Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Murshidabad: রানিনগর-২ বোর্ড গঠনে জেলবন্দি সভাপতি ভোট দিতে যাবেন, নির্দেশ আদালতের

    Murshidabad: রানিনগর-২ বোর্ড গঠনে জেলবন্দি সভাপতি ভোট দিতে যাবেন, নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর-২ পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে টালবাহানা চলছিল। এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর স্থায়ী সমিতি গঠনে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবার রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে বোর্ড গঠন নিয়ে কড়া নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

    আদালতে কী জানাল রাজ্য?

    গত ১১ সেপ্টেম্বর মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি গঠনের কথা ছিল। তার আগে পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেসি সভাপতি কুদ্দুস আলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পালটা আদালতে যান কুদ্দুস আলি। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে স্থায়ী কমিটি গঠনে স্থগিতাদেশ জারি করে আদালত। ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী কমিটি গঠন করা যাবে না বলে নির্দেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সঙ্গে কবে রাজ্য সেখানে স্থায়ী কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় তা মঙ্গলবারের মধ্যে জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয় ২৭ সেপ্টেম্বর সেখানে বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় তারা। এরপরই বিচারপতি অমৃতা সিনহা বিরোধীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে একের পর এক নির্দেশ দেন।

    পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন নিয়ে কী নির্দেশ দিলেন বিচারক?

    এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশে জানিয়েছেন, ২৭ সেপ্টেম্বরই  মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হবে। বোর্ড গঠনের সময় ভোটাভুটিতে জেল থেকে হাজির করাতে হবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলিকে। এছাড়া কংগ্রেসের যে ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করেছে তাদের ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না। আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ফের মামলাটির শুনানি হবে।

    রানিনগরে ঠিক কী ঘটেছিল?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী হওয়ায় বিজয় সমাবেশের ডাক দিয়েছিল বাম এবং কংগ্রেস। অভিযোগ, সেই সমাবেশে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বাধার মুখে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ পুলিশের সঙ্গে একযোগে তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের সমাবেশে যেতে বাধা দেন তৃণমূল কর্মীরাও। সমাবেশ থেকে ফেরার পথে এই ঘটনা নিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। অভিযোগ, কংগ্রেস কর্মীরা রানিনগর থানায় ঢুকে তাণ্ডব চালান। থানা লক্ষ্য করে চলে তুমুল ইটবৃষ্টি। রাজ্য সড়কের পাশে তৃণমূলের পার্টি অফিস মান্নান হোসেন ভবনেও ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, রানিনগর থানার পুলিশকে সাহায্য করতে ডেকে পাঠানো হয় আশপাশের থানার পুলিশকর্মীদেরও। তারপর কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে এবং লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি-সহ মোট ৩১ জন বাম এবং কংগ্রেস সমর্থককে। ধৃতদের  লালবাগ আদালতে পেশ করা হয়। আদালত কুদ্দুস-সহ ৩১ জনকে ১৪ দিন জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বাইকে করে পাচারের চেষ্টা রুখে দিল বিএসএফ, মিলল ২৩ কেজি সোনা

    North 24 Parganas: বাইকে করে পাচারের চেষ্টা রুখে দিল বিএসএফ, মিলল ২৩ কেজি সোনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় মাপের সোনা পাচারের রহস্য ফাঁস করল সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বাগদায় ১৪ কোটি টাকার সোনা উদ্ধার করল বিএসএফ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ২৩ কেজি বিদেশি সোনা আটক করেছে বিএসএফ। সেই সঙ্গে একজন পাচারকারীকেও আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র শোরগোল পড়েছে। চোরাচালান আটকাতে বিএসএফ ভীষণ তৎপর বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ। 

    কীভাবে ধরা পড়ল সোনা পাচারকারী (North 24 Parganas)?

    ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) রণঘাট এলাকায়, বিএসএফ সোনা পাচারের প্রচেষ্টাকে আটকে দিল। সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে পাচারকারীরা বাইকের এয়ার ফিল্টারের মধ্যে লুকিয়ে সোনা নিয়ে যাচ্ছিল। ৫০টি সোনার বিস্কুট এবং ১৬ টি সোনার বার সহ একজন চোরাকারবারিকে ধরা হয়েছে। মোট উদ্ধারকৃত সোনার পরিমাণ হল ২৩ কেজি। যার বাজারমূল্য হল ১৪ কোটি টাকা। ধৃতের কাছ থেকে জানা গেছে, অবৈধভাবে ভারত থেকে বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছিল এই সোনা। এই অভিযুক্তকে ধরার পর সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী্র বাগদা কাস্টম অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।

    গোপন সূত্রে মিলেছিল খবর

    গোপন সূত্রে বিএসএফ খবর পায়, ভ্যান মোড় (North 24 Parganas) দিয়ে সোনা পাচার হবে। এরপর কমান্ডোদের নেতৃত্বে শুরু হয় নজরদারি। ইতিমধ্যে এক বাইক আরোহীকে সন্দেহ হলে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তারা। কিন্তু আরোহী ভয় পেয়ে বাইক ফেলে পালিয়ে যেতে চাইলে, তাকে ধরে ফেলে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী। এরপর তাকে ধরে সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে গিয়ে তল্লাশি শুরু হলে, বাইকের এয়ার ফিল্টার থেকে সোনা উদ্ধার হয়। ধৃত ব্যক্তির নাম ইন্দ্রজিৎ পাত্র। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার কুলিয়াতে। ইন্দ্রজিতের দাদার সোনার দোকান রয়েছে। রণঘাট থেকে সোনা বনগাঁয় পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১৫ হাজার টাকা চুক্তি হয়েছিল বলে জানা গেছে। এই কাজ করতে গিয়েই সে ধরা পড়ে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: টাকা ডবল করে দেওয়ার টোপ! প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ঢেলে প্রতারিত ওড়িশার এক ব্যক্তি

    Barrackpore: টাকা ডবল করে দেওয়ার টোপ! প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ঢেলে প্রতারিত ওড়িশার এক ব্যক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক নিমেষে টাকা ডবলের টোপ দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল এক চক্রের বিরুদ্ধে। ওড়িশার ভদ্রকের শ্রীকান্ত মিশ্র নামে এক ব্যক্তি প্রায় ১০ লক্ষ টাকা প্রতারিত হয়েছেন। ইতিমধ্যেই তিনি বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেটের ঘোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত নেমে পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু নগদ টাকা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়া জেলাজুড়ে একটি প্রতারণাচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অভিনব কৌশলে তারা বিভিন্ন মানুষকে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ। শুধু এই রাজ্যের বাসিন্দারা তাদের কাছে টাকা জমা দিয়ে প্রতারিত হয়েছেন তা নয়, ভিন রাজ্যেও তারা প্রতারণা চক্র চালাচ্ছে। ভিন রাজ্যে তাদের লিঙ্কম্যানও রয়েছে। এরকম এক প্রতারণার চক্রের শিকার হয়েছেন ওড়িশার ভদ্রকের শ্রীকান্তবাবুও। এই প্রতারণাচক্রের খপ্পরে পড়ে তিনি প্রায় সাড়ে ন’লক্ষ টাকা প্রতারিত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, শ্রীকান্তবাবু একটি সূত্র থেকে জানতে পারেন কলকাতায় একটি সংস্থার কাছে ডিজিটাল মাধ্যমে যে কোনও অঙ্কের টাকা জমা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে নগদে তার দ্বিগুণ টাকা তারা ফেরত দিয়ে দেয়। প্রতারণাচক্রের লিংকম্যানই ভদ্রকের ওই ব্যক্তিকে টোপ দেয় বলে অভিযোগ। টাকা ডবলের আশায় শ্রীকান্তবাবু কলকাতায় আসেন। প্রতারকদের সঙ্গে দেখাও হয়। এরপর কলকাতা থেকে গাড়ি করে তাঁরা কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে ঘোলার মুড়াগাছায় আসেন। সেখানেই প্রতারকরা নানাভাবে বুঝিয়ে আস্থা অর্জন করে শ্রীকান্তের। এরপরই অনলাইনে তিনি সাড়ে ন’ লক্ষ টাকা প্রতারকদের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে দেন। প্রতারকদের সঙ্গে একই গাড়িতে ছিলেন শ্রীকান্তবাবু। টাকা ট্রান্সফার হওয়ার পর প্রতারকরা জানায়, গাড়ির ডিকিতে রাখা রয়েছে তাঁর প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা। গাড়ি থেকে নেমে শ্রীকান্তবাবু গা়ড়ির ডিকি খুলে সেই ডবল টাকা আনতে চান। ডিকি খুলতে যাওয়ার আগেই প্রতারকরা গাড়ি নিয়ে উধাও হয়ে যায়। তখনই শ্রীকান্তবাবু প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারেন। এরপরই তিনি বারাকপুর (Barrackpore) ঘোলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় তিনজন গ্রেফতার হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন দেবজ্যোতি বিশ্বাস এবং সম্রাট বরাইয়ের বাড়ি কল্যাণী। এই দুজনকে আগেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পরে, পাপ্পু কুমার যাদবের নাম জানতে পারে। তার বাড়ি বিহারে। সে কল্যাণীতে থাকে। হুগলির মগরা থেকে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কল্যাণীর বাড়ি থেকে সাড়ে আট লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আর কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টা চলছে। আর আরও এক লক্ষ টাকা কোথায় রয়েছে তার খোঁজে তল্লাশি চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: তৃণমূলের এ কী হাল? পদত্যাগ করতে চান দলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান

    Paschim Medinipur: তৃণমূলের এ কী হাল? পদত্যাগ করতে চান দলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটা করে দলের সিংহভাগ সদস্যের সমর্থন নিয়ে তৃণমূলের প্রধান নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রধান হওয়ার পর থেকে তিনি পঞ্চায়েত অফিসে যেতে পারেননি। এরমধ্যেই তৃণমূলের ওই প্রধানকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) দাসপুর-১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Paschim Medinipur)

    পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) সরবেড়িয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৫ টি আসনের মধ্যে ১৫টিতেই জয় লাভ করে শাসক দল তৃণমূল। তবে প্রধান নির্বাচন নিয়ে প্রথম থেকেই কোন্দলে জড়ায় শাসকদলের দুই গোষ্ঠী। দলের তরফে কমল জানা নামে একজন সদস্যের নাম পঞ্চায়েত প্রধান হিসেবে প্রস্তাব করা হলেও সিংহভাগ জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য প্রধান হিসেবে চান কার্তিক চন্দ্র ভূঁইয়াকে। দলের নির্দেশকে কার্যত অমান্য করেই ভোটাভুটিতে অংশ নেন পঞ্চায়েত সদস্যরা। ভোটাভুটিতে কমল জানাকে পিছনে ফেলে প্রধান হন কার্তিক চন্দ্র ভূঁইয়া। তবে, প্রধান পদে নির্বাচিত হলেও নিজেরই দলের বেশ কিছু কর্মীর দাপটে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রবেশ করতে পারেননি তিনি। অবশেষে রবিবার রাত থেকে শুরু হয় নাটক। ১৭ সেপ্টেম্বর রাত আটটা থেকে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে যান দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদ্য নির্বাচিত প্রধান কার্তিকবাবু। প্রধানের অনুগামীদের দাবি, অপহরণ করা হয়েছে তাদের নেতাকে। রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। যদিও রাত ১২টার কিছু পরেই আচমকাই বাড়িতে এসে হাজির হন প্রধান। এই ঘটনার জন্য তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকে দায়ী করেছে অনেকে।

    কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    সরবেড়িয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিকবাবু বলেন, কারা আমাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল জানি না। কেন আমাকে কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখার পর ছেড়ে দেওয়া হল তা জানি না। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই, পঞ্চায়েত প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিতে চাই। শুধু তাই নয় পঞ্চায়েত সদস্য পদ থেকেও দিন কয়েকের মধ্যেই ইস্তফা দেব। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত পঞ্চায়েত প্রধানের এমন দাবিকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল প়ড়েছে এলাকায়।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপি নেতা কালীপদ সেনগুপ্ত বলেন, শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে সন্ত্রাস থেকে বাদ পড়ছে না দলের নেতারাই। এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আতঙ্কে ওই প্রধান পঞ্চায়েত সদস্য থেকেও পদত্যাগ করবেন। এই ঘটনা দলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে এনে দিল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও বিজেপির কথাকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur)  ঘাটাল সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশিস হুতাইত বলেন, নিজের ভুল বুঝতে পেরেই পঞ্চায়েত প্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার ভাবনা কার্তিক চন্দ্র ভূঁইয়ার। আর কোনও কারণ নেই। অপহরণের ঘটনাও ঠিক নয়।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Murder: হামলার অভিযোগ, নিহত বিজেপির কর্মীর দাদা দ্বারস্থ হলেন সিবিআইয়ের

