Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • DA Hike: কেন্দ্রের পর ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক, ডিএ বাড়ল সরকারি কর্মীদের

    DA Hike: কেন্দ্রের পর ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক, ডিএ বাড়ল সরকারি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের পর ওড়িশায় ডিএ (DA Hike) বাড়ল সরকারি কর্মীদের। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের এবং পেনশনভোগীদের ডিএ বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করেছেন। আর এই ঘোষণার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের জলন্ত আন্দোলনে যেন ঘি পড়ল। রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা বহুদিন থেকেই, তাঁদের প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতার জন্য দাবি করে আসছেন। কিন্তু পাচ্ছেন না ডিএ। উল্লেখ্য, এই বছরেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে, হাজরা থেকে হরিশ মুখার্জি রোড হয়ে, মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় হাতে লণ্ঠন জ্বালিয়ে ব্যাপক আন্দোলন করেন সরকারি কর্মচারীরা। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চরম বিক্ষোভ করতে দেখা যায় তাঁদের।

    কেন্দ্র বৃদ্ধি করেছে ডিএ (DA Hike)

    সারা দেশে উৎসবের মরশুমে সরকারি কর্মীদের ডিএ (DA Hike) বৃদ্ধি করে বিশেষ উপহার দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এবারের ঘোষণাতে কেন্দ্র মোট ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। এর ফলে কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের মুখে হাসির জোয়ার। ঠিক কেন্দ্রের ঘোষণার পরে পরেই, ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক সরকার নিজের রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে। ফলে সেই রাজ্যে ডিএ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াল ৪২ শতাংশ থেকে ৪৬ শতাংশে।

    রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ক্ষুব্ধ

    কেন্দ্র এবং ওড়িশা সরকারের ডিএ (DA Hike) বৃদ্ধির ঘোষণায় এই রাজ্যের কর্মীদের আন্দোলন যেন আরও তেলেবেগুনে জ্বলে উঠল। নিজেদের প্রাপ্যের দাবিতে সকলেই ফুঁসে উঠলেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে যদি সিদ্ধান্ত না নেন, তাহলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই কর্মচারীদের প্রাপ্য মহার্ঘ্য ভাতার মামলা, হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে। কর্মীদের অভিযোগ, রাজ্যে খেলা-মেলার জন্য প্রচুর টাকা অপচয় হলেও ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার উদাসীন। তাই ডিএ নিয়ে কর্মচারীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরম হুঁশিয়ারি বলেন, “আগুন নিয়ে খেলবেন না।”

    কর্মচারী পরিষদের বক্তব্য

    এই ডিএ-র (DA Hike) বিষয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, “এটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল। এআইসিপিআই অনুযায়ী কেন্দ্র যখন ডিএ দেয়, তখন সমস্ত রাজ্যের মহার্ঘ ভাতা দেয়। ওড়িশা রাজ্যও অন্যতম। বাকি রাজ্যগুলিও একই ভাবে ভাতা প্রদান করবে। ইন্ডিয়া জোটের অধীন বাকি রাজ্যগুলিও একই ভাবে ডিএ পাবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে কার্যকর হবে না। কারণ তিনি দেবেন না।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ডিএ (DA Hike) প্রসঙ্গে রাজ্যের তৃণমূল মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া বলেন, “কেন্দ্রের কাছে বিপুল পরিমাণে পাওনা টাকা জমে রয়েছে। রাজ্যের টাকা রাজ্য পাচ্ছে না, তাই বকেয়া দিতে সমস্যা হচ্ছে।” অপর দিকে কলকাতা ডিভিশেন বেঞ্চে ডিএ মামলায় জয়ী হয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু এই মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সুপ্রিম কোর্ট এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি, আগামী ৩ নভেম্বর হল এই মামলার পরবর্তী শুনানি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: হাতির হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে অভিনব কৌশল বাঁকুড়ার গ্রামবাসীদের, কী তা জানেন?

    Bankura: হাতির হামলা থেকে প্রাণে বাঁচতে অভিনব কৌশল বাঁকুড়ার গ্রামবাসীদের, কী তা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতির তাণ্ডব রুখতে রাজ্য সরকারের কোনও উদ্যোগ নেই। এমনই অভিযোগ বাঁকুড়়ার (Bankura) সিমলাপালের দুবরাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের। এই অবস্থায় রাতের অন্ধকারে গ্রামে ঢুকে পড়া হাতির উপস্থিতি টের পেতে অভিনব কৌশল নিয়েছেন সিমলাপালের নেকড়াতাপল গ্রামের বাসিন্দারা।

    কী কৌশল নিলেন গ্রামবাসীরা? (Bankura)

