Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Dakshin Dinajpur: ব্রিজ হয়েছে, পাকা রাস্তা নেই! প্রশাসনের খামখেয়ালিপনার মাসুল গুনছে আমজনতা

    Dakshin Dinajpur: ব্রিজ হয়েছে, পাকা রাস্তা নেই! প্রশাসনের খামখেয়ালিপনার মাসুল গুনছে আমজনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনিক উদ্যোগের পরেও ১৫ বছর ধরে রাস্তা পায়নি ডাঙা ও জঙ্গলপুরের মানুষ (Dakshin Dinajpur)। ফলে বালুরঘাট শহর এড়িয়ে ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আসার সুযোগ পাচ্ছেন না পূর্বদিকের গ্রামগুলির মানুষজন। তাঁদের শহর হয়ে ঘুরে আসতে হচ্ছে। এমনকি বালুরঘাট সদর হাসপাতাল ওই গ্রামগুলির খুবই কাছে হলেও শহর এড়িয়ে রোগী নিয়ে সেখানে যাওয়া যায় না। ২০০৮ সালের ৫ এপ্রিল তৎকালীন বাম পরিচালিত জেলা পরিষদের উদ্যোগে জঙ্গলপুর থেকে ডাঙা পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ তৈরি করতে ভাঙা খাঁড়ির উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। উদ্দেশ্য ছিল জঙ্গলপুর, হাতিশালা, এক মাইল ও মালঞ্চার উত্তরদিকের গ্রামগুলির সঙ্গে রঘুনাথপুর হয়ে বালুরঘাটের সঙ্গমে সরাসরি যোগাযোগ বাড়ানো। ব্রিজ নির্মাণ হয়েছে ২০০৮ সালে। তার উদ্বোধনও হয়েছে। মানুষ তার উপর দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু পাকা রাস্তা না থাকায় কোনও যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ব্রিজ উদ্বোধনের পর অ্যাপ্রোচ রাস্তায় ইট বিছানো হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সেসব উঠে চলাচলের অযোগ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূলত হেঁটে যাতায়াত করতে হয়। সাইকেল বা মোটরবাইক অনেক কষ্টে নিয়ে যাওয়া গেলেও টোটো সহ কোনও যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে যোগ্য নয় রাস্তাটি।

    একে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপাতে ব্যস্ত (Dakshin Dinajpur)

    ভাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে দিয়ে বালুরঘাট শহর দিয়ে ডাঙা খাঁড়ি প্রবাহিত হয়ে গিয়ে মিশেছে আত্রেয়ী নদীতে। একদিকে জঙ্গলপুর, অন্যদিকে ডাঙা ফরেস্ট। এই দুইয়ের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া খাঁড়ির উপরেই ব্রিজ নির্মাণ করেছিল তৎকালীন জেলা পরিষদ। প্রস্তাব ছিল তিন কিলোমিটার রাস্তা পাকা করার। কিন্তু সেই প্রস্তাব আর বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে স্কুল-কলেজ কিংবা বাজারে যাতায়াতে সমস্যা হয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যা অসুস্থদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে। আশ্বাস মিলেছে বারবার। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও রাস্তা হয়নি (Dakshin Dinajpur)। পঞ্চায়েত দায় ঠেলেছে জেলা পরিষদের ঘাড়ে, জেলা পরিষদ রাজ্যকে দেখিয়েই দায়িত্ব সেরেছে।।

    কী বলছেন ভুক্তভোগীরা? (Dakshin Dinajpur)

    এক টোটোচালক কালু দাস বলেন, ‘বালুরঘাটের রঘুনাথপুর এলাকা থেকে ফরেস্ট রোড হয়ে জঙ্গলপুর পর্যন্ত রাস্তাটিতে দীর্ঘ বছর ধরে ইট পড়েনি। অথচ এই রাস্তাটি পাকা করা হলে খুব সহজে জঙ্গলপুর সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষদের বিডিও অফিস, হাসপাতাল ও পঞ্চায়েত অফিসগুলিতে যাতাযাত করা সুবিধে হত। গ্রামবাসী শুটকু পাহান বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলি বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও রাস্তাটির কাজ কেউ করে না। আমরা অনেকবার ভোট বয়কটের ডাকও দিয়েছি। কিন্তু বয়কট করার আগেই নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আন্দোলন থেকে মানুষকে সরিয়ে দেয়। রাস্তা আর হয় না।’ উজ্জ্বল দাস নামে গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের বাড়ি থেকে দশতলা হাসপাতাল দেখা যায়।  সেখানে যেতে আমাদের বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) হয়ে ঘুরে আসতে হয়। শুধুমাত্র রাস্তার এমন বেহাল দশায় আমাদের বছরের পর বছর ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।”

    কী বলছেন প্রশাসনিক কর্তারা? (Dakshin Dinajpur)

    এনিয়ে জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি অম্বরীশ সরকার বলেন, ‘মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে, তাদের জন্য কাজ করার উদ্দেশ্যেই চেয়ারে বসা। ২০০৮ সালের নেওয়া প্রকল্প কেন বাস্তবায়িত হল না তার খোঁজখবর নেব (Dakshin Dinajpur)। স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্যের সঙ্গে কথা বলে যত দ্রুত সমস্যার সমাধান করা যায় তার চেষ্টাও করব।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পোকা খাওয়া চাল দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে রেশন ডিলার!

