Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Alipurduar: মমতা সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিলেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা, ঠিক কী বলেছেন তিনি?

    Alipurduar: মমতা সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিলেন প্রবীণ তৃণমূল নেতা, ঠিক কী বলেছেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা সরকারকে উৎখাত করতে হবে। রাজ্যে একটা ফ্যাসিস্ট সরকার চলছে। এটা বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দলের নেতার কোনও বক্তব্য নয়। তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতার ঘনিষ্ঠ আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) প্রবীণ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা প্রশান্ত নারায়ণ (জহর) মজুমদার এই মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি একথা জানিয়েছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন বর্ষীয়ান ওই তৃণমূল নেতা? (Alipurduar)

    নিজের হাতে তৈরি করা দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কার্যকলাপের বিতশ্রদ্ধ হয়ে এদিন মমতা সরকারকে উৎখাত করতে আমজনতাকেও জোটবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছেন জহরবাবু। জহরবাবু একসময় বিধানসভার প্রার্থী ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন। পাশাপাশি তিনি সরকারি আইনজীবীও ছিলেন। লোকসভা ভোটের আগে শাসক দলের বিরুদ্ধে জহরবাবুর মতো একজন ৮২ বছরের বর্ষীয়ান নেতার এ ধরনের মন্তব্যে জেলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল ফেলে দিয়েছে। জানা গিয়েছে, উদ্যান পালন দফতরে আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তদন্তের দাবি জানিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। সেই ঘটনার তদন্ত কিছুই হয়নি। উলটে কেন তিনি অভিযোগ জানিয়েছিলেন তারজন্য প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন এই তৃণমূল নেতা। তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, সরকারি আর্থিক তছরুপ নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে কোনও সুবিচার হয় না। এ রাজ্যে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। গণতন্ত্রকে ফেরাতে বিরোধী সব দলকে সব মানুষকে একজোট হতে হবে। যেখানে যে দল শক্তিশালী সেই দলকে শক্তিশালী করে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। জহরবাবু দাবি করেন, দলে পুরানোদের কোনও মর্যাদা নেই। যারা শাসক দলে এখনও রয়েছেন তাদের ৭০ শতাংশ মানুষও এই দলের উপর তিতিবিরক্ত হয়ে রয়েছেন। ওই মানুষগুলো সামনের লোকসভা ভোটে শাসক দলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠবেন।

    কী বললেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি?

    তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক  বলেন, জহর বাবু শ্রদ্ধেয় মানুষ। তিনি ঠিক কি বলেছেন, তা আমার জানা নেই। তাই তাঁকে নিয়ে আগেভাগে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2023: চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর এক ঝলকে জেনে নিন খুঁটিনাটি

    Jagadhatri Puja 2023: চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর এক ঝলকে জেনে নিন খুঁটিনাটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রস্তুতি তুঙ্গে। মেঘলা আকাশ, হালকা বৃষ্টিতে দমেনি পুজো নির্মাতারা। আগামীকাল ১৭ নভেম্বর চতুর্থীর দিন বিকেলেই  চন্দননগরের  উর্দিবাজার, বোরো, দৈবক পাড়া সহ ৬ টি পুজোর উদ্বোধন হতে চলেছে। বাকী পুজোগুলি পরে উদ্বোধন হবে। আসলে চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja 2023) ঐতিহ্য হল সুবিশাল প্রতিমা(সবই প্রায় উচ্চতায় ২০ ফুটের ওপরে), নয়নাভিরাম আলোর জাদু এবং অবশ্যই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এই তিন জাদুকাঠির জেরে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর নাম জগৎজোড়া। এই কদিনে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় করবেন জগতের ধাত্রীকে দর্শন করতে। চন্দননগর জগদ্ধাত্রী পুজোর শুরু থেকে শেষ সবটাই জাঁকজমকপূর্ণ। বৃহস্পতিবার চন্দননগরে নিজেদের  কার্যালয়ে প্রেস মিট করে এবিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন  চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির কর্মকর্তারা।

    কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক কী বললেন? (Jagadhatri Puja 2023)

