Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Siliguri: দুর্নীতিতে আকণ্ঠ ডুবে! নিজেকে ‘বালু-মুক্ত’ করতে আপ্রাণ চেষ্টা রেশন ডিলারের

    Siliguri: দুর্নীতিতে আকণ্ঠ ডুবে! নিজেকে ‘বালু-মুক্ত’ করতে আপ্রাণ চেষ্টা রেশন ডিলারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর শিলিগুড়ির (Siliguri) এক শীর্ষ তৃণমূল নেতা তাঁর বাড়ির ড্রইং রুম থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পেল্লাই ছবি রাতারাতি নামিয়ে আস্তাকুঁড়ে ছুড়ে ফেলেছিলেন। এবার রেশন দুর্নীতিতে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (বালু) গ্রেফতার হতেই শিলিগুড়ির সেই রেশন ডিলার নিজেকে ‘বালু-মুক্ত’ করতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। রেশন দুর্নীতিতে আকণ্ঠ ডুবে থাকা সেই রেশন ডিলারের সঙ্গে তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতা, প্রাক্তন মন্ত্রীও এখন বিনীদ্র রজনী কাটাচ্ছেন। রেশন দুর্নীতিতে ইডির তদন্তে ডাক পড়ার আতঙ্ক গ্রাস করেছে তাঁদের।

    উত্তরবঙ্গে নানা ব্যবসায় রেশন-দুর্নীতির টাকা?

    রেশন দুর্নীতির টাকা শিলিগুড়ি থেকে ডুয়ার্সে ছড়িয়ে পড়েছে। আত্মীয়, ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের নামে  নানা ধরনের ব্যবসায় সেই টাকা লগ্নি করেছেন বনমন্ত্রী। এনিয়ে এতদিন চাপা গুঞ্জন ছিল। কিন্তু জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হতেই সেই গুঞ্জন প্রকাশ্যে চলে এসেছে। শিলিগুড়িতে (Siliguri) রেশন দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে মাটিগাড়ার ব্লকের সেই রেশন ডিলারের নাম জোরালো ভাবে উঠে আসছে।অভিযোগ, তাঁকে সামনে রেখে শিলিগুড়িতে অনেক তৃণমূল নেতা, উত্তরবঙ্গের প্রাক্তন মন্ত্রী দু’হাত ভরে টাকা কামিয়েছেন, বনমন্ত্রীর সিন্ডিকেটে যোগ দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায় কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। শিলিগুড়ি, ডুয়ার্স ও পাহাড়ে রিসর্ট, বালি খাদান, ক্র্যাশার, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় রেশন দুর্নীতির টাকা খাটানোর অভিযোগ উঠে এসেছে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে। তিনি গ্রেফতার হতেই  সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের মুখেও এখন এই চর্চা।

    শিলিগুড়ির (Siliguri) দেবনগর টাউনশিপের নাম কেন উঠছে?

    উঠে এসেছে শিলিগুড়ির শিবমন্দিরের কাছে দেবনগর টাউনশিপের নাম। স্থানীয়দের দাবি, বনমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ মহম্মদ ফারুখ ওরফে রাহুল দেব বিঘার পর বিঘা জমি কেনেন। সেই জমি কেনার সময় উপস্থিত ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়র এক আত্মীয়। সেই দেবনগর প্রজেক্টের সাইন বোর্ডে একটি সংস্থার নাম থাকলেও সেখানে কোনও ঠিকানা, রেজিস্ট্রেশন নম্বর কিছুই লেখা নেই। যে মোবাইল নম্বর দেওয়া রয়েছে, সেখানে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। স্থানীয়দের দাবি, রেশন দুর্নীতির টাকায় এই প্রকল্পের সঙ্গে তৃণমূলের অনেক নেতাই জড়িত (Siliguri)।
    পছন্দের কোনও শিল্পপতিকে সামনে খাড়া করে বনমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের একাধিক রুগ্ন ও বন্ধ থাকা চা-বাগানেও রেশন দুর্নীতির টাকা লাগিয়েছেন। এই সিন্ডিকেটে তৃণমূলের একাধিক নেতা রয়েছেন বলে অভিযোগ।

    বিজেপি কী বলছে? (Siliguri)

    বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরুণ মণ্ডল বলেন, আমাদের প্রশ্ন, কোনও মন্ত্রী বা তৃণমূল নেতা কেন্ত্রীয় এজেন্সির তদন্তে গ্রেফতার হতেই তাদের দুর্নীতির ইতিহাস বেরিয়ে আসছে। তাহলে রাজ্যের পুলিশ ও গোয়েন্দারা এতদিন কী করেছে। আমরা তো বারবার বলে আসছি তৃণমূল দলটাই চোর। পুলিশ তৃণমূলের দলদাস হওয়ায় সব দেখে-বুঝেও ঘুমিয়ে থাকছে। কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা চুরির পাশাপাশি গরু ও কয়লা পাচারের টাকায় তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের সম্পত্তি ভরে উঠেছে। সেই টাকা কালীঘাটে যাচ্ছে। একশো দিনের কাজ প্রকল্পেও দেখা যাবে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের টাকা চুরি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: কয়লা, গরুর পর বালি! অবৈধ খাদানে দিনের আলোয় চলছে মাফিয়ারাজ

    Arambagh: কয়লা, গরুর পর বালি! অবৈধ খাদানে দিনের আলোয় চলছে মাফিয়ারাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু, কয়লার পর চলছে বালি চুরি। আরামবাগ মহকুমা (Arambagh) জুড়ে বেআইনিভাবে অবৈধ বালি খাদানগুলি থেকে লুট হচ্ছে বালি। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া বালিখাদানগুলি সরকারিভাবে প্রশাসন বন্ধ করে দিলেও, বালি চুরি বেড়েই চলেছে দিনের পর দিন। আরামবাগের মহকুমা ভূমি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দ্বারকেশ্বর নদ এবং মুণ্ডেশ্বরী নদী মিলিয়ে, মোট বৈধ বালি খাদান রয়েছে ১৪টি। এর মধ্যে ১০টির ইজারার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া বালি খাদানগুলি থেকেই অবৈধভাবে বালি তুলছে মাফিয়ারা।

    বালি খাদানে মাফিয়ারাজ (Arambagh)

    প্লাবনের পরে, জল কমতেই আরামবাগ মহকুমার (Arambagh) বিভিন্ন নদ-নদী থেকে বালি চুরি ফের শুরু হয়ে গিয়েছে। টাস্ক ফোর্স গঠন, অভিযান, ধরপাকড়, জরিমানা আদায় কোনও কিছুতেই চুরি আটকানো যাচ্ছে না। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া খাদানগুলি থেকে কখনও রাতের অন্ধকারে, আবার কখনও প্রকাশ্য দিবালোকেই চলছে বালি চুরি। নদ-নদী সংলগ্ন গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইজারার মেয়াদ উত্তীর্ণ পরেও বিভিন্ন বালিখাদানের মাফিয়ারাজ চলছে।

    নজর নেই প্রশাসনের

    উৎসবের মরশুমে একটানা ছুটির অবকাশে, নদ-নদীগুলিতে এমনিতেই সেভাবে প্রশাসনের (Arambagh) নজরদারি নেই। পুলিশ অবশ্য বিভিন্ন রাস্তায় ‘চেকিং’ চালাচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রশ্ন এখানেই, তাহলে কী করে রাস্তা দিয়ে অবৈধ খাদান থেকে বালি পাচার হচ্ছে? যদিও কয়েক দিন ধরেই রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে গোঘাটে দ্বারকেশ্বর নদের বিভিন্ন জায়গা থেকে বালি চুরির সঙ্গে যুক্ত কয়েকটি ইঞ্জিন ভ্যান এবং বালি ভর্তি ট্রাক্টর আটক করেছে। ধৃতদের আরামবাগ আদালতে তোলা হলে, ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    ভূমি দফতরের বক্তব্য

    মহকুমা ভূমি দফতর (Arambagh) সূত্রে জানা গিয়েছে, মহকুমায় মোট বৈধ বালি খাদান ১৪টি। এর মধ্যে ১০টির ইজারার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। বাকি চারটি ইজারার মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই শেষ হবে। তবে বালি চুরির ঘটনা অস্বীকার করেনি ভূমি দফতর। এখানকার এসডিপিও অভিষেক মণ্ডল বলেন, “নির্দিষ্ট চালান ছাড়া বালির গাড়ি রাস্তায় পেলেই আমরা আটকাচ্ছি। গত ১৫ দিনে চারটি থানায় ৪টির বেশি মামলা হয়েছে। পুলিশের সক্রিয়তায় চুরি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ হয়েছে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    এই প্রসঙ্গে আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “মাফিয়ারাজ চলছে সারা রাজ্য জুড়ে, আরামবাগেও এর প্রভাব পড়েছে। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই মাফিয়াদের বার-বাড়ন্ত হয়েছে। রাজস্ব কর ফাঁকি দিয়ে, কোটি কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি চুরি হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন সব জেনেও চুপ করে আছে। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মানুষের যোগ্য জবাব দেবে।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Iskcon Mayapur: দীপাবলির আগেই ইসকনের মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দিরে জ্বলে উঠল শত শত দীপ!

