Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Nadia: কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেলপথ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিল কেন্দ্র, শুরু হল জমি জরিপের কাজ

    Nadia: কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেলপথ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিল কেন্দ্র, শুরু হল জমি জরিপের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর খুব বেশিদিন নয়, নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুর যেতে শুধু বাসের উপর জেলার মানুষকে নির্ভর করতে হবে না। কৃষ্ণনগর থেকে ট্রেনে চড়েই সোজা তেহট্ট, করিমপুর পৌঁছে যেতে পারবেন এই এলাকার মানুষ। করিমপুর, তেহট্ট এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষের দাবি মেনেই এবার কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুর পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় সরকার। রেল লাইন তৈরি প্রস্তাব দিয়েছে এমন নয়। চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই রেল সম্প্রসারণের জন্য জমি জরিপের কাজ শুরু করেছে রেল মন্ত্রক। এতদিন এই রেল লাইন সম্প্রসারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। রেল চলাচল শুরু হওয়ার দেড়শো বছর পরও করিমপুর, তেহট্ট রেল মানচিত্রের বাইরে রয়েছে।

    রেলপথ সম্প্রসারণে রেল কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে? (Nadia)

    সিপাহী বিদ্রোহের পর পরই শিয়ালদা থেকে নদিয়ার (Nadia) গেদে হয়ে বাংলাদেশের কুষ্টিয়া পর্যন্ত ১৩৫ কিলোমিটার রেলপথ তৈরি করা হয়েছিল। আর ১৮৬২ সাল নাগাদ প্রথম এই রেল লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করা শুরু করেছিল। পরবর্তীকালে রানাঘাট-কৃষ্ণনগর হয়ে লালগোলা পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারিত হয়। নদিয়ার বুকে রেল চলাচলের প্রায় দেড়শো বছরের বেশি সময় আগে রেল চলাচল শুরু হলেও করিমপুর আজও রেল মানচিত্রের বাইরে। করিমপুর, তেহট্ট, পলাশীপাড়া সহ এই এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষকে চলাচলের জন্য নির্ভর করতে হয় বাস কিংবা প্রাইভেট গাড়়ির উপর। এবার সেই করিমপুর, তেহট্টকে রেল মানচিত্রের মধ্যে আনতে চলেছে মোদি সরকার। করিমপুরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সুবিধার জন্য ৮০ কিলোমিটার সমীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বছরের অগাস্টে ইতিমধ্যেই জমা দেওয়া ধারণাগত পরিকল্পনার সঙ্গে মাটি অনুসন্ধানের কাজ, টপোগ্রাফি জরিপ এবং ট্রাফিক জরিপ চলছে। অবিচ্ছিন্ন করিডোর সৃষ্টির লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা প্রস্তুত করার জন্য গ্রামের মানচিত্র সরবরাহ করে সাহায্যের জন্য রেলওয়ে বিভিন্ন মৌজা এবং ব্লক এলাকার ব্লক এবং সংস্কার অফিসারদের চিঠি পাঠিয়েছে রেল। অগাস্ট থেকে জরিপের কাজ শুরু করে রেলওয়ে ইতিমধ্যেই সমীক্ষার একটি অগ্রসর পর্যায়ে পৌঁছেছে। আশা করা হচ্ছে যে কৃষ্ণনগর-করিমপুর নতুন লাইনের জন্য সম্পূর্ণ জরিপ কাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ হবে। এরপর সম্ভাব্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, নদিয়া (Nadia) জেলায় তেহট্ট, করিমপুর, বেতাই, পলাশীপাড়া সব সময় অবহেলিত। এই সব এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষের গণ পরিবহণের ভরসা বাস। পলাশী বা কৃষ্ণনগর স্টেশনে পৌঁছাতেও এই সব এলাকার মানুষের ভরসা বাস। ফলে, দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেল লাইন চালু করার আমরা দাবি জানিয়েছি। এর আগে অনেক রাজনৈতিক দল এই রেল সম্প্রসারণের ইস্যুটিকে তুলে ধরে রাজনৈতির ফয়দা তুলেছে। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। এবার কেন্দ্রীয় সরকার এই রেলপথ সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়ায় ভাল লাগছে। রেলপথ তৈরি হলে এই এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।

    রেল আধিকারিক কী বললেন?

    পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এমনকী আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি করার লক্ষ্যে কেন্দ্র সরকারের লক্ষ্যের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য, রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের কাছ থেকে সব ধরনের প্রত্যাশিত সহযোগিতা রেলওয়ে দ্বারা গ্রহণ করা হবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ২০১৪ সালের টেটে সব প্রার্থীকে ৬ নম্বর, হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ২০১৪ সালের টেটে সব প্রার্থীকে ৬ নম্বর, হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ছ’টি ভুল প্রশ্নের জন্য পরীক্ষার্থীদের ৬ নম্বর দিতে হবে। এবার সেই নির্দেশেই অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পরবর্তীকালে প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের একটা অংশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়। পরীক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকালই এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিচারপতি এএস বেপান্না এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    প্রথম মামলা দায়ের হয় ২০১৮ সালে

    ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার এই মামলাটি উঠেছিল ২০১৮ সালে। তৎকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলিকে যাচাই করতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি জানায় যে সেখানে ছয়টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে। এরপরে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওই ভুল প্রশ্নের উত্তর যাঁরা দিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নম্বর দিতে হবে।

    মামলার খুঁটিনাটি

    এরপরে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে  চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ ডিভিশন বেঞ্চে যায়। সেখানে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ২০১৪ সালে যারা টেট দিয়েছিলেন, সেই সকল প্রার্থীকে ৬ নম্বর দিতে হবে। পরবর্তীকালে একই নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান এই ৬ নম্বর পাওয়ার ফলে যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন তাঁরাও এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়া অংশ নিতে পারবেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ২০ লাখ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাশ করেছিলেন ১ লাখ ২৫ হাজার জন। ২০১৪ সালের সকল প্রার্থীকে ৬ নম্বর দিতে হবে, এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সেই মামলায় হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ফের অস্ত্র কারখানার হদিশ! উদ্ধার অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, জেলাজুড়ে শোরগোল

    South 24 Parganas: ফের অস্ত্র কারখানার হদিশ! উদ্ধার অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তী থানা এলাকায়। জানা গিয়েছে, বাসন্তীর তিতকুমার বটতলা এলাকায় একটি বাড়িতে অস্ত্রের কারখানা ছিল। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ইস্তাহার গায়েন ও হাসানুর গায়েন সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মূলত তাদের বাড়িতেই অস্ত্র তৈরির কারবার চলছিল। সেখানেই হানা দেয় এসটিএফ। বেআইনি অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    অস্ত্র কারখানা থেকে কী কী উদ্ধার হল?  (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে ওই এলাকায় গোপনে অস্ত্র তৈরির কাজ চলছিল। আর সেই খবর পাওয়ার পর বাসন্তী থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ সেখানে হানা দেয়। ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি একনলা বন্দুক তৈরির উপকরণ মেলে। লোহার পাইপ কাটার মেশিন-সহ অন্যান্য সরঞ্জামও মিলেছে ওই কারখানা থেকে। অন্যদিকে, ক্যানিং থানার তালদি থেকে এক যুবককে বন্দুক-সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তী, ভাঙড় এবং ক্যানিং বরাবরই অপরাধপ্রবণ এবং বেআইনি অস্ত্র ও বোমা তৈরির জায়গা বলে পরিচিত। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ভাঙড় ও বাসন্তীতে দিনের পর দিন মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়ার ঘটনা ঘটে। বহু মানুষের মৃত্যুর খবর মেলে। বেশ কিছু গ্রামে প্রায় ঘরে ঘরে বোমা ও বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ পাওয়া যায়। একই অবস্থা দেখা যায় ক্যানিংয়েও। মাস খানেক আগে জয়নগর এলাকায় হদিশ পাওয়া গিয়েছিল অস্ত্রের কারখানার। ক্রেতা সেজে অস্ত্র কারবারিদের ধরা হয়েছিল। সেই জের কাটতে না কাটতেই ফের অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল।