    South 24 Parganas: পোকা খাওয়া চাল দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে রেশন ডিলার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুয়ারে রেশন প্রকল্পে নিম্নমানের পোকা খওয়া চাল দিতে এসে বিক্ষোভের মুখে রেশান ডিলার। ৩৩ বস্তা চাল আটক করল পুলিশ। রাজ্যে রেশন দুর্নীতি নিয়ে তীব্র তোলপাড়। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। রেশন দুর্নীতির তদন্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা বাকিবুর রহমানের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। বাঁকুড়া, হুগলি, নদিয়ার রাইসমিলে তল্লাশি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বর্তমান খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতেও চলেছিল তাল্লাশি। এই অবস্থায় রেশনে নিম্নমানের চাল দেওয়ায় ফের একবার শোরগোল পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) গঙ্গাসাগরে।

    কে এই রেশন ডিলার (South 24 Parganas)?

    রেশনের চাল বিক্রি করে নিম্নমানের চাল অন্য বস্তায় ভর্তি করে দুয়ারে রেশন প্রকল্পের গ্রাহকদের দিতে এসে ক্ষোভের মুখে পড়লেন খোদ রেশন ডিলার। এরপর রেশন সামগ্রী আটকে দিয়ে তীব্র বিক্ষোভ জানান এলাকার রেশন গ্রাহকেরা। এমনকী অভিযোগে কয়েক গাড়ি চাল আটক করে ক্ষোভ দেখান গ্রাহকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) গঙ্গাসাগরের খাসরামকর খারাপাড়া এলাকায়। এম আর রেশন ডিলারের নাম অঞ্জন দাস।

    পোকায় খাওয়া নিম্নমানের চাল

    এলাকার (South 24 Parganas) স্থানীয় বাসিন্দা আরতী দেবনাথ অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “দুয়ারে রেশন প্রকল্পের মাল সিল করা অবস্থায় না এনে সারের বস্তা এবং সাধারণ বস্তায় ভর্তি করে চাল আনা হয়েছে।” রেশন বিলি করা হচ্ছিল খাসরামকর খাড়াপাড়ায়। রেশন নিতে জড় হয়ে ছিলেন অনেক গ্রাহক। কিন্তু বস্তা খুলতেই আসল চিত্র বেরিয়ে পড়ল। স্থানীয় বাসিন্দা সীমন্ত দেবনাথ বলেন, “চালের মধ্যে রয়েছে বড় বড় পোকা, খড়, লঙ্কা, ডাটা, আলু,পাতা সহ আরও নোংরা জিনিসপত্র। চালগুলিকে পোকায় খেয়ে ফেলেছে বললেই চলে।” এছাড়াও বস্তার গায়ে রয়েছে সার কোম্পানি স্ট্যাম্প। নিম্নমানের এই চাল দেখে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রাহকরা। পুলিশকে ঘটনার কথা জানিয়ে অভিযোগ করা হয়।

    রেশন ডিলারের বক্তব্য

    আরও অভিযোগ যে পুজোর সময় ব্রাহ্মণেরা বাড়িতে বাড়িতে যে চাল সংগ্রহ করেণ এবং খিচুড়ি খাওয়ানোর জন্য গ্রামে গ্রামে পুজো উদ্যোক্তারা যে চাল সংগ্রহ করেন, সেই চাল বস্তা ভর্তি করে এনে রেশন ডিলার গ্রাহকদেরকে বিতরণের ব্যবস্থা করেছিলেন। স্থানীয় (South 24 Parganas) রেশন ডিলার অঞ্জন দাস বলেন, “আমি তো গোডাউন থেকে মাল কিনে এনেছি। এই সব কী করে হল বলতে পারছি না।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন সাগর থানার পুলিশ। সাগর থানার পুলিশ ৩৩ বস্তা চাল আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন রিশান ডিলারকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: “আমাদের দলেও কিছু কুলাঙ্গার ছেলে-মেয়ে রয়েছে”, দুর্নীতি ইস্যুতে বেপরোয়া তৃণমূলের মন্ত্রী

