Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Purba Bardhaman: কাটমানির খেসারত, মাত্র ছয় মাস আগের কোটি টাকার রাস্তা এখন কঙ্কালসার!

    Purba Bardhaman: কাটমানির খেসারত, মাত্র ছয় মাস আগের কোটি টাকার রাস্তা এখন কঙ্কালসার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছয়-সাত মাস আগে কয়েক কোটি টাকা খরচ করে জামালপুর-পলেমপুর (রায়না) (Purba Bardhaman) পর্যন্ত নতুন করে তৈরি হওয়া রাস্তার বর্তমানে ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে। প্রায় ২৯ কিলোমিটার লম্বা এই রাস্তাটি স্টেট রুরাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি অর্থে তৈরি হয়েছে। এর জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৯ কোটি টাকা। এলাকার মানুষের বক্তব্য, ভগ্ন রাস্তার জন্য যেমন দায়ী পঞ্চায়েত-ব্লক স্তরের তৃণমূল নেতাদের ‘কাটমানি’, তেমনই দায়ী স্থানীয় পুলিশের প্রশ্রয়ে চলা বালির ওভারলোড করা ট্রাকের চালাচল। রাজ্যে উন্নয়নের জোয়ারে রাস্তা এখন বেহাল।

    রাস্তার চেহারা কঙ্কালসার (Purba Bardhaman)

    রাজ্যের মধ্যে দীর্ঘতম এই রাস্তাটি সাত মাস অতিক্রান্ত হওয়ার আগেই রাস্তার কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে পড়েছে। জায়গায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে, অল্প বৃষ্টিতে রাস্তা একেবারে পুকুরে পরিণত হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের পাশাপাশি, এলাকা দিয়ে বালির ওভারলোডিং ট্রাক চলাচলের ফলে রাস্তার এই ভগ্ন দশা বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। জামালপুরের (Purba Bardhaman) কারালাঘাট, বেডুগ্রাম, শালিমডাঙা, কেষ্টপুর পর্যন্ত রাস্তায় পিচ উঠে গিয়ে, পাথর বেরিয়ে গিয়েছে। রাস্তায় সাইকেল, মোটর সাইকেল বা টোটো নিয়ে যাতায়াত করতে গিয়েও অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন। ঘটছে পথ দূর্ঘটনার মতো নানান ঘটনা।

    স্থানীয় মানুষের অভিযোগ

    স্থানীয় (Purba Bardhaman) শেখ রবিয়াল, শেখ আব্বাস আলিদের মতো মানুষের অভিযোগ, “জামালপুর থেকে রায়না হয়ে পলেমপুর পর্যন্ত সংযোগকারি এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটিতে দিনের বেশীরভাগ সময় যাতায়াত করে ওভারলোড করা ট্রাক। দামোদর থেকে বালি নিয়ে ট্রাকগুলি যাতায়াত করায় রাস্তার জায়গায় জায়গা গর্তগুলি একেবারে পুকুরে পরিণত হয়েছে। এতে যেমন বাচ্চাদের স্কুল যেতে অসুবিধা হচ্ছে, তেমনই অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসা কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পথেই আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। বালির ট্রাকগুলোকে যাতায়াত পথে, মানুষ আটকে দিলে ছাড়াতে চলে আসে পুলিশ। মানুষের অসুবিধার কথা নিয়ে প্রশাসন একেবারেই চিন্তিত নয়।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির কাটোয়া সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক মানিক রায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “জামালপুর-পলেমপুর (Purba Bardhaman) (রায়না) পর্যন্ত ২৯ কিলোমিটার রাস্তার জন্য এস.আর.ডি.এ থেকে আসা প্রায় ৩৯ কোটি টাকার কাটমানি স্থানীয় তৃণমূল নেতারা হজম করেছেন। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরী করেছে কন্ট্রাক্টর। এই নিম্নমানের রাস্তার উপর দিয়ে তৃণমূল আশ্রিত বালি মাফিয়ারা প্রচুর ট্রাক নিয়ে যাওয়ার কাজ করছে। আর তার ফলেই এলাকার রাস্তা এতটা বেহাল।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বালির ওভারলোড করা ট্রাক যাতায়াতের ফলেই ছমাসের তৈরী রাস্তা আজ অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। ফলে একপ্রকার দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জামালপুর (Purba Bardhaman) তৃণমূল ব্লক সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহমুদ খান। তিনি আরও বলেন, “এই রাস্তার বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে অবগত করানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি এই রাস্তাটি মেরামতি কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: তৃণমূলের লাগামছাড়া তোলাবাজি, আরামবাগে তিতিবিরক্ত বাস মালিকরা ধর্মঘটের পথে

