Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Malda: অনুব্রত ঠিকই বলেছিলেন, ঢেউ খেলানো রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে মালদার উন্নয়ন!

    Malda: অনুব্রত ঠিকই বলেছিলেন, ঢেউ খেলানো রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে মালদার উন্নয়ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত ভুল কিছু বলেননি, উন্নয়ন এখানে সত্যিই রাস্তায় দাঁড়িয়ে। কারণ, রাস্তা তো নয়, যেন দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে আছে। রীতিমতো ঢেউ খেলানো। জায়গায় জায়গায় চাকলা উঠে পরিস্থিতি দিনকে দিন যেন আরও সঙ্গীন হয়ে উঠছে। অথচ রাস্তাও (Malda) কম নয়, মালদার গাজোল ব্লকের দেওতলা থেকে চাকনগর-প্রায় ১৭ কিলোমিটার। বাসিন্দারা বলছেন, স্কুল-কলেজ, বাজার, সরকারি অফিস সে সব না হয় কোনও রকমে করা গেল। কিন্তু কেউ অসুস্থ হলে? সে এক দুঃসহ যন্ত্রণা। কীভাবে রোগীকে নিয়ে যাওয়া যাবে? অ্যাম্বুল্যান্স তো ওই রাস্তা দিয়ে গ্রামে ঢুকবেই না। ভ্যান কিংবা ছোট গাড়িই ভরসা। ফলে স্বাভাবিক কারণেই রোগীর প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা বেড়ে যায়। অনেকেই বলছেন, প্রসব যন্ত্রণা উঠলে দুশ্চিন্তা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এমনও হয়েছে, উঁচু-নিচু রাস্তায় যেতে যেতে মাঝপথেই প্রসব হয়ে গিয়েছে। ফলে রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে।

    বিজেপি পঞ্চায়েতে বলেই বঞ্চনা? (Malda)

    দীর্ঘদিন ধরে এই অবহেলা কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে বেরিয়ে এল রাজনীতির এক নোংরা চিত্র। উল্লেখ্য, এখানকার পঞ্চায়েতে গত ১০ বছর ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। সেই পঞ্চায়েতেরই প্রধান বলছেন, রাজ্যের শাসন ক্ষমতা এবং অর্থ-সবই তো তৃণমূলের করায়ত্ত। শুধু রাস্তা (Malda) কেন, কোনও কাজেই টাকা মিলছে না। ওপর মহলে যেখানে যা জানানোর, বহুবার বলা হয়েছে। চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দীপু ওঁরাও সরাসরি অসহযোগিতারই অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর আরও অভিযোগ, পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে হলে কী হবে, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ তো তৃণমূলের। এমনকী সরকারি অফিসাররাও শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনেই চলেন। ফলে পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় থেকেও চরম বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে।

    কী জবাব তৃণমূলের? (Malda)

    গাজল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন অবশ্য এসব অভিযোগ মানতে নারাজ। রাস্তার যে সমস্যা রয়েছে, এবং মানুষের যে তাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে, তা স্বীকার করে তিনি বলেন, গোটা বিষয়টিই উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীকে জানানো হয়েছে। রাস্তার (Malda) কাজ তাড়াতাড়ি শুরু হবে, এমন আশ্বাসও তিনি দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: “দলের নেতাদের শালা-ভাইপোরাই কেবল চাকরি পাচ্ছেন” বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    Durgapur: “দলের নেতাদের শালা-ভাইপোরাই কেবল চাকরি পাচ্ছেন” বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসংগঠিত শ্রমিক নিয়োগের বিষয়ে কেবলমাত্র শাসক দল তৃণমূল নেতার ‘শালা-ভাইপোদের’ চাকরি দেওয়া হচ্ছে। বিরোধীরা অবশ্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে এইরকম স্বজনপোষণের অভিযোগ আগেও তুলেছিল। এবার দুর্গাপুরের (Durgapur) পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর গলায় শাসক দলের বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগের কথা শোনা গেল। 

    কী বলেলন তৃণমূল বিধায়ক (Durgapur)?