    Malda: “আমাদের দলেও কিছু কুলাঙ্গার ছেলে-মেয়ে রয়েছে”, দুর্নীতি ইস্যুতে বেপরোয়া তৃণমূলের মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেন সমার্থক। তৃণমূল আছে, অথচ অন্তর্কলহ নেই, কাদা ছোড়াছুড়ি নেই, এটাও যেন আজ আর ভাবাই যায় না। এই তো কদিন আগের কথা। প্রত্যন্ত জেলা নয়, খাস কলকাতায় বসে দীর্ঘদিনের সাংসদ সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন তোপ দাগেন তৃণমূল বিধায়ক তথা তৃণমূলের ‘কালারফুল’ নেতা মদন মিত্র। হুমায়ুন কবীর তো উঠতে বসতে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলে যা নয় তাই বলেন। এবার সেই ভূমিকাতেই দেখা গেল তৃণমূলের এক মন্ত্রীকে। তিনি হলেন রাজ্যের সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। কয়েকদিন আগে মালদা (Malda) জেলার কালিয়াচকের আলিনগরে তৃণমূল এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছিল। ১০০ দিনের কাজে টাকা না মেলাই ছিল মূল ইস্যু। সেখনে ভাষণ দিতে গিয়ে দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই খড়্গহস্ত হতে দেখা গেল তাঁকে।

    কী বললেন মন্ত্রী? (Malda)

    যে ইস্যুতে তৃণমূলের একের পর এক নেতা-মন্ত্রী জেলের ঘানি টানছেন, যে ইস্যুতে জনতার দরবারে তৃণমূলকে নাস্তানাবুদ হতে হচ্ছে, সাবিনা ইয়াসমিন এদিন তাকেই হাতিয়ার করেন। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদেরকে বলব, আমাদের ভুল বুঝবেন না। আমরা যা করি আপনাদের জন্যই করি। এবার কেউ যদি কোনও দোষ করে থাকে, ভুলের ভাগীদার সে একা হবে। তার শাস্তি হোক এটাই আমরা চাই। আমার বাড়িতে যদি কোনও কুলাঙ্গার ছেলে থাকে, পুলিশ যদি তাঁকে গ্রেফতার করে, তবে বাপ-মা কী করবে! শাসন করার পরও ছেলে শুধরচ্ছে না। ঠিক তেমনি আমাদের পার্টিতেও কিছু কুলাঙ্গার ছেলে-মেয়ে রয়েছে।’ মন্ত্রী আরও বলেন, ‘যে পাপ করবে, প্রায়শ্চিত্তও তাকেই করতে হবে। কোনও ভুলের জন্য দল দায়ী নয়। দল কি কাউকে চুরি করার জন্য বলেছে? কেউ একজন দাঁড়িয়ে বলুন তো, কারও থেকে কখনও কোনও টাকা-পয়সা নিয়েছি আমি? হ্যাঁ কখনও চা খেয়েছি। টাকার বিনিময়ে কোনও কাজ আমি (Malda) আমার রাজনৈতিক জীবনে করিনি। দল কখনও টাকার বিনিময়ে কাজ করার কথা বলেনি। কেউ যদি টাকার বিনিময়ে কাজ করে, তবে সে দায়ী। আমি আপনাদের বলব, কোনও কাজের জন্য কাউকে টাকা দেবেন না। আমাদের সরকার মানুষের জন্য সব ধরনের সুবিধা করে দিয়েছে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে গেলেই সব কাজ হয়ে যায়।’

    জেলার রাজনীতিতে চাঞ্চল্য (Malda)

    মালদা জেলায় (Malda) তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কলহ নতুন কিছু নয়। এই নিয়ে জেলায় গন্ডগোল, ঝামেলা, খুনখারাবি লেগেই থাকে। এবার সেই বিতর্ককে আরও উস্কে দিলেন মন্ত্রী। ফলে ফের নতুন বিতর্ক শুরু হল। যদিও এই বিতর্কে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব আগের মতোই এখনও চুপই রয়েছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: লাখ টাকায় ভাড়াটে শার্প শ্যুটার দিয়ে খুন! জয়নগরকাণ্ডে তিনটি মামলা রুজু

    South 24 Parganas: লাখ টাকায় ভাড়াটে শার্প শ্যুটার দিয়ে খুন! জয়নগরকাণ্ডে তিনটি মামলা রুজু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জয়নগরের (South 24 Parganas) তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করার পিছনে রয়েছে ভাড়াটে শার্প শ্যুটার। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের তদন্তকারী অফিসাররা প্রথমে এমনটাই আন্দাজ করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের জন্য এক লাখ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূল নেতাকে খুনের আগে রীতিমতো রেইকি করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। ঘটনায় আতঙ্ক এলাকায়।