    Arambagh: তৃণমূলের লাগামছাড়া তোলাবাজি, আরামবাগে তিতিবিরক্ত বাস মালিকরা ধর্মঘটের পথে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের তোলাবাজির জেরে বন্ধ হতে চলেছে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ জেলার সঙ্গে আরামবাগ (Arambagh) মহকুমার যোগাযোগের বেশ কয়েকটি রুটের বেসরকারি বাস পরিষেবা। বাস মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ছাপানো হয়েছে পোস্টার। পুজোর মুখে রুটি-রুজি অনিশ্চিত পরিবহণ কর্মীদের। তার জেরেই উদ্বেগ আরামবাগে। আরামবাগের সঙ্গে সরাসরি দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার গণ পরিবহণের বাস বন্ধ হলে একদিকে যেমন সমস্যায় পড়বেন সাধারণ যাত্রীরা, অন্যদিকে রুটি রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে বাস কর্মীদের। ইতিমধ্যেই আরামবাগ মহকুমা শাসক, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও তৃণমূল ভবনেও এই তোলাবাজির অভিযোগ জানিয়েছে বাস মালিক সংগঠন। এমনকি ধর্মঘটের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও বাসগুলিতে পোস্টার লাগিয়ে যাত্রীদের জানানো হচ্ছে। তাতে লেখা, ‘আরামবাগ বাসস্ট্যান্ডে শ্রমিক ইউনিয়নের তোলাবাজির প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের জন্য সমস্ত যাত্রী পরিষেবা বন্ধ থাকবে।’ বাস কর্মী থেকে মালিক সকলেই বলছেন, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ধর্মঘটের রাস্তায় হাঁটা ছাড়া তাঁদের কোনও উপায় নেই।

    বাস চালিয়ে খরচই উঠছে না (Arambagh)

    এক বাস মালিক মধুমিতা ভট্টাচার্যের অভিযোগ, আরামবাগ বাসস্ট্যান্ড থেকে শ্রমিক কল্যাণের নামে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা সফিকুল ইসলাম বাস প্রতি চল্লিশ টাকা করে বিল ছাপিয়ে জুলুম করে টাকা তুলছে। তিনি দাবি করেন, লক্ষ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে বাস চালিয়ে কোনওদিন টাকা পান, কোনওদিন পান না। খরচই তুলতে পারেন না বেশিরভাগ সময়। চরম উদ্বেগের ছবি আরামবাগ বাস টার্মিনাসে। তোলাবাজদের জোর-জুলুমে অতিষ্ঠ বাস মালিকরা। দক্ষিণবঙ্গের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ আরামবাগ শহরের বাস টার্মিনাস। যেখন থেকে সারা রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রায় ২৬টি রুটে ১৫০টির বেশি এক্সপ্রেস বাস চলাচল করে। তার সঙ্গে আরামবাগ মহকুমায় ২০০টিরও বেশি লোকাল বাস চলে। ৩০০ থেকে ৩৫০টি বাস প্রতিদিন আরামবাগ টার্মিনাস (Arambagh) থেকে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, বাঁকুড়া পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর সহ রাজ্যের আরও বেশ কয়েকটি জেলায় যাতায়াত করে। প্রায় দুই হাজার বাস কর্মচারী গণপরিবহণের সঙ্গে যুক্ত। তোলাবাজির অভিযোগ নিয়ে পুজোর মুখে যদি বাস মালিরা ধর্মঘটে সামিল হন, তাহলে গণপরিবহণের সঙ্গে যুক্ত দুই হাজার শ্রমিকের রুটি রুজিতে টান পড়বে। এর দায় কে নেবে? উঠছে সেই প্রশ্ন। কাঠগড়ায় শাসকদলের নেতারা। আরও অভিযোগ, শাসকদলের এক গোষ্ঠীর নেতাদের মদতেই এই তোলাবাজি চলছে। এক বাস কর্মী বলছেন, শুধু মালিকরা নয়, আমাদেরও পেটে লাথি পড়ছে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। প্রশাসন কোনও উদ্যোগ না নিলে অবস্থা আরও খারাপ হবে। তাই আমরা চাইছি ধর্মঘট হোক।

