Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Jyotipriya Mallick: রেশন কেলেঙ্কারিতে জ্যোতিপ্রিয়র ১০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেল ইডি

    Jyotipriya Mallick: রেশন কেলেঙ্কারিতে জ্যোতিপ্রিয়র ১০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ এবং জেরায় এখনও পর্যন্ত এক হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই দুর্নীতির মামলায় রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমান ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। এছাড়াও রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আগেই প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হয়েছেন। ফলে শাসক দল তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে জেলে থাকায় তৃণমূল যে চাপের মুখে, তা রাজনীতির একাংশ মানুষ মনে করছেন।

    রেশন দোকান থেকে টাকা তোলা হত (Jyotipriya Mallick)

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রায় ২১ হাজার ৩০০ টি রেশন দোকান আছে। অধিকাংশ রেশন দোকান থেকে মাসে ৪ হাজার করে টাকা তোলা হত বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের শাসনে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) টানা দশ বছর খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। এই দশ বছরে প্রত্যেক রেশন দোকান থেকে মাসে মাসে টাকা তুলতেন। ফলে ইডি অনুমান করছে, প্রায় ৭০০ কোটি টাকা পর্যন্ত তোলা হয়। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ভুয়ো দোকানের সংখ্যা প্রায় ৩০০র থেকে বেশি বলে সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রের পাঠানো ন্যায্যমূল্যের রেশনকে দুর্নীতি করে খোলা বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। হিসাবে আরও জানা গিয়েছে, গত ৮ বছরে এখান থেকে ১৫০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এছাড়াও অনুমোদিত দোকানগুলি থেকে দুর্নীতি-সিন্ডিকেটের সদস্যরা রেশন সামগ্রী বাজারে বিক্রির করে ২০০ কোটি টাকা তুলেছে বলে মনে করছেন ইডির অফিসাররা। এভাবেই রেশন কেলেঙ্কারিতে জ্যোতিপ্রিয়র ১০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির খোঁজ পেয়েছে ইডি।

    মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক থেকে উদ্ধার ডায়েরি

    প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া ডায়েরির তথ্যে জানা গিয়েছে, বাকিবুর রেশনের ডিস্ট্রিবিউটর, ডিলার এবং রেশন দোকানের মালিকদের কাছ থেকে কোটি কোটি কালো টাকা আদায় করতেন। গত দশ বছর ধরে এই ভাবেই দুর্নীতির টাকা আদায় করেছেন মন্ত্রী এবং বাকিবুর।

    এই টাকা কোথায় গেল?

    তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে মাত্র ৫০ কোটি টাকার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। বেশির ভাগ টাকার এখনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। রেশনের বণ্টনের দুর্নীতির টাকা ৫০-৫০ ভাগ হত। একভাগ যেত বাকিবুর এবং সহযোগীদের কাছে। আর অপর আরেক ভাগ যেত মন্ত্রীর কাছে। ইডি মনে করছে, দুর্নীতির একটা বড় অংশের টাকা বিদেশে চলে গিয়েছে। তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) পর্যন্ত টাকা শুধু পৌঁছায়নি। টাকা আরও অনেক প্রভাবশালীদের কাছে পৌঁছেছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

    তদন্তকারী অফিসারের বক্তব্য

    ইডির এক তদন্তকারী অফিসার জানান, “বাকিবুরের পরিবারের সদস্য এবং মন্ত্রীর (Jyotipriya Mallick) স্ত্রী, মেয়েকে ডিরেক্টর করে মোট তিনটি সংস্থা খোলা হয়েছিল। এই সংস্থার মাধ্যমে ২০ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়। কিন্তু এর মধ্যে ১০ কোটি টাকা মন্ত্রী এবং মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরিয়ে রাখা হয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar:  চা শ্রমিকদের নিয়ে উত্তরে ফের বাজিমাত করতে তৈরি হচ্ছে বিজেপি

