Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • ED: সাত সকালে মধ্যমগ্রামে ডিয়ার লটারির প্রিন্টিং কারখানায় হানা দিল ইডি

    ED: সাত সকালে মধ্যমগ্রামে ডিয়ার লটারির প্রিন্টিং কারখানায় হানা দিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় চলছে। এই দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি-সিবিআই একাধিক পুরসভার চেয়ারম্যান, প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। পুরমন্ত্রী থেকে খাদ্যমন্ত্রী সকলের বাড়িতে হানা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই বৃহস্পতিবার সাত সকালেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিল ডিয়ার লটারির উত্তর ২৪ পরগনার মাইকেল নগরের প্রিন্টিং অফিসে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তিনটি গাড়িতে করে পৌঁছান মাইকেল নগরে। সকাল আটটা থেকে চলছে মাইকেলনগরের অফিসে তল্লাশি। এদিন দুপুরে এখনও পর্যন্ত তল্লাশি জারি। এই সংস্থার বিরুদ্ধে আগেও একাধিকবার অভিযোগ উঠেছিল। ইডি (ED) ও সিবিআই এর আগেও এই সংস্থায় তল্লাশি চালিয়েছিল উদ্ধার হয়েছিল বেআইনি কোটি কোটি টাকা। সংস্থার কর্ণধারদের দিল্লির সদর দফতরে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আবার ডিয়ার লটারির অফিসে তল্লাশি নিয়ে উঠতে শুরু করেছে বেশ কিছু প্রশ্ন।

    কেন হানা? (ED)

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বুধবার ইডি (ED) আধিকারিকরা শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর সহ পাঁচ জায়গায় হানা দেয়। তালিকায় রাইস মিলও ছিল। মূলত, এই দুর্নীতির টাকা এসব জায়গায় বিনিয়োগ হয়েছে বলে তদন্তকারীদের হাতে তথ্য প্রমাণ এসেছে। সেই তথ্য প্রমাণ কতটা সঠিক তা খতিয়ে দেখতেই তদন্তকারীরা এই হানা দেয়। এবার মধ্যমগ্রামে ডিয়ার লটারির প্রিন্টিং কারখানায় ইডি হানা দেয়। এমনিতেই ডিয়ার লটারির টাকা গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল। একজনের কাছে সেই টাকা কিনেছিল বলে জলঘোলাও হয়েছিল। সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিক অনেক তথ্য হাতে পেয়েছে। তবে, কেষ্ট ছাড়াও একাধিক তৃণমূল নেতার অ‍্যাকাউন্টে লটারির টাকা ঢুকেছে। কারও কারও অ‍্যাকাউন্টে বেশ কয়েকবার একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির লটারির প্রথম পুরস্কারের কোটি কোটি টাকা জমা হয়েছে। ইডির সন্দেহ  লটারির সঙ্গে এই কারখানায় ছাপা লটারির যোগসূত্র আছে। তার তদন্ত করতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া পাহারায় ইডি অফিসাররা তল্লাশি চালাচ্ছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘রাজ্যে সব থেকে বড় গুন্ডা হচ্ছে মমতার পুলিশ, তৃণমূলের ক্যাডার হিসেবে কাজ করে,’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘রাজ্যে সব থেকে বড় গুন্ডা হচ্ছে মমতার পুলিশ, তৃণমূলের ক্যাডার হিসেবে কাজ করে,’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে সব থেকে বড় গুন্ডা হচ্ছে পুলিশ। তারা তৃণমূলের ক্যাডার হিসেবে কাজ করে। বুধবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে নির্যাতিতা পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) একথা বলেন। এরপর তিনি হঁশিয়ারি দিয়ে পুলিশ আধিকারিকদের বলেন, সবকটা অফিসারকে দেখে রাখছি সময় হলে সঠিক জবাব দেব।

    মগরাহাটে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত ৩ অক্টোবর। ওইদিন মগরাহাট থানার মধুসূদনপুর গ্রামের বছর ৭৫-এর এক বৃদ্ধের বিরুদ্ধে সাত বছর বয়সী এক নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হতেই পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। ৪ তারিখ আদালতে পাঠায়। অভিযুক্তের তিনদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ৮ অক্টোবর স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য হারুন রশিদ সরদারের একটি বাড়িতে থাকা ভাড়াটেদের ১২ টি ঘর ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপরও হামলা করা হয় বলে অভিযোগ। এক পুলিশ কর্মী আহতও হন। বিধায়কের বাড়ি ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। এক পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। ক্ষোভে ফুঁসছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট। সেই এলাকা পরিদর্শনে যান বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। যে সমস্ত স্থানীয় মানুষজনদের বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে তাদের বাড়ি পরিদর্শনের পাশাপাশি নির্যাতিত নাবালিকার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।

