Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Howrah: “যাদের পোড়া বিড়ি জুটত না, তারা সব প্লেনে করে দিল্লি যাচ্ছে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Howrah: “যাদের পোড়া বিড়ি জুটত না, তারা সব প্লেনে করে দিল্লি যাচ্ছে”, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার ঝাড়ু দেওয়াই নয়। রীতিমতো রাস্তায় দাঁড়িয়ে রাস্তার ধুলো ও নোংরা-আবর্জনা পরিষ্কার করে, নিজের হাতে ফেললেন সেসব। সেই সঙ্গে কোদাল দিয়ে আবর্জনা পরিষ্কার করে সেখানে ছড়িয়ে দিলেন ব্লিচিং পাউডার। এভাবেই প্রকৃত অর্থে স্বচ্ছ ভারত অভিযান শুরু করলেন বিধানসভার রাজ্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাওড়া (Howrah) জেলা বিজেপির উদ্যোগে ডুমুরজলা স্টেডিয়াম সংলগ্ন বাজারের কাছে স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। এরপর দিল্লি যাত্রা সম্পর্কে তৃণমূলকে তীব্র কটাক্ষ করেন।

    পুর অঞ্চলের স্বচ্ছতা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু?

    শুভেন্দু অধিকারী এদিন হাওড়ায় (Howrah) স্বচ্ছ ভারত অভিযানে অংশগ্রহণ করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশ জুড়ে স্বচ্ছ ভারত অভিযানে অংশ নেওয়ার যে আবেদন জানিয়েছেন, তাতেই শামিল হয়েছে গোটা দেশ। সর্বত্র এই অভিযান পালিত হচ্ছে। এই অভিযানের উদ্দেশ্য যতটা না বেশি পরিমাণে সাফাই করা, তার থেকেও বড় ব্যাপার হল মানুষের মধ্যে স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতার প্রচার-প্রসার করা।”

    অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সমগ্র পুর এলাকায়(Howrah)

    হাওড়া (Howrah) পুর এলাকায় নানা জায়গায় ঘুরে দেখে সর্বত্র নোংরা-আবর্জনা ছড়িয়ে থাকার কথা বলেন শুভেন্দু। চারদিক অত্যন্ত দুর্গন্ধময় এবং অপরিষ্কার। মাস্ক ছাড়া হাঁটা মুশকিল। নিষিদ্ধ প্লাস্টিক পড়ে রয়েছে যত্রতত্র। মলমূত্র, নোংরা-আবর্জনায় ভরে আছে রাস্তার ধার। নিকাশি নালাগুলিও পরিষ্কার করা হয়নি। এতে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হতে পারেন সাধারণ মানুষ। অন্যদিকে মশা মারার তেল নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে না। ডেঙ্গির মশার আঁতুড়ঘর হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুভেন্দু তাই বলেন, “পুরসভায় নির্বাচন কবে হবে, সেটা তো আমাদের ভাবার কথা নয়। কেউ তো বর্তমানে পুরসভার দায়িত্বে আছেন। তাঁর নেতৃত্বে কর্মীদের কাজ করা দরকার।”

    সাফাই কর্মীরা শুভেন্দুর কাছে অভিযোগ করছিলেন যে তাঁরা নিয়মিত বেতন পান না। সাফাইয়ের জিনিসপত্র দেওয়া হয় না। তাই তাঁরা ধর্মঘটে যাওয়ার কথা ভাবছেন। তিনি সাফাই কর্মীদের আবেদন করেছেন, পুজোর আগে, এই মুহূর্তে ধর্মঘটে না গিয়ে আবেদন-নিবেদনের মাধ্যমে তাঁদের দাবি আদায় করতে।

    দিল্লি যাত্রা নিয়ে কটাক্ষ

    হাওড়ায় (Howrah) শুভেন্দু অধিকারী এদিন বলেন, “গোটা তৃণমূল কংগ্রেস মানেই প্রতিষ্ঠিত চোর। সব বাজারগুলিতে ছোট ছোট ঘুমটি রেখেছে। পুরসভা পাঁচ টাকা পেলে, তৃণমূল দশ টাকা পায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভাইপোর নেতৃত্বে প্রাতিষ্ঠানিক চুরি চলছে সর্বত্র। তৃণমূল কংগ্রেসের দিল্লি অভিযান প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “যাদের পোড়া বিড়ি জুটত না, গিটি লাগানো টায়ারের সাইকেল চড়ত, তারা সব প্লেনে করে দিল্লি যাচ্ছে। কাল তো আমরাও দেখতে চাই কত লক্ষ লোক দিল্লি যায়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: ঊষাগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলে এখনও সংরক্ষিত গান্ধীজির চিঠি! কী লিখেছিলেন তিনি?

