Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Howrah: তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীতে প্রকাশ্যে বিধায়ক-বক্ল সভাপতির দ্বন্দ্ব! তীব্র উত্তেজনা হাওড়ায়

    Howrah: তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীতে প্রকাশ্যে বিধায়ক-বক্ল সভাপতির দ্বন্দ্ব! তীব্র উত্তেজনা হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয়া সম্মেলনীতে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ফের প্রকাশ্যে এলো। নিজের এলাকায় দলের বিজয়া সম্মেলনীতে বিধায়ককে ব্লকের নাম নীল স্টিকার দিয়ে ঢাকতে হল। বালিখাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটায় চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হল তৃণমূল বিধায়ককে। যদিও তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ ছিল দলের সব জেলার ব্লক স্তরে বিজয়া সম্মেলনী করতে হবে। আর এই সম্মেলনীতে মুখ পুড়ল বালির (Howrah) তৃণমূল বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়ের।

    ঘটনা কী ঘটেছিল (Howrah)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালিতে (Howrah) বিজায় সম্মেলনীর কথা ঘোষণা করে নাম, স্থান এবং তারিখ দিয়ে পোস্টার বানিয়ে এলাকায় প্রচার শুরু করেছিলেন বিধায়ক। কিন্তু বালি ব্লকের যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিধায়কের এই প্রচারের বিরুদ্ধে রাজ্য তৃণমূল অফিসে অভিযোগ করা হয়। এরপর রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয় ব্লক তৃণমূলের তরফ থেকে যা ঠিক করা হবে সেই অনুযায়ী বিজয়া সম্মেলনী করতে হবে। আর এরপর বিধায়কের দেওয়া পোস্টার থেকে ব্লকের নামের উপর স্টিকার লাগাতে হয়। দলের কাছে বিধায়কের ভূমিকা কী তাও প্রকাশ্যে আসে এই ঘটনায়।

    ব্লক যুব তৃণমূলের বক্তব্য

    বালি (Howrah) ব্লকের যুব তৃণমূল নেতা সুরজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “রবিবার দলের নির্দেশ মেনেই বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায় নিজের ইচ্ছে মতো কোনও রকম আলোচনা না করেই সিদ্ধন্ত নিয়েছিলেন। দল তাঁর সিদ্ধান্তকে মান্যতা দেয়নি। আর তাই তাঁর অনুষ্ঠানে যে ব্যানার বানানো হয়েছিল সেখানে তৃণমূল ব্লকের নাম ব্যবহার করতে পারবেন না বলে, দলের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

    বিধায়কের বক্তব্য

    বালির(Howrah) তৃণমূল বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমার বিজয়া সম্মেলনীর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।” কিন্তু তাঁর সম্মেলনী অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল। সেই সঙ্গে বালি ব্লকের নাম নীল কাগজ দিয়ে অদৃশ্যমান করে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল ব্লকের নাম। এই ঘটনায় বালি বিধায়ক এবং বালি বক্লের যুব তৃণমূল নেতার দ্বন্দ্ব যে প্রকাশ্যে, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ফের উদ্ধার হল ডায়েরি! কী লেখা রয়েছে তাতে?

    Ration Scam: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ফের উদ্ধার হল ডায়েরি! কী লেখা রয়েছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারদা কেলেঙ্কারি তদন্তে উঠে আসা লাল ডায়েরি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল সারা রাজ্যে। ইতিমধ্যে রেশন কেলেঙ্কারিতে (Ration Scam) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত-সহায়ক অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকে মেরুন ডায়েরি উদ্ধার করেছে ইডি। ফের এক ডায়েরির সন্ধান পেল কেন্দ্রীয় সংস্থা, রেশন দুর্নীতির তদন্তে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, উদ্ধার হওয়া এই ডায়েরিগুলি গুরুত্বপূর্ণ নথি হতে পারে তদন্তে। জানা গিয়েছে, বাকিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকেই ওই ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে।

    বেআইনি কার্যকলাপের যাবতীয় হিসাব-নিকাশ নথিভুক্ত থাকতো উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে

    প্রসঙ্গত, ইডির দাবি, ওই ব্যবসায়ী স্বীকারও করেছেন যে বাকিবুরের নির্দেশেই গমকল থেকে আটা তৈরি হওয়ার পর সরকারি খাদ্য সামগ্রীর ২০ থেকে থেকে ৩০ শতাংশ সরিয়ে ফেলা হতো। পরে তা খোলা বাজারে বিক্রি করা হতো। এই বেআইনি কার্যকলাপের যাবতীয় হিসাব-নিকাশ নথিভুক্ত থাকতো উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে (Ration Scam)। কোথায় কোথায় সেই আটা প্যাকেট করা হতো, সেই সমস্ত জায়গারও সন্ধান মিলেছে ওই ডায়েরিতে। অন্তত এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। শুধু তাই নয় ওই ডায়েরি থেকে মিলেছে বেশ কয়েকজন মিল মালিক এবং প্যাকেজিং সংস্থার নামও।

    রেশন দুর্নীতিতে ইডির তল্লাশিতে উদ্ধার হল বেআইনি ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা

    অন্যদিকে, রেশন দুর্নীতিতে ইডির তল্লাশিতে উদ্ধার হল বেআইনি ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে ‘অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেড’-এর অফিসে হানা দেয় ইডি। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ১ কোটি টাকা। অন্যান্য জায়গায় তল্লাশিতেও মিলেছে নগদ ৪০ লাখ টাকা। রেশন দুর্নীতির তদন্তে শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় হানা দেয় ইডি। ২৭ ঘণ্টারও বেশি তল্লাশি চালিয়ে এই নগদ উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে। আবার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে রেশন দুর্নীতিতে। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির নজরে একাধিক ব্যবসায়ী রয়েছেন যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অঙ্কিত চান্দকদর। তাঁর সূত্র ধরেই বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি যোগ পাওয়া গিয়েছে। চান্দকর পরিবারেরই সদস্য হলেন দীপেশ চান্দকর। ২০০৪ সালে বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন দীপেশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ‘বিরোধীদের বুথে কোনও কাজ করবে না তৃণমূল’, প্রকাশ্য মঞ্চে নিদান বিধায়ক শওকত মোল্লার

    South 24 Parganas: ‘বিরোধীদের বুথে কোনও কাজ করবে না তৃণমূল’, প্রকাশ্য মঞ্চে নিদান বিধায়ক শওকত মোল্লার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ব্যাপক সন্ত্রাস চলেছিল ভাঙড়ে। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে ভাঙড়ে আসতে হয়েছিল। এত কিছুর পরও তৃণমূলকে হারিয়ে একাধিক বুথে বিরোধীরা জয়ী হয়। এবার সেই বিরোধীরা যে সব পঞ্চায়েতে জিতেছে, সেখানে কীভাবে কাজ হবে তা নিয়ে দলের অবস্থান ঠিক করে দিলেন তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকে বিজয়গঞ্জ বাজারে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘ভাঙড়ে আমাদের ৯টা অঞ্চলে যে সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, পঞ্চায়েত সদস্য আছেন তাঁদেরকে বলব, যখন পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতের মিটিং হবে দলবদ্ধ ভাবে বিরোধীদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে নিজেদের প্রস্তাব পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে অনুমোদন করাতে হবে। যে পঞ্চায়েতগুলো ওরা জিতেছে ওরা কাজ করে দেখাক। আমাদের পঞ্চায়েত ওই সমস্ত বুথে কোনও কাজ করবে না।’ বিরোধীদের গঠিত পঞ্চায়েতে অসহযোগিতার বার্তা স্পষ্ট হয়েছে শওকতের ওই বক্তব্যে। দলীয় কর্মীদের দেওয়া এই নির্দেশ ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। শওকত যখন এমন কথা বলছেন, তখন মঞ্চে তাঁর পাশেই বসেছিলেন আরাবুল ইসলাম- সহ তৃণমূলের স্থানীয় একাধিক নেতা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

     শওকতের এই মন্তব্যের পর তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি বিরোধীরা। এ নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিজেপি নেতা উত্তম কর বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য মঞ্চে শওকতের বিষয়ে বলেছিল, তুই তো বোম বাঁধিস। তাই, একজন বোমা বাঁধে এরকম নেতার থেকে এর বেশি কী আশা করব আমরা। একজন বিধায়ক বলছেন, বিরোধীদের পঞ্চায়েতে কাজ করতে দেব না। তিনি যে দল করেন, এটা সেই দলের মনোভাবেরই প্রতিফলন। মানুষ এর বিচার করবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের সিজিওতে বরানগরের চেয়ারপার্সন, টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যানও

    ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের সিজিওতে বরানগরের চেয়ারপার্সন, টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক চেয়ারম্যানকে সিজিওতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল ইডি (ED)। সোমবারই বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক এবং কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে সিজিওতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। সেখানে দুজনেই নথি জমা করে আসেন। মঙ্গলবার দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে এবার টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী সিজিওতে হাজিরা দেন। পাশাপাশি এদিন ফের বরানগরের চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক হাজিরা দেন।

    ফাইল নিয়ে টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান হাজিরা দিলেন সিজিওতে (ED)

    বারাকপুর মহকুমার কামারহাটি, বরানগরের পাশাপাশি টিটাগড় পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার হাত ধরে বহু কর্মীর নিয়োগ হয়। সেই সময় টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন প্রশান্ত চৌধুরী। তবে, অয়নের সংস্থার তৈরি প্যানেলে নাম থাকার পরও শুধুমাত্র চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ার কারণে মহিলা এক চাকরিপ্রার্থী পুরসভায় চাকরি পাননি। ওই চাকরিপ্রার্থীর বাড়ি হুগলির চুঁচুড়ায়। তিনি অয়ন শীলের পাশাপাশি প্রশান্তবাবুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর এই বিষয়টি নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়েছিল। এরপরই ইডি টিটাগড় পুরসভায় এসে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তদন্ত করতে আসে। পরে, প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। পুরসভা থেকে বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীকে সিজিওতে ডেকে পাঠানো হয়। এদিন সকাল ১০.২০ মিনিট নাগাদ তিনি সিজিওতে যান। ফাইলে একাধিক কাগজপত্র নিয়ে এদিন তিনি হাজির হন। পাশাপাশি কিছুক্ষণ পরই এদিন ফের বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক সিজিওতে হাজির হন। জানা গিয়েছে, সোমবারই অপর্ণা মৌলিক প্রায় সাত ঘণ্টা সিজিওতে ছিলেন। গোপাল সাহাও সেখানে দীর্ঘক্ষণ ছিলেন। তবে, এদিন গোপাল সাহাকে ডাকা হয়নি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে চেয়ারম্যানদের কতটা ভূমিকা ছিল, তা ইডি (ED) আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। তাছাড়া, পুর কর্মী, অয়ন শীলের কাছে থেকে যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার সঙ্গে চেয়ারম্যানদের বক্তব্য জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Katwa: গঙ্গায় নেমে মোবাইলে করছিলেন রিলস! তলিয়ে গেলেন দুই ছাত্র

    Katwa: গঙ্গায় নেমে মোবাইলে করছিলেন রিলস! তলিয়ে গেলেন দুই ছাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গায় স্নানের দৃশ্য মোবাইলে রেকর্ড করতে নেমেছিলেন তিন যুবক। এঁদের দুজনের হাতে ছিল মোবাইল। বাকি দুই বন্ধু ছিলেন পাড়ে দাঁড়িয়ে। ভালোই ভিডিও তোলা হচ্ছিল। কিন্তু, তার মধ্যেই ঘটে গেল অঘটন। মুহূর্তের অসতর্কতায় দুই যুবক গঙ্গার জলে তলিয়ে গেলেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার (Katwa) দেবরাজ ঘাটে। নিখোঁজ দুই যুবকের নাম দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায় ও অভিষেক সিং। বর্ধমান শহরে তাঁদের বাড়ি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Katwa)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বর্ধমানের পাঁচজন ছাত্র মিলে কাটোয়ার (Katwa) বিআইটি কলেজের রেজিস্ট্রেশন তুলতে এসেছিলেন। পরে দুপুর নাগাদ তাঁরা কাটোয়ার দেবরাজ ঘাটে গঙ্গাস্নান করতে যান। তাঁদের ইচ্ছা ছিল, গঙ্গাস্নানের দৃশ্যের রিলস তৈরি করবেন। সেইমতো মোবাইল নিয়ে গঙ্গার জলে স্নান করতে নেমেছিলেন দীপঙ্কর, অভিষেক-সহ আরও এক যুবক। দুই যুবক পাড়ে বসেছিলেন। এরই মধ্যে হঠাৎ করে দু’জন গঙ্গার জলে তলিয়ে যেতে থাকেন। অপরজন কোনওরকমে পাড়ে এসে ওঠেন। নদীর পাড়ে থাকা বন্ধুরা দু’জনকে তলিয়ে যেতে দেখে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। গামছা ছুড়ে দেন জলে ডুবতে থাকা বন্ধুদের দিকে। কিন্তু, চেষ্টা করে কোনও লাভ হয়নি। দুই বন্ধু গঙ্গায় তলিয়ে যেতেই কাটোয়া থানায় খবর দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে কাটোয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পাশাপাশি কাটোয়া থানার পুলিশ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের খবর দিয়ে নিয়ে আসে। গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া দুই ছাত্রের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

