Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Howrah: পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য, শিক্ষক দশ জন! হাওড়ার স্কুলে আজব কাণ্ড, কী করছে প্রশাসন?

    Howrah: পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য, শিক্ষক দশ জন! হাওড়ার স্কুলে আজব কাণ্ড, কী করছে প্রশাসন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে মাত্র দশ জন শিক্ষিকা। দুজন অশিক্ষক কর্মচারী। প্রত্যেকেই নিয়ম করে প্রতি মাসে মোটা টাকা বেতন পাচ্ছেন। এই স্কুল চালু রাখতে রাজ্য সরকারকে গুণতে হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। অথচ পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য। এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হাওড়ার (Howrah) শিবপুরের যমুনাবালা বালিকা বিদ্যালয়ে। তাই শিক্ষিকারা কার্যত আসি যাই মাইনে পাই পরিস্থিতিতে কাজ করে চলেছেন। এভাবে টাকা জলে দেওয়ার অর্থ খুঁজে পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।

    পড়ুয়াহীন স্কুলে এসে কী করেন শিক্ষকরা? (Howrah)

    স্কুলটি রাজ্যের প্রশাসনিক হেড কোয়ার্টার নবান্ন থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে। স্কুলে প্রাথমিকের পাশাপাশি মাধ্যমিক বিভাগও চালু আছে। একটা সময় এই স্কুলে দুটি বিভাগে বেশ ভালই ছাত্রী ছিল। কিন্তু, গত কয়েক বছরে ছাত্রীর সংখ্যা কমতে থাকে। কোভিড পরিস্থিতির পর স্কুল খুললে পড়ুয়ার সংখ্যা তলানিতে ঠেকে যায়। এই মুহূর্তে প্রাথমিক বাংলা মাধ্যম বিভাগে শুধু ১৬ জুন পড়ুয়া আছে। প্রধান শিক্ষক ও সহ শিক্ষক মিলিয়ে তিনজন। বাকি সব বিভাগে পড়ুয়া শূন্য। জানা গিয়েছে, প্রাথমিকের ইংরেজি বিভাগে পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য। এই বিভাগে দুজন শিক্ষিকা রয়েছেন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মাধ্যমিক বিভাগে। সেখানে দশ জন শিক্ষিকা এবং দুজন অশিক্ষক কর্মচারী রয়েছে। ছাত্রী সংখ্যা সেখানেও শূন্য। ফলে, শিক্ষিকারা প্রতিদিন স্কুলে এলেও কার্যত কোনও ক্লাস না করেই বেতন পাচ্ছেন। তারা স্কুলে এসে বেশিরভাগ সময়ই কেউ মোবাইলে ব্যস্ত অথবা কেউ  গল্পের বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, একটা সময় এই স্কুলের দুটি বিভাগে ভালো সংখ্যক পড়ুয়া ছিল। কিন্তু, কয়েক বছর পড়ুয়ার সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমতে থাকে। কোভিডের  পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। তারা জানাচ্ছেন প্রাথমিকের হাতে গোনা পড়ুয়া থাকলেও মাধ্যমিক বিভাগে পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য। স্কুল বিল্ডিং এর অবস্থা জরাজীর্ণ। স্কুল প্রাঙ্গনে ঝোঁপঝাড়ে ভর্তি। চারদিকে আবর্জনার স্তুপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ক্লাসরুমগুলি স্যাতস্যাতে ও অন্ধকার। হাওড়ার (Howrah) কোণা এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ওই স্কুলটি হওয়ায় সেখানে বাচ্চাদের পাঠাতে তারা ভয় পান। তার ওপরে স্কুল ভবনটির এতটাই জরাজীর্ণ অবস্থা যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই দ্রুত মেরামতি দরকার। স্থানীয় বাসিন্দারা চাইছেন সরকার ব্যবস্থা নিক যাতে স্কুল যেন তার পুরানো অবস্থায় ফিরে আসে।

    স্কুলের এক শিক্ষিকা কী বললেন?

