Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Onion: বাজারে পেঁয়াজের দামে আগুন! বিপাকে মধ্যবিত্ত, কত দামে বিক্রি হচ্ছে জানেন?

    Onion: বাজারে পেঁয়াজের দামে আগুন! বিপাকে মধ্যবিত্ত, কত দামে বিক্রি হচ্ছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাজারে পেঁয়াজের (Onion) দামে আগুন লেগেছে। তাই মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ খাবেন না কেবল ছুঁয়ে দেখবেন, তাই নিয়ে শোরগোল পড়েছে। মধ্যবিত্তের হেঁসেলে পেঁয়াজ একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় সব্জি। কিন্তু, কিনতে গেলেই হাতে আগুনের ছ্যাঁকা লাগছে। দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজোর পর আসছে কালীপুজো-ভাইফোঁটা। তাই নভেম্বরের শুরুতেই পেঁয়াজের দাম আগের তুলানায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। অবশ্য এর পিছনে অনেকে মধ্যসত্ত্বভোগী ফোড়েদের ভূমিকা আছে বলে মনে করেছেন। পেঁয়াজের অগ্নিমূল্যে সাধারণ মানুষের মাথায় হাত পড়েছে। প্রশ্ন উঠছে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও।

    অগ্নিমূল্য পেঁয়াজ (Onion)

    পেঁয়াজের (Onion) দাম বেশি হওয়ায় ইতিমধ্যে সব খাবারেই পেঁয়াজের ব্যবহার কমতে শুরু করেছে। কয়েকদিন আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, চন্দ্রকোণা সহ বিভিন্ন এলাকায় পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০ থেকে ৪০ টাকা প্রতি কিলো। বর্তমানে সেই দাম হয়েছে ৬০ টাকা। দাম নিয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।

    কেন দাম বৃদ্ধি?

    বিক্রেতাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, পেঁয়াজ (Onion) নাসিক এবং অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে সড়কপথে খড়গপুর হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাজারগুলিতে পৌঁছায়। কিন্তু এই বছর কর্ণাটক এবং মহারাষ্ট্রতে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায়, ফলন অনেক কম হয়েছে। আর এর ফলে জোগানের সঙ্গে চাহিদার ভারসাম্য না থাকায় মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। তবে আগে যে পরিমাণে পেঁয়াজ মজুত ছিল, তাই এখন ৬০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে।

    চাষিদের বক্তব্য

    পেঁয়াজের (Onion) দাম নিয়ে চাষিরা বলছেন, পেঁয়াজের এই চড়া মূল্য বেশিদিন থাকবে না। নতুন পেঁয়াজ উঠলেই দাম আরও অনেক কমে যাবে। আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই দাম অনেকটাই কম হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এক চাষি জানিয়েছেন, “যে পেঁয়াজের দাম ছিল ৩০-৪০ টাকা, বর্তমানে তার মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৫ টাকা। অনেক মধ্যসত্ত্বভোগী ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা লাভের কারণে দাম বৃদ্ধি হয়েছে।”

    কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে পেঁয়াজের ন্যূনতম মূল্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৬৭ টাকার আশেপাশে দাম রাখার কথা বলা হয়েছে।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ‘কেষ্ট’র জেলযাত্রা দেখেও শিক্ষা হয়নি! তাঁরই কায়দায় বিরোধীদের হুঁশিয়ারি কাজল শেখের

    Birbhum: ‘কেষ্ট’র জেলযাত্রা দেখেও শিক্ষা হয়নি! তাঁরই কায়দায় বিরোধীদের হুঁশিয়ারি কাজল শেখের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘চড়াম-চড়াম’, ‘নকুল দানা’ সহ আরও কত কী! তৃণমূলের বীরভূম (Birbhum) জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দৌলতে বঙ্গ রাজনীতিতে এই সব শব্দের আমদানি হয়েছিল। গরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত এখন তিহার জেলে রয়েছেন। তাতেও যে অনুব্রতহীন বীরভূমে শাসক নেতাদের তেজ একটুকুও কমছে না, তা প্রমাণ করলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। এখন তিনিও সেই অনুব্রতের ঢঙে হুঁশিয়ারি দেওয়া শুরু করেছেন।

