Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Santiniketan: ‘মুখ্যমন্ত্রী কান দিয়ে দেখেন’, চিঠি দিয়ে কেন এই অভিযোগ করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য?

    Santiniketan: ‘মুখ্যমন্ত্রী কান দিয়ে দেখেন’, চিঠি দিয়ে কেন এই অভিযোগ করলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে (Santiniketan) ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পাওয়ার পরই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পর সেই সংক্রান্ত একটি শ্বেত পাথরের ফলক বসিয়েছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর পূর্ত দফতরের কাছে থেকে উপাসনা গৃহের সামনের রাস্তা বিশ্বভারতীকে দেওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এরপর গত ৩০ সেপ্টেম্বর আরও একবার চিঠি লেখেন। শুধু তাই নয় তিনি রাস্তায় নেমে রাস্তা দিয়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য সকলের কাছে আবেদন পর্যন্ত রাখেন। উপাচার্য পর পর দুবার চিঠি দিলেও মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এবার রাস্তা ফেরত চেয়ে তৃতীয়বার চিঠি লিখলেন উপাচার্য। সেখানে রাস্তা ফেরত চাওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণও করেছেন তিনি।

    চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে কী লিখেছেন উপাচার্য? (Santiniketan)

    চিঠিতে শান্তিনিকেতনের (Santiniketan) রাস্তা ফেরতের আবেদন জানাতে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে  চিঠিতে লেখা হয়েছে,’নিজের চোখ দিয়ে বাস্তব না দেখে, ‘আপনি (মুখ্যমন্ত্রী) এখনও কান দিয়ে দেখেন।’ সেই সঙ্গে ফলক সরিয়ে নেওয়ার কথাও চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, রাজ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে দুর্নীতির অভিযোগ এবং তৃণমূলের নেতা- মন্ত্রীদের গ্রেফতারি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, ‘আপনার মন্ত্রিসভার দুই মন্ত্রী গ্রেফতার হয়েছেন। আপনার বিশ্বস্ত নেতারা (কেউ বীরভূম থেকে) জেলে রয়েছেন। কেউ তিহাড়েও রয়েছেন।

    উপাচার্যের চিঠি নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিশ্বভারতীর উপাচার্যের এই চিঠি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেছেন, চিঠির ভাষা কী আছে জানি না। বর্তমান উপাচার্য এমন ভাব দেখাচ্ছেন, যেন সবকিছু তাঁর নিজস্ব। আমরা চাই বিশ্বভারতী নিজের ঐতিহ্য নিয়ে চলুক। কিন্তু, তিনি যেভাবে চলছেন তাতে বিশ্বভারতী থেকে রবি ঠাকুরকে মুছতে চাইছেন। এটা নিয়েই আমাদের আপত্তি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদার হাটে বিক্রি হচ্ছে সরকারি ছাপ দেওয়া ত্রিপল, বিক্রি করছেন তৃণমূল নেতার আত্মীয়, শোরগোল

    Malda: মালদার হাটে বিক্রি হচ্ছে সরকারি ছাপ দেওয়া ত্রিপল, বিক্রি করছেন তৃণমূল নেতার আত্মীয়, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি ত্রিপল ব্লক প্রশাসন, পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে অসহায় গৃহহীন মানুষকে দেওয়া হয়। কিন্তু, সেই সরকারি ছাপ দেওয়া ত্রিপল খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এটা বিরোধীদের কোনও অভিযোগ নয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) মানিকচকের ভূতনি হাটে। আর এই ভিডিওই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়েছে এলাকায়। রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    মালদার (Malda) মানিকচকে ভূতনির চম্পানগর হাটের মধ্যে বিক্রি হচ্ছে সরকারি ত্রাণের ত্রিপল। বিক্রি করছে স্বয়ং তৃণমূল পরিচালিত উত্তর চন্ডিপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের পরিবারের এক সদস্য। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, উত্তর চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপপ্রধান নাসির শেখের জামাই রেফাল শেখ ভূতনির উত্তর চন্ডিপুর অঞ্চলের চম্পানগর হাটে সরকারি ত্রিপল ৮০০ টাকা জোড়া দামে সাইকেলে করে বিক্রি করছেন। এমনকী হাটের গ্রাহকরা তাঁর কাছে দামদর করে সেই ত্রিপল কিনেও নিচ্ছেন। শাজাহান শেখ নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমরা হাটে গিয়ে দেখি, রাজ্য সরকারের সিলমোহর দেওয়া সরকারি ত্রাণের ত্রিপল খোলা হাটে বিক্রি করা হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ছাপ দেওয়া রয়েছে। বিক্রেতাকে এই ত্রিপল কোথায় থেকে এল জিজ্ঞেস করতে তিনি বলেন, তাঁর কাছে আরও অনেক ত্রিপল রয়েছে,লাগলে বলবেন। কিন্তু, কোথায় থেকে ত্রিপল এসেছে তা তিনি বলতে চাননি। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, সরকারি ত্রাণের ত্রিপল যেখানে দুঃস্থ ও ভাঙন কবলিতরা পাচ্ছেন না, সেই জায়গায় প্রশাসনের নজর এড়িয়ে খোলা বাজারে কীভাবে বিক্রি হচ্ছে এই ত্রিপল?

    তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান কী বললেন?

    এই ঘটনা সম্পর্কে উত্তর চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নাসির শেখ বলেন, আমি নিজেও হাটের মধ্যে ওই ত্রিপল বিক্রির সেই ভিডিওটি দেখেছি, কিন্তু কোথা থেকে বা কীভাবে আমার ওই আত্মীয়ের কাছে এই ত্রিপল আসলো বা কোথায় সে বিক্রি করছে তা আমার জানা নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে জ্যোতিপ্রিয়-কন্যা, সাংবাদিকদের প্রশ্নে হারালেন মেজাজ

    Jyotipriya Mallick: ইডির তলবে সিজিও কমপ্লেক্সে জ্যোতিপ্রিয়-কন্যা, সাংবাদিকদের প্রশ্নে হারালেন মেজাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার কিছু ফাইল হাতে, ইডি দফতরে ঢুকতে দেখা যায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) মেয়ে প্রিয়দর্শিনী মল্লিককে। সূত্রের খবর, আয়-ব্যয় সংক্রান্ত কিছু হিসাব দিতেই এদিন  ইডি দফতরে হাজিরা দেন প্রিয়দর্শিনী। ১০-১৫ মিনিট তিনি সিজিও কমপ্লেক্সে ছিলেন। বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করতেই মেজাজ হারান জ্যোতিপ্রিয়-কন্যা। হাত দিয়ে সাংবাদিকদের সরিয়ে দিতে দেখা যায় তাঁকে। কোনও উত্তর না দিয়ে সটান গাড়িতে উঠে পড়েন। একটু বিরক্তিও প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে। গাড়িতে উঠেই দরজা বন্ধ করে দেন প্রিয়দর্শিনী।

    রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে জড়িয়েছে জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী ও কন্যার নামও

    প্রসঙ্গত, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) সঙ্গে রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়িয়েছে তাঁর স্ত্রী এবং কন্যারও। মন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদেরও আয়কর রিটার্নের হিসাবপত্র খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা। আশ্চর্যজনকভাবে দেখানো হয়েছে যে টিউশন পড়িয়ে জ্যোতিপ্রিয় কন্যার আয় হয়েছে ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। প্রসঙ্গত, একটি কলেজের সহকারী অধ্যাপনার কাজ করেন প্রিয়দর্শিনী। জানা গিয়েছে, বর্তমানে আশুতোষ কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হলেন প্রিয়দর্শিনী মল্লিক। এছাড়াও রাজ্য সরকার তাঁকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব হিসেবে নিয়োগ করেছিল। 

    একাধিক ভুয়ো সংস্থা খোলেন জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick)