    Alipurduar: চা শ্রমিকদের নিয়ে উত্তরে ফের বাজিমাত করতে তৈরি হচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তৃণমূলের ছন্নছাড়া অবস্থা। আলিপুরদুয়ারে বিশিষ্ট আইনজীবী তথা তৃণমূল নেতা জহর মজুমদার প্রকাশ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়ে দলত্যাগ করেছেন। প্রবীণ এই নেতার দলত্যাগের ফলে দলীয় কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। দলীয় নেতৃত্ব চাপে রয়েছেন। এই অবস্থায় লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি। এবার আলিপুরদুয়ারের রণকৌশল ঠিক করতে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং-এ করলেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির সাত বিধায়ক ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার উপস্থিতিতে এই মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।

    বৈঠকে কী আলোচনা হয়? (Alipurduar)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির পক্ষ থেকে তিনটি ধাপে বৈঠক শুরু করা হয়েছে। ২০২৪ সালে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) আসনটি বিজেপি দখল করতে পারে তার রুপরেখা তৈরি করা। বুথ ভিত্তিক দলের সার্বিক অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংগঠনকে আরও মজবুত করতে কর্মীদের কী কী করা দরকার তা নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। নির্বাচনে জন্য রণকৌশল ঠিক করা হয়। চা বাগান,পুরসভা ও বস্তিকেন্দ্রিক এই তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মূলত চা বাগানের শ্রমিকেরা এই এলাকায় মস্তবড় ভোট ব্যাঙ্ক। তাই, বঞ্চিত শ্রমিকদের পাশে থেকে তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে কর্মীদের সোচ্চার হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি?

    বিজেপির আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার সভাপতি মনোজ টিজ্ঞা বলেন, বাগানে অনেক ইস্যু রয়েছে। চা বাগানের জন্য রাজ্য সরকার কিছু করছে না। শ্রমিকদের পিএফ এর টাকা দিচ্ছে না। এফআইআর হলেও মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিচ্ছে না রাজ্য সরকার। এই বিষয় নিয়ে দলীয় কর্মীদের চা শ্রমিকদের পাশে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  আলিপুরদুয়ারে বিশিষ্ট আইনজীবী তথা তৃণমূল নেতা জহর মজুমদার সম্প্রতি টিএমসি দলত্যাগ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি বিজেপিতে এলে স্বাগত জানানো হবে। তাতে লাভ হবে আমাদের। আর আলিপুরদুয়ারে টিএমসি চালাচ্ছে বিজেপি। টিএমসি বিজেপি নেতাদের ধার করে নিয়ে দল চালাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: হাতে নয়, পেট দিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে মহম্মদ শামির ছবি এঁকে নজির গড়লেন নদিয়ার তুহিন

    Nadia: হাতে নয়, পেট দিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে মহম্মদ শামির ছবি এঁকে নজির গড়লেন নদিয়ার তুহিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে গোটা দেশে এখন উন্মাদনা তুঙ্গে। বিশ্বকাপে নিজের ক্যারিশ্মায় দেশবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন ক্রিকেটার মহম্মদ শামি। ক্রিকেটার মহম্মদ শামির ছবি পেট দিয়ে এঁকে এক অনন্য নজির গড়লেন নদিয়ার (Nadia) চাপড়ার অঙ্কন শিল্পী তুহিন মণ্ডল।

    পেট দিয়ে ছবি আঁকলেন শিল্পী

    আজ বহু অপেক্ষিত বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। যেখানে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতাই মাঠে নামবে। যদিও গোটা ভারতবাসীর স্বপ্নের জালে শুধুই জয়। ঠিক তেমনি নদিয়ার (Nadia) চাপড়ার অঙ্কন শিল্পী তুহিনবাবু তার পেট দিয়ে এঁকে একে ফেললেন জয়ের গুরু দায়িত্ব সামলানোর মহম্মদ শামির ছবি। ভারতের ১৩৫ কোটি মানুষের স্বপ্নের জালে শুধুই বিশ্বকাপ জয়। যার নেপথ্যে অন্যতম নাম শামি। আর সেই  ছবি এঁকে সকলের মন জয় করলেন শিল্পী তুহিন। তবে, হাতে নয়, দুহাত ছাড়াও পেট দিয়ে ছবি এঁকেছেন এই শিল্পী ।

    কী বললেন অঙ্কন শিল্পী?