    দুর্গাপুরের (Durgapur) সরকারি-বেসরকারি কারখানাগুলিতে শ্রমিক নেওয়া নিয়ে বিরোধীদল হিসাবে বিজেপি আগেও অভিযোগ তুলেছিল। এবার একই অভিযোগের কথা শোনা গেল তৃণমূল বিধায়কের মুখে। তিনি এদিন দুর্গাপুরের এক সভায় বলেন, “দলের পুরনো কর্মীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও সুযোগ নেই। দুর্গাপুরের কোনও মানুষ সুযোগ পাচ্ছেন না কাজে। জিজ্ঞেস করলেই শুনতে পাচ্ছি তৃণমূলের নেতাদের অমুকের শালা এবং অমুকের ভাইপো, ভায়রাভাইয়েরাই চাকরি পাচ্ছেন। স্থানীয় কোনও ভূমিপুত্ররা কাজের সুযোগ পাচ্ছেন না। অথচ কথা ছিল ডিএসপি-তে যাঁরা চাকরি পাবেন তাঁরা দুর্গাপুরের লোক হবেন।” উল্লেখ্য তাঁর এই বক্তব্য ইতিমধ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। শ্রমিক নিয়োগে শাসক দলের স্বজনপোষণের কথা বলে তিনি যে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন সে কথা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। এতদিন শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিরোধীরা অভিযোগ করলেও এবার তা শোনা গেল তৃণমূল বিধায়কের মুখেই।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    এই ডিএসপিতে (Durgapur) শ্রমিক নিয়োগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই বলেন, “শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে তৃণমূলের দুর্নীতির কথা শুধু মুখে প্রকাশ করলেই হবে না প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে হবে। নিয়োগের অস্বচ্ছতা নিয়ে আরও পরিষ্কার করে তৃণমূল নেতাদের নামের উল্লেখ করতে হবে।”

    উল্লেখ্য রাজ্যে এসএসসি দুর্নীতিতে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগে ব্যাপক তোলপাড় হয়েছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে, রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে, কয়লাকাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে, এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ভাইয়ের মেয়ের চাকরি বাতিলের ঘটনা নিয়ে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: তৃণমূলের কাটমানির খেলা? মমতার তৈরি বিমানবন্দর এখন ঘন জঙ্গলে পূর্ণ!

    Balurghat: তৃণমূলের কাটমানির খেলা? মমতার তৈরি বিমানবন্দর এখন ঘন জঙ্গলে পূর্ণ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঢাকঢোল পিটিয়ে বালুরঘাট এয়ারপোর্টের পুনর্গঠন ও পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। কাজ শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময়ের পর দীর্ঘ ছয় বছর পেরিয়ে গেলেও বালুরঘাট বিমানবন্দরের বিমান পরিষেবা চালু হয়নি আজ পর্যন্ত। তড়িঘড়ি সীমানা প্রাচীর, রানওয়ে, প্যাসেঞ্জার লাউঞ্জ, এয়ার ট্রাফিক, পাইলটদের রেস্ট রুম, রেস্তুরাঁ, রিপ্লেসমেন্ট কাউন্টার সহ বেশ কিছু অত্যাধুনিক মানের জিনিস তৈরি করা হয়। পাশাপাশি ১৩৭৫ মিটার রানওয়েকে বাড়িয়ে ১৪৯৫ মিটার করা হয়। কিন্তু আধুনিক মানের এই সমস্ত জিনিসপত্র তৈরি করেও বর্তমানে এয়ারপোর্টের রানওয়ে ছাড়া বাকি অংশ ঘন জঙ্গলে পরিপূর্ণ। উন্নয়নের খাতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যস্তর থেকে একাধিক বার বালুরঘাট বিমানবন্দর পরিদর্শনে এসেছেন আধিকারিকেরা। পরিবহণমন্ত্রী ঘুরে গিয়েছেন। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষও বালুরঘাটে গিয়েছিলেন, কিন্তু কাজ শুরু করা যায়নি।

    বিমানবন্দর পড়ে আছে সেই তিমিরেই

    প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া বালুরঘাট বিমানবন্দরটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়েছিল। এক সময় এই বিমানবন্দর মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিল। ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে এখন থেকে বিমান চলাচল করেনি। সরকারের সদিচ্ছার অভাবে তা হয়নি বলে বারবার অভিযোগ উঠেছে। এরপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উদ্যোগ নেন বিমান পরিষেবা চালু করার। তার ফলস্বরূপ ২০১৬ সালের প্রথম দিকে থেকে ১১ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দে বিমানবন্দরের কাজ শুরু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো পূর্ত দফতর ওই কাজ শুরু করে। বড় মাপের বিমান এখান থেকে চলতে না পারলেও সব ধরনের প্রপেলার চালিত বিমান এখান থেকে চলতে পারবে।

    বালুরঘাট শহর লাগোয়া মাহিনগর এলাকায় অবস্থিত রয়েছে বালুরঘাট বিমানবন্দর। বিমানবন্দরের প্রায় ১৫২ একর জমির উপরে দুই কিলোমিটার রানওয়ে তৈরি করা হয় বিমান নামা ও ওঠার জন্য। দু-একবার পরীক্ষামূলকভাবে বিমান ওঠানামা করলেও এই পরিষেবা চালু হয়নি আজও। এখনও বালুরঘাট বিমানবন্দর পড়ে আছে সেই তিমিরেই। কাজ এতটুকুও এগোয়নি। বিমানবন্দরের রানওয়ে বাদ দিয়ে বাকি এলাকা এখন ঘন জঙ্গলে পূর্ণ। বড় বড় গাছ উঠেছে রানওয়ের পাশে। বড় ঘাসে ঢেকেছে বাকি এলাকা। জঙ্গলের পরিচর্যা না হওয়ায় তা সাপ, বিষাক্ত পোকামাকড়ের আস্তানায় পরিণত হয়েছে। তাই দিনের বেলাতেও অনেকে সেখানে ঢুকতে ভয় পান।

