Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Siliguri: শিলিগুড়ির দুর্গাপুজোর কার্নিভালের এ কী হাল! জানলে চমকে উঠবেন

    Siliguri: শিলিগুড়ির দুর্গাপুজোর কার্নিভালের এ কী হাল! জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ জুড়ে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল পুজো কার্নিভাল। কিন্তু, শিলিগুড়িতে (Siliguri) দ্বিতীয় বর্ষেই মুখ থুবড়ে পড়েছে এই কার্নিভাল। গতবার শহরের ২৬ টি ক্লাবকে নিয়ে এই কার্নিভাল শুরু হয়েছিল। কিন্তু এবার অনেক বুঝিয়ে মাত্র ১০ টি ক্লাবকে এই কার্নিভালে অংশগ্রহণ করাতে সফল হয়েছেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব। ৭০ হাজার টাকা পুজোর অনুদান দিয়ে ক্লাবগুলিকে সহজেই কার্নিভালে পাওয়া যাবে, এই ভাবনায় জোর ধাক্কা খেয়েছে প্রশাসন তথা তৃণমূল সরকার। শিলিগুড়ি শহর ও তার লাগোয়া এলাকায় পাঁচশোরও বেশি পুজো হয়। এর মধ্যে দু’শোটি বিগ বাজেটের পুজো রয়েছে। এর মধ্যে শিলিগুড়ি পুরসভার একাধিক তৃণমূল কাউন্সিলার ও মেয়র পরিষদ সদস্যের পুজোও রয়েছে। সেখানে কার্নিভালে মাত্র ১০টি ক্লাব! কার্নিভাল কার্যত প্রহসনে পরিণত হয়েছে।

    কার্নিভাল থেকে কেন মুখ ফিরিয়েছে ক্লাবগুলি? (Siliguri)

    কার্নিভালে অংশগ্রহণের জন্য বাড়তি এক থেকে দু’দিন প্রতিমা রেখে দিতে হবে। এর জন্য বিশাল বাড়তি খরচ বহন করতে হয়। সেই সঙ্গে কার্নিভালের জন্য  ট্যাবলো ও সাজসজ্জার মোটা টাকা খরচ রয়েছে। পুজো কমিটিগুলির বক্তব্য, এত খরচ করে পুজো করার পর শুধু কার্নিভালে অংশ নেওয়ার জন্য দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা বাড়তি খরচ বহন করা সম্ভব নয়। একাধিক বিগ বাজেটের পুজো কমিটি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে বাড়তি দুই থেকে আড়াই লক্ষ টাকা টাকা খরচ করে কার্নিভালে অংশ নেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।

    কী বলছেন শিলিগুড়ি পুরসভার কর্মকর্তারা? (Siliguri)

    রাজ্য সরকারের উদ্যোগে শিলিগুড়িতে এই কার্নিভালের আয়োজক শিলিগুড়ি পুরসভা। পুজোর বেশ কিছুদিন আগে থেকেই কার্নিভালের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন মেয়র তথা শিলিগুড়ি পুরসভা।  বিভিন্ন ক্লাবকে প্রথম থেকে বুঝিয়েও মেয়র ও ডেপুটি মেয়র সব ক্লাবকে রাজি করাতে পারেননি। ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার বলেন, আমরা ক্লাবগুলিকে অনেক বুঝিয়েছি। কিন্তু, বেশিরভাগ ক্লাব কার্নিভালের জন্য বাড়তি খরচ বহন করতে রাজি হয়নি। এটা ঠিকই কার্নিভালের জন্য বাড়তি দু’দিন প্রতিমা রেখে দেওয়ার খরচ অনেক।

    কার্নিভাল নিয়ে কী বলছেন বিজেপি বিধায়ক?

