Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • BGBS: শুরু হয়েছে ‘কুমিরছানা’ বিজনেস সামিট! এবারও কি কোটি কোটি টাকা কার্যত জলেই যাবে?

    BGBS: শুরু হয়েছে ‘কুমিরছানা’ বিজনেস সামিট! এবারও কি কোটি কোটি টাকা কার্যত জলেই যাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার মসনদে রয়েছেন নয় নয় করে ১২ বছর হয়ে গেল। সময়টা নেহাত কম নয়। শিল্প আনার নাম করে এই ক’বছরে তিনি ছ-ছটি বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট করে এলাহি আয়োজনের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছেন। বিজিবিএসের (BGBS) সপ্তম এডিশন শুরু হয়েছে কলকাতায়, চলবে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত। উল্লেখ্য, শেষ শিল্প সম্মেলনের প্রাপ্তি হিসেবে রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, মউ, লেটার অফ ইনটেন্টস (এলওআই) এবং এক্সপ্রেশনস অফ ইন্টারেস্ট (ইওআই) যা এসেছে, তার সংখ্যা ১৩৭, বিনিয়োগ প্রস্তাবের পরিমাণ ৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। এই পরিমাণ বিনিয়োগ থেকে চাকরি হতে পারে ৪০ লক্ষের। যদিও এই সময়ের মধ্যে কী হয়েছে, তা জানার সৌভাগ্য বাংলার মানুষের হয়নি। বড় কোনও শিল্প হয়েছে, তা দেখারও ভাগ্য কারও হয়নি।

    রোজগারের আশায় ভিন রাজ্যে

    বাস্তব ঘটনা হল, কী হতে চলেছে, তা ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে বাংলার মানুষ জানেনই না, এরপর রাজ্যে সত্যিকারের কত শিল্প এসেছে, বাস্তবে কত শত কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে, আর প্রকৃতপক্ষে কতজন চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু এটা জানেন, অনাহারে থাকতে থাকতে হতাশার শেষ পর্যায়ে পৌঁছে লক্ষ লক্ষ মানুষ কীভাবে বিপদের ঝুঁকি নিয়ে একটু রোজগারের আশায় ভিন রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছেন। ২ জুন ওড়িশার সেই ভয়ঙ্কর ট্রেন দুর্ঘটনার কথা কারোরই মন থেকে মুছে যায়নি। যে সব প্রাণ অকালে ঝরে গিয়েছিল, তাঁর মধ্যে এই রাজ্যেরই ছিলেন ১০৩ জন, যাঁরা একটু কাজের আশায় দক্ষিণের রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছিলেন। মিজোরামের আইজলের সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা নিশ্চই কেউ ভুলে যাননি। নির্মীয়মাণ রেল ব্রিজের কাজ করতে গিয়ে অকালে ঝরে গিয়েছিল ২৩টি প্রাণ, যারা সকলেই এই রাজ্যেরই মালদার বাসিন্দা। এইসব ঘটনাই বলে দিচ্ছে, রাজ্যে চাকরির পরিস্থিতি কতখানি সঙ্গিন।

    বিজনেস সামিটেও (BGBS) মিথ্যাচার?

    বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্যে মিথ্যাচারেরও অভিযোগ উঠেছে আগেই। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের প্রশ্নের উত্তরে সেই সময় রাজ্যের অর্থ এবং শিল্পমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ৫টি বিজিবিএসে (BGBS) মোট বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছিল ১২.৩২ লক্ষ কোটি টাকা। এর মধ্যে কার্যকর হয়েছে অর্ধেক, ৬.২ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু ভারত সরকারের শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রকের অধীন ডিপার্টমেন্ট অফ প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারন্যাল ট্রেড (ডিপিআইআইটি) থেকে পাওয়া তথ্যে ব্যাপক গরমিল ধরা পড়েছে। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ওই ৫ বছরে রাজ্য বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে ৩৭ হাজার ৫১ কোটি টাকার, যার মধ্যে ১৫ হাজার ৬২৫ কোটি টাকার প্রকল্প কার্যকর হয়েছে, যা রাজ্য সরকার যা দাবি করেছে, সেই বিনিযোগ প্রস্তাবের মাত্র ২.৫ শতাংশ।

