগ দিয়েছিলেন আইএসএফ ও কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা। আর ব্লক নেতৃত্বের উদ্যোগে এই যোগদানকারীদের অস্বীকার করেন কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। তিনি বলেন, শুধুমাত্র পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্য প্রধানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আইএসএফ ও কংগ্রেসের জয়ী মোট পাঁচজন সদস্য। কিন্তু, তাঁরা দলে যোগদান করেননি।

    অন্যদিকে বিধায়কের বক্তব্য নিয়ে সরব হয়েছেন সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকারী আইএসএফ ও কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাঁরা বলেন, গত ১১ ই নভেম্বর সুন্দরবন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সভানেত্রী পূর্ণিমা হাজারিকা ও কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রিয় হালদারের হাত ধরে গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমরা দুজন আইএএফ এবং তিনজন কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করি। আমরা তৃণমূলে যোগদান করার পরই গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন বিধায়ক না মানলে হব? জেলা নেতৃত্ব তো আমাদের দলে নিয়েছে।

    কী বললেন দলের অঞ্চল সভাপতি?

    এই ঘটনায় তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গাজিপুর অঞ্চল সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, ব্লক সভাপতি ও জেলা মহিলা সভানেত্রী উপস্থিতিতে বিরোধীদের পাঁচজন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। কিন্তু, কীভাবে বিধায়ক এই কথা বলতে পারেন তা তিনিই জানেন। যোগদানকারীরা তৃণমূলে রয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার! রত্নার বক্তব্যে চরম বিড়ম্বনায় তৃণমূল, মঞ্চে ঠাঁই হল না নেত্রীর

    North 24 Parganas: বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার! রত্নার বক্তব্যে চরম বিড়ম্বনায় তৃণমূল, মঞ্চে ঠাঁই হল না নেত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসতের জেলা তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দলেই কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। এমনিতেই লোকসভা ভোটের আগে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে তিনি যে বক্তব্য রেখেছিলেন, তা নিয়ে বিজেপি সরব হয়েছে। এমনকী নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে গেরুয়া বাহিনী। কমিশনের তরফেও এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলা তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যে চরম বিড়ম্বনায় শাসক দল। রত্না বিশ্বাসও দলের অন্দরেই সমালোচিত হয়েছেন। এরই মধ্যে দলীয় সভায় জেলা নেত্রীকে মঞ্চে উঠতে দেওয়া হল না। রত্না যে অন্যায় করেছেন, তা তৃণমূল নেতৃত্বের আচরণে স্পষ্ট বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসতে ২৬ নভেম্বর সংসদীয় জেলা তৃণমূলের বর্ধিত সভা হয়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো নেতারা। উপস্থিত ছিলেন বিতর্কিত বক্তব্য রাখা জেলা তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস নিজেও। কিন্তু ওই সভায় মঞ্চে দেখা যায়নি রত্নাকে। এমনকী সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্নেরও জবাব দেননি তিনি। তবে, রত্নার মন্তব্য যে ভুল, তা এদিন স্বীকার করেছেন কাকলি। এর পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমে কথা বলার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। রত্নার বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘ও ভুল করেছে। বোঝারও ভুল হয়েছে। বলারও একটু ভুল হয়েছে। ১৯৭১ অবধি যাঁরা এসেছেন, তাঁদের একই পরিবারের কারও নাম থাকলেও অনেকের নেই। ও সেটাই বলতে চেয়েছে। ঠিক মতো বোঝাতে পারেনি।’ তবে, সাংসদ তাঁর মন্তব্য নিয়ে কথা বললেও রত্না বিশ্বাস একটি কথাও বলেননি। দলের মধ্যেই তিনি যে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই ঘটনাই।

    দলের গোপন অ্যাজেন্ডা প্রকাশ করে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেত্রী, সরব বিজেপি

    এই বিষয় নিয়ে শাসকদলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা তাপস মিত্র বলেন, রত্নার বক্তব্যের পরই পরিষ্কার হয়েছে কীভাবে রাজ্যের ক্ষমতা ধরে রেখেছে তৃণমূল। দলের গোপন অ্যাজেন্ডা প্রকাশ্যে বলার কারণেই মঞ্চে ঠাঁই হয়নি সংসদীয় জেলার চেয়ারপার্সনের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Brucellosis: রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ব্রুসেলোসিস! ফের মৃত্যু হল একজনের

    Brucellosis: রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ব্রুসেলোসিস! ফের মৃত্যু হল একজনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার রেশ সবে কেটেছে। চিনা নিউমোনিয়া নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় চলছে। এরই মধ্যে এই রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ব্রুসেলোসিস (Brucellosis)। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুরও ঘটনা ঘটেছে। চলতি মাসেই এই রাজ্যে আরও একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম নিরঞ্জন রাহা। তাঁর বয়স ৫০ বছর। তাঁর বাড়ি নদিয়ার নাকাশিপাড়ার গোটেপাড়া এলাকায়।