    শিলিগুড়ির (Siliguri) বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, কার্নিভালে অংশ নেওয়ার জন্য ক্লাবগুলিকে নানা ভাবে বোঝানো হয়েছে, চাপও সৃষ্টি করা হয়েছে। ঘুরপথে বাড়তি খরচ তুলে দেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। তাতেও দশটির বেশি ক্লাব পাওয়া যায়নি। এটা সরকারি ক্ষমতা ও অর্থের অপচয় ছাড়া কিছু নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dacoits: কর্পোরেটের কায়দায় গ্যাং চালাত পুরুলিয়ার ডাকাতি কাণ্ডে ধৃত মাস্টারমাইন্ড, কীভাবে জানেন?

    Dacoits: কর্পোরেটের কায়দায় গ্যাং চালাত পুরুলিয়ার ডাকাতি কাণ্ডে ধৃত মাস্টারমাইন্ড, কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ায় সেনকো গোল্ডের শোরুমে ভয়াবহ ডাকাতির (Dacoits) ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড রবি গুপ্তাকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশের হাতে যে সব তথ্য সামনে এসেছে তাতে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়। চলতি মাসের ১৯ তারিখ ধৃত মাস্টারমাইন্ড রবি গুপ্তাকে এই মামলায় গ্রেফতার করে পুরুলিয়া আদালতে তোলা হলেও বুধবার তা সামনে আনে পুলিশ। তার ১৪ দিন পুলিশ হেফাজত হয়েছে। জানা গিয়েছে, ২৯ অগাস্ট পুরুলিয়ার নামোপাড়ায় ওই সোনার দোকানের ডাকাতির ঘটনায় এই মাস্টারমাইন্ড সমেত মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    কর্পোরেটের কায়দায় গ্যাং চালাত  ডাকাতি (Dacoits) কাণ্ডে ধৃত মাস্টারমাইন্ড

    ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, বিহারের বেযুর জেলে বসে এই অপরাধ সংগঠিত করত। ডাকাতির (Dacoits) ঘটনায় প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে তদন্ত চালানোর পর মাস্টারমাইন্ডকে ধরতে পারল পুলিশ। কাজাখস্তান ও আমেরিকায় ব্যবহৃত নম্বরের কোড হোয়াটসঅ্যাপে ব্যবহার করে কথাবার্তা বলত ধৃত। একইভাবে তার সহযোগীরাও বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডসের মতো বিভিন্ন দেশের নম্বর ব্যবহার করে এই অপরাধ সংগঠিত করত। এই বেয়ুর জেল দেশজুড়ে বড়সড় সোনার দোকানের ডাকাতির কার্যত আঁতুড়ঘর। পরিকল্পনা থেকে অপারেশনের নির্দেশ এই জেল থেকেই যেত। এই গ্যাং লুটের জিনিসপত্র অন্য দেশের মার্কেটে বিক্রি করত। কাজের জন্য টাকাপয়সা কীভাবে দেওয়া হবে তার নকশা জেলে বসেই সাজিয়ে আসছিল রবি। যারা অপারেশন করবে তাদের মোবাইলে লোকেশনের লিঙ্ক পর্যন্ত দিয়ে দিত। ধৃতের অধীনে প্রায় ৭০০-র মতো দুষ্কৃতী কাজ করত। তারা কোনও কারণে ধরা পড়ে গেলে তাদের জামিন-সহ আদালতের সমস্ত খরচ বহন করত রবির ‘কর্পোরেট গ্যাং’। এই ধরনের অপারেশন চালাতে গিয়ে কোনও কারণে কারও মৃত্যু হয়ে গেলে তার পরিবারকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে থাকে বলে ধৃতকে জেরা করে জানা গিয়েছে। যাতে অপরাধের বিষয়ে কোনও ভাবেই কেউ মুখ না খোলে। ধৃতের অধীনে প্রায় ৭০০-র মতো দুষ্কৃতী কাজ করলেও তারা একে অপরকে সেভাবে চেনে না। এতটাই গোপনীয়ভাবে কাজ হয়, যাতে কেউ গ্রেফতার হলেও অপরাধের লম্বা শৃঙ্খল কোনওভাবেই পুলিশের সামনে না আসে।

    জেলা পুলিশ সুপার কী বললেন?

    পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিহার পুলিশ, সেখানকার আদালত সকলের সঙ্গে কথা বলে গয়নার দোকানে লুটের মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করে আমরা নিজেদের হেফাজতে নিতে পেরেছি। ধৃত মাস্টারমাইন্ড জেলে বসেই এই অপরাধ সংগঠিত করে। এই কাজ করার জন্য কাজাখস্তান ও আমেরিকার দুটি নম্বরের সাহায্যে তার হোয়াটসঅ্যাপ সক্রিয় করে। যা ধৃতের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: ‘ডাইনি’ অপবাদে আদিবাসী বধূকে বেধড়ক মার, বাড়িতে তাণ্ডব, পুলিশ কী করছে?

    Raiganj: ‘ডাইনি’ অপবাদে আদিবাসী বধূকে বেধড়ক মার, বাড়িতে তাণ্ডব, পুলিশ কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামের লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আর পিছনে রয়েছে ডাইনি। সেই ডাইনি অপবাদ দিয়ে এক আদিবাসী বধূকে বেধ়ড়ক মারধর করে ঘরছাড়া করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের (Raiganj) পশ্চিম মনোহরপুরের ঋষিপুর গ্রামে। বুধবার সন্ধেয় আতঙ্কিত ওই আদিবাসী দম্পতি নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে রায়গঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। স্থানীয় মিঠুন হেমব্রম-সহ পাঁচ আত্মীয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত আদিবাসী দম্পতি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Raiganj)

    সপ্তমী থেকে রায়গঞ্জের (Raiganj) পশ্চিম মনোহরপুরের ঋষিপুর গ্রামে বিভিন্ন অসুখে একাধিক বাসিন্দা আক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছুটছেন। এই অবস্থায় স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশের ধারণা, গ্রামে ‘ডাইনি’ এসেছে’। তার জন্যই অসুস্থ হচ্ছে্ন গ্রামের বাসিন্দারা। তারপর দুদিন আগে এক অসুস্থ মহিলার চিকিৎসার জন্য এক ওঝা গ্রামে আসেন। মূলত তারপরই ঘটনার সূত্রপাত। শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন আদিবাসী বধূ। সেইসময় হঠাৎ হুড়মুড় করে তাঁর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনার সময় বধূর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। তবে, অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এদিনই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।

    নির্যাতিতা বধূর কী বক্তব্য?

    নির্যাতিতা আদিবাসী বধূর বক্তব্য, দুষ্কৃতীরা যেভাবে বাড়িতে ঢুকে ঘরের দরজা ভাঙচুর করে, আমার হাতে, পিঠে আঘাত করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়, তার পর থেকে আর ঘরে যাওয়ার সাহস পাচ্ছি না। আমরা পুরোপুরি সুস্থ, অথচ আমাদের জন্য নাকি গ্রামের বিভিন্ন লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। দুদিন আগে এক ওঝা এসে আমার বউদিকে বলেছে। তার পর থেকেই জ্যাঠার ছেলেমেয়েরা ও বউদি আমাদের ডাইনি বলে বাড়িতে ঢুকে হামলা চালাচ্ছে। খুন করার চক্রান্ত করছে। এই অবস্থায় নিজের বাড়িতে থাকতেই ভয় করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: শান্তিপুরে বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Shantipur: শান্তিপুরে বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের (Shantipur) বড় জিয়াকুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অধীর সরকার। তিনি বিজেপির বুথ কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Shantipur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় শান্তিপুর (Shantipur) ব্লকের আরবান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কিছু দুর্গা প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়, আর সেখানেই অংশগ্রহণ করেছিলেন ওই বিজেপি কর্মী অধীরবাবু। শোভাযাত্রা শেষে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই বড় জিয়াকুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় হঠাৎই দুষ্কৃতীরা তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে, ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন তিনি। শান্তিপুর থানার পুলিশ গিয়ে আহত বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। হাসপাতালের ভিতরেই পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পরবর্তীতে মৃত বিজেপি কর্মীকে হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে শান্তিপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর রাতেই মৃতদেহ মর্গে পাঠানো নিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ফের পুলিশের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তারপর পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে উঠলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    শান্তিপুর (Shantipur) পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির সহকারী সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, অধীর আমাদের দলের ভালো সংগঠক। স্থানীয় বুথ কমিটির সহ সভাপতি। এলাকায় নিজেদের আধিপত্য ফিরে পেতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। নাহলে গোটা শান্তিপুর জুড়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ করা হবে। কারণ, এভাবে দলীয় কর্মীদের খুন করে বিজেপিকে শেষ করা যাবে না। অন্যদিকে, বিজেপির আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: যাদবপুরে পড়ুয়ার মৃত্যু, ঘটনার ৬৯ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা পুলিশের