    মগরাহাটের ঘটনা নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ভাঙচুরের ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে তৃণমূল। আর এই ধর্ষণের সঙ্গেও তৃণমূল নেতা জড়িত রয়েছে। ভাঙচুর চালানো হয়েছে সাধারণ মানুষ ও বিজেপি কর্মীদের বাড়ি। অন্যদিকে, এলাকার মানুষজনের অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ডায়মন্ডহারবারের এসডিপিও মিতুন কুমার দে-এর নেতৃত্বেই পুলিশ প্রশাসন একাধিক বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। এসব শুনে বিরোধী দলনেতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গে জঙ্গলরাজ চলছে। এখানে ভাইপোর কথায় পুলিশ ওঠা বসা করে। যেভাবে বেছে বেছে মগরাহাটের দলিত পরিবারের ওপরে হামলা চালিয়েছে পুলিশ প্রশাসন তার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। আগামীদিনে এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে যাব আমি।

    রুজিরাকে ইডি তলব প্রসঙ্গে কী বললেন শুভেন্দু?

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির দফতরে তলব নিয়ে তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, একে একে সবকটাকেই ধরবে। এরা সাধারণ মানুষের টাকা খেয়েছে, আদালত এদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: আসানসোলে কয়লা খনিতে ধস! চাপা পড়ে রয়েছেন কয়েকজন, আতঙ্ক

    Asansol: আসানসোলে কয়লা খনিতে ধস! চাপা পড়ে রয়েছেন কয়েকজন, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের (Asansol) রানিগঞ্জে ইসিএলের কুনুস্তরিয়া এলাকার নারায়ণকুড়ি খোলামুখ কয়লাখনিতে কয়লা সংগ্রহ করতে গিয়ে বেশ কয়েক জনের চাপা পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এমনই খবর ছড়িয়ে পড়তে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলাশাসক ঘটনা প্রসঙ্গে ইসিএল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চেয়েছেন। কিন্তু, আসলে ঘটনাটি কী এবং ঠিক কত জন এখনও পর্যন্ত চাপা পড়ে আছেন বা আদৌ চাপা পড়েছেন কি না তা নিয়ে সঠিক তথ্য ইসিএলের পক্ষ থেকে জানানো হয়নি। ঘটনার পর রাতেই এলাকাবাসী জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Asansol)

    বুধবার বিকেলে আসানসোলের (Asansol) রানিগঞ্জে ইসিএলের কুনুস্তরিয়া এলাকার নারায়ণকুড়ি খোলামুখ কয়লাখনিতে কয়লা সংগ্রহ করতে যায় বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। সেখানেই ধস নামে বলে স্থানীয়দের দাবি। আর তাতে চার থেকে পাঁচ জন চাপা পড়ে যান বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এক জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন সাংসদ তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী বংশগোপাল চৌধুরী। তিনি আরও বলেন, আরও চার জন নিখোঁজ রয়েছে বলে তাঁর কাছে খবর এসেছে। রানিগঞ্জ থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ করছেন, তাঁদের পরিবারের লোকেরা চাপা পড়ে আছেন।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপির আসানসোলের (Asansol) বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল ধসে নিখোঁজ হওয়া পরিবারের পাশে যান। তাঁর সামনে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের লোকেদের কান্নাকাটিও করতে দেখা গিয়েছে। বিজেপি বিধায়ক বলেন, পেটের জ্বালায় গ্রামের মানুষজন দু’-চার বস্তা কয়লা বের করে বিক্রি করে সংসার চালান, রাজ্য সরকার তো কাজের ব্যবস্থা করেনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা এই কাজ করে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। প্রশাসন দেখি কী ব্যবস্থা নেয় দেখার পর আরও বড় আন্দোলন হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হওয়া অপরাধ, নাবালিকাকে অপহরণ করেছে তৃণমূল! আন্দোলনে পরিবার