    শিল্পীর এই শিল্পকলা চাক্ষুষ দেখার জন্য ভিড় করেছেন ক্রীড়া প্রেমীরা। নদিয়া (Nadia) জেলার চাপড়ার বড় অন্দুলিয়ার বাসিন্দা তুহিন মণ্ডল ছোট থেকে বাবার কাছে তার আঁকা শেখা। তবে সেভাবে কোনও শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে আঁকা শেখেননি। নিজের চেষ্টায় তিনি শিল্পী হিসেবে পারদর্শী হওয়ার পর পেটকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন রং তুলির মাধ্যমে। তবে এবার বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে একজন দেশবাসী হিসেবে সর্বোপরি একজন শিল্পী হিসাবে বিশ্বকাপের জয়ের প্রার্থনায় অপরূপ তাঁর এই প্রচেষ্টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে কত আবেগ রয়েছেন তুহিনবাবু। অঙ্কন শিল্পী তুহিনবাবু বলেন, ভবিষ্যতে যদি কখনও মহম্মদ শামির কাছে পৌঁছাতে পারি, তাহলে তাঁর হাতে এই ছবি তুলে দিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করব। আমরা চাইব, মহম্মদ শামি আগামীদিনে ক্রিকেটার এক অনন্য নক্ষত্র হয়ে উঠুক। যার নাম ইতিহাসের পাতায় অক্ষরে অক্ষরে লেখা থাকবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মামনির মৃত্যুতে টনক নড়ল প্রশাসনের, ২ কোটি টাকা খরচে হচ্ছে রাস্তা

    Malda: মামনির মৃত্যুতে টনক নড়ল প্রশাসনের, ২ কোটি টাকা খরচে হচ্ছে রাস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুবার গ্রামবাসীরা দরবার করেছিলেন। কাজ হয়নি। প্রশাসন রাস্তা তৈরির বিষয়ে কোনও গা করেনি। কিন্তু, হতশ্রী রাস্তার জন্য যেভাবে একজনের প্রাণ গেল, তার দায় রাজ্য সরকারের। এলাকার মানুষ সেই সরকারের গাফিলতিকে তুলে ধরে শনিবার রাস্তা অবরোধে সামিল হয়েছিলেন। মালদার (Malda) বামানগোলায় মালডাঙিতে বেহাল রাস্তার জন্য মামনি রায় নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হতেই টনক নড়ে প্রশাসনের। অবশেষে বামানগোলায় মালডাঙিতে রাস্তা তৈরির আশ্বাস দিলেন বিডিও। সূত্রের খবর, বিডিও এবং বামোনগোলা থানার আইসি লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে রাস্তা।

    রাস্তা তৈরির আশ্বাস নিয়ে অবরোধকারীরা কী বললেন? (Malda)

    মালদার (Malda) মালডাঙা গ্রাম থেকে গঙ্গাপ্রাসাদ কলোনি পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে। তার জন্য প্রায় ২ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। অবরোধকারীদের সামনে  লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেই ওঠে অবরোধ। অবরোধকারীদের বক্তব্য, পথশ্রী প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ চাকা খরচ করে রাস্তা তৈরির কথা বলা হলেও এই রাস্তা তৈরিতে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। বার বার বলার পরও কোনও কাজ হয়নি। মর্মান্তিক মৃত্যুর পরই প্রশাসন নড়েচড়ে বসল। এলাকাবাসীর দাবি মেনে রাস্তা তৈরি হলে মামনির প্রাণ এভাবে যেত না।