    Jadavpur University: যাদবপুরে পড়ুয়ার মৃত্যু, ঘটনার ৬৯ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের অগাস্ট মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয় রাজ্য। অভিযোগ, র‌্যাগিং-এর নামে শারীরিক এবং মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল ওই ছাত্রকে। এই ঘটনায় যৌন হেনস্তারও অভিযোগ সামনে আসে। এবার যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University) ধৃত ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিল কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, আলিপুর আদালতে জমা দেওয়া ওই  চার্জশিটে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, পক্সো এবং র‍্যাগিং-এর বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্তে যদি আরও কিছু উঠে আসে, তখন সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশের আবেদনও করা হয়েছে।

    কলকাতা পুলিশ জমা দিল চার্জশিট

    পুলিশের দেওয়া ওই চার্জশিট অনুযায়ী, হস্টেলে প্রথম দিন থেকেই প্রথম ওই পড়ুয়াকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। যার জেরেই প্রথম বর্ষের (Jadavpur University) ওই ছাত্র আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। জানা গিয়েছে, পুজোর ছুটি চলায় বিচারকের কাছে এখনও পর্যন্ত চার্জশিট পৌঁছায়নি। নিয়ম অনুযায়ী, চার্জশিট হাতে পেয়ে প্রথমে বিচারক গ্রহণ করেন এবং পরে মামলার শুনানি শুরু হয়। ঘটনার ৬৯ দিনের মাথায় আলিপুরের বিশেষ পক্সো আদালতের বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের এজলাসে এই চার্জশিট  পেশ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যে সমস্ত অভিযোগ ধৃত ১২ জনের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তা প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন অথবা ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে।

    ২৫০ পাতার চার্জশিটে রয়েছে ৪০ জনের সাক্ষ্য

    চলতি বছরের অগাস্ট মাসে যাদবপুরে (Jadavpur University) হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যান প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া। সেখান থেকে সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরের দিন ভোরেই মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় র‍্যাগিং-এর অভিযোগ ওঠে মেন হস্টেলের বর্তমান পড়ুয়া এবং প্রাক্তনদের বিরুদ্ধে। পরবর্তীকালে পুলিশ তদন্তে নেমে ১২ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃত ১২ জনই আদালতের নির্দেশে এখনও জেলেই রয়েছেন অগাস্ট মাস থেকে। প্রত্যেক অভিযুক্তই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের আবাসিক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ১২ জনের মধ্যে ৬ জন বর্তমান পড়ুয়া এবং ৬ জন প্রাক্তনী রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩০৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিট ২৫০ পাতারও বেশি বলে জানা গিয়েছে। তাতে প্রায় ৪০ জন সাক্ষীর বয়ান রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Katwa: দশমীর পর নীলকন্ঠ পাখির সামনে সিঁথিতে সিঁদুর পরেন গ্রামের বধূরা, কোথায় জানেন?