    কী বলছেন অভিযুক্ত, কী অভিযোগ বিজেপির? (Arambagh)

    যদিও অভিযুক্ত শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সেখ সফিকুল ইসলাম বলেন, কে বা কারা এই কাজ করছে আমার জানা নেই। এই ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক। এই ঘটনা প্রসঙ্গে আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, তৃণমূলের তোলাবাজির জেরেই পশ্চিমবঙ্গের দুর্দশা। যার বিড়ি কিনে খাওয়ার পয়সা ছিল না, সেই এখন তৃণমূলের নেতা হয়ে বিশাল বাড়ি, দামি দামি গাড়ি। কোথা থেকে হয়? এটা তো আর নিজের রোজগারের টাকায় হয় না, অপরের টাকা তোলাবাজি করে জুলুমবাজি করে চালিয়ে নিচ্ছে। সময় এলেই মানুষ বুঝিয়ে দেবে, কতটা দুধ আর কতটা জল আলাদা হয়ে যাবে। এসব তৃণমূলের কালচার। ওরাই করতে পারে। সাধারণ মানুষ সব দেখছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের ছাত্র-যুব সভাপতিকে গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি! তীব্র শোরগোল কাকদ্বীপে

    South 24 Parganas: তৃণমূলের ছাত্র-যুব সভাপতিকে গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি! তীব্র শোরগোল কাকদ্বীপে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুন্দরবন সংগঠনিক জেলার (South 24 Parganas) তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র-যুব সভাপতিকে এবার গুলি করে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হল। আর তা নিয়েই কাকদ্বীপের বিভিন্ন জায়গায় পড়ল পোস্টার। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পোস্টারে পরিষ্কারভাবে লেখা হয়েছে “দেবাশীষ তুই খুব বাড় বেড়েছিস, তুই গুলি খেয়ে মরবি”। পাশাপাশি পোস্টারে আরও উল্লেখ করা রয়েছে যে কাকদ্বীপে যদি, আবুজেল মোল্লার মতো আরেকটা ঘটনা না ঘটুক চাস, তাহলে সাবধান হো। তবে শাসকদলের পক্ষ থেকে বিক্ষুদ্ধদের বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ তোলা হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ছাড়া অন্য কিছুই না। তৃণমূলের নেতারাই  শাসক দলের কাছে সুরক্ষিত নয়। আর এই প্রাণনাশের হুমকির পোস্টারে রীতিমতো সরগরম রাজ্য রাজনীতি।

    কেন গুলি করার পোস্টার (South 24 Parganas)

    মূলত পোস্টারে থাকা এই আবুজেল মোল্লা কাকদ্বীপ বিধানসভার (South 24 Parganas) নেতাজি গ্রাম পঞ্চায়েতের দীর্ঘদিনের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। এমনকি তিনি তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের ব্লক সভাপতিটির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কিন্তু ২০১৬ সালে তাঁকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। অন্যদিকে পোস্টারে আরও এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বুদ্ধদেব দাসেরও নাম রয়েছে। তিনি কাকদ্বীপ বিধানসভার রামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতির দায়িত্বে ছিলেন। তিনিও আর্থিক দুর্নীতির দায়ে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। পোস্টারে এমন ভাবেই লেখা হয়েছে, “যদি বুদ্ধ অথবা আবুজেল মোল্লার মতো তোর অবস্থা না হয়। তাহলে আগে থেকে শুধরে যা।”