    খুন করেছে ভাড়াটে খুনি (South 24 Parganas)

    পুলিশের আন্দাজ সম্ভাব্য ভাড়া করে বাইরে থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ে আসা হয়েছিল। গত কয়েকদিন ধরেই সুইফুদ্দিন ভোর বেলায় নামা পড়তে যাচ্ছিলেন। দুষ্কৃতীরা তাঁর গতিবিধির উপর বিশেষ নজর রেখেছিল। এরপর তাঁকে কালীপুজোর দিন ভোর বেলায় একদম কাছ থেকে ঘাড়ে আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। খুনের নমুনা সংগ্রহ করে ঘটনায় বহিরাগত দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। জয়নগরের (South 24 Parganas) এই ঘটনায় পুলিশ মোট তিনটি মামাল রুজু করেছে। যার একটি মামলা হল সইফুদ্দিনের খুনের মামলা, দ্বিতীয়টি হল সাহাবুদ্দিন শেখের পিটিয়ে মারার মামলা এবং তৃতীয় হল গ্রামের একের পর এক বাড়ি পড়ানোর মামলা। পুলিশের দাবি ঘটনায় অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।

    ঘটনা কীভাবে ঘটেছিল?

    এ যেন একেবারে বগটুইয়ের ছায়া। তৃণমূল নেতা ভাদু শেখ খুন হওয়ার পর গোটা গ্রামকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ঘরের মধ্যে আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিলেন বেশ কয়েজন শিশু, মাহিলা এবং পুরুষ। ঠিক একই ভাবে জয়নগরের (South 24 Parganas) দোলুয়াখাঁকির নস্কর পাড়া এলাকায় তৃণমূল নেতা খুনকে কেন্দ্র করে প্রচুর ঘরবাড়িতে চেলেছে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ড এবং তাণ্ডবলীলা। গোটা গ্রাম জুড়ে এতটাই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল যে, অনেকেই ঘর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। বামনগাছি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সইফুদ্দিন লস্কর হত্যা হলে শুরু হয়ে যায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আক্রমণ। সইফুদ্দিনকে দুষ্কৃতীরা খুব কাছ থেকে গুলি করেছিল। শব্দ শুনে আশেপাশের মানুষ ছুটে আসেন। এরপর তাঁকে নিকটবর্তী পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানা যায়। অপর দিকে প্রথমে হামলাকারীরা সিপিএম সমর্থক জানা গেলেও, সিফুদদ্দিনকে গুলি করে পালানোর সময় দুইজন হাতনাতে ধরা পড়লে পিটুনিতে মারা যান সাহাবুদ্দিন নামক এক ব্যক্তি। পরে অবশ্য মৃত সাহাবুদ্দদিনের স্ত্রী বলেন, তাঁর স্বামী তৃণমূল কর্মী ছিলেন। ফলে হামলা, হত্যা এবং গ্রামে আগুন দেওয়ার ঘটনা কার্যত শাসক তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের ফল নয় তো? এটাই এখন আলোচনার কেন্দ্র।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: একই সেলে বালু-পার্থ! সুকান্ত বললেন, ‘‘এই জেল যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বলতো?’’

    Ration Scam: একই সেলে বালু-পার্থ! সুকান্ত বললেন, ‘‘এই জেল যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বলতো?’’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের পহেলা বাইশ নম্বর ওয়ার্ড যেন এমএলএ ব্লক হয়ে উঠেছে, অন্তত কারারক্ষীদের একাংশ এই সেলকে এমএলএ ব্লক নামেই ডাকছেন (Ration Scam)। নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্য, জীবনকৃষ্ণ সাহা আগে থেকেই সেখানে ছিলেন এবার তাঁদের প্রতিবেশী হলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রসঙ্গত, গত রবিবারই ইডি হেফাজত থেকে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। পহেলা বাইশ নম্বর ওয়ার্ডের ৭ নম্বর সেলে রয়েছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়। তৃণমূলের মন্ত্রী-বিধায়কদের একই সেলে থাকা নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রীতিমতো জনপ্রিয় গানের প্যারোডিও শোনা গেল রাজ্য বিজেপির প্রধানের কণ্ঠে।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    বালুরঘাটের সাংসদ এদিন বলেন, ‘‘চুরিবিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড় ধরা। ধরা পড়ে গেছ, জেলযাত্রা হবে এটাই তো স্বাভাবিক। জ্যোতিপ্রিয় এবং পার্থ দুজনেই হাতে হাত রেখে গান করুন, এই জেল যদি না শেষ হয়…তবে কেমন হতো তুমি বলতো?’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘এবার থেকে হয়তো রাজ্য সরকারের ক্যাবিনেট মিটিং প্রেসিডেন্সি জেলে অথবা দিল্লির তিহাড়ে হবে।’’

