Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Purba Medinipur: “ট্রেনে কেন! চার্টার্ড প্লেনে করে কর্মীদের দিল্লি নিয়ে যাক তৃণমূল” তোপ শুভেন্দুর

    Purba Medinipur: “ট্রেনে কেন! চার্টার্ড প্লেনে করে কর্মীদের দিল্লি নিয়ে যাক তৃণমূল” তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ট্রেনে কেন! চার্টার্ড প্লেনে করে কর্মীদের দিল্লী নিয়ে যাক তৃণমূল। ওদের তো কোটি কোটি টাকা! বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী। পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথিতে বিজেপির ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে কর্মশালার পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন তিনি।

    কী বলেন শুভন্দু অধিকারী (Purba Medinipur)?

    কাঁথিতে (Purba Medinipur) কর্মীদের কর্মশালায় যোগদান করে, সাংবাদিকদেরকে তৃণমূলের দিল্লি যাত্রার প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ট্রেন বন্ধ হয় নি। আলাদা বগি দিতে পারবেন না তাই বলেছেন। তৃণমূলের কাছে প্রচুর টাকা আছে। ভাইপো এবং পিসি নিজেরা চার্টার্ড প্লেনে যান, তৃণমূলের কর্মীরাও যাবেন। মদ, ডিয়ার লটারি, গাছ পাচার, সেচ দফতর থেকে, পিডবলু দফতর, উত্তরবঙ্গে মহিষ পাচার থেকে শুরু করে পিএইচ-এর জল জীবন মিশন পর্যন্ত মাসে ৫০ থেকে ৬০ কোটি টাকা তোলা আসছে তাঁদের। ডিয়ার লটারি, তাঁদের ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে আয়করের রিটার্ন ফাইলে বলেছে, তৃণমূল কংগ্রেসকে ৩০০ কোটি টাকা জমা করেছে। আইএফবি মদের কোম্পানি বলেছে, তাঁদের মদের ব্যবসা চালাতে গত ২০২১ সালের এক ছয় মাসেই ৪২ কোটি টাকা দিতে বাধ্য হয়েছে তৃণমূলকে। তাই তৃণমূল দু’শ চার্টার্ড বিমানের ব্যবস্থা করে, কলকাতা বিমান বন্দর থেকে দিল্লিতে যাক। দুই দিন ধরে তৃণমূলের কর্মীরা আকাশে উড়তে থাকুক। সামিম, শওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর খান সবাইকে প্লেনে করে নিয়ে যাক ভাইপো। যুবরাজ এই খরচ বহন করুক।”

    ডিএ নিয়ে কী বলেনশুভেন্দু?

    এদিন এই প্রশিক্ষণ শিবির (Purba Medinipur) থেকে শুভেন্দু বলেন, “আমাকে জেলে ঢোকানোর জন্য, এই মমতার সরকার সুপ্রিমকোর্ট এবং হাইকোর্টে মোট খরচ করেছে ২৯৫ কোটি টাকা। যখন রাজ্যে আর্থিক সঙ্কট  চলছে, তখন ইমাম-মোয়াজ্জিমদের ভাতা কেন ৫০০ করে বৃদ্ধি করা হল। আশাকর্মী, রাজ্য সরকারের কর্মীদের ডিএ দিতে পারছেন না কিন্তু এই দিকে দান খয়রাতি চলছে। যে টাকায় ভারত চন্দ্রযান পাঠালো, তাঁর ৫৭ শতাংশ সমান ৩০১ কোটি টাকা ক্লাবে ক্লাবে অনুদান দিচ্ছে তৃণমূল। এই লজ্জা কোথায় রাখবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। হিন্দুদের পুজোকে কেবল মাত্র সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিণত করেছেন মাননীয়া। দেবীর বোধন, পুস্পাঞ্জলি, বিসর্জন, নিরঞ্জন হবে পঞ্জিকা মতে কিন্তু এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিন্দুদের পুজোকে কেবল মাত্র একটি উৎসবে পরিণত করেছেন।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Baranagar: তৃণমূল সাংসদের সামনে বেহাল রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ জানালেন অনুদান পাওয়া একাধিক পুজো কমিটি

