Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Nadia: শোচনীয় পরিস্থিতি! হাসপাতালে সেন্ট্রাল প্যাথলজির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, এখনও চালুই হল না

    Nadia: শোচনীয় পরিস্থিতি! হাসপাতালে সেন্ট্রাল প্যাথলজির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, এখনও চালুই হল না

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ৩ অগাস্ট নদিয়ার শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে সেন্ট্রাল প্যাথলজির উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে এক ছাদের নিচেই সমস্ত রকম পরিষেবা পাওয়ার কথা ছিল রোগীদের। কিন্তু প্রায় দুই মাস অতিক্রান্ত হতে চলল, এখনও তা চালুই হয়নি। ভোট এলে মানুষকে বোকা বানানোর পদ্ধতি মুখ্যমন্ত্রীর! এভাবেই একে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

    কেন এই উদ্যোগ?

    বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অচল পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। রোগীর আত্মীয়রা কখনও কখনও অভিযোগ তোলেন, বিনা পরিষেবায় তাঁদের রোগীর মৃত্যু ঘটেছে। আবার বিভিন্ন হাসপাতালে দেখা যায় বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ছবি। এবার মূলত সেইসব অভিযোগের ভিত্তিতে যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল ফেরানো যায় এবং সাধারণ মানুষ আরও উন্নত পরিষেবা পেতে পারেন, সেই উদ্যোগ নিয়েই গত অগাস্ট মাসের ৩ তারিখে মুখ্যমন্ত্রী নিজে নদিয়ার কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে একটি সেন্ট্রাল প্যাথলজির উদ্বোধন করেন। যার মূল উদ্দেশ্য ছিল কোন রোগী যাতে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। শুধু তাই নয়, যে কোনও পরিষেবা পেতে অন্য হাসপাতালে যেন ছুটতে না হয়। সেদিনে তাঁর উদ্বোধনকে সাধুবাদ জানিয়েছিল বিরোধীরাও। কিন্তু প্রায় দুই মাস অতিক্রান্ত হতে চলল, এখনও উদ্বোধন হলেও চালু হল না পরিষেবা। যা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন করতে শুরু করেছে।

    এসব কাটমানিরই খেলা, বলছে বিজেপি

    এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে কৃষ্ণনগর উত্তর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি মিডিয়া কনভেনর সন্দীপ মজুমদার বলেন, ভোট বৈতরণী পার হবার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কর্মসূচির ঘোষণা করেন। তিনি ঘোষণা করেছিলেন একই ছাদের তলায় বিভিন্ন চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিষেবা মানুষ পাবেন। সেরকম একটি উদ্যোগ ধুমধাম করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেটা উদ্বোধন হওয়ার পর এখনও বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এটা শুধু মানুষকে দেখানো আমরা কাজ করছি এবং রাজ্য সরকার কাজ করছে। মমতা ব্যানার্জি বিভিন্ন প্রকাশ্য সভায় বলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পৃথিবীর সব থেকে উন্নত। আমরা সেই উন্নতর নমুনা পাচ্ছি, কোথাও বিনা চিকিৎসায় রোগী মারা যাচ্ছে আবার কোথাও নার্স এবং ডাক্তাররা নিগৃহীত হচ্ছেন। একটা অরাজকতার পরিস্থিতি গোটা পশ্চিমবাংলা জুড়ে চলছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আর তার অপদার্থতা দিন দিন প্রকাশ পাচ্ছে। এটা আর কিছুই নয়, উদ্বোধন করা মানে জনগণের ট্যাক্সের লক্ষ লক্ষ টাকার একটা অংশ কাটমানিতে চলে যাওয়া। পাশাপাশি তিনি বলেন, আমরাও চাই এই ধরনের উদ্যোগ যাতে বাস্তবায়িত হয় এবং সাধারণ মানুষ ঠিকঠাক পরিষেবা পায়।

    কবে চালু হবে, উত্তর মিলল না

    এ বিষয়ে নদীয়া জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জ্যোতিষচন্দ্র দাস বলেন, ওই প্রকল্পটির পরিকাঠামো গত কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই চালু হবে পরিষেবা। তবে বিস্তারিত বিষয়টি হাসপাতালে সুপার জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: কোনও উপসর্গ নেই, অথচ প্লেটলেট হু হু করে নেমে যাচ্ছে? রাজ্যে ডেঙ্গির নয়া আতঙ্কে সাবধান!