    কী বললেন কাটোয়ার পুরপ্রধান?

    এ-প্রসঙ্গে কাটোয়ার (Katwa) পুরপ্রধান সমীর সাহা বলেন, ‘গঙ্গাবক্ষের ওই অংশে বেশ কিছু গর্ত রয়েছে। পুরসভার তরফে ওই এলাকায় গঙ্গায় স্নান করতে না নামার সতর্কবার্তা দিয়ে বোর্ডও লাগানো আছে। কিন্তু তারপরেও সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে তাঁরা গঙ্গায় নেমেছিলেন। শুনেছি ওরা ছবি তোলায় মত্ত হওয়ার কারণেই এই বিপত্তি হয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেলপথ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিল কেন্দ্র, শুরু হল জমি জরিপের কাজ

    Nadia: কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেলপথ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিল কেন্দ্র, শুরু হল জমি জরিপের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর খুব বেশিদিন নয়, নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুর যেতে শুধু বাসের উপর জেলার মানুষকে নির্ভর করতে হবে না। কৃষ্ণনগর থেকে ট্রেনে চড়েই সোজা তেহট্ট, করিমপুর পৌঁছে যেতে পারবেন এই এলাকার মানুষ। করিমপুর, তেহট্ট এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষের দাবি মেনেই এবার কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুর পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় সরকার। রেল লাইন তৈরি প্রস্তাব দিয়েছে এমন নয়। চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই রেল সম্প্রসারণের জন্য জমি জরিপের কাজ শুরু করেছে রেল মন্ত্রক। এতদিন এই রেল লাইন সম্প্রসারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। রেল চলাচল শুরু হওয়ার দেড়শো বছর পরও করিমপুর, তেহট্ট রেল মানচিত্রের বাইরে রয়েছে।

    রেলপথ সম্প্রসারণে রেল কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে? (Nadia)

    সিপাহী বিদ্রোহের পর পরই শিয়ালদা থেকে নদিয়ার (Nadia) গেদে হয়ে বাংলাদেশের কুষ্টিয়া পর্যন্ত ১৩৫ কিলোমিটার রেলপথ তৈরি করা হয়েছিল। আর ১৮৬২ সাল নাগাদ প্রথম এই রেল লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করা শুরু করেছিল। পরবর্তীকালে রানাঘাট-কৃষ্ণনগর হয়ে লালগোলা পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারিত হয়। নদিয়ার বুকে রেল চলাচলের প্রায় দেড়শো বছরের বেশি সময় আগে রেল চলাচল শুরু হলেও করিমপুর আজও রেল মানচিত্রের বাইরে। করিমপুর, তেহট্ট, পলাশীপাড়া সহ এই এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষকে চলাচলের জন্য নির্ভর করতে হয় বাস কিংবা প্রাইভেট গাড়়ির উপর। এবার সেই করিমপুর, তেহট্টকে রেল মানচিত্রের মধ্যে আনতে চলেছে মোদি সরকার। করিমপুরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সুবিধার জন্য ৮০ কিলোমিটার সমীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বছরের অগাস্টে ইতিমধ্যেই জমা দেওয়া ধারণাগত পরিকল্পনার সঙ্গে মাটি অনুসন্ধানের কাজ, টপোগ্রাফি জরিপ এবং ট্রাফিক জরিপ চলছে। অবিচ্ছিন্ন করিডোর সৃষ্টির লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা প্রস্তুত করার জন্য গ্রামের মানচিত্র সরবরাহ করে সাহায্যের জন্য রেলওয়ে বিভিন্ন মৌজা এবং ব্লক এলাকার ব্লক এবং সংস্কার অফিসারদের চিঠি পাঠিয়েছে রেল। অগাস্ট থেকে জরিপের কাজ শুরু করে রেলওয়ে ইতিমধ্যেই সমীক্ষার একটি অগ্রসর পর্যায়ে পৌঁছেছে। আশা করা হচ্ছে যে কৃষ্ণনগর-করিমপুর নতুন লাইনের জন্য সম্পূর্ণ জরিপ কাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ হবে। এরপর সম্ভাব্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, নদিয়া (Nadia) জেলায় তেহট্ট, করিমপুর, বেতাই, পলাশীপাড়া সব সময় অবহেলিত। এই সব এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষের গণ পরিবহণের ভরসা বাস। পলাশী বা কৃষ্ণনগর স্টেশনে পৌঁছাতেও এই সব এলাকার মানুষের ভরসা বাস। ফলে, দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেল লাইন চালু করার আমরা দাবি জানিয়েছি। এর আগে অনেক রাজনৈতিক দল এই রেল সম্প্রসারণের ইস্যুটিকে তুলে ধরে রাজনৈতির ফয়দা তুলেছে। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। এবার কেন্দ্রীয় সরকার এই রেলপথ সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়ায় ভাল লাগছে। রেলপথ তৈরি হলে এই এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।