    Baranagar: তৃণমূল সাংসদের সামনে বেহাল রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ জানালেন অনুদান পাওয়া একাধিক পুজো কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটি কোটি টাকা খরচ করে পথশ্রী প্রকল্পে  রাস্তা সংস্কার করার কথা বলা হলেও বাস্তবে কিছুই হয়নি। এমনকী রাজ্যে পুজো কমিটিগুলিকে অনুদান দেওয়ার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে। কিন্তু, রাস্তা সংস্কার করার বিষয়ে সরকারের কোনও হেলদোল নেই। এমনই অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। এবার সরকারি অনুদান পাওয়া পুজোকমিটিগুলিও বেহাল রাস্তা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দিয়েছে। শুক্রবার বরানগরের (Baranagar) পুজো উদ্যোক্তারা পুরসভার কর্মকর্তাদের সামনে বেহাল রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। পুজোর আগে বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবি জানালেন তাঁরা। বরানগর ছাড়়াও বারাকপুর মহকুমার পানিহাটি সোদপুর-মধ্যমগ্রাম রোড, আগরপাড়া, নীলগঞ্জ রোড, বেলঘরিয়া ব্রিজের ঠিক নীচে বেশ কিছুটা জায়গা খানাখন্দে ভরা। ডানলপ মোড়ে বিটি রোড দিয়ে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। পুজোর আগে এই সব রাস্তা সংস্কার না করা হলে দর্শনার্থীরা চরম নাকাল হবেন।

    পুজো কমিটিগুলিকে কী নির্দেশ দিল পুরসভা? (Baranagar)

    শুক্রবার সন্ধ্যায় পুরসভার উদ্যোগে বরানগরে (Baranagar) পুজো নিয়ে বৈঠক ছিল। বৈঠকে বরানগর পুরসভার ছোট, বড়, মাঝারি সমস্ত পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের ডাকা হয়েছিল। পুরসভার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সাংসদ সৌগত রায়, বিধায়ক তাপস রায়, পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা ছিলেন। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ নারায়ন বসু বলেন, বেশিরভাগ পুজো কমিটিকেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান  দেওয়া হচ্ছে। তাই প্রত্যেককে মণ্ডপের সামনে ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা, প্লাস্টিক বর্জন সহ একাধিক ইস্যুতে সচেতনতামূলক বার্তা দেওয়া ফেস্টুন টাঙাতে হবে। অন্যথা আগামী বছর তাদের সরকারি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে সংশয় তৈরি হবে। নির্দেশ না মিললে আগামী বছর যে অনুদান মিলবে না বলে হুঁশিয়ারি দিলেন পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান।

    পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা কী বললেন?

    পুজো কমিটি বৈঠকে বিধি নিষেধ নিয়ে আলোচনা হয়। পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের কাছ থেকেও তাদের মতামত নেওয়া হয়। পুজো কমিটির সদস্যরা বলেন, বরানগর (Baranagar) পুরসভা এলাকায় গোপাল লাল দাস ঠাকুর রোড, একে মুখার্জী রোড, টবিন রোড সহ পুরসভার একাধিক রাস্তার অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। পুজোর আগে এই রাস্তা মেরামতি না করা হলে দর্শনার্থীদের প্রতিমা দর্শন করতেই চরম নাকাল হতে হবে। তাই, পুজোর আগেই যাতে বেহাল রাস্তা সংস্কার করা হয় তার দাবি করেন পুজো উদ্যোক্তারা। পুজো কমিটি সদস্যদের আরও বক্তব্য, আমাদের রাজ্য সরকার অনুদান দিচ্ছে, খুব ভাল উদ্যোগ। কিন্তু,সরকারের রাস্তার দিকেও নজর দেওয়ার দরকার। না হলে পুজোর সময় সকলকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

    রাস্তা সমস্যা শুনে কী করলেন সাংসদ?

    পুরসভা এলাকায় বেহাল  রাস্তার সমস্যার বিষয়টি জানতে পারার পরই তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় মঞ্চ থেকেই মন্ত্রী পুলক রায়কে ফোন করেন। বেহাল রাস্তা সংস্কার করার জন্য তাঁর কাছে তিনি অনুরোধ জানান। কবে, সেই রাস্তা হয় তারদিকে তাকিয়ে রয়েছেন পুরবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: কোচবিহারে দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে সার! কালোবাজারির দাপটে অসহায় কৃষকরা

    Cooch Behar: কোচবিহারে দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে সার! কালোবাজারির দাপটে অসহায় কৃষকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা জুড়ে সারের কালোবাজারি শুরু হয়েছে। শীতকালীন সবজি, আলু চাষও শুরুর মুখে। কৃষকরা সার কেনা শুরু করেছেন। আর এই সুযোগে সারের কালোবাজির শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে। কার্যত মাথা হাত কৃষকদের।

    কৃষকদের কী বক্তব্য?

