Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Malda: ধর্ষণ করে মুখে অ্যাসিড মেরে মহিলাকে নৃশংসভাবে খুন! চাঞ্চল্য

    Malda: ধর্ষণ করে মুখে অ্যাসিড মেরে মহিলাকে নৃশংসভাবে খুন! চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা অঞ্চলের নসরপুর এলাকায় এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রবিবার সকালেই গ্রামের মাঠে ওই মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়। রবিবার দুপুর পর্যন্ত ওই মহিলার নাম ও পরিচয় জানা যায়নি। তবে, প্রাথমিক তদন্তে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে মুখে অ্যাসিড দিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Malda)

    মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা অঞ্চলের নসরপুর গ্রামের রাস্তার ধারে এক চাষের জমিতে মৃতদেহটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।  মুখে  অ্যাসিড দিয়ে মহিলার মুখ বিকৃত করা হয়েছে। ফলে, পরিচয় এখনও জানা যায় নি। শরীরে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃতদেহের আশেপাশে পাওয়া গেছে নিরোধের প্যাকেট। ধারালো অস্ত্র, গ্লাভস। বিহার রাজ্যের সীমান্ত লাগোয়া রয়েছে এই নসরপুর গ্রাম। বিহার থেকে কোনও গ্যাং এসে এসব করেছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই মহিলার সঙ্গে একাধিক জন ছিল। মশা মারার কয়েল পাওয়া গিয়েছে। ফলে, তারা এই এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ ছিল। এখানেই ওই মহিলার উপর শারীরীকভাবে অত্যাচার করে প্রমাণ লোপাট করতে মুখে অ্যাসিড দিয়ে মুখ পুড়িয়ে দিয়েছে।

    স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য কী বললেন?

    স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন,নসরপুর গ্রামের রাস্তার ধারে এক চাষের জমিতে মৃতদেহটি দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে যাই। দেখে মনে হচ্ছে, ওই মহিলাকে গণ ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তবে, ওই মহিলা এই এলাকার নন। পাশের বিহারের হতে পারেন। সেখান থেকে এসে এসব অপকর্ম করে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গিয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘দলীয় কর্মীদের উপর হামলা হলে খেজুরি স্তব্ধ হবে’, থানায় ঢুকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘দলীয় কর্মীদের উপর হামলা হলে খেজুরি স্তব্ধ হবে’, থানায় ঢুকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে যদি হামলা হয়, তাহলে খেজুরি স্তব্ধ হবে। পুলিশ সুপারকে নন্দীগ্রামের ইতিহাসটা পড়তে বলবেন।’ রীতিমতো থানায় ঢুকে পুলিশকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার কাঁথির ভবতারিণী মন্দির থেকে পদযাত্রায় পা মেলান শুভেন্দু। প্রায় দু’কিলোমিটার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক কাঁথির রামকৃষ্ণ মিশনে পৌঁছান। তারপর নাম না করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন। খেজুরিতে পুলিশের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপির মণ্ডল সভাপতি শিক্ষক বাঁটুল দাস। তারপরই শুভেন্দু খেজুরি থানায় হাজির হন।

