Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Ration Scam: সোমবার রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড় জ্যোতিপ্রিয়র, শুরু হল ইডি হেফাজতের মেয়াদ

    Ration Scam: সোমবার রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড় জ্যোতিপ্রিয়র, শুরু হল ইডি হেফাজতের মেয়াদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার টানা একুশ ঘণ্টা বাড়িতে তল্লাশির (Ration Scam) পরে গভীর রাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে দশ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ শুনে মূর্ছা যান মন্ত্রী। সে সময় তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাতে ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন জ্যোতিপ্রিয়। তাঁকে বেশ সুস্থই দেখাচ্ছিল। নিজে পায়ে হেঁটে ইডি অফিসারদের সঙ্গে হাসপাতাল থেকে বের হন মন্ত্রী। তবে এদিন সংবাদমাধ্যম তাঁকে ঘিরে ধরলেও কোনওরকম প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয়।

    সোমবার দুপুরেই সিদ্ধান্ত হয় হাসপাতাল থেকে ছাড় পাবেন মন্ত্রী

    জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বৈঠক বসেছিল বেসরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল বোর্ড। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, মন্ত্রী সুস্থ হয়ে গিয়েছেন এবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। সন্ধ্যাতেই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইডির দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক। এরপরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে তাঁকে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মূল গেট দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকানো হয়নি। নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁকে অন্য একটি গেট দিয়ে ঢোকানো হয়। সিজিও কমপ্লেক্সে (Ration Scam) ঢোকার সময় গাড়ি থেকে নেমেই ইডি অফিসারদের সঙ্গে হেঁটে লিফটে ওঠেন জ্যোতিপ্রিয়। এ সময়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে কোনও বিবৃতি দেননি। কিছুক্ষণ পর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক আসেন ইডির দফতরে। জানা গিয়েছে, তিনি কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র,  খাবার এবং জামাকাপড় নিয়ে এসেছিলেন।

    শুরু হল জ্যোতিপ্রিয়র ইডি হেফাজতের মেয়াদ

    প্রসঙ্গত, আদালত এর আগেই নির্দেশ দিয়েছিল যে যতদিন পর্যন্ত মন্ত্রী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকবেন তা ইডি হেফাজতের মেয়াদের দিন হিসেবে গণনায় ধরা হবে না। অর্থাৎ এবার শুরু হচ্ছে জ্যোতিপ্রিয়র (Ration Scam) ইডি হেফাজতের মেয়াদ। তবে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিলেও আদালতের নির্দেশ মোতাবেক প্রতিদিনই তাঁর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার রাতে বেসরকারি হাসপাতালের তরফে যে মেডিকেল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, মন্ত্রীকে বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসকরা দেখেছেন। শল্য চিকিৎসক, স্নায়ুর চিকিৎসকরা তাঁকে ফিজিওথেরাপি করানোর পরামর্শও দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: দুই কাউন্সিলারের প্রকাশ্যে মারামারি নিয়ে নিন্দায় সরব টিটাগড়বাসী, মুখ পুড়েছে তৃণমূলের

    Khardah: দুই কাউন্সিলারের প্রকাশ্যে মারামারি নিয়ে নিন্দায় সরব টিটাগড়বাসী, মুখ পুড়েছে তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্যে দুই কাউন্সিলারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে ছি ছি করছে গোটা টিটাগড় এলাকা। কার্যত দলের মুখ পুড়েছে এই ঘটনায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, জনপ্রতিনিধিদের কাজ এলাকাকে শান্ত রাখার। তারা এলাকাকে অশান্ত করছে। অবিলম্বে এই সব কাউন্সিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। না হলে আগামীদিনে আরও এই ধরনের ঘটনা ঘটবে। রবিবার তৃণমূল কর্মী খুন হওয়ার পর প্রকাশ্যে তৃণমূল কাউন্সিলারকে ধমক দিয়েছেন খড়দা (Khardah) থানার আইসি রাজকুমার সরকার। দলদাস পুলিশের ঘুরে দাঁড়ানো দেখে হতবাক হয়েছিলেন রাজ্যবাসী। সবাই ভেবেছিলেন ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূল সাংসদ অর্জুন সিং প্রকাশ্যেই ওই অফিসারের প্রশংসা করেছেন।