    কমিটির পক্ষ থেকে সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, এবারে শাস্ত্র মতে ১৯ নভেম্বর জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagadhatri Puja 2023) ষষ্ঠী ও সপ্তমী একইদিনে পড়েছে। ২০ নভেম্বর অষ্টমী। তাই দশমীর দিন পর্যন্ত প্রতিমা থাকবে মণ্ডপে। প্রতিমা নিরঞ্জনের ঐতিহাসিক শোভাযাত্রা হবে আগামী ২৩ তারিখে। ওই দিন সন্ধ্যা ৬ টা থেকে পরদিন ভোরবেলা অবধি শোভাযাত্রা চলবে।  চন্দননগর কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর জুড়ে মোট ১৭৭ টি পুজো হচ্ছে এবারে। এর মধ্যে ৬ টি পুজো বারোয়ারির জুবিলী আছে। এদের মধ্যে কারও ২৫, কারও ৫০, কারও ৬০, আবার কেউ ৭৫ বছরে পদার্পণ করছে। এবারে পুজোর পরিবেশ হবে পরিবেশ বান্ধব। ঠাকুরের ভোগ দেওয়া হবে মাটির ভাঁড়ে। একান্ত প্রয়োজন না হলে প্লাস্টিক ব্যবহার করব না আমরা। প্রতিবছরের ঐতিহ্য মেনে ডিজে বা শব্দবাজির প্রবেশ নিষেধ চন্দননগর এলাকাতে।

    বিসর্জনের শোভাযাত্রা কত পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করতে চলেছে?

    বিশেষ করে বিসর্জনের যে শোভাযাত্রা (Jagadhatri Puja 2023)  বের হয় তা দেখতে রাস্তার দুধারে কাতারে কাতারে লোক আসে দূর দূরান্ত থেকে। তবে, সব পুজো বারোয়ারি শোভাযাত্রায় সুযোগ পায় না। গতবারের মতো এবারও ৬২ টি পুজো কমিটি শোভাযাত্রায় অংশ গ্রহন করবে। প্রতিটি কমিটির সর্বাধিক ৪ টি করে লরি থাকবে। এবার শোভাযাত্রায় মোট ২৩০ টি লরি থাকছে। এবারে কমিটি থেকে নতুন নিয়ম করা হয়েছে , যে লরিগুলিতে প্রতিমা থাকবে অর্থাৎ ৬২ টি লরিতেই  অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র বহন করা বাধ্যতামূলক। এদিন সেন্ট্রাল কমিটি থেকে আরও জানানো হয়, চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট ১৭ টি ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা থাকবে। অগ্নিনির্বাপক দফতরের পক্ষ থেকেও পুজোর কটা দিন গোটা চারেক বড় ভ্যান চন্দননগরের বিভিন্ন জায়গায় রাখা থাকবে। কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়। পাশাপাশি মোবাইল (বাইক বাহিনী) টিমও থাকছে দমকলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: সহায়ক মূল্যে নয়, কম দামে ফড়়েদের কাছে ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন চাষিরা

    Uttar Dinajpur: সহায়ক মূল্যে নয়, কম দামে ফড়়েদের কাছে ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন চাষিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটা করে জেলাজুড়ে চলছে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার জন্য প্রচার। আর চাষিরা সরকারি নির্ধারিত দামের অনেক কমে ফড়েদের কাছে তা বিক্রি করে দিচ্ছে। উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চাকুলিয়া হাট সহ জেলা জুড়ে এই ঘটনা ঘটছে। চাষিরা যাতে সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে পারে তারজন্য প্রশাসনের কোনও উদ্যোগই চোখে পড়ছে না বলে অভিযোগ।

    ফ়ড়ে রুখতে অভিযান চালিয়েও কোনও লাভ হয়নি (Uttar Dinajpur)