    Iskcon Mayapur: দীপাবলির আগেই ইসকনের মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দিরে জ্বলে উঠল শত শত দীপ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন থেকে মায়াপুর ইসকনে শুরু হয়েছে দীপদান অনুষ্ঠান, চলবে রাসপূর্ণিমা পর্যন্ত। এক মাস ধরে চলা বিশ্বব্যাপী এই অনুষ্ঠানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই দীপদান করতে আসেন ইসকন মন্দিরে (Iskcon Mayapur)। অনুষ্ঠান চলে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত। একই সাথে চলবে দামোদরাষ্টকম্ স্ত্রোত্র পাঠ। প্রতি বছর এই অনুষ্ঠানে ধর্মপ্রাণ হাজার হাজার মানুষ, দেশ-বিদেশ থেকে অসংখ্য ভক্ত সমবেত হন। একে ঘিরে দীপাবলির আগেই ইসকনের প্রধান কেন্দ্র শ্রী মায়াপুর চন্দ্রোদয় মন্দিরে জ্বলে উঠল শত শত দীপ। ইসকনের জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস জানান, দীপদান উৎসব উপলক্ষ্যে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক লাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে।

    কীসের স্মরণে এই উৎসব?

    সর্বোপরি ভগবানের প্রতি শ্রদ্ধা, বিধান তথা সেবার বিশেষ সুযোগ লাভ করা যায় এই উৎসব পালনের মধ্য দিয়ে। যার ফলে জীবনের পারমার্থিক প্রগতি লাভ হয়। সনাতন ধর্মে যত প্রকার উৎসব আছে তার মধ্যে দীপাবলি অন্যতম। বিজয়া দশমীর কুড়ি দিন পর থেকে উদযাপিত হয় এই উৎসব (Iskcon Mayapur)। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, ত্রেতা যুগে রাবনকে বধ করার পর যখন ভগবান শ্রীরামচন্দ্র তাঁর নিজ রাজ্য অযোধ্যায় প্রত্যাবর্তন করছিলেন, তখন রাজ্যবাসী অর্থাৎ অযোধ্যাবাসীগণ তাঁকে স্বাগত জানানোর জন্য এক বিশেষ উৎসবের আয়োজন করেছিলেন। সমগ্র অযোধ্যা নগরীকে আলোকমালায় সজ্জিত করে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছিলেন তাঁরা। আর তারই স্মরণে এই উৎসব পালিত হয় বলে অনেকে মনে করেন।

    ইসকন মন্দিরে ভক্তদের উন্মাদনা

    আবার পদ্মপুরাণে বর্ণনা করা হয়েছে কার্তিক মাসের এই বিশেষ তিথিতে যদি কেউ উন্মুক্ত আকাশের নিচে প্রদীপ জ্বালান, তাহলে তিনি পরিত্রাণ লাভ করে হরিধাম প্রাপ্ত হন। এই উৎসবে মধ্য দিয়ে সকলের মনমন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হোক আলোর দীপ। অন্ধকার দূরীভূত হোক, শুভ দীপাবলি অনুষ্ঠানে সকলের শুভ কামনা। স্বাভাবিকভাবেই এই উৎসবকে ঘিরে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে ভক্তদের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো (Iskcon Mayapur)। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Suvendu Adhikari: ‘‘সোনাকে ছাইয়ে পরিণত করেছেন উনি’’, সিঙ্গুর ইস্যুতে মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘সোনাকে ছাইয়ে পরিণত করেছেন উনি’’, সিঙ্গুর ইস্যুতে মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই সিঙ্গুর থেকে টাটাকে উচ্ছেদ করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারকে ১,৩০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আরবিট্রাল ট্রাইবুনাল। তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ, ক্ষতিপূরণ হিসেবে টাটাকে এই টাকা দেবে ‘পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম’। প্রসঙ্গত, রাজ্য থেকে ন্যানো বিদায়ের ১৫ বছর পরে সিঙ্গুর মামলায় ধাক্কা খেল মমতা সরকার। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ, ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে পুরো ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত টাটা মোটরসকে সুদ দিতে হবে। ৭ বছরে ১১ শতাংশ সুদ ধরলে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক দাঁড়ায় ১,৩০০ কোটি টাকা। শুধু তাই নয়, মামলার খরচ চালানোর জন্য টাটাকে বাড়তি ১ কোটি টাকা দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে সিঙ্গুরের। গতকাল ট্রাইব্যুনালের এই নির্দেশের পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাত নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, ‘‘সোনাকে ছাইয়ে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’ 

