Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Abhishek Banerjee: হাইকোর্টের কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি! রাতেই ইডি দফতরে গেল অভিষেকের নথি

    Abhishek Banerjee: হাইকোর্টের কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি! রাতেই ইডি দফতরে গেল অভিষেকের নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার রাত বারোটার আগেই ইডির কাছে যাবতীয় নথি জমা করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারে উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল যে ১০ অক্টোবরের মধ্যে নথি যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জমা না করেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারবে ইডি।  মনে করা হচ্ছে কলকাতা হাইকোর্টের এই কড়া নির্দেশের পরেই তড়িঘড়ি নথি জমা করতে উদ্যোগী হন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।

    ইডির অভিযোগ 

    ইডি তরফে আদালতে এদিন অভিযোগ জানানো হয় যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে নির্দেশ মানছেন না এবং তাঁর কাছ থেকে কোনও নথিও জমা দেওয়া হয়নি। সেইমতো বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) আদালতের নির্দেশ না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত সময়সীমাও বেঁধে দেয় কোর্ট। এদিন দুই ব্যক্তিকে নথি হাতে ঢুকতে দেখা যায় ইডি দফতরে।

    গত সপ্তাহেই হাজিরা এড়াতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক 

    ইডি অফিসে নথি জমা দেওয়া সংক্রান্ত মামলার শুনানি গত সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টে সম্পন্ন হয়েছিল। বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। মামলার শুনানিতে চলতি মাসের ৫ তারিখে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল যে সমস্ত নথি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) জমা দিতে হবে এবং তার সময়সীমা হাইকোর্ট নির্ধারণ করেছিল ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। গত সপ্তাহেই সিঙ্গল বেঞ্চের পর্যবেক্ষণের ব্যাখ্যা চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে যান অভিষেক। সেখানেই বিচারপতি অভিষেকের আইনজীবী বলেন, ‘‘মাথায় রাখবেন, এটা কোনও সরাসরি তদন্ত নয়। কোর্টের নজিরদারিতে তদন্ত চলছে। তাই সিঙ্গল বেঞ্চ এটা করতে পারে। তদন্তের প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থার কাছে জবাব চাইতেই পারে সিঙ্গল বেঞ্চ। এমনকি, কোর্টের নজরদারিতে তদন্ত চললে আদালত যদি তদন্তকারী সংস্থার রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হয়, তবে নতুন নির্দেশও দিতে পারেন বিচারপতি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মমতার পুলিশ ধর্ষকদের সুরক্ষা দেয়’, কামদুনি ইস্যুতে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘মমতার পুলিশ ধর্ষকদের সুরক্ষা দেয়’, কামদুনি ইস্যুতে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামদুনি আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিতে মঙ্গলবার মিছিল করল বিজেপির মহিলা মোর্চা। সেই মিছিলে পা মেলালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আদালতের রায়ে একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। আর বাকি দুজনকে ফাঁসির পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালতের এই রায়ের পরই ফের কামদুনিতে নতুন করে আন্দোলনের আগুন জ্বলতে শুরু করেছে। এমনিতেই এদিন বিজেপির মিছিল হবে বলে আগে থেকে এলাকায় তৃণমূল দলীয় পতাকায় মুড়ে দিয়েছিল। পরে, বিজেপি কর্মীরাও পাল্টা গোটা এলাকা জুড়ে দলীয় পতাকায় মুড়ে দেয়।

    মুখ্যমন্ত্রীকে কী বললেন শুভেন্দু ? (Suvendu Adhikari)

    এদিন মিছিল থেকেই কামদুনি ইস্যুকে মুখ্যমন্ত্রী নিশানা করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘মৌসুমী, টুম্পা বা বাকিদের জন্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়নি। নিরাপত্তার ব্যবস্থা হয়েছে, যারা ধর্ষক তাদের বাড়ির সামনে পুলিশ পোস্টিং হয়েছে। তাদের বাড়ির সামনে পুলিশ মোতায়েন হয়েছে।  তাদের সুরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রমাণ হয়ে গেল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, তাঁর পুলিশ ধর্ষকদের সুরক্ষা দেয়। তাই বিজেপির এই মহিলা মোর্চা আজকের এই আন্দোলন নয়, আগেও সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে এখানে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব উপস্থিত ছিল। আজ আমরা হেঁটে গেলাম।’