    Durgapur: বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হওয়া অপরাধ, নাবালিকাকে অপহরণ করেছে তৃণমূল! আন্দোলনে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির সমর্থনে নির্দল হিসেবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এটাই ছিল অপরাধ। এরপরই রহস্যজনকভাবে ১০ বছরের মেয়েকে অপহরণ করে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ পরিবারের। সেই নাবালিকা মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ছবি হাতে নিয়ে মা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন। সঙ্গে বাউরি সমাজের লোকজন। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে অবরোধ। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে। দুর্গাপুর (Durgapur) নগর নিগমের সামনে এসে নিখোঁজ নাবালিকার পরিবারের লোকজন বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। ওই সময় পুলিশ এসে তাঁদের আটকে দেয়। এ বার পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিআইডিকে তদন্তের আশ্বাস দেওয়ার পর আন্দোলন প্রত্যাহার করে বাউরি সমাজ। তবে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সিবিআই তদন্তের দাবিতে তারা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের দ্বারস্থ হবে বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বাউরি সমাজ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Durgapur)

    দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকার নবগ্রাম পঞ্চায়েতে শিল্পা মণ্ডল পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। তাঁকে বিজেপি সমর্থন করেছিল। নির্দল প্রার্থী হওয়ার পর থেকে তৃণমূলের তরফে নানা হুমকি এসেছে। কিন্তু, তিনি ভোটে লড়ার সিদ্ধান্তে অবিচল ছিলেন। জানা গিয়েছে, শিল্পাদেবীর ১০ বছরের মেয়েকে গত ২ জুলাই অপহরণ করা হয়। তার আগে তাপস মণ্ডল নামে এক তৃণমূল কর্মী হুমকি দেয়। অপহরণের পিছনে তৃণমূলের কয়েক জন আছে। পুলিশের কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।  

    নাবালিকা মায়ের কী বক্তব্য?

    শিল্পাদেবী বলেন, এ নিয়ে দুর্গাপুর (Durgapur) মহকুমার পান্ডবেশ্বর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। কিন্তু, তিন মাস কেটে যাওয়ার পরেও এক জন অভিযুক্তও ধরা পড়েনি পুলিশ। মেয়েরও কোনও খোঁজ পাইনি। এই অবস্থায় পুলিশের ওপর ভরসা না করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।  প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে পণ্ডবেশ্বরের হরিপুরের পশ্চিমবঙ্গ বাউরি সমাজ ওই পরিবারকে নিয়ে অনশনে বসে। তখন পুলিশ এসে আশ্বাস দেয় যে দ্রুত ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করবে তারা। কিন্তু এখনও মেয়েকে ফিরে পেলাম না।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ মণ্ডল বলেন, শিল্পা মণ্ডল বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হিসাবে ভোটে লড়াই করেছিলেন। তার পরেই তাঁর মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। পুলিশ যদি সদর্থক ভূমিকা না নেয়, ধারাবাহিক আন্দোলন শুরু হবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের রাজ্যে শিশু এবং নারীরা সবচেয়ে সুরক্ষিত। তৃণমূল এমন একটা ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত থাকতে পারে না। অপহরণের ঘটনার সঙ্গে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে রাজনীতি করছে বিজেপি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: তৃণমূল কাউন্সিলারকে মেরে পা ভাঙল প্রাক্তন কাউন্সিলারের অনুগামীরা, কেন জানেন?

    Khardah: তৃণমূল কাউন্সিলারকে মেরে পা ভাঙল প্রাক্তন কাউন্সিলারের অনুগামীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কাউন্সিলারকে মেরে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রাক্তন কাউন্সিলারের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে খড়দা (Khardah) পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডে। আক্রান্ত তৃণমূল কাউন্সিলার মধুরিতা গোস্বামী মুখোপাধ্যায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Khardah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর আগে হাইমাস্ট লাগানো নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। প্রাক্তন কাউন্সিলর সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায়ের অনুগামীরা যে জায়গায় হাইমাস্ট লাগাতে চাইছেন, বর্তমান কাউন্সিলার তা মানতে রাজি নন। এই নিয়ে এদিন দুপুরে গন্ডগোল বাঁধে। এদিন হাইমাস্ট লাগানোর জন্য কর্মীরা আসলে প্রাক্তন কাউন্সিলর অনুগামীরা কাজ বন্ধ করে দেয়। এই নিয়ে বর্তমান কাউন্সিলরের সঙ্গে বচসা বাধে। এরপরেই প্রাক্তন কাউন্সিলর অনুগামীরা বর্তমান কাউন্সিলরের ভাইকে মারধর করে বলে অভিযোগ। তাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন বর্তমান কাউন্সিলর। তাকে মারধোর করে পা ভেঙে দেওয়া হয়। কাউন্সিলারের শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরে হামলাকারীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে, তৃণমূল কাউন্সিলার খড়দা (Khardah) থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। হামলার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    আক্রান্ত তৃণমূল কাউন্সিলারের কী বক্তব্য?

