Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • CBI: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘প্রাণভোমরা’ হাতে এল সিবিআইয়ের, কী তা জানেন?

    CBI: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘প্রাণভোমরা’ হাতে এল সিবিআইয়ের, কী তা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায়ে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘প্রাণভোমরা’ হাতে এল সিবিআইয়ের (CBI)। আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির লোন রেজিস্টার পেয়ে গেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আলিপুরদুয়ার শহরে ঢাকেশ্বরী মোড়ে মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির অফিস থেকে এই লোন রেজিস্টার উদ্ধার হয়েছে। এই তথ্য তদন্তে অনেকটাই সাহায্য করবে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    কী রয়েছে লোন রেজিস্টারে? (CBI)

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই (CBI) কর্তাদের একটি বড় দল মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির অফিসে যান। সমবায় সমিতির হিসাব রক্ষক রীনা স্যান্নাল ও সম্পাদিকা রুপা গুহ রায়কে নিয়ে সিবিআই কর্তারা সমবায় সমিতির অফিসে যান। পরে সেখানে সমবায়ের দুই লোন ক্লার্ক  সঞ্জীব দাস ও পঙ্কজ গুহ আচার্যকেও ডেকে পাঠায় সিবিআই। সেখানে প্রথমে অফিস বিল্ডিংয়ের মালিকের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই কর্তারা। তারপর চাবি এনে সমবায় সমিতির অফিসে ঢোকেন তাঁরা। সেখানে দীর্ঘক্ষণ তল্লাসি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। অফিস থেকে লোন রেজিস্টার উদ্ধার করেন তদন্তকারিরা। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়,  উদ্ধার লোন রেজিস্টারে এই সমবায় সমিতির ২০ বছরের কার্যকালের মধ্যে কাকে কতটাকা লোন দেওয়া হয়েছে তার সবই আছে। সেগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই লোন রেজিস্টার থেকেই কারা কারা এই সমবায় থেকে ঋণ নিয়ে ঋণ শোধ করেননি সেই তালিকাও পেয়ে যাবেন সিবিআই কর্তারা।

    প্রথম অভিযোগকারীর কী বক্তব্য?

    গুরুত্বপূর্ণ এই নথি উদ্ধারের নিয়ে এই মামলায় প্রথম অভিযোগকারী আরটি আই কর্মী অলোক রায় বলেন, আমরা সিবিআই (CBI) তদন্তে আশাবাদী। এবার সিবিআইয়ের পদক্ষেপ করতে সুবিধে হবে। হাতে গরম প্রমাণ পেয়ে গিয়েছে সিবিআই। আমরা চাই টাকা উদ্ধার হোক। প্রতারিত গরীব মানুষেরা টাকা ফেরত পাক। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ১৮ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির যাত্রা শুরু হয়। প্রায় ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ২০২০ সালে এই সমবায় সমিতির ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায়। লোন রেজিস্টার খাতা পেয়ে সিবিআই কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন প্রতারিতরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ের পর তিস্তার চর এখন মরণফাঁদ! কেন জানেন?

    Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ের পর তিস্তার চর এখন মরণফাঁদ! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমে বিপর্যয়ের পর (Sikkim Disaster) তিস্তার চর এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সিকিমের বিপর্যয়ে ভেসে গিয়েছে সেনা ছাউনি। মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে তিস্তার জলে ফ্রিজ, ঘরের আসবাবপত্রের সঙ্গে ভেসে এসেছে সেনাবাহিনীর প্রচুর পরিমাণে মর্টার শেল-সহ অন্যান্য গোলা বারুদ। ইতিমধ্যেই মর্টার শেল কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি ব্লকের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছে আরও ৬ জন।

    কেন তিস্তার চর মরণফাঁদ? (Sikkim Disaster)

    সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) সময়ে সিংতামে তিস্তা নদীগর্ভেই সেনাবাহিনীর ছাউনি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেনাদের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, অন্তত ২২ জন সেনা নিখোঁজ। তারমধ্যে সাতটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই সেনা ছাউনির সমস্ত গোলাবারুদ তিস্তার প্রবল স্রোতে ভেসে গিয়েছে। গত ৬ অক্টোবর সেবক করোনেশন সেতু লাগোয়া আন্ধেরি ঝোরায় তিস্তার চরে নিজে থেকেই একটি মর্টার বিস্ফোরণ হয়। সেদিনই বরদাঙে সেনা ছাউনির খুব কাছেই বাগেখোলা নামে একটি পাহাড়ি ঝোরার কাছে বালির চরের ভিতর থেকে প্রথমে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। পরে আগুন বের হতে দেখে স্থানীয়দের অনুমান, ওই ঝোরার কাছেও সম্ভবত বালি চাপা পড়ে গিয়েছে কিছু গোলাবারুদ। ফলে, তিস্তার চরে এখন অনেক বিস্ফোরক মজুত রয়েছে, বালি চাপা পড়ে রয়েছে। চাপ পড়লেই বিস্ফোরণ ঘটবে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    সিকিমের বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) পর সেনা, সিআইডির বোমা বিশেষজ্ঞরা জলপাইগুড়ির ক্রান্তি এলাকা জুড়ে তল্লাশি চালিয়ে আরও ত্রিশটি বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করেছে। কিন্তু, বিপদ এখনও শেষ হয়নি। বিপদটা কতটা ভয়ানক, সেটা আঁচ করে সকলেই প্রচারে নেমেছেন। কিন্তু, কতদিন চলবে এই প্রচার তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। একই সঙ্গে তিস্তার চর লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। বহু মৎস্যজীবী তিস্তার উপরে ভরসা করে বেঁচে থাকেন। শীতে পরিযায়ী পাখিদের আবাসস্থল এই তিস্তার চর। বুনো হাতির পাল ডুয়ার্স থেকে তরাইয়ে এই তিস্তা পেরিয়েই যাতায়াত করে। সেনারা গোলা ছোড়ার অভ্যাস করার সময়ে অনেক কিশোর এই চরে ঘুরে বেড়ায় গুলির খোল উদ্ধার করার জন্য। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, আমরা সবাইকে বলেছি, আপাতত তিস্তার চরে নামা যাবে না। কিন্তু, একটা সময়ে লোকে নামবেই। তখন দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে কি না সন্দেহ থাকছেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Two Male Leopards: রসিকবিলের পর্যটন কেন্দ্র হবে আরও আকর্ষণীয়, দ্রুত আসছে ২ পুরুষ চিতাবাঘ

    Two Male Leopards: রসিকবিলের পর্যটন কেন্দ্র হবে আরও আকর্ষণীয়, দ্রুত আসছে ২ পুরুষ চিতাবাঘ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর মধ্যেই কোচবিহারের রসিকবিলে দুটি পুরুষ চিতাবাঘ (Two Male Leopards) আনা হচ্ছে। ইতিমধ্যে আগে থেকে দুটি স্ত্রী চিতাবাঘ এখানে ছিল। তাদের নাম রিমঝিম এবং গরিমা। এবার তাদের একাকিত্ব এবং নিঃসঙ্গতা কাটবে বলে মনে করছেন অনেকেই। সেই সঙ্গে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথরিটির কাছে দুটি পুরুষ চিতাবাঘ চেয়ে এই অভয়ারণ্যের পর্যটন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। পর্যটন কেন্দ্রকে আকর্ষণীয় এবং বাঘের সংরক্ষণের জন্য এই প্রচেষ্টা বলে মনে করা হয়েছে।

    রসিকবিলে রয়েছে রিমঝিম-গরিমা (Two Male Leopards)

