Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • IIT Kharagpur: খড়গপুর আইআইটিতে ফের এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু, হোস্টেল থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ!

    IIT Kharagpur: খড়গপুর আইআইটিতে ফের এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু, হোস্টেল থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোস্টেলের ঘরে ফের রহস্য জনক মৃত্যু। উদ্ধার হল ঝুলন্ত ছাত্রের মৃতদেহ। বুধবার ভোরবেলা ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত ছাত্র আইআইটি (IIT Kharagpur) এলবিএস হোস্টেলের ৫১৩ নম্বর রুমে থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। মৃত ছাত্রের নাম কিরণ চন্দ্র। তিনি ইলেকট্রিক ইঞ্জিনারিং বিভাগে চতুর্থ বর্ষে পড়াশুনা করতেন। তাঁর বাড়ি হল, তেলেঙ্গানা রাজ্যের মেড়াক জেলার টুপরান গ্রামে। তাঁকে হোস্টেল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে, মৃত বলে জানিয়েদেন চিকিৎসক। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু? আত্মহত্যা নাকি খুন! তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ একটি মামলা রুজু করেছে। ছাত্রের পরিবারের লোকজনকেও খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

    ছাত্র মৃত্যু বার বার কেন (IIT Kharagpur)?

    উল্লেখ্য খড়গপুর আইআইটিতে (IIT Kharagpur) ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা বার বার ঘটে চলেছে। গতবছর অক্টোবর মাসে হোস্টেল থেকে এক ছাত্রের পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। সেই সময় এই মৃত্যুর ঘটনার মামলা গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। মৃতের পরিবারের দাবি ছিল, ছেলেকে খুন করা হয়েছে। কারণ ছেলের মৃত্যুর ৬-৭ দিন পরে পরিবারকে, কর্তৃপক্ষ খবর দিয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছিল। উল্লেখ্য মৃত ছাত্রের দেহকে হাইকোর্টের নির্দেশে দুইবার ময়নাতদন্ত করতে হয়েছিল। যদিও ঘটনার পর আইআইটিতে অ্যান্টি র‍্যাগিং স্কোয়াড গঠন করেছিল কর্তৃপক্ষ।

    শুধু তাই নয়, এই বছরের জুন মাসেও আবার এমন, আরও এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। এই পড়ুয়ার বাড়ি ছিল কেরল রাজ্যে। একটি সর্ব ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বারবার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠছে। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে, এক প্রথমবর্ষের ছাত্রের মৃত্যু ঘটলে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। রাজ্যে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা বর্তমানে উদ্বেগের কারণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tea Garden: পুজোর মুখে ফের বন্ধ হয়ে গেল একটি চা বাগান, কর্মহীন হয়ে পড়লেন ১২০০ শ্রমিক

    Tea Garden: পুজোর মুখে ফের বন্ধ হয়ে গেল একটি চা বাগান, কর্মহীন হয়ে পড়লেন ১২০০ শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বন্ধ হয়ে গেল একটি চা বাগান (Tea Garden)। পুজোর মুখেই কর্মহীন হয়ে পড়লেন ১২০০ শ্রমিক। ডুয়ার্সের সামসিং চা বাগানটি আর্থিক অনটনের কারণে বন্ধ হয়ে গেল। মঙ্গলবারই বন্ধ হওয়া তিনটি চা বাগান চালু হয়েছিল। পুজোর মুখে কয়েক হাজার শ্রমিকের মুখে হাসি ফুটেছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের বন্ধ হয়ে গেল আরও একটি চা বাগান।

    কেন বন্ধ? (Tea Garden)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগানের (Tea Garden) কাজের জন্য গিয়েছিলেন শ্রমিকরা। গিয়ে দেখেন গেটে তালা। কর্তৃপক্ষ বাগান বন্ধের নোটিস দিয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে, চা বাগান আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দিন-দিন সমস্যা বাড়ছে চা বাগানের। এরপরও বাগান কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের মজুরি সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছেন। কিন্তু, এখন পরিস্থিতি খারাপ। তাই বাগান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন তারা। বাগান বন্ধের নোটিশ পেয়ে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জলপাইগুড়ির ডিএলসি অফিসে যান। সেখানে গিয়ে তাঁদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি জানান। প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগে পুজোর বোনাসের দাবিতে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান চা বাগানের শ্রমিকরা। ২০ শতাংশ বোনাসের দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। এরপর থেকে একের পর এক চা বাগান বন্ধের খবর উঠে আসে। তবে, এক্ষেত্রে আর্থিক অনটনক দায়ী করে বাগান বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে।

    শ্রমিকদের কী বক্তব্য?

