Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Nadia: নদিয়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সক্রিয় কর্মী বাইক চুরির পান্ডা! এতদিন পুলিশ কী করছিল?

    Nadia: নদিয়ায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সক্রিয় কর্মী বাইক চুরির পান্ডা! এতদিন পুলিশ কী করছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) তৃণমূল  ছাত্র পরিষদের সক্রিয় কর্মী এখন গাড়ি চুরির পান্ডা। সেই কর্মীকে গ্রেফতার করে একাধিক মোটরবাইক উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম মনিরুল দফাদার। প্রসঙ্গত শান্তিপুরের মনিরুল একনিষ্ঠ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী। শান্তিপুর কলেজে ছাত্র সংসদে তার যাতায়াত ছিল নিয়মিত। কলেজের নেতাদের সঙ্গে ওঠা বসা ছিল তার। সব কিছুর আড়ালে সে মোটরবাইক চুরি  করত বলে অভিযোগ।

    গাড়ি চুরির পান্ডা কীভাবে জানা গেল? (Nadia)

    গত এক সপ্তাহ আগে নদিয়ার (Nadia) বাদকুল্লা সবজি বাজার থেকে একটি বাইক চুরি হয়। একটি দোকানের সিসি ক্যামেরা দেখে থানার পুলিশ মনিরুলকে গ্রেফতার করে। অপর দিকে, মনিরুল মোটর সাইকেল যার কাছে বিক্রি করেছিল, পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার করেছে বাইকও। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে জানতে পারে মনিরুলই হল চক্রের পান্ডা। সে মোটরবাইক চুরি করে বিক্রি করত। শান্তিপুর থেকে আরও দু’টি চোরাই মোটরবাইক উদ্ধার করে পুলিশ। শান্তিপুর, ফুলিয়া, বাদকুল্লা সহ একাধিক বাইক চুরির ঘটনার সঙ্গে সে জড়িত। সে কোথায় কোথায় চুরি করা বাইক বিক্রি করত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। সব চুরি চুরি যাওয়া মোটরবাইক উদ্ধারের চেষ্টা কাছে চালাচ্ছে পুলিশ। মনিরুল তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী হওয়াতে ঘটনায় বিপাকে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পাশাপাশি শান্তিপুর কলেজে যাতে আগামীতে মনিরুল প্রবেশ করতে না পারে সেই আশ্বাসও তারা হয়। দিয়েছেন। শান্তিপুর কলেজ থেকে বেশ কিছু মোবাইল চুরি হয়েছে। এখন সকলের সন্দেহ মনিরুলই সে সব করেছে।

    বিরোধীদের কী বক্তব্য?

    বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূল দলটা কেমন তা আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। এই ধরনের বড় সড় চুরি চক্রের পান্ডা ওই তৃণমূল কর্মী। এরাই দলের সম্পদ। অবিলম্বে পুলিশের ওই তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: চোলাই উদ্ধার করতে গিয়ে এক নাবালককে ব্যাপক মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত আবগারি পুলিশ

    Paschim Medinipur: চোলাই উদ্ধার করতে গিয়ে এক নাবালককে ব্যাপক মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত আবগারি পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোলাই মদের কারবার বন্ধ করতে এসে, এক নাবালককে ব্যাপক মারধের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলায়। আবগারি পুলিশ অবৈধ চোলাই মদের ঠেক উচ্ছেদের সময়, অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রকে অকারণেই মারধর করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর স্থানীয় জনতা পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সামিল হয়। আর এই ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সমগ্র এলাকা।

    রাজ্যজুড়ে পুলিশ প্রশাসন তদন্ত এবং জিজ্ঞাসাবাদের নামে মানুষকে অতিরিক্ত হয়রানি করে। আর এমন ঘটনার কথা আগেও সংবাদ শিরনামে আসে। পুলিশ সিভিল ড্রেসে মানুষকে নানা হুমকি এবং আইনি জটিলতায় মিথ্যা মামাল দেওয়ার অভিযোগেও বারবার শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা সরব হয়েছেন। এবার চোলাই উদ্ধারের নামে এক নাবালককে মারধরের ঘটনায়, পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভের ছবি ধরা পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরে।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Paschim Medinipur)?

