Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Purba Medinipur: সমবায়ের অনুষ্ঠানেই বিজেপির কর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Purba Medinipur: সমবায়ের অনুষ্ঠানেই বিজেপির কর্মীদের বেধড়ক মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায়ের অনুষ্ঠানে বিজেপির উপর তৃণমূলের ব্যাপক আক্রমণের অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) মহিষাদলে। অনুষ্ঠানের মধ্যে চলে হাতাহাতি, চেয়ার ছোড়াছুড়ি। ঘটনায় বেশ কিছু বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রতিবাদে বিজেপি রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ জানায়। যদিও ঘটনায় শাসক দল, বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগকে অস্বীকার করেছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Purba Medinipur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্যের সমবায়ের শতবর্ষের উদযাপন অনুষ্ঠান। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) মহিষাদলের জালপাই সমবায়েও একই ভাবে অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল। ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এলাকার তৃণমূল বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী সহ পঞ্চায়েত, ব্লক এবং জেলা প্রশাসনের নানান সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে ডাক পাননি বিজেপি পরিচালিত ইতামগরা ২ পঞ্চায়েতের প্রধান রামকৃষ্ণ দাস। এরপর এলাকার বিজেপি কর্মীরা প্রধানের নেতৃত্বে উপস্থিত হন অনুষ্ঠানে। তারপর পুলিশের সামনেই তৃণমূলের কর্মীরা আচমকা বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করে বলে অভিযোগ। কার্যত বিজেপির কর্মীদের উপর লাঠি, বাঁশ, চেয়ার ছুড়ে একতরফা ব্যাপক মারধর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা।

    ঘটনায় বিজেপির বক্তব্য

    অনুষ্ঠানে মারধরের পর বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের এই আক্রমণের বিরুদ্ধে তেরপেখ্যা কাপাসএড়্যা (Purba Medinipur) সড়কে অবস্থান বিক্ষোভ করে। বিজেপির প্রধান রামকৃষ্ণ দাস বলেন, “এলাকায় মানুষের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে তৃণমূল নিজের গায়ের জোরে শতবর্ষের অনুষ্ঠান করেছে। এই সমবায়ে সকলের অধিকার রয়েছে। বাইরে থেকে লোক এনে অনুষ্ঠান করলে আমরা প্রতিবাদ করি। এই প্রতিবাদের জন্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর হামলা করে। পুলিশের সমানেই আমাদের উপর বেধড়ক মারধর চলে। পুলিশ কোনও রকম সক্রিয়তা দেখায়নি। পুলিশ যদি দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আগামী দিনে বড় আন্দোলন করবো।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের মহিষাদলের (Purba Medinipur) বিধায়ক তিলক চক্রবর্তী বলেন, “সমবায়ের অনুষ্ঠানের কারা আসবেন তা ঠিক করার একমাত্র অধিকার রয়েছে নির্বাচিত বোর্ডের। বিজেপি সর্বত্র অশান্তির সৃষ্টি করছে। শুভেন্দুর নির্দেশেই এলাকায় গোলমাল করছে বিজেপি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: ৮ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা! জালের শিকড় খুঁজতে ভিনরাজ্যে পাড়ি পুলিশের

    Fraud: ৮ হাজার কোটি টাকার প্রতারণা! জালের শিকড় খুঁজতে ভিনরাজ্যে পাড়ি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়দায় কল সেন্টারের আড়ালেই চলত বিশাল প্রতারণা চক্র। আমেরিকা, কানাডার নাগরিকদের অ্যাকাউন্ট সাফ করার অভিযোগ উঠেছিল প্রতারকদের বিরুদ্ধে। প্রায় আট হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ প্রতারকদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ ১৭ জনকে গ্রেফতার করে। এবার সেই প্রতারণার আট হাজার কোটি টাকা কোন কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রাখা হয়েছে, তারই হদিশ শুরু করেছে বারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ। ইতিমধ্যে বিদেশে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। অধিকাংশ অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। যে সব ব্যাঙ্কের হদিশ পেয়েছে পুলিশ, তাদের কাছে নথি চেয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। এই বিশাল চক্রের পিছনে বড় কোনও মাথা রয়েছে। তার মাধ্যমেই সমস্ত প্রতারণা (Fraud) চক্রটি অপারেট করা হত। ভিনরাজ্য সে গা ঢাকা দিয়ে বসে রয়েছে বলে পুলিশের আশঙ্কা। তার খোঁজেই ভিন রাজ্যে যাচ্ছে কমিশনারেটের একটি টিম।