    এই রসিকবিল অভয়ারণ্য হল কোচবিহারের অসম সংলগ্ন একটি এলাকা। আলিপুরদুয়ার থেকে ৭৪ কিমি দূরে অবস্থিত। সেই সঙ্গে কামাক্ষ্যাগুড়ি রেলস্টেশন থেকে সাত কিলোমিটার দূরে এই স্থান। ফলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে খুব একটা অসুবিধা হবে না। ১৭০০ হেক্টরের বেশি জমি নিয়ে এই প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্র। আটিয়ামোচর, রসিকবিল এবং নাগুরহাট এই তিনটি বিটকে ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রাকৃতিক পর্যটন কেন্দ্রে। দেশ-বিদেশ থেকে নানা বর্ণের পাখি এই রসিকবিলে আসে। এই পর্যটন কেন্দ্রের আকর্ষণীয় জন্তুদের মধ্যে হল হরিণ, অজগর, ঘড়িয়াল। তবে সবথেকে বেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করে চিতাবাঘ। এনক্লোজারে এখানে রয়েছে দুটি স্ত্রী চিতাবাঘ। হাঁটু জঙ্গলে মুখ গুঁজে নিজেদের আড়াল করে রাখে তারা। আর তাই এই স্ত্রী চিতাদের (Two Male Leopards) জন্য পুরুষ চিতা নিয়ে আসার পরিকল্পনা চলছে।

    কোচবিহার বন দফতরের বক্তব্য

    ১৯৯৫ সালে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে গড়ে ওঠে রসিকবিল প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্র। কোচবিহারের বন দফতরের এডিএডও বিজনকুমার নাথ বলেন, “ঠিক কবে চিতাবাঘ আসবে তা এখনি বলা সম্ভবপর নয়। নতুন বাঘের জন্য রসিকবিলের এনক্লোজারে নাইট শেল্টার বানানোর কাজ চলছে।” সেন্ট্রাল জু অথিরিটির অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না ঠিক কবে থেকে চিতাবাঘ (Two Male Leopards) আসবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Metro Service: পুজোয় বাড়তি ট্রেন চালাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোও, জেনে নিন সময়সূচি

    Metro Service: পুজোয় বাড়তি ট্রেন চালাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোও, জেনে নিন সময়সূচি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো উপলক্ষে বাড়ানো হয়েছিল নর্থ-ইস্ট মেট্রো (Metro Service) পরিষেবার সময়সীমা। এবার বাড়ানো হল ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো পরিষেবাও। পুজোর তিনদিন দুপুর থেকে মাঝরাত পর্যন্ত টানা ১২ ঘণ্টা চালু থাকবে মেট্রো পরিষেবা।

    মোট ৭২টি ট্রেন চলবে

    মেট্রোরেল সূত্রে খবর, সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় প্রতিদিন আপ-ডাউন মিলিয়ে ৩৬টি করে মোট ৭২টি ট্রেন চলবে। এই দিনগুলিতে সকাল ১১টা ৫৫ মিনিটে প্রথম সেক্টর ফাইভগামী মেট্রো ছাড়বে শিয়ালদহ থেকে। সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহগামী শেষ মেট্রো রাত ১১টা ৪০ মিনিটে। শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভের দিকে শেষ মেট্রো ছাড়বে রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে। প্রথম মেট্রো থেকে শেষ মেট্রো দু’দিকেই ট্রেন চলবে ২০ মিনিট অন্তর।

    বিজয়া দশমীতে চলবে ৪৮টি

    মেট্রোরেলের (Metro Service) তরফে জানানো হয়েছে, পুজোর তিনদিন ৭২টি করে ট্রেন চললেও, বিজয়া দশমীতে চলবে ৪৮টি। ওই দিন দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে মেট্রো। পুজোর তিনদিনের মতো বিজয়া দশমীতেও প্রথম ট্রেন ছাড়বে দুপুর ১১টা ৫৫ মিনিটে। সেক্টর ফাইভ থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়বে দুপুর ১২টায়। সন্ধ্যায় শিয়ালদহ থেকে সল্টলেকগামী শেষ ট্রেন ছাড়বে ৭টা ৩৫ মিনিটে। সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদহের দিকের শেষ ট্রেন ছাড়বে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে। তবে পঞ্চমী ও ষষ্ঠীর দিন ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে না বলেই মেট্রো রেল সূত্রে খবর।

    আরও পড়ুুন: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ফিরহাদ-মদনের বাড়িতে সিবিআই হানা