    প্রসঙ্গত, বেগম খালেদা জিয়ার আমলে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দা বাহিনী ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) অপারেশনাল হেড কোয়ার্টার্স ছিল। তখন থেকেই সুন্দরবন এলাকায় সমুদ্র ও নদীপথে সীমান্ত পেরিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) সপরিবারে কট্টরপন্থী মুসলিম সন্ত্রাসবাদীদের ব্যাপক অনুপ্রবেশ শুরু হয়। রাজনৈতিক মদতে তারা রাতারাতি এদেশের নাগরিক হয়ে যায়। মূলত এদের হাত ধরেই ক্যানিং আর বাসন্তীর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চোরাকারবারের নেটওয়ার্ক ও বেআইনি অস্ত্র কারখানা ছড়িয়ে পড়ে। একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এখন বাসন্তী আর ক্যানিংয়ে নিষিদ্ধ মুসলিম সন্ত্রাসবাদী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (পিএফআই) অনুগামীদের আনাগোনা বেড়েছে। সেইসঙ্গে মুসলিম ধর্মচর্চার নামে আর এক নিষিদ্ধ কট্টরপন্থী সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিজবুত তাহরির-ও (এইচটি) তাদের নেটওয়ার্ক বাড়াচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী নওশাদ? কী বললেন সুকান্ত?

    Lok Sabha Election 2024: ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী নওশাদ? কী বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কি প্রার্থী হচ্ছেন আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকী? প্রসঙ্গত, নওশাদ সিদ্দিকীর এক মন্তব্যে এই জল্পনা ছড়িয়েছে। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে আইএসএফের ভাঙড়ের বিধায়কের প্রার্থী হওয়া নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে। প্রসঙ্গত রবিবারই আইএসএফ বিধায়ক বলেন, ‘‘দল অনুমোদন দিলে তিনি ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হিসেবে লড়বেন।’’ সম্প্রতি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যেও উঠে আসে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র। তিনিও ইঙ্গিত দেন অভিষেকের বিরুদ্ধে অন্য কাউকে প্রার্থী করার।

    অভিষেককে চ্যালেঞ্জ নওশাদের

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁর সংযোজন, ‘‘আমি কনফিডেন্ট, আমি বেশি ভোট পাব। সঠিক যদি ভোট হয় ৪২টি লোকসভাতে (Lok Sabha Election 2024) হারবে তৃণমূল।’’ ২০১৪ থেকে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের সাংসদ রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের অন্দরের খবর, এবারও তিনি ওই কেন্দ্র থেকে লড়বেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম যেমন রাজ্য রাজনীতির ভরকেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছিল, আগামী লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র সেরকম রাজ্য রাজনীতির ভরকেন্দ্র হতে চলেছেন।

    নওশাদের প্রার্থী হওয়া নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    নওশাদের প্রার্থী হওয়া নিয়ে সোমবার মন্তব্য করতে শোনা গেল সুকান্ত মজুমদারকেও। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য বিজেপিও বলবে খেলা হবে! ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে (Lok Sabha Election 2024) বিজেপি লড়াই দেবে। সোমবার রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে যান বালুরঘাটে সাংসদ। রাজভবন থেকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে বেরিয়ে আসার পরে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে বিজেপির স্পনসর প্রার্থী কেউ হতে যাবে কেন? বিজেপির সঙ্গে মতাদর্শ সম্পূর্ণ ভিন্ন। যে যেখানে খুশি প্রার্থী হতে পারে! তবে বিজেপিও লড়াই দেবে এবং জিতবে। রেশন দুর্নীতির প্রসঙ্গও সোমবার রাজভবনের সামনে সুকান্তর সাংবাদিক সম্মেলনে উঠে আসে। তিনি বলেন, ‘‘চুরি করেছে। তদন্ত হয়েছে, জেলে গিয়েছে তৃণমূলের নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুই জানতেন না! প্রশাসন জানত না! এটা কী করে হতে পারে? অপেক্ষা করুন। বালু, আলু অনেকেই যাবেন জেলে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় ‘গনি খান’ মিথ কি শেষ! লোকসভায় মৌসমকে চাইছে না তৃণমূলের বড় অংশ