    উৎপাদন, আয় সবই কমছে

    এবার দেখা যাক, অমিত শাহ ২০২০ সালে কী বলেছিলেন, যা শুনে মমতা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছিলেন। অমিত শাহ তথ্য দিয়ে বলেছিলেন, স্বাধীনতার সময় দেশের মোট শিল্প উৎপাদনে বাংলার অংশ ছিল ৩০ শতাংশ। কিন্তু তা নেমে এসেছে মাত্র ৩.৫ শতাংশে। অমিত শাহ আরও জানিয়েছিলেন, ১৯৬০ সালে বাংলার জনপ্রতি আয় ছিল মহারাষ্ট্রের ১০৫ শতাংশ। কিন্তু সেটাও কমে হয়ে গেছে অর্ধেক।

    সিঙ্গুরের ক্ষত মোছার নয়

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক তাই সাফ বলেছেন, এইসব করে কোটি কোটি টাকা খরচই হবে, কোনও নতুন শিল্প আসবে না। বরং বড় বড় শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দার্জিলিং যেমন সুইৎজারল্যান্ড হয়নি, তেমনই মমতার স্পেন সফরে শিল্পের বন্ধ্যা দশা আদৌ কাটবে না। কাজে আসবে না এইসব বিজনেস সামিট। তার জন্য দরকার পরিকাঠামো, সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ। সে সব কোথায় পশ্চিমবঙ্গে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০০৭ সালে যে সিঙ্গুর আন্দোলনের ওপর ভর করে ক্ষমতায় এসেছিলেন, সেটাই এখন হয়ে গেছে ব্যুমেরাং। এখন তিনি সেই খতে প্রলেপ দিতে যতই বিদেশ ঘুরুন, যতই বিজিবিএস (BGBS) করুন, যে ব্ল্যাক স্পট তাঁর সরকারের গায়ে লেগে গিয়েছে, তা আর মোছার নয়। ফলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতার স্পেন সফর ছিল নেহাতই প্রমোদ-ভ্রমণ এবং পুরোপুরি রাজনৈতিক সফর, এর সঙ্গে শিল্পের কোনও সম্পর্ক নেই। কতদিন তিনি এইভাবে কুমিরছানা দেখিয়ে রাজ্যবাসীকে বোকা বানিয়ে রাখবেন, সেটাই সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদের গরিব নাপিত রাতারাতি হয়ে গেলেন কোটিপতি

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদের গরিব নাপিত রাতারাতি হয়ে গেলেন কোটিপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়িতে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর মতো অবস্থা। সামান্য রোজগার করে পরিবারের পাশে না দাঁড়িয়ে নিজের ভাগ্য পরীক্ষার জন্য লটারি কাটতেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলের বাসিন্দা রবিউল শেখ। পেশায় তিনি নাপিতের কাজ করেন। তাঁর রোজগার খুবই কম। কিন্তু, তাঁর নেশা এমনই যে সেই উপার্জনের বেশির ভাগই খরচ করতেন লটারির টিকিট কিনতে। এ নিয়ে সংসারে নিত্যদিন অশান্তি লেগেই থাকত। বিদ্যুতের বিল মেটাতে না পারায় বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। সন্তানদের গৃহশিক্ষকের মাসিক বেতনটুকুও মাঝে মাঝে দিতে পারেন না বলে ঝামেলা হয়েছে। তবু, প্রতিদিন লটারির টিকিট কেটে গিয়েছেন। রবিউল পরিবারে অশান্তির ভয়ে এ বারের লটারির টিকিট কেনার কথাটা বাড়ির কাউকে বলেননি। সেই লুকিয়ে রাখা টিকিটেই ভাগ্য খুলে গেল তাঁর। সোমবার রাত পর্যন্ত গরিব নাপিত রবিউল মঙ্গলবার হয়ে গেলেন কোটিপতি। সকাল থেকে রবিউলের বাড়িতে উপচে পড়ছে প্রতিবেশীদের ভিড়।

    কবে লটারি কেটেছিলেন রবিউলসাহেব ? (Murshidabad)

