Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Murshidabad: দুর্নীতি-স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘেরাও বিজেপির

    Murshidabad: দুর্নীতি-স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘেরাও বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে পঞ্চায়েতে অফিসের মধ্যে দুর্নীতি-স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে ঘেরাও করে, বিক্ষোভ করল বিজেপি জয়ী সদস্যরা। প্রথমে বিজেপির জয়ী সদস্যরা, মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ জানান। এরপর ক্রমেই বচসার জেরে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জেলায় তীব্র শোরগোল পড়েছে এই নিয়ে।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Murshidabad)?

    এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞায় সাহোড়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান, উপ-প্রধানকে কার্যত পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে ঘেরাও করে রাখে বিজেপি। প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় ১০ টি গ্ৰামের জয়ী বিরোধী সদস্যরা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে সামাল দিতে মাঠে নামতে হয়েছে বড়ঞা থানার পুলিশকে।

    বিজেপির অভিযোগ

    বিজেপি জয়ী পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা অমর দেবংশী বলেন, “আমাদের প্রধান অভিযোগ হল, পঞ্চায়েত প্রধান, বিরোধী দলের সদস্যদের মতামতের কোনও গুরুত্ব না দিয়ে নিজের মতো করেই বিলি করছে ত্রিপল এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। সাহোড়া (Murshidabad) গ্ৰাম পঞ্চায়েতে নবনিযুক্ত প্রধান, নিজের মতো করে সরকারি বিভিন্ন সুবিধা প্রাপ্যকারীদের তালিকা তৈরি করছেন। ফলে সেগুলি শুধুমাত্র তৃণমূলেরাই পাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সরকারি সাহায্যে থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কথায় কাজ না হলে, আজ সন্ধ্যায় পঞ্চায়েতের প্রায় ৯ জন বিজেপি সদস্যরা একত্রিত হয়ে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি।

    তৃণমূল প্রধানের বক্তব্য

    এলাকার (Murshidabad) গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান গোষ্ঠ গোপাল ঘোষ বলেন, বিরোধী দলের জয়ী সদস্যদের সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন, আমাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে। উপযুক্ত ব্যক্তিরা যাতে সরকারি সুবিধা পায়, সেই কথা মাথায় রেখেই সমস্ত কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির সদস্যরা তা করতে দিচ্ছেন না।

    পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছায় পুলিশ

    শুক্রবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় এতটাই চাঞ্চল সৃষ্টি হয় যে ঘটনাস্থলে আসতে হয় বড়ঞা থানার (Murshidabad) পুলিশকে। বিজেপির বিক্ষোভের কারণে দীর্ঘক্ষণ কার্যত প্রধানকে পঞ্চায়েত দফতরে নিরাপত্তা দিয়ে রাখে পুলিশ প্রশাসন। কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: পুজোর আগে বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজে নেই গতি! ক্ষোভে ‘মলম’ দিতে রাস্তায় তৃণমূল বিধায়ক

    Hooghly: পুজোর আগে বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজে নেই গতি! ক্ষোভে ‘মলম’ দিতে রাস্তায় তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি বোলপুরে অবরোধে আটকে পড়েছিলেন রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, ছিল বেহাল রাস্তা। তাতে তিতি বিরক্ত হয়ে বিভিন্ন ক্লাবের ছেলেরা বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পথ অবরোধ করেছিলেন। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে আশিসবাবু গাড়ি বসেই প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তা থেকে শুরু করে পূর্ত মন্ত্রীকে ফোন করে সে যাত্রায় বিক্ষোভের হাত থেকে রেহাই পান। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়ায় বেহাল রাস্তা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। পুজোর আগে খানাখন্দে ভরা রাস্তা নিয়ে অনেকে ক্ষোভও জানিয়েছে। আর এসবের জন্য কার্যত মুখ পুড়ছে তৃণমূলের। তাই, তৃণমূল বিধায়ক অসতি মজুমদার লোক দেখানো করে বেহাল রাস্তা দেখতে বের হন। আর বেহাল রাস্তার জন্য পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের কাঠগ়ড়ায় দাঁড় করান তিনি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Hooghly)