    Katwa: দশমীর পর নীলকন্ঠ পাখির সামনে সিঁথিতে সিঁদুর পরেন গ্রামের বধূরা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবী পক্ষে সেই কৈলাশ থেকে মর্তে বাপের বাড়িতে এসেছিলেন মা দুর্গা। মর্তবাসী চারদিন ধরে জাঁকজমকভাবে তাঁর পুজোপাঠ করেছেন। দেবী ফিরে যাবেন কৈলাশে। এই বিশেষ দিনে যার দর্শন পাওয়া অত্যন্ত সৌভাগ্যের বলে মানা হয়ে থাকে, তা হল নীলকন্ঠ পাখি। পোষ্য সেই নীলকন্ঠ পাখিকে সঙ্গে করে নিয়ে এদিন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার (Katwa) মুস্থূলী  ও ঘোড়ানাশ গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দর্শন করালেন বধূ বাণী রায়। ওই পাখির কপালে সিঁদুর পরিয়ে দিয়ে তারপর এই দুই গ্রামের গৃহস্থ পরিবারের বধূরা ও বাণীদেবী একে অপরের সিঁথিতে সিন্দুর পরিয়ে দিলেন। বাণী রায়ের দৌলতে এভাবেই বছরের পর বছর দশমীর পর নীলকন্ঠ পাখির দর্শন পেয়ে আসছেন মুস্থূলী  ও ঘোড়ানাশ গ্রামের বাসিন্দারা।

    দশমীর দিনে দুটি নীলকন্ঠ পাখিকে ওড়ানো হয়

    এই ’নীলকন্ঠ পাখিকে নিয়ে হিন্দুদের ভক্তিভাব ও আবেগের অন্ত নেই। পাখিটির পোষাকি নাম ‘ইন্ডিয়ান রোলার’। আর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল ‘কোরাসিয়াস বেনঘালেনসিস’। হিন্দুদের কাছে পাখিটির আদরের নাম নীলকন্ঠ। দুর্গাপুজোর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে এই পাখির। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুয়ায়ী, নয় দিন মর্তে বাপের বাড়িতে কাটিয়ে দশমীর দিনে গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী ও সরস্বতীকে সঙ্গে নিয়ে কৈলাশে ফিরে যান মা দুর্গা। দেবীর সেই আগমন বার্তা নাকি নীলকন্ঠ পাখি-ই কৈলাশে মহাদেবকে পৌঁছে দেয়। সেই বিশ্বাসে ভর করে দশমীর দিনে দুটি নীলকন্ঠ পাখিকে ওড়ানোর রীতি মানা হয়ে থাকে। প্রথমটি ওড়ানো হয় মন্দির থেকে দেবী দুর্গার যাত্রা শুরুর সময়। আর দ্বিতীয় নীলকন্ঠ পাখিটি ওড়ানো হয় দেবীর প্রতিমা বিসর্জনের পর। এও বলা হয়, রাবণবধের আগে এই নীলকন্ঠ পাখির দর্শন পেয়েছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। আবার অনেকের মতে ,নীলকন্ঠ পাখি-ই নাকি রামচন্দ্র ও তাঁর বাহিনীকে পথ দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এইসব নানা বিশ্বাস ও প্রচলিত ধারণা থেকে নীলকন্ঠ পাখির দর্শন লাভ শুভ বলে মনে করেন  হিন্দুরা। কাটোয়ার (Katwa) এই গ্রামে বছরের পর বছর ধরে সেই রেওয়াজ চলে আসছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    কাটোয়া-২ (Katwa) নম্বর ব্লকের জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অখড়া গ্রামে বাড়ি বাণী রায়ের। তিনি বলেন, ‘দশমীর দিন সকাল থেকে উপবাসে থেকে নতুন বস্ত্র পরে পরিবারের পোষ্য নীলকন্ঠ পাখিটিকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। এলাকার গৃহস্থের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাড়ির বধূদের নীলকন্ঠ পাখি দর্শন করাই। কেন পাখিটিকে বিভিন্ন জনের বাড়ি বাড়ি নিয়ে দিয়ে দর্শন করান? তার উত্তরে বাণীদেবী বলেন, বংশপরম্পরায় আমাদের পরিবারের বধূরা দশমীর পর এলাকার গৃহস্থদের নীলকন্ঠ পাখির দর্শন করিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি পরিবারের মা, বাবা সহ সকলের শান্তি ও মঙ্গল কামনা এবং সংসারের কল্যাণের জন্য এদিন নীলকন্ঠ পাখি দেখাই। পাখি দেখানো শেষে দুপুরে বাড়ি ফিরে গিয়ে স্নান সেরে দুর্গা মাকে প্রণাম জানিয়ে তার পর মুখে অন্ন দিয়ে থাকি। আর মুস্থূলী ও ঘোড়ানাশ গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, দশমীর পর বাণীর মাধ্যমে জীবন্ত নীলকন্ঠ পাখির দর্শন পেয়ে আমরাও তৃপ্ত হই। এদিন সকাল থেকে বাণীর জন্য আমরা বাড়ির বউয়েরাও পথ চেয়ে বসে থাকেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Case: তৃণমূল মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুরের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ পেল ইডি