    ধান বিক্রিতে ফড়ে-রাজ রুখতে কিছুদিন আগে জেলা (Uttar Dinajpur) জুড়ে বিভিন্ন হাটে সাদা পোশাকে নজরদারি শুরু করেন পুলিশ ও দুর্নীতি দমন শাখার কর্মীরা। প্রশাসন সূত্রের দাবি, সে নজরদারিতেই জেলা জুড়ে বিভিন্ন হাটে ফড়েদের বিরুদ্ধে কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি সহায়ক দামের থেকে কম দামে ধান কেনার অভিযোগ জানতে পেরেছেন খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের কর্তারা। ইতিমধ্যেই ওই দফতরের তরফে জেলার ন’টি ব্লকে মাইক-যোগে কৃষকদের সরকারি সহায়ক দরে ধান বিক্রি করে বেশি লাভ পাওয়ার বিষয়ে প্রচারও শুরু হয়েছে। জেলার ন’টি ব্লকের সমস্ত কিষান মান্ডিতে প্রতি কুইন্টাল ধান ২,২০৩ টাকা  সরকারি সহায়ক দরে কেনার কাজ চলছে। তার মধ্যে অভিযোগ উঠেছে, জেলার বিভিন্ন হাটে কুইন্টাল প্রতি কোথাও ১,৭৫০, কোথাও আবার ১,৮০০-১,৮৫০ টাকায় কৃষকদের কাছ থেকে ফড়েরা ধান কিনছেন। ফড়েদের দাবি, তাঁরা ওই ধান পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে কুইন্টাল পিছু দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা দরে বিক্রি করবেন।

    চাষিদের কী বক্তব্য?

    চাষিদের বক্তব্য, সরকারি সহায়ক দরে ধান বিক্রির তারিখ পেতে অনেক ঝামেলা। তা ছাড়া, ধানের মান খারাপের যুক্তি দেখিয়ে প্রতি কুইন্টালে সাত থেকে ১০ কেজি অতিরিক্ত ধান নেওয়া হয় । ঝামেলা এড়াতে আমি প্রতি ১,৮৫০ টাকা দরে স্থানীয় হাটে ৫০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করেছি।

    খাদ্য দফতরের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    জেলা (Uttar Dinajpur) খাদ্য ও সরবরাহ আধিকারিক সঞ্জীব হালদারের বক্তব্য, সরকারি সহায়ক দরে ধান বিক্রির প্রক্রিয়ায় অনেক সরলীকরণ করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও কোনও কৃষক অসচেতন থেকে যদি নিজের ক্ষতি করে ফড়েদের কাছে ধান বিক্রি করেন, তবে আমাদের কিছু করণীয় নেই। গত বছর জেলায় ১৫টি ধান কেনার শিবির করা হয়েছিল। এ বার ১৯টি শিবির করা হয়েছে। চাকুলিয়া আরও শিবির করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar: জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে নদিয়া থেকে গ্রেফতার ‘মাস্টারমাইন্ড’

    Jaynagar: জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে নদিয়া থেকে গ্রেফতার ‘মাস্টারমাইন্ড’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে (Jaynagar) তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনার সময় যত গড়িয়েছে ততই পরিষ্কার হয়ে উঠছে এই খুনের কারণ। গত সোমবার বাড়ির কাছেই খুন হন তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন। এরপর থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় জয়নগর এলাকায়। তবে নেতা খুনের ঘটনায় দলুয়াখাঁকির যোগ রয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত তদন্তে এমনটাই উঠে এসেছে। এই গোটা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ছিলেন আনিসুর লস্কর এমনটাই পুলিশ সূত্রে দাবি। মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে যে এফআইআর করা হয়েছিল তাতে নাম আছে তার। তাঁর বাড়ি দলুয়াখাঁকি এলাকায়। তিনি এলাকায় সিপিএম কর্মী হিসেবে পরিচিত। নদিয়া থেকে তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সেখানেই তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন।

    কেন খুন করা হল সইফুদ্দিনকে? (Jaynagar)

    পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, সুপারি কিলার দিয়েই জয়নগরে (Jaynagar) তৃণমূল নেতাকে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। তাই, সবকিছুই পরিকল্পনা মতো হয়েছিল। কারণ হিসেবে উঠে আসছে দুটি তথ্য- ১) ক্রমশ এলাকায় সইফুদ্দিন শেষ কথা হয়ে উঠেছিলেন। এমনকী তিনি শাসকদলের নেতা হওয়ায় এলাকায় বিরাট অট্টালিকা থেকে শুরু করে প্রচুর টাকা-পয়সা করে ফেলেছিলেন। ২) একটি জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তাদের ঝামেলা চলছিল। এমনকী পারিবারিক বিবাদও ছিল দীর্ঘদিনের। এমনটাই মনে করছে পুলিশ। প্রায় ১ লক্ষ টাকা সুপারি দেওয়া হয়েছিল। তবে এই গোটা বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই জয়নগর, বকুলতলা, কুলতলি, বারুইপুর, মন্দিরবাজার পুলিশ অফিসারদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এমনকী একটি স্পেশাল পুলিশ টিমও গঠন করা হয়েছে। টিমের মাথায় রয়েছেন পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ।

    খুন কাণ্ডে বড় ভাইয়ের নাম সামনে আসছে, কে সে?

    এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ধৃত সাহারুল লস্করকে জিজ্ঞাসাবাদে যে বড় ভাইয়ের নাম উঠে এসেছে, সেই বড় ভাই কে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত জয়নগর (Jaynagar) খুন কাণ্ডে পুলিশের সামনে নাসির হালদার এবং আলাউদ্দিন নামে দুজনের নাম সামনে এসেছে। এই আলাউদ্দিন নাকি নাসির বড় ভাই, তা এখনও পর্যন্ত  পুলিশ তা জানতে পারেনি। তবে, দুজনের বাড়ি মন্দিরবাজার থানার টেকপাঁজা এলাকায় বলে জানা গেছে। পাশাপাশি ধৃত সাহারুল ঘটনার পর চালতাবেড়িয়ার বাসিন্দা মোতালেফ নামে যে ব্যক্তির বাড়িতে আত্মগোপন করেছিল তিনিও এলাকায় সিপিএম কর্মী বলেই পরিচিত। তবে, ঘটনার পর থেকে সবাই ঘরছাড়া রয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, এরা একদিকে যেমন সিপিএম কর্মী বা সমর্থক বলে এলাকায় পরিচিত ছিল, ঠিক তেমনি কেউ দর্জির কাজ, আবার কেউবা ফেরির কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তবে এই ঘটনায় যে সমস্ত অভিযুক্তের নাম উঠে আসছে তা তাদের সঠিক নাম কিনা তা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অন্যদিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নাকি পারিবারিক শত্রুতার কারণে খুন করা হয়েছে সইফুদ্দিনকে গোটা বিষয়ের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে অবহেলিত বুনিয়াদপুর স্টেশনের শ্রী ফেরাতে উদ্যোগী সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে অবহেলিত বুনিয়াদপুর স্টেশনের শ্রী ফেরাতে উদ্যোগী সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুরে রেল প্রকল্পকে সামনে রেখে প্রচারে নামলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর রেল স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যেই অর্থ বরাদ্দ করেছে রেল। লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলায় রেলের উন্নয়নকে হাতিয়ার করে প্রচারে নেমেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের হস্তক্ষেপে খুব শীঘ্রই রেলের উন্নয়নমূলক কাজের শুভারম্ভ হবে, এমনটাই প্রচার চলছে জেলাজুড়ে।

    বুনিয়াদপুরে কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে?

    জেলার মধ্যে দীর্ঘদিন থেকেই বুনিয়াদপুর রেল স্টেশন অবহেলিত। এখনও দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্ম না থাকার কারণে ট্রেন থেকে যাত্রীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপ দিয়ে নামতে হয়। বুনিয়াদপুরে রেলের জমিতে ওয়াগন ফ্যাক্টরি হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত সেই প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে। বুনিয়াদপুর রেল স্টেশনই দুরপাল্লার ট্রেন ধরতে কুশমণ্ডি, হরিরামপুর ও বংশিহারি ব্লকের মানুষের একমাত্র ভরসা। রেল স্টেশনের পরিকাঠামো উন্নয়নের খবর জানাজানি হতেই খুশির হাওয়া জেলা জুড়ে। বুনিয়াদপুর স্টেশনের দ্বিতীয় প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য ৩.৩২ কোটি ও ফুটব্রিজ তৈরির জন্য ৯.১৯ কোটি সহ প্রায় ১৩ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশনের তরফে এই উন্নয়নের কাজ করা হবে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই স্টেশন উন্নয়নে কেউ উদ্যোগ নেয়নি। স্থানীয় সাংসদের (Sukanta Majumdar) উদ্যোগেই এবার শ্রী ফিরতে চলেছে স্টেশনের।