    দুবাই, ব্যাঙ্কক বার বার যেত প্রতারকরা (Fraud)

    বলরাম হাসপাতালে কাছে একটি বাড়িতে ঘরভাড়া নিয়ে প্রতারণা (Fraud) চক্র চলত। সৈয়দ শাহাবাজ হাসান ঘর ভাড়া নিয়েছিল। সন্ধ্যে সাতটা থেকে সারারাত ধরে অফিস চলত। ভোরের দিকে কর্মীরা বাড়ি চলে যেত। সারারাত ধরে চলত প্রতারণা চক্র। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বুলেট সহ দামি দামি বাইক নিয়ে কর্মীরা কাজ করতে আসত। পুলিশ তদন্ত নেমে জানতে পেরেছে, প্রতারকরা বিলাসবহুল জীবনযাপন করত। একাধিকবার দুবাই ও ব্যাংকক যাওয়ারও তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। সেখানে তারা কেন বার বার যেত সেই এটাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। কয়েকদিন আগে দেরদুন থেকে কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল, তারা প্রত্যেকেই পাঁচতারা হোটেলে ছিলেন। বিদেশে যে অ্যাকাউন্টগুলিতে টাকা রাখা হত, সেখানে কোনও চক্র রয়েছে কিনা সেটাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। বিটকয়েন এবং হাওলার মাধ্যমে ওই টাকা আসত বলে পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে।

    ভয়েস চেঞ্জারের মাধ্যমে বিদেশিদের সঙ্গে কথা বলত প্রতারকরা

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকরা মূলত ভয়েস চেঞ্জারের মাধ্যমে বিদেশিদের সঙ্গে  কথা বলে প্রতারণা (Fraud) করত। তাঁদের কম্পিউটারের অ্যান্টি ভাইরাসের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছে, নতুন করে অ্যান্টি ভাইরাস দেওয়ার জন্য তারা লিংক পাঠাত। সেই লিংকে ক্লিক করলেই অ্যাকাউন্টের ডিটেলস চলে আসত প্রতারকদের কাছে। এরপর খড়দায় বসেই কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিত প্রতারকরা। আমেরিকা এবং কানাডার ৭০-৮০ জন প্রবীণ নাগরিকের প্রতারিত হওয়ার হদিশ মিলেছে। গত ১৮ অক্টোবর একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে খড়দহ থানা এলাকার বলরাম হাসপাতালের কাছে একটি কল সেন্টারে হানা দেয় খড়দা থানার পুলিশ। তদন্তে নেমে ৮ হাজার কোটি টাকার হদিশ মিলেছে। সব মিলিয়ে ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তা কী বললেন?

    বারাকপুরের গোয়েন্দা প্রধান শ্রীহরি পান্ডে বলেন, সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদের কাছে থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Medical College: ডাক্তার বলেছিলেন পায়ের এমআরআই, করা হল মাথার! ব্যাপক শোরগোল

    North Bengal Medical College: ডাক্তার বলেছিলেন পায়ের এমআরআই, করা হল মাথার! ব্যাপক শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগীর চিকিৎসার জন্য ডাক্তার পরীক্ষা করতে দিয়েছিলেন। আর এই পরীক্ষা করতে গিয়েই বিরাট গোলমালের ঘটনা ঘটল। ডাক্তার দিয়েছেন পায়ের এমআরআই করতে, আর মেডিক্যাল করেছে মাথার এমআরআই। এমন ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (North Bengal Medical College)। ঘটনায় রোগীর পরিবার ইতিমধ্যেই হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেছেন। কিন্তু কীভাবে ঘটল এমন ঘটনা? রীতিমতো ঘটনায় তোলপাড় হাসপাতালে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    রোগীর বক্তব্য (North Bengal Medical College)?

    রোগী আবুবক্কর সিদ্দিকি বলেন, “হাসপাতালে (North Bengal Medical College) গেলে চিকিৎসক আমাকে দেখে ভর্তির কথা বলেন। এরপর আমাকে এমআরআই করতে বলেন। কিন্তু প্রথমে আমি তারিখ পাইনি। এরপর আমি বেশ কিছুদিন ধরে ঘুরলেও পরীক্ষার জন্য তারিখ মিলছিলনা। এরপর আমি বাইরের এক দালালকে কিছু টাকা দিলে অবশেষে তারিখ পাই। গত ১৫ তারিখে ডাক্তারের কাছে রিপোর্ট নিয়ে গেলে ডাক্তার বলেন, এটা পায়ের নয় মাথার প্লেট।” সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার দাসপাড়ায় রোগীর বাড়ি। তিনি একটি মাদ্রাসার মৌলবি।