    সিঙ্গুর ইস্যুতে মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর

    সিঙ্গুর ইস্যুতে সমাজ মাধ্যমে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) লেখেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের শিল্পায়নের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করেছেন। যুবকরা বাড়ির কাছে কর্মসংস্থানের সুযোগ হারিয়েছেন। যে জমি চাষিদের ফেরত দেওয়া হয়েছে তা আর চাষযোগ্য নয়। উনি সোনাকে ছাইয়ে পরিণত করেছেন।’’ বিগত বছরে সিঙ্গুর আন্দোলনকে পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করেছে মমতা সরকার। রাজ্যের স্কুল পাঠ্য ইতিহাস বইতে পড়ানো হচ্ছে সেই আন্দোলন। এনিয়ে মমতাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সংযোজন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিঙ্গুর পর্বকে পশ্চিমবঙ্গে স্কুলপাঠ্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করেছেন শুধুমাত্র নিজের মহিমাকীর্তন করার জন্য। বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় এলে আমরা এই ভাষ্যের পরিবর্তন করব, দেখাব আসলে এটা কী বিশাল ব্যর্থতা।’’

    রাজ্য বিজেপি কী বলছে?

    সোমবার ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের পরেই সিঙ্গুর ইস্যুতে সিপিএম এবং তৃণমূলকে একযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, ‘‘যখন জমির চরিত্র বদলে গিয়েছিল, চাষের সম্ভাবনা ছিল না, তখন আমাদের প্রস্তাব ছিল বাজারমূল্যের তিনগুণ অর্থ জমির মালিকদের দিতে হবে, পরিবারের একজন সদস্যের চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে, ভাগচাষি ও জমির মালিকদের স্বার্থবাহী ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়াও আমাদের প্রস্তাব ছিল আরও ১০০ একর জমি কিনে সরকার অনিচ্ছুক ৪০০ জনকে কিছুটা পরিমাণ করে জমি ফিরিয়ে দিক। কিন্তু তৃণমূলের হঠকারী সিদ্ধান্ত ও সিপিএম সরকারের অদূরদর্শিতা সিঙ্গুরে শিল্প সম্ভাবনার মৃত্যু ঘটিয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘মন্ত্রীদের জেল যাত্রায় সাংবিধানিক সংকট তৈরি হলে হস্তক্ষেপ করবে কেন্দ্র’’, জানালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ‘‘মন্ত্রীদের জেল যাত্রায় সাংবিধানিক সংকট তৈরি হলে হস্তক্ষেপ করবে কেন্দ্র’’, জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের জেলযাত্রা শুরু হয়েছে গত বছর থেকেই। সম্প্রতি, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্যের আরেক মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ‘‘পরপর মন্ত্রীদের এমন জেল যাত্রায় যদি সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়, তাহলে হস্তক্ষেপ করবে কেন্দ্র।’’ সোমবার সল্টলেকে দলের রাজ্য দফতরে বসে একথা বলতে শোনা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar)। এর পাশাপাশি বালুরঘাটের সাংসদের দাবি, এরপরে পালা রয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। কারণ সেখানেও দেদার দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার?

    এদিন দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, ‘‘আমরা তো কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করবোই। কিন্তু যে পরিস্থিতির দিকে বাংলা যাচ্ছে, আগামী দিনে বাংলার সরকার কোথা থেকে চলবে এটা সব থেকে বড় প্রশ্ন। জেলের ভিতর থেকে না জেলের বাইরে থেকে? কালীঘাট থেকে চলবে, না তিহাড় থেকে চলবে, না কি প্রেসিডেন্সি থেকে চলবে, সেটা আগামী দিনে বাংলার মানুষ দেখবে। বাংলা সাংবিধানিক সংকটের সম্মুখীন হলে কেন্দ্র অবশ্যই পদক্ষেপ নেবে। তখন তো কেন্দ্রের পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া আর কোনও জায়গা থাকবে না।’’

    স্বাস্থ্য দফতরের দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যপালকে চিঠি সুকান্তর