    Dengue: কোনও উপসর্গ নেই, অথচ প্লেটলেট হু হু করে নেমে যাচ্ছে? রাজ্যে ডেঙ্গির নয়া আতঙ্কে সাবধান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গির (Dengue) দাপট ক্রমশ বাড়ছে। এক সপ্তাহে তিন হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। অনেক ক্ষেত্রেই পরিচিত উপসর্গ জানান দিচ্ছে না। আর তার ফলেই দেখা দিচ্ছে বিপত্তি! তাই ডেঙ্গি রুখতে নয়া নিদান দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী নতুন সমস্যা হচ্ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি (Dengue) হলে এখন অনেক ক্ষেত্রে পরিচিত উপসর্গ দেখা দিচ্ছে না। জ্বর, সর্দি-কাশি, বমি, মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে দেহের তাপমাত্রাও বিশেষ বাড়ছে না। বমি কিংবা মাথাব্যথার মতো উপসর্গ নেই। কিন্তু হঠাৎ জ্ঞান হারাচ্ছেন রোগী। পরিচিতদের চিনতে অসুবিধা হচ্ছে। কিংবা মলত্যাগ করতে গিয়ে রক্তপাত হচ্ছে। চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরে রক্ত পরীক্ষা করে জানা যাচ্ছে প্লেটলেট কয়েক হাজারে নেমে যাচ্ছে। পরিস্থিতি অনেকটাই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। আর এই উপসর্গহীন রোগীদের নিজেদের বিপদ যতখানি বাড়ছে, ততটাই বিপদ বাড়ছে অন্যদের। কারণ, এই রোগীদের থেকে অজান্তেই অন্যদের ডেঙ্গি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।

    নয়া বিপদ কাটাতে কী উপায় বলছেন বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উপসর্গহীন রোগীদের দ্রুত চিহ্নিত করা জরুরি। তাই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। তাদের পরামর্শ, সর্দি-কাশি কিংবা দেহের তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও রক্ত পরীক্ষা জরুরি। বিশেষত, উত্তর চব্বিশ পরগনা, কলকাতা, নদিয়ার মতো জেলায় ডেঙ্গির (Dengue) দাপট উর্ধ্বগামী। তাই এই সব এলাকার মানুষের বিশেষ সতর্কতা জরুরি। আর সেই জন্য রক্ত পরীক্ষা আবশ্যক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যেসব এলাকা ডেঙ্গিপ্রবণ, সেখানে সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি থাকে। আর সেই জন্য দেহের তাপমাত্রা বাড়লে, সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্য দফতর অবশ্য রক্ত পরীক্ষা নিয়ে আগের অবস্থানেই অনড়। তারা জানাচ্ছে, অনাবশ্যক আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। তিন দিনের বেশি জ্বর থাকলে, বমি, মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ থাকলে তবেই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা জরুরি। অনাবশ্যক রক্ত পরীক্ষা ডেঙ্গি পরীক্ষার কিটের ঘাটতি তৈরি করবে। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ এই নীতি মানতে নারাজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ। কয়েকটি জেলায় পরিস্থিতি (Dengue) যথেষ্ট উদ্বেগজনক। সেপ্টেম্বরের শেষে আরও কয়েক হাজার মানুষ নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হবেন, এমন আশঙ্কাও করা যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আরও কঠিন হয়ে উঠবে। তাই আগে থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আর এই উপসর্গহীন রোগীদের নিয়েই নয়া বিপদ তৈরি হচ্ছে। তাই রোগ নির্ণয় সবচেয়ে বেশি জরুরি। তাই সামান্য জ্বর কিংবা সর্দি-কাশিকে একেবারেই অবহেলা করা যাবে না। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতো অবশ্যই রক্ত পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mandarmani: মন্দারমণিতে অবশেষে যুবতী খুনের কিনারা, গ্রেফতার ২