    সুপ্রিম কোর্টে মামলা নিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘সোমবার আমরা পরিবারের সঙ্গে এবং যাঁরা প্রতিবাদী নারী মৌসুমী-টুম্পার সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। রাজ্য সরকারের এসএলপির উপর নির্ভর না করে, তাঁরা যদি সুপ্রিম কোর্টে যান, আমরা নিশ্চিত উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে এই ধর্ষকরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবে। আমাদের যে বোনটিকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে, তাঁর আত্মা শান্তি পাবে।’

    এদিকে সিআইডি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে ফের গর্জে উঠেছে কামদুনি। কলকাতা থেকে কামদুনিতে মিছিল। ভিক্টোরিয়া হাউস থেকে গাঁধী মূর্তি পর্যন্ত মিছিলে কামদুনির প্রতিবাদীদের সঙ্গে পা মেলালেন নামমাত্র বিশিষ্ট। দেখা গেল না বেশিরভাগকেই। পতাকা দূরে সরিয়ে হাঁটলেন বাম-কংগ্রেস নেতারাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: মিটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপি বুথ সভাপতিকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Paschim Medinipur: মিটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে বিজেপি বুথ সভাপতিকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির বুথ সভাপতিকে মারধর করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলার চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের বান্দিপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোতাখালি এলাকায়। জখম বিজেপি কর্মীর নাম বাবলু দোলই। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Paschim Medinipur)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘনরামপুর বুথে ৬ টি বুথকে নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক ছিল, ভোতাখালি ২৮২ নং বুথের বিজেপির বুথ সভাপতি বাবলু দোলই ঘনরামপুর বুথে মিটিং সেরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেসময় রাস্তায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে ঘিরে ধরে এবং কেনো এলাকায় বৈঠক করছিল তা জানতে চায়? এরপরই উভয়ের মধ্যে বচসা থেকে বিজেপির বুথ সভাপতির উপর চড়াও হয়ে মারধর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় জখম বুথ সভাপতিকে উদ্ধার করে চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতাল স্থানান্তরিত করা হয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এবিষয়ে বিজেপির চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের কনভেনার রাজীব পাল বলেন, সাংগঠনিক বৈঠক সেরে বাড়ি ফেরার পথে তাদের বুথ সভাপতির উপর অতর্কিতে আক্রমণ করে মারধর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। বিজেপিকে এভাবে আটকানো যাবেনা,বুথ সভাপতি হাসপাতাল থেকে ফিরলেই থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে বলে জানান তিনি।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    অপরদিকে, তৃণমূলের দিকে তোলা বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বান্দিপুর-২ অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নীলকমল পন্ডিত। পাল্টা তিনি বিজেপির বিরুদ্ধে এলাকায় উস্কানি দিয়ে অশান্তি সৃষ্টির অভিযোগ তুলে বলেন, বিজেপির বুথ সভাপতি মদ্যপ অবস্থায় ছিল। বাড়ি ফেরার পথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করলে স্থানীয় মানুষ প্রতিবাদ করেন। তাদের উপর চড়াও হয় ওই বুথ সভাপতি। স্থানীয় মানুষ তাকে ধরে দুতিন থাপ্পড় দিয়ে সরিয়ে দেন। এতে তৃণমূলের কেউ জড়িত নই। মিথ্যা অভিযোগ করছেন বিজেপির বুথ সভাপতি, দাবি তৃণমূল নেতার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ব্যবসার বখরা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল বালি, গ্রেফতার ৪২

    TMC: ব্যবসার বখরা নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল বালি, গ্রেফতার ৪২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তাল বালির নিশ্চিন্দা থানার কালিতলা সাহেববাগান বাগান এলাকা। ব্যবসার বখরা নিয়ে প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলার শুরু হয়, এরপরে জল গড়ায় হাতাহাতি, মারামারি এবং ভাঙচুর পর্যন্ত। এই সংঘর্ষ থামাতে এলাকায় পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে উত্তেজনা থামাতে বেলুর, লিলুয় থানার পুলিশকেও মাঠে নামতে হয়। ইতি মধ্যে ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ৪২ জন। এলাকাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নামানো হয়েছে বিশাল র‍্যাফ বাহিনী।