    এদিকে, রবিবার মেট্রোর তরফে জারি করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যাত্রীদের সুবিধার্থে ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরে পেপার বেসড কিউআর কোডযুক্ত টিকিট পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে। আগামী ১১ তারিখ এই করিডরের শিয়ালদহ স্টেশন থেকে চালু হবে নয়া এই টিকিট। এই পরীক্ষামূলক পদক্ষেপ সফল হবে এই করিডরের সম্পূর্ণ অংশেই ধীরে ধীরে বন্ধ করে দেওয়া হবে টোকেন। পরিবর্তে পুরো ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরেই চালু করা হবে পেপার বেসড কিউআইর কোড যুক্ত টিকিট। তবে পরীক্ষামূলক পর্বে কাগজের টিকিটের পাশাপাশি চালু রাখা হবে টোকেনও।

    প্রসঙ্গত, বিনা টিকিটের যাত্রী ধরতে সাম্প্রতিক কালে তৎপর হয়েছে মেট্রো (Metro Service) কর্তৃপক্ষ। বিনা টিকিটের যাত্রী ধরতে এবার মেট্রোয় উঠছেন টিকিট পরীক্ষকও। সেই অভিযানে ধরা পড়েছে একের পর এক যাত্রী। অভিযোগ, এই যাত্রীর কম দূরত্বের ভাড়ার টোকেন কিনে বেশি দূরত্বে যাত্রা করেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: হাতে আইফোন,পায়ে দামী জুতো, বাইক হাঁকিয়ে ত্রিপল নিতে হাজির বিডিও অফিসে!

    Nadia: হাতে আইফোন,পায়ে দামী জুতো, বাইক হাঁকিয়ে ত্রিপল নিতে হাজির বিডিও অফিসে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রিপল দেওয়ার কথা। বিডিও অফিস থেকে সেই ত্রিপল বিলি করার কথা ছিল। কিন্তু, প্রাপকদের পোশাক, চালচলন দেখে হতবাক হয়ে যান নদিয়ার (Nadia) করিমপুর-২ বিডিও অফিসের কর্মীরা। ত্রিপল বিলি স্থগিত করে দেওয়া হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    কয়েকদিনের বৃষ্টিতে যাদের বাড়ি, গোয়ালঘর ইত্যাদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের ত্রাণ দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো নদিয়ার (Nadia) করিমপুর-২ ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জানানো হয়েছিল। বিডিও অফিস থেকে সেই ত্রিপল বিলি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, বাস্তবে দেখা গেল বিডিও অফিসে ত্রিপল নেওয়ার প্রাপকের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। আর প্রাপকদের তালিকায় এমন অনেকে রয়েছে, যাদের হাতে আইফোন রয়েছে, কেউ দামী বাইক, পায়ে দামী জুতো, ব্রান্ডেড কোম্পানির জামাও অনেকে পড়ে রয়েছেন। কেউ আবার চার চাকা হাঁকিয়ে ত্রিপল নেওয়ার জন্য বিডিও অফিসে হাজির হয়েছেন। বিডিও অফিসের এক কর্মী বলেন, বহুদিন ধরেই এই বিডিও অফিসে রয়েছি। সামান্য ত্রিপল নেওয়ার জন্য যারা বিডিও অফিসে এসেছিলেন, তাঁদের ত্রাণের প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। ফলে, এই অবস্থায় ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রিপল বিলি করার কর্মসূচি স্থগিত রাখা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ যাচাই করার পর প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ত্রাণ তুলে দেওয়া হবে।

    কী বললেন করিমপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি?