    ঠিক কী বলেছেন কাজল শেখ? (Birbhum)

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। ধীরে ধীরে তপ্ত হতে শুরু করেছে বাংলার মাটিও। এরই মধ্যে অনুব্রত মণ্ডলের সুরেই বীরভূমে (Birbhum) দাঁড়িয়ে হুমকির সুর শোনা গেল কাজল শেখের গলায়। তিনি বললেন, ‘খেলা হবে অপেক্ষা করুন।’ এদিন কাজল বললেন, ভোটের আগে বহিরাগতরা বীরভূমে এলে তাদের কোথায় পাঠাতে হবে, সেটা আমি ঠিক সময়ে দলীয় কর্মীদের জানিয়ে দেব।’ বীরভূমের রামপুরহাটে দলের শ্রমিক সংগঠনের একটি সভা ছিল। সেখানেই রণংদেহি মেজাজে বক্তব্য রাখতে দেখা যায় বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকে। এদিনের সভায় বক্তব্য রাখার সময় দলের কর্মীদের উদ্দেশে কাজল বলেন, ‘ভোটের সময় অন্য রাজ্য থেকে প্রতিবারই আসে। ওরা আসবে। আমাদের আজকের প্রজন্মের তরুণ ভাইদের টাকার লোভ দেখিয়ে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করবে। আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করবে। তাই আমি আমার ভাইয়ের বলব তোমরা একজোট হও, সব সময় চোখ খোলা রেখো, ঘুমিয়ে থেকো না। তাদের সকলকেই নির্দিষ্ট জায়গায় যেতে হবে। তবে কোথায় পাঠাতে হবে সেটা এখন বলব না। সময় এলে ঠিক বলে দেব।’ কেষ্টর ঢঙে তাঁর এই হুঁশিয়ারি নিয়ে এখন জেলাজুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, জেলায় অনুব্রত বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত কাজল। তিহারে যাওয়ার পর থেকে দলের সংগঠনের রাশ কাজলের হাতে চলে আসে। দিন দিন কোণঠাসা হয়ে প়ড়ছে কেষ্ট অনুগামীরা। দলীয় কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে কেষ্টর নাম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদে গঙ্গাভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে জমি, ভিটে! আতঙ্কিত বাসিন্দারা, প্রশাসন কী করছে?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদে গঙ্গাভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে জমি, ভিটে! আতঙ্কিত বাসিন্দারা, প্রশাসন কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত এক সপ্তাহ ধরে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই গঙ্গায় তলিয়ে যাচ্ছে জমি। ভেঙে যাচ্ছে একের পর এক বাড়ি। ভিটেছাড়া হতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। প্রাণ হাতে করে গ্রাম ছাড়ছেন লোকজন। এরকম একটা অবস্থায় কী করছে প্রশাসন? তাদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য? (Murshidabad)

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গত সপ্তাহ থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে। প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জে ২২টি বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে সংখ্যাটি অনেক বেশি। ভাঙন রুখতে স্থায়ী কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে বালির বস্তা ফেলা হয়েছে। ২০-২৫ নৌকা ভর্তি বালির বস্তা দিলে কিছুটা কাজ হত। সেখানে দুনৌকা বালির বস্তা নিয়ে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ফলে, এলাকাবাসী নৌকা ঘিরে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন। পরে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, আমাদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এখানে বালির বস্তা দিচ্ছে। আমাদের তো মনে হচ্ছে এতে আরও সমস্যা বাড়ছে। আমাদের মা-বোনরা সবাই বারান্দায় ঘুমচ্ছে। খেয়াল রাখছে এই বুঝি হয়ত বাড়ি ভেঙে পড়ে গেল নদীর জলে। বালির বস্তার জায়গায় যদি পাথর ফেলা হতো তাহলে হয়ত ভাঙন প্রতিরোধ করা সম্ভব হত। বারংবার এই দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও সুরাহা হয়নি।

    পঞ্চায়েত সমিতি কর্মাধ্যক্ষ কী বললেন?

    পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ মইমুর শেখ বলেন, পাথর ফেলে ভাঙন প্রতিরোধ করার মতো অর্থ আমাদের নেই। ফলে, তা আমরা করতে পারব না। বালির বস্তা দিয়ে আমরা যতটা পারছি ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করছি। গত সপ্তাহে দুনৌকা বালি দেখে এলাকার মানুষ ক্ষোভ জানিয়েছিলেন। এখন পর্যাপ্ত বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন মোকাবিলা করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: লক্ষ্মীপুজোর পর শুরু হয় ‘দুর্গাপুজো’, মেতে ওঠেন গ্রামের বাসিন্দারা, কোথায় জানেন?

    Durga Puja 2023: লক্ষ্মীপুজোর পর শুরু হয় ‘দুর্গাপুজো’, মেতে ওঠেন গ্রামের বাসিন্দারা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতে গোনা কয়েকদিন পর কালীপুজো শুরু। তার আগেই উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘির সিঙ্গারদহ গ্রামের বাসিন্দারা মেতে ওঠেন দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2023)। রাজবংশী সম্প্রদায়ের মানুষরা এই পুজো করেন। লক্ষ্মীপুজোর পর শুরু হয় ‘দুর্গাপুজো’। চারদিন ধরে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা।

    দশমীর আটদিন পর শুরু হয় এই পুজো (Durga Puja 2023)

    উত্তর দিনাজপুর জেলার করণদিঘির সিঙ্গারদহের বাসিন্দারা দশমীর আটদিন পর দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023) আনন্দে মেতে ওঠেন। এখানে ‘সোনামতি কুম্ভরানি’ হিসেবে পূজিত হন দেবী দুর্গা। করণদিঘির অন্যত্র যখন বিষাদের সুর, তখনই দেবীর বোধনকে কেন্দ্র করে উৎসাহ-উদ্দীপনায় ভেসে গিয়েছে গোটা গ্রাম। দুর্গাপুজোর সঙ্গে এই পুজোর মিল রয়েছে অনেকটাই। যেমন দুর্গাপুজোর মতোই সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত দেবী পূজিত হন এখানে। পুজোকে কেন্দ্র করে মেলাও বসে গ্রামে। মায়ের কাছে প্রার্থনা জানাতে দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় এখানে। প্রচলিত আছে পশু বলিও। কয়েকশো বছর আগে এই পুজো শুরু হয়েছিল। পুজোর প্রায় এক সপ্তাহ পর এই পুজো শুরু হওয়ায় এই গ্রামের পাশ্ববর্তী গ্রামগুলিতে এর গুরুত্বই আলাদা। তাই এখানকার পুজোতে ভক্তির টানে ছুটে আসেন বিভিন্ন গ্রামের মানুষ। মায়ের নামে বেশ কয়েক বিঘা জমি আছে। জমির ফসলের লাভ থেকে এই পুজো হয়।

    পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের কী বক্তব্য?

    পুজো কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত সিনহা বলেন, সঠিক কবে এই পুজো শুরু হয়েছিল, তা জানা নেই। তবে, কয়েক পুরুষ ধরেই এই পুজো হয়ে আসছে। এই পুজোয় (Durga Puja 2023) প্রতিটি বাড়িতে আত্মীয়স্বজনরা এসে ভিড় করেন। শুধু তাই নয়, এই পুজো দেখতে পাশের বিহার, বাংলাদেশ এবং নেপালের মানুষও সামিল হন। পুজোকে কেন্দ্র করে বিশাল মেলা হয়। মায়ের কাছে মানত রাখেন। দুর্গাপুজো নয়, আমরা সারা বছর এই পুজোর জন্যই মেতে অপেক্ষায় থাকি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয়-কন্যার সই করা বিজ্ঞপ্তি বদল! দুর্নীতির আঁচ থেকে দূরে থাকতে চাইছে শিক্ষা সংসদ? 

    Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয়-কন্যার সই করা বিজ্ঞপ্তি বদল! দুর্নীতির আঁচ থেকে দূরে থাকতে চাইছে শিক্ষা সংসদ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি হেফাজতে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রেশন দুর্নীতিতে (Ration Scam) নাম জড়িয়েছে তাঁর কন্যা প্রিয়দর্শিনী মল্লিকেরও। ইতিমধ্যে তিনি যে আয়কর রিটার্নের হিসাব দেখিয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে, টিউশন পড়িয়ে তাঁর উপার্জন ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বর্তমানে প্রিয়দর্শিনী উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব পদেও রয়েছেন। ঠিক এই আবহে শিক্ষা সংসদের একটি বিজ্ঞপ্তি ঘিরে প্রিয়দর্শিনীর পদ নিয়ে জল্পনা আরও বাড়ল। দুর্নীতির অভিযোগ থাকার কারণেই কি প্রিয়দর্শিনীকে এড়িয়ে চলছে শিক্ষা সংসদ? ঘটনা হল, ২দিন আগে দুপুর ২ টো ৫০ মিনিট নাগাদ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে। তাতে সই ছিল জ্যোতিপ্রিয়-কন্যা প্রিয়দর্শিনীর (Ration Scam)। তবে ওই দিনই রাত দশটায় আচমকা বিজ্ঞপ্তি বদলে যায়। সেখানে তখন সই দেখা যায় উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্যের।

    কী বিষয়ে ছিল বিজ্ঞপ্তি?

    মূলত একাদশ শ্রেণির সিলেবাস সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি ছিল এটি। একাদশ শ্রেণিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং ডেটা সায়েন্স নতুন বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই দুটি বিষয়েই সিলেবাসে কিছু বদল আনা হয়েছে। সেই পরিবর্তিত নতুন সিলেবাস উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়। যদিও সংসদের তরফে এই সই বদল নিয়ে তেমন কিছু জানানো হয়নি। সংসদ বলছে, ‘‘জরুরি সংশোধন করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। অর্ডারটিতে কিছু সংশোধনের পর সভাপতি তা সই করে অনুমোদন দিয়েছেন।’’ তবে কী সংশোধন করা হয়েছে, তার কোনও উল্লেখ করা হয়নি। এখানেই বাড়ছে জল্পনা। শিক্ষা সংসদ দুর্নীতি থেকে নিজেদেরকে দূরে রাখতে চাইছে বলেই কি প্রিয়দর্শিনীকে এড়িয়ে যাচ্ছে? প্রশ্ন বিভিন্ন মহলের (Ration Scam)।

    ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে নাম উঠে এসেছে প্রিয়দর্শিনীর

    প্রসঙ্গত, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের তৈরি করা একাধিক ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে নাম উঠে এসেছে প্রিয়দর্শিনীর। চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই সংসদের সচিবের পদে নিয়োগ পান প্রিয়দর্শিনী। বর্তমানে তিনি আশুতোষ কলেজে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহ অধ্যাপিকা হিসেবে পড়ান। এর মধ্যে তাঁকে ইডি তলবও করে। ফাইল হাতেই জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পরে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢুকতে দেখা যায় মন্ত্রী কন্যাকে। তবে তিনি এসব বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি (Ration Scam), সংবাদমাধ্য়মের সামনে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিক্ষায় নয়া দুর্নীতি, কলেজে কলেজে ছাত্র সংসদই নেই, তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা!

    Siliguri: শিক্ষায় নয়া দুর্নীতি, কলেজে কলেজে ছাত্র সংসদই নেই, তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষাক্ষেত্রে আরও এক বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ। ২০১৭ সাল থেকে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নেই। অথচ গোটা রাজ্যে লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে অবৈধভাবে ইউনিয়ন ফি বাবদ টাকা আদায় করছে বিভিন্ন কলেজ। কয়েকশো কোটি টাকার এই দুর্নীতির অভিযোগে প্রমাণ সহ রাজ্যপালের দ্বারস্থ হল এবিভিপি’র উত্তরবঙ্গ শাখা (Siliguri)।

    কেন অবৈধ ছাত্র সংসদ ফি? (Siliguri)

    এবিভিপির উত্তরবঙ্গ শাখার রাজ্য সম্পাদক শুভব্রত অধিকারী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ হয়ে রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে কোনও বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র সংসদ নেই। কাজেই কলেজগুলিতে ছাত্র সংসদের কোনও ভূমিকাও নেই। যার অস্তিত্ব নেই, তার নামে টাকা তোলা যায় না। কিন্তু আমরা প্রমাণ সংগ্রহ করেছি, উত্তরবঙ্গ (Siliguri) সহ রাজ্যের বিভিন্ন কলেজে স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ফি বাবদ ১০০ থেকে ২৫০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে। এটা পুরোপুরি অবৈধ। শিক্ষাক্ষেত্রে কোটি কোটি টাকার এই দুর্নীতি নিয়ে আমরা রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছি। মঙ্গলবার প্রমাণ সহ তাঁকে বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।