    এদিকে প্রাথমিকের এক শিক্ষক বলেন, আশেপাশে বেশ কয়েকটি স্কুল হয়ে যাওয়ায় এবং সামনে কোণা এক্সপ্রেসওয়ের কারণে অনেক অভিভাবকরা স্কুলে বাচ্চাকে পাঠাচ্ছেন না। এছাড়াও স্কুল বাড়ির অবস্থা ভালো নয়। মাধ্যমিক বিভাগের টিচার ইনচার্জ এ ব্যাপারে কিছু বলতে অস্বীকার করেন।

    স্কুল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    হাওড়া (Howrah) জেলা মাধ্যমিক বিভাগের ডিআই অজয় কুমার পাল জানিয়েছেন, ওই স্কুলটি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পড়ুয়া না থাকায় শিক্ষিকাদের অন্য স্কুলে সরিয়ে দেওয়া হবে।  ডিস্ট্রিক্ট প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, হাওড়া শহর এলাকায় বেশ কিছু প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা কমে যাওয়ায় শিক্ষক শিক্ষিকাদের অন্য স্কুলে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে, স্কুলগুলোকে পুরোপুরি বন্ধ করা হচ্ছে না। ফের যদি পড়ুয়ারা স্কুলে ভর্তি হয় তবে স্কুলগুলোতে শিক্ষক দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: চড়া সুদের টোপ দিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা! চিটফান্ডের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত তমলুকবাসী

    Fraud: চড়া সুদের টোপ দিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা! চিটফান্ডের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত তমলুকবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারদা, রোজভ্যালি কেলেঙ্কারির পরেও হুঁশ এখনও ফিরল না। আবারও সর্বস্বান্ত হল কয়েকশো আমানতকারী। এর আগে একাধিক চিটফান্ডে টাকা রেখে অতীতে সব খুইয়েছেন প্রচুর সাধারণ মানুষ। এ বার ‘বন্ধন মাল্টি স্টেট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডে’ কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ উঠল তমলুকে। তমলুকে কয়েক কোটি টাকার বেশি তুলে ঝাঁপ বন্ধ করে উধাও চিটফান্ড সংস্থা। এর জেরে সব খোয়ালেন কয়েকশো আমানতকারী।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Fraud)

    চার বছর আগে কয়েকজন ব্যক্তি মিলে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে রামতারকহাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির দোতলায় ঘর ভাড়া নিয়েছিল। মাসিক সাড়ে চার হাজার টাকার বিনিময়ে সেই ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। সেখানেই গড়ে তোলা হয়েছিল ‘বন্ধন মাল্টি স্টেট কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডে’ নামে চিটফান্ড অফিস। ১০ বছরের জন্য ১১ শতাংশ সুদের টোপ দিয়ে তমলুক এবং শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা থেকে টাকা তোলা হয় বলে অভিযোগ। চিটফান্ড অফিস তৈরির নেপথ্যে সিপিএমের কয়েকজন নেতা সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তরক বাজার, কাঁকটিয়া বাজার, মেচেদা, সহ বিভিন্ন হাটে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির অফিস ঘর ভাড়া নিয়ে চলছিল এই চিটফান্ড ব্যবসা। স্থানীয় অনেক দোকানদার টাকা রেখে সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এছাড়াও তমলুক, শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের কয়েক হাজার মানুষ টাকা রেখেছিলেন। তাঁরাও প্রতারিত হয়েছেন। মাস কয়েক আগে সংস্থার অফিসে ঝাঁপ বন্ধ করে কর্মকর্তারা বেপাত্তা হয়ে যায়। অফিসে এখনও তালা ঝুলছে। এরপর প্রতারিত আমানতকারীদের অনেকেই থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। প্রতারণার (Fraud) অভিযোগ তুলে তাঁরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

    কী বললেন রামতারকহাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক?

    এ বিষয়ে রামতারকহাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বীরেন্দ্রনাথ ধাড়া বলেছেন, এপ্রিল মাস থেকে ভাড়া বকেয়া। আমরা অফিসের দখল নেওয়ার জন্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ওই চিটফান্ড অফিস বন্ধ হওয়ার পর তার ম্যানেজার অসীম খাটুয়ার বাড়িতে হামলা চালান প্রতারিত (Fraud) আমানতকারীরা। আতঙ্কে এলাকাছাড়া হতে হয় ম্যানেজারকে।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    যদিও এই চিটফান্ডের সঙ্গে সিপিএমের নাম জোড়ানোর নিয়ে মেদিনীপুর জেলা সিপিএম জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি বলেছেন, সিপিএমকে কালিমালিপ্ত করার জন্য নাম আনা হচ্ছে। সিপিএমের সঙ্গে চিটফান্ডের কোনও সম্পর্ক নেই, যদি থাকে তাহলে আইনের পরামর্শ কেন এতদিন নেওয়া হয়নি?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Monsoon in Bengal: একনাগাড়ে বৃষ্টিতে মার খাচ্ছে পুজোর ব্যবসা থেকে কেনাকাটা, কবে মিলবে রেহাই?