    আক্রান্ত তৃণমূল কাউন্সিলার মধুরিতা গোস্বামী মুখোপাধ্যায় বলেন, বিধায়ক আমার ওয়ার্ডের তিনটে হাইমাস্ট আলো লাগাতে দিয়েছিলেন। পুজোর আগে সেই আলো লাগানোর কথা। আমরা তিনটের জায়গাও পছন্দ করেছি। আজ সেই আলো লাগাতে গিয়ে গন্ডগোল বাধে। প্রাক্তন কাউন্সিলারের অনুগামীরা আমার ভাইকে প্রথমে মারধর করে। আমি বাঁচাতে গেলে ওরা শ্লীলতাহানি করে। এরপর আমাকে বেধরক মারধর করে আমার পা ভেঙে দেয়। প্রাক্তন কাউন্সিলার একজন তোলাবাজ। আমার ওয়ার্ডেই তোলাবাজি বন্ধ করে দিয়েছি, এটাই আমার অপরাধ। সব থেকে আমি অবাক হয়েছি, ঘটনার পর খড়দা (Khardah) পুরসভার চেয়ারপার্সন নিলু সরকারকে আমি ফোনে অভিযোগ জানিয়েছি। তাঁকে আমার কাছে আসার জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি আমার সঙ্গে একবারও দেখাও করলেন না। পা ভেঙ্গে ঘরের মধ্যে পড়ে রয়েছি অথচ পুরসভার চেয়ারপার্সন তিনি আমার বাড়ি আসার প্রয়োজন বোধ করলেন না। আমার প্রশ্ন তিনি কি তাহলে প্রাক্তন কাউন্সিলারের পক্ষে লোক? ওই সমস্ত বিষয়টি স্থানীয় বিধায়ক, সাংসদ সকলকে জানিয়েছে।

    প্রাক্তন কাউন্সিলারের কী বক্তব্য?

    প্রাক্তন কাউন্সিলার সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায় বলেন, কাউন্সিলারের আনা অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। আসলে হাইমাস্ট আলো লাগানোর একটা জায়গা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। একটি ক্লাবের সঙ্গে হয়েছিল। ক্লাবের ছেলেরা মাঠের মধ্যে হাইমাস্ট লাগাতে চেয়েছিল, আর কাউন্সিলর রাস্তার পাশে লাগাতে চেয়েছিল। এই নিয়ে গন্ডগোল। সেখানে আমি ঘটনাস্থলে ছিলামই না। আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বিজেপির রাজ্য সভাপতির বাড়ি যাওয়ার রাস্তা বেহাল, সংস্কারের উদ্যোগ নেই তৃণমূল পুরসভার