    সরব শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক (Siliguri)

    শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, রাজ্যে ভুরি ভুরি দুর্নীতির মধ্যে এও এক বড় দুর্নীতি। দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না। কিন্তু দু’-একটি ক্ষেত্র ছাড়া বিভিন্ন কলেজে (Siliguri) ছাত্র সংসদ তহবিলে টাকা নেওয়া হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে। ছাত্র সংসদ নেই, তাহলে এই টাকা কেন তোলা হচ্ছে, কোথায়ই বা যাচ্ছে তা, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হবে। এভাবে কোটি কোটি টাকা তোলা হচ্ছে। এর সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্ব জড়িত বলে অভিযোগ করেন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক। অবৈধভাবে এই টাকা তোলার বিষয়টি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নজরেও আনবেন বলে জানান শঙ্কর ঘোষ। তিনি তাঁর অভিযোগের স্বপক্ষে শিলিগুড়ি বাণিজ্য মহাবিদ্যালয়ের একটি রসিদ তুলে ধরেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে, স্টুডেন্ট ইউনিয়ন ফান্ডে আড়াইশো টাকা নেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন অধ্যক্ষ? (Siliguri)

    এব্যাপারে শিলিগুড়ি বাণিজ্য মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ রঞ্জন সরকারের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করেও তাঁর কোনও বক্তব্য মেলেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Singur: এখনও রাজনীতির ময়দান হিসেবেই সিঙ্গুরকে ব্যবহার করছে তৃণমূল, ক্ষোভ এলাকাবাসীর

    Singur: এখনও রাজনীতির ময়দান হিসেবেই সিঙ্গুরকে ব্যবহার করছে তৃণমূল, ক্ষোভ এলাকাবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গুর (Singur) নিয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। আর্বিট্রাল ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুসারে, টাটাকে কারখানা করতে না দেওয়ার কারণে, রাজ্য সরকারকে সুদ-সহ ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। আর এই নির্দেশ আসার পর থেকেই এলাকার মানুষ বলছেন, ‘সিঙ্গুর এখন রাজনীতির ময়দান’। বিগত দিনের বাম সরকার যেমন রাজনীতি করেছে, ঠিক একইরকম ভাবে বর্তমান তৃণমূল শাসকও রাজনীতি করছে। কার্যত সিঙ্গুরের ইচ্ছুক এবং অনিচ্ছুক চাষিদের শিল্পের সুফল থেকে বঞ্চিত করেছে তৃণমূল। 

    রাজনীতির ময়দান সিঙ্গুর (Singur)

    টাটা গোষ্ঠীকে সুদ-সমেত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ আসার পর থেকেই সিঙ্গুর (Singur) হল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। সিঙ্গুর আন্দোলনের নামে, তৃণমূল কংগ্রেস শিল্প-কারখানার সম্ভাবনাকে নষ্ট করেছে। অপর দিকে বাম আমলে ছিল না শিল্প গড়ে তোলার উপযুক্ত পরিবেশ। এর ফল ভুগতে হয়েছে সিঙ্গুর সহ সারা রাজ্যের মানুষকে। শিল্পের বিরোধিতা, নাকি জমি বাঁচাও আন্দোলন? এই দুইয়ের জন্য এলাকার মানুষ বাম এবং তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে। ফলে বাস্তবে সিঙ্গুরের ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দিয়েছে বলে মনে করছেন মানুষ। তাই আজ ইচ্ছুক-অনিচ্ছুক সকল চাষিরা যে বিরাট চক্রান্তের শিকার হয়েছেন, তাও বুঝতে সক্ষম হয়েছেন।