    Malda: মালদায় ‘গনি খান’ মিথ কি শেষ! লোকসভায় মৌসমকে চাইছে না তৃণমূলের বড় অংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘গনি খান’ মিত কি ভাঙছে মালদায়! গনিখান চৌধুরীর ছবির উপর ভর করে একসময় এই জেলায় বাজিমাত করত কংগ্রেস। বাম আমলে গনি খান চৌধুরীর নামটাই ছিল কংগ্রেসের তুরুপের তাস। তাই এই পরিবারের সদস্যদের আলাদা গুরুত্ব ছিল সব সময়। সব রাজনৈতিক দলই আলাদা নজরে দেখত এই পরিবারের সদস্যদের। কয়েক বছর আগেই মালদার (Malda) বুকে কংগ্রেসে ব্যাপক ভাঙন ধরিয়ে হাজার হাজার অনুগামী নিয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন মৌসম বেনজির নূর। তিনি এখন রাজ্যসভার সদস্য। সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে পার্টির প্রার্থী হওয়া নিয়ে দলের অন্দরে জোট চর্চা শুরু হয়েছে। দলের একটা বড় অংশের কর্মীরা মৌসমকে আর লোকসভার প্রার্থী করতে চাইছেন না। তারা রীতিমতো গণস্বাক্ষর করে রাজ্য নেতৃত্বের দ্বারস্থ হতে চলেছেন।

    কেন ক্ষোভ? (Malda)

    বেশ কয়েক বছর আগেই কংগ্রেস ছেড়ে মৌসম তৃণমূলে যোগ দেন। গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি হেরে যান। তবে, তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে রাজ্যসভায় সাংসদ নির্বাচিত করা হয়। কিন্তু, সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকে মালদায় (Malda) দলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। কর্মীদের একাংশের অভিযোগ, বাড়ি গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হত। অনেক সময় ঠিক মতো করে কথাও বলতেন না নেত্রী। আপদে বিপদেও নেত্রীকে পাশে পাওয়া যায়নি। ফলে দলের মধ্যেই বেশ কয়েক বছর ধরে তাঁর বিরুদ্ধে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। একসময় যারা মৌসুমের অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তাঁরাও ধীরে ধীরে নেত্রীকে পাশে না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন। কয়েক মাস পরেই হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। স্বাভাবিকভাবেই মৌসমকে নিয়ে ফের জেলার রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছে। কিন্তু, নিচুতলার কর্মীদের একটা বড় অংশ তাঁর থেকে সরে গেছে। তাই এবার লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে চাইছেন না। শুধুমাত্র গনি খান চৌধুরীর পরিবারের সদস্য বলে মৌসমকে যাতে প্রার্থী না করে রাজ্য নেতৃত্ব তাই একটা অংশ গণ স্বাক্ষর করে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দরবার করতে চলেছেন। তাঁর পরিবর্তে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে দলের জেলার সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সিকে অনেকে চাইছেন।

    তৃণমূল নেত্রী মৌসম নূর কী বললেন?