    Sukanta Majumdar: বিজেপির রাজ্য সভাপতির বাড়ি যাওয়ার রাস্তা বেহাল, সংস্কারের উদ্যোগ নেই তৃণমূল পুরসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা স্থানীয় সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের বাড়ি বলেই বেহাল রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নেই তৃণমূল পরিচালিত বালুরঘাট পুরসভার। এমনই অভিযোগ বিজেপির। বালুরঘাট পুরসভার ২২ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী রাস্তার বেহাল অবস্থা। খাদিমপুর এলাকার সন্ধ্যা সিনেমা হল থেকে খাদিমপুর গার্লস স্কুল পর্যন্ত রাস্তার পিচ উঠে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাড়ির যাতায়াতের এই রাস্তার সবচেয়ে ভগ্নদশা। কিন্তু, তা সংস্কারে পুর কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার না হওয়া এবং পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের সংযোগ দেওয়ায় বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন রাস্তা বেহাল হয়ে পড়ে। বালুরঘাট পুরসভা থেকে পুজোর আগে রাস্তা মেরামতির কাজ শুরু হলেও এখনও সংস্কারের কাজে হাত দেওয়া হয়নি খাদিমপুরের এই রাস্তা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খানাখন্দে ভরা এই রাস্তায় প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটে। এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে খাদিমপুর গার্লস স্কুল, খাদিমপুর বয়েজ স্কুল  এবং কবিতীর্থ বিদ্যানিকেতনের ছাত্রছাত্রীরা। এলাকায় রয়েছে একটি সিনেমা হলও। রাস্তার অবস্থা বেহাল হওয়ায় প্রায় প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটে এই রাস্তায়। আমরা চায় দ্রুত এই রাস্তা সংস্কার করা হোক।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই বিষয়ে বিজেপির বালুরঘাট শহরর সভাপতি সমীর প্রসাদ দত্ত বলেন, এই রাস্তার গলির মুখে রয়েছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাড়ি। আর ঠিক একারণেই এই রাস্তা সংস্কারে অনীহা বালুরঘাট পুরসভার। এই রাস্তাতে তিনটি হাই স্কুল রয়েছে। স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা যাতায়াত করার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পুজোর আগে বালুরঘাট পুরসভা যদি রাস্তা সংস্কার করতে না পারে তাহলে আমরা আন্দোলোনে নামব।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    যদিও, বালুরঘাট পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদীপ্তা চক্রবর্তী বলেন, বালুরঘাটের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। খাদিমপুরের রাস্তার কাজ‌ও করা হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতির বাড়ি বলে রাস্তা সংস্কার করা হচ্ছে না, এই অভিযোগ ঠিক নয়। পুজোর আগেই কাজ হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: বাইরে যুদ্ধের সাইরেন বাজছে! ভিডিওকলে বনগাঁয় বসে ছেলের কথা শুনলেন মা

    Israel Hamas War: বাইরে যুদ্ধের সাইরেন বাজছে! ভিডিওকলে বনগাঁয় বসে ছেলের কথা শুনলেন মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের (Israel Hamas War) আঁচ পড়ল এবার বাংলাতেও। ইজরায়েলে গবেষণা করতে গিয়ে আটকে পড়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর সাত্যকি কুণ্ডু। পুজোর আগেই তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে তিনি দেশে ফিরতে পারেননি। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, সাত্যকি সুস্থ রয়েছেন। পরিবারকে তিনি এমনটাই র জানিয়েছেন তিনি। তবে, দেশে না ফেরা পর্যন্ত চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা।

    বিমানে টিকিট কাটা হলেও দেশে ফিরতে পারছেন না গবেষক পড়ুয়া, উদ্বেগে পরিবার (Israel Hamas War)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছ, সাত্যকির বাড়ি বনগাঁর শক্তিগড়ে। কলকাতায় পদার্থবিদ্যায় পিএইচডি শেষ করেছেন। পোস্ট ডক্টরেট করার জন্য তিনি ইজরায়েলে পাড়ি দেন। চলতি বছর ১৯ মার্চ ইজরায়েল যান, সাত্যকি। ৯ অক্টোবর ছুটিতে তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। ৭ অক্টোবর থেকে ইজরায়েলে যুদ্ধের (Israel Hamas War) পরিস্থিতি তৈরি হয়। আর তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় সাত্যকির পরিবার। কিন্তু, যুদ্ধের কারণে তাঁর ফেরার বিমান বাতিল হয়ে যায়। তবে, মঙ্গলবার সকালে মায়ের সঙ্গে তাঁর ফোনে কথা হয়েছে। ভিডিও কলে ছেলেকে দেখে তিনি সাময়িক স্বস্তি পেলেও দুশ্চিন্তা কাটছে না। সাত্যকি ফোনে জানিয়েছেন, যুদ্ধে সাইরেন অনিবারত বাজছে। বাইরে বের হতে পারছি না। টিকিট কাটা রয়েছে। সুযোগ পেলে বাড়ি ফিরব।

    কী বললেন গবেষক পড়ুয়ার মা?