    হুগলির (Hooghly) ব্যান্ডেল চার্চ, বালির যোড় ,স্ট্যান্ড রোড, তালডাঙা, তোলাফটক, মিয়ারবের, নেতাজি সুভাষ রোড, টাউন গার্ড রোড, ব্যারাক রোডসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়ে রয়েছে। শুরু হয়েছে সংস্কারের কাজও। রাস্তা সংস্কারের গতি নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে। এক দোকানদার বলেন, রাস্তার কাজের জন্য খোঁড়াখুড়ি চলছে। দোকানের সামনে কয়েকদিন ধরে পাথর ফেলে রেখে। ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।স্থানীয় বাসিন্দারাও ক্ষুব্ধ। পুজোর আগে রাস্তা ঠিক হবে বলে মনে হচ্ছে না। মানুষ যে ক্ষোভে ফুঁসছে আঁচ করেই চুঁচুড়া পুরসভার পূর্ত দফতরের সিআইসি সৌমিত্র ঘোষ, কেএমডিএ ও পূর্ত দফরের আধিকারিকদের নিয়ে শহরে বিভিন্ন বেহাল রাস্তা ঘুরে দেখেন তৃণমূল বিধায়ক। পরিস্থিতি দেখে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেন অসিত। ধীর গতিতে রাস্তা সংস্কারের কাজ দেখে রাগ চেপে রাখেননি তিনি। পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ অফিসারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন অসিত। চতুর্থী থেকে পঞ্চমীর মধ্যে রাস্তার কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পুজোর আগে বেহাল রাস্তা নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ীদের মধে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক লোক দেখানো এসব করে তা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে রাজনৈতিক মহলের মত।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, পুলিশ- প্রশাসন ও পূর্ত দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। তাই, রাস্তা সংস্কারের কাজে কোনও গতি নেই। পুজো পুরোদমে শুরু হয়ে গেলে আর রাস্তার কাজ করা যাবে না। তাই চতুর্থী অথবা পঞ্চমীর আগে রাস্তার কাজ শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে দিন রাত কাজ করতে হবে। আধিকারিকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি তাঁদের এমনটা করার জন্য বলে দিয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: মহালয়ার দিন একদিনের দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    Durga Puja: মহালয়ার দিন একদিনের দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশফুলের মাথা দোলানো, শরতের আকাশ -পুজোর আমেজ আরও বাড়িয়ে দেয়। মহামায়ার আরাধনায় মেতে থাকে আপামর বাঙালি। কিন্তু, দুর্গাপুজোর (Durga Puja) স্থায়ীত্ব যদি একদিন হয়? ভাবলেই মনটা বিষাদে ভরে ওঠে, শুনতে অবাক মনে হলেও এটা সত্যি। এই বংলাতেই হয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল হিরাপুরের ধেনুয়া গ্রামে বোধনের দিনেই বেজে ওঠে নবমীর নিষ্ঠুর সুর। পিতৃপক্ষের অন্তিমক্ষণে একদিনের জন্য বাড়ি আসেন উমা। পুজো নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাড়ি দেন কৈলাসের পথে।

    কীভাবে শুরু হয়েছিল এই পুজো? (Durga Puja)

    পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল হিরাপুর ধেনুয়া গ্রামে কালীকৃষ্ণ যোগাশ্রমে সত্তোরের দশকে আসাম থেকে তেজানন্দ ব্রহ্মচারী নামে এক মহারাজ আসেন। তিনি মহালয়ার দিন স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজোর (Durga Puja) সূচনা করেন। শুরু হয় একদিনের দুর্গাপুজো। মহালয়ার দিনেই পুজো নেন দেবী মহামায়া। কুমারীরূপে পুজো করা হয় দেবীকে। একদিনের পুজো শেষে হয় প্রতিমা নিরঞ্জন। এখানে দেবী অসুরবিনাশিনি রূপে দেখা দেন না। দুই সখা, জয়া-বিজয়াকে সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়ি আসেন পার্বতী। জয়া-বিজয়ার সঙ্গে দেবী দুর্গার মূর্তি সচরাচর দেখা মেলে না এই বাংলায়। তবে এই ধরণের মূর্তির পুজো, বিশেষভাবে প্রচলিত রয়েছে বাংলাদেশে। অনেকের ধারণা, আসামের বাসিন্দা তেজানন্দ ব্রহ্মচারীর সঙ্গে নিবিড় যোগযোগ ছিল বাংলাদেশের। সেই কারণে বাংলার গ্রামে অসুর মর্দিনী রূপে দুর্গা পুজো না করে, কুমারী মহামায়ার মূর্তি আরাধনার জন্য বেছে নিয়েছিলেন তিনি।তেজানন্দ মহারাজের চালু করা নিময় মেনে এখনও ধেনুয়া গ্রামে হচ্ছে একদিনের দুর্গাপুজো। তবে এখন পুজো পরিচালনার সব দায়িত্ব রয়েছে গৌরী কেদারনাথ মন্দির কমিটির হাতে। ২০০৩ সাল থেকে এই পুজো পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে তাঁরা। ধেনুয়া গ্রামে কুমারী মহামায়ার পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। যুগলমন্ত্র জানা কোনও পুরোহিত এই পুজো করেন। এই মন্দিরে পশুবলি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