    সারারাত ঘুমোননি বালু! দাবি কারারক্ষীদের একাংশের 

    সংশোধনাগার সূত্রে খবর, রবিবার রাতে ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে (Ration Scam) আসার পরেই অস্থির হয়ে পায়চারি শুরু করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা এরপর তাঁর চিকিৎসাও করেন। আদালতে নির্দেশ মতো তাঁকে খেতে হবে জেলের খাবার। অন্যান্য কয়েদিদের মতো জেলের দুটি কম্বলকে বালিশ করে রাতে শুয়ে পড়েন মন্ত্রী। জেলসূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সারারাত কার্যত তিনি জেগেই ছিলেন। অন্যদিকে ওই জেলে (Ration Scam) কর্তব্যরত কারারক্ষীদের একাংশ জানিয়েছেন, সোমবার সাত সকালেই নিজের সেল থেকে বেরিয়ে পড়েন বালু। মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহার সঙ্গে বেশ খানিকক্ষণ কথাও বলেন তিনি। আবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেলের কাছে গিয়েও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় জ্যোতিপ্রিয়কে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুন গোষ্ঠী কোন্দলেই? ‘গণপিটুনি’তে মৃতের স্ত্রীর বয়ানে ঘুরে গেল ‘খেলা’

    South 24 Parganas: জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুন গোষ্ঠী কোন্দলেই? ‘গণপিটুনি’তে মৃতের স্ত্রীর বয়ানে ঘুরে গেল ‘খেলা’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর (South 24 Parganas) এখনও উত্তপ্ত। শাসকদলের রোষানলে পুড়েছে দোলুয়াখাঁকির নস্কর পাড়া এলাকার প্রচুর ঘরবাড়ি। গ্রাম জুড়ে এতটাই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে যে, অনেকেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন। তৃণমূল নেতা তথা বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং একইসঙ্গে বামনগাছি অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি সইফুদ্দিন লস্কর খুন হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে তৃণমূলীদের তাণ্ডব। এলাকা দখলের উদ্দেশ্যে সিপিএমই এই খুন করিয়েছে, এমন তত্ত্ব সোমবার সকাল থেকেই ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ঘটনার দিন রাতেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন ওইদিন গণপিটুনিতে মৃত্যু হওয়া সহাবুদ্দিন শেখের স্ত্রী। তিনি যা বললেন, তাতে এটাই পরিষ্কার হয়ে গেল, ওই খুন আসলে শাসকদলের অভ্যন্তরের দ্বন্দ্বেরই ফল।

    কী বলেছেন সহাবুদ্দিনের স্ত্রী? (South 24 Parganas)

    মৃতের স্ত্রী দাবি করেন, তাঁর স্বামী তৃণমূল করতেন। তার পর তিনি আরও বিস্ফোরক তথ্য সামনে এনেছেন। তাঁর বয়ান অনুযায়ী, সইফুদ্দিন খুনের ঘটনা জানাজানি হতেই কয়েকজন তাঁদের বাড়ি আসে। সেই সময় তাঁর স্বামী বাড়িতেই ছিলেন। তাঁকে বারবার ভয় দেখনো হয় এবং জানতে চাওয়া হয়, কারা এই খুন করেছে। কিন্তু স্বামী কিছু জানি না বলাতেই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ব্যাপক মারধর শুরু করে। চোখের সামনে তাকে টানতে টানতে বাড়ির বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সবার সামনে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। অন্যদিকে, পুলিশ (South 24 Parganas) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মৃত সহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধেও থানায় অনেক অভিযোগ আছে।

    কী ঘটেছিল সেদিন (South 24 Parganas)

    ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, রোজকার মতো সোমবার ভোরে ওই তৃণমূল নেতা নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই তাঁকে কাছ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখেন, ওই নেতা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। এর পরই শুরু হয় তৃণমূল কর্মীদের তাণ্ডব। তারা অভিযোগ করতে থাকে, এলাকা দখলের জন্য সিপিএমই এই হত্যাকাণ্ড করিয়েছে। গুলি করে পালানোর সময় দুজন তাদের হাতে ধরা পড়ে যায়, যার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয় গণপিটুনিতে। সোমবার এদের পরিচয় জানা যায়নি। অবশেষে জানা গেল, মৃত ব্যক্তিও তৃণমূল কর্মী ছিলেন।  

    বগটুইয়ের ছায়া?