    কোচবিহার (Cooch Behar) জেলায় এই সময়ে সব থেকে বেশি আনাজ চাষ হয়। সেই সঙ্গে আলু চাষও শুরু হওয়ার মুখে। সে জন্য বাজারে সারের চাহিদা তুঙ্গে। সব মিলিয়ে জেলায় সারের কদর বাড়তে শুরু করেছে। আর এই সময়েই ‘সার নেই-সার নেই’ বলে হাওয়া উঠেছে বাজারে। ফলে, ৪০০ টাকার প্যাকেটের ইউরিয়া কিনতে হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দিয়ে। চাষিদের একটা বড় অংশের অভিযোগ, কোচবিহারের বহু বাজারে সারের কালোবাজারি হচ্ছে এমন করেই। প্রায় সমস্ত সার কেজি প্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি দাম নেওয়া হচ্ছে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ কৃষকেরা। কোচবিহারের তুফানগঞ্জের ঝাউকুঠি, বালাভূত, বক্সিরহাট-সহ একাধিক জায়গায় সারের কালোবাজারি চলছে। জিরানপুরের এক কৃষক মনোজ বর্মন বলেন, ইউরিয়া, ফসফেট, ডিএসপি, পটাশ সব ক’টি সারের দাম বেশি। প্রায় দ্বিগুণ। দেওয়ানহাটের কৃষক শরদিন্দু দেব বলেন, প্রত্যেক সার কেজি প্রতি ১০ থেকে ১২ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ, প্রত্যেক বছর যে সময়ে সারের চাহিদা বাড়ে তখনই কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে কালোবাজারে ওই সার বিক্রি করা হয়। গ্রামের বাজারগুলিতে তেমন ভাবে কোনও নজরদারি না থাকায় বিক্রেতাদের আরও সুবিধা বেশি। সে জন্যে গ্রামে নজরদারি বাড়ানোর দাবি করা হয়েছে। কারণ, ছোট কৃষকেরা বেশির ভাগই গ্রামের ছোট বাজারগুলির উপরে নির্ভরশীল। সেই সুযোগেই অনেকে কালোবাজারি করে।

    প্রশাসন কী করছে?

    কোচবিহার (Cooch Behar) জেলা কৃষি আধিকারিক গোপাল মান বলেন, ইতিমধ্যেই এমন অভিযোগ পেয়ে তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করা হচ্ছে। যাঁদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিছু তথ্য আমরা হাতে পেয়েছি। অভিযান চালিয়ে চার জন ব্যবসায়ীকে ‘শো-কজ়’ করা হয়েছে। তিন জন ব্যবসায়ীকে সার বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া, সার বিক্রির অভিযোগে এক জনের মজুত সার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: কম্পিউটার গেম তৈরি করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস শিরোপা আদায় করল খুদে পড়ুয়া

    Dakshin Dinajpur: কম্পিউটার গেম তৈরি করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস শিরোপা আদায় করল খুদে পড়ুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইভ কম্পিউটার গেম তৈরি করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম তুলল দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার গঙ্গারামপুর শহরের এক বেসরকারি স্কুলের খুদে পড়ুয়া সুমিত সাহা। এই ঘটনায় উচ্ছ্বসিত পরিবার ও স্কুল কর্তৃপক্ষ। এলাকায় খুশির আবাহ।

    কীভাবে রেকর্ড গড়ল (Dakshin Dinajpur)?