    প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন মালডাঙা গ্রামের গৃহবধূ মামনি রায়। শুক্রবার তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুল্যান্সের খোঁজ শুরু করেন বাড়ির লোকজন। অভিযোগ, রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ যে ওই এলাকায় ঢুকতে চায়নি কোনও অ্যাম্বুল্যান্সই। অনেকে বেশি টাকা দাবি করেন। অগত্যা খাটিয়া করেই মামনি দেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যান গ্রামের লোকজন। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। বাঁচানো যায়নি ওই গৃহবধূকে। এই ছবি সামনে আসতেই জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদি মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী আবার বলেছেন, রাস্তার জন্য নয়, ভাগ্যে ছিল তাই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। তাঁর মন্তব্যেও উঠেছে বিতর্কের ঝড়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দেওয়ার নামে গিমিক করছেন’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দেওয়ার নামে গিমিক করছেন’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী এখন গেরুয়া খুঁজে বেড়াচ্ছেন। ভোগীদের চোখে গেরুয়া আগুন লাগবেই। কারণ, গেরুয়া হচ্ছে ত্যাগের প্রতীক। আর তিনি এখন ভোগী হয়ে গেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোগী বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার এক বর্ধিত সাধারণ সভার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরিতে এই কথা বলেন তিনি।  

    ভোট পরবর্তী হিংসায় চাকরি দেওয়া নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসায় চাকরি দেওয়ার ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময় নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari) বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃতদের তালিকা আগে প্রকাশ করুক সরকার। তৃণমূলের হয়ে বোম মারতে গিয়ে যারা মারা গেছেন তাদেরকে সুবিধা দিতে সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা, যারা গণতন্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের আত্ম বলিদান দিয়েছেন তাদের নাম হয়তো এই তালিকায় থাকবে না। এমনই আশঙ্কা করেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, আদালতে ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃতদের যে তালিকা আছে তার ভিত্তিতেই সরকারি সুবিধা বা চাকরি দেওয়া হোক। এছাড়াও তিনি বলেন, এই সামান্য বেতনের অস্থায়ী হোম গার্ডের চাকরি না দিয়ে রাজ্য সরকার ভোট পরবর্তী হিংসায় শুধু পঞ্চায়েত ভোট নয় ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পরেও যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারের একজনকে স্থায়ী সরকারি চাকরি দিক। লোকসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি দেওয়ার নামে গিমিক করছেন। এমনই অভিযোগ করেন তিনি।

    আইনমন্ত্রী প্রসঙ্গে কী বললেন শুভেন্দু?

    মলয় ঘটককে ইডি-র তলব নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, কয়লাকাণ্ডের ডায়েরিতে এমজি বলে একটি নাম লেখা ছিল। তাঁকে ৫০ লক্ষ টাকা মাসে দিতে হত। এই এম জি কে তা সবাই জানেন। মলয় ঘটকের পিএ-র স্ত্রী নিউ টাউন, আসানসোলে কত সম্পত্তি রয়েছে তা সকলেই জানেন। আমরা রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে খুব শীঘ্রই আমরা অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দেখতে চাই। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: হুগলিতে সারের ব্যাপক দুর্নীতি! বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে, মাথায় হাত কৃষকদের

    Hooghly: হুগলিতে সারের ব্যাপক দুর্নীতি! বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে, মাথায় হাত কৃষকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে তৃণমূলের শাসনে দুর্নীতির শেষ নেই। শিক্ষক নিয়োগ, রেশন বণ্টন, পুরসভা নিয়োগ, কয়লা, বালি, পাথর, মাটি, টিকিট বিক্রি এমনকী মৃতদেহের মতো এবার কৃষকের সার নিয়েও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সার বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। কার্যত চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। আলুচাষের মরসুমে সারের কালবাজারির খোঁজ মিলতেই এবার হানাদিল হুগলি জেলা পুলিশ। হুগলির (Hooghly) গ্রামীণ এলাকায় ডিএসপি নিমাই চৌধরির নেতৃত্বে সিঙ্গুরে বেশ কিছু সারের দোকানে অভিযান চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় বেশ কিছুসময় ধরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সারের কারবারে কালবাজারি শুরু করেছে বলে খবর ছিল। জেলার ব্লকগুলির মধ্যে এই সময় একটা বিরাট চক্র চলছিল। আর তাই পুলিশের তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। বিরোধীরা অবশ্য অভিযোগ করছেন সব দুর্নীতির মধ্যে তৃণমূল নেতাদের ভাগ রয়েছে।