    রেল প্রকল্পের কাজ নিয়ে কী বললেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, এর আগে তৃণমূলের সাংসদ শুধু পার্লামেন্টে গিয়েছেন, জেলার মানুষের জন্য কিছুই করেননি। জেলার মানুষ আমাকে সুযোগ দিয়েছে, আমি বালুরঘাট, গঙ্গারামপুর এবং বুনিয়াদপুর রেল স্টেশনের মানোনয়ন্ত্রের জন্য রেলমন্ত্রীর কাছে দরবার করি। আমার জেলার মানুষ যেন ভালো রেল পরিষেবা পান সেটা তুলে ধরি। রেলমন্ত্রী আমার আবেদনে সাড়া দিয়ে বুনিয়াদপুর রেল স্টেশন উন্নয়নের জন্য প্রায় ১৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। তৃণমূল একে লোকসভা ভোটের প্রচার বলছে। তাদের সাংসদ করতে পারেননি কেন? আর আমরা দায়িত্ব নিয়ে করে দেখিয়ে দিলাম। কেন্দ্রকে দিয়ে জেলায় রেলের আরও উন্নয়নমূলক কাজ করাব।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, সাংসদের এটা কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। লোকসভা নির্বাচনের আগে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) এর কৃতিত্ব নিতে চাইছেন। আমরা আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি এতদিন করতে পারেননি কেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে এমন চমক দিয়ে কোনও লাভ নেই। জেলায় বিজেপির কোনও সংগঠন নেই। আর সাংসদ জেলায় থাকেন না। সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা তিনি কী বুঝবেন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: উৎসবের মরশুমে ডেঙ্গি বেড়েছে কয়েকগুণ! শীতের শুরুতেও চলছে দাপট!

    Dengue: উৎসবের মরশুমে ডেঙ্গি বেড়েছে কয়েকগুণ! শীতের শুরুতেও চলছে দাপট!

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উৎসবের মরশুমেও চলছে ডেঙ্গির দাপট। বিগত বছরগুলির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ২০২৩ সালের ডেঙ্গির প্রকোপ। শীতের শুরুতে অন্যান্য বছরে ডেঙ্গির প্রকোপ কমে। কিন্তু এ বছর ডেঙ্গি একই রকম ভাবে প্রকোপ জারি রেখেছে। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের মধ্যে সর্বাধিক ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। চিকিৎসক মহলের আশঙ্কা, শীতকালেও ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হবে।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট? 

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা ৭৭ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে। যা দেশের মধ্যে সর্বাধিক। গত বছর রাজ্যের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৭ হাজার। এ বছর ইতিমধ্যেই সেই রেকর্ড ভেঙে গিয়েছে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, উত্তর চব্বিশ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি এই জেলাগুলোতে ডেঙ্গির দাপট এ বছর সবচেয়ে বেশি। তার মধ্যে শুধুমাত্র উত্তর চব্বিশ পরগনাতেই ১০ হাজারের বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। তার পরে রয়েছে কলকাতা ও অন্যান্য জেলা। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, উৎসবের মরশুমে ১০ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে।

    কী বলছে ন্যাশনাল ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ-র রিপোর্ট? (Dengue) 

    কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে ডেঙ্গির তথ্য নিয়ে চাপানউতর চলে। এ বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত রাজ্যের তরফে কোনও তথ্য কেন্দ্রের কাছে পাঠানো হয়নি বলে অভিযোগ। আর তার জেরেই ন্যাশনাল ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ-এর ওয়েবসাইটে পশ্চিমবঙ্গের ডেঙ্গি সংক্রান্ত কোনও তথ্য থাকত না। যদিও অক্টোবরের শেষে রাজ্যের তরফে তথ্য পাঠানো হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একাংশ মনে করছে, পশ্চিমবঙ্গের ডেঙ্গি পরিস্থিতি আরও ভয়ানক। বিশেষত ডেঙ্গিতে মৃত্যুর তথ্য নিয়ে একাধিক প্রশ্ন থাকছে। কিন্তু তার পরেও কেরল, কর্ণাটকের মতো ডেঙ্গিপ্রবণ রাজ্যের তুলনায় ডেঙ্গি আক্রান্তের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ দেশের মধ্যে প্রথম স্থান পেল। যা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    শীতকালেও থাকবে ডেঙ্গির প্রকোপ? (Dengue)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, এ বছর শীতকালেও ডেঙ্গি (Dengue) দাপট দেখাবে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছে, অক্টোবরের শেষে সাধারণ ডেঙ্গির দাপট কমে। নভেম্বর মাসে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই কমতে থাকে। কিন্তু এ বছর নভেম্বরের মাঝামাঝিতেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তাই আশঙ্কা করা যায়, ডেঙ্গি সংক্রমণ হবে। শীতেও রেহাই পাওয়া যাবে না। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, প্রশাসনিক তৎপরতা জরুরি। ডেঙ্গিপ্রবণ এলাকাতে লাগাতার কাজ জরুরি। পরিষ্কারের পাশপাশি ডেঙ্গি যাতে ছড়াতে না পারে, সে নিয়ে লাগাতার কাজ করতে হবে। তা না হলে রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি আরও প্রবল শক্তিশালী হয়ে উঠবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: রাস্তা আটকে চাঁদা আদায়! প্রতিবাদ করতে গিয়ে মাথা ফাটল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের

    Jalpaiguri: রাস্তা আটকে চাঁদা আদায়! প্রতিবাদ করতে গিয়ে মাথা ফাটল অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর চাঁদা আদায়কে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ির আংরাভাসা এলাকায়। ক্লাবের ছেলেদের হাতে আক্রান্ত হন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াংডেন ভুটিয়া ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষী। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী নামিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jalpaiguri)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ির আংরাভাসা এলাকায় একটি ক্লাবে কালীপুজোর অনুষ্ঠান চলছিল। অভিযোগ, সেই সময় ক্লাবের সদস্যরা এশিয়ান হাইওয়েতে গাড়ি থামিয়ে চাঁদা তুলছিলেন। এর ফলে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হয়। তাতে আটকে যায় জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ওয়াংডেন ভুটিয়ার গাড়িও। তাঁর নিরাপত্তারক্ষী গাড়ি থেকে নেমে বিষয়টি দেখতে গেলে চাঁদা আদায়কারীরা তাঁর ওপর চড়াও হন। তাঁকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিজে গাড়ি থেকে নেমে নিরাপত্তারক্ষীকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার জেরে এলাক জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

    কী বললেন আক্রান্ত পুলিশ আধিকারিক?

    জখম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াংডেন বলেন, বেশ কয়েকজন রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে টাকা তুলছিল। রাস্তায় যানজট হচ্ছে বলে আমার নিরাপত্তারক্ষী বিষয়টি দেখতে যান। ওরা তাঁকে মারধর করে। চোখের সামনে নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করতে দেখে আমি তাঁকে বাঁচাতে যাই। ওরা আমার উপর চড়াও হয়।

    জেলার পুলিশ সুপার কী বললেন?

    এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার পুলিশ সুপার খান্ডবহালে উমেশ গণপত বলেন,  রাস্তা আটকে চাঁদা আদায় করা অন্যায়। তারপর পুলিশ আধিকারিকের উপর চড়াও হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Asansol: নতুন বছরের শুরুতে পাঁচটি স্টেশনকে ঢেলে সংস্কারের উদ্যোগ, তালিকায় কাদের নাম রয়েছে জানেন?

    Asansol: নতুন বছরের শুরুতে পাঁচটি স্টেশনকে ঢেলে সংস্কারের উদ্যোগ, তালিকায় কাদের নাম রয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতে আসানসোল (Asansol) ডিভিশনের পাঁচটি স্টেশনকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিল রেলমন্ত্রক। অমৃত ভারত প্রকল্পে এই উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে। ইতিমধ্যে রেল মন্ত্রক অর্থ অনুমোদনও করেছে। আর সেই সব স্টেশনে কাজ শুরু হওয়ার পথে। নতুন করে পাঁচটি স্টেশনকে সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়ায় এলাকাবাসীও খুশি।

    ঢেলে সংস্কার করা হচ্ছে কোন পাঁচটি স্টেশন? (Asansol)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের আসানসোল (Asansol) ডিভিশনের আসানসোল, রানিগঞ্জ, অন্ডাল, পাণ্ডবেশ্বর এবং ঝাড়খণ্ডের কুমারডুবি-এই পাঁচটি স্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ নতুন বছরের গোড়া থেকে শুরু হবে। এর জন্য রেল মন্ত্রক প্রায় ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ইতিমধ্যেই আসানসোল স্টেশনে কাজ শুরু হয়েছে। শুরুতে অমৃত ভারত প্রকল্পে রানিগঞ্জ স্টেশনের নাম ছিল না। অথচ এই স্টেশন ১৮৫৫ সালে তৈরি হয়েছিল। হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল পর্যন্ত রেল চালু হওয়ার পর তা সম্প্রসারণের কাজ বর্ধমান হয়ে রানিগঞ্জ পর্যন্ত হয়েছিল। তাই, এলাকার মানুষ, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সরব হন। রেল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন। পরে এই স্টেশনের নাম নথিভুক্ত করা হয়।

    কী কী উন্নয়নমূলক কাজ করা হবে?