    স্থানীয় (Paschim Medinipur) সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে হরিশপুর পোলগড়া এলাকায় চোলাই মদের উদ্ধারে হানা দেয় আবগারি পুলিশ। এখানেই এক নাবালক ছাত্রকে পুলিশের দ্বারা লাঠি দিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটে। মারধরের ফলে নাবালক ব্যাপক ভাবে আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে ওই নাবালক, স্থানীয় এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনার ফলে, এলাকার মানুষ আবগারি পুলিশের বিরুদ্ধে প্রথমে বিক্ষোভ শুরু করে এবং এরপর রাস্তা অবরোধ করলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়লে উত্তপ্ত হয়ে যায় পরিস্থিতি। শেষে পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও পুলিশ এলাকায় নামানো হয়।

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য

    আজ সকাল ১১ টা নাগাদ স্থানীয় জনতা পোলপাড়া (Paschim Medinipur) এলাকায় রাস্তার উপর বাঁশ দিয়ে, চলার পথকে পুরোপুরি অবরুদ্ধ করে দেন। সমস্ত গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়ে, পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে শুরু করেন। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য হল, “পুলিশ এলাকায় চোলাইয়ের তল্লাশি করছেন ঠিক আছে, কিন্তু তাল্লাশির সময় সিভিল ড্রেসে এসে অকারণে মারধর করলে মানুষ তা মেনে নেবো না। একই সঙ্গে যারা এলাকায় এই চোরাকারবারি করছে, তাদেরকে গ্রেফতার করা প্রয়োজন। যদি পুলিশ সিভিল ড্রেসে এসে তল্লাশি করেন, তাহলে আমরা প্রতিবাদ করবই। বিনা কারণে পুলিশ এলাকার মানুষকে মারধর করলে, আমরাও চুপ করে বসে থাকবো না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: এমাসেও দুবাই যাওয়ার কথা ছিল বাকিবুরের! উদ্ধার হওয়া খাতায় কী পেল ইডি?

    ED: এমাসেও দুবাই যাওয়ার কথা ছিল বাকিবুরের! উদ্ধার হওয়া খাতায় কী পেল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে সদ্য ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বাকিবুর রহমান। সোমবার তাকে আদালতে পেশ করে ইডি জানিয়েছে, বারবার দুবাই যেতেন তিনি। কেন তিনি এতবার বিদেশ ভ্রমণ করতেন, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন ইডি আধিকারিকরা। কিছু কথা সূত্রের খবর, চলতি মাসেও দুবাই যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বাকিবুরের। কেন সে দুবাই যেত তা তদন্ত করে দেখছে ইডি-র আধিকারিকরা।

    বাকিবুরের কাছে উদ্ধার হওয়া খাতায় কী রয়েছে? (ED)

    ইডি সূ্ত্রে জানা গিয়েছে, বাকিবুরের কৈখালির ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে ৫০ কোটি টাতার বেশি বিনিয়োগের হদিশ পেয়েছে ইডি। এমনকী প্রচুর সরকারি স্ট্যাম্প পাওয়া গিয়েছে সেখানে। ইডি (ED) নিশ্চিত, সরকারি আধিকারিকদের একাংশের সঙ্গে যোগসাজশ করেই কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন বাকিবুর। তল্লাশি চালিয়ে একটি রেজিস্টার বুক উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। সেখানে রেশনের খাদ্যসামগ্রী সংক্রান্ত নানা হিসাব লেখা রয়েছে। কোন জায়গায় কী কী সামগ্রী পাঠানো হয়েছে, কোন কোন ডিস্ট্রিবিউটর বা ডিলার কতটা রেশনের সামগ্রী পেয়েছেন, এই ধরনের হিসাব রয়েছে খাতাটিতে। খাতায় বেশ কয়েকটি স্বাক্ষরও রয়েছে। ইডির দাবি, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বেঙ্গালুরু, এমনকী বিদেশেও হোটেল খুলেছেন তিনি। বেশ কয়েকটি রাইস মিল, ফ্লাওয়ার মিলের পাশাপাশি রিসর্ট, পানশালাও রয়েছে তাঁর। তবে, যেভাবে বাকিবুরের কৈখালির ফ্ল্যাট থেকে একশোর বেশি রাজ্য সরকারের একাধিক দফতরের স্ট্যাম্প অর্থাৎ সিলমোহর পাওয়া গিয়েছে, তা স্তম্ভিত করেছে ইডি আধিকারিকদের। সরকারি স্ট্যাম্প কীভাবে তাঁর ফ্ল্যাটে এল, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। তাই ইডি নিশ্চিত, সরকারি আধিকারিকদের একাংশ রেশন দুর্নীতিতে সরাসরি যুক্ত। বাকিবুরের বিভিন্ন রাইস মিল, ফ্লাওয়ার মিলের পাশাপাশি কৈখালির ফ্ল্যাটে গত বুধবার সকাল থেকে ম্যারাথন তল্লাশি চালায় ইডি। এরপর শুক্রবার ভোররাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। বাকিবুরের একাধিক ঘনিষ্ঠের বাড়িতেও চলে তল্লাশি অভিযান।