    তৃণমূল যুব সভাপতির বক্তব্য

    রীতিমতো গুলি করে খুন করার হুমকির পোস্টারকে ঘিরে এখন আতঙ্কিত বলে জানিয়েছেন জেলার (South 24 Parganas) ছাত্র-যুব সভাপতি দেবাশীষ দাস। এই বিষয়ে হারুর পয়েন্ট কোস্টাল থানতে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পাশাপাশি তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেও পড়েছে পোস্টার। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী দীপিতা দাস রামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তিনি বলেন, “আমি মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি কিন্তু এটাই অনেকের সহ্য হচ্ছে না। আমরা আইনের দ্বারস্থ হয়েছি।”

    বিজেপির বক্তব্য

    মথুরাপুর (South 24 Parganas) সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সম্পাদক কৌশিক দাস বলেন, “এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের প্রকাশ মাত্র। এই পোস্টারের মধ্যেই স্পষ্ট যে তৃণমূল, তৃণমূলের কাছে সুরক্ষিত নয়। টাকার ভাগ নিয়ে নিজেরা নিজেদের সঙ্গে লড়াই করছে। রাজ্যে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এবার নজরে বারাসত পুরসভা, চিঠি দিয়ে নথি তলব সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এবার নজরে বারাসত পুরসভা, চিঠি দিয়ে নথি তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) ইডি-সিবিআই একাধিক পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে। ঠিক এরকম একটা সময়ে বারাসত পুরসভায় এল সিবিআইয়ের  একটি চিঠি। ২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই পুরসভায় কারা কারা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন, তাঁদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর-সহ যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই চিঠি ঘিরে শুরু হয়েছে জোর চর্চা। তাহলে কি পুর-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের রেশ এবার জেলার সদর বারাসতেও। চিঠির কথা স্বীকার করলেও এর সঙ্গে নিয়োগ-দুর্নীতির কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান।

    বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি (Recruitment Scam)

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শিকড়ে পৌঁছতে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে ইডি-সিবিআই। অয়ন শীলের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে একাধিক পুরসভায় গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি’র চাকরি বিক্রি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই বেআইনি নিয়োগের পিছনে তৃণমূলের প্রাক্তন এবং বর্তমান চেয়ারম্যানদের ভূমিকা ঠিক কী ছিল, তা খতিয়ে দেখতে ময়দানে নেমেছে কেন্দ্ৰীয় দুই তদন্তকারী সংস্থা। কিছুদিন আগেই মধ্যমগ্রাম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের মাইকেল নগরের বাড়িতেও হানা দিয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে মন্ত্রীর বাড়ি ঘিরে রেখে উনিশ ঘণ্টা তল্লাশি অভিযান (Recruitment Scam) চালানো হয়। তল্লাশিতে মন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেশ কিছু তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছিল বলে খবর পাওয়া যায়। যদিও খাদ্যমন্ত্রী দাবি করেন, কোনও নথিই বাজেয়াপ্ত করা হয়নি তাঁর বাড়ি থেকে। শুধু মন্ত্রীর বাড়িই নয়, মধ্যমগ্রাম পুরসভাতেও ইতিমধ্যে দু-দু’বার হানা দিয়েছে ইডি- সিবিআই। পাশাপাশি আধিকারিকদের জেরার মুখেও পড়তে হয়েছে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষকে। এরই মধ্যে এবার নিয়োগ দুর্নীতির চিঠি এসে পৌঁছল বারাসত পুরসভাতে।

    চিঠির কথা স্বীকার পুরসভার চেয়ারম্যানের (Recruitment Scam)

    এই বিষয়ে বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, “সিবিআই ই-মেল মারফত চিঠি (Recruitment Scam) পাঠিয়েছে পুরসভার কাছে। সেই চিঠির উত্তরও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের কাছে। তারা জানতে চেয়েছে, ২০১২ সাল থেকে ২০২৩ সাল, এই ১১ বছরে পুরসভায় কারা কারা ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁদের নাম, ঠিকানা সহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলেছিল, আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি। কেন পাঠাতে বলেছে, সেটা আমার পক্ষে বলা অসম্ভব। হতে পারে তদন্তের স্বার্থে তারা জানতে চেয়েছে এসব। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে পুরসভায় কোনও নিয়োগ হয়নি।