    রোগীর আত্মীয়র বক্তব্য

    রোগীর ভুল পরীক্ষার কারণে, হাসপাতালের (North Bengal Medical College) বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজের আবুবক্করের আত্মীয় হাকিমুল ইসলাম বলেন, “আমরা দোষীর শাস্তি চাই। টাকা ছাড়া এখানে কোনও কাজ হয় না। ভুল রিপোর্ট দিয়ে রোগীকে বাঁচানোর থেকে আরও অসুবিধার মধ্যে ফেলা হচ্ছে। হাসপাতালে যদি এমন হয়, আমরা তাহলে কোথায় যাবো?”

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    ভুল রিপোর্টের কথা স্বীকার করে হাসপাতাল (North Bengal Medical College) কর্তৃপক্ষের আসিস্ট্যান্ট সুপার গৌতম দাস বলেন, “নাম নথিভুক্ত করার সময় ভুল করা হয়েছে। দালাল চক্রের বিষয়ে আমরা খোঁজ নেবো। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। হয় তো তিনি কোনও প্রকার খপ্পরে পড়ে ছিলেন।”

    উল্লেখ্য, রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার সময় হাসপাতালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। ফলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেখানে সরকারি হাসপাতালে সুরক্ষিত নন, সেখান সাধারণ মানুষের কী অবস্থা বোঝাই যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: চারটি সরকারি হাসপাতাল ঘুরেও রোগীর মিলল না চিকিৎসা! তারপর কী হল জানেন?

    Khardah: চারটি সরকারি হাসপাতাল ঘুরেও রোগীর মিলল না চিকিৎসা! তারপর কী হল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসুস্থ রোগীকে নিয়ে পরিবারের লোকজন চার-চারটি সরকারি হাসপাতালে ঘুরে বেড়ালেন। কোনও হাসপাতালেই মিলল না ঠাঁই। বাধ্য হয়ে রোগী নিয়ে ফের বাড়ি ফিরলেন পরিবারের লোকজন। এই ঘটনা রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কী বেহাল দশা, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। তবে, বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হতে সোমবার বিকেলে খড়দা (Khardah) বলরাম হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Khardah)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়দার (Khardah) রহড়া আজমতলার বাসিন্দা তনুশোভা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার সকালে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। শরীরে তিনি খিচুনি অনুভব করেন। পরিবারের লোকজন তাঁকে প্রথমে বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। রোগীর অবস্থা দেখে জানানো হয়, ব্রেন স্ট্রোক হয়েছে। অন্যত্র নিয়ে যেতে হবে। রোগীকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর স্ক্যান করা হয়। পরে জানানো হয়, ব্রেন স্ট্রোক নয়, নিউরোর সমস্যা। এরপর এনআরএস হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কোনও চিকিৎসা মেলেনি। সোমবার রোগীকে নিয়ে যেতে বলা হয়। সেখানে চিকিৎসা না পেয়ে তাঁরা বাঙ্গুর হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যান। সেখানেও রোগীর কোনও চিকিৎসা না করেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ফলে, চারটি হাসপাতাল ঘুরে কোথাও তাঁর ঠাঁই মেলেনি। অবশেষে পরিবারের লোকজন দিনভর হাসপাতালে হাসপাতালে রোগী নিয়ে ঘুরে বাড়়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    পরিবারের লোকজন বলেন, রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু, চারটি বড় বড় সরকারি হাসপাতাল ঘুরেও কোনও চিকিৎসা পেলাম না। সরকারি হাসপাতালে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কেউ নেই। কোনও চিকিৎসা পেল না রোগী। পরে, বিষয়টি জানাজানি হতে সোমবার খড়দা (Khardah) হাসপাতালে রোগীকে ভর্তি করা হয়। আমাদের প্রশ্ন, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বলে কি কিছু নেই? রোগী নিয়ে এত হয়রানি হওয়ার পর স্বাস্থ্য দফতরের টনক নড়েছে। এখন রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতদিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কী করছিল?

    বিএন বসু হাসপাতালের সুপারের কী বক্তব্য?

    বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালের সুপার এনামুল হক বলেন, কী রোগ নিয়ে রোগী ভর্তি হয়েছিলেন জানি না। তবে, স্ট্রোক হয়ে থাকলে আমাদের চিকিৎসা করা হয়। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে বড় জয় বিজেপির, ধর্মতলার সভায় অনুমতি দিতে পুলিশকে নির্দেশ

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে বড় জয় বিজেপির, ধর্মতলার সভায় অনুমতি দিতে পুলিশকে নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৯ নভেম্বর কলকাতায় মহা সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিজেপি। অভিযোগ ছিল, এ নিয়ে কলকাতা পুলিশের অনুমতি মিলছে না। জল গড়ায় হাইকোর্ট (Calcutta High Court) পর্যন্ত। অবশেষে বড় জয় পেল বঙ্গ বিজেপি। ২৯ নভেম্বরের সভায় অনুমতি দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চে (Calcutta High Court) এই মামলাটি ওঠে এবং সেখানেই বিচারপতি পুলিশকে নির্দেশ দেন যে সভার অনুমতি দিতে হবে।

    কী বললেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা?

    বিচারপতি (Calcutta High Court) রাজাশেখর মান্থা এদিন কলকাতা পুলিশকে তুলোধনা করে বলেন, ‘‘স্বাধীন দেশে মানুষ যেখানে মন চায় যাবে। কোনও কারণ ছাড়াই পর পর দু’বার সভার অনুমতি বাতিলের কারণ কী? অনুমোদন বাতিলের দু’টি চিঠি দিয়েছে পুলিশ। অথচ একটিতেও আপত্তির কারণ লেখা নেই। খুব বিস্মিত হচ্ছি পুলিশের এমন জবাব দেখে। কী শর্ত দেবে সেটা পুলিশ ঠিক করুক। কিন্তু অনুমতি দিতে হবে পুলিশকেই। সবার সমানাধিকার থাকা উচিত। কোনও কারণ না দেখিয়ে দু’বার অনুমতির আবেদন খারিজ করা হয়েছে। এতেই সন্দেহের উদ্রেক হয়।’’

    ধর্মতলায় বিজেপির সভা

    প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ যে রাজনৈতিক রং দেখে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে টাকা দেওয়া হচ্ছে না এই যুক্তিতে গত অগাস্টেই অভিষেক ও তাঁর দলবল দিল্লিতে একপ্রস্থ নাটক শুরু করেন। সেই নাটকের আঁচ পরবর্তীকালে দেখা যায় রাজভবনের সামনেও। তখনই বঙ্গ বিজেপি ঘোষণা করে, রাজ্যে যে সমস্ত মানুষদের শাসক দল কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত করেছেন, তাদের নিয়ে বড় সভা করা হবে কলকাতায়। ঠিক যেখানে একুশে জুলাই প্রতি বছর শহিদ দিবস পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস, সেই ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়ার সামনেই সভা করার আবেদন জানায় রাজ্য বিজেপি। তবে কলকাতা পুলিশের কাছে আবেদন করা হলেও তারা কোনও রকম অনুমতি দেয়নি। বিজেপির অভিযোগ, কোনও রকম কারণ না দেখিয়ে পরপর দুবারই বিজেপির আবেদন খারিজ করেছে পুলিশ। পরে এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) হস্তক্ষেপ চায় রাজ্য বিজেপি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: মালদার পর বর্ধমান, এখানেও রোগীদের খাটিয়ায় নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে!

    Purba Bardhaman: মালদার পর বর্ধমান, এখানেও রোগীদের খাটিয়ায় নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ নিদান দিয়েছিলেন, “রাস্তা খারাপ হলে কেউ মারা যান না। মারা যান ভাগ্য খারাপ হলে।” তৃণমূলের উন্নয়ন এবং পথশ্রী যে ব্যর্থ, তা আরও একবার প্রমাণিত হল বর্ধমানে (Purba Bardhaman)। মালদার পর বর্ধমান, এখানেও রোগীদের খাটিয়ায় নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। সমস্যাটা জানেন বিডিও, চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে জেলা আধিকারিক সকলেই। তবুও দুর্ভোগ চলছেই। বর্ষাকালে এই রাস্তার হাল কহতব্য নয়, ঠিক এমনটাই জানাচ্ছেন গ্রামবাসীরা। পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান সদরের বন্ডুল গ্রামের আদিবাসীপাড়ায় রাস্তার অবস্থা এতটাই বেহাল। প্রশাসনের কাছে রাস্তা নির্মাণের দাবি জানানো হলেও মিলছে না সমাধানসূত্র। উল্লেখ্য মালদায় খারাপ রাস্তার কারণে খাটিয়া করে রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মৃত্যু হয়। এরপরই প্রশাসনের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