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন অর্জুন? (Khardah)

    অর্জুন সিং বলেন, ‘খড়দার (Khardah) আইসি-র আমি ট্র্যাক রেকর্ড দেখেছি। তিনি অ্যান্টি ক্রিমিনাল অফিসার। জনপ্রতিনিধিদের তোলাবাজি করতে নিষেধ করেছিলেন। আমি জানি, ওর মেরুদণ্ড সোজা আছে। তিনি ঘুষ খান না। তিনি এলাকায় ভাল কাজ করার চেষ্টা করছেন। আমি স্থানীয় সাংসদ হতে পারি। দলের নিয়ম-শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখেন তাপস রায়। তারা দলগতভাবে যা পদক্ষেপ নেবে। তবে, ওই পুলিশ আধিকারিক যেভাবে কড়া হাতে ব্যবস্থা নিয়েছে অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বাইরে থেকে কোনও চাপ না থাকলে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের তিনি গ্রেফতার করবেন। আসলে যারা এতদিন রাজনীতি করেনি রাজনীতিতে এসে তারা অতীত ভুলতে পারছেন না।’ দলীয় কাউন্সিলারদের পাশে না থেকে পুলিশ প্রশাসনের প্রশংসা করায় বারাকপুরে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ, কিছুদিন আগেই বারাকপুরে ডাকাতি কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    মৃত যুবকের পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    সোমবার গোটা এলাকা থমথমে ছিল। পাঁচ নম্বর পানিট্যাঙ্কি এলাকায় আকাশ প্রসাদের বাড়িতে সকাল থেকেই জটলা ছিল। বেলা বাড়তেই ভিড় বাড়তে শুরু করে।  সন্ধ্যার পর আকাশের দেহ আসলে কান্নায় ভেঙে পড়েন এলাকাবাসী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আকাশরা দুই ভাই। তাঁর চার বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করতেন। আকাশের মা শকুন্তলা দেবী বলেন, আমার ছেলে অসুস্থ। তাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। আমরা দোষীর ফাঁসি চাই। এভাবে অকালে আমার ছেলেকে কেড়ে নেওয়ার ঘটনা আমরা মানতে পারছি না। প্রসঙ্গত, টিটাগর পৌরসভা এলাকায় ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিকাশ সিংহের সঙ্গে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সনু সাউয়ের গন্ডগোল দীর্ঘদিনের। সেই গন্ডগোলের মধ্যে পড়ে বিকাশের অনুগামী হিসেবে পরিচিত আকাশ প্রসাদের মৃত্যু হয়। তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়েই রবিবার খড়দা থানা পুরানি বাজার এলাকার উত্তাল হয়ে ওঠে। আকাশের দেহ নিয়ে খড়দা থানায় নিয়ে গিয়ে পরিবারের লোকজন দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। সেখানেই তৃণমূল কাউন্সিলার সনু সাউকে প্রকাশ্যে ধমক দেন খড়দা (Khardah) থানার আইসি। তিনি বলেছিলেন, জনপ্রতিনিধি হয়ে গুন্ডার মতো আচরণ করছেন। এটা ঠিক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bakibur Rahaman: তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা! পোড়া নথি উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য বাকিবুরের চালকলে

    Bakibur Rahaman: তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা! পোড়া নথি উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য বাকিবুরের চালকলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের শাসনে লাগাম ছাড়া দুর্নীতিতে ফুলে ফেঁপে উঠেছে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা। ইতিমধ্যে অনেক তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। সেই সঙ্গে তদন্ত থেকে বাঁচতে, অসুস্থতার ভান করে অনেকেই হাসপাতালে দিন কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এবার তদন্ত থেকে বাঁচতে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও কি শুরু হয়েছে? বাকিবুরের (Bakibur Rahaman) নদিয়ার চালকলের পিছনে মিলল পোড়া নথি। নথির পোড়া অংশে দেখা যাচ্ছে সরকারি সিলমোহর। ফলে দুর্নীতির তদন্ত ঘিরে চরম চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য জুড়ে।

    প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা (Bakibur Rahaman)

    সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূল নেতা বাকিবুরের (Bakibur Rahaman) হরিণঘাটার সাত শিমুলিয়ার চালকলের পিছনে সরকারি সিলমোহর দেওয়া বেশ কিছু পোড়া নথি দেখতে পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যার সময় আশে পাশের গ্রামের মানুষ, এই নথির পোড়া অবশেষ দেখতে পান। এই নথি কি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত? এরপর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

    নদিয়ায় রেশন দুর্নীতি

    ২০২১-২২ সালে নদিয়ায় রেশনের সামগ্রী, খোলা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করা হয়েছিল বলে, শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায়, এই নিয়ে রীতিমতো তিনটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এরপর রেশন দুর্নীতির তদন্তভার নেয় ইডি। এরপর থেকে ইডি, জেলার একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করে। তদন্তে বাকিবুরের (Bakibur Rahaman) আরও চালকলের সন্ধান মিলেছে নদিয়ায়।

    বাদুড়িয়াতে উদ্ধার আরও সম্পত্তি

    অপর দিকে বাদুড়িয়াতে বাকিবুরের (Bakibur Rahaman) ২১০ কাঠা সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে জানা গেছে। বসিরহাট এলাকার পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জেলে পাড়ায় এই সম্পত্তি রয়েছে। বাকিবুর, এলাকার মানুষের জমি জোর করে, ভয় দেখিয়ে লিখিয়ে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা অরবিন্দবাবুর অভিযোগ, ‘রাস্তার পাশে তাঁর ২ শতক জমি ছিল। যা কার্যত মস্তানদের দিয়ে দখল করে নিয়েছে বাকিবুর। ‘এলাকার আরেক বাসিন্দা রীতাদেবী বলেন, ‘এলাকায় দু’কাঠা জমি ছিল, সেখানে নিজেরা ঘর করে থাকছিলাম, কিন্তু বাকিবুরের গুন্ডারা এসে চাপ দিয়ে জবরদখল করে নেয়।’

    সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত বাকিবুরের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান মিলিছে বলে জানিয়েছে ইডি। এরমধ্যে ১ হাজার ৬৩২ কাঠা জমির কথাও জানা গিয়েছে। পার্কস্ট্রীট, রাজারহাট, বারাসত, রঘুনাথপুরে ৯ টি ফ্ল্যাটের খোঁজ মিলেছে।

           

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ITI College: বনমন্ত্রী গ্রেফতার হতেই তাঁর জমিতে তৈরি আইটিআই কলেজের নাম মুছে সরকারি তকমা!

    ITI College: বনমন্ত্রী গ্রেফতার হতেই তাঁর জমিতে তৈরি আইটিআই কলেজের নাম মুছে সরকারি তকমা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর আইটিআই কলেজ (ITI College)। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জায়গায় গড়ে উঠেছে কলেজ। কোটি টাকা খরচ করে বিল্ডিংও তৈরি করা হয়েছে। বনমন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর পরই আচমকা কলেজের নাম মুছে দেওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেন কলেজের নাম মুছে দেওয়া হল তা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য? (ITI College)

    পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে বনমন্ত্রীর জন্মভিটে। বামুনপাড়া এলাকায় তিনি নিজেদের জমিতে আইটিআই কলেজ (ITI College) করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কলকাতার রিজেন্ট স্টেশন অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ এই কলেজের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। গত কয়েক বছর ধরে মন্তেশ্বরের এই কলেজের বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু হয়। ২০২২ সাল থেকে কলেজটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। কলেজে পড়ুয়ার সংখ্যা ১৫০ জন। এতদিন সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। মন্ত্রী উদ্যোগী হয়ে এলাকায় আইটিআই কলেজ করে দেওয়ায় এলাকার মানুষও খুশি। কলেজের গেটে মন্তেশ্বর আইটিআই কলেজ বলে ইংরেজিতে নাম লেখা ছিল। মন্ত্রী গ্রেফতার হতেই কলেজের নাম মুছে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, কলেজের নাম মুছে দেওয়ায় কলেজটি বন্ধ হয়ে যাবে ভেবেছিলাম। কেন এভাবে আচমকা কলেজের নাম মুছে দেওয়া হল তা বুঝতে পারছিলাম না। এটা নিয়ে এলাকায় চর্চা শুরু হতেই সোমবার দেখি, বাংলায় ফের নাম লেখা হয়েছে। এরকম কেন করা হল তা বুঝতে পারছি না। কারণ, আগে ইংরেজিতে লেখা ছিল মন্তেশ্বর আইটিআই কলেজ। আর এখন লেখা হল সরকারি শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, মন্তেশ্বর।

    কলেজের অধ্যক্ষের কী বক্তব্য?

    এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকারের অনুমোদিত কলেজ (ITI College)। আসলে পূর্ত দফতর কলেজ বিল্ডিংয়ের রং করছিল। তাই, গেট থেকে নাম মুছে দেওয়া হয়েছে। এখন রঙের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় ফের নাম লেখা হয়েছে। এতে বিতর্ক হওয়ার কিছু নেই। কলেজে কোনও সমস্যা নেই। এটা নিয়ে এত কেন চর্চা হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। তাছাড়া, এই কলেজে পরিচালন কমিটিতে মন্ত্রীর বাড়ির কেউ নেই। পরিচালন কমিটির সকলের বাড়ি কলকাতায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী ও কন্যার ব্যাঙ্কের লকারের চাবি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী ও কন্যার ব্যাঙ্কের লকারের চাবি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ২১ ঘণ্টা তল্লাশির (Ration Scam) পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ব্যাঙ্কশাল কোর্টের রায় শুনে আদালত কক্ষেই মূর্ছা যান মন্ত্রী। তাঁকে ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এরই মাঝে ইডি বাজেয়াপ্ত (Ration Scam) করল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী এবং কন্যার ব্যাঙ্কের লকারের চাবি। জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের পরিবারের বিপুল সম্পত্তির ওপর নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। লকারের চাবি বাজেয়াপ্ত করা সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই দুটি লকারই সল্টলেকে রয়েছে, যার মধ্যে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এবং অপরটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের।

    বাকিবুর-জ্যোতিপ্রিয় মুখোমুখি জেরা সম্ভব হচ্ছে না

    এরই পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সংস্থার পরিকল্পনা ছিল, মন্ত্রী এবং বাকিবুর রহমানকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার। তবে শরীর খারাপ নিয়ে মন্ত্রী ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। আবার সোমবারই ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে বাকিবুরের। ইডি সূত্রের খবর, যে সমস্ত তথ্য অস্বীকার করেছেন বাকিবুর এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মুখোমুখি বসিয়ে তাঁদের কাছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে সেটা তাঁরা অস্বীকার করতে পারতেন না। তবে দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা এই মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না। গতকালই নথি (Ration Scam) হাতে ইডি দফতরে ঢুকতে দেখা যায় মন্ত্রী কন্যা প্রিয়দর্শিনীকে। আবার আজকেই ইডি দফতরে পৌঁছে যান জ্যোতিপ্রিয়র দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক।

    টিউশন পরিয়ে নাকি ৩ কোটি ৩৭ লাখ?

    জানা গিয়েছে, একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। যেগুলি বাকিবুর এবং জ্যোতিপ্রিয়র পরিবারের সদস্যরাই চালাতেন। এভাবে মোট ৯৫ কোটি টাকা তছরুপ করেছেন তাঁরা। জ্যোতিপ্রিয়র একাধিক বাড়ির অ্যাকাউন্টও ব্লক করেছে ইডি। আয়কর রিটার্ন নথি বলছে, শুধুমাত্র টিউশন পরিয়ে নাকি ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আয় করেছেন মন্ত্রীকন্যা। ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রয়েছে প্রিয়দর্শিনীর একটি অ্যাকাউন্ট। বালুর স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট রয়েছে আইডিবিআই-এর ব্যাঙ্কে (Ration Scam)। সেখানে রয়েছে ৪.৩ কোটি টাকা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: সিকিম বিপর্যয়ের জের! তিস্তায় মড়ক লেগেছে মাছের, উদ্বেগ

    Jalpaiguri: সিকিম বিপর্যয়ের জের! তিস্তায় মড়ক লেগেছে মাছের, উদ্বেগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিম বিপর্যয়ের পর জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলায় তিস্তার পাড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পুলিশ-প্রশাসন। কারণ, সেনাবাহিনীর বহু মর্টার মজুত ছিল সেখানে। সেই মর্টার বিস্ফোরণে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটেছিল। পরে, সেনাবাহিনী ও পুলিশ-প্রশাসনের উদ্যোগে তিস্তার পাড় বিপদমুক্ত করা হয়। এরই মধ্যে তিস্তায় নতুন করে মাছের মড়ক শুরু হওয়ায় ব্যাপক আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