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ডোমকলের রঘুনাথপুর মালিপাড়া গ্রামে বাড়ি রবিউলের। তাঁর একটি গুমটি দোকান আছে। সেখানে লোকের চুল-দাড়ি কাটেন তিনি। যেদিন খদ্দের খুব ভাল হয়, সে দিন আয় হয় দেড়শো থেকে দুশো টাকা। এই সামান্য রোজগারে তিনি নিয়মিত লটারি কাটতেন বলে অভিযোগ। এ হেন রবিউল ১৭ সেপ্টেম্বর এলাকার একটি দোকান থেকে ৬০ টাকায় একটি লটারির টিকিট কাটেন। আবার এ নিয়ে ঝগড়া হবে বলে বাড়ির কাউকে কিছু বলেননি। রাতে মিলিয়ে মিলিয়ে দেখছিলেন টিকিট নম্বর। সোমবার রাতে এক জন ফোন করে বলেন, ‘লটারি লেগেছে তোর।’ প্রথমে এই কথা বিশ্বাসই করতে পারেননি রবিউল। বার বার নম্বর মিলিয়ে দেখতে থাকেন। ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে বুঝতে পেরে মঙ্গলবার সেই টিকিট নিয়ে তিনি হাজির হন থানায়। পুলিশি নিরাপত্তায় সুরক্ষিত করা হয় রবিউলের লটারির টিকিট।

    সদ্য কোটিপতি রবিউল ও তাঁর মায়ের কী বক্তব্য?

    সদ্য কোটিপতি হওয়া রবিউলের বক্তব্য, কত অশান্তি সহ্য করেছি। তবুও স্বপ্ন দেখা ছাড়িনি। বাড়ির লোকের ভয়ে টিকিট কেটে লুকিয়ে রাখতাম। টিকিট মেলাতে গিয়ে এক কোটি টাকার পুরস্কার পেয়ে গেলাম। খুবই ভালর  লাগছে। ছেলের লটারি জেতা নিয়ে রবিউলের মা নাবেহার বিবি বলেন, ছেলের চিন্তায় ঘুম হত না আমার। কী ভাবে নাতি নাতনির পড়াশুনা করাবে, সেটাই ভাবতাম। এত দিনে ওর সপ্ন সত্যি হয়েছে। ভাল লাগছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: “বাইরের লোক মঙ্গলাহাটে এসে ম্যালেরিয়াকে বাড়াচ্ছে” তৃণমূল পুর-চেয়ারম্যানের বক্তব্যে তোলপাড়

    Howrah: “বাইরের লোক মঙ্গলাহাটে এসে ম্যালেরিয়াকে বাড়াচ্ছে” তৃণমূল পুর-চেয়ারম্যানের বক্তব্যে তোলপাড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষায় হাওড়া (Howrah) শহরের বুকে রীতিমতো ডেঙ্গির দোসর ম্যালেরিয়া। হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। পরিস্থিতি যখন এতটাই ভয়াবহ, তখন তৃণমূলের পুর-চেয়ারম্যান বললেন, “বাইরের লোক মঙ্গলাহাটে এসে ম্যালেরিয়াকে বাড়াচ্ছে”। আর এই মন্তব্যেরই বিরোধীরা তীব্র সমালোচনা করেছেন। এলাকায় পুরসভার জীর্ণ স্বাস্থ্য কাঠামোর বিষয় থেকে নজর ঘোরাতেই বহিরাগত মানুষের কথা তুলে ধরছেন তৃণমূলের এই নেতা। মশার কামড়ে ম্যালেরিয়া হয়। কিন্তু বহিরাগত মানুষের কারণে কীভাবে ম্যালেরিয়া ছড়াবে! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞদের একাংশ বলছেন, এই মন্তব্য অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় মাত্র। বর্তমানে মশাবাহিত রোগের প্রকোপে অতিষ্ঠ হাওড়াবাসী। আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। উঠছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রশ্নও।

    ম্যালেরিয়ায় উদ্বেগ (Howrah)

    হাওড়া পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, তা নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন শহরের বাসিন্দারা। তার মধ্যে আবার ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের ঘটনা উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বাসিন্দাদের। যদিও হাওড়া পুরসভার দাবি, ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা অন্য বছরের তুলনায় অনেকটাই কম।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ

    হাওড়া পুরসভার নাগরিকরা বলেছেন, ম্যালেরিয়াতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ছোট থেকে বড়, সকলে জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। হাওড়া জেলা হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে মশারি টাঙিয়ে রোগীদের চিকিৎসা চলছে। হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, যাঁরা জ্বর নিয়ে আসছেন তাঁদের রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। কেউ কেউ ডেঙ্গি, কেউ বা আবার ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালে কিছু রোগীকে ভর্তি করতে হচ্ছে।

    কমলেশ রাম নামে রোগীর এক আত্মীয় বলেন, “আমার দিদির ম্যালেরিয়া হয়েছিল। জ্বর কমছিল না। হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়”। অপর দিকে মিঠু মুখার্জি নামে আরও এক রোগীর এক আত্মীয় জানান, নাতনির বারবার জ্বর আসছিল। ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার যেভাবে হচ্ছে, তাই ঝুঁকি না নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে দিতে হয়েছে। এখন তার চিকিৎসা চলছে। হাওড়া হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেল মশার কামড় রুখতে রোগীদের শয্যায় মশারি খাটানো হয়েছে।

    ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত কত?

    হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত পুরসভার ৫০টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪৮ জন। বর্তমানে ৪, ২৩ এবং ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। হাওড়া পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে স্বীকার করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী। এই বছরের অগাস্ট মাস পর্যন্ত ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৩৮।

    পুরসভার বক্তব্য

    হাওড়া পুরসভার প্রশাসমন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী স্বীকার করেছেন যে ডেঙ্গির পাশাপাশি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন কিছু মানুষ। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, “এই দুই রোগের প্রকোপ দেখা দিলেও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। কারণ ওই ওয়ার্ডে মঙ্গলাহাট এবং লরি পার্কিং জোন থাকায় প্রচুর বাইরের মানুষ নিয়মিত আসেন। সেখান থেকেই এই ম্যালেরিয়া ছড়াচ্ছে”। ফুটপাতের বাসিন্দাদের জন্য মশারি বিতরণের পাশাপাশি সচেতনতা মূলক প্রচার করা করছেন বলে জানা গেছে। তিনি সকলকে ঘুমের সময় মশারি ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nipah Virus: নিপার কবলে পশ্চিমবঙ্গ? উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি এক রোগী! ছড়াচ্ছে আতঙ্ক

    Nipah Virus: নিপার কবলে পশ্চিমবঙ্গ? উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি এক রোগী! ছড়াচ্ছে আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক দিন ধরেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার পর কি নিপার (Nipah Virus) কবলে পড়তে চলেছে রাজ্যবাসী! সম্প্রতি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রের খবর সে দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। তাই উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতর? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের মঙ্গলকোট এলাকার এক ব্যক্তি জ্বর, সর্দি-কাশি, বমির মতো উপসর্গ নিয়ে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখান থেকেই চিকিৎসকদের আশঙ্কা হয়, তিনি নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। এরপরেই তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে রেফার করা হয়। মঙ্গলবার রাতে তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপসর্গ দেখে সেখানেও চিকিৎসকদের আশঙ্কা, তিনি নিপা ভাইরাসে (Nipah Virus) আক্রান্ত হতে পারেন। এরপরেই তাঁর প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির নমুনা পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি-তে পাঠানো হবে। রিপোর্ট আসলে তবেই নিশ্চিন্ত হতে পারবে চিকিৎসক মহল।

    কেন উদ্বিগ্ন চিকিৎসক মহল? 

    কেরলে ইতিমধ্যেই নিপা ভাইরাসের প্রকোপ বাড়াতে শুরু করেছে। কোঝিকোড় সহ কয়েকটি জায়গায় আইসোলেশনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। রোগ ছড়িয়ে পড়া রুখতে এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু দিন কয়েক আগেই, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির রিপোর্ট জানিয়েছিল, কেরল ছাড়াও তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, অসমের মতো রাজ্যগুলোয় নিপা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিপা হয় বাদুড় থেকে। বিশেষত তাল আর খেজুর গাছে এই বাদুড় থাকে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল সহ একাধিক রাজ্যে খেজুরের রস খাওয়ার রীতি রয়েছে। এমনকি খেজুর রস পচিয়ে নেশার পানীয় তৈরির রীতিও চালু আছে। আর সেখান থেকেই নিপা ভাইরাসের (Nipah Virus) প্রকোপ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকছে।