    BJP Murder: হামলার অভিযোগ, নিহত বিজেপির কর্মীর দাদা দ্বারস্থ হলেন সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ হতেই তৃণমূলের তাণ্ডব লীলা শুরু হয়েছিল রাজ্যজুড়ে। সেদিনই খুন হন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার (BJP Murder)। পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয় যে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয় ওই বিজেপি কর্মীকে। এরপরে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলাগুলির তদন্তভার নেয় সিবিআই। ওই বছরেরই সেপ্টেম্বর মাসে ২০ জনের বিরুদ্ধে খুন, মারপিট সমেত একাধিক ধারায় চার্জশিট দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। প্রথম থেকেই দোষীদের শাস্তি পাওয়ার বিষয়ে সক্রিয় ছিলেন নিহতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। এবার তাঁর ওপরেই হামলার অভিযোগ।

    শনিবার প্রাণঘাতী হামলা নিহতের দাদার ওপর 

    এরই মধ্যে গত শনিবার সিবিআই এর খাতায় ফেরার দুই অভিযুক্ত নাড়ু এবং অরুণ দে, বিশ্বজিৎ সরকারের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ১৬ সেপ্টেম্বর হামলার ঘটনার পরেই নারকেলডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বিশ্বজিৎ সরকার। শনিবার নিহতের দাদাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে দুই ফেরার আসামির (BJP Murder) বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ক্ষুর দিয়ে গলার নলি কাটারও চেষ্টা করা হয় বিশ্বজিৎ সরকারের, এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এরপরেই সিবিআই-এর দ্বারস্থ হন নিহতের দাদা। তবে এটা প্রথম নয় আগেও প্রাণঘাতী হামলা হয় বিশ্বজিৎ এর ওপর। তখনও তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। প্রাণনাশের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজিৎ সরকারকে পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। কিন্তু বিচারপতির নির্দেশের পরেও রাজ্য পুলিশ কোনও রকম নিরাপত্তা দেয়নি বলে অভিযোগ যা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। 

    কেন সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হলেন নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা

    তাঁর ওপর হামলার পর পরই বিশ্বজিৎ সরকার সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের খাতায় পলাতক অভিযুক্ত (BJP Murder) অরুণ দে বলছিল ক্ষুরটা বের কর ওর গলাটা কেটে দেব, সাক্ষ্য দিতে পারবে না। এর পরে রাস্তায় দুজন চলে আসায় ওরা পালিয়ে যায়। ওদের নামে পঞ্চাশ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, আমার বাড়িতে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকলেও আমার সঙ্গে কোনও নিরাপত্তা রক্ষী নেই।’’বিশ্বজিৎ সরকারের দাবি, এই ঘটনার পরে তিনি সিবিআই আধিকারিকদের ফোনও করেছেন। পলাতক নাড়ু এবং অরুণ দে’কে কেন ধরা হচ্ছে না সে বিষয়ে তিনি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছেন সিবিআইকে। এর পাশাপাশি তাঁর নিজের নিরাপত্তার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। ফেরাররা (BJP Murder) কীভাবে এভাবে প্রকাশ্য রাস্তা ঘুরে বেড়াতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে থেঁতলে খুন করেও নির্বিকার স্বামী! মেয়েকে নিয়ে ঘুরলেন এলাকায়

    Siliguri: স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে থেঁতলে খুন করেও নির্বিকার স্বামী! মেয়েকে নিয়ে ঘুরলেন এলাকায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন করে, মেয়েকে নিয়ে পাড়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন স্বামী। শিলিগুড়ির (Siliguri ) এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে এলাকায়। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করে, ঘটনায় তদন্ত নেমেছে স্থানীয় পুলিশ। মৃত স্ত্রীর নাম সোনালি মণ্ডল এবং অভিযুক্ত স্বামীর নাম রাহুল মণ্ডল।