    Mandarmani: মন্দারমণিতে অবশেষে যুবতী খুনের কিনারা, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই মন্দারমণির (Mandarmani) সমুদ্রের ধারে এক যুবতীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরে, জানা যায় ওই যুবতীর নাম লাবনী দাস। তাঁর বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুর। কিন্তু, তাঁকে খুন করা হল তা জানা যায়নি। এবার সেই খুনের ঘটনায় অবশেষে রহস্য ভেদ হল। জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর দিদির দেওর প্রলয় দাসই এই খুনের মূল চক্রী। ইতিমধ্যে পুলিশ এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে। প্রলয়ের এক বন্ধু মনোজ গোস্বামী এই খুনে সাহায্য করেছিল। তাই পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করেছে। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েই মর্মান্তিক পরিণতি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এই ঘটনায় আর কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    কেন ওই যুবতীকে খুন করা হল? (Mandarmani)

    পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লাবনী দাস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর দিদির বিয়ে হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরে। পরিবারের পাশে আর্থিকভাবে দাঁড়াতে সোদপুরে একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতে যেতেন লাবণী। সেই জন্য দিদির বাড়িতেও প্রায়শই যাতায়াত ছিল তাঁর। ওই যাতায়াতের ফলেই দিদির দেওর প্রলয় দাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন লাবণী। কলকাতায় এক অ্যাপ ক্যাব সংস্থায় চালক হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিল প্রলয়। সেই কারণে দমদমে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত সে। প্ৰায় প্রতি শুক্রবারই বিউটি পার্লারে কাজ শেখার নাম করে দমদমে প্রলয়ের সেই ভাড়া বাড়িতে যাতায়াত করতেন লাবণী। সেই সময় প্রলয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন লাবনী। লাবনীর পাশাপাশি অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে প্রলয় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে লাবনী বিয়ের জন্য চাপ দেন। পরে, তারসঙ্গে অশান্তি শুরু করে। পথের কাঁটা সরাতে মন্দারমণি (Mandarmani) এলাকায় তাপস জানা নামে এক বন্ধুর সাহায্য নেয় প্রলয়। এরপর লাবনীকে নিয়ে সোজা মন্দারমণি যান লাবনী। তারপর সেখানে শ্বাসরোধ করে লাবণীকে খুন করে বলে অভিযোগ। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ সমুদ্র সৈকতে ফেলে দেওয়া হয়। তাপস এই কাজে প্রলয়কে সাহায্য করেছিল। ঘটনার পর থেকে সে উধাও।

    কী বললেন মৃতার দিদি?

    এই বিষয়ে মৃতার দিদি বলেন, দেওরের সঙ্গে বোনের সম্পর্কের বিষয়টি আমরা জানতাম না। তবে, এভাবে বোনকে খুন করার বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। অভিযুক্তের কড়া শাস্তি দাবি করছি। দেওর ছাড়াও আমার বোনকে খুন করার পিছনে যারা রয়েছে তাদের প্রত্যেকের কঠোর শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বাংলার মুকুটে নতুন পালক, কিরীটীশ্বরী পেল ভারত সেরা গ্রাম পর্যটনের স্বীকৃতি

    Murshidabad: বাংলার মুকুটে নতুন পালক, কিরীটীশ্বরী পেল ভারত সেরা গ্রাম পর্যটনের স্বীকৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাঢ় বাংলায় প্রাচীন তীর্থস্থান গুলির মধ্যে কিরীটীশ্বরী অন্যতম। ভারতের পর্যটক মন্ত্রকের তরফ থেকে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) এই গ্রামকে পর্যটনের সেরার সেরা হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তান্ত্রিক মতে দেবী দাক্ষায়ণী সতীর মুকুটের কণা অর্থাৎ কিরীট পতিত হয়েছিল মন্দির সংলগ্ন গ্রামের স্থানে। তাই  স্থানের নাম কিরীটীশ্বরী। তান্ত্রিক এই কিরীটেশ্বরীকে পূর্ণ পীঠস্থান বলা হয়ে থাকে। পাঠান, মোগল শাসনকালেও এই স্থানের খ্যাতি ছিল ভীষণ ভাবে। এবার কিরীটীশ্বরী পর্যটনের সেরার সেরা হওয়ায় বাঙালি এখন আনন্দিত।

    পর্যটনে সেরার সেরা কিরীটীশ্বরী (Murshidabad) 

    ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক, ভারতের সেরা পর্যটন গ্রাম হিসেবে নির্বাচিত করেছে। এই তথ্য ট্যুইট করে জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, “এই নির্বাচনে ৩১ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে প্রায় ৭৯৫ টি আবেদন এসেছিল, তার মধ্যে কিরীটেশ্বরীকে ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক সেরা পর্যটন গ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।” সেই সঙ্গে তিনি রাজ্য বাসীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। সূত্রের মাধ্যমে আরও জানা গেছে, আগামী ২৭ শে সেপ্টেম্বর নিউ দিল্লি থেকে সরকারের পর্যটন মন্ত্রক, ভারতের সেরা পর্যটন গ্রামের পুরস্কার তুলে দেবেন। মুর্শিদাবাদের মানুষের কাছে এই সম্মান অত্যন্ত গৌরবের বলে মনে করা হচ্ছে।

    সতীপীঠ কিরীটীশ্বরী

    সতীর একান্ন পীঠের মধ্যে অত্যন্ত জাগ্রত পীঠ হল কিরীটীশ্বরী পীঠ (Murshidabad)। পৌষ মাসের প্রতি মঙ্গলবারে এই পীঠস্থানে মেলা বসে। সমাগম হয় প্রচুর ভক্ত। রাজ্যের তো বটেই সেই সঙ্গে অন্য রাজ্য থেকেও প্রচুর দর্শনার্থী আসেন । এই পীঠস্থানকে ঘিরে লৌকিক বিশ্বাস এমনটাই যে এখানে দেবী সতী দাক্ষায়ণী, দুর্গা, পার্বতী, ভৈরব, নামে পরিচিত। প্রত্যেকেই ভগবান শিবের পত্নী এবং সতীর শরীরের বিভিন্ন অংশ মাত্র। ভগবান বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রের দ্বারা সতীর দেহকে ছেদনের পর, যেখানে যেখানে শরীরীরের অংশ পতিত হয়, সেখানে সেখানে দেবীর সতীর পীঠস্থান নির্মিত হয়। এখনে দেবীর কিরীটী পতিত হয়, তাই কিরীটীশ্বরীপীঠ নামে পরিচিত।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: এই কি উন্নততর প্রশাসন? তৃণমূল পঞ্চায়েত থেকে ৫ বছরেও মিলল না বার্থ সার্টিফিকেট

    Malda: এই কি উন্নততর প্রশাসন? তৃণমূল পঞ্চায়েত থেকে ৫ বছরেও মিলল না বার্থ সার্টিফিকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ পাঁচ দিন, কেউ আবার পাঁচ বছর ধরে হন্য হয়ে ঘুরছেন। তবুও, মিলছে না জন্ম সার্টিফিকেট। পঞ্চায়েত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে সরব হয়ে উঠলেন এলাকার ভুক্তভোগী অভিভাবকেরা। এমনই অভিযোগ উঠেছে মালদার (Malda) চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিষ্টার কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)  

    অভিযোগ, মালদার (Malda) চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতে গত বোর্ডেও তৃণমূল ছিল। এখনও তৃণমূল রয়েছে। এই পঞ্চায়েত অফিসে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দফতরের কর্মচারীরা নিয়মিত দফতর খোলেন না। মাসের বেশিরভাগ সময় দফতর তালা লাগানো থাকে। দুপুর ১২ টা পেরিয়ে গেলেও দফতরের কর্মচারীদের দেখতে পাওয়া যায় না। নতুন জন্ম সার্টিফিকেট ও সংশোধনের জন্য বছরের পর বছর দফতরে হন্য হয়ে ঘুরতে হয়। তবুও, মেলেনা সার্টিফিকেট। জন্ম সার্টিফিকেট না থাকার কারণে আধার ও রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারচ্ছেন না অভিভাবকরা। দফতরের কর্মচারীরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বছরের পর বছর ধরে অভিভাবকদের ঘুরাচ্ছেন অভিযোগ। যদিও পঞ্চায়েত কর্মচারীরা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নুরগঞ্জ এলাকার মানেজা খাতুন নামে এক অভিভাবিকা অভিযোগ করে বলেন, জন্ম সার্টিফিকেটে ছেলের নাম সংশোধনের জন্য পাঁচ বছর ধরে ঘুরছি। তবুও, করে দিচ্ছেন না সংশোধন। তিনমাস পরে আসতে বলেছিলেন। আমি পাঁচ মাস পরে এসেছি। তবুও, ঘুরে যেতে হচ্ছে। ছেলের বয়স ১০ বছর হয়ে গেছে। আধার কার্ড ও রেশন কার্ড তৈরি করতে পারছি না। এমনকী ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারছি না। এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ফোন না তোলায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    পঞ্চায়েতের এক কর্মী কী বললেন?