    কীভাবে জানান দেয় নিপা? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, একটানা তিন থেকে চার দিন জ্বর, মাথার যন্ত্রণা, শ্বাসকষ্ট, গলাব্যথা, সর্দির মতো উপসর্গ নিপা ভাইরাসে আক্রান্তের জানান দেয়। তাই এই উপসর্গ দেখা দিলে আর দেরি করা উচিত নয়। দ্রুত আলাদা ঘরে থাকা উচিত। যাতে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে রোগ (Nipah Virus)  না ছড়িয়ে পড়ে। পাশপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ মতো দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা দরকার। তবে, চলতি মরশুমে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, টাইফয়েডের মতো একাধিক রোগের উপসর্গ হল জ্বর, সর্দি-কাশি, মাথাব্যথা। আবার সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা আক্রান্ত হলেও এই ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। তাই চিকিৎসকদের একাংশের পরামর্শ, দু থেকে তিনদিন জ্বর আর মাথাব্যথার মতো উপসর্গ থাকলে আর অবহেলা করা উচিত নয়। প্রয়োজন রক্ত পরীক্ষার। কোন ধরনের সমস্যা হয়েছে তা দ্রুত নিশ্চিত করা জরুরি। তবেই পরিস্থিতি মোকাবিলা সহজ হবে। সময় মতো চিকিৎসা শুরু করা যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arms Factory: দুই কামরার বাড়ির পুরোটাই অস্ত্র কারখানা! চক্ষু চড়কগাছ পুলিশেরই!

    Arms Factory: দুই কামরার বাড়ির পুরোটাই অস্ত্র কারখানা! চক্ষু চড়কগাছ পুলিশেরই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতে এসে শিকার ধরা পড়ল জালে। পুলিশের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি করতে এসে ধরা পড়ল দুষ্কৃতী। এরপর সূত্র ধরে, জয়নগরে দুই কামরার ঘরে মিলেছে অবৈধ বিশাল অস্ত্রের কারখানার (Arms Factory) হদিশ। পুকুরের মধ্যে লুকানো ছিল বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করতে এসে পুলিশ নিজেই হতবাক। এতো অস্ত্র! তদন্তকারী অফিসারের চক্ষু চড়কগাছ। বাড়ির মালিকের নাম রহমতুল্লা শেখ। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে।

    অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের ভূমিকা (Arms Factory)

    গোপন সূত্রে পুলিশ আগেই খবর পেয়েছিল এই অস্ত্র কারখানার (Arms Factory) সম্পর্কে। সময় বুঝে বারুইপুর থানার পুলিশের এসওজি, জয়নগর থানা এবং বকুলতলা থানার পুলিশ একত্রিত হয়ে অভিযান চালায়। পুলিশ নিজের পরিচয় আত্মগোপন করে প্রথমে অস্ত্র কেনার জন্য ক্রেতা হিসাবে কারখানার মালিকের কাছে যায়। এরপর টাকা নিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালের সামনে যেতে বলে অস্ত্র কারবারীকে। ঠিক সন্ধ্যা ৬ টার সময় মাল দেওয়ার কথা হয়। এরপর পুলিশ এলাকায় অনেক সময় অপেক্ষা করে তাকে গ্রেফতার করে।

    কী কী উদ্ধার হল?

    ধৃত কারখানার (Arms Factory) মালিক রহমতুল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে, পুলিশ তার বাড়িতে গিয়ে অস্ত্র কারখানা থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করে। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৮ টি ওয়ান শটার বন্দুক, দুটো লং পাইপ। অস্ত্র তৈরির পালিশ মেশিন, ড্রিল মেশিন, ডাইস, ফাইল, করাত, হ্যাক্সো, বাটালি, হাতুড়ি, লোহার পাইপ ইত্যাদি উদ্ধার হয়। এই সব সরঞ্জাম দিয়ে অস্ত্র তৈরি করা হত বলে জানা গেছে। এই প্রসঙ্গে আরও জানা গেছে, ধৃত ব্যাক্তি নিজের সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে এই বাড়িতেই বসবাস করতেন।

    পুলিশের বক্তব্য

    বারুইপুর থানার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি বলেন, “গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অপারেশন করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র কারখানা থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। অনেক দিন ধরেই আমরা এই অভিযুক্তকে নজরে রেখেছিলাম। তবে এই ধৃত ব্যক্তির পিছনে কোনও রাজনৈতিক যোগসূত্র রয়েছে কিনা, এই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তদন্ত আরও এগোলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nimta: তোলা না দেওয়ায় নিমতায় নির্মীয়মাণ বহুতলে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Nimta: তোলা না দেওয়ায় নিমতায় নির্মীয়মাণ বহুতলে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রোমোটারের কাছে তোলা না পেয়ে তাঁর নির্মীয়মান বহুতলে তাণ্ডব চালানোর  অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে নিমতা (Nimta) থানার বিরাটি এলাকায়। নির্মাণ শ্রমিকদের হুমকি,অস্থায়ী ঘর, সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রোমোটার। নির্মীয়মাণ বহুতলে হামলার পাশাপাশি নগদ ৯৮ হজার টাকা লুটেরও অভিযোগ তোলা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nimta)