    কীভাবে ঘটল (Siliguri)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিলিগুড়ির (Siliguri) শিবমন্দিরের চাউমিন মোড় এলাকায় স্ত্রীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে খুন করেন স্বামী। খুনের পর পালিয়ে যাননি তিনি! মৃত স্ত্রীর দেহ ঘরে রেখে নিজের এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন। সঙ্গে ছিল তাঁর মেয়ে। আবার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খুন করে স্ত্রীর মৃতদেহের মাথার পাশে একটি প্লাস্টিক রেখে তার নিচে একটি গামলা রেখে দেওয়া হয়েছিল। শরীরের রক্ত যাতে বাইরে বেরিয়ে জানাজানি না হয়, সেই চেষ্টাই করা হয় বলে পুলিশের অনুমান। এই নির্মম খুনের ঘটনায় প্রতিবেশীদের মধ্যে তীব্র ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে ঘটনার কথা শুনে অনেকেই আঁতকে উঠেছেন। নিজের স্বামী কীভাবে খুন করলেন, এটা ভেবেই প্রতিবেশীরা অবাক হয়ে যাচ্ছেন। 

    পুলিশের বক্তব্য

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত মহিলার নাম সোনালি মণ্ডল। খুনে অভিযুক্ত স্বামীর নাম রাহুল মণ্ডল। তাঁদের একটি ছোট্ট কন্যাসন্তানও রয়েছে। রাহুল নিজে কাঠ পালিশের কাজ করতেন বলে জানা গেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, তাঁরা চাউমিন মোড়ে একটি ভাড়ার বাড়িতে থাকতেন। গত একমাস ধরে এই ভাড়ার বাড়িতে থাকছিলেন তাঁরা। সোমবার ভোর রাতে স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ হয়। পারিবারিক বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে অশান্তি চলছিল বলে জানা গেছে। ঘটনার দিনে ভোর বেলায় হাতুড়ি দিয়ে স্বামী, স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে মাথা থেঁতলে খুন করে। খবর পেয়ে স্ত্রীর মৃতদেহ বাড়ি থেকে উদ্ধার করে, পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। অপর দিকে মাটিগাড়া থেকে খুনের অভিযোগে স্বামী রাহুলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কী কারণে খুনের ঘটনা ঘটল, পুলিশ এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: এক সপ্তাহে আক্রান্ত সাড়ে ৩ হাজার! আইডি থেকে এমআর বাঙুর, ডেঙ্গির বেড নিয়ে হাহাকার! 

    Dengue: এক সপ্তাহে আক্রান্ত সাড়ে ৩ হাজার! আইডি থেকে এমআর বাঙুর, ডেঙ্গির বেড নিয়ে হাহাকার! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বেসামাল ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি। যদিও এরকম একটা পরিস্থিতি যে তৈরি হবে, তা বিরোধী দলনেতা থেকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আগাম আন্দাজ করেছিলেন। রাজ্য প্রশাসন অবশ্য বারবার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি এবারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আর তার জন্য বিপাকে কয়েক হাজার রোগী ও তাঁদের পরিবার।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট (Dengue)? 

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য জুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গির দাপট। সেপ্টেম্বরে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক। গত সাত দিনে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে তিন হাজার। গত কয়েক বছরের সমস্ত রেকর্ড এবার ভেঙে যাবে বলেই আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল। ন্যাশনাল ভেক্টর বোর্ন ডিজিজ কন্ট্রোল ব্যুরোর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে এ রাজ্যে ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে বলেই আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। 
    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছরেও ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তদের অধিকাংশই উত্তর চব্বিশ পরগনা, কলকাতা, নদিয়া এবং হুগলি জেলার বাসিন্দা। গত কয়েক বছরের মতোই উত্তর চব্বিশ পরগনার হাবড়া, বসিরহাট, বারাসতের মতো এলাকা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। পাশপাশি বাড়তি চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে বিধাননগর। কারণ, সল্টলেক, রাজারহাট, নিউটাউনের মতো স্মার্ট সিটিতেও ডেঙ্গি সংক্রমণ মারাত্মক। এক সপ্তাহে পাঁচশোর বেশি ডেঙ্গি সংক্রমণ হয়েছে শুধুমাত্র বিধাননগর এলাকায়।

    বেড নিয়ে হাহাকার অব্যাহত (Dengue)! 

    ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়তেই ভর্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। রোগীর পরিজনদের একাংশের অভিযোগ, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগ, ডেঙ্গির জন্য বরাদ্দ শয্যা আর নেই বলে জানাচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা জানাচ্ছে, ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে গেলেও জানানো হচ্ছে পর্যাপ্ত বেড নেই। তাই তাদের একের পর এক হাসপাতালে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। রোগীর পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হচ্ছে। যেমন সম্প্রতি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে এক রোগীর পরিবারের অভিযোগ, বসিরহাট থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তকে নিয়ে গিয়ে তাঁরা তিনদিন বেডের অপেক্ষায় রয়েছেন। বারাসত হাসপাতাল থেকে তাঁদের রেফার করা হয়েছে। কিন্তু বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, পর্যাপ্ত শয্যা নেই। তাই বেড দেওয়া যাবে না। একই রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন এমআর বাঙুর হাসপাতালের একাধিক রোগী। ভর্তির জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা। তারপরেও শয্যা পাওয়া যাচ্ছে না। তবে, বেলেঘাটা আইডি কিংবা এমআর বাঙুর ব্যতিক্রম নয় বলেই জানাচ্ছেন অধিকাংশ ভুক্তভোগী। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালেই সমস্যা হচ্ছে। ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত নয় অধিকাংশ সরকারি হাসপাতাল।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার স্বাস্থ্য ভবনে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য বিশেষ বৈঠক হয়। সেখানে অধিকাংশ স্বাস্থ্যকর্তা মেনে নিয়েছেন, রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। একদিকে হাসপাতালের পরিকাঠামো ঠিক করা জরুরি বলেও অধিকাংশ স্বাস্থ্যকর্তা জানিয়েছেন। প্রয়োজনে ডেঙ্গির জন্য আরও বেশি শয্যা বরাদ্দ করতে হবে বলেও বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে, কাদের ভর্তি করতে হবে, সে নিয়ে আরও বেশি পর্যালোচনা জরুরি। কারণ, স্বাস্থ্যকর্তারা মনে করছেন, সব ডেঙ্গি আক্রান্তের হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই। তাদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করা যায়। তাই কাদের ভর্তি করতে হবে, সে বিষয়টি আরও খুঁটিয়ে দেখতে হবে বলেও এই বৈঠকে ঠিক করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: উদ্বোধনের দু’মাসের মধ্যেই নদীবাঁধে ধস, কাটমানির বিরুদ্ধে সুর চড়াল বিজেপি

    South 24 Parganas: উদ্বোধনের দু’মাসের মধ্যেই নদীবাঁধে ধস, কাটমানির বিরুদ্ধে সুর চড়াল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছিল নদীবাঁধ। উদ্বোধনের দুমাসের মধ্যেই সেই বাঁধে নামল ধস, আতঙ্কে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নামখানা ব্লকের  নারায়ণগঞ্জ এলাকায় মুড়িগঙ্গা নদীবাঁধে। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক মাস আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) মুড়িগঙ্গা নদীবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছিল। এলাকার মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে, সেত দফতর বাঁধ তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। প্রায় ৬ কোটি টাকা খরচ করে মাটি ও বাঁশ দিয়ে এই বাঁধ তৈরি করা হয়। ঘটা করে সেই নদীবাঁধের উদ্বোধন করেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। দুই মাস যেতে না যেতেই সেই বাঁধে  প্রায় ১০০ মিটার জুড়ে ধস নামে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবে বাঁধ নির্মাণের কাজ নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন নারায়ণগঞ্জবাসীরা। তাঁদের বক্তব্য, বাঁধ তৈরির দুমাসের মধ্যে যদি এভাবে ধস নামে, তাহলে বোঝা যাচ্ছে কাজে গাফিলতি ছিল। এভাবে কাজ করার কোনও মানে হয় না। এই ঘটনার পর থেকে আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। যেভাবে বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে, তাতে অবিলম্বে মেরামতি না করা হলে গোটা বাঁধ জলে ধুয়ে যাবে।

    কী বললেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী?