    থানা ঢুকে ঠিক কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

     সম্প্রতি, খেজুরিতে পুলিশের ওপর হামলা ও বোমাবাজি ঘটনায় বিজেপি মণ্ডল সভাপতি বাঁটুল দাস- সহ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক গ্রেফতার হয়েছেন। তারপরই খেজুরি থানায় হাজির হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানেই তিনি পুলিশকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ভাইপোর কথাতে এসপি কথা শুনে পালিয়েছেন! শ্যামাপ্রসাদ দাসকে গ্রেফতার করে তদন্তকারী পুলিশ অফিসার বিপদে পড়েছেন ! তিনি এখন শ্যামাপ্রসাদের হাতে- পায়ে ধরছেন। বাটুল দাসকে গ্রেফতার করেছে, তারও পরিণতিও একই হবে! তিনি আরও বলেন, বাংলায় বিজেপির সরকার হবে। আপনাদেরকে আমাদের অধীনেই চাকরি করতে হবে। বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যদি অত্যাচার হয়, খেজুরি স্তব্ধ হবে। নন্দীগ্রামের ইতিহাস পুলিশ সুপারকে পড়তে বলবেন।’ বিরোধী দলনেতার এমন হুঁশিয়ারির পর রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক জেলায় ভার্চুয়াল দুর্গাপুজো উদ্বোধন নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    উদ্বোধন নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, আমাদের দুর্গোপুজোকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালচারাল প্রোগ্রামের পরিণত করতে চাইছেন। নন্দীগ্রামের ৪৮টি পুজো কমিটির মধ্যে ৪৭টি পুজো কমিটির প্যান্ডেল কমপ্লিট হয়নি। একটি মাত্র করেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে চাই? ২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন! আপনি ২৩ ডিসেম্বর পালন করতে পারবেন? ইদের চাঁদ দেখার আগে রেড রোজে নামাজ পড়তে পারবেন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah Fire: পুজোর আগে হাওড়ায় বিধ্বংসী আগুন, বাড়িতেই বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝলসে গেল এক বছরের শিশুও

    Howrah Fire: পুজোর আগে হাওড়ায় বিধ্বংসী আগুন, বাড়িতেই বাবা-মায়ের সঙ্গে ঝলসে গেল এক বছরের শিশুও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগেই বিধ্বংসী আগুনে একই পরিবারে এক বছরের শিশু সহ তিনজনের প্রাণ কেড়ে নিল। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার (Howrah Fire) উলুবেড়িয়া ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পারিজাত পদ্মপুকুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে,  মৃতদের নাম ইয়াসিন মল্লিক (৩২), মহিমা বেগম (২৭), হুমায়রা খাতুন (১)। আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় নূরজাহান বেগমকে (৫৫)। তাঁকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah Fire)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়ার (Howrah Fire) উলুবেড়িয়া ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পারিজাত পদ্মপুকুর এলাকায় ইয়াসিন মল্লিকের বাড়িতে আচমকা আগুন লেগে যায়। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। ইয়াসিন মল্লিক সহ পরিবারের লোকজন সকলেই বাড়িতেই ছিলেন। ঘুমে আচ্ছন্ন থাকায় আর তাঁরা বাড়ি থেকে বের হতে পারেননি।  মুহূর্তেই মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেয় গোটা বাড়ি। পুড়ে ছারখার হয়ে যায়  আস্ত একটি পরিবার। বাবা-মায়ের সঙ্গেই রক্ষা পেল না তাঁদের ১ বছরের সন্তানও। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর দেন পুলিশে। খবর যায় দমদলে। খবর পাওয়া মাত্রই ছুটে আসে দমকল। নেভানো হয় আগুন। কিন্তু, ততক্ষণে সব শেষ। উলুবেড়িয়া থানার পুলিশ এসে তিনজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে বাড়ির ভিতর থেকে। একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশের অনুমান শর্টসার্কিট থেকেই আগুন লেগেছিল ওই বাড়িতে। তারপরই তা ছড়িয়ে পড়ে বাড়ির আনাচে-কানাচে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ভোরবেলায় ঘর থেকে বের হতেই দেখি আচমকা ধোঁয়ায় ভরে যাচ্ছে এলাকা। বাড়ি থেকে বের হতেই দেখি, ইয়াসিনের গোটা বাড়িটা দাউদাউ করে জ্বলছে। ধোঁয়ায় ভর্তি চারপাশ। ঘরে ঢুকে দেখি ওদের তিনজনের ঝলসানো দেহ পড়ে আছে। একই ঘরে ওরা তিনজনই ছিল। দমকল, পুলিশ যতক্ষণে এল ততক্ষণে সব শেষ। কেউই আর বেঁচে ছিল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • C V Ananda Bose: পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ভারত, টিম ইন্ডিয়াকে রাজভবনে আমন্ত্রণ রাজ্যপালের