    নদিয়ার (Nadia) করিমপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি সাজিজুল হক শা বলেন, গরিব মানুষদের ত্রিপল দেওয়ার জন্য বিডিও অফিসে শিবির করা হয়েছিল। সেখানে ত্রিপল নেওয়ার জন্য যারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাঁদের দেখে আমরা তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলাম। দেখে কাউকে গরিব পরিবারে লোকজন মনে হচ্ছিল না। কেন  তারা সামান্য ত্রিপল নেওয়ার জন্য এভাবে বিডিও অফিসে হাজির হলেন তা্ বুঝতে পারলাম না। অগত্যা আমি এ নিয়ে বিডিও সাহেবের সঙ্গে দেখা করে সমস্ত বিষয়টি বলি। আমাদের বৈঠকের পরে ঠিক হয়েছে, আবেদনপত্রগুলো সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে দিয়ে যাচাই করানোর পর ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Purba Bardhaman: “সঠিক রিপোর্ট জমা দিলেই প্রকল্পের টাকা পেয়ে যাবে রাজ্য” সাফ জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    Purba Bardhaman: “সঠিক রিপোর্ট জমা দিলেই প্রকল্পের টাকা পেয়ে যাবে রাজ্য” সাফ জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই, ইডি স্বনিয়ন্ত্রিত সংস্থা। বিজেপি ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই তারা তদন্তের কাজ করছে। তাই ভোটের রাজনীতির সঙ্গে তদন্তের কোনও সম্পর্ক নেই। পশ্চিমবঙ্গে নেতা-মন্ত্রীদের ঘরে তল্লাশি চালানো হচ্ছে হাইকোর্টের নির্দেশে। বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ তোলাটা একেবারেই মিথ্যা। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) রায়নায় ঠিক এইভাবেই তৃণমূলকে কড়া বার্তা দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি।

    হিসাব দিলেই টাকা মিলবে (Purba Bardhaman)

    কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি রায়নায় সাংবাদিকদের সামনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে ১০০ দিনের কাজ ও অন্যান্য প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা আটকে দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। অথচ, তিন বছরের বেশি সময় ধরে কেন্দ্র সরকারের কাছে এই কাজের রিপোর্ট জমা দেয়নি রাজ্য সরকার। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের তদন্তে এই সরকারের দুর্নীতি ধরা পড়েছে। সঠিক রিপোর্ট জমা দিলেই কেন্দ্র সরকার প্রকল্পের টাকা রাজ্যকে দিয়ে দেবে।” তিনি আরও বলেন, “বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসর আগে শেষ ৯ বছরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যকে  ইউপিএ পরিচালিত কেন্দ্র সরকার যে পরিমাণ অর্থ বরাদ্দ করেছিল, এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসর পর, তার থেকে অনেক বেশি অর্থ বরাদ্দ করেছে। এখনও পর্যন্ত আমাদের সরকার, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ২ লাখ ৫ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা প্রদান করেছে। কাজেই বিজেপি সরকার, রাজ্য সরকারের প্রাপ্য অধিকার থেকে কখনই বঞ্চনা করে না। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা বার বার চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন হিসাব যত তাড়াতাড়ি দেবেন, পাওনা টাকা তত দ্রুত মিলবে। কিন্তু রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে  হিসেব নিয়ে কোনও উত্তর মেলেনি।”

    আর কী বললেন?

    বিজেপি সাংসদ পঙ্কজ চৌধুরি পূর্ব বর্ধমানে আরও বলেন, “এছাড়া করোনার সময় রাজ্যকে বিশেষ সাহায্য দেওয়া হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকঠামোর বজায় রাখার চেষ্টা করছে কেন্দ্র সরকার। বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে তৃণমূলের নেতারা সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝানোর অপচেষ্টা করছে। আন্দোলন, ধর্না গনতন্ত্রের অধিকার। যে কেউ আন্দোলন করতেই পারে। তবে বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে কোনও লাভ নেই। প্রয়োজনে দেশের বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। আদালতের কাছে গিয়ে যে কেউ ন্যায় চাইতে পারে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কাঁচরাপাড়া, হালিশহর সহ রাজ্যের ১২ জায়গায় হানা দিল সিবিআই

    CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কাঁচরাপাড়া, হালিশহর সহ রাজ্যের ১২ জায়গায় হানা দিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই পুর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্যের ১২ জায়গায় একযোগে ইডি তল্লাশি চালিয়েছিল। সেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে সেই একই কায়দায় রবিবার সাত সকালে রাজ্যের ১২ জায়গায় সিবিআই (CBI) হানা দেয়। তৃণমূলের বর্তমান চেয়ারম্যান, প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতে তদন্তকারী আধিকারিকরা হানা দেয়।