    মাস খানেক আগেই পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়ার (Bankura) গ্রামে ঢোকে ৪০টি হাতির দল। একটি বাচ্চা হাতির মৃত্যু হওয়ায় আক্রমণাত্মক ভাবে গ্রামে ঢোকে দলটি। জঙ্গল লাগোয়া এলাকায় আক্রমণ চালিয়ে দুই পুলিশ কর্মীকে আহত করে হাতির দল। তাঁদেরকে বিষ্ণুপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৪০টি হাতির দল একবারে বাঁকুড়া জেলায় ঢুকে পড়ায় চিন্তায় পড়ে যায় বন বিভাগ। বৈঠক করে জেলা প্রশাসন। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে, জঙ্গল লাগোয়া গ্রামবাসীদের পুজোর মধ্যেও হাতি আতঙ্ক রয়েছে। তাই, হাতির হামলার আগে সতর্ক হতে গ্রামের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের হাতে তৈরি ঘণ্টা দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। স্থানীয়ভাবে ওই ঘণ্টা ‘ঠরকা’ নামেই পরিচিত। সেই ঘণ্টা ঝুলিয়ে রেখেছেন গ্রামবাসীরা। ওই ঠরকা বিশালাকার হাতির শরীরে লেগে বেজে উঠবে। ফলে, গ্রামের মানুষ সতর্ক হওয়ার সুযোগ পাবেন। এর ফলে হাতির হানায় বাড়ি বা সম্পত্তি হানির ঘটনা ঘটলেও প্রাণহানির আশঙ্কা অনেকখানি কমানো সম্ভব বলে ওই গ্রামের মানুষ জানিয়েছেন। এমনিতেই খাবারের খোঁজে হাতির দল গ্রামে হানা দেবে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলিতে। পুজোর মধ্যেও হাতির আতঙ্কে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। কারণ, হাতির দল এসে ঘর বাড়ি, চাষের জমি নষ্ট করে দেয়। ক্ষয়ক্ষতি হয় গ্রামবাসীদের। হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ট গ্রামবাসী। তাই, হাতির হাত থেকে বাঁচতে এই অভিনব কৌশল নিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

    গ্রামবাসীরা কী বললেন?

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য, একটি আবাসিক হাতি বাঁকুড়ার (Bankura) এই এলাকায় রয়েছে। তবে, বিগত একমাস তার দেখা নেই। পুজোর দিন গুলোতে হাতির আক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। আমাদের নিরাপত্তার স্বার্থে গ্রাম জুড়ে আমরা ‘ঠরকা’ বেঁধে রেখেছি। হাতির হামলা হয়েছে জানতে পারলে আমরা সকলেই সতর্ক হয়ে যাব। এতে প্রাণে রক্ষা পাওয়া যাবে।

    বন দফতরের এক আধিকারিক কী বললেন?

    বন দফতরের দুবরাজপুর বিট অফিসার বৈদ্যনাথ টুডু বলেন, ইতিমধ্যে হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি নিয়মানুযায়ী ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। নতুন করে আবেদনকারীরাও ক্ষতিপূরণ পাবেন। তবে, পুজোর সময় হাতির আক্রমণ ঠেকাতে গ্রামবাসীরা নিজেদের মতো উদ্যোগ নিতে পারেন। আমরাও দফতরের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে গুন্ডামি করা ক্লাবগুলিকে পুজোয় অনুদান’, কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘নির্বাচনে তৃণমূলের হয়ে গুন্ডামি করা ক্লাবগুলিকে পুজোয় অনুদান’, কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান বাড়িয়ে এবার ৭০ হাজার টাকা করেছেন। আর তা নিয়েই এবার সুর চড়ালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, পুজোয় আর্থিক অনুদানের নামে রাজনীতি চলছে। তিনি (পড়ুন মুখ্যমন্ত্রী) এই ৭০ হাজার টাকা করে সেই ক্লাবগুলিকে দিয়েছেন, যারা নির্বাচনে গুন্ডামি করে তৃণমূলকে জয়ী করেছে। তাদের মদ-মাংস খাওয়ার জন্য এই টাকা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, বিজেপি পরিচালিত ক্লাবগুলি গেলে টাকা দেওয়া হয়নি।

    মুখ্যমন্ত্রী প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারে রাম মন্দিরের আদলে গড়ে ওঠা মণ্ডপ নিয়েও মুখ খোলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, রাম বাংলার সংস্কৃতির অংশ। সেই রাম মন্দিরের আদলে মণ্ডপ শুভ উদ্বোধন করেছেন অমিত শাহ। আর যা দেখে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আরও বেশি করে জ্বলন হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি কটাক্ষ করেই বলেন, যাদের চুলকানি হচ্ছে তার জন্য ওষুধ খাও, যদি না ওষুধ থাকে বিজেপি তাদের ওষুধ দিয়ে দেবে।