    শ্রমিকদের বক্তব্য, পুজোর মুখে এভাবে বাগান (Tea Garden)বন্ধ করা ঠিক হয়নি। আমাদের কোনও কিছু না জানিয়ে আচমকা নোটিস দিয়ে বাগান বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা পরিবার নিয়ে কোথায় যাব? কারণ, চতুর্থদিন থেকে সকলেই পুজোর আনন্দে মেতে ছিল। এরমধ্যে এভাবে শ্রমিকদের পেটে লাথি মেরে বাগান বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হয়নি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে চা বাগান খুলে সকলের কাজ ফিরিয়ে দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: চতুর্থীর দিনেই শিশুদের হাতে ব্যাগ ভর্তি উদ্ধার বোমা! তীব্র আতঙ্কে গ্রামবাসী

    Malda: চতুর্থীর দিনেই শিশুদের হাতে ব্যাগ ভর্তি উদ্ধার বোমা! তীব্র আতঙ্কে গ্রামবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক পুজোর আগে, চতুর্থীর দিনেই মালাদার (Malda) হরিশচন্দ্রপুরের ঝিকোডাঙা গ্রামে, ব্যাগ খুলতেই উদ্ধার হল তাজা বোমা। আর এই বোমাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চাল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় একটি ব্যাগকে খেলার ছলে কয়েকটি শিশু টেনে নিয়ে আসে। এরপর ব্যাগের মধ্যে একটি ছুরি দেখতে পায় তারা। এই ঘটনায় শিশুরা ভয় পেয়ে আশে পাশের লোকজনকে ডাক দেয়। এরপর এলাকার মানুষ ব্যাগ খুলতেই তাজা বোমা দেখাতে পায়। এই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বোমা উদ্ধারের ঘটনা, এই গ্রামে আগে কখনও ঘটেনি, তাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ। সেই সঙ্গে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলছেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। 

    পুলিশের ভূমিকা (Malda)

    এলাকার (Malda) মানুষ ব্যাগে তাজা বোমা উদ্ধারের কথা জানিয়ে পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে অনেকটাই দেরি করে। এদিকে তাজা বোমা নিয়ে এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে পড়লে, দ্রুত স্থানীয় ভিলেজ পুলিশ রাস্তার মধ্যে বোমা রেখে, জল ঢেলে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করে। কিন্তু গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়া কীভাবে বোমা নিষ্ক্রয় করলেন ভিলেজ পুলিশ! জানা গেছে ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে জনবসতি। এতে বোমা বিস্ফোরণে বড়সড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল।   

    রাজ্যে বোমা বিস্ফোরণে নিষ্ক্রিয় ছিল প্রশাসন

    পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলেও বোমা-বাজির বিস্ফোরণ এখনও রাজ্যে থামছে না। প্রশাসনের বিরুদ্ধে শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের রীতিমতো প্রশ্রয় দেয় বলে বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করে সরব হয়েছেন। আগেও মালদার (Malda) কালিয়াচক, হবিপুর, চাঁচল, গোলাঘর, বৈষ্ণবনগর, রতুয়া, অঞ্চলে একাধিকবার বোমা বিস্ফোরণ এবং উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছিল।