    সূত্রে জানা গিয়েছে, তার বাড়ি গঙ্গারামপুর পৌরসভার (Dakshin Dinajpur) বেলবাড়ি ২ নম্বর ওয়ার্ডে। দু’মাস আগে উজ্জ্বল কিডস ওয়ার্ল্ড স্কুলের এই পড়ুয়া একটি প্রতিযোগিতার জন্য একটি ২ মিনিট ২২ সেকেন্ড লাইভ কম্পিউটার গেম তৈরি করে। প্রায় দু’মাস বাদে ফালাফল আসে যে সুমিত সফল হয়েছে। এই প্রসঙ্গে আরও জানা গেছে, পড়ুয়া ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হয়ে নাসায় বা ইসরোতে কাজ করতে চায়। ছেলের এমন সাফল্যে পরিবারের লোকজন ও স্কুল কর্তৃপক্ষরা বেশ খুশি।

    এই পাড়ুয়ার বয়স মাত্র ১০ বছর এবং চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র সে। সুমিতের বাবা সুজয় সাহা, মা রাখি পাল সকলকে নিয়ে তাদের পরিবার। ছোটবেলা থেকেই সুমিত পড়াশোনাতে বেশ মেধাবী। মাত্র দুমিনিট ২২ সেকেন্ডে একটি ট্রায় ট্রেন গেম তৈরী করে ২০২৩ সালের ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস শিরোপা আদায় করে নিল এই খুদে পড়ুয়া।

    পড়ুয়ার বক্তব্য

    রেকর্ড গড়ে, এই বিষয়ে খুদে ছাত্র সুমিত সাহা (Dakshin Dinajpur) বলে, “ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হয়ে নাসা বা ইসরোতে কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে আমার। এছাড়াও কম্পিউটারের প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করতে চাই। আমি আমার স্কুল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।”

    খুশিতে স্কুল (Dakshin Dinajpur) কর্তৃপক্ষ, খুদে পড়ুয়াকে উৎসাহিত করতে সংবর্ধনা দেয়। স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীরা কম্পিউটার গেম, কোডিং ও ওয়েবসাইট তৈরি করে। স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের মেধা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বসার ব্যবস্থা করে থাকে বলে জানা গেছে।

    স্কুল এবং পরিবারের বক্তব্য

    স্কুলের (Dakshin Dinajpur) প্রধান শিক্ষক অসীম ঘোষ বলেন, “সুমিতের সাফল্য আমাদের কাছে অত্যন্ত গৌরবের। পড়ুয়াদের আমরা পুঁথিগত শিক্ষার বাইরে গিয়ে, কারিগরি শিক্ষায় পারদর্শী করে তুলি ছোট থেকেই। যার যেমন প্রতিভা রয়েছে, সেই পড়ুয়াকে সেভাবেই গড়ে তোলা হয়। আমাদের স্কুলের অনেক পড়ুয়া নিজেরাই ওয়েবপেজ ডিজাইন ও কোডিংয়ের কাজ করে। চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়া সুমিত সাহা খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করে নিজের প্রতিভার বিকাশ করেছে। এতে আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ খুবই খুশি”।

    অপর দিকে ছেলের সাফল্যে সুমিতের বাবা-মা বলেন, “ছেলের এমন সাফল্যে আমরা খুবই খুশি। ওর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হোক আমরা এটাই চাই। আমরা সবসময় ওর পাশে সহযোগিতার জন্য রয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Toy Train: দার্জিলিংয়ে ফের লাইনচ্যুত হল টয় ট্রেন, আতঙ্কিত পর্যটকরা

    Toy Train: দার্জিলিংয়ে ফের লাইনচ্যুত হল টয় ট্রেন, আতঙ্কিত পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দার্জিলিংয়ে লাইনচ্যুত হল টয় ট্রেন (Toy Train) । ট্রেনের কামরা থেকে ইঞ্জিন খুলে যায়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পর্যটকরা। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের প্রথম দিকে পর পর দুবার টয় ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। এরপর প্রায় ৬ মাস সেরকম দুর্ঘটনা কোনও খবর ছিল না। এদিন ফের দুর্ঘটনায় পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী করে দুর্ঘটনা ঘটল?  (Toy Train)

    স্থানীয় ও পর্যটক সূত্রে জানা গিয়েছে,  শনিবার সকালে পর্যটকদের নিয়ে শিলিগুড়ির দিকে রওনা হয় টয় ট্রেনটি। ট্রেনে (Toy Train) ভালই পর্যটক ছিল। ঘুম স্টেশন পর্যন্ত ঠিকঠাকভাবে চললেও স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়তেই ইঞ্জিনটি খুলে গিয়ে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। হুড়মুড় করে থেমে যায় টয় ট্রেনটি। যদিও দুর্ঘটনায় পর্যটকদের জখম হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর পরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লোকজন এসে টয় ট্রেনটিকে লাইন থেকে তোলার উদ্যোগ নেয়। যদিও ঘটনার পর আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পর্যটকরা।

    পর্যটকরা কী করলেন?