    পুজোয় মেতে ওঠেন গোটা গ্রামবাসী

    কুমারী দুর্গা পুজোর (Durga Puja) জন্য আগে বিশেষ নিয়ম চালু ছিল ধেনুয়া গ্রামে। আশপাশের বিভিন্ন এলাকার ২১ জন কুমারী মেয়েকে নিয়ে এসে পুজোর আয়োজন করত। তবে, সেই নিয়মে কিছুটা ভাটা পড়েছে এখন। যদিও পূর্বনির্ধারিত সব রীতি রেওয়াজ মেনে হয় ধেনুয়া গ্রামের একদিনের দুর্গাপুজো। স্থানীয় বাসিন্দাদের এই পুজোকে কেন্দ্র করে উৎসাহ থাকে তুঙ্গে। পাশাপাশি, দূরদূরান্ত থেকে এই পুজো দেখতে ছুটে আসেন অনেকে। বাইরের মানুষের কাছে মহালয়ার এই দুর্গাপুজো বোনাস হলেও, স্থানীয়দের কাছে দেবীর দ্রুত গমন কিছুট মনখারাপের সাক্ষী হয়েই থাকে। দেবীর একদিন পরেই কৈলাস প্রস্থানের জন্য, মনঃকষ্টে ভোগেন গ্রামের মানুষ। পুজোর দিনে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন সকলে। তবে, দেবীপক্ষের সূচনার দিনে দেবীর প্রস্থান কাঁদিয়ে যায় ধেনুয়া গ্রামের মানুষকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: পঞ্চায়েত টেন্ডারেও কাটমানি নিলেন তৃণমূল প্রধান! আন্দোলনে বিজেপি

    Malda: পঞ্চায়েত টেন্ডারেও কাটমানি নিলেন তৃণমূল প্রধান! আন্দোলনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদার (Malda) মানিকচকের চৌকি মিরদাদপুর পঞ্চায়েতে টেন্ডারে কারচুপির অভিযোগ তুলে, বৃহস্পতিবার ব্লক ও জেলা প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ করলেন পঞ্চায়েতের বিজেপি দলের নেতারা। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। রাজ্যে পুরসভা হোক বা পঞ্চায়েত, তৃণমূলের প্রশাসনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাটমানি, আর্থিক কারচুপির বিরুদ্ধে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি। ইতিমধ্যে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির মামলায় শাসক দলের অনেক নেতা কর্মীরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছেন। চলছে ধরপাকড় এবং তল্লাশি। কোনও কোনও তৃণমূল নেতা আবার গ্রেফতার হয়ে জেলে বন্দি রয়েছেন। বিজেপির অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের নেতারা টাকা চুরি করছে।

    মূলত অভিযোগ কী (Malda)?

    মূল অভিযোগ হল, প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকার টেন্ডার, বিরোধীদের অন্ধকারে রেখেই পাশ করেছে শাসকদল তৃণমূল। ফলে এর মধ্যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে অনুমান করছে বিজেপি। আর এই দুর্নীতিতে যুক্ত রয়েছেন মানিকচকের চৌকি মিরদাদপুর পঞ্চায়েতের প্রধান মোঃ আনোয়ার আলী এবং আরও বেশ কিছু সহ পঞ্চায়েতের সরকারি কর্মী। এদিন, এই বিষয়ে পঞ্চায়েতের বিরোধী দলকর্মী বিপ্লব সাহা সহ বিরোধী সদস্যরা একত্রিত হয়ে, মানিকচকের বিডিও শ্যামল মন্ডলকে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান।

    বিজেপির বক্তব্য

    মালদহের (Malda) বিজেপি কর্মী বিপ্লব সাহা, এবিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, “তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান কাটমানির জন্য লুকিয়ে টেন্ডারটি পাশ করেছেন। প্রায় ছত্রিশ লক্ষ টাকার এই টেন্ডার সম্পর্কে বিরোধীদলের কোনও নির্বাচিত প্রতিনিধিরা জানেনই না। যে সমস্ত এলাকায় কাজ করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছে, তা কেবল তৃণমূলের জয়ী সদস্যদেরই এলাকাগুলিই। বিজেপির নির্বাচিত এলাকাগুলিকে বঞ্চিত করে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করছেন প্রধান।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তবে বিরোধীদের তোলা এই সমস্ত অভিযোগ একেবারে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান (Malda) মোঃ আনোয়ার আলী। তিনি বলেন, “সমস্ত সরকারি নিয়ম মেনে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকা কাজের মধ্যে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার কাজ রয়েছে বিরোধী সদস্যদের এলাকাতেই। এমনকি অনলাইনে মাধ্যমে সমস্ত টেন্ডার করা হয়েছে, যার ফলে কোনও ধরনের কারচুপি করা সম্ভব নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • ED: রেশন দুর্নীতিতে আটক হওয়া বাকিবুরের মাথায় কার হাত! ইডি-র তল্লাশিতে কী মিলল?