    জন্ম সার্টিফিকেট এর দফতরের এক কর্মচারী মহম্মদ মুস্তাকিম বলেন, কোনও অভিভাবক জন্ম সার্টিফিকেটের জন্য পাঁচ বছর ধরে ঘুরেনি। অনলাইনে সংশোধন পোর্টালটি বন্ধ রয়েছে তাই হয়তো কয়েকদিন ঘুরতে হয়েছে। চালু হয়ে গেলে কাউকে আর ঘুরতে হবে না। আসলে দফতরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: মোদি সরকারের উদ্যোগে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলার প্রাচীন কক শিল্প, উচ্ছ্বসিত ব্যবসায়ীরা

    Howrah: মোদি সরকারের উদ্যোগে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলার প্রাচীন কক শিল্প, উচ্ছ্বসিত ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাণ ফিরতে চলছে বাংলার প্রাচীন শাটল কক শিল্প। হাওড়ার উলুবেড়িয়ার (Howrah) ব্যবসায়ীদের আবেদনে বিশেষ সাড়া দিয়েছেন দেশের নরেন্দ্র মোদির সরকার। উল্লেখ্য করোনা কালে, ভারত সরকারের আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে স্পষ্ট হয়েছে, দেশীয় উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা কতটা প্রয়োজন। লোকাল ফর ভোকাল অর্থাৎ আঞ্চলিক স্থানীয় উৎপাদন সামগ্রীকে প্রথম পছন্দ করার কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। নাম না করে বিদেশী চিনা দ্রব্য ক্রয় না করার কথা সরকার পক্ষ থেকে বার বার বলা হয়েছিল। সামজিক ও গণ মাধ্যমে সরাসরি চিনা দ্রব্য বয়কটের দাবিতে তোলপাড় হয় ওঠে। বিশেষ করে খেলার সামগ্রী এবং কালীপুজো বা দীপাবলীতে আলোক সজ্জার বিষয়ে চিনের পণ্য বয়কটের কথাও ওঠে। গত কয়েক বছরে দেশ আত্মনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে, বর্তমানে অনেকটাই সফল বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ। এই অবস্থায় বাংলার কক শিল্প নিয়ে কেন্দ্রের উদ্যোগের বিষয়ে সংসদে বিশেষ আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। মিলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের বিশেষ ছাড়পত্র। শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা আবার আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন।

    কক শিল্পের প্রধান সমস্যা কী ছিল (Howrah)?

    জানা গেছে, বছর খানেক আগেই বাংলাদেশ থেকে হাঁসের পালক আসা বন্ধ হলে উলুবেড়িয়ার শাটল কক শিল্প অত্যন্ত সঙ্কটে পড়ে। উৎপাদনের জন্য কাঁচামালের অভাবের কথা অনেক দিন ধরেই এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কারিগর, ব্যবসায়ীরা জানিয়ে আসছেন সরকারকে। অবশেষে ইঙ্গিত মিলেছে উদ্যোগের।

    মিলেছে সমস্যা সমাধানের ইঙ্গিত

    সূত্রের খবর, ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইনে শাটল ককের পালকের জন্য বিশেষ ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রের বাণিজ্য এবং এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল উলুবেড়িয়া এলাকার সাংসদকে চিঠি দিয়ে সেই কথা জানিয়েছেন। কক শিল্পের জন্য এই খবর অত্যন্ত আনন্দের বলে জানিয়েছেন স্থানীয় শিল্পীরা। এলাকার (Howrah) সাংসদ সাজদা আহমেদ শিল্প নিয়ে ভীষণ উৎসাহ প্রকাশ করেছেন।

    ব্যবসায়ীদের বক্তব্য

    শাটল কক শিল্পের এক ব্যবসায়ী বলেন, “ পালকের জন্য বাংলাদেশ থেকে আসা আমদানিতে বেশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই ছাড়ে আমাদের বেশ সুবিধা হবে। এর থেকে জিএসটি তুলে নিলে এই শিল্প আরও ঘুরে দাঁড়াবে। কেন্দ্র সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাই”।