    চাষিদের মূল অভিযোগ কী?

    শীতের শুরুতেই আলু চাষের পাশাপাশি সর্ষে, গম, ভুট্টা এবং সবজি ফলনের একটা সময় পর্ব চলে। সিঙ্গুরের চাষিরা জানিয়েছেন, “এই সময় চাষের জমিকে প্রস্তুত করতে চাষিরা ফসলের জমিতে সার দিতে হয়। ফলে সারের চাহিদা বাজারে বেশি থাকে। আর এই চাহিদায় সঙ্কট তৈরি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা সারের কালোবাজারি করে। নির্ধারিত মূল্যের থেকে দ্বিগুণ মূল্যে সার বিক্রি করা চলছে এলাকায়। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না।” চাষিদের আরও অভিযোগ যে গোডাউনে সার মজুত রেখে বাজারে কৃত্রিম চাহিদার আবহ তৈরি করে চলছিল রমরমা সারের ব্যবসা। প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাই সারের দাম নিয়ে কালোবাজারি বন্ধের অভিযোগ জানায় কৃষকরা। আর তাই অভিযোগ উঠতেই পুলিশ প্রশাসন, সিঙ্গুরে (Hooghly) একেবারে সক্রিয় হয়ে হানাদেয় বলে জানা যায়।

    পুলিশের বক্তব্য

    হুগলি (Hooghly) জেলার ডিএসপি পুলিশ আধিকারিক নিমাই চৌধরি বলেন, “আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। বেশ কিছু দোকানে সারের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। তাই আমরা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে দোকানে দোকানে দাম যাচাই করছি। সারের বিক্রিতে দামে গরমিল পেলে আইন অনুয়ায়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরপর সারা জেলাজুড়ে এই তাল্লাশি চলবে।” তবে কালোবাজারি রুখতে পুলিশ অতিরিক্ত সার মজুত আছে কিনা সেই বিষয়ে নজর রাখছেন। মজুত করা থাকলে সারের হিসাবের বিষয়টিকেও দোকানে দোকানে মিলিয়ে দেখেছেন পুলিশ আধিকারিক। দোকানে সারের মূল্যের তালিকা রয়েছে কিনা, সেই দিকগুলিও খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সকল দোকানের মালিককে বলা হয়েছে সারের মূল্যের তালিকা দোকানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ‘দুর্নীতিগ্রস্তদের দিয়ে দল চালাচ্ছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী’, বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    South 24 Parganas: ‘দুর্নীতিগ্রস্তদের দিয়ে দল চালাচ্ছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী’, বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। অভিযোগের তির সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী ও বর্তমান নামখানা ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে আবারও প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দুই অঞ্চল সভাপতির পদ নিয়েই প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। আর যারজন্য তৃণমূলের এক পক্ষের পক্ষ থেকে দায়ী করা হচ্ছে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রীকে। এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে অনেকটাই অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গঙ্গাসাগর বিধানসভার নামখানা ব্লকের শিবরামপুর অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি বীরেন্দ্রনাথ গিরির অভিযোগ বর্তমান সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ২০২১ সালে নির্বাচনে জিতে মন্ত্রী হবার পর নিজের মন্ত্রিত্ব বজায় রাখতেই নামখানা সহ বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষদেরকে দিয়ে তৃণমূলের সংগঠন চালাচ্ছেন। এমনকী নামখানা ব্লকের বর্তমান ব্লক সভাপতি অভিষেক দাসের বিরুদ্ধেও চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন তিনি। তাঁর আরও দাবি, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী নিজের মন্ত্রিত্ব বজায় রাখতেই এই সমস্ত দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষদেরকে দিয়ে সংগঠন চালাচ্ছেন। নামখানা ব্লকের ব্লক সভাপতি অভিষেক দাস পরিকল্পিতভাবে আমার পার্টি অফিসে তালা মেরেছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব কী বললেন?