    নেতারা শুধু প্রতিশ্রুতি দেন, ক্ষোভ

    আদিবাসী পাড়ার এক ব্যক্তি দুলন সর্দার বলেন, “গ্রামের (Purba Bardhaman) ভিতরে আসা যাওয়া করতে প্রচণ্ড অসুবিধা হচ্ছে। কেউ অসুস্থ হলে খাটিয়া করেই জীবিত মানুষকে নিয়ে যেতে হয় হাসপাতালে। এলাকা থেকে হাসপাতাল প্রায় দশ কিলোমিটার দূরে। খারাপ রাস্তার কারণে রোজ স্কুল যেতে ব্যাঘাত ঘটছে পড়ুয়াদের। আর বর্ষাকালে রাস্তায় হাঁটাচলা করাই সমস্যা।” আরেক বাসিন্দা রবিলাল বাস্কে বলেন, “নেতারা শুধু প্রতিশ্রুতি দেন। ভোট নিয়ে যান। গ্রামের ভিতরে এই রাস্তাটুকু চলার অযোগ্যই থেকে যায়।”

    বেহাল রাস্তায় ক্ষুব্ধ গ্রামের মানুষ

    গ্রামের (Purba Bardhaman) বাসিন্দা বাবু বেসরা বলেন, “এলাকায় দীর্ঘদিনের রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছে। দশ বছর ধরে আবেদন নিবেদন করলেও পঞ্চায়েত থেকে বি.ডি.ও এবং বিধায়ক থেকে জেলা পরিষদ, বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদকে অভিযোগের কথা জানালেও কোনও সমাধান হচ্ছে না। প্রশাসনের বিন্দুমাত্র সমস্যা নিয়ে হুঁশ নেই।”

    প্রশাসনের বক্তব্য

    তবে বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের (Purba Bardhaman) চেয়ারম্যান কাকলি তা বলেন “হঠাৎ করে ওই পাড়াটি গ্রামের ভিতরে গড়ে তুলেছেন আদিবাসীরা। নিজেদের আত্মীয় এনে বসতি গড়েছেন। পাড়ার ভিতরে কিছুটা রাস্তা হলেও মূল রাস্তার সাথে এখনও সংযোগ করা যায়নি।” তিনি স্বীকার করেন অসুবিধা আছে। তবে এও জানান, একটি পরিবার বারো কাঠা জায়গা দিলে তবেই রাস্তাটি হতে পারে। এই যুগে কে এই রাস্তার জন্য জমি দেবে? এনিয়ে জটিলতা রয়েছে। জমি অধিগ্রহণও হয়নি বলে তিনি জানান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: পেনশনের টাকায় দরিদ্র শিশুদের নিখরচায় পড়াশোনা করাচ্ছেন শিক্ষক

    Dakshin Dinajpur: পেনশনের টাকায় দরিদ্র শিশুদের নিখরচায় পড়াশোনা করাচ্ছেন শিক্ষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষকতার পাশাপাশি দরিদ্র, অসহায় বাচ্চাদের পড়াশোনা করাতেন শিক্ষক। নিজের বেতনের টাকা থেকে পয়সা বাঁচিয়ে শিক্ষাদান করতেন শিশুদেরকে। দেখতে দেখতে হয়ে গিয়েছে ২৫টা বছর। ১৯৯৮ সালে ৩০ জন হতদরিদ্র পরিবারের শিশুদের নিয়ে পথচলা শুরু করে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) কুশমণ্ডি ব্লকের জয় রাধা সুদর্শন লাল নীলকণ্ঠ স্বর্গ সংস্থা। থাকা-খাওয়া, পড়াশোনা সবই একেবারের নিখরচায়। কিন্তু বারবার আবেদন করেও এখনও মেলেনি সরকারি স্বীকৃতি। যা নিয়ে হতাশ কর্তৃপক্ষ, আবাসিকরা।

    কে এই শিক্ষক (Dakshin Dinajpur)?

