Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sikkim Flash Flood: সিকিম বিপর্যয়ের পর খোঁজ নেই তথ্য প্রযুক্তি কর্মী সহ তিন বন্ধুর, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    Sikkim Flash Flood: সিকিম বিপর্যয়ের পর খোঁজ নেই তথ্য প্রযুক্তি কর্মী সহ তিন বন্ধুর, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেহাতই শখের বসে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া সিকিমে (Sikkim Flash Flood)। তবে সেটাই যে মহা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠবে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি মালদার রতুয়ার বাসিন্দা পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী সুশান্ত সাহার পরিবারের লোকজন। প্রায় চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও যোগাযোগ না হওয়ায় রাতের ঘুম উড়েছে ওই পরিবারের। শুধু সুশান্তবাবু নয় সিকিমে ঘুরতে গিয়ে বহু পর্যটকের এখনও খোঁজ নেই।

    সিকিমের লেক থেকে শেষ ছবি! (Sikkim Flash Flood)

    প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত সিকিমে (Sikkim Flash Flood) গত চারদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন সুশান্ত সহ আরও তিন বন্ধু। এদিকে ছেলের খোঁজে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তার পরিবারের লোকেরা। যদিও এখনও পর্যন্ত ওই যুবকের কোনও খোঁজ মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। সুশান্তর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ অক্টোবর শিলিগুড়িতে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন সুশান্ত। সেখানেই আরও তিন বন্ধুর সঙ্গে মিলে পরিকল্পনা করেন সিকিম ঘুরতে যাওয়ার। তবে রবিবার আবহাওয়া খারাপ থাকায় সোমবার দিন বাইক ভাড়া করে সিকিমে রওনা দেন চার বন্ধু। সোমবার বিকেলে সিকিম পৌঁছে যাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে কথা হয় তার। এমনকি পরদিন মঙ্গলবার সিকিমের গুরুদংমার লেকে গিয়ে বাড়িতে ছবিও পাঠান তিনি। তবে তারপর থেকে সুশান্তর  সঙ্গে আর কোনও রকম যোগাযোগ সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে তার পরিবার। এদিকে সংবাদমাধ্যমে পরিবারের লোকজন খবর পান প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা সিকিম। একাধিক জায়গায় যেমন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে, তেমনি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে যোগাযোগ পরিষেবা। এমন অবস্থায় সন্তানের জন্য আরও বেশি করে চিন্তিত হয়ে পড়েছে রতুয়ার থানাপাড়ার সাহা পরিবার।

    পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    সুশান্তর মা দিপালী সাহা বলেন, “গত সোমবার দিন ছোট ছেলের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে। এরপর মঙ্গলবার গুরুদংমার (Sikkim Flash Flood) থেকে বেশ কয়েকটি ছবিও পাঠায় সুশান্ত। যদিও তারপর থেকে বহু চেষ্টা করেও ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারিনি। খুব দুশ্চিন্তায় আছি। ছেলের চিন্তায় রাতে ঠিকমতো ঘুমোতেও পারছি না।” সুশান্তর বাবা ধীরেন্দ্রনাথ সাহা জানান, “প্রায় চার দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ছেলের সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। পুলিশকে জানিয়েছি যাতে আমার ছেলেকে সুস্থ ভাবে ঘরে ফেরত নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়।” ছোট ভাইয়ের জন্য দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তার দাদা শুভঙ্করও। তিনি জানিয়েছেন, সুশান্তর সঙ্গে সিকিমে ঘুরতে গিয়েছিলেন শিলিগুড়ির দুজন ও বিহারের একজন বন্ধু। তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast in Dattapukur: বাজির পর এবার দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণ, আহত ৫ শিশু! কবে হুঁশ ফিরবে?

    Bomb Blast in Dattapukur: বাজির পর এবার দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণ, আহত ৫ শিশু! কবে হুঁশ ফিরবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে (Bomb Blast in Dattapukur) বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের পর এবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। বিস্ফোরণে গুরুতর জখম পাঁচ শিশু। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাজ্যের বাজি কারখানাগুলিতে দেশি বোমার চাষ করা হয়, এই অভিযোগে বারবার বিরোধীরা শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। প্রশাসনের হুঁশ এখনও ফিরছে না। 