    শিবরামপুর অঞ্চলের বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি পলাশ জানা বলেন, বীরেন্দ্রবাবু পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোট হয়ে নামখানা ব্লকে বিজেপিকে জেতানোর চেষ্টা করেছিল। তাই দল তাকে বহিষ্কার করেছে। তবে, এই বিষয় নিয়ে প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি বীরেন্দ্র গিরির দাবি, দলের পক্ষ থেকে এখনও সেই ধরনের কোনও নির্দেশ তার কাছে আসেনি। এমনকী দলের এই দুর্নীতির অভিযোগ তিনি দলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর কাছে তুলে ধরার জন্যই পরিকল্পিতভাবে আমাকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি বীরেন্দ্র গিরির এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার নামখানা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে তাঁকে শাস্তির দাবি তুলে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন তৃণমূল কংগ্রেস অন্য গোষ্ঠীর কর্মীরা। অন্যদিকে, মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরাকে বার বার ফোন করা হলে তিনি ফোন না তোলায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সোশ্যাল মিডিয়া কনভেনার অরুনাভ দাস বলেন, তৃণমূল একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দল। এটা আমাদের কোনও অভিযোগ নয়। তৃণমূলের নেতারাই এই দুর্নীতির কথা বলছে। সাধারণ মানুষ দেখছে। সময় আসলেই মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পুত্র সন্তান চেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, বিষ দিয়ে চার কন্যাকে হত্যার চেষ্টা বাবার!

    South 24 Parganas: পুত্র সন্তান চেয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া, বিষ দিয়ে চার কন্যাকে হত্যার চেষ্টা বাবার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা চাইছেন ছেলে, কিন্তু একে একে চার কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ায় একাবারেই খুশি ছিলেন না বাবা। এই নিয়ে পরিবারে রোজ ঝগড়া, অশান্তি হতো। পরিবারের মধ্যে ব্যাপক গোলমাল চলছিল। মেয়েরা রীতিমতো বাবার কাছে চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এরপর স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে চার কন্যা সন্তানকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল বাবারই বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে শনিবার বিষের ক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে এক কন্যার। বাকি দুই কন্যা বেশ গুরুতর সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে দুই কন্যা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে বলে খবর। ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিং থানার বালুইঝাঁকা গ্রামে। পুলিশ অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় মানুষ এই অভিযুক্ত বাবার বিরুদ্ধে কোঠর শাস্তির দাবি করেছেন।

    অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় (South 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুইঝাঁকা (South 24 Parganas) গ্রামের এই ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম আমিনুদ্দিন সর্দার। দাম্পত্য কলহের প্রধান কারণ হল তাঁর ছেলে সন্তান চাই। কিন্তু পরপর চারটি মেয়ে হয়। কেন পুত্র সন্তান হচ্ছে না সেই নিয়েই মূল বিবাদ পরিবারে। স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তির পর কন্যাদের হত্যার পরিকল্পনা করেন বাবা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চারজনের মধ্যে তিনজনকে পানীয়ের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে খাওয়ান বাবা। ইতি মধ্যে রাবেয়া সর্দার নামক এক কন্যার মৃত্যু হয়েছে। আয়েশা এবং রাচেয়া নামক আরও দুই কন্যা গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বর্তমানে চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    অভিযক্তের বক্তব্য