    কী বললেন ইডি-র আইনজীবী?

    ইডির (ED) আইনজীবী বিষয়টি নিয়ে বলেন,‘এঁরা হয়তো মনে করতেন, কেউ তাঁদের ছুঁতে পারবে না।’পুলিশের মামলার পরেও এটা নিজেদের হাতে লিখে রাখত, কোথায় কত কী সরানো হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, বাকিবুরের সঙ্গে আন্তর্জাতিক যোগ থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। এই পরিস্থিতিতে বাকিবুরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে ইডি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: র‍্যাগিংয়ের বলি! আত্মঘাতী মালদার আদিবাসী ছাত্র, চাঞ্চল্য

    Malda: র‍্যাগিংয়ের বলি! আত্মঘাতী মালদার আদিবাসী ছাত্র, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র র‍্যাগিংয়ের বলি হয়েছেন। যে-ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। সেই ঘটনায় বেশ কয়েকজন বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র গ্রেফতার হয়। এবার ফের র‍্যাগিংয়ের জেরে ছাত্রমৃত্যুর অভিযোগ উঠল।  মৃত ছাত্রের নাম উত্তম মারডি (২২)। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন মালদার (Malda) বাসিন্দা ওই আদিবাসী ছাত্র। এমনটাই অভিযোগ মৃতের পরিবারের সদস্যদের। তাঁদের দাবি, র‍্যাগিংয়ের জেরে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ায় বাড়ির বাথরুমে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন পিএইচডি পাঠরত ওই ছাত্র।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    গত ৩ অক্টোবর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস নিয়ে পিএইচডি করতে ভর্তি হন উত্তম। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলেই থাকতেন তিনি। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই নাকি ওই ছাত্রের সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেন সিনিয়র আন্তর্জাতি ছাত্রদের একাংশ, এমনই অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকজন। দু’দিন আগে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে আর পড়তে যাবেন না বলে জানিয়েছিলেন বাড়ির লোকদের। এরপরই মালদার (Malda) গাজোল থানার শিসাডাঙা এলাকায় বাড়ির বাথরুম থেকে ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানাতে চলেছেন মৃত ছাত্রের বাবা কমলা মারডি ও মা মিনতি হাঁসদা।

    মৃতের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য?

    মৃত ছাত্রের জ্যাঠা জোনাস মারডি পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছেন, ভালো নম্বর নিয়ে ভাইপো উত্তম মারডি মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু, তার আগে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে পিএইচডি করার সুযোগ পেয়ে যাওয়ায় সেখানে গিয়ে হস্টেলে থেকে পড়াশোনা শুরু করে। তারপরই বাড়ি ফিরে আর সেখানে পড়তে না যাওয়ার কথা বলেছিল সে। ফলে, চরম আতঙ্কে ছিল তা বোঝা যাচ্ছে। আমরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: অকাল প্রয়াণ পত্নীর, মন্দিরে মূর্তি গড়ে পুজো করছেন কোন্নগরের ডাক্তার বাবু

    Hooghly: অকাল প্রয়াণ পত্নীর, মন্দিরে মূর্তি গড়ে পুজো করছেন কোন্নগরের ডাক্তার বাবু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অকাল প্রয়াণ ঘটেছিল পত্নীর। আর তাই এবার মন্দিরে মূর্তি গড়ে তাঁর স্মৃতি স্মরণ করলেন কোন্নগরের (Hooghly) চিকিৎসক। ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল তাঁদের। কিন্তু হঠাৎ করেই মৃত্যু হয় পত্নী মিলি বিশ্বাসের। আর তাই নিজের পত্নীর মূর্তি তৈরি করে, মন্দিরে বসিয়ে পুজো করেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ভবতোষ বিশ্বাস। এই ঘটনায়, পত্নীর প্রতি, স্বামীর প্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসাবে মনে করছেন এলাকার মানুষ।

    কেন মূর্তি নির্মাণ করে পুজো (Hooghly)?