    ইডি সূত্রে খবর, রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান  পাওয়া গিয়েছে জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের। এ সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলোকে ফ্রিজও করেছে তারা। এই সংক্রান্ত কিছু নথি চেয়েই প্রিয়দর্শিনীকে এদিন ডাকা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও বেশ কিছু ভুয়ো সংস্থায় নিজের স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যদের ডিরেক্টর করেছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। শুক্রবার আদালতে ইডির আইনজীবী দাবি করেন যে ২০১৫-২০১৬ সালে নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হলফনামায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তাঁর স্ত্রীর ৪৫ হাজার টাকা ছিল বলে দাবি করেন। পরের বছরই দেখা যায় সেই টাকার অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৬ কোটিতে। ইডির আইনজীবীর আরও দাবি, জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) বাড়িতে এমন সিল ও স্ট্যাম্প পাওয়া গিয়েছে, যে কোম্পানিগুলির নাম পরিবারের সদস্যরাও জানে না! 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Suvendu Adhikari: ‘বালুর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্নীতি হয়েছে’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘বালুর সঙ্গে একাধিকবার ফোনে কথা! মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্নীতি হয়েছে’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির পর ইডির হাতে যাওয়া একাধিক মোবাইল ও মেরুন ডাইরি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ইডির হাতে গ্রেফতার হতেই শান্তিনিকেতনে তাঁর ‘দোতারা’ বাড়ির কথা জানা গিয়েছে। শুধু ওই বাড়ি নয়, এবার নিউ দিঘায় চারটি হোটেলের মালিকানা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। এ বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু  অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘ধীরে ধীরে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে। শুধু অপেক্ষা করতে হবে। সাধারণ মানুষকে অখাদ্য চাল, গম বিলি ও ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে চাষিদের ধান কেনার নাম করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে। শেষ অবস্থা কি হয় দেখতে থাকুন।’ রবিবার নন্দীগ্রামের সোনাচূড়াতে মনকি বাত অনুষ্ঠানে যোগদেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাম্প্রতিক রেশন বন্টন দুর্নীতি নিয়ে সরকারকে তুলোধোনা করলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক।

    মুখ্যমন্ত্রীকে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্য দফতরে দায়িত্বে রয়েছেন। এদিন দুর্নীতি প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্য সরকারের তরফে সাধারণ মানুষের নূন্যতম তিনটি জিনিস প্রয়োজন। খাদ্য, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য। এর মধ্যে খাদ্য ও  শিক্ষামন্ত্রী (প্রাক্তন) ইতিমধ্যে জেলে গিয়েছেন, ‘রাজ্যের মানুষ দেখতে চায়, এবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কবে জেলে যাবেন’। তিনি আরও বলেন, ‘ মোবাইলগুলি ঘেঁটে দেখেও বোঝা যাবে কতবার তিনি (জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক) মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা বলেছেন। তাঁর নির্দেশেই এই দুর্নীতি হয়েছে।’

    প্রসঙ্গত, ২০১৬-১৭ সালের দিকে নিউ দিঘা হোলিডে হোম ও ভিআইপি রোড সংলগ্ন এলাকায় নতুন বহুতল হোটেল গড়ে ওঠে। একটি পুরানো আর তিনটি হোটেলের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। হোটেলগুলি ঝাঁ চকচকে বিলাসবহুল। একটি রুমের ভাড়া ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। বর্তমান সরকারের আমলে দিঘায় ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়ে উঠেছে বহুতল হোটেল। চারটি হোটেল নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের ইডি-র জেরার মুখে কামারহাটির চেয়ারম্যান, কী বললেন?

    ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের ইডি-র জেরার মুখে কামারহাটির চেয়ারম্যান, কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে কড়া হাতে নেমেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। রাজ্যের একাধিক পুরসভায় হানা দিয়ে প্রচুর তথ্য প্রমাণ জোগাড় করেছে ইডি। রাজ্যের অন্য পুরসভার মতো বারাকপুরের কামারহাটি পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এবার সেই ঘটনায় কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে ডেকে পাঠায় ইডি (ED)। তাঁকে প্রায় ১৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

    পুজোর আগে চেয়ারম্যানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি (ED)

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির পান্ডা অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে কামারহাটি পুরসভায় কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী এই পুরসভায় কর্মরত রয়েছেন। এর আগে একাধিকবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা পুরসভায় হানা দেয়।  এর আগে অয়নের সংস্থার হাত ধরে নিয়োগ হওয়া বেশ কয়েকজন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সেই জের কাটতে না কাটতেই দুর্গা পুজোর আগেই কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের বাড়িতে ইডি হানা দেয়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তাঁর বাড়িতে ইডি আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাঁর দুটি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় ইডি (ED)। পাশাপাশি পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু তথ্য প্রমাণ ইডি-র হাতে আসে। এবার সেই সূত্র ধরেই কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানকে ডেকে ইডি আধিকারিকরা দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন।

    ইডি-র জেরার পর কী বললেন কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান?

    কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, আমাকে যখনই ডাকছে তখনই যাচ্ছি। যা প্রশ্ন করছে তার উত্তর দিচ্ছি। তাদের কর্তব্য তারা করছে। আমার কর্তব্য আমি করছি। আগামীদিনেও ডাকলে যাব। যা উত্তর দেওয়ার দেব। তবে, বার বার ইডি-র (ED) তলব এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকে থাকায় পুরসভার কাজে ক্ষতি হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, বার বার ডাকায় সময় বেশি লাগছে। তাতে একটা অসুবিধা হচ্ছে। পুরসভার কাজে ব্যাঘাত হচ্ছে। ব্যক্তিগত কাজেও সমস্যা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ইভটিজারদের হামলায় খুন! নিষ্ক্রিয় পুলিশ, প্রতিবাদে দেহ নিয়ে রাতভর জাতীয় সড়ক অবরোধ

    Nadia: ইভটিজারদের হামলায় খুন! নিষ্ক্রিয় পুলিশ, প্রতিবাদে দেহ নিয়ে রাতভর জাতীয় সড়ক অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর সময় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করেছিলেন বছর চব্বিশের শুভ দাস। আর তারপরই তিনি হামলার শিকার হন। টানা কয়েকদিন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে তিনি হেরে যান। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছিল নদিয়ার (Nadia) হরিণঘাটার বিরহী এলাকায়। শনিবার রাতে হাসপাতাল থেকে দেহ এলাকায় আসতেই পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের মূল সড়ক যোগাযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হরিণঘাটা থানার পুলিশ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Nadia)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ায় (Nadia) হরিণঘাটা থানার বিরহীর বাসিন্দা শুভ দাস পুজোর মধ্যে এক দিন বাড়ির কাছের পুজোমণ্ডপে বসেছিলেন। তিনি দেখতে পান, কয়েক জন মত্ত যুবক এক মহিলাকে উত্যক্ত করছেন। শুভ তাঁদের বাধা দেন। ইভটিজারদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় তাঁর। কিছুক্ষণ পর অবশ্য এলাকা ছেড়ে চলে যায় ইভটিজাররা।  অভিযোগ, পরে শুভ যখন বাইক চালিয়ে অন্যত্র যাচ্ছিলেন, তখন ওই ইভটিডজারা তাঁর পিছনে ধাওয়া করে।  বাইকে লাথি মেরে তাঁকে রাস্তায় ফেলে দেন। স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় শুভকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করানো হয় কলকাতার হাসপাতালে। তারপর থেকে কলকাতায় চিকিৎসাধীন ছিলেন শুভ। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। গত শুক্রবার শুভর মৃত্যু হয়। এরপরেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। শনিবার দেহ এলাকায় ফিরলে তা নিয়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চলতে থাকে বিক্ষোভ। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারীরা বলেন, পুজোর মধ্যে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করতে এলাকার ছেলে খুন হল। পুলিশে জানানোর পরও কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার যদি এই অবস্থা হয় তা হলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? আগামীদিনে রাস্তা অন্যায় হলেও কেউ প্রতিবাদ করতে এগিয়ে আসবে না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Contai: এ কী কাণ্ড! খোদ কারামন্ত্রীর খাসতালুকের জেল থেকে পালাল ধর্ষণে অভিযুক্ত এক বন্দি

    Contai: এ কী কাণ্ড! খোদ কারামন্ত্রীর খাসতালুকের জেল থেকে পালাল ধর্ষণে অভিযুক্ত এক বন্দি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারাগারের ভেতর পর্যন্ত ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা রয়েছে। রয়েছে দোতলা ঘরের সমান উঁচু পাঁচিল। এরপরও লক্ষ্মীপুজোর আবহে পুলিশের চোখে ধূলো দিয়ে জেল থেকে পালাল এক বিচারাধীন বন্দি। তার বিরুদ্ধে সাত বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের কারামন্ত্রীর বাড়ির কাছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি (Contai) মহকুমা উপ সংশোধনাগারে। ওই বন্দি পালানোর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Contai)