    এই বিষয়ে বালুরঘাটের এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের বালুরঘাটের বিমানবন্দরটি বহুদিনের পুরনো। আগে এখানে বিমান নামত। তারপর বিমান নামা বন্ধ হয়ে যাওয়াই পরে ২০১৬ সালের প্রথম দিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিমানবন্দরটি চালু করার উদ্দেশ্যে কাজ শুরু করেন। বিমানবন্দরের কাজ শেষ হওয়ার পরেও আজ অব্দি বালুরঘাটে কোনও বিমানের ব্যবস্থা হল না। বরং সাজানো গোছানো পুরো বিমানবন্দরটা জঙ্গলে পরিণত হয়ে গিয়েছে। আমরা চাই বালুরঘাটে বিমান ব্যবস্থা চালু হোক।

    সংস্কারের নামে শুধু কাটমানি?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, তৃণমূল সরকারের কাজ শুধু ভাঁওতাবাজি দেওয়া। বিমানবন্দর নিয়েও জেলাবাসীকে ভাঁওতা দেওয়া হয়েছে। বিমান চালানোর সদিচ্ছাই নেই সরকারের। সংস্কারের নামে শুধু কাটমানি খেয়েছে তৃণমূল নেতারা। কয়েক কোটি টাকা দিয়ে সংস্কার করা বিমানবন্দরের সম্পত্তি বর্তমানে নষ্ট হচ্ছে। এনিয়ে আগেও আমরা আন্দোলন করেছি, আগামীদিনেও করব।’

    আশা দেখিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল ও সরকার

    তৃণমূলের জেলা সহসভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, ‘বালুরঘাট বিমানবন্দর চালুর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের অজানা কিছু অজুহাত আর গাফিলতিতে বিমান চলাচল করছে না। তৃণমূল ভাঁওতা দেয় না। কোচবিহার বিমানবন্দর ইতিমধ্যে চালু হয়েছে। ভাঁওতা তো দেয় বিজেপি! এবিষয়ে জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, বালুরঘাট বিমানবন্দর চালুর জন্য তৈরি। এখানে বিমান চলাচলের অনেক সম্ভাবনাও রয়েছে। ভালো রানওয়ে আছে। রাজ্য সরকার এই বিমানবন্দর চালুর জন্য আগ্রহী। পরিবহণ দফতর ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে পরিবহণ দফতরের তরফে বিমানবন্দর পরিদর্শন করা হবে। কয়েক মাসের মধ্যে বালুরঘাট বিমানবন্দরে উড়ান চালুর পরিকাঠামো তৈরি হয়ে যাবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: শান্তি নেই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শান্তিনিকেতনে! ডিজের দাপটে অতিষ্ঠ মানুষ

    Birbhum: শান্তি নেই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শান্তিনিকেতনে! ডিজের দাপটে অতিষ্ঠ মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তি নেই শান্তিনিকেতনে (Birbhum)। কালীপুজো থেকে ছটপুজো, ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শান্তিনিকেতনে শব্দদানব ডিজের দাপটে অতিষ্ঠ মানুষজন৷ শব্দ দূষণের কারণে শান্তিনিকেতন এখন অশান্ত। মধ্যরাত পর্যন্ত ডিজে বাজিয়ে চটুল অনুষ্ঠানের আয়োজন করায় শান্তিনিকেতনের শ্যামবাটি থেকে ৭ জন শিল্পীকে আটক করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় ডিজে বক্স সহ গাড়ি৷ জানা গিয়েছে, জেলা জুড়ে কয়েক দিনে প্রায় ১৫০ টি অভিযোগ জমা পড়েছে৷ সাধারণ মানুষ চরম অস্বস্তির মধ্যে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    কার নেতৃত্বে চলছিল চটুল অনুষ্ঠান (Birbhum)?

    ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ শান্তিনিকেতন (Birbhum), সংস্কৃতির শহর৷ এলাকার মানুষের অভিযোগ, কালীপুজো থেকে শুরু করে ছটপুজো। সর্বত্র ডিজেবক্সের শব্দ দানবের দৌরাত্ম্যে একেবারে সাধারণ জীবন নাজেহাল। স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, শান্তিনিকেতন থানার শ্যামবাটিতে শহরের মূল রাস্তা অবরোধ করে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচণ্ড শব্দে ডিজে বক্স বাজিয়ে চলছিল চটুল অনুষ্ঠান। সেই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে, বোলপুর পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার চন্দন মণ্ডলের নেতৃত্বে চলছিল এই চটুল অনুষ্ঠান। আরও জানা গিয়েছে, মানুষ প্রতিবাদ করলে অভিযোগকারীদের শাসক দলের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল। 

    পুলিশের ভূমিকা

    শান্তিনিকেতনে (Birbhum) উচ্চস্বরে ডিজে বাজানোর অভিযোগ পেয়ে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় ৪ জন পুলিশ অফিসারকে শোকজ করেছেন। তারপর থেকেই ডিজের দৌরাত্ম্য বন্ধে তৎপর হয়েছে পুলিশ। আবার শান্তিনিকেতন থানার ওসি কস্তুরী মুখোপাধ্যায় বলেন, “এই অনুষ্ঠানের বিষয়ে কোনও অনুমতিই নেওয়া হয়নি।”

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    ঘটনায় বোলপুরের (Birbhum) তৃণমূল কাউন্সিলার চন্দন মণ্ডল বলেন, “এটা ঠিক একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল৷ তবে এই প্রথম অনুষ্ঠান নয়, আগেও এইরকম অনুষ্ঠান হয়েছে এখানে। একটু রাত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু ডিজে বাজানোর তেমন কোনও ঘটনা ঘটেনি৷ কিন্তু, এমন নয় অনিয়ম করা হয়েছে বা অশান্তি হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hospital: গরিব মানুষকে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা, মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের

    Hospital: গরিব মানুষকে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা, মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমাজের পিছিয়ে পড়া ও প্রান্তিক শ্রেণির মানুষকে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে কলকাতার কাছে জোকায় ২০১০ সালে শুরু হয় ১৫০ শয্যার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ হাসপাতাল। এখন আরও ৩০০ শয্যার মাল্টিস্পেশালিটি ফেজ টু হাসপাতালের (Hospital) উদ্বোধন হতে চলেছে আগামী ২৭ নভেম্বর। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্যকরী সভাপতি স্বামী পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ ও বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সেক্রেটারি স্বামী সুবীরানন্দজি মহারাজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। আটতলার এই হাসপাতাল ভবন তৈরি হয়েছে, যেখানে রয়েছে অত্যাধুনিক ওটি, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট, আইসিসিইউ,আইটিইউ, নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট, পিআইসিইউ, নেফ্রোলজি বিভাগ সহ শিশু বিভাগ, ডায়ালিসিস ও ফিজিওথেরাপি ইউনিট সহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় বিভাগ।

    স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা (Hospital) 

    ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান সম্পাদক স্বামী বিশ্বাত্মানন্দ মহারাজ বলেন, একদম অত্যাধুনিক চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে দ্বিতীয় ফেজের এই হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। এখানে গরিব মানুষদের স্বল্পমূল্যে সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হবে। মহারাজ জানান, জোকা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় স্বল্পমূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিচ্ছে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘ। বালিগঞ্জে সংঘের প্রধান কার্যালয় সংলগ্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় যেখানে স্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র করা যায়নি, সেই সব জায়গায় মোবাইল মেডিক্যাল ইউনিট খোলা হয়েছে। কোভিডের কারণে আর্থিক সমস্যা নেমে এসেছিল। এর জন্য দ্বিতীয় ফেজের হাসপাতাল (Hospital) সময়ে শুরু করা যায়নি। আটতলা বাড়িতে আপাতত ২৭ নভেম্বর চারতলা ভবন জুড়ে এই দ্বিতীয় ফেজের হাসপাতাল শুরু হচ্ছে।