    প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে মৎস্য দফতর (Jalpaiguri)

    গত ৪ অক্টোবর সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তিস্তায়। পাহাড় থেকে নদীর জলে ভেসে আসে সেনাবাহিনীর অস্ত্রশস্ত্র। জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) মর্টার ফেটে একজনের মৃত্যু হয়। আহত হন একাধিকজন। এবার মাছের মড়ক শুরু হওয়ায় নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে তিস্তার পাড়ে। গত ৪ অক্টোবর বন্যার সময় যুদ্ধসামগ্রীর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নদীতে ভেসে আসে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল। তা থেকে জলদূষণের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বাসিন্দারা। মৃত মাছ না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি মৎস্য দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিস্তাপাড়ের বাসিন্দারা। মরে ভেসে উঠছে শয়ে শয়ে নদীয়ালি মাছ। বোরোলি, দারাঙ্গি-সহ তিস্তার একাধিক প্রজাতির মাছের মড়ক লেগেছে। জলদূষণের কারণেই এই ঘটনা বলে অনুমান। ঘটনার কারণ খুঁজতে প্রতিনিধিদল পাঠাচ্ছে মৎস্য দফতর। জেলা প্রশাসন সূত্রে তা জানা গিয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    এমনিতে বোরোলি-সহ নদীয়ালি মাছগুলি জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সহ উত্তরবঙ্গের অত্যন্ত জনপ্রিয়, সুস্বাদু। পর্যটক ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছেও এর খুব চাহিদা। তাই মাছের মড়কের খবরে চিন্তিত স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, নদীর পাড়ে বোরোলি সহ বিভিন্ন মাছ উঠে ছটফট করতে করতে মরে যাচ্ছে। তিস্তার পাড়ে গেলে দেখা যাবে, লাইন দিয়ে মাছ মরে পড়ে রয়েছে। এখন এই মাছ খাওয়া ঠিক নয়। সকলকে এই মাছ না খাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কবে আবার প্রাণভরে এসব মাছের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন তাঁরা, তা নিয়েও অনিশ্চয়তায় রয়েছে সকলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: দেশলাই কাঠি দিয়ে বানালেন ছবি আঁকার স্ট্যান্ড, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ কোয়েল

    South 24 Parganas: দেশলাই কাঠি দিয়ে বানালেন ছবি আঁকার স্ট্যান্ড, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ কোয়েল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩.৯×৩.৪ সেমি দেশলাই কাঠি দিয়ে ছবি আঁকার স্ট্যান্ড বানিয়ে, ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ নাম তুলেছেন কোয়েল পুরকায়েত নামে দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী। তাঁর এই কৃতিত্বে একদিকে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেমন খুশি, তেমনি খুশি পরিবারও। উচ্ছ্বসিত গোটা কাকদ্বীপের (South 24 Parganas) মানুষ।

    কোয়েলের বক্তব্য (South 24 Parganas)

    ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এর খেতাবজয়ী দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী কোয়েল পুরকায়েত বলেন, “ছোটবেলা থেকেই আঁকার প্রতি আগ্রহ ছিল আমার. তবে এই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এর খেতাব জিতবো, তা কোনও দিনই ভাবতে পারিনি। এর পিছনে সবথেকে বেশি কৃতিত্ব রয়েছে আমার আঁকার স্যার দেবরাজ মহাশয়ের। তিনিই এই সমস্ত কিছুর সঙ্গে যোগাযোগ করে দিয়েছেন। দেশলাই কাঠি দিয়ে ছবি আঁকা এবং স্ট্যান্ড বানানোর কাজ প্রায় দুমাস ধরে করেছি। অবশেষে পরিশ্রম করে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পেরেছি। এই খেতাব আমাকে আগামী দিনে আরও বেশি করে উৎসাহী করবে।” পাশাপাশি কোয়েল আগেও যামিনী রায় পুরস্কার সহ একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন।