    শনিবার দুপুরে হঠাৎ পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি (Contai) মহকুমা উপ সংশোধনাগারে  বেজে ওঠে সাইরেন। জানা যায়, শুভেন্দু ঘটক নামে বছর তেইশের এক বন্দিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দুপুরের খাওয়াদাওয়ার সময় সংশোধনাগারের কর্মীরা শুভেন্দুর গরহাজিরার বিষয়টি খেয়াল করেন। মূল রাস্তা থেকে কারাগারের ভেতর পর্যন্ত ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা রয়েছে। রয়েছে দোতলা ঘরের সমান উঁচু পাঁচিল। এর পরেও পটাশপুর থানা এলাকার বাসিন্দা শুভেন্দু কী করে পালাল, সে নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে চাননি। এর আগে  ২০১৮ সালে অক্টোবরে কাঁথি মহকুমা আদালত থেকে পালিয়ে গিয়েছিল কুখ্যাত দুষ্কৃতী কর্ণ এবং মুন্না। তারও কয়েক বছর আগে কাঁথি মহকুমা উপ সংশোধনাগারের পুরানো ভবন থেকে এক আসামী পালিয়ে যাওয়ার নজির রয়েছে। ওই ঘটনার পর কাঁথি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। তার ভিত্তিতে পলাতক শুভেন্দুর খোঁজে জেলা এবং পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচাৰ্য্য বলেছেন, কাঁথি মহকুমা উপ- সংশোধনাগার থেকে এক বন্দি পালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ এসেছে। তার ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

    কারামন্ত্রীর কী বক্তব্য?

    এই ঘটনার পর ফের সংশোধনাগারের ভেতরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিনের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেয়ে পাঠানো হয়েছে কাঁথি (Contai) সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে। পুরো ঘটনায় প্রাথমিকভাবে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের কারা দফতর। রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। প্রাথমিক ভাবে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: বাকিবুর-জ্যোতিপ্রিয় হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেই টাকা লেনদেনের হদিশ? ফরেন্সিকে যাচ্ছে মোবাইল

    Jyotipriya Mallick: বাকিবুর-জ্যোতিপ্রিয় হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেই টাকা লেনদেনের হদিশ? ফরেন্সিকে যাচ্ছে মোবাইল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাকিবুরের সঙ্গে হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটেই খোঁজ মিলেছে মিডলম্যানের। ফলে বিপদ আরও বাড়ল গ্রেফতার হওয়া বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। ধৃত বাকিবুরের মোবাইল আগেই বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। সেখানেই মিলেছে রেশনের চাল-আটা চুরির তথ্য। এবার বালুর মোবাইলে থাকা তথ্যকে পরীক্ষা করে, হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের খোঁজ করা হবে। চালচুরি কাণ্ডে ধৃত দুই অভিযুক্তের সংলাপকে মিলিয়ে দেখতে করা হবে মোবাইলের ফরেনসিক পরীক্ষা। এজন্য ইডি আদালতের কাছে অনুমতি নিয়েছে বলে জানা গেছে।

    বাকিবুর টাকা দিতেন মিডলম্যানকে

    ইডি সূত্রের খবর, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে এবার আরও বিপাকে ফেলবেন বাকিবুর। ইডির কাছে বাকিবুরের একটি হোয়াটঅ্যাপ চ্যাট হাতে এসেছে, যেখানে খুব স্পষ্ট ভাবে মনে করা হচ্ছে, বালুর সঙ্গে টাকার লেনদেন হয়েছে তাঁর। তবে বাকিবুর নিজে টাকা বালুকে দিতেন না। একজন মিডলম্যানের মাধ্যমে টাকা পৌঁছে যেত প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর কাছে। সূত্রের আরও খবর, বাকিবুরের সংলাপে একাধিকবার এমআইসি (MIC) নামের কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বাকিবুর নিজে জেরায় ইডিকে জানিয়েছেন, এমআইসি বলতে মিনিস্টার ইন চার্জ অর্থাৎ সেই সময়ের খাদ্যমন্ত্রী স্বয়ং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কথা বলেছেন।