    Asansol: ঊষাগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলে এখনও সংরক্ষিত গান্ধীজির চিঠি! কী লিখেছিলেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ অক্টোবর গান্ধী জন্মজয়ন্তী। গান্ধীজির সঙ্গে বঙ্গের আসানসোল (Asansol) বা রানীগঞ্জের যে সংযোগ ছিল, তার উল্লেখ অনেক জায়গাতেই পাওয়া যায়। ইতিহাস নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে খুবই ভালোভাবে অবগত। সেই গান্ধীজির যুগের স্পর্শ রয়েছে আসানসোলের একটি স্কুলেও। তার আগে জানতে হবে আরও একটি বিষয়। জানেন কি আসানসোলে প্রথম তৈরি হয়েছিল সেপটিক ট্যাঙ্কের ফরমুলা, যা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন স্বয়ং গান্ধীজি! সেটি পাওয়ার পর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আবার একটি চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। গান্ধীজির পাঠানো এই চিঠি আজও শোভা পাচ্ছে আসানসোলের ওই স্কুলগাত্রে।

    গান্ধীজি চিঠি পাঠিয়েছিলেন কোন স্কুলে (Asansol)?

    গান্ধীজির পাঠানো চিঠি রাখা হয়েছে আসানসোলের (Asansol) ঊষাগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলে। এক সময় এই বিদ্যালয়টি ছিল খ্রিস্টান পরিচালিত, যা স্বাধীনতার পূর্বের সময়ের ইতিহাস বহন করেছে। জেলার অন্যতম পুরনো বিদ্যালয়, যেখানে পড়ুয়াদের জন্য প্রথম তৈরি হয়েছিল শৌচালয়ের সেপটিক ট্যাঙ্ক ফরমুলা, যা বর্তমানে বহুলভাবে প্রচলিত। সেপটিক ট্যাঙ্কের বিষয়টি জানতে পেরে গান্ধীজি সেই ফরমুলা চেয়ে পাঠান। গুজরাটের সবরমতীতে গান্ধীজির আশ্রমের শৌচালয়ের জন্য এই ফরমুলা তিনি চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। তখন উষাগ্রাম বয়েজ হাইস্কুলের দায়িত্বে ছিলেন হিলিয়াম বায়ার্স। তাঁকেই প্রথম চিঠি পাঠিয়েছিলেন গান্ধীজি। এরপর যে ইঞ্জিনিয়ার ওই সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি করেছিলেন, তিনি ফরমুলা পাঠিয়েছিলেন গান্ধীজিকে। পরিবর্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে একটি চিঠি গান্ধীজি পাঠিয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষকে। এই চিঠি আজও সংরক্ষিত স্কুলে।

    বর্তমানে এই চিঠি সংরক্ষিত স্কুলে

    সঠিকভাবে সাল না জানা গেলেও, আনুমানিক স্বাধীনতার বেশ কয়েক বছর আগের এই ঘটনা বলে দাবি করা হয়। গান্ধীজির পাঠানো ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা এই চিঠিটি ছিল হিলিয়াম বায়ার্স-এর পরিবারের কাছে। ২০১১ সালে হিলিয়াম বায়ার্সের নাতি এই চিঠিটি বিদ্যালয় (Asansol) কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন। আর তারপর থেকে গান্ধীজির পাঠানো এই চিঠি সাজিয়ে রাখা আছে বিদ্যালয়ে। গান্ধীজীর পাঠানো এই চিঠি বিদ্যালয়ের সঙ্গে গান্ধীজির যোগের প্রত্যক্ষ প্রমাণ বলেই দাবি করা হয়।