    কোনও সংযোগ আছে, দাবি বিজেপির

    অন্যদিকে বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন জেলা সভাপতি তাপস মিত্র দাবি করেন এবিএস ইনফোজোনের মাধ্যমে যদি এখানে নিয়োগ নাই হয়ে থাকে, তাহলে কেন চিঠি পাঠাতে গেল সিবিআই। বেআইনি নিয়োগের কোনও না কোনও সংযোগ রয়েছে সেখানে (Recruitment Scam)। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: মুর্শিদাবাদে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির,  কী করছে পুলিশ?

    Bomb Blast: মুর্শিদাবাদে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির, কী করছে পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের ফের বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে (Bomb Blast) মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ঘটনায় আরও একজন জখন হন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হরিহরপাড়া থানার খলিলাবাদ মাঠে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাজিজুল শেখ (৪২)। জখম ব্যক্তির নাম লালন মণ্ডল। তাদের বাড়ি হরিহরপাড়া থানার লোচনমাটি গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিহরপাড়া থানার খলিলাবাদ মাঠে কলার বাগানে সাজিজুল, মিলে বোমা বাঁধার কাজ করছিলেন। সেখানে আর কে কে ছিল তা জানা যায়নি। আচমকা বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। তাতে সাজিজুল সহ দুজন গুরুতর জখম হন। সাজিজুল সহ দুজন ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিছুটা দূরে গিয়ে তার মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বোমা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাজিজুলের মৃত্যু হয়। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে এই জেলায় একের পর এক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। রেজিনগরেও একই ঘটনা ঘটে। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু হয়। বোমা বাঁধার ঘটনার পাশাপাশি বল ভেবে বোমা ফেটে সূতিতে এক কিশোর জখম হন। ভরতপুরেও এক কিশোর বোমা ফেটে জখন হন। পঞ্চায়েত ভোট শেষ হওয়ার পরও রমরমিয়ে বোমা তৈরির কারবার চলছে। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, কারা বোমা বাঁধার কাজ করছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মাঠের কলাবাগানে বোমা তৈরির কাজ করছিল। ফলে, তাদের বাইরে থেকে কেউ দেখতে পায়নি। আচমকা  বিকট আওয়াজে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। এরপরই মাঠের মধ্যে গিয়ে দেখি, দুজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। একজনের দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখ বলেন, বোমা বিস্ফোরণ কেন ঘটল তা পুলিশ প্রশাসনের দেখা দরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের। তবে, কারা এই ধরনের অসামাজিক কাজ করছিলেন তা খতিয়ে দেখছি। এই এলাকায় এসব চলতে পারে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: বিমানের টিকিট কাটা রয়েছে, ইজরায়েল থেকে দেশে ফেরার দিন গুনছেন বারাকপুরের সুমন

    Israel Hamas War: বিমানের টিকিট কাটা রয়েছে, ইজরায়েল থেকে দেশে ফেরার দিন গুনছেন বারাকপুরের সুমন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের (Israel Hamas War) ঘটনায় ইজরায়েলে আটকে পড়েছেন সুমন সাধুখাঁ নামে বারাকপুরের এক গবেষক পড়ুয়া। তাঁর বাড়ি বারাকপুরের মণিরামপুর এলাকায়। ইজরায়েলে যুদ্ধের কারণে আর তিনি বাড়ি ফিরতে পারছেন না। ইজরায়েলে ছেলে আটকে থাকায় চরম উদ্বিগ্ন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ছেলে কবে বাড়ি ফিরবে সেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন সাধুখাঁ পরিবার। ছেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও করছেন তাঁরা।