    এই ঘটনার সঙ্গে অনেকেই বগটুইয়ের মিল খুঁজে পাচ্ছেন। এখানেও বেছে বেছে বিরোধী দলের কর্মী-সমর্থকদের (South 24 Parganas) ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে দীর্ঘক্ষণ দমকলের গাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। বাড়ির পর বাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় বহু বাড়ি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: খেতে হবে জেলের খাবার, শুতে হবে মেঝেতে! প্রেসিডেন্সি জেলে কেমন আছেন বালু?

    Ration Scam: খেতে হবে জেলের খাবার, শুতে হবে মেঝেতে! প্রেসিডেন্সি জেলে কেমন আছেন বালু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি হেফাজতে থাকাকালীন বাড়ির খাবারই খাচ্ছিলেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী (Ration Scam) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তবে তাঁর জেল হেফাজত হওয়ার পরে এখন জেলের খাবারই খেতে হবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বেসরকারি হাসপাতালের চার্ট মেনে তাঁকে জেলের রান্না করা খাবার দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, এই বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবী। শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে নির্দিষ্ট ডায়েট চার্ট মেনে খাবার দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। মন্ত্রীর ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে, পাশাপাশি কিডনিরও অসুখ রয়েছে। সেই কারণে জেলের খাবারে আরও অসুস্থতা বাড়তে পারে বলে আদালতে জানিয়েছিলেন মন্ত্রীর আইনজীবী। এরপরে জেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় আদালত। সোমবার এই মর্মে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের কাছে বিশেষ রিপোর্ট জমা দেয় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার। সূত্রের খবর, ওই রিপোর্টে জানানো হয় যে ডায়েট চার্ট মেনে যাবতীয় খাবার দেওয়ার (Ration Scam) পরিকাঠামো প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছে এবং সেই অনুযায়ী মন্ত্রীকে খাবার দেওয়া যেতে পারে। এরপরেই তা অনুমোদন করে আদালত।

    জেলের ২২ নম্বর সেলে রয়েছেন মন্ত্রী

    মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলের ২২ নম্বর সেলে। সূত্রের খবর, জেলের সেলে প্রথম রাতে মেঝেতে কম্বল পেতে শুয়েছিলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ওই সেলেই রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সমস্ত অভিযুক্তরা। তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজের সেলে একা রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। টিভি, খাট এ সমস্ত কিছু পরিষেবা (Ration Scam) সেখানে নেই। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক কারও সঙ্গে কথাও বলছেন না বলে জানা গিয়েছে। সকালে একবার তাঁকে সেলের বাইরে উঁকি দিতে দেখা যায়।

    ২৭ অক্টোবর গ্রেফতার গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয়

    রবিবারই মন্ত্রীকে জেল হেফাজতে নির্দেশ দেয় ব্যাঙ্কশাল কোর্ট। আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত বর্তমান বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী থাকবেন জেল হেফাজতে। এর মাঝে জেলে গিয়েও তাঁকে জেরা করার আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। দুর্গাপুজোর ঠিক পরেই গত ২৭ অক্টোবর রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার (Ration Scam) করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। পুজোর আগে গ্রেফতার হন বাকিবুর রহমান, তাঁর সূত্র ধরেই উঠে আসে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম। জেলে গিয়েও তাঁকে ইডি জেরা করবে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ক্লাবের চাঁদার জুলুমে আক্রান্ত খোদ পুলিশকর্মী! রায়গঞ্জে তুমুল উত্তেজনা

    Uttar Dinajpur: ক্লাবের চাঁদার জুলুমে আক্রান্ত খোদ পুলিশকর্মী! রায়গঞ্জে তুমুল উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধারণ মানুষের পাশাপাশি এবারে চাঁদার জুলুম থেকে বাদ পড়লেন না খোদ পুলিশও। চাঁদা নিয়ে বচসার জেরে আক্রান্ত হলেন এক পুলিশকর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার রায়গঞ্জ থানার কর্ণজোড়ার কালীবাড়ি এলাকায়। আহত ওই পুলিশকর্মীর নাম নন্দ মন্ডল।

    নন্দবাবু আাবার রায়গঞ্জ মহকুমা শাসকের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কর্মরত। বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় নন্দবাবু রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় ওই ক্লাবের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছেন। বাকিদের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন পুলিশ।