    ED: রেশন দুর্নীতিতে আটক হওয়া বাকিবুরের মাথায় কার হাত! ইডি-র তল্লাশিতে কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ সহ পুর প্রধানের বাড়ি ইডি অভিযান করলেও কোনওটাই ২৪ ঘণ্টার মেয়াদ পেরোয়নি। শেষবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবীর বাড়ি ২৪ ঘণ্টার উপর ম্যারাথন তল্লাশি চালায়। ২৪ ঘণ্টার উপর ম্যারাথন তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ED)। এবার রেশন বণ্টন দুর্নীতিতেও সমানভাবে সক্রিয় ইডি। কৈখালিতে অভিজাত আবাসনে রাজ্যের এক মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানের ফ্ল্যাটে ৫৪ ঘণ্টা ধরে ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা তল্লাশি চালায়। এত দীর্ঘ তল্লাশি এ যাবৎকালে দেখা মেলেনি। দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশির পরই আটক করে ইডি। তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইডি (ED) দফতর সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে।

    ইডি-র অভিযানে কী মিলল? (ED)

    ইডি (ED) সূত্রে খবর, রেশন বন্টন দুর্নীতিতে যোগ রয়েছে এই সন্দেহেই  মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বাকিবুর রহমানের বাড়িতে হানা দেয় ইডির একটি বিশেষ দল। তাঁর বাড়িতে অভিযানে ছিলেন  ইডির ছয় সদস্যের দল। ইডি আধিকারিকরা বাড়িতে ঢুকতেই দূর্গের মতো বাড়ি ঘিরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারপর থেকে ওই বাড়িতে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। কাউকে বাইরে আসতেও দেখা হয়নি। নিরাপত্তারক্ষী ও পরিচারিকারা এলে তাদেরও ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে, দুর্নীতির যোগ পেয়ে তাকে আটক করে ইডি।  তিনদিনে একটানা আবাসনের তল্লাশি চালিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি, কয়েকটি আইফোন মিলেছে বলে খবর। বাকিবুরের ব্যবসা ও অন্যান্য সম্পত্তি ছাড়াও তাঁর ঘনিষ্ঠ ও তাঁর ম্যানেজার হিসেবে পরিচিত অভিষেক বিশ্বাসের রাজারহাটের বাড়িতেও ৩৬ ঘণ্টার উপর তল্লাশি চলে। তাঁর বাড়ি থেকেও প্রচুর নথি ও পাঁচটি আই ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। তদন্তকারীরা মনে করছেন, চালকলের মালিক বাকিবুর আদতে কোনও প্রভাবশালীর ঘুঁটি। তাঁকে সামনে রেখেই কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। এবার সেই বাকিবুরকে হাতিয়ার করে সেই প্রভাবশালীর খোঁজ পেতে চাইছে ইডি।

     কোন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ ছিল বাকিবুর?

    ইতিমধ্যেই বাকিবুর রাজ্যের এক মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে তথ্য সামনে আসছে। তবে, কে কেই মন্ত্রী তা তদন্তকারী আধিকারিকরা মুখ না খুললেও রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম উঠে আসছে। যদিও ঘনিষ্ঠতা প্রসঙ্গে বনমন্ত্রী বলেন, এসব বাজে কথা। বাকিবুর নামে আমি কাউকে চিনি না। আমি কোনওদিনই তাঁকে দেখিনি। আর আমার ঘনিষ্ঠ সবাই। রথীন ঘোষও তো আমার ঘনিষ্ঠ।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pradhan Mantri Awas Yojana: আবাসের ঘর পেতেও কাটমানি! কেন্দ্রের রিপোর্টে আর কী উঠে এল জানেন?

    Pradhan Mantri Awas Yojana: আবাসের ঘর পেতেও কাটমানি! কেন্দ্রের রিপোর্টে আর কী উঠে এল জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় (Pradhan Mantri Awas Yojana) মূলত গৃহহীন ও দু’টি ঘরের কাঁচা বাড়িতে বসবাসকারী মানুষের জন্য পাকা বাড়ি তৈরি করতে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।  গ্রামসভার প্রাথমিক ভাবে তালিকা তৈরি করার কথা। সেই মতো উপভোক্তাকে টাকা দেওয়া হয়। আর সরকারি প্রকল্পের টাকা পেতে কাটমানি দিতে হয়। অভিযোগ, রাজ্যের একাধিক জেলায় আবাসের বাড়ি পেয়ে ঘুষ দিতে হচ্ছে তৃণমূলের নেতাদের। কেন্দ্রের নিরপেক্ষ সংস্থাকে দেওয়া রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।

    উপভোক্তাদের কী বক্তব্য? (Pradhan Mantri Awas Yojana)

    ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের রগড়া গ্রাম পঞ্চায়েত। ওই গ্রামের এক উপভোক্তার অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার (Pradhan Mantri Awas Yojana) তালিকায় নাম পেতে তাঁকে ২ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করা হয়েছে। ওই মহিলার অভিযোগ, গ্রামে যাঁদের নাম প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় উঠেছে, তাঁদের প্রত্যেককে ২ হাজার টাকা করে তৃণমূলের ‘পার্টি ফান্ড’-এ জমা করতে হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত। এক ব্যক্তির সরকারি খাতায়-কলমে বাড়ি তৈরি হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, বাস্তবে এখনও বাড়ি তৈরির কাজ চলছে। বাঁকুড়ার জয়পুর, ইন্দাস ব্লকের তিন গ্রাম পঞ্চায়েতের আধ ডজন বাসিন্দার নামে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় তাঁদের চূড়ান্ত কিস্তির টাকা বরাদ্দ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, তাঁদের কারও বাড়ি তৈরির কাজ শেষ হয়নি। জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের বিন্নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে আবাসের ঘর পেতে ১০ হাজার টাকা কাটমানি দিতে বলা হয়েছিল। উপভোক্তাদের বক্তব্য, তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দিলেই তারা টাকা পেয়ে যাচ্ছে।

    কেন্দ্রের সমীক্ষা রিপোর্টে কী উঠে এল?