    Monsoon in Bengal: একনাগাড়ে বৃষ্টিতে মার খাচ্ছে পুজোর ব্যবসা থেকে কেনাকাটা, কবে মিলবে রেহাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃষ্টি যেন কিছুতেই থামছে না। হাওয়া অফিস (Monsoon in Bengal) বলছে, আগামী ৪ অক্টোবর বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে চলবে এমন বৃষ্টি। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে তা বৃহস্পতিবারও চলতে পারে। একনাগাড়ে বৃষ্টির কারণে গরম বেশ খানিকটা কমেছে, আদ্রতা জনিত অস্বস্তিও নেই। তবে লাগাতারে বৃষ্টির ফলে চাষের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি পুজোর মুখে মার খাচ্ছে ব্যবসাও। পাশাপাশি ক্রেতারাও পুজোর কেনাকাটা করতে যেতে পারছেন না। চাষের ক্ষতির ফলে বাড়তে শুরু করেছে, সবজি, ফল-ফুলের দাম। সাধারণভাবে পুজোর মরশুমে জিনিসপত্রের দাম বাড়ে, বৃষ্টির ফলে (Monsoon in Bengal) সেই দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। চাহিদার তুলনায় যোগান একেবারেই কমে গিয়েছে। অন্যদিকে, ছোট বড় মাঝারি ব্যবসায়ীরাও মার খাচ্ছে, তার কারণ ক্রেতা আসছে না বৃষ্টির কারণে। ছুটির দিন রবিবারও ব্যাপক বৃষ্টি হয়েছে রাজ্য জুড়ে। এদিনও দোকানে কেউ আসতে পারেননি। হাতেগোনা কয়েকটা দিন বাকি রয়েছে পুজোতে। এ সময়ও জামা কাপড় কেনাকাটা করতে যেতে পারছেন না অনেকেই বৃষ্টির কারণে। আজ সোমবার ২ অক্টোবর গান্ধী জয়ন্তীতে ছুটি রয়েছে কিন্তু এদিনও বৃষ্টির কারণে কেনাকাটা পণ্ড হবে বলেই আশঙ্কা।

    কী বলছে হাওয়া অফিস?

    অন্যদিকে হাওয়া অফিস (Monsoon in Bengal) বলছে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত থেকে যে নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে সেটি স্থলভাগের আরও কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে এর ফলে একনাগাড়ে বৃষ্টি চলতেই থাকবে। হাওয়া অফিসের মতে, এমনিতে ১০ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গ থেকে বর্ষার বিদায় নেওয়ার কথা কিন্তু পরিস্থিতি যেভাবে বদলাচ্ছে তাতে বর্ষা কবে বিদায় নেবে! তা বলা যাচ্ছে না।

    কোন কোন জেলায় বৃষ্টি?

    হাওয়া অফিসের (Monsoon in Bengal) পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণবঙ্গে সোম এবং মঙ্গলবার বৃষ্টিপাত হবে একনাগাড়ে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এছাড়া পুরুলিয়া বাঁকুড়ার মতো জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণও বাড়বে। কালিম্পং জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ইত্যাদি জেলায়। জানা গিয়েছে, নিম্নচাপের বৃষ্টির কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রযাত্রায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে। অন্যদিকে শহর কলকাতার আকাশেও থাকবে মেঘের ঘনঘটা। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে কলকাতায়। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা এবং শহরতলি এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে পাড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের সদস্য

    Dakshin Dinajpur: কাজের খোঁজে ভিন রাজ্যে পাড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কাজে নেই। তাই, কাজের জন্য হাজার হাজার মানুষ ভিনরাজ্যে যেতে বাধ্য হন। বিরোধীরা বার বারই এই অভিযোগ করে আসছেন। এবার শাসক দলের পঞ্চায়েত সদস্য সেকথা স্বীকার করেছেন। আর সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়ে স্বামীর হাতে কাজ না থাকার কথা উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) হিলি গ্রাম পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত সদস্যার নাম অলোকা কুণ্ডু। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ইস্তফাপত্রে কী লিখেছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা? (Dakshin Dinajpur)

    এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) হিলি গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব আপ্তের গ্রাম সংসদ থেকে ঘাসফুলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। নির্বাচনের কয়েক মাস যেতে না যেতে আচমকাই তাঁর ইস্তফার ঘটনায় শোরগোল পড়েছে হিলিতে। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদলও। ১৪ আসনের হিলি গ্রাম পঞ্চায়েতে পূর্ব আপ্তের সংসদ থেকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন গৃহবধূ অলোকা কুন্ডু । ৩০৬ ভোটে নির্বাচনে জয়ী হন তিনি। পঞ্চায়েতের ১২টি আসনে তৃণমূল জয়ী হওয়ায় বোর্ডও তৃণমূলের দখলে যায়। গত মাসে শপথগ্রহণ করে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনে শামিল ছিলেন অলোকা কুন্ডু। সপ্তাহ দুয়েক আগে পঞ্চায়েতের উপসমিতি গঠনের সভাতেও তিনি হাজির ছিলেন। কিন্তু, আচমকা গতকাল পঞ্চায়েতের প্রধান ও দলের ব্লক সভাপতির কাছে নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন তিনি। ইস্তফাপত্রে অলোকা লিখেছেন, ‘পারিবারিক ও আর্থিক সমস্যার কারণে সপরিবারে তাঁরা ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তাই বাধ্য হয়ে তিনি নির্বাচিত পদে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।’ ইস্তফাপত্রটি পঞ্চায়েত প্রধান ও ব্লকের নেতাকে গ্রহণ করার অনুরোধ জানাচ্ছেন তিনি।

    কী বললেন পঞ্চায়েত সদস্যা?

    অলোকার মন্তব্য, পারিবারিক ও আর্থিক সমস্যায় আমি নির্বাচিত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি। আমার স্বামী কাজের সন্ধানে ভিনরাজ্যে যাবে। আমাকেও স্বামীর সঙ্গে যেতে হবে। তাছাড়া আমি চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছি। বাচ্চা নিয়ে এত কিছু সামলানো মুশকিল হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে সরে দাঁড়াচ্ছি।

    পঞ্চায়েত প্রধানের কী বক্তব্য?

    এ প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) হিলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিশ্বজিৎ দাস বলছেন, পঞ্চায়েত সদস্যার চিঠি পেয়েছি। তিনি পারিবারিক সমস্যার কারণে ইস্তফাপত্র দিয়েছেন। দ্রুত ওই সমস্যা মিটে যাবে। তবে, এনিয়ে তৃণমূলের হিলি ব্লক সভাপতির কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, তৃণমূল সরকার পশ্চিমবাংলায় যে  কাজের সংস্থান করতে পারছে না তা প্রমাণিত হয়ে গেল। মানুষ চরম আর্থিক সমস্যায় ভুগছেন। হিলির এই ঘটনা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। আজকে তৃণমূলের সদস্য জেতার পরও তাকে কাজের জন্য ভিন রাজ্যে যেতে হচ্ছে। আজকে ভিনরাজ্যে কাজ পাওয়া যায় পশ্চিম বাংলায় কাজ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishna Nagar: ‘আমার দিদিকে মেরে ফেলেছে’, রক্ত দিয়ে লিখে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে প্রতিবাদ বোনের

    Krishna Nagar: ‘আমার দিদিকে মেরে ফেলেছে’, রক্ত দিয়ে লিখে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে প্রতিবাদ বোনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার গাফলতিতে রোগীমৃত্যুর ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে। পরিবারের লোকজন কখনও বিক্ষোভ দেখান, কখনও আবার চিকিৎসার গাফলতির অভিযোগ এনে হাসপাতাল ভাঙচুর করেন। কিন্তু, নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রোগীমৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে মৃতের বোন যা করলেন, এমন শিউরে দেওয়ার মতো দৃশ্য দেখে কার্যত হতবাক হাসপাতালের অন্যান্য রোগীর পরিবারের লোকজন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Krishna Nagar)

    শনিবার জ্বর নিয়ে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি হন কৃষ্ণনগরের (Krishna Nagar) হাতাড়পাড়ার বাসিন্দা পূজা সরকার। পরিবারের অভিযোগ, এরপর থেকে একরকম বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয় পূজাকে। রবিবার সকালে শরীর আরও খারাপ হয়। পরিবারের লোকজনের দাবি, একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তারপরই নেতিয়ে পড়েন পূজা। এদিকে মেজদিদির মৃত্যুর খবরে ছোট বোন শিউলি হাসপাতাল চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এরপরই হাতে ব্লেড তুলে নেন বলে অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের। ব্লেড দিয়ে আঙুল চিরে সাদা কাগজে রক্তে লেখেন, ‘আমার দিদিকে মেরে ফেলেছে’। ভয়ঙ্কর এই দৃশ্য দেখে ভিড় জমে যায় হাসপাতাল চত্বরে। কোনওভাবেই তাঁকে আটকানো যাচ্ছিল না। বছর ২০-র যুবতী বারবার বলে চলেছেন, ‘আমার দিদিকে কেন মারল, ওদের জবাব দিতে হবে।’ কেউ ব্লেডটা ফেলে দিতে বললেই, যুবতী পাল্টা বলে উঠছেন, ‘দেখি কে আমার হাত থেকে ব্লেডটা কাড়তে পারে!’ এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ বলে, লিখিত আকারে হাসপাতাল সুপার, সিএমওএইচকে অভিযোগ জানাতে। সেই অভিযোগপত্রই থানায়ও পাঠিয়ে দিতে বলেন তিনি। এ বিষয়ে এখনও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। তবে, এভাবে রক্তে প্রতিবাদ নজিরবিহীন বলছেন স্থানীয়রা।

    পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    পূজার বড়দিদি বন্দনা দাস বলেন, আমার মেজবোন জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। জ্বরের কষ্টে তিন-চারদিন ঘুম হয়নি। তারপর একটা ইঞ্জেকশন দিয়েছে ডাক্তার। তিনি নিজে বলেছেন এটা ঘুমের ইঞ্জেকশন। তারপরই আর বোনের জ্ঞান ফেরেনি। আমরা জানতে চাই ঘুমের ইঞ্জেকশন দিয়েই কি সারা জীবনের মতো ঘুম পাড়িয়ে দিল? আমরা এর জবাব চাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Governor Of West Bengal: ফের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল

    Governor Of West Bengal: ফের ৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবন-নবান্ন সংঘাত চরমে উঠেছিল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (Governor Of West Bengal) উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে। শাসকদলের একাধিক মন্ত্রী-বিধায়ক তীব্র আক্রমণ শানান সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালকে। বেশ কয়েকজন প্রাক্তন উপাচার্যকে নিয়ে তখন রাজভবনের বাইরে বিক্ষোভও দেখা যায় কবি সুবোধ সরকারের নেতৃত্বে। এই আবহে ফের রাজ্যে ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করলেন রাজ্যপাল (Governor Of West Bengal) সিভি আনন্দ বোস।

    ৬ উপাচার্য নিয়োগ রাজ্যপালের

    রবিবার রাজভবনের (Governor Of West Bengal) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ছ’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের তালিকায় রয়েছেন একজন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন আইপিএস অফিসার সি এম রবীন্দ্রনকে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন প্রাক্তন আইপিএস। জানা গিয়েছে মুর্শিদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হচ্ছেন অচিন্ত্য সাহা। মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে রাজ্যপাল নিয়োগ করেছেন বিবি পারিদাকে। কোচবিহারের পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের দায়িত্ব পাচ্ছেন নিখিলচন্দ্র রায়। আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের দায়িত্ব পাচ্ছেন রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য করা হচ্ছে দিলীপ মাইতিকে।

    মামলা সুপ্রিম কোর্টে

    প্রসঙ্গত স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের রাখতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে নবান্ন। সেই মামলায় এখনও পর্যন্ত কোনও রায়দান করেনি শীর্ষ আদালত। আবার রাজ্যপালের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশও জারি করেনি সুপ্রিম কোর্ট। জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্ট ও কলকাতা হাইকোর্টে নির্দেশ মেনে এর আগে যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছিল তাতে সদস্য সংখ্যা ছিল ৩। এঁরা হলেন, রাজ্যপাল (Governor Of West Bengal), সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি। এরপরে কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয় ৫। এ নিয়ে অর্ডিন্যান্সও পাশ করা হয়ে গিয়েছে বিধানসভায়।  এ প্রসঙ্গে রাজ্যপালের আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্তের দাবি, নতুন কমিটিতে রাজ্য সরকারের তিনজন প্রতিনিধি থাকার কথা বলা হয়েছে। এটা পরিকল্পনামাফিক করা হয়েছে। কারণ রাজ্য কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তা সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে পাশ হয়ে যাবে ওই কমিটিতে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যপালের মতামতকে উপেক্ষা করার উপায় রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal BJP: দিল্লি এবং কলকাতায় তৃণমূলের পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির, সরগরম রাজ্য রাজনীতি