    সাত্যকির মা বুলা কুণ্ডু বলেন, ইজরায়েলের ওয়াইম্যান ইনস্টিটিউটে আমার ছেলে পোস্ট ডক্টরেট করছে। গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ছেলের সঙ্গে কথা হলেও তাঁদের দুশ্চিন্তা কমছে না। হঠাৎ করে সেখানে প্যালেস্তাইন আক্রমণ করেছে। ওই দেশে যুদ্ধের (Israel Hamas War) সাইরেন বাজছে। ছেলে বাড়ি নিয়মিত ফোন করছে। ছুটিতে বাড়ি আসার কথা ছিল। কিন্তু, এখন তো ফেরার অবস্থা নেই। তবে, ছেলে সুস্থভাবে বাড়ি ফিরবে তা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নদিয়ার রাইস মিল সহ পাঁচ জায়গায় হানা দিল ইডি

    ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নদিয়ার রাইস মিল সহ পাঁচ জায়গায় হানা দিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কয়েকদিন আগে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ সহ ১২টি জায়গায় ইডি (ED) হানা দিয়েছিল। সেই ঘটনার পর পরই সোমবার ৯ অক্টোবর নদিয়া জেলায় হানা দিয়েছিল। এর আগে কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম সাহার বাড়ি গিয়ে দীর্ঘক্ষণ জেরা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। বেশ কিছু তথ্য বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার এই দুর্নীতি কাণ্ডের যোগ সূত্র মিলল রাইস মিলে। সেখানেও বুধবার সাত সকালে পৌঁছে গেল ইডি। শান্তিপুর সহ পাঁচ জায়গায় হানা দিল ইডি।

    চালকলে কেন হানা দিল ইডি? (ED)  

    গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগের সূত্র ধরে তদন্তকারী আধিকারিকরা বীরভূমের বোলপুরে রাইস মিলে হানা দিয়েছিলেন। সেখান থেকে বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করেছিলেন। এবার পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে ধৃত একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হওয়া নথি থেকে তদন্তকারীরা (ED) জানতে পেরেছেন, দুর্নীতির টাকার একটা অংশ ওই চালকলে বিনিয়োগ করা হয়েছে। পুর-নিয়োগ মামলায় নদিয়ার শান্তিপুরে হানা দিল ইডি। শান্তিপুরে একটি রাইস মিলে গিয়েছেন তদন্তকারীরা। বুধবার সকালে আচমকা ওই রাইস মিলে হানা দেন ইডির গোয়েন্দারা। আপাতত ওই চালকলের গেট বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গোটা চালকল ঘিরে রয়েছে কেন্দ্ৰীয় বাহিনী। পাশাপাশি আরও কয়েকটি জায়গায় ইডি হানা দিয়েছে বলে খবর।

    কোন কোন জায়গায় ইডি হানা দেয়?

    ইডি সূত্রে খবর, বুধবার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে ইডি (ED) আধিকারিকরা নদিয়া জেলায় যান। পাঁচটি আলাদা দল ভাগ হয়ে তাঁরা জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় একযোগে হানা দেন। জানা গিয়েছে, এদিন  শুধু নদিয়া জেলাতেই বুধবার সকালে একযোগে পাঁচ জায়গায় হানা দিয়েছে তাদের পাঁচটি দল। শান্তিপুর, ধুবুলিয়া, রানাঘাট, কৃষ্ণনগরে ইডি আধিকারিক তল্লাশি চালায়।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: পুলিশের সামনেই বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Cooch Behar: পুলিশের সামনেই বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতার উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছ কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি নেতার নাম জয়দীপ ঘোষ। কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রয়েছে তাঁর। তারপরও বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    মঙ্গলবার কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা-২ ব্লকের শুকারুরকুঠি গ্রাম পঞ্চায়েতে দলীয় কর্মসূচি ছিল। সেই কর্মসূচি সেরে জয়দীপবাবু গাড়ি করে বাড়ি ফিরছিলেন। শুকারুরকুঠি থেকে দিনহাটায় ফেরার পথে নটকোবারি বাজার এলাকায় একদল দুষ্কৃতী তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ওই বিজেপি নেতার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কোচবিহারের এই বিজেপি নেতা কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। জয়দীপ ঘোষের গাড়ি নটকোবারি বাজার এলাকায় ঢুকতেই একদল দুষ্কৃতী তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে অতর্কিতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলের অদূরেই পুলিশকর্মীরা থাকলেও, পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে সেই সময় কোনও পদক্ষেপ করেনি বলেও ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন বিজেপি নেতা।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি নেতা?