    প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Pradhan Mantri Awas Yojana) প্রকল্পে কোন রাজ্যে কেমন কাজ চলছে, তা খতিয়ে দেখতে নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে সমীক্ষা চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। গত বছর তিন দফায় এই সমীক্ষা চালানো হয়। দিল্লির একটি সামাজিক গবেষণা কেন্দ্রকে ‘জাতীয় স্তরের পর্যবেক্ষক’ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। তাতে শুধু ‘কাটমানি’-র তথ্য নয়। কোন ব্যক্তির থেকে কে টাকা আদায় করেছেন, কাদের নামে টাকা বরাদ্দ হলেও বাড়ি তৈরি হয়নি, তাঁদের নামও রয়েছে রিপোর্টে। রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর কেন্দ্রের এই রিপোর্ট নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি। তবে তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে আগেই বলা হয়েছে যে কোথাও অনিয়ম হয়ে থাকলে তার জন্য গোটা রাজ্যের মানুষের টাকা বন্ধ করে অসুবিধায় ফেলা কেন্দ্রের উচিত হচ্ছে না। সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে,গত বছরের জানুয়ারিতে দেখা গিয়েছিল, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, বীরভূম, উত্তর দিনাজপুর, হুগলি, মালদা, পূর্ব বর্ধমানে সেই তালিকা সরকারি ভাবে ঝোলানো নেই। গত বছরের মে মাসের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দার্জিলিং, দক্ষিণ দিনাজপুর, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম,দেখা গিয়েছে, দার্জিলিং, দক্ষিণ দিনাজপুর, হাওড়া, ঝাড়গ্রাম, কালিম্পং, পশ্চিম বর্ধমান, শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে ওই তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। পুরুলিয়ায় দেখা গিয়েছে, যাঁদের নাম উঠেছে, তাঁরা বাছাই প্রক্রিয়া নিয়ে কিছুই জানেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সংস্কার না করেই রাস্তার কাজ হয়েছে বলে তুলে নেওয়া হল ৩০ লক্ষ টাকা! চাঞ্চল্য

    South 24 Parganas: সংস্কার না করেই রাস্তার কাজ হয়েছে বলে তুলে নেওয়া হল ৩০ লক্ষ টাকা! চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন এক ভুতুড়ে কাণ্ড! খাতায়-কলমে রাস্তা থাকলেও বাস্তবে সেই রাস্তার কোন চিহ্ন নেই, রাস্তার জন্য বরাদ্দকৃত ৩০ লক্ষ টাকাও উঠে গিয়েছে। কিন্তু, গেল কোথায়? সঠিক তদন্তের দাবি তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ এলাকার মানুষ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘি বিধানসভার কৌতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গরানকাঠি গ্রামে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) রায়দিঘি বিধানসভার কৌতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের গরানকাঠি গ্রামে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে দীর্ঘ দেড় কিলোমিটার ঢালাই রাস্তার অনুমোদন হয়। যারজন্য বরাদ্দ হয় প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। তার কাজও হয় এবং টাকা উঠে যায়। কিন্তু, শুধুমাত্র তা খাতা-কলমে। বাস্তবে এই ধরনের কোনও রাস্তায় হয়নি এমনটাই দাবি এলাকার মানুষদের। গোপাল মণ্ডলের বাড়ি থেকে গাজী এলাকা পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা। সেই বেহাল রাস্তার ওপর দিয়েই এলাকার মানুষজন প্রাণ হাতে করে নিয়েই যাতায়াত করেন। একাধিকবার স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে প্রশাসনের কাছে বারে বারে দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি। কিন্তু, সরকারি খাতায় বরাদ্দকৃত ঢালাই রাস্তা গেল কোথায়? তারই তদন্ত নেমে চক্ষু চরক গাছ এলাকার মানুষদের। এলাকার মানুষ আরটিআই করে জানতে পারে ওই রাস্তার কাজ অনেকদিন আগেই শেষ হয়ে গেছে এবং তার জন্য বরাদ্দকৃত প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা উঠে গেছে। সরকারি খাতায় পরিষ্কারভাবে লেখা রয়েছে, রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। অন্যদিকে, বিন্দুমাত্র কাজ হয়নি সেই রাস্তার। যা নিয়েই এলাকার মানুষজন প্রাক্তন প্রধান গ্রামের সদস্য সহ অঞ্চল সভাপতি বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন। এ নিয়ে স্থানীয় বিডিও এসডিও থেকে শুরু করে জেলাশাসক পর্যন্ত জানানো হয়েছে। তারপরেও কোনও সুরাহা মিল ছিল না। শেষ পর্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা নিজেরাই চাঁদা তুলে বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। হাইকোর্ট মথুরাপুর দু’নম্বর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিককে ২১ দিনের মধ্যে ওই রাস্তা সম্পূর্ণ তথ্য নিয়ে পাঠানোর অর্ডার দেন। কিন্তু, তারপরেও উদাসীন বিডিও।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, গত জুন মাস থেকে হাইকোর্টের নির্দেশের পরও বিডিও শুধু আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু, কোনওভাবেই সেই রাস্তার তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিচ্ছেন না। যার জেরেই রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকার মানুষজন। এলাকার মানুষজনের দাবি, যদি দুর্নীতি না হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করতে অসুবিধা কোথায়?