    মন্ত্রী সুজিত বসুকে নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশি ফুটবলারকে বাংলার পুজো উদ্বোধনের জন্য নিয়ে এসেছিলেন সুজিত বসু। সেই বিষয়ে কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, কদিন আগেই সুজিত বসু ঠেলাগাড়িতে এগরোল বিক্রি করতো। কীভাবে এত কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেল, একটু সরকারকে বলব তার তদন্ত করার জন্য। এত টাকা তৃণমূলের আসে কোথা থেকে? যেখানে বাংলার মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে দুষছেন, সেখানে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার রোনাল্ডিনহোকে বাংলায় পুজো উদ্বোধনের জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে। অন্যদিকে বাংলার পুজো কমিটিগুলিকে আর্থিক অনুদান নিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, তৃণমূল সরকারের মতো দুর্নীতির এত টাকা বিজেপি সরকারের নেই। তবে, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, প্রত্যেকটি ব্লকের একটি করে পুজোকে কিছু সাহায্য ও হাতে বস্ত্র তুলে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: রাজ্যের সেরা পুজোকে ‘বাঙালিয়ানা পুরস্কার’ দেবেন রাজ্যপাল, জানাল রাজভবন

    Durga Puja 2023: রাজ্যের সেরা পুজোকে ‘বাঙালিয়ানা পুরস্কার’ দেবেন রাজ্যপাল, জানাল রাজভবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2023) সেরা মণ্ডপ, আলোকসজ্জা, প্রতিমা এই সমস্ত কিছুকে সামনে রেখে পুরস্কার প্রদান প্রথা রাজ্যেঅনেক পুরনো। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও তাতে অংশগ্রহণ করে। এবার বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের প্রাক্কালে এরকমই উদ্যোগ নিতে দেখা গেল রাজভবনকেও। সেরা পুজো প্যান্ডেলকে রাজ্যপাল দেবেন ‘বাঙালিয়ানা পুরস্কার’।

    রাজভবনের প্রেস বিবৃতি

    মহাপঞ্চমীর দিন বৃহস্পতিবারই রাজভবন থেকে এক প্রেস বিবৃতি জারি করা হয় এবং তাতে উল্লেখ করা হয়েছে বাঙালিয়ানা পুরস্কারের বিষয়ে। এই প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী, বাছাই করা সেরা পুজো প্যান্ডেলকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। বিজয়া দশমীর (Durga Puja 2023) দিনই দেওয়া হবে এই পুরস্কার। এবার কোনটা সেরা প্যান্ডেল হবে তা নির্ণয় কে করবেন?  রাজভবনে তরফে প্রেস বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে তা বাছবেন সাধারণ মানুষই। সরকারি অর্থ যে খরচ করা হবে না কোনভাবেই, ওই প্রেস বিবৃতিতে তাও স্পষ্ট। রাজভবনের তরফে একটি মেইল আইডিও দেওয়া হয়েছে। এই মেইল আইডি টি হল aamnesaamne.rajbhavankolkata@gmail.com. পুজো প্যান্ডেলগুলি এই মেইল আইডির মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

    কী বলছেন রাজ্যপাল?

    প্রসঙ্গত, এবার পুজোতে প্রতিপদ থেকেই দুর্গাপুজো পরিদর্শনে বেরিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। চলতি সপ্তাহের রবিবারই দুটি মন্ডপে যান তিনি। রবিবার বিকেল নাগাদ রাজভবন থেকে বেরিয়ে  কুমোরটুলিও যেতে দেখা যায় বোসকে। সেখানে মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় সিভি আনন্দ বোসকে। রবিবার রাজ্যপালের হাতে মাটির তৈরি লক্ষ্মী এবং গণেশের মূর্তিও তুলে দেন কুমোরটুলির এক শিল্পী। দুর্গাপুজোয় এবার রাজ্য সরকারের পাশাপাশি রাজভবনও বিশেষ সম্মান প্রদান করেছে। জানা গিয়েছে, এই অনুষ্ঠানের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিশন কলাক্রান্তি’। এই সম্মানের সম্মানিত করা হয় পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীকে। পুজোর (Durga Puja 2023) আবহে রাজ্যের শাসক দলকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি রাজ্যপাল। তাঁর মন্তব্য, ‘‘রাজ্যের দুর্নীতি রক্তবীজের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মা দুর্গা যেমন অসুর নিধন করেছিলেন, তেমনিই এই দুর্নীতিরও অবসান ঘটাতে হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: ‘চেয়ারপার্সন কাজ করতে দিচ্ছেন না’, সরব তৃণমূল কাউন্সিলার, খড়দাতে কোন্দল প্রকাশ্যে