    কোথায় কোথায় হানা সিবিআইয়ের? (CBI)

    সিবিআই সূত্রে খবর, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, বারাকপুর, উত্তর দমদম, দক্ষিণ দমদম, কৃষ্ণনগর, টাকি, কামারহাটি, চেতলা, ভবানীপুর সহ ১২ জায়গায় সিবিআই (CBI) হানা দেয়। এদিন হালিশহর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান অংশুমান রায়ের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। তিনি ২০১০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ওই পদে ছিলেন। রবিবার সকালে অংশুমানের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের চার সদস্যের একটি দল। তাঁর বাড়ির আলমারি ঘেঁটে কাগজপত্র বার করে দেখতে থাকেন আধিকারিকেরা। বা়ড়ির অন্যান্য জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। কাঁচরাপাড়া পুরসভা নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্তে কাঁচরাপাড়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুদমা রায়ের বাড়িতেও সিবিআই তল্লাশি চালায়। নিউ বারাকপুর পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তৃপ্তি মজুমদারের বাড়িতে সিবিআই হানার খবর মিলেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সকালে তৃপ্তির বাড়িতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি খতিয়ে দেখতেই তাঁরা এসেছেন বলে জানা গিয়েছে। এ ছাড়া, দমদম পুরসভার বর্তমান পুরপ্রধান হরেন্দ্র সিংহের বাড়িতেও চলে সিবিআইয়ের অভিযান। একইসঙ্গে, কৃষ্ণনগরের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অসীম রায়ের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। একইসঙ্গে এদিন প্রথমে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকদের যাওয়ার খবর মেলে। তার পর একে একে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুর এবং কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুর এবং দক্ষিণেশ্বরের আবাসস্থলে সিবিআই অভিযান হয়।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

    অন্যদিকে, সিবিআইয়ের (CBI) এই অভিযানের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখছে তৃণমূল। তাদের দাবি, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে হেনস্থা করার চেষ্টা করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: অভিষেকের দেওয়া নম্বরে সুকান্তর কাছে কাতর আর্জি, ‘চোরেদের টাকা দেবেন না’

    Sukanta Majumdar: অভিষেকের দেওয়া নম্বরে সুকান্তর কাছে কাতর আর্জি, ‘চোরেদের টাকা দেবেন না’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের সামনে তৃণমূলের অবস্থান মঞ্চ থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ফোন নম্বর সামনে এনেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড দলের কর্মীদের নিদানও দিয়েছিলেন যে বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে ফোন করে যেন রাজ্যের দাবি মতো টাকাও চাওয়া হয়। এবার হুগলির এক সাধারণ লোকের (পরিচয় জানা যায়নি,মাধ্যম অডিও-এর সত্যতা যাচাই করেনি) সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) ফোনের কথোপকথন সামনে এল। সেখানে ওই ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘দাদা (সুকান্ত মজুমদার) একটাই অনুরোধ আপনার কাছে, কোনও টাকা যেন না আসে চোরেদের কাছে। পাশাপাশি ঐ ব্যক্তি আরও বলছেন, ওরা নিজেদের ইচ্ছা মতো জব কার্ডের টাকা নয়ছয় করেছে। আমাদের এলাকার সর্বনাশ করেছে তৃণমূলের নেতারা।’’ ফোনে ওই ব্যক্তিকে দাবি করতে শোনা যায়, অভিষেকের ঘোষণার পরেই তিনি সুকান্ত মজুমদারের ফোন নম্বর পেয়েছেন।

    নিজের ফেসবুক পোস্টে কী লিখলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? 