    কী বললেন গবেষক পড়ুয়া? (Israel Hamas War)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অঙ্কে পোস্ট ডক্টরেট করতে ২০২১ সালে ইজরায়েলে গিয়েছেন সুমন সাধু খাঁ। তিনি ইজরায়েলের হাইফা শহরে থাকেন। গবেষণার কাজেই কয়েকদিন আগে তিনি পোল্যান্ড গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পরই শুরু হয় দেশে যুদ্ধ (Israel Hamas War) পরিস্থিতি। আর তারপর থেকেই ঘরবন্দি রয়েছেন সুমনবাবু। ইজরায়েলে যুদ্ধের খবর জানার পরেই ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা। সুমনবাবু পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন, ইজরায়েলে দক্ষিণ প্রান্তে মূলত যুদ্ধ হচ্ছে। আমরা রয়েছি উত্তর প্রান্তে। এই এলাকায় এখনো যুদ্ধ শুরু হয়নি । তবে, শহরের খুব নিচু দিয়ে বিমান যাওয়ায় ঘরের আসবাবপত্র নড়ছে। বাইরে যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো আবহওয়া তৈরি হচ্ছে। ফলে, ইচ্ছে থাকলেও বাইরে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছি না। দেশে ফেরার বিমানের টিকিট কাটা রয়েছে। বিমান চলাচল শুরু করলেই দেশে ফিরব।

    গবেষক পড়ুয়ার মায়ের কী বক্তব্য?

    সুমন বাবুর মা তপতী সাধুখা বলেন, যুদ্ধ (Israel Hamas War) পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরেই ছেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছি। কখনও আবার ছেলের সঙ্গে কথা না হলে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করছি। ও এখন নিরাপদে রয়েছে। কিন্তু, কতদিন তা জানিনা। কারণ যেভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও বড় আকার ধারণ করছে, তাতে দক্ষিণ প্রান্ত থেকে উত্তর প্রান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে। তাই ছেলে কবে দেশে ফিরে আসে সেই অপেক্ষায় দিন গুনছি। ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তারাও ছেলেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। ছেলে বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত আমাদের দুশ্চিন্তা কাটছে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: বিজেপির নেতা কর্মীদের হাত পা ভেঙে নদীর জলে ফেলে দেওয়ার নিদান তৃণমূল নেতার

    Paschim Medinipur: বিজেপির নেতা কর্মীদের হাত পা ভেঙে নদীর জলে ফেলে দেওয়ার নিদান তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত ঘাটালে সাংসদ দেব-এর নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়েছিল। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটালের তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সদস্য শংকর দোলুই। যা নিয়ে জেলা জুড়ে সমস্ত মহলে সমালোচনা চলছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেতা? (Paschim Medinipur)

    বুধবার বিকেলে ঘাটালে দলীয় কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে একটি মিছিল হয়। মিছিল শেষে পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রকাশ্যে বিজেপিকে আক্রমণ করেন ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সদস্য শঙ্কর দলুই। গলায় প্রকাশ্যে হুমকি। তিনি বলেন, দলের সাংসদকে নিয়ে বিজেপি যা করেছে তা লজ্জার। সাংসদের নামে এভাবে পোস্টার দেওয়ার বিরুদ্ধে হাজার হাজার তৃণমূল কর্মীরা রাস্তা নেমেছে। ২০১৪ সাল থেকে বিজেপি রাজ্যকে বঞ্চনা করেছে। আর নয়। এরপর যদি তৃণমূলকে নিয়ে কুৎসা কর, তাহলে এবার বিজেপির নেতা কর্মীদের হাত পা ভেঙে নদীর জলে ফেলে দিতে বাধ্য হব। আর এই মন্তব্যের পরেই অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, ঘাটালের একসময়ের দাপুটে এই তৃণমূল নেতা গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির কাছে পরাজিত হন। আর  তারপর থেকেই শাসকদলের রীতিমতো কোণঠাসা অবস্থায় ছিলেন। সম্প্রতি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur)  জেলা পরিষদের আসনে জয় লাভের পর ফের স্বমহিমায় ফের বিজেপিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    যদিও এই বিষয়টিকে কোনওরূপ পাত্তা দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কোপাট বলেন, কেন্দ্র সবসময় উন্নয়নের পক্ষে। মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের টাকা মেলা-খেলায় নষ্ট করছেন। আমরা চাই, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হোক। আর বিজেপিকে এরকম হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ নেই গত বিধানসভায় এই এলাকার মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে। লোকসভা ভোটেও আরও একবার প্রমাণ হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: সাত সকালে মধ্যমগ্রামে ডিয়ার লটারির প্রিন্টিং কারখানায় হানা দিল ইডি