    Khardah: ‘চেয়ারপার্সন কাজ করতে দিচ্ছেন না’, সরব তৃণমূল কাউন্সিলার, খড়দাতে কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খড়দাতে (Khardah) তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়ল। কয়েকদিন আগে কাউন্সিলার মধুরিতা গোস্বামীকে মেরে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন কাউন্সিলারের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে প্রয়াত ও প্রাক্তন বিধায়ক কাজল সিনহার স্ত্রী চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য নন্দিতা সিনহা এবার সরাসরি কাজ করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুললেন পুরসভার চেয়ারপার্সন নীলু সরকারের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তি তৈরি হয়েছে শাসক দলের অন্দরে। তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলে সরগরম খড়দা বিধানসভা এলাকা। খড়দা বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক প্ৰয়াত কাজল সিনহার মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী নন্দিতা সিনহাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খড়দা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মনোনীত করেন। ভোটে জয়ী হওয়ার পরই এবার চেয়ারপার্সনের সঙ্গে তাঁর সংঘাত প্রকাশ্যে চলে আসায় দল চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে।

    তৃণমূল কাউন্সিলারের কী অভিযোগ? (Khardah)

    চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য নন্দিতা সিনহা বলেন, আমি পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার এবং চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল হিসাবে শিক্ষার দায়িত্বে আছি। মানুষের ভোটে আমি জয়ী হয়েছি। কিন্তু আমাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। মিড ডে মিলে কোনও কাজ বেরোলে সেই কাজ যদি আমি কাউকে দিই চেয়ারপার্সন তা মেনে নেন না। কোনও দফতরকেই ডিস্টার্ব করছেন না। কিন্তু, আমার সঙ্গে কেন এমন করছেন সেটা জানি না। চক্রান্ত করেই এটি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আসলে চক্রান্ত করে রাজনীতির কেরিয়ারে আমাকে চেপে দেওয়া হচ্ছে। আমি কাজ করতে পারছি না। আমাকে কাজ করতেও দেওয়া হচ্ছে না।

    চেয়ারপার্সনের কী বক্তব্য?

    এ ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমে কোনও কথা বলতে চাননি খড়দা (Khardah) পুরসভার চেয়ারপার্সন নীলু সরকার। যা বলার দলের অভ্যন্তরে বলবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। বিষয়টি বিধায়ক শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের নজরে এসেছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, খড়দা পুরসভার চেয়ারপার্সন এবং উল্টোদিকে কাউন্সিলরদের একটি গোষ্ঠী আড়াআড়িভাবে বিভক্ত।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, একজন দলের কাউন্সিলার, সরাসরি তারই দলের পুরপ্রধানের দিকে কাজ করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলছেন। কাজ করতে না দিলে এলাকার উন্নয়ন কী করে হবে? সারা পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের এখন একটাই কালচার। একা খাবো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: পুজোর সময় রোল-চাউমিন! রাস্তার ধারে খাওয়ার আগে একবার ভেবে দেখেছেন?

    Durga Puja 2023: পুজোর সময় রোল-চাউমিন! রাস্তার ধারে খাওয়ার আগে একবার ভেবে দেখেছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর চারদিন সারা রাত জেগে ঠাকুর দেখবেন, খিদে পেলে রাস্তার ধারের দোকানই ভরসা। প্রত্যেক পুজো মণ্ডপের আশেপাশেই গজিয়ে উঠেছে ছোট ছোট ফুড স্টল। রাস্তার ধারের ফুটপাথে হাঁটার জায়গা নেই। চেয়ার টেবিল পেতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিক্রি-বাটা। চলছে রসনাতৃপ্তি। কিন্তু সত্যই কি তৃপ্তি? কতটা ভাল এই খাবার, তার খোঁজ নিচ্ছে কে? ষষ্ঠী থেকে দশমী— এই পাঁচ দিন উৎসবের আনন্দে বহু মানুষেরই বাড়িতে রান্নার পাট কার্যত নেই। এই সময়ে অন্তত এক বেলা তো বটেই, অনেকে দুপুরে-রাতে, এমনকী কেউ কেউ প্রাতরাশও বাইরে সারেন। সেই জন্য রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানগুলিতে বিক্রি যেমন কয়েক গুণ বাড়ে, তেমনই শুধু পুজোর জন্য পাড়ায় পাড়ায় বিভিন্ন বড় পুজো মণ্ডপকে ঘিরে বসে যায় খাবারের অস্থায়ী স্টল। সেই জন্য ভেজাল ও খারাপ খাবার বিক্রি করে যারা ব্যবসা করে, তাদের এই সময়ে রমরমা।

    শয়ে শয়ে দোকানে ঘুরে দেখা কি সম্ভব?