    সিঙ্গুরের চাষিদের বক্তব্য

    সিঙ্গুরের (Singur) অনিচ্ছুক চাষি ভুবন গারাই বলেন, “আমি সেই সময় জমি অধিগ্রহণের বিরোধিতা করেছিলাম, কিন্তু শিল্প চেয়েছিলাম। বাম আমলের আগে এই রাজ্য শিল্পে এক নম্বরে ছিল। কিন্তু ইনকিলাব জিন্দাবাদ বলে সব কলকারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। সব সরকার মিথ্যাবাদী।” আবার ইচ্ছুক চাষি শক্তিপদ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমরা চেয়েছিলাম শিল্প হোক। কিন্তু রাজনীতির খেলায় না হল শিল্প, না হল চাষ। আমাদের যুব সামজের জন্য বড় সুযোগ ছিল। বর্তমান তৃণমূল সরকার চাষিদের ঠকিয়েছে।”

    সিঙ্গুরের মাস্টারমশাইয়ের বক্তব্য

    বিপুল পরিমাণ ক্ষতিপূরণের বিষয়ে সিঙ্গুরের (Singur) মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “টাটার কোনও দোষ নেই, আদতে তাঁদের ক্ষতি হয়েছে অনেক। কারখানা করতে চেয়েও তাঁরা করতে পারেননি। বাম সরকারের ভুলের জন্যই টাটারা চলে যেতে বাধ্য হন।” আন্দোলনের অন্যতম মুখ রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “তৎকালীন রাজ্যপাল-এর মধ্যস্থতায় চুক্তিও হয়, কিন্তু সেই চুক্তি তৎকালীন বাম সরকার মানেনি। কারণ পলিটব্যুরো নেতারা সায় দেয়নি। টাটা চলে যাওয়ার পিছনে আমাদের আন্দোলন আংশিক দায়ী হলেও, পুরোপুরি দোষ ছিল তৎকালীন বাম সরকারের।”

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    সিঙ্গুরের (Singur) বিজেপি নেতা সঞ্জয় পাণ্ডে অবশ্য আশাবাদী, আবার সিঙ্গুরে শিল্প হবেই।ট্রাইব্যুনালের রায়কে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে সিঙ্গুরে শিল্প হবে। ওই জমিতেই হবে কারখানা, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় আমাদের কথা দিয়ে গেছেন।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Visva-Bharati: শ্মশানে পাঠানোর হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা, থানায় অভিযোগ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের

    Visva-Bharati: শ্মশানে পাঠানোর হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা, থানায় অভিযোগ বিশ্বভারতীর উপাচার্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ধর্না মঞ্চ থেকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে’, এই মর্মে শান্তিনিকেতন থানায় ই-মেল মারফৎ অভিযোগ দায়ের করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্ব ঐতিহ্যের ফলকে ব্রাত্য স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। এই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৃণমূলের আন্দোলন চতুর্থ দিনে পড়ল৷ এই ধর্না মঞ্চ থেকে উপাচার্যকে বাসভবন থেকে বের করে বীরভূম ছাড়া করার হুমকি সহ শ্মশানে পাঠানোর হুমকিও দিতে শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের। তারপরেই শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ করেন উপাচার্য (Visva-Bharati) বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।

    কী অভিযোগ তৃণমূলের? (Visva-Bharati)

    ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ’ বা ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের’ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। এরপরেই ঐতিহ্যবাহী উপাসনা গৃহ, রবীন্দ্রভবন ও গৌরপ্রাঙ্গণে ৩ টি শ্বেত পাথরের ফলক বসানো হয়েছে। তাতে আচার্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নাম থাকলেও ব্রাত্য স্বয়ং গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যার প্রতিবাদে সরব হয়ে দলকে লাগাতার আন্দোলনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তিনিকেতন রাস্তার উপর কবিগুরু হস্তশিল্প মার্কেটে মঞ্চ তৈরি করে চলছে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের আন্দোলন।
    এই আন্দোলনের মঞ্চ থেকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে, এই মর্মে শান্তিনিকেতন থানায় ইমেল মারফৎ অভিযোগ দায়ের করলেন বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati) উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। অভিযোগে তিনি জানান, “মঞ্চ থেকে নেতারা প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। রীতিমতো প্রাণ সংশয়ে দিন কাটছে। বিষয়টি দেখুন।”

    কী নিয়ে অভিযোগ উপাচার্যের? (Visva-Bharati)