    গত জুনমাসে মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। এছাড়াও দত্তপুকুরের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের। আবার কয়েকদিন আগেই বারাসতের দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণে তিনটি শিশু আহত হয়েছিল। তাঁদেরকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করতে হয়েছিল। উল্লেখ্য, তারা সুতলি বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যেই এগরা, পিংলা, সবং, ভাঙড়, ঘুটিয়ারীশরীফ, দুবরাজপুর, বজবজ, সামশেরগঞ্জ, কালিয়াচক, শীতলকুচি ইত্যাদি এলাকায় ব্যাপক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। সব ক্ষেত্রেই বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা অভিযুক্ত বলে, বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বারবার অবৈধ বোমা এবং বাজি কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বললেও সেই কথা, কথামাত্রই সার। পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কথাই বারবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jhargram: সন্তানকে হারিয়ে উন্মাদ মা হাতি, কেড়ে নিল দুটি প্রাণ, চতুর্থীর দিন বিষাদের সুর ঝাড়গ্রামে

    Jhargram: সন্তানকে হারিয়ে উন্মাদ মা হাতি, কেড়ে নিল দুটি প্রাণ, চতুর্থীর দিন বিষাদের সুর ঝাড়গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চতুর্থীর দিনই বিষাদের সুর জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলা। এক হস্তি শাবকের মৃত্যুর পর হাতির হানায় মৃত্যু হল দুজনের। হাতির দল সুবর্ণরেখা নদী পার হওয়ার সময় বালিখাদানের গর্তে পড়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক হস্তি শাবকের। শাবক হারা মা হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল দু’জন গ্রামবাসীরও। ঘটনাটি বুধবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম থানার দেউলবাড় এলাকায় রামেশ্বর মন্দির সংলগ্ন এলাকার ঘটনা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jhargram)

    স্থানীয় ও বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর রাতে ২ টি শাবক সহ ১৪ টা হাতির একটি দল খড়গপুর বন বিভাগের সাঁকরাইল রেঞ্জের রোহিনীর দিক থেকে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে নয়াগ্রাম এলাকার চাঁদাবিলা রেঞ্জে ঢোকে। সেই সময় একটি ছোট্ট হস্তি শাবক বালিখাদানের গর্তে পড়ে যায়। প্রচুর জল থাকায় জলে ডুবে মারা যায় হস্তি শাবকটি। দীর্ঘ চেষ্টার পর মা হাতি শাবককে উদ্ধার করে ডাঙ্গায় নিয়ে আসে। ঝাড়গ্রামের (Jhargram) রামেশ্বর মন্দির সংলগ্ন এলাকায় মৃত হস্তি শাবকটিকে কোনওক্রমে নিয়ে যায় মা হাতিটি। অন্যান্য হাতিগুলি সেখান থেকে এগিয়ে গিয়ে তপবনের জঙ্গলের দিকে চলে যায়। কিন্তু, মা হাতি তার সন্তানকে ছেড়ে যেতে চায়নি। সন্তান হারানোর দুঃখে পাগলের মত গর্জন করে বিক্ষিপ্তভাবে ছোটাছুটি করতে থাকে মা হাতিটি। এই অবস্থায় হাতি মৃত্যুর খবর চাউর হতেই বহু মানুষ হাতি দেখার জন্য জমায়েত করে রামেশ্বর মন্দির সংলগ্ন এলাকায়। সেই সময় হঠাৎ করে মা হাতি গ্রামবাসীদের তাড়া করে। ঘটনায় দু’জন গ্রামবাসী কে ধরে ফেলে এবং শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে। ঘটনাস্থলেই তাদের দু’জনের মৃত্যু হয়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দেউলবাড় গ্রামের আনন্দ জানা (৭৩) এবং বিরিবেড়িয়া গ্রামের শশধর মাহাত (৬০) নামের দুই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও একটি বাইক ভেঙে ফেলেছে হাতিটি এবং রামেশ্বর-কর্টক রুটের একটি বাসকে ধাক্কা দেয় বলেও জানা  গিয়েছে।

    খড়গপুর বন বিভাগের ডিএফও?