    শিক্ষকতা থেকে অবসর নেওয়ার পরে পেনশনের টাকা টাকা দিয়ে অসহায় শিশুদের লেখাপড়া করিয়ে যাচ্ছেন বালুরঘাটের বাসিন্দা রঞ্জিতকুমার দত্ত। তিনি এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন শুধুমাত্র গ্রামীণ এলাকার অসহায় শিশুদের জন্য। বালুরঘাটে বাড়ি হলেও শিক্ষকতার সূত্রে রঞ্জিতবাবুর যোগাযোগ শুরু হয় কুশমণ্ডি ব্লকের মালিগাঁও পঞ্চায়েত এলাকার সঙ্গে। তিনি বাগডুমা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। মাস গেলে বেতন পাওয়া নিয়ে কোনও অসুবিধে ছিল না। কিন্তু স্কুলের ছাত্র সংখ্যার অভাব দেখে তাঁর মনে প্রশ্ন জাগে, কেন পড়ুয়ার সংখ্যা কম? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে স্কুলে এসে বেরিয়ে পড়তেন আশেপাশের গ্রামগুলোতে।

    কেন শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা?

    এলাকায় (Dakshin Dinajpur) পড়াশোনার ভাবনা একেবারই ছিল না। দারিদ্রতা ছিল এর প্রধান কারণ। তাই নিজের বেতনের পয়সা থেকে একটা করে ব্ল্যাকবোর্ড কিনে ষোলোখানা টোল খুলেছিলেন সেই সময়। সন্ধ্যায় পাড়ার শিক্ষিত ছেলেদের তুলে এনেছিলেন পড়ানোর কাজে। যাঁরা পড়াতেন তাঁদেরকেও বেতন দিতেন ৫০, ১০০ করে টাকা। বালুরঘাট ছেড়ে নিজেও রাত্রিবাস করা শুরু করেন বাগডুমা গ্রামে। সুফল পেয়েছিলেন হাতেনাতে। ১৯৯৮ সালে অসহায় শিশুদের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান খুলবেন বলে ঠিক করেন। এগিয়ে আসেন বাগডুমা স্কুলের পাশে মস্তৈল গ্রামের কাইচালু সরকার। তাঁর দান করা পতিত ৮৪ শতক জমিতে পাটকাঠির বেড়ায় ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে জয় রাধা সুদর্শন লাল নীলকণ্ঠ স্বর্গ প্রতিষ্ঠান। আশেপাশের জেলা থেকে ছাত্ররা আসতো। এলাকার দরিদ্র ছেলেদের ওই প্রতিষ্ঠানে রাখার ভাবনা থাকলেও পাশের জেলার গাজোল, দৌলতপুর বুনিয়াদপুর কিংবা ইটাহার ব্লক থেকেও অনাথ শিশুরা চলে আসতে শুরু করে।

    শিক্ষকের বক্তব্য

    শিক্ষক রঞ্জিতবাবু বলেন, ‘কারও বাবা, কারও মা নেই। তাই যতদিন চাকরি করেছি ওদের তিনবেলা খাওয়া-থাকা সমস্ত খরচ নিজের বেতন থেকে চালিয়েছি। এখন অবসর নিলেও হাল ছাড়িনি। পেনশনের টাকা দিয়ে আশ্রমের কাজ করে যাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, “এলাকার (Dakshin Dinajpur) পরিচিত মানুষদের কাছ থেকে সাহায্য নিই। আর বাকিটা নিজের পেনশনের টাকা দিয়ে চলে সব খরচ। এই পরিস্থিতিতে অনাথ শিশুদের তিনবেলা খাবার জোগাড় করতে হয় বলে ছাত্রবৃদ্ধির কোনও ভাবনায় নেই। ৩০ জনের তিনবেলা খাওয়া, মাস গেলে ইলেক্ট্রিক বিল, তিনজন শিক্ষকের সাম্মানিক ছাড়াও আরও অজস্র খরচ”।

    মেলেনি সরকারি স্বীকৃতি

    আজ ২৫ বছর হলেও নীলকণ্ঠ প্রতিষ্ঠানকে ব্লক বা জেলা প্রশাসন (Dakshin Dinajpur) কেন আশ্রমের স্বীকৃতি দেয়নি? রাজ্য সরকার সুপারিশ করেনি কেন? উত্তরে রঞ্জিতবাবু বলেন, ‘১৫ বছর ধরে কাগজপত্র জমা দিয়েছি অফিসে সরকারি স্বীকৃতি পাবো বলে। মনমতো হয়নি, তাই স্বীকৃতি দেয়নি।’ এমন আক্ষেপের সুর তাঁর গলায় বাজতে থাকে। তিনি চান প্রতিষ্ঠানটি সরকারি স্বীকৃতি পাক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার দুই মাওবাদী নেতা, তাঁদের কাছে থেকে কী পেল পুলিশ?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেফতার দুই মাওবাদী নেতা, তাঁদের কাছে থেকে কী পেল পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কি মাওবাদীরা নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠল। মুর্শিদাবাদ থেকে দুই মাও নেতাকে গ্রেফতার করার ঘটনা সেই সন্দেহকে নতুন করে উস্কে দিল। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে পিস্তল ও বুলেট উদ্ধার করেছে। কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad)  সুতি থেকে মন্টু মল্লিক ও প্রতীক ভৌমিক নামে দুই মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল ও ৬’টি বুলেট।