    রেল সূত্রে খবর, রানিগঞ্জে চলমান সিঁড়ি, লিফ্‌ট, আধুনিক যাত্রী প্রতীক্ষালয়, পাণ্ডবেশ্বরে সৌন্দর্যায়ন, অন্ডালে লিফ্‌ট, চলমান সিঁড়ি, ফুট ওভারব্রিজ তৈরি হবে। পাশাপাশি, পাণ্ডবেশ্বর লাগোয়া ঝাঁঝরা, সোনপুর বাজারি খনি থেকে রেলের রেকে প্রচুর পরিমাণে কয়লা পরিবহণ করা হয়। তাই পাণ্ডবেশ্বর স্টেশনটির পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নেরও পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। আর এই কাজের জন্য রানিগঞ্জের জন্য ৩৫ কোটি, পাণ্ডবেশ্বর স্টেশনের জন্য ২১ কোটি, অন্ডালের জন্য ২০ কোটি এবং কুমারডুবি স্টেশনের আধুনিকীকরণের জন্য ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

    রেল আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, প্রথম ধাপে আসানসোলের (Asansol) সঙ্গে বাকি চারটি স্টেশনের কাজও চলবে। নতুন বছরেই কাজ শুরু হবে। আসানসোল রেল ডিভিশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন হল কুমারডুবি। সেখানে নতুন স্টেশন ভবন, অত্যাধুনিক যাত্রী প্রতীক্ষালয়, দু’টি চলমান সিঁড়ি, লিফট তৈরি করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টহীন বীরভূমে প্রশ্নের মুখে এবার তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী

    Anubrata Mondal: কেষ্টহীন বীরভূমে প্রশ্নের মুখে এবার তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর পর বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে কমবেশি করা হয়। ক্ষমতায় আসার পর থেকে তৃণমূল এই কর্মসূচি ঘটা করেই পালন করে। আর তৃণমূলের বীরভূম জেলার ‘বেতাজ বাদশা’ অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) তাঁর খাসতালুকে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করতেন জাঁকজমক করে। কেষ্ট হীন বীরভূমে এবার দুর্গাপুজোর পর কালীপুজো পেরিয়ে গেলেও তৃণমূল বিজয়া সম্মিলনীক আয়োজন করতে পারল না বলে দলের অন্দরেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

    গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া করে হত কেষ্ট-র বিজয়া সম্মিলনী (Anubrata Mondal)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) প্রতি বছর বোলপুরের গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহ ভাড়া করে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করতেন। জেলার সাংসদ, বিধায়ক, ব্লক সভাপতি, জেলাপরিষদের কর্মাধ্যক্ষ, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহসভাপতি, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং দলের শাখা সংগঠনের নেতারা থাকতেনই। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ থাকলেও জেলা স্তরে এখনও বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করতে পারেননি বর্তমান জেলা নেতৃত্ব। কবে হবে সেই আয়োজন, স্পষ্ট নয় সেটাও। দলের কর্মীদের একাংশের দাবি, এর থেকেই পরিষ্কার, অনুব্রত এক বছরের বেশি সময় ধরে না-থাকলেও এখনও দলের ‘ছন্নছাড়া’ ভাবটা কাটেনি। কেষ্ট অনুগামী এক তৃণমূল নেতা বলেন, কেষ্টদা থাকলে এসব ভাবা যেত না। গতবারও বিজয়া সম্মিলনী হয়েছিল সুন্দরভাবে। এবার সেটা হল না। এমনিতেই তিহার জেলে কেষ্ট থাকার পরও দল এতদিন তাঁর উপর আস্থা রেখেছিলেন। কিন্ত, এবার জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানেদের নামের যে তালিকা দলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত হয়েছে, তাতে অনুব্রত মণ্ডলের নাম নেই। ফলে, তাঁকে ছেঁটে ফেলা হল বলেই মনে করছেন অনুব্রতের অনুগামীরা। জানা গিয়েছে, শুধু বিজয়া সম্মিলনী নয়, নিজেদের মধ্যে সমন্বয়, বোঝাপড়ার অভাব, জেলার বিভিন্ন সাংগঠনিক সমস্যা নিয়ে আলোচনাও বকেয়া। সেই জন্য আগামী ২৩ নভেম্বর বৈঠক হতে পারে কোর কমিটির। তার পরেই সিদ্ধান্ত সামনে আসার সম্ভাবনা।