    Bengal BJP: দিল্লি এবং কলকাতায় তৃণমূলের পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা বিজেপির, সরগরম রাজ্য রাজনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দিল্লিতে এই অবস্থান বিক্ষোভে হাজির থাকবেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলকে চাপে রাখতে এবার দিল্লি এবং কলকাতা দুই জায়গাতেই পাল্টা কর্মসূচি নিল রাজ্য বিজেপি (Bengal BJP)। জানা গিয়েছে, রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে দিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করবেন বিজেপি সাংসদরা (Bengal BJP) এবং কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের কাছে ডেপুটেশনের জমা দেবেন তাঁরা। ওই ডেপুটেশনে ১০০ দিনের প্রকল্পে তৃণমূল সরকার কীভাবে দুর্নীতি করেছে সেই খতিয়ানই তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি, সুকান্ত মজুমদার যখন দিল্লিতে তৃণমূলের পাল্টা কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকবেন তখন কলকাতাতেই মেয়ো রোডে ধরনায় বসবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতার কর্মসূচিতেও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা কীভাবে তৃণমূল সরকার নয়-ছয় করেছে সে কথাই তুলে ধরা হবে।

    আরও পড়ুুন: ২০২৯ সালেই কার্যকর হবে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতি!

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    দিল্লির কর্মসূচি নিয়ে বঙ্গ বিজেপির (Bengal BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘১০০ দিনের টাকায় দুর্নীতি, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতি সহ কেন্দ্রীয় একাধিক প্রকল্পে শাসক দল তথা সরকার দুর্নীতি করেছে। বেআইনিভাবে উপভোক্তা নয় এমন মানুষকেও শাসক দলের নির্দেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তারই বিস্তারিত তালিকা মন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হবে।’’

    বিক্ষোভ কলকাতায়

    অন্যদিকে, কলকাতাতে কর্মসূচি পালন করবে দলের মহিলা মোর্চা (Bengal BJP)। সেখানে হাজির থাকবেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এ নিয়ে মহিলা মোর্চার (Bengal BJP) রাজ্য সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, ‘‘বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতি আজ প্রমাণিত। এ রাজ্যের মহিলারাও সুরক্ষিত নয়। প্রতিদিন রাজ্যে মহিলারা আক্রান্ত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়-ছয় হয়েছে রাজ্যে। এ ছাড়াও শাসকদলের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এইসব কথাই আমরা বলব।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bad Road In WB: পুজোয় ছেলে-মেয়েদের নতুন জামা না দিয়ে রাস্তা মেরামত করলেন বাবা-মায়েরা

    Bad Road In WB: পুজোয় ছেলে-মেয়েদের নতুন জামা না দিয়ে রাস্তা মেরামত করলেন বাবা-মায়েরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে চালু হয়েছে পথশ্রী প্রকল্প। শাসক দলের মতে, সর্বত্র রাস্তাঘাটে উন্নয়নের জোয়ার চলছে। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা পুরোপুরি আলাদা। পঞ্চায়েত-পুরসভা ভোটের আগে শাসক দল রাস্তার উন্নয়ন নিয়ে চড়াম চড়াম ঢাক পেটালেও, বাস্তবে উন্নয়ন রাস্তার খানা-খন্দের মধ্যে আটকে রয়েছে। এবার এলাকার বাবা-মায়েরা, ছেলে-মেয়েদের পুজোয় নতুন জামা কাপড় না দিয়ে, সেই টাকায় রাস্তা মেরামত (Bad Road In WB) শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই নদিয়ার শান্তিপুরে এলাকার মানুষ চাঁদা তুলে রাস্তা মেরামতের কাজ করেছিলেন। ফলে রাজ্যের শাসক দল উন্নয়নের জোয়ারে রাস্তা মেরামত নিয়ে কতটা চিন্তিত, সেই বিষয়ও এলাকার মানুষের কাছে বড় প্রশ্ন উঠেছে।

    ঘটনা কোথায় ঘটল (Bad Road In WB)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কলকাতা পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বোগপোতা এলাকায় প্রশাসন রাস্তা (Bad Road In WB) মেরামতিতে উদাসীন হলে, এলাকার অবিভাবকরা নিজেদের সন্তানদের জন্য পুজোর জামাকাপড়ের খরচে রাশ টেনে, রাস্তা সারাই করার কাজ শুরু করেছেন। এই রাস্তা মহেশতলার আশুতি ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সীমা পর্যন্ত গেছে। লম্বায় প্রায় ১০০ ফুট। রাস্তার পরিস্থিতি ভীষণ খারাপ, রাস্তায় বড় বড় গর্ত, খানাখন্দে ভরা, এলাকায় গাড়ি চালাচল করতে পারছে না। বয়স্ক মানুষের জন্য এই রাস্তা অত্যন্ত অনুপোযুক্ত। তাই পুজোর আগে অভিনব এই প্রচেষ্টা, সরকারের ভূমিকাকে বার বার কাঠগড়ায় তুলেছে বলে মনে করছেন অনেকে।