    স্কুলের প্রতিক্রিয়া

    ঊষাগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলের (Asansol) কমিটির সম্পাদিকা সুশীলা মল্লিক বলেন, “হিলিয়াম বায়ার্সের নাতি ২০১১ সালে একটি বই আকারে গান্ধীজির চিঠিটি পাঠান। এরপর স্কুলের প্রেস থেকে ফেস্টের সময় ছাপিয়ে স্কুলের দেওয়ালে সেটি লাগানো হয়। ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত জায়গা হল এই স্কুল।” স্কুলের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক সঞ্জীব নস্কর বলেন, “আমাদের স্কুলেই প্রথম স্যানিটারি বিষয়টি এসেছিল। গান্ধীজি লোক পাঠিয়ে খোঁজখবর নেন এবং তাঁর আশ্রমে প্রয়োগ করেন। সমাজে স্বচ্ছতা এবং পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সেই সময় থেকে গান্ধীজি সচেতন ছিলেন। বাপুর এই চিঠি, স্কুলের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hoogly News: টাকা নেই, খাওয়াবেন কী? জন্মের পরই দুধের শিশুকে অন্যের হাতে

    Hoogly News: টাকা নেই, খাওয়াবেন কী? জন্মের পরই দুধের শিশুকে অন্যের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুত্র সন্তান প্রসবের পরে হাসপাতাল থেকে ছাড় পাওয়া! তারপরই দুধের শিশুকে অন্যের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হলেন এক মা! কারণ শিশুকে লালন পালন করার মতো আর্থিক ক্ষমতা জন্মদাত্রীর নেই। ইটভাটার শ্রমিক ওই মায়ের স্বামীও নিখোঁজ। রীতিমতো কোর্ট পেপারে সই করেই নিজের পুত্র সন্তানকে দত্তক দিতে বাধ্য হলেন ইটভাটার ওই মহিলা শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলায় (Hoogly News) চুঁচুড়ায়। জন্মদাত্রী মা তো সন্তানকে ছাড়তে চায়না, কিন্তু রাজ্যে কর্মসংস্থানের বেহাল অবস্থাই প্রতিফলিত হল এই ঘটনায়, এমনটাই মত উঠে আসছে কোনও কোনও মহল থেকে।

    পুলিশ সূত্রে কী জানা গেল? 

    জানা গিয়েছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর চুঁচুড়া জেলা (Hoogly News) হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা শ্রমিক। পাঁচ দিন পরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল থেকে ছুটি পান ওই মহিলা। তখনও পুত্র সন্তান তাঁর সঙ্গেই ছিল। এরপরেই দুধের শিশুকে দান করে দেন তিনি। সদ্যোজাত শিশুকে দত্তক নেন চুঁচুড়া চ্যাটার্জি বাগান এলাকার বাসিন্দা যাদব এবং বুলু মন্ডল নামের এক দম্পতি। চ্যাটার্জি বাগান (Hoogly News) এলাকার ওই দম্পতি শিশু পুত্রটিকে দত্তক নেওয়ার পরেই স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তারা হাজির হন তাঁর বাড়িতে। তাঁরা বোঝাতে থাকেন যে শিশু দত্তক নেওয়ার বেশ কিছু সরকারি নিয়ম-কানুন রয়েছে। সেইমতো মহকুমা শাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয় যাদবকে। 

    পুত্র দত্তক পেয়ে খুশি দম্পতি

    অন্যদিকে মাত্র আট দিন বয়সের দুগ্ধ পোষ্য শিশুকে কোলে পেয়ে বেশ খুশি বুলু মন্ডল (Hoogly News)। কিছুতেই ওই সদ্যোজাত সন্তানকে হাতছাড়া করতে চান না দম্পতি। যাদবের দাবি, সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই দত্তক নেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে অবশ্য ওই পুত্র সন্তানের জন্মদাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জানা গিয়েছে, কোর্ট পেপারে ইটভাটা শ্রমিক জন্মদাত্রী মা লিখেছেন, ‘‘শিশুকে মানুষ করার মতো আর্থিক সামর্থ্য আমার নেই, তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে আমি অপারগ। তাই লিখিতভাবে সন্তানকে হস্তান্তর করছি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: রবিবার পুজোর বাজার কি পণ্ড করবে নিম্নচাপের বৃষ্টি? কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Update: রবিবার পুজোর বাজার কি পণ্ড করবে নিম্নচাপের বৃষ্টি? কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ভারী বৃষ্টিপাত (Weather Update) হয়েছে রাজ্যের জেলায় জেলায়। রবিবার সকাল থেকেই কলকাতা সমেত শহরতলী এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার আকাশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। রোদ ঝলমলে আবহাওয়াতে আদ্রতাজনিত অস্বস্তিও নেই। আবহাওয়া দফতরের মতে, আগামী ২৪ ঘণ্টা কলকাতা সহ আশেপাশের এলাকা মেঘলা থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিনেই সাধারণত বাঙালির দুর্গা পুজোর বাজার শুরু হয়। তখনও নিম্নচাপের (Weather Update) প্রভাবে বৃষ্টিপাতের সাক্ষী থেকেছে রাজ্যবাসী। রবিবার ছুটির দিনে বিকালে পরিবার সমেত বাজার করার পরিকল্পনা হয়তো অনেকেই করেছেন কিন্তু সেই পরিকল্পনাকে ভেস্তে দিতে পারে বৃষ্টি, এমনটাই খবর আবহাওয়া দফতর সূত্রে। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এদিন থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আদ্রতা রবিবার থাকবে সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ। আবহাওয়া দফতরের মতে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপরে থাকা নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। শনিবার বিকেলে এই নিম্নচাপটির অবস্থান ছিল উত্তর ওড়িশার উপকূলে, পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় এটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে ঝাড়খন্ডে চলে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।

    কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?

    ১ অক্টোবর ও ২ অক্টোবর রবিবার ও সোমবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার কোনও কোনও জায়গায় অতিভারী (Weather Update) বৃষ্টি হতে পারে। ৪ অক্টোবর বুধবার জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?

    ১ অক্টোবর রবিবার ভারী বৃষ্টির (Weather Update) পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম বর্ধমানে। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ২ অক্টোবর সোমবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায়। ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কোনও কোনও জায়গায়। ৪ অক্টোবর বুধবার সবকটি জেলাতেই হাল্কা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raj Bhavan Kolkata: রাজ্যের হম্বিতম্বিই সার, তৃণমূল বিধায়ক শপথ নিলেন রাজভবনেই!

    Raj Bhavan Kolkata: রাজ্যের হম্বিতম্বিই সার, তৃণমূল বিধায়ক শপথ নিলেন রাজভবনেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের (Raj Bhavan Kolkata) বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ জারি করেছে নবান্ন তথা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস! অথচ শনিবার রাজভবনেই শপথ বাক্য পাঠ করতে দেখা গেল ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়কে। এতেই ওয়াকিবহাল মহল বলছে রাজ্যের কি তবে হম্বিতম্বিই সার হল? তাদের বিধায়ককে শেষ পর্যন্ত শপথ রাজভবনেই (Raj Bhavan Kolkata) নিতে হল!

    সাধারণভাবে বিধায়কের শপথগ্রহণ বিধানসভাতেই হয়ে থাকে 

    সাধারণভাবে বিধায়কের শপথ গ্রহণ রাজভবনে হয় না বরং তা বিধানসভাতেই হয়ে থাকে, কিন্তু এমন বিরল ঘটনা এবার এ রাজ্যে চোখে পড়ল। পাশাপাশি রাজভবনে (Raj Bhavan Kolkata) বিধায়কের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখা গেল না বিধানসভার অধ্যক্ষ এবং পরিষদীয় মন্ত্রীদের। এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নির্মলচন্দ্র রায়কে শপথ বাক্য পাঠ করান। তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিধায়কের পরিবারও। যদিও এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল ২৩ সেপ্টেম্বর তবুও তা ৩০ সেপ্টেম্বরে সম্পন্ন হল, মাঝখানে শপথ নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন।

    আরও পড়ুন: কম বয়সেও হার্ট অ্যাটাক! বিশ্ব হার্ট দিবসে জানুন হৃদযন্ত্র ভাল রাখার সহজ কিছু উপায়

    কেন রাজভবনে শপথ?

    রাজভবনের (Raj Bhavan Kolkata) তরফে বিধায়ককে চিঠি লিখে শপথ গ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়। রাজ্য সরকার অভিযোগ তোলে যে তাদেরকে নাকি এ বিষয়ে কোনও তথ্যই দেওয়া হয়নি। এরপরে রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী তীব্র আক্রমণ করেন সিভি আনন্দ বোসকে। রাজভবনের যুক্তি, নবনির্বাচিত বিধায়ক রাজবংশী সমাজের এবং তাঁকে রাজভবনে শপথ বাক্য পাঠ করালে জনমানসে ইতিবাচক বার্তা যাবে। রাজভবনের (Raj Bhavan Kolkata) দরজা যে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য উন্মুক্ত, সেই বার্তাও পৌঁছানো সম্ভব। রাজ্যপালের দেওয়া প্রস্তাবে রাজি হয় সরকার। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৮ তারিখ ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়। নবনির্বাচিত বিধায়ক শপথ নিলেন ২২ দিন পরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Club Donation: ‘দিল্লি চলো’ হুঙ্কার ছেড়ে নিজের রাজ্যেই ক্লাবের অনুদান বন্ধ করলেন মমতা!