    ED: সাত সকালে মধ্যমগ্রামে ডিয়ার লটারির প্রিন্টিং কারখানায় হানা দিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। এই দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি-সিবিআই একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যান, প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। পুরমন্ত্রী থেকে খাদ্যমন্ত্রী সকলের বাড়িতে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই বৃহস্পতিবার সাত সকালেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিল ডিয়ার লটারির উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেল নগরের প্রিন্টিং অফিসে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তিনটি গাড়িতে করে পৌঁছান মাইকেল নগরে। সকাল আটটা থেকে চলছে মাইকেলনগরের অফিসে তল্লাশি। এদিন দুপুরে এখনও পর্যন্ত তল্লাশি জারি। এই সংস্থার বিরুদ্ধে আগেও একাধিকবার অভিযোগ উঠেছিল। ইডি (ED) ও সিবিআই এর আগেও এই সংস্থায় তল্লাশি চালিয়েছিল উদ্ধার হয়েছিল বেআইনি কোটি কোটি টাকা। সংস্থার কর্ণধারদের দিল্লির সদর দফতরে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আবার ডিয়ার লটারির অফিসে তল্লাশি নিয়ে উঠতে শুরু করেছে বেশ কিছু প্রশ্ন।

    কেন হানা? (ED)

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বুধবার ইডি (ED) আধিকারিকরা শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর সহ পাঁচ জায়গায় হানা দেয়। তালিকায় রাইস মিলও ছিল। মূলত, এই দুর্নীতির টাকা এসব জায়গায় বিনিয়োগ হয়েছে বলে তদন্তকারীদের হাতে তথ্য প্রমাণ এসেছে। সেই তথ্য প্রমাণ কতটা সঠিক তা খতিয়ে দেখতেই তদন্তকারীরা এই হানা দেয়। এবার মধ্যমগ্রামে ডিয়ার লটারির প্রিন্টিং কারখানায় ইডি হানা দেয়। এমনিতেই ডিয়ার লটারির টাকা গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। একজনের কাছে সেই টাকা কিনেছিল বলে জলঘোলাও হয়েছিল। সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিক অনেক তথ্য হাতে পেয়েছে। তবে, কেষ্ট ছাড়াও একাধিক তৃণমূল নেতার অ‍্যাকাউন্টে লটারির টাকা ঢুকেছে। কারও কারও অ‍্যাকাউন্টে বেশ কয়েকবার একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির লটারির প্রথম পুরস্কারের কোটি কোটি টাকা জমা হয়েছে। ইডির সন্দেহ  লটারির সঙ্গে এই কারখানায় ছাপা লটারির যোগসূত্র আছে। তার তদন্ত করতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া পাহারায় ইডি অফিসাররা তল্লাশি চালাচ্ছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘রাজ্যে সব থেকে বড় গুন্ডা হচ্ছে মমতার পুলিশ, তৃণমূলের ক্যাডার হিসেবে কাজ করে,’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘রাজ্যে সব থেকে বড় গুন্ডা হচ্ছে মমতার পুলিশ, তৃণমূলের ক্যাডার হিসেবে কাজ করে,’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে সব থেকে বড় গুন্ডা হচ্ছে পুলিশ। তারা তৃণমূলের ক্যাডার হিসেবে কাজ করে। বুধবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) একথা বলেন। এরপর তিনি হঁশিয়ারি দিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের বলেন, সবকটা অফিসারকে দেখে রাখছি সময় হলে সঠিক জবাব দেব।