    পুজোর মুখে শহরের বিভিন্ন মণ্ডপকে কেন্দ্র করে এ ভাবেই যত্রতত্র গজিয়ে ওঠে অসংখ্য খাবারের স্টল। বিশেষ করে, বড় বড় পুজোর আশপাশে, যেখানে সাধারণত ভিড় হয় বেশি। পুজোর সময় সেই সমস্ত জায়গায় খাবারের গুণগত মান ঠিক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ও তাদের সতর্ক করতে শহরের বিভিন্ন নাম করা হোটেল ও রেস্তোরাঁ ঘুরে দেখছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। পুজো মণ্ডপের আশেপাশে হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা ফুড স্টলগুলিকেও সতর্ক করেছেন তিনি। পুজোর পাঁচ দিন কলকাতা পুরসভার ফুড সেফটি অফিসারেরা পরিদর্শন করবেন শহরের বিভিন্ন হোটেল রেস্তরাঁ এবং ফুড স্টলগুলি। খাবারের গুণগত মান ঠিক না থাকলেই কড়া শাস্তি, সতর্ক করার কথা বলেছেন ডেপুটি মেয়র। তবে, পুরকর্তার এই দাবি কতটা বাস্তবসম্মত, তা নিয়ে সন্দেহ আছে অনেকেরই। শয়ে শয়ে দোকানে ঘুরে দেখা কি সম্ভব? কতজন অফিসার এই কাজ করবেন? তার কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে কি? এক্ষেত্রে কোনও সদুত্তর মেলেনি।

    আরও পড়ুন: কাল মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন, জেনে নিন এর পৌরাণিক তাৎপর্য

    দায় সারছেন পুজো কর্তারাও

    পুজোয় সব চেয়ে বেশি বিক্রি হওয়ার মধ্যে আছে রোল এবং চাউমিন। বিভিন্ন অলিগলিতেও গজিয়ে ওঠে এই দু’টির দোকান। সেখানে এত বেশি পরিমাণে চাউমিন লাগে যে, দোকানিরা কোনও নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের বদলে পাইকারি হারে চাউমিন কেনেন। ফলে, সেই চাউমিন কতটা স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে তৈরি হচ্ছে, প্রশ্ন থাকছে তা নিয়ে। পুজোকর্তারাও স্টলের ভাড়া নিয়ে দায় সেরেছেন। তাঁরা স্বীকার করছেন, তাঁদের পক্ষে স্টলের খাবারের মান যাচাই করা সম্ভব নয়। তাহলে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য? সেটা খাওয়ার আগে আপনাকেই ভাবতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: পার্থ থেকে কেষ্ট, তৃণমূলের ডজন খানেক নেতা-মন্ত্রীর পুজো কাটছে জেলে বসেই

    Durga Puja 2023: পার্থ থেকে কেষ্ট, তৃণমূলের ডজন খানেক নেতা-মন্ত্রীর পুজো কাটছে জেলে বসেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতি থেকে গরু পাচার। রাজ্যের শাসক দলের একাধিক কেষ্ট-বিষ্টু বর্তমানে জেলবন্দি। চলতি বছরের দুর্গাপুজোটাও (Durga Puja 2023) তাঁদের জেলে বসেই কাটতে চলেছে। এই তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, বীরভূমের দাপুটে জেলা সভাপতি, শাসক দলের বিধায়ক থেকে শিক্ষা দফতরের শীর্ষস্থানীয় কর্তারা।

    জেলে এবারও পুজো কাটবে পার্থ ও অর্পিতার

    জেলে বসে আরও একটা পুজো (Durga Puja 2023) কাটবে পার্থর। ২০২২ সালের তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ একুশে জুলাইয়ের ঠিক পরের দিন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে আচমকায় হানা দেয় ইডি। পরে ২৩ তারিখ সকালে গ্রেফতার করা হয় তৎকালীন তৃণমূলের মহাসচিবকে। সেই থেকেই পার্থ রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় পুজো বলে পরিচিত নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন যে পার্থ, তাঁর এবারের দুর্গাপুজোটাও কাটছে জেলে বসেই। পার্থর সঙ্গে একই সময়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁদের জোড়া ফ্ল্যাট থেকে প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডি, যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল রাজ্য জুড়ে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের এটা দ্বিতীয় পুজো, যেটা তিনি জেলে বসেই কাটাবেন।