    Ration Case: তৃণমূল মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুরের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাকিবুরের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির পুরোটাই দুর্নীতির টাকায় হয়েছে বলে দাবি ইডির। পার্ক স্ট্রিট, নিউটাউন-রাজারহাট এলাকায় ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। একাধিক জায়গায় আরও ৮ থেকে ৯ টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে রয়েছে একাধিক হোটেল, পানশালা এবং চালকল। বেশ কিছু সংস্থায় তিনি শেয়ারে টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলে জানা গেছে। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত এই বাকিবুর এক তৃণমূল মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গেছে। এখন প্রশ্ন হল, এতো অল্প সময়ের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হলেন কীভাবে তিনি? সবটাই কি উপার্জিত আয়, নাকি রেশন দুর্নীতির (Ration Case) টাকায়? তদন্তে আরও স্পষ্ট হবে।

    ইডির বক্তব্য (Ration Case)

    ইডি সূত্রে জানা গেছে, বাকিবুরের ৯০ টির বেশি সম্পত্তি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছে। মোট ছয়টি সংস্থায় তাঁর শেয়ারের পরিমাণ হল ৫০ কোটি টাকারও বেশি। মামলার তদন্তে নেমে ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে বলে দাবি। তাঁর ১ হাজার ৬৩২ কাঠা জমির সন্ধান মিলল, যার বেশিরভাগটাই উত্তর ২৪ পরগনা এবং বহরমপুরে। সেই সঙ্গে রয়েছে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, পানশালা, হোটেল, চালকল। আরও জানা গেছে, নিজের শ্যালক, স্ত্রীর নামের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন (Ration Case) করেছেন বাকিবুর। অবশ্য শ্যালক এবং স্ত্রী এই কথা ইডির তদন্তের জেরায় জানিয়েছেন।