    পঞ্চায়েতের কর্মকর্তাদের কী বক্তব্য?

    অন্যদিকে, এই বিষয় নিয়েই প্রাক্তন প্রধান বাসন্তী সর্দারের দাবি, তিনি কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন। এই ধরনের কোনও কিছুই হয়নি। তবে বর্তমান কৌতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জানিয়েছে নিজেকে নতুন বলে দাবি করে দায় এড়িয়েছেন।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    অন্যদিকে. এই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিজেপি নেতা পলাশ রানা বলেন,  একাধিক পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাছ থেকে শুরু করে রাস্তার কাজে দুর্নীতি হয়েছে। এই বিষয় নিয়ে আগামী দিন সমাধান না হলে আন্দোলনে নামা হবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: দেবীপক্ষের আগেই কেন মুখ্যমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধন! গর্জে উঠল বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চ

    Siliguri: দেবীপক্ষের আগেই কেন মুখ্যমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধন! গর্জে উঠল বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করে বিতর্কে জড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে হিন্দু শাস্ত্রকে অবমাননা করার অভিযোগ উঠল। এর প্রতিবাদে বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চ, শুক্রবার বিকালে শিলিগুড়ির (Siliguri) ভেনাস মোড়ে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত করে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হিন্দু শাস্ত্রকে অবমাননা করার অভিযোগে সরব হন এই সংগঠনের সমর্থকরা।

    গর্জন বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চের (Siliguri)

    এই মহামঞ্চের সংগঠনের শিলিগুড়ি (Siliguri) শাখার সভাপতি বিক্রমাদিত্য মণ্ডল বলেন, “এখনও পিতৃপক্ষ চলছে, এই সময়কে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ও তর্পণের সময় ধরা হয়। মহালয়ায় পিতৃপক্ষের শেষ হয় আর দেবীপক্ষের সূচনা হয় এবং মঙ্গল কলস স্থাপন হয়। তারপর দেবী দুর্গার পুজো শুরু হয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পিতৃপক্ষের মধ্যেই, গত বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে একের পর এক পুজোর ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছেন। আমরা মনে করি এভাবে হিন্দু শাস্ত্রকে অবমাননা করা হয়েছে।”

    হিন্দু আচারে অজ্ঞ মমতা

    বিক্রমাদিত্য মণ্ডল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে একজন হিন্দু। তার থেকেও বড় কথা তিনি ব্রাহ্মণ ঘরের মেয়ে। তাহলে তিনি কীভাবে হিন্দু শাস্ত্রকে উপেক্ষা করে এমন কাজ করলেন? তাহলে ধরে নিতেই হবে, উনি অজ্ঞ। যাঁদের পরামর্শে চলেন, তাঁদের কেউ সনাতনী হিন্দু শাস্ত্র সম্পর্কে কোনও অভিজ্ঞতা বা জ্ঞানের অধিকারী নন। আসলে মুখ্যমন্ত্রী রাজনৈতিক কারণে তড়িঘড়ি পুজোর মণ্ডপ উদ্বোধন করে, কৃত্রিম পুজোর আবহ তৈরি করতে চেয়েছেন। আর তাঁর এই কাজে হিন্দু শাস্ত্রকে অবমাননা করা হয়েছে।”

    হিন্দুরা কেন নীরব?