    কিভাবে ঘটল ঘটনা (TMC)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালিতলা-সাহেব বাগান এলাকার তিন তাবড় তৃণমূল (TMC) নেতাদের মধ্যে হলেন, খোকন গায়েন, ষষ্ঠী গায়েন এবং অসিত গায়েন। তিনজনেই বিশেষ সম্পর্কে ভাই তাঁরা। মূল বিবাদ হয় খোকন-ষষ্ঠীর সঙ্গে অসিতের। সোমবার ঠিক সন্ধ্যার সময় ব্যবসার বখরা নিয়ে প্রথমে মিটিং হয়। এরপর এক গোষ্ঠী অপর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক হয়ে পড়ে। শুরু হয় ব্যাপক হাতাহাতি। অসিত নিজে দারুণ ভাবে আহত হন এবং তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রে আরও জানা গেছে ঘটনার জেরে এক পানশালায় ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। সেখানে আসা অনেক মানুষ আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে। ষষ্ঠী গায়েন বলেন, “আমি বিষয় সম্পর্কে কিছু জানিনা। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।”

    পুলিশের ভূমিকা

    এলাকায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে উত্তেজনা ছড়ালে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আশে পাশের থানা থেকেও প্রচুর পুলিশ নামানো হয়। ৪২ জনকে এই ঘটনায় ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাতের উত্তেজনা কমলেও, মঙ্গলবার সকলে ফের আক্রান্ত গোষ্ঠীর মহিলারা অপর পক্ষের বাড়িতে হামলা করে। পরিস্থিতিকে ক্ষতিয়ে দেখতে এলাকায় পৌঁছান তৃণমূল বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ।

    বিধায়কের বক্তব্য

    ডোমজুড়ের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, “পুলিশ এলাকায় ভালো করে কাজ করছে না। সমাজ বিরোধীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এখানে প্রার্থী হয়েছিল অসিত গায়েন। বিজেপির চক্রান্তে এখানে এই গোলমালের ঘটনা ঘটেছে। প্রশাসনকে বলব দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি দিক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: হাওড়ায় বন্দে ভারতে উঠতে গিয়ে বিপত্তি! মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন যাত্রী

    Vande Bharat: হাওড়ায় বন্দে ভারতে উঠতে গিয়ে বিপত্তি! মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন যাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার সাত সকালে হাওড়া স্টেশনে বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসে যে ঘটনা ঘটল দেখে কার্যত হতবাক রেল কর্মী থেকে যাত্রী সকলেই। এভাবে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার জন্য স্টেশনে কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মী বিনোদকুমার চৌধুরীকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলে। আর বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সেই যাত্রী এখনও বেঁচে ফিরে আসার অভিজ্ঞতা ভাবলেই আঁতকে উঠছেন। আপাতত তাঁকে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রেলের আধিকারিকরা বলছেন, ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে ওঠার ব্যাপারে রেলের তরফে বারবার যাত্রীদের সতর্ক করা হচ্ছে, তা সত্ত্বেও একশ্রেনির যাত্রীদের হুঁশ ফিরছে না।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মঙ্গলবার সকালে হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সের ২১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাড়িয়েছিল হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat)। সকাল ৬টা ১০ মিনিটে ছাড়া কথা ছিল ট্রেনটির। সেই মতোই ট্রেনটি পুরীর উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল। ট্রেনটি নির্দিষ্ট সময়ে প্ল্যাটফর্ম ছাড়ার সময়ই দাঁড়িয়েছিল। ট্রেনটি নির্দিষ্ট সময়ে প্ল্যাটফর্ম ছাড়ার সময়ই বিপত্তি ঘটে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে উঠতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন এক যাত্রী। চলন্ত ট্রেনে ওঠার সময় ওই যাত্রীর পা পিছলে যায়। পড়ে গিয়ে তাঁর একটি পা ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্মের মাঝখানে আটকে যায়। একটি ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্মের মাঝে পা আটকে যায় তাঁর। ওই যাত্রী মরিয়া হয়ে পা বার করে আনার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে ঘষা খেয়ে কয়েক মিটার এগিয়ে যান তিনি। সেই দৃশ্য দেখতে পেয়ে ওই যাত্রীকে বাঁচাতে ছুটে আসেন স্টেশনে কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মী বিনোদকুমার চৌধুরী। ট্রেনের ভিতর থেকেও এক জন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। টেনে তোলেন ওই যাত্রীকে। অল্পের জন্য রক্ষা পান ওই যাত্রী।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা কী বললেন?