    গয়ার আশ্রমের শতবর্ষ

    তিনি জানান, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজ তীর্থযাত্রীদের সহযোগিতা করতে গয়াতে যে আশ্রম তৈরি করেছিলেন, এবছর সেই আশ্রমেরও শতবর্ষ অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷। ৩০ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত শতবর্ষের অনুষ্ঠান চলবে। ১ ডিসেম্বর উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অংশ নেবেন অনুষ্ঠানে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মুসলিমদের ভোট ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মুসলিমদের ভোট ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না’, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে নানা টানাপোড়েন চলেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরের এই দলুয়াখাঁকি গ্রামে। ১৩ নভেম্বর তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুন হন। এই ঘটনার পর বিভিন্ন  রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বকে আটকে দেওয়া হয়েছে গ্রামের অনেক আগেই। অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রামে ত্রাণ নিয়ে প্রবেশ করার অনুমতি মিলল। বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো নাগাদ দলুয়াখাঁকি গ্রামে পৌঁছন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি গ্রামবাসীদের জন্য ত্রাণ নিয়ে যান। ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি আর্থিক সাহায্য করা হয় গ্রামবাসীদের। গ্রামের মানুষের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। যারা গ্রামে অসুস্থ রয়েছেন, তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থার পাশাপাশি যাদেরকে ফাঁসিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদেরও জামিনের ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    মুসলিমদের ভোট ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন না, মমতাকে তোপ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,’ মুসলিমদের ভোট ছাড়া মুখ্যমন্ত্রী হওয়া আপনার বাপের সাধ্যি ছিল না। সেই মুসলমানদের এই প্রতিদান দিলেন। তৃণমূলকে ভোট দেয় না বলে এদের ওপর হামলা হয়েছে। বগটুইয়ের মতো পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হয়েছে দলুয়াখাঁকিতে। দিল্লি যাওয়ার আগে জয়নগরে একবার ঘুরে যান না। আপনি বগটুইতে পুড়িয়েছেন মুসলমানদের। আর এখানে মুসলমানদের বাড়ি পুড়িয়েছেন। বগটুইয়ের মতো পরিকল্পিত হামলা হয়েছে, নাহলে পেট্রল আর হাতুড়ি এল কোথায় থেকে। এই গ্রামের মানুষজন বিরোধী দল করেন বলেই পরিকল্পিতভাবে গ্রামের উপরে হামলা চালানো হয়েছে।’

    সিপিএম প্রতিনিধি দল যায় গ্রামে

    বিরোধী দলনেতার আগে এদিন সকালে সিপিএমের প্রতিনিধি দল গ্রামে ত্রাণ নিয়ে যান। ঘর তৈরির জন্য বাঁশ টিন থেকে শুরু করে অন্যান্য ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন গ্রামবাসীদের হাতে। সেই প্রতিনিধি ছিলেন সুজন চক্রবর্তী, কান্তি গঙ্গোপাধ্যায়, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত সিপিএম নেতৃত্ব। যদিও সিপিএমের প্রতিনিধি দল গ্রামের প্রবেশ করার মুখে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান। পাঁচজনের বেশি মানুষ গ্রামে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে পুলিশের তরফ থেকে জানিয়ে দিলে দু পক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। শেষ পর্যন্ত সিপিএমের তরফ থেকে ত্রাণ নিয়ে গ্রামে প্রবেশ করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Collapse: ফোনে ছেলের গলা শুনেও উদ্বেগ কাটছে না আরামবাগের দুই পরিবারে

    Uttarkashi Tunnel Collapse: ফোনে ছেলের গলা শুনেও উদ্বেগ কাটছে না আরামবাগের দুই পরিবারে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশিতে সুড়ঙ্গ ধসে (Uttarkashi Tunnel Collapse) আটকে থাকা ছেলের সঙ্গে কথা বলে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত উদ্বেগ কাটছে না দুই পরিবারে। প্রায় ১২ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশিতে ধসের জেরে সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে রয়েছেন ৪১জন শ্রমিক। তারমধ্যে আছে হুগলির আরামবাগ মহকুমার দুই যুবক। একজন পুরশুড়ার থানার নিমডাঙ্গির বাসিন্দা জয়দেব প্রামাণিক, অন্যজন পুরশুড়ার হরিনাখালির বাসিন্দা সৌভিক পাখিরা। তবে, উদ্ধারের কাছাকাছি পৌঁছানোর পরও তাঁদের এখনও উদ্ধার করা সম্ভব না হওয়ায় উদ্বেগে রয়েছেন পরিবারের লোকজন।

    রাজ্যে কোনও কাজ না পেয়ে বাইরে কাজে যান জয়দেব

    সৌভিক ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার ও জয়দেব সার্ভে ইঞ্জিনিয়ার কাজ করেন। প্রায় দেড় বছর আগে জয়দেব ওই কোম্পানিতে কাজে যোগ দেন। বাড়িতে বাবা তাপস প্রামাণিক ও মা তপসী প্রামাণিক। বাবার ছোট্ট চায়ের দোকান রয়েছে। সেখান থেকেই কোনওরকমে সংসার চলত তাদের। পরিবারের পাশে দাঁড়াতেই এই রাজ্যে কোনও কাজ না পেয়ে বাইরে কাজে যান জয়দেব। কিন্তু, হঠাৎ কাজ চলাকালীন সুড়ঙ্গ ধসে (Uttarkashi Tunnel Collapse) ছেলে আটকে পড়ার খবরে যেন বাবা ও মায়ের বাজ পড়ার মতো পরিস্থিতি হয়।

    ‘আমি ঠিক আছি, তোমরাও ভালো থেকো’, সুড়ঙ্গ (Uttarkashi Tunnel Collapse) থেকে বার্তা জয়দেবের