    এদিন টয় ট্রেন (Toy Train) থেকে অনেক পর্যটক দার্জিলিং থেকে শিলিগুড়ি ফেরার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। অনেকে আবার টিকিটও কেটেছিলেন। কিন্তু, এই ঘটনার পর ট্রেনে ফেরার সফর বাতিল করেন। মনোজ চট্টোপাধ্যায় নামে এত পর্যটক বলেন, কোনওদিনই টয় ট্রেনে চাপা হয়নি। পরিবারের সঙ্গে এদিন টয় ট্রেনে যাওয়ার পর পরিকল্পনা করেছিলাম। বাস্তবে সকালে যা হল তাতে আর ওই ট্রেনে ফেরার কোনও ইচ্ছে নেই। সায়ন ঘোষ নামে আর এক পর্যটক বলেন, এখানে সবাই পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে যাত্রা করছি। কাজেই দুশ্চিন্তা হচ্ছে। আর হেরিটেজ টয় ট্রেন মাঝে মধ্যেই লাইনচ্যুত হওয়ার খবর শুনি। কিন্তু এ বার সেটা যে আমাদে সঙ্গেই ঘটবে তা কল্পনাও করতে পারিনি।

    রেল আধিকারিকের কী বক্তব্য?

     উত্তর-পূর্ব ভারতের রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, টয় ট্রেনটি (Toy Train) উদ্ধারের কাজ চলছে। যাত্রীদের বিকল্প দিনের কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা সড়কপথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই তাঁদের টিকিটের টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: রাতারাতি জীবনযাত্রা বদল, প্রতারণার ‘হাব’ চোপড়া! তাজ্জব পুলিশ

    Uttar Dinajpur: রাতারাতি জীবনযাত্রা বদল, প্রতারণার ‘হাব’ চোপড়া! তাজ্জব পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব করার সিদ্ধহস্ত ছিল জামতারা গ্যাং। রাজ্যজুড়ে নতুন করে শুরু হয়েছে আধার জালিয়াতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করছে প্রতারকরা। তমলুকে এক ব্যাঞ্চ ম্যানেজারের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সাফ করেছে প্রতারকরা। একইসঙ্গে বহু মানুষের রাতারাতি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিচ্ছে প্রতারকরা। এই ঘটনার তদন্তে নেমে উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চোপড়া, ইসলামপুরের নাম সামনে আসে। চোপড়ার গ্রামে বসেই বড়সড় প্রতারণা চক্র চালাত প্রতারকরা। আগেই এই ঘটনায় তিনজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। পরে, এই জালিয়াতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পর চোপড়া থেকে আরও দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

    ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে কী পেল পুলিশ? (Uttar Dinajpur)

    ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, কয়েক মাস আগে পর্যন্ত তারা ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিল। ভিন রাজ্য থেকে ফিরেই ‘ওয়ার্ক ফর্ম হোমের’ চাকরি পেয়ে যায়। বাড়িতেই কম্পিউটার সেটআপ, ল্যাপটপ, সঙ্গে ব্রড ব্যান্ড কানেকশন। রাতারাতি জীবনযাত্রায় বদল। প্রতারণার ‘হাব’ উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) চোপড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম মুক্তিচিপা, নারায়ণপুরের অধিকাংশ যুবকদের মধ্যে গত কয়েক মাসে ব্যাপক বদল এসেছিল। তদন্তে উঠে এসেছে এই ব্যাঙ্কিং প্রতারণা চক্র সংক্রান্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা দেখে তাজ্জব পুলিশ কর্তারা। তবে, এই ধরনের জালিয়াতির পাঠ কে দিল তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এই চক্রের পিছনে আর কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

    পুলিশ কী করছে?