    এদিন মানব বন্ধনে দাঁড়িয়ে (Siliguri) বঙ্গীয় হিন্দু মহামঞ্চের সদস্যরা প্রশ্ন তোলেন, তথাকথিত হিন্দুরা নীরব কেন? বিক্রমাদিত্য মণ্ডল আরও বলেন, “সনাতনী হিন্দু শাস্ত্রের তোয়াক্কা না করে কেন মুখ্যমন্ত্রীর পুজো উদ্বোধন! এই অপমান নিয়ে সবাই কেন নীরব? যাঁরা হিন্দু ধর্মের ধারক ও বাহক, তাঁরা কেন চুপ করে আছেন? এখনও কেন পুরোহিতকুল ও বিভিন্ন আশ্রম এবং মঠের সাধু-সন্ন্যাসীরা নীরব রয়েছেন। তাঁরা কেন পিতৃপক্ষে দেবীপুজোর উদ্বোধন নিয়ে কোনও কথা বলছেন না? তবে কেউ, কোথাও সনাতন হিন্দু ধর্মের বিরোধিতা করলে বা তোয়াক্কা না করলে আমরা গর্জন করবই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: “পুর নিগমে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি খুলে ফেলে মোদিজির ছবি লাগান” কেন বললেন সুকান্ত?

    Asansol: “পুর নিগমে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি খুলে ফেলে মোদিজির ছবি লাগান” কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বিজেপির পক্ষ থেকে আসানসোল (Asansol) পুর নিগমের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কড়া ভাষায় আসানসোল কর্পোরেশনের পুরবোর্ডের সমালোচনা করেন তিনি। পুর নিগম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি খুলে ফেলার কথা বললেন। আসানসোল পুর নিগমের উন্নয়ন খাতে কেন্দ্র সরকার টাকা দিচ্ছে, তাই সেখানে মোদিজির ছবি লাগানোর কথা বলেন। সেই সঙ্গে বলেন, পুর নিগমে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তল্লাশি। 

    ইডি ও সিবিআইয়ের হানা নিয়ে কী বললেন (Asansol)?

    ইডি ও সিবিআই হানার প্রসঙ্গ তুলে এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কলকাতায় নেতাদের বাড়িতে ইডি ও সিবিআইয়ের রেড হচ্ছে। এবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আসানসোলেও (Asansol) অভিযান হবে।” কয়েকদিন আগে রানীগঞ্জের নারায়ণকুড়িতে ধসের প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরও বলেন, “সেখানে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। প্রশাসন বলছে তিনজন মারা গেছে। কার্যত রাজ্য সরকার মৃত্যুর হিসাব নিয়ে মিথ্যাচার করছে।” তিনি বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পুরসভা দাবি না মানলে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার হুঁশিয়ারির দেন।

    আর কী বললেন?

    সুকান্ত এদিন বলেন, “রাজ্য সরকার গত আড়াই বছরে এক টাকাও খরচ করেনি আসানসোল পুর নিগমের জন্য। দিল্লি থেকে মোদিজি আসানসোলবাসীর ঘরে ঘরে জল পৌঁছনোর জন্য ৫০০ কোটি টাকা পাঠিয়েছেন। অথচ রাজ্য সরকার ঘরে ঘরে পানীয় জলের ব্যবস্থা করছে না। স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে কোনও কর্মী নেই। কেবলমাত্র আসানসোল (Asansol) হাসপাতালে ডেঙ্গি পরীক্ষা হচ্ছে। রাজ্যে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গি সংক্রমণের শিকার হয়েছে, তবুও রাজ্য সরকারের ঘুম ভাঙছে না। আমরা খাওয়া এবং চুরিতে বিশ্বাস করি না। তবে যে খাবে, তাকে ঠিক জায়গায় পাঠানোর কাজ বিজেপি করবে। মন্ত্রী মলয় ঘটক নিজে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি বাহানা দিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করছেন না।”

    এদিনের এই বিক্ষোভ সমাবেশে সুকান্ত মজুমদার সহ জেলা সভাপতি বাপ্পা চ্যাটার্জি, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই, বিজেপি নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি ও আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি সহ উপস্থিত ছিলেন বিজেপির অন্যান্য নেতৃত্ব।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনা প্রসঙ্গে আসানসোলের (Asansol) মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, “কোনও অনুদানে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্র সরকারের একটা ভাগ থাকে। পুরো টাকাটাই পশ্চিমবঙ্গ থেকে ট্যাক্স হিসেবে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র। তারপর সেই টাকার একটা অংশ ফেরত দিচ্ছে রাজ্যে। তাহলে এটা কার দেওয়া হল?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Industry: বঙ্গে শিল্পের হাল! তাঁত বন্ধ করে কেউ টোটো চালান, কেউ করেন অন্যের দোকানে দিনমজুরি

    Bengal Industry: বঙ্গে শিল্পের হাল! তাঁত বন্ধ করে কেউ টোটো চালান, কেউ করেন অন্যের দোকানে দিনমজুরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনও ভোর হলে ঘুম ভাঙে অমিত সরকারের। অবচেতন মনে মাঝে মধ্যে কানে বাজে তাঁত টানার ‘খটা-খট’ শব্দ। যে শব্দের সঙ্গে মিশে রয়েছে বাপ-ঠাকুরদার পারিবারিক তাঁতের ব্যবসার যাবতীয় হিসেবনিকেশ। সে সব এখন অতীত। বাড়ির উঠোনের এক পাশে পড়ে রয়েছে বন্ধ হয়ে থাকা তাঁতের পুরনো কলকব্জা (Bengal Industry)। শাড়ি ছেড়ে মুদির ব্যবসা ধরে তেল, নুনের হিসাবে ব্যস্ত অমিত।