    উল্লেখ্য, এই স্থানেই গত অগাস্ট মাসে ভয়াবহ বাজি বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবুও প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি। এই বছরেই রাজ্য জুড়ে এগরা, বজবজ, পিংলা, দিনহাটা, সামসেরগঞ্জ, ঘুটিয়ারি শরীফ, নানুর, ভাঙ্গড়, কালিয়াচক সহ একাধিক জায়গায় বাজি বিস্ফোরণ তথা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রাজ্য বার বার তোলপাড় হয়ে উঠেছিল। প্রত্যেক বিস্ফোরণে মানুষের মৃত্যু যেমন হয়েছে, তেমনি শিশুরা পর্যন্ত বিস্ফোরণের প্রভাব থেকে নিস্তার পায়নি। নিহত এবং আহতের সংখ্যাটা নেহাত কম ছিল না। তাই বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক তৃণমূল দলের প্রত্যক্ষ মদতে এই বাজি-বোমার কারখানাগুলি চলছে। একই ভাবে পুলিশের নিস্ক্রিয়তা নিয়েও সাধারণ মানুষ সরব হয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনায় ফের বোমা বিস্ফোরণে শিশুরা আক্রান্ত হওয়ায় পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Bomb Blast in Dattapukur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দত্তপুকুর (Bomb Blast in Dattapukur) থানার কোটরা গ্রাম পঞ্চায়েতের খড়কি দক্ষিণপাড়া এলাকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। একটি বালতির মধ্যে বোমা রাখা হয়েছিল। আর এই বোমা নিয়ে কয়েকজন শিশু খেলা করছিল। হঠাৎ একটি সুতলি খুলে গেলে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর দ্রুত ছোট জাগুলিয়ার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় শিশুদের। বর্তমানে তাদের চিকিৎসা চলছে।

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    স্থানীয় আব্দুল হাকিম বলেন, “বাচ্চারা বল ভেবে খেলতে গিয়ে বিপত্তি ঘটেছে। ওরা বেশ কয়েকটি বোমা নিয়ে প্রথমে খেলতে শুরু করে। এরপর হঠাৎ তীব্র শব্দে বিস্ফোরণ (Bomb Blast in Dattapukur) ঘটে। ইতিমধ্যে ৫ জন বাচ্চা বোমার আঘাতে আহত হয়েছে।” তবে কে বোমা রেখে গিয়েছে, সেই বিষয় সম্পর্কে কিছু বলতে পারেননি তিনি। প্রশাসনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর একটি বড় প্রশ্ন হল, পুলিশ এলাকায় ঠিক করে কর্তব্য পালন করছে না। মাত্র কয়েকদিন আগেই এই দত্তপুকুরে বাজি বিস্ফোরণে ৯ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল কিন্তু এবার আবার ফের বিস্ফোরণ! আহত ৫ শিশু! তাতেও ঘুম ভাঙছে না প্রশাসনের।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • New Town Murder: ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল, ৩০ লক্ষ টাকা না মেলাতেই নৃশংস খুন ছাত্রকে?

    New Town Murder: ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল, ৩০ লক্ষ টাকা না মেলাতেই নৃশংস খুন ছাত্রকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ টাউনে রেস্তোরাঁ মালিকের খাটের নিচে স্যুটকেস থেকে উদ্ধার হল এক ছাত্রের মৃতদেহ (New Town Murder)। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গেছে, সেলোটেপ দিয়ে আটকানো ছিল মুখ। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ছাত্রকে অপহরণ করে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছিল এবং সেই টাকা না মেলায় খুন করা হয়েছে। ওই রেস্তোরাঁ মালিকের বাড়িতেই ভাড়ায় থাকতেন ওই ছাত্র। 

    মৃত ছাত্রের পরিচয় (New Town Murder)

    এই মৃত ছাত্রের নাম সাজিদ হোসেন। মূলত ডাক্তারি পরীক্ষা এনআইআইটির (নিট) কোচিং নেওয়ার জন্য নিউ টাউনে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। মহিষবাথান বক্স ব্রিজের কাছে থাকতেন এই ছাত্র। মালদার কালিয়াচকে তাঁর বাড়ি। মৃত্যুর পর পরিবারে তীব্র শোকের ছায়া।  

    কীভবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল?

    সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ অক্টোবর থেকে তাঁর কোনও খোঁজ মিলছিল না। এরপর সহপাঠীরা তাঁর নিখোঁজের কথা বাড়িতে জানান। নিউ টাউনে মূলত ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির পড়াশুনা করছিলেন ওই ছাত্র। ৫ তারিখে নিউ টাউন থানায় মিসিং ডায়েরি করে পরিবার। সূত্রে আরও জানা গেছে, সাজিদের মুখে সেলোটেপ লাগানো এবং হাত-পা বাঁধা একটি ছবি পরিবারকে পাঠানো হয়েছিল। সেই সঙ্গে মুক্তিপণ বাবদ ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়ার দাবি করেছিল অপহরণকারীরা। পাঠানোর পরে আবার অপহরণকারীরা সেই ছবি ডিলিট করে দেয়। এরপর আজ ভোররাতে উদ্ধার হয় সাজিদের দেহ (New Town Murder)। এই ছাত্রের পরিবার মাসে মোটা অঙ্কের টাকা পাঠাতো। আর এই খবর পেয়ে দুষ্কৃতীরা মনে করে, পরিবারের কাছে প্রচুর টাকা রয়েছে। এরপর পরিকল্পনা করে খুন করা হয় বলে অনুমান। এই ঘটনায় পুলিশ গৌতম নামে এক যুবকের সঙ্গে আরও চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

    পরিবারের বক্তব্য

    শুক্রবার এই ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এল কালিয়াচকের ১৬ মাইল গুরুটোলা এলাকায়। মৃত সাজিদ হোসেনের (New Town Murder) বয়স ১৯ বছর। বাবার নাম মোক্তার হোসেন। বাবা মোক্তার হোসেন বলেন, “সাজিদ নিউ টাউনের তারুলিয়া সেকেন্ড লেন এলাকার গৌতম নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থেকে নিটের কোচিং নিচ্ছিল। তার ডাক্তারি পড়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু চলতি মাসের ৪ তারিখে সে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে বুঝতে পারি ওর বন্ধুরা মিলে যোগসাজশ করে অপহরণ করেছে। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে পরিবারের কাছে ৩০ লক্ষ টাকা দাবি করে। কিন্তু এর মধ্যেই অপহরণকারীরা তাকে খুন করে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ে বীরভূমের একই পরিবারের নিখোঁজ ৮, হোটেলে আটকে বহু পর্যটক

    Sikkim Disaster: সিকিম বিপর্যয়ে বীরভূমের একই পরিবারের নিখোঁজ ৮, হোটেলে আটকে বহু পর্যটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরে সিকিমের মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে হড়পা বানে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কবলে পড়লেন পর্যটকরা। বীরভূম থেকে সিকিমে (Sikkim Disaster) বেড়াতে গিয়ে একই পারিবারের দুই শিশু, মহিলা সহ ৮ জন নিখোঁজ বলে জানা গেছে। অপর দিকে বেড়াতে যাওয়া পর্যটকরা বিপর্যয়কে অতিক্রম করে কীভাবে বাড়ি ফিরবেন, তা নিয়েও চরম আতঙ্কের ছায়া দেখা গেছে কলকাতা-হাওড়ার বেশ কয়েকটি পরিবারের মধ্যে। দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন পরিজনরা। পাশাপাশি বেড়াতে গিয়ে আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধার করতে বাগডোগরা ট্যাক্সিওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন বিশেষ পরিষেবা চালু করেছে।

    বীরভূমের নিখোঁজ ৮ জন (Sikkim Disaster)

    সিকিমে (Sikkim Disaster) গিয়ে বীরভূমের একই পারিবারে নিখোঁজ ৮ জন। ইলামবাজারের ভগবতী বাজার এলাকার বাসিন্দা প্রাক্তন শিক্ষক মহম্মদ মহফুজ রহমান, তাঁর ছেলে, ছেলের বউ ও নাতি-সহ একই পরিবারের ৮ জন সিকিম বেড়াতে গিয়েছিলেন। ১ অক্টোবর বোলপুর থেকে তাঁরা সিকিমের উদ্দেশে রওনা দেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ সিকিমের লাচেন এলাকায় একটি হোটেলে উঠেছিলেন তাঁরা। সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর থেকে, অর্থাৎ ৩ অক্টোবর থেকে ওই ৮ জনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পরিবারের সদস্যদের। নিখোঁজদের নাম হল, সোহান রাজভি (৬), রেহা তানভি (১০), রায়না জাহান (৪), রায়সা জাহান (১৩), এসথাউদ্দিন শেখ (৪২), নাজিয়া খাতুন (৩৭), মুজাফফর আহমেদ (৪০), রেবিকা মণ্ডল (৩৪)। পরিবারের তরফে সংশ্লিষ্ট ইলামবাজার থানায় জানানো হয়। তবে একই পরিবারের ৮ জন নিখোঁজ থাকায় রীতিমতো ঘুম উড়েছে পরিবারের বাকি সদস্যদের। প্রশাসন যাতে সিকিমে থাকা পরিজনকে খুঁজে বের করে, সেই জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।