    শিক্ষা দফতরের অধিকর্তারাও জেলে

    পার্থ-অর্পিতা গ্রেফতার হতেই তদন্তের সূত্রে বেরিয়ে আসে শিক্ষা দফতরের একাধিক অধিকর্তার নাম। গ্রেফতার হন স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহা। ২০২২ সালের ১০ অগাস্ট গ্রেফতার হয়েছিলেন শান্তিপ্রসাদ। গতবারের মতো এবারেও তাঁর পুজো (Durga Puja 2023) কাটছে জেলে বসেই। শান্তিপ্রসাদের সঙ্গে রয়েছেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক সরকাররাও। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গতবারের মতো এবারও তাঁর দুর্গাপুজো কাটছে জেলে।

    অনুব্রত ও তাঁর কন্যার পুজো কাটবে কারাগারে

    ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট নিজের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হন তৃণমূলের দাপুটে নেতা তথা বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ২০২২ সালে তাঁর দুর্গাপুজো কেটেছিল আসানসোলের কারাগারের ভিতরেই। এবারেও তাঁর পুজো কাটছে দিল্লির তিহার জেলে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই গ্রেফতার করা হয় গরুপাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলে কন্যা সুকন্যাকেও। জেলে তাঁর এটা প্রথম দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)।

    জেলে বসে পুজো কাটাবেন শাসক দলের একাধিক নেতা-বিধায়ক

    গত বছর ঠিক পুজোর (Durga Puja 2023) পরেই ১১ অক্টোবর গ্রেফতার হয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। এবারে প্রথম তাঁর দুর্গাপুজো জেলে বসেই কাটছে। প্রসঙ্গত মানিক ভট্টাচার্যের গোটা পরিবারকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর স্ত্রীর জামিন হলেও পুত্র এখনও জেলে রয়েছেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে। এবারে কুন্তলের দুর্গাপুজো কাটছে জেলে বসেই। কুন্তলের নাম প্রকাশ্যে এনেছিলেন বারাসতের তাপস মণ্ডল। একাধিক বেসরকারি বিএড কলেজের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকর্তা তাপস চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন। চলতি বছরের ১১ মার্চ গ্রেফতার করা হয় হুগলির তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবারে তাঁর প্রথম পুজো কাটছে জেলে। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে গ্রেফতার করা হয় মুর্শিদাবাদে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। জেলে জীবনকৃষ্ণের এটাই প্রথম দুর্গাপুজো। চলতি বছরের মে মাসের ৩০ তারিখে গ্রেফতার করা হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র কালীঘাটের কাকুকে। কালীঘাটের কাকুর পুজো এবার কাটছে কয়েদি হিসেবে হাসপাতালে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nanda Kumar: নন্দকুমারে তৃণমূলের পঞ্চায়েত ভেঙে ৬ মাসের মধ্যে নতুন বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিল আদালত

    Nanda Kumar: নন্দকুমারে তৃণমূলের পঞ্চায়েত ভেঙে ৬ মাসের মধ্যে নতুন বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার (Nanda Kumar) ব্লকের শীতলপুর পশ্চিম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। সভা থেকে গ্রেফতার এবং প্রধান নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন সিপিএমের আরেক পঞ্চায়েত সদস্য ফণীভূষণ গুছাইত। হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এ দিন ওই মামলার শুনানি হয়। এরপরে বিচারপতি শীতলপুর পশ্চিম গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান বোর্ড ভেঙে দেওয়া এবং আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে নতুন বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

    সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল? (Nanda Kumar)