    মাসে দু’বার যেত টাকা

    ইডির জেরায় বাকিবুর আরও জানিয়েছেন, খাদ্যমন্ত্রীকে মাসে দু’বার করে টাকা পাঠাতেন তিনি। এই টাকার পরিমাণ ছিল ৮০ লক্ষ। সেই সঙ্গে বাকিবুরের কাছে সময়ে সময়ে ঋণ নিতেন বালু। এককালীন বালুকে আরও একবার ১২ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন বাকিবুর। কিন্তু সবটাই এখন প্রমাণের জন্য ইডিকে তথ্য জোগাড় করতে হবে। তাই বক্তব্য এবং তথ্যকে পাশপাশি মিলিয়ে দেখতে, বালুর মোবাইলের হোয়াটঅ্যাপ চ্যাটের ফরেনসিক পরীক্ষার প্রয়োজন।

    উল্লেখ্য ২০১১ থেকে ২০২২ পর্যন্ত, টানা ১০ বছর রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। তাঁর সময়ে দাঁড়িয়ে বাকিবুরের মতো লোকেরা, চাল-আটা-গম চুরি করে সম্পদের সাম্রাজ্যে নির্মাণ করেছেন। সেই সঙ্গে মন্ত্রীর সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়েছে ২০ গুণ। তবে রাজ্যে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে শাসন ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। ফলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নজর এড়িয়ে, কীভাবে তৃণমূলের নেতামন্ত্রীরা এত সম্পত্তির মালিক হলেন, এই প্রশ্নই বারবার রাজ্যের বিরোধীরা করছেন। তাই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে আরও চাপে তৃণমূল কংগ্রেস।     

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sujit Bose: আগেই ইডিকে তোপ! পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে বালুকে দেখে কি আতঙ্কিত সুজিত?

    Sujit Bose: আগেই ইডিকে তোপ! পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে বালুকে দেখে কি আতঙ্কিত সুজিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে জেলযাত্রা শুরু হয়েছে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডলের পর সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এবার লাইনে কে? এই প্রশ্নই যখন ঘুরপাক খাচ্ছে তখন নিজের গ্রেফতারির আশঙ্কা প্রকাশ করতে শোনা গেল মন্ত্রী সুজিত বসুকে (Sujit Bose)। এতেই শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কি পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার হাজতবাস হতে চলেছে রাজ্যের দমকলমন্ত্রীর?

    মন্ত্রী ঘনিষ্ঠের বাড়িতে তল্লাশি ইডির

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে মন্ত্রীর একদা আপ্ত-সহায়ক বর্তমানে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। ১২ ঘণ্টা ধরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এর পাশাপাশি সুজিত ঘনিষ্ঠ দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের নামও উঠে আসে ইডির আতস কাঁচের তলায়। এতেই জল্পনা বাড়ছে। পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে সুজিত বসুর (Sujit Bose) দরজায় কার্যত পৌঁছে গিয়েছে ইডি। নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার রাস্তা এখন থেকেই খুঁজে বেড়াচ্ছেন সুজিত (Sujit Bose)। শনিবারই এক পথসভায় রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, ‘‘নিতাই আমার আপ্তসহায়ক ছিল। প্রথম বার কাউন্সিলর হয়েছে, এখন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছে। ওর বাড়িতে গিয়ে ১২ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি করেছে, কিছুই পায়নি। তার পর এখন আমার নাম বলার জন্য ওর ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে।’’ সুজিতের এমন বিবৃতির কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে রাজ্য বিজেপি। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য এবিষয়ে বলেন, “রাজনৈতিক বিবৃতি দেওয়ার অধিকার তৃণমূল হারিয়েছে। দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূলের কোনও নেতার আর জনমনে কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। রাজ্য সরকারের প্রাথমিক তিনটি বিষয় থাকে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য। এরা গরিব মানুষের মুখের খাদ্য বিক্রি করে দিয়েছে।”  