    কীভাবে ছড়ায় এই রোগ? (Brucellosis)

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রুসেলা জেনাসের অন্তর্ভুক্ত একদল ব্যাক্টেরিয়াই ব্রুসেলোসিসের (Brucellosis) কারণ। শুধু মানুষ নয়, সংক্রমিত করে পশুদেরও। আক্রান্ত পশুর ফ্লুইড থেকে সরাসরি মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়া। কাঁচা অথবা আনপাস্তুরাইজড ডেয়ারি প্রোডাক্ট থেকেও ছড়িয়ে পড়ে ব্রুসেলোসিস। আরও নানাভাবে সংক্রামিত হতে পারে মানুষ। গত ৫ সেপ্টেম্বর, হুগলির পোলবার চৈতালী দেশি এই একই রোগে ভুগে বাঙুর হাসপাতালে মারা গিয়েছিলেন। এই মহিলা প্রাণীমিত্র ছিলেন। ফলে, কাজের সূত্রে পশুর নজরদারি করতে হত তাঁকে। সেখান থেকে তিনি সংক্রামিত হতে পারেন। তবে, তিনি প্রথম আক্রান্ত কি না সেই সংখ্যা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। এই প্রথম বা দ্বিতীয়, এটা সর্বকালীন না চলতি বছরের পরিসংখ্যান, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। কারণ, সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, গত বছর ডিসেম্বরে এই ব্রুসেলোসিসে আক্রান্ত হয়ে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে মারা গিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ৫১ বছরের বাসিন্দা শরবিন্দু ঘোষ। চলতি বছরে আরও দুজনের মৃত্যু হল।

    নদিয়ার ব্যক্তি কীভাবে আক্রান্ত হলেন?

    জানা গিয়েছে, নিরঞ্জন রাহার বাড়িতে গবাদি পশু ছিল। একইসঙ্গে তিনি চাষাবাদও করতেন। প্রাথমিক অনুমান, গবাদি পশুর শরীর থেকে তাঁর শরীরে এই ব্যাকটেরিয়ার প্রবেশ ঘটে। চলতি মাসের শুরুতে তিনি অসুস্থ বোধ করায় স্থানীয় হাসপাতালে দেখান। কিন্তু, শারীরিক উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে গত ১৩ নভেম্বর আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরই মাঝে ১৬ নভেম্বর ব্রুসেলা (Brucellosis) রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাঁর। গত ২৪ নভেম্বর ওই বেসরকারি হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। গত দুমাসে পর পর দুজন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগে রয়েছেন চিকিৎসকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Michaung: ডিসেম্বরের প্রথমেই ঘূর্ণিঝড়! ‘মিগজাউম’-এর প্রভাবে থমকে  শীত

    Cyclone Michaung: ডিসেম্বরের প্রথমেই ঘূর্ণিঝড়! ‘মিগজাউম’-এর প্রভাবে থমকে শীত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শীতের পথে বাধা ঘূর্ণিঝড়। বঙ্গোপসাগরে নতুন করে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে চলেছে, এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন। ঘূর্নিঝড় মিধিলির (Cyclone Midhili) পর ‘মিগজাউম’ (Cyclone Michaung)। বাংলায় এর কোনও প্রভাব পড়বে কিনা, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জন্য এখনই জাঁকিয়ে শীত পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই দক্ষিণবঙ্গে।

    কী বলছে হাওয়া অফিস

    মৌসম ভবন (India Meteorological Department) সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই আন্দামান সাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিম্নচাপটি অবস্থান করছে দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন মালাক্কা প্রণালীর উপর। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, নিম্নচাপটি ক্রমেই পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। আগামিকাল, ২৯ নভেম্বরের মধ্যে শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে এটি। গভীর নিম্নচাপটি আগামী দুই দিনের মধ্যে গভীর ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone Michaung) পরিণত হবে। আবহবিদদের কথায়, ‘সাইক্লোনের গতিপ্রকৃতি ঠিক কী হতে চলেছে, সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। এই ঘূর্ণিঝড় কোন দিকে অগ্রসর হবে তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। এর জন্য আরও বেশ কিছুটা সময় প্রয়োজন রয়েছে।’ বেশ কয়েকটি আবহাওয়া মডেল এই সাইক্লোনের একটি সম্ভাব্য গতিপথের ইঙ্গিত দিয়েছে। আর এই পূর্বাভাস মডেলগুলি অনুযায়ী, ৬ ডিসেম্বর নাগাদ স্থলভাগ ছুঁতে পারে সাইক্লোনটি। বাংলাদেশ বা মায়ানমার উপকূলের দিকে তা যেতে পারে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের আন্দামানসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