    হুগলির (Hooghly) কোন্নগরের বাসিন্দা হলেন চিকিৎসক ভবতোষ দত্ত। তিনি এলাকার বেশ জনপ্রিয় হৃদরোগের ডাক্তার। পূর্বে তিনি পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। তিনি নিজের বাসভবন এসি দেব স্ট্রিটের বাড়িতে প্রথম তলায় মন্দির নির্মাণ করেন। সেখানে মন্দিরের মধ্যে বসানো হয়েছে স্ত্রী মিলির মূর্তি। মন্দিরে রয়েছেন দেবী দুর্গা, রাধাকৃষ্ণ, জগন্নাথদেব, মা সারদা। বাড়িতে নিত্যপুজোর অনুষ্ঠান হয়। পুরোহিত দিয়ে যেমন ঠাকুর-দেবতারা পুজো পান, ঠিক তেমনি সেই সঙ্গে তাঁর স্ত্রীও পুজো পেয়ে থাকেন।

    ডাক্তার বাবুর বক্তব্য

    মন্দিরে (Hooghly) নিজের স্ত্রীর মূর্তি নির্মাণ করে পুজো দেওয়ার ঘটনায় ডাক্তার বাবু সাংবাদিকদের বলেন, “দেবী জ্ঞানে মা সারদাকে পুজো করেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ, মমতাজের স্মৃতিতে তাজমহল নির্মাণ করে করেছিলেন শাহজাহান। আমি রামকৃষ্ণদেবের ভক্ত। ঈশ্বরের সঙ্গে আমার তুলনা করতে চাইনা। আবার শাহজাহানের মতো আমার লোকবলও নেই। কিন্তু আমি যা করেছি, তা আমার স্ত্রীর প্রতি স্নেহ-ভালবাসার জায়গা থেকেই। দাম্পত্য জীবনের ২৯ বছর আমাকে মিলি আগলে রেখেছিলেন। এখনও আমি বিশ্বাস করি, মিলি আমার পাশেই রয়েছেন।”

    তিনি আরও জানান, অত্যন্ত পরোপকারী ছিলেন মিলি। সমাজে মহিলাদের অগ্রগতির জন্য সমাজসেবার কাজ করতেন। স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, মন্দির স্থাপন করায় এলাকার মানুষ বেশ আনন্দিত হয়েছেন। এলাকার মহিলাদের মধ্যেও ডাক্তার বাবুর এই পত্নী প্রেম, বেশ নজর কেড়েছে। কেউ কেউ বলছেন অনন্ত প্রেমের উদাহরণ হল এই মূর্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ৪ মাস ধরে নিখোঁজ, অবশেষে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ তৃণমূল যুব নেতার

    Jalpaiguri: ৪ মাস ধরে নিখোঁজ, অবশেষে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ তৃণমূল যুব নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুব তৃণমূল (TMC) নেতার অবশেষে দেখা মিলল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। প্রায় চারমাস পর জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার। যাঁরা আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা হলেন, ডাবগ্রামের ফুলবাড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়কের ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী। বিজেপির অভিযোগ ছিল, আত্মহত্যার ঘটনায় ইন্ধন যুগিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। 

    Jalpaiguri জেলা বিচারক কি বললেন (TMC)?