    এবার পঞ্চায়েত (Nanda Kumar) নির্বাচনে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের শীতলপুর পশ্চিম পঞ্চায়েতের ২৩টি আসনের মধ্যে ১১টি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল। বিজেপি পাঁচটি, সিপিএম পাঁচটি, এবং বামফ্রন্ট সমর্থিত নির্দল দু’টি আসন পায়। তৃণমূল সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেলেও সেখানে বামেরা বিরোধীদের সমর্থন নিয়ে বোর্ড করতে উদ্যোগী হয়েছিল।  গত ১১ অগাস্ট ছিল পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচনের সভায় তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম এবং নির্দল সদস্যরা উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু, প্রধান নির্বাচনের সভা শুরুর ঠিক আগেই অফিসে আসে নন্দকুমার থানার পুলিশ। তারা পঞ্চায়েত ভোট গ্রহণের কয়েকদিন আগে গোলমালের ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্য শেখ আব্দুল জব্বরকে গ্রেফতার করে। এর জেরে গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসের চত্বরে জমায়েত থাকা সিপিএম সমর্থকদের সঙ্গে সে দিন পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। পুলিশ সিপিএম সমর্থকদের হঠিয়ে জব্বরকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। সিপিএম নেতৃত্ব অভিযোগ করেন, তাঁদের তরফে প্রধান পদ প্রার্থী ছিলেন শেখ আব্দুল জব্বর। তাঁকে অন্যান্য বিরোধী দলের সদস্যরা যাতে সমর্থন করে প্রধান নির্বাচন করতে না পারে, সেই জন্য স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব পরিকল্পনা করে সভা থেকে জব্বরকে পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার করিয়েছে। গোলমালের পরে সিপিএম, বিজেপি এবং নির্দল সদস্যরা প্রধান নির্বাচন সভা বয়কট করে। ফলে তৃণমূল সদস্যরা সভায় প্রধান পদে তাঁদের দলের হাসিনা বিবিকে এবং উপ-প্রধানের পদে তপন বেরাকে নির্বাচিত করে বোর্ড গঠন করেন। শেখ আব্দুল জব্বর আদালতের নির্দেশে জেল হেফাজতে ছিলেন। পরে, তিনি জামিন পান।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    হাইকোর্টের রায়ের বিষয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেন,শেখ আব্দুল জব্বরকে পুরানো মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। জব্বর আমাদের প্রধান পদ প্রার্থী ছিলেন। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক, নন্দকুমারের (Nanda Kumar) বিডিও এই পুলিশ চক্রান্ত করে প্রধান নির্বাচনের সভা থেকে ওঁকে গ্রেফতার করে। আদালতের রায়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত বোর্ড অবৈধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আদালতের রায়ে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এ বিষয়ে তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, আদালতের রায়ের বিষয়টি শুনেছি। আমরা আদালতের নির্দেশ মাথা পেতে নেব। তবে, রাজ্যে সিপিএমের কোনও অস্তিত্ব নেই। বিজেপি কোন্দলে জড়িত। আদালতের নির্দেশ মেনে নতুন বোর্ড গঠনে উদ্যোগ নেবে তৃণমূল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: দুর্গাপুজো নয়, ধনলক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    Durga Puja: দুর্গাপুজো নয়, ধনলক্ষ্মীর আরাধনায় মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র অর্থ কষ্টের পাশাপাশি অন্ন কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে আজ থেকে প্রায় ৮০ বছর আগে গ্রামের বাসিন্দারা ধনলক্ষ্মী পুজোর সূচনা করেন। আশ্বিন মাসের সংক্রান্তি তিথিতে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বোল্লা গ্রাম পঞ্চায়েতের সরণগ্রামে। সেই পুজো এখন গ্রামের সার্বজনীন পুজো হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। প্রতিবার আশ্বিন মাসে সংক্রান্তি তিথিতে পুজোর আয়োজন করা হয়। ফলে, আলাদা করে দুর্গা পুজোর (Durga Puja) প্রচলন গ্রামে সেভাবে নেই। দুর্গাপুজো নয় এই ধনলক্ষ্মী পুজোতেই পাঁচ দিন ধরে মেতে ওঠেন গ্রামের মানুষ।

    ধনলক্ষ্মী পুজোতে আর কোন কোন দেবী থাকেন? (Durga Puja) 

    গ্রামের বাসিন্দারা পুজোর (Durga Puja) কদিন একসঙ্গে মিলিত হন। এছাড়াও থাকে নিত্যদিন পুজো ও ভোগের ব্যবস্থা। প্রতিদিন রাতে লক্ষ্মী মঙ্গল গান অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া থাকে গ্রামীণ বিভিন্ন লোক সংগীতের আসর, ধনলক্ষ্মী পুজো হলেও রাম লক্ষণ সীতার মূর্তি আর মূল মূর্তি দুপাশে লব, কুশ ও হনুমান প্রতিমা পূজিত হয়। গ্রামের মহিলারা নিজের নিজের বাড়ি থেকে পূর্ণ ঘট অর্থাৎ চাল ভর্তি পূর্ণ ঘট নিয়ে আসেন মূল মণ্ডপে। সেখানেই ওই চাল জমা দিয়ে শূন্য ঘট নিয়ে চলে যান নদীতে। যেখান থেকে ঘট ভর্তি করে নিয়ে এসে দেবীর আবাহন শুরু হয়। এটাই রীতি। 