    সেই সঙ্গে উলুবেড়িয়া (Howrah) চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি তমাল ঘোষ বলেন, “এই শিল্প অত্যন্ত প্রাচীন শিল্প। পালাকের জোগান বেশি করে মিললে গোটা এলাকার অবস্থা বদলে যাবে। উলুবেড়িয়ার শিল্প আবারও একবার ঘুরে দাঁড়াবে”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: শান্তিপুরে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে বোমাকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    Shantipur: শান্তিপুরে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে বোমাকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিল। এবার সেটাই সত্য প্রমাণিত হল। দুদিন আগেই নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) বেলঘড়িয়া-২ নম্বর পঞ্চায়েতের গবার চর মাঝেরপাড়া এলাকায় বিজেপির জয়ী সদস্য গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের বাড়িতে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। সেটাই সত্য প্রমাণিত হল। এবার সেই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা কৃষ্ণপদ রাহাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনা জানাজানি হতে আদতে শাসক দলেরই মুখ পুড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Shantipur)  

    নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) বেলঘড়িয়া-২ নম্বর পঞ্চায়েতে ১৯টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে ১২টি পেয়েছে তৃণমূল। আর বিজেপি ৭টি আসন দখল করে। গবার চর এলাকায় বিজেপির হয়ে পঞ্চায়েতে দাঁড়িয়েছিলেন গৌরাঙ্গবাবু। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন বোমাকাণ্ডে ধৃত কৃষ্ণপদ রাহা। কিন্তু, বিজেপি প্রার্থীর কাছে তিনি পরাজিত হন। আর তারপর থেকেই গৌরাঙ্গবাবুকে নানাভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে কৃষ্ণপদ রাহার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার গভীর রাতে গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বারান্দাতেই বিছানা করে ঘুমাচ্ছিলেন, তখনই একদল দুষ্কৃতী তাদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে। যদিও একটি বোমা বিছানার উপরে পড়তেই গৌরাঙ্গবাবুর এক নাবালক ভাগ্নে এবং মা জখম হন। এছাড়াও বারান্দার পাশের একটি টিনের দরজা ভেঙেচুরে যায়।

    কী বললেন বিজেপির জয়ী সদস্য?

    বিজেপির জয়ী সদস্য গৌরাঙ্গ বিশ্বাস বলেন, নির্বাচনের আগে থেকেই তৃণমূল এসব করছে। এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে ওরা ফের আমার বাড়িতে বোমাবাজি করে। আগেও একথা বলেছি। পুলিশি তদন্তে আমার অভিযোগ প্রমাণিত হল। আসলে ওরা হেরে গিয়েছে তা মেনে নিতে পারছে না। তাই, এই ধরনের ঘটনা ঘটনাচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    শান্তিপুরের (Shantipur) বেলঘড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ রায় বলেন, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। কেউ অভিযোগ করে থাকলে শাস্তি পাবে। আইন আইনের পথে চলবে। এতে আমার কিছু বলার নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বরানগর পুরসভার ৩২ জন কর্মীকে তলব সিবিআইয়ের

    CBI: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বরানগর পুরসভার ৩২ জন কর্মীকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বরানগর পুরসভার ৩২ জন কর্মীকে তলব করল সিবিআই। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের (CBI) পক্ষ থেকে এই পুরসভায় নোটিস ধরানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই এই পুরসভায় নোটিস পাঠানোয় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে বারাকপুর মহকুমার বরানগর ছাড়াও ৬টি পুরসভাকে সিবিআই নোটিস পাঠিয়েছিল। এমনকী কামারহাটি পুরসভার ৩৩জন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতির মূল পান্ডা অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী কামারহাটি পুরসভায় চাকরি করেন। অয়ন শীলের সংস্থার প্যানেলে তাঁর চাকরি হয়েছিল বলে সূত্রে খবর। এর আগে তাকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে এই পুরসভায় কী দুর্নীতি হয়েছে তা তদন্ত করছে সিবিআই। বরানগর পুরসভায় নতুন করে সিবিআই নোটিস দেওয়ায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    নোটিসে কী বলেছে সিবিআই? (CBI)