    রেল আধিকারিক কী বললেন?

    পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এমনকী আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি করার লক্ষ্যে কেন্দ্র সরকারের লক্ষ্যের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য, রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের কাছ থেকে সব ধরনের প্রত্যাশিত সহযোগিতা রেলওয়ে দ্বারা গ্রহণ করা হবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ২০১৪ সালের টেটে সব প্রার্থীকে ৬ নম্বর, হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ২০১৪ সালের টেটে সব প্রার্থীকে ৬ নম্বর, হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ছ’টি ভুল প্রশ্নের জন্য পরীক্ষার্থীদের ৬ নম্বর দিতে হবে। এবার সেই নির্দেশেই অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পরবর্তীকালে প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের একটা অংশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়। পরীক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকালই এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিচারপতি এএস বেপান্না এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    প্রথম মামলা দায়ের হয় ২০১৮ সালে

    ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার এই মামলাটি উঠেছিল ২০১৮ সালে। তৎকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলিকে যাচাই করতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি জানায় যে সেখানে ছয়টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে। এরপরে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওই ভুল প্রশ্নের উত্তর যাঁরা দিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নম্বর দিতে হবে।

    মামলার খুঁটিনাটি

    এরপরে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে  চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ ডিভিশন বেঞ্চে যায়। সেখানে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ২০১৪ সালে যারা টেট দিয়েছিলেন, সেই সকল প্রার্থীকে ৬ নম্বর দিতে হবে। পরবর্তীকালে একই নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান এই ৬ নম্বর পাওয়ার ফলে যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন তাঁরাও এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়া অংশ নিতে পারবেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ২০ লাখ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাশ করেছিলেন ১ লাখ ২৫ হাজার জন। ২০১৪ সালের সকল প্রার্থীকে ৬ নম্বর দিতে হবে, এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সেই মামলায় হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ফের অস্ত্র কারখানার হদিশ! উদ্ধার অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, জেলাজুড়ে শোরগোল

    South 24 Parganas: ফের অস্ত্র কারখানার হদিশ! উদ্ধার অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তী থানা এলাকায়। জানা গিয়েছে, বাসন্তীর তিতকুমার বটতলা এলাকায় একটি বাড়িতে অস্ত্রের কারখানা ছিল। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ইস্তাহার গায়েন ও হাসানুর গায়েন সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মূলত তাদের বাড়িতেই অস্ত্র তৈরির কারবার চলছিল। সেখানেই হানা দেয় এসটিএফ। বেআইনি অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    অস্ত্র কারখানা থেকে কী কী উদ্ধার হল?  (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে ওই এলাকায় গোপনে অস্ত্র তৈরির কাজ চলছিল। আর সেই খবর পাওয়ার পর বাসন্তী থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ সেখানে হানা দেয়। ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি একনলা বন্দুক তৈরির উপকরণ মেলে। লোহার পাইপ কাটার মেশিন-সহ অন্যান্য সরঞ্জামও মিলেছে ওই কারখানা থেকে। অন্যদিকে, ক্যানিং থানার তালদি থেকে এক যুবককে বন্দুক-সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তী, ভাঙড় এবং ক্যানিং বরাবরই অপরাধপ্রবণ এবং বেআইনি অস্ত্র ও বোমা তৈরির জায়গা বলে পরিচিত। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ভাঙড় ও বাসন্তীতে দিনের পর দিন মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়ার ঘটনা ঘটে। বহু মানুষের মৃত্যুর খবর মেলে। বেশ কিছু গ্রামে প্রায় ঘরে ঘরে বোমা ও বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ পাওয়া যায়। একই অবস্থা দেখা যায় ক্যানিংয়েও। মাস খানেক আগে জয়নগর এলাকায় হদিশ পাওয়া গিয়েছিল অস্ত্রের কারখানার। ক্রেতা সেজে অস্ত্র কারবারিদের ধরা হয়েছিল। সেই জের কাটতে না কাটতেই ফের অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল।