    নিমতার (Nimta) বিরাটির এমবি রোডের ধারে রাহুল বাড়ুই নামে এক প্রোমোটার বহুতল তৈরি করছেন। সাত বছর আগে এই বহুতল তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা স্বপন হালদার অর্থাৎ বর্তমানে উত্তর দমদম পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার শেলি হালদারের স্বামীর ওই প্রোমোটারের কাছে তোলা চান। তোলা না পাওয়ায় এনিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে গন্ডগোল চলছিল। একবার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপরেও বছর দু’য়েক আগে এই বহুতলের কাজ শুরু হয়। এরমধ্যে ফের তোলা চাওয়া নিয়ে প্রোমোটারের সঙ্গে ওই তৃণমূল নেতার গন্ডগোল হয়। এরপর ছয়- সাতজন দুষ্কৃতী এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। বহুতলের অফিসঘর ভাঙচুর করা হয়। বেশ কয়েকটি সিসি টিভি ছিল তা ভাঙচুর করে এবং সিসি টিভির হার্ডডিস্ক পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছু নগদ টাকা ছিল। তাও লুঠ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সমস্ত ঘটনা জানিয়ে ওই প্রোমোটার নিমতা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    কী বললেন প্রোমোটার?

    প্রোমোটার রাহুল বাড়ুই বলেন, বিরাটি সিদ্ধেশ্বরী বাজার এমবি রোডের ধারে এই নির্মীয়মাণ বহুতল। উত্তর দমদম পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের স্বামী স্বপন হালদারের লোকজন এসে নির্মাণ শ্রমিকদের হুমকি দেয়। ভাঙচুরের পাশাপাশি শ্রমিকদের টাকা মেটানোর জন্য অফিসে ৯৮ হাজার টাকা নগদ মজুত ছিল, তাও লুট করা হয়েছে। নিমতা (Nimta) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই নিয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে প্রোমোটারের সঙ্গে স্থানীয় ওই তৃণমূল নেতার গন্ডগোল চলছে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। কিন্তু, খোদ দলীয় কাউন্সিলারের স্বামীর বিরুদ্ধে তোলা চাওয়ার অভিযোগ, পাশাপাশি নির্মীয়মাণ বহুতলে ভাঙচুরের ঘটনায় অস্বস্তিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, প্রোমোটার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। আইন আইনের পথে চলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: ছাত্রকে ‘মানসিক র‍্যাগিং’! অভিযুক্ত দুই অধ্যাপক, তীব্র চাঞ্চল্য রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে

    Uttar Dinajpur: ছাত্রকে ‘মানসিক র‍্যাগিং’! অভিযুক্ত দুই অধ্যাপক, তীব্র চাঞ্চল্য রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে এক ছাত্রকে মানসিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Uttar Dinajpur)। মূল অভিযোগ এক অধ্যাপক ও অধ্যাপিকার বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত গত অগাস্ট মাস থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রের র‍্যাগিংয়ে মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র তোলপাড় শুরু হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় শিক্ষাবিদ থেকে ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক অধ্যাপিকা, রাজনৈতিক নেতা এমনকি রাজ্যপালকেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গেছে। ফের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে।

    র‍্যাগিংয়ের কী অভিযোগ ছাত্রের (Uttar Dinajpur)?

    র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন কিষাণ বর্মন নামে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Uttar Dinajpur) তৃতীয় বর্ষের ইংরেজি বিভাগের এক ছাত্র। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক এবং এক অধ্যাপিকার নামে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন তিনি। কিষাণ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে ঠিকমত ক্লাস হচ্ছে না। বিশেষ করে সান্ধ্যকালীন সময়ে ক্লাস বেশির ভাগ সময়ে বন্ধ থাকে।” সম্প্রতি এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন কিষাণ। আর তার পর থেকেই ইংরেজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. সংযুক্তা চ্যাটার্জি, অধ্যাপক ড. নির্ঝর সরকার এবং একাংশ গবেষক তাঁকে প্রায়ই ক্লাস থেকে বের করে দিতেন। সেই সঙ্গে অকারণেই ক্লাসে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করতেন বলে অভিযোগ। এই মানসিক নির্যাতনের প্রেক্ষিতে কিষাণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।

    গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি

    র‍্যাগিংয়ের এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতর এবং জেলা প্রশাসনের (Uttar Dinajpur) অনুরোধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে । যার চেয়ারম্যান করা হয়েছে কলা বিভাগের ডিন অধ্যাপক প্রশান্ত মাহালাকে। এই বিষয়ে মঙ্গলবার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এদিনের বৈঠকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় বলে সূত্রের খবর। এদিকে এই নবগঠিত কমিটি এই ঘটনায় জোর তদন্ত শুরু করেছে। এই তদন্ত শেষে রিপোর্ট পাঠানো হবে জেলা অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দফতর, জেলা প্রশাসন ও রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের কাছে।

    অভিযুক্ত অধ্যাপকের বক্তব্য

    যদিও ছাত্রের মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত বিভাগীয় প্রধান ড. সংযুক্তা চ্যাটার্জি । তিনি বলেন, “সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। তদন্ত বৈঠকে সবাইকে ডাকা হয়েছিল, সেখানে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পাশাপাশি তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতাও করেছি আমি। কার্যত মিথ্যা অভিযোগ করে বিশ্ববিদ্যালয়কে (Uttar Dinajpur) কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” পাশাপাশি বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ হওয়ায় আর বিশেষ কিছু বলতে চাননি।

    বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    অপরদিকে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ড. দুর্লভ সরকার বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপাচার্য। সেই তদন্ত কমিটি সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। সব পক্ষকে ডেকেই তদন্ত কমিটি বিষয়টি জানার চেষ্টা করছে।” প্রসঙ্গত, আগামী ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পেশ করার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন (Uttar Dinajpur)।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Arambagh: আরামবাগে বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:বিজেপি কর্মীর বাড়িতে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) খানাকুল-১ নম্বর ব্লকের অরুণ্ডা গ্রামে। তৃণমূলের হামলায় ৪ জন বিজেপি কর্মী জখম হন। তাঁদের উদ্ধার করে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উদ্যোগে একটা খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। বিজেপি সমর্থকদের অভিযোগ, আচমকা তৃণমূলের ৩০ থেকে ৪০ জন কর্মী তাঁদের বাড়িতে এসে ভাঙচুর চালায়। মারধরও করা হয়। এমনকী বাড়িতে থাকা টাকা-সোনাও লুট করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় জখম হন বিজেপির দুই মহিলা ও দুই পুরুষ। এরপর পরিবারের লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে আরামবাগ (Arambagh) মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে। প্রসঙ্গত, গত ২৯ অগাস্ট অরুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতে স্থায়ী সমিতি গঠনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল গোটা এলাকায়। রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল অরুণ্ডা গ্রাম। সূত্রের খবর, চলেছিল গুলি। দেদার বোমাবাজি ও হয়। অনেক বাড়িতে ভাঙচুর চলে, পঞ্চায়েত ভবনে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল আগুনও। পুলিশের গাড়িতেও চলে ভাঙচুর। পুলিশের চারটি বাইক জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ১৯ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে থমেথমে ছিল গোটা এলাকা। এরমধ্যে ফের তৃণমূল তাণ্ডব চালায় বলে অভিযোগ।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধেই স্পষ্ট অভিযোগ আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তথা পুড়শুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষের। তিনি বলছেন, তৃণমূল ও পুলিশ উভয়েই অরুণ্ডাতে বিজেপি সমর্থকদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে জানাব।  সুরাহা না হলে আদালত পর্যন্ত যাব।

    হামলা প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী সমস্ত অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। মারধর লুটপাট এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। কোন্দল ঢাকতে ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ragging: যাদবপুরের পর এবার বসিরহাটের স্কুল হস্টেলে র‍্যাগিং! পালিয়ে গেল তিন স্কুল পড়ুয়া