    সূত্রে জানা গেছে, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা বিচারক অরুণকিরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে, জেলার তৃণমূল (TMC) যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আদলাতে উপস্থিত হন। সৈকত বলেন যে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন আর তাই তিনি বিচারকের কাছে গ্রফতার না করার জন্য বিশেষ রক্ষাকবচ চান। কিন্তু বিচারক স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে এই মামলা শোনার কোনও এক্তিয়ার বিচারকের নেই। জেলার সিজিএম আদালতে এই তৃণমূল নেতাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। কিন্তু বারংবার তৃণমূলের এই যুব সভাপতি আবেদন করলেও, বিচারক তাঁর আবেদনকে নাকচ করে দেন। উল্লেখ্য সিজিএম আদালত তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

    মামলা কী ছিল

    সূত্রে জানা গেছে, এই বছরে এপ্রিল মাসের প্রথম দিনেই জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ার বাসিন্দা অপর্ণা ভট্টাচার্য এবং স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এই দম্পতি আবার ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী। মৃত্যুর ঘটনার পর, জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায়, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে সৈকত চট্টোপাধ্যায় এবং আরও কিছু তৃণমূলের (TMC) দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। উল্লেখ্য অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পর থেকে সৈকতকে খুঁজে না পাওয়ায় গ্রেফতার পরোয়ানা জারি হয়।

    মামলা গড়ায় হাইকোর্টে-সুপ্রিমকোর্টে

    গত বেশ কয়েকমাস এই তৃণমূল (TMC) নেতার খোঁজ না মেলায়, মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। এই যুবনেতা নিজে হাইকোর্টে আগাম জামিন জানিয়ে আবেদন করলে, আদলাত তা বাতিল করে দেন। পুলিশ নানান জায়গায় হানা দিয়েও সৈকতের কোনও খোঁজ খবর পায়নি। অবশেষে তাঁর নামে হুলিয়া জারি হয়। অপর দিকে যুবনেতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চে বিফল হলে, আবার আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টে। কিন্তু সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন। জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) জেলা আদালতে আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিমকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে ধৃত আরও এক  ‘পার্থ’, ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ

    CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে ধৃত আরও এক  ‘পার্থ’, ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করল আরও এক ব্যক্তিকে। জানা গিয়েছে ওএমআর সিট জালিয়াতির অভিযোগে পার্থ সেন নামে এক ব্যক্তিকে এদিন সিবিআই আটক করেছে। দিন কয়েক আগেই অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। এদিনই পার্থ সেনকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    ধৃত পার্থ সেন এস এন বসু রায় এন্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থার আধিকারিক ছিলেন

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI) সূত্রে খবর, ধৃত পার্থ সেন এস এন বসু রায় এন্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থার আধিকারিক ছিলেন। এই সংস্থায় মূলত প্রোগ্রামিং এর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, হাওড়ার বাসিন্দা পার্থ সেনকে এদিনই আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছিল। তখনই তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সিবিআই-এর (CBI) দাবি অনুযায়ী এস এন বসু রায় এন্ড কোম্পানি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও  ওএমআর সিট প্রস্তুত করার দায়িত্বে ছিল। প্রসঙ্গত, এই মামলাতেই গত মাসে সংস্থার অন্যতম দুই আধিকারিক কৌশিক মাজি এবং সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জাল গোটাচ্ছে সিবিআই-ইডি

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ  দুর্নীতি মামলায় তদন্তে ব্যাপক গতি বাড়িয়েছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) ও ইডি। এই মামলাতেই জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সমেত শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তা। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২২ জুলাই এই মামলায় গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা। সেই শুরু তারপর একে একে তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক ও নেতার নাম উঠে আসতে থাকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য যিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন তিনিও জেলে রয়েছেন এই মামলায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: কলকাতায় রামমন্দির! উদ্বোধনে অমিত শাহ, দুপুর ২টোয় বিমানবন্দরে নামবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    Amit Shah: কলকাতায় রামমন্দির! উদ্বোধনে অমিত শাহ, দুপুর ২টোয় বিমানবন্দরে নামবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই কলকাতায় পা রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অমিত শাহের (Amit Shah)  এই সফরকে সুন্দর এবং সুশৃংখলভাবে সম্পন্ন করতে আলোচনাতেও বসে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, কলকাতায় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের এবারের থিম রাম মন্দির। সেই পুজোরই উদ্বোধন করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্রের খবর, বিমানবন্দর থেকেই অমিত শাহের সফরসঙ্গী হবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উপলক্ষে মানুষের ঢল নামতে দেখা গিয়েছে মহালয়া ঠিক পরের দিন থেকেই। রবিবার ব্যাপক ভিড় দেখা যায় প্যান্ডেলে। ২০২৪ সালের জানুযারিতে উদ্বোধন হতে চলেছে রামমন্দির, তার আগেই খাস কলকাতায় দেখা যাবে রামমন্দিরের এক ঝলক। এনিয়ে দর্শনার্থীদের মধ্যে কৌতূহল তুঙ্গে।