    উল্লেখ্য, ৪ দিনে পা দিল তৃণমূলের এই ধর্না। এই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নানুরের প্রাক্তন বিধায়ক গদাধর হাজরা উপাচার্যকে বাসভবন থেকে বের করে বীরভূম ছাড়ানোর হুমকি দিয়েছেন৷ এছাড়া, তৃণমূল নেতা বাবু দাস উপাচার্যকে (Visva-Bharati) শ্মশানে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন৷ এই দুটি ঘটনা উল্লেখ করেই শান্তিনিকেতন থানায় ইমেল মারফৎ অভিযোগ দায়ের করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: বাকিবুরের আরও ৫৬০ কাঠা জমির হদিশ আমডাঙায়! সবই কি বেনামে জ্যোতিপ্রিয়র?

    Ration Scam: বাকিবুরের আরও ৫৬০ কাঠা জমির হদিশ আমডাঙায়! সবই কি বেনামে জ্যোতিপ্রিয়র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের তৃণমূল মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানের আরও সম্পত্তির হদিশ মিলল আমডাঙায়। সাধনপুর পঞ্চায়েত এলাকায় প্রায় ৫৬০ কাঠা জমির খোঁজ মিলেছে। একই সঙ্গে পাশের আদহাটা পঞ্চায়েতের দাদপুর এলাকার গৌরাঙ্গপুর রোডের ধারে পাঁচিল দেওয়া ২৬০ কাঠা জমির সন্ধান মিলছে।

    অপর দিকে বাকিবুর বাদুড়িয়া শহরের মধ্যে ‘ডান্স বার’ করতে চেয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছে স্থানীয় মানুষ। জানা গিয়েছে, স্থানীয় পুরপ্রধান তুষার সিংহ বাধা দিলে ৩০০ কাঠার এক জমিতে চাল, গম, আটার গুদাম তৈরি করা হয়। মূলত এলাকাবাসীর অভিযোগ, জোর করে ভয় দেখিয়ে জলের দামে জমি দখল করে নিয়েছেন বাকিবুর।

    বেনামে জ্যোতিপ্রিয়র নয় তো সম্পত্তি (Ration Scam)?

    স্থানীয়দের দাবি, আমডাঙায় ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার গোডাউন তৈরির জন্য কম দাম দিয়ে জমি কেনেন বাকিবুর। তবে জমি কেনার সময় অনেককে চাকরি দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সেই কথা পূরণ করা হয়নি। এলাকার মানুষের আরও দাবি, এই সম্পত্তি বাকিবুরের নামে হলেও, আদতে মালিক মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁদের দু’জনের যুগলবন্দিতেই এই সম্পত্তি (Ration Scam) হয়েছে বলে দাবি।

    বাদুড়িয়ার মানুষের প্রতিক্রিয়া

    বাদুড়িয়ার স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “শ্মশানের উল্টো দিকে ভুটানের বাগান বলে একটা জমিতে পুকুর ছিল। এই পুকুরটি রাতারাতি মাটি ফেলে ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এখানে চারপাশে উঁচু করে পাঁচিল দেওয়া হয়েছে। মাঝে মাঝে এই জমিতে চাল, গম, আটার বস্তা আসতো বলে জানা গিয়েছে।”

    এছাড়াও স্থানীয় রিতা নামক এক মহিলা বলেন, “আমাদের দুই কাঠা জমি ছিল, সেখানে আমাদের একটি বসত বাড়ি ছিল। এখানে মিল বা গোডাউন হবে, আর তাই সামনের জায়গাটা ছাড়তে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। অবশেষে গুন্ডা ডেকে জোর করে জায়গা দখল করে নেয় বাকিবুর (Ration Scam)।” অপর দিকে পুরপ্রধান তৃণমূলের নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, “শুনেছি এই জমি বাকিবুরের, কিন্তু কোনও দিন আসতে দেখিনি।  ”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • School Teacher: ‘রাস্তার মাস্টার’ থেকে ‘গ্লোবাল টিচার’ জামুড়িয়ার দীপনারায়ণ! এলাকায় খুশির হাওয়া