    Ragging: যাদবপুরের পর এবার বসিরহাটের স্কুল হস্টেলে র‍্যাগিং! পালিয়ে গেল তিন স্কুল পড়ুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। ফের র‍্যাগিংয়ের ঘটনায় তোলপাড় শিক্ষামহল। এবার ঘটনাস্থল উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট। সিনিয়র দাদাদের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে স্কুলের হস্টেল থেকে পালিয়ে গেল তিন ছাত্র। মঙ্গলবার দেগঙ্গা থানার পুলিশ তাদের উদ্ধার করে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির হাতে তুলে দিয়েছে। এর আগেও এই জেলায় বনগাঁ মহকুমায় একটি হস্টেল থেকে সিনিয়রদের র‍্যাগিংয়ে এক স্কুল পড়ুয়া গভীর রাতে হস্টেলের পাঁচিল টপকে বাড়ি পালিয়ে যায়। ফের দেগঙ্গায় একই ঘটনা ঘটায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বেলা একটা নাগাদ দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা বাজারে স্কুলের পোশাকে তিন ছাত্রকে উদ্দেশ্যহীন  ঘোরাঘুরি করতে দেখেন স্থানীয় লোকজন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ছাত্রদের পড়নে যে স্কুলড্রেস ছিল, তা এলাকার কোনও স্কুলের নয়। তাই, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের একটি দোকানে বসিয়ে রাখেন। এরপরই তাঁরা থানায় খবর দেন। খবর পেয়ে দেগঙ্গা থানার পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। উদ্ধার হওয়া পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, তারা তিনজন  মাটিয়া থানার বেলে ধান্যকুড়িয়া হাইস্কুলের ছাত্র। দুজন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। অন্যজন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। একজনের বাড়ি হাবড়া ও অন্য দুই ছাত্রের বাড়ি নদিয়া জেলার কল্যাণী ও শান্তিপুরে। তারা হস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করত। তিন পড়ুয়ার অভিযোগ, হস্টেলের সিনিয়র দাদারা তাদের মারধর করে। নানা অত্যাচার করে। হস্টেলে থাকতে পাচ্ছিলাম না। তাই, তারা হস্টেল ছেড়ে পালিয়েছিল।

    পুলিশ প্রশাসন কী পদক্ষেপ গ্রহণ করল?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল পর্যন্ত থানায় র‍্যাগিংয়ের কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। ওই তিন ছাত্রের অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়েছে। আপাতত উদ্ধার হওয়া তিন ছাত্রকে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিশনের হেফাজতে রাখা হয়েছে। অভিভাবকরা আসার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যাদবপুরের ঘটনার পর ফের র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ ঘিরে বিভিন্ন মহলে উঠেছে। বিশেষ করে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু, জেলায় কতজন আক্রান্ত জানেন?

    Nadia: নদিয়ায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু, জেলায় কতজন আক্রান্ত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ায় (Nadia) ডেঙ্গিতে লাগাম টানতে পারেনি স্বাস্থ্য দফতর। জেলায় হু হু করে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এর আগে রানাঘাটে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল কলেজ ছাত্রীর। কলেজ ছাত্রীর নাম সুস্মিতা মণ্ডল। তাঁর বয়স কুড়ি বছর। রানাঘাট কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তাঁর বাড়ি শান্তিপুর থানার পুলতা গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন ওই কলেজ ছাত্রী। তাঁকে প্রথমে হবিবপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে। ছাত্রীর পরিবারের লোকজন ভালো চিকিৎসার জন্য তাঁকে রানাঘাটে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করেন। তারপর থেকেই শুরু হয় চিকিৎসার গাফিলতি। যখন পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হয় তখন ওই কলেজ ছাত্রীকে নার্সিংহোম থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে পরিবারের পরিজনেরা তাঁকে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দেন, চিকিৎসার গাফিলতির জন্যই ওই ছাত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়েছে। সোমবার রাতে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হলেও কিছুক্ষণ পরই মৃত্যু হয় ওই কলেজ ছাত্রীর। শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা গ্রামে। রানাঘাটের ওই  নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। আবারও কলেজ ছাত্রীর মৃত্যুতে একাধিক প্রশ্ন চিহ্নের মুখে রানাঘাটের ওই বেসরকারি নার্সিংহোম।

    নদিয়া (Nadia) জেলায় ডেঙ্গিতে কতজন আক্রান্ত?

    নদিয়া (Nadia) জেলায় হু হু করে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত, পুরসভার পক্ষ থেকে কোনও উদ্যোগই চোখে পড়ছে না বলে জেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৪ হাজার জন আক্রান্ত রয়েছেন। যদিও স্বাস্থ্য দফতরের দাবি, অনেকেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। অনেকের জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের বক্তব্য, ডেঙ্গি মোকাবিলায় সবরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share