    জেলা তৃণমূলের এক নেতার কী বক্তব্য?

    জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী  বলেন, অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) থাকাকালীন বিজয়া সম্মিলনী জেলা স্তরেই সীমাবদ্ধ ছিল। এবার সেটা ব্লক ও অঞ্চল স্তরে নামানো হয়েছে। সেইজন্য দেরি হচ্ছে। আমরা শীঘ্রই বৈঠক করে এ ব্যাপারে দিনক্ষণ চূড়ান্ত করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: অফিসের চাপ! মুর্শিদাবাদে আত্মহত্যার চেষ্টা সিভিক ভলান্টিয়ারের

    Murshidabad: অফিসের চাপ! মুর্শিদাবাদে আত্মহত্যার চেষ্টা সিভিক ভলান্টিয়ারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি চাকরির চেষ্টা করেও মেলেনি চাকরি। পরে, সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ পান মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলের ইস্তাক আহমেদ রেজা ওরফে পলাশ। কাজ পেয়ে এতদিন ঠিকঠাক ডিউটি করছিলেন। যা বেতন পেতেন ঘরের খেয়ে চলে যেত। আচমকাই তাঁকে বাড়ি থেকে অনেকটাই দূরে ডিউটি দেওয়া হয়। আর তাতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে তাঁর। কারণ, সিভিকদের যা বেতন দেওয়া হয় তাতে বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়া সম্ভব নয় বলে সিভিক ভলান্টিয়ারের পরিবারের লোকজনেক দাবি। গ্রাস করেছিল মানসিক অবসাদ। বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার।

    সিভিক ভলান্টিয়ারের কী বক্তব্য? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ার ইস্তাক আহমেদ রেজা ওরফে পলাশ বহুদিন ধরেই নিজের এলাকা মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলে সিভিক হিসেব কাজ করছিলেন। স্ত্রী, দুই সন্তান নিয়ে তাঁর সংসার। মাসিক বেতন ৯ হাজার টাকা। গত ১০ নভেম্বর থেকে বহরমপুরে ডিউটি করতে হবে তাঁকে। ওই সিভিক ভলান্টিয়ার বক্তব্য, ওই বেতনে প্রতিদিন গাড়ি ভাড়া দিয়ে ডোমকল থেকে বহরমপুর গিয়ে ডিউটি করা সম্ভব নয় তাঁর পক্ষে। আর আমি যা বেতন পাই, তাতে ঘর ভা়ড়া করে পরিবার নিয়ে থেকে খরচ চালানোর অবস্থা নেই। আমার সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরে আমি বাড়ির কাছাকাছি ডিউটি করতে দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য তাঁদের অনুরোধ করেছিলাম। সেকথা বারবার বলা সত্ত্বেও কেউ পাত্তা দেয়নি। আসলে আমি ভাল বেতন পেলে যে কোনও প্রান্তে যেতে পারি। কিন্তু, যা বেতন দেয় তাতে বদলি করার কোনও মানে হয় না। তাই, আমি বহরমপুরে ডিউটি করতে যাইনি। না যাওয়ায় আমাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে খাতায়। মঙ্গলবার ডোমকল থানায় ফের ডিউটি পরিবর্তন করার আর্জি জানাতে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আমাকে বের করে দেওয়া হয়।  তাতে মানসিকভাবে আমি ভেঙে পড়ি। জানা গিয়েছে, এরপরই ওই সিভিক ভলান্টিয়ার বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। তড়িঘড়ি  সহকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। যদিও এই বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকদের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share