    চাঁদার জুলুমে আক্রান্ত পুলিশ কর্মী (Uttar Dinajpur)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ (Uttar Dinajpur) মহকুমা শাসকের নিরাপত্তারক্ষী নন্দ মন্ডল তিনি এক বছর আগে কর্ণজোড়ার কালীবাড়ি এলাকায় নতুন বাড়ি করেন। বাড়িতে থাকেন নন্দবাবুর স্ত্রী ও একটি সন্তান। গতবছর তাঁর কাছে থেকে কালীপুজো উপলক্ষে কর্ণজোড়া কালীবাড়ি এলাকার বিপ্লবী ক্লাব ১৫ হাজার টাকা চাঁদা চেয়েছিল। সেই বিষয়টি মিটে যাওয়ার পর এবারের কালীপুজোয় ফের নন্দবাবুকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে বলে ক্লাব। নন্দবাবু ২ হাজার টাকা দিতে চেয়েছেন আর মন্দির করার সময় কিছু একটা ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানান ক্লাবের সদস্যদের।

    মদ্যপ অবস্থায় আক্রমণ

    চাহিদা অনুযায়ী চাঁদা আদায় করতে না পারায় তাতে ক্লাব নারাজ। অবশেষে শনিবার রাতে বিপ্লবী ক্লাবের কিছু সদস্য মদ্যপ অবস্থায় নন্দবাবুর বাড়িতে (Uttar Dinajpur) গিয়ে হামলা চালায়। সেই সঙ্গে নন্দবাবুকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন কর্ণজোড়া ফাঁড়ির পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই পুলিশের উপরও হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।

    আহত পুলিশকর্মীর বক্তব্য

    আহত পুলিশকর্মী নন্দ মন্ডল বলেন, “১৫০০০ টাকা চাঁদার দাবীতে ওই এলাকার কিছু যুবক রাত্রিবেলা মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে চড়াও হয়। পুলিশের সামনেই মারধর করে আমাকে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে (Uttar Dinajpur) নিয়ে যান।”

    পুলিশ প্রশাসনের বক্তব্য

    গোটা ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রায়গঞ্জের (Uttar Dinajpur) মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি। তিনি বলেন, “এই ঘটনা বাঞ্ছনীয় নয়। দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের পাশাপাশি উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করার কথা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।”

    অপরদিকে, স্থানীয় বাসিন্দা কল্পনা বর্মন, চাঁদা চাওয়া ও গন্ডগোলের ঘটনার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, “শুনেছি ছেলেরা ঐদিন রাত্রি বেলা চাঁদা চাইতে গিয়েছিল এবং ওখানে গন্ডগোল হয়। পরে পুলিশ এসে বেশ কয়েকজনকে তুলে নিয়ে যায়। যারা দোষ করেছে তাদেরকেই পুলিশ গ্রেফতার করুক এবং যারা জড়িত নয় তাদেরকে ছেড়ে দিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের, এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: লালকেল্লায় পতাকা তুলছেন ‘প্রধানমন্ত্রী মমতা’! পুজোতেও ভরপুর রাজনীতি তৃণমূলের

    Kali Puja 2023: লালকেল্লায় পতাকা তুলছেন ‘প্রধানমন্ত্রী মমতা’! পুজোতেও ভরপুর রাজনীতি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর থিমেও ভরপুর রাজনীতির ছোঁয়া। বর্ধমানে সেই রকম একটি কালীপুজোর (Kali Puja 2023) থিম নিয়ে ব্যাপক বিতর্কের সূত্রপাত দেখা দিয়েছে। কালীপুজোর প্যান্ডেলে দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রীর সাজে। তিনি স্বয়ং লালাকেল্লায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছেন। সেই সঙ্গে পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দিল তৃণমূল কীভাবে? আর এই থিমের বিষয় নিয়েই ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিজেপি বলেছেন, এই থিম সনাতনী বিরোধী।

    থিমে রাজনীতি (Kali Puja 2023)

    কালীপুজোর (Kali Puja 2023) থিম নিয়ে জেলায় জেলায় তীব্র উন্মাদনা দেখা দিয়েছে। সকল ক্লাব, বারয়ারি, এবং ব্যবসায়ী সমিতির কালীপুজোগুলি অমাবস্যার রাতে বর্ণাঢ্য আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়েছে। কোথাও কেদারনাথ, কোথাও দক্ষিণ ভারতের মন্দির আবার কোথাও ধরা পড়েছে ভুটানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের চিত্র। কিন্তু একমাত্র ব্যতিক্রমী বর্ধমানের (Kali Puja 2023) এক কালীপুজোর থিম। এই দিন দেখা গেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর মডেল রূপে সাজানো হয়েছে। বিতর্ক এখানেই যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লালকেল্লায় ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করছেন। যদিও এই কালীপুজোর মণ্ডপের থিম লালাকেল্লা, তার একজায়গায় লেখা রয়েছে ইন্ডিয়া ১৫ অগাস্ট, ২০২৪।