    হোটেলবন্দি হাওড়া-কলকাতার পর্যটকরা

    রাজ্য প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ থেকে সিকিমে (Sikkim Disaster) প্রায় তিন হাজারের বেশি পর্যটক আটকে পড়েছেন। পুজোর আগে অনেক মানুষ সিকিমে ঘুরতে গিয়েছিলেন। তবে সিকিমের পাহাড় থেকে সমতলে অনেকে নামতে পারলেও, বেশিরভাগ মানুষ এখনও আটকে রয়েছেন বিপর্যয়ে। গত ২ অক্টোবর কসবার বাসিন্দা পেশায় ডাক্তার, ভাবনী প্রসাদ নিজের পরিবারকে নিয়ে সিকিমে বেড়াতে গেলে বিপর্যয়ের কারণে হোটেলে আটকে পড়েছেন। ভবানীপ্রসাদবাবু ফোনে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “নানারকম খবর শুনছি এবং সেই সঙ্গে আতঙ্কে ভুগছি। পরিবারের সকলে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন। বাড়িতে পরিজনরা উদ্বিগ্ন হয়ে আছেন। আপাতত সকল প্রোগ্রাম বাতিল করে বাড়ি ফেরার চেষ্টায় রয়েছি।” সিকিমে ঘুরতে যাওয়ায় নিজের পরিজনদের খবর না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত। একই ভাবে হাওড়ার কৌশিক হাজরাও সিকিমে ঘুরতে গিয়ে হোটেলে আটকে পড়েছেন বলে জানা গেছে। পরিবার তাঁদের ফেরা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

    বিশেষ পরিষেবা

    হড়পা বানে সিকিমের (Sikkim Disaster) সঙ্গে উত্তরেবঙ্গের যোগাযোগ ব্যবস্থার বিশেষ অবনতি ঘটেছে। ঘুরপথে পাহাড় থেকে শিলিগুড়িতে নামতে হচ্ছে। অতিরিক্ত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা সময় লাগছে। গাড়িতে বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে পর্যটকদের। এই অবস্থায় মানুষকে বিপর্যয় স্থল থেকে উদ্ধার করতে বাগডোগরা ট্যাক্সিওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশেন বিশেষ পরিষেবার কথা ঘোষণা করেছে। সংগঠনের সচিব মিলন সরকার বলেন, “পর্যটকদের বিনামূল্যে নিরাপদে পৌঁছে দিতে পারলে আনন্দিত হব। আমরা সব সময় প্রস্তুত রয়েছি পরিষেবা প্রদান করার জন্য।”

    বিপদগ্রস্ত পর্যটকরা 9734144375 বা 9832388425 নম্বরে যোগাযোগ করে যে কোনও সাহায্য চাইতে পারবেন। ৬ অক্টোবর, শুক্রবার থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত এই পরিষেবা চালু থাকবে বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: মর্মান্তিক! জলের তোড়ে ভেসে আসা সেনাবাহিনীর মর্টার ফেটে মৃত্যু শিশুর

    Sikkim Disaster: মর্মান্তিক! জলের তোড়ে ভেসে আসা সেনাবাহিনীর মর্টার ফেটে মৃত্যু শিশুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেসে আসা সেনাবাহিনীর মর্টার ফেটে মর্মান্তিক মৃত্যু হল একজনের। ঘটনায় কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ক্রান্তি ব্লকের রাজাডাঙ্গা অঞ্চলে। মেঘভাঙ্গা বৃষ্টিতে সিকিমের সিংথামের সেনাবাহিনীর একটি ছাউনি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায় (Sikkim Disaster)। সেখানে থাকা সেনাবাহিনীর গোলাবারুদও জলের তোড়ে ভেসে যায়। যার মধ্যে বেশ কিছু মর্টারও ছিল। তার জেরেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা।

    হাতুড়ি দিয়ে খুলতে গিয়ে বিস্ফোরণ

    বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি থানা এলাকার বাকালি থেকে উদ্ধার হয় তিনটি মর্টার (Sikkim Disaster)। পাশাপাশি ক্রান্তি এলাকা থেকেও বেশ কয়েকটি মর্টার মেলে। স্থানীয় বাসিন্দারা কাঠ ধরতে গিয়ে সেগুলি দেখতে পেয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। সেগুলির মধ্য থেকেই একটিকে হাতুড়ি দিয়ে খুলতে গেলে বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় আইনুর রহমান নামে এক সাত বছরের শিশুর। আহত হন আরও কয়েকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের তড়িঘড়ি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের প্রায় প্রত্যেকের গোটা শরীর ঝলসে গেছে। জলপাইগুড়ি থেকে সঙ্গে সঙ্গে শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