    C V Ananda Bose: পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ভারত, টিম ইন্ডিয়াকে রাজভবনে আমন্ত্রণ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  বিশ্বকাপে পাকিস্তান বধের পর কলকাতার রাজভবন থেকে রোহিত শর্মাদের কাছে গেল শুভেচ্ছা বার্তা। এর পাশাপাশি সংবর্ধনা জানানোর জন্য গোটা ভারতীয় টিমকে রাজভবনে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose)। পাকিস্তানকে দুরমুশ করেই পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে ভারত। আপাতত তিনটি ম্যাচে তিনটিতে জিতেছে রোহিত বাহিনী। যার ফলে ভারতের সংগ্রহ ৬ পয়েন্ট।

    আমন্ত্রণ রাজ্যপালের (C V Ananda Bose)

    শনিবারে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বিপুল জয় পায় ভারতীয় দল। প্রথমে ব্যাট করে ১৯১ রানেই অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান। কুড়ি ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় ভারত। যদিও বা বিশ্বকাপ জিততে এখনও অনেকটা পথ চলতে হবে ভারতীয় দলকে, তবুও আগেভাগেই রাজভবনে আমন্ত্রণ কেন?  রাজ্যপালের (C V Ananda Bose) বার্তা, পাকিস্তানকে হারানোর কারণেই রাজভবনে টিম ইন্ডিয়াকে সংবর্ধনা দিতে চান তিনি। জানা গিয়েছে, রাজভবনের তরফ থেকে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করা হয়েছে এনিয়ে। সেখানে টিম ইন্ডিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

    পয়েন্ট তালিকায় কোন জায়গায় কোন দেশ

    বর্তমানে বিশ্বকাপের পয়েন্ট তালিকায় ভারতের পর রয়েছে নিউজিল্যান্ড। তিনটি ম্যাচ খেলে তাদেরও পয়েন্ট ৬। তবে টিম ইন্ডিয়ার নেট রান রেট নিউজিল্যান্ডের থেকে বেশি থাকায় শীর্ষে রয়েছে ভারত। রোহিত শর্মা বিরাট কোহলিদের নেট রান রেট ১.৮২১। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের নেট ১.৬০৪। নেট রান রেটের দিক থেকে তিন নম্বরে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দুটি ম্যাচে তাদের পয়েন্ট চার কিন্তু নেট রান রেট ২.৩৬০। অপরদিকে গতকাল হারের পর চার নম্বরে রয়েছে পাকিস্থান। বাবর আজমদের তিন ম্যাচে পয়েন্ট ৪ এবং নেট রান রেট -০.১৩৭।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: ভুয়ো পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির তদন্তে মহালয়ার দিনও শিলিগুড়ি-সিকিমে একযোগে অভিযান চালাল সিবিআই

    CBI: ভুয়ো পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির তদন্তে মহালয়ার দিনও শিলিগুড়ি-সিকিমে একযোগে অভিযান চালাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৎপর সিবিআই (CBI)। রাজ্যের একাধিক পুরসভায় অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই-ইডি। এবার সেই জের মিটতে না মিটতেই এবার ভুয়ো পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির তদন্তে তেঁড়ে ফুঁড়ে নামল সিবিআই। শনিবার মহালয়ার দিনও শিলিগুড়ি জুড়ে দিনভর অভিযান চালায় সিবিআই। শিলিগুড়ির একাধিক জায়গা-সহ সিকিমেও পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা।

    শিলিগুড়ির কোথায় কোথায় অভিযান চালাল সিবিআই ?(CBI)