    এই ঘটনায় ক্যানিংয়ের (South 24 Parganas) অভিযুক্ত আমিনুদ্দিন সর্দার বলেন, “স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া হয়েছে তাই কন্যাদের বিষ প্রয়োগ করেছি।” সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত ১০ নভেম্বর পানীয় জলের মধ্যে বিষ মিশিয়ে খাইয়েছিলেন কন্যাদের। তবে এক মেয়ে খায়নি। বাকি তিনজন এই বিষ খেয়েছিল। তবে কেন এমন ঘটনা ঘটল এই বিষয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘জার্সির রঙ গেরুয়া হলে মুখ্যমন্ত্রী কি গঙ্গায় ঝাঁপ দেবেন’’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘জার্সির রঙ গেরুয়া হলে মুখ্যমন্ত্রী কি গঙ্গায় ঝাঁপ দেবেন’’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপে ভারতীয় দল গেরুয়া জার্সি পরে কেন প্র্যাকটিস করবে? শুক্রবার পোস্তাতে ব্যবসায়ী সমিতির জগদ্ধাত্রী পূজার উদ্বোধনে এই প্রশ্ন তোলেন মমতা। এ নিয়ে শনিবারই মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। দিলীপবাবু বলেন, ‘‘ভারতীয় টিমের জার্সির রঙ যদি গেরুয়া হয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রী কি গ্যালারি থেকে ঝাঁপ দেবে নাকি গঙ্গায় ঝাঁপ দেবেন?  এদেশকে গেরুয়া হিসেবে লোকে চেনে। ভারতের জার্সির রং গেরুয়াই করা উচিত। এতদিন কেন করেনি সেটাই প্রশ্ন।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী শুধু বলতেই পারেন কিছু করার ক্ষমতার ওনার নেই।’’

    আরও পড়ুুন: জমির দালাল থেকে তৃণমূলের প্রধান, রকেট গতিতে উত্তরণই কাল হল রূপচাঁদের

    দলীয় কাজে মুর্শিদাবাদে দিলীপ ঘোষ

    প্রসঙ্গত দলীয় সংগঠনের কাজে এখন মুর্শিদাবাদের রয়েছেন দিলীপ ঘোষ। শনিবার সকালেই প্রাত ভ্রমণে বের হন বিজেপি নেতা। তখনই বহরমপুরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি (Dilip Ghosh) এবং সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘হল্যান্ডের লোকেরাও তো গেরুয়া পরে ওটা কি হিন্দু রাষ্ট্র হয়ে গেছে নাকি? উনি শুধু কটাক্ষই করতে পারবেন। আর কিছু পারবেন না।’’

    আরও পড়ুন: ব্যক্তিস্বার্থে নয়, সমষ্টির জন্য কাজ করাকেই ধর্ম বলে, জানালেন আরএসএস নেতা মনমোহন বৈদ্য

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ইস্যু পাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জার্সির রঙের সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক দূরদূরান্ত পর্যন্ত নেই। কারণ ২০১১ সালে লাল জার্সি পরে প্র্যাকটিস করত ধোনি বাহিনী। সেবার বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারতীয় দল। খুব স্বাভাবিকভাবে এখন যদি কেউ প্রশ্ন তোলেন জার্সির রঙ লাল কেন? তা অবান্তর প্রশ্ন ছাড়া কিছুই নেই। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দুর্নীতি ইস্যুতে কোনঠাসা মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে কোনও ইস্যু খুঁজে না পাওয়াতেই শেষ পর্যন্ত ক্রিকেটের গেরুয়াকরণ নিয়ে সোচ্চার হচ্ছেন মাননীয়া। কোনও কোনও মহলের মতে, এক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের লক্ষ্য বোর্ডের সচিব জয় শাহ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Murshidabad: মন্দিরের পাম্প থেকে জল নয় বেরিয়ে এল দুধ! অলৌকিক ঘটনা নয় তো? তীব্র চাঞ্চল্য