    তৃণমূল নেত্রী মৌসম নূর বলেন, দলের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থাকতেই পারে। এটা নিয়ে চর্চার দরকার নেই। কিছু মানুষের মনে মান-অভিমান থাকতে পারে, সেটা মিটে যাবে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেকের নেতৃত্বে এখানে তৃণমূল ফের শক্তিশালী হবে।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের মালদার (Malda) জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, প্রার্থী ঠিক করার বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্ব করে।  এখানে আমাদের কিছু বলার নেই। আর এই নিয়ে কে কী দাবি করছে তা আমার জানা নেই। তাই, এই বিষয়ে আমার মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে পৌঁছল এনআইএ

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে পৌঁছল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বেলডাঙায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্তে পৌঁছাল এনআইএ। সোমবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার তিন সদস্যের দল এদিন রামেশ্বরপুরে গিয়ে দুই জনের বাড়িতে গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়েও বোমা বিস্ফোরণে উত্তাল হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ। রাজ্যে শাসক-বিরোধী দলের সংঘর্ষে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছিল এই জেলায়। এবার ২০২২ সালের বিস্ফোরণের ঘটনায় এনআইএ তদন্ত করতে এলে তীব্র শোরগোল পড়ে জেলায়।

    তল্লাশি চালনো হয় দুই ব্যক্তির বাড়িতে (Murshidabad)?

    স্থানীয় (Murshidabad) সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের এদিন রামেশ্বরপুরে দুই ব্যক্তির বাড়িতে তাল্লাশি করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এলাকার মনসুর শেখ, তাহাবুল শেখের বাড়িতে অনেক সময় ধরে তল্লাশি করে এনআইএ। তবে তদন্তের বিষয়ে বাড়ির লোকেরা কিছু মন্তব্য করতে চাননি।

    ঘটনা কী ঘটেছিল?

    ২০২২ সালে ১৭ জানুয়ারিতে বেলডাঙার রামেশ্বরপুরে (Murshidabad) একটি বাগানবাড়িতে চলছিল বোমা তৈরির কাজ। কিন্তু সেই দিন রাতে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। এরপর পুলিশ তাল্লাশি চালিয়ে ঘটনাস্থলে ৭৪ টি সকেট বোমা উদ্ধার করে। জেলা পুলিশের তদন্তে উঠে আসে আরও তথ্য। প্রায় পাঁচ মাস পরে ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে চাঞ্চাল্যকর তথ্য। এই ঘটনার তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আট মাস পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে এনএইএ তদন্তভার নিয়ে ফের তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    আরও ঘটেছিল বিস্ফোরণ

    সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) ১০ অক্টোবর ২০২২ সালে বিস্ফোরণে মারা গিয়েছিলেন ছাদি শেখ। এদিন তাঁর বাড়িতেও যায় তদন্তকারী দল। এছাড়াও এই বছরেই ১৬ সেপ্টেম্বর ঘটা বেলডাঙা বিস্ফোরণ মামলায় এনআইএ এবার ইউপিএ ধারা যুক্ত করেছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী তদন্তে জানা গিয়েছে পাইপ বোমা জাতীয় বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল এই বিস্ফোরণে। এই ঘটনায় মোট ১৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে ছিল। ধৃতরা আদালতে জামিনের আবেদন জানালেও বর্তমানে প্রত্যেকের আবেদন বাতিল হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: ভূতের উপদ্রব, আতঙ্কে পালাচ্ছেন গ্রামবাসীরা, ঘটনাস্থলে বিজ্ঞান মঞ্চ

    Hooghly: ভূতের উপদ্রব, আতঙ্কে পালাচ্ছেন গ্রামবাসীরা, ঘটনাস্থলে বিজ্ঞান মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার পর থেকেই বাড়িতে ভীষণ উৎপাত। রাত হলেই শব্দের উপদ্রব। শব্দের তীব্রতা এতটাই, মনে হয় কেউ যেন বাড়ির দেওয়ালে ইট, পাথর ছুড়ে মারছে। রীতিমতো বাড়িতে ঘুমানো এক প্রকার অসম্ভব হয়ে উঠেছে। অথচ ঘর থেকে বাইরে গেলে কাউকেই দেখা যায় না। এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে বাড়ির আশপাশের এলাকায়। পার্শ্ববর্তী অনেক গ্রামবাসী ভয়ে অন্যত্র পালিয়ে যাচ্ছেন। ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু হল হুগলি (Hooghly) জেলার উত্তম বিশ্বাসের বাড়ি। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিজ্ঞান মঞ্চ।