    শনিবার থেকেই মণ্ডপ চত্বরে নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

    অমিত শাহের (Amit Shah)  সোমবারে সফরকে ঘিরে, শনিবার থেকেই মণ্ডপ চত্বরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জানা গিয়েছে, অমিত শাহের এই সফর ঘণ্টা দুয়েকের, তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কাছে পেয়ে রাজ্যের দুর্নীতি এবং আইন-শৃঙ্খলা সহ নানা বিষয়ে রিপোর্ট তুলে দিতে চলেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সম্ভাবনা রয়েছে বাংলার বিজেপি নেতাদের সঙ্গে শাহি বৈঠকেরও।

    আরও পড়ুুন: জাল পাসপোর্ট কাণ্ডের সিবিআই তদন্তে এবার হদিশ মিলল আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের

    সোমবার ঠিক দুপুর দুটো নাগাদ অমিত শাহ কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন

    সোমবার ঠিক দুপুর দুটো নাগাদ অমিত শাহের (Amit Shah)  কলকাতা বিমানবন্দরে নামার কথা রয়েছে। এরপর চপারে তিনি ফোর্ট উইলিয়ামের কাছে একটি মাঠে নামবেন। এরপর শাহি কনভয় যাবে মণ্ডপের কাছে। সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ ফের দিল্লি উড়ে যাবেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি আগামী ২০ অক্টোবর জেপি নাড্ডার পুজোর উদ্বোধনে আসার কথা রয়েছে। সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোর অন্যতম আয়োজক বিজেপি নেতা সজল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘ভার্চুয়ালি নয়। সশরীরে এই পুজোর উদ্বোধন করবেন অমিত শাহ।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Passport Scam: জাল পাসপোর্ট কাণ্ডের সিবিআই তদন্তে এবার হদিশ মিলল আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের

    Passport Scam: জাল পাসপোর্ট কাণ্ডের সিবিআই তদন্তে এবার হদিশ মিলল আন্তর্জাতিক নারীপাচার চক্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরিব মহিলাদের পাচার করে পাঠানো হত মধ্যপ্রাচ্যে। জাল পাসপোর্ট (Passport Scam) কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। গতকাল নকশালবাড়ি থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিয়ে রাশি রাশি পাসপোর্ট উদ্ধার করে। ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে বরুণ সিং রাঠোর নামক এক ব্যক্তি। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গেছে। একাধিক রাজ্য থেকে নারীপাচার হতো বলে অনুমান সিবিআইয়ের। 

    আন্তর্জাতিক নারীপাচারের সঙ্গে যোগসূত্র (Passport Scam)

    সূত্রের খবর, টাকার বিনিময়ে ভুয়ো নথির মাধ্যমে পাসপোর্ট (Passport Scam) তৈরি করে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর সূত্র ধরে শিলিগুড়ি, গ্যাংটকের নানান জায়গায় তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপর তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রমাণ মেলে এই চক্রের সঙ্গে নেপাল যোগের কথা। পাসপোর্টের সঙ্গে আন্তর্জাতিক নারী পাচারের যোগসূত্র রয়েছে। মূলত বিভিন্ন এলাকার পিছিয়ে থাকা গরীব মহিলাদের টার্গেট করা হতো।

    গ্রেফতার এক ব্যক্তি

    শনিবার নকশালবাড়ি এলাকা থেকে পাসপোর্ট জালিয়াতি (Passport Scam) কাণ্ডে বরুণ সিং রাঠোর নামক এক ব্যক্তিকে গ্রফতার করা হয়, ইতিমধ্যেই তাকে সিকিমের আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে। এরপর তাকে আপাতত দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে, আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার কাছে অনেক জাল পাসপোর্টে উদ্ধার করা হয়েছে। এই জাল পাসপোর্টগুলি ডেলিভারি দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলমাত্র সে। অভিযুক্ত ব্যক্তি দেশের নানা রাজ্যে থেকে পাসপোর্ট তৈরি করত বলে জানা গেছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, গরিব মহিলাদেরকে কাজের প্রলোভন দেখিয়ে, টাকা নিয়ে জাল পাসপোর্ট দিয়ে, মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়ে দিত সে। ফলে এই জাল পাসপোর্টের সঙ্গে আন্তর্জাতিক নারী পাচারের সম্পর্ক রয়েছে।