    প্রসঙ্গত, বেগম খালেদা জিয়ার আমলে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দা বাহিনী ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) অপারেশনাল হেড কোয়ার্টার্স ছিল। তখন থেকেই সুন্দরবন এলাকায় সমুদ্র ও নদীপথে সীমান্ত পেরিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) সপরিবারে কট্টরপন্থী মুসলিম সন্ত্রাসবাদীদের ব্যাপক অনুপ্রবেশ শুরু হয়। রাজনৈতিক মদতে তারা রাতারাতি এদেশের নাগরিক হয়ে যায়। মূলত এদের হাত ধরেই ক্যানিং আর বাসন্তীর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চোরাকারবারের নেটওয়ার্ক ও বেআইনি অস্ত্র কারখানা ছড়িয়ে পড়ে। একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এখন বাসন্তী আর ক্যানিংয়ে নিষিদ্ধ মুসলিম সন্ত্রাসবাদী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (পিএফআই) অনুগামীদের আনাগোনা বেড়েছে। সেইসঙ্গে মুসলিম ধর্মচর্চার নামে আর এক নিষিদ্ধ কট্টরপন্থী সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিজবুত তাহরির-ও (এইচটি) তাদের নেটওয়ার্ক বাড়াচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী নওশাদ? কী বললেন সুকান্ত?

    Lok Sabha Election 2024: ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী নওশাদ? কী বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কি প্রার্থী হচ্ছেন আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকী? প্রসঙ্গত, নওশাদ সিদ্দিকীর এক মন্তব্যে এই জল্পনা ছড়িয়েছে। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে আইএসএফের ভাঙড়ের বিধায়কের প্রার্থী হওয়া নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে। প্রসঙ্গত রবিবারই আইএসএফ বিধায়ক বলেন, ‘‘দল অনুমোদন দিলে তিনি ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হিসেবে লড়বেন।’’ সম্প্রতি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যেও উঠে আসে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র। তিনিও ইঙ্গিত দেন অভিষেকের বিরুদ্ধে অন্য কাউকে প্রার্থী করার।

    অভিষেককে চ্যালেঞ্জ নওশাদের

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁর সংযোজন, ‘‘আমি কনফিডেন্ট, আমি বেশি ভোট পাব। সঠিক যদি ভোট হয় ৪২টি লোকসভাতে (Lok Sabha Election 2024) হারবে তৃণমূল।’’ ২০১৪ থেকে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের সাংসদ রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের অন্দরের খবর, এবারও তিনি ওই কেন্দ্র থেকে লড়বেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম যেমন রাজ্য রাজনীতির ভরকেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছিল, আগামী লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র সেরকম রাজ্য রাজনীতির ভরকেন্দ্র হতে চলেছেন।