    সিবিআই সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী (CBI) সংস্থার একটি দল বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামে। সেখান থেকে তারা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে একটি দল সিকিমের উদ্দেশে রওনা দেয় এবং আরও একটি দল শিলিগুড়ি মহকুমায় অভিযানে নামে। ভুয়ো পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির তদন্তেই বাংলা এবং সিকিমে একযোগে অভিযান চালান গোয়েন্দারা। এমনিতেই শুক্রবার দুপুর থেকে শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় সিবিআই হানা শুরু হয়। শনিবারেও জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান। এদিন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের মাটিগাড়া, বাগডোগরা, নকশালবাড়ি, শিবমন্দির- সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নামে। এদিন সকালে সিবিআই আধিকারিকদের দলটি প্রথমে বাগডোগরার বাবুপাড়ায় উদয়শঙ্কর রায়ের বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকে অটল চা বাগানের অফিসে তল্লাশি চালায় সিবিআই। এ ছাড়া আরও কয়েক জনের বাড়িতে এবং অফিসে হানা দিয়েছে সিবিআই।

    তল্লাশিতে কী মিলল?

    সিবিআই সূত্রের খবর, শিলিগুড়ির পাশাপাশি, ভুয়ো পাসপোর্ট মামলায় সিকিমেও সিবিআই হানা চলছে। জানা গিয়েছে, তল্লাশিতে ভুয়ো পাসপোর্ট-সহ বহু নথি উদ্ধার হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে নেপালের নাগরিকদের ভারতের ভুয়ো পাসপোর্ট এবং ভুয়ো নথি তৈরি করিয়ে দেওয়ার চক্র চলছিল। সেই কেলেঙ্কারির শিকড়ে পৌঁছতেই চলছে সিবিআই (CBI) অভিযান। শুক্রবার নিউ জলপাইগুড়ি এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে সিবিআই। শিলিগুড়ির পাশাপাশি, ভুয়ো পাসপোর্ট মামলায় সিকিমেও সিবিআই হানা চলছে। জানা গিয়েছে, তল্লাশিতে ভুয়ো পাসপোর্ট-সহ বহু নথি উদ্ধার হয়েছে। মোটা টাকার বিনিময়ে এসব কারবার চলত বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fish: দিঘায় ২০০ কেজির বিশালাকৃতির কই ভোলা জালে! বিক্রির দাম কত জানেন?

    Fish: দিঘায় ২০০ কেজির বিশালাকৃতির কই ভোলা জালে! বিক্রির দাম কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারে দিঘায় ফের বিশাল আকৃতির কই ভোলা (Fish) জালে পড়েছে। এই মাছ নিয়ে বাজারে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মাছের ওজন ছিল ২০০ কেজি এবং বিক্রির দাম ছাপিয়ে গেছে লাখ টাকা। লাভবান হয়েছেন এক ওড়িশার মত্স্যজীবী। বিশাল এই মাছ দেখতে প্রচুর মানুষ জমায়েত হন বাজারে। ভোজন রসিক বাঙালির পাতে মাছ না পড়লে খাওয়া ঠিক জমে না। কই ভোলা মাছের চাহিদাও বাজারে অনেক বেশী। এই মাছের পাতুরি, ফিস ফ্রাই, ফিস ফিঙার ভোজন রসিকদের বেশ তৃপ্তি দিয়ে থাকে। সাধারণত এই মাছ সমুদ্রের গভীর জলে বসবাস করে।

    মৎস্যজীবীদের বক্তব্য (Fish)

    দিঘার মোহনার মাছ বাজারে এই বিশালাকৃতির মাছকে (Fish) ঘিরে রীতিমতো মানুষের মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ করা যায়। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, “এই কই ভোলা গভীর সমুদ্রে থাকে। এই মাছ শিকার করতে গেলে সমুদ্রের অনেক গভীরে যেতে হয়। তবে ঝুঁকি থাকে শিকারের কাজে। মাছটি ধরেন ওড়িশার এক মৎস্যজীবী, এরপর এশিয়ার সবথেকে বড় মাছের বাজার, দিঘা মোহনা বাজারে নিয়ে আসেন। সুজিত কর নামক এক মাছের আড়তের মালিকের দোকানে মাছটির নিলামের ডাক ওঠে। অনেক সময় ধরে দরদামের পর বেশ লাভজনক মূল্যে বিক্রি হয় কই ভোলাটি। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবরে এমনই একটি দৈত্যের মতো কই ভোলা পাওয়া গিয়েছিল। সেই মাছটির ওজন ছিল ১১০ কেজি। এবারের কই ভোলা মাছের ওজন ২০০ কেজি।

    দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য

    দিঘার ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান নবকুমার পয়ড়্যা বলেন, “প্রায় ২ কুইন্টাল ওজনের বিরাট মাছ (Fish) দিঘার মোহনা বাজারে আসে। নিলামে মাছের দাম ওঠে ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। এই মাছ যাঁদের কপালে পড়ে তাঁদের ভাগ্য বদলে যায়। এই মাছের চাহিদা বাজারে প্রচুর। বিশেষ করে বাংলাদেশে চাহিদা ব্যাপক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tarpan: তর্পণ করার সময় গঙ্গায় বানের জল আসতেই হুগলিতে তলিয়ে গেলেন চারজন, বেলুড়-পানিহাটিতেও বিপত্তি!

    Tarpan: তর্পণ করার সময় গঙ্গায় বানের জল আসতেই হুগলিতে তলিয়ে গেলেন চারজন, বেলুড়-পানিহাটিতেও বিপত্তি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিতৃপক্ষ শেষ হয়ে মাতৃপক্ষের সূচনার দিনই ঘটল বিপত্তি। গঙ্গার দুপারে তর্পণ (Tarpan) করতে নেমে তলিয়ে গেলেন বেশ কয়েকজন। এরমধ্যে হুগলিতে জেলায় চারজন তলিয়ে যাওয়ার খবর রয়েছে। আর বারাকপুর মহকুমার পানিহাটিতে একজন তলিয়ে যান। বেলুড় ঘাটে এক মহিলা তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভরা গঙ্গায় জলে নেমে তর্পণ করতে গিয়ে শনিবার সাত সকাসকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মহালয়ার দিন এভাবে গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।

    বান আসতেই তলিয়ে যান চারজন (Tarpan)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মহালয়ার শুভ লগ্নে পূর্বপুরুষদের জল দেওয়ার তর্পণ (Tarpan) করতে গঙ্গার দুপারের হাজার হাজার বাসিন্দা সামিল হয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, হুগলির হিন্দমোটরের বিবি স্ট্রিট ঘাটে এদিন ভোর থেকে তর্পণ করতে বহু মানুষ ভিড় করেছিলেন। সেই সময় গঙ্গায় বান আসতেই বেশ কয়েকজন তলিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বান আসার পর বাঁশি বাজিয়ে পুলিশ সতর্ক করে। সেই সময় চারজন তলিয়ে যায়।

    স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তর্পণ করতে গঙ্গায় নেমে তলিয়ে গেলেন বৃদ্ধ

    পানিহাটি পুরসভার আগরপাড়া ইলিয়াস রোডে গিরিবালা ঘাটে সকল 8 টার সময় তর্পণ (Tarpan) করতে আসেন মধ্যমগ্রামের মেঘদূত ঘোষপাড়ার বাসিন্দা শেখর মণ্ডল। তাঁর বয়স ৬১ বছর। তাঁর সঙ্গে স্ত্রী মহুয়া মণ্ডলও তর্পণ করতে আসেন। আগরপাড়া গিরিবালা ঘাটে ভোর 8 টা নাগাদ গঙ্গার ঘাটে স্নান করতে নামেন শেখরবাবু। কয়েকটা ডুব দেবার পরেই তিনি তলিয়ে যান। এর পরেই খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এলাকার মানুষেরা খড়দা থানায় খবর দেন। বিপর্যয় মোকাবিল দফতরের কর্মীরা উদ্যোগী হন। ডুবুরি নামিয়ে গঙ্গার ঘাটে খোঁজা শুরু হয়। জানা গিয়েছে, শেখরবাবু কাশিপুর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। এ বছর জানুয়ারি মাসে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি সাঁতার জানতেন। কীভাবে তলিয়ে গেল তা কেউ বলতে পারছেন না। দেবীপক্ষের সূচনা দিন গঙ্গার ঘাট থেকে স্বামীর খোঁজ না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন মহুয়াদেবী।