    শোকের ছায়া (Sikkim Disaster)

    ঘটনার পরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে পুলিশ। এরপরই ঘটনাস্থলে আসেন সেনাবাহিনীর পদস্থ আধিকারিক এবং জওয়ানরা। তাঁরা সেগুলিকে সেখান থেকে নিয়ে যান। ঘটনায় আতঙ্কের পাশাপাশি শোকের ছায় নেমে এসেছে গোটা রাজাডাঙ্গা এলাকায় (Sikkim Disaster)। অন্যদিকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্তারা। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এলাকার বাসিন্দারা জানান, এমন ঘটনা যে ঘটবে সেটা তাঁরা বুঝতেই পারেননি। অবুঝ শিশু কাঠ ধরতে গিয়ে ওই বস্তুটি নিয়ে আসে। তার পরিণতি যে এমন হবে, সেটা তাঁরা আন্দাজ করতে পারেননি। ওই এলাকার কেউই আর কোনওদিন তিস্তা থেকে কিচ্ছু আনতে যাবেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Roads of Bengal: রাস্তার ‘উন্নয়ন’ এমনই যে পুজোর মুখে আস্ত অটো রুটই বন্ধ হয়ে গেল

    Roads of Bengal: রাস্তার ‘উন্নয়ন’ এমনই যে পুজোর মুখে আস্ত অটো রুটই বন্ধ হয়ে গেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে দুর্গাপুজো। আর এই সময়েই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল চন্দননগর-রাজারবাথান রুটের অটো। এর জন্য একমাত্র ভিলেন হল বেহাল রাস্তা। চন্দননগর স্টেশন থেকে ১৩ টি অটো চলাচল করে রাজারবাথান পর্যন্ত। এই রাজারবাথান জায়গাটি হল চন্দননগর স্টেশন থেকে পশ্চিম দিকে দিল্লি রোডকে ভেদ করে সিঙ্গুরের দিকে। প্রায় ৯ কিমি দীর্ঘ রাস্তার মধ্যে দিল্লি রোড ছাড়িয়ে বাকি ৫ কিলোমিটারের অবস্থা খুব খারাপ (Roads of Bengal)। এলাকাটি সিঙ্গুর ব্লকের বৈঁচিপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে। ওই রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ যে অটো রুটও বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। মহা সমস্যায় পড়েছেন অটোচালক থেকে ব্যবসায়ী, স্কুলের ছাত্রছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ।

    ডেপুটেশন নেওয়ারও কেউ নেই (Roads of Bengal)

    এ ব্যাপারে ওই অটোচালকরা বৈঁচিপোতা পঞ্চায়েত অফিসে যান ডেপুটেশন দিতে। কিন্তু সেখানে গিয়েও দেখা মেলেনি প্রধান বা উপপ্রধানের। দুজনের কেউ অফিসে আসেননি। এবিষয়ে ওই অটো রুটের সম্পাদক যীশু চক্রবর্তী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তা খারাপ (Roads of Bengal)। যাতায়াতের অযোগ্য। গাড়ির চাকা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। পাশ দিয়ে কেউ গেলে তার গায়ে কাদা ছিটকে লাগছে। আমরা গালমন্দ খাচ্ছি। তাই গাড়ি বন্ধ রেখে আমরা অটোচালকরা এসেছিলাম পঞ্চায়েতে। কিন্তু কোনও পদাধিকারীর দেখা মিলল না। উপপ্রধানকে ফোন করলে তিনি জানালেন, রাস্তা যতদিন না ঠিক হবে গাড়ি বন্ধ থাকবে। পুজোর মুখে কঠিন সমস্যায় অটোচালকরা। এখন কী করবে তারা, ভেবে পাচ্ছে না। বলতে হয় পেটের ভাত বন্ধ হয়ে গেল। এদের একটাই প্রশ্ন, আমরা কোথায় যাব। কী খাব।

    সেই আশ্বাস (Roads of Bengal)

    এ ব্যাপারে বৈচিপোঁতা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নবকুমার বাগকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, রাস্তাটির টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। মালপত্রও এসে গিয়েছে। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। রোদ উঠলেই আমরা কাজ (Roads of Bengal) শুরু করে দিতে বলেছি। জানি এলাকার মানুষের কষ্ট হচ্ছে। আরেকটু ধৈর্য্য ধরতে অনুরোধ করছি। খুব তাড়াতাড়ি রাস্তা তৈরি হয়ে যাবে। যতদিন না হচ্ছে, ততদিন অটো বন্ধ রাখতে বলেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Disaster: সিকিমের বিপর্যয়ে তিস্তায় ভেসে আসছে একের পর এক মৃতদেহ