    রাজ্যের প্রায় সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ সুকান্তর। স্বাস্থ্য ভবনেও দেদার দুর্নীতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ। স্বাস্থ্য দফতরে হওয়া দুর্নীতির তদন্তের আর্জি জানিয়ে সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘রাজ্যে বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে দালাল রাজ চলছে। তৃণমূলের নেতাদের মধ্যেও দ্বন্ধ রয়েছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সুপারের বিরুদ্ধে রয়েছে হাজার হাজার অভিযোগ তবু তাঁকে সেখানে রাখা হয়েছে। আগামীদিনে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জেলে যেতে পারেন এতো দুর্নীতির কারণে। এই কারণে আমি সব অভিযোগ ও তথ্য জানিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: সোমবার রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড় জ্যোতিপ্রিয়র, শুরু হল ইডি হেফাজতের মেয়াদ

    Ration Scam: সোমবার রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড় জ্যোতিপ্রিয়র, শুরু হল ইডি হেফাজতের মেয়াদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার টানা একুশ ঘণ্টা বাড়িতে তল্লাশির (Ration Scam) পরে গভীর রাতে গ্রেফতার হন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে দশ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ শুনে মূর্ছা যান মন্ত্রী। সে সময় তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার রাতে ওই বেসরকারি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন জ্যোতিপ্রিয়। তাঁকে বেশ সুস্থই দেখাচ্ছিল। নিজে পায়ে হেঁটে ইডি অফিসারদের সঙ্গে হাসপাতাল থেকে বের হন মন্ত্রী। তবে এদিন সংবাদমাধ্যম তাঁকে ঘিরে ধরলেও কোনওরকম প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি রেশন দুর্নীতিতে অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয়।

    সোমবার দুপুরেই সিদ্ধান্ত হয় হাসপাতাল থেকে ছাড় পাবেন মন্ত্রী

    জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুরেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বৈঠক বসেছিল বেসরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল বোর্ড। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, মন্ত্রী সুস্থ হয়ে গিয়েছেন এবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড় দেওয়া যেতে পারে। সন্ধ্যাতেই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইডির দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক। এরপরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার ঘেরাটোপে তাঁকে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে মূল গেট দিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকানো হয়নি। নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁকে অন্য একটি গেট দিয়ে ঢোকানো হয়। সিজিও কমপ্লেক্সে (Ration Scam) ঢোকার সময় গাড়ি থেকে নেমেই ইডি অফিসারদের সঙ্গে হেঁটে লিফটে ওঠেন জ্যোতিপ্রিয়। এ সময়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে কোনও বিবৃতি দেননি। কিছুক্ষণ পর মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিক আসেন ইডির দফতরে। জানা গিয়েছে, তিনি কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র,  খাবার এবং জামাকাপড় নিয়ে এসেছিলেন।

    শুরু হল জ্যোতিপ্রিয়র ইডি হেফাজতের মেয়াদ

    প্রসঙ্গত, আদালত এর আগেই নির্দেশ দিয়েছিল যে যতদিন পর্যন্ত মন্ত্রী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকবেন তা ইডি হেফাজতের মেয়াদের দিন হিসেবে গণনায় ধরা হবে না। অর্থাৎ এবার শুরু হচ্ছে জ্যোতিপ্রিয়র (Ration Scam) ইডি হেফাজতের মেয়াদ। তবে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিলেও আদালতের নির্দেশ মোতাবেক প্রতিদিনই তাঁর মেডিক্যাল টেস্ট করানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সোমবার রাতে বেসরকারি হাসপাতালের তরফে যে মেডিকেল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, মন্ত্রীকে বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসকরা দেখেছেন। শল্য চিকিৎসক, স্নায়ুর চিকিৎসকরা তাঁকে ফিজিওথেরাপি করানোর পরামর্শও দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: দুই কাউন্সিলারের প্রকাশ্যে মারামারি নিয়ে নিন্দায় সরব টিটাগড়বাসী, মুখ পুড়েছে তৃণমূলের