    কালীপুজোর কমিটির বক্তব্য

    বর্ধমান তৃণমূল কংগ্রেসের আইএনটিটিইউসির প্রাক্তন সভাপতি ইফতিকার আহমেদ ওরফে পাপ্পু বলেন, “বিজেপির ধর্মীয় বাতাবরণে দেশে বিভেদের রাজনীতি চলছে। সেই জায়গা থেকে বাংলার এই থিম (Kali Puja 2023) মানুষকে মুক্তির বার্তা দিচ্ছে। সাধারণ মানুষের মনের ইচ্ছাকে এই থিমের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। সকলেই চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হবেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    জেলার বিজেপির পক্ষ থেকে স্থানীয় বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র এই থিমের (Kali Puja 2023) বিরোধিতা করে বলেছেন, “সনাতনধর্মের মানুষদের একটা প্রধান পুজো হল কালীপুজো। কালীপুজোর মধ্যে রাজনীতি ঢুকে পড়েছে। এই ধরনের থিমের আমদানীতে সনাতনী সমাজের মনে ব্যাপক আঘাত লেগেছে। ২০২৪ সালের লোকসভার ভোটে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্ন কোনও দিনই পূরণ হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের, এবং Google News পেজ।

  • Fertilizers: সারের কালোবাজারিতেও তৃণমূলের দুর্নীতি! কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    Fertilizers: সারের কালোবাজারিতেও তৃণমূলের দুর্নীতি! কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে চলছে সারের (Fertilizers) কালোবাজারি। এই চক্রে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে চিঠি দিতে চলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, “শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের মদত ছাড়া কালোবাজারি করা সম্ভব নয়। না হলে পুলিশ একদিনেই এই কালোবাজারি বন্ধ করে দিতে পারত। তাই এর পূর্ণাঙ্গ তদন্তে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপ চাই।”

    কী বলছেন কৃষকরা? (Fertilizers)

    বালুরঘাটের কৃষক সুবল মণ্ডল বলেন, ‘যখনই আলু কিংবা অন্য ফসল চাষের সময় আসে, তখনই সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রত্যেক বছরই সরকারি সার কালোবাজারি হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে লোক দেখানো সার ব্যবসায়ীদের শো-কজ করা হচ্ছে। কিন্তু সারের (Fertilizers) দাম কিছুতেই কমছে না।’ বালুরঘাট ব্লক কৃষি দফতরের তরফে এই ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের নানা জায়গায় মজুত সারের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। তবুও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কালোবাজারি নিয়ন্ত্রণে এখনও পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৬২ জন সার ব্যবসায়ীকে শো-কজ করেছে জেলা কৃষি দফতর। এছাড়া চার ব্যবসায়ীকে সার বিক্রি না করার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি।

    কী বললেন সুকান্ত? (Fertilizers)

    সারের কালোবাজারি নিয়ে বিরক্ত সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘গঙ্গারামপুরে এসসি মোর্চার সদস্যরা সারের কালোবাজারির কথা বলেছে। সবটা শুনেছি। আমি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রীকে চিঠি দেব। তাঁরা এসে সব খতিয়ে দেখুন। সারের ক্ষেত্রেও কতটা দুর্নীতি হচ্ছে, তা দেখুন। সারের কালোবাজারিতে পুলিশ ও শাসকদল সরাসরি যুক্ত রয়েছে।’

    কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূল এবং সরকারি আধিকারিকদের? (Fertilizers)

    সারের কালোবাজারি কথা অকপটে স্বীকার করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার জানিয়েছেন, ‘যে সারের চাহিদা তুঙ্গে, সেই সারেই কালোবাজারির অভিযোগ পেয়েছি। বিকল্প সার ব্যবহারের জন্য প্রচারের ব্যবস্থা করা দরকার।’ তাঁর দাবি, “যেখানে যেখানে সারের কালোবাজারির খবর মিলছে, সেখানেই প্রশাসন উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে। পাশাপাশি, ১০:২৬ সারের বদলে অন্য সার ব্যবহারেও একই ফলন পাওয়া যে সম্ভব, তা নিয়ে কৃষকদের সচেতন করা হচ্ছে।’ জেলা কৃষি আধিকারিক প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ২৫২টি সারের (Fertilizers) দোকানে অভিযান চালানো হয়েছে।’ বালুরঘাট ব্লক কৃষি আধিকারিক তনয় সাহার বক্তব্য, ‘কয়েক মাস ধরেই সারের কালোবাজারি নিয়ে কৃষক সংগঠনগুলি সরব হয়েছে। জেলায় এনপিকে (২৬:২৬:২৬) সারের চাহিদা সব থেকে বেশি। এই সারের দাম সবচেয়ে বেশি। ওই সারের পরিবর্তে এনপিকে (১৫:১৫:১৫, ১৬:১৬:১৬, ১৬:২০:০:১৩) এই বিকল্প সারগুলি বিক্রি করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share