    North Bengal Disaster: সিকিমের বিপর্যয়ে তিস্তায় ভেসে আসছে একের পর এক মৃতদেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিনের অতি ভারী বর্ষণে উত্তর সিকিম এবং উত্তরবঙ্গে (North Bengal Disaster) ব্যাপক বিপর্যয় নেমে এসেছে। মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বানে বানভাসি হয়েছে তিস্তা নদী। জলের তোড়ে সিকিমে আরও এক হ্রদে ভাঙন দেখা দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। তিস্তার জল কমতেই বেরিয়ে আসছে নানা হৃদয় বিদারক দৃশ্য।

    ময়নাগুড়িতে তিস্তায় ভেসে আসছে দেহ (North Bengal Disaster)

    ময়নাগুড়িতে (North Bengal Disaster) তিস্তা নদীর জল দুকূল ছাপিয়ে ভয়াবহ আকার নিলে গ্রামের পর গ্রাম ভাসিয়ে নিয়ে চলে গেছে। সেই সঙ্গে স্থানীয় মানুষের বাড়িঘর, চাষের জমি ইত্যদি ব্যাপক ধ্বংসের শিকার হয়। নদীর জলে ভেসে আসছে বেশ কিছু মৃতদেহ। এখানকার ব্লকের তিস্তার চর ধর্মপুরে হেলাপাকড়ি এলাকা থেকে ৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও অনেক মৃতদেহ জলে আটকে রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মৃতদেহগুলিকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় সেনাবাহিনী যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি মিলিয়ে ১৮টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এঁদের মধ্যে চারজন সেনাবাহিনীর জওয়ান এবং দুজন সাধারণ নাগরিক। এই সংখ্যা যত সময় যাচ্ছে, বাড়ছে।

    সিকিমে ভাঙল আরও এক হ্রদ

    সূত্রের খবর, সিকিমের লাচেনের উপরে থাঙ্গু উপত্যকা থেকে ১২৩ কিমি উপরে সাকচু হ্রদের আশেপাশে ব্যাপক বিপর্যয় নেমেছে। হ্রদে দেখা দিয়েছে ভাঙন। আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। সিকিম আবহাওয়া দফতরে স্যাটেলাইটে ছবি ধরা পড়ছে না বলে জানা গেছে। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি কী হতে পারে তা বলা মুশকিল। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। জলপাইগুড়ির তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করা করেছে প্রশাসন। মহানন্দা অভয়ারণ্য সংলগ্ন তিস্তার ললটাং, গাজলডোবার (North Bengal Disaster) নিচু এলাকা থেকে অনেক মানুষকে দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন দুর্গতরা। আগামী দিনগুলি যে কী হবে, তা ভেবেই পাচ্ছেন না কেউ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Flood In Bengal: খাবার নেই, নেই পানীয় জল! তৃণমূল সাংসদ যেতেই ক্ষোভ উগরে দিলেন বানভাসিরা

    Flood In Bengal: খাবার নেই, নেই পানীয় জল! তৃণমূল সাংসদ যেতেই ক্ষোভ উগরে দিলেন বানভাসিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিম্নচাপের জেরে একটানা বৃষ্টিতে ডিভিসির ছাড়া জলে ভাসছে হুগলির আরামবাগ মহকুমার খানাকুল। মুণ্ডেশ্বরী, দামোদর, দ্বারকেশ্বর ও রূপনারায়ণের জল ঢুকে খানাকুলের ১ ও ২ ব্লকের ২৪টির মধ্যে ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। বহু মাটির বাড়ি জল ঢুকে পড়ে গেছে (Flood In Bengal)। বহু পাকা বাড়িতেও জল ঢুকে পড়েছে। এলাকায় পানীয় জলের কলগুলি বন্যার জলে ডুবে গিয়ে চরম সমস্যা দেখা দিয়েছে। হাজার হাজার একর চাষের জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। বহু মানুষ নিচু এলাকা ছেড়ে অন্যত্র উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন, কেউ রয়েছেন বাড়ির ছাদে, কেউ আবার ত্রাণ শিবিরে। এখনও জল যেভাবে বাড়ছে, বড়সড় বন্যার আশঙ্কা করছেন খানাকুলের বন্যাদুর্গত মানুষ।