    School Teacher: ‘রাস্তার মাস্টার’ থেকে ‘গ্লোবাল টিচার’ জামুড়িয়ার দীপনারায়ণ! এলাকায় খুশির হাওয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তায় পড়িয়ে ১৩০ টি দেশের মধ্যে শীর্ষ দশজনের চূড়ান্ত তালিকায় নাম নথিভূক্ত করে ফেলেছেন ‘রাস্তার মাস্টার’ বলে খ্যাত দীপনারায়ণ নায়ক (School Teacher)। তিনি গ্লোবাল টিচার প্রাইজ, ২০২৩ সম্মানে ভূষিত হন। তাঁর বাড়ি আসানসোলের (Asansol) জামুড়িয়ার নন্ডি গ্রামে। বর্তমানে তিনি জামুড়িয়ার ১ নম্বর সার্কেলের তিলকা মাঝি আদিবাসী ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি এলাকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের পিছিয়ে থাকা মানুষদের শিক্ষিত করে তোলার স্বপ্নও ছিল তাঁর। তাই এলাকার ছেলে-মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার আলো পৌঁছানোর জন্য থ্রি জেনারেশন এডুকেশন শুরু করেছিলেন তিনি। তাঁর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত গোটা জেলা।

    কেন তিনি ‘রাস্তার মাস্টার’ (School Teacher)?

    বর্তমান প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা শিখিয়ে, পরিবারে মা-বাবা, দাদু-ঠাকুমাকে প্রাথমিক জ্ঞানের আলোতে শিক্ষিত করে তোলার ভাবনা ছিল দীপনারায়ণ নায়কের (School Teacher)। যখন বিশ্ব জুড়ে মহামারী করোনা আবহ, অফিস-আদালত থেকে স্কুল-কলেজ বন্ধ, সেই সময় তিনি রাস্তায় নেমে শিক্ষকতা শুরু করেন। তাঁর ইচ্ছাশক্তিকে কোনও বাধাই আটকে রাখতে পারেনি। করোনার সময় রীতিমতো সামজিক সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে, নিয়ম মেনে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং এলাকার (Asansol) ছেলে-মেয়েদের রাস্তার উপরেই পড়াতে শুরু করেন তিনি। আর এভাবেই তিনি ‘রাস্তার মাস্টার’ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন।

    গ্লোবাল টিচার প্রাইজ সম্মানে ভূষিত রাস্তার মাস্টার

    এলাকায় (Asansol) ‘রাস্তার মাস্টার’ নামে পরিচিত দীপনারায়ণ নায়ক (School Teacher) পড়ানোর পাশাপাশি সামজসেবার কাজেও যুক্ত থাকতেন। দারিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য পুষ্টিযুক্ত খাবারেরও ব্যবস্থা করতেন তিনি। আর এই সব কাজের জন্যই গ্লোবাল টিচার প্রাইজ ২০২৩ সম্মানে ভূষিত হন। মোট ১৩০ টি দেশের মধ্যে, শীর্ষ দশ শিক্ষকের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। আর তার মধ্যেই চূড়ান্ত তালিকায় মনোনীত হন দীপনারায়ণ নায়ক। অভাবের সংসারে পড়াশুনা করে বড়ো হয়ে, এই বিশ্ব সম্মানের জন্য ভীষণভাবে আনন্দিত তাঁর স্ত্রী, মা-বাবা।

    মাস্টারের বক্তব্য

    আসানসোলের (Asansol) শিক্ষক দীপনারায়ণ (School Teacher) বলেন, “আমার এই মডেলে সাফল্য পেয়েছি। আমি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পরে বেশ আনন্দিত। এখানে যেমন ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষিত হচ্ছে, তেমনি তাঁদের পরিবারের বাবা, মা, দাদু, ঠাকুমারাও শিক্ষা লাভ করছেন। সমাজে বংশ পরম্পরায় বাহিত জ্ঞান, দর্শন, শিল্পকলা ইত্যাদিকে পরবর্তী সমাজের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার বিষয়েও পড়ানো হয়। সেই সঙ্গে আদিবাসী সামজের পুরাতন ঐতিহ্য সম্পর্কে, বিশেষভাবে পরিচয়ের প্রচেষ্টা রাখা হয়েছে। শিক্ষায় পরিবেশ এবং কর্মসংস্থান বিষয় সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share