    খড়গপুর বন বিভাগের ডিএফও শিবানন্দ রাম বলেন, প্রাথমিকভাবে দেখে যা মনে হচ্ছে নদী পারাপারের সময় জলে ডুবে একটি হস্তি শাবকের মৃত্যু হয়েছে এবং হস্তি শাবকটির মা হাতির হানায় ঝাড়গ্রামে (Jhargram) দু’জন গ্রামবাসীরও মৃত্যু হয়েছে। সরকারি নিয়মনীতি মেনে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: অপহরণ করে কোটি টাকা তোলা দাবি তৃণমূল নেতার, ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ, আতঙ্কে অসহায় ব্যবসায়ী

    Hooghly: অপহরণ করে কোটি টাকা তোলা দাবি তৃণমূল নেতার, ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ, আতঙ্কে অসহায় ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে কোটি টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) মগরা থানার ত্রিবেণী এলাকায়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম দেবরাজ পাল। তিনি বাঁশবেড়িয়া শহর তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি। দেবরাজ জমি-বাড়ি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত। অন্য ব্যবসাও রয়েছে। দেবরাজের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক বেআইনি কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। গ্রেফতারও হয়েছিলেন। এলাকায় তাঁর ভাল রকম দাপট ছিল। মহম্মদ কামালউদ্দিন নামে ওই ব্যবসায়ী পূর্ব বর্ধমানের গোলাপবাগের বাসিন্দা। মাস দু’য়েক আগের এই ঘটনায় তিনি সম্প্রতি মগরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই ব্যবসায়ী পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে কোনও সুরাহা হয়নি। পরে, পুলিশের শীর্ষ কর্তা থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি নালিশ জানিয়েছেন। তাতে কোনও লাভ হয়নি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Hooghly)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির (Hooghly) মগরা থানার অদূরে হাঁসগড়া এলাকায় জিটি রোডের পাশে ৮ বিঘা জমিতে কামালউদ্দিনের পরিচিত এক জনের হিমঘর কোনও কারণে ব্যাঙ্কে বন্ধক ছিল। কামালউদ্দিন সেটি ব্যাঙ্ক থেকে কিনে নেন ভাই আজিবউদ্দিনের নামে। হিমঘরটি কিনতে চেয়ে দেবরাজ কামালউদ্দিনকে ফোন করেছিলেন। কামালউদ্দিন সাড়ে ৭ কোটি টাকা দাম বলেন। এরকিছু দিন পরে, গত ৯ অগাস্ট জনা পঞ্চাশ লোক নিয়ে হিমঘরে আসেন দেবরাজ। তাঁর এবং অন্য এক যুবকের হাতে বন্দুক ছিল। প্রাণের ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে তাঁকে ত্রিবেণী কালীতলার কাছে কোনও একটি জায়গায় তুলে নিয়ে গিয়ে এক কোটি টাকা দাবি করে। দরাদরিতে ৫০ লক্ষ টাকা ঠিক হলে কামালউদ্দিনকে ছাড়া হয়। কামালউদ্দিনের দাবি, ওই মাসেই তিনি ১৭ লক্ষ টাকা দেন দেবরাজকে। বাকি ৩৩ লক্ষের জন্য দেবরাজ ফোনে চাপ দিতে থাকেন। ভয়ে মগরায় আসা বন্ধ করে দেন ওই ব্যবসায়ী। শেষে পুলিশ- প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দেবরাজ পালের বক্তব্য, কামালউদ্দিন নামে কাউকে চিনিই না। মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

    ব্যবসায়ীর কী বক্তব্য?

    ব্যবসায়ী বলেন, থানায় অভিযোগ জানানোর পরও পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় চরম আতঙ্কে রয়েছি। ফলে, মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের জানিয়েছি। পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমাদের মতো ব্যবসায়ীরা কাজ করতে পারব না।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, দেবরাজ আগে আমাদের দলে ছিলেন। এখন ওঁর সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই। কেউ দোষ  করলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে, সে যে-ই হোক।

    পুলিশের কী বক্তব্য?