    ভিনরাজ্য থেকে ফিরে এসে বাড়িতে বসে কাজ করে রাতারাতি জীবনযাত্রা বদলে যাওয়ায় মুক্তিচিপা, নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দারাও কার্যত হতবাক হয়ে গিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে অন্য জেলার পুলিশও যোগাযোগ রাখছে। জেলার গোয়েন্দা বিভাগের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়ার পাশাপাশি সতর্ক নজর রাখতে বলা হয়েছে। গ্রামে গ্রামে কারা হাইস্পিড ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন এবং কেন ব্যবহার করছেন, সে সব নিয়ে পুলিশকে আরও বেশি সতর্ক রাখার পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, অভিযুক্ত কনস্টেবল, হোমগার্ড

    Jalpaiguri: পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা, অভিযুক্ত কনস্টেবল, হোমগার্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাইমারি স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় কোটি টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছিল মালদার তৃণমূল নেতা তথা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। প্রতারিত এক ব্যক্তি চাকরি না পেয়ে ওই তৃণমূল নেতাকে মারধর করতে দেখা গিয়েছে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা রাজগঞ্জ থানায় কর্মরত কনস্টেবল সুশান্ত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। একই অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক হোমগার্ডের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম দেবাশিস দেবনাথ। বিভাগীয় কমিশনারের বাংলোয় কর্মরত তিনি। অভিযুক্ত হোমগার্ড দেবাশিসের বাড়ি ময়নাগুড়ির পানবাড়িতে এবং শ্বশুরবাড়ি কোচবিহার জেলার ঘোষকাডাঙা এলাকায়।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায় দিনকয়েকআগে অভিযোগ দায়ের করেন কয়েক জন প্রতারিত যুবক। শুক্রবার অভিযোগকারীদের থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। অভিযোগকারীরা কোন কোন মাধ্যমে হোমগার্ডকে টাকা দিয়েছিলেন, সে সব তথ্য যাচাই করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশের বড় কর্তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে নিজেকে প্রভাবশালী প্রমাণ করে দেবাশিস টাকা তুলত। গত আড়াই বছর ধরে এই কাজ করে আসছে। মূলত, প্রতারিতরা টাকা দিয়ে এতদিন অপেক্ষা করছিলেন। চাকরি না হওয়ায় তাঁরা পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।  এ দিন ময়নাগুড়ি থেকে দেবাশিসের স্ত্রী দীপা দেবনাথ বলেন, তাঁর স্বামীর এই সব ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। কিছু দিন ধরে তিনি বাড়ি আসছেন না এবং বাড়িতে বেশকিছু লোকজন যাওয়া-আসা করায় তাঁরও সন্দেহ হয়েছিল, কিছু একটা সমস্যা হয়েছে। একই অভিযোগ রয়েছে রাজগঞ্জ থানায় কর্মরত কনস্টেবল সুশান্ত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও।  চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে তাঁর নামে।

    প্রতারিতরা কী বললেন?

    প্রতারিতদের বক্তব্য, কেউ পাঁচ লক্ষ, কেউ আবার ৮ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। সুশান্ত, দেবাশিসকে আলাদাভাবে সকলেই টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু, প্রতিশ্রুতি মতো তারা কথা রাখেনি। তাই, বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করতে হবে।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    দু’জনকেই পুলিশ লাইনে ‘ক্লোজ’ করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার চক্র জেলাজুড়ে রয়েছে কি না পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। আর দেবাশিস আর সুশান্তের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খাণ্ডবহালে বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বাতিল হল তৃণমূলের দিল্লিগামী এক্সপ্রেস, বিশেষ ট্রেনের অনুমতি দিল না পূর্ব রেল

    TMC: বাতিল হল তৃণমূলের দিল্লিগামী এক্সপ্রেস, বিশেষ ট্রেনের অনুমতি দিল না পূর্ব রেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাতিল হল তৃণমূলের (TMC) দিল্লি যাত্রার বিশেষ ট্রেন। আগামীকাল শনিবার হাওড়া থেকে দিল্লিগামী তৃণমূলের জন্য ট্রেন ছাড়ছে না বলে জানা গেছে। এই নিয়ে রেলের পূর্ব রেল, আইআরসিটিসিকে স্পষ্ট ভাবে জানায় যে দিল্লি যাওয়ার জন্য যে আলাদা বগি চাওয়া হয়েছিল, তা কার্যত দেওয়া সম্ভব নয়। তৃণমূল অবশ্য এই ট্রেন বাতিলের বিষয়ে পাল্টা বিজপির চক্রান্ত বলে মন্তব্য করছে।