    Club Donation: ‘দিল্লি চলো’ হুঙ্কার ছেড়ে নিজের রাজ্যেই ক্লাবের অনুদান বন্ধ করলেন মমতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি চলো ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী! কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে টাকা আদায়ের দাবিতে। অথচ, নিজের রাজ্যেই ক্লাবের অনুদান বন্ধ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ক্লাবগুলি (Club Donation) আর কোনও সরকারি টাকাই পাবে না। এমনটাই জানিয়েছে নবান্ন। অভিযোগ বহু ক্লাবই নাকি খরচের যথাযথ হিসাব দেয়নি। প্রসঙ্গত, শাসকদলের অনুগ্রহে থাকা ক্লাবগুলি সাধারণভাবে সরকারি অনুদান পায়। সাধারণভাবে দেখা যায় রাজ্য জুড়ে সরকারি অনুদান প্রাপ্ত ক্লাবগুলির সম্পাদক, সভাপতি বা সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী হন। এবার সেই ক্লাবের সরকারি টাকা নয়ছয় এর অভিযোগ যখন সামনে এল তখন প্রশ্ন উঠছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলের বিরুদ্ধেই কি অভিযোগ আনলেন?

    দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে ৭০ হাজার করে অনুদান 

    এরই মাঝে দুর্গাপুজোয় প্রতিটি ক্লাবকে ৭০ হাজার টাকা করে দেওয়ার রাজ্য সরকারের অনুদান (Club Donation) নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা শুক্রবার বলেন, ‘‘আমি অনেক মামলা শুনেছি, যেখানে মানুষ বেতন পাচ্ছেন না, চাকরি পাচ্ছেন না, পেনশন পাচ্ছেন না। আর পুজো কমিটিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে!’’ প্রসঙ্গত ক্ষমতা আসার পর পরই ক্লাবগুলিকে দখল করার অভিযোগ ওঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে। বিরোধীরা অভিযোগ করেন লাখ লাখ টাকা খরচ করে রাজ্যের ক্লাবগুলিকে কিনতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    মোট কত ক্লাবকে অনুদান (Club Donation) দেওয়া হতো?

    পরিসংখ্যান বলছে ২০১১ সালে ৭৮১টি ক্লাবকে এই অনুদান দেওয়া হয়েছিল। এই খাতে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। পরের বছর এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায় এবং ১৫০০ ক্লাবকে এই অনুদান দেওয়া হয়। যার জন্য রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে খরচ হয় আরও ৪০ কোটি টাকা। প্রথমে বছরে এককালীন ২ লাখ টাকা দেওয়া হতো ক্লাবগুলিকে। পরবর্তী তিন বছর এক লাখ টাকা করে মোট পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে অভিযোগ শোনা গিয়েছে বিরোধী দলনেতার কণ্ঠে। নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, ক্লাবগুলিকে এই প্রকল্প মারফত টাকা দিয়ে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। অনুদানের জন্য নতুন ক্লাবের নাম নথিভুক্ত (Club Donation) করার দায়িত্ব দেওয়া হয় শাসকদলের বিধায়কদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ragging: র‍্যাগিংয়ের শিকার কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের দুই ছাত্র, চাঞ্চল্য