    এ ব্যাপারে হুগলি (Hooghly) জেলার এক পুলিশকর্তার বক্তব্য, ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে তোলাবাজি, মারধর, প্রাণনাশের হুমকির মতো জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।  অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করার কথা কেন বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করার কথা কেন বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি নিয়ে বাকিবুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য মিলবে। দুর্গাপুরে ক্ষুদিরাম মাঠে ইচ্ছা পূরণের প্রথম বছরের দুর্গাপুজো উদ্বোধনে এসে মন্তব্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি বলেন, বাকিবুর বড় প্লেয়ার। আরও অনেক কীর্তি রয়েছে। ওর ভাগ্নে আনিসুর রহমান দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর মেয়ের জন্মদিনে স্করপিও গাড়ি উপহার দেওয়ার তথ্য রয়েছে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী ও হিডকো  চেয়ারম্যানের কাছ থেকেও অনেক তথ্য মিলবে।

    পুজোর আগে পুলিশের নাকা চেকিং নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    রাস্তায় নাকা চেকিং এর নামে তোলাবাজি সব কিছুরই সমালোচনা করেন শুভেন্দুবাবু। তিনি বলেন, নাকা চেকিংয়ের নামে পুলিশ তোলাবাজি শুরু করেছে। তৃণমূল সরকার পুলিশকে টাকা তোলার কোটা বেঁধে দিয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুরের জন্য ২৭ কোটি, বীরভূম এলাকা থেকে ২৫ কোটি টাকা। দুদিনের মধ্যে এই টাকা তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই, পুলিশ নাকার নামে তোলাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। ইসিএল এলাকায় প্যাড চালু করে ফের কয়লা পাচার শুরু হয়েছে।

    মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করার কথা কেন বললেন শুভেন্দু?

    দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুই, সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এইদিনাকার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এদিন বস্ত্র বিতরণ করা হয় ও বিশেষ ভাবে সক্ষমদের ট্রাই সাইকেল দেওয়া হয়। এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রানিগঞ্জ কয়লা খনিতে ৭ জন এবং জামুরিয়ায় আরও একজম মারা গিয়েছে। অথচ সেই তথ্য চেপে দেওয়া হচ্ছে। আমি খুব শীঘ্রই রানিগঞ্জে আসব। নিহত শ্রমিকদের বাড়িতে যাব। তাঁদের সঙ্গে কথা বলব। কম্বল বিতরণ কাণ্ডে ত্রুটির জন্য জীতেন্দ্র তেওয়ারির জেল হয়েছিল। তার স্ত্রীকে ঘরছাড়া হতে হয়েছিল। তাহলে বেআইনি খনিতে  এই শ্রমিকদের মৃত্যুর জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দায়ী। সেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর হওয়া উচিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Midday Meal: সঙ্কটে ‘মিড ডে মিল’, একাধিক স্কুলের বরাদ্দ চাল উধাও! ডিলার-প্রশাসকের কি যোগসাজশ?

    Midday Meal: সঙ্কটে ‘মিড ডে মিল’, একাধিক স্কুলের বরাদ্দ চাল উধাও! ডিলার-প্রশাসকের কি যোগসাজশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় মিড ডে মিলের (Midday Meal) চাল নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠছে, স্কুলের ছাত্রদের খাওয়ার জন্য বরাদ্দ চাল উধাও হয়ে যাচ্ছে প্রশাসক এবং ডিলারদের যোগসাজশে। তাই কাগজে কলমে চালের হিসাব থাকলেও বাস্তবে চালের অভাব। এক স্কুল, অন্য স্কুলের কাছে হাত পাততে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। তিনি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করার কথা জানিয়েছেন।

    উল্লেখ্য রাজ্যে রেশনে দুর্নীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা উত্তর থেকে দক্ষিণে সর্বত্র তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে। বর্তমান শাসক দলের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতেও তল্লাশি হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের খাদ্য দফতরের এক তৃণমূল নেতা বাকিবুর রহমান গ্রেফতার হয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি রেশনের চাল, আটা বিক্রি করে, অল্প সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। একাধিক জায়গায় সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। খাদ্য দফতরে থাকার সময় সরকারি বেতনে এতও সম্পত্তির মালিক কীভাবে হলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তৃণমূল, রেশন দুর্নীতির জালে একেবারে বেকায়দায়।

    স্কুলের শিক্ষকদের অভিযোগ (Midday Meal)