    কোচবিহার (Cooch Behar) জেলার বিজেপি নেতা জয়দীপ ঘোষ বলেন, কর্মসূচি থেকে ফেরার পথে কিছু মানুষ জমায়েত হয়ে আক্রমণ করে এবং গাড়ি ভাঙচুর করে। তারা ভাবছে, এভাবে বিজেপিকে আটকাবে। কিন্তু এভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। যে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে, তারা তৃণমূল আশ্রিত। কোনওভাবে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর সাহায্যে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে বেরিয়ে এসেছি। থানায় অভিযোগ করেছি। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    হামলা প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দীপক ভট্টাচার্য বলেন, সাধারণ মানুষরা একশো দিনের কাজের টাকা পাচ্ছেন না, তাঁদের ক্ষোভ-রাগের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে। তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। মহিলারা হাতে ঝাঁটা নিয়ে বিজেপির নেতাকে তাড়া করেছেন। আর ওই বিজেপি নেতা এসব ঢাকতে ওই বিজেপি নেতা তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন। তাঁর আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: বিপর্যয়ের পর খোঁজ নেই স্বামীর, সিকিমের পথে জলপাইগুড়ির বধূ

    Sikkim Disaster: বিপর্যয়ের পর খোঁজ নেই স্বামীর, সিকিমের পথে জলপাইগুড়ির বধূ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমের লোনাক লেক বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) পর বিপন্ন সেখানকার জনজীবন। মঙ্গলবার পর্যন্ত যা খবর পাওয়া গিয়েছে, তাতে সব মিলিয়ে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যু হয়েছে ৭৬ জনের। এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ। সেই সংখ্যাটা ঠিক কত, তা নির্দিষ্ট ভাবে বলতে পারছে না প্রশাসন। তবে আবহাওয়ার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজ চলছে জোরকদমে। নিখোঁজের তালিকায় নাম রয়েছে জলপাইগুড়ির রাঙালির বাসিন্দা ঋষিকেশ রায়ের। তিনি সিকিমে কর্মরত। সিকিমে বিপর্যয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযাগ করতে পারছেন না স্ত্রী খুশি রায়। স্বামীর খোঁজে রওনা দিয়েছেন সিকিমের পথে।

    শেষ কথা ৩ অক্টোবর, সাতদিন ধরে নিখোঁজ (Sikkim Disaster)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, খুশির স্বামী ঋষিকেশ থাকেন মঙ্গানে। গত পাঁচ বছর ধরে তাঁর স্বামী সিকিমে অবস্থিত ওই সংস্থায় কর্মরত। তিস্তা উর্জা লিমিটেড নামে সংস্থায় কর্মরত তিনি। রোজ দিন পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা হত তাঁর। সিকিমে বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) আগে শেষ বার কথা হয়েছে তাঁদের। কিন্তু ঋষিকেশের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওদের কোম্পানির ১৪ জন এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ বলে জানতে পেরেছে পরিবারের লোকজন। তবে, ঋষির কোনও খোঁজ নেই। শেষ কথা হয়েছিল ৩ অক্টোবর, রাত ১২টা ১৫ মিনিটে। তার পর সাত সাতটি দিন পেরিয়ে গিয়েছে। বার বার ফোন করে গিয়েছেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু সিকিমে কর্মরত ঋষিকেশ রায়ের কোনও খোঁজ পাননি তাঁরা। নানা ভাবে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছেন।

    কী বললেন নিখোঁজ যুবকের স্ত্রী?

    বাড়িতে বসে থেকে ফোনে এ ভাবে আর পারছেন না। চোখেমুখে উদ্বেগ নিয়ে সিকিম রওনা দিলেন জলপাইগুড়ির রাঙালির বাসিন্দা খুশি। বাসে করে সিকিমের পথে রওনা দেন। তিনি বলেন,  ৩ অক্টোবর প্রায় মাঝ রাত পর্যন্ত স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছে। তখনও টের পাইনি সিকিমের এই বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) কথা। তাই রাস্তা একটু ঠিকঠাক হয়েছে শুনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছি। আমার বিশ্বাস, ও ভাল আছে। ওখানে তাঁকে ঠিক খুঁজে বের করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share