    ছেলের চিন্তায় একেবারে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিশেহারা অবস্থা হয়েছিল জয়দেবের মায়ের। দুশ্চিন্তা ও উদ্বিগ্নের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। বুধবার রাত্রে হঠাৎ প্রথমে ছেলের ভয়েস কল রেকর্ডিং শুনে কিছুটা স্বস্তি ফেরে মায়ের ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের। যদিও  রাতেই ফোনে মায়ের সঙ্গে কথা বলেন ছেলে জয়দেব। জয়দেব ফোনে মা’কে বলেন, ‘আমি ঠিক আছি, তোমরাও ভালো থেকো, সময়ে খেয়ে নিও ‘ আর ছেলের সেই কথা শুনে মনে স্বস্তি ফেরে বাবা ও মায়ের।

    বৃহস্পতিবারও পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন সৌরভ

    সৌভিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরে স্বস্তি ফিরেছে পরিবারে। সৌভিকের বাবা অসিত পাখিরা  পেশায় চাষি। মা লক্ষ্মী পাখিরা গৃহবধূ। সৌভিক কলকাতার আশুতোষ কলেজ থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে উত্তরাখণ্ডে ওই কোম্পানিতে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। পুজোর সময় বাড়ি ফিরে দশ দিন ছুটি কাটিয়ে আবারও কাজে ফিরে যান। কাজে যোগ দেওয়ার চার দিন পরেই এই দুর্ঘটনা ঘটে টানেলের (Uttarkashi Tunnel Collapse) মধ্যে আটকে পড়েন। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও উত্তরাখন্ড থেকে ফোনে সৌভিক তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলেন।  পরিবারের সকলে কেমন আছেন তা তিনি জানতে চান। হাসতেও শোনা যায় সৌভিককে। তারপরেই সৌভিকের মা অনেকটাই মনোবল ফিরে পান। তবে, সৌভিকের  মা চাইছেন, সকলকে যেন সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

    সৌভিকের বাড়িতে পুজোর আয়োজন করা হয়

    শুধু সময়ের অপেক্ষা করছেন দুই বাড়ির ছেলে কখন বাড়ি ফিরবে। ছেলের মঙ্গলকামনায় বৃহস্পতিবার বাড়িতে পুরোহিত দিয়ে পূজা অর্চনা করলেন সৌভিকের মা লক্ষীদেবী। যদিও এখনও উৎকণ্ঠায় রয়েছে  দুই পরিবারই ও প্রতিবেশীরা। কবে তাদের ছেলে সহ আটকে থাকা সকলকেই  উদ্ধার করা সম্ভব হবে তার আশায় দিন কাটাচ্ছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বালুরঘাট থেকে নতুন আরও চারটি এক্সপ্রেস ট্রেন, উদ্যোগী সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: বালুরঘাট থেকে নতুন আরও চারটি এক্সপ্রেস ট্রেন, উদ্যোগী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগেই বালুরঘাট রেল স্টেশন থেকে চারটি নতুন ট্রেন পেতে পারেন জেলাবাসী। বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বৃহস্পতিবার ভিডিও বার্তায় একথা জানান। তিনি বলেন, বালুরঘাট রেল স্টেশনে দ্রুত পিকলাইন সিকলাইনের কাজ শেষ হয়ে যাবে। পিকলাইনের কাজ শেষ হলেই বালুরঘাট থেকে নতুন নতুন রুটে ট্রেন চলাচল শুরু করবে।

    বালুরঘাট স্টেশন পরিদর্শনে আসেন ডিআরএম, জিএম

    বৃহস্পতিবার বালুরঘাট স্টেশন পরিদর্শনে আসেন ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার এবং নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজার চেতন শ্রীবাস্তব। আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যেই শেষ হবে বালুরঘাট রেল স্টেশনের নির্মীয়মাণ রেল শেড, পিকলাইন সিকলাইনের কাজ। আর এই কাজ শেষ হলেই বালুরঘাট স্টেশন থেকে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন চালু করা সম্ভব হবে বলে জানালেন নর্থ ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার চেতন শ্রীবাস্তব। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট থেকে শিয়ালদা সরাসরি একটি নৈশ ট্রেন, বালুরঘাট থেকে গুয়াহাটি (কামাক্ষ্যা এক্সপ্রেস), বালুরঘাট থেকে বেঙ্গালুরু এবং বালুরঘাট থেকে দিল্ল্- এই চারটি নতুন এক্সপ্রেস ট্রেন পেতে চলেছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাবাসী।