    চলছিল তথ্য জোগাড় (Murshidabad)  

    সাত মাস আগে মাওবাদী নেতা প্রদীপ মণ্ডল ওরফে ‘ডাক্তারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জেরা করে কলকাতা পুলিশ জানতে পারে, বাংলাদেশ সীমান্তে ‘মাও করিডর’ তৈরির কাজ করছে ঝাড়খণ্ডের মাওবাদীরা। তথ্য পেয়ে পুলিশ দুই মাও নেতাকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, মন্টু মল্লিক ওরফে রবি বা ভজা নামে পরিচিত। বেহালার সরশুনা এলাকার বারুইপাড়া রোডের বাসিন্দা তিনি। অন্যদিকে প্রতীক ভৌমিক ওরফে কাঞ্চনের বাড়ি নদিয়ার ধানতলায়। কলকাতা পুলিশের এসটিএফ-এর হাতে আগেও গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। তখনই পুলিশ জানতে পারে, তিনি মাও কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। তবে সে-ব্যাপারে পুলিশের হাতে উপযুক্ত কোনও প্রমাণ ছিল না।

    বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার পথে গ্রেফতার

    কিন্তু তাঁর ওপরে ধারাবাহিক নজরদারি চালিয়ে যায় পুলিশ। তাঁর মোবাইলও ট্র্যাক করা হয়। একটা সময় পুলিশ নিশ্চিত হয়, ঝাড়খণ্ড ও রাজ্যে মাওবাদী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মন্টু এবং প্রতীক। তখন থেকেই প্রতীক ও মন্টুর ওপর নজর রাখতে শুরু করে এসটিএফ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ১৮ নভেম্বর গভীর রাতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সূতি এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে পুলিশ পৌঁছয়। পুলিশ জানতে পারে, ওই এলাকার একটি গোপন স্থানে দুই মাওবাদী নেতা বিশেষ বৈঠকে যোগ দিতে যাবেন। বাইকে করে যাওয়ার পথেই তাদের গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Collapse: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ ধসে আটকে বাংলার তিন যুবক, উদ্বেগে পরিবার

    Uttarkashi Tunnel Collapse: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ ধসে আটকে বাংলার তিন যুবক, উদ্বেগে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিন রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে উত্তরাখণ্ডের কাশীতে টানেলের (Uttarkashi Tunnel Collapse) ভিতরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আটকে পড়েছেন হুগলির আরামবাগের পুরশুড়ার দুই যুবক। তাঁদের নাম সৌভিক পাখিরা এবং জয়দেব প্রামাণিক। সৌভিকের বাড়ি পুরশুড়া থানার হরিণাখালি গ্রামে। আর জয়দেব নিমডাঙ্গির বাসিন্দা। আটদিন ধরে তাঁরা আটকে থাকায় পরিবারের লোকজন উদ্বিগ্ন।

    পুজোর ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন (Uttarkashi Tunnel Collapse)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সৌভিক কলকাতার আশুতোষ কলেজ থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা করে একটি বেসরকারি কোম্পানির চাকরিতে যোগ দেন উত্তরাখণ্ডে। ৯ মাস আগে ওই কোম্পানির চাকরি করতে যান তিনি। পুজোর ছুটিতে তিনি বাড়িতেও এসেছিলেন। ছুটি কাটিয়ে আবার ফিরে যান কাজে। উত্তরাখণ্ডে পাহাড়ের ভিতর দিয়ে ট্যানেলের মাধ্যমে রাস্তা তৈরির কাজ চলছিল। সেখানেই কাজ করছিলেন সৌভিক ও জয়দেব। কাজ চলাকালীন পাহাড়ে ধস নেমে ট্যানেলের (Uttarkashi Tunnel Collapse) মুখ বন্ধ হয়ে গিয়ে আটকে পড়েন সৌভিক ও জয়দেব। তারপর উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন। কিন্তু কোনওভাবেই সৌভিক ও জয়দেবের সঙ্গে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করতে পারেননি।