    বাড়ির লোকজনের বক্তব্য

    হুগলির (Hooghly) পোলবার রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটুয়া গ্রামের নিবাসী হলেন উত্তম বিশ্বাস। বাড়িতে ভূতের উপদ্রব হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বাড়িতে উত্তমের স্ত্রী বলেন, “গভীর রাত হলেই বাড়িতে প্রচুর শব্দ হয়। মহালয়ার পর থেকে রোজ এই ঘটনা ঘটে চলছে। বাড়ির চারপাশ ভালো করে দেখেছি। কোথাও কিছু নেই। কিন্তু রাত হলেই বিভিন্ন শব্দ শুনতে পাই। এমনকী আশেপাশের প্রতিবেশীরাও সেই শব্দ শুনতে পান।” এলাকার কেউ কেউ বলছেন ভূতের দাপট বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু অপর দিকে আরও অনেকে বলছেন ঘটনার পেছনে কোনও ব্যক্তি রয়েছে। ভয় দেখাতেই এই কর্মকাণ্ড বলে দাবি করেছেন প্রতিবেশীদের একাংশ। অপর দিকে বাড়ির মালিক উত্তম বিশ্বাস বলেন, “গ্রামের অনেক মানুষ ভূতের কথা বলেছেন। আর তাই বাড়িতে ওঝা-গুণিনকে ডাকা হয়েছে। কিন্তু লাভ হচ্ছে না।”

    ঘটনাস্থলে বিজ্ঞান মঞ্চ

    অপর দিকে বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে অনেকেই বাড়িতে (Hooghly) গিয়ে খোঁজ-খবর করেছেন। বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে ভূতের তত্ত্বকে অস্বীকার করা হয়েছে। বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক সন্দীপ সিংহ বলেন, “অসৎ উদ্দেশ্যে হয়তো কেউ তাঁদের বাড়ির ছাদ, দেওয়ালে আঘাত করছে। স্থানীয়রা এই জন্যই ভূতের কথা বলছেন। তবে আমরা কোনও শব্দ শুনতে পাইনি।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমরা আবারও যাবো, বাড়ির এবং এলাকার মানুষকে সাহস দিয়েছি।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা! গ্রেফতার অভিযুক্ত সরকারি কর্মী

    Fraud: স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা! গ্রেফতার অভিযুক্ত সরকারি কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষাধিক টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার (Fraud) কারণে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে এবার গ্রেফতার হলেন এক সরকারি কর্মী। পুলিস জানিয়েছে,ধৃতের নাম শুভঙ্কর চক্রবর্তী। তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনিক ভবনের গ্রুপ ডি পদের স্থায়ী কর্মী। মাসখানেক আগে এই মামলায় তাঁর মা গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি আবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা। দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। আইন আইনের পথে চলবে।’

     ঠিক কী অভিযোগ? (Fraud)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সরকারি কর্মী শুভঙ্কর চক্রবর্তীর বাড়ি বালুরঘাট শহরের চকভৃগু এলাকার। তিনি ও তাঁর  মা শেফালী চক্রবর্তী প্রাইমারি স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে  একাধিকজনের কাছে থেকে লক্ষাধিক টাকা তুলেছিলেন। এমনকী ভুয়ো নিয়োগপত্রও দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এরপরেও কারও চাকরি হয়নি। প্রতারিতরা ২০২২ সালে অভিযোগ দায়ের করেন বালুরঘাট থানায়। সেই অভিযোগের পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন ওই শিক্ষিকা। মাসখানেক আগে ওই শিক্ষিকাকে বালুরঘাট থেকেই বালুরঘাট থানার পুলিস গ্রেফতার করে। এবারে তাঁরই ছেলেকে পুলিস গ্রেফতার করল।  সোমবার ধৃতকে আদালতে পেশ করা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। তাঁর বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার আর্থিক প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত শুভঙ্কর চক্রবর্তী আদালতে যাওয়ার সময় বলেন, ‘আমি কোনওভাবেই কারও সঙ্গে আর্থিক প্রতারণায় যুক্ত নই।’