    দুর্গাপুজোর আগে দম ফেলার সময় মিলত না

    “ভোর থেকে ২৫ জন তাঁতশিল্পী কাজ করতেন। দুর্গাপুজোর আগে দম ফেলার সময় পেতাম না। সে ব্যবসা শেষ হয়ে গেল!”, বলছিলেন ঠ্যাঙাপাড়ার অমিত সরকার। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের ঠ্যাঙাপাড়া, মহারাজপুর, বোরডাঙি আগে ছিল তাঁতশিল্পের আঁতুড়ঘর (Bengal Industry)। ঠ্যাঙাপাড়ার প্রত্যেক বাড়িতে তাঁতের কল ছিল। ভোর বেলা এই এলাকা দিয়ে যাবার সময়ে ‘খটা খট’ শব্দ শুনে পথিকরা বুঝতেন, এটা ঠ্যাঙাপাড়া। তাঁদের তৈরি ‘আশীর্বাদ’, ‘রাঙা বউ’, ‘জন্মভূমি’, ‘অজন্তা, ‘জনতা”, “মালা’ শাড়ি একটা সময়ে উত্তরবঙ্গ জুড়ে জনপ্রিয় ছিল। নদিয়া জেলার নবদ্বীপ থেকে ব্যবসায়ীরা এসে এই শাড়ি কিনে নিয়ে যেতেন। শুধু পুজোর সময়ই ৮-১০ কোটি টাকার ব্যবসা হতো। কয়েক হাজার মানুষের রুজিরুটি জড়িয়েছিল এই তাঁতের সঙ্গে। আর কয়েক দিন পরেই পুজো। অথচ, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে কাপড় বোনার তাড়া নেই। কারণ, সে ব্যবসা ছেড়ে এখন কেউ মাছের ব্যবসা করেন, কেউ টোটো চালান, কেউ অন্যের দোকানে দিনমজুরের কাজ করেন। গঙ্গারামপুরের পশ্চিম হালদারপাড়ার বাসিন্দা সুমন দাস নিজের ১০টি তাঁত বন্ধ করে টোটো চালান। গঙ্গারামপুরের বেলবাড়ির বাসিন্দা বাবু সরকার তাঁত ছেড়ে মুদির দোকানের হকারি করছেন। ২৬টি তাঁতের মালিক কালীতলার বাসিন্দা মঙ্গল দাস মাছের ব্যবসা ধরেছেন।

    তাঁত ছেড়ে অন্য পেশায় (Bengal Industry)

    ২০১০ সালের সরকারি হিসেব বলছে, এখানে ৩৬ হাজার তাঁত ছিল। ২০১৮ সালের সরকারি তথ্যে দেখা যাচ্ছে, সেই সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ১২,৮০০টিতে। বর্তমানে এখানে সাকুল্যে হাজার চারেক তাঁত রয়েছে বলে তাঁতশিল্পীদের দাবি। ‘গঙ্গারামপুর তাঁত মালিক ও তাঁত শ্রমিক যৌথ কমিটি’র সভাপতি উৎপল গোস্বামী বলেছেন, “এখনও তাঁতশিল্পী অনেক আছেন। কিন্তু আধুনিক বাজার ধরার মতো শাড়ি তৈরির কোনও প্রশিক্ষণ না থাকায়, তাঁত (Bengal Industry) ছেড়ে অন্য পেশায় চলে যাচ্ছেন শিল্পীরা।”

    ধুঁকছে এই কুটির শিল্প (Bengal Industry)

    দক্ষিণ দিনাজপুর ছাড়া মালদহ, উত্তর দিনাজপুর ও কোচবিহারে কিছু তাঁত কল ছিল। ওই জেলাগুলিতেও তাঁতশিল্প উঠে যাওয়ার মুখে। পুরাতন মালদহের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁতিপাড়ায় এখন মাত্র ২০ থেকে ২৫টি পরিবার তাঁত বুনছেন। গামছা, সাধারণ শাড়িই শুধুই বোনা হচ্ছে (Bengal Industry)। উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘির দোমহনাতে এক সময়ে অনেক তাঁত কারখানা ছিল। এখন তাঁতিরা পেশা বদল করে অন্য পেশায় ঢুকেছেন। কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থেকে মাথাভাঙার নিশিগঞ্জের-বিস্তীর্ণ এলাকায় তাঁতকল ছিল। সেখানেও ধুঁকছে এই কুটির শিল্প। ‘তুফানগঞ্জ হ্যান্ডলুম ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র সম্পাদক বিবেক দাস বলেন, “পনেরো হাজারের মতো তাঁত শিল্পী ছিল এই মহকুমায়। বর্তমানে সেই সংখ্যাটা এক হাজারের মতো।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share