    Ragging: র‍্যাগিংয়ের শিকার কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের দুই ছাত্র, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংকাণ্ডে (Ragging) তোলপাড় হয়ে যায় গোটা রাজ্য। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটল কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের দুই ছাত্রের সঙ্গে। এদের মধ্যে একজন মেকানিক্যাল এবং অপরজন অটোমোবাইলের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তাঁদের বাড়ি কোচবিহার মাথাভাঙ্গা-২ নম্বর ব্লকের ঘোকসাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। সিনিয়ার মেসে গিয়ে দুজন প্রথম বর্ষের ছাত্রের উপর এতটাই অত্যাচার করে যে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কোচবিহার জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনা তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ragging)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আকাশ আইচ এবং খোকন বর্মন তাদের মেসে ছিল। সে সময় সেই মেসে থাকা  আরেকজন সিনিয়ার বাইরে থেকে বহিরাগতদের নিয়ে এসে তাদের উপর আক্রমণ চালায়। তাদের মুখে রুমাল গুঁজে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এর আগেও এই সিনিয়ার এসে তাদের উপর অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতেও সে হামলা চালায়। কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের জেনারেল সেক্রেটারি মিসবাহুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত ওই সিনিয়ার প্রায় দিনই একটি মেয়েকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে মেসে উঠত। দীর্ঘদিন থেকে এই বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল আকাশ এবং খোকন। এটাই তাদের অপরাধ। তাই, বাইরে থেকে দুজনকে নিয়ে এসে ওই দুই পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করা হয়। আকাশ আইচকে কোচবিহার এন জে এন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ অবস্থায় শনিবার ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, অত্যন্ত গুরুতরভাবে জখম খোকন বর্মন কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যেই ঘটনায় পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।

    আক্রান্তের ছাত্রের বাবা ও মেসের মালিক কী বললেন?

    ঝকম খোকন বর্মনের বাবা পরিমল বর্মন বলেন, মেসের মধ্যেইও র‍্যাগিংয়ের (Ragging) ঘটনা ঘটল। এটা মেনে নিতে পারছি না। আমরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। মেসের মালিক কার্তিক শীল বলেন, মাত্র এক মাস হয়েছে ওই দুই ছাত্র আমার মেসে এসেছে। মেসের দেখভাল করে আমার স্ত্রী। র‍্যাগিংয়ের বিষয়টি আমার জানা নেই।

    কী বললেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ?

    পলিটেকনকিক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রণব সাহারায় বলেন, অ্যান্টি র‍্যাগিং (Ragging) টিম বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ধরনের ঘটনাকে প্রশয় দেওয়া হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ! অভিযুক্তকে বোর্ডের খুঁটিতে বেঁধে বিক্ষোভ

    Malda: চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ! অভিযুক্তকে বোর্ডের খুঁটিতে বেঁধে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সকাল বেলা মালদায় (Malda) চাকরি দেওয়ার নামে এবং ব্যবসার অছিলায় টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগের পাশাপাশি ৩৬ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে একটি বোর্ডের খুঁটিতে বেঁধে রাখলেন অভিযোগকারীর আত্মীয়রা। এই ঘটনায় তীব্র শোরগোল পড়েছে মালাদায়। উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই চাকরি দেওয়ার নাম করে কয়েক কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এই জেলার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

    ঘটনা কিভাবে ঘটল (Malda)?

    ঘটনাটি ঘটেছে মালদার (Malda) হবিবপুর থানার বক্সিনগর এলাকায়। একটি বোর্ডের পোস্টে বেঁধে রাখা হয় হবিবপুর থানার বুলবুলচন্ডী মধ্যম কেন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দা মোহর সরকারকে। জানা গেছে, মোহর সরকার সঞ্জীব সরকারের কাছ থেকে ব্যবসা এবং চাকরির নাম করে ৩৬ লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু সেই টাকা ফেরত দিচ্ছিলেন না। এমনকি তাঁকে দেখাও যাচ্ছিল না এলাকায়। শনিবার সকালে এলাকায় দেখতে পায় তাঁকে এলাকার মানুষ। এরপর ধরে একটি বোর্ডের পোস্টে তাঁকে বেঁধে রাখেন সঞ্জীব সরকারের আত্মীয় পরিজনেরা। ঘটনাস্থলে শনিবার বারোটা নাগাদ পৌঁছায় হবিবপুর থানার পুলিশ। টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও চাকরির প্রতিশ্রুতির কথা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত মোহর সরকার।

    অভিযুক্তের বক্তব্য

    অভিযুক্ত মোহর সরকার বলেন, “একটা লিখিত হয়েছিল ব্যবসার জন্য টাকা নিয়েছি। কিন্তু চাকরির জন্য টাকা নেইনি। বাড়িতে (Malda) একবার বসা হয়েছিল, সেখানে আমি বলেছি আগামী দুই মাসের মধ্যে ২৪ লক্ষ টাকা ফেরত দেবো।” তবে টাকার অঙ্কের বিষয়ে ৩৬ লক্ষ টাকার কথা অস্বীকার করে ২৪ লক্ষ টাকার কথা স্বীকার করেন তিনি। সবটাই লিখিত ভাবে চুক্তিপত্র হয়েছে বলে জানান তিনি।