    Khardah: দুই কাউন্সিলারের প্রকাশ্যে মারামারি নিয়ে নিন্দায় সরব টিটাগড়বাসী, মুখ পুড়েছে তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্যে দুই কাউন্সিলারের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে ছি ছি করছে গোটা টিটাগড় এলাকা। কার্যত দলের মুখ পুড়েছে এই ঘটনায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, জনপ্রতিনিধিদের কাজ এলাকাকে শান্ত রাখার। তারা এলাকাকে অশান্ত করছে। অবিলম্বে এই সব কাউন্সিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। না হলে আগামীদিনে আরও এই ধরনের ঘটনা ঘটবে। রবিবার তৃণমূল কর্মী খুন হওয়ার পর প্রকাশ্যে তৃণমূল কাউন্সিলারকে ধমক দিয়েছেন খড়দা (Khardah) থানার আইসি রাজকুমার সরকার। দলদাস পুলিশের ঘুরে দাঁড়ানো দেখে হতবাক হয়েছিলেন রাজ্যবাসী। সবাই ভেবেছিলেন ওই অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূল সাংসদ অর্জুন সিং প্রকাশ্যেই ওই অফিসারের প্রশংসা করেছেন।

    পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন অর্জুন? (Khardah)

    অর্জুন সিং বলেন, ‘খড়দার (Khardah) আইসি-র আমি ট্র্যাক রেকর্ড দেখেছি। তিনি অ্যান্টি ক্রিমিনাল অফিসার। জনপ্রতিনিধিদের তোলাবাজি করতে নিষেধ করেছিলেন। আমি জানি, ওর মেরুদণ্ড সোজা আছে। তিনি ঘুষ খান না। তিনি এলাকায় ভাল কাজ করার চেষ্টা করছেন। আমি স্থানীয় সাংসদ হতে পারি। দলের নিয়ম-শৃঙ্খলার বিষয়টি দেখেন তাপস রায়। তারা দলগতভাবে যা পদক্ষেপ নেবে। তবে, ওই পুলিশ আধিকারিক যেভাবে কড়া হাতে ব্যবস্থা নিয়েছে অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বাইরে থেকে কোনও চাপ না থাকলে এই ঘটনায় অভিযুক্তদের তিনি গ্রেফতার করবেন। আসলে যারা এতদিন রাজনীতি করেনি রাজনীতিতে এসে তারা অতীত ভুলতে পারছেন না।’ দলীয় কাউন্সিলারদের পাশে না থেকে পুলিশ প্রশাসনের প্রশংসা করায় বারাকপুরে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ, কিছুদিন আগেই বারাকপুরে ডাকাতি কাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    মৃত যুবকের পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    সোমবার গোটা এলাকা থমথমে ছিল। পাঁচ নম্বর পানিট্যাঙ্কি এলাকায় আকাশ প্রসাদের বাড়িতে সকাল থেকেই জটলা ছিল। বেলা বাড়তেই ভিড় বাড়তে শুরু করে।  সন্ধ্যার পর আকাশের দেহ আসলে কান্নায় ভেঙে পড়েন এলাকাবাসী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আকাশরা দুই ভাই। তাঁর চার বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করতেন। আকাশের মা শকুন্তলা দেবী বলেন, আমার ছেলে অসুস্থ। তাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। আমরা দোষীর ফাঁসি চাই। এভাবে অকালে আমার ছেলেকে কেড়ে নেওয়ার ঘটনা আমরা মানতে পারছি না। প্রসঙ্গত, টিটাগর পৌরসভা এলাকায় ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বিকাশ সিংহের সঙ্গে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সনু সাউয়ের গন্ডগোল দীর্ঘদিনের। সেই গন্ডগোলের মধ্যে পড়ে বিকাশের অনুগামী হিসেবে পরিচিত আকাশ প্রসাদের মৃত্যু হয়। তাঁকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনা নিয়েই রবিবার খড়দা থানা পুরানি বাজার এলাকার উত্তাল হয়ে ওঠে। আকাশের দেহ নিয়ে খড়দা থানায় নিয়ে গিয়ে পরিবারের লোকজন দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। সেখানেই তৃণমূল কাউন্সিলার সনু সাউকে প্রকাশ্যে ধমক দেন খড়দা (Khardah) থানার আইসি। তিনি বলেছিলেন, জনপ্রতিনিধি হয়ে গুন্ডার মতো আচরণ করছেন। এটা ঠিক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bakibur Rahaman: তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা! পোড়া নথি উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য বাকিবুরের চালকলে

    Bakibur Rahaman: তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা! পোড়া নথি উদ্ধারে ব্যাপক চাঞ্চল্য বাকিবুরের চালকলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের শাসনে লাগাম ছাড়া দুর্নীতিতে ফুলে ফেঁপে উঠেছে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা। ইতিমধ্যে অনেক তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। সেই সঙ্গে তদন্ত থেকে বাঁচতে, অসুস্থতার ভান করে অনেকেই হাসপাতালে দিন কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এবার তদন্ত থেকে বাঁচতে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও কি শুরু হয়েছে? বাকিবুরের (Bakibur Rahaman) নদিয়ার চালকলের পিছনে মিলল পোড়া নথি। নথির পোড়া অংশে দেখা যাচ্ছে সরকারি সিলমোহর। ফলে দুর্নীতির তদন্ত ঘিরে চরম চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে রাজ্য জুড়ে।