    রেশনের সামগ্রী খোলাবাজারে বিক্রি করতেন

    বাকিবুরের এই হঠাৎ সম্পত্তির উত্থানের কারণের পিছনে রেশন দুর্নীতির (Ration Case) কথা উঠে এসেছে। রেশনের খাদ্যসামগ্রীকে খোলা বাজারে বিক্রি করে, অবৈধ আয় করতেন তিনি। তাঁর কৈখালির ফ্ল্যাট থেকে ১০০ টির বেশি সরকারি সিলমোহর দেওয়া নথি উদ্ধার হয়েছে তদন্তে। তাঁকে ৫৩ ঘণ্টা টানা জিজ্ঞাসবাদ করে ইডির আধিকারিকরা এই তথ্য উদ্ধার করেন। এরপর তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি আদালতে জানিয়েছে যে বাকিবুর মিল থেকে খাদ্যসামগ্রী অবৈধ ভাবে বিক্রি করতেন। আর তার সেই বিক্রির হিসাব লেখা রয়েছে খাতায়। কোথায় কত সামগ্রী যেত, কোন ডিসট্রিবিউটর বা ডিলারের কাছে মাল পাঠাতেন, তার হিসাবও আদলাতে জমা করেছে ইডি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: দশমীর বিষাদের মধ্যেই পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    Durga Puja: দশমীর বিষাদের মধ্যেই পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীতে একদিকে যখন সারা বাংলা জুড়ে দশভূজার বিদায়ে বিষাদের ছায়া, ঠিক উল্টো চিত্র ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের খাদিমপুর গ্রামে। দশমীতেই শুরু এখানকার দুর্গাপুজো (Durga Puja)। পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন খাদিমপুর গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই। পুজোর চারদিন বসে মেলাও।

    দেবী দশভূজার বদলে চতুর্ভূজা (Durga Puja)

    রায়গঞ্জ থানার ১৩ নম্বর কমলাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিমপুর গ্রাম নতুন করে মেতে উঠেছে শারদীয়া পুজোর আনন্দে। তবে, কত বছরের পুরানো এই পুজো, তা কেউই বলতে পারে না। আনুমানিক পাঁচশো বছর ধরে এই একই নিয়মে দশমীর দিনেই শুরু হয় বালাইচন্ডীরূপী দেবী দুর্গার পুজো। দশমীর রাতে শুরু হওয়া পুজো চলবে তিনদিন। এখানে দেবী দশভূজার বদলে চতুর্ভূজা। চার হাতেই দেবীর অস্ত্র থাকলেও এখানে দেবীর পদতলে নেই মহিষাসুর। তবে অন্যান্য দুর্গামণ্ডপের মতো এখানেও দেবী কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী নিয়ে রয়েছেন সপরিবারেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সরা বছর আমরা এই পুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকি। সবাই যখন মা দুর্গাকে (Durga Puja) নিরঞ্জন করে মুখ ভার করে ঘরে ফেরেন, আমরা তখন মায়ের পুজোকে ঘিরে আনন্দে মেতে উঠি।

    পুজো কমিটির কর্মকর্তা কী বললেন?

    খাদিমপুরের বাসিন্দা তথা পুজো কমিটির কর্মকর্তা নির্মল বর্মন বলেন, পুজোর পাশাপাশি পুজোকে ঘিরে বসে মেলা। আর এই বালাইচন্ডীরূপী দুর্গাপুজোই (Durga Puja) খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে আসল পুজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা। পুরানো রীতি মেনে আজও খাদিমপুরের এই দুর্গাপুজোয় চলে আসছে বলি প্রথা। এখানকার  বালাইচন্ডীরূপী দেবী দুর্গা খুবই জাগ্রত মেনে বহু দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন খাদিমপুরে। শারদীয়া উৎসব যেখানে শেষ হয়ে বিষাদের সুর বেজে উঠেছে, আর তখনই রায়গঞ্জ শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে খাদিমপুরে আগমনীর আগমনে আনন্দে মেতে উঠেছেন গোটা গ্রামের মানুষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গিতে স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনেই অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা স্ত্রীর

    Dengue: ডেঙ্গিতে স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনেই অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা স্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। সেই শোক সামলাতে না পেরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন স্ত্রী। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালির বেনালি গ্রামে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিকাশ হালদার। তাঁর বয়স ছিল ৫৩ বছর। তিনি বগুলা হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর নাম প্রীতি হালদার। তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার গভীর রাতে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dengue)