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    এলাকার বাসিন্দা প্রেমাংশু রায় বলেন, “রাস্তার (Bad Road In WB) জন্য এলাকায় কয়েক হাজার টাকার রাবিশ ফেলা হয়েছে। পুজোর আগে মানুষ টাকা পাবেন কোথায়। সন্তানদের বঞ্চিত করেই আমরা রাস্তা সারাইয়ের কাজ করলাম। পঞ্চায়েত প্রশাসনের কাছে আমরা গিয়েছিলাম। উত্তর এসেছে নিজেরা টাকা তুলে রাস্তা ঠিক করে নিন।” এলাকার আরও এক বাসিন্দা দীপঙ্কর জানা বলেন, “এই ভাঙা রাস্তায় (Bad Road In WB) এক বয়স্ক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েন। পঞ্চায়েতে গিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে আমরা নিজেরাই ব্যবস্থায় নেমেছি। ”  

    প্রশাসনের বক্তব্য

    তৃণমূলের আশুতি ২ পঞ্চায়েতের সদস্য সুরজিৎ নস্কর বলেন, “আমরা বিষয়টি শুনেছি, খুই দ্রুত সমস্যার সমাধান করব।” তবে কবে থেকে রাস্তার সমস্যার সমাধান হবে তা স্পষ্ট করে জানাননি তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South Dumdum Dengue: ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু তরুণীর, তীব্র আতঙ্ক, ক্ষোভ কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে

    South Dumdum Dengue: ডেঙ্গিতে ফের মৃত্যু তরুণীর, তীব্র আতঙ্ক, ক্ষোভ কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে। ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল দক্ষিণ দমদম (South Dumdum Dengue) এলাকার এক তরুণীর। এলাকার মানুষের অভিযোগ, তৃণমূলের কাউন্সিলার কেবলমাত্র টাকা চেনে। অপর দিকে তৃণমূলের কাউন্সিলার দু’দিন আগেই পুরসভার চেয়ারম্যানকে ডেঙ্গি প্রতিরোধে ব্যর্থ বলেছেন। প্রশাসন জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদাসীন এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মন্তব্য করেছেন এলাকার মানুষ। এলাকায় এই নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ৭। এইসব টানাপোড়েনের মধ্যেই মানুষ ডেঙ্গির আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

    আবারও মৃত্যু ডেঙ্গিতে (South Dumdum Dengue)

    দক্ষিণ দমদমে (South Dumdum Dengue) ডেঙ্গির থাবায় প্রাণ হারালেন বছর ২০ বয়সের সমাপ্তি মালিক। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন এই তরুণী বি কম প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। গত বেশ কয়েকদিন ধরেই নাগেরবাজারে এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রক্তের নমুনা পরীক্ষায় ডেঙ্গি ধরা পড়ে এবং গতকাল রাতে অবস্থার আরও অবনতি হলে আরজিকর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানা যায়।

    পরিবারের বক্তব্য

    ডেঙ্গিতে মৃত্যুর (South Dumdum Dengue) ঘটনায় পরিবারে মধ্যে শোকের ছায়া। মা অপর্ণা মালিক বলেন, “প্রথমে নাগেরবাজার হেলথ কেয়ারে ভর্তি করি। কিন্তু জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট ছিল ওর। বুকে সংক্রমণ হয়েছিল। পরে সেখান থেকে আরজিকর নিয়ে যাই। প্রচণ্ড বুকে ব্যথা ছিল সমাপ্তির। শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়েছে।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “এলাকায় কোনও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই, আমরা এলাকায় ব্লিচিং পাউডার দিচ্ছি। প্রশাসন উদ্যোগী হলে এই ভাবে আমার মেয়ের মৃত্যু হত না।”

    স্থানীয় মানুষের অভিযোগ

    ডেঙ্গিতে মৃত্যুর (South Dumdum Dengue) ঘটনায় পুরসভা এবং জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এলাকায় পুরসভার কোনও কাজ হয় না বলে অভিযোগ তোলেন তাঁরা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাউন্সিলার এই গলিতে কোনও দিন আসেনই না। নামেই কাউন্সিলার, কোনও কাজ করেন না তিনি। আগের কাউন্সিলার যদিও বা কিছু করেছে বর্তমান কাউন্সিলার একেবারেই নিষ্ক্রিয়। একটি বাড়িতে আক্রান্ত মোট তিনজন। এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রচুর।