    তদন্তে সিবিআই

    সূত্রে জানা গেছে, এই ভুয়ো পাসপোর্ট (Passport Scam) মামলাটি অন্য রাজ্যের মামলা। সম্প্রতি সিবিআই মোট এখনও পর্যন্ত ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। সেই সূত্র ধরেই পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই। একসঙ্গে ৫০ টির বেশী জায়গায় হানা দেয় বলে জানা গেছে। বরুণ সিং নিজে এক সরকারি দফতরে চাকরি করত কিন্তু বেআইনি কাজের জন্য তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই সে এই নকল পাসপোর্টের কারবার শুরু করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: পুজোর আনন্দ কী, তা জানেন না এই গ্রামের বাসিন্দারা! কোথায় সেই গ্রাম জানেন?

    Durga Puja: পুজোর আনন্দ কী, তা জানেন না এই গ্রামের বাসিন্দারা! কোথায় সেই গ্রাম জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মধ্যে জীবন কাটিয়ে, পুজোর (Durga Puja) আনন্দ কী জিনিস, তা ভুলেই গিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম ২ ব্লকের বিধানপল্লি গ্রামের বাসিন্দারা। পুজোর দিনগুলিতে যখন আপামর বাঙালি আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে,পুজোর ক’টা দিন ঘরে বসেই দিন কাটে গ্রামবাসীদের।

    কেন এই অবস্থা এই গ্রামের? (Durga Puja)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গ্রামটিতে বসতি গড়ে উঠেছিল ১৯৪৯ সালে। এককালে ছোট নদীটি পারাপারের জন্য কাঠের সেতু ছিল একটি। কিন্তু, পরে তা ভেঙে যায়। কয়েক বছর আগে নতুন করে একটি কাঠের সাঁকো বানানো হয়েছিল। কিন্তু সেটিও ভেঙে গিয়েছে। এখন চাষের ক্ষেতের পাশ দিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটারের আল পথ ধরে হেঁটে গিয়েই তাঁদের রাস্তায় উঠতে হয়। মূলত যোগাযোগের কারণে কার্যত বিচ্ছিন্ন এই গ্রাম। গ্রামে ঢোকা ও বেরনোর জন্য একটি মূল রাস্তা আছে। কিন্তু, সেখানেও প্রায় দেড় কিলোমিটার জমির আল পথ পেরোতে হয়। এরপর একটা ছোট্ট নদী, যাকে স্থানীয় ভাষায় বলে কাঁদর। সেই ছোট নদী পেরিয়ে, তারপর বড় রাস্তা। নদী পারাপার করার ক্ষেত্রেও অনেক সমস্যা। অল্প কিছু ছোট ছোট ডিঙি আছে। সেগুলিও আবার নিজস্ব মালিকানাধীন। মালিকদের অনুরোধ করলে, নদী পার করে দেয়। যোগাযোগের এই সমস্যার কারণেই গ্রামে দুর্গাপুজো হয়ে ওঠে না। দুর্গা প্রতিমা নিয়ে গ্রামে ঢোকার ব্যবস্থা নেই। তাই গ্রামের ছোট থেকে বড় সকলেই বঞ্চিত পুজোর (Durga Puja) আনন্দ থেকে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুজোর (Durga Puja) আনন্দ এই গ্রামে হয় না। প্রতিমা নিয়ে আসার মতো অবস্থা নেই। ফলে, গ্রামে কোনও পুজো হয় না। এত বছর কেটে গিয়েছে, যোগাযোগ ঠিক করার বিষয়ে কেউ উদ্যোগ নেয়নি। তাঁদের আমাদের গ্রামে আলাদা করে পুজোর আনন্দ নেই।

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কী বললেন?

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বিকাশ বিশ্বাস বলেন, দ্রুত গ্রামে যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি নদীর উপরে যে সাঁকোটি ছিল, সেটিও নতুন করে তৈরি করে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share