    বেলুড় ঘাটেও এক মহিলা তলিয়ে যান

    অন্যদিকে, হাওড়ার বেলুড়ের পাল ঘাটে তর্পণ (Tarpan) করতে এসে এদিন তলিয়ে যান এক মহিলা। পরে, খোঁজাখুঁজির পর তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সত্যবালা ঘোষ (৫৩)। তাঁর বাড়ি বেলুড়ের নেতাজি নগর এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: দুর্নীতি-স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘেরাও বিজেপির

    Murshidabad: দুর্নীতি-স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘেরাও বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে পঞ্চায়েতে অফিসের মধ্যে দুর্নীতি-স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে ঘেরাও করে, বিক্ষোভ করল বিজেপি জয়ী সদস্যরা। প্রথমে বিজেপির জয়ী সদস্যরা, মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ জানান। এরপর ক্রমেই বচসার জেরে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জেলায় তীব্র শোরগোল পড়েছে এই নিয়ে।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Murshidabad)?

    এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞায় সাহোড়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান, উপ-প্রধানকে কার্যত পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে ঘেরাও করে রাখে বিজেপি। প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় ১০ টি গ্ৰামের জয়ী বিরোধী সদস্যরা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে সামাল দিতে মাঠে নামতে হয়েছে বড়ঞা থানার পুলিশকে।

    বিজেপির অভিযোগ

    বিজেপি জয়ী পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা অমর দেবংশী বলেন, “আমাদের প্রধান অভিযোগ হল, পঞ্চায়েত প্রধান, বিরোধী দলের সদস্যদের মতামতের কোনও গুরুত্ব না দিয়ে নিজের মতো করেই বিলি করছে ত্রিপল এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। সাহোড়া (Murshidabad) গ্ৰাম পঞ্চায়েতে নবনিযুক্ত প্রধান, নিজের মতো করে সরকারি বিভিন্ন সুবিধা প্রাপ্যকারীদের তালিকা তৈরি করছেন। ফলে সেগুলি শুধুমাত্র তৃণমূলেরাই পাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সরকারি সাহায্যে থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কথায় কাজ না হলে, আজ সন্ধ্যায় পঞ্চায়েতের প্রায় ৯ জন বিজেপি সদস্যরা একত্রিত হয়ে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি।

    তৃণমূল প্রধানের বক্তব্য

    এলাকার (Murshidabad) গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান গোষ্ঠ গোপাল ঘোষ বলেন, বিরোধী দলের জয়ী সদস্যদের সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন, আমাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে। উপযুক্ত ব্যক্তিরা যাতে সরকারি সুবিধা পায়, সেই কথা মাথায় রেখেই সমস্ত কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির সদস্যরা তা করতে দিচ্ছেন না।

    পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছায় পুলিশ

    শুক্রবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় এতটাই চাঞ্চল সৃষ্টি হয় যে ঘটনাস্থলে আসতে হয় বড়ঞা থানার (Murshidabad) পুলিশকে। বিজেপির বিক্ষোভের কারণে দীর্ঘক্ষণ কার্যত প্রধানকে পঞ্চায়েত দফতরে নিরাপত্তা দিয়ে রাখে পুলিশ প্রশাসন। কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: পুজোর আগে বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজে নেই গতি! ক্ষোভে ‘মলম’ দিতে রাস্তায় তৃণমূল বিধায়ক