    লক্ষ্মী পুজো শুরু হওয়ার ইতিহাসে রয়েছে চমক

    গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে জানা যায় কৃষিভিত্তিক এই গ্রামে এক সময় অনটন দুর্ভিক্ষ ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। সেখান থেকেই মুক্তি পেতে প্রায় ৮০ বছর আগে এই গ্রামের পূর্বপুরুষেরা দুর্গাপুজোর (Durga Puja) সময় এই লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করেছিলেন। যে রীতি রেওয়াজ মেনে এই পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল, সেই রীতি আজও মেনে চলা হয়। গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, ভগবানের আশীর্বাদে আর তাদের কোন আর্থিক সমস্যা নেই। বরং আগের থেকে গ্রাম উন্নত হয়েছে। জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে গ্রামবাসীদের। ফলে, আস্থা ও বিশ্বাস বেড়েছে ধনলক্ষ্মী পুজোকে কেন্দ্র করে। বেড়েছে জাঁকজমকও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamduni Case: কামদুনি ধর্ষণকাণ্ডে সুপ্রিম নির্দেশ, মুক্তি পাওয়া অভিযুক্তদের মানতে হবে বিধিনিষেধ

    Kamduni Case: কামদুনি ধর্ষণকাণ্ডে সুপ্রিম নির্দেশ, মুক্তি পাওয়া অভিযুক্তদের মানতে হবে বিধিনিষেধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ফাঁসি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়েছিল কামদুনিকাণ্ডের (Kamduni Case) দুই অপরাধী। সুপ্রিম কোর্ট সেই মুক্তির নির্দেশ রদ করে দিল। বৃহস্পতিবার এদেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে কামদুনি ধর্ষণ মামলা থেকে মুক্তি পাওয়া ৪ জনকে বেশ কিছু বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে।

    ২০১৩ সালে কামদুনি ধর্ষণ মামলা

    প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে কামদুনিতে (Kamduni Case) ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ ওঠে এক কলেজ  ছাত্রীকে। এই ঘটনায় নিম্ন আদালতে ৫ জন অপরাধীর মধ্যে দুইজনের ফাঁসির আদেশ হয় এবং বাকি তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ হয়। কামদুনি ধর্ষণ মামলায় দশ বছর কারাবাস হয়ে গিয়েছে এই যুক্তিতে মুক্তি পেয়ে যায় এই ধর্ষণ হত্যাকাণ্ডের তিন অভিযুক্ত। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট চারজনেরই ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করেছে। পূর্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ মূল অভিযুক্ত আনসার আলি ও সইফুল আলির মৃত্যুদণ্ড রদ (Kamduni Case) করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে। বাকি ৪ অভিযুক্ত আমিন, আমিনুর, ইমানুল ও ভোলানাথকে বেকসুর মুক্তি দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছিল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণের অভাবেই এই রায় দিতে বাধ্য হয়েছে তারা।

    সুপ্রিম নির্দেশ 

    কামদুনি ধর্ষণকাণ্ড (Kamduni Case) মামলায় যারা জেলের বাইরে রয়েছে তাদের জন্য নিম্নলিখিত নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

    ১) জেলের বাইরে যারা রয়েছে তাদের প্রতি মাসে সোম এবং শুক্রবার থানায় হাজিরা দিতে হবে।

    ২) জেলের বাইরে থাকা কোনও আসামির যদি পাসপোর্ট থাকে তবে তা জমা দিতে হবে পুলিশের কাছে।

    ৩) প্রত্যেকের মোবাইল নম্বর থানায় জমা দিতে হবে। এর পাশাপাশি মোবাইল তথ্য থানায় জানাতে হবে।

    ৪) অভিযুক্তরা কোনওভাবে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট তথা রাজারহাট থানার নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা ছাড়তে পারবে না।

    ৫) অভিযুক্ত চারজন কোথাও যাওয়ার ৪৮ ঘন্টা আগে পুলিশকে তাদের গতিবিধি জানাবে। কোথায় যাচ্ছে সে সংক্রান্ত তথ্য জানাবে, আবার ফেরার পরেও তথ্য পুলিশকে জানাতে হবে।

    ৬) নিজেদের বাড়ির ঠিকানা, থাকার জায়গা ঠিকানা পুলিশকে জানাতে হবে। যদি নিজেদের থাকার জায়গা বদল হয় সেটাও পুলিশকে জানাতে হবে।

    ৭) কোনওভাবেই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে না।

    ৮) কামদুনির (Kamduni Case) মতো যে কোনও অপরাধ তারা করতে পারবে না বা এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে নিজেকে জড়াবে না।

    প্রসঙ্গত চলতি মাসের ৬ তারিখে কামদুনি ধর্ষণ ও খুনের মামলার কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলা যে তিনজনকে ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত তাদের মধ্যে একজনকে বেকসুর খালাস (Kamduni Case) করে হাইকোর্ট। বাকি দুজনের ফাঁসিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share