     প্রতারিতদের কী বক্তব্য?

    অরিজিৎ দাস নামে এক প্রতারিত বলেন, ‘সরকারি কর্মী ও তাঁর মা মিলে প্রতারণা চক্র চালাতেন। চাকরি দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা নিয়েছিল অভিযুক্তের মা। তার নামে থানায় অভিযোগ করেছিলাম। সেই মহিলাকে গ্রেফতার আগেই করেছে। এবার তার ছেলেও গ্রেফতার হয়েছে। এখন ন্যায় বিচারের আশায় রইলাম।’ প্রতারিত দিবস বর্মন বলেন, ‘শুভঙ্কর আমার বন্ধু ছিল। সেই সূত্রে তার বাড়িতে যাতায়াত লেগে থাকত। প্রাথমিক শিক্ষকে নিয়োগের লোভ দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। বহুবার চেয়েও সেই টাকা ফেরত পাইনি। অবশেষে মা ও ছেলে দুজনের নামে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।’

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘এক বছর আগে করা এক ব্যক্তির প্রতারণার (Fraud) অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে মাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে আরেকজনের অভিযোগ পাওয়াতে সেই মামলার সঙ্গে এটা জুড়ে দেওয়া হয়েছে। যেখানে জেলা প্রশাসনের এক কর্মীর নাম উল্লেখ রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “ভোট চাইতে এলে বিজেপি কর্মীদের গাছে বেঁধে রাখুন” তৃণমূল নেতার হুমকিতে তীব্র বিতর্ক

    Birbhum: “ভোট চাইতে এলে বিজেপি কর্মীদের গাছে বেঁধে রাখুন” তৃণমূল নেতার হুমকিতে তীব্র বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট চাইতে এলে বিজেপি কর্মীদেরকে গাছে বেঁধে রাখার নিদান দিলেন তৃণমূলের নেতা। বীরভূমের (Birbhum) রূপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন হয়েছিল। আর এই সম্মেলনের সভা থেকে বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের নেতা বাবু দাস হুমকি দিয়ে বলেন, “সামনে লোকসভার ভোট। তাই এবার বিজেপি ভোট চাইলে গাছে বেঁধে রাখবেন।” এই মন্তব্যে জেলায় তীব্র শোরগোল পড়েছে। রাজ্যে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীদের হুমকির ঘটনা নতুন কিছু নয়। গত ২০২১ সালের বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল রাজ্য জুড়ে। ফলে বিজেপিকে হুমকির ঘটনায় আরও একবার কাঠগড়ায় উঠল তৃণমূল।

    তৃণমূলের বক্তব্য (Birbhum)

    বিজেপিকে হুমকি দিয়ে তৃণমূল নেতা বাবু দাস (Birbhum) বলেন, “মাত্র হাতে গোনা কয়েকমাস পরেই লোকসভার নির্বাচন। সকল দলের নেতারা ভোট চাইতে আসবেন। বুথের সমস্ত কর্মীদের বলে দিচ্ছি, বিজেপি যদি ভোট চাইতে আসে তাহলে তাঁদের গাছে বেঁধে রাখবেন। গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে ১০০ দিনের টাকার হিসাব চাইবেন। বাংলাকে কেন বঞ্চনা করা হচ্ছে জানতে চাইবেন।”

    আর কী বলেন?

    কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথা বলে কার্যত বিজেপি কর্মীদের আতঙ্কিত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ। তবে বোলপুর- শ্রীনিকেতন ব্লকের (Birbhum) নেতা বাবু দাস নিজের বক্তব্যে স্থির থেকে বলেন, “কে কীভাবে নিচ্ছে আমি জানিনা। বিজেপি যদি একে হুমকি হিসাবে নেয় তাহলে মন্তব্যের বিশ্লেষণ ভুল করা হবে। এলাকায় ভোট চাইতে গেলে ১০০ দিনের কাজের টাকা দিতে হবে। কাজ করাবে অথচ টাকা দেবেনা এমন টা চলতে পারেনা।”

    বিজেপির বক্তব্য

    এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বীরভূম (Birbhum) জেলার বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “তৃণমূল দলের এটাই সংস্কৃতি। তৃণমূল কু কথা না বললে, ভোটে জয়ী হতে পারে না তাই ওঁদের কু কথা বলতেই হয়। সমানে লোকসভার ভোট তাই বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এই মন্তব্যকে আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Titagarh: টিটাগড়ে ফের দুই কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Titagarh: টিটাগড়ে ফের দুই কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে হাতাহাতি, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠল টিটাগড়ের উড়ানপাড়া এলাকা। টিটাগড় (Titagarh) পুরসভার তৃণমূলের দুই কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে গন্ডগোল বাধে বলে অভিযোগ। দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এর ফলে ফের টিটাগড় পুরসভা এলাকায় তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসে। এক সপ্তাহ আগেই তৃণমূল কাউন্সিলার বিকাশ সিং এবং সনু সাউয়ের মধ্যে প্রকাশ্যে মারামারি হয়েছিল। সংঘর্ষের জেরে বিকাশের এক অনুগামীর মৃত্যু হয়। এনিয়ে পুলিশের ধমক খেতে হয় সনু সাউকে। যা নিয়ে জেলা জুড়ে চর্চা হয়। দলীয় নেতৃত্ব সতর্ক করার পরও ফের টিটাগড় পুরসভার অন্য দুই কাউন্সিলারের অনুগামীদের মধ্যে প্রকাশ্যে গন্ডগোল বাধল। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশ উড়ানপাড়া এলাকায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা টোটো, অটোতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ভাঙচুরের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Titagarh)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টিটাগড় (Titagarh) পুরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিষ্ণু সিং এবং ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মহম্মদ জলিলের অনুগামীদের মধ্যে গন্ডগোল বাধে। আসলে ঘটনার সূত্রপাত একটি ছিনতাইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। রবিবার রাতে জি সি রোড এলাকায় একটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। আর তাতে দুই কাউন্সিলারের অনুগামীরা একে অপরকে দায়ী করে বচসা শুরু করে। বচসা থেকে হাতাহাতি বাধে। দুপক্ষই হামলায় জখম হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতেই উড়ানপাড়ার দিকে সকলেই পালিয়ে যায়। পুলিশ তাদের পিছনে ধাওয়া করে। তখনই উড়ানপাড়ার রাস্তায় থাকা অটো, টোটোতে পুলিশ ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুলিশের কাজ হচ্ছে এলাকায় শান্তি বজায় রাখা। কোথাও কোন গন্ডগোল তা থামানোর কাজ পুলিশের। কিন্তু পুলিশ এসে সাধারণ মানুষের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। এটা অন্যায় কাজ করেছে পুলিশ।

    পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল কাউন্সিলার তথা পুরসভার (Titagarh) ভাইস চেয়ারম্যান মহম্মদ জলিল বলেন, এলাকার দুই পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল হয়। কী নিয়ে গন্ডগোল হয়েছিল আমরা জানি না। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও বিষয় নেই। গন্ডগোল থামাতে এসে পুলিশ স্থানীয় বাসিন্দাদের অটো, টোটোতে ভাঙচুর চালায়। এটা ঠিক হয়নি। এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share