    বরানগর পুরসভায় ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে দুদফায় অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছিল। মালদা এবং মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কয়েকজনের নাম নিয়োগের তালিকায় ছিল। এর আগে সিবিআই (CBI) সরাসরি পুরসভার কাছে কাদের নিয়োগ করা হয়েছিল তার তালিকা চেয়েছিল। বরানগর পুরসভার পক্ষ থেকেও সেই তথ্য সিবিআইকে জমা দিয়েছিল। জানা গিয়েছে, এই পুরসভায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বীরভূমের এক তৃণমূল নেতার ছেলের চাকরি হয়। অয়ন শীলের সংস্থার হাত ধরেই তাঁর নিয়োগ হয়েছিল। তবে, এদিন সিবিআই যে নোটিস পাঠিয়েছে তাতে  মালদা, মুর্শিদাবাদের ৩২ জন কর্মীর নাম রয়েছে। পুরসভার পাশাপাশি ওই কর্মীদেরকেও নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিসে বলা হয়েছে, ২১ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কর্মীদের হাজিরা দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবে সিবিআইয়ের নোটিস পেয়ে কর্মীদের রাতের ঘুম উধাও হয়ে গিয়েছে। পুরসভার কর্মকর্তারা কেউ এই নোটিস নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।

    সিবিআই (CBI) নোটিস নিয়ে বিরোধীদের কী বক্তব্য?

    পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর হয়েছে সিবিআই (CBI)। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুরসভাগুলিতেও নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ইডি, সিবিআই। তার ভিত্তিতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, পুর-দুর্নীতিরও তদন্ত হওয়া উচিত এবং তা করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত ২১ এপ্রিল পুরসভায় দুর্নীতির তদন্তভারও সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই তদন্ত করছে ইডিও। বিরোধীদের বক্তব্য, বরানগর পুরসভায় বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। তৃণমূলের নেতাদের আত্মীয়রা অয়ন শীলের সংস্থার হাত ধরে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। পাশাপাশি মোটা টাকার খেলা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, সিবিআই তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ৫০ কোটি সমবায় দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তে ইডি-সিবিআই, বহাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়

    Calcutta High Court: ৫০ কোটি সমবায় দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তে ইডি-সিবিআই, বহাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ার সমবায় দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ইডি-সিবিয়াইয়ের নির্দেশকে বহাল রাখলেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। তবে দিতে হবেনা সিআইডিকে জরিমানার পাঁচ লাখ টাকা। আলিপুরদুয়ারের ঋণদান সমিতিতে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আর এই দুর্নীতির কাণ্ডে রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র শোরগোল  পড়ে যায়। রাজ্য প্রশাসনের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির উপর আস্থা রাখতে পারলেন না কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ফলে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরাও তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ  করল। 

    ডিভিশন বেঞ্চ কী রায় দিয়েছে(Calcutta High Court)?

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়ে জানান, এই মামালায় সিআইডিকে পাঁচ লক্ষ টাকার জরিমানার দিতে হবে না। যদিও এই জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ দুর্নীতির তদন্ত বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে বলেন, এই দুর্নীতির মামালায় ইডি-সিবিআই তদন্ত করবে। ফলে রাজ্য সরকারে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি আদালতে কার্যত ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন বিরোধীরা।

    মামালার প্রেক্ষাপট

    প্রথমিক ভাবে আলিপুরদুয়ার সমবায় দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল সিআইডি। কিন্তু তদন্ত নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। এরপর তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে সিআইডিকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন। দুর্নীতির বিষয়ে সিআইডিকে তীব্র ভৎসনাও করেন বিচারপতি। তিনি তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের বলেছিলেন যে আপনাদের নিয়ম অনুয়ায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। পরবর্তীতে সিআইডি, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করে। সেই রায়ের ভিত্তিতে আজ ফের ডিভিশন বেঞ্চ জরিমানাকে বাদ দিয়ে আগের রায়কে বহাল রাখলেন বিচারপতির বেঞ্চ।  

    সূত্রে জানা গেছে, আলিপুরদুয়ারের মহিলা ঋণদান সমিতিতে ২১ হাজার ১৬৩ জন টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এই সমবায়ে মোট ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়। সমিতির সদস্যরা পরে জানতে পেরেছিলেন এই সমিতি উঠে গেছে। আর এরপরেই অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে ঋণ সমিতির উপভোক্তারা মামলা করেন।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: নবজোয়ারের পর আরামবাগে বহু পঞ্চায়েত হাতছাড়া তৃণমূলের, ক্ষমতা দখল বিজেপির