    Hooghly: পুজোর আগে বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজে নেই গতি! ক্ষোভে ‘মলম’ দিতে রাস্তায় তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি বোলপুরে অবরোধে আটকে পড়েছিলেন রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, ছিল বেহাল রাস্তা। তাতে তিতি বিরক্ত হয়ে বিভিন্ন ক্লাবের ছেলেরা বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পথ অবরোধ করেছিলেন। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে আশিসবাবু গাড়ি বসেই প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তা থেকে শুরু করে পূর্ত মন্ত্রীকে ফোন করে সে যাত্রায় বিক্ষোভের হাত থেকে রেহাই পান। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়ায় বেহাল রাস্তা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। পুজোর আগে খানাখন্দে ভরা রাস্তা নিয়ে অনেকে ক্ষোভও জানিয়েছে। আর এসবের জন্য কার্যত মুখ পুড়ছে তৃণমূলের। তাই, তৃণমূল বিধায়ক অসতি মজুমদার লোক দেখানো করে বেহাল রাস্তা দেখতে বের হন। আর বেহাল রাস্তার জন্য পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের কাঠগ়ড়ায় দাঁড় করান তিনি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Hooghly)

    হুগলির (Hooghly) ব্যান্ডেল চার্চ, বালির যোড় ,স্ট্যান্ড রোড, তালডাঙা, তোলাফটক, মিয়ারবের, নেতাজি সুভাষ রোড, টাউন গার্ড রোড, ব্যারাক রোডসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়ে রয়েছে। শুরু হয়েছে সংস্কারের কাজও। রাস্তা সংস্কারের গতি নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে। এক দোকানদার বলেন, রাস্তার কাজের জন্য খোঁড়াখুড়ি চলছে। দোকানের সামনে কয়েকদিন ধরে পাথর ফেলে রেখে। ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।স্থানীয় বাসিন্দারাও ক্ষুব্ধ। পুজোর আগে রাস্তা ঠিক হবে বলে মনে হচ্ছে না। মানুষ যে ক্ষোভে ফুঁসছে আঁচ করেই চুঁচুড়া পুরসভার পূর্ত দফতরের সিআইসি সৌমিত্র ঘোষ, কেএমডিএ ও পূর্ত দফরের আধিকারিকদের নিয়ে শহরে বিভিন্ন বেহাল রাস্তা ঘুরে দেখেন তৃণমূল বিধায়ক। পরিস্থিতি দেখে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেন অসিত। ধীর গতিতে রাস্তা সংস্কারের কাজ দেখে রাগ চেপে রাখেননি তিনি। পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ অফিসারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন অসিত। চতুর্থী থেকে পঞ্চমীর মধ্যে রাস্তার কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পুজোর আগে বেহাল রাস্তা নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ীদের মধে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক লোক দেখানো এসব করে তা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে রাজনৈতিক মহলের মত।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, পুলিশ- প্রশাসন ও পূর্ত দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। তাই, রাস্তা সংস্কারের কাজে কোনও গতি নেই। পুজো পুরোদমে শুরু হয়ে গেলে আর রাস্তার কাজ করা যাবে না। তাই চতুর্থী অথবা পঞ্চমীর আগে রাস্তার কাজ শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে দিন রাত কাজ করতে হবে। আধিকারিকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি তাঁদের এমনটা করার জন্য বলে দিয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: মহালয়ার দিন একদিনের দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    Durga Puja: মহালয়ার দিন একদিনের দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশফুলের মাথা দোলানো, শরতের আকাশ -পুজোর আমেজ আরও বাড়িয়ে দেয়। মহামায়ার আরাধনায় মেতে থাকে আপামর বাঙালি। কিন্তু, দুর্গাপুজোর (Durga Puja) স্থায়ীত্ব যদি একদিন হয়? ভাবলেই মনটা বিষাদে ভরে ওঠে, শুনতে অবাক মনে হলেও এটা সত্যি। এই বংলাতেই হয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল হিরাপুরের ধেনুয়া গ্রামে বোধনের দিনেই বেজে ওঠে নবমীর নিষ্ঠুর সুর। পিতৃপক্ষের অন্তিমক্ষণে একদিনের জন্য বাড়ি আসেন উমা। পুজো নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাড়ি দেন কৈলাসের পথে।