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) নিজের ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এই রেকর্ডিং সামনে আনেন এবং তিনি লেখেন, ‘‘জনগণের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের হিসাব দিন, আমরা জনগণের টাকা জনগণের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’’ বালুরঘাটের সাংসদের আরও সংযোজন, ‘‘আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ওরফে ভাইপো আমার নম্বর পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে দেওয়ার পর সাধারণ জনগণ আমাকে ফোন করে চোরেদের টাকা দিতে বারণ করছেন।’’ পাশাপাশি এদিন ২৫ লাখ ভুয়ো জব কার্ডের মাধ্যমে কতটাকা তৃণমূল আত্মসাৎ করেছে তাও জানতে চেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    তৃণমূলের নাটকবাজি

    কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে একপ্রস্থ নাটক করতে দেখা যায় অভিষেক ও তাঁর দলবলকে। গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর অফিসের সামনে ধরনায় বসে পড়েন অভিষেক। অভিষেকের দাবি, ৪০ জনকে একসঙ্গে ঢুকতে দিতে হবে অফিসে। প্রসঙ্গত, গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর অফিস থেকে ৫ জনের প্রতিনিধি দলকে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হলেও তা মানতে চায়নি তৃণমূল নেতৃত্ব। বেআইনিভাবে মন্ত্রীর অফিসে ধরনার অভিযোগে দিল্লি পুলিশ তৃণমূলের নেতৃত্বকে সেই স্থান থেকে সরিয়ে নিয়ে যায়। এরপরেই রাজ্যে ফিরে রাজভবন ঘেরাও করেন অভিষেক ও তাঁর দলবল। এখানেই উঠছে প্রশ্ন। সত্যিই কি আলোচনার টেবিলে বসতে চায় তৃণমূল নেতৃত্ব? নাকি বাজার গরম করা এবং সস্তার রাজনীতিই তাঁদের উদ্দেশ্য? এই ইস্যুতে কলকাতায় এসে রীতিমতো তৃণমূলকে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আমি কলকাতাতেও তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বসতে রাজি। তবে তারা বসবে না আমি জানি।’’ ওয়াকিবহাল মহলের বলছে, সত্যিই কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থাকলে, কোর্টের রাস্তা খোলা রয়েছে। সে পথে কেন হাঁটছেন না অভিষেক ও তাঁর দলবল?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হওয়া অপরাধ! বন্ধ করে দেওয়া হল নিকাশি ব্যবস্থা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হওয়া অপরাধ! বন্ধ করে দেওয়া হল নিকাশি ব্যবস্থা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হওয়ার অপরাধ! প্রায় এক মাস ধরে নিকাশি ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের পূর্ণচন্দ্রপুর শ্রী নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের  শ্রীনারায়ণপুর ছয়েরঘেরি এলাকায়। এ যেন হাতে না মেরে জলে ডুবিয়ে মারার পরিকল্পনা। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    পরিবার ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের পূর্ণচন্দ্রপুর শ্রী নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের  শ্রীনারায়ণপুর ছয়েরঘেরি এলাকায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্নপূর্ণা হালদার নামে গৃহবধূ বিজেপির প্রার্থী হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন। যদিও পরে তিনি পরাজিত হন। গৃহবধূ এবং তাঁর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, বর্তমান শাসকদলের মদতে জল নিকাশি ব্যবস্থা হঠাৎ করে এক তৃণমূলের এক নেতা মাটি ফেলে বন্ধ করে দেন। তাঁদের দাবি জায়গাটি ছিল তাঁদের, দীর্ঘদিন মামলা করে তাঁরা জয়ী হন। যার ফলে তারা এই পথ দিয়ে আর জল যেতে দেবেন না। আর তার ফলেই প্রায় এক মাস ধরে জলের তলায় ওই বিজেপি প্রার্থীদের তিনটি পরিবার সহ+ বিরোধী রাজনৈতিক দলের আরও ১৯ টি পরিবার। বারবার পঞ্চায়েতকে জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। বাড়ির উঠান থেকে ঘরের মেঝেতে পর্যন্ত প্রায় এক হাঁটু জল, অনেক বাড়িতে ভেড়ি দিয়ে জল তুলতে হচ্ছে প্রতিদিন। এমনকী গরুর গোয়াল, মুরগির খোঁয়ার পর্যন্ত জলে ডুবে আছে। প্রতিদিন বাড়ির বয়স্ক মানুষ থেকে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জলে অসহায়ের মত দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের।

    কী বললেন বিজেপি কর্মী?