    Murshidabad: মন্দিরের পাম্প থেকে জল নয় বেরিয়ে এল দুধ! অলৌকিক ঘটনা নয় তো? তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাসন ধুতে গিয়ে সাবমার্সিবল পাম্প থেকে জল নয় বেরিয়ে এলো দুধ! যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ উপস্থিত মানুষের। ঘটনা ঘটেছে সাগরদিঘীর (Murshidabad) পাটকেলডাঙ্গা অঞ্চলের বাসন্তী বুড়িতলা মায়ের মন্দিরে। দীপাবলীর উৎসবের শেষ দিনে বিভিন্ন জায়গার পাশাপাশি এই মায়ের মন্দিরেও মেলায় বেশ লোকসমাগম হয়েছিল। ব্যাপক প্রসাদ এবং ভোগের আয়োজন ছিল মন্দিরে। কিন্তু মায়ের মন্দিরের কলে জলের বদলে দুধ বের হলে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বিজ্ঞানমঞ্চের সদস্যরা বলছেন, কোনও রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে থাকতে পারে। পরীক্ষা করলে বোঝা যাবে, ঘটনা অলৌকিক ভাবার কোনও প্রয়োজন নেই। 

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (Murshidabad)?

    মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সাগরদিঘী ব্লকের পাটকেলডাঙ্গা অঞ্চলের বাসন্তী বুড়িতলা মায়ের মন্দিরে দীপাবলি উৎসব উপলক্ষে চলছিল মেলার আয়োজন, সেই সঙ্গে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের খিচুড়ি খাওয়ার ব্যবস্থা করেন পুজো কমিটি। খাওয়া-দাওয়ার পরেই বেলা বারোটা নাগাদ, যখন সবাই বাড়ি চলে গিয়েছে, সেই সময় খিচুড়ি রান্নার হাঁড়ি-কড়াই ধোয়ার সময়, জল আনতে গেলে, জলের বদলে বেরিয়ে আসে দুধ। যা দেখে রীতিমতো অবাক সকলে। ঘটনায় মন্দির চত্বরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়ে যায়। পুজো কমিটির অনেকেই সেই দৃশ্য দেখে ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন সেখান থেকে। হঠাৎ করে জলের বদলে কী বেরোচ্ছে? কিছুক্ষণ দেখার পর এই দৃশ্য মোবাইলের ক্যামেরায় বন্দি করতে শুরু করে অনেকেই। এমনকী অনেকে খেয়েও দেখেন একেবারে দুধের মতই স্বাদ। কেউ কেউ বলছেন মায়ের কৃপায় এই দুধ। আবার অনেকেই বলছেন কোথা থেকে এলো এই দুধ, কেনই বা এসেছে দুধ! যাকে ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে সাগরদিঘীর বসন্তী বুড়িতলায়।

    বিজ্ঞান মঞ্চের বক্তব্য

    পশ্চিমবঙ্গের বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার কনভেনার সজল বিশ্বাস বলেন, “লাল জল, সবুজ জল, কালো জলের অনেক ঘটনার ঘটে থাকে। মাটির নিচে সিলভার নাইট্রেটের সঙ্গে এইচসিএলের বিক্রিয়া হলে এমন সাদা দুধের তরল তৈরি হতে পারে। মাটির নিচে রাসায়নিক বিক্রিয়ার প্রক্রিয়া সব সময় ঘটতে থাকে। এটা খুব প্রকৃতি সুলভ ঘটনা হতে পারে। বাসন্তী বুড়িতলা মায়ের মন্দিরেও খুব সাধারণ ঘটনা ঘটেছে আমার বিশ্বাস, কেউ আতঙ্কিত হবেন না, অহেতুক ভয় পাবেননা। পরীক্ষা করলেই বাস্তবতার পরিচয় পাওয়া যাবে। সম্পূর্ণ বৈজ্ঞানিক ভাবে একটি প্রাকৃতিক ঘটনা ঘটেছে। অলৌকিক বিষয় ভাবার কোনও কারণ নেই এর মধ্যে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share