    নওশাদের প্রার্থী হওয়া নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    নওশাদের প্রার্থী হওয়া নিয়ে সোমবার মন্তব্য করতে শোনা গেল সুকান্ত মজুমদারকেও। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য বিজেপিও বলবে খেলা হবে! ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে (Lok Sabha Election 2024) বিজেপি লড়াই দেবে। সোমবার রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে যান বালুরঘাটে সাংসদ। রাজভবন থেকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে বেরিয়ে আসার পরে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে বিজেপির স্পনসর প্রার্থী কেউ হতে যাবে কেন? বিজেপির সঙ্গে মতাদর্শ সম্পূর্ণ ভিন্ন। যে যেখানে খুশি প্রার্থী হতে পারে! তবে বিজেপিও লড়াই দেবে এবং জিতবে। রেশন দুর্নীতির প্রসঙ্গও সোমবার রাজভবনের সামনে সুকান্তর সাংবাদিক সম্মেলনে উঠে আসে। তিনি বলেন, ‘‘চুরি করেছে। তদন্ত হয়েছে, জেলে গিয়েছে তৃণমূলের নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুই জানতেন না! প্রশাসন জানত না! এটা কী করে হতে পারে? অপেক্ষা করুন। বালু, আলু অনেকেই যাবেন জেলে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় ‘গনি খান’ মিথ কি শেষ! লোকসভায় মৌসমকে চাইছে না তৃণমূলের বড় অংশ

    Malda: মালদায় ‘গনি খান’ মিথ কি শেষ! লোকসভায় মৌসমকে চাইছে না তৃণমূলের বড় অংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘গনি খান’ মিত কি ভাঙছে মালদায়! গনিখান চৌধুরীর ছবির উপর ভর করে একসময় এই জেলায় বাজিমাত করত কংগ্রেস। বাম আমলে গনি খান চৌধুরীর নামটাই ছিল কংগ্রেসের তুরুপের তাস। তাই এই পরিবারের সদস্যদের আলাদা গুরুত্ব ছিল সব সময়। সব রাজনৈতিক দলই আলাদা নজরে দেখত এই পরিবারের সদস্যদের। কয়েক বছর আগেই মালদার (Malda) বুকে কংগ্রেসে ব্যাপক ভাঙন ধরিয়ে হাজার হাজার অনুগামী নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মৌসম বেনজির নূর। তিনি এখন রাজ্যসভার সদস্য। সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে পার্টির প্রার্থী হওয়া নিয়ে দলের অন্দরে জোট চর্চা শুরু হয়েছে। দলের একটা বড় অংশের কর্মীরা মৌসমকে আর লোকসভার প্রার্থী করতে চাইছেন না। তারা রীতিমতো গণস্বাক্ষর করে রাজ্য নেতৃত্বের দ্বারস্থ হতে চলেছেন।

    কেন ক্ষোভ? (Malda)

    বেশ কয়েক বছর আগেই কংগ্রেস ছেড়ে মৌসম তৃণমূলে যোগ দেন। গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি হেরে যান। তবে, তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে রাজ্যসভায় সাংসদ নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু, সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে মালদায় (Malda) দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, বাড়ি গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হত। অনেক সময় ঠিক মতো করে কথাও বলতেন না নেত্রী। আপদে বিপদেও নেত্রীকে পাশে পাওয়া যায়নি। ফলে দলের মধ্যেই বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁর বিরুদ্ধে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। একসময় যারা মৌসুমের অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তাঁরাও ধীরে ধীরে নেত্রীকে পাশে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। কয়েক মাস পরেই হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। স্বাভাবিকভাবেই মৌসমকে নিয়ে ফের জেলার রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছে। কিন্তু, নিচুতলার কর্মীদের একটা বড় অংশ তাঁর থেকে সরে গেছে। তাই এবার লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে চাইছেন না। শুধুমাত্র গনি খান চৌধুরীর পরিবারের সদস্য বলে মৌসমকে যাতে প্রার্থী না করে রাজ্য নেতৃত্ব তাই একটা অংশ গণ স্বাক্ষর করে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দরবার করতে চলেছেন। তাঁর পরিবর্তে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে দলের জেলার সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সিকে অনেকে চাইছেন।

    তৃণমূল নেত্রী মৌসম নূর কী বললেন?

    তৃণমূল নেত্রী মৌসম নূর বলেন, দলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকতেই পারে। এটা নিয়ে চর্চার দরকার নেই। কিছু মানুষের মনে মান-অভিমান থাকতে পারে, সেটা মিটে যাবে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেকের নেতৃত্বে এখানে তৃণমূল ফের শক্তিশালী হবে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের মালদার (Malda) জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, প্রার্থী ঠিক করার বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্ব করে।  এখানে আমাদের কিছু বলার নেই। আর এই নিয়ে কে কী দাবি করছে তা আমার জানা নেই। তাই, এই বিষয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share