    উচ্ছ্বসিত পরিবার (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপের সুভাষ নগরের বাসিন্দা কোয়েল পুরকায়েত। বর্তমানে কাকদ্বীপের বীরেন্দ্র নিকেতন স্কুলের ছাত্রী। তিন বছর বয়স থেকে ছবি আঁকার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কোয়েল। কৃতি ছাত্রী হিসেবে স্কুলে যেমন সুনাম, তেমনি সুনাম তাঁর আঁকার স্কুলেও। তিন বছর বয়স থেকে কাকদ্বীপের সুন্দরবন আর্ট অ্যাকাডেমিতে ছবি আঁকার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। কোয়েল বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বাবা কর্মসূত্রে অন্য রাজ্যে থাকেন, পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন সেখানে। কোয়েলের এই গৌরবে খুশি এলাকার বিধায়ক তথা প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। তিনি কোয়েলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

    প্রতিবেশীদের বক্তব্য

    প্রতিবেশী (South 24 Parganas) মানসী দেবনাথ বলেন, “কোয়েলের বাবা কর্মসূত্রে এই রাজ্যের বাইরে কাজ করেন। ওঁর এই সাফল্যের পিছনে সবথেকে বেশি কৃতিত্ব মায়ের। আজ কোয়েলের এই সাফল্যে শুধু আমরা সুভাষ নগর এলাকার মানুষজন খুশি নই, গোটা কাকদ্বীপের মানুষ গর্বিত। আগামী দিনে ওঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কামনা করি আমরা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে মিলল জাল লটারি কারখানার হদিশ, জালিয়াতি চক্রের পিছনে কারা?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে মিলল জাল লটারি কারখানার হদিশ, জালিয়াতি চক্রের পিছনে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিয়ার লটারিতে কোটি কোটি টাকা পাওয়ার খবর প্রায় খবরের কাগজে, টিভিতে দেখতে পাওয়া যায়। কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে প্রতিদিন লটারির টিকিট কাটেন, এরকম মানুষ এই বাংলায় প্রচুর রয়েছেন। লটারির টিকিট কেটে নিঃস্ব হয়ে আত্মঘাতী হওয়ার উদাহরণও রয়েছে। এই ডিয়ার লটারির নাম ব্যবহার করে বড়সড় জালিয়াতির হদিশ মিলল মুর্শিদাবাদে। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার সামশেরগঞ্জের ধূলিয়ান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিব মন্দির বাজার থেকে জাল লটারি কারখানায় হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ধূলিয়ান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শিব মন্দির বাজার এলাকায় গোডাউন ভাড়া করে জাল লটারির কারবার চালু করা হয়েছিল। গোডাউনের ভিতরে কারখানা তৈরি করে রমরমিয়ে চলত এই কারবার। রবিবার রাতে সেই কারখানায় পুলিশ হানা দেয়। যদিও পুলিশ অভিযান চালানোর সময় সেখানে কেউ ছিল না। কারখানা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় নাগাল্যান্ড কোম্পানির জাল লটারির টিকিট, কয়েক বস্তা জাল লটারি টিকিট। টিকিটে ডিয়ার লটারির কথা উল্লেখ ছিল। এছাড়া জেরক্স মেশিন, লটারির টিকিট তৈরির যন্ত্রাংশ, ইনভার্টার, কাগজ কাটার যন্ত্র, প্রচুর পরিমাণে লটারির টিকিট ছাপানো কাগজ এবং অন্যান্য জিনিসপত্র সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। এই টিকিট খোলা বাজারে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা তোলা হত বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গোডাউনের মালিকের বিরুদ্ধে সবার আগে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তাকে গ্রেফতার করলেই সব কিছু জানা যাবে। গোডাউনের ভিতরে এত বড় বেআইনি কাজকর্মের পিছনে মালিকের মদত রয়েছে।

    বাড়ির মালিকের কী বক্তব্য?