    Arambagh: নবজোয়ারের পর আরামবাগে বহু পঞ্চায়েত হাতছাড়া তৃণমূলের, ক্ষমতা দখল বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির পর আরামবাগ (Arambagh) মহকুমায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে নতুন করে শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি। আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে দুর্বল হয়ে পড়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের দখলে থাকা পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে বিজেপি। একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতেও বিজেপি ঝান্ডা উড়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল বোর্ড গড়লেও সেখানে পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যার নিরিখে তৃণমূলকে সমান টক্কর দিয়েছে বিজেপি। ফলে, আরামবাগে যুবরাজের নবজোয়ারের ফানুস অনেকটাই চুপসে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    বিধানসভার পর থেকেই আরামবাগে (Arambagh) শুরু হয় বিজেপির জয়যাত্রা

    ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই মহকুমা (Arambagh) শাসক দল তৃণমূলই সব জায়গায় ক্ষমতায় ছিল। গোটা মহকুমা একেবারেই  বিরোধীশূন্য হয়ে পড়ে। এরমধ্যেই গত পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০১৮ সালে এই মহকুমাতেই একমাত্র বিরোধী দল হিসাবে জায়গা করে নেয় বিজেপি। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে বিজেপির উত্থান শুরু হয়।  ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মাত্র ১ হাজার ২০০ ভোটে জয়লাভ করেন আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ শ্রীমতি অপূর্ব পোদ্দার। তারপর থেকেই আরামবাগে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে বিজেপির সংগঠন। ২০২১সালে আরামবাগ মহকুমার খানাকুল, আরামবাগ, পুরশুড়া, গোঘাট বিধানসভায় বিজেপি জয়লাভ করে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আরামবাগে নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দেন যুবরাজ। আরামবাগের ভালিয়া এলাকায় একটি সভাও করেন। এই মঞ্চ থেকেই আরামবাগ মহাকুমার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের হাজারো প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন। এলাকায় বহু সমস্যার সমাধানের জন্য তিনি সাধারণ মানুষকে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু, তাতে খুব বেশি লাভ হয়নি। কারণ, যেখানে সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়েছে বিজেপি ভাল ফল করেছে। এমনই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

    আরামবাগে পঞ্চায়েত স্তরে কেমন ফল করেছে বিজেপি?

    ২০১৮ সালে এই মহকুমায় (Arambagh) পঞ্চায়েত স্তরে কোনও গ্রাম পঞ্চায়েত দখল তো দূরের কথা বিজেপির কোনও সদস্যই ছিল না। ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই চিত্রটাই বদলে গিয়েছে। ২০২৩ সালে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধু পঞ্চায়েত সদস্য নয় একেবারে ত্রিস্তর বিজেপি শক্তিবৃদ্ধি করেছে বিজেপি। পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে আরামবাগ মহকুমায় মোট ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত, খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে। জেলা পরিষদের আরামবাগের খানাকুলে এই প্রথম দুটি আসন পেয়েছে বিজেপি।  খানাকুল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল বোর্ড গড়লেও ২৩টি আসনের মধ্যে বিজেপির আসন সংখ্যা ১১টি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, তৃণমূলের যুবরাজ দুর্নীতির টাকায় গরু,কয়লা,বালি সহ অন্যান্য বেআইনি কারবারের টাকায় নবজোয়ার কর্মসূচি করেছিল। তার ফল জিরো হয়েছে। ফলেই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। কারণ, এই মহকুমায় যেখানে মানুষ ভোট দিতে পেরেছে সেখানে বিজেপি জয়লাভ করেছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে শুধু আরামবাগ মহকুমা নয়, সারা রাজ্যে বিজেপির খুব ভালো ফল হবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, নবজোয়ারের মাধ্যমে বিজেপির বিভিন্ন দুর্নীতি ও কারচুপি মানুষ বুঝতে পেরেছে। আমাদের যুবরাজ সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তা মানুষের কাছে তুলে ধরেছিল। বিজেপি কোনও ফ্যাক্টর নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share