    এ বিষয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা বলেন, নদীবাঁধ সবেমাত্র উদ্বোধন হয়েছে। তবে, বাঁধ প্রস্তুতকারী সংস্থা কাজ এখনও শেষ করতে পারেনি। এলাকার মানুষের কথা ভেবে একটু আগেই উদ্বোধন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas)  সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা এলাকায় যাচ্ছেন। অতি সত্বর সমস্যার সমাধান করা হবে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    এই বিষয় নিয়ে সুর চড়িয়েছে বিজেপি। বিজেপির সাগর মণ্ডল-পাঁচের সভাপতি অনুপ সামন্ত বলেন, নিম্নমানের জিনিসপত্র দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নদীবাঁধ। তৃণমূল পার্টি অফিসে বসে কে কত টাকা খাবে তার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাই, কাটমানি খাওয়া সেই নদীবাঁধ ভাঙবে না তো কি ভালো থাকবে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’তে বন্ধ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প! শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি

    Hooghly: তৃণমূল নেতার ‘দাদাগিরি’তে বন্ধ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প! শাসক দলকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্মচারীদের উপর তৃণমূল নেতার ব্যাপক দাদাগিরির ঘটনায় বন্ধ হল দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। সেই সঙ্গে চলল সরকারি কর্মচারীদের ঘিরে বিক্ষোভ। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতার হুমকির কথা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হতেই হুগলিতে (Hooghly) ফের রাজনৈতিক তর্জা শুরু। বিরোধী দল বিজেপি, তৃণমূল নেতার এই অভব্য আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছে। অপর দিকে দলের নেতার এই আচরণে ফের অস্বস্তিতে পড়ল তৃণমূল।

    কোথায় ঘটনা ঘটল?

    ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) পাণ্ডুয়ার সিমলা ভিটাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের তালবোনা রাধারাণী হাইস্কুলে। দুয়ারে সরকারের কাজ হওয়ার কথা ছিল এই স্কুলে। পরিষেবা পেতে আসেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এরপর তৃণমূল নেতা নিজের দাবি নিয়ে ধর্না দেন। এর ফলে সরকারি কাজে বাধা পড়ে। শাসক দলের মিটিং কেন এই স্কুলে করতে দেওয়া হল না, এই নিয়ে দুয়ারে সরকারের আধিকারিক এবং কর্মচারীদের সঙ্গে অত্যন্ত অভব্য আচরণ করে হুমকি দেন এই তৃণমূল নেতা। আর এই তৃণমূল নেতার দৌরাত্ম্যের জন্য দুয়ারে সরকারের কর্মকাণ্ড বাতিল হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ যাঁরা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে এসেছিলেন, তাঁরা অবশেষে বাড়ি ফিরে যান।

    কে এই তৃণমূল নেতা?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ সেপ্টেম্বরে পাণ্ডুয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় ঘোষ এই দাদাগিরি করেন বলে অভিযোগ। তাঁর দাবি ছিল, সরকারি কাজ বন্ধ করে দলীয় মিটিংয়ের জন্য স্কুলের হল খুলে দেওয়া হোক। শুধু তাই নয়, এক সরকারি কর্মচারীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এই সঙ্গে শাসক দলের নেতা হওয়ার সুবাদে সকলকে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন। এরপর এই ঘটনার ভিডিও সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা সঞ্জয় ঘোষ অবশ্য সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “কথা বলার সময় আমার গলার আওয়াজটা একটি বেশি হয়েছিল। এটা আমার বদ অভ্যাস। কথা বলার সময় আমার হাতটা একটু নাড়ানাড়ি হয়। যদি আমি কাউকে খারাপ কথা বলে থাকি, তাহলে আমি যে কোনও শাস্তি মেনে নেবো”।

    স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্মীর বক্তব্য

    স্থানীয় এক পঞ্চায়েত অফিসের কর্মী প্রসেনজিত বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের সময় দলীয় মিটিংয়ের জন্য রীতিমতো হুমকি দিতে শুরু করেন। আমরা জানাই অফিস চলার সময় দলীয় মিটিং করা যাবে না। এরপর এই তৃণমূল নেতা গালিগালাজ শুরু করেন। শেষে আমরা পাণ্ডুয়ার বিডিও সাহেবের কাছে অভিযোগ জানাই।”