    বাড়ির মালিক বলেন, মাস তিনেক আগে সঞ্জয়কুমার সাউ নামে ঝাড়খণ্ডের এক ব্যক্তি জেরক্সের কাজ করবেন বলে গোডাউন ভাড়া নেন। সেখানে তাঁরা কী করতেন, তা আমি জানি না। পুলিশের অভিযানের পরই বিষয়টি জানতে পারলাম। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। তবে, ঝাড়খণ্ডের একজন অপরিচিতকে কেন ঘর ভাড়া দিতে গেলেন, সেই বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছু বলেননি।

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক কী বললেন?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, বড় মাপের লটারির টিকিট বিক্রেতা এই ভুয়ো টিকিট ছাপিয়ে বহু টাকা বাজার থেকে তুলে নিচ্ছেন। আর এই জাল টিকিট কেটে কেউ কোনও পুরস্কারও পেত না। পুরো জালিয়াতি করে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সহ আশপাশের জেলা থেকে কোটি কোটি টাকা হাতানো হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই চক্রের সঙ্গে কারা রয়েছে তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: বনমন্ত্রীর গ্রেফতারের পরই সাফারিতে বন্ধ করা হল কাজ! রেশনের পর বন দফতরেও কি দুর্নীতি?

    Siliguri: বনমন্ত্রীর গ্রেফতারের পরই সাফারিতে বন্ধ করা হল কাজ! রেশনের পর বন দফতরেও কি দুর্নীতি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির অভিযোগে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হতেই উত্তরের বনকর্তাদের একাংশের চোখেমুখে দুশ্চিন্তার মেঘ জমতে শুরু করেছে। বনমন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পরপরই শিলিগুড়িতে (Siliguri) বেঙ্গল সাফারি বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ আচমকা বন্ধ রাখায় খাদ্য দফতরের পর বন দফতরেও জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের দুর্নীতি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। রবিবার হঠাৎ করে সাফারি কর্তৃপক্ষ কর্মীদের এই কাজ বন্ধ রাখার কথা জানায়। সোমবার কোনও শ্রমিক বা ঠিকাদারের লোক কাজে আসেনি। লায়ন এনক্লোজার সহ কিছু কাজ বন্ধ রাখার এই কথা জানাজানি হতেই দুর্নীতি নিয়ে নানা ধরনের গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

    স্থানীয় ঠিকাদাররা কী বলছেন? (Siliguri)

    স্থানীয় ঠিকাদারদের বক্তব্য, শিলিগুড়ির (Siliguri) বেঙ্গল সাফারি এনক্লোজার থেকে বাউন্ডারি, রাস্তা সবই তাদের হাতে তৈরি। কিন্তু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বনমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে তাঁরা আর কোনও কাজ পাচ্ছেন না। নানা অজুহাত ও যুক্তি দেখিয়ে বড় বড় সব কাজ কলকাতার ঠিকাদার সংস্থাকেই দেওয়া হচ্ছে। তবে, বন দফতরের অন্যান্য ছোটখাট কাজে যুক্ত থাকায় বিল পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে, এই আশঙ্কায় কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। এক ঠিকাদার নরেশ শৈব বলেন, ‘বেঙ্গল সাফারি স্থানীয় ঠিকাদারদের হাতে তৈরি হলেও বিগত কয়েক বছর ধরে বড় কোনও কাজ আমরা পাচ্ছি না। ই টেন্ডারের নামে নানা কারচুপি করে কলকাতার ঠিকাদার সংস্থা সেই কাজ পাচ্ছে।’ অভিযোগ, এভাবে স্থানীয় ঠিকাদারদের ব্রাত্য করার ক্ষেত্রে কাটমানির বিষয় রয়েছে। বনমন্ত্রী কাটমানির জন্য তাঁর পছন্দের ঠিকাদার সংস্থাকে সব বড় বড় কাজের বরাত দিয়েছেন।

    বেঙ্গল সাফারির কর্মীদের কী বক্তব্য?

    সাফারির কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, সাফারি ও উত্তরবঙ্গের বন দফতরের কাজ তদারকি করার জন্য বনমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তি শিলিগুড়িতে (Siliguri) বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন। প্রায়শই তিনি বেঙ্গল সাফারিতে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ দেখতে আসতেন। বন দফতরের সঙ্গে যুক্ত না হলেও সেই ব্যক্তি সাফারিতে এলে এখানকার আধিকারিকরা তাঁকে খুশি করতে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। ডিরেক্টরের ঘরে তার অবাধ যাতায়াত ছিল। বনমন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে এরকম আরও অনেক ঘটনা ও অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করেছে। আর এটাই এখানকার বন কর্তাদের একাংশের দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। কেননা, খাদ্য দফতর ছেড়ে বন দফতরে এসেও নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছিলেন বনমন্ত্রী। রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডির আতশ কাঁচের নীচে বন দফতর যুক্ত হলে তাদের না হয়রান হতে হয়।

    কী বলছে সাফারি কর্তৃপক্ষ?