    জামালপুর ব্লকে প্রাইমারি, শিশু শিক্ষা কেন্দ্র এবং মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র মিলিয়ে স্কুলের সংখ্যা প্রায় আড়াইশোর বেশি। মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৩০ হাজার। এই স্কুলের জন্য জেলায় তিনমাস অন্তর দুই হাজার কুইন্টালের বেশি চাল বিডিও অফিসারের কাছে আসে। এরপর বিডিও সেই চাল, রেশন ডিলার রুমা চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পাঠান বলে জানা যায়।

    ব্লকের স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষাদের অভিযোগ হল, “সব ঠিক ছিল কিন্তু গত পাঁচ-ছয় মাস ধরে চাহিদা অনুসারে ঠিক ভাবে চাল পাচ্ছিনা। ফলে প্রভাব পড়ছে মিড ডে মিলে (Midday Meal)। পরিস্থিতি এমনটাই দাঁড়িয়েছে যে অন্য স্কুল থেকে ধার নিয়ে খাবার দিতে হচ্ছে। কার্যত স্কুলে চাল সরবরাহের পুরো ব্যবস্থার মধ্যে দারুণ প্রভাব পড়েছে। এরপর স্কুলগুলির তরফ থেকে বিডিওকে অভিযোগ জানানো হয়। ইতিমধ্যে জ্যোৎশ্রীরাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি বিদ্যালয়ের তরফ থেকে, চাল না পাওয়ার কথা জানিয়ে, জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে।

    বিডিও-র বক্তব্য

    জামালপুরের বিডিও শুভঙ্কর মজুমদার ডিলারের দিকে আঙুল তুলে বলেন, “কথা ঠিক, সময় মতো ঠিক পরিমাণে চাল স্কুলে যাচ্ছে না। প্রভাব পড়ছে মিড ডে মিলে (Midday Meal)। এই বিষয়ে বেশ কিছু স্কুল আমাকে অভিযোগ জানিয়েছেন। জেলার খাদ্য দফতর থেকে ডিলার রুমা চট্টোপাধ্যায় চাল তুলেছেন। সেই চাল স্কুলে ঠিক ভাবে পৌঁছানোর দায়িত্ব একমাত্র তাঁর। সেটা না হওয়ায়, তার দায়িত্ব ডিলারকেই নিতে হবে।”

    ডিলারেরে বক্তব্য

    অপরে ব্লকের ডিলার রুমা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গাড়ির সমস্যার জন্য সব চাল (Midday Meal) পাঠানো সম্ভবপর হয়নি। পুজোর পর সব চাল স্কুলে পাঠানো হবে।” তিনি আরও বলেন, “গুদামে কয়েকশ কুইন্টাল চাল নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির সহ সভাপতি জিতেন ডকাল প্রশাসন এবং ডিলারদের আক্রমণ করে বলেন, “মিড ডে মিল (Midday Meal) নিয়ে রাজ্য জুড়ে চাল চুরি চলছে। শাসক দলের নেতাদের খুশি করতে ডিলাররা দুর্নীতি করেছেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন এই দুর্নীতির সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন। আমরা ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত চাই।”    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: দাদাগিরি তৃণমূল পুরপিতার, অমান্য আদালতের নির্দেশ! জমি উদ্ধারে ব্যর্থ পুলিশ

    North 24 Parganas: দাদাগিরি তৃণমূল পুরপিতার, অমান্য আদালতের নির্দেশ! জমি উদ্ধারে ব্যর্থ পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবিলম্বে জমির মালিককে তাঁর জমি ফিরিয়ে দিতে হবে এমনই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আর তা পালন করতে গিয়ে তৃণমূলের পুরপিতার বাধার মুখে পড়তে হল পুলিশকে। এমনই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার (North 24 Parganas) সদর শহর বারাসতে। তৃণমূলের পুরপিতা সমীর কুণ্ডুর বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ তুলেছেন জমির মালিক। আর তাই জমির মালিককে জমি ফিরিয়ে না দিয়েই ফিরতে হল পুলিশকে। তবে পুরপিতার পালটা জবাব, তিনি কোনও অন্যায় কাজ করেননি।

    জমি দখল করে নিয়েছিল কারা (North 24 Parganas)?