    উচ্চগতির বন্দে ভারত ট্রেন (Vande Bharat) তখন সবেমাত্র স্টেশন ছেড়েছে, আর লাগেজ কাঁধে সেই চলন্ত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করছিলেন ওই যাত্রী। চোখের সামনে দেখলাম, ওই যাত্রী পা হড়কে প্রায় ট্রেনের ভিতর দিয়ে ঢুকে যাচ্ছেন। কর্তব্যরত আরপিএফ অফিসার ছুটে গিয়ে তাঁকে রক্ষা করেছেন। না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar Snake Recover: বাড়ির গর্ত থেকে উদ্ধার ২২টি কেউটে সাপ! তীব্র উত্তেজনা জয়নগরে

    Jaynagar Snake Recover: বাড়ির গর্ত থেকে উদ্ধার ২২টি কেউটে সাপ! তীব্র উত্তেজনা জয়নগরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেবারে গর্তের মধ্যে কিলবিল করছে ২২ টি কেউটে সাপ (Jaynagar Snake Recover)। দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের বকুলতলা থানায় এলাকায় মিনতি রুইদাসকে একটি সাপ ছোবল দেয়। এরপর আহত এই মহিলাকে জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে সাপের কামড়ের ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এলাকার মানুষ, সাপকে না মেরে সর্প উদ্ধারকারীকে খবর দেয় এবং এরপর একসঙ্গে ২২ টি সাপ উদ্ধার হয়। উদ্ধারকৃত সাপগুলি রীতিমতো কিলবিল করছিল।  

    সাপ দেখলেই একেবারে আঁতকে ওঠার উপক্রম হয়। গা ছমছম করে ওঠে। তবে সব সাপের বিষ যে থাকে এমনটাও নয়। সাপ দেখলেই মানুষের মধ্যে একপ্রকার আতঙ্ক তৈরি হয়ে যায়। একই ভাবে সাপও মানুষের উপস্থিতিতে ভয়ার্ত হয়ে যায়।

    উদ্ধার ২২ টি কেউটে সাপ (Jaynagar Snake Recover)

    বকুলতলা থানা এলাকায় মিনতি রুইদাসকে কেউটে সাপ (Jaynagar Snake Recover) কামড়ালে, এলাকার মানুষ সর্পপ্রেমী সমরেন্দ্র চক্রবর্তীকে খবর দেয়। কারণ বাড়ির লোকজনের সন্দেহ ছিল আরও সাপ রয়েছে। ঘটনায় বাড়ির লোকজন একেবারে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। এরপর সমরেন্দ্রবাবু সাপগুলিকে মারার বদলে উদ্ধার করেন। বাড়ির সীমানায় এক গর্ত থেকে ২২টি কেউটে সাপ উদ্ধার করেন তিনি। রীতিমতন নিজের জীবনকে সঙ্কটের মধ্যে ফেলে, এই সাপগুলিকে উদ্ধার করেন তিনি। সাপকে উদ্ধার করে আপাতত একটি জারের মধ্যে প্রাথমিকভাবে রাখা হয়। এরপর দক্ষিণ ২৪ পরগণার বনদফতরে খবর দিয়ে সাপগুলিকে হস্তান্তর করা হয়। পরে বনদফতরের কর্মীরা সাপগুলিকে নিয়ে সংরক্ষিত উদ্যানে ছেড়ে দেয়।

    সর্পপ্রেমীর বক্তব্য

    প্রকৃতির বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় সাপের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কেউটে সাপ ধরে সর্পপ্রেমী সমরেন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “আমি সাপগুলিকে মারতে নিষেধ করি। সাপ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই সাপকে বাঁচিয়ে রাখা পরিবেশের জন্য একান্ত প্রয়োজন। এরপর সাপগুলিকে (Jaynagar Snake Recover) উদ্ধার করে বনদফতর বিভাগ নিয়ে যায়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: স্কুল গেটের বাইরে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা, কেন জানেন?