    রেলের কাজের অগ্রগতিতে কড়া নজরদারি ছিল সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    উল্লেখ্য, বালুরঘাট থেকে কোনও যাত্রীকে দিল্লি বা বেঙ্গালুরুতে যেতে হলে মালদা বা হাওড়াতে গিয়ে ট্রেন পরিবর্তন করে যেতে হত। যাত্রীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে উদ্যোগী হন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। বিগত প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে বালুরঘাট স্টেশনে পিকলাইন, সিকলাইন ও রেল শেডের কাজ চলছে। কিন্তু অত্যন্ত ধীর গতিতে কাজ চলার অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার।  এমনকী এই অভিযোগ পেয়ে ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার বিগত কয়েক মাসে একাধিকবার বালুরঘাট স্টেশন পরিদর্শনে এসেছেন। সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar) যতবার জেলা সফরে এসেছেন, ততবার বালুরঘাট স্টেশনে গিয়ে কাজের তদারকি করেছেন এবং দ্রুত কাজ শেষ করার দাবি জানিয়েছেন। অবশেষে চেতন শ্রীবাস্তব বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যেই নির্মীয়মাণ শেড ও পিকলাইন সিকলাইনের কাজ শেষ হয়ে যাবে। জানুয়ারি মাঝামাঝি অথবা ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই বালুরঘাট থেকে শিয়ালদা একটি ট্রেন ছুটতে শুরু করবে। এছাড়াও একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন চালানো সম্ভব হবে বালুরঘাট শহর থেকে।

    চারটি ট্রেন চালু হওয়ার খবরে খুশি জেলাবাসী

    এই বিষয়ে এক জেলাবাসী শিল্পী বিশ্বাস বলেন, বালুরঘাট থেকে দিল্লি বা বেঙ্গালুরু যেতে হলে আমাদেররকে মালদা বা হাওড়াতে গিয়ে ট্রেন পরিবর্তন করে যেতে হয়। চলতি বছরের প্রথমে বালুরঘাট থেকে চারটি নতুন ট্রেন চালু হলে আমাদের খুব সুবিধা হবে। আমরা এই খবর শুনে খুবই আনন্দিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে অপরাধে লাগাম কীভাবে, পুলিশকে শেখাচ্ছেন অর্জুন সিং!

    Barrackpore: বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে অপরাধে লাগাম কীভাবে, পুলিশকে শেখাচ্ছেন অর্জুন সিং!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে পুলিশ অনেক চেষ্টা করেও অপরাধে লাগাম টানতে পারেনি। এক বা দু’বার নয়, বার বার অপরাধীরা প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে খুন করছে। ভাটপাড়ায় তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা জ্বলন্ত প্রমাণ। শুধু সামান্য বিষয় নিয়ে গন্ডগোলের জেরে মুড়়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি হচ্ছে। কার্যত বারাকপুর শিল্পাঞ্চল অপরাধীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। পুলিশ অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলেও বারাকপুরের সাংসদ কয়েক দফা দাওয়াই দিয়েছেন। সেগুলি মেনে চললে শিল্পাঞ্চলে অপরাধে লাগাম টানা সম্ভব বলে সাংসদের দাবি। তিনি বলেছেন, আমার বাবা, দাদু সকলেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। অপরাধে কী করে লাগাম টানতে হয়, তা আমি জানি। এই শিল্পাঞ্চলে হুকিং, জুয়া আর হেরোইন বন্ধ করতে হবে। এখান থেকে অপরাধীদের হাতে কাঁচা পয়সা আসে। আর তাতে জোর বেড়ে যায়। এই তিনটি জিনিস বন্ধ করতে হবে। আর অপরাধীদের এলাকার বাইরে, নাহলে জেলে রাখতে হবে। এই পদক্ষেপগুলি নেওয়া হলেই শিল্পাঞ্চলে অপরাধে লাগাম টানা যাবে। যদিও তাঁর এইসব বাণী শুনে আড়ালে অনেকেই হাসাহাসি করছেন। কারণ, জনশ্রুতি আছে, বারাকপুর এলাকাজুড়ে তাঁর আগোচরে নাকি কোনও অপরাধই সংঘটিত হতে পারে না। সে হেন অর্জুন দিচ্ছেন নীতিশিক্ষার পাঠ? 