    বিজেপি কর্মী অন্নপূর্ণা হালদার বলেন, পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হওয়া অপরাধ। তারজন্যই পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল এই কাজ করেছে। প্রশাসনের কাছে দরবার করেও লাভ হচ্ছে না। এলাকায় যে ভাবে জল জমে রয়েছে তাতে ডেঙ্গির উপদ্রব হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ মৌলি বলেন, এই ধরনের অভিযোগ ঠিক নয়। কারণ, এই ধরনের নোংরা রাজনীতি তৃণমূল করে না। জল নিকাশি নিয়ে যে সমস্যা হয়েছে তা খতিয়ে দেখে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: সিকিমে বিপর্যয়ের পর নিখোঁজ বালুরঘাটের সাত পরিযায়ী শ্রমিক, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    Sikkim Disaster: সিকিমে বিপর্যয়ের পর নিখোঁজ বালুরঘাটের সাত পরিযায়ী শ্রমিক, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমে বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) জেরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে সাত জন পরিযায়ী শ্রমিকের কোনও খোঁজ নেই। তাঁদের বাড়ি বালুরঘাটের ডাঙ্গা বিজয়শ্রী এলাকায়। পরিবারের লোকজন আর তাঁদের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করতে পারছেন না। ফলে, চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন পরিবারের লোকজন।

    কবে কাজে গিয়েছিলেন?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট ব্লকের ডাঙ্গার পাল পাড়ার নিখোঁজ ওই সাত পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম মৃদু পাল, সুধু পাল, দুলাল পাল, বেলাই পাল, সামরা পাল, তজু পাল ও নবীন পাল। এছাড়াও বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া, চিঙ্গিসপুরের আরও চার শ্রমিক সিকিমের অন্যত্র কাজে গিয়েছেন। তাদের খোঁজ মিলেছে। জানা গিয়েছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওই সাত পরিযায়ী শ্রমিক কাজে যোগ দিতে যান। মূলত তাঁরা নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। ৪ অক্টোবর হড়পা বানে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সিকিম (Sikkim Disaster)। ওই দিনের পর থেকে সকলের ফোন বন্ধ, যোগাযোগ হচ্ছে না বলেও পরিবারের সদস্যরা জানান। জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের ডাঙ্গা গ্রামপঞ্চায়েতের ডাঙ্গা বিজশ্রী গ্রামের মৃদু পালের বাড়িতে স্ত্রী ও নাবালিকা কন্যা রয়েছে। পাশেই বাড়ি মৃদুর দাদা সুধু পালও তাঁর স্ত্রীকে রেখে সিকিমে কাজে গিয়েছিলেন। সিকিমের ভয়াবহ বিপর্যয়ের ছবি মোবাইলে দেখেই শিউরে উঠছেন পরিবারের লোকজন।

    পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    নিখোঁজ শ্রমিক মৃদু পালের স্ত্রী কৌশল্যা পাল বলেন, কোন ঠিকাদারের সঙ্গে গিয়েছে, তা জানা নেই।  যেদিন থেকে সিকিমের বন্যার (Sikkim Disaster) খবর পেয়েছি, সেদিন থেকেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছুতেই যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না। আমরা খুব চিন্তায় রয়েছি। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ষষ্ঠী পাহান বলেন, আমাদের গ্রামের মোট সাতজন এক ঠিকাদারের সঙ্গে সিকিমে কাজে গিয়েছিলেন। কারও খোঁজ পাচ্ছিনা। আমাদের গ্রামের সবাই চিন্তায় রয়েছে। উদ্বেগ কাটছে না।

    জেলাশাসকের কী বক্তব্য?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, জেলার ২৫ জনের খবর পেয়েছি, যারা সিকিমে (Sikkim Disaster) কাজে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগের সঙ্গেই যোগাযোগ করা গিয়েছে। তাঁরা ভালো রয়েছেন। যাদের খোঁজ মেলেনি, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share