    রেলের বক্তব্য

    তৃণমূলের (TMC) রেল বাতিল নিয়ে, ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “আইআরসিটিসি আমাদের কাছে ট্রেনের জন্য বলেছিল। কিন্তু তেমন বগির ট্রেন দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা সেটা আইআরসিটিসিকে জানিয়ে দিয়েছি।”

    তৃণমূলের দিল্লি যাত্রা (TMC)

    আগামী ২ এবং ৩ অক্টোবর দিল্লিতে রয়েছে তৃণমূলের (TMC) বিক্ষোভ কর্মসূচি। দাবি, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য বকেয়া টাকা আদায় করা। তৃণমূল আগে থেকেই ঘোষণা করেছিল, ট্রেন ভাড়া করে তৃণমূলের কর্মীরা দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করবে। সেই মতন ২২ বগির একটি এক্সপ্রেস বুক করা হয়েছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় জানা গেল যে পূর্ব রেল এমন কোনও ট্রেন দিতে পারছে না। পূর্ব রেল, আইআরসিটিসকে একটি চিঠি দিয়ে জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বরের জন্য যেমন বগি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল, তা কার্যত দেওয়া সম্ভব নয়।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল (TMC) এই দিল্লি যাত্রায় ট্রেন বাতিলের ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতি হিংসার ঘটনার কথা বলে উল্লেখ করেছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক কারণেই করা হয়েছে। বিজেপি তৃণমূলের এই অভিযানকে ভয় পেয়ে এই আচরণ করছে। তবে এই সব করে বিজেপি, তৃণমূলকে আটকাতে পারবে না।”

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূলের (TMC) দিল্লিগামী রেল বাতিলের প্রসঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “আমি তো রেলের মুখপাত্র নই, তাই এই নিয়ে কিছু বলার অধিকারী নই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dacoits: দিনে দুপুরে খড়্গপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা, গুলিবিদ্ধ দোকানের মালিক, আতঙ্ক

    Dacoits: দিনে দুপুরে খড়্গপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা, গুলিবিদ্ধ দোকানের মালিক, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার রানাঘাট, পুরুলিয়ার সোনার দোকানে দিনেদুপুরে ভয়াবহ ডাকাতির (Dacoits) ঘটনার স্মৃতি এখনও টাটকা। একইসঙ্গে দুটি সোনার দোকানে ডাকাতি করে কয়েক কোটি টাকা লুট  করেছিল দুষ্কৃতীরা। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর শহরের গোলবাজার এলাকায় একটি সোনার গয়নার দোকানে ডাকাতির চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার দিনেদুপুরে সোনার দোকানে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। ডাকাতিতে বাধা পেয়ে গুলিও চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলির আঘাতে আশিসকুমার দত্ত নামে সোনার দোকানের মালিক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। জখম হয়েছেন দোকানের এক কর্মীও। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দোকানের মালিককে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Dacoits)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনার দোকানের মালিক আশিসবাবুর বাড়ি মেদিনীপুর শহরে। খড়গপুরে তাঁর সোনার দোকান রয়েছে। প্রতিদিন তিনি এসে দোকান খোলেন। এদিনও তাঁর সঙ্গে ছেলে ছিল। অভিযোগ, দোকান খোলার সময় আচমকা চার-পাঁচ জন আশিসকে ঘিরে ধরে। তাঁর দোকানে ঢোকার চেষ্টা হয়। বাধা দিলে একজন আশিসকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। গুলিটি লাগে আশিসের পেট এবং বুকের মাঝখানে। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি।  ডাকাতিতে (Dacoits) বাধা দেওয়ায় দোকানের এক কর্মীর উপরও চড়াও হয় ডাকাতদল। অস্ত্র দিয়ে তাঁর হাতে কোপ দেওয়া হয়। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশপাশের দোকানিরা ছুটে এলে ওই চার-পাঁচ জনের দলটি চম্পট দেয়। এই ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশান উঠতে শুরু করে।

    কী বললেন জেলা পুলিশ সুপার? (Dacoits)

    খড়্গপুর শহরের গোলবাজারে গয়নার দোকানে ডাকাতির (Dacoits) চেষ্টার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ডাকাত দলের সদস্যদের। ভিনরাজ্যে পালানোর সময় ড্রোন উড়িয়ে ওই ডাকাতদলকে পাকড়াও করা হয়। রানাঘাট এবং পুরুলিয়ায় ডাকাতির মতো এই ডাকাতির চেষ্টার পিছনেও বিহার-যোগ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের বাড়ি বিহারের  বৈশালী এলাকায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, এখনও পর্যন্ত আমরা পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছি। ধৃতদের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: বীরভূমে তৃণমূল কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হল অনুব্রতের ছবি, কীসের ইঙ্গিত?