    ত্রাণ মিলছে না (Flood In Bengal)

    মানুষের অভিযোগ, গত তিনদিন ধরে তাঁরা জলযন্ত্রণায় ভুগছেন। অথচ প্রশাসনের দেখা নেই। এমনকি জনপ্রতিনিধিদেরও সেভাবে দেখা পাওয়া যায়নি। অনেকেই জলবন্দি হয়ে পড়েছেন বাড়ির মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছেন না। ফলে পানীয় জল ও বাচ্চাদের খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। এমনকি রাস্তাঘাট ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তাঁদের নৌকাই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে এলাকায় কোনও নৌকাও এসে পৌঁছায়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। প্রশাসনকে বললেও কোনও কাজ হচ্ছে না। তাঁদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছেন খানাকুলের বিভিন্ন এলাকার মানুষজন। জলযন্ত্রণায় (Flood In Bengal) ভুগছেন বানভাসি সাধারণ মানুষ।

    অপরূপাকে ঘিরে ক্ষোভ (Flood In Bengal)

    বৃহস্পতিবার সেই বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় সাংসদকে। দুপুরে খানাকুলের সুলুট গ্রামে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই এলাকাবাসী তাঁদের বিভিন্ন দাবিদাওয়াকে সামনে রেখে ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যদিও বানভাসি মানুষদের ক্ষোভের মুখে পড়ে অপরূপা দাবি করেন, বাড়ির টাকা আনতেই দিল্লিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। বিজেপি নেতারা দিল্লি গিয়ে বলে আসছে টাকা দিতে হবে না, দাবি সাংসদের। আর এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও অপরূপা বলেন, বিজেপি নেতারা ডিভিসিকে বলে জল ছাড়ছে। সে কারণেই খানাকুল ডুবছে (Flood In Bengal)। বিক্ষোভের দাবি উড়িয়ে অপরূপা পোদ্দার বলেন, “কোনও বিক্ষোভই নেই। বিজেপির বিধায়করা তো ভোটের সময় আসেন, মানুষের বিপদে তো আসেন না। আমরা সবসময় মানুষের পাশেই থাকি।

    সাংসদ তো আসেনই না, তোপ বিজেপির

    খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, “আরামবাগের সাংসদ তো এলাকায় আসেনই না। খানাকুলের কী পরিস্থিতি উনি তো জানেনই না। উনি আসতেই মানুষ তাঁদের বহুদিনের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। ঠাকুরানিচক, ঘোষপুর, কিশোরপুর-১, কিশোরপুর-২ প্রভৃতি এলাকায় মানুষ ত্রাণ (Flood In Bengal) পাচ্ছেন না। পঞ্চায়েত প্রধানরা ফিরিয়ে দিচ্ছেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: মালদায় তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, পুলিশ প্রশাসন কী করছে?

    Bomb Blast: মালদায় তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, পুলিশ প্রশাসন কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কর্মীর পরিত্যক্ত বাড়িতে আচমকা বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে (Bomb Blast) ওঠে গোটা এলাকা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে মালদার কালিয়াচক এলাকায়। সার্জেন সেখ নামে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর অনুমান, বোমা বা বিস্ফোরক মজুত করা ছিল ওই বাড়িতে। সেটা থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    কালিয়াচক থানার নওদা যদুপুর গ্রামপঞ্চায়েতের শালিপুর সাতঘরিয়া গ্রামে তৃণমূল কর্মী সার্জেন সেখের বাড়ি। এলাকাবাসীর দাবি, এই সার্জেন শেখ এক সময় কংগ্রেস করতেন। পরে, তৃণমূলে যোগ দেন। বৃহস্পতিবার সাত সকালে বিকট আওয়াছে কেঁপে ওঠে এলাকা । পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িতে কেউ থাকত না। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সার্জেন শেখ বা তাঁর পরিবারের কেউ এখানে থাকেন না। দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা এখানে বোমা মজুত করছিল। তা থেকেই বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হতে পারে। যাঁর বাড়িতে বিস্ফোরণ, সেই সার্জেন সেখের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও বক্তব্য, গ্রামের জনবহুল এলাকায় ওই বাড়িটি রয়েছে। ফলে, কে বা কারা রাতের অন্ধকারে ওই বাড়়িতে বোমা মজুত করল তা পুলিশের দেখা দরকার। কারণ, অবিলম্বে পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামীদিনে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়়বে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    দলীয় কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হওয়ায় সার্জেনকে দলের কর্মী হিসেবে মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, এক সময় কংগ্রেস করত শুনেছি। পরে, দলবদল করেছিল বলে আমার জানা নেই। আসলে  এরা সমাজবিরোধী। মূলত নানা অপরাধ করে রাজনীতির ছত্রছায়ায় আসার চেষ্টা করত। তৃণমূল কর্মী বলে আমাদের জানা নেই।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িটি পরিত্যক্ত। কীভাবে এখানে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আগে থেকেই এখানে বিস্ফোরক রাখা ছিল। কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, সার্জেন শেখের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে কালিয়াচক থানায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তল্লাশিতে ১২ ঘণ্টা পার, আড়াই কোটির ফ্ল্যাটের হদিশ পেল ইডি

    ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তল্লাশিতে ১২ ঘণ্টা পার, আড়াই কোটির ফ্ল্যাটের হদিশ পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় বারাকপুর মহকুমা। বৃহস্পতিবার সাত সকালেই ইডি (ED) আধিকারিকরা বরানগর, কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান এবং টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বা়ড়িতে হানা দেন। সকাল থেকে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের বাড়িতে ইডির আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তল্লাশি চালান। ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সেই তল্লাশি চলছে। কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল সাহা, বরানগর পুরসভার চেয়ারম্যান অপর্ণা মৌলিক, টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভার এক কর্মী মীজানুর রহমানের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় তাই ব্যাপক উত্তেজনা।

    অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে পুরসভায় নিয়োগ, তদন্তে ইডি (ED)

    কামারহাটি পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে প্রায় ৩০০ কর্মীর নিয়োগ হয়েছিল। অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর নিয়োগও এই পুরসভায় হয়। এর আগে অয়নের সংস্থার মাধ্যমে চাকরি হওয়া ৩৩ জন কর্মীকে ইডি আধিকারিকরা ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বরানগর পুরসভায় অয়নের সংস্থার মাধ্যমে ২৮০ জনের নিয়োগ হয়েছিল। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পুর কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য নেতা আশিস দে-র ছেলে বরানগর পুরসভায় নিয়োগপত্র পান। জানা গিয়েছে, চাকরি পাওয়ার পরও তিনি বীরভূমের বাড়িতেই থাকতেন। তৃণমূলের রাজ্য নেতার ছেলে বলে কারও তাঁকে ঘাঁটানোর সাহস ছিল না। এদিন ইডি হানা নিয়ে তৃণমূল নেতা আশিস দে-র বা তাঁর ছেলের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এই পুরসভার ৩২ জন কর্মীকে এর আগে ইডি আধিকারিকরা ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পান। জানা গিয়েছে, এই বরানগর পুরসভায় কামারহাটির তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের চাকরি হয়েছিল। একইভাবে কামারহাটি পুরসভায় বরানগরের তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের চাকরি হয়েছিল। এই নিয়োগে দুই পুরসভার চেয়ারম্যানদের ভূমিকা ইডি (ED) আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। একইসঙ্গে টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভার কর্মী মীজানুর রহমানের নিয়োগ দুর্নীতিতে ভূমিকা খতিয়ে দেখতে ইডি দিনভর তল্লাশি চালায়। একজনের আড়াই কোটি টাকার ফ্ল্যাটের হদিশ পেয়েছে ইডি আধিকারিকরা। তবে, সংবাদ মাধ্যমের সামনে ইডি আধিকারিকরা মুখ খুলতে চাননি। 

    কামারহাটি পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যানকে জেরা করলেন ইডি (ED) আধিকারিকরা

    কামারহাটি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তুষার চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর চেম্বারে ঘন্টা দেড়েক জেরা করা হয়। তাঁর মোবাইলের কন্টাক্ট লিস্টে অয়ন নাম দেখেই সন্দেহের চোখে তাকান ইডি-র (ED) তদন্তকারীরা। জানতে চান, কে এই অয়ন? তুষারবাবু জানান, এটা অয়ন মিত্র। অয়ন শীল নয়। সল্টলেক স্টেডিয়াম সংলগ্ন এক রেস্তোরাঁর ম্যানেজার ছিলেন অয়ন মিত্র। এরপরে অয়ন শীল নিয়েও বেশ কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির তদন্তকারীরা। তারপরে তুষারকে পুরসভায় তাঁর নিজের ঘরে বসার অনুমতি দেওয়া হয়। এখনও এস্টাব্লিশমেন্ট ডিপার্টমেন্টে এবং পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। ভাইস চেয়ারম্যান অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় কামারহাটি পুরসভায় ব্যাহত পরিষেবা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share