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    সৌভিকের মা লক্ষ্মী পাখিরা বলেন, গত ১১ নভেম্বর রাতে সৌভিকের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল। তারপর থেকে আর কোনও যোগাযোগ করা যায়নি। ট্যানেলে (Uttarkashi Tunnel Collapse) আটকে রয়েছে। অক্সিজেন ও খাবার পাঠিয়েছে। ওখানে থাকা লোকেদের সঙ্গে ওয়াকিটকির মাধ্যমে তাদের কথাবার্তা হয়েছে বলেই জানতে পেরেছি। জয়দেবের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, জয়দেবের কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়েছে। তবে, জয়দেবের খোঁজ মেলেনি। সুস্থ আছে বলে জানতে পেরেছি। দিল্লি থেকে নতুন মেশিন নিয়ে এসে বসানো হয়েছে, যাতে খুব তাড়াতাড়ি তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

    কোচবিহারের যুবকও আটকে 

    আরামবাগের মতো কোচবিহারের মানিক তালুকদার নামে এক যুবকও ট্যানেলের (Uttarkashi Tunnel Collapse) ভিতরে আটকে রয়েছেন। তাঁর বাড়ি তুফানগঞ্জের চেকাডরা গেরগেন্দার এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ মাস আগে তিনি কাজ করতে গিয়েছিলেন। পরিবারের লোকজনের বক্তব্য, ১১ নভেম্বর শেষ কথা হয়েছিল। এখন কেমন আছে তা বুঝতে পারছেন না। কেউ খোঁজ দিলে খুব ভাল হয় বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Visva Bharati: প্রাক্তন উপাচার্যের বাড়িতে ঢুকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ, করা হল ভিডিও

    Visva Bharati: প্রাক্তন উপাচার্যের বাড়িতে ঢুকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ, করা হল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলায় দায়ের হওয়া অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে বীরভূম জেলার পুলিশ। এদিন প্রাক্তন উপাচার্যের বাড়তিতে ঢুকেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় করা হয়েছে ভিডিও রেকর্ডিং এবং পুরো প্রক্রিয়াকে লিখিত আকারে নেওয়া হয়েছে। শেষে প্রাক্তন উপাচার্যকে দিয়ে সইও করানো হয় বলে জানা গিয়েছে।

    রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাত (Visva Bharati)

    বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজের কার্যকালে একাধিক বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে গিয়েছিলেন। শাসক দলের নেতারা ক্যাম্পাসে দৌরাত্ম্য চালায়। তৃণমূলের নেতাদের অবৈধভাবে জায়গা দখল, পৌষমেলা বন্ধ, মেলার মাঠে বেআইনি দখল, বসন্ত উৎসবের নামে অপসংস্কৃতি থেকে শুরু করে ক্যাম্পাসে দেওয়াল দেওয়া ইত্যাদি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন তিনি। সর্বোপরি অমর্ত্য সেনের জমি দখলকে ঘিরে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সংঘাতে গিয়েছিলেন তিনি। ফলে শাসক দল, পুলিশকে দিয়ে প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স্বার্থে প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বলে মনে করছে অনেকেই।

    ফলক বিতর্ক

    বিদ্যুৎ চক্রবর্তী উপাচার্য থাকার সময় ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সম্মান পাবার পর থেকেই বিশ্বভারতী (Visva Bharati) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পসের একাধিক জায়গায় ফলক লাগানো হয়। আর তা থেকে শুরু হয়েছিল তুমুল বিতর্ক। বিতর্কের কারণ ছিল ফলকে উপাচার্য হিসাবে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী, আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর নাম ছিল। ছিল না রবীন্দ্রনাথের নাম। আর নাম না থাকার কারণে বিভিন্ন মহলে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল।

    নোটিশ পাঠিয়েছিলেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সদস্য

    এই ফলক বিতর্কের জন্যই বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) প্রাক্তন উপাচার্যকে নোটিশ পাঠিয়েছিল পুলিশ। সূত্রে জানা গিয়েছে, এই নোটিশে মূল অভিযোগ করেছিলেন শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনার। গত ১৪ নবভেম্বর বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে শান্তিনিকেতন থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। উল্লেখ্য, এই ফলকে নাম নিয়ে রাজ্যের রাজ্যাপাল সিভি আনন্দ বোসও তৎকালীন উপাচার্যের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছিলেন। যদিও ইতিমধ্যেই বিশ্বভারতীর ফলক পরিবর্তনের জন্য নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। গঠন করা হয়েছে চার সদস্যের একটি কমিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share