    Anubrata Mondal: বীরভূমে তৃণমূল কার্যালয় থেকে মুছে ফেলা হল অনুব্রতের ছবি, কীসের ইঙ্গিত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূম জেলার বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল। সেই অনুব্রত মণ্ডলই (Anubrata Mondal) কি না দলের মধ্যে ব্রাত্য হয়ে পড়ছেন। এমনিতেই গরু পাচার দুর্নীতি মামলায় গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি তিহারে রয়েছেন। দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও খাতায় কলমে তিনি এখনও জেলা সভাপতির পদে বহাল। কিন্তু, বীরভূমের সংগঠনের হাল ধরতে ময়দানে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, সময়ের সঙ্গে বদলাচ্ছে তৃণমূলের জেলা সংগঠনের কর্তৃত্বের রাশ। অনুব্রত ‘বিরোধী’ নানুরের কাজল শেখ এখন দলের গুরুত্ব পেয়েছেন। তিনি জেলা পরিষদের সভাধিপতিও। সেই কাজলের খাসতালুক নানুরেই অবাককাণ্ড। জেলায় তৃণমূলের অন্দরে কেষ্ট জমানা শেষ হয়ে কি কাজল সেখের জমানা শুরু হয়েছে?

    ঠিক কী হয়েছে নানুরে? (Anubrata Mondal)

    নানুর থানার হোসেনপুর গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের ঢোকার মুখে দেওয়ালে দীর্ঘদিন ধরে একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ছবি আঁকা ছিল। ঠিক পাশের দেওয়ালে অনুব্রত মণ্ডল জিন্দাবাদ লেখা ছিল। আর সেই লেখা এবং ছবিও মুছে ফেলা হয়েছে। যদি তা কে করেছে বা কারা করেছে কেউ কিছু বলতে পারছে না। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই এই জেলায় একটি দুয়ারে সরকার শিবিরের আগে হোর্ডিংয়ে তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে কাজল সেখের ছবি ছিল। সেখানে কেষ্ট মণ্ডলের ঠাঁই হয়নি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা হয়েছিল। এবার ফের দলীয় কার্যালয় থেকে তাঁর ছবি মুছে ফেলা হল। বীরভূমে অনুব্রত জমানা যে শেষ হতে বসেছে তা এই দুটি ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    একসময়ের অনুব্রত (Anubrata Mondal) ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত নানুরের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য। অনুব্রত জমানা শেষ হলেও এখনও তিনি স্বপদে বহাল রয়েছেন। দলের মধ্যে এই ধরনের ঘটনায় তিনিও বিব্রত। কিন্তু, তার বেশি আস্ফালন করার কোনও জায়গা নেই। তাই, বিষয়টি জানার পরই তিনি বলেন, আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। আর সামনেই দুর্গাপুজো, তাই হয়তো কেউ মুছে ফেলেছে। নতুন করে করা হবে। এর বেশি তিনি কিছু বলতে চাননি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    শুক্রবার নানুনের হোসেনপুরে তৃণমূল পার্টি অফিসের ছবি পোস্ট করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, জোড়া-ফুলের দলীয় কার্যালয়ের বাইরের দেওয়ালের একদিকে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। তার পাশে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) ছবির জায়গায় রং লেপা রয়েছে। অনুপম হাজরা বলেন, নানুরের হোসেনপুর গ্রামের তৃণমূল কার্যালয়ে অনুব্রত মণ্ডলের ছবি মুছে ফেলা হল। দিদিমণি তো আগেই মুছে দিয়েছেন মন থেকে,এবার দেওয়াল থেকে মোছা শুরু হল। তৃণমূলে একটাই নীতি – চুরি করে যতদিন তুমি পার্টিকে দিতে পারবে ততদিন তুমি ‘ভালো ছেলে’ আর ধরা পড়লেই পার্টি তোমাকে চেনে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share