    প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভুগছিলেন বিকাশবাবু। বগুলা হাসপাতালে তিনি কাজেও গিয়েছিলেন। তবে, এক সপ্তাহ পরেও সুস্থ হচ্ছিলেন না দেখে জ্বর এবং গলাব্যথার উপসর্গ নিয়ে বগুলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয় তাঁকে। জ্বর না কমায় রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রক্ত পরীক্ষার পর জানা যায়, তাঁর ডেঙ্গি (Dengue) হয়েছে। ডেঙ্গির চিকিৎসার জন্য তাঁকে বগুলা হাসপাতাল থেকে রানাঘাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রক্তে প্লেটলেট অস্বাভাবিক হারে কমতে থাকে। বহু চেষ্টার পরও প্লেটলেট বৃদ্ধি পায়নি। মঙ্গলবার বিকেলে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় বিকাশবাবুর। শোকে ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী প্রীতি হালদার। স্বামীর মৃত্যু মেনে নিতে না পেরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন প্রীতি। বিকাশের মৃত্যুর পর গ্রামের বাড়ি থেকে বগুলা হাসপাতালে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক থেকে শুরু করে হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। পরে শেষকৃত্যের জন্য বিকাশের দেহ হাসপাতাল থেকে সরাসরি স্থানীয় শ্মশানঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।

    মৃতের পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    বিকাশবাবুর ভাই প্রসেনজিৎ হালদার বলেন, দাদা বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায় যে তার ডেঙ্গি (Dengue) হয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি। দাদার মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছতেই বউদি অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। দাদার মৃত্যুর পর বউদি এভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করবে, তা ভাবতেও পারিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Haldia: পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র এলাকা

    Haldia: পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, রণক্ষেত্র এলাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানীয় জলের সমস্যাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার (Haldia) বিষ্ণুরামচক এলাকা। গোষ্ঠীকোন্দলে জড়াল তৃণমূল। বাঁশ, লাঠি, লোহার রড নিয়ে চলল হামলা. পাল্টা হামলা। গ্রামের একাধিক বাড়িঘরেও চলে ভাঙচুর। তৃণমূলের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন একাধিক। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। একাদশীর দিনেই শিল্পতালুক হলদিয়াতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়াল।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Haldia)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়ার (Haldia) বিষ্ণুরামচক এলাকায় পানীয় জলের টিউবওয়েলে কেউ বা কারা নোংরা আবর্জনা ফেলে দেন। তা থেকে ঘটনার সূত্রপাত। এলাকায় বেশ কয়েকটি কল এই পরিস্থিতির শিকার হওয়াতে বিপাকে পড়েন মানুষ। এলাকার নেতৃত্বের তত্ত্বাবধানে পুরসভার পানীয় জলের গাড়ি পাঠানো হলেও সেই গাড়ি কার জায়গা দিয়ে যাবে তা নিয়েই শুরু হয় বচসা। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোল বাধে। মূলত প্রাক্তন জেলা সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডলের সঙ্গে তমলুক সাংগঠনিক জেলার বর্তমান জেলা যুব সভাপতি অজগর আলির অনুগামীদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। একে অপরের বাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। অনুগামীদের মারধর করারও অভিযোগ রয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে। ইতিমধ্যে সমগ্র ঘটনা শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানো হয়। গ্রামে পুলিশ টহল দিচ্ছে। তবে, অষ্টমীতেও গ্রামের একাধিক বাড়িতে ভাঙচুর হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠছে। সমগ্ৰ ঘটনার কথা জানিয়ে হলদিয়া থানায় লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এই বিষ্ণুরামচক এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছানোর জন্য তৃণমূলের এক শীর্ষস্থানীয় নেতা খুব চেষ্টা করেছিলেন এবং বিদ্যুৎ পৌঁছেও যায়। কিন্তু, সেখানকার রাজনৈতিক নেতৃত্বের একাংশ জানিয়েছেন, ওই এলাকায় এখন ক্ষমতা দখলের লড়াই জারি রয়েছে। আর তার জেরেই সামান্য পানীয় জলের সমস্যাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকা উত্তাল হয়ে ওঠে। এই বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share