    বারাসত (North 24 Parganas) পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে বারাসত মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন যশোর রোডের ধারে জমি দীর্ঘদিন দখল করে নেয় কয়েকজন দোকানদার। এই জমি আজমিরা খাতুনের পৈতৃক জমি। জমি ফিরে পেতে, তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন। দীর্ঘদিন ধরে আইনি লড়াইয়ের পর আদালত, তাঁর পক্ষে রায় দেন। কিন্তু সেই জমি ফেরত পেতে এসে পুরপিতার বাধার মুখে দাঁড়াতে হলো পুলিশকে। অবশেষে জমি উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয় পুলিশকে।

    জমির মালিকের বক্তব্য

    এই প্রসঙ্গে জমির মালিক আজমিরা খাতুন বলেন, “এসডিইএম আদালত স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রশাসনকে পৈতৃক জমি জবরদখল মুক্ত করতে হবে। আদালতের নির্দেশের এই কপি বারাসত থানা (North 24 Parganas), পুরসভা, এমনকী জেলার পুলিশ সুপারকেও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই অবস্থায় আদালতের এই নির্দেশে জমি জবরদখলমুক্ত করতে যায় বারাসত থানার পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার-সহ প্রশাসনের অন্য আধিকারিকরাও। বুলডোজার দিয়ে জবরদখল মুক্ত করার কাজ শুরু করে প্রশাসন। কিন্তু তৃণমূল নেতারা এসে দাদাগিরি করে সববন্ধ করে দেয়।” তিনি আরও বলেন, “আমার বাবা বেঁচে থাকাকালীন জবরদখলকারীরা ওই জমি হাতিয়ে নিয়েছিল। সেই জমির প্রকৃত মালিক আমরাই। আদালতের রায় আমাদের পক্ষে গিয়েছে। তাও আমরা এদিন পৈতৃক জমি ফিরে পেলাম না। পাশের ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সমীর কুণ্ডু পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন ।

    পুরপিতার বক্তব্য

    খবর পেয়ে তখনই সেখানে দলবল নিয়ে হাজির হন তৃণমূলের পুরপিতা সমীর কুণ্ডু। পুরপিতাকে আদালতের নির্দেশের কপি দেখালেও, তিনি কোনও কথা শোনেন নি। পুরপিতা বলেন, “এইভাবে কাউকে তোলা যাবে না। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশের বিষয়টি কেন পুরসভার চেয়ারম্যান (North 24 Parganas), ভাইস-চেয়ারম্যান, আইএনটিটিইউসি নেতৃত্বকে জানানো হয়নি।”

    বিজেপি নেতার বক্তব্য

    অবশেষে কাজ অসমাপ্ত রেখেই ফিরতে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। আর এতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। যা নিয়ে শাসকদলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বিজেপির নেতারা। এই বিষয়ে এলাকার (North 24 Parganas) বিজেপি নেতা প্রতীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আদালতের নির্দেশ পালন করতে না দেওয়ায়, তৃণমূল কাউন্সিলরকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েতে আদালত অবমাননা কমিশনের! সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েতে আদালত অবমাননা কমিশনের! সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত মামলায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। হাইকোর্টের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজিব সিনহা যাবেন এটা ধরে নিয়েই ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন শুভেন্দু। শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করার ফলে রাজীব সিনহা যদি সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হন সেক্ষেত্রে দুপক্ষের বক্তব্যই শুনতে হবে শীর্ষ আদালতকে।

    পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা থেকেই সংঘাত শুরু শুভেন্দু-রাজীবের

    পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা থেকেই সংঘাত বাঁধে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সঙ্গে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার। পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক হিংসা ছড়ায় রাজ্যজুড়ে। নমিনেশন থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত জেলায় জেলায় অশান্তির ছবি দেখা যায়। এই সময় বারবার রাজীব সিনহার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিজেপি সমেত বিরোধী দলগুলি। রাজীব সিনহাকে তৃণমূলের এজেন্ট বলেও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত এই মামলাতে গত সপ্তাহেই আদালত অবমাননার রুল রাজীব সিনহার বিরুদ্ধে জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। গত ১৩ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এই আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। এর ফলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সেনাকে সশরীরে আদালতে এসে জবাবদিহি করতে হবে। এর পাশাপাশি তাঁকে কারণ দর্শাতে হবে কেন আদালতের নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমান্য করেছিলেন!