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    স্থানীয় (Malda) প্রতারণার শিকার জ্যোৎস্না বিশ্বাস বলেন, “আইসিডিএস দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেছে মোহর। আমি আমার টাকা ফেরত চাই। এলাকায়, টাকা লুট করে বহুদিন ধরে বেপাত্তা ছিল। ধরা পড়তেই তাকে বেঁধে রাখা হয়েছে।” এলাকার আরও এক অভিযোগকারী সঞ্জীব সরকার বলেন, “গত এপ্রিল মাসের ২ তারিখে মোহরের সঙ্গে লিখিত চুক্তি করা হয়। কথা হয় টাকা ফেরত দেবেন। কিন্তু বেপাত্তা হয়ে যান। মোহরের বাড়ির লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। এর আগেও থানায় বিষয় জানিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু সমাধানের জন্য মোহর থানায় যাননি। বহুদিন পালতক ছিলেন। আজ ধরতে পেয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে আপাতত।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  •  Bankura: মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু ৩ শিশুর, গ্রামে পাকা বাড়ি হয়নি কেন? প্রশ্ন বিজেপির

     Bankura: মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু ৩ শিশুর, গ্রামে পাকা বাড়ি হয়নি কেন? প্রশ্ন বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে তৃণমূলের রাজত্বে উন্নয়নের জোয়ার চলছে দাবি করলেও, সেই দাবি কতটা কঙ্কাল সার শূন্য তার প্রকৃষ্টতম উদাহরণ হল, বাঁকুড়ার বাকাদহ বোড়ামারা গ্রামের চিত্রটা। উল্লেখ্য গ্রামে একটাও পাকা বাড়ি নেই। রাজ্য সরকারের ইন্দিরা আবাস যোজনার কোনও বাড়ি এখানে চোখে পড়ে না। গ্রামের বাড়িগুলি মাটি দিয়ে তৈরি, অধিকাংশ ভগ্নস্তূপের মতন দাঁড়িয়ে রয়েছে, যেকোনও সময়ে ভেঙে পড়তে পারে বাড়ি। নজর নেই প্রশাসনের। আর শনিবার এই মাটির ঘরের দেওয়াল ভেঙে চাপা পড়ে মৃত্যু হল তিন শিশুর।

    এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুর থানার বাকাদহ বোড়ামারা গ্রামে। মৃত শিশুদের মধ্যে একই পরিবারের এক শিশু কন্যা ও দুই পুত্র সন্তান ছিল বলে জানা গেছে। এই মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় বিজেপি, শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ করে বলেছে, গ্রামে পাকা বাড়ি হয়নি কেন? গরীব মানুষের আবাস যোজনার টাকা চুরি করে, পাকা বাড়ির অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে তৃণমূল। পাকা বাড়ি থাকলে হয়তো এই মর্মান্তিক ঘটনার শিকার হতে হতো না।

    কিভাবে দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু ঘটল (Bankura)?

    গত শুক্রবার বিকাল থেকে বাঁকুড়া (Bankura) জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে নিম্নচাপের জেরে প্রবল বৃষ্টিপাত। কিন্তু আজ শনিবার সকাল থেকেই নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টিতে মাটির ঘরের দেওয়াল ভেঙে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই মর্মান্তিক ঘটনায় মৃত শিশুদের নাম হল রোহন সর্দার (৫), নিশা সর্দার (৪), অঙ্কুশ সর্দার (৩)। জানা গেছে এই তিন শিশু খেলা করছিল বাড়ির মধ্যেই। হঠাৎ করে ঘরের একটি মাটির দেওয়াল ভেঙে, ওই তিন শিশুর গায়ের উপর পড়ে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা তড়িঘড়ি তিন শিশুকে বিষ্ণুপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর চিকিৎসকরা তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। সমগ্র ঘটনায় এলাকায় তীব্র শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    গ্রামে নেই একটাও পাকা বাড়ি

    বিষ্ণুপুর (Bankura) ব্লকের বাঁকাদহ গ্রাম পঞ্চায়েতের বোড়ামারা গ্রাম যেন একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। গ্রামে নেই একটিও আবাস যোজনার পাকা বাড়ি। সবকটি কাঁচা বাড়ি ভগ্নপ্রায় অবস্থা। যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। আজকে দেওয়াল চাপা পড়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় যে তিনটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের ছিল না পাকা বাড়ি। গ্রামের মানুষের ভয় আগামী দিনেও ঘটতে পারে বড়সড়ক দুর্ঘটনা।