    শীত পড়তে দেরি

    ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে উত্তরবঙ্গে (North Bengal) ভারী বা মাঝারি বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে ডিসেম্বরের শুরুর দিকে দার্জিলিং কালিম্পং-এ হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই সাইক্লোনের ফলে রাজ্যে উত্তুরে হাওয়ার প্রবেশ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। আর যার ফলে পারদ পতনেও হচ্ছে বিলম্ব। আপাতত আগামী কয়েকদিন রাজ্যে জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) বুধবার থেকে আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। সপ্তাহান্তে উপকূলীয় এলাকাগুলির হাওয়া বদলের সম্ভাবনা প্রবল। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, ৬০ ফুট লম্বা ও ২০ ফুট চওড়া মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন শাহ

    BJP: চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, ৬০ ফুট লম্বা ও ২০ ফুট চওড়া মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামিকাল বুধবার ধর্মতলায় রয়েছে বিজেপির (BJP) হাইভোল্টেজ সভা। হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই বিজেপির এই সমাবেশ হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন, সেটি হতে চলেছে ৬০ ফুট লম্বা এবং ২০ ফুট চওড়া। এর পাশাপাশি মঞ্চের উচ্চতাও যথেষ্ট বড় হবে বলে জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। সমাবেশ ঘিরে গেরুয়া শিবিরে সাজো সাজো রব। আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছেন কর্মীরা। ফেসবুকের দেওয়াল থেকে বিল্ডিং-এর দেওয়াল, সর্বত্রই চলছে সমাবেশের প্রচার। ইতিমধ্যে সামনে এসেছে সমাবেশকে ঘিরে বিজেপির (BJP) থিম সং-ও। সভার সমর্থনে সর্বত্র ছোট-বড় নানা জনসভার আয়োজনও করছে বিজেপি। গতকাল রামপুরহাটে পদযাত্রা এবং জনসভায় অংশ নেন শুভেন্দু অধিকারী। বিকালে তাঁকে সভা করতে দেখা যায় হুগলির সিঙ্গুরে। এরপর সন্ধ্যার পরে সভা করেন কলকাতার শ্যামবাজারে। অন্যদিকে, সুকান্ত মজুমদারও সভা করেন ঠিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির পাশে হাজরাতে। রবিবারই বিজেপির (BJP) রাজ্য নেতৃত্ব মঞ্চ বাঁধার স্থানে খুঁটিপুজো সম্পন্ন করেছেন। সেখানে হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পল প্রমুখ।

    কখন ঢুকছেন অমিত শাহ?

    সমাবেশে যে বিপুল জনজোয়ার হতে চলেছে, তা বিজেপির পদযাত্রা এবং সমাবেশের সমর্থনে সভাগুলির ভিড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে। দিন কয়েক আগে, আরামবাগে মহিলা মোর্চার পদযাত্রা ঘিরে মহিলাদের ঢল নামতে দেখা গিয়েছিল। অন্যদিকে একই চিত্র গতকালই দেখা গেছে শুভেন্দু অধিকারী এবং সুকান্ত মজুমদারের সভাতেও। গেরুয়া শিবির (BJP) সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুর ১২টা থেকে শুরু হবে সভা। দুপুর ২টো নাগাদ সভাস্থলে পৌঁছাবেন অমিত শাহ। জানা গিয়েছে বুধবার ভারতীয় বায়ুসেনার বিমানে কলকাতায় পৌঁছাবেন তিনি। সকাল ১১টা ৫ মিনিটে দিল্লি থেকে উড়বে তাঁর বিশেষ বিমান। দুপুর ১টা ১৫ মিনিট নাগাদ কলকাতায় পৌঁছাবেন অমিত শাহ। এরপর তাঁর কনভয় যাবে মঞ্চের দিকে। সভাস্থলে তাঁর থাকার কথা রয়েছে ৩টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত।

    কী বলছে রাজ্য বিজেপি?

    সভা নিয়ে বিজেপির (BJP) মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এই সভা থেকেই লোকসভা ভোটের সুর বেঁধে দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেটাই তো স্বাভাবিক। আমরা এই নিয়ে আশাবাদীও। যিনি দলটাকে সামনে থেকে পরিচালনা করেন, নেতৃত্ব দেন, দলের কর্মীদের মনোবল বাড়ান, তাঁর নাম অমিত শাহ।’’ সভায় কত লোক হতে পারে? এই প্রশ্নের জবাবে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সভায় জনপ্লাবন হবে। কারণ এখানে শুধু পার্টির লোকই তো আসবে না। সর্বস্তরের মানুষের জমায়েত হবে। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর এভাবেই সমাবেশ করেছিলাম আমরা। তখন অমিত শাহ এসেছিলেন। আদালতের বদান্যতায় সেই সভা হয়েছিল। এবারেও তাই হল।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share