    বিজেপির বক্তব্য

    হুগলির জেলা বিজেপি সভাপতি সুরেশ সাউ বলেন, “তৃণমূলের রাজত্বে, সরকারি কর্মীদের এখানে কাজ করার কোনও নিরাপত্তা নেই। ফলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? তিনি আরও বলেন, এখনও কেন এই অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purulia: বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের হুমকি কুড়মি সমাজের, ভোগান্তির শঙ্কা  

    Purulia: বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধের হুমকি কুড়মি সমাজের, ভোগান্তির শঙ্কা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ঠিকানা সেই পুরুলিয়ার কুস্তাউড় রেল স্টেশন। গত বছর পুরুলিয়া (Purulia) জেলায় দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা বিভাগের এই স্টেশনে টানা পাঁচদিন রেল অবরোধের জেরে ট্রেন চলাচল স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। রেলের ক্ষতি হয়েছিল কোটি কোটি টাকার। ভোগান্তিতে পড়েছিলেন হাজার হাজার যাত্রী। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ফের রেল অবরোধ করেছিল কুড়মি সমাজ। ফের একই কারণে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে চলেছেন রেলযাত্রীরা। ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধে সামিল হতে চলেছে কুড়মি সমাজ। কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিতপ্রসাদ মাহাত।

    কেন রেল অবরোধ করার সিদ্ধান্ত? (Purulia)

    কুড়মি জাতিকে এস টি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে রেল অবরোধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতবার রেল অবরোধের সময় রাজ্য সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণ করেনি। এমনই দাবি আন্দোলনকারীদের। তাঁদের বক্তব্য, এপ্রিল মাসে টানা আন্দোলন করেও কোনও লাভ হয়নি। কুড়মিদের স্বাভিমানে আঘাত করা হয়েছে। তাঁদের আন্দোলনকে তুচ্ছ করা হয়েছে। সরকার কথা দিয়েছিল। কিন্ত, সেই কথা তারা রাখেনি। তাই, দাবি পূরণে আবারও পুরুলিয়া (Purulia) সহ একাধিক জেলায় রেল অবরোধ করতে কোমর বেঁধে নামবে আন্দোলনরত কুড়মি সৈনিকরা।

    কী বললেন কুড়মি নেতা?

    মূলত জঙ্গলমহলে কুড়মি সম্প্রদায়ের আধিক্য। আদিবাসী কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিপ্ৰসাদ মাহাত বলেন, পুরুলিয়া, (Purulia) বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, অর্থাৎ জঙ্গলমহলের চার জেলাতেই বুধবারের আন্দোলনের প্রভাব পড়বে। এরই মধ্যে আদিবাসী কুড়মি সমাজের প্যান্ডেল পুলিশ খুলে দিতে বলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মূলত, কুড়মিদের এস টি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলন চলছে। গতবার রেল অবরোধের সময় রাজ্য সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা পূরণ করেনি। তাঁদের আন্দোলনকে তুচ্ছ করা হয়েছে। সরকার কথা দিয়েছিল। কিন্ত, সেই কথা তারা রাখেনি। আমাদের একটাই কথা ২০ সেপ্টেম্বর আমরা রেল অবরোধ সফল করবই। সকলকে বলা হয়েছে, পুলিশ যতই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করুক চার জেলাতেই রেল অবরোধ হবে। ঝাড়খণ্ড, ওড়িশাতেও হবে। আমরা সাধারণ মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তিনমাস আগেই আমরা কেন্দ্র-রাজ্যকে এক যোগে জানিয়েছি। কেউ এগিয়ে এলো না। একটা বৈঠক পর্যন্ত করল না কেউ।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার?

    পুরুলিয়ার (Purulia) পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা আদিবাসী কুড়মি সমাজের কাছ থেকে এই কর্মসূচি সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছি। তাদের জানিয়েও দিয়েছি, এভাবে রেল অবরোধ, রাস্তা অবরোধ বেআইনি। মানুষের যাতে ভোগান্তি না হয় সেটা আমর দেখব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share