    কীভাবে শুরু হয়েছিল এই পুজো? (Durga Puja)

    পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল হিরাপুর ধেনুয়া গ্রামে কালীকৃষ্ণ যোগাশ্রমে সত্তোরের দশকে আসাম থেকে তেজানন্দ ব্রহ্মচারী নামে এক মহারাজ আসেন। তিনি মহালয়ার দিন স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজোর (Durga Puja) সূচনা করেন। শুরু হয় একদিনের দুর্গাপুজো। মহালয়ার দিনেই পুজো নেন দেবী মহামায়া। কুমারীরূপে পুজো করা হয় দেবীকে। একদিনের পুজো শেষে হয় প্রতিমা নিরঞ্জন। এখানে দেবী অসুরবিনাশিনি রূপে দেখা দেন না। দুই সখা, জয়া-বিজয়াকে সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়ি আসেন পার্বতী। জয়া-বিজয়ার সঙ্গে দেবী দুর্গার মূর্তি সচরাচর দেখা মেলে না এই বাংলায়। তবে এই ধরণের মূর্তির পুজো, বিশেষভাবে প্রচলিত রয়েছে বাংলাদেশে। অনেকের ধারণা, আসামের বাসিন্দা তেজানন্দ ব্রহ্মচারীর সঙ্গে নিবিড় যোগযোগ ছিল বাংলাদেশের। সেই কারণে বাংলার গ্রামে অসুর মর্দিনী রূপে দুর্গা পুজো না করে, কুমারী মহামায়ার মূর্তি আরাধনার জন্য বেছে নিয়েছিলেন তিনি।তেজানন্দ মহারাজের চালু করা নিময় মেনে এখনও ধেনুয়া গ্রামে হচ্ছে একদিনের দুর্গাপুজো। তবে এখন পুজো পরিচালনার সব দায়িত্ব রয়েছে গৌরী কেদারনাথ মন্দির কমিটির হাতে। ২০০৩ সাল থেকে এই পুজো পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে তাঁরা। ধেনুয়া গ্রামে কুমারী মহামায়ার পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। যুগলমন্ত্র জানা কোনও পুরোহিত এই পুজো করেন। এই মন্দিরে পশুবলি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

    পুজোয় মেতে ওঠেন গোটা গ্রামবাসী

    কুমারী দুর্গা পুজোর (Durga Puja) জন্য আগে বিশেষ নিয়ম চালু ছিল ধেনুয়া গ্রামে। আশপাশের বিভিন্ন এলাকার ২১ জন কুমারী মেয়েকে নিয়ে এসে পুজোর আয়োজন করত। তবে, সেই নিয়মে কিছুটা ভাটা পড়েছে এখন। যদিও পূর্বনির্ধারিত সব রীতি রেওয়াজ মেনে হয় ধেনুয়া গ্রামের একদিনের দুর্গাপুজো। স্থানীয় বাসিন্দাদের এই পুজোকে কেন্দ্র করে উৎসাহ থাকে তুঙ্গে। পাশাপাশি, দূরদূরান্ত থেকে এই পুজো দেখতে ছুটে আসেন অনেকে। বাইরের মানুষের কাছে মহালয়ার এই দুর্গাপুজো বোনাস হলেও, স্থানীয়দের কাছে দেবীর দ্রুত গমন কিছুট মনখারাপের সাক্ষী হয়েই থাকে। দেবীর একদিন পরেই কৈলাস প্রস্থানের জন্য, মনঃকষ্টে ভোগেন গ্রামের মানুষ। পুজোর দিনে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন সকলে। তবে, দেবীপক্ষের সূচনার দিনে দেবীর প্রস্থান কাঁদিয়ে যায় ধেনুয়া গ্রামের মানুষকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share