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতি

    প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই  উঠে আসে প্রোমোটার অয়ন শীলের নাম। তাঁর ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে পুরসভার চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার অসংখ্য ওএমআর শিট উদ্ধার করে ইডি। গ্রেফতার হন অয়ন। তাঁকে জেরা করে জানা যায়, রাজ্যের ৬০টিরও বেশি পুরসভায় চাকরি বিক্রির কথা। ইডির দাবি, চাকরি বিক্রি করতেন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা-মন্ত্রীরা। পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার ইডির র‌্যাডারে কি সুজিত (Sujit Bose)? আগামী দিনেই জানা যাবে প্রশ্নের উত্তর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Jyotipriya Mallick: পছন্দের ঝাঁ চকচকে হাসপাতালে বালু, মেয়ে খাবার আনলেও তা পরীক্ষা করবে ইডি

    Jyotipriya Mallick: পছন্দের ঝাঁ চকচকে হাসপাতালে বালু, মেয়ে খাবার আনলেও তা পরীক্ষা করবে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালু পছন্দের ঝাঁ চকচকে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলেও, কড়া নিরাপত্তার নিয়মের মধ্যে থাকতে হবে তাঁকে। তাঁর মেয়ে খাবার আনলেও তা পরীক্ষা করবে ইডি। রেশন বণ্টন দুর্নীতি কাণ্ডে, গত শুক্রবার গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। তাঁকে তোলা হয়েছিল ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। কিন্তু আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আদালত তাঁকে ১০ দিনের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। আর এই নির্দেশ শুনেই কাঠগড়ায় বসে পড়েন এবং এরপর বমি করতে শুরু করেন তিনি। দুর্নীতির তদন্তে ভেঙে পড়েননি তো বালু?

    ইডি চেয়েছিল কমান্ড হাসপাতাল (Jyotipriya Mallick)

    আদালতের নির্দেশ শুনে জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) অসুস্থ হয়ে পড়লে, ইডি প্রাথমিক ভাবে কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু তাঁর আইনজীবীদের দাবি মেনে আদালত তাঁকে অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়। সেই সঙ্গে তদন্তকারী অফিসাররা বলেন, অভিযুক্ত নিজের পছন্দের হাসপাতালে যেতে চাইলে, খরচ তাঁকেই বহন করতে হবে। সেই সঙ্গে ইডি আরও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয় যে পছন্দের হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন সময়, হেফাজতের মেয়াদের মধ্যে ধরা হবে না। ফলে তদন্তে কোনও ছাড় পাচ্ছেন না বালু।

    হাইফাই চিকিৎসা অ্যাপোলোতে

    শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় হাসপাতালে ভর্তির পর থেকেই দ্রুত চিকিৎসা শুরু হয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick)। সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যেই তাঁর এমআরআই এবং সিটি স্ক্যান করানো হতে পারে। এছাড়াও, নিউরো, হার্ট, কিডনির সমস্যা রয়েছে কিনা, তা দেখা হচ্ছে। তবে আদলতের নির্দেশ রয়েছে, কিছুটা সুস্থ বোধ করলেই, তাঁকে কমান্ড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হবে। সেই সঙ্গে কমান্ড হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করারও নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।

    কড়া নিরাপত্তায় থাকবেন হাসপাতালে

    তৃণমূলের বনমন্ত্রী বালু, শারীরিক ভাবে সুগারের সমস্যায় রয়েছেন। তাঁর আইনজীবীরা জানিয়েছেন, খাবারের মাধ্যে নানান বিধিনিষেধ রয়েছে। তাই তাঁর মেয়ে, বাড়ি থেকে রান্না করে খাবার নিয়ে যাবেন। তবে যেহেতু জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর এবং রাজ্যের মন্ত্রী, তাই তাঁর নিরাপত্তার কথা ভেবে, সেই খাবার পরীক্ষা করবে ইডি। তবে বাইরের কেউ দেখা করতে পারবেন না। এখন বর্তমানে ১০ জন সিআরপিএফ এবং ২ জন ইডির অফিসার নজরে রেখেছেন তাঁকে। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত তাঁর শারীরিক অবস্থা কেমন থাকছে, তা আদালতকে জানাবে ইডি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share