    যদিও বেঙ্গল সাফারির ডিরেক্টর কমল সরকার লায়ন এনক্লোজার সহ কিছু প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, পুজোর সময় শ্রমিকরা ছুটিতে থাকায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। শ্রমিকরা এলে আবার কাজ হবে। বনমন্ত্রী গ্রেফতার হলেও টেন্ডার হয়ে যাওয়া প্রকল্পের কোনও কাজ বন্ধ হবে না। সরকারি নিয়মেই তা চলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: রেশন-দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ নিউ দিঘার হোটেলে! ‘বালু-বাকিবুর’ যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    ED: রেশন-দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ নিউ দিঘার হোটেলে! ‘বালু-বাকিবুর’ যোগ খতিয়ে দেখছে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই নদিয়ার রানাঘাটে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বাকিবুর রহমানের রেশন দুর্নীতির টাকা দিঘার হোটেলে বিনিয়োগ হয়েছে। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ যে সঠিক, তা দিঘার হোটেলে ইডি-র (ED) নজরদারি শুরু করার ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে। বেনামে সম্পত্তির যোগ খুঁজতে এবার কি পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকতে শহরে আসবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? তা নিয়ে জেলা জুড়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির পর থেকেই নিউ দিঘার হোটেল নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বালুর তিনটি হোটলের নামের তালিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘হোটেল মেঘবালিকা, বিচ ভিউ এবং বি ভিউ রিসর্ট। এই হোটেলগুলির মালিক অজয় দাস, দেবাশিস দাস ও সম্রাট। ৫০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে বালু তাঁর স্ত্রী এবং আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের নামে করিয়ে নিয়েছে।’

    দিঘায় চারটি হোটেলের হদিশ (ED)

    সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দিঘায় চারটি হোটেলের সঙ্গে বনমন্ত্রীর যোগ খতিয়ে দেখছেন ইডি (ED) আধিকারিকরা। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ তিনজনকে নিয়ে একটি সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থা ওই চারটি হোটেল দেখভাল করে। এর মধ্যে একটি হোটেলে বাকিবুরের যাতায়াত ছিল বলেই জানা যাচ্ছে। রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা চারটি হোটেলে বিনিয়োগ হয়েছিল। হলিডে হোম ঘাট সংলগ্ন এলাকা এবং তার থেকে খানিকটা দূরে পর পর চারটি হোটেল রয়েছে। তার মধ্যে একই নামে দু’টি হোটেল আছে। চারটির মধ্যে একটি হোটেল কেনা হলেও বাকি তিনটি নতুন নির্মাণ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে একটি পুরনো হোটেল কিনে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে। এই মুহূর্তে সেটি ‘থ্রি-স্টার’ ক্যাটিগরির হোটেল। ২০১৬-১৭ সাল নাগাদ পর পর তিনটি হোটেল নির্মাণ হয়েছে। যদিও এই হোটেলগুলির পক্ষে মন্ত্রীযোগের বিষয়টি স্বীকার করা হয়নি। সবই অপপ্রচার বলেই দাবি তাদের।

    দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের কী বক্তব্য?

    দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন কর্মকর্তার বক্তব্য, ওই চারটি হোটেলের সঙ্গে ধৃত মন্ত্রীকে না দেখলেও বাকিবুর যোগ রয়েছে। এই ডিরেক্টরদের অনেকেই উত্তর ২৪ পরগনা এলাকার বাসিন্দা। মন্ত্রীর বিভিন্ন সংস্থার ডিরেক্টরদের নিয়ে একটি গ্রুপ রয়েছে। সেই গ্রুপ এইসব হোটেল দেখভাল করে। তবে, হোটেল তৈরিতে কারা টাকা বিনিয়োগ করেছে তা আমরা বলতে পারব না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share