    তৃণমূল কাউন্সিলারের বক্তব্য

    যদিও গত দু’দিন আগেই এই এলাকার কাউন্সিলার দক্ষিণ দমদম (South Dumdum Dengue) পুরসভার চেয়ারম্যানকে ডেঙ্গি প্রসঙ্গে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেছেন, “পুরসভার চেয়ারম্যান ডেঙ্গি প্রতিরোধের পুরোপুরি ব্যর্থ”।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: দিল্লিতে কর্মসূচি করতে তৃণমূলকে কোর্টে যেতে হচ্ছে না, এটাই পার্থক্য।” কটাক্ষ সুকান্তর

    Siliguri: দিল্লিতে কর্মসূচি করতে তৃণমূলকে কোর্টে যেতে হচ্ছে না, এটাই পার্থক্য।” কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা নিয়ে বিজেপিকে অযথা আক্রমণ করা হচ্ছে। কার্যত পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল গণতন্ত্রকে হত্যা করে চলেছে। এরাজ্যে বিরোধীদের কর্মসূচি করতে গেলে কোর্টে যেতে হয়। অপর দিকে তৃণমূলকে দিল্লিতে কর্মসূচি করতে কোর্টে যেতে হয়নি।। রবিবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) দলীয় কর্মসূচিতে এসে একথাই বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে কী বললেন সুকান্ত (Siliguri)?

    শিলিগুড়িতে (Siliguri) তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এরাজ্যে  লাঠি, গুলির দ্বারা তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচার সহ্য করছে বিজেপি। আমাদের অনেক নেতাকর্মীও খুন হয়েছেন। প্রত্যেক দিন মহিলাদের শ্লীলতাহানি হচ্ছে। একমাত্র বিজেপি করেন বলে আমাদের কর্মীরা ঘরছাড়া। এরকম অনেক প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হতে হচ্ছে বিজেপিকে। কিন্তু দিল্লি, উত্তরপ্রদেশে বিরোধীরা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়ে সুস্থভাবে সকলে রাজনীতি করতে পারে। তাই তৃণমূলের ভয়ের কিছু নেই। বিজেপি, তৃণমূলের কনভয় শান্তিপূর্ণভাবে যেতে সাহায্য করবে। কিন্তু এরাজ্যে আমাদের কর্মসূচি করতে কোর্টে যেতে হয়। দিল্লিতে কর্মসূচি করতে তৃণমূলকে কোর্টে যেতে হচ্ছে না। এটাই পার্থক্য।”

    ট্রেন-বিমান বাতিল প্রসঙ্গে কী বললেন?

    বিজেপি তৃণমূলের ট্রেন-বিমান বাতিল করেনি। বাতিল নিয়ে তৃণমূল মিথ্যা অভিযোগ করছে বলে জানান সুকান্ত মজুমদার। শিলিগুড়িতে (Siliguri) তিনি বলেন, “বিমান প্রাইভেট সেক্টর চালায়, কেন্দ্র সরকার চালায় না। কাজেই প্রাইভেট সেক্টর এয়ার এশিয়া কেন বিমান বাতিল করেছে, সেটা বিমান সংস্থাই বলতে পারবে। ট্রেন বাতিল করা হয়েছে বলা হচ্ছে, কিন্তু আদৌ কি ট্রেন বুক করা হয়েছিল? সব কিছুরই একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে। ট্রেনের জন্য আবেদন করেছিল, আর আবেদন করলেই ট্রেন বুক করা হয় না। তৃণমূলের এত কান্নাকাটি করার কী আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে দুটো চার্টার্ড প্লেন ভাড়া নেওয়া আছে। প্রতি মাসে তার জন্য সরকারের টাকা যায়। সেই প্লেনে লোক ভরে ভরে নিয়ে যাক।

    হিসেব না দিলে কেন্দ্র টাকা দেবে না

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন পরিকাঠামো উন্নয়নের টাকা পেতে গেলে বিগত বছরের টাকার হিসেব ক্লাবগুলিকে দিতে হবে। এপ্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত শিলিগুড়ি (Siliguri) থেকে বলেন, “ক্লাবগুলিকে মদ মাংস খাইয়ে, তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য টাকা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানতেন, এই টাকায় কাজ করবে না ক্লাবগুলি। রাজ্যের ভাঁড়ার শূন্য। তাই এখন বলছেন, হিসেব না দেওয়ার জন্য ক্লাবকে টাকা দেবেন না। এটাই তো নিয়ম হওয়া দরকার। ঠিক একই কারণে বিভিন্ন প্রকল্পে হিসেব না দেওয়ার জন্য রাজ্যকে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share