    নাইন এমএম দিয়ে তৃণমূল কর্মী ভিকিকে খুন! (Barrackpore)  

    বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে অপরাধীদের হাতে সহজেই সেভেন এমএম, নাইন এমএম পৌঁচ্ছে যাচ্ছে। ভাটপাড়ায় তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদবকে নাইন এমএম দিয়ে খুন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নাইন এমএম খোল উদ্ধার করেছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে সিসিটিভি ফুটেজ এসেছে। ফুটেজ খতিয়ে দেখে অপরাধীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে পুলিশ। তবে, ঘটনার পর দুদিন কেটে গেলেও মূল অপরাধী তো দূরের কথা, যারা খুনের ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তাদের নাগাল পেল না পুলিশ।

    জেলে বসেই হচ্ছে সমস্ত অপরাধের পরিকল্পনা

    জেলে বসেই বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে একের পর এক অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। জগদ্দল থানার ভাটপাড়ার পুরসভায় এলাকায় তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে আরও একবার প্রমাণ করে দিল। বছরখানেক আগে বারাকপুরে নামী বিরিয়ানি দোকানের মালিকের উপর গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। সেই হামলার ছকও হয়েছিল দমদম জেলে বসে। তদন্তে পুলিশের হাতে এই তথ্য আসে। কিছুদিন আগে পলতা এলাকায় এক তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা গুলি করে। সেই ঘটনার পরিকল্পনা জেলে বসেই হয়েছিল। পাশাপাশি জেল থেকে ব্যবসায়ীদের কাছে থেকে তোলার টাকা চাওয়া হয়। বার বার জেলের নাম সামনে আসতেই  বারাকপুর পুলিস কমিশনারেট পক্ষ থেকে বারবার দমদম জেল ও বারাকপুর জেল কর্তৃপক্ষকে দুর্গা পুজোর আগে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না ভাটপাড়ার ঘটনা তা প্রমাণ করে দিয়েছে। জেলে বসেই দাগি অপরাধীরা অনায়াসেই মোবাইল ব্যবহার করছেন। আর সেই মোবাইল থেকেই আসছে তোলাবাজি ও খুনের হুমকি ফোন। রীতিমতো ত্রাসের সৃষ্টি হচ্ছে ওইসব ফোন। ফোনের পর ঘটে যাচ্ছে একটার পর একটা ঘটনা। তৃণমূল কর্মী ভিকিকেও জেল থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalna: কাজের গতি থমকে গিয়েছে, দলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূলের সিংহভাগ কাউন্সিলার

    Kalna: কাজের গতি থমকে গিয়েছে, দলের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূলের সিংহভাগ কাউন্সিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আস্থা নেই দলের সিংহভাগ কাউন্সিলারের। আর তাই চেয়ারম্যানকে সরাতে জোটবদ্ধ হয়েছেন দলের বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলাররা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কালনা (Kalna) পুরসভায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কালনা শহর জুড়়ে এই বিষয় নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কতজন কাউন্সিলার আনল অনাস্থা? (Kalna)

    দলীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনা (Kalna) পুরসভার আসন সংখ্যা ১৮টি। এরমধ্যে ১টি আসনে সিপিএম জয়ী হয়েছে। বাকি ১৭ জন কাউন্সিলার তৃণমূলের। পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তের বিরুদ্ধে দলের ১৪ জন কাউন্সিলার ক্ষুব্ধ। সকলে মিলে আনন্দ দত্তের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসেন। সেই সম্মিলিত চিঠি বুধবার ই মেল করে জেলাশাসক, মহকুমা শাসক, পুরসভায় পাঠিয়েছেন তাঁরা। যদিও সেই অনাস্থা সম্মিলিত চিঠি পুরসভায় জমা করতে গেলে কালনা পুরসভা কর্তৃপক্ষ তা নিতে অস্বীকার করে বলে বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলারদের অভিযোগ।

    কেন অনাস্থা?

    কালনা (Kalna) পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিক্ষুব্ধ কাউন্সিলার সুনিল চৌধুরী বলেন, চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তের আমলে কাজের গতি থমকে গিয়েছে। নেই উন্নয়ন। মিটিংয়ে যা সিদ্ধান্ত হয় তা পরে তিনি তা মানেন না। নিজের খেয়ালখুশি মতো অফিসে আসেন। কাউন্সিলারদের কথা শোনেন না। নিজের মতো যা খুশি করে যাচ্ছেন। সাধারণ মানুষ পুরসভায় এসে পরিষেবা পাচ্ছেন না। চেয়ারম্যানের জন্য দলের প্রতি মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে। কাউন্সিলার হিসেবে আমরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না। উন্নয়নমূলক কাজ করা যাচ্ছে না, তাতে মানুষের সমস্যা হচ্ছে। যার ফলে মানুষের কাছে আমাদের কথা শুনতে হচ্ছে। তাই আমরা সকলের ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছি।

    চেয়ারম্যান কী সাফাই দিলেন?

    কালনা (Kalna) পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত বলেন, শুনেছি কয়েকজন কাউন্সিলার অনাস্থা প্রস্তাব দাবি করেছে। কিন্তু সেই সংক্রান্ত কোনও কাগজ আমি হাতে পাইনি। কাগজ হাতে আসলে আমি বিষয়টি নিয়ে যা বলার বলব। সকলকে নিয়ে চলি। এখন কেন তাঁরা এই ধরনের কথা বলছেন জানি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share