    Murshidabad: স্কুল গেটের বাইরে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পায়ের তলায় জল। স্কুল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে হাতে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা। এমনই চিত্র দেখা গেল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা ব্লকের নয়নশুক পঞ্চায়েতের দীপচন্দ্রপুর হাজারপুর জুনিয়র হাইস্কুলে। রাজ্যে ‘কন্যা’দের পড়াশোনার অগ্রগতির জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। সেই পড়ুয়াদের স্কুলের বেহাল রাস্তা ও নিকাশি সংস্কারের দাবিতে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ এলাকার মানুষ কখনও দেখেননি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেয় পড়ুয়ারা।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    অতিবৃষ্টির পর থেকে রাজ্যের একাধিক স্কুলের ভেতর জলা জমার চিত্র উঠে এসেছে। অনেক জায়গায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) স্কুলের বেহাল দশার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকরাও। এই স্কুলের ভিতরে হাঁটু সমান জমা জল। সেই জমা জল দিয়েই স্কুলে ঢুকতে বাধ্য হচ্ছে ছাত্র- ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলকেই।  প্রশাসনকে বলেও কোনও কাজ হয়নি। আর ঠিক তারই প্রতিবাদে হাতে ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ পড়ুয়াদের। সঙ্গে জমা জলে ছোট নৌকা চালিয়ে মাছ ধরে অভিনব কায়দায় বিক্ষোভ দেখাল স্কুল পড়ুয়া ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

    স্থানীয় অভিভাবকদের কী বক্তব্য?

    ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের অভিযোগ, টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির ফলে স্কুলের ভিতরে ও বাইরে ব্যাপক জল জমে রয়েছে। ফলে ওই জল পেরিয়ে স্কুলের পড়ুয়াদের স্কুলে আসতে হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও ওই জল পেরিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছে। বারবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই, রাস্তা নেমে আন্দোলন করা ছাড়া উপায় ছিল না। আর পড়ুয়াদের সমস্যা বলে তাঁরা নিজেরা পোস্টার নিয়ে আন্দোলনে সামিল হয়।

     বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক- শিক্ষিকাদের কী বলেন?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) স্কুলের এরকম বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক- শিক্ষিকারাও। তাঁদের বক্তব্য, এরকম জল জমলে তো আমাদের আসা যাওয়ার অসুবিধা হচ্ছে। এমনিতেই জেলায় ডেঙ্গি বাড়ছে। স্কুলের ভিতরে এবং রাস্তায় জমা জল থাকলে ডেঙ্গি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি অবিলম্বে দেখা দরকার। কিন্তু, সব জায়গায় জানিয়েও আমরা লাভ পায়নি। তাই, এইভাবে প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা অরুণময় দাস বলেন, বৃষ্টির কারণেই এই জল জমার সমস্যা তৈরি হয়েছে। এখানে নিকাশি ব্যবস্থার কিছু সমস্যা আছে। সেই কারণেই জল জমে থাকছে। নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করলে অনেকটা সমস্যা মিটবে। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: আমফানের পর চার বছর ধরে ক্লাস চলছে গাছতলায়! ঘুম ভাঙেনি প্রশাসনের

    South 24 Parganas: আমফানের পর চার বছর ধরে ক্লাস চলছে গাছতলায়! ঘুম ভাঙেনি প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে শাসক দলের নেতারা বারবার বলেন ‘উন্নয়ন রাস্তায়’। কিন্তু উন্নয়ন কতটা কঙ্কাল সার শূন্য, তার বাস্তব চিত্র চোখে পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) নামখানার এক প্রত্যন্ত স্কুলে। প্রায় চার বছর ধরে কখনও গাছ তলায়, কখনও ভাঙা স্কুলের বাইরের দালানে, আবার কখনও রান্না ঘরের বারান্দায় চলছে পড়াশুনা। ছাত্রদের কোনও ক্লাসের ঘর নেই!। প্রশাসনের কাছে বার বার জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। প্রশাসন নির্বিকার, এলাকায় দেখা মেলে না নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের।

    আমফানের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ত্রাণের ত্রিপল, চাল, ঘরের টাকা, প্রয়োজনীয় ঔষধের টাকা চুরির অভিযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। এলাকার উন্নয়নের টাকায় তৈরি হয়েছে তৃণমূল নেতাদের বাড়িঘর-গাড়ি। কেউ বানিয়েছেন লাভ বাড়ি আবার কেউ তৈরি করেছেন সুবিশাল জাহাজ বাড়ি। কিন্তু এই উন্নয়নের জোয়ারে চাপা পড়ে গেছে সরকারি স্কুলঘর। এখনও তৈরি হলনা ছাত্রছাত্রীদের জন্য ক্লাস ঘর। তাই এলাকার মানুষ, স্কুল ঘর তৈরি নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিলেন।

    নেই স্কুল ঘরের কোনও চাল (South 24 Parganas)!