    রাজীবের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে বারবার দারস্থ হয়েছে বিরোধী দলগুলি। কখনও নমিনেশন পর্বে বাধা, তো কখনও বাহিনী মোতায়েন নিয়ে মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। এ সমস্ত মামলাগুলির পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানো নির্দেশ দেয়। কত কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করতে হবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী কত দিন থাকবে, এ সংক্রান্ত নির্দেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ, আদালতের এরকম কোনও নির্দেশই কার্যকর করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এর ফলে আদালত অবমাননা করেছে তারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: তৃণমূল প্রধানের সই নকল করে কীভাবে চলছে পঞ্চায়েত অফিস! জানেন কি?

    Birbhum: তৃণমূল প্রধানের সই নকল করে কীভাবে চলছে পঞ্চায়েত অফিস! জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে (Birbhum) তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিসে প্রধান অফিসে আসেন না। প্রধান রূপে কাজ করেন তাঁর ভাশুর। ভাশুরও আবার দাপুটে তৃণমূল নেতা। প্রধানের সই নকল করেই তিনি সরকারি কাজ করে চলেছেন। অফিসে বসে নানান দুর্নীতির কাজ করছেন বলে, তাঁর ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামজিক মাধ্যমে। ফলে প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের দুর্নীতির কথা। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধানের চেয়ারে বসে কীভাবে কাজ করছে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান স্বামীর দাদা? এই প্রশ্ন এখন জেলায় আলোচনার ভরকেন্দ্র। স্থানীয়রা সরাসরি মুখ খুলতে নারাজ হলেও, জানা যায়, এই ঘটনা একদিনের না। এরপর এই নিয়ে সামজিক মাধ্যমে লিখে একটি ভিডিও পোষ্ট করে বিজেপি। এরপর, এই বিষয় নিয়ে বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Birbhum)?

    ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূম (Birbhum) জেলার রাজনগর ব্লকের গাংমুড়ি জয়পুর অঞ্চলের পঞ্চায়েত কার্যালয়ে। এই অঞ্চলের প্রধান হলেন একজন মহিলা, নাম তাপসী মন্ডল সাহা। তিনি বর্তমানে কলকাতায় থাকেন। শপথ গ্রহণের পর মাত্র কয়েকদিন পঞ্চায়েত প্রধান অফিসে আসেন। তারপর থেকে বেপাত্তা। এরপর তাঁর ভাশুর দীলিপ সাহা প্রধানের চেয়ারে বসেন এবং অফিসে প্রধানের সই নকল করে কাজ শুরু করেন। এই খবর জানাজানি হতেই চরম স্বস্তিতে তৃণমূল। ভিডিওতে দেখা যায়, এক ব্যক্তি প্রধান কোথায় জানতে চাইলে, ভাশুর বলেন, “কৈফিয়ত কাউকে দেবো না, এটা ফাজলামি করার জায়গা নয়। অফিস থেকে বেরিয়ে যান।”

    বিজেপির বক্তব্য

    দুবরাজপুরের (Birbhum) বিজেপি বিধায়ক অনুপ কুমার সাহা এই প্রসঙ্গে বলেন, “পঞ্চায়েত দপ্তরের উচিত সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করা। নিয়মবহির্ভূত বেআইনী কাজ করে নিজের স্বার্থকে পরিপূর্ণ করলে আইনানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। তৃণমূল সরকারের রক্তে মিশে রয়েছে দুর্নীতি। চোরেরা যে কোনও জায়গায় বসেই চুরি করতে পারেন। অবিলম্বের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।” 

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপরদিকে এই অভিযোগকে খণ্ডন করে তৃণমূলের জেলা (Birbhum) মুখপাত্র মলয় মুখার্জি বলেন, “ভিডিওতে যাদের দেখা যাচ্ছে তারা গ্রামের লোক না। ওরা বিজেপির কর্মী। বিজেপি এলাকায়, উন্নয়নের জন্য কোনও কাজ করতে পারে না। আর তাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা প্রচার করছে। মানুষ আগামীদিনে যোগ্য জবাব দেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share