    প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা (Bakibur Rahaman)

    সূত্রে জানা গেছে, তৃণমূল নেতা বাকিবুরের (Bakibur Rahaman) হরিণঘাটার সাত শিমুলিয়ার চালকলের পিছনে সরকারি সিলমোহর দেওয়া বেশ কিছু পোড়া নথি দেখতে পাওয়া গেছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যার সময় আশে পাশের গ্রামের মানুষ, এই নথির পোড়া অবশেষ দেখতে পান। এই নথি কি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত? এরপর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

    নদিয়ায় রেশন দুর্নীতি

    ২০২১-২২ সালে নদিয়ায় রেশনের সামগ্রী, খোলা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করা হয়েছিল বলে, শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায়, এই নিয়ে রীতিমতো তিনটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ তদন্ত শুরু করলেও এরপর রেশন দুর্নীতির তদন্তভার নেয় ইডি। এরপর থেকে ইডি, জেলার একাধিক জায়গায় তল্লাশি শুরু করে। তদন্তে বাকিবুরের (Bakibur Rahaman) আরও চালকলের সন্ধান মিলেছে নদিয়ায়।

    বাদুড়িয়াতে উদ্ধার আরও সম্পত্তি

    অপর দিকে বাদুড়িয়াতে বাকিবুরের (Bakibur Rahaman) ২১০ কাঠা সম্পত্তির হদিশ মিলেছে বলে জানা গেছে। বসিরহাট এলাকার পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের জেলে পাড়ায় এই সম্পত্তি রয়েছে। বাকিবুর, এলাকার মানুষের জমি জোর করে, ভয় দেখিয়ে লিখিয়ে নেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা অরবিন্দবাবুর অভিযোগ, ‘রাস্তার পাশে তাঁর ২ শতক জমি ছিল। যা কার্যত মস্তানদের দিয়ে দখল করে নিয়েছে বাকিবুর। ‘এলাকার আরেক বাসিন্দা রীতাদেবী বলেন, ‘এলাকায় দু’কাঠা জমি ছিল, সেখানে নিজেরা ঘর করে থাকছিলাম, কিন্তু বাকিবুরের গুন্ডারা এসে চাপ দিয়ে জবরদখল করে নেয়।’

    সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত বাকিবুরের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান মিলিছে বলে জানিয়েছে ইডি। এরমধ্যে ১ হাজার ৬৩২ কাঠা জমির কথাও জানা গিয়েছে। পার্কস্ট্রীট, রাজারহাট, বারাসত, রঘুনাথপুরে ৯ টি ফ্ল্যাটের খোঁজ মিলেছে।

           

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ITI College: বনমন্ত্রী গ্রেফতার হতেই তাঁর জমিতে তৈরি আইটিআই কলেজের নাম মুছে সরকারি তকমা!

    ITI College: বনমন্ত্রী গ্রেফতার হতেই তাঁর জমিতে তৈরি আইটিআই কলেজের নাম মুছে সরকারি তকমা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বর আইটিআই কলেজ (ITI College)। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জায়গায় গড়ে উঠেছে কলেজ। কোটি টাকা খরচ করে বিল্ডিংও তৈরি করা হয়েছে। বনমন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর পরই আচমকা কলেজের নাম মুছে দেওয়ায় বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কেন কলেজের নাম মুছে দেওয়া হল তা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য? (ITI College)

    পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে বনমন্ত্রীর জন্মভিটে। বামুনপাড়া এলাকায় তিনি নিজেদের জমিতে আইটিআই কলেজ (ITI College) করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কলকাতার রিজেন্ট স্টেশন অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ এই কলেজের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। গত কয়েক বছর ধরে মন্তেশ্বরের এই কলেজের বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু হয়। ২০২২ সাল থেকে কলেজটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয়। কলেজে পড়ুয়ার সংখ্যা ১৫০ জন। এতদিন সব কিছু ঠিকঠাক চলছিল। মন্ত্রী উদ্যোগী হয়ে এলাকায় আইটিআই কলেজ করে দেওয়ায় এলাকার মানুষও খুশি। কলেজের গেটে মন্তেশ্বর আইটিআই কলেজ বলে ইংরেজিতে নাম লেখা ছিল। মন্ত্রী গ্রেফতার হতেই কলেজের নাম মুছে দেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বক্তব্য, কলেজের নাম মুছে দেওয়ায় কলেজটি বন্ধ হয়ে যাবে ভেবেছিলাম। কেন এভাবে আচমকা কলেজের নাম মুছে দেওয়া হল তা বুঝতে পারছিলাম না। এটা নিয়ে এলাকায় চর্চা শুরু হতেই সোমবার দেখি, বাংলায় ফের নাম লেখা হয়েছে। এরকম কেন করা হল তা বুঝতে পারছি না। কারণ, আগে ইংরেজিতে লেখা ছিল মন্তেশ্বর আইটিআই কলেজ। আর এখন লেখা হল সরকারি শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, মন্তেশ্বর।

    কলেজের অধ্যক্ষের কী বক্তব্য?

    এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকারের অনুমোদিত কলেজ (ITI College)। আসলে পূর্ত দফতর কলেজ বিল্ডিংয়ের রং করছিল। তাই, গেট থেকে নাম মুছে দেওয়া হয়েছে। এখন রঙের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ায় ফের নাম লেখা হয়েছে। এতে বিতর্ক হওয়ার কিছু নেই। কলেজে কোনও সমস্যা নেই। এটা নিয়ে এত কেন চর্চা হচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। তাছাড়া, এই কলেজে পরিচালন কমিটিতে মন্ত্রীর বাড়ির কেউ নেই। পরিচালন কমিটির সকলের বাড়ি কলকাতায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী ও কন্যার ব্যাঙ্কের লকারের চাবি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী ও কন্যার ব্যাঙ্কের লকারের চাবি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ২১ ঘণ্টা তল্লাশির (Ration Scam) পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। ব্যাঙ্কশাল কোর্টের রায় শুনে আদালত কক্ষেই মূর্ছা যান মন্ত্রী। তাঁকে ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। এরই মাঝে ইডি বাজেয়াপ্ত (Ration Scam) করল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের স্ত্রী এবং কন্যার ব্যাঙ্কের লকারের চাবি। জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকের পরিবারের বিপুল সম্পত্তির ওপর নজরদারি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। লকারের চাবি বাজেয়াপ্ত করা সেই প্রক্রিয়ারই অঙ্গ বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই দুটি লকারই সল্টলেকে রয়েছে, যার মধ্যে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের এবং অপরটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের।

    বাকিবুর-জ্যোতিপ্রিয় মুখোমুখি জেরা সম্ভব হচ্ছে না

    এরই পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সংস্থার পরিকল্পনা ছিল, মন্ত্রী এবং বাকিবুর রহমানকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার। তবে শরীর খারাপ নিয়ে মন্ত্রী ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। আবার সোমবারই ইডি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হচ্ছে বাকিবুরের। ইডি সূত্রের খবর, যে সমস্ত তথ্য অস্বীকার করেছেন বাকিবুর এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, মুখোমুখি বসিয়ে তাঁদের কাছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে সেটা তাঁরা অস্বীকার করতে পারতেন না। তবে দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা এই মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না। গতকালই নথি (Ration Scam) হাতে ইডি দফতরে ঢুকতে দেখা যায় মন্ত্রী কন্যা প্রিয়দর্শিনীকে। আবার আজকেই ইডি দফতরে পৌঁছে যান জ্যোতিপ্রিয়র দাদা দেবপ্রিয় মল্লিক।

    টিউশন পরিয়ে নাকি ৩ কোটি ৩৭ লাখ?

    জানা গিয়েছে, একাধিক ভুয়ো সংস্থা খুলেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। যেগুলি বাকিবুর এবং জ্যোতিপ্রিয়র পরিবারের সদস্যরাই চালাতেন। এভাবে মোট ৯৫ কোটি টাকা তছরুপ করেছেন তাঁরা। জ্যোতিপ্রিয়র একাধিক বাড়ির অ্যাকাউন্টও ব্লক করেছে ইডি। আয়কর রিটার্ন নথি বলছে, শুধুমাত্র টিউশন পরিয়ে নাকি ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আয় করেছেন মন্ত্রীকন্যা। ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার রয়েছে প্রিয়দর্শিনীর একটি অ্যাকাউন্ট। বালুর স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট রয়েছে আইডিবিআই-এর ব্যাঙ্কে (Ration Scam)। সেখানে রয়েছে ৪.৩ কোটি টাকা রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share