    মগরাহাটে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত ৩ অক্টোবর। ওইদিন মগরাহাট থানার মধুসূদনপুর গ্রামের বছর ৭৫-এর এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে সাত বছর বয়সী এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হতেই পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। ৪ তারিখ আদালতে পাঠায়। অভিযুক্তের তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ৮ অক্টোবর স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য হারুন রশিদ সরদারের একটি বাড়িতে থাকা ভাড়াটেদের ১২ টি ঘর ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপরও হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। এক পুলিশ কর্মী আহতও হন। বিধায়কের বাড়ি ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। এক পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। ক্ষোভে ফুঁসছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট। সেই এলাকা পরিদর্শনে যান বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। যে সমস্ত স্থানীয় মানুষজনদের বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে তাদের বাড়ি পরিদর্শনের পাশাপাশি নির্যাতিত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

    মগরাহাটের ঘটনা নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ভাঙচুরের ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল। আর এই ধর্ষণের সঙ্গেও তৃণমূল নেতা জড়িত রয়েছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে সাধারণ মানুষ ও বিজেপি কর্মীদের বাড়ি। অন্যদিকে, এলাকার মানুষজনের অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও মিতুন কুমার দে-এর নেতৃত্বেই পুলিশ প্রশাসন একাধিক বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। এসব শুনে বিরোধী দলনেতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলরাজ চলছে। এখানে ভাইপোর কথায় পুলিশ ওঠা বসা করে। যেভাবে বেছে বেছে মগরাহাটের দলিত পরিবারের ওপরে হামলা চালিয়েছে পুলিশ প্রশাসন তার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। আগামীদিনে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাব আমি।

    রুজিরাকে ইডি তলব প্রসঙ্গে কী বললেন শুভেন্দু?

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির দফতরে তলব নিয়ে তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, একে একে সবকটাকেই ধরবে। এরা সাধারণ মানুষের টাকা খেয়েছে, আদালত এদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: আসানসোলে কয়লা খনিতে ধস! চাপা পড়ে রয়েছেন কয়েকজন, আতঙ্ক

    Asansol: আসানসোলে কয়লা খনিতে ধস! চাপা পড়ে রয়েছেন কয়েকজন, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের (Asansol) রানিগঞ্জে ইসিএলের কুনুস্তরিয়া এলাকার নারায়ণকুড়ি খোলামুখ কয়লাখনিতে কয়লা সংগ্রহ করতে গিয়ে বেশ কয়েক জনের চাপা পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এমনই খবর ছড়িয়ে পড়তে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলাশাসক ঘটনা প্রসঙ্গে ইসিএল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন। কিন্তু, আসলে ঘটনাটি কী এবং ঠিক কত জন এখনও পর্যন্ত চাপা পড়ে আছেন বা আদৌ চাপা পড়েছেন কি না তা নিয়ে সঠিক তথ্য ইসিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। ঘটনার পর রাতেই এলাকাবাসী জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Asansol)

    বুধবার বিকেলে আসানসোলের (Asansol) রানিগঞ্জে ইসিএলের কুনুস্তরিয়া এলাকার নারায়ণকুড়ি খোলামুখ কয়লাখনিতে কয়লা সংগ্রহ করতে যায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। সেখানেই ধস নামে বলে স্থানীয়দের দাবি। আর তাতে চার থেকে পাঁচ জন চাপা পড়ে যান বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বংশগোপাল চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, আরও চার জন নিখোঁজ রয়েছে বলে তাঁর কাছে খবর এসেছে। রানিগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ করছেন, তাঁদের পরিবারের লোকেরা চাপা পড়ে আছেন।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপির আসানসোলের (Asansol) বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ধসে নিখোঁজ হওয়া পরিবারের পাশে যান। তাঁর সামনে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের লোকেদের কান্নাকাটিও করতে দেখা গিয়েছে। বিজেপি বিধায়ক বলেন, পেটের জ্বালায় গ্রামের মানুষজন দু’-চার বস্তা কয়লা বের করে বিক্রি করে সংসার চালান, রাজ্য সরকার তো কাজের ব্যবস্থা করেনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা এই কাজ করে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। প্রশাসন দেখি কী ব্যবস্থা নেয় দেখার পর আরও বড় আন্দোলন হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share