    দেখতে দেখতে আমফান ঝড়ের চার বছর পূর্ণ হয়ে গেল। আমফানে উড়েছে স্কুলের চাল, নেই ঘরের মধ্যে বসে ক্লাস করার মতন উপযুক্ত পরিবেশ। স্কুলের বেহাল দশা নিয়ে প্রশাসন নির্বিকার। ছাত্রছাত্রীরা কখনও গাছ তলায়, কখনো ভাঙা স্কুলের দালানে বসে কষ্ট করে পড়াশুনা করে। এইরকম বেহাল পরিস্থিতির শিকার হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার নামখানা ব্লকের দ্বারিক নগর ভিআই লেলিন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। দ্বারিক নগর এলাকার এই স্কুলটির সকালে আইসিডিএস অর্থাৎ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং বেলা ১১ টা থেকে এসএসকে অর্থাৎ শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা হয়। স্কুলের পাশে রয়েছে ১২ ফুট বাই ১৪ ফুট একটি রান্নাঘর, রান্না ঘরের সামনে রয়েছে একটি ছোট্ট বারান্দা, আর সেই বারান্দার মাপ বড়জোর ৬ফুট বাই ১৪ ফুট।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    আমফান ঝড়ে মূল স্কুলটির (South 24 Parganas) টিনের চাল উড়ে যায়। আর তারপর থেকে আজও ২০২৩ -এর অক্টোবরে এসে গেলেও স্কুলের কোনও সংস্কার হয়নি। এলাকাবাসী তাপসী নাইয়া বলেন, “স্কুলের ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের গাছ তলায় বসে পড়াশুনা করতে হয়। বৃষ্টিবাদল হলে ভাঙা স্কুলের বারান্দায় বসে পড়াশোনা সারতে হয় তাদের।” এছাড়া আরও এক ছাত্রের অভিভাবক সম্ভু দাস বলেন, “স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার লিখিত দিয়েও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। আন্দোলন করে এখনও পর্যন্ত সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়নি।”

    স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বক্তব্য

    এসএসকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা উষাবাজ (South 24 Parganas) বলেন, “গত কয়েক মাস আগে স্কুল সারাই করার জন্য লোক এলেও, গ্রামের লোকজন বা অভিভাবকরা এই কাজ করতে দেননি। গ্রামের লোকজনের দাবি পাকাপোক্ত কংক্রিটের ছাদ করতে হবে। কারণ সিমেন্টের টিনে তৈরি বাড়িতে তাঁদের ভরসা নেই। এই কথা সমর্থন করেছেন নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিষেক দাস, তবে তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, “কিছুদিনের মধ্যেই চেষ্টা করবেন যাতে স্কুলের কাজ করা যায়।”

    কিন্তু প্রশ্ন হল বিগত দিনেও প্রশাসন একইভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, আবার প্রতিশ্রুতি! এবার কি প্রতিশ্রুতি মত কাজ হবে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: প্রধানের কাছে ত্রিপল চেয়ে তৃণমূল কর্মীর জুটল মার, শাসক দলের কীর্তি দেখে তাজ্জব এলাকাবাসী

    Murshidabad: প্রধানের কাছে ত্রিপল চেয়ে তৃণমূল কর্মীর জুটল মার, শাসক দলের কীর্তি দেখে তাজ্জব এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের প্রধানের কাছে ত্রিপল চাইতে গিয়ে এরকম ভয়ানক পরিণতি হবে তা স্বপ্নেও ভাবেননি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সাগরদিঘি ব্লকে গোবর্ধনডাঙা এলাকার বাসিন্দা শিলু মণ্ডল। যারা ভোট দিয়ে পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় এনেছিলেন, সেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে দলের পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে এভাবে হামলা চালানোর ঘটনা ঘটবে তা এলাকার মানুষও ভাবেননি। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টির কারণে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গোবর্ধনডাঙা অঞ্চলের কয়েকটি মাটির বাড়ি ভেঙে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্তরা স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শিলু মণ্ডলকে বিষয়টি জানান। তিনি প্রধানকে ফোন করে ত্রিপলের জন্য আবেদন জানান। প্রধানের স্বামী স্বপন হাঁসদা ফোন তুলে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এতে দুপক্ষের মধ্যে বচসা হয়। এরপরই প্রধান ও তাঁর স্বামী দলবল এনে ওই তৃণমূল কর্মীকে পাড়ার সকলের সামনে বেধড়ক মারধর করেন বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁর স্ত্রী মমতা মণ্ডল স্বামীকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও বেধড়ক পেটানো হয়।

    আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীর কী বক্তব্য?

    আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী শিলু মণ্ডল বলেন, সামান্য ত্রিপলের জন্য এভাবে প্রধান দলবল নিয়ে এসে হামলা চালাবে তা ভাবতে পারিনি। এলাকার মানুষের জন্য আমি কাজ করেছি। এটাই আমার অপরাধ। যাদের ভোট পেয়ে তৃণমূল বোর্ড গঠন করল তারা এভাবে হামলা চালাল। দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছি। থানায় অভিযোগ জানিয়েছি।

    অভিযুক্ত প্রধানের কী বক্তব্য?

    পঞ্চায়েত প্রধান পার্বতী হাঁসদা বলেন, আমি টোটো করে বাড়ি ফিরছিলাম। রাস্তা আটকে আমাকে ওরা ত্রিপল চাওয়ার কথা বলে। আমি পঞ্চায়েতে আবেদন জানাতে বলি। কিন্তু, ওরা তা না শুনে আমার উপর চড়াও হয়। আমার স্বামী বাধা দিতে গেলে তাঁকে ওরা মা়রধর করে। আসলে ওরা মদের ঠেক চালায়। আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম বলে ওরা এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Crocodile: মাঝরাতে দুয়ারে দাঁড়িয়ে ওটা কী! ১০ ফুটের কুমির দেখে থ কালনাবাসী

    Crocodile: মাঝরাতে দুয়ারে দাঁড়িয়ে ওটা কী! ১০ ফুটের কুমির দেখে থ কালনাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাড়ার মধ্যে রাস্তায় থাকা সরমেয়রা তারস্বরে চিৎকার করছিল। মাঝ রাতে পাড়ায় চোর ঢুকেছে ভেবে অনেকে বাড়ির দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন। অনেকে আবার সারমেয়দের চিৎকার থামাতে ঘর থেকে বের হন। একেবারে পাড়ার রাস্তার মধ্যে ১০ ফুট লম্বা কুমির (Crocodile) দেখে এলাকাবাসী তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন। সারমেয়দের সঙ্গে মাঝরাতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসা লোকজনও প্রচণ্ড চিৎকার করতে থাকেন। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে রাস্তাতে কুমির দেখে হতবাক হয়ে পড়েন। সোমবার রাত দেড়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনা ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পালপাড়া এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Crocodile)

    এমনিতেই কয়েকদিন আগে অগ্রদ্বীপের কালিকাপুর ফেরিঘাট খুলতে এসে অভিজিৎ হালদার নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা গঙ্গার চরে ১২ ফুট লম্বা কুমিরকে শুয়ে থাকতে দেখেছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হতেই কুমির দেখতে ভিড় উপচে পড়েছিল। পরে, বন দফতর এসে কুমিরটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এর আগেও গঙ্গার ধারে কুমির আসা নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল। এই সব ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার কালনায় পাড়়ার মধ্যে কুমির (Crocodile) ঢুকে যাওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। রাত দেড়টা নাগাদ পালপাড়ায় কুমির দাপিয়ে বেড়ানোর খবর জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ভয়ে দরজা, জানলা লাগিয়ে ঘরবন্দি হয়ে বসে থাকেন। আর অনেকেই সারা রাত জেগে রাত পাহাড়া দিয়েছেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এতদিন গঙ্গায় কুমির (Crocodile) দেখা গিয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু, এভাবে বাড়ির দরজায় এতবড় কুমির হাজির হবে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। কালনার বন দফতরের কর্মী, পুলিশ প্রশাসন এসে দড়ি দিয়ে এলাকাটি ঘিরে দেয়। রাত ভর ভিড় ছিল। সকাল হতেই পিল পিল করে মানুষ কুমির দেখতে ভিড় করে। তবে, এই ঘটনার পর থেকে এই এলাকার মানুষ চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। সন্ধ্যা নামলেই ভয়ে কেউ আর বাড়়ির বাইরে বের হওয়ার সাহস দেখাবে না। প্রশাসনের অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।

    বন দফতরের কী বক্তব্য?

    বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি জানার পরই কুমিরটিকে (Crocodile) উদ্ধার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কীভাবে কুমির লোকালয়ে এল তা জানার চেষ্টা হচ্ছে। আমরা সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share