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ

    গ্রামবাসীদের (Bankura) অভিযোগ, তৃণমূলের শাসনে বিগত ১০ বছরে একটিও পাকা বাড়ি পাননি গ্রামের মানুষ। এমনকি গ্রামে নেই কোনও আইসিডিএস সেন্টার, নেই কোনও পানীয় জলের ব্যবস্থা। তাই মানুষের প্রশ্ন ইন্দিরা আবাস যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি চুরি করেছে তৃণমূল।   

    বিজেপির বক্তব্য

    বিষ্ণুপুরের সাংসদ (Bankura) সৌমিত্র খান মৃত্যুর প্রতি শোক প্রকাশ করে বলেন, “এই গ্রামে একটাও পাকা বাড়ি নেই। মোদিজির দেওয়া বাড়ির টাকা তৃণমূলের নেতারা চুরি করেছে। আজ ওই পরিবারের পাকা বাড়ি থাকলে এই ভাবে শিশুদের মৃত্যুর শিকার হতে হতো না।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই এলাকার শাসক দলের বর্তমান বাঁকাদহ (Bankura) গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান বাসন্তী লায়েক এই পাকা বাড়ির বিষয়ে কেন্দ্রকেই দোষারোপ করেছে। তিনি বলেন, “আবাস যোজনার নাম থাকা সত্ত্বেও বাড়ি মেলেনি শুধুমাত্র কেন্দ্রের টাকা না দেওয়ার জন্য।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tornado: দুমিনিটের টর্নেডোয় তছনছ সুন্দরবনের কয়েকটি গ্রাম, ক্ষতিগ্রস্ত হুগলিও

    Tornado: দুমিনিটের টর্নেডোয় তছনছ সুন্দরবনের কয়েকটি গ্রাম, ক্ষতিগ্রস্ত হুগলিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’মিনিটের টর্নেডোয় তছনছ গোটা গ্রাম। ভেঙে পড়েছে গ্রামের একাধিক বাড়ি। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে গোটা দক্ষিণবঙ্গ ভিজছে। তার মধ্যেই টর্নেডোয় (Tornado) বিধ্বস্ত হল বসিরহাটের সুন্দরবনের মিনাখাঁ ব্লকের কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুন্দরবনের বাজার ও কয়েকটি গ্রাম।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Tornado)

    বসিরহাটের সুন্দরবনের মিনাখাঁ ব্লকের কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শনিবার দুপুরে হঠাৎ করেই লাট্টুর মতো পাকিয়ে ওঠে ঝোড়ো হাওয়া। কালো ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে যায় চতুর্দিক। দু’মিনিট ধরে টর্নেডো (Tornado) চলে। যার জেরে কুমারজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের মালেয়াড়ি, আমতলা ও জয়গ্রামের মতো সুন্দরবনের বেশ কিছু গ্রাম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তছনছ হয়ে যায় সব। সকাল থেকেই চলছিল অঝোরে বৃষ্টি। তার মধ্যেই হঠাৎ করে টর্নেডো চালু হয়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিয়ে পড়েন গ্রামবাসীরা। কোনওরকম প্রস্তুতি ছাড়াই হঠাৎ এই ঝড় আসায় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। তার মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায়, তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এভাবে, আচমকা ঝড় আসবে তা কেউ ভাবতে পারেননি। অন্যদিকে, হুগলির চুঁচুড়া বিধানসভার কোদালিয়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বেনাভারুই গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ক্ষণিকের ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ের কারণে বেশ কিছু গাছ-বাড়ি ভেঙে পড়ে। ঘরের টিনের চাল উড়ে গিয়েছে। 

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রায় ১০০ কিলোমিটার বেগে এই ঝড় শুরু হয়। এলাকায় থাকা বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে যায়। চোখের সামনে বেশ কয়েকটি বাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অনেকে জখম হন। বেশ কয়েকটি গাছও ভেঙে পড়েছে রাস্তার উপর, যার ফলে অবরুদ্ধ হয়েছে বেশ কয়েকটি রাস্তা। বেশ কিছু রুটের বাস, লরি, অটো ও টোটো বন্ধ রয়েছে। চরম ভোগান্তিতে বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share